বালকবেলা-র প্রকাশ ও এলোমেলো কথা...

আরিফ জেবতিক এর ছবি
লিখেছেন আরিফ জেবতিক (তারিখ: শুক্র, ২২/০৫/২০০৯ - ১:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বালকবেলা-মুহম্মদ জুবায়ের

০১.
জুবায়ের ভাই চলে যাওয়ার সংবাদে আমি কেমন যেন স্তব্ধ হয়ে পড়ি । আমি লিখতে চাই , লিখতে চাই , লিখতে চাই , লিখতে পারি না ।

শুধু আলগোছে মুছে ফেলি উপন্যাস -সূর্যবান স্যারের ভয়মুক্তি । এই উপন্যাসটি আমি শুধু জুবায়ের ভাইয়ের তাগাদাতে লিখে যাচ্ছিলাম , কুড়ি হাজার শব্দ লেখা শেষও হয়েছিল । জুবায়ের ভাই ক্রমাগত তাগাদা দিতেন, উপন্যাসের প্রথম লাইনটা তাঁর খুব পছন্দ হয়েছিল - সূর্যবান স্যার ভগবানকে আল্লাহ ডাকতেন । শুধু এই লাইনটার জন্যই তিনি চেয়েছিলেন উপন্যাসটা লেখা হোক । জুবায়ের ভাই ছাড়া আর কারো কাছেই হয়তো উপন্যাসটার কোন গুরুত্ব ছিল না , তিনি চলে গেলে আমি তাই উপন্যাসটিকে হত্যা করি ।

০২.
একই ভাবে আমি তাকে তাগাদা দিয়েছিলাম সচলায়তনের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ই-বুক ‌‌‍‌"ফেলে আসা ছেলেবেলা''র জন্য একটা লেখা তৈরীতে । যারা সেই সময়ে সচলায়তনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তারা জানেন , সেই ইবুকটি তৈরীর জন্য আমি কিভাবে সবাইকে তাগাদা দিয়ে জীবন অতিষ্ট করে ফেলেছিলাম ।

একের পরে এক সচলদের লেখা জমা পড়ে , কিন্তু জুবায়ের ভাইয়ের লেখাটি আর আসে না । আমি জিমেইলে , সচলায়তনে তাকে ক্রমাগত যন্ত্রনা করতে থাকি । জুবায়ের ভাই বারবার সময় চেয়ে নেন , আর আমি বারবার ইবুকের প্রকাশনা পিছিয়ে দেই ।
শেষ পর্যন্ত জানালেন , লেখাটি অনেক দীর্ঘ হয়ে যাচ্ছে । আমি তখন বললাম , ঠিক আছে , আপনার লেখাটি দিয়ে আমি আলাদা ইবুক করব । ধীরে সুস্থে শেষ করেন ।
জিমেইলে তিনি পাল্টা কমেন্ট করেছিলেন - আপনার হাত থেকে মরেও দেখি মুক্তি নেই ।

০৩.
জুবায়ের ভাই চলে যাওয়ার পরে ‘আহা কী যে বালখিল্য’ শিরোনামে সন্দেশের পক্ষ থেকে তাঁর সেই অপ্রকাশিত ছেলেবেলাটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা শুরু হয় ।
আমার কেমন যেন বড্ড অভিমান হয় তখন । এই লেখাটির সাথে আমি আর জুবায়ের ভাই মাখামাখি হয়ে আছি , আমার কেন যেন মনে হয় আমাদের লেখাটা অন্যরা নিয়ে যাচ্ছে ,অন্যরা আমাদের লেখাটিকে নষ্ট করে ফেলছে , অন্যরা আমাদের লেখাটিকে ধ্বংস করে ফেলছে । সেই অভিমানে আমি লেখাটি পড়া বন্ধ করে দেই ।

০৪.
আজ জুবায়ের ভাইয়ের জন্মদিন ।
আমি পিডিএফ করলাম তার সেই অসমাপ্ত লেখা । শিরোনামে তিনি দুইটি নাম ভেবেছিলেন , `আহা কী যে বালখিল্য'টাকে বাদ দিয়ে আমি পছন্দ করলাম `বালকবেলা'। আমি জানি আমার পছন্দের উপর জুবায়ের ভাইয়ের আস্থা আছে ।

এই ই-বুকটি আর কেউ পড়বেন এমনটা আশা করে কিছু করিনি । পড়লে পড়বেন , না পড়লে নাই ।
এই লেখাটির সংকলন শুধু আমার আর আমার জুবায়ের ভাইয়ের ।
বাদবাকীদেরকে আমরা থোড়াই কেয়ার করি ।

আমি জানি , যতোদূরেই থাকুন না কেন জুবায়ের ভাই এই মূহুর্তে আমার এই পোস্টটি পড়ছেন , আর সেই আগের মতোই একটা হাসির ইমোটিকন দিয়ে বলছেন - আপনার হাত থেকে মরেও দেখি মুক্তি নেই ।

শুভ জন্মদিন জুবায়ের ভাই ।
আপনি আমার অভিবাদন গ্রহন করুন ।
মৃত্যু আমার ভাইকে আমার কাছ থেকে কখনোই বিচ্ছিন্ন করতে পারে না ...

আরিফ জেবতিক
২২.০৫.০৯

ই-বুকটি ডাউনলোড করা যাবে ইস্নিপ্স থেকে ।

balokbela-Muhommod Zubair
balokbela-Muhommod...
Hosted by eSnips


মন্তব্য

স্নিগ্ধা এর ছবি

শুভ জন্মদিন, মুজুদা হাসি

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ভুলি নাই, জুবায়ের ভাই।
গত বছর আজ দিনটির আশেপাশে আপনাকে কথা দিয়েছিলাম, বার্ষিক হিসাবে শুভকামনা জানাবো প্রতি ৩৬৫ দিন পর পর। মনে পড়ে প্রায়শঃই। কী হয় না ফেরার দেশে গিয়ে? উত্তর জানি না, তবুও আগামীতে আপনাকে মনে পড়বে আমার, আমাদের, এবং সচলায়তনের।

-

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

শুভ জন্মদিন জুবায়ের ভাই

ই বুকের জন্য অনেক ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিমু এর ছবি

জন্মদিনে জুবায়ের ভাইকে শুক্না কাঁথার শুভেচ্ছা।

ই-বুকটির জন্যে আরিফ জেবতিককে ধন্যবাদ জানাই।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

আনিস মাহমুদ এর ছবি

ভাই,

অনন্তকাল ধরে ২২ মে আসতেই থাকবে, কিন্তু তোমার বয়স আর বাড়বে না।

.......................................................................................
Simply joking around...

হাসিব এর ছবি

ওয়েবে ঘুরতে ঘুরতে হঠাত আজকে অর্কুটে আমার ফ্রেন্ডলিস্টে জুবায়ের ভাইয়ের প্রোফাইল চোখে পড়লো । [এটাকি কাকতাল যে আজকেই অনেকদিন বাদে অর্কুটে ঢুকলাম আর ঢুকেই জুবায়ের ভাইয়ের প্রোফাইল চোখে পড়লো ! ] খেয়াল করলাম উনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন - "সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে দ্রুত - এই বোধ পিছু ছাড়ে না ।" আশ্চর্যের কথা আমিও আজকাল এই বোধে আক্রান্ত হই প্রায়ই । কিছু করার সময় কি আসলেই ফুরোচ্ছে ? কে জানে !

Screenshot

ধন্যবাদ আরিফ ভাইকে ইবুকটির জন্য ।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

জুবায়ের ভাইয়ের এই লাইনটা আমারও মাথায় গেঁথে আছে দীর্ঘদিন ধরে ।
এই বোধ আমাকেও আক্রান্ত করে ।
আমি আমার মেয়ের মুখের দিকে তাকাই , সে যখন হামাগুড়ি দিয়ে এসে হামলে পড়ে আমার উপর , যখন আমার ঘুমন্ত মুখে চুমো খায় , যখন আমার চুল ধরে টান দেয় ...
এই বোধ আমাকেও কেন যেন বিষন্ন করে দেয় ।

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

আরিফ জেবতিক তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসা বন্ধু।
জুবায়ের ভাইয়ের জন্মদিনটাকে ভুলেই গিয়েছিলাম!
অসাধারণ প্রচ্ছদ বালকবেলার। কে করেছে,অরূপ নাকি?

তোমার করা এই ই-বুকটার ৯৯% আমার পড়া।
কেমন করে?--সে আরেক ইতিহাস।

প্রিয় মুহম্মদ জুবায়ের--নয়ন সমুখে তুমি নাই, নয়নের মাঝখানে নিয়েছো যে ঠাঁই...

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

না রিটন ভাই, প্রচ্ছদটা এই অধমের করা খাইছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ফারুক হাসান এর ছবি

জুবায়ের ভাই, যেখানেই থাকেন, শুভ জন্মদিন।

ইবুকের প্রচছদটা দারুণ!

পোস্টটা পড়ার পর কিছুই আর ভালো লাগছে না।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

শুভ জন্মদিন জুবায়ের ভাই। অনেক মিস করি আপনার লেখা।

আরিফ ভাই, আপনাকে স্যালুট!

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

জন্মদিনে জুবায়ের ভাইকে পপি ফুলের শুভেচ্ছা।

প্রতি: মুহম্মদ জুবায়ের, তোমার জন্মদিনে

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- জুবায়ের ভাই সংক্রান্ত লেখায় আমি মন্তব্য করা ছেড়ে দিয়েছি সে-ই কবে! পোস্টের আর বাদ বাকি লাইনসব বাদ দিয়ে কেবল জন্মদিনটাই মাথায় ঘুরছে আমার।

হ্যাঁ, আজকে জুবায়ের ভাইয়ের জন্মদিন।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা জন্মদিনের, গল্পদাদু। ঈশ্বরের কাছে পর্যন্ত শ্যালিকা চাইলেও আপনার কাছে কখনো চাওয়া হয়নি। এই সুযোগে তাই চেয়ে নিলাম। "ইয়ে জুবায়ের ভাই, আপনার শালী আছে..."
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

s-s এর ছবি

শ্রদ্ধাস্পদেষু:
মৃত্যু উপত্যকায় চিরবাস করেও জীবনের এই জীবন্ত পদচারণায় শ্রদ্ধায় নত হলাম। শুভ জন্মদিন।

তুলিরেখা এর ছবি

নতজানু শ্রদ্ধা।
এই মানুষটির সঙ্গে সরাসরি পরিচয় হলো না, এই দুঃখ থেকে যাবে আমার চিরদিন।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অতিথি লেখক এর ছবি

সবাইকেই একদিন ছেড়ে যেতে হবে আগে আর পড়ে পার্থক্য শুধু এই। যারা আগে গেছেন তাদের জন্য ভালবাসা। যারা পরে আসছি তাদের জন্যও ভালবাসা। জুবায়ের ভাই বেঁচে থাকবেন সচলায়তনের প্রতিটি পাতায়, প্রতিটি কথায়, প্রতিটি পাঠকের ভালবাসায় যেখানে একদিন তারও পদচারণায় মুখোরিত ছিল সচলায়তনের সিঁড়িগুলো , কান পাতলেই শুনতে পাবে ..........

অমাবস্যা
২২মে , ২০০৯

সবজান্তা এর ছবি

শুভ জন্মদিন জুবায়ের ভাই...

আরিফ ভাই, চমৎকার এই উদ্যোগের জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা।


অলমিতি বিস্তারেণ

অনিকেত এর ছবি

জুবায়ের ভাই, মেঘের মত একজন মানুষ---
শুভ জন্মদিন!!

আরিফ ভাই, স্যালুট!

দ্রোহী এর ছবি

শুভ জন্মদিন প্রিয় জুবায়ের ভাই।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

জুবায়ের ভাই,

যেখানেই আছেন, আশা করি ভালো আছেন। আপনার কথা মনে পড়ে। শত প্রতিকূলতার মধ্যে লেখালেখি অনেকদিন বন্ধ ছিল। তখন খালি মনে পড়তো ফোনে আপনার সেই দুটা কথা - 'যাই করো, লিখে যাও, লেখা থামিও না।' যখনই কোন কারনে লেখায় সাময়িক ভাটা পরে, তখনই আপনার এই কথাগুলো আমাকে তাড়া করে ফেরে। লেখা থামে না, আপনি একটা বড় কারন।

আপনার বাচ্চা দুটোর ছবি চোখে ভাসে, আপনার বাসার ম্যান্টেলপিস জুড়ে তাদের ফ্রেমে বাঁধা ছবিগুলো। সেই সুদূর সকালের আড্ডায় আপনার আর ভাবীর সাথে কি বকবক করেছিলাম, তা মনে নেই। কিন্তু আপনার ডাইনিং টেবিলের চিত্রটা পরিষ্কার চোখে ভাসে। সাত সকাল, কিন্তু টেবিলের একটা ইঞ্চিও খালি ছিল না, এত রকম আইটেম ভাবী বানিয়েছিলেন নাস্তার জন্যে। লুচি, পরোটা, সব্জি, গরুর গোশ্ত, মুরগি, আলুর চপ, সালাদ - সবই ছিলো। তারপর আবার মিষ্টি। কোনটা ফেলে কি খাবো, বিরাট চিন্তা।

যদি জানতাম আপনার সাথে আর দেখা হবে না, তাহলে সেই সকালে আমি এত তাড়াতাড়ি চলে যেতাম না। ঘন্টা দুই বোধ হয় সাক্ষাৎ হয়েছিল আমাদের, যেই বন্ধু আমাকে ড্রাইভ করে নিয়ে গিয়েছিল, তার কিছু তাড়া ছিল। ভেবেছিলাম এদিকে তো আবার আসবোই, তখন নিশ্চয়ই আবার দেখা হবে। যদি ভবিষ্যৎ জানতাম, তাহলে সেদিন আমি ছলে-বলে কোন অজুহাতে সারা দিন থেকে যাবার ধান্ধা করতাম। লাঞ্চ ডিনার পার হয়ে যেতো এক এক করে আড্ডায়।

কিন্তু এইসব জানার কোন উপায় নেই। আপনার সাথে আর দেখা হবে না। আছে শুধু দুটো অমোচনীয় স্মৃতি, হার্ড ডিস্কে কয়েকটা ছবি। আপনার ভারী খসখসে গলা। ফোনের এড্রেস-বুকে একটা নাম্বার - Mu Zubair bhai। যেটা মোছার সাধ্য বা সাহস আমার নেই। কেন গেলেন, সেই ধাঁধার উত্তর আজও মিললো না। আপনাকে দরকার ছিল।

যেখানেই আছেন, ভালো থাকুন।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

বিপ্লব রহমান এর ছবি

কেন গেলেন, সেই ধাঁধার উত্তর আজও মিললো না। আপনাকে দরকার ছিল।
যেখানেই আছেন, ভালো থাকুন।

শ্রদ্ধা


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

নিশ্চয়ই ভালো আছেন আপনি, জুবায়ের ভাই।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আরিফ ভাইকে ধন্যবাদ লেখাটার জন্য। জুবায়ের ভাইকে জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

রেনেট এর ছবি

শ্রদ্ধা মিশ্রিত ভালোবাসা।
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

জুবায়ের ভাইয়ের জন্মদিনে স্মরণ করছি তাঁকে।

আরিফ ভাই, জুবায়ের ভাইয়ের ইচ্ছার কথা মাথায় রেখে হলেও আপনার মনে হয় উপন্যাসটা শেষ করা উচিত। 'বালকবেলা'-র জন্য অনেক ধন্যবাদ।

নজু ভাইয়ের করা প্রচ্ছদটা অসাধারণ হয়েছে।

নজমুল আলবাব এর ছবি

শুভ জন্মদিন জুবায়ের ভাই।

------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

জাহিদ হোসেন এর ছবি

তাঁর সাথে কোনদিন দেখা হয়নি, কথা হয়নি। তাঁকে আমি চিনতাম না। শুধু এখানেই তাঁর লেখা আর মন্তব্যের মধ্যে দিয়েই জানাশোনা। তাঁর "চুপকথা" এক নিঃশ্বাসে শেষ করে বসে ছিলাম ভেজা চোখ নিয়ে। আহা-এত ভাল লেখা! মেয়েকে কলেজে নামিয়ে এসে যে লেখাটি লিখেছিলেন, সেটি পড়ে আমারও বুকের মধ্যে বেজে উঠেছিল একটি গোপন সানাই। তাঁর অনুভূতিকে চেনা মনে হয়েছিল বলেই ঝটপট লিখেছিলাম আমার অনুভূতিটিকেও। তাঁর মন্তব্যটিও পেয়েছিলাম সাথেসাথেই। তার অল্প কয়েকদিন পরেই তিনি চলে গেলেন। সেদিন অফিসে বসে বারবার চোখ ভিজে উঠেছিল। একজন অচেনা মানুষের জন্য আর কোনদিন কেঁদেছি বলে মনে পড়েনা।
আজকাল সচলায়তনে একদম আসা হয়না। জানিনা কে কি লিখছেন। তারপরেও আরিফের ই-বুক উদ্যোগটি চোখে পড়লো বলে দুকলম লিখলাম। খুবই চমৎকার হয়েছে ই-বুকটি। নজরুলের করা প্রচ্ছদটিও ভারী সুন্দর। তিনি দেখলে খুবই খুশী হতেন।

মুহম্মদ জুবায়ের-একদিন তো দেখা হবেই। তখন অনেক গল্প করা যাবে। চা-টোস্ট রেডী রাখুন।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

রানা মেহের এর ছবি

শুভ জন্মদিন জুবায়ের ভাই
পড়ছি সিকি-আধুলি গদ্যগুলি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

রণদীপম বসু এর ছবি

জন্মদিনের শুভেচ্ছা জুবায়ের ভাই, জানি জবাব দেবেন না। তবু আমরা শুভেচ্ছা জানাতেই থাকবো।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।