একটা সময় ছিল কুড়িটাকা পকেটে থাকলেই বেশ একটা ভ্রমন হয়ে যেতো। সেরকম কুড়িটাকার ভ্রমনে আমি আর রনি শ্রীমঙ্গল গিয়েছিলাম অক্সিডেন্টালের সেই পাহাড়সম আগুন দেখতে। তারপর দেখার কথা ছিল রাসপূর্ণিমা।
কেন যেন দলটা আর সেরকম গুছিয়ে তোলা হলো না , একসঙ্গে রাসপূর্ণিমা দেখা বাকীই থেকে গেল আমাদের। এবার বেশ আয়োজন করে রওনা হলাম, ফেসবুকে যদিও অভিশাপ দিল রনি।
রনি মির্জার অভিশাপে জোর আছে , শেষ সময়ে এসে সব গুবলেট পাকিয়ে গেল।
আমি আর টিপু রওনা হলাম সুনামগঞ্জে , সুনামগঞ্জ হচ্ছে জোৎস্নার শহর, এই শহরের পৌরপিতা ছিলেন এক কবি, হাছন রাজার বংশধর সেই কবি জোৎস্নার রাতে বাতি নিভিয়ে দিতেন পুরো শহরের।
নদীতীরের সেই অদ্ভুত সৌন্দর্যের শহর দেখতে আমি আর টিপু চললাম সুনামগঞ্জ।
পথে এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো জায়গায় অনির্বানের সাথে দেখা হওয়ার কথা , কিন্তু অনির্বানরাও আজকাল শহরবাসী। টিনের মগে চা খেতে খেতে তাই দেখি এক অদ্ভুত সন্ধ্যার ছবি।
এইচডিআর শেখার ইচ্ছে হয় মাঝে মাঝে , কম্পুকানা বলে আর ওপথে এগুই না , সেই সন্ধ্যায় পথের পাশে দাড়িয়ে ভাবি, আঁকাশ কি নিজেই আমাকে এইচডিআর দেখাচ্ছে তবে ?
আর জোৎস্নার গল্প ? সে তোলা থাক আগামীর কোন অবসরের জন্য।
সন্ধ্যারাতেই উথালপাথাল চাঁদ। বাকীটুকু ধরে রাখতে যাইনি।
কিছু কিছু চাঁদ আছে ক্যামেরার লেন্স দিয়ে তাকালে চাঁদের অপমান হয় , বাকীরাতটুকু তাই আমি আর চাঁদময়, মাঝখানে কোন দামী লেন্সের আড়াল নেই।
মন্তব্য
খুবই সুন্দর ছবিগুলো। প্রথমটা সেরা।
ধন্যবাদ।
মাত্র ফ্লিকারে ছবিগুলো দেখে এলাম। সবগুলো পেইন্টিং।
.........................................
I think what I think because that's how I am. You think what you think because that's how you are.
...........................
Every Picture Tells a Story
ক্রেডিটটা আমার পাওনা নয় , ক্যামেরারও নয়। সব কৃতিত্ব প্রকৃতির।
প্রকৃতিকে পাঁচ তারা আর আপনাকে ধন্যবাদ এখানে পোস্ট দেবার জন্য।
.........................................
I think what I think because that's how I am. You think what you think because that's how you are.
...........................
Every Picture Tells a Story
শেষ বার সুনামগঞ্জে যাই জানুয়ারী,০৪। আসলেই জ্যোৎস্নার শহর।
স্বপ্নদ্রোহ
পাঁচ বছর আগে গিয়েছিলেন তাহলে। পাঁচ বছরে চাঁদটা আরো বড় হয়েছে, আরেকবার দেখে আসতে পারেন।
প্রথম গিয়েছিলাম ১৯৯৯ এ। আপনার দেয়া ছবি গুলো দেখে আবার যাবার লোভ হচ্ছে। দেখি সামনের বছর হয়তো।
জোশিলা হইছে। তবে সূর্যাস্তের একটা vertical ছবি দেখতে পারলে ভালু হতো। একবার সুনামগঞ্জ যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল, দেখি আরো একবার দিতে হবে।
চালিয়ে যান ভায়া।
----------------------------------------------------------
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
পরেরবার ভার্টিকাল শটের কথাটা খেয়াল থাকবে।
এক্বেবারে নতুন তো , সব খেয়াল থাকে না ।
হাছন রাজা'র বংশধর প্রয়াত সেই কবির নাম মমিনুল মউজদিন। তাঁর কাব্যগ্রন্থটার নাম 'এ শহর ছেড়ে আমি পালাবো কোথায়'।
যেখান থেকে চমৎকার ছবিগুলো তুললেন, সেই স্পটটা কোথায় ? মানে ঠিক কোন্ জায়গাটায় ?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
কবির নামটা জানি, ইনফ্যাক্ট আমাদের সাথে তার একটা সুসম্পর্ক ছিল।
স্পটটা ঠিক কোথায় মনে নেই। আমরা থেমে থেমে গেছি , বিভিন্ন জায়গায় চা খেয়েছি , বিড়ি খেয়েছি। আমার মনে হয় সুনামগঞ্জ শহরে ঢোকার ২০/২৫ মিনিট আগের ছবি এটি।
জটিল সব ছবি আরিফ ভাইয়া
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
একবার আমরাও গিয়েছিলাম সুনামগঞ্জে। তাইনারে রানা।
(ওয়া...ক...)
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
চুপি চুপি কই , যতো ক্রেডিট ঐ আকাশটার। আমি তো খালি বিভিন্ন ফোকাসে ক্লিক ক্লিক করেই সারা ...কয়েকটা দেখি সত্যিই বেশ ভালো এসেছে।
"আমার ভাঙ্গা ঘরে ভাঙ্গা চালায় ভাঙ্গা বেড়ার ফাঁকে/ অবাক জোছনা ঢুইকা পড়ে,হাত বাড়াইয়া ডাকে....." সুন্দর!! *তিথীডোর
এই লাইনটা অনেকদিন মনে করার চেষ্টা চালিয়েও পারিনি।
ধন্যবাদ তিথীডোর। গানটা কার লেখা?
.........................................
I think what I think because that's how I am. You think what you think because that's how you are.
...........................
Every Picture Tells a Story
হুমায়ূন আহমেদের লেখা।
শাওনকে মুগ্ধ করার জন্য তিনি একসময় অনেক গান আর কবিতা লিখেছেন , এমনকি হিন্দী গানের বাংলা অনুবাদও করেছেন, এই লেখাটি সেগুলোর একটি।
পরে বোধহয় তার কোন একটা সিনেমাতেও এটি ব্যবহার করা হয়েছে।
আরে নাহ্
এইটা অনেক আগের গান। অয়োময় নাটকের। তিনি তখন দিপাতে বিজি ছিলেন বলে শোনা যায়। শাওন নিতান্তই শিশু তখন। ৫/৬ এর স্টুডেন্ট হয়তো। শাওনের বান্ধবি তার যে মেয়ে, সে অয়োময়ে শিশুশিল্পি ছিলো।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আপনাকে ও ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই! হুমায়ূন আহমেদের লেখা গান, শুনেছি "শ্রাবণ মেঘের দিন" মুভিতে--"অয়োময়" নাটকের কথা ঠিক মনে নেই; ওসময়টাতে নেহায়েতই শিশু ছিলাম কি না... *তিথীডোর
ধন্যবাদ।
ছবি বর্ণনাতীত ভালো লাগলো আরিফ ভাই।
আপনাদের প্রশংসা পেলে তো লজ্জা পাই ভাইটি।
খুব ইচ্ছে আছে একবার সুনামগঞ্জ যাব।
প্রকৃতি আর ছবি দুটোই সুন্দর লাগলো।
_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)
_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)
চলেন একটা বড় কাফেলা বানিয়ে রওনা হই সগলে।
খুউব সুন্দর- বিশেষ করে প্রথম তিনটা থেকে চোখ ফেরানো যাচ্ছে না।
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
হু , শেষেরটা পরে এড করেছি। জোৎস্না দেখতে গিয়ে একটা জোৎস্নার ছবি দেব না সেটা কেমন যেন লাগে , তাই দেয়া।
ফাটিয়েছোতো। সুন্দর।
তবে সুনামগঞ্জে যতই যাও। আমার মতো যাইতে পারবা না। আহা, শহরের কি রূপ, হাওরের কি উন্মাতাল হাওয়া...
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
তোর জন্ম জানি কতো সনে ? ঐ বছরই তো গেলাম বোধহয় একবার।
দাড়া , একটু দেখে বলি ।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আরিফ ভাইও ফুটুরে হয়ে গেলেন! ভাবছিলাম কম-ক্যাম এর যুগে কানাগলিতে আমার লগে আপ্নেও আছেন! এখন দেখি আমারও ফটু তোলা শিখতে হবে
আমি এটা নিয়ে একটা আলাদা পোস্ট দেব ভাবছি। সচলায়তনে মাঝখানে যে হারে সুন্দর সুন্দর ছবি আসতে লাগলো, আমি ভাবলাম এই বেলা নেমে পড়ি।
পরে যদি নিয়ম তৈরী হয় যে , এতো বড় বড় ফটুরেদের সামনে ছবিব্লগ দিতে হলে অতিথি হয়ে আসতে হবে , তাইলে আর ইহজনমে আমার হবে না। তাই আগে থেকে একটা ফটুরে ব্লগের সিস্টেম করে রাখলাম।
প্রথম তিনটা ছবির কোন জুড়ি হয় না!!!
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
দিলেন তো মন খারাপ করায়ে
ভীষন সুন্দর হয়েছে ছবিগুলি, শেষেরটা আমার প্রিয়। লেখাটাও খুব ভালো লাগলো।
----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
খুবই সুন্দর ছবিগুলো আমাদের দেশের লোকজন এইসব বাদ দি্য়ে এখন খালি এআর এশিয়া তে চাপে
অদ্ভুত।
অসাধারণ।
নতুন মন্তব্য করুন