আবু মুস্তাফিজের বই লুহার তালা আমার কেমন লেগেছে, এরকম প্রশ্ন করলে আমি একটি উত্তরাধুনিক হাসি দিয়ে ততোধিক উত্তরাধুনিক একটা গোলমেলে জবাব দিয়ে প্রশ্নকর্তাকে বিভ্রান্ত করতে পারব বটে, কিন্তু সরাসরি কোনো উত্তর দিতে পারব না।
( অবশ্য কার ঠ্যাকা পড়েছে আমাকে এসব জিজ্ঞেস করবে, সুতরাং নিজের প্রশ্নের জবাব নিজেকেই দিতে গিয়ে বইটি আমি একাধিকবার পড়ে ফেলেছি। )
বইয়ে মোট লেখা আছে ১৩টি, তাঁর সবগুলোকে গল্প বলা যায় কি না সেটা নিয়ে সাহিত্য বিশেষজ্ঞরা হয়তো সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন, কিন্তু একজন পাঠকের চোখে তাঁর কয়েকটি গল্প আবার কয়েকটি গল্প হয়ে উঠতে গিয়ে না হওয়া লেখা হিসেবে মনে হয়েছে।
( অবশ্য স্বার্থক গল্পের সংজ্ঞা কি, এ বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নাই। )
তবে এই বইটি মাত্র একটা গল্পের জন্য হলেও কিনে পড়া যায়, আর সে গল্পের নাম হচ্ছে লুহার তালা। নামগল্প সাধারনত বইয়ের মাঝামাঝি কিংবা শেষে দেয়ার রেওয়াজ থাকলেও আবু মুস্তাফিজ লেখাটি প্রথমেই দিয়েছেন। এই রেওয়াজ টেওয়াজ অবশ্য এক ধরনের ফালতু কথা, লেখকের ইচ্ছেটাই প্রধান।
আবু মুস্তাফিজের মুন্সিয়ানা তাঁর ভাষায়, সেই ভাষা যা ক্ষেত্র বিশেষে আবিষ্ট করে, ক্ষেত্র বিশেষে বিরক্ত করে, কিন্তু পাঠককে দূরে সরে যেতে দেয় না।
কিন্তু তার এই ভাষা প্রয়োগ সব জায়গায় তার স্টাইল নাকি ভাষা প্রয়োগের জন্যই কয়েকটি লেখার প্রয়োজন পড়েছে তা লেখক ভালো বলতে পারবেন, পাঠক হিসেবে আমার ক্ষীন সন্দেহ আছে।
আমি একে নাজায়েজ বলি না অবশ্য, যেমন শহীদুল জহির শুধু "বান্দর" শব্দটি ব্যবহারের জন্যই একটি আস্ত লেখা লিখেছিলেন, সেখানে আবু মুস্তাফিজ লিখলে তাঁর দোষ হতে পারে না।
তবে দুর্বলদের ভিড়ে অন্য দুর্বলদের চোখে না পড়লেও শক্তিশালীর পাশে সেগুলোকে বড্ড বেমানান লাগে।
মালবানানি, পিকাসো ও রম্ভা , এই ধরনের ছোটো ছোটো লেখাগুলো পাঠক হিসেবে আমার কাছে দুর্বল মনে হয়েছে। যে বইয়ে লুহার তালা, স্বপ্ন, সুভদ্র বাঘ আর বেলেহাজ বিড়াল, হরমুজ বিএসসি-র মতো অনেক ভালো মানের গল্প রয়েছে, সে বইয়ে এসব লেখা সংযোজন বইটির কলেবর বৃদ্ধির যুক্তি ছাড়া অন্য কাজে তেমন গুরুত্ব পায়নি আমার মতো নাদান পাঠকের কাছে ।
উপসংহারে এটা বলা যায়, আবু মুস্তাফিজের বই "লুহার তালা" শেষ বিচারে আমার কাছে ভালো লেগেছে, এর বেশ কয়েকটি গল্প আছে যেগুলো পাঠক হিসেবে আমার অনেকদিন মনে থাকবে।
তার গল্পের স্টাইল এবং ভাষারীতি শেষ পর্যন্ত তাকে আলাদা কোনো স্থানে নিয়ে যায় কি না সেটি দেখতে আমি আগ্রহ ভরে অপেক্ষা করব।
শুদ্ধস্বর প্রকাশিত, আহমেদ অরূপ কামালের প্রচ্ছদে শোভিতা ৩ ফর্মার এই ছোটো বইটি বেশ ছিমছাম। প্রচ্ছদ মন্দ নয়, তবে প্রচ্ছদ শিল্পীর নামের বানানের ভুল অবশ্যই একটা মন্দ ঘটনা।
মন্তব্য
বিজ্ঞান আপনাকে দীর্ঘজীবন দান করুক। আপনার প্রতি অনুরোধ ছিল, কড়া একখান সুমালোচনা লেইকা বইয়ের বিক্রি বাট্টা বাড়িয়া দিবাইন। শুরুটা কড়া হইলেউ শ্যাষে আইসা মড়া মাইরা গেল গা মুনে হইল।
এ সুমালোচনায় বই বেচা বাড়ব না, এইডা আমি বুইজা হালাইছি।
আফনার জন্য একটা লেবুযুক্ত কালার চা ........
শুরু করছিলাম কড়া কইরা। পরে মনে পড়ল মেলায় একদিন আপনার কাছ থাইকা আস্ত একটা সিগারেট খাইছি। এইট্টুক মনে করার পরে বাকী অংশ চেষ্টা চরিত্তির কইরাও কড়া করতে পারলাম না।
তয় বিক্কিরি একেবারে খারাপ হইবে না। নিচের মন্তব্যে দেখেন, দুইজন কিন্তে চাইছেন।
ভালু সুমালুসনা।
ভালু কমেন্ট।
মতের মিল দেখে ভালু পাইলাম... লুহার তালা, স্বপ্ন, সুভদ্র বাঘ আর বেলেহাজ বিড়াল, হরমুজ বিএসসি এই তিঙ্খান সেরাম লাগছে...ভালু সুমালুছোনা!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
মতের মিল ! পরথমে ভুল কইরা পড়ছিলাম মনের মিল !
ভাইসব দলে দলে লুহার তালা খরিদ করিয়া দোজাহানের অশেষ নেকি হাসিল করেন। এ সুযোগ সীমিত সময়ে জন্য। আগে আসলে আগে পাইবেন ভিত্তিতে লুহার তালা বিক্রয় হইতেছে, একসঙ্গে এক ডজন কিনলে তালার লগে চাবিও পাইবেন ...ফ্রি! না কিনিলে লেখকের পরবর্তী কমিতায় আপনাকে সুদানির পুলা আখ্যা দেয়া হইবেক
মামুন ভাই,
ভাষা কোমল করলেন নাকি?
গালির ডরে ভালা ভালা কথা লিখছি। নাইলে সবুজ বাঘরে বিড়াল বানাইয়া ফেলাইতাম।
আমি তো সেই কবেই খরিদ করিয়াছি!
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
সেদিন অনলাইনে ৮ টা বই অর্ডার দিতে গিয়ে দেখলাম সবগুলো বইয়ের মোট দাম প্রায় ৮৫০ টাকা আর ডাকমাসুল প্রায় ২৭০০+ টাকা।
আপাতত তাই বারো হাত কাঁকুড়ের তেত্রিশ হাত বিচি দেখে ঘাবড়ে আছি!
আলোচনা জোস্ হইছে।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
লুহার তালা সংগৃহিত হয়েছে। এখনো পড়া শুরু করিনি। এইমাস কেবল সংগ্রহ চলবে। আগামী মাস থেকে পড়া শুরু হবে
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
এই বই খরিদ করিবারে চাই।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল
হ, খরিদ করার মতোই পুস্তক।
এত ছুডু ক্যান?? আজিব!!
আইজ যাব বইমেলায়। কিন্না ফেলবো।
- মুক্ত বয়ান
৩ ফর্মার বইয়ের কি আর ৬ ফর্মার সমালোচনা হয় ?
...........................
Every Picture Tells a Story
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
Lina Fardows
কয়েক দিন মেলায় ছিলাম, দেখলাম অনেক মাইয়া লাইন দিয়া বইডা কিনবার আইছে, জিগাইলাম ক্যান এতু বই থাকতে ইডা কেন? মাইয়ারা কয় "শুনছি লেখক বলে অবিবাহিত।" বুঝলাম লেখক কিভাবে অবিবাহিত হইল হি হি হি ।
Lina Fardows
আমারেও প্রকাশক কইছে, অবিবাহিত অবস্থায় বই প্রকাশ করা উচিত ছিল আপ্নের।
এই বইয়ের প্রুফ-রিডিং কে করেছে আমি জানতে চাই !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমি করি নাই, কসম।
হাতে আছে
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
বিজ্ঞানের অবস্থা খারাপ। বাংলা আকাদেমি নাকি ভাষা নিয়ন্ত্রণের জন্যে নতুন আইন করতেসে।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
নতুন মন্তব্য করুন