এক.
ব্লগ নিয়ে বেশি কথাবার্তা বলি না, গুছিয়ে বলতে পারি না, তাই কথা বললেই মনে হয় হাজি সা'বের মুখ খারাপ। বাংলা ভাষায় এখন অনেক ব্লগ, বিশেষ করে কমিউনিটি ব্লগের সংখ্যাও বোধহয় হাফডজন ছাড়িয়ে গেছে। যার যেখানে সুবিধা, লিখতে আগ্রহ তিনি সেখানে সেভাবে লিখছেন।
এই লেখালেখির মাঝে প্রতিযোগিতা আছে, প্রতিদ্বন্ধিতা আছে, মাঝে মাঝে মান অভিমান আছে, তর্ক বিতর্ক তো আছেই।
তবে একথা অস্বীকার করার উপায় নেই, ব্লগ দিনে দিনে অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠছে।
একটা সময় ছিল যখন কমিউনিটি ব্লগ সামহোয়্যারে গড়ে ২০টি কমেন্ট আর ২০/২২ জন ইউজার লগইন দেখা যেত। এখন বড় ব্লগ সাইটগুলোর সবগুলোতেই অনলাইন পাঠকের সংখ্যা (লগইন লগআউট) আমি কখনওই একশ'র নিচে দেখি না।
ব্লগের ফিডব্যাক আগে আমি অনলাইন কমিউনিটির বাইরে তেমন একটা পেতাম না। ইদানীং ফিডব্যাক পাই। অনেক পরিচিতজনের কাছেই দেখি তারা নিজে লেখালেখি না করলেও অনেক ব্লগারকে নামে চিনেন, তাদের লেখালেখির খোঁজ খবর পান।
দুই.
ব্লগ যে ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে এইদেশে, এর প্রমান সম্ভবত বইমেলা। সম্প্রতি এক প্রকাশকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছেন ব্লগের লেখকদের বই প্রকাশ করতে তিনি আগ্রহী। কারনটাও খুব সাদামাটা, ব্যবসায়িক।
ব্লগে একটু ভালো পরিচিতি আছে, কিছু জনপ্রিয় এরকম লেখকরা গত কয়েকবছরে বইমেলায় অনেক ভালো করেছেন। তাঁদের বই বিক্রীর হার গড়পড়তা অনেক লেখকের চেয়ে বেশি।
আমাদের ব্লগার হিমু এবং তনুজা এবছর বইমেলায় প্রথম বই প্রকাশ করেই পুরস্কার পেয়েছেন, ব্লগারদের করা প্রচ্ছদ, প্রকাশিত বই, লেখার মান গড়পড়তা মানের চাইতে ভালো বলেই পাঠকদের কাছে বিবেচিত হচ্ছে।
গত বুধবারে প্রথম আলোতে দেখলাম মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার কয়েকজন নবীন লিখিয়েকে উপদেশ দিচ্ছেন, সরাসরি বই লেখার আগে ব্লগে লিখে যেন পরিচিতি অর্জন করে নেন।
বুঝাই যাচ্ছে, আগামী দিনে ব্লগারদের লেখালেখি আরো বেশি মানুষের নজরে গুরুত্বের সঙ্গে পড়বে।
এই সময়ে এসে ব্লগারদের বিরুদ্ধে মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার কিছু উন্নাসিকতা খুবই বিরক্তিকর।
কয়েকদিন আগে দৈনিক সমকালে আসিফ নজরুলের একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে। আসিফ নজরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, একজন লেখক মানুষ। এ প্রজন্মের একজন শিক্ষিত মানুষ হয়ে তিনি ব্লগ বিষয়ে যে ধারণা রাখেন, সেই ধারনা নিয়ে তিনি কলামও লিখে ফেলেন ; এটি বড়ই আশ্চর্যের বিষয়।
তার কাছে পত্রিকার খবরের নিচে কমেন্ট করাটাই ব্লগ!
তা, আসিফ নজরুলের কথা বাদ দিলাম।
আজকে ব্লগার কনফুসিয়াসের ফেইসবুকের লিংক অনুসরন করে দেখলাম প্রথম আলোতে একটি গল্প ছাপা হয়েছে। প্রথম আলো দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক, ভালো মানের লেখা ছাপার ব্যাপারের তাদের আন্তরিকতা আর চেষ্টা চোখে পড়ে। তাঁরা তাদের নিজস্ব ভাষারীতি বই আকারে প্রকাশ করেছে, নবীন প্রবীন লেখকদের পুরস্কার দেয়া, বই নিয়ে আলোচনা করা, ভাষা প্রতিযোগ করা এসব হচ্ছে প্রথম আলোর কয়েকটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
সেই পত্রিকার সাহিত্য পাতায় যখন এই মানের একটি গল্প ছাপা হয়, তখন অবাক হতেও ভুলে যাই।
এই গল্পটির মাঝে গল্প কোথায়? তাহলে কি শুধু ব্লগের বিরুদ্ধে বিষোদগার করার জন্যই এই আয়োজন ?
এতো মূল্যবান স্পেস ( সম্ভবত ৪ হাজার টাকা প্রতি ইঞ্চি) খরচ করে এই নোংরামি যদি মেইনস্ট্রিম মিডিয়ায় করা হয়, তখন স্বভাবতই আমাদের মতো তুচ্ছ ব্লগারদের মনে প্রশ্ন জাগে, এসব লেখক কলামিস্টের এই ব্লগাতংকের পিছনে কারন কী ?
মন্তব্য
ব্লগ একটি গতিময় মাধ্যম। ব্লগে লিখে যেমন স্বতস্ফূর্ত পাঠপ্রতিক্রিয়া এবং পরিচিতি পাওয়া যায়, মুদ্রণমাধ্যমের হাত ধরে প্রতিষ্ঠা পাওয়া লেখকেরা সেটা পাননি। অনেক বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে এসে আজ তাঁরা দেখছেন কিছু ব্লগার "উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন"। সমস্যা সেখানে নয়। গাত্রদাহের কারণ ব্লগাররা ভালো লিখছেন। ব্লগাতঙ্কের মূল উৎস এই লেখককুলের নিরাপত্তাহীনতা। নিজেদের আসন হারাবার ভয়েই "গেলো, গেলো" রব তুলছেন তাঁরা।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
যে কমেন্ট ফেসবুকে করেছি, এখানেও সেই সুরেই বলি-
প্রথম আলোর সেই মহাজ্ঞানী লেখক আর মহাবিজ্ঞ সম্পাদকের জরুরী ভিত্তিতে ব্লগ পড়া উচিত।
কীভাবে শিল্পসম্মত উপায়ে কাউকে বাঁশ দেওয়া যায়, তা ব্লগের কিছু লেখার থেকেই তাঁরা শিখতে পারে।
জোরদার আশা করছি গোয়েন্দা ঝাকানাকা কিংবা মুখফোড় এই লেখক/সম্পাদককে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
সমকালে না মা.মো আছেন? উনার নাকের ডগা দিয়া এই লেখা বাইর হইল, আর উনি চুপ কইরা বইসা রইলেন?? হাস্যকর।
আর প্রথম আলোর গল্পটা পড়ে চরম মজা পাইলাম!! "হিট খাইছি ৪১০"!!! নিজেদের ব্লগরে উঠাইতে প্রতিদিন বিজ্ঞাপন দিছে, আর এখন পাত্তা না পাইয়া গল্প লেখে!! তাও সাময়িক পাতায় এই ধরণের গল্পও ছাপা হয়!! দু:খজনক।
- মুক্ত বয়ান
যে ব্যক্তির নাম আপনি উল্লেখ করলেন, সে ঐ পত্রিকায় ছুটা কামলা খাটে। তার সাধ্য নাই আসিফ নজরুলের লেখা থেকে একটা হরফ সে বিয়োগ বা যোগ করে। অত বড় হরিদাস পাল সে এখনও হয়নি, ভবিষ্যতেও মনে হয় না হতে পারবে।
হা হা হা হা!!
হিম্ভাই.. একটা ভুল হইয়া গেছে।
লেখকের নামটা মিস কইরা ফেলছিলাম। তাই, তখন বুঝি নাই। এখন নাম দেখে বুঝতে পারলাম।
মন্তব্যে জাঁঝা। :)
- মুক্ত বয়ান
হিমু মনে হয় একটু ব্যাকডেটেড । উনি এখন সমকাল পত্রিকার ওয়েব সাইটে ইউটিউব ভিডিও আপলোডের দায়িত্বে আছেন ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
সর্বমোট ৬৬টা আপলোড!!! ;)
প্রথম আলোতে প্রকাশিত ওই গল্পটি পরপর কয়েকবার পড়লাম। কিন্তু লেখক কী বুঝাতে চাইলেন তা বুঝতে পারলাম না। শুধু এটুকু বুঝলাম- ব্লগারদের প্রতি কী এক মর্মযাতনা রয়েছে লেখকের! হতে পারে গল্পলেখক ব্লগে এসে পাত্তা পান নি খুব একটা।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এইটা তো মাথায় আসে নাই!!!
- মুক্ত বয়ান
সেটাই। ব্লগ সম্পর্কে শুধু হালকার উপর ঝাপসা আইডিয়া দিয়ে কিংবা প্রফেসর আসিফ নজরুলের মত ভুল ধারণা নিয়ে থাকলে শুধুশুধু এই গল্প লেখার এবং তা ছাপানোর ঝামেলায় কেউ যাবে না। এই অখাদ্য তারপরও লেখা হয়েছে এবং সম্পাদকের টেবিল পেরিয়ে ছাপাও হয়েছে। নির্ঘাৎসেইরকম লেভেলের ডলা খেয়েই এহেন কীর্তি সম্পাদন। শুধু মালিশে কাজ হচ্ছে না সেটা গল্পের পরতে পরতে ফুটে উঠেছে।
নেহায়েত ছোটলোকী গল্প বলে মনে হইলো। অসুবিধা নাই, এইটা হলো এদের নিষ্ফলা রিয়ারগার্ড অ্যাকশন। লেখালেখির জগতে ব্লগ স্থায়ীভাবে থাকতেই এসেছে - শওকত-দের খিস্তি-খেউড়ে আদৌ সেই ধারার পরিবর্তন হবে না।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
ফেসবুকের মন্তব্যটাই তুলে দিচ্ছি
প্রথম আলো এখন পড়ি না। তাই এটা চোখে পড়েনি। এটা কি সাহিত্য সাময়িকীতে ছাপা হইছে? এটা তো পাড়ার বার্ষিক ম্যাগাজিনেও ছাপার যোগ্যতা রাখে না
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আলুদের আলু ব্লগও তো আছে। আনলাইক সচল, বেনামি ব্লগারদের আরেক আখড়া। 'হিট খাইছি ৪১০' দের তো ওইসব ব্লগেই পাওয়া যাবে। বাঁশ যদি ঢুকাতে চায়, সেটা নিজেদের পিছনেই গেছে।
আমাদের রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য যদি পাচার হয়ে যায় ব্লগ দিয়ে? সেই পাচার করা তথ্য দিয়ে কেউ লিখে ফেলতে পারে "বাংলাদেশ রাষ্ট্রের গোপন কথা" নামের চটি
এটাই মনে হয় আতংকের কারণ। এই জন্যইতো আমরা ঠিক সময়ে ফাইবার অপটিক লাগাতে পারি নি।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে একটা কথা যোগ করি। হয়ত ব্লগোস্ফিয়ারে তুলনামূলক নতুন বলেই এমনটা বলছি। আমার মনে হয় ব্লগোস্ফিয়ারের লেখালেখি আর পারস্পরিক আচরনের ক্ষেত্রে আরো অনেক উত্তরনের সুযোগ আছে এবং উত্তরনটা দরকারও। সেক্ষেত্রে সম্ভবত সচলায়তনের অবস্থান অন্য অনেক ব্লগের তুলনায়ই ভাল। তবে ব্লগ অন্য মাধ্যমগুলোর সমালোচনাকে খুব একটা আমলে নিতে চায়না বলে মনে হয়েছে আমার। প্রতিটা ব্লগের ক্ষেত্রেই অন্যব্লগ সম্পর্কে কমবেশি খারাপ ধারনা রয়েছে। আর অনেক ক্ষেত্রে ধারনাগুলো একেবারে ভেবে দেখার উপযোগীও নয় এমনটা মনে হয়নি। হয়ত ব্লগে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনাই আমার জানা নেই বলে আমার ধারনা অসম্পুর্ন। কিন্তু অন্যদিকে নতুন হিসাবে আমার বায়াসও হয়ত কম। তবে আমার মনে হয়েছে ব্লগের একটা গোষ্ঠি তৈরি হয়ে যায় যারা ব্লগে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে একটা আইডিওলজিকে নিজেদের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত বলে প্রতিষ্ঠা করে। পরবর্তিতে ভিন্ন ধরনের চিন্তাধারা আসলেও সেখানে সংখ্যালঘুত্বের দরুন তা হালে পানি পায়না বা ব্যক্তিকে দলগত ভাবে মার্ক করা হয়। একই ধরনের কথা দু'জন লেখকের কাছ থেকে আসলে দু'ভাবে দেখা হয়। শক্তিশালি ব্লগাররা যদি অভদ্রতার চরমেও উঠে যান কেউ তার বিরোধিতা করেননা। করলেও সেটা ব্যক্তিগত পরিচয়ের দরুন হয়। সময়ের স্বল্পতার জন্য আমিও খুব গুছিয়ে কথাগুলো বলছি তা নয় কিন্তু ব্লগ আসলে নতুনদের জন্য তেমন একটা নির্ভরযোগ্য স্থান হচ্ছে না অনেক ক্ষেত্রেই। এই ধারাটিকে আমি ঠিক মন থেকে ভাল বলব না আরিফ ভাই। পুরোনো ব্লগার হিসাবে ব্লগের রীতিনীতি আপনার ভাল জানা এখানকার রুল অব গেম সম্পর্কেও আপনি অনেক অভিজ্ঞ। কিন্তু তারপরও আমার ধারনাটা জানিয়ে গেলাম। ধন্যবাদ।
কিছু কিছু ব্লগ কিছু কিছু "ধারণা" এবং তার সমর্থকদের জন্যে পীড়াদায়ক হতে পারে। ছাগুবান্ধব ও জামাততোষকদের জন্যে হাতে গোণা দুয়েকটা জায়গা আছে কেবল। ছাগুবান্ধবরা যেখানে সংখ্যাগুরু, সেখানে গেলে আপনার হয়তো ভিন্ন ধারণা হবে ।
সব ভিন্ন ধারণা হালে পানি পায় না। ছাগুবান্ধবপনা ঐরকম একটা ধারণা। কী করবেন বলেন, দুনিয়াটা খুউপ খ্রাপ জায়গা ।
কথা সত্য । গু আযম কোন ভালো কথা বললেও সেটা হালে পানি পাবে না । এটা স্বাভাবিক । অন্যদিক পরীক্ষিত লোকজন কি বলে না বলে সেটার ওপর মানুষ আস্থা রাখে । জীবনটাই একটা জেনারেল ইকুইলিব্রিয়াম । কোন কিছুই আলাদা না । বুঝলেন ?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
হাসিব সাহেবের জিনারেল ইকুইলিব্রিয়াম ভাল পাইলাম। আর আপনাদের দুইজনের আগমনের রিকারিং প্যাটার্ণ দেইখা আস্তে আস্তে মারকভ চেইনের প্রতি আস্থা বাড়তেসে। বাইচা যদি থাকি তো মার্কভ চেইন হয়ত চলতেই থাকবে। সবাই শিখে আমিও শিখতেসি। তবে জিনারেল ইকুইলিব্রিয়াম হইল এমন একটা জিনিস যেইটা আইজকাল বড় বেশি ডাইনামিক। দেখা যাকে লং টার্ম ইকুইলিব্রিয়াম কোথায় গিয়া ঠেকে। আপনাদের সহানুভুতির জন্য ধইন্যবাদ। দিনের শেষে আপনারা আমার বড় উপকারি এইটা অস্বিকার করলে অকৃতজ্ঞতা হইব।
---------------
পোস্ট সম্পর্কেঃ আমার বিশ্বাস দীর্ঘমেয়াদে ব্লগ আরো শক্তিশালি হয়ে উঠবে। কিন্তু যেহেতু জনমত তৈরিতে এর একটা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা আছে এটা ক্ষমতা লোভীদের একটা টার্গেটে পরিনত হতে পারে আর তার হাত ধরেই তৈরি হতে পারে নতুন শ্রেনীর ক্যাডার (হয়ত আস্তে আস্তে দানা বাধতে শুরু করেছে এই ধারা)। ব্লগ জগত সেই চ্যালেঞ্জকে কিভাবে মোকাবেলা করবে সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে ব্লগ মাধ্যমটির কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যার দরুন চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে ওঠা তুলনা মূলক ভাবে সহজ হবে বলে বিশ্বাস করি।
হ। বেলা শেষে ছাগুরা ধোলাই খেয়ে "ক্যাডার" "ক্যাডার" বলে ম্যা ম্যা করবে, এটাই হয়তো ব্লগের দুঃখজনক বাস্তবতা হয়ে থাকবে। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় হচ্ছে ছাগু ও তাদের গুণমুগ্ধদের মগবাজারব্লগ ডট কম নামে কোনো ব্লগ খুলে দিয়ে সেইখানে লাদি ছড়ানোর তৌফিক দান করা।
রিয়াজ উদ্দীন ভাই, মাইন্ড খাইয়েন না, তবে প্রশ্নটা না করে রাতে ঘুমাতে যেতে পারছি না। এই কমেন্ট কী আপনার লেখা? কমেন্টের প্রথম অংশ 'হিটখোর ৪১০' আর দ্বিতীয় অংশ 'বাংলা অধ্যাপক'য়ের স্টাইলের সাথে যাকে বলে খাপেখাপ।
বলেনকি ফারুক হাসান ভাই? তাইলেত গল্পটা আবার পড়তে হয়। তবে একটা মজার ভিডিও দেখেন। সম্প্রতি এক সচল আমাকে নিয়ে হিমুর চিত্রকর্ম দেখে এমেইল বার্তায় আমাকে একটা ভিডিও পাঠিয়েছিলেন। তখন দেখা হয়নাই পড়ে দেইখা হাসতে হাসতে গড়াগড়ি অবস্থা হইছিল। আপনি আবার মাইন্ড খাইয়েননা কিন্তু। মজা করেই দিচ্ছি ভিডিওটা
ভিডিওটা মজার
কিন্তু দেশ ও জাতির কি মহান কাজে এই ভিডিও কাজে লাগবে তাই ভাবছি
প্রথম আলোর লেখাটা একবার হালকার উপর ঝাপসা পড়া দিসিলাম। আপনার মন্তব্যের পর আবার পড়তে গিয়া দেখি নাই। ব্লাগারগো ঝারির ঠেলায় মনে হয় প্রথমালো ডরাইসে। কি আর করা!
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আমার ডাটা সেইটা বলেনা। যাক হয়ত আপনার কথাই ঠিক।
নাহ জামাতি ক্যাডারদেরকে প্রতিস্থাপন করছে আরেক শ্রেনীর ক্যাডার তারাও হয়ত একদিন শান্ত হবে এই প্রত্যাশার কথাই বলেছি।
আচ্ছা তারা শান্ত হলে তো জামাতি ছাগুদেরই মুখ খুলতে সুবিধা? আই মীন, পাছায় লাথি না খেয়ে তারা তাদের মগবাজারী লাদি ছড়াতে পারে তখন, তাই না?
তো, এটাই কি আপনার প্রত্যাশা?
না ভাই, আমার প্রত্যাশা এই যে সৌচকর্ম দুই ধরনের ক্যাডাররাই নিজদের সৌচাগারে সারুন, তাহলে ব্লগ জগতটা পরিচ্ছন্ন থাকে, এই আর কি!
হ্যাঁ, এই ব্যবস্থাটা মন্দ হবে না। কারো মার্কভ চেইনও খুলে পড়ে রোমশ জামাতি পশ্চাদ্দেশ বেরিয়ে যাবে না। খুবই উত্তম প্রস্তাব।
হে হে! সময় পাইলে উপ্রের ভিডুটা দেইখেন। মন্তব্যের লাইক দিলাম।
হে হে দেখলাম, তবে ছাগু চিনতে গুরুতর কোনো থিওরি লাগে না, একটু মনোযোগ দিয়ে শুনলেই ম্যাৎকার চেনা যায়।
রতনে রতন চেনে আরকি!
এইটা আবার সিরিয়াসলি নিয়েননা দেইখেন।
আরে নাহ। তাছাড়া, রতনে রতন চেনে, কসাই চেনে ছাগু ... এটা সিরিয়াসলি নিলেই বা ক্ষতি কী ?
মুই হেইয়াইত কইতে আসেলাম! ছাগু চেনতে কসাই হওন লাগে। তয় মোরা খালি রগ কাটইন্না ক্যাডারগোরে দোষ দেই ক্যারে কইতফারেন?
এ মনু, রগ কাটইন্না ক্যাডারদের দোষ আপনাকে কখনো দিতে দেখি নাই তো! কোথায় কবে দিলেন? লিঙ্ক দ্যান দেখি! এ তো পুরোই নতুন খবর দিচ্ছেন যে!
নতুন খবর দিচ্ছি যে? তো এইটাকি আফনার টেরেডমার্ক নাকি? মানে দাড়াচ্ছে তাদের দোষারোপ করলেই ভালু আর তাদের ব্যপারে কিছু না বললেই খ্রাপ লুক। আর পরিক্ষীত ব্যক্তি মানে হচ্ছে তাদেরকে গালাগালিতে বিশেষ সিদ্ধহস্ত হওয়া এরে তারে পাকিস্তানি বলা ইত্যাদি? ওয়েল সেটা প্রথম মন্তব্যে বলেছি পরিষ্কার ভাবেই। সেটা ব্লগার মাত্রই হয়ত বোঝেন আজকাল। এজন্যই রুল অব গেমের কথা বলেছি। এই চক্করটা আমার এই লোকদেখান দেশপ্রেমের ঘনঘটায় অস্বস্তি লাগে বৈকি। ব্লগে ঢুকার পর থেকে সেটা জিকিরের বিষয়বস্তু হয়ে পড়ে। নিজের আকিদা প্রকাশ করতে হয়। হয়ত জামাতিদের একই রকম সব শিয়ালের এক রা এর মত কিছু মন্ত্র কপচাতে হয় দলে যায়গা পেতে। বলেন "নারে তাকবির"...।
আমি সমালোচনা করি সব ক্যাডারদের এক কাতারে রেখেই। সেটার লিঙ্ক চেষ্টা করলে আপনি নিজেই দিতে পারবেন। সেটা আগেও করেছি এখনো করছি।
উহু জনাব। আপনি জামাতের রাজনীতির অধিকার নিয়ে কাতর, যুদ্ধাপরাধ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে গেলে আপনি তাতে আওয়ামী লীগের ভোটের সুবিধা হয়ে যাবে এই আতঙ্কে দিশেহারা, যুদ্ধাপরাধীদের বরাহ বলতেও আপনার আপত্তি, এবং জঙ্গিদের জন্যে আপনার উপচে পড়া সহানুভূতি দেখেই আপনাকে ছাগুবান্ধব রিয়াজউদ্দীন ডাকা হয়।
রুল অব গেম [ছাগুদের দৌড়ের উপর থাকতে হবে] আপনার পছন্দ হচ্ছে না, আমি বুঝতে পারি। কোনো ছাগু বা ছাগুবান্ধবেরই সচলের রুল অব গেম পছন্দ হয় না। পছন্দ না হলে তাদের মধ্যে যারা একটু কম ধূর্ত, তারা কেটে পড়ে। যারা একটু বেশি ধূর্ত তারা লেজ পাৎলুনে চেপেচুপে ঢুকিয়ে কিছুদিন এটাসেটা বলে আবার ফাঁক পেলেই ম্যা করে ওঠে। আপনি কোন দলে, সেটা বুঝবার অপেক্ষায় রইলাম।
দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এ বিতর্কে আজ একটা মন্তব্য না করে থাকতে পারছি না-
সর্বক্ষেত্রে জামাতের "সমঅধিকারের" ব্যাপারে আপনার সোচ্চার কণ্ঠ দেখে আমি অভিভূত !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
বলের মেরিট অনুযায়ী খেলা উচিত। হুকের বলে হুক, পুলের বলে পুল আর লাইনের বাইরের বল ছাইড়া দেয়া, তাড়া না করা। রিয়াজসাহেবের মানবাধিকার আর দানবাধিকারকে গুলিয়ে ফেলা কথাবার্তার কোন মেরিট নাই।
ব্লগ একটি আধুনিক মাধ্যম; এখানে লেখক-পাঠকের আদানপ্রদান যেমন বেশি তেমনই মুক্তচিন্তার প্রসারও অনেক বেশি। অনেক প্রাচীনপন্থী প্রতিষ্ঠিত জনের তাই ব্লগ তো অপছন্দ হবেই।
ব্লগ-জগতে ঘাপলা নিয়ে মজার ধাঁচে লিখতে গেলেও লেখাটা আসলে কিছুই হয় নি। নৈষাদ-এর 'চার ঘন্টার সচল' একই পরিপ্রেক্ষিতে অসাধারণ একটা লেখা।
তানভীর ভাই ঠিকই বলেছেন। আলু ব্লগও তো অনেকই আছে।
কৌস্তুভ
প্রথম আলো সাহিত্য সাময়িকীর যদি এই অবস্থা হয় যে গল্প না পায়া শেষপর্যন্ত এইসব ছাপতে হইতেছে, তাইলে তাদের উচিত ব্লগে খোঁজা, অনেক ভালো ভালো গল্প পাবে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
গল্পটা পড়েছি। মেজাজ খারাপ লাগছিল। গল্পতে সুস্পষ্টভাবে ব্লগারদের অবজ্ঞা করা হয়েছে, এটা অনেক ব্লগ-লেখকের লেখার ক্ষমতা আর সাফল্যের প্রতি একধরণের ভীতি আর ঈর্ষা থেকেই এসেছে আসলে। পড়তে পড়তে খুব বিরক্ত লাগছিল। ব্লগ সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই বা ব্লগ পড়েন না এমন কারো ওই গল্পটা পড়লে নিশ্চিতভাবেই ব্লগ এবং ব্লগ-লেখকদের সম্পর্কে খারাপ ধারণা হবে। অনেকটা এমন - যেন ব্লগে সবাই-ই অদ্ভুত সব ছদ্মনামে লিখেন, ব্লগাররা শুধুই হাবিজাবি বা অনেকটা মিথ্যা মেশানো সত্যি লিখেন, অন্যের লেখা চুরি করে একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিজের নামে দিয়ে দেন..... ! বিরক্তিকর ! কিন্তু এইভাবে কী আর ব্লগের প্রসার, জনপ্রিয়তা আর বইমেলা বা অন্যান্য উৎসবে ব্লগ লেখকদের সাফল্য ঠেকিয়ে রাখা যাবে ! অদ্ভুত !
"সারভাইভেল ফর দি ফিটেস্ট"
একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে স্বীয় গুণে, যোগ্যতায় দ্রুত পাঠকপ্রিয়তা ও পুরস্কার অর্জন করে নিচ্ছেন ব্লগারেরা!!
বইমেলায় আমরা পাঠকেরা, বইগুলো খুঁজে খুঁজে কিনছি, পড়ছি...
ব্লগাতংকের মাজেজা আর গাত্রদাহের রহস্য এটাই!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সম্ভবত নচিকেতার সেই গানটা ইদানিং তাদেরকে কষ্ট দিতে শুরু করেছে-
'ও গনেশ উল্টে গেলো, ধমাধম পাল্টে গেলো...'
গনেশ যে উল্টে যাচ্ছে তা বোধ করি বুঝতে শুরু করেছেন কেউ কেউ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
সমকালের লিংকটা কাজ করছে না ।
ব্লগের সব লেখাই ভালো এটা কেউ বলে না । (কাগুজে বই সহ সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য ) । ব্লগের লেখকদের মান বাড়ছে বৈ কমছে না ।
আমার ধারণা ভীতির কয়েকটা কারণ আছে ।
#১ বাইরের দেশগুলোতে কাগুজে পত্রিকা/বই মার খেয়ে গেছে । আমাদের দেশেও ভবিষ্যতে তাই হবে । এর কোন বিকল্প নেই । হয়ত পাঁচ/সাত বছরে না। ১০/১২ বছরের মধ্যে হবে এতে কোন সন্দেহ নেই । ইবুক এর ময়দানে ব্লগার রাই যে এগিয়ে থাকবেন তা তো জানা কথা!
#২ মানুষ এখন ব্লগ মোবাইলেও পড়ছে । স্মার্টফোন এখন অনেক কম দামেই পাওয়া যাচ্ছে। তার মানে দাঁড়াচ্ছে ব্লগের পাঠক বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগতি হওয়া ছাড়া অন্য কোন পথ নেই!
#৩ ফেইসবুকের প্রবল জনপ্রিয়তার কারণে বিশাল সংখক পাঠক
অনিয়মিত হলেও ব্লগ পড়েন (পিয়ার প্রেশার ) । অন্যদিকে পত্রিকার পাঠক (বিশেষ করে সাহিত্য সাময়িকীর) আগেও কম ছিল, এখন তো আরো কমার কথা/কমছে ...
#৪ এবারের বইমেলায় কাগুজে বই এর দাপট দেখালেন আমাদের ব্লগাররা, বুঝিয়ে দিলেন কাগজে লিখেন না মানে এই নয় তারা কাগুজে বাঘ! আমার ধারণা এই বিষয়টা তারা লক্ষ্য করেছেন!
অনেক অনেক কারণ দেখানো যায় ।
এই সব লেখা সেই সব কাগুজে বাঘের দুর্বলতার প্রকাশ ব্যতীত আর কিছুই না ।
__________________________
হৃদয় আমার সুকান্তময়
আচরণে নাজরুলিক !
নাম বলি বোহেমিয়ান
অদ্ভুতুড়ে ভাবগতিক !
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
পত্রিকা মার খাবার পথে । কিন্তু সেটা সব দেশে না । তবে এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত যে দীর্ঘমেয়াদে কাগুজে পত্রিকার কোন ভবিষ্যত নেই ।
তবে বই এখনো বহাল তবিয়তে আছে । আরোও কিছুদিন থাকবেও ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আমি আলুপেপারের সাহিত্য সাময়িকীতে অনলাইনে অনিয়মিতভাবে চোখ বুলাই। শওকত চৌধুরী নামটা শুনতে আসল নামের মতো শোনালেও, খুব একটা পরিচিত নয়। এমনও তো হতে পারে, এটিও একটি ছদ্মনাম? এবং এই ছদ্মনামের আড়ালে হয়তো কোনো ব্লগবিদ্বেষী শিক্ষাগুরু বিরাজমান। ছদ্মনামের ব্যাপারে বিতৃষ্ণ এবং ব্লগে এসে মামদোবাজি করতে গিয়ে লাত্থিগুতা খেয়ে পলাতক ও সেই সূত্রে ব্লগের প্রতি অভিমানী, এমন লোক খুব বেশি আছে কি?
প্রথম আলোর গদ্যকার্টুনে আনিসুল হক যা লেখেন, সেগুলো ব্লগের গড় লেখার মতোই। সেটা উপসম্পাদকীয় পাতায় ছাপা হতে পারলে ব্লগ আর ব্লগাররা কী এমন মহাভারত অশুদ্ধ করে ফেললেন আমি বুঝতে অপারগ। সাহিত্য সাময়িকীতে এইভাবে ব্লগকে আক্রমণ করে একটি লেখা যখন বিভাগীয় সম্পাদক অনুমোদন করেন, তখন বুঝতে হবে, এটি মুদ্রিত মাধ্যমের পাঠকদের মনে অকারণে ব্লগ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরির চেষ্টা। আলুসম্পাদকরা অকারণে বিচলিত না হয়ে মন দিয়ে ব্লগ পড়তে পারেন। যারা তাদের তৈলমর্দন করেন, তাদের চারানা আটানা মানের লেখার চেয়ে অনেক ভালো লেখেন, এমন বহু ব্লগারের লেখা পড়ে তারা উপকৃত হতে পারেন। এরজন্যে পয়সাও খরচ করতে হবে না, সুরুচি ও সদিচ্ছাই যথেষ্ঠ হবে।
এই মন্তব্যে ।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
প্রথম আলোর সাহিত্য পাতাটি কি যথেষ্ট মানসম্পন্ন ?
আমার মনে হয়না ।একেতো কলেবরে যথেষ্ট পৃথুল নয় ,তার ওপর টেন্ডার বিজ্ঞপ্তির মত উটকো উৎপাতের ভিড়ে পাতাটিকে শ্রীহীন বললে খুব একটা অত্যুক্তি হবেনা বলেই মনে হয় ।সমসাময়িক অন্য কাগজগুলোর সাহিত্য পাতা সেই তুলনায় বরং অনেকটাই পরিশীলিত ।
ব্লগে আজকাল আকছারই বেশ মানসম্মত লেখা ছাপা হচ্ছে ,তাই প্রথম আলোর সাহিত্য সাময়িকী পাতায় গল্পের নামে একটা অ্যাবসার্ড প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে এই সত্যকে তারা যতই নস্যাত করার চেষ্টা করুক ,তাদের এ প্রয়াস হালে পানি যে পাবেনা ,সেটাও বলে দেওয়া যায় ।
অদ্রোহ ।
লেখাটা সকালে দেখেও পড়ি নাই। এখন পড়লাম। ঐ গল্পটির চেয়ে এই সচলায়তনেই সপ্তাহে অন্তঃত পাঁচটা বহুগুণে ভালো গল্প (সাহিত্যমান বিচারে বা 'উইট'যুক্ত ) আসে...।
কাজেই ঐ মানের কেউ যদি ব্লগেরে তাচ্ছিল্য করে তাহলে সেই লোককে আমরা দলছুট গোত্রে ফেলাইতে পারি...।
_________________________________________
সেরিওজা
এই "ছেখক" ব্লগে আউমি লীগ-বিএনপি'র বাইরে কিছু দেখতারেন্নাই। নতুন চশমা নেওয়ার আগ পন্ত তার ব্লগ পাঠ নিষিদ্ধ করা হৈলো ....
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
ব্লগের মূলমন্ত্র হল ভাঙার গান। ব্লগের এই শক্তিকে যে সকলে সমীহ করে, তার আরেকটা প্রমাণ হল ব্লগ মাধ্যমটি দখলের প্রতিযোগিতায় কর্পোরেট বিনিয়োগ। পুরা তথ্য জানিনা, তবে যদ্দুর জানি অনেকগুলা ব্লগ কমিউনিটির পেছনে বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা আছে। এই বিনিয়োগের কারণ আছে বৈকি।
ব্যাপক বিনোদন! পুরা হারায়া গেছি গল্ফ পৈরা।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ব্লগ নিয়ে কিছু চিন্তা মাথার মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছিল কিছু দিন ধরে আর তখনই এই লেখা।
আসিফ নজরুল বা আলু পেপারের গল্প নিয়ে বলার বেশি কিছু নেই। আমাদের বুদ্ধিজীবিরা তাঁদের যৌবনে কোন এক সময়ে কিছুটা প্রগতিশীল থাকেন। হয়তো যে সময়টা উনারা বিদেশে উচ্চ শিক্ষার্থে যান। তারপর বেশিরভাগই সেই একই সময়ে হয়তো আটকে থাকেন। তাই নিজস্ব জগতের বাহিরে জ্ঞান খুব সীমাবদ্ধ থাকে। এ কারণেই হয়তো অনেকেই শেষ বয়সে এসে কথা বলেন প্রতিক্রিয়াশীলদের মত করে।
মূল কথা যেটা বলতে চাই তা হল - ব্লগ এমন একটি ডাইনামিক মাধ্যম যেটি আর সকল মাধ্যমকে ছাড়িয়ে যাবে এ তে কোন সন্দেহ নেই। নির্ভর করছে ইন্টারনেট এর গতি বাড়ানো এবং এর খরচ কমানোর উপর। আমার মনে হয় পত্রিকা বা প্রকাশনা মাধ্যমগুলোও এটা টের পেতে শুরু করেছে। যে কারণেই ব্লগের সংখ্যা বৃদ্ধি হতে দেখি। আমার ধারণা অনেক ব্যবসায়ীরাও কিছুদিনের মাঝেই ব্লগ খোলা শুরু করবে এবং বেতন ভুক্ত কলামিষ্ট বা লেখকের মত বেতন ভুক্ত ব্লগারও পাওয়া যাবে।
এখন কথা হল সচলায়তন এর কি করা উচিত। সচল যে কোন ব্লগ মাধ্যম হতে ভিন্ন এবং মানের দিক দিয়ে সেরা। এই মানটিকে ধরে রাখাই হবে মূল লক্ষ্য। তবে শুধু মান ধরে রাখলেই চলবে না, অগ্রগামী হিসেবে ব্লগের মাঝে ভিন্নতা, নতুনত্ব আনার জন্য নানান পরীক্ষা চালিয়ে যতে হবে। কিভাবে ব্লগ মাধ্যমকে মানুষের কাছে আরো গ্রহনযোগ্য করা যায়, পাঠকের সাথে কিভাবে আরো মিথষ্ক্রিয়ায়া বাড়ানো যায়, পাঠকদের আরো কিরুপ সুবিধে দেওয়া সম্ভব সে সম্পর্কে আরো চিন্তা করতে পারি।
সবশেষে বটম লাইন হচ্ছে - সচলয়ায়তনের মান ও পরিবেশ ধরে রাখার জন্য সচলদেরই দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি। এই দায়িত্ব পালনে সকলে নিষ্ঠাবান হবেন সে প্রত্যাশাই রইল। সচল থাকুন, সচল রাখুন।
এখন পর্যন্ত এই।
আমি একমত যে একই লেখা একেক জন লিখলে প্রতিক্রিয়া ভিন্নতর হয়। লেখার মূল্যমানও বিচার্য হওয়া উচিত। এর অন্যথাকে বিভিন্ন ভাবে ময়ূরের পেখম পড়ানো যায়, কিন্তু দিনের শেষে এটা উইচ-হান্ট বাদে আর কিছু না।
ব্লগিং এবং তার সম্ভাবনাকে সাধুবাদ জানিয়ে আমরা অনেক কিছুই বলতে পারি, কিন্তু ব্লগের পূর্ণ সুফল পেতে হলে এটুকু বিবেচনায় নিতে হবে যে ব্লগের সব সদস্যই ফুলটাইম ব্লগার হবেন না।
সম্মান, শ্রদ্ধাবোধ, কিংবা সদ্ভাবের সাথে গণতান্ত্রিকতার বিরোধ হওয়া উচিত না। কাউকে চড়-চাপড় না মেরেও সমতা প্রতিষ্ঠা করা যায়।
আমি বেশ খুশি আসিফ নজরুল আর আলু পেপারের কীর্তি দেখে। প্রতিক্রিয়াশীলতা হচ্ছে ধোঁয়ার মত। কোথাও যে আগুন লাগছে, সেটার ইঙ্গিত দেয়। এগুলো হচ্ছে স্বীকৃতি।
----------------------------------
~জীবনের একটি মোটামুটি সহজ অর্থ আছে!~
গল্পটা নিম্নমানের। আর আসিফ সাহেবের কথা বুঝি না।
ব্লগের জয় হোক। ব্লগ অনেক শক্তিশালী লেখকের জন্ম দিবে- এটা নিশ্চিত।
আমি সব দেখেশুনেপড়ে ক্ষেপে গিয়ে বলি, যা বাড়া ঘটনাটা কী হইলো!!!
(হাহাপগে)
.........
আমাদের দূর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
১.
আগ্রহ নিয়ে ড. আসিফ নজরুলের লেখাটা পড়তে গেলাম। প্রথম লাইনটা পড়লাম।
বাংলাদেশে সাংবাদিকতায় নতুন যুক্ত হয়েছে বল্গগ। তারপর পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেললাম।
স্বল্পবুদ্ধিতে মোটাদাগে শিখলাম ব্লগিং হচ্ছে সাংবাদিকতা।
জ্ঞানী লোকদের কোন তুলনা হয় না। তাদের নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধেও জ্ঞান ঝরে।
২.
আমি জানতাম আমি অতি জঘন্য লেখক। শওকত চৌধুরি দেখছি আমার চেয়েও বাজে লেখক!
খুব সম্ভবতঃ তিনি ধারণা করছেন ব্লগ জিনিষটা পত্রিকার আর্কাইভের মতো। সেখানে তিনি লেখা পাঠান, আই রিপিট- তিনি লেখা পাঠান, আর সেটা সেখানে রাখা হয়।
তিনি নিজে ব্লগ লিখেন না। সম্ভবতঃ পড়েনও না। তাঁর হয়ে কাজটা করে দেয় নিশ্চয় কলু'র মতো আধানর পাবলিকেরা।
আর চৌধুরী সাহেবের কথা কী বলবো! তাঁর 'গল্প'র প্রতিটা ছত্রে ছত্রে পোঙ্গায় বাঁশ খাওয়ার যন্ত্রণা যেনো বলার চেষ্টা করলেন। ধারণা করি তিনি কোনো "আসল নাম বলা যাবে না" এমন কোনো ব্লগ লেখিয়ের হাতে আঁছোলা বাঁশ খেয়ে সেখানে এখনো জাম্বাক ডলেই যাচ্ছেন, ডলেই যাচ্ছেন। কিন্তু কোনো পরিত্রাণ পাচ্ছেন না।
এখন সেই অমাবস্যা-পুন্যিতে গর্জে ওঠা পোঙ্গার ব্যথায় দিশেহারা হয়ে একটা 'গল্প'ই লিখে ফেললেন ভদ্রলোক! ছোটবেলায় চিকিৎসা সাময়িকীতে এর চেয়েও ভালো মানের গল্প পড়েছি বলে মনে পড়ে।
আলু পেপারের সাময়িকীকে দেখা যাচ্ছে আরেকটু খাটতে হবে চৌধুরী সাহেবদের তরে। অন্তত চিকিৎসা সাময়িকীর পর্যায়ের সাহিত্যের অনুশীলন করতে হলেও।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
- আলু পেপারে শওকত চৌধুরীর "আসল নাম বলা যাবে না" পড়া শেষ করলাম। এখন কলু'র অন্ন সংস্থান সমকালে অধ্যাপক আসিফ নজরুলের লেখাটা পড়ে আসি...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আসিফ সাহেব যে "রুচিশীল" ব্লগে ওনার নিয়মিত লেখা প্রকাশ হবার কথা বললেন, তা হলো জামায়াতী ওয়েবসাইট "সোনার বাংলাদেশ"। এই হলো ওনার রুচিশীল ব্লগের উদাহরণ! আজকাল অ-বিনপি-আম্লীগের এই বুঝি গন্তব্য? আর যে লেখাটির কমেন্টে ওনাকে ভারতপন্থী বলা হচ্ছে, সেটা পাবেন এখানে।
এই ওয়েবসাইটে কিছু ভালো লেখকের লেখা কপিপেস্ট করার পাশাপাশি অজস্র ছাগুবাদী বুদ্ধিজীবীর মিথ্যাচার নিয়মিত ছাপা হচ্ছে। বাঘের ছাল গায়ে জড়ানোতে (ব্যানার আর ছবিগুলো দেখুন) লোকজন কিন্তু এই সাইটটা ধোঁকা খেয়ে পড়ছেও।
কমেন্টের ব্যবস্থা আছে। মিথ্যাচারগুলোর উচিত জবাব দেয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে শাহ আব্দুল হান্নানের লেখাগুলো দেখেন, মনে হবে প্রপিতাছাগু। মগবাজারের কমেন্ট ইঞ্জিনের একটা এর জন্য ডেডিকেটেড বোঝা যায়। ফাঁদে পা দেয়া অনেকে এখানে আবার ব্লগার হিসেবেও লিখছেন। সম্প্রতি বুয়েটের একজন শিক্ষককে এখানে লেখা নিয়ে সাবধান করেছি।
জানা থাকা দরকার। জবাব দেয়া দরকার।
সোনার বাংলাদেশ তো জামায়াতের পরিচিত সাইট। সেখানে আসিফ নজরুলের লেখা কি উনার অজান্তে কাটিংপেস্টিং করেছে?
ব্লগে ছাগু চেনার জন্য কেপিটেস্টের জুড়ি নাই। কিন্তু কেপি টেস্টে যাওয়ার আগে ব্লগনিক থেকেও কিছুটা ধারণা করা যায়। প্রোফাইলে শাপলা ফুল কিংবা বাংলাদেশের পতাকা লাগাইয়া বাংলা/মুক্তিযুদ্ধ/৭১ এগুলা নিয়ে আদিখ্যেতা দেখানো নিক যখন পিছলানো শুরু করে, তখনই বুঝা যায় এইটা জামায়াতি নামকরণ প্রোজেক্টের ফসল। জামায়াতের মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ কিংবা এই সাইটের 'সোনার বাংলাদেশ' নামটাও একই গোত্রের।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ওনার অজান্তে তো না, উনিতো বরং সগর্বেই লেখাটিতে বলছেন, এই 'রুচিশীল' পত্রিকায় ওনার (বিভিন্ন পত্রিকাতে প্রকাশিত) প্রতিটি লেখাই 'রাখা' হয়। অর্থাৎ উনি নিজে বরং ধন্য বোধ করছেন।
শুধু আওয়ামী লীগ বিএনপিকে একসাথে গালি দেওয়াও কেপি পজিটিভ।
ড. নজরুলের লেখাটা পড়ে একটা জিনিস বুঝতে পারলাম যে উনি ব্লগ সম্পর্কে যা জানেন তা শুনে শুনে জাননে, অথবা কারো পরামর্শে ব্লগ সম্পর্কে জানতে তিনি দুয়েকটা ব্লগে ঢুঁ মেরে যা দেখেছেন তা-ই লিখেছেন। ব্লগের পরিবেশ সম্পর্কে ওনার যে পর্যবেক্ষণ তা কিন্তু ভুল নয়।
এবার আসি ব্লগে কেন যাচ্ছেতাই লেখা হচ্ছে। এর প্রধান কারণ হলো ইচ্ছৈমত লেখার স্বাধীনতা। এখানে কেউ কারো কলম ধরে বসে নেই। নেই সম্পাদকের বরাবরে লেখা পাঠিয়ে দিস্তা দিস্তা কাগজ খরচের ঝামেলা। তবে এটা ঠিক যে এই স্বাধীনতা কিছু কিছু ব্লগারের অশালীন/কুরুচিপূর্ণ মানসিকতার উন্মচনেও সহায়ক হচ্ছে। এর মধ্যেই বেরিয়ে আসছে নতুন নতুন লেখক, যারা ভিত নাড়িয়ে দিচ্ছে প্রথাগত লেখদের, দখল করে নিচ্ছে তাদের পাঠক।
ব্লগ তাদের খারাপ লাগবেই, কারণ এখানে প্রশ্ন করা হয় সরাসরি, রাখঢাক না করেই। কেউ যদি এখন ড. নজরুলকে প্রশ্ন করতে চায় যে প্রতিদিন এত এত টেলিভিশনে এত এত টকশো করে আপনি পড়াশুনা করেন কখন সেটা এই ব্লগ মাধমেই সম্ভব; প্রথাগত মাধ্যমে সম্ভব নয়। কারণ সেই মন্তব্য সম্পাদকের কাঁচি পার হতে পারবেনা।
তবে এটাও অস্বীকার করার উপায় নেই যে স্বাধীনতা মানে স্বেচ্ছাচার নয়, প্রকাশের স্বাধীনতা মানেই যাচ্ছেতাই লেখা নয়। কদর্য রুচির লেখা যেমন আছে তেমনি আছে রুচিসম্মত লেখা। একটু ঘুরেফিরে দেখলেই তা টের পাওয়া যায়।
মুদ্রিত মাধ্যম যতই চেঁচাক, ব্লগের শক্তি হচ্ছে এর পরিসর। সাহিত্য পাতার বত্রিশ কলামের কয়েক ইঞ্চি যায় বিজ্ঞাপনের পেটে, কয়েক ইঞ্চি যায় শওকত চৌধুরীদের "নুনুর আছে ঘড়ি"র পেটে, নিজেদের সাহিত্য-সিন্ডিকেটের ডন কর্লিয়নি আর ডন তাতায়লিয়াদের সাক্ষাৎকারে যায় কয়েক ইঞ্চি, আর বাকিটা নিয়ে উঠতি নামযশোপ্রার্থী কলুমামোগোত্রীয় কবিসাহিত্যিকদের নিরন্তর কামড়াকামড়ি চুলাচুলি তেলাতেলি আর কলতলার কলহের নমুনা ফেসবুকে মাঝেমধ্যে বন্ধ তাঁবুর নিচে আয়োজিত নোটের আঙিনায় চোখে পড়ে। সংসদে সাংসদদের গালাগালি হাতাহাতিও তার কাছে তুচ্ছ।
ব্লগে পরিসর বিস্তৃত। কলাম-ইঞ্চির বাধা এখানে নেই।
রাগিব ভাই যেটা বললেন তার সাথে একেবারে শব্দে শব্দে একমত। এখন FUD (Fear, Uncertainty, Doubt) ছড়িয়ে যাচ্ছে এই ধরনের লেখকেরা।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আসিফ নজরুলের লেখা পড়ে মনে হল কোন ব্লগ তার লেখা কপি-পেস্ট করে সামনের পাতায় দিয়ে রাখলেও তিনি খুশি। আশা করি ব্লগ জিনিসটা আসলে কি, এব্যাপারে কেউ একজন তাকে নসিহত করবে। আমিন।
আমার একটা অফ-টপিক প্রশ্ন ছিল। এখানে বলব কিনা বুঝতে পারছি না। বলেই ফেলি। সচলায়তন আসলে কতটুকু ব্লগ আর কতটুকু লেখক ফোরাম বা সাহিত্য ম্যাগাজিন? একেতো এখানে অনেক সাহিত্যধর্মী লেখা আসে (সেটা যে অব্লগীয় কিছু তা-না), তার উপর সেদিন আমার এক বন্ধু ফস করে বলে দিল যে সচলে তো লেখা মডারেট হয়ে আসে, এটা ব্লগ হয় কেমন করে। আমি আসলে অন্য ব্লগগুলোতে খুব একটা যাইনি তো, তাই ঠিক জানিনা যে অন্য বাংলা ব্লগগুলো কতটা মডারেশন পার হয়ে আসে। আর মডারেশন পার হয়ে আসলেই ব্লগীয় চরিত্রে দাগ পড়ে যায় বলেও মনে হয় না। কেউ একটু বর্ডারলাইনটা বুঝিয়ে দিবেন? ধন্যবাদ।
- সচলায়তন কী?
সচলায়তন অন্যসব কমিউনিটি ব্লগিং প্লাটফরমের "যেমন খুশি তেমন লেখা"র খেড়োখাতা না। সচলায়তনের জন্ম থেকেই সাথে ট্যাগ লাগানো আছে, "অনলাইন রাইটার্স কমিউনিটি"। লিখিয়েদের সমাবেশ। এই লিখিয়েরা ব্লগার হতে পারেন, কিন্তু যেকোনো "ব্লগার" হলেই এই লিখিয়ে সংঘের অন্তর্ভুক্ত হতে হবে, এমন কোনো বাধকতা নেই। এখানেই অন্যান্য কমিউনিটি ব্লগিং প্লাটফরমের সাথে বোধকরি সচলায়তনের পার্থক্য।
এখন এই লিখিয়েদের কাছ থেকে সাহিত্যচর্চাও আসতে পারে আবার নিরালা দিনলিপিও আসতে পারে। যা-ই আসুক, দিনশেষে এটা একজন "লিখিয়ে"রই লেখা। আর এই লিখিয়ে সচলায়তন পরিবারের অংশ বলে তাঁর লেখাটাও তাই। সচলায়তন যেমন তার লেখকদের ধারণ করে তেমনি ধারণ করে তাঁদের (নানা স্বাদ ও মেজাজের) লেখাকেও। যেহেতু এখানে লেখার ধরণের চেয়ে লেখককেই প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে তাই সচলায়তন কিছু নির্দিস্ট ধরণের লেখার মাধ্যমে পরিচিত না হয়ে বরং এর লেখকদের নিয়েই পরিচিত হতে চায়।
ফলে সচলায়তন সাহিত্য পত্রিকা, অনলাইন ম্যাগাজিন বা (শুধুই) একটা ব্লগ সাইট হয়ে যায় না। বরং এইসব সৃষ্টির স্রষ্টাদেরকেই একীভূত করে একটা সমাবেশে পরিণত হয়ে রয়ে যায়। সচলায়তন ডট কম; অনলাইন রাইটার্স কমিউনিটি।
আর মডারেশন পার হয়ে আসার ব্যাপারটা (বা কারণটা) বলতে পারেন 'পূর্বা(তিক্তা)ভিজ্ঞতা'।
[এইটা অবশ্য কেবলই ধুগো'র ব্যাখ্যা। কোনো অফিসিয়াল ব্যাখ্যা না।]
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সচলায়তনে সব লেখা মডারেশন হয় না, কেবল যারা পূর্ণ সচল নন, তাদেরটাই মডারেশন ঘুরে আসতে হয়। সচল ও অতিথিসচলদের লেখার মডারেশন নীতির মধ্যে পার্থক্য কেন সেটা ধুসর গোধুলি আগেই বলেছেন, পূর্বের বাজে অভিজ্ঞতা।
আর মডারেশন মানে মডিফিকেশন নয়। দুইটা দুই জিনিস।
ওনার লেখায় কমেন্ট দিয়া অথবা ওনার লেখাটা পরে যখন সোনার-বাংলাদেশে কপিপেস্ট হবে (সেখানে পড়তেই মনে হয় উনি বেশি পছন্দ করেন) সেখানে কমেন্ট দিয়া ওনারে বুঝান
আপডেট: ইতোমধ্যে কপিপেস্ট হয়ে গেছে
ব্লগ নিয়ে প্রাচীনপন্থী লোকজন যতোই চি্ল্লাচিল্লি করুক না কেনো ভবিষত্যের লেখকরা যে এখান থেকেই সৃষ্টি হবেন তাতে কোন সন্দেহ নাই.....
মূর্তালা রামাত
বন জঙ্গল কাইটা আজকে যে দিকে মানব সভ্যতা এগুচ্ছে, তাতে কাগজের উত্পাদন যে কোনদিন শেষ হয়ে যাবে - তখন মুদ্রিত মাধ্যমের এই লেখকগুলা কৈ যাবে, কোথায় লেখবে? ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে আসতে না চাইলে তখন তো এদের পাছার কাপড় খুলে লুঙ্গিতে লিখতে হবে
ব্লগের সম্ভাবনা নিয়ে সবাই এত চমৎকার আলোচনা করেছেন যে আর নতুন কিছু বলার নেই ।
প্রথা ভাঙ্গার এই শক্তিশালী মাধ্যমটি যাতে ভবিষ্যতের সৃষ্টিশীল লেখকদের সম্ভাবনার পথ করে দিতে পারে সেদিকেও নজর দিতে হবে । প্রতিনিয়ত সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে যেতে হবে ।
মান সম্পন্ন লেখার জন্য যেমন নিয়ন্ত্রনের প্রয়োজন, তেমনি আবার মুক্ত চিন্তা বিকাশের জন্য লেখকের স্বাধীনতাও প্রয়োজন । এই দু'য়ের স্বার্থক সমন্বয় হওয়াটা খুবই জরুরী ।
.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
অন্ততঃ এটুকু নিশ্চিত হওয়া তো গেলো যে ব্লগের প্রসার "মেইনস্ট্রীম"কে চিন্তিত করে তুলছে। সেটাও একসেন্সে ব্লগের পাওনা।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
কাহিনী সত্য, পোস্ট টা দারুণ। রেটিং দেওয়ার এক্সেস থাকলে পাচ তারকা দিতাম!
- অসামাজিক
এই পোস্টের অনেকগুলো মন্তব্যই আলাদাভাবে একেকটা পোস্ট হিসেবে আসার দাবী রাখে।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
উনারা আসলে ব্যর্থ ব্লগার। কাগজে মনের ঝাল মিটাইতেছেন।
আঙুর ফল টক
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আসিফ নজরুলের জ্ঞানের সীমাটা সত্যিই দুঃখজনক।
শওকত চৌধুরীটা কে? এই আদমটাকে ডিজিটালি থাবড়াতে ইচ্ছা করতেছে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
থাবড়ানি ভালু নয়, এইজন্য ব্লগ খুব খ্রাপ।
আদম এইসবের উর্ধ্বে। কারণ, তিনি আর ডিজিটাল জগতে নাই, কাজীর গরু হয়ে পত্রিকার বুলেটপ্রুফ ঘেরে ঢুকে গেছেন।
একটা প্রানবন্ত আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
আমি দুই চারজনকে জিজ্ঞেস করলাম, শওকত চৌধুরী নামের কোনো লেখকের নাম কেউ স্মরণ করতে পারলেন না।
হয়তো দূর্ভাগ্য আমাদেরই, আমরা এই জ্ঞানী ব্যক্তির খোঁজখবর রাখি না।
তবে বেবুঝ মন আমার কূডাক গায়। হিমুর আশঙ্কাই না আবার সত্যি হয়ে যায়
তবে দুষ্ট ব্লগারদের এরকম ধারনা করাটা ঠিক নহে। আমি নিজেই এরকম খারাপ ধারনা করার কারনে শরমিন্দা।
যা বলার ২২ নাম্বার কমেন্টে হাসিব ভাই বলে দিয়েছেন। আমি শুধু এইটুকু বলি, ব্লগ লেখালিখির জগতে নতুন বিপ্লব এনেছে। এখানে লিখেই নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয়, তেলবাজিতে কাজ হয় না। সুতরাং শওকত আলীর মত যারা না পাওয়ার বেদনায় জ্বলে খাক হচ্ছে তাদের নিয়তিতে অঙ্গার হওয়াই লেখা আছে।
আর আসিফ নজরুল যদি সত্যিই সোনার বাংলাদেশ নামক সাইটে লিখে থাকেন তাইলে উনার জন্যে আমার করুণা থাকল।
শওকত আলী না ভাই, শওকত চৌধুরী। এইটাও ছদ্মনামই।
আমি ড. আসিফ নজরুলকে সচলায়তনে নিবন্ধন করার আহবান জানাচ্ছি। তবে এখানে কপি-পেস্টে কাজ হবেনা, নিজেকেই লিখতে হবে।
আমি নিবন্ধন থেকে বরং বিরত থাকতে বলবো। প্রথমত, অতিথি হিসেবে লিখে সচল হওয়া উনার পোষাবে বলে মনে হয় না। আর একটা লেখা লিখতে না লিখতেই সেটা ডুয়াল পোস্টিং করবে ওনার প্রিয় হান্নান বাংলাদেশে। দুই চারবার এরকম করার পর অতিথি অ্যাকাউন্ট জব্দ হয়ে গেলে কেঁদেকেটে হয়তো আলু পেপারেই আরেকটা উপসম্পাদকীয় লিখে শিক্ষানবিসদের বকাবকি করবে। হরিদাস্পালিতা বিসর্জন দিতে না পারলে সচলে না আসাই ভালো।
ব্লগগুলা খুউব খারাপ। কাঠাল পাতা তো দেয়ই না উপরন্তু একজোট হয়ে আড্ডাবাজির মধ্যেও বিচার চাইয়া স্টিকার ছাপায়। বরাহ শিকার করতে চায়, গান বান্ধে .... : পুরা ফাউল জিনিষ -- এইটা পাবলিককে জানানো কর্তব্য।
যে যে ঐ লেখকদেরকে চিনেন ... দ্রুত ব্যাথানাশক মলম সাপ্লাই দেন।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
প্রথম আলো-তে ওই গল্পটা পড়া হয়েছিল শুক্কুরবারেই। এমনিই অসুস্থ গৃহবাসে বেশ কিছুদিন পরেই সাময়িকীর একটা গরম গরম গল্প পড়া হ'লো, ঢুকতে বেলা ভাবিইনি (গল্পের শিরোণাম দেখেও) যে এর বিষয় ব্লগের ধারেকাছেও কিছু হ'তে পারে। গল্পের দৈর্ঘ্য তেমন বড় নয় ব'লেই হয়তো পুরোটা প'ড়েও ফেলেছি। এটা ঠিক, যে এই গল্পে কোনোই গল্প খুঁজে পাইনি। খুব বেশি আশা ক'রে খুঁজিওনি। তবে, আমার কাছে এই অগাল্পিক প্রগলভতাকে অনেক ইনসিগনিফিক্যান্ট মনে হয়েছে। এই গল্পকর্মকারকে চিনি না, আমি আর কতোজনকেই চিনি বা! কিন্তু, অন্যান্য ব্লগে প্রায় বিচরণহীন আমার এ-ও মনে হয়েছে যে ইনিও হয়তো বা কোনো ব্লগেরই মধ্যম-মানের ব্লগার-ট্লগার হইতারেন। আমার কাছে ওখানে কোনো গল্প যেমন উদগীর্ণ হয়নি, তেমনভাবেই কোনো বিষও না। এমন বেশ কিছু ক্ষেত্রে আমি তুলনামূলকভাবে অনেকই অ্যাপলিটিক্যাল অ্যানিমেল হওয়ার কারণেও হয়ে থাকতেই পারে এই মনে-না-হয়ে-ওঠা-টা। তবে কি, মোদ্দা কথা, এটাকে একটা অনর্থক গল্প্রয়াস ছাড়া আর কিছু্ই মনে হয়নি আমার। আতংকপ্রসূত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কোনো তাত্পর্যপূর্ণ কিছুই হয়ে ওঠেনি ওটা আমার কাছে। যাক, তবু আরিফ ভাই, আপনার পূর্বাপরের নিরীখে আমি অবশ্য দ্বিমতও পোষণ করছি না অন্য কোনো স্ট্যান্স নিয়ে, আশা করি এটা পরিষ্কার করতে পেরেছি।
তবে, ভাগ্যদোষে আমার এককালের শিক্ষক ওই গভীর-জলের অগভীর-বুদ্ধিজীবী আসিফ নজরুল-এর লেখাটা আপনার লিংক ধ'রে পড়তে গিয়ে, সত্যি বলছি, তিন লাইন প'ড়ে আর পড়বার রুচিই হয়নি। তিনি ব্লগ বিষয়ে যে ধারণা রাখেন, সেই ধারনা নিয়ে তিনি কলামও লিখে ফেলেন ; এটি বড়ই আশ্চর্যের বিষয়।- আপনার এই উক্তিই যথার্থ এ প্রসঙ্গে। সত্যিই খুবই ভয়ঙ্কর এই অল্পবিদ্যা! এবং লজ্জাজনক।
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আসিফ নজরুলের লেখাটা পড়ার খুব ইচ্ছা ছিল। কিন্তু লিঙ্ক অনুসরন করে আলুর ব্যানারের নীচে একটা খালি সাদা পৃষ্ঠা ছাড়া আর কিছুই পেলাম না। ব্যপক বিনোদন মিস্ হয়ে গেল। আফশোষ!
****************************************
ইয়ে, ব্লগার না বলেই মনে হয়, আমার কাছে তো গল্পটা মজাই লাগসে, হি হি হি। (গাইল দিয়েন না পিলিয!)
নতুন মন্তব্য করুন