খাঁচা

আরিফ জেবতিক এর ছবি
লিখেছেন আরিফ জেবতিক (তারিখ: সোম, ১২/০৪/২০১০ - ৫:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক.
এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে কান্তি লাগে আমার। এই ঝকঝকে তকতকে এয়ারপোর্ট, করিৎকর্মা কাস্টম অফিসার, ইমিগ্রেশনে ‌'ওয়েলকাম বাংলাদেশ' বলে সিল মেরে দেয়া ছিপছিপে তরুণী, কেউই এই দেশটার প্রতি আমার মমতা জন্মাতে পারে না। এই সেই দেশ যেখান থেকে আমার পূর্বপুরুষ একসময় পালিয়ে গিয়েছিলেন, যে দেশের সব কিছু ভেঙ্গে পড়েছিল কোনো একদিন, সেই দেশে দুই প্রজন্ম পরে ফিরে আসার কারণে যে আবেগ থাকার কথা, সে আবেগ আমার মাঝে নেই।

আমি কাজ করি জাতিসংঘের টাকায় দুনিয়ার বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি রক্ষা করার জন্য, দুনিয়া জুড়েই আমাকে ছুটতে হয়। এই ছুটাছুটি আজকাল ক্লান্ত করে ফেলে। বয়েস হয়েছে, অবশ্য সাঁইত্রিশ বছর বয়েস খুব বেশি এমনও বলা যায় না, কিন্তু গত বছরগুলোতে, বছরের পর বছর আমি শুধু ছুটছি তো ছুটছিই। ডায়বেটিস রোগটা ধরা পড়েছে কয়েকবছর আগে, আমি জানি চল্লিশ পেরুতে না পেরুতেই হার্টের শিরা ধমনিগুলোও একে একে সরু হয়ে আসতে থাকবে, অথবা ব্লাড প্রেশারটা তখন বড্ড জ্বালাবে, আর আমি যেকোনো সময় ব্রেনস্ট্রোক করে চিৎ হয়ে পড়ে থাকব পৃথিবীর কোনো এক বিমানবন্দরে। এই বোধটা ইদানীং আমাকে খুব কান্ত করে দেয়, বিরক্ত করে। সেই কান্তি আর বিরক্তি নিয়েই আমি ঢাকা এয়ারপোর্টের দরজাটা পেরিয়ে আসি।

এই ঘামে জবজবে গরমের দেশে এক দামড়া লোক তার নোংরা সাদাটে শার্ট পরে আর শেভ না করা গালে কাঁচাপাকা খোঁচা খোঁচা দাড়ি নিয়ে যখন ইতিউতি চাইছে, তখনই আমি বুঝে ফেলি এই লোকটা আমার খোঁজে এসেছে। এই লোকটাই হয়তো সরকারের বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের কেউকেটা কেউ হবে। নোংরা মানুষ দেখলে আমার গা ঘিন ঘিন করে, কিন্তু আমি যাদের সঙ্গে কাজ করি, যেসব দেশে যাই, সেই দেশের অধিকাংশ সরকারি কর্মকর্তাই আসলে নোংরা, মনের কথা বলছি না, কাজে কর্মে আর পোশাকে এরা নোংরা। হয়তো নোংরা বলেই এদেরকে এসব ফালতু ডিপার্টমেন্টগুলোতে ঢুকিয়ে দেয়া হয়, অথবা এমনও হতে পারে এসব ডিপার্টমেন্টে কাজ করতে করতেই তারা নোংরা হয়ে যায়।
লোকটার হাতে একটা দুমড়ানো মুচড়ানো প্ল্যাকার্ড, সেই প্ল্যাকার্ড এতদূর থেকে আমি পড়তে পারি না, কিন্তু আমি এগিয়ে যাই। এগিয়ে গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করি, ‘আপনি কি আমাকেই খুঁজছেন? আমার নাম মুহম্মদ ফয়জুল্লাহ, আমি জাতি সংঘের বিলুপ্তপ্রায় প্রানী প্রজনন প্রকল্পের সুপারভাইজার।'
লোকটা চমকে উঠে, সে হয়তো এখানে বাঙালি কাউকে আশা করেনি, এরকম বাংলা কথা শোনার কথা নয় তার। সে আমতা আমতা করে বলে, ‘আমি ভেবেছিলাম আপনি একজন পাকিস্তানি, নয়তো ভারতীয় হবেন, কিন্তু বাঙালি এমনটা ভাবিনি।’ আমি তার আচরণ দেখে বিরক্ত হই, সে কি আমাকে গোনায় ধরছে না, আমাদের রক্তে আছে ভিনদেশীদের সালাম করার প্রবণতা, আমরা বিদেশের কুকুর ধরি স্বদেশের ঠাকুর ফেলিয়া, এই লোকটি হয়তো জাতিসংঘ শুনেই ভেবেছে সেখানে কোনো পাকিস্তানি কিংবা ভারতীয় কাজ করে।

অবশ্য আমি নিজেও একজন বিদেশী এই দেশে, আমার পাসপোর্টের রং এই দেশের পাসপোর্টের সঙ্গে মিলে না, কোনো এক কালে এই দেশ থেকে আমার পূর্বপুরুষ আমেরিকায় চলে গিয়েছিলেন, সুতরাং এখন আমিও এই দেশের নাগরিক নই। তাই বলে আমাকে ভারতীয় কিংবা পাকিস্তানি বলাটা আমার পছন্দ হয় না। লোকটার চোখে আমি কোনো সম্ভ্রম দেখি না। সে একজন বাংলাদেশী দেখে কি একটু হতাশ হয়েছে, সে কি আমাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করবে ? আমার বিরক্ত লাগে। এই দেশে আমি আমার নৃতাত্ত্বিক পরিচয় নিয়ে আসিনি, আমি এসেছি আমার কাজে এবং কাজ শেষ করে এই নোংরা দেশটা থেকে আমি আগামিকালই চলে যাব।

আমি তাকে বলি, ‘ আপনার নামটা জানা হলো না ?’
লোকটি বলে, ‘ আমার নাম খায়রুর রহমান, আমি বাংলাদেশের বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের উপ পরিচালক। আমি নিজেই আপনাকে নিতে এসেছি।’
কথার মাঝে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার একটা সুর আমি টের পাই। এই লোকটি শুধু নাম বলেনি, নিজের পদমর্যাদা জানাচ্ছে, অথচ সেটি আমি জানতে চাইনি। এসব দেশে পদমর্যাদাকে অনেক গুরুত্ব দেয়া হয়, পদ ছাড়া মানুষ এখানে তুচ্ছ। পদই মানুষের মর্যাদা নির্ধারন করে। লোকটি হয়তো তার গুরুত্ব আমাকে বুঝাতে চাইছে যাতে করে তার নোংরা প্রায় সাদা শার্ট কিংবা তার খোঁচা খোঁচা দাড়ি দেখে তাকে পিয়ন চাপরাশি ভেবে না বসি, এজন্যই সে তার পরিচয় আমাকে আগাম জানিয়ে রাখছে। অথবা হতে পারে সে এমনিতেই বলছে, যেহেতু আমার নিজের মন মেজাজ ভালো নয়, আমি ক্লান্ত এবং বিরক্ত , যৌক্তিক কারনে ক্লান্ত এবং অকারনেই বিরক্ত, তাই হয়তো লোকটার সহজ সাধারণ কথাই আমার কাছে বিরক্তিকর লাগছে।
আমি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করি, এখনই লোকটাকে এখনই ভড়কে দেয়ার কিছু নেই, সময় আসুক, তখন দেখা যাবে। আমার রিপোর্টের উপরই নির্ভর করছে এই প্রকল্পের ভবিষ্যত, আমরা বছরের পর বছর কাড়ি কাড়ি ডলার দিচ্ছি, সে তুলনায় এখানে তেমন কোনো কাজ হচ্ছে না, সুতরাং আমি যদি দেখি এখানে কাজের কোনো সম্ভাবনা আর নেই, তাহলে এই নোংরা লোকটা এবং তার অফিসের অন্য লোকগুলো, সেগুলোও নিশ্চিত এই লোকটার মতোই খচ্চর হবে, তাদেরকে বসিয়ে বসিয়ে বেতন দেয়ার কিছু নেই। আমরা প্রজেক্ট বন্ধ করে দেব। এর চাইতে আন্দামানে আমাদের প্রজেক্টটা অনেক ভালো ভাবে চলছে, সেখানেই ফান্ড সরিয়ে নেয়া যেতে পারে, বাংলাদেশে বিলুপ্ত প্রজাতি বাঁচিয়ে না রাখলে আমাদের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না ।

দুই.
গাড়িতে উঠার পরে লোকটা, মানে খায়রুর রহমান বলে, ‘ আপনি খুব সুন্দর বাংলা বলেন।’ আমি বুঝতে পারি, এটা হচ্ছে আমাকে তেল দেয়ার চেষ্টা। এসব উন্নয়নশীল দেশে আসলে কাজের নামে লবডংকা, কিন্তু তেলানির নামে সরকারি অফিসারগুলো খুব ওস্তাদ। আমি খায়রুর রহমানের কথার জবাব না দিয়ে ল্যাপটপটা অন করি। প্লেনে ইমেল দেখা হয়নি, ইমেলগুলো দেখা দরকার।

লোকটা এবার বলে, ‘ আপনি বোধহয় আমার উপর কোনো কারণে রাগ করেছেন ?’ আমি লোকটা বুদ্ধি দেখে চমকে যাই খানিকটা, আমি তার সঙ্গে এখন পর্যন্ত তেমন করে কোনো কথাই বলিনি, এর মাঝেই সে বুঝে নিয়েছে আমি তার উপর বিরক্ত। আমি বললাম, ‘ না তো, বিরক্ত হব কেন ?’
খায়রুর রহমান আমার দিকে না তাকিয়েই বলে, ‘ আপনার মুখ দেখেই বুঝে নিয়েছি। আপনি আমার এই বেশভূষা পছন্দ করেননি। কী করব, আমি দুই রাত ঘুমাইনি।’
আমি তার কথার জবাব দেই না, একটা লোক দুই রাত কি দুই মাস না ঘুমালে আমার কিছু যায় আসে না। আমি নিজের ঝামেলা নিয়েই মাথা খারাপ অবস্থায় আছি, কোন এক খায়রুর রহমানের দুই রাতের ঘুম নিয়ে আমার কোনো টেনশন নেই। লোকটা তবুও থামে না, আমাকে বলে, ‘ আসলে আমাদের এই প্রজেক্টটা ঢাকায় চলবে না। ঢাকার বাতাসে বিষ, এখানে কোনো প্রাণীরই প্রজনন ঠিক মতো হচ্ছে না, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
আমি এবার খানিকটা রসিকতা করার চেষ্টা করি, ‘ তা আপনি দুই রাত না ঘুমিয়ে বুঝি সেই প্রজননে ব্যস্ত ছিলেন?’
লোকটা আমার কথায় হতভম্ব হয়ে যায় কিছু টা, আমার দিকে চোখ বড় করে তাকায়, ল্যাপটপ থেকে চোখ না তুলেও আমি বুঝতে পারি, সে আহত হয়েছে এবং সেই আহত হওয়া দুটো চোখ নিয়ে তাকাচ্ছে আমার দিকে। এভাবেই কয়েকটা সেকেন্ড কেটে যায়, খায়রুর রহমান কথা হাতড়ায় বোধহয়, তারপর ছোট করে বলে, ‘ না না কী যে বলেন ! ছিঃ!’

এবার আমি ল্যাপটপের পর্দা থেকে চোখ সরাই, সরাসরি খায়রুর রহমানের দিকে তাকাই, তারপর স্পষ্ট করে বলি, ‘তাহলে আপনি দুই রাত ঘুমাতে পারেননি একথা কেন বললেন ?’ লোকটা মৃদু স্বরে বলে, ‘আমার স্ত্রী অসুস্থ, দুই রাত হাসপাতালে ছিলাম সেখান থেকে আপনাকে নিতে আসলাম।’
আমি লোকটার স্ত্রীর জন্য কোনো মমতা অনুভব করি না, এই ধরনের লোক মানে এই খায়রুর রহমানদের স্ত্রীরা বছর বছর অসুস্থ হয়, এদের গন্ডা গন্ডা বাচ্চাকাচ্চা হয় তারপর স্ত্রী সূতিকা রোগে কিংবা হাঁপানির টানে বারবার হাসপাতালে যায়, এসব নিয়ে বিচলিত হওয়া আমার কাজ নয়। আমি নিজে যদিও এই দেশে জীবনের প্রথমবার এলাম, কিন্তু আমার বুড়ো দাদুর জন্য, লোকটা এখনও এই পঁচাশি বছর বয়েসেও বেঁচে আছে, তার জন্যই এই দেশটার কিছু খোঁজখবর আমি পাই, এই দেশের লোকদের স্বভাব চরিত্র আমি ভালো ভাবেই জানি।

আমি এই ব্যক্তিগত আলাপকে অন্যদিকে সরানোর জন্যই কাজের কথা শুরু করি। ‘কী যেন বলছিলেন, এই ঢাকায় প্রজেক্ট চলবে না ?’
লোকটা এবার উৎসাহের সঙ্গে বলে, ‘জ্বি, জ্বি, এই প্রজেক্টটা ঢাকায় চলবে না। ঢাকার আবহাওয়া আসলে এসব প্রজননের উপযুক্ত নয়। আপনি যদি সরকারকে বলেন দয়াকরে প্রজেক্টটা পাহাড়ি এলাকায় সরিয়ে নেয়।’
আমি বললাম, ‘ওটাতো আমার দেখার বিষয় না। এটা সরকারের বিষয়। আপনারাই সরকারকে বলুন।’
লোকটা এবার আশা নিয়ে বলে, ‘সরকার তো আমাদের কথা শুনে না। তারা চায় সব কিছু ঢাকাতেই হোক। আমাদের মহাপরিচালক নিজেও এমনটা চান, কেউ আসলে ঢাকা থেকে যেতে চায় না। কিন্তু কাজের কাজ তো কিছু হচ্ছে না, খামোখাই গুচ্ছের টাকা নষ্ট।’
এবার আমি ভালো ভাবে খায়রুর রহমানের দিকে তাকাই, এই প্রথম একজন সরকারি লোক আমি পেলাম যে স্বীকার করছে এই প্রজেক্ট আসলেই একটা ফালতু প্রজেক্ট। নিজেই স্বীকার করছে কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না।
আমি বললাম, ‘তাহলে তো প্রজেক্ট বন্ধ করে দিতে হয়। আপনি কী বলেন ?’
লোকটা খানিকটা হতাশ হয়, তার হতাশামাখা মুখ আমি দেখতে পাই, তারপর সে তাড়াতাড়িই বলে, ‘ না না প্রজেক্ট বন্ধ করবেন কেন ? প্রজেক্ট বন্ধ করা উচিত হবে না।’ আমি আবার তাকে খোচা দেই, ‘ কেন, আপনার চাকুরি চলে যাবে বলে?’

এই খায়রুর রহমান লোকটা বোধহয় অল্পতেই আহত হয়, সে মৃদু গলায় বলে, ‘আমার চাকুরির জন্য নয়, আসলে প্রজেক্ট বন্ধ হলে, এই প্রজাতিগুলো একেবারে নিঃশ্বেষ হয়ে যাবে। বাংলাদেশ থেকে এদের বিলুপ্তি ঘটবে। জানেন, এই প্রাণীগুলোর জন্য আমার খুব মায়া। গত সপ্তাহেই মারা গেল একটা, আমি দুই রাত শুধু কেঁদেছি। আমাকে নিয়ে আমার মহাপরিচালক সাহেব হাসাহাসি করেছেন।’
এবার আমি নিশ্চিত হয়ে যাই, আমার সঙ্গী লোকটা আসলেই একটা বেকুব। সব কিছুই বোধহয় সে দুই রাতের এককে মাপে, প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের একটা দুটো প্রানী মরে গেলেও এই লোক কাঁদে, এরকম আবেগী বেকুব দিয়ে কী হবে আমি ভেবে পাই না।

তিন.
বাংলাদেশ বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি প্রজনন কেন্দ্রে ঢুকে সত্যি সত্যিই আমার মনটা খারাপ হয়। সারি সারি খাঁচা, বেশির ভাগই খালি পড়ে আছে।
আমি খায়রুর রহমানকে জিজ্ঞেস করি, ‘খাঁচাগুলো খালি কেন ?’ সে মাথা নিচু করে বলে, ‘আমরা বাঁচাতে পারছি না। বহু চেষ্টা করেছি, কিন্তু এরা মরে যাচ্ছে। এজন্যই আমি বলছিলাম, যদি পাহাড়ি এলাকায় প্রজেক্টটা স্থানান্তর করা যায়...।'

সে কথা শেষ করে না, আমি হেটে হেটে সামনে এগুতে থাকি।
একটা খাঁচায় দেখি অনেকগুলো প্রানী আছে। ৮/১০টা তো হবেই।
খায়রুর রহমান দ্রুত ছুটে আসে আমার কাছে। তারপর বলে, ‘এই প্রজাতিটা কিছুটা টেকসই। এরা এখনও কিছু কিছু টিকেও আছে বাইরের পৃথিবীতে।’ আমি খাঁচার নিচে তাকাই, সেখানে বোর্ডে প্রজাতির নাম লেখা আছে- চাকমা।

আমি বলি, ‘শুধু এই একটা প্রজাতিই বেঁচে আছে নাকি ?’
খায়রুর রহমান বলে, ‘না, আরো একদল বেঁচে আছে, ওরা অবশ্য আরো কম।’
‘কারা?’ আমি জানতে চাই।
‘গারো। বেশ কিছু গারো বেঁচে আছে। কোনোরকমে টিকে আছে আর কি।’
‘আর কিছু নাই ?’ আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করি।
খায়রুর রহমান জবাব দেয় না। সে মাথা নিচু করে থাকে।

আমি আমার চারপাশে তাকাই। সেখানে সারি সারি শূন্য খাঁচা। ওঁরাও, খাসিয়া, খুমি, টিপরা, পাংখো, মগ, মুরং, সাঁওতাল, হাজং...এরকম নাম লেখা খাঁচাগুলোতে কিছু নেই, কোনো প্রানী নেই...


মন্তব্য

হরফ এর ছবি

Wow!!! সরি বাংলায় লিখলে মনের সঠিক ভাব ফোটাতে পারতাম না। আপনার লেখা খুবই ভাল (intense) লাগলো।
------------------------------------------
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"

ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে

তিথীডোর এর ছবি

গুরু গুরু
শেষটুকুতে পৌঁছে থ হয়ে গেলাম! দুর্দান্ত ফিকশন...

কিছু টাইপো আছে, আহত হবেন কি না, সে ভয়ে আপাতত বিরত থাকছি...

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

আরিফ জেবতিক এর ছবি

টাইপো আছে আমিও দেখেছি। ঠিক করে দেব। বিদ্যুৎ চলে যাবে এই ভয়ে টানা লিখেছি, এজন্য কিছুটা , আর বাকিটা অজ্ঞানতা।
ধন্যবাদ।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

একটা ধাক্কার মত অনুভব করলাম। এক কথায় অসাধারণ লাগলো।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

ধন্যবাদ।

মামুন হক এর ছবি

ভাইজান, কী লিখলেন এইটা! একেবারে স্তব্ধ করে দিলেন!!

আরিফ জেবতিক এর ছবি

বাস্তবতা ওদিকেই যাচ্ছে, তাই নয় কি ?

কাকুল কায়েশ এর ছবি

শেষের অনুচ্ছেদে আসলেই তাব্দা খেয়ে গেলাম। এরকম বাংলাদেশ যেন কখনোই দেখতে না হয়! মন থেকে বলছি, এ লেখাটা সরকারের উচ্চপদস্থ কাউকে পড়ানো উচিত এবং মূলভাবটা উপলব্ধি করতে দেওয়া উচিত।

তবে গল্পটির একটা জিনিস ভাল লাগেনি, সেটা অবশ্য গল্পটির মূল বিষয়টির সাথে সম্পর্কিত নয় দেখে অত জরুরী কোন ব্যাপার না......

এই লোকটি শুধু নাম বলেনি, নিজের পদমর্যাদা জানাচ্ছে, অথচ সেটি আমি জানতে চাইনি।

এখানে যে জিনিসটা ভাল লাগল না, সেটা হচ্ছে - একদম শুরুতে কিন্তু ফয়জুল্লাহ সাহেবও নিজের নামের সাথে পদবি উল্লেখ করেছেন। যে কাজটা তিনি নিজেই করেছেন, সেই একই কাজ অন্যে করাতে সেটা নিয়ে মনে মনে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করাটা ভাল ঠেকে নাই!

=========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

আরিফ জেবতিক এর ছবি

ঘটনা এখানেই। আমরা নিজেরা করি, কিন্তু অন্যে করলে বিরক্ত হই। মানে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার জন্য যে অজুহাত লাগে না, এই দিকেই খানিকটা ইঙিত দেয়া আর কি।

শরতশিশির এর ছবি

খুব ভাল লাগলো। শেষটা একেবারেই আনেক্সপেক্টেড ছিলো। চলুক
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

ধন্যবাদ।

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

বাহ্‌ ! গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
ভাইয়া, "ক্লান্ত" বানানটিতে 'ক্ল' আসেনি বেশ কিছু জায়গায়।
আর তরুনি > তরুণী হবেনা? চিন্তিত

আবার বলে যাই, গল্পটি দারুণ হাসি

--------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

আরিফ জেবতিক এর ছবি

বিজয়ে লিখে অরূপ-মুর্শেদ যন্ত্রে কনভার্ট করার কারনে কিছু যুক্তাক্ষর ভেঙ্গে গেছে। ঠিক করে দেব একটু পরে।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ওনারা বিলুপ্ত হননি, বাঙালি হয়েছেন, তারপর বাঙালি-অরণ্যে মিশে গেছেন। সেজন্যই খাঁচাগুলো খালি।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

সেটাও হতে পারে। সম্ভব, খুবই সম্ভব।

তানভীর এর ছবি

দুঃখিত। শুরুতে পড়তে ভালোই লাগছিল, শেষে একদমই লাগে নি। আদিবাসীরা কি জন্তু, যে তাদের সংখ্যা কমে গেলে ডিসপ্লে করার জন্য তাদের খাঁচায় রাখা হবে? হিমুর একটা গল্প ছিল না শেষ জীবিত একজন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে...যখন মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা কমে আসবে (তুলনা দু'টো অবশ্য এক হলো না, এনালজির খাতিরে বলছি) তখন কি তাদের এরকম খাঁচায় রেখে ডিসপ্লে করা নিয়ে একটা গল্প লিখতে পারবেন? আদিবাসী বলেই কি এত সহজে তাদের অপমান সহ্য করতে হবে? আদিবাসী হিসেবে বৈশিষ্ট্য তো তাদের বাড়তি যোগ্যতা, এর বাইরে তারা আপনার-আমার মতোই সাধারণ মানুষ; কোন জন্তু নয়।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

মুক্তিযোদ্ধাদের প্রসঙ্গে এই খবরটা মনে পড়ল:
ডাক্তার আসিবার পূর্বেই রোগীটি মারা গেল।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার মনে হয়নি, লেখক নিজে আদিবাসীদের খাঁচায় ঢোকাচ্ছেন। তারচেয়ে মনে হল, এভাবে খাঁচার ভেতর ঢোকান দিয়ে তাদের প্রতি সরকার এবং বাঙালিদের আচরণ এবং/অথবা অপমান বোঝান হয়েছে।

জানিনা, ঠিক বুঝলাম কিনা।

==============
আশাহত

আরিফ জেবতিক এর ছবি

হ, পারব। মুক্তিযোদ্ধাদের খাঁচায় ডিসপ্লে করা নিয়েও গল্প লেখা দরকার।
খাঁচায় তো আমি ডিসপ্লে করছি না, ডিসপ্লে করছে আমাদের সমাজ।
সমাজ যা করতে পারে, লেখকের সেটা লিখতে অসুবিধা কোথায় ?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

শেষটায় এসে তব্দা খেয়ে গেলাম। আইডিয়া অসাধারণ।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

আরিফ জেবতিক এর ছবি

ধন্যবাদ।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌এ কী গল্প!!

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আরিফ জেবতিক এর ছবি

হ, এখনও এটা ফিকশনই।

কানা বাবা এর ছবি

চমৎকার লেখা। শেষটাতে এসে একটা ছোট খাটো ধাক্কা খেলাম।

/----------------------------------------------------
ওইখানে আমিও আছি, যেইখানে সূর্য উদয়
প্রিয়দেশ, পাল্টে দেবো, তুমি আর আমি বোধহয়
কমরেড, তৈরি থেকো,গায়ে মাখো আলতা বরণ
আমি তুমি, আমি তুমি, এভাবেই লক্ষ চরণ।।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

লেখাটা জরুরী নয়, ধাক্কাটাই তো জরুরি।

_প্রজাপতি এর ছবি

একটানে পড়া হয়ে গেল, শেষে এসে এরকম ধাক্কা থাকবে বুঝতে পারিনি।

-----------------------------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...

ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...

আরিফ জেবতিক এর ছবি

একদিন হয়তো আর এসবে আমাদের ধাক্কাটুকুও লাগবে না।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বিষয়বস্তু ভাল। পড়তে গিয়ে গল্পের স্ট্রাকচারে কিছু জায়গায় সমস্যা আছে মনে হল।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

গল্পটা ঠিক গল্প হিসেবে উতরাবে না, সেটা আমিও জানি।
তবে মেসেজটা পাঠকের কাছে গেলেই আমি আনন্দিত।

ফরিদ এর ছবি

বহুদ্দিন বাদে একটা দুই পয়সার লেখা পেলাম। সেই দুপয়সার আমলে প্রোফাইলে ছিল এক কালিমাখা কমান্ডোর ছবি। পরে তেল চুকচুকা চেহারা দেখার পরে ক্যাঞ্জানি মিলাইতেই পারলাম না।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

সেই কমান্ডোর ছবিটা আমি হারিয়ে ফেলেছি। সেই দুঃখ আমারও।

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

এক নিমেষে পড়ে ফেললাম - ভালো লাগলো হাসি

আরিফ জেবতিক এর ছবি

ধন্যবাদ।

হরফ এর ছবি

পাঠক আপনার যদি আদিবাসীদের খাঁচায় দেখে মর্মপীড়া হয়ে থাকে তবে অনুগ্রহ করে এই লিঙ্কটি পড়ুন http://en.wikipedia.org/wiki/Human_zoo
আর প্রার্থনা করুন যেন আর কোন মানব প্রজন্মকে এই দৃশ্য না দেখতে হয়।
---------------------------------------
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"

ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

খুবই শকড্! মন খারাপ এই শকটাই বোধহয় দিতে চেয়েছিলেন। মন খারাপ

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

আরিফ জেবতিক এর ছবি

ঠিক।

দুর্দান্ত এর ছবি

ভাল লাগলো।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

ধন্যবাদ।

তাসনীম এর ছবি

চলুক

গল্পটার ধাক্কাটা ঠিক জায়গা মত এসেছে।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

আরিফ জেবতিক এর ছবি

ধন্যবাদ।

পুতুল এর ছবি

বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ।
আমার কাছে গল্পের চেয়ে ধাক্কাটা বেশী মনে হয়েছে। আদিবাসীদের নিয়ে আমদের সিরিয়াস গল্প লেখার সময় এসেছে। আমি চেষ্টা করেছিলাম স্যাটায়া। সেটা ক্লিক করে দেখতে পারেন। http://www.sachalayatan.com/doll/31022
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আসলে সিরিয়াস গল্প কিংবা স্যাটায়ার লেখার সময় নয়, আদিবাসীদের সমস্যা নিয়ে আরো জোর গলায় কথা বলা সংখ্যাগুরু হিসেবে আমাদের জন্য ফরজ হয়ে পড়েছে।

ভ্রম এর ছবি

বিশাল ধাক্কা লাগলো...

আরিফ জেবতিক এর ছবি

ধন্যবাদ। ধাক্কাটা প্রয়োজন।

বোহেমিয়ান এর ছবি

মন খারাপ
বিশাল ধাক্কা মন খারাপ

এখনই সময় সচেতন হবার, তাঁদের পাশে দাঁড়াবার ।
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

আরিফ জেবতিক এর ছবি

ঠিক বলেছেন।

হিমু এর ছবি

পড়লাম, কিন্তু ভালো লেগেছে বলতে পারলাম না। তাই গল্পটা সফল।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

আরিফ জেবতিক এর ছবি

ধন্যবাদ।

নাশতারান এর ছবি

জোর ধাক্কা খেলাম।
বেশ আগে একটা গল্প পড়েছিলাম "ছেলেমানুষী" নামে। মুহম্মদ জাফর ইকবালের। সেটার কথা মনে হলো। গল্পে নয়, অনুভূতিতে সাদৃশ্য। আচমকা একটা চড় কষিয়ে দিলো যেন কেউ গালে।

গল্পটা যেন সত্যি না হয় সেই কামনা করি। ধন্যবাদ আপনাকে।



ন > ণঃ
তরুনি > তরুণী, কারনে > কারণ, ধমনী > ধমনি, প্রানী > প্রাণী, পাকিস্তানী > পাকিস্তানি, আচরন > আচরণ, দেশী > দেশি, নির্ধারন > নির্ধারণ, সাধারন > সাধারণ, সরকারী > সরকারি

চন্দ্রবিন্দুঃসাঁইত্রিশ, খোঁচা, হেঁটে, পঁচাশি, হাঁপানি
টাইপোঃ
কান্ত > ক্লান্ত, খাচ্চর > খচ্চর
আমাদের তেমন কোনো তি(ক্ষতি) হবে না ।
লোকটা আমার কথায় হতভম্ব হয়ে যায় কিছু না (কিছুটা)
কি যে বলেন। > কী যে বলেন!
প্রজেক্ট বন্ধ করা উচিত হবে না ? (।)

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

ছেলেমানুষী পড়া হয়নি। নিশ্চয়ই একদিন পড়ে ফেলব।

টাইপো সংশোধন চইল্তেচ্ছে।

মূলত পাঠক এর ছবি

অসাধারণ বললে কিছুই বলা হয় না। এই রকম গল্প অনেক অনেক দিন পড়ি নি! এমন বিষয়, এই রকম কষে থাপ্পড়, এবং লেখার শৈলী, সব মিলিয়ে মাস্টারপিস! ভেবে আশ্চর্য লাগছে যে আপনার লেখা কতো কম পড়েছি।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

সদয় কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।

নিঃসঙ্গ গ্রহচারী [অতিথি] এর ছবি

অসাধারণ...

আরিফ জেবতিক এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

অতিথি লেখক এর ছবি

খুবি ভালো লাগলো। গণসচেতনতা বাড়াতে আদিবাসীদের দুর্ভোগ নিয়ে অনেক লেখায় পড়েছি। তবে আপনার লেখার মত বিবেককে নাড়া দেয়া লেখা পড়িনি।
-রিভা

মেয়ে [অতিথি] এর ছবি

ফয়জুল্লাহ বাংলা বলতে পারে এটা কিছুটা অবাস্তব লাগলো। মেনে নিলাম গল্পের খাতিরে।

আরেকটা কথা। গল্পটা কোনো মারমা বা চাকমা পড়লে কি আহত হবেন না? আপনার মূল উদ্দেশ্য হয়ত ধাক্কা দেয়াই ছিলো। কোনো পাঠক তো আপত্তি জানান নাই। তাইলে কি আমিই ভুল বুঝলাম? ইয়ে, মানে...
মনে হচ্ছিলো 'আমি' হলে বেশ খারাপ লাগতো।

নাশতারান এর ছবি

চড়টা আপনার-আমার গালেই পড়েছে। মারমা বা চাকমাদের গালে নয়। তাই তাঁরা কেন আহত হবেন বুঝলাম না।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

সমস্যা হচ্ছে আপনি এখনও খাঁচায় চাকমা মারমা দেখছেন, আমি নিজেকেও দেখছি।
আমার খারাপ লাগছে না। আমার বেশ কয়েকজন চাকমা বন্ধু আছে, কাছের বন্ধু। তারা আমাকে তাদের থেকে আলাদা ভাবেনি, তারা জানে যে খাঁচা আমি এখানে রেখেছি, সেই খাঁচায় তাদের সঙ্গে আমিও ঢুকে পড়তে চাই।

রানা মেহের এর ছবি

মন খারাপ হয়ে গেলো আরিফ ভাইয়া।
আদিবাসীদের কাছে আমরা হয়তো একেকটা পাকিস্তানিদের মতো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

আরিফ জেবতিক এর ছবি

‌হয়তো নয়, অনেকেই নিশ্চিত ভাবে। আমি জানি।

সবজান্তা এর ছবি

কী অদ্ভুত কাকতালীয় ব্যাপার ! অনেক আগে যখন সচলায়তনের অণুগল্পের সংকলন দিয়াশলাই বের হয়েছিলো, সেখানে অনেকটা একই রকম পটভূমির একটা গল্প আমি দিয়েছিলাম। সেটা ছিলো আমার জীবনে যে অল্প কয়েকটা গল্প লিখেছি, তারও একদম শুরুর দিকে !

তফাৎ শুধু এখানেই যে, আপনার লেখাটা আমার ওই লেখার চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। যে ধাক্কাটা আমি দিতে চেয়েছিলাম, সে'টা আপনি খুবই সার্থকভাবে দিতে পেরেছেন।

দারুণ হাসি


অলমিতি বিস্তারেণ

স্নিগ্ধা এর ছবি

দারুণ গল্প! ভালো লাগলো হাসি

s-s এর ছবি

আপনি এতো ভালো লেখেন!

জি.এম.তানিম এর ছবি

দুই পয়সার লেখাটা থেকে আপনার ফ্যান। চড়টা আমি অনুভব করলাম... যাদের করার তারা করলেন কিনা জানা হবে না কখনও...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

সাকিন উল আলম ইভান এর ছবি

শেষ দিকের নাটকীয়তা আশা করেছিলাম কিন্তু এতোখানি নাটকীয়তা দেখে হকচকিয়ে গেলাম আসলেই অসাধারন হয়েছে ভাইয়া।

অম্লান সাহা এর ছবি

এরকম ধাক্কা পাব আসলেই ভাবতে পারিনি। লেখককে ধন্যবাদ মেসেজটি দেয়ার জন্য।

এবিএম এর ছবি

অসাধারন।
একটা ধাক্কার মতন লাগল, কিন্তু আমাদের মত আমজনতাকে ধাক্কা দিয়ে কি লাভ?
অসাধারন লেখাটার জন্য আরিফ জেবতিককে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন আপনি।

নিঃসঙ্গ পৃথিবী এর ছবি

স্তব্ধ। অসাধারণ। চলুক

ওনারা বিলুপ্ত হননি, বাঙালি হয়েছেন, তারপর বাঙালি-অরণ্যে মিশে গেছেন। সেজন্যই খাঁচাগুলো খালি।

অত্যন্ত সত্য কথা বলেছেন প্রকৃতিপ্রেমিক।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।