প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে মুসা ইব্রাহিমের এভারেস্ট জয়ের দাবি নিয়ে কালের নতুন মিডিয়া, নেট জগতে দীর্ঘদিন ধরেই নানা আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে সচলায়তনে প্রকাশিত হিমুর নেভারেস্ট সিরিজটি ইতিমধ্যেই অনেকগুলো প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এ ব্যাপারে মুসার শুভানুধ্যায়ীরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্লগে বিচ্ছিন্ন ভাবে কিছু জবাব দেয়ার চেষ্টা করেছেন বটে, কিন্তু নেভারেস্ট সিরিজের মতো সেগুলো একসঙ্গে সমন্বয় না হওয়ায় এবং তাঁদের সেই বক্তব্যে প্রাসঙ্গিকতার বাইরে নানা ধরনের অপ্রাসঙ্গিক বিষয় থাকায়, নেট পাঠকরা সেই বক্তব্যগুলো থেকে উপকৃত হননি। এ ব্যাপারে আগ্রহী পাঠকরা মুসা ইব্রাহিমের নিজ বক্তব্য অথবা তার পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য আশা করছিলেন।
আশার কথা এই যে, পুরো বিষয়টি নিয়ে মুসা ইব্রাহিম কথা বলবেন বলে তাঁর একজন বন্ধুর পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়েছে। তবে তিনি জানিয়েছেন, এ বিষয়ে নেভারেস্ট সিরিজের অংশ নয়, বক্তব্যটি আলাদা ভাবে উপস্থাপিত হবে, যাতে করে অন্যান্য ব্লগের বিভিন্ন আলোচনায় উঠে আসা প্রসঙ্গগুলোও ঠাঁই পেতে পারে। মুসা ইব্রাহিমের পারিবারিক ব্যস্ততার কারনে এই বক্তব্য প্রকাশে আগে দেরি হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন যে, পুরো নেভারেস্ট সিরিজ শেষ হওয়ার পর উথাপিত সবগুলো বিষয়ে মুসা বক্তব্য জানানোর ব্যবস্থা তিনি করবেন, সিরিজের মাঝপথে কথা বললে তাকে শেষ পর্বে প্রকাশিত বিষয়গুলোর জন্য আবারও নতুন করে কথা বলতে হবে, যার ফলে সিরিজ শেষ হওয়ার পরে কথা বলাটাই এই বিতর্কের অবসানের পক্ষে বেশি সহায়ক হবে বলে তাঁর বিশ্বাস।
বিষয়টি এখনও প্রাথমিক আলাপের পর্যায়ে আছে। যদি মুসা ইব্রাহিম কোনো লিখিত বক্তব্য দেন, তাহলে তা সচলায়তনে প্রকাশ করা হবে ।
অথবা তিনি যদি সাক্ষাতকার দেন, তাহলেও তা হুবহু সচলায়তনে প্রকাশ করা হবে। সাক্ষাতকারটি পুরো সাংবাদিকতার পেশাদারিত্বে সঙ্গে ধারণ করা হবে এবং আশা করা যায় নেট জগতে আলোচিত সব প্রসঙ্গই সেখানে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
মন্তব্য
খুবই দরকারী। মুসার উচিত খোলামেলা কথা বলা। এরকম গৌরবময় একটা ঘটনা (যদি সত্যি হয়ে থাকে) সন্দেহের মোড়কে থাকা ঠিক নয়।
জনাব মোজেসের দুইবার 'মুখ খুললে' সমস্যা কোথায়? তিনি এমন একটা দাবি করবেন যেটার সঙ্গে গোটা ষোলো কোটি মানুষ সরাসরি জড়িয়ে আছে, আর মুখ খোলার ব্যাপারে এতো কিপ্টামী কেনো? বরং মোজেস সাহেবের তো নিজে থেকেই এগিয়ে এসে উত্থিত এইসব প্রশ্নের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া উচিৎ। এটা না করে, "সময় আহুক, দেইখা লমু নি" টাইপের কথাবার্তা বলে তিনি তো নিজেকে আড়ালের কোলেই লুকাতে চাইছেন বলে মনে হচ্ছে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমার কাছে মনে হয়েছে, 'ঠিক আছে, পুরোটা শুনি, তারপর বলছি...' টাইপ। একাধিকবার বলা আর একেবারে বলার মাঝে গুরুত্ব বিচারে কোনো পার্থক্য পাই নি, আমার কাছে মনে হয়েছে, বলাটাই আসল। এজন্য এ নিয়ে আমি কথা বাড়াইনি।
এখানে একটা সম্পূরক প্রশ্ন এসে যায় আরিফ ভাই। নেভারেস্ট সিরিজ লেখা না হলে কি তাহলে মোজেস সাহেব কখনোই মুখ খুলতেন না!
কখনো কখনো মনে হয় তিনি হচ্ছেন খ্যাতির কাঙাল। পাবলিককে সুযোগ দিচ্ছেন তাকে নিয়ে কথা বলার। এতে করে তার খ্যাতি বাড়বে বই কমবে না। যতো আলোচনা, ততো খ্যাতি। কিন্তু তিনি হয়তো চৌকিদারের "আলো চুতমারানি চুপ কর, আমার নাম ফাটুক" গল্পটার কথা ভুলে গেছেন!
আর তার একবার মুখ খোলার পর, সেই সব খোলা ব্যাপার নিয়ে যে প্রশ্ন উঠবে না- তার নিশ্চয়তা কী! তো তখনও কি মুখ খুলতে চাইবেন না দ্বিতীয়বার? নাকি এর পরে আরও এক বছর অপেক্ষা করা লাগবে তার মুখ মোবারক কবে খুলবে এই অপেক্ষায়! এবং সেটাও হবে তারই মর্জিতে! পাবলিক এইখানে ধুনফুন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নেভারেস্ট সিরিজের কারনে মুখ খোলা একধরণের, এবং এমনিতে মুখ খোলা এক ধরনের। এমনিতে তাঁর অভিযানের বক্তব্য তো প্রথম আলোতে প্রতি বুধবার প্রকাশিত হচ্ছেই।
কিন্তু নেভারেস্ট সিরিজের মাঝ দিয়ে পদ্ধতিগত ভাবে বলা হচ্ছে,' ভাই, আপনার বক্তব্যের এই এই অংশ নিয়ে এই এই হিসাব মিলাতে পারছি না'। সুতরাং প্রশ্ন না উঠা পর্যন্ত সেকথার জবাব হয় না। নেভারেস্ট এসেছে বলেই এভারেস্টের আলাপ আসাটার দরকার, নইলে সচলায়তনে ইন্টারভিউ নেয়ার কোনো প্রয়োজন পড়ে না।
তাঁর বক্তব্যের পর সম্পুরক যে প্রশ্ন উঠবে, সেগুলো নিয়েও তাঁর বক্তব্য নিশ্চয়ই আশা করব আমরা। তবে বিষয়টি যদি সাক্ষাতকার হয় ( সেটার সম্ভাবনাই বেশি) সেক্ষেত্রে সম্পুরক প্রশ্ন তাৎক্ষনিক ভাবেই অনেকগুলো আসবে আশা করি, সেগুলোর জবাবও তাই পাওয়া যাবে তাৎক্ষনিক ভাবেই। বাদবাকি প্রশ্নগুলো নিয়ে দ্বিতীয় আলাপ হতে পারে।
তার অভিযানের বক্তব্য প্রকাশ হচ্ছে কই? আসল জায়গায় গিয়ে তো মোজেস সাহেব হাইপার ড্রাইভ, ওয়ার্প ড্রাইভ দিচ্ছেন। বাড়ি থেকে গরম ভাত খেয়ে রওনা দিলেন এভারেস্টে চড়তে। নেপালে গিয়ে এভারেস্টের চকচকে চূড়া দেখে আনন্দে আপ্লুত হয়ে পড়লেন। তিনি এখন এভারেস্টের চূড়ায় বসে বাতাসা খাচ্ছেন। আর এর পরেই তিনি ঠাকুরগাঁওয়ে এক স্কুলে বাচ্চাদের সামনে কথা বলছেন— এই তো আলু পেপারে প্রতি বুধবার প্রকাশিত মোজেস সাহেবের অভিযানের বর্ণনা!
একটু অন্যভাবে চিন্তা করি আরিফ ভাই চলেন। মোজেস যদি এভারেস্টের চূড়া থেকে নেমে নিজেকে কলয়ডাল পরিস্থিতিতে না নিয়ে যেতো তাহলে নেভারেস্ট সিরিজের দরকারই হতো না। বলা যায়, এই লেখাটার তৈরীর পেছনে মোজেস সাহেবের অবদানও কম না।
এখন তিনি যেহেতু সচলায়তনেই সাক্ষাৎকার দিতে রাজী হয়েছেন, তখন আমরা কেনো নেভারেস্ট সিরিজের জন্য অপেক্ষা করবো। তিনি কেনো নেভারেস্ট সিরিজের লেখককেই সাক্ষাৎকারে রাখছেন না। তাহলে তো লেখক পরের পর্ব গুলোতে যে যে প্রশ্নের অবতারনা করতে পারেন, সেগুলো সাক্ষাৎকারেই তুলে ধরতে পারেন। আর মোজেস যেহেতু রাজী আছেন নেভারেস্টের প্রশ্নের যুক্তি খণ্ডানোর, এক্ষেত্রেও তো তার অনীহা থাকার কথা না! এতে করে তো তিনটা লাভ হয়।
এক. মোজেস সাহেব অযথা 'হেনস্থা' থেকে রক্ষা পান।
দুই. নেভারেস্ট সিরিজের লেখকের অনেক সময় আর খাটুনি বেঁচে যায়।
আর
তিন. ম্যাঙ্গো পিপোল আরও বছরখানেক অপেক্ষা না করেই একবাক্যে মোজেসকে প্রথম বাংলাদেশী এভারেস্টজয়ী হিসেবে মেনে নেয়।
মোজেস এটা না করে নেভারেস্ট সিরিজ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন, উত্তর সাজাবেন ইত্যাদি। কিন্তু কেনো?
আমি আপনাকে এক কলমে লিখে দেই আরিফ ভাই। মুসার থেকে আপনি কোনো উত্তর বের করতে পারবেন না। সে যেটা করবে তা হলো, ইনিয়ে বিনিয়ে তাকে অপমান করা হইছে, এই করা হইছে, সেই করা হইছে, এইসব ফাজুলকি বাত করবে। কারণ তার যদি আসলেই সৎ উদ্দেশ্য থেকে থাকে সাক্ষাৎকার নিয়ে, তাহলে সে এটা এখনি করতে পারে। কোনো কিছুর জন্য অপেক্ষা না করেই।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুগো, উনি যে, কথা শেষ পযর্ন্ত বলতে রাজী হয়েছেন সেটা নিয়ে আমি খানিকটা খুশি, দেখাই যাক। এটা খঅনিকটা সাহসের বিষয় বৈকি!
আমরা আসলটা জানতে চাই। সেটা উনি খানিকটা প্রস্তুতি নিয়ে বলতে চাইছেন। কখনও কখনও এমন হয় যে, সত্যি কথাও ঠিকঠাক মতন কইতে না পারলে সেটা হালে পানি পায় না।
হিমু যেভাবে গুছিয়ে লিখেছে, উনিও গুছিয়েই জবাব দিন। সমস্যা নাই।
কথা হচ্ছে, যখন কেউ দাবী করবেন যে, 'এইটা হইছে', তখন প্রমানের দায় তারই ওপর বর্তায়। অপ্রমানের দায় কেউই সেধে নিত না যদি মুসা সহজ এবং যুগোপযোগী প্রমান দাখিল করতেন। সেটা না করে ইতিমধ্যেই পানি অনেক ফেনিয়েছে।
আমি মনে করি না ওনার বক্তব্যের সাথে 'অকাট্য প্রমান' না থাকলে সেই কথা কেউ গিলবে। সুতরাং 'কথা' বলার অথর্টা আমি অন্ততঃ ব্যপক অর্থেই নিচ্ছি। শুকনা কথামালা নিয়ে হাজির হবার এরাদা থাকলে এখুনি সতকর্ করা দরকার যে, সেই সব ইতিমধ্যে হয়ে গেছে।
নেভারেস্ট সিরিজ শেষ হওয়ার পর মুসা তার বক্তব্য দিবেন কেন, এখন দিতে সমস্যা কি ? নাকি হিমু'র নেভারেস্ট শেষ পর্বের আগে নিজের বক্তব্য দিয়ে ( যেখানে বেফাঁস অনেক কিছূ থাকতে পারে ) দিয়ে ধরা খেতে চান না বলে শেষ পর্বের জন্য অপেক্ষা করছেন !
অথবা আরেকটা বিষয় হতে পারে, নেভারেস্ট শেষ পর্ব শেষ হওয়ার আগেই তিনি একবার এভারেস্ট ঘুরে আসবেন ?
ভাই মুসা, আপনি যদি এভারেস্টে সত্যিই গিয়ে থাকেন তবে একজন বাংলাদেশী হিসেবে আপনাকে নিয়ে আজীবন গর্ব করবো। যে মানুষ এভারেস্টে যেতে পারে তার হিমুকে একটা সাক্ষাৎকার দিতে ভয় কিসের, বসেন একদিন হিমু'র সাথে, এভারেস্ট সবকিছু খোলামেলা আলাপ করেন, আমাদের সন্দেহও দুর হয়ে যাক।
যদি সন্দেহ দুর করতে না পারেন, তাহলে আপনার ছেলে বড় হচ্ছে, কিছুদিন পর সে স্কুলে যাবে, তখন কেউ তাকে বলবে সে এভারেস্ট জয়ীর সন্তান, আবার কেউ বলবে জাতির সাথে বেঈমানী করা এক মিথ্যুকের সন্তান, বিষয়টা আপনাকে পরিস্কার করতে হবে, নাহলে আমাদের মতো একদিন আপনি আপনার পরিচিত মহলেও ছোট হবেন বারবার, আপনার নিষ্পাপ সন্তানকে আপনার জন্য ছোট হতে হবে হয়তো।
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
একটা ব্যাপার বুঝলাম না। প্রশ্নাতীত প্রমাণ থেকে থাকলে তা এখনই দেখাতে অসুবিধে কোথায়? প্রমাণ দেখিয়ে দিলে নেভারেস্টের পরবর্তী পর্বের কোনো প্রয়োজনীয়তাই থাকবে না, এবং হিমু তা লিখলেও কেউ আর পড়তে যাবে না।
সুযোগ থাকলে মুসাকে প্লিজ কথাটা পৌঁছে দিন: প্রমাণ থাকলে এখনই দেখিয়ে দিন। নেভারেস্টের জন্য অপেক্ষা কতে হবে কেন, যখন তিনি এক লহমায় থামিয়ে দিতে পারেন সব প্রশ্ন?
মুসার এই অবস্থান তাঁর সাফল্য বিষয়ে সংশয় আরো বাড়িয়েই দিলো।
নেভারেস্ট শেষ হওয়ার পরে কেন? ততদিনে তো উনার এভারেস্ট জয়ের বয়স আরো বেড়ে যাবে। আর কালক্ষেপণকে অস্ত্র করে সচলে সুবিধা হবার সম্ভাবনা শুণ্যের কাছাকাছি।
আমরা সবাই বিশ্বাস করতে চাই মুসা সাহেব এভারেস্ট জয় করেছেন। আমাদের এই চাওয়াকে সন্মাণ করে ভদ্রলোকের এখনই মুখ খোলা প্রয়োজন।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
এত নাটকের কি আছে? মুসার যদি কোন প্রমান থাকে উনি এখন কেন দিচ্ছেন না? কেন তিনি নেভারেস্ট শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। উনাকে যথেষ্ঠ সময় দেওয়া হয়েছে। কিছু থাকলে উনার জানানো উচিত আর অপেক্ষা না করে। এটাই আমজনতার দাবি। আলু-খালুর পিছন থেকে উনাকে সামনে আসতে বলেন।
এই তেনা পেচানো আর ভালো লাগে না। ভাই আপনারা কেউ নেপাল যাবেন না? গেলে একটু খোঁজ নিলেই তো ব্যাপারটা পরিস্কার হয়ে যায়। আমার পরিচিত এক পর্বতারোহী এবং তার কিছু সাথীদের সাথে কথা বলে যা বুঝলাম, অদম্য রোখ, অফুরন্ত অর্থ আর সম্পূর্ণ সহায়তাকারী দল থাকলে এই সময়ের মধ্যে এভারেস্ট অর্জন তাত্ত্বিকভাবে সম্ভব। হতেই পারে আমার পরিচিত স্ক্যান্ডিনেভিয়ান পর্বতারোহীদের চেয়ে আমাদের দেশের সোনার ছেলে মূসা অনেক বেশী সক্ষম। আর তাই হলে ব্যাপারটা নিয়ে এত ঢাক গুড়গুড় কেন?
অমিত্রাক্ষর
অমিত্রাক্ষর@জিমেইল ডট কম
নেপালে কোথায় কার কাছে যেতে হবে আপনি বলে দেন ভাই। আপনার তো কিছু ভাল্লাগে না, আমরা খুব টেনশনে পড়ে গেছি এটা নিয়ে। বলেন ভাই, আজকেই টিকেট কাটতেসি। বলেন না বলেন না।
ভাই চ্যাতেন কেন?
চারপাশে প্রচুর আলোচনা কিন্তু কোন সমাধান নাই। উনার পদক্ষেপগুলি যাচাই করলেই উত্তরগুলো বের হয়ে আসবে।
অমিত্রাক্ষর
অমিত্রাক্ষর@জিমেইল ডট কম
ভালো খবরটা হচ্ছে, অন্ততঃ মুখ খুলতে মুসা ইব্রাহিম রাজি হয়েছেন...
খারাপ খবরটা হলো, নেভারেস্ট সিরিজ শেষ হবার পরে সাক্ষাৎকার প্রদানের প্রতিশ্রুতি তাকে প্রশ্নবিদ্ধই করলো আরেকবার। কারণ, সুস্পষ্ট প্রমাণ তিনি সাক্ষাৎকারেই দেখাতে পারলে নেভারেস্ট সিরিজের প্রয়োজন হয় না। বরং ধারণা পোক্ত হয় যে, "দেখি আগে সন্দেহধারীরা কী কী ফাঁকফোঁকর ধরে, তারপর সেগুলা বন্ধ করবো"- এই জাতীয় মত তিনি পোষণ করেন। প্রথম আলো পত্রিকায় তার সিরিজটির বিষয়বস্তু হঠাৎ পালটে যাবার কারণে এই ধারণাই মনে গেড়ে বসছে।
_________________________________________
সেরিওজা
আসলে সচলে সাক্ষাৎকার দেয়া-না দেয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা মুসার থাকার দরকার নেই। সে এভারেস্টে চড়ার প্রমাণ তার এভারেস্ট চড়ার দাবির সময়েই দেয়া উচিত ছিলো। এই নেন ভিডিও, এই নেন ছবি, এই আমি মুসা এভারেস্টের চুড়ায় - সহজ হিসাব।
এটা না করে অহেতুক ছবি আসতেছে, সাক্ষাৎকার আসতেছে এই ত্যানা প্যাচানির জন্য স্রেফ থাপড়ানির কাম, সে এভারেস্টে উঠুক আর না উঠুক।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
স্বাগত জানাচ্ছি ও অপেক্ষায় রইলাম। উনার বক্তব্য আসাটা খুব জরুরী।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপাতত মুসাকে স্বাগতম জানাই। বক্তব্য জানার পর সিদ্ধান্তে পৌছানো যাবে।
স্বয়ং মুসা নবীকে যেখানে নিজের নবীত্ব প্রমাণ করতে হয়েছিল সেখানে পর্বতারোহী মুসা কোন যুক্তিতে কোন প্রমাণ ছাড়াই এভারেস্ট জয়ী প্রথম বাংলাদেশির মর্যাদা লাভের দাবিদার হতে চান?
দুয়েকটা লাঠিকে সাপ বানিয়ে দেখাতে পারার পরই আসে বিশ্বাসের প্রশ্ন।
পর্বতে উঠলেন মুসা ইব্রাহীম। তার দাবিকে প্রমাণ করার দায়িত্বও নিশ্চয়ই তার উপরেই বর্তায়। তাই নেভারেস্ট লেখা শেষ হবার পর তার যুক্তি উত্থাপনের কারণটা বুঝতে পারলাম না। হিসাব অনুযায়ী তারই প্রথমে প্রমাণ হাজির করার কথা।
তিনি যদি এভারেস্ট জয়ের স্বপক্ষে অকাট্য প্রমাণ হাজির করতে পারেন তাহলে নেভারেস্টের পরের পর্বগুলো লেখার কোন প্রয়োজন পড়ে না। তাই নেভারেস্ট লেখা শেষ হবার পর তার বক্তব্য উপস্থাপনের পেছনে কোন জোরালো যুক্তি দেখতে পেলাম না।
ধরে নিলাম তৃতীয় পর্বের মাধ্যমে নেভারেস্টের সমাপ্তি ঘটল। তখন মুসা ইব্রাহীম তার প্রমাণগুলো হাজির করলেন। সে প্রমাণগুলো যদি বিশ্বাসযোগ্য না হয় তাহলে কি নেভারেস্টের নতুন পর্ব লেখা যাবে না? যুক্তিটা একটু চিন্তা করলেই বোঝা যাচ্ছে মুসা ইব্রাহীমের অকাট্য প্রমাণ হাজিরের সাথে নেভারেস্ট শেষ হবার সাথে তেমন কোন সম্পর্ক নাই। নেভারেস্ট সিরিজটা যখন খুশি পুনরুজ্জীবিত করা কোন সমস্যা হবার কথা না।
আমার ধারণা মুসা ইব্রাহীমের আসল উদ্দেশ্য কালক্ষেপণ করা। কারণ ইতিমধ্যেই মিডিয়াতে মুসা ইব্রাহীমকে কোনরূপ যুক্তিতর্ক ছাড়াই প্রথম এভারেস্ট জয়ী বাংলাদেশি হিসাবে মেনে নেয়া হয়েছে। নেতা-নেত্রীরাও পিছিয়ে পড়েন ভয়ে মুসাকে অভিনন্দন জানানোর কাজ সেরে ফেলেছেন। এখন কিছুদিন ঘাপটি মেরে পড়ে থেকে নভেম্বরের শেষ দিকে ক্যাম্পের আশেপাশে তোলা শ'খানেক ছবি হাজির করবেন। যে ছবিগুলো দেখে বোঝা যাবে না এভারেস্টে তোলা নাকি ছাগলনাইয়ায় তোলা। আমজনতা সেগুলো দেখেই আনন্দে গড়াগড়ি দিয়ে মুসাকে কোলে তুলে নাচবে। তারপর নতুন বছরের শুরুতে নতুন পাঠ্যসূচিতে মুসার জীবনী অন্তর্ভুক্ত হবে প্রথম এভারেস্ট জয়ী বাংলাদেশি হিসাবে।
একবার পাঠ্যপুস্তকে ঢুকে যেতে পারলে প্রমাণ হাজির করার ঝামেলা শেষ। সেটা সংশোধন করা আর হয়ে উঠবে না। এভাবেই নতুন প্রজন্ম জানবে মুসা ইব্রাহীম প্রথম এভারেস্ট জয়ী বাংলাদেশি।
আফসোস। সারা বাংলাদেশ চষে একজন সাংবাদিককেও খুঁজে পাওয়া গেল না যিনি মুসা ইব্রাহীমের দাবীর সত্য মিথ্যা প্রমাণের গুরুত্ব অনুধাবন করেন। বাংলাদেশের সংবাদকর্মীদের বুদ্ধিমত্তার উপর আস্থা চক্রবৃদ্ধিহারে কমছে।
মুসা ইব্রাহীমের দাবিটা সত্য হলে মেনে নিতে কোন সমস্যা দেখি না। কিন্তু কোন অকাট্য প্রমাণ ছাড়া যেখানে স্রষ্টার অস্তিত্ব মানতে দ্বিধা হয় সেখানে মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয়ের দাবী মানার যুক্তিটা কোথায়?
কাকস্য পরিবেদনা
মুসা ভাই যদি জানতো যে এভারেস্ট জয় করা পর তারে এই রকম মাইনক্যা চিপায় পড়তে হবে, তাইলে মনে হয় নেপালের দিকে মুখ কইরা খাড়ানোর আগেও তিনবার চিন্তা করতো!
---থাবা বাবা!
মুসা এভারেস্ট জয় করিছে নাকি?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এটা হলো মূসা ভাইজানের ধারনা!
---থাবা বাবা!
ইতিবাচক খবর।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
এট মুসাঃ হিমালয় জয় করতে চাস পামর? তোকে হিমুর উপর দিয়াই পার হইতে হইবে!
এট জনগণঃ মুসা প্রমাণ দিতে পারলে ব্লগার হিমুকে বাইতুল মুকাররমের খতিবের পা ধরে কান্নাকাটি করে মাফ চাইতে হবে... নচেৎ ব্লগার হিমুর ফাঁসি চাই!
দুইদিকেই মজা মারার আশায় গ্যালারিতে বসলাম হেহে...
নেভারেস্ট: পর্ব ০ পড়লে হিমুর উদ্দেশ্য সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা পাওয়া যাবে। তবুও আমি একটু কোট করছি:
অত কিছু জানি না, কারো একজনের ফাঁসি চাই!
সাবিহই সেই একজন। পোলাটার গলা বড় আছে।
আরি তাইতো! সাবিহ ওমরের ফাঁসি চাই!!!
খুবই সস্তা ট্রিক।
প্রথমত, নেভারেস্ট সিরিজের লেখক নিজেই মুসার সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। সেই কথোপকথনের বিবরণ অচিরেই আসছে। মুসা ইব্রাহীম পরিষ্কারভাবে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন লেখকের সাথে কথা বলতে। এখন তিনি সাক্ষাৎকার দিতে চান এমন কারো কাছে, যার কাছে তাকে নিয়ে তদন্তের অনেক তথ্য নাই। সাক্ষাৎকার যিনি নেবেন, তিনি কী প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবেন? তিনি কি জানেন, ফাঁকগুলো কোথায়? জানেন না। কাজেই প্রশ্নগুলো সেই চিরাচরিত প্রেস কনফারেন্সের প্রশ্নের মতো হবার সম্ভাবনা প্রবল।
এই ফাঁকগুলো নেভারেস্ট সিরিজের লেখক লিখে ধরিয়ে দেবেন, তারপর সেই ফাঁক নিয়ে কোনো সাংবাদিক, যারা এই চার মাসে কোনো খোঁজখবর করেনি, একটা দায়সারা সাক্ষাৎকার নেবে মুসা ইব্রাহীমের চামড়া বাঁচানোর জন্যে। সেই ফাঁক ভরাট করে মুসা বাইন মাছের মতো পিছলে নানা হাবিজাবি স্টেটমেন্ট দিয়ে যাবে। এ-ই হচ্ছে পরিকল্পনা, আর এতে মুসার কমপ্লিসিট হিসেবে আসবেন কোনো সাংবাদিক মহাশয়।
নেভারেস্ট সিরিজের লেখকের কাছে মুসার এখন সাক্ষাৎকার দিতে সমস্যা কোথায়? কারণ মুসা এখনও জানেন না, কী প্রশ্ন করা হতে পারে। প্রশ্নপত্র সম্পর্কে ধারণা না থাকলে তিনি সাক্ষাৎকার দেবেন না, এটা হচ্ছে তার আসল ইরাদা।
মুসা সত্যি যদি এভারেস্ট জয় করে থাকতো, তাহলে সাক্ষাৎকার উঠতে-বসতে দিতে পারতো। তাই এই ঃসিরিজ শেষ হলে একবারে মুখ খোলা"র ব্যাপারটার প্রতি চরম অশ্রদ্ধা জানিয়ে গেলাম, আর এতে শামিল হওয়ার আগ্রহের জন্যে বিস্ময় প্রকাশ করে গেলাম আরিফ জেবতিকের প্রতি।
মুসার সাহস থাকলে স্কাইপে এসে আমাকে সাক্ষাৎকার দিক।
জেবতিক ভাই যে বললেন
এই পোস্টের ৫৫ নম্বর মন্তব্য দ্রষ্টব্য।
নেভারেস্ট সিরিজ শেষ হবার পর সাক্ষাৎকার দেয়ার মানে হচ্ছে প্রশ্নের মুখোমুখি না হওয়া। কোথাও শুনেছেন, তদন্তের রিপোর্ট জনসমক্ষে প্রকাশ করার পরে অভিযুক্তকে জেরা করা হয়?
আরিফ ভাই, পেশাদারি সাংবাদিকতা থেকে যে এই বিবেচনাগুলো লোপ পেয়েছে, আবারও স্পষ্ট করার জন্যে ধন্যবাদ।
দেখা যাক কী হয়, উনি কখন সাক্ষাতকার দিতে রাজী হন। আশা করি উনি এখনই সাক্ষাতকার দিতে রাজী হবেন। ওনার ভয়ের কী আছে আমি বুঝতে পারিনা।
মুসা,
আপনার দাবীর পক্ষের লোকজনের সংখ্যাই কিন্তু বেশী। আপনি সাক্ষাতকার দিতে রাজী হয়েছেন জেনে আমি (উপরের মন্তব্যেও বলেছি) অত্যন্ত আশাবাদী যে বিষয়টা থেকে সকল সন্দেহ দূর হবে।
এই কথার পক্ষে আপনার কাছে কোনো পরিসংখ্যান আছে? আর এমনে লোকজন আর যুক্তিশীল লোকজনের মধ্যে ফারাক অনেক।
-----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
এটার জন্য পরিসংখ্যানের দরকার হবে বলে মনে হয় না ভাই। চারপাশে দেখলেই বোঝা যায়। তবে হ্যাঁ, এমন লোকজন আর যুক্তিশীল লোকজনের মধ্যে ফারাক আছে।
বিবেচনা লোপ পায় নি। সংবাদ প্রকাশের সময় সাংবাদিক ( এখানে নেভারেস্টের লেখক) সংবাদের একটি পক্ষ ( মুসা) র সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, কিন্তু তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। সুতরাং সংবাদ প্রকাশিত হবে, 'মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন' কোট করেই।
সংবাদ প্রকাশের পর তিনি যদি 'প্রতিবাদপত্র' পাঠান ( এক্ষেত্রে মুসার বক্তব্য) তাহলে সেটিও প্রকাশ করা সংবাদপত্রের ( এখানে মিডিয়া বলতে সচলায়তন) উচিত।
খুব ভালো কথা। কিন্তু এটা ধরেই নেয়া হচ্ছে কেন যে মুসার উত্তর দেবার পরে কোনো প্রশ্ন থাকবে না কারো? "পোস্ট-সাক্ষাৎকার নেভারেস্ট" তো আসতেই পারে!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
পোস্ট-সাক্ষাৎকার নেভারেস্ট অবশ্যই আসতে পারে মুর্শেদ। আসতে পারে এরকম আরও দশটা সিরিজ। কিন্তু ব্যাপারটা ওখানে না। মূল ব্যাপারটা হলো টাইম কিলিং! সে সময়ের হিলিং ক্ষমতার উপর নির্ভর করে আছে, এইটা কেনো ধরতে পারছো না।
মোজেস কন্ডিশনাল সাক্ষাৎকারে কেনো রাজী হবে? সে কি সাক্ষাৎকার দিয়ে আম-পাবলিককে উদ্ধার করতে চায়? দায়টা তো পাবলিকের না, দায়টা তার।
মোজেসের ভাই-বেরাদর এসে মানহানীর ডর দেখায়ে যায়। আরে, মানহানী তো আগে হবে মোজেস এন্ড গং এর বিরুদ্ধে। গোটা বাংলাদেশের মানুষকে মিনিমাম ছয় মাস যাবৎ একটা ভুগিচুগি দিয়ে রাখার জন্য। আর আমি করবো ওর বিরুদ্ধে আমার সময় খাওয়ার মামলা। ও এভারেস্টের প্যাটের প্যাটের না করলে আমাকে আমার সময়, শক্তি অপচয় করে এইটা নিয়ে মন্তব্যের পর মন্তব্য দিতে হতো না।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কেন ভাই আপনি খামাখা সময় নষ্ট করতে গেলেন??মূসা কি আপ্নারে বলসে আমি পাহাড়ে উঠসি এইটা তুমারে মান্তেই হবে??
আপনের যতখন তার against কোনো শক্ত প্রমান হাজির করতে না পারেন, ততটুকু সময় কিন্তু আপনি তারে অপরাধী বলতে পারেননা-কিন্তু আপনারা অইসব এর তোয়াক্কা না করে ঠিকই কিন্তু তার নাম 'মোজেস' রাখা থেকে শুরু করে চোর বাটপার অনেক কিছুই বললেন-আরে ভাই আগে আপ্নে প্রমান দেন, তারপরে সবকিছু বলেন, যা খুশি-
আরেকটা বেপার, আপনেরা interview এর টাইমিং নিয়া এতো লাগসেন কেন? সে যদি চিট করে, তা হইলে এখন হইলেও ধরা যাবে, যদি আপনাদের হাতে প্রমান থাকে, আবার চাইলে পরেও ধরা যাবে-
আর যদি মনে করেন, আপনাদের এইসব লজিক গুলা সব time variant তাইলে আর কিছু বলার নাই বস-
if you don't have that much confident on your logic and stand, then i think the whole series was worthless. because you are saying Musa have a very strong backup, and again you are accusing him with very weak logic??
দুনিয়াতে সব কিছুই টাইম ভ্যারিয়্যান্ট। লজিক সময়ের সাথে পাল্টায় না, সময়ের সাথে পাল্টায় সেই লজিকের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি। মুসার তো প্রস্তুতির প্রয়োজন হবার কথা নয়, যদি সে সত্যই এভারেস্ট জয় করে থাকে।
আর আপনার কথামতো, যদি টাইম কোনো ফ্যাক্টরই না হয়, মুসার এখন সাক্ষাৎকার দিতে সমস্যা কোথায়?
মানুষ মনে মনে কী মানে, সেটা গৌণ হয়ে যায় প্রাতিষ্ঠানিকতার চাপে। এ কারণেই ভাষা আন্দোলন করে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি নিতে হয়। মুসার কালক্ষেপণ তো প্রশ্নের উত্তর দেবার জন্যে নয়, ঐ প্রাতিষ্ঠানিকতার চাপ তৈরি করার জন্যে। এ কথা আপনি যেমন জানেন, আমিও জানি।
হিমু ভাই, একটা জিনিষ দেখেন, সেটা হলো, আজকে আপনি সচলে তার summit নিয়ে কিছু প্রশ্ন করলেন, কালকে ধরেন সামুতে আরেক জন অন্য angle থেকে কিছু প্রশ্ন তুল্লো, এখন সে যদি সবাইকে interview দিতে যায়, তা হলেতো তার অন্য কিছু করারই সময় থাকবেনা- তাই তার পরে interview দেয়ার ইচ্ছাতে তেমন দোষ দেখিনা-
কিন্তু সে কেনো আপনাকে interview দেবে না এটা আমি বুঝতে পারছিনা-ধরেন আপনি কারো claim e কোনো question করছেন, তা হলে, তাকে question er জন্য আপ্নিই সবচাইতে ভালো লোক হবার কথা, কারন perspective and angles গুলো আপনার চিন্তা করা, অন্য কেউ সেভাবে চিন্তা নাও করতে পারে- মুসা আমার মনে হয়, আপনাকে interview দেবার কথা ভাবতে পারে, নয়তো পরে আবার
'খারাপ(!)' লোকেরা প্রশ্ন তুলতে পারে
রাজিব সাহেব, মুসাকে আমরা দেশ টিভিতে সাক্ষাৎকার দিতে দেখেছি, চ্যানেল আইতে সাক্ষাৎকার দিতে দেখেছি, ময়মনসিংহে সস্ত্রীক নাগরিক সংবর্ধনা নিতে দেখেছি, রবীন্দ্র সরোবরে গলাবাজি করতে দেখেছি, আরো দশ বারোটা অনুষ্ঠানে নানা বিষয়ে বক্তব্য দিতে দেখেছি, সপ্তাহে সপ্তাহে নানা জোড়াতালি দেয়া আর্টিকেল লিখতে দেখছি। ঐসবের পেছনে যদি মুসা সময় দিতে পারে, তাহলে খুব মৌলিক কিছু প্রশ্নের মুখোমুখি হবার সময়ও সে বের করে নিতে পারবে।
কোন অ্যাঙ্গলকে গুরুত্ব দিতে হয়, আর কোন অ্যাঙ্গলকে গুরুত্ব দিতে হয় না, সেই কাণ্ডজ্ঞান মুসার আছে। আছে বলেই সে আমার উত্থাপিত প্রশ্নের উত্তর দেয়ার প্রয়োজন বোধ করছে, আর সেজন্যে ইয়ারদোস্তো মারফত খুঁজে বের করেছে আরিফ জেবতিককে। কেন আমাকে সে এত ভয় পাচ্ছে আর আরিফ ভায়ের ওপর তার এত ভরসা, সে প্রশ্নের উত্তর ভবিষ্যতে হাতের কাজ শেষ করে খুঁজবো।
সে কেন আমাকে ইন্টারভিউ দেবে না, তা আমিও বুঝতে পারিনি তাকে ফোন দেয়ার পর। আসবে সে আলাপের কথা, সামনে কোনো প্রায়নেভারেস্ট পোস্টে।
রাজিব সাহেব, আপনি বিষয়টার মূল রেখে কেনো ডাল-পালায় কোপাচ্ছেন বলেন তো!
এখানে কেউ প্রশ্ন তুললো নাকি সামুতে তুললো নাকি ব্লগস্পটে তুললো, সেটা কেনো বিচার্য হতে যাবে? কেনো আপনি এইটা মাথায় আনছেন না যে এইসব প্রশ্ন তোলার পেছনে সরাসরি মোজেস সাহেবের ইন্ধন রয়েছে! সে যদি নভেম্বরের ফটুক প্রদর্শনী জুনেই সেরে ফেলতো তবে তো আর নেভারেস্ট সিরিজেরই দরকার পড়তো না। তাহলে তো আর এই পোস্ট, ইন্টারভিউ এবং মোজেস সাহেবের হয়ে আপনার ওকালতি, কোনো কিছুরই জন্ম হতো না!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তার against এ শক্ত প্রমাণ হাজির তো পরের কথা। আগে বলেন সে যে দাবী করতেছে সেইটার প্রমাণ দিতে ছয়মাস চলে যাওয়ার পরেও ব্যর্থ কেনো?
তারে যা খুশি বলার আপনি বলেন গিয়ে। সাথে এটাও বলেন যে এভারেস্ট জয়ের সাট্টিফিকেট এনে তার ড্রয়িংরুমে সাজিয়ে রাখলে কেউ তাকে কোনো কিছু জিজ্ঞেসও করতো না। বরং এইটা নিয়ে তার ওস্তাদ জেমস আনিসাইল জিরো জিরো আলু-কে দিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া সেই কাহিনি ছড়িয়ে, এখানে সেখানে সংবর্ধনা নিয়ে, পাঁচ লাখা টাকা দাবী করে, দাঁত কেলিয়ে 'ভি' মেরে ফটুক তুলে, সেই ফটুক আম-পাবলিকের নাকের ডগায় পাঠিয়ে "আমি-ই বাংলাদেশের প্রথম এভারেস্ট জয়ী" বলে হাদুমপাদুম করতে থাকলে রাজীব আর স্টিক-সর্বস্ব সাংবাদিকরা সেটা মেনে নিতে পারে। কিন্তু সবাই তো রাজিব না। কেউ কেউ সাধারণ মানুষ। তারাই মোজেসকে প্রশ্ন করবে চোখের সামনে কেবল কথার ফুলঝুরি দেখে।
ইন্টারভিউয়ের টাইমিং নিয়া লাগছে কারণ আপনের মক্কেল হযরত মোজেস এব্রাহিমোভিচ এর মতো বাকি সবার এতো ফ্রি টাইম নাই যে এইখানে ঐখানে দৌঁড়ায়া তার সংবর্ধনায় মাইক এগিয়ে ধরবে। রাঁধা যদি নাচতেই চায় তাইলে নয় মণ ঘি মাখানোর কী দরকার? ঘি এর দাম বহুত বাড়তি। বরং রাঁধা এখনই নাচুক। এতে বারই উপকার। আপনারও। বহুত তো পকপক করলেন মোজেস এর হয়ে।
আর বলছিলেন না আমি কেনো খামাখা সময় নষ্ট করতে গেলাম? সময়টা পুরোটাই নষ্ট হয়েছে মোজেস এর ওকালতি করতে আসা উকিলদের পেছনে। স্বয়ং মোজেস আসলেও বোধকরি এতো কথা ক্ষয় করতে হতো না।
আরেকটা কথা, আপনে এতো আংরেজী মারান ক্যান বস? বাংলায় কথা কইতে/লিখতে কি চাপা ব্যাথা করে?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এইখানে আমার কোনো বক্তব্য নাই। মুসা কেন নেভারেস্ট সিরিজের পরে বক্তব্য দিবেন কিংবা কেন নেভারেস্টের লেখককে সাক্ষাতকার দিবেন কি দিবেন না, এ নিয়ে আমার পক্ষ থেকে কোনো কথা নেই।
এখানে পরিস্কার করে বলতে চাই যে, মুসার কয়েকজন বন্ধুবান্ধব আমার পূর্বপরিচিত হলেও মুসা আমার পূর্বপরিচিত নন, ফেসবুক বন্ধু হিসেবে আরো প্রায় হাজারখানেক পরিচিত অপরিচিত মানুষের মতোই তার নাম থাকলেও, মুসার সঙ্গে আমার আগে কখনো যোগাযোগ হওয়ার সুযোগ হয় নি। নেভারেস্ট সিরিজটি পড়ার আগে, এ ব্যাপারে আমার তেমন কোনো আগ্রহও জন্মায়নি।
নেভারেস্ট সিরিজ একটি আলোচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ, নেভারেস্ট লেখা শুরু হওয়ার পরে মুসার বন্ধুবান্ধব যারা বিভিন্ন ব্লগে বক্তব্য দিচ্ছেন তাদের বক্তব্য আমার কাছে পরিস্কার হয়নি। এই প্রেক্ষিতে আমি গতকাল প্রায়নেভারেস্ট পোস্টে একটা মন্তব্য করার পর, মুসার একজন বন্ধু আজকে ফোন করেছিলেন।
সেই সূত্র ধরে আমি বলছি, ভাই, এইটা নিয়া হ্যা হোক, না হোক, একটা কথা বলা উচিত। এমনকি মুসা যদি বলেন যে আমি উঠছি তো উঠছি, কোনো প্রমান দিব না, তাও বলে দিতে পারেন। কিন্তু মূল কথা না বলে এখানে ওখানে বিকল্প কথাবার্তা বলার কোনো মানে হয় না। মানুষ স্পেসিফিক কিছু পয়েন্টে সংশয় প্রকাশ করছে। যেখানে অন্যলোক কুড়ি দিনে যায়, সেখানে ১২ দিনে কেমনে গেলেন এই প্রশ্ন থেকে একেবারে চূড়া পর্যন্ত ধাপে ধাপে প্রশ্ন আছে।
তারপরে তিনি আমাকে বলেন, ঠিক আছে তাইলে নেভারেস্ট শেষ হওয়ার পরে কী কী প্রশ্ন উঠেছে, সেটা দেখে নিয়ে মুসার সঙ্গে আলাপ করে জবাব জানাবেন। আলাপের এই পর্যায়ে জবাব জানানোর পদ্ধতি হিসেবে আমি কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছি মাত্র। এর মাঝে আছে সচলে বা অন্য কোথাও লিখে জবাব দেয়া অথবা সাক্ষাতকার ( লিখিত অথবা অডিও ভিডিও যেকোনো মাধ্যম)। আমি সাক্ষাতকারের দিকে জোর দিচ্ছি, যাতে করে সম্পুরক প্রশ্নগুলোও আলোচিত হতে পারে। সাক্ষাতকার গ্রহীতাদের দলে আমি নিজে থাকার আগ্রহও প্রকাশ করেছি বটে, সেটা আমার নিজস্ব কৌতুহল মাত্র, এর বেশি কিছু নয়।
পদ্ধতি হিসেবে এই সাক্ষাতকার পোস্ট হিসেবেও আসার একটি প্রস্তাব আমি দিয়েছি, যাতে মন্তব্যে পাঠকরা প্রশ্ন করতে পারবেন এবং পাল্টা মন্তব্যে জবাবগুলো আসবে। সেক্ষেত্রে টেকিনিক্যাল নন টেকনিক্যাল সবাইই প্রশ্ন করতে পারবেন।
এই পোস্ট দেয়ার উদ্দেশ্য সচলের পাঠকদের জানানো যে মুসা ইব্রাহিম প্রসঙ্গে এতটুকুই কথা হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে এই খবরটিও প্রকাশযোগ্য।
বাকিটা বিবেচনার ভার সচল পাঠকদের।
সচল পাঠকদের যদি মনে হয় এটি মুসা ইব্রাহিমের একটা কৌশল, ট্রিক, বা নেভারেস্ট শেষ হওয়ার পরে মুসার কথা শোনার দরকার নেই বা অন্যকিছু ...সেক্ষেত্রে এই উদ্যোগের সঙ্গে শামিল হওয়ার আগ্রহ আমি সানন্দে প্রত্যাহার করব।
নেভারেস্ট সিরিজের লেখকও যদি মনে করেন যে মুসার বক্তব্য প্রকাশের বিষয়ে কথা বলাটি অনধিকার চর্চা হচ্ছে, আমি তাঁর বক্তব্যকে সাদরে গ্রহন করে এই উদ্যোগ থেকে শত সহস্ত্র হস্ত দূরে থাকব।
অনধিকার চর্চার চেয়ে গুরুতরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে চর্চার মেথড। মুসা ইব্রাহীমকে শুধু কথা বললেই হবে না, বলতে হবে সময়মতো। তিনি বসে বসে নোট করবেন কী কী ফাঁক ধরা হয়েছে, তারপর সেগুলোকে ভরাট করে এসে বাণী দেবেন, সেটা বড়জোর আন্তর্জাতিক মশামারা দিবসে প্রাণীসম্পদমন্ত্রীর বাণীর মতো হতে পারে, তাকে সাক্ষাৎকার বলা যায় না।
আরিফ ভাই, দুনিয়ার সবাইকে খুশি করা যায় না। আর কেউ খুশি না হতে চাইলে তাকে খুশি করা তো আরো মুশকিল। আপনার এই লেখা থেকে আমি অন্তত আশাবাদী যে মুসার কাছ থেকে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর উঠে আসবে, যে প্রশ্নগুলো তার অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তার পরও যদি কেউ মেনে না নিতে পারে, তাহলে মুসার অর্জন না হয় প্রশ্নবিদ্ধ হয়েই থাকুক! - এটা অবশ্য আমার একেবারেই ব্যক্তিগত অভিমত।
আরেকটি ব্যক্তিগত আফসোসের কথা এখানে বলে রাখি- মুসার পেছনে আসলে কলম ধরার মতো শক্তিশালী কেউ নাই। নাহলে পেছনের অনেক অপ্রকাশিত কথা উঠে আসতো।
মুসার উত্তর দেবার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে গেলাম। বেশ কিছু প্রশ্ন নিয়ে যে দ্বিধা রয়েছে আমাদের অনেকের মধ্যে, সেটা কাটার অপেক্ষায়।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
গৌতম, মুসার পেছনে খোদ আনিসুল হক কলম হাতে পুরো এক সপ্তাহ ধরে কলমবাজি করেছেন। তার শক্তির ওপর আপনার আস্থা নাই দেখে খারাপই লাগলো। শুধু তাই নয়, আলুতে গল্প লেখেন এমন অনেকে, যেমন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ফিকশনে মুসা ইব্রাহীম নামটা গুঁজে দেয়ার চেষ্টা করছেন।
তারপরও যদি আপনি খুশি না হন, তাহলে মেনে নিতেই হবে যে দুনিয়ার সবাইকে খুশি করা যায় না।
জ্বি, আনিসুল হকের ওপর আমার আস্থা নেই। তিনি আবেগী মানুষ, ফলে তাঁর কলম থেকে আবেগ-অনুভূতি বেরোয় অনেক বেশি। আপনার মতো 'যুক্তি' দিয়ে তিনি এসব বিষয় লিখতে পারবেন বলে আমার মনে হয় না।
আর যারা এসব বিষয়ে আরো ভালোভাবে লিখতে পারতো, তাদের 'যুক্তি' যোগাড় করার মতো সময় বোধহয় নেই, 'যুক্তি' যোগাড় করে দেবার মতো মানুষজনও বোধহয় নেই। আর দুনিয়ার সবাইকে যে খুশি করা যায় না, সেটা মেনে নিয়েই ওই কথাগুলো বলেছি।
যাই হোক, আপনাকে ধন্যবাদ। কারণ আপনার কল্যাণে অনেক মানুষের আরো অনেক প্রশ্নের ক্ষুধা মিটবে- আমি নিজেও সেই প্রতীক্ষায় আছি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
যুক্তিগুলো কোটমার্কের মধ্যে দেখে বুঝতে পারলাম, আমার যুক্তিগুলোর ওপর আপনার আস্থা নেই। কিন্তু খণ্ডনও তো করছেন না। যে যুক্তি খণ্ডন করা যায় না, তাকে কোটমার্কের মধ্যে রাখা ঠিক কি?
আস্থা নাই নাকি জোর দিলাম- সেটা অন্য প্রশ্ন। যে যেভাবে বুঝে।
আমি বরং এই লাইনে থাকি যে, মুসার কাছ থেকে কিছু প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
সত্যের কোন যুক্তি লাগে না। উকিলও লাগে না। মিথ্যার লাগে। সত্য নিজেই নিজের যুক্তি, নিজেই নিজের যোগ্যতম উকিল। সত্য যদি মুসার পক্ষে থাকে - হিমু কেন, হিমুর চৌদ্দগুষ্ঠিরও ক্ষমতা নাই মুসার একটা চোখের পাতাও কাঁপাতে পারে। তাছাড়া আমরা আছি না ? অন্যরা সবাই ঘাস খাই নাকি ? মুসার তখনই 'যুক্তি' বা তার পক্ষে ওকালতি করার জন্য লোক লাগবে (পুরো আলু গোষ্ঠীই তো তার পেছনে আছে!), যখন তার মনে হবে সত্য তার পক্ষে নাই।
আরে! যুক্তি অন্য লোকে 'যোগাড়' করে দিবে কেন বা কোত্থেকে ?!!!! এতো ভারি আজিব কি বাৎ !!! সব যুক্তিতো মুসার কাছেই, একমাত্র তার কাছেই তো থাকার কথা - বাংলাদেশের আর কেউ হিমালয়ে উঠসে নাকি যে তাদের কাছে তার উঠার পক্ষে কোন 'যুক্তি' থাকবে ? উঠসেন তো উনিই ! সুতরাং ওনার কথা ওনাকেই বলতে হবে, আর কেউ পারবে না।
তাছাড়া, এ ব্যাপারে উনিই তো বাংলাদেশের একমাত্র এবং শ্রেষ্ঠতম এক্সপার্ট (যেহেতু উনি ছাড়া এদেশের আর কেউ এভারেস্টে উঠেন নাই)। সেহেতু এবিষয়ে উনার চেয়ে ভালো লিখতে বা বলতে বা সাক্ষাৎকার দিতে আর কে পারবে ? ভূমিকম্প হলে কি কি করনীয় বা কিভাবে বাড়ির রেট্রোফিটিং করতে হবে, সে ব্যাপারে পরামর্শ নিতে আমরা কি নির্মলেন্দু গুনের কাছে দৌঁড়াবো ?
আর 'যুক্তি'-তো নয়, আসলে সবার উপরে লাগবে কিছু মোটা দাগের সোজাসাপ্টা অকাট্য প্রমান। এগুলি কি আমার ধারনা এতদিনে তা সবার কাছেই স্পষ্ট। হিমুও এগুলির কথাই বার বার বলে আসছেন। এর জন্যে এত যুক্তি সাজাসাজির কোনই তো প্রয়োজন দেখি না! একটা অকাট্য প্রমান লক্ষ 'যুক্তি'কে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে পারে। আর এই প্রমান, একমাত্র মুসা ছাড়া দুনিয়ার আর কারো সাধ্য নেই দাখিল করে।
বাই দি ওয়ে, গৌতম, জানেন আমি মঙ্গলগ্রহে ঘুরে এসেছি ? অনেস্ট। কিন্তু আমার কাছে কোন অকাট্য প্রমান নেই - একটা ঝাপসা ছবি ছাড়া যাতে বোঝা যায় না যে আমি পৃথিবীতে না মঙ্গলগ্রহে। তাছাড়া মঙ্গলগ্রহে গিয়ে আমার ব্যাটারিও শেষ হয়ে গিয়েছিল। আপনি আমার হয়ে 'যুক্তি যোগাড় করে' সাজিয়ে-গুছিয়ে একটা বই লিখে দিবেন ? প্লিজ? যা চান তাই দিব !!!
আপনি আমার বক্তব্য না বুঝেই অনেক কথা বলে ফেললেন!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
গৌতমদা, আমিও অনেক কিছুই বুঝলাম না। যত শক্তিশালী লজিকই থাক, সবসময়ই তার কাউন্টার লজিক থাকে, কাজেই যুক্তি দিয়ে কোন কিছুই সন্দেহাতীতভাবে প্রতিষ্ঠা করা যায় না, সেটা করা যায় একমাত্র "প্রমাণ" দিয়ে। তেনজিং আর হিলারি কি এভারেস্টে উঠে এরপরে "জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতীযোগি্তা"য় বিতর্কে দুর্দান্ত সব যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করেছিলেন যে তারা এভারেস্ট জয়ী, নাকি বেচারাদের হাতে ২-৪টা অকাট্য "প্রমাণ"ও ছিল? মুসা সাহেব ভালই জানেন প্রমাণগুলো কি, দিয়ে দিন তিনি, আর কোনকিছুই লাগবে না।
মুসা ভাইয়ের কি প্রমাণের অভাব দেখা দিয়েছে? সেটা উনি স্বীকার করলেই তো হয়! তখন না হয় যুক্তিতর্ক করে দেখা যেত আসলেই উনি নির্দোষ, না ছদ্মবেশী প্রতারক!
কুটুমবাড়ি
মুসা ইব্রাহীম জবাব দেবেন, সংবর্ধনার একমুখী সংলাপের বাইরে কিছু করবেন, এটাই অনেক বড় ইতিবাচক ব্যাপার। "নেভারেস্ট" শেষ হওয়ার পর তিনি জবাব দিলেও ক্ষতি নেই, কারণ তিনি জবাব দেবেন সন্দিহান ব্লগারদের প্রতি, একটি দ্বিমুখী সংলাপের মাধ্যমে। তাঁর বক্তব্যে অসংগতি থাকলে তা নিয়ে ব্লগে আলোচনা হবেই। এটা তো সংবাদপত্র নয় যে প্রভাব খাটিয়ে ব্ল্যাক-আউট করে দেওয়া যাবে।
মুসা ইব্রাহীমের অনেক বন্ধু/সুহৃদ ব্লগার হিমুকে আক্রমণ করেছেন ছিদ্রান্বেষণের দায়ে। মুসা ইব্রাহীমের নিরবতা এবং হিমু ভাইয়ের সবিস্তার বিশ্লেষণের কারণে দোষটা যেন হিমু ভাইয়ের উপরেই পড়ছে। সবার উপলব্ধি প্রয়োজন যে মুসা ইব্রাহীমের উপস্থাপিত তথ্য/বিবরণ অসম্পূর্ণ। নেভারেস্ট সিরিজ এই অসংগতিগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। এখানে লেখককে আক্রমণ করার চেয়ে প্রশ্নের জবাব দেওয়া জরুরী বেশি। যৌক্তিক প্রশ্নগুলোর জবাব দিয়ে মুসা ইব্রাহীম নিজেকে এভারেস্টেরও উঁচুতে নিয়ে যাবেন বলে আশা রাখি।
নেভারেস্টের শুরু থেকেই নানারকম বৃত্তের উপর ভর করে হিরো হবার চেষ্টায় রত আছেন হিমু সাহেব। সেই হিরোগিরিতে হঠাত এসে ভাগ বসালেন আরিফ জেবতিক। খেয়াল করে দেখুন আরিফ জেবতিক এই পোস্ট দেয়ার পর হিমুর পোস্টে আর কোন কমেন্ট পড়েনি। তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন হিমু। আহা! এতদিন ছিলেন শেয়াল বনে রাজা। ক্রেডিট অন্য কারো কাছে চলে যাবে এটা কি মানা যায়।
হিমু স্পষ্টতই একটা সাক্ষাতকারের জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন। মূসাকে, রবি, সিমু এদের সংগে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু কেউই তার কাছে সাক্ষাতকার দিতে রাজি হননি। কেন? যার সিরিজের নাম নেভারেস্ট তার কাছে সাক্ষাতকার দিলে সেটা সে নিজের মতো করেই সাজাবে এটা পাগলেও জানে। তাই তারা যে হিমুর কাছে সাক্ষাতকার দেননি অত্যন্ত যৌক্তিক সিন্ধান্ত নিয়েছিলেন তারা।
মূসা ইব্রাহীম একটা সাক্ষাতকার দিলে অনেক কিছুই পরিস্কার হয়ে যায়। সাচলের সবাই এখন তাকিয়ে আছে কবে মূসা সাক্ষাতকার দেবে। হিমুর অনেক প্রশ্নের উত্তরও হয়তো সেখানে থকতো। নতুন নতুন অনেক কথায় বেরিয়ে আসতো সেখানে। কিন্তু না। নতুন একখান আবদার। এই সচলায়তন আমার জায়গা। এখানে সাক্ষাতকার নিলে আমি নেবো। অন্য কেউ নিলে হবে না। ইজারা নিয়েছেন তিনি এই বিষয়ের। অন্য কেউ এই বিষয়ে কথা বলতে আসলে অনধিকার চর্চা। আরিফ জেবতিক ভাই, হিমুর কথায় কান দেবেন না। আপনি আপনার মতো সাক্ষাতকার নেওয়ার চেষ্টা করুন। আমরা সচলে সেটা অতি দ্রুত দেখতে চাই। এতদিন মূসার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। হিমু মূসার বক্তব্য আদায়ে ব্যর্থ হয়েছেন। এই সুযোগে এখানে অনেক পানি ঘোলা করেছেন। যেই আপনি একটু পানি পরিস্কার করতে আসলেন অমনি উনার গায়ে লাগলো। লাগবেই তো, ঘোলা পানিতেই তো মাছ শিকারে মজা। আপনার মাধ্যমে আমরা যদি মূসার বক্তব্য পাই সেটা আমরা কোনভাবেই মিস করতে চাই না।
আমরা চাই হিমু যে প্রশ্নগুলো নেভারেস্ট সিরিজে তুলেছেন সেগুলোর যৌক্তিক উত্তর সম্বলিত সাক্ষাতকার। সেটা যে ই নিক। আরিফ ভাই, এই প্রথম হিমুকে কেউ চ্যালেঞ্জ করলো। তার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তার কথা না শুনে আপনি একটা সাক্ষাতকারের ব্যবস্থা করুন প্লিজ।
হিমু, উনারা যদি ব্লগে এসে লেখালেখি করতেন তাহলে আপনি আর এখানে ভাত পেতেন না। আর আপনিও হাটুপানির জলদস্যু হয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে পারতেন না।
রিফাত ফারজানা আপা, আপনার মেমোরি স্টিকে করে নেয়া মুসা ইব্রাহীমের শতাধিক ছবি আমাকে মেইল করে পাঠাচ্ছেন কবে?
সিমু নাসেরকে আমার শুভেচ্ছা দেবেন।
রিফাত ফারজানা আপার কাছ থেকে পাওয়া শতাধিক ছবির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি হিমু ভাই.....
রিফাত আপা, আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হলো হিমু ভাইয়ের না, মাথা আপনারই খারাপ হয়ে গেছে কেউ আপনার কথায় কান দিচ্ছেনা বলে....... হিমু ভাইয়ের উপর হিংস্র আক্রমণ করে মুসাকে কোনওদিনও এভারেস্টে তুলতে পারবেন না, এইটুকু নিশ্চই সাংবাদিক হিসেবে জানেন......ভালো থাকবেন, মাথা ঠান্ডা রাখবেন।
আপনার বক্তব্য টি ব্যক্তিগত আক্রমনের কারণে গুরুত্ব হারিয়েছে | আপনার মূল বক্তব্যটি কিন্তু আক্রমন না করেও উপস্থাপন করা যেত , পাল্টা আক্রমনের জন্য কি প্রস্তুত আপনি? বা সেটা হোক তা কি চান ? সেধে সেধে এভাবে কথা বলে জল তো ঘোলা করার শুরুটা আপনি ই করে দিলেন |
আনিসুল হক এসে আমার সব ভাত খেয়ে ফেলবেন, এই টেনশনে রাতে আজ আমার আর ঘুম হবে না ।
রিফাত ফারজানা, আপনার ঠিক কী কারণে মনে হচ্ছে যে মুসা ইব্রাহিমের সাক্ষাতকার নেয়ার ক্ষেত্রে হিমু নয়, আরিফ জেবতিক ভাইই যোগ্যতর ব্যক্তি? না কি আপনি চান না যে মুসা ইব্রাহিম হিমুর প্রশ্নের সামনে পড়ুক?
ব্যাপারটা এরকম, এম পি শাওনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে সিআইডিতে, এম পি শাওনের দোস্তো ফোন করলো ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে, বললো শাওন আপনার কাছে জিজ্ঞাসাবাদে বসবে। ঐসব সিআইডির লুকজন দুষ্ট।
ফারজানা আপা মনে হয় কিছুক্ষণ পরেই ফোঁত করে কেঁদে জনতার কাছে বিচার চাইবে- যা-ও মুসা কথা বলতে রাজি ছিল, হিমুর গোয়ার্তুমিতে সেইটা হৈবো না গো
আমার মনে হয় না, মুসা ইব্রাহীমের ছবি মেমোরি স্টিকে সংগ্রহ করা ছাড়া সাংবাদিক জীবনে আর কোনো অবদান এর আছে। রিফাত ফারজানা নামে নিশ্চয়ই কেউ না কেউ আছে, হয়তো কোনো বেচারি কনট্রিবিউটর, তবে এই নিকের পেছনে যে মুসার কোনো ঘোড়েল দোস্তো বিরাজমান, তাতে কোনো সন্দেহ নাই। মেমোরি স্টিকখানা মোজেসের লাঠির মতো উঁচিয়ে উনি প্রশ্নের সমুদ্র দুই ফাঁক করতে নেমেছেন।
এখানে আমার মনে হওয়া হওয়িতে কিছু যায় আসে না। মূসা, রবি, সিমু হিমুকে সাক্ষাতকার দেয়নি কেন সেটা তাদের বিষয়। তার মানে এই নয় যে তারা অন্য কাউকে সাক্ষাতকার দিতে পারবেন না। হিমু সাহেব এখানে চেয়ার টেবিল গুছিয়ে বসেছেনই যে প্রমান করে ছাড়বেন মূসা এভারেস্ট উঠেনি। উদ্দেশ্যটাই তার নেগেটিভ। তিনি নিরপেক্ষ তদন্তের বদলে একটি পক্ষ নিয়ে নিয়েছেন অনেক আগেই যা তার পোস্টের বিভিন্ন কমেন্ট পড়লেই বোঝা যায়। এমন একটা অনিরপেক্ষ লোকের কাছে তারা সাক্ষাৎকার দেবে না এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার।
এখন মূসা কেন আরিফ জেবতিকের কাছে সাক্ষাৎকার দিতে রাজি হলো এটা আমাকে জিজ্ঞেস করবেন না। সাঙবাদিকের কাজই হলো সাক্ষাতকার নেওয়া, নিউজ লেখা, এডিট করা ইত্যাদি ইত্যাদি। একজন লোককে সাক্ষাতকার দিতে রাজি করানোও একজন সাঙবাদিকের ক্রেডিট। আরিফ চজবতিক সেই ক্রেডিট পাবেন। হিমু সেই ক্রেডিট পাবেন না। তিনি তিনজন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। তিনি জানেনই না বন্ধু হোক শত্রু হোক তাকে কীভাবে কথা বলাতে রাজি করাতে হয়। আরিফ জেবতিকের সংগেও কিন্তু মূসার কোন পূর্ব পরিচয় ছিলো না।
হিমু প্রা.নে. পোস্টের এক কমেন্টে লিখেছেন:
সামুর চিপা থেকে কেন খুজে বের করবেন? কারণ আমি লক্ষ্য করে দেখেছি আপনি একজন গবেষণাপ্রবণ ছেলে। চিপার প্রতি আপনার ব্যাপক আগ্রহ আছে। তাইতো আপনার নেভারেস্ট পোস্টগুলোতে ব্যাপক লিঙকের সন্ধান পাওয়া যায়। এমনকি হাস্যকরভাবে একটা পোস্টে একটা বিজ্ঞাপনের না কিসের জানি লিঙক দিয়েছিলেন। এত এত সাইট যিনি ঘাটতে পারেন তিনি কীভাবে সামুকে চিপা জায়গা বলতে পারেন?
কয়টা লোক যায় সামুতে? আমি তো এই কয়েকদিন ব্লগগুলো খেয়াল করে দেখছি সামুর ট্রাফিকই সবচেয়ে বেশি। সচলে একটা পোস্ট দিলে দুই দিন সেটা প্রথম পাতায় পড়ে থাকে আর সামুতে এক ঘন্ঘটাও থাকে না একটা পোস্ট। আমি যতটুকু জানি সামুই প্রথম বাঙরা ব্লগ সাইট। সেখান থেকেই অনেকে ব্লগিং শুরু করেছে। মত বিরোধ থাকতেই পারে। তাই বলে অন্য একটা ব্লগকে আপনি হেয় করতে পারেন না।
বলদা সাংবাদিকগুলিই খালি পেলো না বলতে চাইছেন? আপনার এই লাইনে সাঙবাদিকদের গালি দেওয়াটা কি জরুরি ছিল। সাঙবাদিকরা বলদা আর আপনি খুব গাভী জাতীয় প্রাণী হয়ে উঠেছেন বলছেন? বলদের বদলে আপনার একটা ষাড় প্রয়োজন এটা মুখ ফুটে বললেই পারেন।
এতো কথা খরচ না করে মুসার এভারেস্ট জয়ের প্রমাণ নিয়ে আপনিই একটি পোস্ট দিন না? ছবি ফ্লিকারে আপলোড করে লিংক দেয়া যায় আর ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করে এখানে এমবেড করার কোড দিয়ে দিতে পারেন।
এতে আপনারও সময় বাঁচে, আমাদেরও বাঁচে। কার ষাঁড় প্রয়োজন, কার গাভী, কার কুত্তা - এইসব পাশবিক আলাপেও যেতে হয় না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
মুসা ইব্রাহীমের কী আসে যায়, যদি আমি তার কথিত এভারেস্ট জয়কে মিথ্যা প্রমাণ করার চেষ্টা করি? তিনি যদি সত্যিই জয় করে থাকেন, আমার কাছে সাক্ষাৎকার দিয়েই কি সেই জয় খুইয়ে বসবেন নাকি?
আমি গবেষণা করি সেটা এক জিনিস, আর মিডিয়াতে মুসা ইব্রাহীম কী জানান, সেটা আরেক জিনিস। আর সামুতে কেন বিচিত্র নিকধারী সব লোকজন মুসার ছবি আপ করে, তারা কী সূত্রে সেই ছবি পায়, এসব নিয়েও একটু ঘাঁটলে দেখা যাবে মুসা আর তার বন্ধুরাই বেনামে কয়েকটা ঝাপসা ছবি এভারেস্টে তোলা বলে চালিয়ে দেয়ার আপ্রাণ প্রচেষ্টায় লিপ্ত। কেন? প্রথম আলোতে পৃষ্ঠাজোড়া ছবি ছাপা হলো না কেন? উত্তর, সেরকম ছবির অস্তিত্ব নেই। অথবা রিফাত ফারজানা বা সিমু নাসেরের মেমোরি স্টিক সেসব কথিত ছবি গিলে খেয়ে বসে আছে।
সাংবাদিকদের প্রশংসা করতে চাই, মাঝে মাঝে করিও, এই প্রসঙ্গে পারছি না একেবারেই। কারণ যে সাংবাদিকদের এই ঘটনার ওপর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করার কথা, তারা মুসাকে কে কার আগে জড়িয়ে ধরে কাঁদবে, সেই প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হওয়ার ভিডিও ইউটিউবে চলে এসেছে। আপনি যেমন আরেক সাংবাদিক, যে শুধু মেমোরি স্টিকে ছবি আগলে রাখার রূপকথা শুনিয়ে যায় দিনের পর দিন। এইসব আছিলাম-কনট্রিবিউটর-হৈলাম-সম্বাদিকরা লাফায় বিভাগীয় সম্পাদকের জোরে, তাই এদের ওপর আস্থা নাই।
সাংবাদিকদের হাউমাউ কান্দোনের ভিডিও দেখেন।
ট্রুথ ওভারকামস অল, জানেন তো? মূসার হাতে প্রমাণ থাকলে হিমু ভাইয়ের কাছে জবাব দিয়ে তাঁকে চুপ করিয়ে দেয়াটাই কি সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হত না? এত সাহসী ব্যাক্তি তিনি জানতে পাই, এইটুকু সাহস তো থাকা উচিত।
আর আপনি নিজে বড়ই এন্টারটেইনিং। কয়দিন আগে কোন পেপারে এক লাইন পড়ে চমকে গিয়েছিলাম; বাংলাদেশ ডাক বিভাগের কর্মীদের বর্ণনা দিতে গিয়ে 'চামার' শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছিল। তখন ভেবেছিলাম সাংবাদিকতায় এসব শব্দ কারা ব্যবহার করে। কিছুটা মনে হয় বুঝতে পারছি।
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
রিফাত ফারজানা,
কোন সুস্থ মস্তকের মানুষ হিমুর লেখা পড়ার পর এইসব যুক্তিহীন কথা বলতো না। আপ্নে যুক্তি থাকলে তা দিয়া বলেন। ব্লগার হিমুর কোন হীরু হইবার ইচ্ছা নাই। তার ইনটেনশন পরিস্কার। সত্যটাকে বের করা। তেনা আপ্নারাই প্যাচাইতাছেন।
রিফাত আপা (ভাই-ও হইতে পারেন, সম্ভাবনা বেশি), এত কথা বইলা আপনের মূল্যবান সময় নষ্ট না কইরা আপনার সংগৃহীত শতাধিক ছবির মাঝে স্পষ্ট অন্তত একটা ছবি, যেইটায় দেখা যাইবো মূসা সাব আসলেই এভারেস্টে দাঁড়ায়া আছেন, এমন মাত্র একটা ছবি দিয়া দুষ্টু লোকগুলির মুখ বন্ধ করে দেন না! এরপরে আরো আরো মেমরি স্টিকে মূসা সাবের ছবি ভরতে থাকেন, দরকারে তখন আপনারে আমরা আমজনতা চান্দা তুইলা টেরাবাইট পোর্টেবল হার্ডডিস্কও কিনে দেব।
ফারজানাপার মেমোরি স্টিকের ছবির জন্যে আমি অপেক্ষমান...
_________________________________________
সেরিওজা
হু আমিও খুব চাই যে, সাক্ষাৎকারটা আসুক। আরেকটা সাইন্স ফিকশন (না কি ভূগোল ফিকশন?!) পড়া যাবে একই লেখকের কাছ থেকে
রিফাত ফারজানা,
একটু সামলে। ব্লগে সেলিব্রেটিরা এসে টিকতে পারে এরকম নজির খুব একটা নাই। এইটার কারন হলো ওরা কোন সমালোচনা নিতে পারেন না। আত্মবিশ্বাসের অভাব আর স্বমেহন স্বভাবের সংযুক্তি এটার কারন। আর আনিসুল হক খুব ভালো লেখক নন। উনার থেকে আমাদের হিমু, শিমুল, আলবাব ভালো লেখক। অতএব উনি আসলেই ব্লগে হুলস্থুল পড়ে যাবে এটা ভাবলে ভুল করবেন। বড়জোর তাদের ব্লগে তামাশা দেখতে কিছু সাময়িক ভিড়ভাট্টা পাবেন হয়তো।
তবে আনিসুল হককে একদমই বাতিল করি না আমি। আমি চাই উনি এখানে অতিথি হিসেবে লেখা শুরু করুক। পর্যাপ্ত মিথস্ক্রিয়া ও লেখালেখির মধ্য দিয়ে উনি একদিন সচল হতে পারবেন হয়তো।
পুনশ্চঃ আপনার মেমোরি স্টিকের ছবিগুলো দিয়ে একটা পোস্ট দিন সচলে।
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ভীত-বিচলিত-সন্ত্রস্ত মানুষের কমেন্ট এইটা। হিমু ভাইয়ের সামনে পড়লে যেহেতু খবরাছে, তাই এভারেস্ট প্রসঙ্গে যার জ্ঞান হিমু ভাইয়ের মতোন না (আরিফ ভাই মাইন্ড কইরেন না, কথাটা কিন্তু মিথ্যা না), সেই আরিফ ভাই সাক্ষাৎকার নিলে মুসা কিছু টেকনিক্যাল টার্ম ইউজ কইরা তাঁরে ভড়কায়া দিয়া বুঝ দিতে পারবে।
আরেকটা কথা, ইন্টারভিউ দেওয়ার কোনো কাম কিন্তু নাই, যদি আপনার ওই বিখ্যাত মেমরি স্টিক থাইক্যা জুইত মতোন গোটা কয়েক ছবি আর ভিডু (যদি থাকে) দিয়া দ্যান। তাইলেই হিমু ভাইয়ের ফাঁসি দাবি করুম সাবিহ-র সাথে গলা মিলাইয়া।
হিমালয় থেকে হিমু নামটা এসেছে। কাজেই ... ...
মাথায় একটু বরফ দেন। তারপর একগ্লাস যুক্তি পান করে আসেন ... ...
মুসার ভাগ্য ভালো যে ওনার ক্লেইম নিয়ে পিয়ার রিভিউ করা সায়েন্টেফিক জার্নালে ক্লেইম প্রকাশ করতে চাননি। কিন্তু ভাগ্য খারাপ যে, সকলেই ম্যাংগো পাব্লিক না, তাই ঐ ধরণের পরীক্ষা পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যাওয়া মানুষজন একই রকম পদ্ধতিতে মুসারটাকেও জাস্টিফাই করতে চাচ্ছে ... ...
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
রিফাত ফারজানা,
আপনার মন্তব্যটি সুস্পষ্ট ভাবে ব্যক্তি আক্রমন। স্পেসিফিক যুক্তির বাইরে কার ইনটেশন কী, সেটা নিয়ে আন্দাজে কথা বলা বাহুল্য মাত্র, এবং বলার পদ্ধতিটি অত্যন্ত আপত্তিকর। ভবিষ্যতে আপনি আমার কোনো পোস্টে যদি মন্তব্য করেন, তাহলে সেই মন্তব্য টু দ্য পয়েন্ট হতে হবে। অপ্রাসঙ্গিক আলোচনা আমার পোস্টে কাঙ্খিত না। সেরকম হলে মন্তব্য মুছে দেয়া হবে।
হিমু, আপনি হলেন একজন প্রত্যাখ্যাত ব্যক্তি। মূসা, রবি, সিমু সবাই আপনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমার এখন মনে হচ্ছে আমিও আপনাকে প্রত্যাখ্যান করি। আচ্ছা, মনে হওয়া হওয়ির কিছু নাই, আপনাকে আমি নিজেও ডাইরেক্ট প্রত্যাখ্যান করলাম।
আপনার কাছে আমি ছবি পাঠাবো না। অন্য যে কোন ব্লগারকে আমি ছবি দিতে প্রস্তুত। (কি এবার কি বাচ্চাদের মতো বলবেন যে না এই বিষয়টির আমি ইজারা নিয়েছি, আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে ছবি পাঠালে আমি তাল গাছ মানবো না।)
হিমু ছাড়া অন্য যারা আমার কাছ থেকে ছবি নিতে চান দয়া করে এতগুলো ছবি সহজে পাঠানোর একটা তরিকাও আমাকে বাতলে দিবেন।
হিমু, আপনি নিজেই বারবার বলেছেন প্রসংগের বাইরে কথা বলবেন না। অথচ আপনি নিজেই বারবার আমার সংগে সিমু নাসেরকে জড়িয়ে দিতে চাইছেন। এটা কি খুব প্রাসংগিক হলো। তাই আপনার শেখানোর রাস্তা ধরেই বলছি দয়া করে আরও দশ বারোটা বৃত্ত একে প্রমান করে দিন আমিই সিমু নাসের। আপনি বুয়েটে পড়েছেন, বিতার্কিক হওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করেছেন আপনি চাইলে হাজারখানেক বৃত্তও আকতে পারেন। আই নো ইহা আপনার দ্বারা সম্ভব। ডু ইট ম্যান।
আপনার এই উক্তির রেশ ধরেই বলছি আপনার সকল তথ্যের উৎস সজল খালেদকেও আমার শুভেচ্ছা দেবেন। আর মনে রাখবেন সজলও শুরুতে মূসা বিষয়ে বিশাল বিশাল সব মেইল করতো। পরে সেজন্য তাকে সবার কাছে ক্ষমা চাইতে হয়েছে। পরে ইজারাদার হিসেবে নিয়োগ করেছে আপনাকে।
ভাতের থ্রেটেই পোলাডায় ভয় খাইছে, এই প্রত্যাখ্যানের পরে হিমু চুইচাইড করতে পারে। সবাইকে কুলখানিতে আগাম দাওয়াত দিলাম।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বিনোদনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। হিমুকে প্রত্যাখান শব্দযুগলকে হিমুর সামনে দাড়ানোর সাহসের অভাব বলে অনুবাদ করে নিলাম। আর হিমু বিতর্ক প্রতিভা নিয়ে এতো তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্তে আসলেন কী করে? মুসার বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে মুসা আমার বন্ধু অতএব সে কোন খারাপ কাজ করতে পারে নাটাইপ যুক্তির বেশি কিছু এখনও দেখা যায়নি। যেখানে যুক্তিই নেই সেখানে বিতর্ক তো এখন শুরুই হয়নি।
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
রিফাত ফারজানা, আপনি তো ঘাটের অনেক খবরই রাখেন দেখছি (সজল কাকে কি কি মেইল করে, সেটাও আপনার জানা)। একজন পুতুপুতু সাংবাদিক যে কিনা খালি মুসা ইব্রাহিমের সাপ্লাইকৃত ছবি মেমরি স্টিকে জমিয়ে রাখে, তার পক্ষে এমন জানাজানির ব্যাপারটা কেমন যেন একটু বেশি বেমানান। কৌতূহল হচ্ছে, আপনি আর কী কী জানেন!
আসলেই আমি একজন প্রত্যাখ্যাত ব্যক্তি। মুসার সাথে আমার আলাপটা শুনলেই বুঝবেন। আসবে ওটা সামনে।
আপনি ছবি পাঠাতে পারবেন, এমন ভরসা করিও না। তারপরও যদি কোনো সচলকে পাঠাতে পারেন, পাঠিয়ে দেখান। আরিফ জেবতিককেই পাঠান না? ওনার ওপর তো ভরসা করা যায়, নাকি?
আপনার সাথে সিমু নাসেরকে জড়াবো কেন? আমি সিমু নাসেরের খুব ভক্ত। উনি একজন প্রকৃত কামেল ও বুজর্গ ব্যক্তি। আপনার সাথে কথা হলেই আমার তার কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করতে ইচ্ছা হয়। আপনি যদি সিমু নাসের হয়েও থাকেন, আমার বৃত্ত আঁকার আগে সেটা আপনি নিজেই প্রমাণ করে ছাড়বেন।
আমি বিতার্কিক ছিলাম না কখনও, আমার উচ্চারণ মুসার মতোই খারাপ, এভারেস্ট বলতে গেলে জান বের হয়ে যায়, বলে ফেলি এভারেশট।
সজল খালেদের সাথে যোগাযোগ হবে সামনে, আপনার শুভেচ্ছা তাকে জানিয়ে দেবো।
প্যানিকে পড়লে প্রলাপ কতো প্রকার হইতারে, তার বেশ কয়েকটার নিদর্শন হইলো এই কমেন্ট। বিনোদনের শ্যাষ নাই!
রিফাত আপা, আপনি আপনার এড্রেস দেন। আমি নিজে আইসা আপনের কাছ থাইকা ছবি নিয়া যামু। হিমুরে ছবি দেওন লাগবো না, আমারে দেন, ঢাকা শহরের যে কোনো প্রান্তে থাকেন উইথহিন ওয়ান আওয়ার আমি আপনের কাছে পৌছামু। চাইলে মেইল করেও পাঠাতে পারেন, অনেক ছবি লাগবে না, শুধু উল্ল্যেখযোগ্য কিছু দিলেই চলবো, মেইল কইরা পাঠানোটা সহজ রাস্তা। আমার মেইল ঠিকানা :
অফটপিক : আলুর ভূঁড়িওয়ালা পল্লব কি আপনের মামা ?
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
উফ, এত হাসি কোথায় রাখি ! হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে গেল যে !! এভারেস্টে না উঠুন, মুসা আর তার গুরুমারা সাঙ্গপাঙ্গরা যে আমাদের অফুরন্ত বিনোদন দিচ্ছেন সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই। সেজন্যে অন্ততঃ তাদের অফুরন্ত ধন্যবাদ!
রিফাত ফারজানা, ঈমানে কই আমি অনেক চেষ্টা করেও আপনার উপরের মন্তব্যগুলোর বটম লাইন খুঁজে পাই নাই। তবে শান-ই-নুযুল ঠিকই বের করতে পারছিলাম। কিন্তু আল্লার কী কুদরত, আপনের এই কমেন্টটা একবার পড়েই বটম লাইন বুঝে ফেললাম। আল্লায় আপনেরে হায়াৎ দারাজ করুন, আমিন।
একটু আগে টিভিতে দেখলাম জার্মানীর কাসেল শহরে আটফুট বন্যায় প্লাবিত হয়ে গেছে সব। কাহিনি বুঝতে পারি নাই প্রথমে। পরে বুঝতে পারলাম এইটা আপনের প্রত্যাখানের ফল। বেচারা হিমু আপনের কাছ থাইকা প্রত্যাখাত হইয়া লুঙ্গি খুইলা মাথায় বাইন্ধা হেরপর মেঝেতে থাবড়াইয়া বিলাপ পাইড়া কান্তাছে, বিশ্বাস করেন। সেই কান্নার পানিতেই এতো বড় ভয়াবহ বন্যা!
dhushorgodhuli এ্যাট জিমেইল ডট কমে পাঠায়া দেন। অপেক্ষা করতেছি।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হাহাহাহা ধুগোদা, হাসতে হাসতে গড়াগড়ি অবস্থা!
যাই হোক, রিফাত ফারজানার কমেন্টে ব্যাপক বিনোদন পাইলাম। তবে আমরা সম্ভবত খামাখাই ওনাকে সন্দেহ করছি, উনি সম্ভবত সিমু নাসের নন (সিমু নাসের তো পুরুষই নাকি?)!
যে স্টাইলে উনি প্রত্যাখ্যান করলেন, সেটা একমাত্র একজন ভদ্রমহিলার দ্বারাই সম্ভব!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
@ রিফাত ফারজানাঃ একটা জিনিস বুঝতে পারছি না যে বুয়েট এ পড়ার ব্যাপারটা এখানে কিভাবে প্রাসংগিক হতে পারে! কোথায় পড়াশোনা করলে "বিতার্কিক হওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা" আপনার কাছে যৌক্তিক বলে মনে হত?
মুসার কাছে যদি বুদ্ধ মূর্তি সহ একটা ছবি থাকতো তাহলে তো অনেক আগেই সেটা সে প্রকাশ করত। এখন যদি বলে পারিবারিক সমস্যা নিয়া ব্যস্ত ছিল, সেটা কি গ্রহণযোগ্য কোন কথা?
টুটুল
একজন সাধারণ বাংলাদেশী হিসাবে মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট বিজয়ে খুশি হয়েছিলাম। এভারেস্ট বিজয়ের সঙ্গে সঙ্গে সজল খালেদের পোস্ট পড়ে মনে সন্দেহ জাগলেও ভেবেছি পরশ্রীকাতরতা থেকে ঐ পোস্টের উৎপত্তি। কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন ব্লগে হিমু এবং অন্যদের এ সংক্রান্ত লেখা পড়ে অনেকের মতো আমার মনেও সংশয় তৈরি হয়েছে। মুসা ইব্রাহীমের উচিত এ সংশয় দূর করা। তার কাছে সুনিশ্চিত প্রমাণ না থাকলে সেটাও উল্লেখ করা উচিত। উত্তর বা দক্ষিণ মেরু কিংবা আফ্রিকার গহীন জঙ্গলে কোন জলপ্রপাত/নদীর উৎসমুখ আবিষ্কারের ক্ষেত্রে বিজয়ীর বক্তব্যকে মানুষ গ্রহণ করেছে। তার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নাও হতে পারে। ব্যক্তির সততাকে মানুষ বিশ্বাস করে। কিন্তু মুসা ইব্র্রাহীম বা তার বন্ধুরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে টু দি পয়েন্ট কথা না বলে সাধারণ মানুষের মনে কেবল সংশয়েরই সৃষ্টি করছেন।
আমার কেন যেন মনে হচ্ছে হিমুর নিজের কাছেও এমন কিছু নেই যার দ্বারা প্রমাণ হতে পারে মুসা সামিট করেন নি। যদি সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকতো (যেমন মুসাকে বাঁচানো পর্বতারোহীর সুনির্দিষ্ট বক্তব্য) তবে এতোদিনে তা ব্লগে এসে যেতো। উনি মনে হয় ম্যানইউ-লিভারপুল ম্যাচের আগে অ্যালেক্স ফার্গুসনের মত মাইন্ড গেম খেলছেন। আশা করি শেষ পর্যন্ত হিমু মুসার কাছ থেকে সত্য প্রকাশে সক্ষম হবেন।
মোদ্দা কথা সংশয় যিনি তৈরি করেছেন, তাকেই সংশয় দূর করতে হবে।
আর একটা অনুরোধ, মুসা বা তার বন্ধুদের নামের বিকৃতি না করাটাই ভালো মনে হয়। যারা করেন তাদের বা তাদের প্রিয়জনদের নাম যদি এভাবে বিকৃত করে প্রচার করা হতো, তাদের কি ভালো লাগতো?
মোদ্দা কথা হচ্ছে, পিছলা কথা না বলে ঝেড়ে কাশতে হবে আসিফ সাহেব। আসিফ নজরুল যেরকম ইনিয়ে বিনিয়ে জামাতিদের পাছা বাঁচায়, সে কায়দা এস্তেমাল করলে চলবে না। আপনি ঝেড়ে কেশে বলেন, প্রমাণ দাখিল করার দায় কি আমার না মুসার? যদি আমার হয়, তাহলে অপেক্ষা করুন। আর যদি মুসার হয়, তাহলে মুসাকে গিয়ে বলুন সে যেন কয়েকটি পরিষ্কার ছবি এবং একটি সুস্পষ্ট ভিডিও আপ করে লিঙ্ক যোগান দেয়।
আপনার জবাবটা পড়ে আমি অনেকটা লা-জবাব হয়ে গেলাম।
আমি কি লিখেছিলাম তা আবার পড়লাম। আমার মনে হয়, মুসা ইব্রাহীমকে তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগের জবাব দিতে হবে এ ধরণের কথাই আমি বুঝাতে চেয়েছি। আপনি বুঝতে না পারলে সেটা আমার ব্যর্থতা।
আর হ্যা, আসিফ নজরুল সংক্রান্ত কথা মনে হয় অপ্রাসঙ্গিক এখানে। নেভারেস্ট প্রসঙ্গে আপনার ২/৩টা লেখায় মন্তব্য করেছিলাম। তাতে তো যতটুকু মনে পড়ে আমি সংশয় নিরসনের পক্ষেই ছিলাম।
ভালো থাকবেন।
হিমু ভাই হুদাই এই লোকের পিছনে সময় নষ্ট করতাছেন। সে আপনাকে বলছে প্রমান করতে যে মুসা উঠে নাই এটা প্রমান করেন। আমি চান্দে উঠছি। হ উঠছি, আলু পত্রিকায় মামু চাচু নাই বইলা খবর বিশ্ববাসী পায় নাই। এখন আপনে প্রমান করেন আমি উঠি নাই! আপ্নের টেম্পার অনেক ভালো তাও বলি, আপনি এই পোস্ট ছাইড়া ভাগেন! সচলে আরো অনেক ভালো ভালো পোস্ট আসছে পোরেন, না হয় ঘুমান। কয়টা বাজে? আবাল ছাবাল এর সাথে কুতর্কে জড়ানোর কোনো মানে আমি দেখি না। আর সম্ভব হলে একটু আইপি চেক মারেন!
কাজী মামুন
কাজী মামুন,
যেহেতু আগেই হিমু ভাই এর প্রশ্নের জবাব দিয়েছি তাই কিছু লিখবো না ভেবেছিলাম। শেষ লাইনটা দেখে লিখলাম।
কিছুদিন আগে চ্যাম্পিয়নস লীগ ফ্যান্টাসি নিয়ে লেখাটা আমার ছিলো। আর আপনি চাইলে ফেসবুকে লিখে সার্চ দিতে পারেন। একটা মেসেজও পাঠাতে পারেন আপনার ফোন নাম্বার দিয়ে। আইপি সংক্রান্ত ঝামেলার অবসান হবে।
আমি মুসা ইব্রাহীম বা তার বন্ধু-বান্ধব গোত্রের মধ্যে পড়ি না।
ca
আমার আসলে কৌতহল একটু বেশি।
আপনি বললেন-
আমি এরপরও সন্দেহ করলাম, সার্চ দিলাম ফেসবুকে, কি পেলাম আপনিই দেখেন-
ফেসবুকে কাজী মামুন নামে একজন কিছুক্ষণ আগে আমার বন্ধুত্বের অনুরোধ গ্রহণ করেছেন (বর্তমান শহর Daegu)। আর তাঁকে আমি ইয়াহু মেসেন্জারে অ্যাড করার অনুরোধও পাঠিয়েছি।
ফেসবুকে গোপনীয়তার এক্সট্রিম সেটিং সিলেক্ট করা ছিলো। তাই উনি আমাকে খুঁজে পাননি। এজন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
আমি অফ টপিক আর কোন মন্তব্যের জবাব দিতে চাচ্ছি না। ব্যাপারটা আমার কাছে শোভন লাগে না। কারও যদি এরপরও সন্দেহ থাকে তবে আমার কিছু করার নাই।
আসিফ ইকরাম
(Ashif Eqram)
স্রেফ কৌতূহলঃ সজল খালেদ এর সেই পোস্ট এর লিংকটা কি কেউ দিতে পারবেন?
- নির্জন অরণ্য
শিরোনাম দেখে একটু বিভ্রান্ত হয়েছিলাম। ভাবছিলাম মুসা কি আসলেই কিছু বললেন নাকি!!
বেশ সুবিধাজনক একটা অবস্থান তিনি নিয়েছেন- নেভারেষ্ট শেষ হলে তিনি বক্তব্য বলবেন, অবশ্যই সেটা তাঁর সুবিধাজনক মানুষের কাছে, এরপর তিনি আবার মুখ বন্ধ করে ফেলবেন, আমরা উত্তর পেলাম কি পেলাম না সেটা তাঁর দেখার প্রয়োজনও নেই!
তিনি হয়তো ভাবছেন- নেভারেষ্টই শেষ! এটা ফেইস করতে পারলেই তিনি এভারেস্ট জয় করে ফেললেন! আসলে তা নয়, হিমু ভাই এর নেভারেষ্ট থেকে যদি না হয়, তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই বাছাই আমরাও করছি, পর্যাপ্ত উত্তর না পেলে এরপর প্রয়োজনে লিখবো 'নেভার- এভার-এস্ট'।
কাজী মামুন
সিমু সাহেব, অন্য নিকে কেন মন্তব্য করছেন এটাই বুঝতে পারলাম না!!
নিজ নামে কথা বলার সৎ সাহস না থাকার কোনো কারণ আছে কি?
কাজী মামুন
রাগিব ভাইয়ের সাথে পুরা একমত।
মূসার দেওয়া ছবিগুলোতে তো ব্যাকগ্রাউন্ড বেশকিছু লোকজন দেখা যাচ্ছে।
তাদের পরিচয় কি? এদের সাক্ষাৎকার নেওয়া যায় না?
সত্যান্বেষী
Manush ajkal suicide bombing theke shuru kore aakam-kukam parjanta video kore aar akta pola Everest a uitha galo video naai? Cholen shobai mile chanda tuila akta video camera (abong shobhombhob hole one way ticket diye Rifat farzana) shaha polatare abar Everest a pathai!
মির্জা ভাইয়ের কমেন্টে পাঁচ কেজি গুড় ( গুড়ের ইমুটা কেউ শিখাইলো না ! )
সাথে ২০ বার লাইক মারলাম।
মুসার ক্যামেরা কেনার জন্য ৫০০ টাকা দিছি, আর রিফাত ফারজানার টিকেটের জন্য ৫০০ টাকা।
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
আপনি ভাই এই গুড়ের ইমো দিতে পারেন না, কন কি? এই নেন দুই দলা (গুড়) (গুড়)
ইমো দিতে × চিহ্নটা বাদ দিয়ে লিখুন (×গুড়)
মুসার এভারেস্ট বিজয়ের খবরে আমিও সেদিন আমজনতার সাথে খুশি হয়েছিলাম, কোনো সংশয়ও মনে আসে নি। এমনকি সেদিন সচলে সজল খালেদের পোস্ট দেখে মহাবিরক্তও হয়েছিলাম যে এরা কি কুৎসা রটানোর জন্য আর কিছুদিন অপেক্ষা করতে পারলো না। কিন্তু আজ চার মাস পর এভারেস্ট বিজয় নিয়ে আমি খুবই সংশয়ী। কারণ, এতদিনে আমাদের ঘরে ঘরে, ফেসবুকে মুসার এভারেস্টের চূড়ায় উঠার পরিস্কার ছবি, ভিডিও থাকার কথা। বিদেশে আমরা যারা থাকি তারা জনে জনে সে ছবি, ভিডিও লোকজনকে দেখাবো, শেয়ার করবো- এই দেখো আমরাও পারি। কিন্তু সেখানে এখনো এসব নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে, মুসা বা মুসার লোকজন ছবি, ভিডিও না দিয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে প্যাচাল পারছে- এসব খুবই দুঃখজনক। এটা তো ১৯৫৩ সাল নয়, ২০১০ সাল। মানুষ এখন বাটালি হিলের চূড়ায় উঠলেও ফেসবুক ছবিতে সয়লাব করে দেয়, ভিডিওর পর ভিডিও আসে। সেখানে এভারেস্টের চূড়ায় উঠা কারো ছবি দেখার জন্য আমাদের দেন-দরবার করতে হচ্ছে, ব্লগে নেভারেস্ট সিরিজ দিতে হচ্ছে- এরপরও গড়িমসি মেনে নেয়া যায় না!
আপনারা এত ছবি ছবি করছেন কেন বুঝলাম না। চারমাসে ছবি বানানো কোন ব্যাপার না বলেই মনে হয়।
সোজা হিসাব - জিপিএস লগ দেখাক। এত প্রশ্ন আর এত অসংগতির পরও তিনি এতদিন মুখ খোলেননি। এখন তার পরিচিত কিছু মানুষের সামনে মুখ খুলতে চাচ্ছেন। যতি সাক্ষাৎকার দিতেই হয়, তবে হিমুর কাছেই দিক সাহস থাকলে।
এই ধরনের দুই নম্বরি দেখতে দেখতে চরম বিরক্ত। টাকা পয়সা হলে আমি প্রথমেই এই জাতীয় চিটারের বিরুদ্ধে মামলা করব।
নেভারেস্ট সিরিজ পড়ার আগেই সংশয় ছিল প্রচুর। এখন আমি নিশ্চিত যে সে ওঠেনি, ছবি এতদিন পর দেখালে সহজেই অনুমেয় যে ছবি বানাতে এতদিন লেগেছে।
ছবি বানানো হলে ধরা পড়তেও সময় লাগবে না। কিন্তু আসল বা বানানো, কোনো ছবিই তো রিফাত ফারজানা বা সিমু নাসের ছাড়া আর কেউ দেখেন নাই। ওনারাই সাক্ষী, ওনারাই উকিল, আবার সাক্ষাৎকার দিতেও অরাজি ওনারা, কিন্তু ষোলো কোটি মানুষকে ওনাদের কথা চেহারা দেখে বিশ্বাস করে ফেলতে হবে, এইটাই হচ্ছে আবদার। ছবিতে ওনাদের বক্তব্যের সারসংক্ষেপ দেখেন।
জিপিএস লগ দেখানো ছবি বানানোর চেয়ে সহজ হবার কথা । ছবি আর ভিডিওই সামিটিয়াররা ফিরে গিয়ে স্পনসরদের দেখায়। জিপিএস লগ রাখে সাধারণত এক্সট্রিম সামিটিয়াররা, যারা সাধারণত একাধিক রুটে সামিট করে, বা নতুন রুট খুঁজে বের করতে চায়। আর মুসা ইব্রাহীম ভালো মতোই জানে, বাংলাদেশের মুরুক্ষু জনতারে অন্নপূর্ণা-৪ এর ছবি গিলিয়েই মক্সদ হাসিল করা সম্ভব। বাকিটার জন্যে আনিসুল হকের সপ্তাহব্যাপী প্রোপাগাণ্ডা তো আছেই।
হিমু, মুসার অনেক স্পনসরের একটা ছিলো তিব্বত, তিব্বতের মার্কেটিং হেড অথবা ব্র্যান্ডিং হেডের একটা ইন্টারভিউ নেওয়া যায় না ? যেহেতু উনারা স্পনসর ছিলেন, মুসা তো নিশ্চয়ই উনাদেরকে ছবি দেখাইছেন । বিতর্কিত এই বিষয় নিয়ে উনাদের তো একটা ভাষ্য থাকতে পারে, হয়তো এগুলো নেভারেস্টের পরের পর্বে কাজে আসতে পারে । মার্কেটিং আর ব্র্যান্ডিং হেড দুজনের নাম্বার আমার কাছে আছে, আপনি চাইলে আমি দিতে পারি।
এই দুজনের একজনের সাথে কথা বললে হয়তো মুসা উনাদেরকে কি ছবি সাপ্লাই দিয়েছেন এই বিষয়টা জানা যাবে।
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
ওনাদের ভিজিটিং কার্ড স্ক্যান করে নয়তো ছবি তুলে আমাকে পাঠান royesoye অ্যাট জিমেইল ডট কম বরাবর। ধন্যবাদ।
হিমুদা যেখানে সময় নিয়ে রয়ে-সয়ে নেভারেস্ট দিচ্ছেন, তাতে প্রতিপক্ষকে সময় দিতে আপত্তি কেন? মুসা নিননা তাঁর সময়টুকু... কিন্তু তিনি কি এটা খতিয়ে দেখছেন না যে, হিমু এভারেস্টে যাননি, তাই তাঁর সময় দরকার সব জড়ো করতে। আর মুসা যদি সত্যিই উঠে থাকেন এভারেস্টে, তবে তাঁর সময় নেয়ার তো কোনো মানেই হয় না। something fishy!
তাই কোনোই দরকার নাই মুসার কথা বলার। বৌদ্ধমূর্তিসহ [বিতর্কহীন] পরিষ্কার ছবি আর ভিডিও দিয়ে তিনি পারিবারিক কাজে মঙ্গলে যেতে পারেন, ওরিয়ানা ফালাচিকে সাক্ষাৎকার দিতে পারেন, তাতে আমাদের কিচ্ছু যায় আসে না। কথা বললেই কথার পিঠে কথা... কী দরকার। প্রমাণ দিন, হিরো হোন।
রিফাত ফারজানা কি ছবি পাঠাচ্ছেন? Zip করেও যদি আপনি Online Harddrive-এ Public Domain করে রেখে দিতে পারেন, তাও সই।
বসে থাকবেন না, তামাশা বাড়াবেন না- এই অনুরোধ।
আর, হিমুদা'র থেকে নেভারেস্ট পরবর্তি পর্ব যতদ্রুত সম্ভব চাই।
মঈনুল ইসলাম সাহেব, নেভারেস্টের পর্বগুলো শুধু গুছিয়ে লিখতেই হয় না, একটা পর্ব লেখার পর মুসা সাহেবের ইয়ারদোস্তোদের ঘ্যানা প্যাচালের মোকাবেলাও করতে হয়। এ কারণেই হাতে সময় রেখে পোস্ট দিয়ে থাকি। কয়েকটা দিন ধৈর্য ধরেন।
মুসা ইব্রাহীম বলেছেন, এভারেস্টে চড়তে ওনার বেয়াল্লিশ দিন লেগেছে। আর আজ একশো আঠারো দিন হয়ে গেলো, উনি সামান্য কয়েকটা ছবি আর ভিডিও আপ করতে পারলেন না। বাংলাদেশে নেট কি এতো স্লো নাকি?
এভারেস্টে ওঠার চেয়ে নেটে ছবি আপ করা স্লো। চলেন আমরা সকলে নেটে বক্তব্য ছবি দেয়ার চাইতে এভারেস্টে উঠি ... ... ছবি গুল্লি মারো ...
আর এভারেস্টে উঠলেই না ছবির প্রশ্ন আসে ... ...
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
বিকালে এসে এই পোস্টে রিফাত ফারজানা'র মন্তব্যগুলোর কিছু কিছু লাইন পড়ে হিমুর উপরেই আমার মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। হিমু বসে বসে বামন লেখে আর ওদিকে ব্রাক্ষণরা এসে ছড়ি ঘুরিয়ে যায়। সবাই শুধু মজাটাই উপভোগ করলো কিন্তু দাঁতভাঙা জবাব দেখলাম না। হিমুর কাছে আমি ব্রাক্ষণ নিয়ে লেখার দাবী করে গেলাম। মেটা ব্লগিং এর খেতা পুড়ি।
মনটাই খ্রাপ হয়ে গেলো আপনার ধমক খাইয়া। রোজ রোজ কি দাঁত ভাঙা উচিত? মুসার দোস্তোরাও তো মানুষ। ওদের কি ইচ্ছা করে না নারীর নাম ভাঁড়িয়ে বকাবকি করে যেতে?
এট্টু সবুর করেন। কামিঙাপ।
সারছে, পিপিদা ক্ষ্যাপছে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মন্তব্যে (গুড়)!!
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
শিরোনামটি খুব অর্থবহ হয়েছে কিন্তু: "মুসা ইব্রাহিমের বক্তব্য-০"
সত্যটা প্রকাশ হওয়া প্রয়োজন, তা সে যাই হোক। একজন বাংলাদেশি এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছেন - এটাই দেখতে চাই, কারণ এটা আমাদের সবার জন্য গর্বের। আর যদি মুসা না উঠে থাকেন, তাহলে বলতেই হবে যে, দুর্নীতিতে আমরাই অবিসংবাদিত চ্যাম্পিয়ন। কারণ, আমাদের দুর্নীতির রাহুগ্রাস থেকে এভারেস্টও রেহাই পায়নি।
বি
@রিফাত ফারজানা: আপনি মুসার কাছ থেকে যে ছবিগুলো পেয়েছেন তার মধ্য থেকে কয়েকখানা ছবি আপলোড করতে পারেন কি ? অনেকগুলো ছবি আপলোড করার থেকে কিছু ছবি এবং তার সাথে যথাপোযুক্ত বিশ্লেষণ যদি যুক্ত করে দেন তাহলে সেগুলো ই অনেকগুলো ছবির হয়ে কথা বলবে। যেহেতু আপনি আইডিবি এর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেহেতু ব্যাপারটা আপনার জন্য বোধকরি খুব একটা কঠিন কিছু হবে না।
-নির্জন অরণ্য
ব্যাপক বিনোদন! এদের জন্যই বোধহয় বাংলায় এই প্রবাদটি প্রচলিত, "বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়"! ত্যানা প্যাঁচানীতে মুসা সাহেবের সাঙপাঙরা গুরুমারা বিদ্যা আয়ত্ত্ব করেছেন, কোন সন্দেহ নাই! আপ্সুস, ফোটুকের বুদ্ধমূর্তিও নাকি সেই ত্যানার নিচেই চাপা পইর্যা হাপিস!
আজকাল কিছুতেই অবাক হইনা।
তবু বহু চেষ্টা করে বিস্মিত হবার আয়োজন সম্পন্ন করেছি রিফাত ফারজানার মেমোরি স্টিকের লুকোনো সম্পদরাজির জন্য। দয়া করে এই আয়োজন বৃথা যেতে দেবেন না। আমাদের ইউএসবি, হার্ডডিস্ক, সিপিউ সব উন্মুখ হয়ে আছে আপনার উন্মোচনের প্রতীক্ষায়!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমি মুসার সব শোনার পর বক্তব্য দেয়াতে কোন সমস্যা দেখছিনা। মুসার অবস্থানে থেকে চিন্তা করুন, সব শুনে, তারপর বক্তব্য দেয়াই তার জন্য আরামদায়ক।
আমার নিজের অবস্থান থেকে একটু ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করি। আমি নিজেও এখনও ৯০% কনভিন্সড যে মুসা এভারেস্টের চুড়ায় উঠেছেন। এখন আমার আর একটা খটকা/সন্দেহ বাকী আছে (খটকাটা এখনও আমি বলছিনা), যেটা আমি আশা করে আছি হিমুও প্রকাশ করবে তার নেভারেস্টের পরবর্তী পর্বে। ব্যাপারটা অস্ট্রেলিয়ান ও'মাহনীর সাক্ষাৎকারের সাথে রিলেটেড। হিমু সেই সন্দেহের পক্ষে যথেষ্ট পরিমান তথ্য দিতে পারলে বা অন্য কোন সাবস্টেনশিয়াল পয়েন্ট তুলে ধরতে পারলেই কেবল আমি কনভিন্সড হবো যে মুসা মিথ্যে বলেছে। না হলে কনভিন্সড হবোনা, এবং তখন আমি কেন কনভিন্ভেসড না সেটা নিয়ে একটা লেখা দেবার চিন্তা করছি। বলে রাখি, নেভারেস্ট ১ এবং ২ পড়ার পর কেন আমি কনভিন্সড না, সেটা নিয়ে অলরেডী লিখতে পারতাম। কিন্তু ভাবলাম যে, আগে পুরোটা জানি, তারপরও কনভিন্সড না হলে সব গুছিয়ে একবারেই লিখবো।
এই তো গেল একজন মামুলি পাঠকের চিন্তা।
এখন ভাবুন মুসার জুতোয় পা রেখে। তিনি যদি আসলেই এভারেস্টে উঠে থাকেন, তাহলে তার কাছে নেভারেস্ট সিরিজটি "নাইন ইলেভেনে মোসাদ জড়িত" টাইপের অপলাপ মনে হবে। সেক্ষেত্রে প্রথমে পাত্তা না দেয়া বা বন্ধুদের অনুরোধে শেষমেষ সব শুনে তারপর এদেরকে একটা জবাব দিয়ে ঝামেলা মেটানো -- এমন একটা স্ট্যান্স তিনি নিতেই পারেন। আমি খুব একটা দোষ দেখিনা। বরং নেভারেস্ট পুরোটা আসার পর মুসার বক্তব্য আসলে পাঠক হিসেবে আমরাও হাত-পা ঝাড়া অনুভূতিটা পেতে পারি।
আমি আরিফ জেবতিক ভাইয়ের উদ্যোগটাকে স্বাগতম জানাচ্ছি, এজন্য যে, অন্তত মুসার একটা বক্তব্য পাওয়া যাবে।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
মুসার জুতোয় যারা পা রাখে, তারা সাধারণত নিজেদের প্রচুর ছবি আর নিদেনপক্ষে একটা ভিডিও কোথাও আপলোড করে। যারা ভিডিও করতে পারে না, তারা আরো আরো ছবি দিয়ে পুষিয়ে দেয়। আপনার সন্ধানে যদি ছবিগুলো থাকে, আমাদেরও দেখান।
যারা একশোভাগ নিশ্চিত মুসা সামিট করেছে তাদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ ভিডিও/ছবি থাকতে পারে, তবে মুসার জুতোয় পা রেখে ভাবার জন্য সেটার দরকার নাই। মুসা এভারেস্টে উঠেছেন এই অনুমিতির ভিত্তিতে মুসার জায়গায় আমি হলে কি করতাম, এভাবে ভাবতে পারলেই হবে।
আমার কাছে ছবি/ভিডিও নেই। আমি ব্লগ আর পেপারে মুসার পক্ষে বিপক্ষের বক্তব্যগুলোর ভিত্তিতেই মতামত দিচ্ছি।
ছবির ব্যাপারে অবশ্য আমি নেভারেস্ট-১ এর কমেন্টে কনফুসিায়াসের দেয়া ছবিটি দেখে কনভিন্সড। পেছনে চোমো লোনজো শৃঙ্গের ছবি আর বুদ্ধ মূর্তির প্রেয়ার ফ্ল্যাগে ঢাকা পড়ার বক্তব্য দেখে। ওটা জাল ছবি না হলেই হলো।
তারপরও আপনি বলেছেন নেভারেস্টের পরের পর্বে ছবিটার অসামঞ্জস্যতা নিয়ে লিখবেন, সেটার অপেক্ষায় আছি।
প্রসঙ্গতঃ বলি, মুসা বিতর্ক শুরু হবার পর কৌতুহলবশত ফুজি মাউন্টেনে ওঠা বন্ধুবান্ধবদের কয়েকজনের কাছে ছবি চেয়ে পাঠিয়েছি। অনেকে দিয়েছেন, দেখলাম ঘটনা একই রকম। কোন ছবিই এমন না যেখানে বোঝা যায় যে প্রায় শঙ্কু আকৃতির ফুজির চুড়ায় একজন দাঁড়িয়ে আছে। সবগুলো ছবি দেখেই এই প্রশ্ন জাগা সম্ভব, "এটা কি আসলেই পাহাড়ের চুড়া?"।
যাই হোক, এ নিয়ে হয়তো নেভারেস্ট-৩ এ আমরা কিছু লাইট পাবো। সেটার অপেক্ষায় আছি।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
এমন ছবিও আছে, যেগুলো দেখে নিখুঁতভাবে ফোটোগ্রাফারের অবস্থান নির্ণয় করা যায়, মিটার প্রিসিশনে। জিওডেসি আর সার্ভেয়িঙের বেসিক টেকনিক কাজে লাগানো হয় ঐ অ্যালগোরিদমে। তবে কয়েকটা রিজের অবস্থান ছবিতে স্পষ্ট হলেই সেটা সম্ভব। মুসার ছবি নিয়ে আলোচনা অবশ্য সামনের পর্বের জন্যে বরাদ্দ রাখাই ভালো। সামিটিয়াররা এখন যেটা করেন, ভিডিও ক্যামেরায় নিজেদের ফ্রেমে নিয়ে একটা প্যানোরামিক সুইপ করেন। এটা পৃথিবীর যে কোনো সামিটের জন্যেই ফুলপ্রুফ এভিডেন্স। ইন ফ্যাক্ট, ভবিষ্যতে যারা বাংলাদেশ থেকে কোনো শৃঙ্গজয় করবেন, তাদের চাপ দেয়া যেতে পারে এমন ভিডিও আর স্টিল ছবির জন্যে। নাহলে দুইদিন পর পর যদুমধুকদু গিয়ে এভারেস্ট জয়ের দাবি করবে।
ও'মাহনী নামে কোনকালে কোন সময়ই কোন অস্ট্রেলিয়ান পর্বতারোহীর অস্তিত্ব ছিলো না, এখনও নাই, সামিটিয়ার তো দূরের কথা। অস্ট্রেলিয়ান ও'মাহনী পরিচয়ের পেছনেও শানে নযুল আছে। ব্যাপারটা ইচ্ছাকৃত অনেকটা হলুদ সাংবাদিকতা বলতে পারেন। আমারটা মিথ্যা প্রমাণিত হলে নাকে মুখে চুন মেখে ঘুরতেও রাজী।
বাদশা ভাই অন্ততঃ একটা মিথ্যাকে দেখিয়ে দিয়ে আপনার ৯০% থেকে আরো ১০% কমিয়ে দিলাম।
...........................
Every Picture Tells a Story
একটু বিস্তারিত বলা যায়?
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
মুস্তাফিজ ভাই,
নামের বানান এদিক সেদিক হতে পারে, তবে ও'মাহনীর নামটা হিমুর নেভারেস্ট ২ থেকে নেয়া, দেখা যাচ্ছে আমি ম্যাহনিকে মাহনি লিখেছি।
নেভারেস্ট-২ তে হিমু লিখেছেন
মুসার জীবন রক্ষাকারী আরেকজন, স্কটিশ স্টিফেন গ্রিন। তার ব্লগে ব্রেনডানের (ও'মাহনীর ফার্স্ট নেইম) কথা উল্লেখ করেছে এই বলে যে স্টিফেন মুসাকে এনার্জি জেল খাইয়েছে, আর ব্রেনডান টেপ দিয়ে মুসার অক্সিজেন নলের ফুটো বন্ধ করে দিয়েছে।
আর নিচের লিংকেও দেখবেন দ্বিতীয় লাইনেই ও'মাহনীর নাম এসেছে সামিটিয়ার হিসেবে
http://www.everestnews.com/everest2010/adventurepeakseverest05272010.htm
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আচ্ছা উইথড্র করলাম, স্কটিশ স্টিফেনের সাথে গুলাইয়া ফেলেছি। ভালো থাকবেন।
...........................
Every Picture Tells a Story
আমি যদি ভুল না বুঝে থাকি হিমু ভাই নেভারেস্টের প্রথম পর্বেই এটা স্পষ্ট করেছেন যে, ওনার উদ্দেশ্য মুসা ইব্রাহিমের এভারেস্ট বিজয়ের দাবি নিয়ে উঠা অসংগতি গুলো তুলে ধরা। সুতরাং যারা বলছেন ব্লগার হিমু মুসাকে মিথ্যা প্রমাণের জন্যই মাঠে নেমেছেন সেটা হয়ত সত্য নয়। বরং হিমু ভাই এটাও বলেছেন যে, এই বিতর্কের মাধ্যমে যদি মুসা ইব্রাহিমের দাবি সত্য প্রমাণিত হয়, সেটাও একটা অর্জন। ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো ভবিষ্যতে যারা দুঃসাহসিক অভিযানে যাবে, যেখানে স্পষ্ট প্রমাণের প্রয়োজন তাদের জন্য এটা একটা বার্তা হিসেবে থাকবে।
সুতরাং নেভারেস্ট সিরিজ নিঃসন্দেহে একটা মাইলস্টোন। ব্লগার হিমু যদি আর কিছু নাও করেন এই একটা সিরিজ দিয়েই তিনি ইতিহাসে স্থান পেয়ে যাবেন একারনে যে তিনিই (প্রায়ই যুদ্ধ করেই) দেখিয়েছেন এই জমানায় সব কিছুই লিটমাস টেস্ট দিয়েই পাস করতে হয়। শুনলাম আর বিশ্বাস করলাম, ওই জমানা এখন আর নাই।
অনন্ত
মন্তব্যে উত্তম জাঝা ।
হে হে হে, ঠিকাছে।
তবে বস, দুয়েক জায়গায় মনে তো হইলো তেলের ডিব্বা পুরোটাই ঢেলে ফেললেন!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হে হে হে, আমারো তাই মনে হইতেছে এখন। যদিও কথাগুলো সত্য তবে অন্যভাবে বলা যেত।
একজন আমজনতা এবং আমপাঠক হিসেবে আমার প্রথম প্রথম মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয় নিয়ে কোন সন্দেহ ছিলনা। হিমু ভাই এর নেভারেস্ট পর্বের কথা যখন শুনলাম তখনো প্রথমে মনে হয়েছিল যে কিছু মানুষ খালি কেউ কিছু অর্জন করলে তার পিছে লাগতে চায়! কিন্তু নেভারেস্ট পর্বগুলো পড়ার পর মনে হল আমি যা ভাবছি এটা তা না। বলতে লজ্জা নেই, আমার কাছে লেখাগুলো বেশ কঠিন লেগেছে...অনেক টেকনিক্যাল ব্যাপার স্যাপার আছে যেগুলো মাথার উপর দিয়ে গেছে। কিন্তু তারপরো যা বুঝেছি লেখা এবং কমেন্ট থেকে, তাতে আমার মনেও সন্দেহ ঢুকে গেছে। (এবং আমি সচলে নাই এরকম আরও দশজনের মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিচ্ছি)। এই সন্দেহ একমাত্র মুসা ইব্রাহীমই পারেন দূর করতে। হিমু ভাই এর কি কাজ এর এতই অভাব ছিল যে এত খাটা খাটনি করে তিনি মুসা ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে লেখালিখি করবেন? আর আমার পিছনে বাই চান্স কেউ যদি এত কষ্ট আর সময় ব্যয় করেই থাকে, আমি তো খুশীতে বাকবাকুম হয়েই বিনিময়ে তার জন্য কিছুটা সময় খুঁজে বের করব!
আশা করি আমার এবং আমার মত আরো অনেক আমজনতার সন্দেহ অচিরেই দূর হবে। কারন আমরা চাই হিমু ভাই ভুল প্রমান হোক...তিনি নিজেও তাই চান আমার বিশ্বাস।
আর একটা বিষয় আমার মনে হয়েছে, এভারেস্ট জয় নিয়ে প্রশ্নগুলো যে তুলছে একমাত্র সেই জানে কোন উত্তরটা পেলে সেই বিষয়ে দ্বিতীয় কোন প্রশ্ন উঠার অবকাশ থাকবে না...সে ক্ষেত্রে কী হিমু ভাইয়ের কাছে সাক্ষাতকার দেয়াটা সবচেয়ে বেশী বুদ্ধিমান এর কাজ হোত না?
তারাপরো, নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল...সো মুসা ভাই কিছু একটা অন্তত করেন!
ধুর! এত সব চিল্লাপাল্লা দেখে মাথা গুলায় গেল গা। তাওয়া গরম থাকতে রুটি না ভাজলে, গবেষণাবিদ ব্লগার রা তো চান্স নিবেই। এখন ফটুক কেন, মুসা মিয়া যদি এভারেস্ট থেকে বুদ্ধ মূর্তি কোলে করে নিয়ে আসলেও বিশ্বাস যামু না, এদ্দিন দেরি করলেন কেন?
এর চে নিজে এভারেস্ট যাওয়ার বন্দোবস্ত দেখি। ভাইসব, "প্রথম বঙ্গললনার হিমালয় জয়" ফান্ডে কিছু দান খয়রাত করেন। উঠতে পারলে একটা লাল ছা এর দোকান দিমু, প্রমাণ চাইলে আইসা এক কাপ চা ফ্রী খায়া যায়েন।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আপনে হিমালয়ে উঠলে দি নিউ এভারেস্ট ঝালমুড়ি এন্ড ক্যামেরা বিতান থেকে ঝালমুড়ি না খেয়ে কিন্তু আসতে পারবেন না, হুঁ!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এবার আমাকে রয়্যালটি দিতে হবে, কারণ এই আইডিয়ার সূত্রপাত হইছে আমার মন্তব্যের সূত্রে
আপনাদের মতো স্পেশাল কাস্টমারের জন্য রয়্যালিটি বাবদ আর ইয়েতির দুধ দেয়া ছা!
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আরিফ ভাই, মূসারে বলেন যে নেভারেষ্ট সিরিজটা 'হিন্দি সিরিয়াল' গুলার আদলে বানানো হইসে, সুতরাং পৃথিবী ধ্বংশের আগ পর্যন্ত এইটা চলতেই থাকবো। উনার কষ্ট কইরা কুনু সাক্ষাত দেয়ার দরকার নাইক্কা, দুনিয়া ধ্বংশের পর রোজ কেয়ামতের দিন হাশরের ময়দানে পাই-টু-পাই সব কিছু শুইন্না লমুনি ... ... ...
অটঃ রিপাতাপা'র জইন্য আমার পক্ক তেকে কুদ্র একটা (গুড়) ... ...
===============================================
ভাষা হোক উন্মুক্ত
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
আমি ভেবে পাচ্ছি না যে এটা নিয়ে কেউ এখন পর্যন্ত আদালতে যায়নি কেন। যদি মুসার এভারেষ্ট জয়ের ঘটনাটা মিথ্যা হয়, তাহলে যারা এই প্রপাগান্ডার পেছনে জড়িত তারা চরম রাজাকারী করেছে পুরো জাতির সাথে।
নেভারেস্ট দিতেই যদি হিমু ভাইয়ের মাসের পর মাস লেগে যায়, মুসা ভাইয়ের এভারেস্টে উঠার প্রমাণ দিতে কত দিন লাগবে, সেটা তো বোঝাই যাচ্ছে। বাঙ্গালি জাতি বড়ই অধৈর্য...
এ্যাঁ এটা কি বলেন সাবিহ সাহেব? আপনি ঢাকা থেকে নেপালে (বা বাটালি হিলে) গেলে তার প্রমাণ দিতে কতক্ষণ লাগার কথা? এভারেস্টে না ওঠা প্রমাণ করার থেকে ওঠা প্রমাণ করাই তো সহজ হওয়ার কথা, তাই না? তা আপনি যদি ওনার বন্ধ হন তো আমজনতার একটু উপকার করেন না? সেরকম একটা ছবি পোস্ট করে দেন না?
এ্যাঁ, আপ্নে এটা কি বলেন লেখক সাহেব? হিমালয় কত লম্বা কোন আইডিয়া আছে? এটা কি চারফুটি ট্যাপার মা'র ছবি যে বোতাম টিবি দিবেন আর ফটফট প্রিন্ট বেরিয়ে আসবে? ছবি ক্যামেরা থেকে কম্পু'তে আর পেন ড্রাইভে আপলোড হইতেছে, ধৈর্য ধরেন। কোথায় ব্যাটারি-ট্যাটারি কিনে দিয়ে একটু হেল্প করবেন তা-না, এইখানে আইসা ডিসটার্ব দিতেসেন...যাচ্ছেতাই!
যাঁরা মোজেসের নেভারেস্ট সিরিজ শেষ হলে সাক্ষাৎকারে কোনো সমস্যা দেখছেন না তাঁদের জন্য কিছু তথ্য উপস্থিত করছি বিনীতভাবে।
১. বাংলাদেশের বিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ শুরু হয় কবে? জানুয়ারি থেকে?
২. জানুয়ারিতে বই বিতরণ শুরু হলে এই বই কবে নাগাদ সংশ্লিষ্ট জেলাসমূহে পৌঁছাতে হবে মনে করেন? ডিসেম্বর?
৩. ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের সবগুলো জেলায় পাঠ্যপুস্তক পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হলে কবের মধ্যে সেই বই সরবরাহের জন্য তৈরী রাখতে হবে? নভেম্বর?
৪. নভেম্বরের মধ্যে সরবরাহযোগ্য বইসমূহের মুদ্রণ, বাঁধাই শেষ করতে হবে ন্যুনপক্ষে কবে? অক্টোবর?
৫. এটা কী মাস? সেপ্টেম্বর? আজকে কয় তারিখ যায় সেপ্টেম্বরের? ২০ তারিখ?
এবার কয়েকটা সমীকরণ মিলিয়ে দেখুন দয়াকরে।
পাঠ্যপুস্তকে মোজেসের এভারেস্ট জয়ের দাবী সংযোজনের কথাবার্তা শুনতে পাচ্ছি।
মোজেস মে মাসে দাবী করা সামিটের ছবি নিয়ে প্রদর্শনী করবে নভেম্বরে।
সে সাক্ষাৎকার দিতে রাজী হয়েছে কিন্তু নেভারেস্ট সিরিজ শেষ হওয়ার পর। অর্থাৎ যদি ধরে নেই নেভারেস্ট সিরিজের কমপক্ষে আরও দুইটা পর্ব আসবে তাহলেও পূর্বপ্রকাশনার হার অনুযায়ী শেষ পর্ব আসবে অক্টোবরের শেষে অথবা নভেম্বরের শুরুতে (নেভারেস্ট সিরিজের পর্ব-০, পর্ব-১ এবং পর্ব-২ প্রকাশিত হয় যথাক্রমে ২৭ জুন, ৬ জুলাই এবং ১৪ আগস্ট)।
তারপর এই নিয়ে মোজেসের সাক্ষাৎকারে বসতে বসতে গোটা নভেম্বর শেষ। অর্থাৎ ততোদিনে পাঠ্যপুস্তক মোজেস এবং তার এভারেস্ট জয় পিঠে নিয়ে মুদ্রণ, বাঁধাই, গাট্টি পর্যায় শেষ করে পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের গোডাউনে স্ট্যান্ডবাই হয়ে থাকবে বাংলাদেশের সব জেলায় সরবরাহিত হওয়ার জন্য।
এই অবস্থায় মোজেস এর সাক্ষাৎকারে কী প্রমাণ হলো বা না হলো, সেটা তখন আর কতোটুকু গুরুত্ব বহন করবে, এই বিচারের ভার আপনাদের উপরই থাকলো।
আমি কেবল যেটা বলতে চাই, সেটা হলো- মোজেস প্রাণপণে চাচ্ছে সময় কিল করতে। তার পাইক-পেয়াদা-ভাইবেরাদরবাহিনী সবাই সে কাজে নেমেছে। একবার পাঠ্যপুস্তকে নাম উঠাতে পারলেই কেল্লাফতে। এই উদ্ভট উটের দেশে এর পরে আর শত চেষ্টা করেও মোজেসের কপাল থেকে এভারেস্ট জয়ের তিলক সরানো যাবে না। সে এভারেস্টের সামিট পয়েন্টে উঠেছে কি উঠেনি, সেটা তখন হয়ে যাবে 'এক অবান্তর প্রশ্ন'!
গত মে মাস থেকে পানি অনেকদূর গড়িয়ে গেছে। মোজেসের এখন তার দাবী থেকে সরে আসার পথ খোলা নেই। "বাই এনি মিনস" তাকে তার দাবীর সাথে সেঁটে থাকতে হবে। এবং সেটা থাকতে হবে কমপক্ষে নভেম্বর পর্যন্ত! এই ব্যাপারটা সবাইকে একটু ঠাণ্ডামাথায় বিবেচনা করার অনুরোধ জানাই।
পাশাপাশি আরিফ ভাইকে অনুরোধ করি, আপনার সোর্সের মাধ্যমে মোজেসকে এই মাসের মধ্যেই সাক্ষাৎকারে বসার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করুন। হ্যাঁ, সাক্ষাৎকার আপনার সাথেই হোক। সেখানে সানডে, সিমু, যাকে খুশি সে রাখতে চায়, রাখুক। পাশাপাশি হিমুও থাকুক।
মোজেসের যদি তার দাবী নিয়ে কোনো সংশয় না থাকে, যদি সে নিজেকে মিথ্যা এভারেস্টজয়ী হিসেবে প্রচার না করে থাকে, তাহলে এই সাক্ষাৎকারে তার রাজী না হওয়ার কোনো কারণ নেই। কিন্তু এর অন্যথা হলেই বুঝতে হবে মোজেসের গোড়ায় গলদ। এভারেস্টজয় সম্পূর্ণ ভুয়া। তার উদ্দেশ্য অন্য। অসৎ।
এবং তখন দল-মত-বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের সবার এর প্রতিরোধে সামনে এগিয়ে আসা উচিৎ হবে, আসতেই হবে। নয়তো জাতিগত অপমানের ভার নিয়ে চিরকাল কুঁজো হয়েই হাঁটতে হবে আমাদের।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার মন্তব্যে কয়েকটি জিনিস নিয়ে একটু কথা বলি।
১ প্রথমত, পাঠ্যপুস্তকে সংযোজনের কথা "শুনতে পাচ্ছেন" বললেন, আরেকটু বিস্তারিত বললে আপনার আশংকা আরো ভালোভাবে অনুধাবন করা যেত।
২ হিমালয় বিজয়ের কাহিনী যদি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাই হয়ে থাকে, তবে পাঠ্যপুস্তকে এলেই "কেল্লাফতে", এমনটা ভাবার কারণ কি? সেভাবে "কেল্লাফতে" ভাবতে হলে তো দেশের বৃহৎ মিডিয়াগোষ্ঠীর আশির্বাদ পাওয়াটাতেই কেল্লাফতে হওয়ার কথা ছিল, সেটা কিন্তু হয়নি। পাঠ্যপুস্তকে এলেই সেটা চিরদিনের জন্য সত্য হয়ে গেল, তাও কিন্তু না।
৩ মুসা সময় নিতে চাইছেন, এটা তো বোঝাই যাচ্ছে, তাতে আপনার আমার সন্দেহ বাড়লেও, তাকে একদমই সময় না দিয়ে "এই মুহূর্তেই বলতে হবে" বলাটা কোনভাবেই ন্যায়সঙ্গত হয় না। তবে আপনার যথাশিঘ্র সাক্ষাৎকার গ্রহণের আইডিয়া সমর্থন করি।
২. সমস্যা হলো, এক রেফারেন্সকে লেজুড় ধরে অন্য রেফারেন্সকে হালাল করা হয়, যেখানে প্রথম রেফারেন্সেরই প্রমাণ নেই। সাংবাদিকেরা কোনো স্ট্রিক্ট প্রমাণের ধার না ধেরেই মুসার এভারেস্ট জয়ের খবর ছাপিয়ে দিয়েছে (এই পোস্টে মন্তব্য ১৮ ও ১৮।৭ দ্রষ্টব্য) আবার আমাদের প্রাইমিনিস্টার আর আপোষহীন নেত্রী কোনো প্রমাণের ধার না ধেরেই বিদ্যুৎগতিতে অভিনন্দন জানিয়েছে। উইকিতে বাংলাদেশের প্রথম এভারেস্টজয়ী হিসেবে মুসার নামে নিবন্ধ এসেছে। নিরীহ ত্রিভুজের নিজের নামে লেখা নিবন্ধ সরিয়ে দেয়া সহজ; কিন্তু একটা দেশের প্রাইমিনিস্টার যখন অভিনন্দন জানায় আর সংবাদপত্রের রেফারেন্স থাকে, তখন সেটা ইউকি বা উইকির বাপেরও সাধ্যি নেই সরিয়ে দেয়ার। তথ্যের অথেনটিসিটি নির্ধারণে ইউকির নিজস্ব একটা স্ট্যান্ডার্ড আছে, সেই স্ট্যান্ডার্ডটা রেফারেন্সনির্ভর; নিজস্ব অনুসন্ধাননির্ভর নয়। কিন্তু উইকির রেফারেন্সও সবক্ষেত্রে না হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অথেনটিক হিসেবে নেয়া হয়। এখন মুসার নামে দেশে পাঠ্যপুস্তক এসে গেলে আরেকটা অনেক শক্ত রেফারেন্স বাড়বে, অথচ আসলে সে এভারেস্টে উঠেছে কিনা, সেই বিষয়টা প্রমাণিত হওয়ারই দরকার পড়ে নাই। মুসা যে এভারেস্টে উঠেছে, তার প্রমাণস্বরূপ কে যেন সার্টিফিকেট স্ক্যান করে দিয়েছিলো।
৩। সচলে সাক্ষাৎকার দিতেই হবে, এমন কোনো কথা নেই। কিন্তু প্রমাণ পেশের পরেই কোনো কিছু অর্জনের দাবী করা উচিত। অর্জনের দাবি করে প্রমাণ দেবো, দিচ্ছি করা সম্ভবত বাংলাদেশেই সম্ভব।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
১. আরেকটু বিস্তারিত বলতে হলে আমাকে পাঠ্যপুস্তকের খসরা যোগাড় করতে হবে। যেটা আমার পক্ষে এই মুহূর্তে অসম্ভব। এটা অসম্ভব বলেই পাঠ্যপুস্তকে মোজেসের এভারেস্ট জয়ের কাহিনির প্রকাশ প্রস্তুতি "পাকাপাকি" কথাটা লিখেও মুছে দিয়ে "শুনতে পাচ্ছি" লিখেছি। তবে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন, সামনের জানুয়ারিতেই আপনার কৌতুহল নিবৃত হবে।
২. 'কেল্লাফতে' ভাবার কারণ হলো মিডিয়াগোষ্ঠী আর পাঠ্যপুস্তকগোষ্ঠী এক না। মিডিয়াতে প্রকাশিত খবরের প্রতিবাদ হয়, তদন্ত হয়, প্রমাণ চাওয়া-নেওয়া-দেওয়া হয়, সর্বোপরি খবর আন-ডু হয়। কিন্তু পাঠ্যপুস্তকের ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটা এক পাক্ষিক। পাঠ্যপুস্তকে সংযোজিত বিষয়ের পরিমার্জন হয়, পরিবর্ধন হয়, কিন্তু আন-ডু হয় না। মোজেস এভারেস্টজয়ী, এটা একবার প্রকাশিত হলে গোটা বাংলাদেশের একটা জেনারেশন দৈব বাণীর মতো এটাকে মেনে নিবে। পাঠ্যপুস্তক জিনিসটাই এমন। এটা পপিগাইড না।
আপনি হয়তো ভাবছেন স্বাধীনতার ঘোষক তো প্রতি পাঁচ বছর পর পর বদলায় পাঠ্যপুস্তকে। এ ব্যাপারে আমি আপনার সাথে একমত। এই বদলানোর ঘটনাটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। খেয়াল করে দেখবেন, মোজেস এই বদলানোর রাজনীতির উপরে চলে যাওয়ার কৌশিশে সফল হয়েছে। জননেত্রী আর আপোষহীন নেত্রী- দুজনেই রীতিমতো প্রতিযোগিতা করে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। সুতরাং, মোজেসের দাবী যে লীগ এবং বিএনপি উভয় আমলেই সালামতে থাকবে এইটা নিয়ে মনে হয় না আপনার কোনো সন্দেহ আছে!
৩. "এই মুহূর্তেই বলতে হবে" এটাকে সমর্থন না করে আপনি মোজেসকে বেনিফিট অব ডাউট দিচ্ছেন। কীভাবে দিচ্ছেন সেটা তো মূল মন্তব্যেই বললাম। টাইমলাইনটা খেয়াল করে দেখুন। পাঠ্যবই ছাপা কারখানায় চলে যাবে সামনের মাসের মধ্যেই। সে যদি সাক্ষাৎকার দিতে আগ্রহী হয়, তাহলে পাঠ্যবই ছাপায় যাওয়ার আগেই হওয়া উচিৎ। আর সেজন্যই "এই মুহূর্তে"! আপনি নিশ্চয়ই বকরি ঈদের ছাগল জবাই করে তারপর বলবেন না, "হ, কুরবানির ভেজাল শ্যাষ করলাম, আসেন হুজুর এইবার তাইলে ঈদের জামাতটা পড়ে ফেলি"!
প্রতিটা জিনিসেরই একটা সময় আছে না কৌতুহলী ভাই?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি বুঝতে পারছিনা মুসা কে নিয়ে এত লিখালিখির পর ও সে কেন সে সবার সামনে আসতেছেনা। সে কি ব্লগ এর এই লেখাগুলো দেখতেছেনা ? বাংলাদেশে কি এমন একজন সাংবাদিক নাই যিনি কোন পত্রিকায় এটা শিরোনাম করতে পারবে ? বাংলাদেশের সব পত্রিকা কি প্রথমআলোকে ভয় পায় ? ভাই আমারা এ কোন দেশে বসবাস করতেছি ?
ব্লগ এ হোক আর যেখানেই হোক এত লিখালিখির পর মুসার আসলেই লজ্জা থাকা উচিত। সেতো একটা বেহায়া। মুসা যদি সত্যি এভারেস্ট জয় করেই থাকে তাহলে ওখানকার ছবি বা ডকুমেন্টস দেখাতে সমস্যা কোথায় ? আমি নিজেয় মুসাকে ফেসবুক এ মেইল করেছিলাম আমাকে উত্তর দিল ইউ উইল বি নোটিসড ।
এটা যদি দেশ ও দেশের মানুষের সাথে প্রতারনা হয়ে থাকে তাহলে আমার মনে হয় মুসাকে ফাসি দিলেও তার সাস্তির শেষ হবেনা ।
আশা করি মুসা যদি সত্যি এভারেস্ট জয় করেই থাকে তাহলে সে সবার সামনে এসে তাকে নিয়ে যেসব সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে তার সমাধান করে দেবে আর যদি সে এটা না করে তাহলে সবার ধরে নেওয়া উচিত যে সে দেশ ও দেশের মানুষের সাথে প্রতারনা করেছে ।
ভালো থাকবেন সবাই ।
ভাই, খুব বেশি কিছু জানিনা, বা বুঝিনা। শুধু এই টুকুই জানিযে, মুসা সাহেবের এই ঘটনা যদি সত্যি হয়, অর্থাৎ তার দাবি যদি মিথ্যে প্রমানিত হয়, তাহলে তার ফলাফল অত্যন্ত্ ভয়াবহ হবে। তিনি পরিনত হবেন জাতীয় প্রতারক হিসেবে। আর এক জন মহিলা সংবাদিক এর যে ব্যবহার দেখা গেল তাতেও অনেক কিছুই প্রান হয়ে যাচ্ছে। তার উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনি যখন মুসার এত বড় একজন শুভাকাংঙ্খী, তার সম্মানের কথা চিন্তা করে আপনার মেমরী স্টিক থেকে (যেগুলো কে অকাট্য প্রমান হিসেবে দেখানো যায়) কিছু ছবি আপলোড করে দেন। আর যদি না থাকে তাহলে দয়া করে নিজের সম্মান এর দিতক নজর দিন। মানুষ এখন ভালো ও ভদ্রভাবে বলছে। কিন্তু বাধ ভেঙ্গে গেলে ..... আপনিই সমস্যায় পড়বেন। সেই বেজজ্জইতির কোনো ছবি বা ভিডিও অভাব হবে না।
আর আরো একটা কথা, আমার ধারনা ব্যক্তি মূসার সাথে এই খানে কারো কোন বিরোধ নেই। তাই আমরা যে তার শুভাকাংঙ্খী নয়, তেমনটাও বলা যাবে না। আমরা শুধু প্রতারনা এবং মিথ্যাচার এর বিরুদ্ধে। এখন তিনি যদি মিথ্যাচার বা প্রতারনা করেন, তাহলে আমরা সেটার বিরুদ্ধে এবং অবশ্যই তাকে একদিন না একদিন বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। চোরের সাক্ষী বাটপার হিসেবি সেদিন কিন্তু আপনিও ছাড় পাবেন না। দোয়া করেন যেন এমনদিন না আসে।
আর হিমু ভাই আপনার প্রতি অনুরোধ রইল, আপনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সত্য উদ্ধার করে আমাদের তথা জাতির সামনে তুলে ধরবেন। যিনি সত্যিকারভাবে সম্মানের পাত্র, শুধু তারই সেই সম্মান পাওয়া উচিত।
...
তাহারা কি দেখেনা সেই সব উঁচু পর্বত, যেখানে রহিয়াছে অর্থপ্রদায়ী বানিজ্য এবং কাগজ।
অত:পর সেই মানুষ পিছলাইতে থাকিব যা পুর্ববর্তী পিছলানোর চাইতে অধিক উন্নত মানের। অনেক শ্রদ্ধেয় ব্লগার যারা আপোষহীন বলিয়া খ্যাত তাহাদের কে এমন ভাবে বুঝ দেয়া হইবে যেন কালক্ষেপণের দ্বারা সুরুয়া ঝোল চাটিয়া খাওয়াটা সহজতর হয়।
সুতরাং হে অবিশ্বাসীগণ তোমরা কী করে প্রমাণ করিবে সেই সব চতুর আরোহীর ছলনাসমূহ।
...
মন্তব্যে (গুড়)
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এটা দেখে মজা পেলাম...৫.২০ থেকে মজা শুরু।
মুসা ইব্রাহিম যদি চূড়ায় উঠেও থাকেন, তারপরও এই ধরণের ফাউল বানোয়াট মনভজানো (এবং লজ্জাজনকরকমের অপ্রতিভ) জবাব শুনে পিত্তি জ্বলে গেল।
ভিড্যুতে দেখলাম, এভারেষ্ট জয়ের ব্যাপারে মুসা একজন মেয়েকে সমর্থন দেবার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন! মেয়েটি নিশ্চয়ই মেমরী ষ্টিক আপু! হিহিহি
নতুন মন্তব্য করুন