১.
মুসা ইব্রাহিমের বক্তব্য প্রকাশ করার একটা চেষ্টার কথা আমি আগে সচলে জানিয়েছিলাম, কিন্তু পরবর্তীতে বিষয়টি আর তেমন করে এগোয় নি, সেখানেই থমকে আছে।
২.
এভারেস্ট জয় নিয়ে সন্দেহ সৃষ্ঠি নতুন নয়, সবচেয়ে কম সময়ে এভারেস্ট জয়ী পেমবা শেরপার বিজয় নিয়েও সন্দেহ তৈরী হয়েছিল এবং নেপালি টুরিজম বোর্ডের তদন্ত দল ( the evidence cross-checked by the team included flags, photographs and a written document which he had seen or collected on his ascent of the 8,850 m peak. ) পেমবার ৮ ঘন্টা ১০ মিনিটে এভারেস্ট সামিটকে বৈধতা দিয়েছিল।
মুসার এভারেস্ট সামিটের দাবির স্বপক্ষে কোনো ভিডিও ফুটেজ নেই, এবং তিনি ভিডিও করেছেন বলেও কোথাও জানান নি। কিন্তু ব্যাটারির সমস্যা সত্ত্বেও তিনি এভারেস্টের চূড়ায় কিছু ছবি তুলেছেন বলে আমরা সংবাদ মাধ্যমে জেনেছিলাম। এর মাঝে বৌদ্ধ মূর্তির সঙ্গে তাঁর ছবি আছে বলেও আনিসুল হক লিখেছেন বলে শুনেছি। ( লিংক খোঁজার কষ্ট করতে যাই নি, কারন আনিসুল হক এর এভারেস্ট সংক্রান্ত লেখা প্রতিদিন যে হারে প্রকাশ হচ্ছিল, সেগুলো পড়ার সময় পাই নি, এটা কুণ্ঠিত চিত্তে স্বীকার করছি।)
বৌদ্ধ মুর্তির সঙ্গে মুসার ছবি আছে কি না এবং থাকলে সেই ছবি এখনও প্রকাশিত হচ্ছে না কেন, এ নিয়ে অনেক কথাবার্তাও হয়ে গেছে। এখানে আমরা সচলে এক অতিথির কমেন্টে জেনেছিলাম যে প্রচুর ছবি সাংবাদিকদের সরবরাহ করা হয়েছে, এবং সাংবাদিকরা মেমরি স্টিকে সেই ছবি নিয়ে গেছেন।
সেই আলোচিত ছবিগুলো আমি সংগ্রহ করেছি। যেহেতু আমি টেকি মানুষ না, তাই ছবিগুলো সংগ্রহ করার পরেই সচল মুস্তাফিজ ভাইকে সঙ্গে নিয়ে দেখেছি। ছবিগুলো যেহেতু পত্রিকার পাতা থেকে নেওয়া হয় নি, তাই এগুলোর রেজুলেশন তুলনামুলক ভাবে ভালো। ৫১৪টি ছবির মাঝে মুসার বাসার ৫টি ব্যক্তিগত ছবিও চলে এসেছে। মুস্তাফিজ ভাই নিশ্চিত করেছেন যে সংগৃহিত ছবিগুলো একই ক্যামেরায় তোলা এবং কোনো রকম বিকৃত করার লক্ষন দেখা যায় নি। বাসার ৫টি ছবির পরে, এভারেস্ট যাত্রার সময়কালীন ছবিগুলোর মাঝে ৮ এপ্রিল বিমানের মাঝের একটি ছবি দিয়ে শুরু এবং শেষ ছবিটি ৩১ মে তারিখে একটি নেপালি দোকানের ছবি।
যাত্রার বিভিন্ন ধাপের ছবি আছে এলবামটিতে।
এর মাঝে চূড়ায় মোট ছবি আছে ২০টি, যার সবগুলিই কয়েক মিনিট ব্যবধানে ২৩ মে সকাল ৫.১১ মিনিট থেকে ৫.২২ মিনিটে তোলা। অধিকাংশ ছবিই ক্লোজ করে তোলা এবং পেছনের ব্যাকগ্রাউন্ড পরিস্কার বোঝা যায় না।
মাত্র দুটি ছবির অবস্থান থেকে গবেষকরা গবেষনা করতে পারেন।
একটি ছবিতে পেছনের একটি পিক দেখা যায়। এখানে জ্বিনের বাদশা অথবা পিপিদার এক মন্তব্য থেকে জানলাম, ঐ পিককে চোমোলোনজো পিক বলে। গুগলিং করে দেখলাম, Doug Scott নামের একজন অভিযাত্রী, যিনি has made 45 expeditions to the high mountains of Asia. He has reached the summit of 40 peaks, of which half were climbed by new routes or for the first time in Alpine Style. Apart from his climb up the South West Face of Everest with Dougal Haston during Chris Bonington's Expedition of 1975, he has made all his climbs in lightweight or Alpine Style, without the use of artificial oxygen. He has reached the highest peaks on all seven continents - "the seven summits." তার ছবিতেও এই পিকটি দেখা যাচ্ছে।
মুসার ছবিতে এই পিকটি নিচে তীর চিহ্ন দিয়ে দেখাচ্ছি :
Doug Scott এর ছবিটিতে পিকের অবস্থান: ( ছবিটি Doug Scott এর নিজস্ব ওয়েবেও আছে, তবে ভালো রেজুলেশনের জন্য ছবিটি নেওয়া হয়েছে এখান থেকে ।)
এই ছবিতে পিকটির নাম সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারছি:
দ্বিতীয় যে ছবিটি এভারেস্টের পশ্চিমে এভারেস্টের ছায়া দেখা যায়, সেই ছবিটির ভালো রেজুলেশনের ছবিটি এখানে :
যেহেতু ছবিটি মুসার অন্যান্য ছবির সঙ্গে মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে তোলা এবং একই ক্যামেরায় তোলা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে, সুতরাং এভারেস্টের ছায়ার অন্যান্য ছবির সঙ্গে মিলিয়ে এই ছবিটিও আগ্রহী গবেষকরা গবেষনা করে দেখতে পারেন। যদি অন্যান্য যেসব ছবি এভারেস্টের চূড়া থেকে তোলা হয়েছে বলে দাবি করা যায়, সেগুলোর সঙ্গে কোনো অবস্থানগত অমিল না থাকে, তাহলে এই ছবিটিও এভারেস্ট চূড়ায় তোলা হয়েছে বলে ধারণা করা যেতে পারে।
এর বাইরে স্পনসরদের ব্যানারবহুল ছবিগুলোর মাঝে একটি ছবিতে পেছনে হালকা হলুদ বর্ডারে, সাদা কিছু একটার উপস্থিতি কিঞ্চিত টের পাওয়া যায়। ছবিতে বিষয়টি আমি তীর চিহ্নিত করলাম :
এই অতি সুক্ষাতিসুক্ষ হলুদ বর্ডার কি প্রেয়ার ফ্ল্যাগ নাকি ফ্ল্যাগের আড়ালের বৌদ্ধমুর্তির বাক্সের অংশ, সেটিও সংশ্লিষ্টরা খতিয়ে দেখতে পারেন। যদিও আপাতত এটি একটি অতি ক্ষীণ একটা রেখা, কিন্তু যারা বিষয়টি ভালো বুঝেন, তারা অন্যান্য সামিটিয়ানদের পরিস্কার করে বৌদ্ধমূর্তির যে বাক্সটি তুলেছেন, সেই বাক্সের সঙ্গে এই হলুদ রেখাটিকে নিয়ে বিবেচনা করে আমাদেরকে আলোকিত করতে পারেন। যেহেতু পরিস্কার করে ঐ বাক্সের ছবি মুসার ক্যামেরায় নেই, তাই এই অতি ক্ষুদ্র সম্ভাবনাগুলোও খতিয়ে দেখা যেতে পারে।
(সংযুক্তি: সকাল ১১.১৬)
আমার এক বন্ধু আমাকে বৌদ্ধমূর্তির ছবি দিয়ে ফটোশপে সহায়তা করে একটি ছবি দিয়েছেন, যাতে করে কুইক পাঠকরা বৌদ্ধমূর্তির ছবিটি পাশাপাশি দেখতে পারেন। আমি এই ছবিটিও নিচে দিচ্ছি :
আমার ফ্লিকার একাউন্ট থেকে এই পোস্টে সবগুলো ছবির মাঝারি ভার্সন আপলোড করা হলো, মূল মাপের ছবিগুলো সরাসরি ফ্লিকার একাউন্টে দেখা যেতে পারে।
Daily Star ওয়ালা ছবিতে, পিছনে নীল জ্যাকেট পরা লোকটি কি করতেছে? প্রেয়ার ফ্ল্যাগ গাদা সরাচ্ছে নাকি?
মুসা প্রথম আলোতে বলেছেন মুর্তি প্রেয়ার ফ্ল্যাগে ঢাকা ছিল, এর সত্যতা কতটুকু? মুসা কি মিথ্যা বলেছিল? নাকি সে ৩০ মিনিট চুড়ায় অবস্থান করেও বুদ্ধমুর্তি প্রেয়ার ফ্লাগ এর নিচ থেকে বের করতে পারে নি? ১৯ টি ছবির মধ্যে একটাতেও বুদ্ধমুর্তি নেই কেন? মুসা কি বুদ্ধমুর্তির ব্যাপারে জানতেনই না?
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
আরিফ ভাই, এমন একটা দুর্দান্ত পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। মুসার জন্য আপনার এই পোস্ট কিছুটা হলে স্বস্তিদায়ক। কিন্তু আপনি মুসার এভারেস্ট জয়ের এতদিন পর যে কাজটি করলেন, তা কিন্তু আশীফ এন্তাজ রবি বা সিমু নাসের করতে পারেননি, কিন্তু তারা এটা না করে বারবার ত্যানা প্যাঁচাইছেন। অন্যদিকে হিমু দিনের পর দিন কষ্ট করে নেভারেস্ট সিরিজ লিখে গেছেন। আমরা নেভারেস্ট সিরিজের পাঠক হিসেবে বারবার মুসার দিকে সন্দেহের আঙ্গুল তুলেছি। কিন্তু মুসা এভারেস্টে যেতে পেরেছেন, কিন্তু সচলে এসে একটা বক্তব্য দেননি, হিমুকে একটা সাক্ষাতকার দেননি, এই নিয়ে কোথাও কোনো কথা বলেননি, এমনকি প্রথমআলোতে লেখার সুযোগ থাকলেও তিনি এই বিষয়ে কিছু লিখেননি। তার বন্ধুরা হিমুর যুক্তিপূর্ণ লেখার পরিবর্তে বিচ্ছু-রস+আলো'র রম্য গল্প বারবার আমাদের শুনিয়েছেন, কেউ কেউ হিমুকে নিয়ে গল্প লিখে আনিসুল হকের ফেসবুকের দেয়াল রঙ করে এসেছেন, কিন্তু যুক্তিপূর্ণ কোনো বক্তব্য বা আপনার মতো এমন প্রমাণসাপেক্ষ একটা লেখা কোথাও লেখার দুঃসাহস তারা কেউই করতে পারেননি। আর এই কারণে হয়তো আমরা বারবার বিভ্রান্ত হয়েছি, হিমুর নেভারেস্ট সিরিজকে যুক্তিপূর্ণ ও তথ্যবহুল লেখার কারণে আমরা এভারেস্টের উচ্চতায় নিয়ে গেছি। আপনার এই লেখাটা এবং আপনার দেয়া যুক্তিগুলোকে মেনে নিচ্ছি। মুসা ইব্রাহিম এভারেস্টে গেছেন, আপনার এই পোস্টের পর আমি এখন এটা বিশ্বাস করি।
অন্যদিকে হিমুর নেভারেস্ট সিরিজের লেখাগুলোও ফেলে দিতে পারি না, তাই হিমু নেভারেস্টের শেষ পর্বে আমাদের জন্য কি চমক রেখেছেন তার অপেক্ষায় রইলাম। আমি এটাও বিশ্বাস করি- হিমুর নেভারেস্ট পরবর্তী পর্ব অনেক তথ্যবহুল এবং যুক্তিসঙ্গত লেখায় পরিপূর্ণ থাকবে।
অফটপিক : শেষপর্যন্ত আপনি এভারেস্ট গবেষক হয়ে গেলেন ? এভারেস্টে গেলে কিন্তু ওজন কমে !!!
রিফাত ফারজানার দেখা কই পাইলেন ???????????????
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
খুবই অফটপিকঃ
Daily Star ওয়ালা ছবিতে মুসা এর পাশের (সম্ভবতঃ) নেপালী ভদ্রলোক এর মুখে তো মাস্ক বা এজাতীয় কিছুই দেখছি না.।.. এই লো প্রেসার এর জায়গায় ওনাকে অনেক সহজ ও সাবলীল লাগছে...ক্যারিস্মা আছে বলতে হবে।
Max O'Meara এর Summit এ প্রায় এক মিনিটের একটা ভিডিও আছে...মাস্ক এর ভিতরে থেকে কথা বলতে গিয়ে ২০ বছরের এই তরুণের সেকি নাভিঃশ্বাস অবস্থা...
- নির্জণ অরন্য
ভাই, কমেন্ট করার আগে যদি আপনি দয়াকরে পোস্ট পড়েন তাহলে আপনার কমেন্ট দেয়ার খাটুনিটা বাঁচে। ওখানে ৭ বারের বিজয়ী একজন আছে মাস্ক ছাড়া।
যে ম্যাক্সের কথা বলছেন, তার ছবিও আছে মাস্ক ছাড়া, কাজী মামুনের কমেন্টে দেখুন। নাকি আপনি বলছেন যে এরা কেউই সামিট করে নাই, সবাই বেসক্যাম্প থেকে ছবি তুলে সামিট দাবি করছে?
আরিফ জেবতিক ভাই, আমি আপনার লিখা পড়েছি । 'সামিট' নিয়ে কিছু বলি না, কারন ওটা 'বড়দের খাবার'। তবে নেপালী লোকটাকে খুবই ড্যাম ক্যায়ার মনে হল। তাই লিখলাম, কোন উদ্দেশ্য নিয়ে নয়। ভালো থাকবেন।
নির্জণ অরন্য
এখানের আলোচনা দেখে মনে হচ্ছে মুসার পাল্লাই ভারি।
যত কেচালই হোক, শেষ মেষ মুসারই ফ্রি এডভার্টাইজমেন্ট হল এতদিন।
মুসা এতসব গবেষনা দেখে হয়ত হেসে কূল পাচ্ছেন না।
ব্যাপারটা এত সংকীর্ণভাবে না দেখে একটু বড় করে দেখা দরকার। মুসার বিজ্ঞাপন হলেও বা ক্ষতি কি? প্রশ্ন করার ফলেই না অনেক কিছু বের হয়ে এল। যদিও সংশয় হয়তো পুরোটা কাটেনি, আশা করি মুসা একটা সাক্ষাতকার দিবে। আমি মুসার কথা শুনতে চাই। মুসা যদি মাসকাওয়াথ ভাইকে সাক্ষাতকার দিতে পারে, তো হিমুকে নয় কেন?
আমি মুসার কথা শুনতে চাই। মুসা যদি মাসকাওয়াথকে সাক্ষাতকার দিতে পারে, তো হিমুকে নয় কেন?
আমিও মুসার কথা শুনতে চাই। মুসা আপনি এভারেস্টে গেছেন এটা আমাদের জন্য গৌরবের, কিন্তু আপনার এভারেস্টে যাওয়া নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি আমাদের জন্য লজ্জাজনক একটা বিষয়। তাই আপনার উচিৎ হিমুকে একটা সাক্ষাৎকার দেওয়া। সচলায়তন ছাড়াও নেভারেস্ট সিরিজের কল্যাণে অন্তর্জালে অনেকেই আপনার এবং হিমুর কথোপকথন শুনতে আগ্রহী। এভারেস্ট এবং নেভারেস্ট- দুটো বিষয়েরই শেষ হওয়া দরকার।
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
ডেইলি স্টারের লোগো সমৃদ্ধ ছবিটা দেখেই বিশ্বাসীদের দলে ভেড়ার কথা ছিলো। কিন্তু এইটার কারণে অবিশ্বাস আরও পোক্ত হইলো। এইরাম উচ্চতায় কেউ মাস্ক ছাড়া পোজ দিবে এইটা কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারলাম না।
ফাহা ভাইয়ের প্রশ্নটাও গুরুত্বপূর্ন।
একই সাথে গুরুত্বপূর্ণ উঠে আসা আরেকটা মন্তব্য? প্রেয়ার ফ্ল্যাগ কি শুধু এভারেস্টের চুড়াতেই আছে নাকি?
গুরুত্বপূর্ণ পোস্টে জাঝা।
মন্তব্যের প্রথম অংশ আর্গুমেন্ট ফ্রম ইগনোরেন্স হয়ে গেছে। প্রত্যাহার করলাম। মন্তব্যে আসা কয়েকটা ছবিটা প্রথমে দেখতে পাইনি বিধায় এই অজ্ঞতা। দুঃখিত।
আচ্ছা, আপনি কি ম্যাক্সের ছবি গুলো দেখেছেন ? তার একটা ছবি তো দেখলাম চূড়ার উপরে মাস্ক ছাড়া । তাহলে ঐটাও কি ফটোশপে বানানো ?
৩য় স্টেপ এ প্রেয়ার ফ্ল্যাগ জড়ো করার ইঙ্গিতে কিছু তা সমস্যা আছে, ১মত ছবিটির উভয় পাশের গভীর ঢাল দৃশ্যমান যদিও পুর্ব পাশের উরধাংশ সূর্যের কারনে দিগন্ত ওভার এক্সপোসড, কিন্তু ছবিটি এভারেস্টের ১ম ২য় বা ৩য় স্টেপ এর প্রমান করা টেকনিকালি অবাস্তব। সেরকম ভাবতে গেলে পার্শবর্তি মাক্লু -র চূড়া তে তোলা যেতে পারে, সেক্ষেত্রে সমস্যা হলো চোমোলঞ্জো চুড়ার পার্সপেক্টিভ একেবারেই ভিন্ন হবে। আচ্ছা হিমু ভাই ২য় ৩য় স্টেপ এর অথবা তার খুবি কাছা কাছি অন্য কোন চুড়ার অবস্থান জানানেন যেখান থেকে এই ছবি নেয়া সম্ভব? সেই চুড়া তে যদি প্রেয়ার ফ্ল্যাগ র স্তুউপ জমা করা যায় তাহলে অন্য কিছু ভাবা সম্ভব নচেত রহস্য-রমাঞ্চ ডেডলক সিচুয়েশান।
আমার পর্যবেক্ষন মুস্তাফিজ ভাইয়ের বিশ্লেষন, যে ছবি গুলও `র` ফরমেট এ তিনি দেখেছেন ধরে নিয়ে।
এখনও অবিশ্বাসীদের দলে।
ছবি কি আরো আছে নাকি এ কটাই? রিফাত আপা আপনাকেই বেছে নিলো!! গুড চয়েজ!
তেনা না পেঁচায়য়া এই কটা ছবিতো আরো আগেই দিতে পারতো মুসা। সাক্ষাৎকার দিতেই বা তার বাধা কোথায় বুঝিনা।জাতীয় অর্জন এর দাবি করবে আর জন গনের প্রশ্নের উত্তর দিবে না, তাতো হয়না!!
হিমু ভাই এর পরবর্তি পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
মুর্তিটা বিচার হোক,
এই মুর্তির মাথাই নষ্ট
পতাকা লুকায়ে থাকে
ছবি পাইনা স্পষ্ট
আহারে পরদেশী মাসুম বাচ্চাদের
অন্তরে বাড়ায়ে দেয় কষ্ট
পিপিদা আমার মনে হয়ে মুসা আমাদের হিমু ভাই কে পছন্দ করে না এই জন্য ইন্টারভিউ দেয় নাই, মাস্কাওথ ভাই কে দিসে।
হিমু ভাই এর মাউন্টেনিয়ারিং এক্সপেরিয়েন্স আর বৈঙ্গানিক বিশ্লেষান এর ভয়েও হতে পারে,
নাকি আবার, বুদ্ধ মূর্তি নিয়া কোন রহস্য আসে দুজনের মাঝে !??
আপনার কি মনে হয়? কি হতে পারে? !
,
পিপিদা আমার মনে হয়ে মুসা আমাদের হিমু ভাই কে পছন্দ করে না এই জন্য ইন্টারভিউ দেয় নাই, মাস্কাওথ ভাই কে দিসে।
হিমু ভাই কে পছন্দ না করার কি আছে? ব্যক্তিগত ঝামেলা থাকলে ভিন্ন কথা। হিমু ভাই যেই পোস্ট লিখছে , তাতে তো আক্রমন নেই কোন, কিছু প্রশ্ন আছে। এভারেষ্ট ে মুসা সত্যি ুথে থাকলে সেই প্রশ্ন গুলোর জবাব দিটে তার বাধা কোথায়??
মাসকাওয়াথ ভাইকে আমিও খুব পছন্দ করি। মাখনদার লোক!
হিমু ভাই এর মাউন্টেনিয়ারিং এক্সপেরিয়েন্স আর বৈঙ্গানিক বিশ্লেষান এর ভয়েও হতে পারে,
হুম, হৈতারে!
সচল সদস্য মাসকাওয়াথ আহসান মাখনদার লোক নাকি কেমন লোক, এমন বিশেষন আমি সচলায়তনে কোনো মন্তব্যে শুনতে আগ্রহী নই। এরকম মন্তব্য ছাড়ের ব্যাপারে মডারেটরদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে আমি এই মন্তব্যকে আপত্তিকর বলে অভিযুক্ত করলাম।
ব্যক্তি বিদ্বেষ চর্চার জায়গা হিসেবে সচলায়তনকে দেখতে চাই না, কোনো রহস্যজনক নিকে তো নয়ই।
ভাই মুসা সমীপে,
আপনি সবচেয়ে ভাল জানেন আপনি উঠেছেন কিনা। এখন যে ব্যাপারটা হচ্ছে যে আমরা কিছু ছবি এবং তত্ত্ব উপাত্ত এর ভিত্তিতে পুরো ব্যাপারটাকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করছি। এবং এসব করতে করতে একসময় বিদেশীদের কাছে গিয়ে দ্বারস্থ হচ্ছি । তাদের কাছে গিয়ে আপনার সাফল্যের ব্যাপারে সাক্ষ্য চাচ্ছি । এই ব্যাপারটা আমার কাছে ব্যাপক পীড়াদায়ক। এই কাজটা আগে যখন রাজনীতিবিদরা করতেন (কিছু হইলেই US এম্বাসীতে চা খাবার জন্য ছুটে যেতেন) তখন ও আমার বা আমাদের সেটা ভাল লাগত না। আমরা যাদের কাছে ছুটে যাচ্ছি সে কে? সে ও তো আপনার মতই একজন...
আপনি চূড়ায় ছিলেন (ধরে নেই) প্রায় ৩০ মিনিট। সেই সময়ে আপনার মাথায় গেঁথে আছে প্রায় ৩০*৬০/০.১=১৮,০০০ ছবি (চোখ যদি ক্যামেরা হয়ে থাকে আর মাথা যদি হয় হার্ড ড্রাইভ)। সেই তুলনায় অল্প কিছু ছবি দেখে পুরো ব্যাপারটা নিয়ে একটা ধারণা করতে গিয়ে আমাদের অবস্থা হচ্ছ সেই অন্ধের হাতি দেখার মত।
একমাত্র আপনি পারেন এগিয়ে আসতে। এখন হিমু ভাই এর শেষ যে প্রশ্ন সেটা হচ্ছে কেন এত পরে ছবি গুলো পেলাম। উত্তর যদি হয়ে থাকে স্পন্সর ইস্যু তাহলে সেটা বলুন। আমরা তো জানি এই দেশে বাটপারের অভাব নাই। তাদেরকে আল্টিমেটাম দিন সেই ক্ষেত্রে , যদি তাদের সাথে আপনার চুক্তি হয়ে থাকে এবং তারা তা ভংগ করেছে বলে মনে করেন। তারপর আমাদেরকে বলুন আমরাও চিনে রাখি সেইসব 'ভদ্রলোক'দের।
আপনি হয়ত বলবেন যে আপনি অনেক জায়গায় বলেছেন। কিন্তু কোন জায়গায় ই হয়তবা আপনি টোটাল ট্যকানিকাল বর্ণ্না দেননি। সম্ভবত অডিয়েন্স এর প্রত্যাশা ও তেমনটা ছিল না। কিন্তু এখানে একটা 'ডিমান্ড' জেনারেট হয়েছে। এই সুযোগটি কাজে লাগালে আপনার জন্য লাভ বই লোকসান হবে না। আমি যদি আপনার জায়গায় হতাম তাহলে রসিয়ে রসিয়ে সেই বর্ণ্না দিতাম। (জাস্ট কিডীং)।
আসা করি আপনি এগিয়ে আসবেন এবং আমাদেরকে আপনার কথা শোনাবেন।
- নির্জণ অরন্য
আমি এখনো নিশ্চিত নেভারেস্ট এর শেষ পর্বটিতে হিমু ভাই যে অকাট্য প্রমান এর কথা বলে আসছিলেন তা তিনি ঠিকই প্রকাশ করবেন। আমি অনেকটাই নিশ্চিত এই ছবিগুলো যেহেতু অন্য ব্লগে আগে প্রকাশিত তাই সেগুলর ভুল্ভ্রান্তি নিশ্চয়ই তার অজানা নয়। হিমু যথেষ্ট খোজ খবর করেই মাঠে নেমেছেন, সেই আভাস ও তিনি দিয়ে গেছেন প্রতিটি পর্বে ও মন্তব্যে, ইভেন এই পোস্ট এর মন্তব্য টিও সেরকমই ইঙ্গিত বহন করে।
অপেক্ষায় রইলাম, সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে নেভারেষ্ট এর শেষ পর্বের জন্য। ঃ)
@ আফ্রো ভাই
"মাসকাওয়াথ ভাইকে আমিও খুব পছন্দ করি। মাখনদার লোক! দেঁতো হাসি"
এভাবে না বলাই ভালো।
সত্যের জয় হোক, মিডিয়া সন্ত্রাস দূর হোক!
এতো কিছুর পর যারা এখনো বিশ্বাস করতে আগ্রহী না, তাদেরকে জন্য ঠান্ডা (বা গরম - জানিনা জার্মানীতে এখন কিরকম আবহাওয়া) পানীয়ের ব্যবস্থা করা দরকার ;)। বোধ করি, তাদের গবেষণা এখন নতুন উদ্যমে শুরু করতে হবে।
অ,ট -
১। কিছু কিছু সময় ব্রেক কষতে জানতে হয়।
২। "এই লুকোচুরি সন্দেহজনক।" আমার কাছে এই যুক্তির সাথে কারো এভারেস্টের চুড়ায় উঠার কোন সম্পর্ক নেই। এবং, বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আমি একজন আমজনতা।
এই ছবিতে ক্যাম্প-১ এ মুসার ছবিতে উলঙ্গ বোরাট সাগদিয়েভকে দেখা যাচ্ছে। ছবিটার মেটা ডাটা পরীক্ষা করার অনুরোধ করছি।
ছবিটা কি মুসার তোলা? অথবা মুসার ক্যামেরায়?
ছবির টাইম অনুসারে এ সময় মুসার এখানে থাকার কথা তো না! এ সময় মুসা সামিটের কাছাকাছি কোথাও থাকার কথা!
Date and Time (Original) 2010:05:23 05:22:30
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
আমার একটা ধারনা ছিল, এভারেস্টে প্রেয়ার ফ্ল্যাগ গুলোর উপরে বরফ জমে থাকবে এবং বরফের পতনের কারনে চেপে থাকবে। কিন্তু ছবিতে এগুলো বেশ ফুলে আছে। এর কারন কি?
রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
আরিফ ভাই আপনি কি দয়া করে সবগুলো ছবিই কোথাও আপলোড করে দিতে পারেন?
তাহলে সবার জন্যই সুবিধা হয়। উপরে বোরাট এর দেয়া ছবি দেখে তো সন্দেহ আবার বাড়ছে।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
@ বোরাট : তাহলে আপনার সাজেশন কি? আপনি কি এর পরে যারা পর্বতারোহণে যাবেন তাদেরকে কি ছবি তুলতে নিরুতসাহিত করছেন? কারন " ছবি দিয়ে কিছু প্রমাণ করা যায় না" (দুঃখিত যদি আমি আপনার ছবির অর্থের ভুল ব্যাখ্যা করে থাকি )।
এই মন্তব্যটা অপ্রয়োজনীয়!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
জ্বিনের বাদশা বলেছেন~
মুসার তোলা এভারেস্টের চুড়ার ছায়ার ছবিটা
(এই ছবিটা খুব ক্রুশিয়াল। এটা এভারেস্টের চুড়া থেকে তোলা, এই প্রমাণটা করতে পারলে মুসার পর্বতজয় নিয়ে আর সন্দেহ থাকেনা।)
আমি গুগলে চূড়া থেকে তোলা এভারেস্টের ছায়ার ছবি খুঁজে নিচের ছবিটা পেলাম। ছবির ক্যাপশানে লেখা আছে- "Everest cast its immense shadow at sunrise, as seen from the summit. Photo by Nicky Messner"
এই লিংকে গিয়ে ছবিতে ক্লিক করলে ছবিটা আরো ভালো দেখা যাবে। এটার সাথে মুসার ছবি তুলনা করে মনে হচ্ছে মুসার ছবিতে ছায়াটা অপেক্ষাকৃতভাবে অনেক দূরে যেখানে এই ছবিতে ছায়াটাকে একদম পাশেই মনে হচ্ছে এবং চূড়ার ঢালও মনে হয় দেখা যাচ্ছে। আমার ধারণা একদম উঁচু বা সামিট থেকে ছবি তুললে ছায়াটাকে এরকম কাছেই দেখা যাওয়ার কথা। আর যত নিচ থেকে বা ঢাল থেকে তোলা হবে ততো চূড়ার ছায়াটাকে একটু একটু করে দূরে দেখাবে, মুসার ছবিতে যেমন চূড়ার ছায়াকে দূরে এবং পাশ থেকে মনে হচ্ছে, চূড়ার ছায়া যেখান থেকে ছবি তোলা হয়েছে তার সোজাসুজি নেই। আরো যেটি ব্যাপার, এভারেস্টের চূড়া নিশ্চয়ই খুব সংকীর্ণ একটি জায়গা। সেখানে একজনের সামিটের ছবিতে ছায়া এত কাছে আর অন্যজনের সামিটের ছবিতে ছায়া এত দূরে দেখা যাওয়ার কথা না, যদিও এখানে সূর্যের অবস্থানের একটি ব্যাপার আছে, কিন্তু চূড়ার মতো সংকীর্ণ জায়গায় সেটিও তেমন ফ্যাক্টর হওয়ার কথা না, আর দু'টোই যেহেতু সূর্যোদয়ের সময়কার ছবি। মুসার ছবিটা তাই সামিট থেকে তোলা হয়েছে কিনা এ ব্যাপারে আমার সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। যা হোক, আমি ছবি তোলা বা এসব এঙ্গেলের ব্যাপারে কোনো বিশেষজ্ঞ নই। এইখানে বিশিষ্ট ফটুগফুরেরা আছেন। তাঁদের মতামত জানার অপেক্ষায় রইলাম
যদি আপনি ভোর ৫টায় ছবি তুলেন, এবং আমি ঘন্টা এক বা দুই পরে ছবি তুলি, তাহলে ছায়ার দৈর্ঘ কতোটুকু কম বেশি হতে পারে, এ ব্যাপারে কি কোনো তথ্য বা বিশ্লেষন আছে? যদি সকাল ১০টায় সামিট করা হয়, সেটা কি ভোর ৫টার সামিটের ছবির তুলনায় প্রায় অর্ধেক অথবা দুই তৃতীয়াংশ হবে না?
আপনার দেওয়া ছবিটা কয়টার সময় তোলা, এটা কি বলা আছে?
হ। ছবির ক্যাপশানে পরিস্কার লেখা আছে~ ""Everest cast its immense shadow at sunrise, as seen from the summit. Photo by Nicky Messner" মুসা সাড়ে ৫ টার দিকে যদি সামিট করেন তবে ছায়ার দৈর্ঘ্য এর কাছাকাছিই হওয়ার কথা, বেশি ব্যবধান থাকার কথা নয়। এটা যার আর্টিকেল থেকে নেয়া সেই ডেভিড হান এভারেস্টে দশবার সামিট করেছেন। তার সাথে যোগাযোগ করা হলে মুসার ছবি এবং চূড়ার ছায়া নিয়ে তিনি হয়তো আরো ভালো বলতে পারতেন।
সচলে নিশ্চয়ই কাউকে না কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে, যিনি সূর্যের অবস্থান, এভারেস্টের হাইট এসব অংক কষে অন্তত একটা ধারণা দিতে পারেন আমাদেরকে।
জ্যামিতিক হিসাবে ছবি যতো নিচ থেকে তোলা হবে ছায়ার কোণটা ততো মোটা লাগবে। যতো উপর থেকে তোলা হবে কোণ দেখতে ততো সরু হয়ে আসবে।
আর মুসা ইব্রাহীমের ছবিটা তানভীর ভাইয়ের দেওয়া ছবিটা থেকে উচু অবস্থান থেকে তোলা মনে হচ্ছে।
তানভীর ভাইয়ে দেওয়া ছবিতে নিচের বাম পাশে যে তিনটা পাহাড়চূড়া দেখা যায় সেটা মুসা ইব্রাহীমের ছবিতেও আছে মাঝ বরাবর। আরো দূরে এবং আরো নীচে। একটু বেশি অন্ধকার।
জুম ইন-আউটের ঝামেলা আছে।
একদম সরল পার্সপেকটিভ জিওমেট্রি থেকে বললে বলা যায় ছায়ার চুড়াটা যে বিন্দুতে সেই বিন্দু আর ক্যামেরার অবস্থানের বিন্দুকে যোগ করা সরলরেখা ছায়ার চুড়ার কোণটিকে কি অনুপাতে ভাগ করবে সেটার উপর নির্ভর করবে ছবির কোণের মাপ।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
ভাই, এখানে যে পার্থক্যটা দেখা যাচ্ছে সেটা মূলত জুম-ইন/জুম আউটের ডিফারেন্স বলেই মনে হচ্ছে।
লক্ষ্য করুন, মুসার ছবি আড় এই ছবিটাতে ছায়ার শীর্ষবিন্দুর কাছাকাছি পর্বতমালা দুটোকে ভিন্ন স্কেলে দেখা যাচ্ছে।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
জুম ফ্যাক্টরটা বাদ দেওয়া যায় এভাবে। ধরে নিচ্ছি কোনো ছবিকেই টেনে চিপানো হয়নাই। অর্থাৎ জুম ইন বা আউট সবই হয়েছে দৈর্ঘ্যে প্রস্থে একই ফ্যাক্টরে।
এখন আপনি মুসার ছবিটা নিন। তারপর দৈর্ঘ্য প্রস্থ একই হারে বাড়ে এমন অবস্থায় কোনা ধরে টানতে থাকুন। এভাবে টানতে টানতে মুসার ছবিটাকে আপনি ততটা বড় করে ফেলতে পারবেন যতটা বড় হলে আমার আগের মন্তব্যে লাল চিহ্নিত চুড়া তিনটা তানভীর ভাইয়ের চুড়ার সাথে হুবহু মিলে যায়।
তখন ছবিতে ঐ চুড়া তিনটার ঠিক পিছনের (এবং বাস্তবে অনেক দূরের) পাহাড়সারি খেয়াল করুণ। এ অবস্থায় ওই পাহাড়সারিও যদি মিলে যায় তাহলে একই পজিশন থেকে তোলা হয়েছে ছবি দুইটি। সিম্পলি জুম ইন জুম আউট করে।
আর মুসার ছবির পিছনের পাহাড়সারি যদি বেশি উপরে উঠে যায়। তাহলে মুসার ছবিটা একটু বেশি উচু থেকে তোলা। এবং এ অবস্থায় ছায়া-কণিকশীর্ষদ্বয়ের অবস্থানের পার্থক্য থেকে ছবি তোলার সময়ের পার্থক্যটাও হিসাব করা সম্ভব। অবশ্য বছরের কোন সময়ে তোলা সেটাও একটা ফ্যাক্ট। তবে তাতে পাহাড় সারির প্যারালক্সএর উপর কোনো ইফেক্ট পড়েনা।
এবং এমন করলে মুসার ছবিটা একটু উচু থেকে তোলাই মনে হয়।
ধন্যবাদ।
আপনার আইডিয়াটা চমৎকার।
কিন্তু, ছবি তোলার সময় ক্যামেরার প্যান/টিল্টের ওপর পার্সপেকটিভ/প্রোজেকটিভ ডিসটোর্শন নির্ভর করার কথা। কতটুকু করবে বুঝতে পারছিনা। বেশী হইলে ছবিতে পর্বতের উচ্চতা প্যান/টিল্ট ভেদে ভিন্ন আসতে পারে।
একটা প্রশ্ন, মুসার ছবিকে এনলার্জ করে বাকী ছবিটিতে ইমপোজ করলে কি আপনার দেয়া লাল বক্সের পর্বতমালাটা প্রায় হুবহু মিলে যায়?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
এই ছবিটা দেখুন। এখানে নিচের তিনটি পাহাড় মিলেছে। লাল বক্স।
উপরের লাল চিহ্নিত পাহাড়সারিশীর্ষ হচ্ছে মুসার ক্যামেরা থেকে তোলা।
আর বেগুনিটা তানভীর ভাইয়ের দেওয়া ছবি।
দাগ বিহীন অবস্থায় দিলাম এই ছবি-
এবারে ব্যাখ্যা:- যত উচু থেকে তোলা হবে সামনের উচু বস্তুদুটোর (এখানে আগে পিছনে পাহাড়সারি) মধ্যবর্তি অংশ তত বেশি দেখা যাবে।
তাই পরে যদি জুম করে নিচের অংশ মেলানো হয়। সেই অনুযায়ী বেশি পরিমানে মধ্যবর্তী অংশ থাকায় উচু থেকে তোলা ছবির পিছনের বস্তুটি সুপারইম্পোজড ছবিতে বেশি উচুতে থাকবে।
যেটা এখানে মুসার ছবিতে হয়েছে।
ধন্যবাদ।
আপনার এই ছবিতে ঠিক বোঝা যাচ্ছেনা, তবে দুটো ছবির স্কেল/ট্রান্সলেশন এ্যাডজাস্ট করে ডিডাকশন করলে দেখা যায় যে আপনার লাল বক্সের ভেতরের পাহাড়গুলোর রেখা মিলছেনা। বিশেষ করে তৃতীয়টায় তো খুব সিভিয়ার ডিফারেন্স! দুই ক্যামেরার প্যানিংয়ে বেশ ভালো মাত্রার ব্যবধান আছে।
আর যেহেতু আপনি লাল-বক্সের পাহাড়গুলোর চুড়া ম্যানুয়ালি মিলিয়ে পেছনের পর্বতমালার উচ্চতা চেক করেছেন, তাই টিল্টিংয়ের ডিফারেন্সও যে নাই সেটা বলা যাচ্ছেনা।
আমার মনে হয়না এই ভাবে আসলেই বোঝা যাবে কোন উচ্চতা থেকে কে তুলছে।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আমার মনে হয়না এই ভাবে আসলেই বোঝা যাবে কোন উচ্চতা থেকে কে তুলছে।
১। পাহাড়গুলোকে পাচিল হিসাবে ভাবুন।
২। আমি পুরো প্রসিডিউরটাই বলে দিয়েছি। আমার ম্যাচিং যদি মনেহয় খুতযুক্ত তাহলে অন্য কেউ আরো ভালো ম্যাচ করে নিতে পারবেন। এটা ইন্ডিপেন্ডেন্টলী ভেরিফায়েবল একটা মেথড।
৩। আর আমার সুপারইম্পোজড ছবির লাল বক্সের মধ্যে নিচের অংশে যুম করে দেখলে যে অমিলটুকু দেখা যাচ্ছে। সে তুলনায় উপরের অংশের ডিফারেন্স অনেক বেশি। তাই কেউ সূক্ষ উপরিপাতন করে নিচের ছবি সূক্ষভাবে মিলিয়ে দিলেও এই ফলাফল ঠিক থাকে।
৪। এবং আপ্রোচটা থিওরিটিক্যালি সাউণ্ড।
মূল ফলাফল হচ্ছে: দুটি ছবি ভিন্ন অবস্থান থেকে তোলা। এবং মুসার অবস্থান Nicky Messner এর অবস্থানের থেকে উঁচুতে।
ধন্যবাদ।
আপনার ম্যাচিং নিয়ে আমার মূল প্রশ্নটা হলো,
আপনি ফারুক হাসানের মন্তব্যের জবাবে যে ছবিটি দিয়েছেন তাতে এ্যাসিউম করা হচ্ছে যে দেয়ালের কারণে দূরের লাঠিটির একাংশ দেখা যাচ্ছেনা। তখন ওপর থেকে ছবি তুললে বেশী দেখা যাবে, ঠিক আছে।
কিন্তু এখানে মুসা আর তানভীর ভাইয়ের দেয়া ছবি দুটো দেখুন, দুটোতেই পেছনের পর্বতমালার ভার্টিকাল সবটুকু অংশই (বরফাচ্ছাদিত) দেখা যাচ্ছে। কাজেই এখানে উঁচু/নিচুর জন্য দৃশ্যমান অংশের দৈর্ঘ্যের তারতম্যের কারণে উঁচু-নিচু দেখানোর যুক্তিটা খাটছেনা।
তাছাড়া ভাবুন, স্কেল এ্যাডজাস্টের পর সামনের পর্বতমালার দৈর্ঘ্য সমান (এজগুলো মিলছেনা প্যানিংয়ের ডিফারেন্সের কারণে), অথচ একই স্কেলের ছবিতে পেছনের পর্বতমালার দৈর্ঘ্যে হেরফের -- এটাকে কি ব্যাখ্যা করা যায়?
এজন্যেই আমার মতে আরো জটিল জিওমেট্রি (প্রোজেক্টিভ জিওমেট্রি) ছাড়া এটা ব্যাখ্যা করা যাবেনা। আফটার এখানে ক্যাপচার করা অবজেক্টের গঠনে ত্রিমাত্রিক ভ্যারিয়েশন খুব বেশী, আবার ক্যামেরার পজিশনিংয়েও ত্রিমাত্রিক ফ্যাক্টরগুলো কাজ করছে।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আমি যেটা ব্যবহার করেছি। সেটাই প্রজেক্টিভ জিয়োমেট্রি। আরো জটিল কিছু করার কারণ দেখি না।
যতক্ষণ মাঝের অবজেক্টটা 'উচুকিছু', ততক্ষণ দূরের পাহাড় শেষ হয়ে তার মধ্যবর্তী জমিন দেখা গেলেও আমার আর্গুমেন্ট খাটে। কারণ তখন শুধু লাঠি না জমির অংশও বেশি দেখা যাবে উপর থেকে তুললে। (সিম্পলি পাচিল দিয়ে উকি দিয়ে একটা মাঠে খেলা দেখার কথা চিন্তা করুণ। যত উচু থেকে উকি দিবেন মাঠের তত বেশি অংশ চোখে পড়বে। মানে মাঝের পাচিলের মাথাবরাবর)
আর যে ডিসক্রিপেন্সির কথা আপনি বললেন ওটার কারণ দুই ফটুরে দুই অবস্থান থেকে তুলেছে। কিন্তু তাতেও তাদের আল্টিচিউড (উচ্চতা) বিষয়ক আর্গুমেন্ট ভ্যালিড থাকে।
ধন্যবাদ।
আমি যেটা ব্যবহার করেছি। সেটাই প্রজেক্টিভ জিয়োমেট্রি। আরো জটিল কিছু করার কারণ দেখি না
আপনার বক্তব্যটা মানা গেলো না
প্যানিংয়ের কথা বাদ দিলাম, আপনি এমনকি আপনার মডেলে টিল্টিংও আমলে নিচ্ছেননা....
আবারও বলছি, স্কেল এ্যাডজাস্টমেন্টের পর ক্যামেরার উচ্চতার তারতম্য হলেও একজোড়া পর্বতমালা সমান দেখালে অন্যজোড়াও সমান দেখানোর কথা (য্তক্ষণ না টিল্টিং আমলে নিচ্ছেন), তাইনা? আপনি আপনার জিওমেট্রিক মডেল দিয়ে এর অন্যথা প্রমাণ করতে পারবেন?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আমি যেহেতু শুধু একটা ডাইমেনশন -আল্টিচিউড- এর পার্থক্য অনুমান করতে চাচ্ছি সেহেতু একমাত্রিক মডেলই যথেষ্ট। ত্রিমাত্রিক মডেল করলে তো পুরা পিনপয়েন্ট করা সম্ভব হবে দুই অভিযাত্রীকে। সেটা করা আমার উদ্দেশ্য নয়। এবং তার জন্য পর্যাপ্ত তথ্য এই দুই ছবিতে নেই।
এবং এমন করলে মুসার ছবিটা একটু উচু থেকে তোলাই মনে হয়।
তার মানে মুসা চূড়ারও কিছু উপর থেকে ছবিটা তুলেছে? একটু কেমন যেন হয়ে যায় না, যেখানে Nicky Messner বলছে যে সে সামিট থেকেই তুলেছে!
আর মুসার ছবির পিছনের পাহাড়সারি যদি বেশি উপরে উঠে যায়। তাহলে মুসার ছবিটা একটু বেশি উচু থেকে তোলা।
পেছনের পাহাড়সারি যদি বেশি উপরে উঠে তাহলে তো ছবিটা তুলনামূলকভাবে নিচে থেকে তোলা। সেইটাই কি ঠিক না? ধরে নাও যে চূড়া তিনটা একটা ফিক্সড পয়েন্ট। তার বিপরীত দুই পাশের এক পাশে পেছনের পাহাড়সারি এবং অন্যপাশে সেই পয়েন্ট যেখানে থেকে ছবিটা তোলা হয়েছে। এখন পেছনের পাহাড়সারি উপরে উঠলে ছবি তোলার পয়েন্টটা নিচে নামতে বাধ্য, যেহেতু মাঝখানের চূড়াত্রয়ী পয়েন্টটাকে তুমি ফিক্সড রাখতে চাচ্ছো।
ভুমির উপরের তিনটা পয়েন্টের জন্য আপনার কথা ঠিক। কিন্তু ভুমির উপর তিনটা বিভিন্ন উচ্চতার খুটির কথা চিন্তা করুন (এখানে পর্বতশীর্ষ)। এবার সবচেয়ে উঁচু খুটির উপরে বিভিন্ন উচ্চতা থেকে অন্য দুটো খুটীর শীর্ষের ছবির কথা ভাবুন।
আসাকরি এটুকু হিন্টেই ব্যাপারটা ধরতে পারবেন। নইলে আমি জ্যামিতিক প্রমাণ হাজিরকরতে পারি।
আর এইপুরো থ্রেডের এই অংশে আমার ইন্টারেস্ট 'গাণিতিক' তাই
তার মানে মুসা চূড়ারও কিছু উপর থেকে ছবিটা তুলেছে?
এ প্রশ্ন আমার এখতিয়ারে না। জ্যামিতিক ভাবে যদি তাই হয় তাহলে তাই। অথবা অপর ব্যক্তি নিচু অবস্থান থেকে তুলেছেন ছবি। ব্যাস।
জ্যামিতিকভাবেই তাই হবে। আর তাতে যদি অপর ব্যক্তি নিচু অবস্থান থেকে ছবি তুলে থাকে, তাহলে তুলনাটা খাটে না। কারণ, যার সাথে মুসার ছবি উপরিপাতন করে তুলনা করা হচ্ছে সেই ছবি তোলার পজিশনই এখানে প্রশ্নবিদ্ধ।
না উপরিপাতন করে আমরা জাস্ট এই ডায়াগ্রামের মাঝের খুটিকে মেলাচ্ছি।
ডায়াগ্রাম থেকে দেখা যাচ্ছে যে বেশি উচু থেকে দেখলে বামের খুটির ১০ ঘর দেখা যাচ্ছে যেখানে কম উচু থেকে ৭ ঘর। তাই যখন নিচের বিন্দুগুলো মানে লাল রেখা আর কালো রেখা থেকে পাওয়া মাঝের খুটির প্রতিবিম্ব যুম করে মেলানো হবে।তখন a থেকে দেখা শীর্ষ উপরে উঠে যাবে। যেটা আমার আগে দেওয়া সুপারইম্পোজড পাহাড়ের চিত্রগুলো থেকে দেখা যাচ্ছে। মুসার ছবির শীর্ষ উপরে উঠে যাচ্ছে।
তাহলে তুলনাটা খাটে না। কারণ, যার সাথে মুসার ছবি উপরিপাতন করে তুলনা করা হচ্ছে সেই ছবি তোলার পজিশনই এখানে প্রশ্নবিদ্ধ।
এই প্রমাণ এখানে খাটে। যদিও ছবি তোলার অবস্থান a বা b ভিন্ন।
কেন খাটে, সেটা নিশ্চই ইভিডেন্ট?
ধন্যবাদ।
ঠিকাছে। তোমার এই বিশ্লেষণ ঠিক। মুসার ছবি Nicky Messner এর তোলা ছবিটির তুলনায় উপর থেকে তোলা। এবং যদি দুটো ছবির উপরিপাতনের পর পেছনের পর্বতসারির নিজেদের মধ্যেকার দূরত্ব যেটা লাল ও বেগুনি দাগ দিয়ে দেখিয়েছো সেটা হিসেবে নেই, তাহলে দেখা যাচ্ছে, মুসার অবস্থান আর Nicky Messner এর অবস্থানের (a - b) মধ্যে দূরত্ব অনেক! ঐ লোক তাহলে একে সামিটের ছবি বলে দাবি করে কীভাবে!!!
আজব দুনিয়া। যাদের কাছে প্রমাণের জন্য ছুটে যাচ্ছি সবাই, তারাই তো ব্যাপক গ্যাঞ্জামের!
আপনার এই জ্যামিতি থেকে বলি-
a বিন্দু থেকে দেখলে উচ্চতা দেখা যাচ্ছে- ৫ দাগ(নিচ থেকে)
b বিন্দু থেকে দেখলে উচ্চতা দেখা যাচ্ছে- ৮ দাগ(নিচ থেকে)
এখন আপনার ১৪৬ নং মন্তব্যে দেখা যাচ্ছে মুসার লাল দাগটি উপরে দেখা যাচ্ছে।
এর মানে কি দাঁড়ায়? মুসা b অবস্থান থেকে দেখেছেন বলেই ৮ দাগ দেখেছেন! তাই না? আর তানভীর ভাইয়ের ছবির ভদ্রলোক আরও একটু উপরে গিয়ে a অবস্থান থেকে দেখেছেন।
আপনার মন্তব্য'র সাথে গনিতের মিল পাচ্ছি না। সাহায্য করবেন?
আপনি ভুল বুঝছেন!
a থেকে দেখা যাবে ৫ম দাগ থেকে লাঠির চুড়া পর্যন্ত, আর b থেকে দেখা যাবে ৮ম দাগ থেকে লাঠির চুড়া পর্যন্ত। তাই a থেকে দেখা লাঠির অংশের দৈর্ঘ্য হবে বেশী।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
তাইলে দেখা যাচ্ছে এভারেস্ট বিজয়ী দাবি করনেঅলাদের অনেকের মাঝেই ঝামেলা আছে।
কেউ বলছেন যে মাস্ক ছাড়া ছবি বিশ্বাস করি না, কিন্তু প্রচুর মাস্কবিহীন লোক বলছেন এভারেস্টের চূড়ায় তাদের ছবি। এখন তাদের কারোই বেইল নাই তাহলে।
কেউ বলছেন, চূড়ার ছবি এইটা। যখন গানিতিক ভাবে প্রমান করা যাচ্ছে যে মুসার ছবি আরো উপর থেকে তোলা, তাইলে দেখা যাচ্ছে যে যাকে আমরা স্ট্যান্ডার্ড ধরেছি, এখন সেই সামিটিরিয়ানও এভারেস্টে উঠে নাই। অথচ সে ঐটা দাবি করে বসে আছে।
প্রচুর সামিটিরিয়ানের ছবি আছে শুধু প্রেয়ার ফ্ল্যাগ দেখা যাচ্ছে, মুসার ছবির ২/১টার কোনায় তাও হলুদ বর্ডার মার্কা কী জানি দেখা যায়, ওদেরটাতে তাও নেই, ওদের সামিট তো বিশ্বাস করার উপায়ই নেই দেখছি! আবার অনেকেরটায় মূর্তি পরিস্কার আছে, তারা বলতে পারে যে প্রেয়ার ফ্ল্যাগ থাকলে মূর্তি থাকবে না কেন।
আর বিপরীত দিক থেকে অন্যরা বলবে, অমুক তমুকের ছবিতে মূর্তি দেখা যায় না, তাহলে তোদের ছবিতে মূর্তি দেখা যায় কিভাবে? এই নকল মূর্তিটা তাহলে সঙ্গে করে নিয়ে গেছিস, জানতিস না যে ওপের মূর্তি এত পরিস্কার থাকে না, তাই নিচে বসে পরিস্কার ভাবে ছবি তুলেছিস। তোরা ভূয়া।
দেখা যাক কোথায় গিয়ে দাড়ায়।
হয়তো একসময় আবিস্কার হবে বিশ্বের এভারেস্ট জয়ীদের অধিকাংশই ভূয়া।
এই ছায়ার ছবি জিনিসটা আমার মাথায়ই ঢুকছে না। একই দিনে একই সময়ে না তোলা হলে অ্যাঙ্গেল মেপে খুব একটা সুবিধা করার কথা না।
স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে প্রমাণ বিষয় আসে, অপ্রমাণ বিষয় আসে না। এজন্যই মিঃ এক্সের বুদ্ধমূর্তির সাথে তোলা ছবি না দেখিয়েও সামিট মেনে নিলে মিঃ ওয়াই এর সামিট মেনে নিতে অসুবিধা কি? - এই প্রশ্ন অবান্তর। এই এভারেস্টে চড়া বিষয়টা এত স্বাভাবিক একটা বিষয় যে অন্য দেশের লোকজন এটা নিয়ে অন্তত এই ২০১০ সালে তেমন লাফালাফি করে না। আমাদের এভারেস্টজয়ী সবেধন নীলমণি আর খঁড়কুটোকেও সাফল্য হিসেবে আঁকড়ে ধরার প্রবণতা থেকেই আমরা লাফাই। এমনকি আমাদের প্রাইমিনিস্টারও লাফান। ফলাফল, আমাদের জন্য বিষয়টার গুরত্ব অনেক। আর এজন্যই সলিড প্রমাণের দরকারও বেশি।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
একই দিনে একই সময়ে না তোলা হলে অ্যাঙ্গেল মেপে খুব একটা সুবিধা করার কথা না।
বড় কোনো ভূমিকম্প বা আগ্নেগিরির অগ্নুতপাত না হলে। পর্বতসারি যেখানে ছিলো সেখানেই থাকে। পর্বতের অবস্থান দিনতারিখের উপর নির্ভর করে না। তাই ছবিতে বিভিন্ন অবজেক্টের প্রজেকশন থেকে ছবি তোলার অবস্থান সম্পর্কে ডেফিনিটিভ ধারণা করা সম্ভব।
ধন্যবাদ।
স্পর্শ, ক্যামেরার অবস্থানটা (কীভাবে তাক করা হচ্ছে) এখানে একটা ফ্যাক্টর মনে হয়। হাই-অল্টিয়্যুডে সামান্যতম (ক্যামেরার অবস্থান) কোণৌক পরিবর্তনের কারণেও সাবজেক্টের অবস্থানের ব্যাপক তারতম্য ঘটতে পারে।
বিএসএফ— ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ |
একটা আল্টিচিউডে থেকে ক্যামেরা আপনি এদিক ওদিক টিল্ট করলে। আপনার ছবিফ্রেমে অব্জেক্টগুলো 'একসাথে' এদিক ওদিক চলে যাবে। কোনো ছবিতে কোনো অবজেক্ট আউট অফ ফ্রেম হবার কারণে বাদও পড়তে পারে। কিন্তু ছবিতে দেখা অবজেক্টদের রিলেটিভ পজিশন একই থাকবে(এমন কি আপনি যদি অপটিক্যাল/ডিজিটাল জুম ইন জুম আউট করেন তাহলেও)। এই আর্গুমেন্টে সেই রিলেটিভ পজিশনকেই ব্যবহার করা হয়েছে।
আর পাহাড়সারি যেহেতু ঠিক খুটির মত সিঙ্গেল অবজেক্ট নয়। অনেকটা পাচিলের মত। তাই এক্ষেত্রে আপনি একটা উচ্চতায় থাকার সময় যদি ল্যাটারালি মুভ করেন তাহলেও সমস্যা নাই। আর পাহাড় থেকে ক্যামেরাদুটোর দূরত্ব তেমন চেঞ্জ হচ্ছে না কারণ দুইজনই এভারেস্টে।
আমি ডানে-বামে মুভ করার কথা বলছি না কিন্তু।
অনেক নিচুতে অবস্থিত কোনো সাবজেক্টের দিকে এভারেস্টে চূড়ার দেড় মিটার উঁচু থেকে তাক করে তোলা ছবি আর চূড়ার দেড় মিটার নিচে থেকে তোলা ছবিতে কি পার্থক্য হবে?
আরেক্টু পরিষ্কার করি। আমরা যখন কোনো কিছুর ছবি তুলি, বসে তূললে যে ছবিটা আমরা পাই, দাঁড়িয়ে তুললে কি একই রকম ছবি পাই, নাকি তারতম্য থাকে?
বিএসএফ— ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ |
তারতম্য থাকে। কিন্তু আপনার অবজেক্ট যত দূরে এইতারতম্য তত কমতে থাকে। আর এখানে পাহাড়গুলো অনেক অনেক দূরে। তাই শুধু বসা-দাঁড়ানো দিয়ে এতটা ডিস্ক্রিপেন্সি পাওয়া সম্ভব না। (যতটা মুসা এবং Nicky Messner এর ছবিতে আছে) রীতিমত পাহাড় বেয়ে বেশ খানিকটা ওঠানামা করে সেটা পেতে হবে।
বাসে করে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশের গাছ আর দূরবর্তী তালগাছের সরার আপেক্ষিক তারতম্য খেয়াল করছেন নিশ্চই? ব্যাপারটা অনেকটা তেমন। আপনি একটু সামনে ঝুকেই রাস্তার পাশের গাছগুলোকে এদিক ওদিক করতে পারেন। কিন্তু দুরের তালগাছ সরবে তখনই যখন বাস সাবস্টেনশিয়াল আমাউন্টে সামনে এগিয়ে গেছে।
আমাদের এই কেসে বাসের গতি উলম্ব বরার ভেবে নিন।
পর্বতের অবস্থানও দিন তারিখের উপর নির্ভর করে, ইনফ্যাক্ট পুরো ভারতবর্ষই কয়েকশ মিলিয়ন বছর আগে আফ্রিকারও দক্ষিণে ছিলো বলে মতবাদ আছে। হিমালয় পর্বতমালা সৃষ্টির পেছনেও নাকি কারণ এই আর্থক্রাস্টের মুভমেন্ট। কিন্তু সময়ের সেই স্কেলে না গিয়েও বলা যায়, বছরের বিভিন্ন সময়ে সূর্যের অবস্থানও ভিন্ন ভিন্ন হয়। একই দিনের বিভিন্ন সময়েও সূর্যের উন্নতি অবধারিতভাবে ভিন্ন। সেক্ষেত্রে কোন ত্রিকোণমিতি ব্যাবহার করে এরকম ছবি থেকে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মভাবে ছবি তোলার স্থান নিরূপণ করা সম্ভব, আমি এখনও বুঝতে পারছি না। আরেকটু বুঝিয়ে বলেন প্লিজ।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আপনি বুঝতে পারছেন না কারণ আপনি আমার মন্তব্যের আর্গুমেন্টগুলো পড়েননি।
আমি সূর্যের আলো বা তদসৃষ্ট ছায়ার উপর নির্ভর করে কোনো কনক্লুশন টানিনি। আমি বলেছি পাহাড়গুলোর কথা। তাদের ছায়া না।
আর আপনি যে ভারতবর্ষ সরে যাওয়ার কথা বলছেন সেটা হয় টেকটনিক প্লেটের শিফট হওয়ার কারণে। আমি 'ভূমিকম্প'এর কথা বলেছি কিন্তু। ওটা মোস্টলি টেকটনিক প্লেট ঘটিত ব্যাপার।
আচ্ছা, এবার বুঝলাম। তাইলে ছায়ার মাপামাপি কোন ফ্যাক্টর না।
(নড়ানড়ির ক্ষেত্রে আর্থক্রাস্ট নড়া মানে বেসিক্যালি তার টেকটনিক প্লেট নড়া। এইটা বুঝতে পারছি। )
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
নিচের এই ছবিতে তানভীর ভাইয়ের ছবির সাথে মুসার ছবির পার্থক্যটা আরো ভালোভাবে বোঝা যাবে- তানভীর ভাইয়ের ছবিটি T চিহ্নিত মুসারটি M.
লাল তীর দেয়া জায়গাগুলো হলো- সামনের পাহাড়ে ছায়ার স্পর্শবিন্দু। আর যোগ চিহ্নগুলো হলো মুসার ছবির ছায়াটা তানভীর ভাইয়ের ছবিতে থাকলে যে অবস্থানে থাকতো সেই বিন্দু।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
শোনেন ভাই,
ছায়ার হিসাব খাটবে না। কেন খাটবে না, তার জন্য বলাই দার ৪৯.২.১.২.১.১.২.১ নাম্বার মন্তব্যটা দেখে নিন। আর আমার মন্তব্যগুলো পড়ার এবং সেখানে দেখানো গাণিতিক আর্গুমেন্ট বোঝার চেষ্টা করুন।
এটা সম্ভবত নির্ভর করছে সূর্য্যের এলিভেশনের ওপর। মানে হলো ছবি দুটো এক্সাক্টলি একই সময়ে তোলা হয়নি।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
মূল্যবান সংযোজনের জন্য ধন্যবাদ।
এইখানের বেশীর ভাগ ছবিই আগে দেয়া, তাই নতুন করে কিছুই প্রমাণ হয় না। নেভারেস্ট পরের পর্বেই প্রমাণ হয়ে যাবে মুসা ইব্রাহিম সামিট করে নাই, সেই পর্যন্ত অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রইলাম।
বাঙ্গাল
এবার আসুন তানভীর ভাইয়ের দেয়া ছবির সাথে মুসার ছবির জ্যামিতিক পার্থক্যটা একটু দেখি।
এই ছবিতে আমি তানভীর ভায়ের ছবি এবং মুসার ছবির চারটি পাহাড়ের শীর্ষকে লাল গোল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করেছি। এরপর তানভীর ভাইয়ের ছবিটাকে একটু জুম ইন করে আর মুসার ছবির কাটা অংশটা জুম আউট করে তানভীর ভাইয়ের ছবির উপর বসিয়েছি। ছবিদুটি যদি একই জায়গা থেকে তোলা হয় তাহলে জুম করার পরও ভেতরের চতুর্ভূজ এর চারটি বাহু, বাইরের চতুর্ভূজ এর চারটি বাহুর সমান হবে।
পার্থক্যটা কি বুঝতে পারছেন? এখন এই ব্যপারে নিশ্চিত হওয়া যায় যে না দুটি ছবি একই দুরত্ব থেকে নেয়া নয়। এবার আমরা যদি এভারেস্ট থেকে আমার আকা চারটি পাহাড়ের দুরত্ব জানা যায়, এটাও জানা যাবে সামিটের ঠিক কত দূর থেকে মুসা ছবিটি তুলেছেন।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
এখানে আরেকবার বলি। ছবিদুটোর ছায়া মেলালে হিসাব কিচ্ছু হবে না।
ধন্যবাদ।
ছায়ার কথা তো এখানে বলি নি!
চারটি পাহাড়ের চুড়ার কথা বলেছি! এবং ওটা দিয়ে চতুর্ভুজ হয় সেটা থেকেও হিসেব মেলানো যেতে পারে।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
টিল্টিংয়ে যে ডিফারেন্স আছে এই ব্যাখ্যাটা তার স্পষ্ট প্রমাণ।
লাল রঙে আকা তল দুটো সমান্তরাল না।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
টিল্টইং আপনি দুটির যেকোনো একটা ছবিকে একটু রোটেট করে নিয়েই কম্পেনসেট করতে পারেন। ক্যামেরা ধরার কারণে হয়েছে। রিলেটিভ পজিশনিক গুলো পরিবর্তন না হলেই হলো।
ভুল, ছবি রোটেট করে ক্যামেরার রোলিং প্রবলেম দূর করা যায়। টিল্টিং/প্যানিংয়ের জন্য পার্সপেকটিভ ট্রান্সফর্মেশন লাগবে। খুব সহজ একটা উদাহরন দিই, একদম খাড়া এ্যারিয়াল ভিউ না হলে একটা আয়তক্ষেত্রকে আপনি ক্যাপচার করলে ওটা একটা ট্রাপিজিয়ামের ছবি হবে। তখন ওটাকে আপনি আয়তক্ষেত্রে ট্রান্সফার করবেন কিভাবে?
বা, এখানেই কাজী মামুনের উদাহরনটা দেখুন। ভূমির সাথে দুটো চতুর্ভুজ ভিন্ন কোণে আছে। ছবির রোটেশনে এদের কিছু বদল হবেনা।
আপনি রোল, ইয়ো, পিচ নিয়ে বেসিক জিনিসগুলো দেখে রাখুন।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আমি সেটাই বলছি। যেহেতু ভিন্ন উচ্চতা থেকে তোলা হয়েছে সেহেতু চতুর্ভুজ মেলার কথা না। আমরা জাস্ট চতুর্ভুজ এর উপরেরে আর নিচের বাহুদ্বয়কে পুরো ছবিরোটেট করে সমান্তরাল বরাবর এনে। ক্যামেরার অবস্থানের হাইট বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারি।
আপনি যেমন বললেন। যে একদম উপর থেকে শুধু মাত্র আয়তক্ষেত্র দেখা যাবে। তাহলে পাশ থেকে দেখা যাবে সামান্তরিক। এবং পাশে দুইটি ভিন্ন উচ্চতা থেকে দুইটি ভিন্ন ধরণের সামান্তরিক পাওয়া যাবে। দুইটি ভিন্নু উচ্চতা থেকে পাওয়া ছবি দুটো হুবহু মিলে যাওয়ার আশা কেউ নিশ্চই করছে না? শুধু ওখান থেকে একটা মাত্র ডাইমেনশন (আল্টিচিউড) এর তারতম্য নির্নয় করা হচ্ছে। এবং তাও শুধু মাত্র কে উপরে কে নিচে নির্ণনয় করা হচ্ছে। কতটুকি উপরে নিচে তা নিয়ে কোনো কিছুই বলা হয়নি। এটুকু আমার মডেল থেকে করা সম্ভব।
ধন্যবাদ।
আর কাজী মামুন মনে হয় ছায়ার কোণ দুটো মেলাতে চেয়েছেন। দুটি ভিন্ন সময়ে তোলা ছবির ছায়ার কোণ মেলানো হলে আরো কিছু ডিসক্রিপেন্সি ইন্ট্রোডিউস করা হয়।
স্পর্শের বিশ্লেষনটা বোঝা গেলো, ধন্যবাদ। একি সাথে দিন তারিখ ঘন্টা মিনিট ও সেকেন্ডের সাথে মিলিয়ে সূর্যের অবস্থান, ছায়ার শীর্ষ বিন্দু, ও ছবিতে দৃশ্যমান নিচের পাহাড় গুলোর উচ্চতা কে সমীকরনে এনে ছবিতোলার স্থানের উচ্চতা নির্নয় করা কি সম্ভব ?
প্যেরালাক্স পদ্ধতি যে চোমওলঞ্জ এর পিকের ছবিটাতে প্রয়োগ করা সম্ভব না এটা কি নিশ্চিত?
আচ্ছা স্পর্শের ব্যখ্যা কিন্তু Nicky Messner এর ছবিটি কিন্তু Nicky Messner এর সামিট কেউ সন্দেহের দিকে ঠেলে দিচ্ছে তানভীর ভাই!
আমরা কি আমাদের বীর কে অযথাই হেয় করে ফেলছি? আমি তো নেভারেষ্ট প্রথম পর্ব থেকে বন্ধুদের কে দা চ্যালেঞ্জ কইরা বইসি !
সূর্য বা তার আলোর ছায়া ব্যবহার করে, এই ছবিগুলো থেকে কোনো কনক্লুশন টানা ফিজিবল না। আর কে সামিট করেছে কে করেনি সেটা নিয়ে আমি মাথা ঘামাচ্ছি না। দুইটি ছবি পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে কোনটা বেশি উচু থেকে তোলা সেটাই নির্ণয় করা হয়েছে।
ধন্যবাদ।
মুসার যে ছবিটাতে এভারেস্টের ছায়া দেখা যাচ্ছে সে ছবিটাতে দেখতে পাওয়া পর্বতগুলির কয়েকটার নাম কি কেউ বলতে পারেন? সেক্ষেত্রে আমি একটা বিশ্লেষণ করতে পারতাম, কারণ দুজন আলাদা লোকের আলাদা সময়ে তোলা ছবির তুলনা করার চাইতে কেবল মুসার তোলা ছবিটা বিশ্লেষণ করাই বেশি যুক্তিযুক্ত।
আসেন আপনাকে আরো কিছু চিন্তার খোরাক দেই। ছায়ার ছবিতে যে গ্লেসিয়ারটা দেখা যায় সেইটা সম্ভবত খুম্বু Khumbu গ্লেসিয়ার, ছবির একদম সামনের সাদা রিজটা মাউন্ট নাপচে Nuptse (৭৮৪৯মি)।
গ্লেসিয়ারের বাম দিকে তাবুচি Taboche (৬৫০১মি), চোলাসি Cholatse, (৬৪৪০মি) আর গ্লেসিয়ারের ডান দিকে লবুজে Lobuche (৬১৪৫মি), পামরি Pumori (৭১৬১মি)। বহুত বছর আগে গেছিলাম, অত স্পষ্ট মনে নাই, ছবিও নাই।
পাহাড়িরা হয়তো ঠিক মতন বলতে পারবে।
...........................
Every Picture Tells a Story
ফা হা ভাই,
একটা ব্যপার, সেই বিশেষ দিনে/সময়ে সূর্যের প্রতি সেকেন্ডের উন্নতিতে এভারেস্টে র পিক এর ছায়া কত মিটার পাড়ি দিবে এটা কি বলা সম্ভব? হলে একটু জানাবেন ?
মুছার অবস্থা হইছে ওই বাঘ আর রাখাল বালক এর মতো, যে হুদাই বাঘ বাঘ চিৎকার করে গ্রামবাসিকে বেকুব বানাত, পরে যখন সত্যি বাঘ আসলো তখন আর কেউ ওর কথা বিশ্বাস করলো না।
মুসা তার আগের পাহাড়ের অভিযান গুলা নিয়া লোকজন কে ঠকাইছে।
এগুলা প্রমানিত সত্য যে উনি পিক এ না উঠেই সামহাউ সাটিফিকেট দেখায়া বলছে যে উনি সামিট করছে, এই জন্য এখন উনার এভারেস্টে সামিট প্রমান করার জন্য উনি সাটিফিকেট, ছবি যাই দেখান, লোকে বিশ্বাস করে না, ভাবে নিরঘাত আবার বাটপারি করতাছে ....
রাখাল বালকের গল্পের সাথে একটু পার্থক্য আছে। রাখাল বালক জেনুইনই বাঘের হাতে ধরা খেয়েছিলো, মুসার পর্বতারোহণের এবারও অকাট্য প্রমাণ নাই, নো ভিডিও, নো ক্লিয়ার পিকচার।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমার কাছে দু'টো ছবির তুলনামূলক চিত্র এমন মনে হচ্ছে-
স্পর্শ বলেছেন
এবারে ব্যাখ্যা:- যত উচু থেকে তোলা হবে সামনের উচু বস্তুদুটোর (এখানে আগে পিছনে পাহাড়সারি) মধ্যবর্তি অংশ তত বেশি দেখা যাবে।
পাশ থেকে অর্থাৎ নিচে ঢাল থেকে তোলা হলেও মধ্যবর্তী অংশ বেশি দেখা যাওয়ার কথা যেটা ডায়াগ্রামে দেখিয়েছি (আবজাব )। ছবিতে সবুজ চিহ্নিত লাইনগুলো মুসার অবস্থানের পার্সপেক্টিভে। মুসার ছবিটা চূড়ার ছায়ার অবস্থান থেকে বেশি দূরত্বে তোলা বলেই (যেটা উপরে না হয়ে পাশে হওয়াই বেশি সম্ভব; কারণে উপরে উঠার আর জায়গা নেই) সবকিছু ছোটো এবং মধ্যবর্তী অংশ বেশি দেখা যাচ্ছে। নিকির ছবিটাও খুব কাছ থেকে তোলা বলে হয়তো ফিল্ড অফ ভিউটা বেশ ছোটো এবং ছায়া ও সামনের পাহাড়গুলো তুলনামূলক বড় দেখাচ্ছে যেটাকে জ্বিনের বাদশা জুম করা বলছেন। উল্লেখ্য, নিকির ছবিতে ছায়ার সাথে এভারেস্টের অংশও দেখা যাচ্ছে (ছবিতে বেগুনি রঙের), যেটা মুসার ছবিতে নেই। নিকির ছবিটা নিয়ে আমি সন্দেহ করছি না, কারণ তার সহযাত্রী ডেভিড হানের দশম সামিটের সময় তোলা ছবি এটি। উপরের মন্তব্যের লিংকে তাদের এই সামিটের একটা বিবরণ আছে।
নিকির ছবিতে এভারেস্টের অংশ দেখা যাওয়াতে আমি "জুম ইন" বলে ধারনা করছি। কারণ, এভারেস্ট, শ্যাডো, এসব কুয়েরি ওয়ার্ড দিয়ে গুগল ইমেজে আরো কিছু ছবি পাওয়া যায় গূগলে যেসব চুড়া থেকে তোলা। ওগুলো বেশ দূর থেকে তোলা মনে হয়, মুসার ছবির সাথে বেশ সাদৃশ্যপূর্ণ।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আপনি যা বলছেন তার সাথে আপনার ডায়াগ্রাম মিলছে না।
নিচ থেকে দেখে(পাশে হোক আর যাই হোক) পাচিলের (এখানে তিনটিপাহাড়) ওপাশে বেশি দেখা অসম্ভব।
আর নিকির ছবির ঐ ঢালটা এভারেস্ট না। মুসার ছবিতে তিনটি পাহাড়ের সামনে যে আরেকটা সাদা পাহাড়মত, সেটা।
কাজী ভাই,
স্পর্শের দুরত্ব ও দূটি প্রাচীর বা পাহাড় এর মদ্ধবর্তী সহজ ব্যখ্যা টা জ্যামেতিক ভাবেও পরিষ্কার ও যৌক্তিক প্রমানিত। আপনার চতুরভুজ ব্যখ্যা টি বুঝতে পারছি না, একটু স্পস্ট করে বলবেন প্লিজ?
বলাইদা , কথা ঠিক, পাহাড় সমুহ ও স্ট্যেটিক নয়ে নড়াচড়া করে টেকটনিক প্লেট এর মন্থর গতির কারনে, প্রতি বছর খুব বেশি হলে কয়েক সেন্টিমিটার যা এই আলচনায় অপ্রজ্জ্য।
স্পর্শ, চোমোলঞ্জের পার্সপেক্টিভ, এভারেস্ট এর চুড়া থেকে ঠিক যেমন দেখা যাচ্ছে সেটা ভিন্ন আল্টিচুড-ল্যটিচুড-লংগিচুড থেকে নিশ্চই ভিন্ন রকম দেখাবে,
বিশেষ করে চোমোলঞ্জের আর পিছনের কাঞ্চজংঘা পাহাড় সারির মধ্যবর্তী অংশকে একি ভাবে কি মিলানো স্মম্ভব? আমার ধারনা মুসা ইব্রাহীম এর "ভী" দেখানো ছবিটি দ্বারা এটি পরিক্ষা করার মত যথেস্ট ডিটেইল ইনফরমেশান আছে।
পিছনের পাহাড় যদি সাক্ষি না দেয় বুদ্ধ মুর্তি কনো কঙ্ক্রিট সিদ্ধান্ত দিতে পারে না।
একটা ট্রাই করে দেখবেন কি?
আপনাকে ধন্যবাদ যুক্তি নির্ভর গানিতিক বিশ্লেষন এর জন্য।
মুসার ভি দেখানো ছবিটিতে এভারেস্ট থেকে উত্তর-পূর্ব ও পূর্ব দিকের পাহাড়সারি দেখা যাচ্ছে। এটি ক্যাম্প-৩ থেকেও তোলা সম্ভব।
কীভাবে নিশ্চিত হলাম বলি। নাসার একটি ডেটাবেজ থেকে এই অঞ্চলের ভৌগোলিক মডেলটি নামিয়ে রেণ্ডার করা হয়েছে। মুসার ক্যামেরার স্পেক শিট থেকে তথ্য নিয়ে তার ক্যামেরার হরাইজোন্টাল অ্যাঙ্গল অব ভিউ বার করা হয়েছে। সেটি মডেলে বসিয়ে সিমুলেট করে দেখা হয়েছে, নর্থকোল-নর্থইস্ট রিজ রুটের কোন কোন জায়গা থেকে চোমো লোনজো মুসার ক্যামেরার ফ্রেমের সমান ফ্রেমে দেখা যায়। ৭৮০০ এর পর যে কোনো এলিভেশন থেকেই চোমো লোনজো দেখা যায়। এভারেস্ট থেকে চোমো লোনজো ২১ কিলোমিটার দূরে। চার-পাঁচশো মিটারের ব্যবধানে যে প্যারালাক্স এরর হবে, তা অতি ক্ষুদ্র, এবং ছবিটার একটা অংশ (সম্ভবত) ইচ্ছাকৃতভাবে বার্নট রাখার কারণে সেটি পরীক্ষা করা আরো দুঃসাধ্য।
ছায়ার ছবির বিশ্লেষণে আপনারা অনেক সময় দিয়েছেন বুঝতে পারছি। কিন্তু সূর্য বছরের এক এক দিন এক এক অবস্থানে ওঠে। তাই দুটো ছায়ার ছবিতে পার্থক্য থাকবেই। মুসার ছায়ার ছবিটা এভারেস্ট থেকেই তোলা, কিন্তু মুসার তোলা কি না, সেটাই প্রশ্ন। মেটা ডেটা, যেটা আগেই বলেছি, পাল্টানো যায়। যে কোনো শেরপার ক্যামেরায় তোলা ছবি সংগ্রহ করে সেটার নাম আর মেটা ডেটা পাল্টে নেয়া সম্ভব। মুসা ঐ ছবিটিতে যদি একই ফ্রেমে থাকতেন, তর্কের কোনো অবকাশই থাকতো না। এ কারণেই আমি শুরু থেকে বলে আসছি, পেছনের ভৌগোলিক ফিচার স্পষ্টভাবে দেখা যায়, এমন ছবি আর ভিডিও দেখানো হোক। কিন্তু এ নিয়ে যে কঠোর গোপনীয়তা অবলম্বিত হয়েছে, সেটা অতি সন্দেহজনক।
বুকে BOOK রেখে | বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫ |
অনেক জ্ঞান আহরণ হচ্ছে দারুন দারুন সব আলোচনা দেখে! সবাই এখন হুমড়ি খেয়ে পরেছি ছবি বিশ্লেষণ করতে! খুবই দুক্ষজনক যে, শেষ-মেশ সততা প্রমান করার জন্য আমাদের ত্রিভুজ-চতুর্ভুজ এর শরণাপন্ন হতে হচ্ছে! এর জন্য দায়ী কে বা কারা? কেউ কি চিন্তা করেছেন দিন দিন কে দিন জাতি হিসেবে আমাদের অবস্থান কোথায় যাচ্ছে?
অফটপিক কিনা জানি না, এভারেস্ট-নেভারেস্ট এর আলোচনার কিছু কিছু মন্তব্য এবং প্রতিমন্তব্যে এমন ভাব (ব্যক্তি আক্রমনাত্মক) প্রকাশ পেয়েছে যে চিন্তা করতেও খারাপ লাগে এদের অনেকেই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত (এদের সার্টিফিকেট তো আসল কিন্তু এরা এমন নকল ব্যবহার করে কিভাবে?!!)!
যাহোক, যা বুঝলাম ছোটবেলার সেই রাখাল বালকের বাঘ গল্পের শিক্ষা আমরা অনেকেই পাই নি! এখন মুসা ইব্রাহিমের এভারেস্ট-নেভারেস্ট থেকে যদি কিছু শিক্ষা হয়!
মুসার এভারেস্ট জয়ের দাবি এবং তাতে প্রমাণ নিয়ে লুকোচুরি সন্দেহের উর্দ্রেক কেন করে? কারণ তিনি এর আগে ফ্রে পিক, চুলু ওয়েস্ট, লাংসিসা রি, এবং সবচেয়ে যেটা গুরুতর, অন্নপূর্ণা-৪ এ আরোহণ নিয়ে অসঙ্গতিপূর্ণ ও ক্ষেত্রবিশেষে অসত্য বিবৃতি দিয়েছেন। পর্বতারোহীর রেকর্ড যদি এমন হয়, তার নতুন দাবি নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক ও সঙ্গত।
মুসার ছবিগুলোর মধ্যে একমাত্র এভারেস্টের ছায়ার ছবিটা আমলে নেয়ার মতো, কারণ বাকিগুলোতে রিজলাইন দেখা যায় না। মুসা এতদিন পর ছবিগুলো কেন হাই রেজোলিউশনে রিলিজ করলেন, এটা ভাবানোর মতোই প্রশ্ন। ওপরে একটা ছবিতে দেখতে পেলাম, ক্যাম্প-১ বোরাট সাগদীয়েভের ছবি। সেটার মেটা ডেটাতেও কোনো ফোটোশপ এডিটিঙের ট্যাগ নেই। সময় দেখাচ্ছে মুসার সামিটের সময়। এই সাড়ে চার মাস সময় কি তাহলে ছবি ডক্টরিঙে ব্যবহৃত হলো? এখনও কিন্তু মুসার পক্ষ থেকে তার নিজের ছবি কোথাও আপলোড করা হয়নি। তার ছবির কোনো ত্রুটি আমরা নির্দেশ করলেও তা এড়িয়ে যাবার সুযোগ তিনি রেখে দিয়েছেন।
মুসার পক্ষ থেকে মুসার অ্যাকাউন্টে ফ্লিকারে ছবি আপলোড করার আহ্বান জানাই। তৃতীয় ব্যক্তির মাধ্যমে নয়।
বুকে BOOK রেখে | বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫ |
এই ছবি গুলো যদি আই ডি বি ভবনের প্রেস্কনফারেন্স এ সাংবাদিক ও মিডিয়া কে সরবরাহ করা ছবি গুলাই হয়ে থাকে তবে এগুলো নিয়ে পরে প্রতারনা করার আর অবকাশ থাকে না। আপাতত এই ছবি গুলা দিয়েই নিরীক্ষা করলে আমি কোন সমস্যা দেখি না।
ভী দেখানো ছবি টার পিছনের চোলোম্নজের শীর্ষ যত টুকু ফ্রেমে ভিসিবল তত টুকু যথেস্ট শার্প। এভারস্টের চূড়ার পার্সপেকটিভ থেকে চোলোম্নজের ভিউ কখনও দু রকম হবে না।
প্রশ্ন টা হচ্ছে এটা কি চোলোম্নজের এভারেস্ট পার্সপেকটিভ কি না ? আর পিছনের রিজ লাইন যে ভিসিব্লনা তাও না, প্যারালাক্স করার জন্য দিগন্তের জুড়ে বিস্ত্রিত
ছবি লাগবে কিনা জানি না অবশ্য ঃ)
যদি একটা আস্ত পাহাড়কেই আমরা মিলাতে না পারি বুদ্দ মুত্তি কে কি করে মিলাতাম সেটাও ভাব্বার বিষয়!
স্পর্শের গানিতিক ব্যখ্যা বেশ যৌক্তিক ।
আইডিবিতে মুসার কাছ থেকে ছবি নিয়েছে, "রিফাত ফারজানা" ছাড়া এমন কেউ কি আছে ?
বুকে BOOK রেখে | বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫ |
হিমু ভাই আশার আলো দেখালেন। আচ্ছা চোম্লঞ্জ কে ডানে রেখে ভরের সূর্যকে বামে রেখে ২০ বা ২২ কিমি. এর মদ্ধে এমন একটা পাহাড় কি পেলেন যার পিছনের পাহাড় শ্রেনির রিজ লাইন ভী চিনহিত ছবির সাথে মিলে?
আর এল্টিচিউড যদি একি না হয় তবে আপনি নাসা থেকেই জিওগ্রাফিকাল ৩ ডি মডেল দিয়ে খুজা খুজি করেন কোন লাভ হবে না। অযথাই সময় ব্যয় হচ্ছে মনে হচ্ছে আবার ও! এনিয়ে রেন্ডার কি "Box" পিসি তে করছেন ? ঃ)
himu ভাই,
রেসাল্ট কি? গুগোল আরথ ৫ দিয়ে পুরা এভারেস্ট চম্নজো থেকে কাঞ্ছাঞ্জংঘা পরযন্ত HD রমিং করতে পারতেসি, সব এংগেল থেকে। এম কনভিন্সড উইদ বোথ দা পিকচারস!
আপ্নারা যারা নাসা র ডাটা বেস এ এক্সেস পান নাই, গুগল দিয়ে আরামে প্রতিটা এংগেল দেখে নিতে পারেন, জাস্ট ২ উইক আগে আপডেট করা এই জোন টা।
আমি মুসা কে আবার ও অভিন্দন জানাচ্ছি।
মুসা আমি লজ্জিত আপনাকে সন্দেহ করে মন্তব্য করার জন্য।
এখানে হিমু জানিয়েছেন যে নাসার ডাটাবেজ অনুযায়ী নিচে থেকেও এই দৃশ্য ধারণ সম্ভব, আপনি বলছেন যে আপনি মনে করেন গুগুল আর্থের ডাটা অনুযায়ী একই দৃশ্য ধারণ সম্ভব না।
সেক্ষেত্রে আপনারা উভয়েই যদি নিজ নিজ যুক্তির পক্ষে একটি করে সচিত্র পোস্ট বা কমেন্ট করেন, তাহলে আমরা যারা বিষয়টি পরিস্কার বুঝতে পারছি না, তাদের পক্ষে বুঝা সম্ভব হবে।
বেকায়দা রকমের অফ টপিকঃ
মাশ্রুফ ভাই,আপনে দেখি আমার মিতা!! এই প্রথম আমার ডায়রেক্ট মিতা পাইলাম!
এই ছবিটা দেখা যেতে পারে, টিপ দিলে বিশাল সাইজে দেখা যাবে..
৫ ছবি একই কথা বলে.. মুসার পিছনের হলুদ দাগ আর তেকোনা মাথাওয়ালা বস্তুটিই সেই বুদ্ধমুর্তির বাক্স..
আরিফ ভাই,
পোস্ট দেয়া যাবে , যদি গুছায়ে বা অগছালো ভাবে পোস্ট দেইনাই
কখনো কিন্তু চেস্টা করব।
বাই দা ওয়ে হিমু ভাই কি রয়ে সয়ে দিবেন নাসা র ছবি টা? নাকি
নেভারেস্ট এর প্রমান গুলোর মত অকাট্য?
অঃটঃ মাসরুফ মিতা কে? আমার কোন বোন বা শালী নেই
অনেক কনভিন্সিং একটা কাজ । মূসাকে অভিনন্দন।
তাইলে পিচ্চি বুদ্ধা, যে ম্যাক্সের ছবিতে বাক্সের উপর বসে ছিলো সে কই গেলো? ঐটা কি ম্যাক্সই বসাইসে? না মুসা ভাই আসলে সামিট করসে আর ম্যাক্স ভাইয়েরটা ভুয়া কাহিনী? :)
আসলে সত্যি/মিথ্যা সেটা যাই হোক না কেন, এখন আমার কাছে কেন যেন মনে হচ্ছে এভাবে ছবি দিয়ে কোন কিছু প্রমাণ করা খুবই দূরহ। বার বার মনে পড়ছে মানুষের চাঁদ অভিযান এর কথা । চাঁদে যখন মানুষ প্রথমবারের মত পদার্পণ করে সেটার কিন্তুউ লাইভ টেলিকাস্ট হয়েছিল,চাঁদের মাটিতে পা দিয়ে নভোচারী কিন্তু চাঁদের বুক থেকে পৃথিবীর মানুষের কাছে স্বকন্ঠে বার্তা পাঠিয়েছিলেন, আসার সময় নুড়ি পাথর বয়ে নিয়ে এসেছিলেন, কত্ত কত্ত ভিডিও কত্ত কত্ত ছবি। তারপর এই যে এত বছর কেটে গেছে সেই বিতর্কের অবসান কি হয়েছে? মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয় কি শেষ পর্যন্ত এই রকমের একটা ধোয়াশা ই থেকে যাবে আমাদের সামনে ? আমি খুব খুশি হবে যদি আমি ভুল প্রমাণিত হই এবং দেখি আমরা সবাই একমত হতে পেরেছি এবং মুসা ইব্রাহীম আসলেই এভারেস্ট জয় করেছেন।
উপরে (৬৪) ২১২ নম্বর কমেন্টে দেখা যাচ্ছে একজন অতিথি ইতিমধ্যেই দেখিয়েছেন যে বেশ কয়েকটি ছবিতে বিভিন্ন এঙ্গেলে এই 'বৌদ্ধমূর্তির বাক্সে'র বিভিন্ন অংশ দেখা যাচ্ছে।
এর বাইরে আমি সামু থেকে বিডি আইডল নামের ব্লগারের পোস্টের ম্যাক্সের দুটো ছবি বিশ্লেষন এড করে দিচ্ছি এখানে। এতে করে বোধহয় আমরা আগে যেভাবে মুসার অবস্থান শনাক্ত করেছিলাম, সেই দিকেই সিদ্ধান্তটি যাচ্ছে।
তিনি বলছেন:
মুসার সাথে ম্যাক্সের ছবিগুলোর কোনই গরমিল নেই...কারণ ছবিগুলোর আ্যংগেল। বিষয়টা দেখা যাক। প্রথমেই প্রেয়ার ফ্ল্যাগের ডান দিক দিয়ে হেটেঁ যাওয়া ম্যাক্সের ছবি দেখি আমরা।
বামের লালবৃত্তটি ভালো করে লক্ষ্য করে দেখতে হবে। ছবিটির তীর চিহ্ন ফলো করে প্রেয়ার ফ্ল্যাগের স্তুপের উল্টো দিকে বসে ম্যাক্সের দ্বিতীয় ছবিটি এবার দেখা যাক।
সুতরাং এটার প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে যে মুসা আর বৌদ্ধমূর্তির মাঝখানে প্রেয়ার ফ্ল্যাগ থাকাতেই মূর্তি পরিস্কার না।
ধুগোর মন্তব্যের (১১৫নং) জবাবে:
ভাই, মুসার দাবিকৃত শীর্ষজয় নিয়ে সন্দেহ শুরু হয়েছে মুসার রহস্যজনক আর আপত্তিজনক ব্যবহারের পরই। তার আগে না। আর মুসার এতো সেনসিটিভিটি থাকলে তো সমস্যা। দাবি-দুবি তাইলে একটু সাবধানে করলেই পারে সে!
মুসা জালিয়াতি করবে বলে ঢাকা থেকেই কাপড়ের গাট্টি সাথে করে নিয়ে গেছে, খেয়াল করে দেখবেন এমনটা বোধ'য় কেউ বলছে না। বরং এটাকে এমনভাবে বলা যায় যে, মুসা মরতে শুরু করেছিলো বলেই জালিয়াতি টা করেছে! মুসা যতোদূরই উঠেছে, সেখান থেকে খালি হাতে ফিরে যাওয়ার কোনো উপায় ছিলো না (কেনো উপায় ছিলো না, সেইটা আরেক প্রশ্ন!)।
ছবিগুলো সেখানেই তোলা। এখন আপনি আমাকে বলবেন, এগুলো 'নকল' ছবি না 'আসল' ছবি!
আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন, "মুসা কি বাংলাদেশীদের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় উঠেছে?" আমি জবাব দিবো, "হ্যাঁ"। (ছবিগুলো তার ক্যামেরা দিয়ে তোলা ধরে নিলাম)
তারপর যদি প্রশ্ন করেন, "মুসা কি সামিট করেছে?"
আমি বলবো, "না"। ('অকাট্য প্রমাণ' দেন, আমিও বিশ্বাস করবো)
আপনার দেয়া কাউন্টার লজিক্যাল হাইপোথিসিস নিয়ে বলি ... কিন্তু এর পরে ছবিগুলো যখন রিলিজ পাবে, এতোদিন পরে, পাবলিক স্বভাবতঃই ছবিগুলো কোত্থেকে এলো, এই প্রশ্নটা সবার আগে করবে!
এখন ঐসব ছবিতে যদি বুদ্ধমুর্তির বাক্সকে খুঁজে পাওয়া দেখানো হয়, তাহলে প্রশ্ন আসবে কে দেখাচ্ছে! এবার দুইটা সমীকরণ অটোমেটিক মেলাবে পাবলিক, ছবিগুলো এতোদিন কারছে ছিলো? উত্তর- "ফিফা গং"।
এতোদিন পরে ছবি বের করে সেই ছবিতে বুদ্ধমুর্তির বাক্সের উপস্থিতির প্রমাণ কারা দিচ্ছে? উত্তর- "ফিফা গং"।
এবার প্রশ্ন আপনার প্রতি, ফিফা গং-কে আপনার এতো বোকা মনে হয়? যে নিজেরা ছবিগুলো এতোদিন নিজেদের কাছে রেখে তারপর নিজেরাই সেখানে বুদ্ধমুর্তি খুঁজে পাওয়ার ঘোষণা দিবে!
কিন্তু একজন জনপ্রিয় সচল (এখানে আরিফ জেবতিক)-কে দিয়ে বুদ্ধমুর্তির প্রসঙ্গটা তুলে ধরলে ব্যাপারটা হালে পানি পায়। আমার তো ধারণা, ফিফার ছাল গায়ে দেয়া পল্লব মোহাইমেন (অথবা রবি) আরিফ ভাইকে এই পয়েন্টটা তুলতে বলেছে। ডেইলি স্টারের ছবিটা এনলার্জ করে গোল্লা এঁকে বুদ্ধের বাক্সের রঙ দেখিয়েছে। (সত্যটা অবশ্য আরিফ ভাই জানেন।)
আর মুসার ইন্টারভিউ দেয়ার ব্যাপারে এপ্রোচের কথা বলেন? দুঃখ পেলাম আপনার মতো একজন যুক্তিবাদী মানুষের কাছে এই কথা শুনে। একটা কথার কথা বলে ব্যাপারটা পরিষ্কার করার চেষ্টা করি। নেভারেস্ট সিরিজের লেখক হিসেবে আপনি হিমুকে সাক্ষাৎকারের জন্য বলে দেখতে পারেন। ও আপনাকে সাক্ষাৎকার না-ও দিতে পারে, যতোই এ্যাপ্রোচ ভালো হোক আপনার। অথচ আমি কিন্তু চেষ্টা করলেই তার সাক্ষাৎকার নিতে পারবো, কোনো ভালো এ্যাপ্রোচ ছাড়াই। মূল ব্যাপারটা বুঝাতে পারলাম কি?
হিমু তার এই এ্যাপ্রোচেই মুসার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করতে পারতো, যদি সে সন্দেহবাদীদের দলের না হয়ে মুসার দাবির প্রতি হেলে থাকতো। (আমি বলছি না যারা মুসার সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন তারা সবাই তার দিকে হেলেই আছেন। যা বলতে চাচ্ছি, "এ্যাপ্রোচ"টা কোনো ব্যাপার না এইখানে। ব্যাপার অন্যকিছু)
আরেকটা ব্যাপার। আইডিবি ভবনের প্রেস-কনফারেন্সের খবরের লিংকটা আমাকে একটু দিয়েন তো ভাই।
ভালো থাকবেন।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
জ্বিনের বাদশা, আপনি বার বার সামুব্লগের কোনো এক পোস্টে কোনো এক ব্লগারের দেয়া ছবির রেফারেন্স দিচ্ছেন। আপনি আমাকে বলুন, এটা কতটা গ্রহণযোগ্য? মুসার ছবি কেন তৃতীয় ব্যক্তি আপলোড করবে? আর করলে সেটার গ্রহণযোগ্যতা থাকে কি? মুসা নিজের ফেসবুকেও ছবিগুলো আপলোড করেননি, এখনও করছেন না। ছবি দেখাতে চাইলে সেটা দেখানোর সবচেয়ে প্রশস্ত সুযোগ ফ্লিকারে। এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠা মাত্রই কেন মুসা ইব্রাহীম ফ্লিকারে একটা অ্যাকাউন্ট খুলে সব ছবি আপ করে লিঙ্ক ধরিয়ে দিলেন না? কিংবা সামুব্লগে তারও অ্যাকাউন্ট আছে, সেখানে কেন লিখলেন না? অথবা নিজে ব্লগস্পটে একটা ব্লগ খুলে কেন ছবিগুলো আপ করে দিলেন না?
উত্তর হতে পারে, হয় ছবিগুলো নিয়ে তার কোনো আর্থিক পরিকল্পনা আছে, কিংবা তিনি ছবি দেখাতেই আগ্রহী ছিলেন না। এখন যেহেতু সন্দেহটা অনেক বিস্তৃতি পেয়েছে, তিনি শুধু তৃতীয় ব্যক্তি মারফত ছবিই দেখাচ্ছেন না, মন্টেনেগ্রো আর নেপাল থেকে সাক্ষীও সংগ্রহ করার চেষ্টা করছেন।
আপনি "পথঘাট" আর "অ্যাপ্রোচ" নিয়ে কিছু কথা বলেছেন দেখতে পাচ্ছি। মুসা ইব্রাহীম মানুষের সামনে কী অ্যাপ্রোচ নিয়ে হাজির হয়েছেন? একটি দাবি করে তিনি বসে আছেন চুপচাপ, প্রমাণ চাওয়ার পর মাঠে নেমেছে তার বন্ধুরা, যারা প্রশ্নের উত্তর দেয়ার বদলে প্রশ্নকর্তাকে গালি দিচ্ছেন। আর এ-ও স্মর্তব্য, আগে চারটি পিকে মুসা অসঙ্গতিপূর্ণ দাবি করেছেন এসে। তখন এতো শোরগোল হয়নি, কারণ কেউ সেভাবে খেয়াল করেনি। মুসার সেনসিটিভিটি তো এখানে আলোচ্য না, সেনসিবিলিটি আলোচ্য। আপনি একটা দাবি করবেন, আর প্রমাণ চাইলে বলবেন আপনি সেনসিটিভ, অতএব প্রমাণ দেখাবেন না, এটা কী ধরনের যুক্তি?
পর্বতারোহীদের উচিত একটা স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করা। সাংবাদিকদের সামনে এর আগেও প্রেস কনফারেন্স হয়েছে, সেখানেও অস্পষ্ট ছবিকে সামিটের ছবি দাবি করা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে নিউজও হয়েছে। এখন থেকে ছবি, ভিডিও, জিপিএস লগ, অল্টিমিটার রিডিংসহ অন্যান্য যা কিছু প্রমাণাদি আছে, সব ওয়েবে উন্মুক্ত করে দেয়াটাই যৌক্তিক। আর এই কাজটা করতে হবে যিনি দাবি করলেন, তাকে। তৃতীয় ব্যক্তি মারফত নয়।
বুকে BOOK রেখে | বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫ |
হিমু ভাই, আমরা খুব তাড়াতাড়িই অকাট্য সব প্রমান সহ নেভারেস্ট-৩ পেতে যাচ্ছি আশা করি, কারন মুসা তার সব ছবি এখন upload করেছে (সেটা তার বন্ধু দের মাধ্যমেই হোক), তাই নেভারেস্ট-৩ এর জন্য এখনি পারফেক্ট টাইম মনে করি।
x
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
জ্বিনের বাদশা, আপনি বার বার সামুব্লগের কোনো এক পোস্টে কোনো এক ব্লগারের দেয়া ছবির রেফারেন্স দিচ্ছেন।
আপনি আমাকে বলুন, এটা কতটা গ্রহণযোগ্য? মুসার ছবি কেন তৃতীয় ব্যক্তি আপলোড করবে? আর করলে সেটার গ্রহণযোগ্যতা থাকে কি? মুসা নিজের ফেসবুকেও ছবিগুলো আপলোড করেননি, এখনও করছেন না। ছবি দেখাতে চাইলে সেটা দেখানোর সবচেয়ে প্রশস্ত সুযোগ ফ্লিকারে। এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠা মাত্রই কেন মুসা ইব্রাহীম ফ্লিকারে একটা অ্যাকাউন্ট খুলে সব ছবি আপ করে লিঙ্ক ধরিয়ে দিলেন না? কিংবা সামুব্লগে তারও অ্যাকাউন্ট আছে, সেখানে কেন লিখলেন না? অথবা নিজে ব্লগস্পটে একটা ব্লগ খুলে কেন ছবিগুলো আপ করে দিলেন না?
আপনি "পথঘাট" আর "অ্যাপ্রোচ" নিয়ে কিছু কথা বলেছেন দেখতে পাচ্ছি। মুসা ইব্রাহীম মানুষের সামনে কী অ্যাপ্রোচ নিয়ে হাজির হয়েছেন? একটি দাবি করে তিনি বসে আছেন চুপচাপ, প্রমাণ চাওয়ার পর মাঠে নেমেছে তার বন্ধুরা, যারা প্রশ্নের উত্তর দেয়ার বদলে প্রশ্নকর্তাকে গালি দিচ্ছেন। আর এ-ও স্মর্তব্য, আগে চারটি পিকে মুসা অসঙ্গতিপূর্ণ দাবি করেছেন এসে। তখন এতো শোরগোল হয়নি, কারণ কেউ সেভাবে খেয়াল করেনি। মুসার সেনসিটিভিটি তো এখানে আলোচ্য না, সেনসিবিলিটি আলোচ্য। আপনি একটা দাবি করবেন, আর প্রমাণ চাইলে বলবেন আপনি সেনসিটিভ, অতএব প্রমাণ দেখাবেন না, এটা কী ধরনের যুক্তি?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
জীনের বাদশা ভাই-
আপনি বললেন-
"আপনার মন্তব্যের জবাবে নিঃসঙ্গ গ্রহচারীর লিংকগুলোতে দেখা যাচ্ছে মুসা ২রা জুনই ছবিগুলো দিয়েছেন।"
আমার প্রশ্ন আপনার কাছে, আপনি কি লিঙ্ক চারটি খুলে দেখেছেন?
আমি নিশ্চিত আপনি দেখেন নি কারণ দেখলে এ কথা আপনার বলার কথা না।
চারটি লিঙ্কের কোথাও এ কথা উল্লেখ নেই যে মুসা ২রা জুন সাংবাদিকদের ছবিগুলো দিয়েছেন। কালের কন্ঠ, প্রথম আলো এবং বিডি নিউজে ছবির কথাই উল্লেখ নেই! একমাত্র জনকন্ঠে পর্বতারোহনের ছবি প্রজেক্টরে দেখানো হয় বলা হয়েছে। কোন ছবি? সেগুলো এভারেস্টের ছবি নাকি অন্নপূর্নার ছবি আমরা জানি না। ছবি দেয়া হয়েছে, কারা ছবি পেয়েছেন এই প্রশ্নের মীমাংসা ঐ লিঙ্ক থেকে হয় না। এবার নিশ্চয়ই ঐ লিঙ্ক এর সূত্র ধরে করা আপনার মন্তব্যটি পূনর্বিবেচনা করবেন?
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
আপনার অনুমানের জন্য ধন্যবাদ, কিন্তু লিংক না খুললে ২রা জুনের কথা আমি জানতে পারতাম না।
আইডিবির সম্মেলনকেন্দ্রে সাংবাদিকদের ছবি দেয়া হয়েছে এটা সম্ভবত হিমুর নেভারেস্ট বা প্রায়-নেভারেস্ট পোস্টে একজন অতিথি দাবী করেছিলেন।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
কালের কন্ঠ, প্রথম আলো এবং বিডি নিউজে ছবির কথাই উল্লেখ নেই!
বাংলাদেশে পর্বতারোহীদের ক্লাব নর্থ আলপাইন ক্লাব আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অভিযানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তোলা অসংখ্য ছবি প্রদর্শন করা হয়। এ সময় অভিযানের বর্ণনা দেন মুসা। [প্রথম আলো]
Musa also showed photographs of his expedition on a projector screen. [The Daily Star]
কোন ছবি? সেগুলো এভারেস্টের ছবি নাকি অন্নপূর্নার ছবি আমরা জানি না।
এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার দাবিকে আপনি সেন্সিটিভ, নন-সেন্সিটিভ লোকের সাথে মেলাচ্ছেন কেনো? মুসার সেন্সিটিভিটি ধুয়ে কি পাবলিক পানি খাবে? এ ব্যাপারে আমার বক্তব্য ছিলো পরিষ্কার, পাবলিকের দরকার দাবির পক্ষে সুস্পষ্ট প্রমাণ। ভালো বাংলায় যাকে বলে 'অকাট্য প্রমাণ'। নুন-চুন-আমের কষ দিয়ে বানিয়ে দেয়া একটা প্রমাণ না।
এই প্রমাণ ছাড়া হুদাই ঠেলাঠেলি করা মানে সিস্টেম লস। বুঝাতে পারলাম?
প্রমাণ হিসেবে ছবির বাইরে ফেলো সামিটিয়ারদের টেস্টিমোনি কাজে দিবে? কার কথা বলছেন? ব্রেনডানের কথা? এই ব্যাপারে কথা বললে একই কথার পুনরাবৃত্তি হয়ে যাবে। একটু কষ্ট করে পড়ে নেন বস। টেস্টিমোনির হেজিমোনি নিয়ে একটা ধারণা পাবেন আশা করি।
বস, লেখা উদ্বৃত করলে পুরোটা করলেই ভালো হয়। নয়তো জবাবটা খাপছাড়া লাগে। আপনার "কাউন্টার লজিক্যাল হাইপোথিসিস" নিয়ে যেটা বলেছিলাম যে আসলে কী ঘটলে পাবলিক প্রশ্ন করবে (বা করতো), আপনি লিখলেন "পাবলিক সেই প্রশ্ন করে নি"। পাবলিক যে সেই প্রশ্ন করে নাই সেইটা তো আমিও জানি। আর কী নিয়ে করেছে, সেইটাও জানি। পাবলিক কেনো 'সেই প্রশ্ন করে নাই' সেইটা কি আপনি বুঝতে পেরেছেন আদৌ! নাকি আমার বুঝানোতে গলদ রয়েছে!
আপনার জ্ঞাতার্থে, নেভারেস্ট শুরু হবার আগেই ছবিগুলোতে বৌদ্ধমূর্তির বাক্সের অংশ দেখা যাচ্ছিলো। সামহোয়ারের ঐ পোস্টে, ১৯৩ নং কমেন্টে।
ছবিগুলোতে বুদ্ধমুর্তির বাক্সের হলুদ দাগ, ইন্টারভিউয়ের অ্যাপ্রোচ, আরিফ ভাইয়ের ভূমিকা- প্রভৃতি সম্পর্কে আমার বলা বক্তব্যের সবকিছুতেই গলদ আছে আপনার বুঝার। কথা বেশি বললেই বুঝতে এবং বুঝানোতে সমস্যা হয়। আসেন, কম কথায় মূল বক্তব্য সারি।
মুসার সামিটের প্রমাণ হিসেবে উচ্চারিত হওয়া কুড়িটা ছবির মধ্যে স্পন্সরদের আঠারোটা ছবি নিয়ে আমার কোনো দিলচাসভি নাই। নীলা আসমাঁ আর ঝাপসা হুসা দুনিয়ার মাঝে আকিজ বিড়ি কিংবা ইউরো কোলার ব্যানার ধরে রাখা মুসাকে নিয়েও আমার কোনো আগ্রহ নাই। এইটুকু পরিষ্কার করতে পারলাম?
যে দুইটা ছবিকে 'প্রমাণ' হিসেবে আরিফ ভাই পোস্টে উল্লেখ করেছেন (একটায় চোমো-লোনজো শীর্ষ আরেকটায় হলুদ দাগ), যেগুলো 'অরিজিনাল' বলে দাবি করা হয়েছে, সেগুলো বিশেষ করে হলুদ দাগযুক্ত ছবিটা যে 'অরিজিনাল না' এইটা বলাই'দা প্রমাণ করেছেন। আশাকরি আমাকেও আবার চাকা আবিষ্কারের মতো একই কাজ করা লাগবে না।
এখন কথা হলো, এই দুইটা ছবি বাদ দিয়ে কোনো ছবি কি আছে যেটা মুসার সামিটের পক্ষে প্রমাণ হিসেবে দাঁড় করানো যায়? যদি সেরকম ছবি থেকে থাকে তাহলে দয়াকরে দেখান। এরপর আমাদের কথা হবে পরবর্তী মন্তব্যে। আর নয়তো একই জিনিস নিয়ে বারবার একই কথা বলার কোনো মানে নাই। ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
বিএসএফ— ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ |
স্যরি, বলতে বাধ্য হচ্ছি, আপনার এই জবাবের টোনটা ভালো লাগে নাই। আমাদের নোয়াখালি অঞ্চলে একটা টার্ম আছে, "মানুষকে ফালাইয়া ছারাইয়া কথা বলা"। সেটা টের পাইলাম। একটু ভাবছিলাম অফ যাবো, পরে ভাবলাম যুক্তিতর্কের আদানপ্রদানে বেশী ইমোশনাল না হওয়াই ভালো।
আপনি আগের মন্তব্যে বলেছিলেন,
আর এই কাজটুকু করতে অনেকদিন লাগে না, ২৪ জুন পর্যন্ত এক গুদাম ছবিকে এডিট করে 'অরিজিনাল' বানানো সম্ভব।
যে "অকাট্য প্রমাণ" নিয়ে আপনি এতক্ষণ কথা বললেন, বলাইদার পোস্টে মুসার ছবিটি অরিজিনাল কিনা বা ডক্টরড কিনা সেরকম কোন অকাট্য প্রমাণ আসেনি। আমি আমার নিজের ক্যামেরার অরিজিনাল ছবিতেও একই রকম রেজাল্ট পেয়েছি। আমার একটা কমেন্টে সাতটা ছবির লিংক দেয়া আছে, দেখতে পারেন।
আর আমি আমার হাইপোথেটিকাল প্রশ্নগুলোর উত্তরের অপেক্ষায় আছি। ওগুলো আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আপনার সেই ইমোশনাল 'অফ যাওয়া'র মন্তব্যে নিজের খারাপ লাগছিলো। ভাবছিলাম আমিও একটা ইমোশনাল মন্তব্য দিবো। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আসলেই বেশি ইমোশনাল না হয়ে যুক্তি তর্কের আদান-প্রদানে থাকাই ভালো।
বলাই'দা নিজেও তাঁর ক্যামেরায় তোলা ছবি নিয়েই পরীক্ষা করে জানিয়েছেন। দুই রকম ভাবে রেজাল্ট পেয়েছেন, দুইবারই 'অরিজিনাল'। শুধু রেজাল্টের 'টাইপ' ভিন্ন। আপনার যদি সেই টাইপের প্রেক্ষিতে কিছু বলার থাকে, তাহলে বোধ'য় বলাই'দার পোস্টই উত্তম জায়গা হবে।
আর যদি বলাই'দার পরীক্ষার মতো আপনার নিজের তোলা ছবির (এডিটেড) ক্ষেত্রেও বলাই'দার দেখানো রেজাল্ট এসে থাকে তাহলে বলবো, আপনি সিম্পলি ত্যানা পেচাচ্ছেন ভাই (টোন ভালো না লাগলে কী আর করা! কিন্তু আপনাকে এ অবস্থায় দেখে আমি সত্যিই আশাহত)। হয় আপনি বলাই'দার পোস্ট পড়েন নাই, নয়তো পোস্ট পড়ে বুঝেন নাই। একই কাজ করছেন এখানে, আমার মন্তব্যের ক্ষেত্রে। আপনার হাইপোথিটিক্যাল প্রশ্নের উত্তর দেয়ার পরেও সেটা কি বুঝেন নি, নাকি দেখেন নি, এইটাই আমি এখন বুঝতে পারছি না।
যাইহোক, আবারও বলি, যে দুইটা ছবিতে মুসার সামিটের পক্ষে 'প্রমাণ' খুঁজছেন, ঐ দুই 'ডক্টরড' ছবি ছাড়া অন্যকিছু থাকলে আপনার সাথে এই নিয়ে আমার কথা হবে। ফিনিতো।
হুদাই আপনার সাথে কমেন্ট কমেন্ট খেলা করে কিছু ফোর ফুটেড এনিমেলের মুখে কাঁঠাল পাতা তুলে দেয়াটা বিরক্তিকর পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।
বিএসএফ— ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ |
আপনি টোন চেঞ্জ করতে পারেননাই। বরং আরো আজেবাজে কথা বলা শুরু করেছেন। আমি নিজেই লজ্জিত বোধ করতে শুরু করেছি।
যাই হোক, আপনার হয়তো বলাইদার পোস্টে আমার মন্তব্যটা পড়ার সময় হয়নাই। আমি ওখানে বলেছি, মুস্তাফিজ ভাই মুসার ডেইলিস্টারের ছবিটির জন্য যে রেজাল্ট পেয়েছেন, আমি আমার DSC-T20তে তোলা অরিজিনাল ছবির জন্য এক্সাক্টলি একই রেজাল্ট পেয়েছি।
এখন কোন যুক্তিতে আমাকে মানতে হবে যে মুসার ছবিটা যে ডক্টরড তার "অকাট্য" প্রমাণ পাওয়া গেছে? আপনিই বলুন।
আপনি যা বলবেন আমি তাই মেনে নেবো।
পিরিয়ড!
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আলোচনা কেন জানি মনে হচ্ছে একটা 'ইগো'র লড়াইয়ের দিকে মোড় নিচ্ছে। এইখানে ছবি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অনেক যুক্তি এসেছে। শুরুর দিকের যুক্তিগুলো নির্ভেজাল আগ্রহ থেকে আসলেও এখন ব্যাপারটা কেমন যেন দলাদলির দিকে টার্ণ নিচ্ছে।
আমি যতটুকু বুঝলাম সেটা খানিকটা এই রকম হবেঃ
মুসার সামিটের পক্ষে যারা বলছেন, তারা ছবি নিয়ে নানান গবেষণা করেছেন, এক্সিফ মেটাডাটা বিশ্লেষন করেছেন। মুস্তাফিজ ভাই বলেছেন যে, র'ডাটা বলছে ছবিগুলো একই ক্যামেরায় তোলা এবং তারচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, মুসার দাবীকৃত সামিট সময়ের কাছাকাছি সময়ে তোলা। স্পর্শ গাণিতিক ভাবে প্রমানের চেষ্টা করেছে। এরপরে এসেছে আরো কিছু শীর্ষ বিজয়ীদের বক্তব্য। এই ত্রিবেণী সঙ্গম মুসার পক্ষেই যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
মুসার সামিটের বিপক্ষে যারা বলছেন, তাদের বিশ্লেষনও শুরু হয়েছিল ছবি নিয়েই। প্রথমে তারা দেখাতে চেয়েছেন ছবির মেটাডাটা আসলে বিশ্বাসযোগ্য কোন প্রমাণ হতে পারে না। কারণ এইগুলো বদলানো সম্ভব। স্পর্শের যুক্তির বিরুদ্ধে অনেকে আরো বেশ কিছু ইন্টারেস্টিং পয়েন্ট নিয়ে এসেছেন। সূর্যের অবস্থান, বুদ্ধমুর্ত্তির অবস্থান, প্রেয়ার ফ্ল্যাগ ইত্যাদি নানা দিক থেকে বেশ ইন্টারেস্টিং কিছু আলোচনা হয়েছে।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে স্পর্শের ব্যাখ্যাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছি। মুস্তাফিজ ভাইয়ের কথাটারও গুরুত্ব দিচ্ছি--কারণ তিনি আমাদের মাঝে ক্যামেরাবাজীর ওস্তাদ লোকদের একজন। এই দুই দৃষ্টিকোন থেকে মনে হচ্ছে মুসার দিকেই পাল্লা ঝুঁকে আছে।
কিন্তু মুসার বিপক্ষ দলের হাতে খুব শক্ত একটা অস্ত্র রয়েছে---- মুসার আগের রেকর্ড। আমি যতটুকু বুঝেছি, সেই দাবীগুলো সন্দেহের উর্ধে নয়। তাদের আরো একটা যুক্তি রয়েছে---ছবি প্রকাশে এত দেরী কেন হল। তাদের মত হচ্ছে, এই সময়টুকু ব্যয় করা হয়েছে ছবিগুলো 'ডক্টরিং' এর কাজে।
এই যুক্তির পক্ষে ও বিপক্ষে অনেক কথা এসেছে। কিন্তু কোনটাই খুব কনক্লুসিভ বলে মনে হল না। কারণ এই খানটায় সবাই নিজ নিজ একটা 'ইম্প্রেশন' দেবার চেষ্টা করছেন। মুসার বিপক্ষের যুক্তির মূল দৃঢ়তা আসছে তার অতীতের অসদাচারণ এবং তার ব্যক্তিগত জীবনাচরণ। পক্ষে এসেছে স্পন্সারদের বিরোধ নিয়ে কথা,'জীবনবাজী রেখে অর্জন করা সাফল্যের হেনস্থা দশা দেখে 'অভিমানে' দূরে থাকা'--জাতীয় কথা।
আমার মনে হয়---ঠিক এই জায়গায় এসে আমরা স্পষ্ট দেখতে পারি বিতর্ক আসলে আর নৈর্ব্যক্তিক পর্যায়ে নেই। একপক্ষ গোঁ ধরেছেন অন্যপক্ষের কথা কিছুতেই শুনবেন না বলে। এখন আর কোন বস্তুনিষ্ঠ যুক্তি আসছে না।
আমার মনে হয়, এতসব যুক্তি-প্রতিযুক্তির পর প্রত্যেকের নিজস্ব মতের উপর শ্রদ্ধা রেখে এই আলোচনার ইতি টানা হোক। যাদের কনভিন্স হবার তারা এর মাঝেই হয়ে গেছেন। যারা হবার নয়, তারা এখনো হন নি। যেহেতু আমরা এখন কেউ আর 'খোলা মন' নিয়ে আলাপ করতে পারছি না, কাজেই অন্যের যুক্তিগুলো আমাদের কাছে কুতর্কের মত শোনাবে।
এই বিতর্ক আরো দীর্ঘ করা যায় নিশ্চয়ই---কিন্তু তাতে তিক্ততা বাড়া ছাড়া আর অন্য কোন উপকার হবে বলে মনে হয় না।
চূড়ার ছায়ার ছবি নিয়ে স্পর্শের ব্যাখা ঠিক আছে। আমার দেয়া চূড়ার ছায়ার ছবিটা সাউথ সামিট থেকে (নেপালের দিক থেকে) তোলা যেটা আসল সামিট থেকে নিচে (৮৬৯০ মি)। অন্য ছবিটা তাই সামিট থেকে তোলা ধরে নেয়া যায়। স্পর্শ ব্যাটা তো দেখি আসলে একটা জিনিস!
তবে চোমোলোঞ্জো পাহাড় (৭৮০০ মি) তিব্বত রুটে ক্যাম্প থ্রি (৮৩০০ মি) থেকেও খুব ভালো দেখা যায় (২য় ছবি)
আমি ২য় ছবিটাকে গুগল আর্থ থেকে এভারেস্টের ছবি নিয়ে (চোমোলঞ্জের ভিউসহ) জিআইএসে ওভারলে করতে চেষ্টা করেছি। ওভারলে করতে সামিট এবং প্রথম স্টেপে দু'টো কন্ট্রোল পয়েন্ট ব্যবহার করেছি। আরো বেশি কন্ট্রোল পয়েন্ট ব্যবহার করলে হয়তো ছবিদুটো আরো ভালোভাবে মিলতো। কিন্তু যতটুকু মিলেছে তাতে বোঝা যায় যে ক্যাম্প তিন থেকে শুরু করে সামিট পর্যন্ত চোমোলোঞ্জো (লাল দাগ) ব্যাকগ্রাউন্ডে খুব ভালোভাবে দেখা যায়।
গুগল আর্থে ক্যাম্প থ্রি, স্টেপ টু, সামিট সব জায়গা থেকে চোমোলঞ্জের ভিউও প্রায় একইরকম দেখায়।
ক্যাম্প তিনের কাছাকাছি অবস্থান থেকে চোমোলঞ্জের ভিউঃ
স্টেপ টু-এর কাছাকাছি অবস্থান থেকে চোমোলঞ্জের ভিউঃ
সামিটের কাছাকাছি অবস্থান থেকে চোমোলঞ্জের ভিউঃ
কাজেই মুসার ছবি থেকে শুধু চোমোলঞ্জের ভিউ থেকে কিছু প্রমাণ করা বেশ দুরূহ ব্যাপার। গুগল আর্থে হিমালয় ট্যুর দিয়ে বেশ মজা পেয়েছি। আপনারাও করে দেখতে পারেন। মনে খুঁতখুঁত করছে যেটা সামিটের চারপাশে এত সুন্দর সুন্দর পাহাড় পর্বতের অঢেল সমারোহ থাকতে মুসা ব্যাকগ্রাউন্ডে সেগুলো বাদ দিয়ে কেনো শুধু প্রেয়ার ফ্ল্যাগের স্তুপের পাশে ক্লোজ ছবি তুলতে গেলেন তাও আবার বুদ্ধমূর্তি ছাড়া?
ধন্যবাদ তানভীর ভাই।
আপনি গুগল আর্থ থেকে শেষ যে তিনটা স্ক্রীনশট দিয়েছেন সেখান থেকে কিন্তু একটা জিনিস অনুমান করা যায় যে, ক্যাম্প থ্রি-> স্টেপ টু-> সামিট যাওয়ার পথে আমাদের ক্যামেরার ল্যাটারাল মুভমেন্ট হয়েছে বাম থেকে ডানে। উপর দিকেও কিছু উঠেছে নিশ্চই। কিন্তু এত দূর থেকে হওয়ায় সেটা দৃষ্টিগ্রাহ্য না। তবে গুগল আর্থ যদি ঐ পরিমান প্রিসিশন আলাও করে তাহলে খুব খুটিয়ে দেখলে সেটা নির্ণয় করা যেতে পারে।
এখন বলি কীভাবে বুঝ্লাম বাম থেকে ডানে যাচ্ছে ক্যামেরা। আপনার দেওয়া প্রথম ছবিটা খেয়াল করুন:- (ইনসেটে বাকি দুটো)
এখানে লাল বক্সে হলুদ উপবৃত্ত চিহ্নিত যায়গাটা খেয়াল করুন। তার মধ্যে বেগুনী তীরের মাথায় একটা সাদা স্পট দেখা যাচ্ছে (প্রায় আনুভুমিক স্পটটা বাম থেকে ডানে একটু নিচে হেলে আছে)। যেটা চোমোলঞ্জের পিছনের পর্বতসারির কোনো ল্যান্ডমার্ক। ক্যামেরা ডানে সরার কারণে আপেক্ষিকভাবে চেমোলঞ্জো বামে সরছে তাই ঐ স্পটটা তিনটি ছবিতে একটু একটু করে চেমোলঞ্জের কাছে চলে আসছে। এবং তৃতীয় ছবিতে তার কিছুটা চেমোলঞ্জের পিছনে চলে গেছে।
তাই তিনটা ভিন্ন অবস্থান থেকে পর্বতশীর্ষের 'আপাত' ভিউ একই রকম মনে হলেও তার সাপেক্ষে ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন দৃষ্টিগ্রাহ্য। মুসার ছবির হোয়াইট ব্যালান্স ঠিক করে যদি চোমোলোনজোর ব্যাকগ্রাউন্ডটাকে আরেকটু স্পষ্ট করা যায় তাহলে অন্যান্য পর্বতারোহীদের ছবিতে চেমোলোনজো পিকের সাপেক্ষে পিছনের ব্যাকগ্রাউন্ডের অবস্থা মিলিয়ে এই ছবিটা ভেরিফাই করা সম্ভব হবে।
অনেকেই বলছিলেন যে এভারেস্টশীর্ষে যাওয়ার পথে অনেক জায়গা থেকেই চেমলোনজো পিক দেখা সম্ভব এবং দেখতে একইর রকম আসে। তাদেরকে বলছি সেই ছবিগুলোতে চেমলোনজো সাপেক্ষে তার ব্যাকগ্রাউণ্ডকেও মিলিয়ে দেখুন একই রকম আসে কি না। আমার কাছে ছবি বা উপাত্ত নেই বলে আমি কিছু বলতে পারছি না।
ধন্যবাদ।
@তানভীর ভাই,
আর আপনার দেওয়া গুগল আর্থের তিনটি স্ক্রীনশটে আপনি লাল তীর দিয়ে চেমোলঞ্জের শীর্ষের সাথে হরাইজনের পার্থক্য একই থাকছে সেটা নির্দেশ করেছেন। আমি আগের মন্তব্যে বলেছিলাম,
উপর দিকেও কিছু উঠেছে নিশ্চই। কিন্তু এত দূর থেকে হওয়ায় সেটা দৃষ্টিগ্রাহ্য না।
কিন্তু এখানে একটা ভুল দেখা যাচ্ছে।
আপনি ল্যাটীচিউড লঞ্জিচিউড (অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ) পরিবর্তন করে তিনটা অবস্থানে গেলেও Eye Alt বা এখানে গুগল আর্থের ক্যামেরার উচ্চতা তিনটি ছবিতেই ৯১৫ কিলোমিটার[নাকি ৯.১৫? ঝাপসা হওয়াও বোঝাযাচ্ছেনাঠিক](স্ক্রীনশটের নিচে ডানে দেখা যাচ্ছে)। আপনি যদি ক্যামেরার উচ্চতাটা প্রতিবার ঐ অবস্থানের(সামিটের বা ক্যাম্পের) উচ্চতার সমান করে নেন তাহলে আপনার লাল চিহ্নিত অংশেও আল্টিচিউড বা উচ্চতার পরিবর্তনহেতু হরাইজনের অবস্থান বদলানোর কথা। এমনিতে অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ (ল্যাটারাল অবস্থান) বদলের কারণে যে চিত্র বদল হচ্ছে, সেটা আমার আগের মন্তব্যেই আমি দেখিয়েছি।
ধন্যবাদ।
সত্যানুসন্ধানের সৎ উদ্দেশ্য পুরনে জন্য কঙ্কলুসিভ প্রমান এর মধ্যেই এসে গেছে -- সংক্ষেপে বললে
১) প্রেয়ার ফ্ল্যাগের স্তুপাকারের বিন্যাস কেবল চুড়াতেই দেখা গেছে অন্য সামিটিয়ারদের ছবি এমনকি ভিডিওতে (ইউটিউবে Everest Summit 2010 দিয়ে সার্চি দিয়ে দেখা যেতে পারে)। সেই ক্ষেত্রে চুড়ায় উঠে ফ্ল্যাগ সংগ্রহ করে নিচে গিয়ে ছবি তুলতে হলেও আগে চুড়ায় যে উঠতে হয়েছে তাতে কোন সন্দেহ থাকে না। অবশ্য এমন হাস্যকর যুক্তি কেউ দেনও নি। আর এই প্রশ্ন আসবে এমনটা জানা থাকলে বৌদ্ধমূর্তির একটা প্রতিকৃতি বানিয়ে সেটার পাশে ছবি তোলা বা ভিডিও করাও কোন কঠিন ব্যপার নয়। সেক্ষেত্রে সন্দেহবাদিতার সমাধান আদতে অসম্ভব।
২) ফ্ল্যাগের আড়াল থেকে প্রথম থেকেই বৌদ্ধমূর্তির একটা কোনা ছিল যেটা বেশ সাবধানে জুম করে না দেখলে চোখে পড়ে না সেটা বিদ্যমান ছিল। যেহেতু মুর্তির বাক্সের চুড়ার মিল থেকে সম্প্রতি এই ব্যপারটি ধরা পড়েছে "সামিট হয়নি" ব্যাপারটি কিভাবে ঘটে থাকতে পারে সেটা ব্যখ্যা করার জন্য যত সৃষ্টিশীল ব্যখ্যাই দাড়া করানো পূর্বাপর আলোচনার ধারার সাথে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের মিল রেখে আবার একটা নতুন ব্যখ্যা উপস্থাপন কঠিনই হবে। কারন প্রথম থেকে ছবির সম্পর্কে যেই শর্ত অকাট্য হবে বলা হচ্ছিল এখন সেটা পুরন হবার পর নতুন শর্ত আরোপ করে হয়ত তর্কটাকে আরো দীর্ঘায়িত করা যায় কিন্তু সত্যানুসন্ধানের উদ্দেশ্য পুরনে তার দরুন নতুন কোন মূল্য সংযোজন হয়না।
৩) এছাড়া কাছাকাছি সময় সামিট করা অন্য অনেক সামিটিয়াররাও টেস্টিফাই করছেন মুসার সামিট সম্পর্কে। এটাকেও টেম্পারিং করা সম্ভব বলছেন অনেকে।
৪) স্পর্শ এভারেস্ট থেকে তোলা অন্য চুড়াগুলো ছবি বিশ্লেষন করে যে বিশ্লেষন দিয়েছেন সেটাও বেশ নির্ভেজাল।
সব মিলিয়ে এখন সন্দেহ কাটানোর মত যথেষ্ট মেটেরিয়াল এসেছে এতে সন্দেহ নেই।
অনেকেই হয়ত এই অনুসন্ধানকে দরকারি মনে করবেন -- কিন্তু আলোচনা যে খাতে এগিয়েছে তাতে কিছু অপুরনিয় ক্ষতিও হয়ে গেছে হয়ত।
ডাউট সিনেমার নিচের ক্লিপটা দেখলে বোঝা যাবে কি বলতে চাইছি। আশা করি নেতিবাচক প্রচারনার ক্ষেত্রে অনলাই কমিউনিটি আরো সংবেদনশিল হবেন।
তানভীর ভাই, সামান্য ভুল আছে। চোমোলঞ্জো কে ৩য় স্টেপ থেকেই না আর নিচ থেকেই দেখা সম্ভব। কিন্তূ এবার আপনি লক্ষ্য করুন মুসার ছবিটির বা পাশে চুড়ার খাড়া ঢাল দেখা যাচ্ছে, যা আপনার ছবি গুলোতে নেই তার চে বড় বেপার আপনার হিসেবে ৩য় স্টেপ আর চুড়ার মাঝামাঝি কথাও কাপড় জড় করে দুপাশের ঢাল, চোলোম্নজো, আর ভোরের সুর্যকে ফ্রেম এর বা পাশে রেখে ছবি তোলা অসম্ভব। আর যদি ৮,৭০০ ম এ আপনি প্রেয়ার ফ্ল্যাগ জড় করে স্তুউপ, দুপাশের ঢাল আর চোলোমঞ্জো ফ্রেমে রাখতে চান তবে পিছনের আকাশ এভেরেস্ট এর বাকি ১৫০ মি ঢাকা পরে যাবে ঃ)
আরেক টা কথা, মুসার ছবির চোলোম্নজো এর পিছনের পাহাড় সারির বা দিকের শেষ চুড়া টা " কুম্ভকর্ন "(৭৭১০ মি) , কুম্ভকর্নের চুড়ার বিন্দু আর চোমলঞ্জো এর শীর্ষ বিন্দু এর মধ্যবর্তী অনংগশ মেপে অন্য যেকনো সামিট পিক এর সাথে অ তুলনা করে দেখতে পারি ঃ)
বাহ্ চলছে এখনো? বাংলাদেশে আর কারো ছবি নিয়ে এত গবেষণা হয়নি। মুসা এখানেও একটা রেকর্ড করলো।
কিন্তু ব্যাপারটা তখনি থেমে যেতো যদি এই ছবিগুলি বিতর্কিত হবার আগেই মুসা নিজের ফেসবুকে বা ফ্লিকারে তুলে দিতো। কিন্তু সে তা না করে ছবিগুলো নানান জনের কাছে বিতরণ করেছে। তারাই আপলোড করছে ব্লগে বা ফ্লিকারে।
ফ্লিকারে যদ্দুর জানি ছবির কপিরাইটের ব্যাপার আছে। যার ছবি সেই আপলোড করে। কিন্তু মুসা সজ্ঞানে তার কপিরাইটের ছবি অন্যদের একাউন্টের মাধ্যমে দিচ্ছে কেন বুঝলাম না। তার নিজের দিতে অসুবিধা কি বুঝতে পারছি না। ওই ছবিগুলো এক্সক্লুসিভ হবার কথা এবং নিজের মালিকানায় থাকার কথা। এভারেষ্ট বিজয় তো প্রতিদিন ঘটানো যায় না। মানুষ তুচ্ছ একটা ফুলের ছবিও নিজের নামে কপিরাইট করে রাখে। আর আস্ত একটা এভারেষ্টের ছবি মুসা নিজের একাউন্টে না রেখে পেনড্রাইভের মতো রিস্কি ডিভাইসে করে বিলাচ্ছে। সংশয় বাড়িয়েছে এরকম ব্যাপারগুলোই।
নিজের গৌরবের কথা নিজের বলতে এত লজ্জা কিসের? অন্যকে দিয়ে ঢোল পেটাতে গিয়ে সেই ঢোল ফাটিয়ে ফেলার রিস্ক নিল কেন মুসা?
তবে এই পোষ্টে আর যাই হোক ফটোগ্রাফি আর গ্রাফিক্স নিয়ে আলোচনা গুলো শিক্ষণীয়। মুসা সামিটে ওঠা না ওঠার চেয়েও ওই টিউটোরিয়ালগুলো কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আচ্ছা এমন হতে পারে না যে, মুসা তার অনলাইন লাইফ নিয়ে আমাদের মত এতটা সচেতন না? আমি নেটবাসী মানুষ বলে ধরে নেব কেন যে আর সবাই আমার মত পাঁচটা ছবি তুল্লে দশটা ছবি ফ্লিকারে আপলোডায়?
আর মুসা তো এভারেস্ট বিজয়ের কথা গলা ফাটিয়েই বলছেন। বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে 'সবাই বলেন বাংলাদেশ!' বলে স্লোগান দিচ্ছেন, লুঙ্গির মডেল হচ্ছেন, ঈদের পাঞ্জাবি পড়ে পোজ দিচ্ছেন। লোকজনকে ছবিও দিয়েছেন, একেবারে সংবাদ সম্মেলন করে দিয়েছেন। রিফাত ফারজানার মেমরি স্টিকে আছে সেগুলা। আরো অনেকে 'জোগাড়' করেছেন। ফিফা (কে বা কাহারা)'র কাছে আছে। আরিফ জেবতিকের কাছেও আছে। অন্যরা একই কায়দায় ছবি জোগাড় না করে খালি "আপ্লোডায় না ক্যান, আপ্লোডায় না ক্যান" বলে চেঁচামেচি করে কেন বুঝলাম না।
অট...যারা যারা বিয়ের পাত্রী দেখছেন ইদানিং, পাত্রীর ছবির মেটাডাটা চেক করে নিতে ভুলবেন না কিন্তু!
আমি সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম, পূজাটা ওখানেই ঘুরে ফিরে ফিরব ৬/৭ দিন পর। নেট জীবন থেকে সাময়িক মুক্তির জন্য ল্যাপি নিচ্ছি না। ফিরে এসে একটি উপসংহারের দেখা পাব, এরকমটাই আশা।
ছবিগুলো আমি কোথাও আপ করি নি, কারন আমার কাছে মনে হয়েছে এই ছবিগুলো আসলে ' নিড টু নো' বেসিসে শেয়ার করাটাই ক্যাচাল কম রাখার সহজ পন্থা। অন্যথায় বিভিন্ন জায়গার বেনামি নিকেরা সেগুলো নিয়ে নিজের মতো করে বিভ্রান্তি তৈরী করতে পারে, এর ফলে যারা সিরিয়াসলি বিষয়গুলো নিয়ে ঘাটছেন, তাদের সরবরাহকৃত তথ্যগুলো নিয়েও হুদাই প্রশ্ন ওঠতে পারে।
আমি সচলদের উপর আস্থা রাখছি, আর কেউ যদি ছবি পরীক্ষা করতে চান, তাহলে জ্বিনের বাদশা এবং অচ্ছুৎ বলাইর কাছ থেকে চেয়ে নিতে পারেন, আমার আপত্তি নেই। তবে সবগুলো ছবি নেই ওখানে, বাকিগুলো আপ করতে পারি নি স্লো নেটের কারনে। চেষ্টা করছি।
সচলের বাইরে যারা পরীক্ষা করতে চান, তাহলে দয়াকরে কয়েকটা দিন সময় দিতে হবে। আমাকে মেইল করলেই আমি ছবিগুলো পাঠাব।
সাংবাদিকরা এক পথে চলেন আর একাডেমিক লাইনের লোকজন ভিন্নপথে। এজন্য আপনি যাদেরকে পছন্দ তাদেরকে ছবি ইমেল করতে চান। এ পন্থা একাডেমিক রিসার্চের পন্থা না। আপনি ছবির যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন, তার ভিত্তিতে ভিন্ন জনের আরো পর্যবেক্ষণ আশা করেছেন সেটি তখনই সম্ভব যখন মূল ছবিগুলো একটি একক উৎস থেকে বিভিন্ন জনের কাছে যাবে। আপনি ইমেলে একেক জনকে একেক ছবি দেয়ার সম্ভাব্য ভুলটা হবে না। বলাই বা জিনের বাদশা থেকে সংগ্রহ করলেও চলবে না।
মুস্তাফিজ ভাই অভিজ্ঞ অবশ্যই কিন্তু তার ভুল অসম্ভব সেটি সত্য নয়। অনেক বিখ্যাত গবেষকের ফলাফল নগন্য গবেষকরা সংশোধন করেছেন এমন উদাহরণ আছে।
২০০+ মন্তব্যের পর বলার কিছু থাকে না। কিন্তু স্পর্শ ও অন্য যারা গবেষণা করাছেন তারা গোড়াতেই বড় ভুলটা করছেন ছবির উৎসটা নিশ্চিত করছেন না। আমি আবারো বলি ফ্লিকারের ছবিটা রেজুলেশন কমানো কিংবা ক্রপ করা।
ছবিগুলো আসলে ' নিড টু নো' বেসিসে শেয়ার করাটাই ক্যাচাল কম রাখার সহজ
পন্থা
সুন্দরবন ভ্রমণ আন্দদায়ক হোক আপনার।
কিন্তু স্পর্শ ও অন্য যারা গবেষণা করাছেন তারা গোড়াতেই বড় ভুলটা করছেন ছবির উৎসটা নিশ্চিত করছেন না।আমি আবারো বলি ফ্লিকারের ছবিটা রেজুলেশন কমানো কিংবা ক্রপ করা।
আলমগীর ভাই,
ছবি ক্রপ বা রেজলিউশন কমানো হলেও তার অবজেক্টসমূহের আপেক্ষিক অবস্থান পরিবর্তন হয় না। শুধু এ ধরনের পরিবর্তন করা হয়েছে ধরেই আমি আমার বিশ্লেষণ করেছি। যেখানে, এই আপেক্ষিক অবস্থানকেই শুধু আমলে নেওয়া হয়েছে।
ধন্যবাদ।
এসপেক্ট রেশিও পাল্টালে কিছু থাকবে? ছবি ক্রপ করা হলে দরকারি ক্লু বাদ পড়ে যেতে পারে। জেবতিক ভাই বলেছেন মুস্তাফিজ ভাই ছবিগুলো "এডিটেড নয়" নিশ্চিত করেছেন। যে পদ্ধতি মুস্তাফিজ ভাই অবলম্বন করেছেন আমি সেটা সঠিক নয় বলেছি। মূল ছবি পাওয়া না গেলে কীভাবে ইন্ডিপেন্ডেন্টলি কনফার্ম/রিফুট করা সম্ভব? বলাই, জিনের বাদশা ছবি পেলেন আমি তিনবার চেয়েও পেলাম না। ছবি পাবার আগে আস্থার প্রয়োজন আছে মনে হচ্ছে
যদি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ বরাবর ভিন্ন রেশিও দেওয়া হয়। তাহলেও খাটবে। কিন্তু দৈর্ঘ্য বা প্রস্থ এর একেক অংশে যদি একেকভাবে চিপানো হয় (ঢেউ খেলানোর মতো) তাহলে খাটবে না(অবশ্য আসপেক্ট রেশিও পালটানোর সময় এটা করা হয় না)।
কেন, বলি- আমি যখন নিচের পাহাড়সারিকে এক্সাক্ট ম্যাচ করাচ্ছি তখন ছবির পুরো আসপেক্ট রেশিও কারেক্ট হয়ে যাচ্ছে। বা দুটোই একই অবস্থায় চলে আসছে। আপনি গাণিতিক ভাবে ব্যাপারটা চিন্তা করে দেখতে পারেন। এভাবে- (আলগরিদম)
১) দুইটা স্কয়ার নিন। দুটোতেই হুবহু একই অবস্থানে সাত আটটা ডট দিন।
২) এইবার কোনো একটা স্কয়ার বা দুটোরই আসপেক্ট রেশিও চেঞ্জ করুণ। (মানে দৈর্ঘ্য প্রস্থ ভিন্ন অনুপাতে রিসাইজ করা) সেই সাথে রোটেট করতে পারেন র্যান্ডম পরিমানে।
৩) এবার একটা ছবি নিয়ে তার সাতটার মধ্য থেকে সরল রেখায় অবস্থিত নয় এমন তিনটি বিন্দুকে অপরটার আনুসাঙ্গিক বিন্দু তিনটির উপর আপতিত করুন। যাতে ঐ আনুসাঙ্গিক তিনটি বিন্দু হুবহু মেলে সে জন্য রোটেট, রিসাইজ, আসপেক্ট রেশিও বদল। এ অপারেশন গুলো আলাউড।
৪) এখন এই তিনটা বিন্দু মেলার সাথে সাথে বাকি ৪ টি বিন্দুও মিলে যাবে। (যাবেই যাবে)
অতয়েব, প্রমাণিত হলো। ছবির আসপেক্ট রেশিও বদলানো হলেও তাদের উপরিপাতনের পরে তাদের আপেক্ষিক অবস্থান সংক্রান্ত গাণিতিক অনুমান সঠিক থাকে।
ধন্যবাদ।
আপনি যেটাকে অ্যাসপেক্ট রেশিও চেঞ্জ করা বলছেন সেটা হচ্ছে লিনিয়ার স্কেলিং (দৈর্ঘ ও প্রস্থকে একই সংখ্যা দিয়ে গুণ)। রেশিও পাল্টে গেলে কোণ ঠিক থাকে ক্যামনে? কোণ মানেই তো রেশিও। যাকগে গুড জব ডান (y)।
আপনি যেটাকে অ্যাসপেক্ট রেশিও চেঞ্জ করা বলছেন সেটা হচ্ছে লিনিয়ার স্কেলিং (দৈর্ঘ ও প্রস্থকে একই সংখ্যা দিয়ে গুণ)।
দৈর্ঘ্য প্রস্থকে ভিন্ন সংখ্যা দিয়ে গুণ করলেও আমার আগের মন্তব্যের আলগরিদম খাটে। প্রমাণটা ট্রিভিয়াল।
আমি নাহয় একটা ডেমোই দিই-
1->চিত্রটি খেয়াল করুন। ভিন্ন সাইজের দুইটি ছবিতে একই আকারের বস্তু (এখানে একই বিন্দুর স্প্রেড) আছে।
2-> এখানে দুটি চিত্রেরই আসপেক্ট রেশিও পরিবর্তন করা হয়েছে। একটিকে রোটেটও করা হয়েছে।
3-> এখানে আমরা আমার কথিত আলগরিদম অনুযায়ী উপরিপাতন শুরু করেছি। নীলবিন্দুগুলোকে মেলাতে চাচ্ছি।
4-> উপরিপাতন কম্পলিট। নীলবিন্দু তিনটি মেলার সাথে সাথে বাকি চারটি লাল বিন্দুও মিলে গেছে। (দুয়েক পিক্সেল অমিল রেখেছি যাতে বোঝা যায় দুইটি আলাদা ছবি আছে)
ব্যাপারটা কেন ঘটছে? এবং কেন এই ঘটনা সব সময় ঘটবে? কেন এমন হলে চিত্রের অবজেক্টদের রিলেটিভ পজিশনিং রিস্টোর হয়ে যায় বা প্রিজার্ভ হয়। এর প্রুফ ট্রিভিয়াল। চাইলে আমি রিগোরাস প্রুফ প্রোডিউস করতে পারবো। তবে মনে হয় তার দরকার হবে না।
ধন্যবাদ।
আমি একাডেমিক রিসার্চের কাজটি যোগ্য লোকদের হাতেই রাখতে চাই।
আমি যাদের পছন্দ করি শুধু তাদের কাছে ছবি সরবরাহ করতে চাই, আমি একেকজনকে একেক ছবি সরবরাহ করছি; এই ধরনের কাল্পনিক কথাবার্তায় আমার উৎসাহ নাই। এসব আলাপের জন্য ভূইফোড় নিক ব্যবহার করা যায় এমন ব্লগ আছে।
আমি এখানে প্রথমেই ছবিগুলো একটা জায়গায় আপ করে দেয়ার কথা ঘোষনা করেছিলাম, কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত বদলেছি বলে ওপরের কমেন্টটি করেছি। কেন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছি, এ ব্যাপারেও আমি কারনটি স্পষ্ট করতে পেরেছি বলে মনে হচ্ছে। আপনার পছন্দ না হলে আমি দুঃখিত। ছবির মেটাডাটা যে এডিট করা যায় তা ইতিমধ্যেই প্রমানিত, সেক্ষেত্রে সোর্সটাই লাগবে এমনটা আমার আর মনে হয় নি। এর বাইরে ছবি তোলার অবস্থান নিয়ে যে কাজ হচ্ছে, তার জন্য মেইলে ছবি পাঠালে সমস্যা দেখি নি।
'ভিন্নজন' এর পর্যবেক্ষন আমি চাই তবে সেই ভিন্নজন অবশ্যই ব্যক্তি হতে হবে, একটি ওয়েবসাইট থেকে পাইকারি হারে ছবি নামিয়ে বিভিন্ন ব্লগে বিভিন্ন পর্যবেক্ষনের নামে নতুন নতুন নিকরা ফলাফল প্রকাশ করবেন, সেটিকে আমার কাছে ক্যাচাল ছাড়া কিছু মনে হয় না, আশাকরি আমার ব্যাখ্যাটি এখানে পরিস্কার করতে পারছি।
ছবিগুলো কপিরাইটেড, আমার কাছে এগুলো এলেও সেগুলো শুধুমাত্র গবেষনার কাজেই ব্যবহৃত হতে হবে, এবং সেক্ষেত্রে কার কাছে ছবি যাচ্ছে সেটি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমি জানতে চাই যে অমুকের কাছে ছবিটি আছে, যাতে করে এই ছবিটি দিয়ে অন্য ব্লগে যদি ভূয়া নিকে পোস্ট আসে, আমি তাহলে ছবি পাঠানো সেই নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে প্রশ্ন করতে পারি। সচলায়তন সংশ্লিষ্ট কেউ হলে আমি তার উপর আস্থা রাখতে পারি, এজন্যই আমি বলেছি যে আমি দূরে থাকা অবস্থায় যে কোনো সচল চাইলেই ছবিগুলো অচ্ছুৎ বলাই এবং জ্বিনের বাদশার কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।
আপনার কাছে এটি মুসা পদ্ধতি মনে হলে, সেটি আপনার বুঝার সমস্যা বলেই আমার মনে হচ্ছে।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে মূসা ইব্রাহীম এভারেস্টপর্বতশীর্ষে উঠেছেন।
এইছবি এবং মুসার:
যদি খাটি হয়। অর্থাৎ মুসার ছবিটিতে যদি চোমোলোনজো পিক এবং তার পিছনের ব্যাকগ্রাউন্ড কেটে এনে বসানো না হয়। তাহলে-
আমার ছায়ার ছবি নিয়ে করা বিশ্লেষণের গাণিতিক ব্যাখ্যা। (মন্তব্য ৪৯.২.১.১.১ এবং মন্তব্য ৪৯.২.১.২.১.১.১)
তানভীর ভাইয়ের মন্তব্য ৭৫ এবং তার উত্তরে আমার ৭৫.১ ও ৭৫.১.১ এর আলোকে
এবং নিম্নোক্ত ওভারলে থেকে-
দেখা যায় লাল চিহ্নিত বক্সে Doug Scott এবং মুসার তোলা পাহাড়। তার সাথে পিছনের (হরাইজনের দিকে) পাহাড়সারি প্রতিটি 'উচুনিচুবাঁকসহ' মিলে গেছে।
যেহেতু দুইজনই পর্বতশীর্ষের মত সঙ্কীর্ণ যায়গা থেকে তুলেছেন। এ কারণেই এ ধরণের মিল। ভিন্ন উচ্চতা থেকে তুললে হরাইজনের পাহাড়সারির উচ্চতা ভিন্ন হতো এবং ল্যাটারাল (আনুভুমিক) ভাবে বেশি এদিক ওদিক হলে সেই হরাইজনের পাহাড়সারির লেভেল মিললেও প্রতিটি বাঁক মিলতো না।
মেথডটি ইন্ডিপেন্ডেণ্টলি ভেরিফায়েবল। যে কেউ ফটোশপে দুইটি ছবির অপাসিটি কমিয়ে, একটার উপর আরেকটা আপতিত করে চেমোলনজো পিক দুটিকে মেলালে হরাইজনের পাহাড়সারি মিলে যাচ্ছে দেখতে পাবেন।
"এই ছবির চেমলোনজো পিককেও ফেব্রিকেট করে বসানো হয়েছে"
এমনটা যদি প্রমাণ করা সম্ভব না হয়। বা নিচের কোনো অবস্থান থেকে তোলা ছবির সাথে যদি Doug Scott এর ছবির উপরিপাতনের এমন হুবহু মিল না পাওয়া যায়। তাহলে এটাই যথেষ্ট প্রমাণ যে মুসা এভারেস্টর চূড়ায় উঠেছেন।
মেটাব্লগ হিসাবে গণ্য করা না হলে আমি আমার সব ফাইন্ডিং (যেগুলো এই পোস্টে মন্তব্য আকারেই এসেছে) আলাদা পোস্ট আকারে প্রথম পাতায় দিতে পারি।
ধন্যবাদ।
মেটাব্লগ হিসাবে গণ্য করা না হলে আমি আমার সব ফাইন্ডিং (যেগুলো এই পোস্টে মন্তব্য আকারেই এসেছে) আলাদা পোস্ট আকারে প্রথম পাতায় দিতে পারি।
আমার অভিমত হবে অন্তত পুরো বিশ্লেষণটুকু একত্র করে নিজের ব্লগে হলেও রাখা উচিত।
এখন মনে হচ্ছে আর প্রয়োজন হবে না। তারপরও দেখি নেক্সট সুযোগেই সেভ করে রাখবো।
আমার মনে হয় প্রয়োজন সব সময়ই আছে। বিশেষ করে ছায়া নিয়ে গাণিতিক বিশ্লেষণ এবং এক ছবির উপর আরেক ছবি ওভারলে করা এগুলো নিয়েই একটি স্বতন্ত্র পোষ্ট হতে পারে। মন্তব্য ঘেটে ঘেটে সবার সব বের করা নাও হয়ে উঠতে পারে। তাই নীড়পাতায় না হোক, নিজ ব্লগে হলেও রাখা উচিত।
স্পর্শের বিশ্লেষণগুলো এতই ভালো হয়েছে যে আলাদা একটা পোস্টের দাবী রাখে। আমার মনে হয় নিজে ব্লগে পোস্ট করে রাখা যেতে পারে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
১৯৫৭ সালের পরে এইখানে অামিই পরথম কইসিলাম চোমো লোনজোর লগে দিগন্ত ভালোমত মিলাইয়া ঝুলাইয়া দেখা হইক। ওই সমে তুমি কই ছিলা ভাইডি? আরো আগে আইলানা ক্যান?
ওয়েল ডান!
আমার নীতি হচ্ছে, যদি মনে করি কিছু আরো বেটার করা সম্ভব, তাইলে সাধাসাধি-ঠেলাঠেলি না করে নিজেই মাজায় গামছা বেঁধে নেমে পড়ি।
এমনিতে এই সিরিজের অনেক লেখা এবং বেশিরভাগ মন্তব্যই ফলো করা হয়নি। হঠাৎ এই পোস্টে তানভীর ভাইয়ের ৪৯ নাম্বার(বামে) মন্তব্যটা চোখে পড়ায় মনে হলো একটা রিজিড গাণিতিক আপ্রোচ থাকতে পারে। সেটাই চেষ্টা করেছি।
আর আগে মনে হয় উপসংহার টানার মতো এ ছবিগুলো ছিলো না আমাদের হাতে।
যাই হোক,
It is always great to know people with similar thoughts.
শুভেচ্ছা।
স্পর্শের তরে অভিবাদন! আপনার গাণিতিক যুক্তিগুলোতে পুরোপুরি কনভিন্সড হতে পেরেছি!
সেই সাথে মুসাকে তার এভারেষ্ট জয়ের জন্য অফিসিয়াল অভিনন্দন (এই বার বুঝে শুনে ) এবং হিমুকেও, উনি এই সন্দেহগুলো নিয়ে প্রশ্ন না তুললে, যুক্তির পথে কখনোই এতদূর হাঁটা হতো না!
আরিফ জেবতিক ভাইকে ধন্যবাদ গুরুত্তপূর্ণ ছবিগুলো আপলোড করার জন্য। স্পর্শ আর তানভীর ভাইয়ের বিশ্লেষণগুলো আসলেই খুব গুরুত্তপূর্ণ। এখন ছবিগুলো এডিটেট না প্রমানিত হলেই মূসার সামিট প্রমানিত হয়ে যায়।
উপরে হাসান ভাইয়ের কমেন্ট পরে আরো কিছু ছবি দেখলাম। কারো অক্সীজেন মাক্সেই নিচের ছবির মতো সাদা কিছু দেখিনি। এটাকে ডাক টেপের মতো মনে হচ্ছে। গ্রিনের উল্লেখিত ডাক টেপ যদি এইটা হয়, তাহলে ছবির অরিজিনালিটি নিয়ে প্রশ্ন আসে (সন্দেহ করছি দেখে দুঃখিত)।
মন্তব্য
বুদ্ধমূর্তির ছবি ঐ জায়গা বা এই কাপড়ের স্তুপের পেছনে হওয়ার কথা বলে আমার ধারণা।
হ্যা, মূর্তির অবস্থান ওপাশেই মনে হচ্ছে। ওপাশটা কয়েক ফুট বেশি উঁচু বলেও আমার ধারণা।
ধর্ম যখন চড়ে, তখন সবচাইতে উঁচুতেই চড়ে বসে।
একটা প্রশ্ন। আপনি কি নিশ্চিত করতে পারছেন যে আপনার হাতে মুসার এভারেস্ট অভিযানে তোলা সমস্ত ছবি আছে?
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আমি নিশ্চিত করতে পারছি যে সাংবাদিকদেরকে যে ছবিগুলো সরবরাহ করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে, আমার কাছে তার সবগুলো ছবিই আছে।
ফ্লিকার একাউন্টে কিভাবে দেখব ?
নির্জণ অরন্য
ছবিগুলোর উপরে ক্লিক করে ফ্লিকারের মূল ছবিতে যেতে পারেন। সেখানে জুম অপশনে গিয়ে বিভিন্ন সাইজ থেকে আপনার প্রয়োজনীয় সাইজটি বেছে নিতে পারেন।
অনেক অপেক্ষা করলাম আর না । যদি সঠিক প্রমান থাকে তাইলে দেন ।এই সব ছবি দিয়া কিছুই প্রমাণ হয় না।
আমি তো ভাই কিছু প্রমান করছি না, শুধু ছবিগুলো এখানে আপলোড করে দিয়েছি।
আপনি অপেক্ষায় ছিলেন জেনে দুঃখ পেলাম, আমার ধারণা আমরা অসংখ্য মানুষই অপেক্ষায় আছি। কারো অপেক্ষা শেষ হয়েছে, কারো হয় নি।
চোমো লোনযো এর একই ভিউ আলাদা, আলাদা অল্টিচিউডেও পাওয়া সম্ভব, তাই না?
কোন সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না, জানতে চাচ্ছি।
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
সম্ভাবনা তো রয়েছেই, ভালোই সম্ভাবনা আছে। এমনিতে যতদূর শুনলাম, এভারেস্টের শেষ অংশটুকু বেশি খাড়া এবং ঝুকিবহুল, সুতরাং বেশ নিচে থেকেই হয়তো এটা নেয়া হতে পারে।
আমরা সবাই জানার দলে।
পোস্টদাতাকে ধন্যবাদ।
থার্ড স্টেপের কাছে মুসা ইব্রাহিমকে দেখেছেন সেই সাক্ষ্যসহ গৌতম দা এবং ব্লগার জলদস্যুর পোস্ট করা অন্যান্য অভিযাত্রীদের ইমেইল এবং মেসেজ, তারপর এই ছবি; সব মিলিয়ে আমি কনভিন্সড।।
মুসা ইব্রাহিম এভারেস্ট জয় করেছেন সেই বিশ্বাসীদের ভিড়লাম।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
ধন্যবাদ।
আমিও এই দলে যোগ দিলাম।
_________________________________________
সেরিওজা
মুসার ছবিতে চোমো-লোঞ্জো এর পিক ঠিক মত আসেনি। হয়ত অবস্থাণগত কারণে। তাই একটু সন্দেহ থেকে যাচ্ছে। প্রেয়ার ফ্ল্যাগের পিছনে "একটা কিছু" পরীক্ষা করলে অবশ্য পুরো ব্যাপারটি পরিস্কার হয়ে যাবে। এইবারে অনেক বেশি কনভিন্সিং ম্যাটারিয়াল আসল। দেখা যাক কি হয়। টানটান উত্তেজনা নিয়ে আমরা দর্শকরা গ্যালারিতে।
অনন্ত
হা হা হা ! গ্যালারিতে বসে থাকলে চলবে না, সবাই মিলে খুঁজাখুঁজি শুরু করেন। এভারেস্ট খুঁজতেছি..চিন্তা করতেই তো মজা লাগে।
আমি কনভিন্সড
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আরিফ জেবতিক ভাই। ভাল একটা কাজ হয়েছে। আমি ফ্লিকার থেকে ছবি ডাউনলোড করতে গেলে ছবির exif/meta ডাটা গায়েব করে ফেলছে। আপনি কি কষ্ট করে আমাকে চূড়ায় তোলা যেকোন একটা ছবি মেইল করতে পারবেন? আমি একটা ছোট্ট পরীক্ষা করতে আগ্রহী।
আমার ইমেইল ঠিকানা আপনাকে এফবি তে মেসেজ করে জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ।
আমি রাতে বাসা থেকে দেব। এখন অফিসে থাকায় পাঠাতে পারছি না বলে দুঃখিত।
আরিফ ভাই, ওটার আর প্রয়োজন নেই। ধন্যবাদ আপনাকে।
এইখানে প্রথম ছবিটির মেটা ডাটা রয়েছে। খুজলেঁ ২য় টারো পাবেন।
http://www.flickr.com/photos/38392145@N02/5069124712/meta/
মূসা যে ফার্স্ট স্টেপ পর্যন্ত উঠেছে এতে কোন সন্দেহ নেই। হিমু ভাই এর মতে মুসা চূড়া আর ফার্স্ট স্টেপ এর মাঝে কোথাও অজ্ঞান হয়ে যায় চূড়ায় উঠার আগেই।
তাহলে প্রশ্ন হল, এর মাঝামাঝি থাকা অবস্থায় চমলনজোকে পিছে রেখে এমন ছবি তোলা যায় কি না।
প্রেয়ার ফ্লাগ যেগুলো ধরা হচ্ছে এগুলোর অবস্থান চূড়া ছাড়া আর কোন লেভেলে আছে? চূড়া থেকে এগুলো কি নামানোর প্রয়োজন পরে? তখন এগুলো কোথায় রাখা হয়?
গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট।
ধরা যাক, এই প্রেয়ার ফ্ল্যাগগুলো নিচে নামিয়ে কোথাও রাখা হয়েছে, মুসা সেখানে ছবি তুলছেন। কিন্তু এই ছবিগুলোতে আরো অনেককে দেখা যাচ্ছে, যারা ওখানে ছবি তোলায় ব্যস্ত। কথা হচ্ছে, সামনেই এভারেস্ট রেখে ক্লান্ত শ্রান্ত লোকগুলো চূড়ায় না উঠে এখানে যদি থামেনও তাহলে তারা তো কি এত ব্যস্ত হয়ে কাপড়ের স্তুপের ছবি তুলতে লেগে যাবেন?
এইটাই একটা মাত্র কঙ্কলুসিভ পয়েন্ট হতে পারে। গুগল ইমেজে "mount Everest prayer flag" দিয়ে সার্চ দিলে উপরের ছবির কনফিগারেশানে প্রেয়ার ফ্লাগ চুড়ার ছবি ছাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে একই অবস্থায় প্রেয়ার ফ্লাগগুলোকে বৌদ্ধমূর্তির পাশে স্তুপাকারে দেখা গিয়েছিল আরো সামিটিয়ারের ছবিতে। এটাকে নেহাত কাকতাল ভাবার কোন কারন নেই। কারন এই বিষয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে এটা ভেবে রেখে এই প্রেয়ার ফ্ল্যাগগুলোকে অন্য কোথাও সরিয়ে নিয়ে একই বিন্যাসে আবার ছবি তোলা - একটু বেশি কল্পনাবিলাসি হয়ে যায়। এছাড়া প্রেয়ার ফ্লাগ সম্পর্কে উইকি যা বলছে তাতে করেও মনে হচ্ছে না কুড়িয়ে বা মাথায় করে চুড়া থেকে এই ফ্লাগ নিয়ে ছবি তোলার থিওরি বিশ্বাস করার কারন আছে।
আশা করছি এবারে বিতর্কের অবসান হবে। আরিফ ভাই যে বৌদ্ধমূর্তিটির অবস্থান দেখানর চেষ্টা করছেন সেটা এই কেসটাকে হয়ত আরো জোরালো করবে কিন্তু এর এটা ছাড়াই এই প্রমানটি সাফিসিয়েন্ট গ্রাউন্ড পেয়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ।
চমৎকার পোস্ট। খুবই কনক্লুসিভ একটা কাজ। বিশেষ করে মুসার চোমো লোনজোর পিকসহ ছবিটা আর এভারেস্টের ছায়ার ছবিটা যে একই ক্যামেরা থেকে কাছাকাছি সময়ে তোলা হয়েছে এটা একদম নির্ভেজাল প্রমাণ হতে পারে মুসার শীর্ষারোহনের প্রমাণ হিসেবে।
এজন্য শুধু দেখতে হবে যে এভারেস্টের ছায়ার ছবিটা এভারেস্টের চুড়া থেকে তোলা কিনা। ওতে দিগন্তরেখা পরিস্কার, বিশ্লেষণ সম্ভব বলেই মনে করি। তাহলেই প্রমাণ হবে যে কাছাকাছি সময়ে তোলা মুসার ছবিটিও একই জায়গায় তোলা, অর্থাৎ মুসাও তখন এভারেস্টের চুড়াতেই ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গুগল ইমেজে everest, shadow কুয়েরি ওয়ার্ড দুটো দিয়ে সার্চ দিয়ে এই পেজটা পেলাম।
এখানে প্রথম সারির সাতটা ছবির মধ্যে ৫টি (১,২,৪,৬,৭ নং) খুব আইডেন্টিকাল, এদের মধ্যে তিনটি (২য়, ৪র্থ আর ৭ম) ছবির বর্ণনায় বলা আছে এভারেস্টের চুড়া থেকে ছবিগুলো তোলা হয়েছে। এবং, মুসার তোলা ছবিটি এদের সাথে খুবই সাদৃশ্যপূর্ণ।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
একটা নিদৃষ্ট উচ্চতায় গেলে এরকম ছবি পাওয়া সম্ভব, আর তা চূড়ার খুব কাছাকাছি। এই কাছাকাছি ব্যাপারটা উচ্চতার, সময়ের ব্যবধান কয়েকঘন্টা। আপনার লিঙ্ক অনূযায়ী কয়েকটা ছবি যেমন চূড়া থেকে তোলা বলা হয়েছে তেমন কয়েকটাতে আবার বলা হয়েছে “Julie Smith captured this stunning photo from 28,000' of the shadow cast by Mt. Everest at 5am on 23 May 2006. She reached the summit two hours later. It was her third attempt on Everest in as many years. Fiona reached the summit a little more than half an hour after her at 7:50am” লিঙ্ক http://www.adlers.com.au/ কিংবা Everest casts its shadow over Nepal shortly after dawn from just below the South Summit - 21 May, লিঙ্ক http://www.vmeverest09.com/
এখানে জেবতিক ভায়ের দেয়া দুটো ছবির (ভি চিহ্ন আর ছায়া)সময়ের পার্থক্য কয়েকসেকেন্ড মাত্র। জেবতিক ভায়ের মাধ্যমে মুসা ইব্রাহিমের ক্যামেরার ছবি আমি যে গুলো দেখেছি তাতে সেই উনিশটি ছবির মাঝে দেখা যাচ্ছে সাথে থাকা শেরপা’রাও ছবি তুলছেন (ছবি নাম্বার DSCF0470)। একটা ছবিতে (ছবি নাম্বার DSCF0483) সাদা চামড়ার লোকও দেখা যাচ্ছে।একজন আবার কমলা জ্যাকেট পড়া দাঁড়িয়ে আছে জেবতিক ভায়ের ধারণাকৃত বুদ্ধ মূর্তির উপরে বা খুব কাছেই।
আমরা ইব্রাহীমের ট্যূর অপারেটর এর ওয়েবে দেখেছি তাদের দলের মোট ২৬ জন সেদিন সামিট করেছে, তাদের কাছে আরো ভালো ছবি পাওয়া যেতে পারে। এই শেরপারা যদি সেই একই দলের হয় তাহলে নিশ্চয়ই ছবি যোগাড় করা কঠিন কিছুনা।
সাদা চামড়ার যাদের দেখা যাচ্ছে তাদের পরিচয়ও নিশ্চয়ই জানা থাকার কথা, তারাও বলতে পারবে (তাদের ক্যামেরায় ইব্রাহীমের ছবি থাকুক আর না থাকুক) ছবি কোথায় তোলা।
নীড় সন্ধানী সার্বিয়ানদের ওয়েব থেকে ছায়ার ছবির যে লিঙ্ক দিয়েছেন সেই ছবি আর ইব্রাহীমের দেয়া ছায়ার ছবি একই ছবি। দুটোরই “একজিফ” নাম DSCF0485, ছবিটা সম্ভবত ইব্রাহীমই তাদের দিয়েছেন, সম্ভবত বললাম একারণেই যে সার্বিয়ানদের দেয়া বাকি ছবিগুলোর ডাটার সাথে এই ছবিটার কোন মিল নেই এবং বাকি ছবিগুলোর টাইটেলও অল্টার করা যা এটাতে নেই।
...........................
Every Picture Tells a Story
মূল্যবান সংযুক্তির জন্য ধন্যবাদ।
আমরা এরমধ্যে জেনেছি যে, মুসা ইব্রাহিম সার্বিয়ানদের ইমেইল করে কনভিন্স করেছেন তাঁর পক্ষে সাফাই গাইবার জন্য। এখন তিনিই যে সার্বিয়ানদের ছবি সরবরাহ করেন নি এই নিশ্চয়তা কি! আপনার ভাষ্য মতেই একটা ছবিতেই মিল পেলেন আর সেটাও ওদের অন্য ছবির চাইতে আলাদা।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
আপনি আরেকটু গভীর ভাবে মন্তব্যগুলো পড়লে ব্যাপারটি ধরতে পারবেন।
আপনি লিখেছেন,
ভাইরে, আমরাও তো কইতেছি যে ঐ দুটো একই ছবি, আলাদা ছবি না। এবং এই ছবি মুসা না দিলে ওরা পাওয়ারও কথা না। ওদের ছবিগুলোর সিরিজ আলাদা, কিন্তু এই ছবিটির সঙ্গে মুসার ছবির সিরিজের সামঞ্জস্য আছে।
ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই। আমিও একমত যে আর কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করলেই পুরো কনক্লুশন টানা যাবে।
আমার দেয়া গুগল ইমেজ রেজাল্টের লিংকের ছায়ার ব্যাপারে,
আমার খালি চোখের পর্যবেক্ষণে তৃতীয় আর পঞ্চম ছবিটিকে অন্যান্য ত্রিভুজের চেয়ে আলাদা মনে হয়েছে। মনে হচ্ছে, একটু কম বিস্তৃত এ দুটো।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
দেখা যাক, এক্সপার্টরা ভালো বলতে পারবেন। বিশ্লেষন করা সম্ভব বলে আস্থা রাখছি।
মনটা ভাল হয়ে গেলো।
চার নম্বর ছবিটাই আমার মনোযোগ কেড়েছে। এবং এটা নিয়েই আমি কিঞ্চিত বিভ্রান্ত। এই ছবিটা মুসার ক্যামেরায় তোলা বলেই আমার বিশ্বাস। কিন্তু ছবিটার অরিজিনাল সাইজ কতো? এই একই ছবি আমি সার্বিয়ান সামিটার Dragan Čeliković এর ওয়েব সাইটেও দেখেছি। ওটাকে অরিজিনাল ছবি মনে হয়েছ। কিন্তু দুটো ছবির প্রোপার্টিজ আর এক্সিফ ডাটা চেক করে দেখলাম একই ক্যামেরায় একই সময়ে তোলা। যদিও ওটার চেয়ে মুসার ছবিটা স্পষ্ট।
Dragan Čeliković যিনি ২৩মে একই সময়ে সামিট করেছেন সাথে আরো তিন বন্ধুকে নিয়ে। এদের সাথে মুসারও মেইল যোগাযোগ হয়েছে বলে ব্লগার গৌতম বলেছেন ভিন্ন পোষ্টে। ছবিটা এখানে পাবেন।
http://cela.rs/wp-content/uploads/2010/07/DSCF0485-300x199.jpg
এখন প্রশ্ন হলো এই ছবিটা দুই জায়গায় কেন? মুসার কাছে উত্তর আছে আশা করি।
সার্বিয়ানদের এভারেষ্ট কাহিনী এখানে বিস্তারিত আছে। যা তারা প্রতিনিয়ত আপডেট করে গেছে সেই চুড়া থেকেও http://cela.rs/?p=664
গুগল ট্রান্সলেশান আপনাকে সাহায্য করতে পারে সার্বিয়ান ভাষা ইংরেজী করে পড়তে। http://translate.google.com
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
এ বিষয়ে মুস্তাফিজ ভাই ওপরে একটি কমেন্ট করেছেন। সেই মোতাবেক, ছবিটা মুসা ইব্রাহিমের কাছ থেকেই সার্বিয়ান ওয়েব সাইটে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
অরিফ ভাই, চমৎকার পোস্ট। এ বিষয়ে অন্যান্য সচলদের আলোচনার অপেক্ষায় রইলাম।
---
হোম - টুইটার - ফেইসবুক - উইকিপিডিয়া - এ্যাকাডেমিয়া
টুইটার
নতুন একটি ছবি সংযুক্ত করা হলো।
নতুন ছবিটা বেশ কনভিন্সিং। বুদ্ধমূর্তিটা কি ফিক্সড বেস এর উপরে নেই? কারণ এই ছবিতে আবার দেখতে পারছিনা!
খেয়াল করেছি, সবগুলো ছবিতে নেই। যেগুলোতে আছে ( মাত্র ২/৩টি) সেগুলোতেও অল্প দেখা যাচ্ছে। প্রেয়ার ফ্ল্যাগ কয়েক ইঞ্চি সরে গেলেই বাকি ছবিগুলোতে দেখা যাবে না। আবার এমনও হতে পারে, প্রথমগুলোতে দেখা যায় নি, পরে প্রেয়ার ফ্ল্যাগ একটু সরে যাওয়ায় দেখা গেছে। প্রেয়ার ফ্ল্যাগ সরে যাওয়া সম্ভব, বাতাসের কারনে হতে পারে, বা ঐ জায়গায় অনেক লোকের চলাফেরায়ও হতে পারে।
দিলেন ভাই আবার প্যাঁচগী লাগইয়া...
গুড়
ছোট্ট একটা পরীক্ষা চালালাম। ফ্লিকারে একটা ছবি আপলোড করলাম।
আর এই হল তার এক্সিফ ডাটা
এখন কইঞ্চেন দেখি ছবিটা কে কোথায় কই ক্যামেরা দিয়ে তুলেছেন?
ক্যানন পাওয়ারশট এস৫
...........................
Every Picture Tells a Story
বাহ। কাছাকাছি গিয়েছেন। আপনি কি আমার ফ্লিকার একাউন্টের বাকি ছবি দেখে বল্লেন? মূল ছবিটা s40তে তোলা। এখান থেকে নিয়েছি।
কী বুঝায় জানি না, তবে মুস্তাফিজ ভাই এই ছবির চৌদ্দগুষ্ঠি বের করতে পারবেন মনে হয়। উনার কাছে সফটওয়্যার আসে এসব বিষয়ের।
আপনার ফ্লিক-আর এর হাই রেজুলেশন ছবি ডাউনলোড করার পরও বলছে- ভিন্ন কথা।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
কাজী মামুন, আপনাকে আমি ছবির ব্যাপারটা মেইলে বলেছি। সবার সুবিধার্থে বলছি। ছবিটা যে সফটঅয়ারে দেখা হয়েছে সেখানে মুসার ক্যামেরা লিস্টেড না। তাই আপনার লাল দাগ দেয়া অংশটার নীচে লাল কালিতে Please add to database…. কথাটা এসেছে। ডাটাবেজে ক্যামেরা এড করে নিলে এই সফটঅয়ার হিসাব অন্যরকম দেখাবে। এছাড়া ফ্লিকার থেকে নামিয়ে (যেখানে ছবি রিসাইজ করা থাকে) ছবির সঠিক ডাটা পাওয়া যায় না। একই সফটঅয়ারে আমি অরিজিনাল ছবিটা দেখেছি, ফলাফল নিম্নরূপঃ
ছবিটা যে তার ক্যামেরায় তোলা তাতে সন্দেহ নেই। তবে সামিটে তোলা কীনা সেটা নিয়ে যুক্তি দেখানোই বরঞ্চ ভালো।
...........................
Every Picture Tells a Story
মুস্তাফিজ ভাই, আমি দৌঁড়ের ওপর একটা পরীক্ষা করে দেখলাম, ডেটাবেইজে ক্যামেরা অ্যাড করলে ছবি এডিট করেও JPEGsnoop-এ সেটাকে অরিজিন্যাল হিসেবে দেখানো যায়। এক্ষেত্রে অরিজিন্যাল ছবির অ্যানালাইসিস রিপোর্টের সাথে যে পার্থক্যগুলো পেলাম:
১) অরিজিন্যাল ছবির ক্ষেত্রে ক্যামেরার লিস্টে শুধু একই কোম্পানির নাম আসছে (Canon এর বিভিন্ন মডেল), সনি, নিকন, অলিম্পাস, স্যামসাঙ কিছুই নাই।
২) ডেটাবেইজে ক্যামেরা অ্যাড করলে ক্যামেরার নামের বাম পাশের * চিহ্নটা আসছে, অরিজিন্যাল ছবির ক্ষেত্রে * আসে না।
৩) অরিজিন্যাল ছবিতে সিগনেচার ম্যাচিং এডিটরের কোনো লিস্ট আসে না। কিন্তু এডিটেড ছবির ক্ষেত্রে কোন কোন সফটওয়্যারে এডিট করলে একইরকম সিগনেচার হতে পারে তার একটা লিস্ট আসে (যেটা উপরের আপনার দেয়া উদাহরণেও এসেছে।)
এডিটেড ও অরিজিন্যাল দুইক্ষেত্রেই ASSESSMENT:Class 3 original
আপনি চাইলে আমি আমার পরীক্ষা করা ছবি ২টা ইমেইল করতে পারি।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আপনার আপলোডেড ছবি সম্পর্কে আমার সফটওয়ার ভিন্ন কথা বলছে- বলছে ছবিগুলো এডিটেড।
এখন আমার একটা প্রশ্ন আছে
- max o'meara সামিট করেছেন মুসার কয়েকঘন্টা ব্যবধানের মধ্যে
Ed Laughton - 23rd May - 05.50
একই দিনে একই সময়ে।
এদের দুজনের ছবিতেই আমরা দেখছি বুদ্ধমুর্তি খোলামেলা!
মুসা ছবিতে ঢাকা কেন?
অরিজিনাল ছবিগুলো দয়াকরে কি আমাকে একটু ইমেইল করবেন এ?
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
এই উভয় বিষয়েই সামুতে আমি একটা পোস্টে লিখেছি। ধারণা করি সামুতে আপনার পোস্ট দেয়ার আগেই এই কমেন্ট জমা করেছিলেন, যা পরে অবমুক্ত হয়েছে।
এখানে তাই জবাবটা পাঠকের সুবিধার্থে পুনর্ব্যক্ত করি।
আমি যুক্তিটাকে এভাবেও দেখছি :
মুসা ইব্রাহীমের ছবিতে প্রেয়ার ফ্ল্যাগতো একটা-দুইটা ছিল না! পুরো একটা স্তুপ ছিল! এভারেস্টের চূড়ায় উঠে টান দিয়ে এত গুলা প্রেয়ার ফ্ল্যাগ সরিয়ে ছবি তোলার মত অবস্থা কী কারো থাকতে পারে! আবার আরেকজন এসে এত গুলা প্রেয়ার ফ্ল্যাগ মূর্তির উপর জড়াবে তারপর ছবি তুলবে! আর এভারেস্টের চূড়ায় কত জায়গা! মুসা ইব্রাহীমের লেখা থেকে পড়ে যতদূর জানি পেছনে নাকি আবার অনেক মানুষের তাড়া দেয়। ছবিই তাড়াতাড়ি তুলে নেমে যেতে হয়। তাহলে প্রেয়ার ফ্ল্যাগের একটা স্তুপ সরানোর মত কাজ করে কেউ সময় নষ্ট করবে কেন! (কৌতূহল)
না, কাহিনী মনে হচ্ছে তাহলে অন্যরকম। অচ্ছুৎ বলাই আর আমার একটি বিশ্লেষন আছে কমেন্টের ঘরে, যেখানে মুসা-স্তুপ-মূর্তির একটা অবস্থান আমরা ধারণা করেছি।
অতয়েব, প্রেয়ার করা কোনো কামের কথা না। হুদাই হুজ্জোত বাড়ে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আবার জিগায়।
এই ছবিগুলো দেখে তো বিশ্বাসযোগ্যই মনে হচ্ছে।
দেখা যাক এক্সপার্টরা বিশ্লেষণ করে কী বলেন।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
১। " নেভারেস্ট এবং একজন ব্রেনডন ও'ম্যাহনি " পোষ্টের মন্তব্যে স্টিফেন এবং ব্রেনডানের ইমেইল নিয়ে গতকাল হিমু এবং জ্বীনের বাদশার মধ্যে যে যুক্তি-পাল্টা যুক্তি উপস্থাপিত হয়েছে তাতে আমার মত আম-জনতা এটুকু বুঝতে পেরেছে যে মুসা First Step পর্যন্ত সন্দেহাতীত ভাবে পৌছে ছিলেন। এখন বাকি (উপরোক্ত ছবি মোতাবেক) ৩৪৮ মিটার বা ১১৪১ ফুট উঠেছিলেন কি উঠেন নাই- তা নিয়ে যত প্রশ্ন।
২। হিমু প্রশ্ন করেছিলেন বলেই আজ আমরা এত ডিটেইল ভাবে অনেক কিছু জানতে পারলাম, আর না হলে পর্বতারোহীদের যে তাদের অর্জন নিয়ে প্রশ্ন ও করা যায়- তাই তো জানতাম না!
৩। যদি বিশেজ্ঞরা ছবি দেখে বলতে পারেন এটা চুড়ার ছবি এবং আমাদের আম-জনতাকে তা যুক্তির মাধ্যমে বুঝিয়ে দেন- আমরা মেনে নিব। কিন্তু এটাও বলছি যে এই মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য থেকে এখনো আমি সন্দেহ মুক্ত নই।
---------------------------------------------------------------------------- হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------
তবে কি শেষ হাসিটা শেষমেশ মুসাই হাসলেন?
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
আসলে মুসার কথা ছিলো প্রথম হাসিটাই হাসার। দুর্ভাগ্যবশঃত তার এখন রাতের ঘুমই নাকি হারাম। হাসির চিন্তা তো আরো পরে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ইনিও কি সামিট করছেন ?
এইডা কার খোমা কুবের? চিন্তার্লাম না! দেইখা তো মনে হয় লিলি'স হারবাল থেকে ফেসওয়াস করে গেছে সামিটে। পুরাই চকচকা।
মন্তব্যের আপডেটঃ কেডা জানি হমানে সব মন্তব্যে "ডিজলাইক্স" মেরে যাচ্ছে। ডিজলাইকিং ভাই, আমি ঈমানে কৈলাম, আমি এই সামিটিয়াররে সত্যই চিন্তারি নাই। সইত্য কথার ভাত কি নাই আইজকাইল।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
একাধারে ডিজলাইক মারাটা খেয়াল করলাম। তবে আমি আপনার মন্তব্যে একটা লাইক দিলাম। মজার মন্তব্য। এই লোক কে?
এভারেস্ট-এর চূড়ার উপর তোলা ছবি আর ত্রিভুজাকৃতির শ্যাডোর ছবি যদি অল্প সময়ের ব্যবধানে তোলা হয়ে থাকে তাহলে কয়েকটা বিষয় চেক করে দেখা যেতে পারে:
১। ত্রিভুজাকৃতির ছবিটি সামিট থেকে তোলা যায় কিনা বা সম্ভব কিনা
২। যদি যায় তাহলে অন্য কথা, না গেলে গরমিলের আশংকা। সেক্ষেত্রে প্রেয়ার ফ্ল্যাগের এই স্তুপ কোথায় থেকে এলো? এরকম স্তুপ কি সব জায়গাতেই থাকে নাকি কেবল চূড়াতেই থাকে? (আমার ধারণা বা অন্যান্য ছবি দেখে যে ধারণা হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে প্রেয়ার ফ্ল্যাগের এই স্তুপ চূড়াতে, তবে সমসাময়িক ছবি দেখে যাচাই করা দরকার)
৩। প্রেয়ার ফ্ল্যাগ সাথে করে নিয়ে যাওয়াটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। আর এরকম ছবি তুলতে হলে যা দরকার তা হলো:
ক) সুবিধাজনক একটি স্থান যেটা ফার্স্ট স্টেপের কাছাকাছি কিংবা একটু নীচে এবং যেখান থেকে চোমোলনজো যেখা যায়, এবং
খ) এই স্তুপটি সেখানে থাকতে হবে।
রিমার্ক: স্পন্সরদের ব্যানার নিয়ে যখন ছবি তোলা হচ্ছে তখন দেখা যাচ্ছে আশেপাশে আরো লোকজন। এটা যদি চূড়া না হয়, তাহলে আমার মনে হয় চক্ষু লজ্জার একটা বিষয় চলে আসে। সবাই কি ভাববে না যে এই লোক তিনটা এখানে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছে কেন?
আসলে কনক্লুসিভ একাধিক ছবি না থাকার কারণেই এরকম নানামূখী ভাবনা চলে আসছে। তবে চোমোলনজোর ছবিটা চূড়ায় নয়-- এর বিশ্বাসযোগ্য বা যৌক্তিক প্রমাণ না থাকলে ধরে নেয়া যায় ওটা চূড়া। এটাই আমার ধারণা।
আরিফ ভাইকে ধন্যবাদ মেমোরি স্টিকের ছবিকে সচলে জীবনদানের জন্য। তবে ছবি ডক্টরিংয়ে পিএইচডিপ্রাপ্ত ফিউশন ফাইভ গ্রুপের পারদর্শিতার কথা মাথায় রেখে বলা যায় অস্পষ্ট ছবি বরং এভারেস্ট সামিট না করার সন্দেহকেই বাড়িয়ে দেয়।
বুদ্ধমূর্তির আরো কয়েকটা ছবি দেখলাম এবং পোস্টের শেষ ছবিটার সাথে মিলিয়ে বলা যায় মুসার ছবির চিহ্নিত অংশ আর পাশে দেয়া বুদ্ধমূর্তির চিহ্নিত অংশ এক না। মুসার অবস্থান সম্ভবত মূর্তির সামনে, পাশে নয়।
প্রেয়ার ফ্ল্যাগের আড়ালে বুদ্ধ হারিয়ে যাওয়ার রহস্যও বুঝলাম না।
এই ছবিতে বুদ্ধমূর্তি তো প্রায় তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে, সব গাছ ছাড়িয়ে অবস্থা।
আবার (উপরে মামুন ভাইয়ের দেয়া) মুসার একই দিনের ছবিতেও মূর্তি বাবাজি ভিড়ের চাপে নিচে নেমে যান নি:
অন্যদিকে মুসার ছবিতে প্রেয়ার ফ্ল্যাগের অনেক নিচে মূর্তি বাবাজি।
সবচেয়ে ভালো হতো নিচের ছবির মতো একখান ক্লিয়ার ছবি পেলে:
এভারেস্ট
কিন্তু তা তো হওয়ার নয়। এভারেস্টের চূঁড়ায় সেই সকালে বোধ হয় মাছের হাট বসেছিলো, আমাদের মুসা সেই ভিড় ভেঙ্গে মূর্তির ধারেকাছে পৌঁছতে পারে নাই। অবশ্য ইসলামে মূর্তি জিনিসটা মানায় না - এ ভাবনা তার মনে দোলা দিয়ে গেলেও তাকে দোষ দেয়া যায় না।
মেমোরি স্টিকের গুপ্তধন জাহের হওয়ার পরেও আমাদেরকে এখনও 'বিশ্বাস' এর ওপরেই নির্ভর করতে হচ্ছে।
আমাদের এ দুরবস্থার জন্য অবশ্য প্রেয়ার ফ্ল্যাগের বংশবৃদ্ধিই দায়ী। তাও শুধু এভারেস্টের চূঁড়ায় নয়, চূঁড়ার কয়েক শ' মিটার আগে থেকেই নাকি এই ফ্ল্যাগের উৎপাত শুরু হয়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আচ্ছা, ফিফা গং কি চিন্তা করেছিলো ফটো এডিটিং সফটওয়্যারের কেরামতি দেখিয়ে পাবলিকের সামনে একেবারে "বুদ্ধমুর্তির পাশে বসা মুসা" টাইপের ছবি ঝুলিয়ে দিবে? সেজন্যই এই কালক্ষেপণ (চার মাসের অধিক)! শেষে সুবিধা করতে না পেরে আগের ছবিতেই বুদ্ধমুর্তিকে খোঁজার আপ্রাণ চেষ্টা!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ, দলে দলে জনসভায় যোগ দেওয়ার মতোই লোকে এভারেস্টে যায় মনে হচ্ছে। ২৩ মে মোট কতোজন সামিট করেছেন, তা জানতে পারলে বুঝতে পারতাম।
আরও ভালো বুঝা যেতো, মুসা'র দাবিকৃত সময়ে কতোজন সামিট করেছেন, এটা জানতে পারলে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হিসেবটা মনে হয় আরো ছোট করে ফেলা যায়। মুসা ঠিক কতো মিনিট চূঁড়ার ওপরে ছিলো? ওই সময়টায় চূঁড়ায় কতোজন ছিলো, যাতে মূর্তি পর্যন্ত পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ে?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
মুসা'র ভাষ্য মতে ৩০ মিনিট ছিল, সে কিন্তু এমন কথা বলেনি যে সে ভীড়ের কারনে মুর্তির কাছে যেতে পারে নি। সে বলে প্রেয়ার ফ্ল্যাগ দিয়ে মুর্তি ঢাকা ছিল বলে সে মুর্তির সাথে ছবি তুলতে পারেনি।
যাই হোক সন্দেহ করার অবকাশ ছিল বলেই আমরা সন্দেহ করেছি। এখন যদি তা সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত করতে পারে ক্ষতি তো নেই লাভই বরং। আরিফ ভাই কে ধন্যবাদ কিছুটা অন্তত মুসার সাপোর্ট হয়ে এগিয়ে আসার জন্য। মুসা আজীবন এ কারণে কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। না হলে মুসা'র বন্ধুরা যা শুরু করেছিল! সন্দেহকারীদের চাইতে বরং ওদের আচরনের কারনের লোকজন বেশি ভাবছে যে এটা ধাপ্পাবাজি।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
কাজী মামুন,
বিষয়টাকে মুসার সাপোর্ট কিংবা মুসার বিপরীতে, এরকম ভাবলেই প্যাজগি বাড়বে। এরকম ভাবার কারনেই মুসার বন্ধুবান্ধবরা ধরে নিয়েছেন যে হিমুর নেভারেস্ট ইনটেনশনাল, যার কারনে তারা যুক্তির পথে না হেটে হিমুর ফেসবুক আর ফ্লিকার একাউন্টের ছবি দিয়ে লিংকবাজি আর বইয়ের হিসাব, তাবুর হিসাব এসব শুরু করেছেন।
আমরা এখানে একটা বড় প্রশ্নের জবাব খুঁজছি। আমাদের বাংলাদেশের একজন এভারেস্ট জয় করেছে, এটা সবার জন্য আনন্দের ব্যাপার। কিন্তু অতিকথনে সম্ভবত, সেখানে অনেকগুলো সন্দেহের সৃষ্ঠি হয়েছে। উঠেছে নাকি উঠে নাই?
এখন নিজেরা নিজেদের মতো ভাবছি, দেখছি, এবং সিদ্ধান্তের কাছাকাছি যাচ্ছি। সেগুলো মুসার পক্ষে হলেও আমাদের আপত্তি নাই, বিপক্ষে গেলেও সমস্যা নাই। সবগুলো লেখা, কমেন্ট ও বিশ্লেষনকে একত্রে একটা দলগত গবেষনা হিসেবে দেখছি আমি।
সাধুবাদ ছবিগুলো যে সংগ্রহ করতে পেরেছেন। ফ্লিকারে ছবিগুলো মূলমাপে নেই (সর্বোচ্চ সাইজ দেখছি 816 x 749), মূল ছবিগুলো আরো বড় হওয়ার কথা।
যে ছবিগুলো এখানে ব্যবহার করেছেন সেগুলোর মূল ফাইলগুলো জিপ করে নেটে মিডিয়াফায়ার বা অন্য কোথাও ফাইল হিসাবে আপ করে (ব্যক্তি বিশেষকে ইমেল না করে) দিন প্লিজ।
সকল সন্দেহের উৎস এখানেই।
হ, সব সন্দেহ আসলে চূড়াতেই। নিচে কিছু নাই।
ঠাট্টা করে অকারণ তর্ক করে বহু সময় ব্যয় করা যায়। তারচে, যদি মূল 20টা ছবি জিপ করে আপলোড করে দেন তাহলে সুনির্দিষ্ট কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছা সহজ হয়। ছবি দিতে আইনত তো কোন সমস্যা থাকার কথা না।
আপনি ছবি হাতে নিয়েও যদি মূসার মতো দিছি-দিব-কী-দরকার-ভাবা যায় করেন তাহলে যেই লাউ সেই কদু রয়ে যাবে।
ভাই, ঠাট্টা তার জায়গায় থাকবে, ব্যাখ্যা বিশ্লেষন চলবে তার মতো করে। এখানে আমরা সবাই আসলে খুঁজে দেখছি সবগুলো সম্ভাবনা, মুসারে ঠেলে এভারেস্টে তোলা কিংবা উঠে থাকলে ঠেলে ফেলে দেওয়া আমাদের কারোই লক্ষ্য না।
ছবিগুলো নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই, তবে ঐ ছবিগুলো দেখে কোন সিদ্ধান্তে আসা যাবে না মনে হয়। সবগুলোরই ব্যাকগ্রাউন্ড ঝাপসা এবং ক্লোজ করে তোলা। স্পনসরদের ব্যানার ছাড়া তেমন কিছুই তো দেখি না।
আশা করছি দুয়েকদিনের মধ্যেই আপলোড করে ফেলব।
ম্যাক্সের ছবিটা দেখার পর ফটো ডক্টরিংয়ের ব্যাপারটা আরো নিশ্চিত মনে হচ্ছে।
সূর্যের আলোর দিক অনুসারে মুসার অবস্থান ম্যাক্সের ছবিতে মূর্তির বাক্সের যে দিকটা ছায়া দেখা যাচ্ছে, ওইদিকে। বক্সের ওপরে তেকোণা যে স্ট্রাকচার দেখা যায়, তা ও একই কথা বলে।
কিন্তু মুসার ছবিতে বক্সের ওপরের পিচ্চি মূর্তিটার ছিঁটেফোটা নেই। মূর্তিটা যদি ম্যাক্স নিয়ে গিয়ে না থাকেন বা মুসা ও তার সামিটের মধ্যবর্তী (১ ঘন্টা?) সময়ে কেউ সেটাকে স্থাপন না করে থাকেন, তাহলে মুসার সামিটের সময়ও সেটা ওখানেই থাকার কথা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সূর্যের আলো বিবেচনা করে আমারও মনে হচ্ছে ম্যাক্সের বাম হাতের দিকে মুসার অবস্থান।
অবস্থানটা এরকম হতে পারে :
এখানে দুটো জিনিস লক্ষনীয়।
১. ম্যাক্সের দিকে মূর্তির বাক্স খানিক ঝুঁকে আছে। পেছন দিকটা একটু উঁচু। সেই হিসেবে মুসার ছবিতে ( যদি ওপরের লেআউটের মতো হয় ব্যাপারটা) ছবি দর্শকের বাম পাশে মূর্তির বাক্সটি একটু নিচু থাকার কথা। মুসার যে ছবিতে ক্ষীন রেখাটিকে মূর্তির বাক্সের অংশ বলে আমরা সন্দেহ করছি, সেই অংশটুকু কিন্তু ঠিকই বাম পাশে একটু নিচু অবস্থায় আছে। সুতরাং বিষয়টা ঠিকই আছে।
২. প্রেয়ার ফ্ল্যাগের স্তুপের পেছনে মূর্তি থাকার অনুমান আমি করছি ( ভালো বলতে পারবেন সামিটিয়াররা, বা বড় কোনো ছবি দেখা গেলে বলা যাবে)
ম্যাক্সের ছবিতে মূর্তির বক্সের ( দর্শকের ডান দিকে ) পরেই দেখা যাচ্ছে যে প্রেয়ার ফ্লাগগুলো উপরের দিকে উঠছে। সে হিসেবে মূল স্তুপটা ওদিকে আছে বলে আমার মনে হচ্ছে। তা যদি হয়, তাহলে মুসার ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডে প্রেয়ার ফ্ল্যাগ এবং ম্যাক্সের ছবিতে ম্যাক্সের বাম পাশে প্রেয়ার ফ্ল্যাগ থাকার কথা। ছবিতে তাই আছে।
যাক, মুসার অবস্থানের ব্যাপারে আপনারও একমত জেনে অবজার্ভেশনের ওপরে কনফিডেন্স বাড়লো।
আমার মন্তব্যের ফোকাস ছিলো মুসার ছবিতে বক্সের ওপরের ওই ছোট্ট মূর্তিটা নেই। অন্যদিকে মূর্তি গা ঘেষে থাকা ত্রিকোণাকৃতির স্ট্রাকচারটা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। এ বিষয়ে আপনার কি মত?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
মূল মূর্তিটা বাক্সের ভেতরে। ( আপনার পরিস্কার ছবিগুলোতেই দেখা যাচ্ছে।)
কিন্তু বাক্সের ওপর একটা পিচ্চি মূর্তি দেখা যাচ্ছে ম্যাক্সের ছবিতে আবার একই কমেন্টে কাজী মামুনের দ্বিতীয় ছবিতে ঐ মূর্তিটা আমার চোখে পড়ছে না।
তাই এ ব্যাপারে আমার মত হচ্ছে,
মূর্তিটা যদি ম্যাক্স নিয়ে গিয়ে থাকেন বা মুসা ও তার সামিটের মধ্যবর্তী (১ ঘন্টা?) সময়ে কেউ সেটাকে স্থাপন করে থাকেন, তাহলে মুসার সামিটের সময় সেটা ওখানে থাকার কথা না।
ম্যাক্সের ছবি ছাড়া অন্য কোনো ছবিতে আমি বাক্সের উপর কোনো মূর্তি দেখেছি বলে মনে পড়ছে না।
আমিও আর কোনো ছবিতে দেখি নাই। অবশ্য ছবিই দেখেছি মাত্র কয়েকটা। তার মানে ওই বক্সের ওপরের মূর্তিটা ক্ষণস্থায়ী ছিলো। ম্যাক্স পেয়েছিলেন, কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে মুসা পান নাই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমিও তেমন ছবি দেখি নি। যে কয়টা গুগুলের পরথম পাতায় পাওয়া যায়, সেগুলোই সম্বল।
হিমালয়ে প্রেয়ার ফ্ল্যাগ শুধু এভারেস্টের চূড়ায় আছে, কিংবা এভারেস্টের চূড়া থেকেই চোমো লোনজো দেখা যায়, এমনটা আমরা ধরে নিচ্ছি বারবার।
কিন্তু প্রেয়ার ফ্ল্যাগ ক্যাম্প-৩ তেও আছে। ক্যাম্প-৩ থেকেও চোমো লোনজো দেখা যায়, প্রায় কাছাকাছি অ্যাঙ্গলেই। মুসার ছবিতে যদি পেছনের রিজলাইন স্পষ্ট হতো, প্যারালাক্স ধরে হিসাব করা যেতো ছবিটা চূড়া থেকে তোলা কি না।
আর ছবির এক্সিফ ডেটা দেখে সিদ্ধান্তে আসা মুশকিল, কারণ এক্সিফ ডেটা এক্সপোর্ট করা সম্ভব।
প্রশ্ন হচ্ছে, মুসার মেমরি স্টিক থেকে এই ছবিগুলো কেন সাড়ে চার মাস পর বের হবে?
ছবিতো সাড়ে চার মাস আগেই দিসে। সাংবাদিকরা না ছাপালে মুসার কী দোষ! এইখানে আবার সেই ডেইলী স্টারের করা ফিচারটার কথা মনে করিয়ে দেই যেখানে শুধু ক্যাম্প-১ এর ছবি ছাড়া আর কিছু দেখি নাই।
১. প্রেয়ার ফ্ল্যাগ মনে হয় যাত্রা শুরুর পর থেকেই আছে। কিন্তু ক্যাম্প ৩তে কি স্তুপ করা ফ্ল্যাগ আছে? আমি গুগুলিং করে এই ছবিতে দেখলাম, সেগুলো টানানো বা সারিবদ্ধ ভাবে আছে।
এর বাইরে ক্যাম্প-৩'র কোনো ছবিতে আমি স্তুপাকৃতি প্রেয়ার ফ্ল্যাগ দেখি নি।
২. এই ফ্ল্যাগস্তুপের আশেপাশে ছবি তোলায় অনেক ব্যস্ত অভিযাত্রীকে দেখা যাচ্ছে। তারা কি সবাই ক্যাম্প ৩'র ঐ প্রেয়ার ফ্ল্যাগের স্তুপ( যদি ক্যাম্প-৩ই হয়ে থাকে) কে ঘিরেই ছবি তুলতে এমন উৎসাহ দেখাচ্ছেন?
-
ছবিগুলো দেখলাম বিভিন্ন নিকে (লোকাল টক ছাড়াও অনেক সৃজনশীল নিকে) বিভিন্ন সময় যত্রতত্র আপলোড করা হয়েছে। কেন ভালো রেজুলেশনে আপলোড করা হয় নি, সেটার কারন বলতে পারব না। তবে মূল পয়েন্টে না গিয়ে কেন অমুকে লিখে, কেন তমুকে এভাবে লিখছে, এরকম গবেষনা আর বিতলামি পূর্ণ পোস্ট লেখায় সময় চলে যেতে পারে, এজন্য হয়তো বড় ছবি এর আগে আমরা দেখি নি। এটাও আমার ধারণা মাত্র।
হে হে ... লোকালটক আমার দেখা বাংলাব্লগের সবচাইতে সৃজনশীল নিক। বিশেষ করে তাদের ফটোশপের কাজগুলো শুধু নিখুঁতই না, আইডিয়াও মারাত্মক।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
প্রেয়ার ফ্ল্যাগ স্তুপ করা আছে কি না, বলা মুশকিল, কিন্তু প্রেয়ার ফ্ল্যাগ স্তুপ করা যে কঠিন কাজ না, সেটা বুঝতে পারি।
ক্যাম্প-৩ এর ছবিও অভিযাত্রীরা তোলে, এবং বেশ উৎসাহ নিয়েই তোলে বলে মনে হয়েছে। না তুললে ক্যাম্প-৩ এর ছবি আমরা দেখতাম কী করে?
ঐখানেই আমার আপত্তি আর সন্দেহ। মুসা ইব্রাহীম কেন এই ছবিগুলো নিজের ফেসবুকে পর্যন্ত তোলে নাই? সামিটিয়াররা তো দেখি এভারেস্টের ছবি দিয়ে ফেসবুক ভাসায় ফেলে। প্রশ্ন উত্থাপন করা হলো যেদিন, তার পরদিনই কেন মুসা ইব্রাহীম ফ্লিকারে ছবিগুলো আপলোড করে বলে নাই, এই যে আমার ছবি? এবং এই কাজ তিনি এখনও করছেন না, আপনাকে ছবিগুলো দেয়া হয়েছে আপলোড করে দেখানোর জন্যে। মুসার সমস্যা কী নিজের ছবি ফ্লিকারে আপলোড করে দেখানোতে?
এই লুকোচুরি সন্দেহজনক।
সন্দেহ থেকেই তো এতো কথার উৎপত্তি। মুসা তো কথাও বলেন নাই, ছবিও তোলেন নাই। উনি সরাসরি যদি বিষয়টা নিয়ে কথা বলতেন, তাহলে এতো 'হয়তো' 'সম্ভবত' নিয়ে আমাদের কথা বলারই দরকার পড়তো না।
যা বলছেন তা বলছেন আনিসুল হক আর আশীফ এন্তাজ রবি। উনাদের কথা সন্দেহ নিরসনে আমাদের তেমন কোনো উপকারে আসে নি।
মুসা কথা বলে না কেন, কোন ধারণা আছে আপনার? এই জিনিসটা আমার খুবই বিরক্ত লাগে। আরে ভাই, কথা বল না?
আমার কোনো বড় ধারণা নাই, তবে আপনার বিরক্তিতে সহমত আছে। আমার মনে হয় উপদেষ্টারা হয়তো তেমনই উপদেশ দিয়েছেন।
আরিফ ভাই, ছবিগুলো জোগাড় করতে পেরেছেন জেনে আশান্বিত হচ্ছি। এই পোস্টটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আপনি মাত্র দুটো ছবি দিয়েছেন। একটা জিনিস আমরা ভুলে যাচ্ছি যে, বিষয়টা নিয়ে এত পানি গড়ানোর পর কেবল এভারেস্টের চূড়ার উপর আধা-কনভিন্সিং দুটো ছবি দিয়ে সন্দেহাতীত কোনো উপসংহারে পৌছানো দুঃসাধ্য। সবচেয়ে ভালো হয়, মুসার সব ছবিগুলোই সবার কাছ উন্মুক্ত করে দেয়া। বিশেষ করে যারা এর পেছনে সময় দিচ্ছেন তাদের সব ছবিই দেখা দরকার। অন্তত সেখান থেকেও কিছুটা ধারণা করা সম্ভব যে নিদেনপক্ষে কোন উচ্চতা পর্যন্ত আমাদের কোন সন্দেহ থাকা উচিত না যে এ পর্যন্ত মুসা উঠেছিল।
এবার আমার একটা ধারণার কথা বলি। হয়ত ব্যাপারটা বালখিল্য কিন্তু একটু পরিষ্কার করতে চাচ্ছি। খেয়াল করে দেখবেন- চূড়ার উপর তোলা বলে দাবীকৃত ছবিদুটোয় মুসার মাস্কের সাথে লাগানো কালো পাইপে সাদা রঙের একটা আলাদা প্রলেপ আছে। বরফ জমে এরকম হতে পারে, কিন্তু ডেইলি স্টারের ব্যানার হাতে থাকা ছবিটা দেখলে মনে হয় না যে সেটা বরফ। বরং মনে হয় খুব সম্ভবত সাদা রঙের ডাক টেপ দিয়ে প্যাচানোর ফলে এরকম হয়েছে। উপরে মামুনের দেয়া max o'meara ও Ed Laughton এর দুটো ছবির কোনো ছবিতেই এরকম কিছু দেখা যাচ্ছে না। আমি সার্চ দিয়ে অন্য কোনো অভিযাত্রীর ক্ষেত্রেও দেখলাম না যে কারো পাইপে এরকম আছে।
এখন আসি স্টিফেন গ্রিনের বক্তব্যে ( যে স্টিফেন গ্রিন মুসাকে এনার্জি জেল খাইয়ে সহযোগিতা করেছিলেন)। তার ব্লগে মুসার প্রাণ বাঁচানো প্রসঙ্গে সে লিখেছে- After we had helped pull him to his feet Brendan noticed that there was a hole in his oxygen pipe which went from his mask to his cylinder. He then tried to patch it up as best he could with some duck tape from his water bottle.
গ্রিনের উল্লেখিত এই ডাক টেপই কি সেই সাদা ডাক টেপ? যদি তাই হয়, তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, এই ঘটনা ঘটেছে মুসার উপরে উঠার সময়। তার তোলা ছবি সেটাই বলছে। এখন, ঐ ঘটনার সময় গ্রিন ও ব্রেনডন নেমে আসছিল। ব্রেনডন সামিট করেছিল সাড়ে ছয়টায়। তার ভাষ্যমতে I'm pretty sure I got to the top somewhere around 6:30am.
তাহলে মুসা কখনোই ৬:৩০ টার আগে সামিট করে নাই। কারণ ব্রেনডন মুসার মাস্কের পাইপে টেপ লাগিয়েছে ৬:৩০ টার পরে। কিন্তু তার চূড়ার উপর ছবি তোলার সময় হচ্ছে সকাল ৫.১১ মিনিট থেকে ৫.২২ মিনিট!
প্রশ্ন হচ্ছে, মুসার মাস্কের নিচের পাইপের ঐ সাদা অংশটুকু আদৌ ব্রেনডনের প্যাচানো ডাক টেপ কিনা। এর সম্ভাব্য উত্তর দু’ভাবে পাওয়া সম্ভব। এক- ব্রেনডনকে মুসার ছবি দেখিয়ে বলা যে ঐ সাদা অংশটা তার প্যাচানো কিনা। দুই – মুসার তোলা ছবিগুলো যেগুলো আরিফ ভাইয়ের কাছে আছে তার সবগুলো শুরু থেকে দেখা। যদি শুরু থেকেই সাদা অংশটা থাকে তাহলে তো নিঃসন্দেহ হওয়া গেল যে সেটা ব্রেনডনের প্যাচানো নয়। না হলে, ভাববার বিষয় আছে এতে। কারণ, ছবিগুলো যদি আসলেই সাড়ে পাঁচটার আগে তোলা হয় তাহলে সেটা ব্রেনডনের প্যাচানো টেপ হবার সম্ভাবনা নেই। আবার টেপটা ব্রেনডনের হলে মুসা কখনই তার বলা সময়ে সামিট করে নাই। সেক্ষেত্রে আগে যেটা জানা প্রয়োজন সেটা হলো- আমরা কি নিশ্চিত যে ছবিগুলো সাড়ে পাঁচটার আগে তোলা হয়েছে? কীভাবে নিশ্চিত হবো?
এজন্যই সব ছবিগুলো দেখা গুরুত্বপূর্ণ। হয়তো এরকম নানান দৃষ্টিকোণ থেকে এই ব্যাপারে আলো ফেলা যাবে।
আইডিয়া খারাপ না। আমি শুধু চূড়ার ছবি থেকে বেছে নিয়েছি এই ভেবে যে, যত তর্ক চূড়াতেই। নিচের ক্যাম্পট্যাম্পে মুসার ওঠা নিয়ে কোনো সন্দেহ নাই।
মুসার পাইপের সাদা প্যাচানোটা বেশ শক্তপোক্ত লাগছে। সেক্ষেত্রে
( He then tried to patch it up as best he could with some duck tape from his water bottle.) পানির বোতলের সঙ্গে জড়ানো ডাক ট্যাপ খুব বেশি হওয়ার কথা নয়, যে এতো প্যাচানো যাবে। এটা আমার মনে হচ্ছে।
আরো বেশি ছবি আপলোড করার বিষয়টিও মন্দ আইডিয়া নয়, ভেবে দেখা যেতে পারে।
ব্রেনডন যেহেতু পাইপের ছিদ্র বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে তার মানে সে শক্তপোক্ত করেই পেচিয়েছে। সিলিন্ডারের হাই প্রেশার থেকে আসা অক্সিজেনের নরমাল এক বায়বীয় চাপে লিক হওয়া বন্ধ করতে শক্তপোক্ত প্যাচানোই একমাত্র সমাধান। তা না হলে, জীবন সংশয় হওয়া থেকে ব্রেনডন মুসাকে বাঁচাতে পারতো না (ঐ উচ্চতায় একই ছিদ্র দিয়ে একই সময়ে সমতলের চাইতে বেশি অক্সিজেন বের হবে।)
ব্রেনডনই বলতে পারবে ঐ টেপ তার প্যাচানো কিনা।
আর তা না হলে মুসাই বলতে পারবে টেপটা কোত্থেকে আসলো।
অন্য ছবি নিয়ে সন্দেহ না থাকলেও আপনি ছবিগুলো রিলিজ করে দেন। আমরা যে যার মতো দেখতে থাকি। অসুবিধা কী?
না, কোনো অসুবিধা নেই, সবই রিলিজ করে দেব দুয়েক দিনের মধ্যে।
পিপিদা, ছবি রিলিজে মানে চূড়ায় তোলা ছবি রিলিজে সমস্যা থাকতে পারে, সে সময় তোলা হয়েছে ২০টা ছবি (১৯ নয় কিন্তু) প্রথম দুইটা দুই শেরপার ক্লোজ আপ, শেষ দুইটার একটা ভি দেখানো অন্যটা ছায়ার ছবি, বাকি ১৬টা ছবিই টা বিভিন্ন স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের ব্যানার হাতে (অনেক প্রতিষ্ঠানের নামই শুনিনি আগে) তোলা, আরিফভায়ের থেকে শুনলাম এদের অনেকেই এখনও টাকা দেয় নাই এখন নেটে ছবি চলে এলে সে সব প্রতিষ্ঠানেরই লাভ।
এটা আমার একান্ত নিজস্ব অনুমান।
তবে আরিফ ভাই কিন্তু ব্যানারের অংশটুকু সাদা করে ছবি গুলো নেটে তুলে দেবার কথা চিন্তা করতে পারেন।
...........................
Every Picture Tells a Story
মুসার ক্যামেরার ছবির ডেটাগুলোর সময় বাংলাদেশ সময়। অবশ্য এতে কিছু যায় আসে না। কারণ নেপালের সময় বাংলাদেশের সময়ের সাথে ১৫ মিনিট বিয়োগ করলেই পাওয়া যায়। সেই হিসেবে নেপাল সময় অনুযায়ী ছবিগুলো ৪:৫৬ থেকে ৫:০৭ মিনিটে তোলা।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
ছবিগুলান মুস্তাফিজ ভাই পরীক্ষা করেছেন, এরপর আর এর অথেনটিকেশন নিয়ে আমার সন্দেহ নাই। বিশ্বাসীর দলে সুড়ুৎ কইরা যোগ দিলাম। ৪ মাস পরে সচলায়তনে আসলেও তো আসছে। ধন্যবাদ আরিফ জেবতিক ভাইকে পুরা ব্যাপারটা পরিষ্কার করায়। এই ব্যাপারটা অনেকদূর গড়াইছে, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের এই দৌড় মনে হয় এখন শেষ হওয়া উচিৎ।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
মুস্তাফিজ ভাই কি এটা পরীক্ষা করেছেন যে ছবিগুলা চূড়ায় তোলা কিনা?
চূড়ায় তোলা কিনা সেই কথা আমার পক্ষে বলা সম্ভব না, আমি তা বলিওনি কোথাও। আমি শুধু নিশ্চিত করেছি যে ওর ক্যামেরায় সেসময় তোলা সবগুলো ছবি (৫১৪টা) আমি খুঁটিয়ে দেখেছি এবং সেই ছবিগুলো নিঃসন্দেহে ঐ ক্যামেরাতেই তোলা হয়েছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
মুস্তাফিজ ভাই, একটা এক্সিফ কানা প্রশ্ন করি। ধরেন আমি ক্যামেরায় একটা ছবি তুললাম। এরপর তাতে একটা ডট যোগ করে সেটাকে সেইভ করলাম। তাহলে কি এক্সিফ মেইনটেইন করা সম্ভব?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
না, এখনও কেউ বলে নি যে ওগুলো চূড়ায় তোলা, আবার কেউ এমনও বলে নাই যে ওগুলো চূড়ায় তোলা না।এই পোস্টে ছবির কিছু বিশ্লেষন আমি আমার বুদ্ধিমত করেছি, অন্যরাও নানা দিক থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। সবাই মিলেই হয়তো একটা সিদ্ধান্তে আমরা যেতে পারব।
বিশেষ করে সেই হলুদ চিহ্ন দেওয়া হলেও হতে পারে 'বৌদ্ধমূর্তির বাক্স'টি এখানে নতুন সংযোজন বলে আমার মনে হচ্ছে।
বলার আগেই মুস্তাফিজ ভাই জবাব দিয়ে দিয়েছেন, ছবিগুলা অথেনটিক বলতে আমি বুঝয়েছি যে ফটোশপে বা অন্য কোন গ্রাফিক প্রোগ্রামে ছবিগুলো কারিগরী করে বানানো নয়। আর কিছু ফাঁক হয়ত সবসময় বের করা যাবে যেহেতু ভিডিও নাই, যেটা নাই সেটার পিছনে দৌড়ে কোন লাভও নাই
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আরিফ ভাই এই পোস্টে কনভিন্সিং বেশ কয়েকটি ছবি দেখিয়েছেন। ডেইলি স্টারের ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডের দুটো হলুদ সমান্তরাল রেখাও যে বৌদ্ধমূর্তির বাক্সের সেটাও বোঝা যাচ্ছে।
অনেকের কাছ থেকে একটা প্রশ্ন আসছে, যেটা হলো, আজ সাড়ে চার মাস পর মুসা কেন এসব প্রকাশ করলেন? এতদিন লাগলো কেন?
প্রশ্নটার প্রসঙ্গে জানাই, সামহোয়ার ব্লগের দুরন্ত স্বপ্নচারীর এই পোস্টের ১৯৩ নং মন্তব্যে ওখানকার আরেক ব্লগার ক্লাউড নাইন অনেকগুলো ছবি দিয়েছিলেন সেই ২৪ শে জুন তারিখেই। দেখা যাচ্ছে, আরিফ ভাইয়ের এই পোস্টে দেয়া ছবিগুলোর মধ্যে এভারেস্টের চুড়ার ছায়ার ছবিটি ছাড়া বাকী ছবিগুলো ওখানে তখনই দেয়া হয়েছিলো।
আজ আরিফ ভাইয়ের পোস্টটিতে বেসিকালি নিশ্চিত হলো যে ছবিগুলো সব মুসার ক্যামেরায় ২৩শে মে তারিখে সকাল সোয়া পাঁচটার আশপাশে তোলা, এবং এসব ফ্যাব্রিকেটেড না।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
দূরন্ত স্বপ্নচারীর ওই মন্তব্যে বুদ্ধমূর্তি নাকি প্রেয়ার ফ্ল্যাগে জড়ানো ছিলো তাই আসে নাই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আচ্ছা, ২৪ জুন তারিখের আগে ফিফা এন্ড কোং কি কোথাও এই ছবিগুলো প্রকাশ করেছে, জানেন? এটা এমনিতেই জিজ্ঞেস করলাম।
দুরন্ত স্বপ্নচারীর পোস্টে দেখছি ভদ্রলোক মুসা'র কাছে খুবই সাধারণ একটা মেসেজ দিয়ে বুদ্ধমুর্তির আতাপাতা জানতে চেয়েছে। উত্তরে মুসার জবাবটা লক্ষ্যনীয়! সুন্দর বাংলায় কী বলে মুসার এই ধরনের জবাবকে? "ত্যানা প্যাচানী", "সিম্পলী ভাব মারা" নাকি বিষয়টাই "এড়িয়ে যাওয়া"?
আনিসুল হক প্রথম আলো ভাসিয়ে দিলেন মুসা আর এভারেস্ট দিয়ে অথচ সেই প্রাসঙ্গিক ছবি নিয়ে বসে থাকলো ফিফা এন্ড কোং, ব্লগে দিবে বলে! কেমন লাগে না ব্যাপারটা?
আর এই ছবিগুলো ২৪ জুনে প্রকাশিত হওয়ার পরেও জনগণ সন্দেহ করেছে। বুদ্ধমুর্তি তখন যেখানে ছিলো এখনও সেখানেই আছে। এগিয়ে এসে তো মুসার ক্রোড়ে চড়ে বসে নি, দেখতে পাচ্ছি। তাহলে এই ছবিগুলো দিয়ে নিঃসন্দেহ কীভাবে হওয়া যায় যে মুসা সামিট করেছে! (দয়াকরে এখন আমাকে কেউ এই ছবি দিয়ে "সামিট করে নাই", এইটা প্রমাণ করার কথা বলবেন না!)
আমি জানতে চাচ্ছি, এই ছবিগুলোর বিশেষত্ব কী? ২৪ জুনের তুলনায়!
এক্সিফ ডেটা? নাকি অন্যকিছু?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জানিনা
ঠিক, দুরন্ত স্বপ্নচারীর সাথে ফেসবুকে মুসা যে আচরণ করেছেন সেটা খুবই আপত্তিকর।
এখানে আপনার "কেমন লাগেনা?" প্রশ্নটা এতদিন জারি ছিলো বলেই আরিফ ভাইয়ের এই পোস্টটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখানে তিনি মুস্তাফিজ ভাইয়ের রেফারেন্সে জানাচ্ছেন যে ছবিগুলো মুসার ক্যামেরায় তোলা জেনুইন ছবি।
ছবিগুলোর বিশেষত্বই এটা।
এর সাথে যোগ হয়েছে ছবিগুলো নিয়ে আরিফ ভাইয়ের কয়েকটা বিশ্লেষণ যেটা এর আগে সচলায়তনে পোস্ট আকারে কোথাও আসেনি বলে গুরুত্বপূর্ণ।
যেমন,
চোমো লোনজোর চুড়ার ব্যাপারটা
ডেইলি স্টারের ছবিতে মুর্তির বাক্সের একটা কোণা দেখা যাবার ব্যাপারটা
মুসার তোলা এভারেস্টের চুড়ার ছায়ার ছবিটা
(এই ছবিটা খুব ক্রুশিয়াল। এটা এভারেস্টের চুড়া থেকে তোলা, এই প্রমাণটা করতে পারলে মুসার পর্বতজয় নিয়ে আর সন্দেহ থাকেনা।)
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
বস, মুসার এভারেস্ট জয় নিয়ে আপনার কখনো কি সন্দেহ ছিলো? আপনি তো যতদূর মনে পড়ে ছবি না দেখানোর পক্ষে ছিলেন, ছবিগুলো কর্পোরেট কিনে নিয়েছে, তাই পাবলিক দেখবে না ধরে নিয়ে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বস্, মন্তব্যের "সন্দেহ"টা আমার নিজের সন্দেহের কথা বলিনাই। তাও যখন জিজ্ঞেস করলেন তখন বলি, প্রথমে সন্দেহ ছিলো। পরে নানান জনের ব্লগ পড়ে, নিজে কিছুটা যাচাই করে বুঝলাম যে সন্দেহ করার কিছু নেই। তাও যারা আরো প্রমাণ চান, তাদের "সন্দেহে"র কথাই ঐ মন্তব্যে বলছি।
ছবি দেখানোর "পক্ষ" জিনিসটা কি বুঝলামনা। ছবি দেখালে সেটার বিরোধিতা করতে যাবার কোন কারণ আমার নাই।
কর্পোরেট বিষয়ে ঐটা ছিলো আমার একটা মনগড়া ব্যাখ্যা, বিশেষত যেইভাবে প্রথম আলো মুসাকে একদম চারপাশ থেকে গার্ড দিয়া রাখছিলো যাতে অন্য কেউ ছিনায়ে নিতে না পারে, তাতে আমার সন্দেহবাদী মন ভাবছে হয়তো ছবিগুলো দিয়া পিআলো কোন রমরমা ব্যবসা করতে যাচ্ছে। "ওয়াইল্ড গ্যেস" যাকে বলে। তবে ঐ প্রশ্নের উত্তর যেহেতু পাইছিই, তাই এখন আর ঐ গ্যেসটা ঠিক ছিলো বইলা মনে করিনা।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
সেটাই। গেস জিনিসটার ধর্মই এই, সেটার সময়ের সাথে ফেইজ শিফট ঘটে। হয়তো একসময় আপনার আবার গেস হবে যে প্রথম গেসটাই সঠিক ছিলো।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ঠিক, প্রথমালোরে বিশ্বাস নাই। উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ নিয়া কেউ আসলে হয়তো আগের গ্যেসটাই ঠিক ছিলো বইলা ধরবো।
তবে, এইখানে একটু সমস্যা কইরা ফেলছেন বস্, সময়ের সাথে সাথে গ্যেসের ফেইজ শিফট হয়না। যুক্তি-প্রমাণের সাথে সাথে হয়।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
গ্যেস নিয়া এই ভিডুটার (Feynman Chaser - The Key to Science ) কথা মনে পড়লো
ইন্টারেস্টিং! (সিম্পল কথা কত মজা করে বললো)
ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আপনার কথা আংশিক ঠিক। গেসের ফেইজ শিফটের জন্য সময়ই একমাত্র নিয়ামক না। তবে যুক্তি-পালটা যুক্তির সাথে ধারণা পরিবর্তিত হলেও কিছু 'প্রমাণ' হয়ে গেলে সেটা আর গেসের আওতায় থাকে না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ঠিক বলছেন
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আর একটা ব্যাপার, আট হাজার তিনশ মিটারের পরের অলটিচ্যুড থেকে ১৮ কিমি দূরের (চূড়া থেকে) চোমো-লনজো'কে পেছনে রেখে এমন ছবি তোলা সম্ভব। উপরে হিমু একটা মন্তব্যে বলেছে মুসা'র ছবিতে মাকালু'র অবস্থানও দৃশ্যমান হলে প্যারালাক্স বের করা সম্ভব হতো। এটা করতে পারলে "সন্দেহাতীত" একটা কনক্লুশনে আসার পথে আরও এক ধাপ এগুতে পারতাম আমরা।
আর যেখানে বুদ্ধ মুর্তির "হলুদ বর্ডারের" প্রশ্ন- দেখুন, আমি আর আপনি এভারেস্টের আশেপাশে জীবনে কোনোদিন না গিয়েও জানি একটা হলুদ বর্ডারের কাচের বাক্সের ভিতরে বুদ্ধ সাহেব বসে থাকেন এভারেস্ট চূড়ায়। তো সেরকম একটা "হলুদ দাগ সম্বলিত" বাক্সের ইতস্ততঃ উপস্থিতি মুসার এভারেস্ট সামিটের দাবি করা ছবিতে খুঁজে পাওয়া কি খুব কষ্টকর হওয়ার কথা?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এক্সিফ ডেটার ব্যাপারে আমি মুস্তাফিজ ভাইয়ের মতামতে আস্থা রাখছি, কারণ তিনি র'ডেটা হ্যান্ডল করেছেন।
এক্সিফ ডেটা বদলে কি আসলেই পার পাওয়া যায় কিনা আমি জানিনা, তবে কুড়িটা ছবির ডেটা পাল্টাতে বেশী সময় লাগার কথা না। তাই মুসা এই ছবিগুলো ২৪ শে মে প্রকাশ করলেও একই সন্দেহ করা যেত।
এভারেস্টের আশপাশে ৮ হাজার ৩০০ মিটার উপরের কোন্ চুড়াটার কাছ থেকে "চোমো-লনজো'কে পেছনে রেখে এমন ছবি তোলা সম্ভব", সেটা জানাবেন।
আচ্ছা, এ নিয়ে আপনার ব্যাখ্যাটা কি দয়া করে বিস্তারিত বলবেন? ৮৫০০ মিটার উঠে ফার্স্ট স্টেপে গোড়ায় মুসা যখন আর হাঁটতে পারছেননা তখন কি তাড়াতাড়ি প্ল্যান বি অনুযায়ী তাকে আরেকটু চুড়ার কাছে নিয়ে পেছনে চোমো লোনজোকে রেখে ফটো তুলেছিলেন শেরপারা? তারপর আবার ফার্স্ট স্টেপের গোড়ায় ফিরে এসে স্টিফেন/ব্রেনডানের সহায়তা নিয়েছিলেন?
আমার এই কথাটার জবাব কেউ এখনও দিলেননা যে, এতই যদি অসাধুতা অবলম্বন করা যেত তাহলে প্রথমত কেন মুসাকে নিয়ে শেরপারা ৮৫০০ মিটার পর্যন্ত উঠে মরতে যাবে? আমি আবারও বলছি, ৮৫০০ মিটার কোন রসিকতা না! যেরকম দূর্বল মোটিভেশনের সন্দেহ করছেন তা নিয়ে অতটা ওঠা সম্ভব না।
এখনও এভারেস্টের ছায়ার যে ছবিটা আছে ওতে বেশ কয়েকটি পাহাড়ের চুড়া আছে। প্যারালাক্স বের করা যায় বলেই মনে করি।
ডেইলি স্টারের ছবিটিতে তো বাক্সের হলুদ বর্ডার স্পষ্ট। আচ্ছা আপনি যদি মনে করেন যে মুসার শেরপারা তাকে ফার্স্ট স্টেপের ধারেকাছে কোথাও নিয়ে প্রেয়ার ফ্ল্যাগ বিছিয়ে ছবি তুলেছে, তো বলুন তো ঐ দুটো হলুদ দাগ আসলে কি?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
মুস্তাফিজ ভাইয়ের মতামতে আমিও কিন্তু অনাস্থা রাখছি না। তিনি অবশ্যই র' ডাটা হ্যান্ডল করেছেন, অন্তত তাঁকে যে ডাটাগুলো দেয়া হয়েছে সেগুলো র' ডাটাই। এই কমেন্টের ছবিটাও মুস্তাফিজ ভাইকে দেয়া হলে সেটা র' ডাটাই হবে।
আর ২৪ মে ছবিগুলো প্রকাশ করলে সন্দেহ করা যেতো না, এমনটা বলছি না। কিন্তু শুরু থেকেই বলছি, সন্দেহকারীদের দলটা অনেক পাতলা হতো! অ-নে-ক পাতলা।
কিন্তু মুসা সেই কাজটা না করে আপনার ভাষায় "আপত্তিজনক" ব্যবহার করেছেন পাবলিকের সাথে, আমার ভাষায় সেটা "আপত্তিজনক এবং বেশ রহস্যজনক"। এবং তিনি সেটা করেছেন একটা সার্টেইন সময় পর্যন্ত। যতোক্ষণ না উচ্চস্বরে তার দাবির বিপরীত দাবি উত্থাপিত হয়েছে। অথচ এই গোটা সময়ের মধ্যে কিন্তু তিনি পাবলিকলি দাবি ঠিকই করে গেছেন। এইটা নাম্বার ওয়ান।
আর নাম্বার টু হলো, তার পূর্বের রেকর্ড তো ভালো না। মুসা তার পূর্ববর্তী ভুয়া দাবিগুলোর পরেও এভারেস্ট থেকে ফিরে এসে ভাব মারতে থাকলো, তার তৎকালীন ব্যবহারটা হয়ে গেলো পুরাই রহস্যজনক। যেখানে অন্যান্য সামিটিয়ারদের খোমাখাতা একাউন্ট উপচে পড়ে ছবিতে ছবিতে সেখানে মুসার একাউন্টে অপারেশন ক্লিনহার্ট চালিয়েও এভারেস্টের কোনো ছবি না পাওয়া। যে পেপারে তার অভিযানের পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা প্রকাশিত হলো, সেই পেপারেই তার কোনো ছবি নেই। সেগুলো চলে গেলো মেমরি স্টিক হয়ে ফিফা গংদের কাছে। প্রশ্ন হলো, কেনো?
আমি যদি শুনি জ্বিনের বাদশা সামিট করেছেন এভারেস্টে, অন্তত আমার কিন্তু সেটা বিশ্বাস করার জন্য প্রমাণ লাগবে না। কারণ আমি আপনার সততার ব্যাপারে নিঃসন্দিহান। কিন্তু আপনিও যদি মুসার মতো পূর্বে মিথ্যা দাবি করে থাকতেন, তাহলে আপনার ব্যাপারে শতভাগ নিঃসন্দেহ থাকা কি আমার জন্য সম্ভব হতো? তবে হ্যাঁ, অন্তর্যামী হলে একটা কথা। তখন আর প্রমাণের দরকার হয় না। এমনিতেই তো সব জানা হয়ে যায়।
ভাইরে, মুসার ৮৫০০ কিংবা ৮৮৫০ মিটার নিয়েও আমার কোনো আলাদা ব্যাখ্যা নাই। মুসা এবং তার গং আমাকে সন্দেহ করতে বাধ্য করেছে, আমি সেই সন্দেহটাই করছি। আমার এই সন্দেহ কাটাতে পারতো মুসার ছলচাতুরীহীন ব্যবহার। এটলিস্ট, এভারেস্ট ঘটনার পর। যেটা মুসা কিংবা তার গং এর কাছ থেকে আমরা কেউ-ই পাই নি। আগেও বলেছি, আবারও বলছি, এই সন্দেহের উৎপত্তিই হতো না যদি না মুসা এভারেস্টের প্রমাণ উত্থাপনে আন্তরিক হতেন। তিনি বাংলাদেশের মানুষকে কী ভেবেছেন, তিনিই জানেন!
আপনি বোধ'য় ডেইলি স্টার মার্কা হলুদ দাগের ব্যাপারে আমার অবস্থান ধরতে পারেন নি। আমি বলতে চেয়েছি, এই হলুদ দাগটা যে আলাদাভাবে টানা হয় নি, তার প্রমাণ কী? যদি মূল ছবিতে আলাদা দাগ টেনে, সেটাতে মূল ছবির এক্সিফ ডাটা যোগ করা হয়ে থাকে, তাহলে? উদাহরণ তো হাতের কাছেই আছে, বোরাটের ছবিটাই (বোরাটের ছায়া সহ) দেখুন না। তো হলুদ দাগের সূত্র ধরে এটাও কি প্রমাণিত হয় যে বোরাট সাহেবও আধা নাঙ্গা অবস্থায় এভারেস্টের থার্ড স্টেপ পর্যন্ত গিয়েছিলেন মুসার সাথে? ডাটা কিন্তু তাই বলে!
মুসা'র এভারেস্ট জয়ের পক্ষে অকাট্য কোনো প্রমাণ নেই, এইটা প্রতিষ্ঠিত সত্য। বিশ্বাস করলে আছে, অনেক। যা আছে তা হলো কিছু অস্পষ্ট ছবি। মুসার বন্ধুরা চেয়েছে এই অস্পষ্ট প্রমাণগুলোকেই 'অকাট্য' হিসেবে তৈরী করতে। কিন্তু তারা পাবলিককে যতোটা ভুদাই মনে করে, পাবলিক তো অতো ভুদাই নারে ভাই। এ কারণেই নেভারেস্ট সিরিজ লিখলে হিমুর চৌদ্দ গোষ্ঠী নিয়ে রবির মতো একজন ফাউল কথা বলে। তার বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ইচ এন্ড এভরিওয়ানকে নিয়ে রবি তার থার্ডক্লাস মশকারি করে। পল্লব মোহাইমেন তার ছবিকে বিকৃত করে প্রকাশ করে। কেনো করে তারা এইসব? তাদের পরিকল্পনা সফল হতে পারে নি বলে? বুদ্ধমুর্তিকে ফটোশপের কেরামতিতে মুসার কোলে চড়ানো যায় নি বলে?
মুসা যদি প্রথম আলো এবং তার বন্ধুবান্ধবের প্রবল সমর্থনের মুখে এভারেস্টে এ যাত্রা উঠেও যায়, তাহলেও অন্তত আমার কাছে মুসা পরিচিত হবে একজন ভুয়া এভারেস্ট জয়ী হিসেবে। এবং আমার ধারনা আমি একা নই। একজন ভুয়া দাবিকারীকে অকাট্য প্রমাণ ছাড়া মেনে নিতে আমি বা আমরা বাধ্য নই কোনো ভাবেই।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বস্, আলোচনার দিক অনেক ঘুরে গেছে। মুসা কেন এরকম আচরণ করেছে সেটা আমি বলতে পারবোনা, তবে ধারনা করতে পারি যে সত্যি সত্যি শীর্ষজয়ের পর সেটা নিয়ে সন্দেহ তৈরী করা হলে সেনসিটিভ ব্যক্তিমাত্রই পাত্তা না দিয়ে থাকতে পারেন। তবে কেন তিনি ওরকম আচরণ করেছেন সেটা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। যা হোক, এসব দিয়ে কিছু প্রমাণ হয় বলে মনে করিনা।
উপরে যেসব প্রশ্নের অবতারণা করলাম, আমি সবার আগে সেসবের মধ্যেই বিতর্ককে ধরে রাখতে চাচ্ছি।
আপনারা যারা এখনও সন্দিহান, তারা মুসার নকল ছবি তোলার ঘটনাপ্রবাহটা ঠিক কি রকম বলে মনে করেন?
জালিয়াতি করলে কেন শুধু শুধু মুসা মরতে যাবেন অত উপরে?
এই প্রশ্ন দুটোর উত্তর পাইনি।
আর হলুদ দাগের ব্যাপারটা যা বললেন। আপনি মনে করছেন মুসার ক্যামেরায় তোলা ডেইলি স্টারের ছবিতে হলুদ দাগ দুটো পরে বসিয়ে/এঁকে এক্সিফ ডেটা বদলে একটা জালিয়াতি করা হতে পারে।
এখন আসুন একটা কাউন্টার লজিকাল হাইপোথিসিস দিয়ে আপনার এই হাইপোথেটিকাল সন্দেহটাকে দূর করার চেষ্টা করি।
চিন্টা করুন, জালিয়াতি যদি হয়ই তবে সেটা তো এজন্যই করার কথা যেন মুসার ছবিতে যে বৌদ্ধমূর্তিটার বাক্সের এক কোণা যে অন্তত দেখা যাচ্ছে তা দাবী করা যায়, তাইনা?
হলুদ দাগবিশিষ্ট ঐ ছবিটা সামহোয়ারে ২৪শে জুন থেকেই আছে। হিমুর নেভারেস্ট শুরু হয়েছে এরও পর থেকে। হিমুর নেভারেস্টের জবাবে নেভারেস্ট/প্রায়নেভারেস্টের পোস্টগুলোতে, প্রাসঙ্গিক জলদস্যুর পোস্টে এবং সামহোয়ারে নিজ নিজ ব্লগে মুসার অনেক বন্ধুবান্ধবই (এমনকি অনেকের মতে মুসা নিজেও ছদ্মনামে) মুসার পক্ষে নানান যুক্তি/বক্তব্য তুলে ধরে আসছে। কোথাও তো দেখলামনা ঐ হলুদ দাগের কথা কেউ দাবী করেছে? যে কারিগর দাগ দুটো বসিয়েছেন তিনি বা তার কাছের লোকদেরই কি সবার আগে এসে দাগদুটোকে দেখিয়ে দিয়ে "মুসার ছবিতে বৌদ্ধমূর্তির বাক্স দেখা যাচ্ছে" এমন দাবী জানানোর কথা না?
তারা কি তাহলে এই অপেক্ষায় ছিলেন যে আরিফ জেবতিক নামের একজন সূক্ষ্মদৃষ্টির ভদ্রলোক একসময় বাক্সের রেখাদুটো ঠিকই ডিসকভার করে ফেলবেন?
(আমরা নিশ্চয়ই এখন এটা বলবোনা যে দাগগুলো আরিফ জেবতিক বসিয়েছেন, তাইনা?)
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
ভাই, মুসার দাবিকৃত শীর্ষজয় নিয়ে সন্দেহ শুরু হয়েছে মুসার রহস্যজনক আর আপত্তিজনক ব্যবহারের পরই। তার আগে না। আর মুসার এতো সেনসিটিভিটি থাকলে তো সমস্যা। দাবি-দুবি তাইলে একটু সাবধানে করলেই পারে সে!
আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন, "মুসা কি বাংলাদেশীদের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় উঠেছে?" আমি জবাব দিবো, "হ্যাঁ"। (ছবিগুলো তার ক্যামেরা দিয়ে তোলা ধরে নিলাম)
তারপর যদি প্রশ্ন করেন, "মুসা কি সামিট করেছে?"
আমি বলবো, "না"। ('অকাট্য প্রমাণ' দেন, আমিও বিশ্বাস করবো)
আপনার দেয়া কাউন্টার লজিক্যাল হাইপোথিসিস নিয়ে বলি। এটা আপনিও জানেন যে, ছবিতে এডিট করার পরেও সেটাকে 'অরিজিনাল' বলে প্রমাণ করা সম্ভব (অন্যদিকে না গিয়ে এখানেবোরাটের ছবিটাই একটা প্রমাণ)। আর এই কাজটুকু করতে অনেকদিন লাগে না, ২৪ জুন পর্যন্ত এক গুদাম ছবিকে এডিট করে 'অরিজিনাল' বানানো সম্ভব। কিন্তু এর পরে ছবিগুলো যখন রিলিজ পাবে, এতোদিন পরে, পাবলিক স্বভাবতঃই ছবিগুলো কোত্থেকে এলো, এই প্রশ্নটা সবার আগে করবে! এখন ঐসব ছবিতে যদি বুদ্ধমুর্তির বাক্সকে খুঁজে পাওয়া দেখানো হয়, তাহলে প্রশ্ন আসবে কে দেখাচ্ছে! এবার দুইটা সমীকরণ অটোমেটিক মেলাবে পাবলিক, ছবিগুলো এতোদিন কারছে ছিলো? উত্তর- "ফিফা গং"।
এতোদিন পরে ছবি বের করে সেই ছবিতে বুদ্ধমুর্তির বাক্সের উপস্থিতির প্রমাণ কারা দিচ্ছে? উত্তর- "ফিফা গং"।
এবার প্রশ্ন আপনার প্রতি, ফিফা গং-কে আপনার এতো বোকা মনে হয়? যে নিজেরা ছবিগুলো এতোদিন নিজেদের কাছে রেখে তারপর নিজেরাই সেখানে বুদ্ধমুর্তি খুঁজে পাওয়ার ঘোষণা দিবে!
কিন্তু একজন জনপ্রিয় সচল (এখানে আরিফ জেবতিক)-কে দিয়ে বুদ্ধমুর্তির প্রসঙ্গটা তুলে ধরলে ব্যাপারটা হালে পানি পায়। আমার তো ধারণা, ফিফার ছাল গায়ে দেয়া পল্লব মোহাইমেন (অথবা রবি) আরিফ ভাইকে এই পয়েন্টটা তুলতে বলেছে। ডেইলি স্টারের ছবিটা এনলার্জ করে গোল্লা এঁকে বুদ্ধের বাক্সের রঙ দেখিয়েছে। (সত্যটা অবশ্য আরিফ ভাই জানেন।)
আর মুসার ইন্টারভিউ দেয়ার ব্যাপারে এপ্রোচের কথা বলেন? দুঃখ পেলাম আপনার মতো একজন যুক্তিবাদী মানুষের কাছে এই কথা শুনে। একটা কথার কথা বলে ব্যাপারটা পরিষ্কার করার চেষ্টা করি। নেভারেস্ট সিরিজের লেখক হিসেবে আপনি হিমুকে সাক্ষাৎকারের জন্য বলে দেখতে পারেন। ও আপনাকে সাক্ষাৎকার না-ও দিতে পারে, যতোই এ্যাপ্রোচ ভালো হোক আপনার। অথচ আমি কিন্তু চেষ্টা করলেই তার সাক্ষাৎকার নিতে পারবো, কোনো ভালো এ্যাপ্রোচ ছাড়াই। মূল ব্যাপারটা বুঝাতে পারলাম কি?
হিমু তার এই এ্যাপ্রোচেই মুসার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করতে পারতো, যদি সে সন্দেহবাদীদের দলের না হয়ে মুসার দাবির প্রতি হেলে থাকতো। (আমি বলছি না যারা মুসার সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন তারা সবাই তার দিকে হেলেই আছেন। যা বলতে চাচ্ছি, "এ্যাপ্রোচ"টা কোনো ব্যাপার না এইখানে। ব্যাপার অন্যকিছু)।
আরেকটা ব্যাপার। আইডিবি ভবনের প্রেস-কনফারেন্সের খবরের লিংকটা আমাকে একটু দিয়েন তো ভাই।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বিডিনিউজ২৪
জনকণ্ঠ
কালের কণ্ঠ
প্রথম আলো
থ্রেডটা লম্বা হয়ে যাওয়ায় নিচে জবাব দিচ্ছি।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
নিচের মন্তব্যের সাথে ডুপ্লিকেট হয়ে গেছে, মুছে দিলাম
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
সামহোয়ারের দুরন্ত স্বপ্নচারীর পোস্টে ১৯৩ নং মন্তব্যে মন্তব্যকারী (আমার দাঃরনা তিনি আইডিবির সম্মেলনের ঐ সাংবাদিকদের একজন যার কাছে মুসার ছবিগুলো আছে) বলছেন,
যেটার মানে হলো মুসা পাবলিকলি দাবী করার পাশাপাশি ছবিগুলো সাংবাদিকদের দেখিয়েছেন এবং কেন বৌদ্ধমূর্তি দেখা যাচ্ছেনা সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।
সমস্যা হলো আমরা জানতে পারিনি। মুসা যেহেতু কোন ব্লগে এসে ঘোষনা দেননি "আমি এভারেস্ট জয় করেছি, আমাকে অভিনন্দন জানাও"। কাজেই ব্লগ পরিমন্ডলে এসে জায়গায় জায়গায় প্রমাণ দেয়ার দায় তার নেই।
ছবিপ্রকাশে সাংবাদিকরা উৎসাহ দেখাননি সম্ভবতঃ প্রায় সব ছবিতেই স্পন্সর ইস্যু থাকায়। স্পন্সর টাকা না দিলে সেই ছবি প্রকাশ না করার অধিকার মুসার আছে বলে মনে করি।
আর একটা কথা, একটু হার্শ শোনালে ক্ষমা চাচ্ছি আগেই, মুসা ছবি দেখাবেন কিনা, উত্থাপিত প্রশ্নের জবাব দেবেন কিনা, সাক্ষাৎকার দেবেন কিনা -- এসব নির্ভর করতে পারে এ্যাপ্রোচের উপর। সবকিছুর একটা পথঘাট আছে। আরিফ জেবতিক তো ঠিকই সাক্ষাৎকারের অনুমতি আর ছবি যোগাড় করে ফেললেন।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আজ আরিফ ভাইয়ের পোস্টটিতে বেসিকালি নিশ্চিত হলো যে ছবিগুলো সব মুসার ক্যামেরায় ২৩শে মে তারিখে সকাল সোয়া পাঁচটার আশপাশে তোলা, এবং এসব ফ্যাব্রিকেটেড না।
মুস্তাফিজ নিশ্চিত করেছেন যে ছবিগুলো একই ক্যামেরায় তোলা।২৩শে মে তারিখে সকাল সোয়া পাঁচটার আশপাশে তোলা- এমনটা বলা কি এখনই সম্ভব?