তোতামিয়ার বিভাবনা ও একটি সালিশের গল্প

আরিফ জেবতিক এর ছবি
লিখেছেন আরিফ জেবতিক (তারিখ: শনি, ২৫/১২/২০১০ - ৩:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
তোতামিয়ার কথা নিশ্চয়ই পাঠকের স্মরণ আছে। তোতামিয়ার কাহিনী নিয়া আমি বিস্তর লিখিয়াছি, এবং সেই লিখালিখির সুবাদে তোতামিয়ার একটি ভালো ইমেজ আপনাদের কাছে দাঁড়াইয়াছে। সেই তোতামিয়া যখন হঠাৎ করিয়া পাড়ায় চুরিচামারি শুরু করিল, আমি বিশ্বাস করিলাম না। ভালো লোকের শত্রুর অভাব নাই, তাহারা এরকম গীবত গাহিয়াই থাকে।
শুরুতে শুনিলাম, তোতামিয়া পাড়ার একজনের ৪২ ইঞ্চি টেলিভিশন চুরি করিয়াছে। টেলিভিশনটি গত বিশ্বকাপ উপলক্ষে আমাদের মোতালেব ক্রয় করিয়াছিল, সেই টেলিভিশন একদিন দেখা গেল তোতামিয়ার বাড়ির শোভা বর্ধন করিতেছে।
তাহার পরে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই এই বাড়ির মুলোটা, ঐ বাড়ির কুলোটা, সেই বাড়ির থালাটা থাকিয়া শুরু করিয়া গোয়ালের ছাগল, রোদে শুকাতে দেওয়া লুঙি...ধুমধাম নাই হইতে লাগিল।

২.
সেইদিন বিকালেও যথারীতি আমি বিমলের দোকানে অতিরিক্ত চিনি দেওয়া চায়ে টোস্টবিস্কুট চুবাইয়া খাইতেছিলাম। পাড়ার যুব ও তরুণ সমাজ সেইখানে তোতামিয়ার চুরি কাহিনী নিয়া হল্লা করিতেছিল।সুযোগ পাইয়া আমিও সেইখানে ভিড়িলাম।জিজ্ঞাসিলাম, ‌'তোমরা হল্লা করিতেছ কেন? তোতামিয়াকে গিয়া চুরির ব্যাপারে আপত্তি জানাইয়া আইস।' একজন বলিল,' আমি আপত্তি করিয়াছিলাম।
তোতামিয়ার সিধঁসহযোগী এক পত্রে বলিয়াছে- আপনার রেডিওটি পছন্দ হওয়ায় নিয়াছি, নেওয়ার সময় বলিয়া নিতে চাইয়াছিলাম, কিন্তু আপনি মধ্যরাতে ঘুমাইতেছিলেন বিধায় বলিয়া নিতে পারি নাই। জানিয়া প্রীত হইবেন, ঐদিন রাতে আমরা আপনার একজোড়া জুতা আর গামছাও নিয়া আসিয়াছি। জুতা ও গামছাখানি খুবই সুন্দর, আপনার রুচির তারিফ করিতে হয়। আপনি নিয়মিত এই রকম সুন্দর সুন্দর জিনিষ ক্রয় করিবেন, এটাই কামনা। ধন্যবাদ।'
আমি চমকিত হইলাম। এতো দেখি বড় আজিব কারবার। জানিতে চাহিলাম, তোতা কি আজকাল এসিস্টেন্ট লইয়াছে নাকি? তা ঐ সিঁধ সহযোগীর নাম কি হে? '
ছেলেটি বলিল,' আপনি তাহা হইলে কিছুই জানেন না, তোতা একটি দল গঠন করিয়া মাঠে নামিয়াছে। দলের নাম- বিধ্বংসী ভাবনা, সংক্ষেপে বি-ভাবনা।তাহার সিঁধকাটি সহযোগীর নাম হেকমত।'
আমি দেখিলাম অবস্থা ক্রমেই খারাপের দিকে যাইতেছে।এই বেলা তোতামিয়া কে থামানির প্রয়োজন। তাই বিমলের দোকানের বাদবাকি সকলের সঙ্গে আলাপ করিয়া তোতার বিরুদ্ধে সালিশ ডাকিয়া বসিলাম।

৩.
মধ্যরাতে একের পর এক মিসকল পাইয়া ঘুম ভাঙ্গিল। দেখি তোতা মিয়ার মিসকল। ফোন ব্যাক করিতে হইল।
তোতা ফোন ধরিয়াই বলিল-আপনি নাকি আমার বিরুদ্ধে সালিশ ডাকিয়াছেন?
আমি বলিলাম- তো, কী করিব? চুরি করিয়া তো তুমি ঘর ভরিয়া ফেলিলে?
তোতা খানিক্ষন চুপ থাকিয়া বলিল,' সালিশে আমারর বক্তব্য দিব, পুরাটা শুনিতে হইবে, তাহারপর বিচার আচার।'
আমি বলিলাম-‌অবশ্যই শুনিব। তুমি বাদজুম্মা ক্লাবঘরের সামনে হাজির থাকিও।'

৪.
শুক্রবার ক্লাব ঘরের সামনে তিল ধারণের জায়গা নাই। সকলেই উপস্থিত হইয়াছে। তোতা মিয়াও সফেদ পাঞ্জাবি পরিয়া হাজির। সালিশ শুরু হইবার প্রাক্কালে তোতামিয়া হঠাৎই একখানি কাগজ বাহির করিয়া তাহার বক্তব্য শুরু করিল।

'হাজেরানে মজলিশ,অদ্য মনের দুইটা দুঃখের কথা না বলিয়া থাকিতে পারিতেছি না।আপনারা আমাকে চোর বলিয়া সম্ভোধন করিয়াছেন, হইা শুনিয়া যারপরনাই বিষ্মিত হইয়াছি।
আমি কি চোর? ছিঃ! একি কথা!
কথা সত্য বটে, আমি আপনাদের বাড়িঘর হইতে কিছু জিনিস সরাইয়াছি। কিন্তু কেন সরাইয়াছি, তাহা একবারও ভাবিয়া দেখিবেন না? যেমন ধরুন, মোতালেবের বাড়িতে একটি ৪২ ইঞ্চি টেলিভিশন অথচ মোতালেবের বাড়িতে টেলিভিশনটি কয়জন দেখে? এর চাইতে যদি টেলিভিশনটি যদি আমার বাড়িতে থাকে, তাহা হইলে অসুবিধা কোথায়? আমার পরিবারের লোক বেশি, তাহা হইলে টেলিভিশনটি বেশি লোকে দেখিতে পায়। তা, টেলিভিশনের কাজ কী? তাহার কাজ দেখানো। সুতরাং বেশি বেশি লোকে যদি দেখিতে পায়, তাহা হইলে টেলিভিশনের উদ্দেশ্য বেশি সফল হয়। তাছাড়া আমি কি বলিয়াছি টেলিভিশনের ইমালিক আমি? কদাপি বলি নাই। মোতালেবের টেলিভিশনটি আমি আমার বৈঠকখানায় যেখানে রাখিয়াছি, তাহার নিচেই খড়িমাটি দিয়া মোতালেবের নাম লিখিয়া রাখিয়াছি।
এই রকম যে সকল বস্তু আমি অন্যান্য বাড়ি হইতেও নিয়া আসিয়াছি, তাহার পেছনেও আপনারা ভাবিলেই সঠিক কারন দেখিতে পাইবেন। কোনো কিছুই খামোখা সরানো হয় নাই। যেমন ধরা যাক, সাত্তার মোক্তার সাহেবের বাসা হইতে যে লুঙি সরাইয়াছি, তাহা পরিয়া আমি বাজারে যাই। সকলেই এই সুন্দর লুঙি দেখিয়া মোহিত হয়। ইহা কি প্রকারান্তরে জনসেবা নহে? সাত্তার সাহেব বাসায় লুঙি পরেন, আমি বাজারে পরিয়া বেশি মানুষের চোখে আরাম দিতেছি।
আমি তো দীর্ঘদিন ধরিয়াই আপনাদের গাছের বরই, আম এগুলোও সরাইয়া আসিয়াছি।আমি তো দেশের বড় চোরদের মতো নহে যারা পুকুর চুরি করে। তাছাড়া চেষ্টা করিয়াছি যাতে আপনাদের অনুমতি নিয়াই এইগুলো সরাইতে পারি। কিন্তু আফসোস, মধ্যরাতে আপনারা ঘুমাইয়া থাকেন, অনুমতি নিবার জন্য আপনাদের ঘুম ভাঙানিকে সঠিক মনে করি না বিধায় অনুমতি লইতে পারি নাই। দুয়েকজন অবশ্য ক্ষিপ্ত হইয়া আমার বাড়ি গিয়াছেন, তাহাদের হাতে আমি রিক্সাভাড়া ধরাইয়া দিয়াছি।
কিন্তু বর্তমানে একটি অস্বস্থিকর পর্যায় শুরু হইয়াছে। আপনারা 'কী এক অজ্ঞাত কারনে' আমার উপর গোস্বা করিয়াছেন। আপনারা আমাকে চোর বলিয়াছেন। কেহ কেহ অতিরিক্ত রাগ করিয়া চোর পিটাইবার এবং পুলিশে দিবার হম্বিতম্বি করিতেছেন।
ইহা কেমন আচরন? দেশ হইতে কি সভ্যতা উঠিয়া যাইতেছে? আপনারা চোর পিটাইবেন কেন? আইন নিজের হাতে তুলিয়া নেওয়া গর্হিত অপরাধ, ইহা কি আপনাদের স্মরণ নাই?
অবস্থাদৃষ্টে মনে হইতেছে, আমি আর আমার সাঙ্গপাঙ্গরা একটি আক্রমনাত্মক জনগোষ্ঠির সঙ্গে বিরোধে জড়াইয়াছি, যাহারা চোরে ধর্মের কাহিনী না শুনিলে পিটাইয়া তাহা শুনাইতে চায়।
কিন্তু ধর্মের কাহিনী না শুনা চোরের মানবাধিকার, তাহার উপর বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার মতো নীতিকথা বাধ্যতামূলক শ্রবনের ব্যবস্থা করা অন্যায়।
আপনারা এইসব চালাইয়া গেলে, আমি কিন্তু রাগ করিয়া জিনিসপত্র সরানি বন্ধ করিয়া দিতে পারি। তাহা হইলে কে আপনাদের জিনিস সরাইবে? ভাবিয়া দেখিবেন ব্যাপারখানি আর আমাকে তোয়াজ করিয়া চলিবেন।'

৫. এক নিঃশ্বাসে কথাগুলি বলিয়া তোতা সালিশ ছাড়িয়া বাহির হইয়া গেল। লক্ষ্য করিলাম, সে ধীরে ধীরে চলিতেছে। হয়তো আশা করিতেছে, পিছন হইতে কেহ তাহাকে ডাকিয়া বলিবে, 'চোরকে চোর বলা আমাদের অন্যায় হইয়াছে। তোতা তুমি ফিরিয়া আসো, তোমার ইচ্ছামতো জিনিসপত্র সরাইতে থাকো। কানাকে কানা, খোড়াকে খোড়া না বলিবার নীতিকথা স্মরণ রাখিয়া আমরা অদ্য হইতে চোরকে চোর বলাও বাদ দিলাম।'

কিন্তু বৈঠকে এমন দয়ালু লোক কেহ উপস্থিত ছিল না। সকলেই মুচকি মুচকি হাসিয়া তোতার প্রস্থান দেখিতে লাগিল।
আমরা, বঙ্গেদেশের লোকেরা; আসলেই খারাপ লোক, মহান তোতা মিয়ার এতো সদুপদেশ শুনিয়াও চোরকে চোর বলিবার কূঅভ্যাস ত্যাগ করিতে পারিলাম না।
---------------

বি:দ্র: জনস্বার্থে এই লেখাটি যে কেউ কোনো অনুমতির তোয়াক্কা না করিয়াই যেকোনো মিডিয়ায় আংশিক কিংবা পূর্ণ কিংবা তাহার ইচ্ছামতো লিখিয়াও এবং প্রয়োজনে তাহার নিজের অথবা বেয়াইয়ের নামে প্রকাশ করিতে পারিবে এবং বাংলা সিনেমায় ' তাহারা কেন আন্তজেলা মাস্তান' অথবা 'ফিরিয়ে দাও চোরাধিকার' জাতীয় উচ্চ ডায়লগ সমৃদ্ধ স্ক্রিপ্ট হিসাবেও ব্যবহার করিতে পারিবে।


মন্তব্য

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ওরে গড়াগড়ি দিয়া হাসি
আরিফ ভাই আপনে বস গুরু গুরু
যেমন কুকুর তেমন মুগুর পোস্ট হইছে দেঁতো হাসি
[অট. মডুদের কাছে যেমন কুকুর তেমন মুগুর ইমোর দাবী জানায়া গেলাম]

____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

...অসমাপ্ত [অতিথি] এর ছবি

দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি

জাঝাময় লেখা। পুরাই সভ্যতার পথে.....

ওসিরিস এর ছবি

আমরা, বঙ্গেদেশের লোকেরা; আসলেই খারাপ লোক, মহান তোতা মিয়ার এতো সদুপদেশ শুনিয়াও চোরকে চোর বলিবার কূঅভ্যাস ত্যাগ করিতে পারিলাম না।

দেঁতো হাসি
_______________________________________________
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???

জি.এম.তানিম এর ছবি

লোকেরা খ্রাপ, খুব খ্রাপ!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

হা হা হা.... .... যথোপযুক্ত মনে হচ্ছে। আমরা আসলেই খারাপ।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এই লেখাটাও চুরি যাক।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

লেখাটি চুরি যাবার সম্ভাবনা প্রবল।

_________________________________________

সেরিওজা

অতিথি লেখক এর ছবি

ঠিকই। এমন পাংচার-ই-প্রেস্টিজ মার্কা চোর আমার জন্মেও দেখি নাই!

কুটুমবাড়ি

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

১। নীচে ডিসক্লেইমার মিস গ্যাসে।
২। এই লেখা বিচিন্তায় দেখতে চাই দেঁতো হাসি
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

জি.এম.তানিম এর ছবি

ডিস্ক্লেইমার তো থাকে যদি ঘটনা সত্য হয়, একটা কাল্পনিক তো, তাই ডিস্ক্লেইমার নাই! দেঁতো হাসি
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

ঐডাই তো
"জীবিত, মৃত বা বিচিন্তিত কারো সাথে কোনো মিল নাই" লিখবেনা! খাইছে
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ফরিদ এর ছবি

এই লেখাটি অনলাইন ও অফলাইনে বিভিন্ন স্থানে পুনঃপ্রকাশের অনুমতিসহ পেতে চাই।

সচল জাহিদ এর ছবি

তষ্করের সম্পাদকীয় কথনের সমুচিত জবাব।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সচল জাহিদ ব্লগস্পট


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অপছন্দনীয় এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

এই লেখাটার নিচে 'বৃহত্তর জনগোষ্ঠির পড়ার স্বার্থে' যেখানে খুশী পুনঃপ্রকাশের অনুমতি দিয়ে দিলে পারতেন...

অতিথি লেখক এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি


কিন্তু ধর্মের কাহিনী না শুনা চোরের মানবাধিকার, তাহার উপর বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার মতো নীতিকথা বাধ্যতামূলক শ্রবনের ব্যবস্থা করা অন্যায়।

মনে হয় না চোট্টাটা নীতিকথা শুনতে আপত্তি কর্বে। যার দুই কানই কাটা সে কিছু শুনতে আপত্তি করবেই বা কেন? চোখ টিপি

কুটুমবাড়ি

শামীম এর ছবি

খাড়ান, খোমাখাতায় লটকাইতেছি।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

দিগন্ত বাহার [অতিথি] এর ছবি

তোমরা মাস্তানের হাড্ডি, কিন্তু আব্বা, মামলা-টামলা কইরা ব্যাড়াছ্যাড়া কইরো না আবার, ট্যাকা যা লাগে নিয়োনে, বিচিন্তা পুরাডা বেইচ্চা হইলেও তোমাগর ট্যাকা মারুমনা... খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

একজন তোতামিয়া হইতে মন চাইতেছে

ধৈবত

দ্রোহী এর ছবি

শুনিলাম তোতামিয়া কুতুব মিনার চুরি করিবার বাঞ্ছা করিয়াছে!!!!!!!!


কাকস্য পরিবেদনা

অতিথি লেখক এর ছবি

অতি চমৎকার পরিকল্পনা, সাথে যদি তাজমহল্টাও চুরি করিয়া আনিতে পারিত তবে কি চমৎকারই না হইতো! আমরা সেগুলোকে বিনা পয়সায় প্রদর্শনের ব্যবস্থা করিতাম, অসংখ্য মানুষের উহা দর্শনে নয়ন জুড়াইত। জনসেবা করার নিমিত্তে এক আধটু সিঁধ না হয় কাটিয়াই থাকিবেন, তাইবলে তোতামিয়ার মতন এমন একজন মহান ব্যক্তিকে নিয়া রসিকতা, ছিঃছিঃছিঃ, আমাদের নাকে খত দেওয়া উচিৎ, আর উনার কুতুব মিনার চুরিতে সহযোগীতা করতঃ তাজমহল চুরিতে উৎসাহিত করা উচিৎ।

মাহফুজ খান

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

বেশ বেশ!

কৌস্তুভ এর ছবি

দেঁতো হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।