(অতিরিক্তমাত্রায় ১৮+ কনটেন্ট থাকায় পোস্টারটি এখানে যুক্ত করা হলো না।)
বার্কলে বলেছিলেন, দার্শনিকরা প্রথমে ধুলির ঝড় তোলেন, তারপরই অভিযোগ তুলেন যে কিছু দেখা যাচ্ছে না! বার্কলের এই উক্তির প্রাসঙ্গিকতা তৈরী হয়, যখন মুক্তির ১৩ বছর পরে 'রাঙাবউ' সিনেমার পোস্ট মডার্ন ডিসকোর্স শুরু হয় আর সেই ডিসকোর্সে একটি কাউন্টার ন্যারেটিভ তৈরীর প্রয়োজনীয়তা প্রতিভাত হয় আমাদের চলচিত্রের গতিধারা নিরূপনে। যদিও বার্কলে এখানে সরাসরি সম্পৃক্ত নন, তবু তার অস্তিত্ব ও বৈশিষ্ট্যের দ্বন্দ্ব, যা সার্ত্র এবং অন্যান্য অস্তিবাদীদের বয়ানে 'পূর্বপরিকল্পিত সংজ্ঞায়নের মাধ্যমে নিরূপন নিরর্থক' হিসেবেই পাঠ হয় আমাদের চোখে, সেই বিচারে রাঙাবউ সিনেমার পূর্ববর্তী সবগুলো আর্টিফিশিয়াল ডিসকোর্সকে খারিজ করে দেয়ার জন্য ১৩ বছর যথেষ্ট সময়। ( ফুটনোট-১)
বলা হয়ে থাকে যে মোহাম্মদ হোসেনের রাঙাবউ সিনেমাটি বাংলা চলচিত্রকে অশ্লীলায়নের প্রথম মাইলফলক।
কিন্তু এই অশ্লীলায়নের সরলরৈখিক ডিসকোর্সের বাইরে বেরিয়ে যদি রাঙাবউ সিনেমার রাজনৈতিক অংশটুকু আমাদের ইতিহাসের ডিসকার্সিভ ভিন্নপাঠে প্রণীত না হয়, তাহলে ১৩ বছর পরেও এই সিনেমার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনুধাবনে এই ভূখন্ডের নিম্নবর্গীয়রা ব্যর্থ হবে।
বিশ্বযুদ্ধোত্তর বাংলা সিনেমার নারীদের উপস্থাপনের যে একরৈখিক দৃশ্যপট, তার বাইরে এসে ডিরেক্টরের রাঙাবউ আমাদের এই ভূখন্ডের রাজনীতি, ইতিহাস, সমাজচিত্র এবং বিশেষ করে লৈঙ্গিক বৈষম্য তথা পুরুষতান্ত্রিক আচরনের যে অনন্য দৃশ্যায়ন, তার দিকে নজর দেওয়ার জন্য পোস্ট মর্ডার্ণ সমালোচকদের এখুনি সক্রিয় হয়ে উঠা সময়ের দাবি।
বাংলা সিনেমায় নারীকে উপস্থাপনের যে ধারা ছিল, তার সহজতম ও বাক্যিক বয়ান হচ্ছে 'কখনো বা ডার্লিং, কখনো বা জননী, কখনো বা স্নেহময়ী সিস্টার।' ( সূত্র: দীপ জ্বেলে যাই, সুচিত্রা সেন অভিনীত)
এর বাইরে এসে মোহাম্মদ হোসেন প্রথমবারের মতো নারীকে যৌনতার উপকরণ হিসেবে দর্শকদের সামনে হাজির করার প্রয়াস নেন, যা এই উষর ভূমিতে পোস্ট মডার্ণিজমের চূড়ান্ত ও সাহসী বিক্ষেপ। নারীকে যৌনতার উপকরণ হিসেবেই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এক ধরনের কঠিন ও স্থবির ভয় নারীদের মাঝে বপনের সেই আদিম প্রবণতা থেকেই বাংলা সিনেমার পূর্ববর্তী সবগুলো সিনেমা নির্মিত হয়েছে। কিন্তু মোহাম্মদ হোসেন প্রথমবারের মতো সাদামাটা ভাবে নারীকে নিছকই যৌনতা দিয়ে দেখতে ও দেখাতে চেয়েছেন, এ জন্য তার দৃশ্যায়ন সাহসী, তিনি প্রতিবার গড়ে কুড়ি মিনিট করে শয্যাদৃশ্য দেখিয়েছেন যেখানে নারী তার দেহ দিয়ে সমর্পিত কিন্তু ' দেহ পাবি, মন পাবি না' -র মতো সংলাপ দিয়ে মর্ষকামী পৌরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে তার জেহাদ অব্যাহত রেখেছে।
এই অংশে এসে নিম্নবর্গীয় দর্শকদের ( যেহেতু এলিট সমাজ এসব হলে যায় না) প্রবল শিষ সিনেমা হলে শিৎকার ধ্বনীর মতো প্রবাহিত হওয়ায় এ কথা স্পষ্ট হয়ে উঠে যে মেল মর্ষকামীতার একটি চিন্তাধারার আসলে শ্রেনীমুক্তি ঘটেছে, সেখানে ঋতুপর্ণার উদোম দেহ প্রদর্শনে এলিট ও নিম্নবর্গীয়, উভয় শ্রেনীই কামাতুর হয়ে উঠে। এই যে যৌনতার মাধ্যমে শ্রেনী বৈষম্যকে একটা বিন্দুতে এনে মিলিয়ে দেওয়া, এটি পোস্ট মডার্ণ যুগে মোহাম্মদ হোসেনের আগে আর কোনো পরিচালক করতে পারেন নি। ইতালির টিন্টো ব্রাস এ ধরনের কয়েকটি চেষ্টা নিলেও, মোহাম্মদ হোসেনের প্রয়াসের কাছে সেগুলোকে নাকচ করে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। (ফুটনোট-৩)
রাঙাবউ সিনেমার পলিটিকাল ও সোশ্যাল পটভূমি পাঠে আমাদের সমালোচকরা বারংবার ব্যর্থ হয়েছেন। যার কারনে এই সিনেমাটিকে আমি সময়ের আগের সিনেমা বলে অভিহিত করতে চাই।
'sleeping with enemy' সিনেমাটি থেকে হিন্দীতে অনেকগুলো ছবি নির্মিত হয়েছে এবং সেগুলোর দুর্বল অনুকরনে মোহাম্মদ হোসেন তৈরী করেছেন রাঙাবউ। সিনেমাটিকে নকল বলা এই বিশ্বায়নের বিচিন্তিত যুগে সম্ভব নয়, কারন মেধাসত্ত্বের নকলইজম আদতে একটি আপেক্ষিক বিষয়। মেধাসত্ত্ব আদতে মানবজাতির সামষ্টিক অর্জনের ফল, সুতরাং 'sleeping with enemy' র বাংলা অনুবাদ ' শত্রুর সঙ্গে সহবাস' না করে সিনেমাটির নামকরন 'রাঙাবউ' করার মাধ্যমে বিশ্বায়নে বাংলা সংস্কৃতির আত্মীকরণের বিষয়টি সামনে চলে আসে। আন্তর্জাতিকরণের এই প্রয়াসের বাইরেও 'রাঙাবউ' আদতে এই উপমহাদেশের ছবি, কোনো উগ্র জাতীয়তাবাদী চেতনা দিয়ে তাকে ঢালিউডের সিনেমা বলাটা এলিট শ্রেনীর 'আমিত্ব'কে প্রকট করে তোলা ছাড়া এই ডিসকোর্সে নতুন কোনো এলিমেন্ট যুক্ত করবে না।
পরিচালক ববিতা-কবিতা-সবিতা কে বাদ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঋতুপর্ণাকে এই সিনেমায় কাস্ট করার পেছনে ঋতুপর্ণার দেহ প্রদর্শনকামিতাকে যারা মূল কারন ভাবছেন, তাদেরকে কাউন্টার ন্যারেটিভ পাঠ পড়তে আহ্বান জানাই।
পশ্চিমবঙ্গের নায়িকাকে কাস্ট করার মাধ্যমে ১৯ শতকের বাঙালিত্বের দীর্ঘ বিতর্ক, বঙ্গভঙ্গের মাধ্যমে দুই বাংলার সাংস্কৃতিক স্রোতধারার ভিন্নতা সৃষ্টি এবং বাঙালি মুসলমানদের যে হীনমন্যতার একটি বয়ানিক পাঠ আছে, সেটিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন পরিচালক। বাঙালি মুসলমান এখন শুধু পাসিং শট দেয় না বরং পশ্চিমবঙ্গ থেকে নায়িকা ভাড়া করে আনে, এর মাঝে বাংলাদেশী বাঙালি, যা আদতে বাঙালি মুসলমানদের রাজনৈতিক একটি খণ্ড পরিচয়মাত্র, তাকে গ্লোরিফাই করার ব্যাপার আছে। সাদাচোখে এটিকে উগ্র জাতীয়তাবাদী চিন্তা হিসেবে দেখা হলেও, পশ্চিমবঙ্গের নায়িকা হায়ার করার মাধ্যমে আসলে দুই বাংলার আত্মীকরনের প্রশ্নটিও সামনে চলে আসে।
তাছাড়া নায়িকার নামের মাঝে 'ঋতুচক্র' এবং 'পর্ণ', এই দুই শব্দের উপস্থিতি পরিচালককে এই নায়িকা নির্বাচনে প্রভাবিত করেছে বলেও কাউন্টার ন্যারেশন তৈরির সুযোগ হয়। 'পর্নো' একটি জনপ্রিয় পূঁজিবাদী মাধ্যম, অন্যদিকে আমাদের রয়েছে কয়েক হাজার বছরের কামসূত্রের মতো নিজস্ব ও স্বকীয় আত্মপরিচয়, এই দুইয়ের সম্মিলন আসলে জাতীয়তাবাদের বিস্তারের বাইরে দাঁড়িয়ে নতুন যে পরিচয়ের সন্ধান দেয়, তা মানবতাবাদী শান্তিবাদের সঙ্গেই বরং সম্পর্ক তৈরি করে। অন্যদিকে এই সিনেমার নায়ক হিসেবে 'আমিন খান' কে কাস্ট করার পেছনেও একাধিক কারন বিদ্যমান।
'আমিন' শব্দটি বাঙালি মুসলমানের আত্মপরিচয়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, এর সঙ্গে পাকিস্তানের 'খান সেনা' থেকে 'খান' পদবির যুক্তকরণ প্রাক ৪৭ যুগের আত্মনুসন্ধানেরত দুইটি বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ডের মুসলমানদের ৪৭ পরবর্তী দুইযুগের 'ভাতৃবন্ধনে'র ইতিহাসকে আমাদের চোখের সামনে হাজির করে।
( চলবে..)
মন্তব্য
পোস্টার না দেখে কিছু বলা যাচ্ছে না ব্রো।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পোস্ট মর্ডানোত্তর যুগে ( মডার্ণইজমের থ্রিজি ভার্সন) যেখানে মুভির নাম শুনেই রিভিউ লেখা সম্ভব, সেখানে পোস্টার ছাড়া কমেন্ট করতে না পারাটা আদতে একটা পশ্চাৎপদতার ইঙিতবাহী অবস্থান, যা রিপুজাত তাড়নায় মানবের স্থিতি ও অবস্থানপন্থি এবং ডিসকোর্সের বাইরের একটি বিষয়।
আপনি যদি পাঠ্যপুস্তকের পাতায় বন্দি উনিশ শতকীয় ধ্যান ধারনায় এখনও সীমাবদ্ধ থাকেন, তাহলে এই উত্তরাধুনিক মুভি সমালোচনা আপনার পাঠ অযোগ্য।
কমেন্ট লাইক দেওয়ার অপশনটি আশু(আশরাফুল না) ফিরিয়ে আনা আবশ্যক।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
জনগণের মধ্যে জেগে ওঠা আগুন কি আর মডার্নইজমের থ্রি জি মনোক্সাইডে নিভে ব্রো?
পোস্টার দিলেন না তো কী হইছে, পুরা সিনেমাই পাইয়ালাইছি। দেখাও শুরু করছি ঋতুপর্ণার নাম নিয়া। দোয়া রাইখেন, য্যান বাঁইচা ফিরতে পারি!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কান ধরছেন কেন?
এটা অবশ্য লৈঙ্গিক বৈষম্য তৈরি করে না, যেহেতু নারী ও পুরুষ, উভয়েরই এই অঙ্গটি সমান সংখ্যায় আছে, তবু কানধরা আসলে মর্ষকামী পুরুষতান্ত্রিকতা, যেখানে কর্তৃত্বপরায়নতা বিবৃত হওয়ার অবচেতনতা প্রকাশিত হয়।
বস, আপনেও ডিসকোর্স ফলাইলেই!
আপনার কাউন্টার ন্যারেটিভ ভাইবেরাদারদের একটু ট্যাগ করে দিতেন। তারা এসে আপনাকে পিঠ চাপড়ানি দিয়ে যেত।
পিঠ চাপড়ানি কিন্তু পুরুষতান্ত্রিকতা। নারীরা নারীদের পিঠ চাপড়ায় না, পুরুষেরা চাপড়ায়। এখানে এই আচরনের মাধ্যমে একটা এলিটিজম প্রকাশিত হয়, কারন অনুমোদনের কর্তৃত্ব নিয়ে সংশয়বাদীতা নিরসনে এই পিঠ চাপড়ানি একটি প্রতীকি ইঙিত হয়ে দেখা দেয়।
হেড কের্দানের সাথে আমি সহমত। পোস্টার ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছে না।
জলদি শেষ করেন। জলদি শেষ করেন। জলদি শেষ করেন।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
হা হা হা...
প্রতি প্যারায় প্যারায় আমোদ
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আর প্রতি পাড়ায় পাড়ায় বিশেষজ্ঞ।
এধারার পোস্টমর্ডান একটি আলোচনা সাবঅল্টার্ন দৃষ্টিভঙ্গীতে দেখতে গেলে নতুন করে যে কাউন্টার ন্যারেশনের দরকার পরে তার জন্য ডিকন্সট্রাকশনের দিকে গেলে ধূগোদার ভাষায় বলা যায়
পোস্টার না দেখে কিছু বলা যাচ্ছে না ব্রো
উত্তর নং ১ দ্রষ্টব্য।
সিরিয়াস জিনিস মনে করসিলাম প্রথমে। কঠিন!!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
এখন কি সিরিয়াস মনে করছেন না?
সেক্ষেত্রে আপনার পঠনটি থ্রিজি পোস্ট মর্ডান হয়ে উঠেনি, আপনি এখনও সেই মধ্যযুগীয় পাঠ্যপুস্তকে ঘুরপাক খাচ্ছেন।
ধূগোদা যেমন বললেন, পোস্টারটা না দেওয়ায় পোস্টের সিরিয়াসনেসটা আসে নাই।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
আপনারা কেউই ছাইড়া দিলেন না শেষ পর্যন্ত
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমি ভাই প্রস্তর যুগের লোক ... বুঝতে একটু দেরি হইছে ... মাগার যখন বুঝত পারছি ... ইয়া আল্লাহ, কী কমু, পুরাই হাহাপগে ...
আপনেরে ফাস্তারা ... ...
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
আহা কী দিন ছিল...কলেজে পড়তাম তখন!
জনকন্ঠ না ভোরের কাগজে সকাল বেলা রগরগে রিভিউ দলবেধেঁ পড়া হল...দুপুরে পুরা কলেজ খালি! জোনাকি সিনেমা হলের পুরা দোতালা নটরডেমের পুলাপাইন...পড়াশুনার গ্রান্ড ন্যারেটিভের বাইরে ব্যাপক ডিস্কোর্স ছিল রাঙাবউ আর ঋতুপর্ণা! (খারাপ পুলাপাইন কয়, কারো কারো নাকি হলেই হাত ব্যথা শুরু হইছিল!)
মোহম্মদ হোসেনের সেই ডিস্কোর্সের কারণেই না আমরা ময়ূরী-মুনমুন দের মত কালজয়ী বিশ্ব-আবেদনময়ী গ্রেট আর্টিস্ট পাইলাম... ফায়ার-কাটপিস এইসব মহান সৃষ্টিকর্ম আমাদের অধরাই থেকে যেত না হলে...
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
হোহোহোহোহোহোহোহো...
আরিফ ভাইরে অনায়াসে একটা পেচডি দিয়ে দেয়া যায় এই পোস্টের পর।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
হাহাহাহাহাহাহাহাহাহা
বিনির্মান রিকনসি... এগুলো একটু কম এসেছে। আগামী পর্বে থাকবে আশা করি। এগুলো না হলে রিভিউ পড়তে ভালো পাইনা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
বিনির্মান অংশটুকুর জন্য দামাদামি চলতেছে। পেমেন্ট ভালো হইলে ঐগুলাও আলোচনায় যুক্ত করে দেওয়া হবে।
ম্রাত্মক লিখছেন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
জটিলস্য
চলবে বই কি
রাঙা বউ এর পরে আরেক কাল জয়ী ছবি ফায়ার নিয়ে কি আরেকটা প্যারালাল ন্যারেটিভ ডিসকোর্স আসবে?
অনন্ত
সাধু সাধু!
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
বেশশি জোস, বিশেষ করে ঋতুপর্ণা আর আমিন খানের নামের ব্যুৎপত্তিক বিশ্লেষনটা
ধৈবত
হে হে!
শেষ দৃশ্যের আধা ঘন্টা ব্যাংকক টু ঢাকা প্লেনে মারামারির সাথে ব্লগের ভার্চুয়াল গুন্ডাদের সম্পর্ক আগামি পর্বে পাবো, এমন আশা করছি
সিরাম
আরিফ ভাই, ছবিটা না দেখলেও আপনার খসড়া রিভিউটা ভালো লাগলো। আমার আবার ইদানিং মুজরা দেখার কিঞ্চিৎ খ্বায়েশ দেখা দিয়েছে। তবে সময় ও সুযোগ পেলে ছবিটা দেখবো। অনলাইন লিংক থাকলে দিয়েন প্লিজ।
ঢাকাই বাংলা ছবিতে নগ্নতা বা যৌনতা গত দশক ধরে প্রকট আকার ধারণ করেছে। শুনেছি সিনেমাহলগুলোতে নাকি সেন্সর বোর্ডের বাদ দেওয়া দৃশ্যগুলোও নাকি দেখায়। আমাদের ছোটবেলায় অলিভিয়া-ওয়াসিমের শয্যাদৃশ্য নিয়েই তুলকালাম কান্ড দেখেছিলাম। পরে (সম্ভবতঃ, নিশ্চিত হতে পারছিনা) জিপসি সর্দার ছবিতে ওয়াসিম পিছন থেকে রোজিনাকে তার বুকে হাত রেছে জড়িয়ে ধরলো আর রোজিনা ওয়াসিমের হাতের উপরে নিজের হাত দুটো চাপা দিলো .................. সবকিছুর একটা সীমা ছিলো। পরে অবশ্য উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আসলো চম্পার বাথরুমে ইলিয়াস কাঞ্চনের পিপিং হোল। এর পাশাপাশি কমল সরকারের ৮ ব্যারেলের বন্দুকের কথা না বললেই নয়। আমার কালেকশনে যে কোনওভাবে ঢাকাই ছবির কিছু সেন্সরড গানের ভিডিও চলে এসেছে যা দিতে পারলাম না, মডারেশন পেরোবে না। অবিশ্বাস্য যে এসবও হচ্ছে এখানে। আমিন খান, অমিত হাসান, এরাও আছে সেইসব গানে।
'আমিন খান' নিয়ে আমার বক্তব্য নেই যদি খান পদবিটা আমিনের পৈত্রিক পদবি হয়। খান পদবীর আদি উৎস আমার জানা নেই তবে এটা আমাদের উপমহাদেশের একটা বহুলব্যবহৃত পদবি। তবে মুম্বাই বা পাকিস্তানী ক্রেজ জুড়তে যদি আমিন তার পৈত্রিক পদবি বিসর্জন দিয়ে খান সাজে, তবেই গড়বড়। যদি খান পদবিকে খান-সেনার সাথে লিংক করেন তবে 'ভাতৃবন্ধন' থেকেও বিষয়টা কনট্রাডিকটরি হয়ে যায়। 'আমিন' শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে বিশ্বাসী আর খান-সেনার খানকে কোনমতেই বিশ্বাসীর তকমা দেয়া যায় না। সেই পয়েন্ট অব ভিউ থেকে আমিন খান হচ্ছে একটা সেল্ফ কনট্রাডিকটরি নাম।
অনেক বছর পর এমন বন্ধু আর কে আছে, গানটা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। জোস্ একটা গান!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
http://www.youtube.com/watch?v=KjB9qrjupxs
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এই সব বস লোকগুলো এত অনিয়মিত লেখে কেন??
নতুন মন্তব্য করুন