আওয়ামীলীগকে কখনোই জনতা ডুবায় না, আওয়ামী লীগকে ডুবায় তাঁর অন্ধ সমর্থকদের মাত্রাতিরিক্ত ভক্তির আত্মঘাত। গতকাল এটর্নি জেনারেল বলেছেন, নোবেল পুরস্কার আসলে শেখ হাসিনা এবং সন্তু লারমার পাওয়া উচিত ছিল। এ কথার ভালো মানে করা যায়। দীর্ঘদিনের পার্বত্য চট্টগ্রামের সহিংসতা বন্ধ করে বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরকে শান্তিচুক্তির মধ্যে নিয়ে আসার জন্য শেখ হাসিনা এবং সন্তু লারমাও নোবেল পেতেই পারেন। বারাক ওবামা 'শান্তি আনতে পারে' এরকম আশা থেকে যদি নোবেল পেতে পারে, তাহলে নোবেল পাওয়ার দাবিদার যে কেউই হতে পারে দুনিয়ায়, আশ্চর্যের কিছু নেই। অহিংস নীতির গান্ধী নোবেল পুরস্কার পাননি, কিন্তু ব্যাংকার ইউনূস পেয়েছেন, উপমহাদেশে শান্তিবাদী নোবেলে এটাও একটা বড় প্রশ্ন হতে পারে। শেখ হাসিনা নোবেল পেলে আমারও ভালো লাগবে, এমনকি স্বয়ং এটর্নি জেনারেল মহাশয়ও যদি একটা নোবেল নিয়ে আসেন, তাতেও আমার আনন্দ লাগবে। নোবেল বেশি পাওয়ায় ক্ষতি তো কিছু নেই।
কিন্তু এটর্নি জেনারেলের এই কথাটি হয়েছে আত্মঘাতি। তিনি এমন এক সময়ে কথাটি বলেছেন, যখন রাজনৈতিক বিতর্কে উঠে এসেছে যে ইউনূসকে হয়রানি করার জন্যই সরকার গ্রামীন ব্যাংকের এমডি পদ থেকে অপসারণ করেছে। রাজনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে এটি আওয়ামী লীগের একটি সাহসী পদক্ষেপ। ভবিষ্যতে ওয়ান ইলেভেন জাতীয় বিপর্যয়ের যদি পুনরাবৃত্তি ঘটে, তাহলে এই ইউনূস হয়ে উঠবেন রেসের ঘোড়া। সেই ঘোড়ার ঠ্যাং যদি আগেই ভেঙ্গে রাখা যায়, তাহলে সেটা আওয়ামী লীগের দূরদর্শিতা।
ইউনূসের এই বিপর্যয়ে ক্ষুদ্রঋণ বিরোধীদের আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই। ক্ষুদ্রঋণের ধারণাটি ইউনূসের মাথা থেকে বের হলেও এটি বাস্তবায়ন করে গ্রামীন ব্যাংক। ইউনূস না থাকলেও গ্রামীন ব্যাংক, আশা, ব্র্যাক এর মতো ক্ষুদ্রঋণের বড় ব্যবসায়ীরা বিরাজিতই থাকবেন, সুতরাং দারিদ্রসীমার ঊর্ধে উঠার চেষ্টায় প্রাণান্ত পরিশ্রম করা নারীদের জন্য নতুন কোনো সুখবর নেই।
লড়াইটা স্পষ্টই রাজনৈতিক, নীতিগত কোনো লড়াই নয়।
লড়াইটা যখনই রাজনৈতিক, তখন সরকার বনাম গ্রামীন ব্যাংকের লড়াইটা এখন ধীরে ধীরে শেখ হাসিনা বনাম ইউনূসের দিকে ঝুকছে। সেই কাজটি বেখেয়ালে তারাই করে দিচ্ছেন যারা নিজেদেরকে আওয়ামী লীগের শুভানুধ্যায়ী হিসেবে ভাবেন। এতে করে ইউনূসের ভাবমূর্তির জন্য ভালোই হচ্ছে।
একথা খেয়াল রাখতে হবে যে মধ্যবিত্তের মাঝে ইউনূসের একটা গ্রহনযোগ্যতা আছে, বিদেশী শক্তি বিশেষ করে মার্কিনীদের কাছে ইউনূসের গ্রহনযোগ্যতা প্রশ্নাতীত। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটন ইউনূসের ব্যক্তিগত বন্ধু। এসময় এসে ইউনূসের 'সুদখোর' ইমেজকে পেছনে ফেলে তার 'নির্যাতিত' ইমেজটি তৈরি হলে ইউনূস ভাবমূর্তির দিক দিয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠবেন।
বিএনপির ইমেজটা তৈরি হয়েছিল জিয়ার ভাঙা সুটকেস আর খালেদা জিয়ার আপোষহীনতার জন্য। এ দুটোই এখন বিপদে আছে। জিয়াপুত্র একাই তছনছ করে দিয়েছেন বিএনপির ভাবমূর্তির দুই শক্তিশালী খুটি। তিনি চিহ্নিত হয়েছেন দুর্নীতিবাজ হিসেবে এবং একই সঙ্গে তাঁর প্রতি খালেদা জিয়ার মাতৃস্নেহ, খালেদাকে আপোষহীনতার ইমেজ থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
অথচ দেশে আওয়ামীলীগ বিরোধী ভোটের একটি বড় শক্তি আছে। এর সঙ্গে যদি পশ্চিমা সমর্থন আর মধ্যবিত্তের মাঝের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগানো যায়, তাহলে আওয়ামী বিরোধী শক্তির কাছে ইউনূস হয়ে উঠতে পারেন প্রথম পছন্দ।
ইউনূসকে শেখ হাসিনার সমান্তরালে প্রতিপক্ষ বানানো তাই আওয়ামী লীগের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। ইউনূস প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু পরিবারের মাত্রাতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানো নিষ্প্রোয়জন।
আর সবচাইতে বড় প্রয়োজন আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী সমর্থকদের তেল বোয়ামটার মুখে ছিপি এটে দেওয়া।
এটর্নি জেনারেলের মন্তব্যের পর ফেসবুকে এর যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখছি স্ট্যাটাস আর ওয়ালে ওয়ালে, এতে করেই বুঝা যাচ্ছে মানুষ এই মন্তব্যকে ভালো চোখে নিচ্ছে না। গতকালের সুদখোর ইউনূস আজকেই শেখ হাসিনার জিঘাংসার শিকার ইউনূসে পরিণত হয়েছেন অনেকের চোখে।
এটর্নি জেনারেল সাহেবের মতো লোকেরা যদি এখন এই তেল দেওয়া বন্ধ না করে বালতি আর বোয়ামের পরিবর্তে তেলের ড্রাম নিয়ে রাস্তায় ঢালেন, তাহলে সেই পথ শেখ হাসিনার জন্য ভবিষ্যতে পিচ্ছিল ঠেকতেই পারে।
মন্তব্য
সহমত
সবই বুঝলাম। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যে এই তেল পেতে প্রায় সকলেই ভালু পান। আওয়ামীলীগের কি হলো বা না হলো তাতে আমার বিন্দুমাত্র মাথাব্যাথা নেই। কিন্তু মনে হচ্ছে অদূরভবিষ্যতে ইউনুস বাংলাদেশের রাজনৈতিক মেরুকরণে শক্তিশালী রোল প্লে করবেন।
আটঃ যদি অদুরভবিষ্যতে আমার রাজনীতিতে নামার খায়েশ হয়, আমি সিওর ইউনুস সাহেবকে তেল দেবো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ব্যাপারটা যে গ্রামীণব্যাংক বনাম সরকার নয়, ইউনুস বনাম হাসিনা, এটা তো দিবালোকের মতো পরিষ্কার। তবু সেটাকে আরো আলোকিত করার জন্য স্বয়ং হাসিনাপুত্র জয় এগিয়ে এসেছে। গত দুদিন ধরে দেশী বিদেশী মিডিয়ার কাছে যেসব কথাবার্তা বলেছে, পড়ে লজ্জাই লেগেছে। এখন যুক্ত হলেন এটর্নি জেনারেল। আরো অনেকে লাইনে আছেন বাঘাবাড়ীর ঘি নিয়ে। দেখা যাক, কোথায় নিয়ে যায়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ইউনুসের পক্ষে ছিঃভিল সোসাইটি আর তার বিরোধী বরবাদকেও এক লাইনে দেখছি ! লাইনে জামাত -বিম্পি বুজিদের (যেমন এমাজউদ্দিন,ড. মাহবুব উল্লাহ )যেমন দেখছি তেমনি দেখছি 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী' ডঃ জাফর ইকবালকেও । মারহাবা ! আমিও "নোবিল পেয়ে এনআর্বি, ছিঃভিল সোসাইটি আর বিদেশীদের প্রিয়পাত্র হতে চাই" (সৌজন্যে হাসিব)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
"মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী" কথাটা ইনভার্টেড কমার মধ্যে রাখলেন কেন? আপনি কি এ ব্যপারে একমত না?
ঘিয়ের দাম বেড়ে যাবে মনে হচ্ছে।
ভালু লাগল ।
আবার আগে বলেছেন-
কেমনে কি ? আমার পাঠেও ভুল হতে পারে প্লিজ ক্লিয়ার করুন ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে ইউনূসকে দুর্বল করা সম্ভব, এসব করার পদ্ধতি পলিটিশিয়ানদের জানাই আছে। 'ভাই, বাংলাদেশ ব্যাংকের আইন, আইন সবার জন্য সমান, আমাদের কিছু করার নেই', এটা বলে মুখরক্ষা করা যায়।
কিন্তু শেখ হাসিনা এবং জয় যখন উদ্যোগী হয়ে মুখ খুলেন, তখন আওয়ামী লীগ সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে, যেটি ইউনূসের জন্য ভালো হয়।
বুঝেছি ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ইউনুস সুবিধাবাদী মানুষ, রাজনীতি সুবিধাবাদীদের জন্য না। তারে যদি গালিচা বিছায়ে ক্ষমতায় ডাকা হয় আমার ধারণা একমাত্র তখনই সে আসবে। মাঝখান দিয়ে 'সুশীল' শব্দটা গালি হয়ে যায়
একমত।
তৈলুর রহমান রাষ্ট্রপতি পুরষ্কারের যে দৃষ্টান্ত রেখেছেন, তাতে রাস্তা পিচ্ছিল হবেই।
কথা সত্য
...........................
Every Picture Tells a Story
আওয়ামীলীগকে কখনোই জনতা ডুবায় না, আওয়ামী লীগকে ডুবায় তাঁর অন্ধ সমর্থকদের মাত্রাতিরিক্ত ভক্তির আত্মঘাত।
এখনো আওয়ামী লীগ এটা না বুঝলে .....
আপনি সমঝদার! রাজনীতি বোঝেন...দেশেরটাও বিদেশেরটাও...
আসলে রেসের ঘোড়ার ঠ্যাং ভাঙা হচ্ছে... একটু হাউকাউ হবে...ফেইসবুক বিপ্লব ঠেকাতে হবে তো...
তবে ইউনুস নিয়ে আলোচনা অন্ধকারে পাঠিয়ে দিতে লাগবে আরেকটা তুলকালাম ঘটনা...আসিতেছে...ভুলতে বাঙালির বেশি সময় লাগে না...
খালেদার বাড়ি গেল ক্যান্টনমেন্টের ... কে আর সেটা নিয়ে আফসোস করে...
ইউনুসকে একটা সাবজেক্ট হিসেবে বিম্পি ব্যবহার করবে... তারে নেতা মানলে বিম্পি থাকে না...ভাইয়া এগুলা ভালো বুঝে...
জয়রাজ যে আলোচনা সামনে আনছে তা ষড়যন্ত্র টের পাইয়াই আনছে... গদিতে বসার আগে যদি গদির স্বপ্ন হাওয়া হয়ে যায় তো একটু হাউকাউ করতে হবে তো...
তবে আপনার আওয়ামী প্রেম দেখে মনে কষ্ট পাইলাম। সবাই যদি লীগরে বুদ্ধি দিয়া সহায়তা করেন তবে ইউনুসরে মাস্কাথ কি একা বাঁচাইয়া রাখবো?
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
এটা কি বললেন বড় ভাই ! ইউনুসের পক্ষের তো আরো অনেককেই দেখছি । কি হাছা কইলাম না মিছা কইলাম ?
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ইউনূসকে হিলারির ফোন, যুক্তরাষ্ট্র পাশে আছে
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
আওয়ামীলীগকে কখনোই জনতা ডুবায় না, আওয়ামী লীগকে ডুবায় তাঁর অন্ধ সমর্থকদের মাত্রাতিরিক্ত ভক্তির আত্মঘাত।
এটা আওয়ামিলীগ কখনোই বোঝেনাই। ৭০ দশকেও নয় এই সময়েও নয়।
এই এটর্নি জেনারেলদের মত কিছু ঘি'বাজদের জন্যই এদের ভারাডুবি হয়েছে বারংবার।
এটা যে এরা কবে বুঝবে!!
লেখার সাথে সহমত জানিয়ে গেলাম।
বন্দনা
সহমতের জন্য ধন্যবাদ।
এটর্নি জেনারেল এইটা বললেও তো পারতো, এটা বরংচ অনেক গ্রহনযোগ্য কথা।
আসলে তেল মারার সময় ডিরেক্ট প্রফিট ছাড়া অন্য কাউরে চোখে পড়ে না।
--
কালো ও সাদা
হ, গান্ধীর সঙ্গে শেখ হাসিনার তুলনাটা করলে ভালো হতো।
কিন্তু শেখ হাসিনার আবার পুরস্কার প্রীতি আছে, তিনি অখ্যাত মাদার তেরেসা পুরস্কার আনার জন্যও কলকাতা গিয়েছিলেন।
আরিফ ভাই
শেখ হাসিনা'র মাদার তেরেসা পুরষ্কার আনার কলকাতা সফর বাঙ্গালাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের জন্য গুরুত্ত্বপুর্ণ। বাংলাদেশে দশ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের পর শেখ হাসিনা এই পুরষ্কার আনতে ভারত গিয়েছিলেন। কিন্তু ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং র'এর হেডকোয়ার্টার্সে উনি এত বেশী ব্যস্ত ছিলেন যে, জীবনে প্থথম বারের মত শেখ হাসিনা নিজে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন নি।
আপনার লেখার সাথে সহমত, লীগকে ডুবায় চাটুকারেরা যাদের বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন চাটার দল।
ইউনূসকে গ্রামীন ব্যাংক থেকে অপসারণ করে এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা করে যদি আওয়ামী লীগ ভেবে থাকে যে ওনা পা ভাংগা গেছে তাহলে ওদের আহাম্মক বলতে হবে। আরেকটা ১/১১ আসলে ইউনূস স্বপদে বহাল হবেন, সব মামলা থেকে খালাস পাবেন, সমস্ত লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা আসবে, আর ভদ্রলোকের এক কথার মত ১৩ বছর করে জেলও হতে পারে।
আরেকটা ১/১১ প্রতিহত করার উপায় হচ্ছে দেশে সুশাসন আনা, ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রণ করা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা, যতদূর সম্ভব নির্বাচনী ইস্তেহারের বাস্তবায়ন ঘটানো।
হাসিনা ইউনূসকে সুদখোর বলা শুরু করেছেন ওনার নোবেল বিজয়ের পর থেকে, এর আগের ২৩ বছর হাসিনার নজরে আসেনি সেটা। চৌদ্দ বছর আগে শেখ হাসিনা বলেছিলেন...
পুরো লেখা এখানে পাবেন।
যেটা ঘটছে এটা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দুর্বল করার জন্য হচ্ছে না, ব্যক্তি ইউনূসের বিরুদ্ধে হাসিনার ব্যক্তিগত রাগের বহিঃপ্রকাশ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এখানে একটা ব্যাপার আছে। অরাজনৈতিক সরকার শুরুই করে ফেরেশতা ইমেজ দিয়ে। সামরিক শাসকরা নিজেদেরকে সৎ দেখিয়ে যাত্রা শুরু করেন এবং জনপ্রিয়তা পেতে চান।
সেক্ষেত্রে ইউনূসের চরিত্রে যদি কালিমা লাগানো থাকে, তাহলে তাঁকে দিয়ে কাজ চলবে না, বেটার অপশন খুঁজতে হবে।
ইউনূস তাঁর গোল্ডেন চান্স মিস করেছেন ১/১১ এর পরেই।
-
নোবেল পুরস্কার বিজয়ের পরে নয়, বরং ইউনূস রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার পরেই শেখ হাসিনা তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া শুরু করেছেন।
আমার সেটা মনে হয় না। ইউনূস সাহেবের বয়স ৭০, রাজনীতি জীবনেও করেন নি। শুধু উর্দিওয়ালা আর মাওলাদের জোরে রাজনীতি করে উনি হাসিনার প্রতিপক্ষ হতে পারবেন না, এটা হাসিনা বুঝেন নিশ্চয়। ইউনূস সাহেবও বুদ্ধিমান মানুষ উনি এগুলো বুঝেই তিন মাসের মাথায় সরে গিয়েছেন।
কালিমা লেপন করতে চাইলে গ্রামীন ব্যাঙ্কের সুদের হার আর বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে বলা উচিত ছিল। ওনাকে বলপূর্বক অপসারণ করে উনার জনপ্রিয়তাই বাড়িয়েছেন হাসিনা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মাথা পরিস্কার করে দেয়ার মত এইরাম একখান লেখার দরকার ছিল। সাথে সোহেইল মতাহির চৌধুরির মন্তব্যেও ঝাঝা।
তবে মজা করার সুযোগ ছাড়তে ইচ্ছে করতেছে না। এটর্নি জেনারেল আরো কয়েকটা নাম যোগ করতে পারত। যেমন, নারী জাতির প্রতি "বিশেষ" অবদানের জন্য লেজেহোমো এরশাদ, "শান্তি" প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে মাজা ভেঙ্গে ফেলা আমাদের প্রিয় তাড়েক বাইয়া আর অয়ান ইলেভেনের জনক বিশেষ সময়ে বিশেষ শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যৌথ ভাবে ফক্রুদ্দিন-মৈনুদ্দিন।
অনন্ত
এদের কাছ থেকে আপাতত কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
পলিটিকাল ঘটনাকে পলিটিকালি দেখতেই পছন্দ করব।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
অত ক্ষেপ কেন ভাইজান?
এই মন্তব্যে হাসিনা কিংবা লীগ ভাসুক আর ডুবুক সেটা তো কোনো বড়ো কথা না
বড়ো কথা হলো এই মন্তব্যের কারণে সামনের এমপি ইলেকশনে এটর্নি জেনারেল (অব:) এর একটা আওয়ামী টিকিট নিশ্চিত হলো
ইউনুস একা সুদখোর কেন? যারা ব্যাংকে টাকা রেখে সুদ নেয়, তারাও তো সুদখোর। আপনি ব্যাংকে টাকা রাখেন না? সুদ নেন না?
সুদটুদ নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই।
আমার মাথাব্যথা গ্রামীন ব্যাংক নিয়ে, ব্যক্তি ইউনূস আমার সমস্যা না। আমি নোবেল পুরস্কারের কোনো প্রতিযোগী না।
সুদ নিয়ে মাথাব্যথা না থাকলেও কিন্তু ইউনুসকে সুদখোর বলতে ছাড়েননি।
অথচ ড. ইউনুস এবং ড. হাসিনা বলা যেত
পড়ে দেখলাম পোস্টটা। আসলে একটা ভুল হয়েছে লেখার সময়।
কোট মার্ক বাদ পড়েছে। বলতে চেয়েছিলাম, অনেকের চোখে তিনি 'সুদখোর ইউনূস' ছিলেন, যেখান থেকে এখন 'নির্যাতিত ইউনূস' হয়েছেন।
আপনি হাসিনার নামের আগে ড. লেখেননি, আপনার ফাঁসি চাই।
চাওয়ার কিছু নাই, ঝুলিয়ে দেন। ঝুলিয়ে দিলেই কিসসা খতম।
সুদখোর শুধু ইউনুস, যারা ব্যাংকে টাকা রেখে সুদ নেয় তারাও সুদখোর। সে হিসাবে দেশে সুদখোরের অভাব নাই। দেখা যাবে আপনিও সুদখোর!
আমি নিশ্চিত করলাম যে আমি সুদখোর। আপাতত ব্যাংক থেকে পাওয়া সুদ খাই এবং ভবিষ্যতে নিজেও কোনো একটা ব্যাংকের মালিক হওয়ার সুযোগ পেলে সেই সুযোগ কাজে লাগাব ইনশাল্লাহ। দোয়া করবেন।
আমি এটাতে ঠিক একমত হতে পারলাম না। ইউনূস তার রেসের ঘোড়া হওয়ার সুযোগ হারিয়েছেন ইতোমধ্যে। তার আর রেসের ঘোড়া হওয়ার সুযোগ নেই বরং আওয়ামী লীগ হয়ত এটা করে ইউনূসকে রেসের ঘোড়া হওয়ার সুযোগ করে দিল।
এটাও মানতে পারলাম না। জনতাই আওয়ামীলীগকে ভোট না দিয়ে ক্ষমতা থেকে নামায়। আর এমনতো না অন্ধসমর্থকরা ছাড়া আওয়ামীলীগ ভালো করে দেশ উদ্ধার করে ফেলছে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ আর আওয়ামীলীগের নেতারা কী খুব ভালো কাজ করছে, তারাতো অন্ধ সমর্থক নয়, কর্মী। আমারতো ধারণা ওরাই ডুবায় আওয়ামীলীগকে, তার মানে আওয়ামীলীগ নিজেই নিজেকে ডুবায় সবসময়।
লড়াইটা কখনই রাজনৈতিক বলে আমার মনে হয়নি বরং সবসময়ই এটা ব্যাক্তিগত ইগোর লড়াই-ই ছিল। ইউনূসের দোষ প্রথমত ও নোবেল পেয়েছে যেটা হাসিনা পায়নি আর দ্বিতীয়ত ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় রাজনৈতিক দলগুলোকে চোর বলেছিল। সুদতো সবাইই খায়, এটাকে দোষের পর্যায়ে ফেললে উকুন বাছতে গা উজার হয়ে যাবে। আর গ্রামীন ব্যাংক সরকারী ব্যাংক তাই ইউনূসকে সুদখোর বললে থুতুটা কিন্তু নিজের শরীরেই পরে, তাইনা?
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
হতে পারে গেম প্লান ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
১. আমার মনে হয় না সুযোগ হারিয়েছেন ইউনূস। আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হলে বিএনপি অপশন হিসেবে এখন আরো বেশি দুর্বল। জামায়াতের সঙ্গ আর দুর্নীতি, এ দুটো থেকে বিএনপি বের হতে পারছে না এখনও।
সেক্ষেত্রে ইউনূস যদি বলেন, 'দেখলেন তো, এরা আবারও ব্যর্থ হলো। এখন তো দেশকে আর জলে ফেলে দিতে পারি না, আসুন সবাই মিলে দেশ গড়ি'- তাহলে ইউনূস আবারও খেলার স্ট্রাইকার।
২. অন্ধ সমর্থকরাই আসলে ডুবায়। মন্ত্রীরা সবসময়ই বলেন,'আপা, দলের ছেলেগুলো যে মারামারি করছে, সেটা নিজেদের মধ্যেই তো করছে, পাবলিকের এতে কোনো সমস্যা নাই।' কিংবা যখন বলে, 'আপা, অন্য দলের ছেলেরা কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছে, এখন ব্যবসাপাতির সুযোগগুলো আমাদের ছেলেদের না দিলে হয় কেমনে?' তখন এই সমর্থনই আওয়ামীলীগের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়।
'জনগন ডোবায় না' বলতে আমি মিন করেছি যে জনতা আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় পাঠায়, কিন্তু তারাই তাঁদের দলকানা লোকগুলোর উল্টোপাল্টা কাজের জন্য ডুবে।
২০০১ সালের নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দোষত্রুটি তেমন দেখানো যাবে না, জনগন তাঁদের ভোট দেয়নি লীগের নেতাকর্মীদের খাসলতেই।
৩. লড়াইটা আমার কাছে শুরুতে রাজনৈতিকই মনে হয়েছিল, কিন্তু আওয়ামী লীগ একে রাজনৈতিক লড়াইয়ের রূপ দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এখন এটি ব্যক্তিগত অহমের লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনার পর্যবেক্ষন তাই আমলে নিতেই হচ্ছে।
সহমত।শুধু যোগ করতে চাই, ব্যাপারটি অর্থনৈতিকও বটে।দেশের সবচাইতে বড় মাইক্রোক্রেডিট লোনের সোর্সটা এবার রাজনৈতিক নেতৃত্ব পাবে, সঠিভাবে ব্যবহার হবে। ইউনুসের চাইতে ওদিকটাই বেশী গুরুত্ত্বপূর্ণ।শুধব্যক্তিগত প্রতিহিংসার প্রচারণায় ভেতরের আসল উদ্দেশ্য আড়ালে থেকে যাচ্ছে।
ইহারা এমনই হইয়া থাকেন ... নিজস্ব ভবিষ্যত লইয়া চিন্তা করিতে করিতে ব্যাক্তিত্বহীন ফায়দা লোটা তৈল মর্দন করিতে উহাদের বাধে না। এটর্নী জেনারেল নামধারি বস্তটি নিজের আখের গোছাইতে গিয়া হাসিনা ও আম্লীগের পশ্চাতে লোটা ধরাইয়া দিলো ... তবে 'হাসিনা আপা উহার বক্তব্যের সারাংশ বুঝিয়া মনোঃক্ষুন্ন হইয়াছেন' উহা ভাবিয়া পরিতৃপ্ত হইবার কোনো অবকাশ নাই। এই কারণেই লোটা মারার দলগুলো টিকায়া যায়, টিকিয়া থাকে।
লোটা জয়জুক্ত হউক ...
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
"গতকাল এটর্নি জেনারেল বলেছেন, নোবেল পুরস্কার আসলে শেখ হাসিনা এবং সন্তু লারমার পাওয়া উচিত ছিল।"
তৈল মর্দনের পরিসীমা কখনোই ছিল না এই ভদ্র (!)লোকের। আদালতের সামনে দাড়িয়ে বরাবরই ইনি হাসির খোড়াক তৈরী করে দিয়ে থাকেন। খুব সম্ভব বিচারের কাঠখোট্টা যুক্তিগুলোর মাঝে সবাইকে আনন্দ দেয়ার জন্যেই এই পদে এই ধরনের লোকদের নিয়োগ দেয়া হয়। রাজ-রাজারা যেমন ভাঁড়দের উল্টাপাল্টা কথা শুনে রাগ না করে আনন্দ পেতেন, এই ধরনের মানুষগুলোর কথায়ও সরকারের মাঝে মাঝে হাস্যরসের খোড়াক তৈরী করে।
এই জ্ঞান এর ভান্ডার অত্যন্ত বিশাল। যেমন- যমুনা টেলিভিশন বন্ধ হেয়ে গেলে অনেকগুলো মানুষ বিপেদ পড়বে বলার পড়, জবাবে বিচক্ষন আইনজ্ঞ বলেন টিভিস্টেশন চালাতে এত মানুষ লাগে নাকি? খালি সিডিই তো চালাবে, ২ জন লোক থাকলেইেতো হয় !!!
এই রকম সবজান্তা থাকলে দেশে আরো কি বুদ্ধিজীবির প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়??????
ভাই আম্লীগ কখনই বা বুদ্ধিমান আছিল??? আম্লীগ কন আর বিম্পি সবগুলার মাথাই তো গোবরে ভর্তি। বুদ্ধিমান হইলে কি আজ আর এতো কথা কওন লাগতো?
না, ভালোই বুদ্ধি আছে। নইলে এরা এতদিন ধরে রাজনীতিতে টিকে থাকতে পারত না।
* একমত যে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের বাড়াবাড়ির কারণেই ডুবে। তবে সেটাই একমাত্র কারণ না। অপশাসনের ভূমিকা আরও বড়।
* নোবেল পুরষ্কার এত্ত বড় মহার্ঘ্য কেন হয়ে গেল সেটা আমার মাথায় ঢুকে না। বাংলাদেশের জন্য "প্রথম" দেখেই হয়তো এই আদেখলাপনা। বাইরের দেশে কেউ এটা নিয়ে এত বেশি পুছে বলে তো দেখি না। আমরা বাঙালিরা বিদেশিদের কাছে সুনাম পাওয়ার জন্য এতটা কাঙ্গাল দেখেই আমাদের সামনে নোবেলের মূলা ঝুলানো যায়। ওবামা এক্কেবারে কিছু না করেও নোবেল পেয়েছেন। আল গোর ভালো কাজ করে নোবেল পেয়েও সেটার জন্য স্বদেশে মশকরার পাত্র হয়ে থাকেন প্রায়ই। হেনরি কিসিঞ্জার এবং শিমন পেরেজের মত হাড়ে হারামিও "শান্তি"-র জন্য নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন। একজন নাগরিক হিসাবে ডঃ ইউনুসের বিপক্ষে সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে অনেক কিছু বলা যায়, কিন্তু স্রেফ নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন বলেই তাঁকে সব কিছুর ঊর্ধ্বে রাখতে হবে কেন? তাও আবার "শান্তি"তে নোবেল। এমন একটা অনুষঙ্গ যা "পলিটিক্যাল অ্যাওয়ার্ড" হওয়ার অভিযোগে দুষ্ট অনেক বছর ধরেই। মাদার তেরেসাও শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন, তাই বলে শান্তিতে নোবেল পাওয়া সবাই মাদার তেরেসা না।
* অ্যাটর্নি জেনারেল একটা আহাম্মক। পার্বত্য শান্তি চুক্তি শান্তিতে নোবেল পাওয়ার মতো উল্লেখযোগ্য ঘটনা, কিন্তু তার কথা এই রকম সময়ে তোলা মূর্খতা।
* ডঃ ইউনুসকে নিয়ে সরকার কী করলো তা দুই বছর পর মোটেও হিসাবে আসবে না। ফেসবুকে প্রজন্ম একটু হাউ-কাউ করবে কয়দিন। ইংরেজিতে "ডিসকোর্স" আর "ন্যারেটিভ" নিয়ে কচকচি করা গ্রুপে কিছুটা মাতামাতি হবে। নির্বাচন এলে এগুলার কোনো প্রভাব থাকবে না। নির্বাচনে জনগণ গ্রামীন ব্যাংকের স্বার্থ কিংবা ডঃ ইউনুসের সম্মান বিবেচনায় ভোট দেবে না। চালের দাম, লোডশেডিং, কৃষকের সার, আইনশৃঙ্খলা-পরিস্থিতি, ইত্যাদি কম গ্ল্যামারাস বিষয়ের উপরেই ভোটের ফলাফল নির্ভর করবে। ডঃ ইউনুস বহির্বিশ্বের কাছে নিজেকে যতটা গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রচার করেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনি মোটেও ততটা গুরুত্বপূর্ণ নন। এটাই বাস্তবতা।
* আগেও বলেছিলাম... এটা টিট-ফর-ট্যাট। ডঃ ইউনুস কিল সামরিক সরকারের ঘাড়ের উপর বসে কিল মেরেছিলেন, হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতার ঘাড়ে বসে পাটকেল মারলেন। ব্যাস, হিসাব খতম। এখানে আর কোনো জটিলতা নেই। আরেকটা ১/১১ এলে আমেরিকার প্রিয়পাত্র হবেন, এমন কাউকে জিইয়ে না রাখাই তো রাজনৈতিক ভুল।
পুরোটাই একমত।
পার্বত্য শান্তি চুক্তি শান্তিতে নোবেল পাওয়ার মতো উল্লেখযোগ্য ঘটনা, কিন্তু তার কথা এই রকম সময়ে তোলা মূর্খ
অনেককেই মাঝে মধ্যে বলতে শুনতাম, পার্বত্য চট্রগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য শেখ হাসিনা'র ওই জিনিসটা পাও্না ছিল। হ্যা, পাওনা ছিল শুধু এই কারণে যে, অনেকেই কোন কিছু না করে এবং কেউ কেউ কুখ্যাত হয়ে এটা পেয়েছেন। বাংলাদেশের শান্তিচুক্তিতে হাসিনা'র কোন অবদান নেই।ভারতের জন্য এই চুক্তি করাটা অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছিল।সেভেন সিস্টার্স এর গেরিলারা শান্তিবাহিনীর উপর এবং এদেশীয় রিফুজীদের নিপীড়ন নির্যাতন করা শুরু করলে, ভারতের পক্ষে টা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। সন্তু লারমাও বুঝেছিল, তার দরকার দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়া, নতুবা দুই দিকের শত্রু সামলানো সম্ভব না। আর এই শান্তি প্রকররিয়া শুরু হএছিল আরো আগে।নব্বিয়ের পর থেকে শান্তিবাহিনী একতরফা অস্ত্রবিরতি পালন করছিল এবং ওরা নিজেরাই আবার কোন ধরনের অনুরোধ কিংবা আলোচনা ছাড়াই বর্ধিত করার ঘোষণা দিচ্ছিল।তবে হ্যাঁ, এটর্নী জেনারেল যদি প্রমাণ করতে পারেন যে, উলফা'র লোকজনকে শান্তিবাহিনী এবং রিফিউজি ক্যাম্পগুলোতে আক্রমণ করার কাজটা শেখ হাসিনাই পর্দার আড়াল থেকে করাচ্ছিলেন, বাংলাদেশী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দিতে গিয়ে নিজেরাই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে ভারতীয় বাহিনী যে নাকানি চুবানি খাচ্ছিল, তাতে হাসিনার অবদান ছিল, তাহলে আবার এটর্নী জেনারেলের বিশ্লেষণ সঠিক বলে মানতে হবে। তবে ওই যে, অনেকেই যেহেতু কোন কিছু না করেই ওইটা পাইছে, সেই বিবেচনায় শেখ হাসিনাকে ওইডা দেয়া যেত।
শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বারের মতো মসনদে বসার পর তাঁর ট্রেডমার্ক বাক্ প্রতিভার যথারীতি শোডাউন হচ্ছিলো না দেখে বেশ আশাপ্রদ হয়েছিলাম এই ভেবে যে তিনি হয়তো এবার অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। এবার হয়তো বাংলাদেশ এবং এর মানুষের জন্য তিনি কিছুমিছু করবেন! কিন্তু সেই আশার গুঁড়ে পাঁচ টনি ট্রাকের বিশাল কাফেলার বালুর অবমুক্তি ঘটিয়ে তিনি প্রমাণ করে চলেছেন বাংলাদেশের মানুষ তাঁর কাছেও কিছু চাইতে পারে না। সেই অধিকার তাদের নেই।
অভাগা দেশটার জন্য মায়াই হয়। কতোগুলো পাগলছাগলকে দিয়ে বারবারই হালচাষ করার স্বপ্ন দেখে এই দেশের মানুষ!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ, এমন জমিন রইল পতিত, আবাদ করলে ফলতো সোনা।
কিন্তু হালের বলদই তো পাচ্ছি না আমরা।
আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের "সাধারন বুদ্ধি" নিয়ে কাউরো সন্দেহ থাকার কথা না। হসিনা/খালেদার কাছ থেকে সভ্য-সুবুদ্ধি আশা করার কেউ আছে বলে মনে হয়না। বিবাদের শুরু থেকেই আমার ধারনা ছিল, এটি হাসিনার ব্যক্তিগত ইগোর লড়াই। এখানে রাজনীতি নাই, অর্থনীতি নাই, দেশপ্রেম বা ইজ্জতের কথা নাই।
তাই, এই বিবাদে আমার আশার শেষ জায়গাটি ইউনুসের দিকেই ছিল। ভেবেছিলাম, আমাদের সবার কথা ভেবে, দেশের ইজ্জত বাচাতে উনি হয়ত নিজের অবস্থানকে আরেকটু নরম করে, একটা সমাধানে আসার কথা ভাববেন, চেস্টা করবেন। উনি সে চেস্টা কতটুকু করেছেন জানিনা। হয়তঃ ভেবেছেন সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে, আন্তর্জাতিক চাপে, বা পাব্লিক সেন্টিমেন্টের চাপে। কিন্তু, আমাদের রাজনীতিবিদ বিশেষতঃ হাসিনা/খালেদার যে সেই ভয় বা কান্ডজ্ঞান নাই, এটা অন্ততঃ ইউনুস সাহেবের না জানার কথা না। তারপরেও, উনি উনার "সঠিক" অবস্থান আকড়ে থাকলেন। যুক্তির বিচারে থাকতেই পারেন। উনার প্রতি মানুষের সমর্থন প্রমান হোল, হাসিনা ঘরে বাইরে ব্যপকভাবে সমালোচিত হলেন, সরকারের কুরুপ উন্মোচিত হোল। এতে হাসিনার কতটুকু এলো বা গেল? তবে, আমাদের সবার ইজ্জত ভুলন্ঠিত হোল।
যুক্তির বিচারে, বাস্তবিকতার বিচারে সব দায়দায়িত্ব হাসিনাকেই নিতে হবে এতে সন্দেহ নাই।
তবে, আমার মনের কোনে একটা প্রশ্ন ঘুরে আসলেই কি এই অর্বাচিন কূপমুন্ডক সরকারের পরিচয় জেনেও, সমগ্র দেশকে বিড়ম্বনার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য একজন শান্তির নোবেল লরেটেরকি কি বাড়তি কিছুই করার ছিল না? উনার ইগো বা সম্মানের কিছুটাকি উনিও আমাদের জন্য দেশের ইজ্জতের জন্য "সদগা" দিয়ে, একটা আপাত কম্প্রোমাজের কি কোন পথই ছিলনা? আমরা আশা করবো কার কাছে? বেয়াকুব রাজনীতিবিদদের কাছে না একজন নোবেল লরেটের কাছে?
বিষয়টা আওয়ামী লীগের জন্য রাজনৈতিক কিংবা ইগোর লড়াই হলেও, ড.ইউনূসের জন্য অস্তিত্বের লড়াই। সুতরাং ইউনূসের পক্ষে পিছিয়ে আসা সম্ভব না, যা করার তা সরকারেরই করা উচিত।
আমার তো মনে হয় রাজনৈতিক বা ব্যাক্তিগত আক্রমণ নয়, গ্রামীণ ব্যাংক লুটে পুটে খেয়ে বছর দু এক এর মধ্যে ধ্বংস করে দেয়াই এই আওয়ামী সরকার এর আসল উদ্দেশ্য... আর এটা ড. ইউনুস ভাল করে বোঝেন বলেই এই পরিস্থিতে কম্প্রোমাইজ করতে চাচ্ছেন না... রাজনীতিকরা শেয়ার বাজার লুট করে আর কিছু না পেয়ে এখন গ্রামীণ এর দিকে লোলুপ চাহনি দিচ্ছে... তাই যদি বা না হবে, তাহলে এখন কেন এত বছর পরে??
এই কথাটি গতকাল ঢাকা শহরে অনেকের মুখেই শুনলাম। এদের ভাষ্যমতে 'লাভজনক গ্রামীন ব্যাংক' এ আওয়ামীলীগের লোকজন বসিয়ে দেয়াটাও একটা উদ্দেশ্য।
এটর্নি জেনারেল সাহেবেরা সারাজীবনই সরকার প্রধানদের তেল দিয়ে যাবে। এদের টিকে থাকার জন্য তেলই একমাত্র ভরসা।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
হ, এজন্যই তেলের দাম বাড়তির দিকে।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
আমি মিরপুর এলাকার লোক। ছোটবেলায় সেখানে সংসদ নির্বাচনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো এস এ খালেক আর ড. কামাল হোসেন। একজন চরম অশিক্ষিত আরেকজন বিরাট সুশীল... বিশ্বজোড়া খ্যাতি।
ছোটবেলায় এক নির্বাচনী জনসভায় খালেকের ভাষণ শুনছিলাম- "উনি [কামাল হোসেন] সকালে নাস্তা করে প্যারিছে, দুপরে খায় আমেরিকায় আর রাইতে ঘুমায় রাছিয়ায়, উনি আপনেগো দুঃখ বুঝবো?"
উল্লেখ্য কামাল হোসেন কোনোকালেই এস এ খালেকরে হারায়া সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইতে পারেন নাই...
সুশীলরা যতোই চিল্লাক, আমজনতার কাছে ইউনূসের কোনো বেইল নাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ইনি তো আবার শেখ মুজিবুর রহমানের বিরূদ্ধে মামলার রাজসাক্ষী ছিলেন। স্বাধীনতার আগে পাকি কর্তৃপক্ষের (শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ) হয়ে গোয়েন্দাগিরি করতেন। -- এইসব খবর কয়জনে জানে?
আর মীরপুরে থেকেও কামাল হোসেনরে ভোট দেই নাই - এক লাশের বদলে দশলাশের ঘোষনাকারী মারদাঙ্গা নেত্রীকে ঠেকানোর অভিপ্রায়ে। খালেক সাহেব লোক ভালা - নৈশ স্কুল দিবার পারবো না কিন্তু একখান স্কুল দিবার পারবো; আর বেচারা সবসময় সরকারী দল করে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
লেখাটা ভাল লেগেছে
সন্তু লারমার সাথে কথিত শান্তি চুক্তিতে শান্তি আসে নি। সেখানেও নানা অনিয়ম। ৯৮ সালে সে সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহম্মদ নাসিম দেশজুড়ে সন্ত্রাসীদের আত্মসমর্পণ করিয়েছিলেন। কিছুটা শান্তির কাজ তিনি করতে পেরেছিলেন। তাহলে তিনি কেন বাদ নোবেলের দাবি থেকে?
নতুন মন্তব্য করুন