আজকের ( ১৪ মার্চ) দৈনিক সমকালে আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদক এবং মালিক অভীক সরকারের একটি সাক্ষাতকার ছাপা হয়েছে। আমার কিছু ফেসবুক বন্ধু এই সাক্ষাতকারটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভাবছেন এবং বেশ কয়েকজন লিংকও দিয়েছেন। ( একমাত্র হাসিবের লিংক দেয়া সংক্রান্ত কমেন্টে দেখলাম সত্য কথা ফুটে উঠেছে।)
অভীক সরকার বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বাংলা পত্রিকাগুলো নিয়ে কিছু আলোচনা করেছেন। আনন্দবাজার কী এবং কিভাবে কাজ করে সে ব্যাপারে তিনি মতামত দিয়েছেন। আমার ভয় হচ্ছে এই মতামতকে আমাদের এখানে অনেকেই পীরবাণী ভেবে নেবেন।
অভীক সরকার যে আমাদের পীরবাণী দিবেন, এতে আর আশ্চর্য কী! তাঁর কাছে হত্যে দিতে আমাদের প্রয়াসের নমুনা দেখুন:
উপমহাদেশে বাংলা ভাষায় সর্বাধিক প্রচারিত কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদক অভীক সরকার সস্ত্রীক ঘুরে গেলেন ঢাকা। মাত্র তিনদিনের সফরে দারুণ ব্যস্ততা। প্রধানমন্ত্রী, একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ঢাকা ক্লাবে এক আড্ডার আয়োজন করলেন তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদক এলেন, তার মুখ থেকে গণমাধ্যম ও আনন্দবাজার সম্পর্কে কিছু শুনব না! দিলি্লতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে নিযুক্ত প্রেস মিনিস্টার এনামুল হক চৌধুরী সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ারের অনুরোধে হোটেল শেরাটনে প্রাতঃরাশ বৈঠকে অভীক সরকারের সঙ্গে কথা বলার ব্যবস্থা করলেন। সেখানেই তার সঙ্গে নানা প্রসঙ্গে কথা হলো। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী রাখী সরকার।
সমকালের প্রতি ছত্রে ছত্রে গুরুভক্তি ফুটে উঠেছে। কত নির্লজ্জ হলে যে বাংলাদেশের একটি প্রধান দৈনিকের সম্পাদক বাংলাদেশ হাই কমিশনে অনুরোধ করে অভীক সরকারের নাস্তাকালীন সময়ে একটু দেখা করার এপয়েন্টমেন্ট পান সেটি দেখে অবাক হয়েছি। গোলাম সারওয়ার এদেশের একজন প্রথিতযশা সম্পাদক, তিনি এরকম হত্যে দিয়ে না পড়লেই পারতেন।
সে যাক, আসুন দেখি অভীক সরকার কী বলছেন।
তিনি জানাচ্ছেন:
আমার পিতার আমল থেকেই আমরা প্রফেশনাল দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ শুরু করি। আনন্দবাজার পত্রিকার প্রাতিষ্ঠানিকতা ও পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের দিকেই আমাদের দৃষ্টি ছিল। কোনো রকম আবেগে আমরা তাড়িত হইনি। বাংলার ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে আনন্দবাজারকে আমরা ধরে রাখতে চাইনি। আমরা সবসময়ই আন্তর্জাতিক মানের দৈনিকের কথা মাথায় রেখেছি। সে কারণে উৎকর্ষ আর মানের নিরিখে নিউইয়র্ক টাইমস বা লন্ডন টাইমসকে আমরা এক কাতারে গণ্য করি।
সাবাশ! কিন্তু ঠিক কী কারনে নিউইয়র্ক টাইমস এবং লন্ডন টাইমসের সঙ্গে আনন্দবাজারের তুলনা হবে সেটা বুঝা গেল না। সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা দৈনিক, শুধু এ কারণে?
তাহলে তো বাংলাদেশ প্রতিদিন নামের দৈনিকটিও একই দাবি করতে পারে, কারণ তাঁদের দাবিমতে পত্রিকাটি এই মুহুর্তে বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক।
তিনি জানাচ্ছেন:
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, অতীত ঐতিহ্য, স্মরণীয় দিন নিয়ে কেন তেমন আলোচনা বা বিশেষ ক্রোড়পত্র করে না আনন্দবাজার? যেমন_ আমাদের এখানে একুশে, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, জাতির জনকের জন্ম-মৃত্যুদিন নিয়ে বিশেষ আয়োজন থাকে। বললেন, আমরা অতীত-কাতরতা বা অতীত-বিলাসে বিশ্বাস করি না। অতীত থাকবে ঐতিহ্য হিসেবে, আমাদের দৃষ্টি সবসময় থাকবে সামনের দিকে।
বাহ্, চমক জাগানো কথা। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস এগুলো পালন করা মানে অতীতচারিতা! নিজের অতীতকে না জানলেও চলবে এমনটাই কি মনে করেন অভীক সরকার? বুঝলাম না।
রিপোর্ট থেকে জানলাম :
দু'দেশের বাংলা কাগজের ভাষার প্রশ্নে তিনি বলেন, বানানরীতি এবং ভাষারীতি নিয়ে আনন্দবাজার নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা মনে করি, এটা সর্বত্রই থাকা উচিত। আমরা 'অবগুণ্ঠন' শব্দটির মুদ্রিত রূপ কেমন দেখাবে, যুক্তবর্ণের টাইপটা এমন হলে ী-দীর্ঘ-'ই'কারটা কেমন দেখাবে, এ নিয়েও রিসার্চ করে থাকি। এ রকম বহু খুঁটিনাটি দিক নিয়ে আমরা চিন্তা করি।
শুনে ভালো লাগলো। কিন্তু আনন্দবাজারের রিসার্চের কোনো নমুনা আমার চোখে পড়ে না। পত্রিকাটি ইউনিকোডে তাদের ওয়েব ভার্সন প্রকাশ করে না। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে তাঁরা গুরুত্ব দেয় বলে অভীক সরকার দাবি করলেও, ইউনিকোডের মতো একটা সাধারণ ব্যাপার তাঁরা এখনও করতে পারেননি নিজেদের ওয়েব সাইটে। পত্রিকাটির পৃষ্ঠাসজ্জা কোনোমতেই কোনো আন্তর্জাতিক ভাবে পরিচিত পত্রিকার মানের ধারেকাছে নেই। পৃষ্ঠাসজ্জা সংক্রান্ত কোনো ব্যাকরণ আনন্দবাজারে মানা হয় বলে মনে হয় না। একদম সাদামাটা টানা হেডিং একের পর এক বসিয়ে দেওয়া থাকে পত্রিকাটিতে। গুগুলে যে কয়টি ছবি দেখলাম, মনে হচ্ছে ৮ কলামে ফার্স্ট লিড দেওয়া তাদের একটি রীতি। যা-ই হোক, সবই ৭ নয়তো ৮ কলামে! খুটিনাটি বিষয়গুলো দেখতে গিয়ে তাঁরা বড়সড় বিষয়গুলো বোধহয় আমলে আনার সময় পান না।
পাঠকের সুবিধার্থে একটি ছবি জুড়ে দিচ্ছি। দেখুন, কোন নিউজের কী ট্রিটমেন্ট!
আরো পড়লাম,
জানতে চাওয়া হয়েছিল, ওখানে সংবাদপত্রের সামাজিক ভূমিকা কী? এবারও সরাসরি বললেন, সমাজকর্ম সংবাদপত্রের দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি না। আমরা সংবাদপত্রকে একটা ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে বিবেচনা করি। ইন্ডাস্ট্রির কাজ হলো উৎপাদন আর বাণিজ্য। লাভ-লোকসানের হিসাব ছাড়া কোনো সামাজিক বা রাজনৈতিক ইন্টারেস্ট থাকা উচিত নয়।
এ কথাটিতেও একমত হতে পারলাম না। সমাজের প্রতি সংবাদপত্রের একটি দায় আছে, থাকতে বাধ্য। কারণ জনমত তৈরিতে সংবাদপত্র ব্যবহৃত হয়। আর বাকি সবই যদি বাদ দেই, তাহলেও সিএসআর এর ব্যাপারটি অন্তত অভীক সরকার চর্চা করতে পারেন। খালি মুনাফা তুলে নেওয়াটা আধুনিক ব্যবসা ধারার সঙ্গে যায় না। রাজনৈতিক ইন্টারেস্ট উনার নেই এ কথা বললেও, যতদূর জানি আনন্দবাজার গোষ্ঠি সরাসরি তৃণমূলকে সমর্থন করছে।
তাহলে রাজনৈতিক ইন্টারেস্ট নেই মানে কী?
যাক, অভীক সরকারের কথাগুলো ধরে ধরে কথা বলা আমার উদ্দেশ্য নয়। আমি আনন্দবাজার পড়ি না, সেটা নিয়ে চিন্তাও করি না। শুধু নিজে সংবাদপত্রের একজন অতিক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে উনার কথামালা পড়ে যা মনে হলো, তাই লিখলাম।
আমার এই লেখার উদ্দেশ্য অন্য।
আবার গোড়াতেই ফিরে যাই। আসুন, আবার পড়ি:
মাত্র তিনদিনের সফরে দারুণ ব্যস্ততা। প্রধানমন্ত্রী, একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ঢাকা ক্লাবে এক আড্ডার আয়োজন করলেন তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদক এলেন, তার মুখ থেকে গণমাধ্যম ও আনন্দবাজার সম্পর্কে কিছু শুনব না! দিলি্লতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে নিযুক্ত প্রেস মিনিস্টার এনামুল হক চৌধুরী সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ারের অনুরোধে হোটেল শেরাটনে প্রাতঃরাশ বৈঠকে অভীক সরকারের সঙ্গে কথা বলার ব্যবস্থা করলেন।
এই হচ্ছে আমাদের অবস্থা! আনন্দবাজার পত্রিকাটি পুরোনো এবং বহুল প্রচারিত, এর বাইরে এই পত্রিকার আলাদা কোনো মাহাত্ম আমার জানা নেই। বহুল প্রচারের পেছনে মূল কারণটি হচ্ছে সম্ভবত দামে সস্তা থাকা। বাংলাদেশেও এখন দুইটাকা দামের কাগজগুলো জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। ইতিমধ্যে আমাদের সময় এবং বাংলাদেশ প্রতিদিন সাফল্য দেখিয়েছে, জোর গুজব আছে যে প্রথম আলোও একটি দুইটাকা দামের পত্রিকা প্রকাশ করতে যাচ্ছে।
সব কিছুর পরেও আনন্দবাজার পত্রিকাটি একটি আঞ্চলিক পত্রিকা। আমাদের ঢাকা থেকে প্রকাশিত পত্রিকাগুলো সবই জাতীয় পত্রিকা। আমরা শহীদ দিবস আর স্বাধীনতা দিবসে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করি, সমাজকর্মও করি (ব্যবসার কারণেই করি )এবং এসবে দোষেরও কিছু দেখি না।
অভীক সরকারের কাছ থেকে 'গণমাধ্যম আর আনন্দবাজার থেকে কিছু শুনব না! ' এরকম হা রে রে রে করে উঠার কী আছে, আমি জানি না। আনন্দবাজার কী শেখাতে পারে? এদের কাছ থেকে কী শোনার আছে এদেশের একজন সম্পাদকের? একটি আঞ্চলিক পত্রিকার সম্পাদককে নিয়ে আমাদের এই কাঙালিপনা আমাকে হতাশ করেছে। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে তথ্যমন্ত্রী সহ অনেকের মাঝেই আকূল ভাব ছিল বলে মনে হচ্ছে। গোলাম সারওয়ারকে তিনি যেভাবে নাস্তার টেবিলে বসে হাতঘড়ি দেখে মানে মানে কেটে পড়তে ইঙিত দিলেন, সেটিও আমাকে লজ্জিত করেছে।
আমার খালি একটাই প্রশ্ন ভাসছে মনের মাঝে। আমাদের কিছু লোক এত নির্লজ্জভাবে আত্মসম্মানহীন কেন?
এরা কবে বড় হবে? কবে?
মন্তব্য
নিজের সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকা ভালো। তবে এটা বাড়াবাড়িরকমের পর্যায়ে গেলে এটাকে স্বমেহন বলে। অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস এটা। নিউইয়র্ক টাইমসের কাজের একটা সাম্প্রতিক ফ্লাগশিপ উদাহরণ হলো এদের উইকিলিকস সংক্রান্ত কভারেজ। প্রযুক্তি সংবাদ পরিবেশনকে কতটুকু আকর্ষণীয় করতে পারে সেটার একটা উদাহরণ এটা। তথ্য কীভাবে পরিবেশন করতে হয় সেটা দেখতে আগ্রহীরা এই লিংকে উকি মারতে পারেন। আরো একটা লিংক এখানে। তুলনায় আনন্দবাজার পত্রিকা এখনো কম্পিউটারে পড়ার মতো সম্মানজনক কোন উপায়ে পৌছাতে পারেনি। হায় স্বমেহন!
এই জাতীয় কথা যারা বলে তারা অতীতের মুখোমুখি হতে ভয় পায়।
এই গবেষণার সবচেয়ে বহুল দর্শিত রূপটা হলো বাংলাদেশের মানুষজনের নাম বিকৃত বানানে লেখা। অবশ্য এই অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে সাধারণ মনে হয়। নাম সঠিক বানানে লেখার ন্যুনতম সম্মান উনারা দেখান না।
হুমম ... ঝেড়ে কাশলেই হয়। আমার ধারণা আ.বা.প যে সফটওয়্যার ব্যবহার করে লিখতে সেটার সীমাবদ্ধতাকে উনি রিসার্চ বলতে চাইছেন!
আ.জে. থেকে
আমি তো আ.বা.পে কন্টেন্টে অভাব দেখি। শব্দসংখ্যা গুনলে প্রথম আলো বা কালের কন্ঠের অর্ধেক ম্যাটেরিয়াল পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। এই নিয়ে এতো গর্ব? আন্তর্জাতিক বলতে কার সাথে তুলনা করেছেন উনি জানি না। ভূটান মঙ্গোলিয়া ধরনের কোন দেশ হবে হয়তো।
এরেই বলে উত্তরাধুনিক। অরাজনৈতিক পোমো সমাজ।
আ.জে. থেকে
পত্রিকা অফিসে ঢুকেই আনন্দবাজার খুলে বসা কিছু সাংবাদিক দেখার অভিজ্ঞতা হয়েছে। আত্মসম্মানবিহীন এই লোকগুলোর কারণেই দেশে পত্রিকা আগায় না। অনুসরণ করতে হলে ভালো কিছু অনুসরণ করতে হয়। এতে নিজেরো উন্নতি হয়। সাবস্ট্যান্ডার্ড কিছু অনুসরণ করলে নিজের অবনতি ছাড়া আর কিছু হয় না।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
প্রথম আলোর খবর অনুসারে প্রথম আলো বাংলাদেশের সবথেকে বেশী প্রচারিত সংবাদপত্র। এর প্রচারসংখ্যা ৪,০৬,৫২৫, নিকটতম প্রতিদ্বন্দীর থেকে প্রায় লাখ দুয়েক এগিয়ে। একই প্রতিবেদনের রিপোর্ট - "তিন টাকা মূল্যের ১২ পৃষ্ঠার পত্রিকা বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর প্রচারসংখ্যা দুই লাখ ৫০ হাজার ১০০। পত্রিকাটির দাম তিন টাকা লেখা থাকলেও বিক্রি হয় দুই টাকায়। " আনন্দবাজারের সার্কুলেশন ২০০৮ এর IFABC রিপোর্টে ১৩ লাখ।
দাম কমে দিলেই সবাই পড়ে সেটা ঠিক না। আনন্দবাজার কেন এত বিক্রি হয় সেটা অভীক সরকার বলেই দিয়েছেন - আনন্দবাজার সরাসরি দক্ষিণপন্থী ও পুঁজিবাদী পত্রিকা। তারা ব্যবসা ছাড়া কিছু বোঝেন না। তাই বিক্রির দিকটা আগে দেখে থাকেন।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
হা হা হা ! আমাদের দেশের তথ্যমন্ত্রীর হিসাব! আর কিছু বললাম না।
পত্রিকার সার্কুলেশনের তথ্য ডিএফপি ছাড়া আর কোন সোর্স থেকে পাওয়া সম্ভব? ডিএফপিতে সার্কুলেশন অডিটের নামে দুর্নীতি ছাড়া আর কিছু হয় বলে মনে হয় না।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
সঠিকটা কি এর থেকে বেশী না কম? (কম হবার সম্ভাবনা নেই ধরে) এক পত্রিকার সার্কুলেশন বেশী দেখানো হলে অন্যেরা প্রতিবাদ করে কি?
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
অল্প কথায় এটা বোঝানো মুশকিল। শুরুতে কয়েকটি তথ্য - ১- প্রথমে বলি ডিএফপি (ডিপার্টমেন্ট অফ ফিল্মস এ্যান্ড পাবলিকেশন্স, তথ্য মন্ত্রনালয়ের অধীনে এটা কাজ করে) কেন সার্কুলেশনের অডিট করে। সার্কুলেশন দেখে ওরা সরকারি বিজ্ঞাপন দেয়। যদ্দুর মনে পড়ে ওরা একটা গ্রেডিং করে পত্রিকার। তারপর সেই অনুযায়ী সরকারি বিজ্ঞাপন বরাদ্দ করে। ২- সরকারি বিজ্ঞাপনের রেট গ্রেড অনুযায়ী ধরা বাঁধা। এ নিয়ে পত্রিকাগুলো বার্গেইন করতে পারে না। এবং এই রেট বেসরকারি বিজ্ঞাপন থেকে অনেক কম। ৩- বিজ্ঞাপন বাংলাদেশে পত্রিকাশিল্পের প্রধান আয়ের মাধ্যম। প্রথম সারির দুতিনটে পত্রিকা ছাড়া পত্রিকা বিক্রির টাকা দিয়ে কেউ খরচ ওঠাতে পারার কথা নয়।
এখন কম পরিচিত পত্রিকাগুলো চেষ্টা করে এদিক সেদিক করে সার্কুলেশন বেশি দেখানোর। এতে ওরা বেশি বেশি সরকারি বিজ্ঞাপনের জন্য তদবির করতে পারে। এটা করার কারণ হলো বাজারের নিয়মে বেসরকারি বিজ্ঞাপন তাদের কাছে যায় কম। আবার বড় পত্রিকাগুলো সরকারি বিজ্ঞাপনে গা করে কম। কারণ তারা বেসরকারি বিজ্ঞাপন দিয়ে পাতা ভর্তি করতে পারে। বড় পত্রিকাগুলোর সার্কুলেশন নিয়ে মাতামাতি করার একটাই কারণ - নিজেকে একটা প্রেস্টিজিয়াস মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। এর ফলটা সরকারি বিজ্ঞাপনের মতো সরাসরি নয়, একটু ইনডিরেকট রাস্তায় আসে। নিজেকে পরিচিত করতে পারলে একসময় বেসরকারি বিজ্ঞাপনও আসতে শুরু করে।
তো দেখা যাচ্ছে বড় ও ছোট দুই শ্রেনীর পত্রিকারই সার্কুলেশন বেশি দেখানোয় ফায়দা হয়। এবং ডিএফপি এই অডিট যদ্দুর জানি পুরোটাই কাগজপত্র নির্ভর। পত্রিকাগুলো কাগজে কলমে দেখাতে পারলেই কাজ হয়। কোন ইনস্পেকশন হয়েছে বলে শুনিনি কখনো। এইসব কারণে ডিএফপি ঘোষিত সার্কুলেশন সংখ্যায় আমার অনাস্থা আছে। সেইজন্যই আরিফ ভাইয়ের কাছে জানতে চাওয়া অন্য কোন সোর্স আছে কিনা। অন্য সোর্স থাকলে একটা ক্রসচেক করা যেত।
[আমার দেয়া তথ্যগুলো বছর দশেক পুরনো। হয়তো অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। আরিফ ভাই সঠিক বলতে পারবেন। ]
কাক কাকের মাংস খায় না - এক মাঘে শীত যায় না - এইসব প্রবাদ সত্য বলে মানেন সবাই। সব দেশেই মনে হয় এই অবস্থা। এক ধরনের অলিখিত শান্তি চুক্তি মনে হয় থাকে। প্রথম আলো-কালের কণ্ঠের ঝগড়ার কথা হয়তো কেউ বলবেন। কিন্তু ওটা জেনারেল সিনারিও না। সবাই মিলেমিশে রসেবসেই থাকেন। কেউই ধোয়া তুলসি পাতা না। এটা সবাই জানেন ও ঝামেলা থেকে দুরে থাকার চেষ্টা করেন।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
অভীক সরকারের প্রতি অনুরোধ, আগে বাংলাদেশের মানুষের নামের বানান ঠিকমতো লিখতে শিখেন। এরপর বাংলা বানান নিয়ে রিসার্চ চুদাবেন। শুধু মিষ্টি, ইলিশ, জামদানি এইসব ঠিকঠাক বানান করতে পারলেই হবে?
আর জেবতিক ভাই, বেশিদূর যেতে হবে না আপনাকে। কাছেপিঠেই পাবেন আরেক কলকাতায় কেবলা স্থাপনকারী ছম্বাদিগ ভাইয়াকে। ওনার নাম মহসীন হাবিব। এই লেখাটা পাঠ করেন মন্দিয়া।
আর আনন্দবাজার যতদিন বাংলাদেশের মানুষের নাম ঠিকমতো লিখতে না পারছে, আমরা আনন্দবাজারকে অনন্দবজর লিখে জবাব দিতে পারি। শুধু ব্লগে নয়, খবরের কাগজেও।
এই অর্ধশিক্ষিত লুক কালের কণ্ঠে উপসম্পাদকীয় লেখে। আলু কালুর যে কি দশা!
অনন্দবযর একটা বালো পত্রিকা।
লিংকটা দেবার জন্য ধন্যবাদ হিমু ভাই। অনেক কিছু শিখতে পারলাম।
এরা একটা প্যাথলজিকাল কারণে নামের বানান পারে না। এইটা নিয়া লিখার আশা রাখি।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
মহসীন হাবিবের লেখাটি ঐদিনই পড়েছি। কিছু সাংবাদিক/কলামিস্ট বিদেশ ঘুরে এসে এমন বর্ণনা দেন যে
বোরাক চড়ে বেহেশতে মেরাজ করে ফিরে এসেও এমন বর্ণনা দেওয়া সম্ভব নয়।
অবশ্য পত্রিকায় অনেক সময়ই ফান ম্যাগাজিনে লেখা উপচে পড়ে, তখন কিছু লেখা অন্যান্য জায়গাতেও ছাপা হয়ে যায়।
হেবোরা এমনই হয়
আফগানীরা বাজারকে বজর বলে। সুতরাং অনন্দবজর ঠিক আছে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
হাহা, "আনন্দবজর", ভাল হইছে নাম টা, এই বাল ছাল ম্যাগাজিন কি আসলেই কেও পড়ে?
একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী কোন প্রটোকলের বলে অন্য একটা দেশের আঞ্চলিক সংবাদপত্রের মালিক/সম্পাদকের সাথে দেখা করে? বাংলাদেশের সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগী পত্রিকার সম্পাদক কি ভারত গিয়ে মনমোহন সিং-এর সাথে দেখা করতে পারবেন? কেঁচো উপকারী প্রাণী, কিন্তু একটা সার্বভৌম দেশের প্রধানমন্ত্রী'র কেঁচোর ভূমিকায় অভিনয় মানায় না!
আর সমকালের হাত কচলানো সম্পাদক সাহেবের কাছে জিজ্ঞাসা, অভীক সরকারকে জিজ্ঞাসা করেছেন সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী নিধনের ব্যাপারে তার পত্রিকার স্ট্যান্ড কী?
অভীক সরকার কোন কমোডে হাগু করে, কোন টিস্যু দিয়ে পাছা মোছে, কোন ব্রান্ডের জাঙ্গিয়া পরে— এগুলো আপনি জেনে ব্যক্তিগতভাবে সুখি হতে পারেন, কোনো অসুবিধা নাই। কিন্তু একটা জাতীয় দৈনিকের যে দায়বদ্ধতা থাকে সেটা মেটানোর কোনো অভিপ্রায়/পেশাদারিত্ব কেনো আপনার মধ্যে অনুপস্থিত?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এই প্রশ্নের জবাব আছে অভীক সরকারের এই মন্তব্যে -
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
প্রথম কথা, এইটা অতীত না। ঘোর বর্তমান।
আর দ্বিতীয় কথা, সমকালের সম্পাদক সাহেব আসল কথা জিজ্ঞেস না করে কী বালটা ফেলতে গেছেন অভীক সরকারের কাছে?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সেটাই।
ছাল নাই কুত্তার বাঘা তার নাম, আর কিছু বলবো কিনা বুঝতেছি না,
আমাদের রুচির এতো নিচে নেমেছে , Home প্রতিমন্ত্রী শাহ্রুখের গান শোনার জন্য মাটিতে বসে থাকে, সেখানে সাধারন মাঙ্গো পাব্লিক এর কোন দোষ দেক্তেছি না, কি বলেন?
তীর্যক চোখ
ভালো বলেছেন।
মিষ্টি আর ইলিশের বাইরে যে আরেকটা বিশাল বাংলাদেশ আছে, সেই বাংলাদেশ কে চেনার ইচ্ছা এবং আগ্রহ খুবই কম মানুষের মাঝে দেখেছি, পশ্চিমবঙ্গের। সমকালের সম্পাদকের এই আচরণ, পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের বই না পাওয়া যাওয়া, বা চ্যানেল না দেখতে পাওয়া, এই সবকিছুর কারণ আমার মনে হয়, আমাদের এই অতিরিক্ত অতিথিপরায়ণতা। বা আত্মসম্মানের অভাব। অতিথিপরায়ণতার ঠেলায় ওদিককার কোন অবজ্ঞাই চোখে পড়ে না।
বাংলাদেশের মুসলিম নামগুলির বানান বিকৃতিই শুধু হয় না, সাথে দেদারসে শ্রী/ শ্রীমতি লাগানো হয়ে থাকে। এটা কি ধরনের আচরণ? নামের বানান ঠিক করে যারা লিখতে পারেন না, তারা যতই নিজেদের আন্তর্জাতিক বলে দাবী করুন না কেন, তাদেরকে পেটি আঞ্চলিক ছাড়া আর কিছু ভাবি না।
শ্রী/শ্রীমতি লাগালে কী সমস্যা?
এটা একদমই আমার ব্যক্তিগত ধারণা, নামের আগে মিঃ/ মিস/ মিসেস/ জনাব/ শ্রী ইত্যাদি লাগানো আমার একদমই পছন্দ নয়। তারপরও যদি কেউ লাগান, তাহলে যার নামের আগে লাগানো হচ্ছে, সেই নামটির উপযোগী সম্বোধন আশা করি। বাংলাদেশের হিন্দু নামগুলির আগে তাই জনাব/ বেগম যোগ করা পছন্দ করি না, এবং একইভাবে পশ্চিমবঙ্গের মুসলমান নামগুলির আগে শ্রী/ শ্রীমতি যোগ করা পছন্দ করি না। এতে সংখ্যাগরিষ্ঠের সম্বোধন সংখ্যালঘুর উপর চাপিয়ে দেয়া হয় বলে মনে করি।
সম্বোধন ভালো নয় স্বীকার করেই বলি, নামের উপযোগী কোনো সম্বোধন আছে বলে ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি না। আরবি নামের আগে জনাব/বেগব আর বাংলা নামের আগে শ্রী/শ্রীমতি লাগানোতেই বরং সাম্প্রদায়িকতার গন্ধ পাই। আরবি এবং বাংলা নামকে যথাক্রমে মুসলমান আর হিন্দু নাম বলার মধ্যেও।
মনে হয় ঠিকমতো বোঝাতে পারিনি। যদি কাউকে সম্বোধন করতেই হয়, তাহলে তার সম্প্রদায়ের রীতি মেনে করার মধ্যে সমস্যা দেখি না। সংখ্যাগরিষ্ঠের সম্বোধন সংখ্যালঘুর উপর চাপিয়ে দেয়া হয়- বলার মধ্যেই আমার বক্তব্য। অন্য কোনো টুইস্ট এখানে নেই।
ঠিক মতোই বোঝাতে পেরেছেন। আমার মন্তব্য এতে বদলাচ্ছে না।
ব্যাপারটা নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় আবার ভাবলাম। আমার চিন্তায় ভুল ছিল। আনন্দবাজারের বাংলাদেশের মানুষের নাম ভুল বানানে লেখার দীর্ঘকালীন ঔদ্ধত্য দেখে দেখে প্রচণ্ড বিরক্ত ছিলাম। মনে হয়েছিল, নামের আগের শ্রী/শ্রীমতি সম্বোধনেও এক ধরনের চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা আছে। এখন মনে হচ্ছে এভাবে চিন্তা করাটা অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানো। সম্বোধনসূচক কিছু ব্যবহার না করলে ভালো। করলে যেকোনো একটা রীতি মানলেই সেটা স্বাভাবিক। ধন্যবাদ।
অর্ধশিক্ষিত ও কুশিক্ষিতদের কাছ থেকে আত্মসম্মানবোধ আশা করা ঠিক না। সাংবাদিকদের একটা বড় অংশ এই দলেই পড়েন।
লেখার জন্য ধন্যবাদ। দরকার ছিলো।
ভাইয়া, গুরুত্বপূর্ণ একটি লেখা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
শুধু একটা জিনিসই আনন্দবাজারের বাংলাদেশের যেকোন সংবাদপত্রের চেয়ে বাই ফার অনেক উপরে, তাদের সাক্ষাতকারগুলি। এটা অবশ্য সামগ্রিকভাবেই আমাদের দেশের যেকোন মিডিয়াই পুরো বিশ্বের চেয়ে অনেক পিছিয়ে। আমাদের এখানকার ইন্টারভিউয়াররা কোন বিব্রতকর প্রশ্ন করেন না। সেজন্য আমাদের সাক্ষাতকারগুলি খুব নীরস হয়ে থাকে। ভারতের সাংবাদিকরা কোন ধার ধারেন না। তারা যে কাউকে, সে যত বড় বা সিনিয়র স্টারই হোক না কেন, যেকোন বিষয়ে যেকোন প্রশ্ন করেন। সাক্ষাৎকারে সোজা কথায় তারা ছিলে ফেলেন। আমাদের সাংবাদিকরা এই বিষয়ে এখনও অনেক পিছিয়ে।
যেমন, প্রভার ঘটনায় কোন সাংবাদিক তাকে সরাসরি ভিডিওর কথা জিজ্ঞেস করেননি। এই ঘটনা ভারতে হলে প্রথম দিনই শ' খানেক সাংবাদিক গিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে হাজারটা প্রশ্ন করত। কিংবা সাম্প্রতিক অ্যাটর্নী জেনারেলের তেলের বালতি নিয়েও তাকে কেউ কোন প্রশ্ন করেছেন বলে আমার নজরে আসেনি। এটা ভারতে হলে পরদিন সাংবাদিকরা তাকে ওই তেলের বালতিতে চুবিয়ে দিত।
আর আনন্দবাজার ভারতে নিতান্তই একটা স্থানীয় পত্রিকা। এর কোয়ালিটি আমাদের "সিলেটের ডাক" পত্রিকার চেয়ে এক আঙ্গুল হয়ত বেশি যেহেতু সিলেটের জনসংখ্যার চেয়ে পুরো পশ্চিম বাংলার জনসংখ্যা অনেক বেশি, তাই বাজারটা একটু বড়। আমাদের দেশের প্রায় সব জেলাতেই এরকম কিছু স্থানীয় পত্রিকা থাকে যেগুলিতে শুধুমাত্র সেই অঞ্চলের খোঁজখবর এবং খুব উল্লেখযোগ্য দু'একটা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক খবর থাকে। আনন্দবাজারেও মুলত পশ্চিম বাংলার খবরই থাকে। গতবার বাংলাদেশ ভারতকে হারানোর পর তাদের হেডিং ছিল "১১ বাঙ্গালীর বিরুদ্ধে লড়ল ১ বাঙ্গালী"। ভারত হেরেছে এটা নিয়ে তারা বিন্দুমাত্র চিন্তিত না, সৌরভ গাঙ্গুলী কিছুটা লড়াই করেছিল, এতেই তারা মহাখুশি। যেখানে তারা ভারতের জাতীয় পত্রিকার সাথেই তুলনা করার আশেপাশেই যায় নাই, অভিকবাবুর আন্তর্জাতিক মানের দাবি বৃদ্ধবয়সের বালখিল্যতা ছাড়া আর কিছু না।
কে যেন এর প্রচারসংখ্যার উদাহরন দিলেন যে তাদের সার্কুলেশন ১৩ লাখ! হতে পারে। অসম্ভব কিছু না। কিন্তু এই সার্কুলেশন এজন্য না যে তাদের মান খুব ভাল। পত্রিকাটা অনেক পুরোনো আর কলকাতার মানুষের (ওভারঅল এটা হিন্দুদেরই বৈশিষ্ট্য) পুরোনো যেকোন কিছুর প্রতি ভালবাসা খুব বেশি থাকে। একটা হিন্দু বাড়িতে গিয়ে দেখবেন পরদাদার আমলের চেয়ার এখনও ড্রয়িংরুমের সাজানো আছে, খেতে বসে দেখবেন তাদের ঠাকুরদার আমলের কাঁসার বাটি। এগুলি মুসলমানদের বাড়িতে পাবেন না। কলকাতায় একশ-দেড়শ বছরের পুরোনো অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখনও জাকজমক অবস্থায় আছে যেটা ঢাকায় কল্পনাই করা যায় না। এটা জাস্ট ওদের বৈশিষ্ট্য, ওরা নতুন জিনিসে যেতে চায় না। আনন্দবাজার ছাড়া আর যে দু'একটা পত্রিকা ওদের আছে (আজকাল, বর্তমান ইত্যাদি), ওগুলির অবস্থা তথৈবচ, সিলেটের ডাকের চেয়ে বরং এক আঙ্গুল নিচে।
- রাইসুল জুহালা
আপনার পুরো পর্ববেক্ষণটিই ভালো লাগল। বিশেষ করে আনন্দবাজারের সার্কুলেশনের ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের মানসিকতার বিষয়টি আলোচনায় একটি নতুন তথ্য যোগ করল, ধন্যবাদ।
তবে সাক্ষাৎকারের বিষয়টিতে আমার দ্বিমত আছে। আক্রমনাত্মক সাক্ষাৎকার আসলে খুব ভালো সাংবাদিকতা নয়, এগুলো হচ্ছে গিমিক তৈরি করা। সম্প্রতি আমাদের ক্রিকেট টিম এসবের ভুক্তভোগী।
প্রভার ব্যক্তিগত বিপর্যয়ে তাঁর বাড়িতে সাংবাদিকরা ভিড় করে যদি ' কবে ?'কোথায়? কখন?' এসব প্রশ্ন করতে থাকেন তাহলে সেটি সৎ সাংবাদিকতা কি না সে বিষয়ে আমার প্রশ্ন আছে।
প্রভার ব্যাপারটা শুধুই একটা উদাহরন। আমিও একমত যে প্রভাকে এই বিষয়ে খোঁচানো সৎ সাংবাদিকতা না। আসলে এটা একটা বাজে উদাহরন, দুঃখিত। কিন্তু অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রেই আমি পাঠক হিসেবে যখন একটা সাক্ষাৎকার আমাদের কোন পত্রিকায় পড়ি, যে প্রশ্নগুলি করা হয়, তার বাইরেও আমি আরও অনেক প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই। তার মানে কি? সাক্ষাৎকারটা পাঠক হিসেবে আমার চাহিদাকে পূরন করতে পারছে না। বিশ বছর আগে জিটিভির আপ কি আদালত অনুষ্ঠানে উপস্থাপক (কি যেন নাম তার? ভুলে গেলাম) বিগ শট অতিথিদের যে প্রশ্ন করতেন (উনি কিন্তু কখনোই আক্রমনাত্মক ছিলেন না), সে ধরনের প্রশ্ন বোধহয় আজকেও আমাদের কোন সাংবাদিক ছোট খাট বা মাঝারি নেতাদেরও করতে পারেন না। দ্যাট ওয়াজ মাই পয়েন্ট। কিছুটা অফটপিকে চলে গেলাম বোধহয়।
- রাইসুল জুহালা
শরদ কাপুর (যদি আমিও ভূলে গিয়ে না থাকি)
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
"পত্রিকাটা অনেক পুরোনো আর কলকাতার মানুষের (ওভারঅল এটা হিন্দুদেরই বৈশিষ্ট্য) পুরোনো যেকোন কিছুর প্রতি ভালবাসা খুব বেশি থাকে। একটা হিন্দু বাড়িতে গিয়ে দেখবেন পরদাদার আমলের চেয়ার এখনও ড্রয়িংরুমের সাজানো আছে, খেতে বসে দেখবেন তাদের ঠাকুরদার আমলের কাঁসার বাটি। এগুলি মুসলমানদের বাড়িতে পাবেন না। কলকাতায় একশ-দেড়শ বছরের পুরোনো অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখনও জাকজমক অবস্থায় আছে যেটা ঢাকায় কল্পনাই করা যায় না। এটা জাস্ট ওদের বৈশিষ্ট্য, ওরা নতুন জিনিসে যেতে চায় না।"
এই ধরনের বর্ণবাদী মন্তব্য মডারেশন পার হয়ে ক্যামনে আসে সেটাই আশ্চর্য্যের !
ভাই, আজব ব্যাপার তো! এটা বর্ণবাদী মন্তব্য কি করে হল? জার্মানীর লোক বিয়ার বেশি খায়, রাশিয়ানরা ভদকা বেশি পছন্দ করে, ফ্রেঞ্চরা খুব শিল্প সমঝদার, সিলেটের লোক লন্ডনে বেশি যায়, নোয়াখালির লোক বেশি ধর্মপরায়ন হয়, এগুলিও কি আপনার মতে বর্ণবাদী মন্তব্য? আমি কি হিন্দুদের বা ওপারের মানুষের সম্পর্কে নেগেটিভ কিছু বলেছি? উপরের উদাহরনগুলিও যদি আপনার কাছে বর্ণবাদী মন্তব্য মনে হয়, তাহলে আমার তেমন বলার কিছু নাই। শুধু বলব, 'বর্ণবাদী' শব্দটা খুব স্ট্রং। এই শব্দ যত্রতত্র ব্যবহার না করাই ভাল। আপনার এই বিষয়ে আরও চিন্তাভাবনা এবং বিচার-বিবেচনা করা উচিত। ধন্যবাদ।
- রাইসুল জুহালা
প্রিয় রাইসুল জুহালা,
আমার মা তার শৈশবের প্রিয় একটা জামা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন নিজের মেয়েকে পরাবেন বলে। এবং মজার ব্যাপার হলো সেই জামা গায়ে চড়ানোর সৌভাগ্য তাঁর মেয়ের ঠিকই হয়েছে। আমার বাবা হোস্টেলজীবনে যে ফ্যানটা ব্যবহার করতেন সেটা আমিও হোস্টেলে নিয়ে গেছি, এমনকি এখনো ব্যবহার করি। আমার প্রথম স্টিলের গ্লাস, বর্ণপরিচয়ের খাতা, প্রথম বই সব গুছিয়ে রেখেছেন আমার মা। আমরা হিন্দু নই। তাও "এটা জাস্ট আমাদের বৈশিষ্ট্য।" আমরা ঐতিহ্য ভালোবাসি, স্মৃতি বাঁধিয়ে রাখি। তাতে আমাদের জীবন অতীতেই আটকে পড়ে আছে বলে মনে হয় না।
একটা গল্প শুনুন। আমার চেনা এক ভদ্রমহিলা পড়শিবাড়িতে গিয়ে বাড়ির কিশোরীকে বলেন, "মা, তোমার কত গুণ! তুমি গান গাও, ছবি আঁকো, কবিতা লেখো! আমার তো ভাবতেই অবাক লাগে। তুমি একটা কালো মেয়ে, অথচ তোমার কত গুণ! এজন্যই তো আমি তোমাকে কালো কোকিল বলে ডাকি।"
এই ভদ্রমহিলা নিশ্চয়ই বর্ণবাদী নন, তাইনা? এই যে কত মিষ্টি মিষ্টি কথা বললেন, প্রশংসা করলেন। নেগেটিভ কিছু কি বলেছেন? নাহ! আপনিও নেগেটিভ কিছু বলেননি। শুধু শুধু গণ্ডমূর্খের দল আপনাকে ধর্মের ষাঁড় ভেবে বসেছে। এ ভারি অন্যায়!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
"অথচ" টাও বোল্ড হওয়া দরকার।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
হ
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
"মুছলমান মানেই সন্ত্রাসী জঙ্গী"
এই বাক্যটাকে কি আপনার বর্ণবাদী মনে হয়?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বর্ণবাদ কাকে বলে আপনি তা জানেনই না। একটু পড়ালেখা করে আসুন। মূর্খের মত মন্তব্য করা থেকে বেঁচে যাবেন।
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
রাইসুল জুহালা, আপনি কিন্তু 'কলকাতার মানুষ'দের ধর্মের ভিত্তিতে দেখেছেন, 'মানুষ' হিসেবে নয়। তাই আপনার লেখায় 'হিন্দু বাড়ি' ও 'মুসলমানদের বাড়ি' কথাগুলো চলে এসেছে। আমি বলবো যে, হ্যাঁ, বর্ণবাদী শব্দটা খুবই স্ট্রং এবং এটা আপনার লেখায় অনেক বেশি স্ট্রংলি উঠে এসেছে।
যতই যুক্তি দিননা কেনো, আপনার মন্তব্যটা কিন্তু একটা বর্ণবাদী মন্তব্য হিসেবেই চিহ্নিত হবে।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
@ রাইসুল জুহালা,
অতি সরলীকরণ করে ফেলেছেন। আপনার পর্যবেক্ষণ সীমিত। পুরানো ঢাকায় আপনি একদিন চক্কর মারলে বুঝবেন।
আর আমি বুনোহাঁসের সাথে একমত। প্রশংসাসূচক হলে বর্ণবাদী হতে পারবেনা এমন কোন কথা নেই।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ উজানগাঁ... স্পষ্ট করে তুলে ধরবার জন্য...
আপত্তিকর
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমার কাছেও আপত্তিকর মনে হয়েছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
আমার কাছেও।
পুরো উদ্ধৃত অংশে এই দু'টি বাক্যাংশই আপত্তিকর মনে হয়েছে। দু'টোই ব্ল্যাঙ্কেট স্টেটমেন্ট, জাজমেন্টাল, প্রচ্ছন্নভাবে গোষ্ঠীগত নিন্দাসূচক, এবং 'আমরা বনাম তাহারা' টাইপের তুলনামূলক। এটুকু বাদ দিলে আমি বরং বাকিটুকুকে প্রশংসাসূচকই বলবো (যদিও স্পষ্টতই মন্তব্যকারীর সে উদ্দেশ্য ছিল না) - নিজেদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতি দরদ আমার মতে সভ্যতার লক্ষন। এটা মনে হয় মন্তব্যকারীর বোধের বাইরের বিষয়।
'বর্ণবাদী' নয়, আমি বরং সাম্প্রদায়িকতাগন্ধী এবং কিছুটা জেনোফোবিক বলবো। 'বর্ণবাদী' বোধহয় একটু অন্য জিনিষ, তাই না ?
মনমাঝি
সহমত।
ভাই আমার একখান কথা আছে আপনার এই মন্তব্য প্রসঙ্গে-
যার পরদাদা চেয়ারে বইছে বা যার পরদাদা কাঁসার বাটিতে দুধ খাইয়া মানুষ হইছে তারা তো সেটা সংরক্ষন করতে চাইবেই। যার দাদা মাটিতে বসে টিনের বাটিতে ভাতের মার খাইয়া বড় হইছে তার পক্ষে তো ওইসব সংরক্ষন করা সম্ভব না তাই না? আর পুরানা জিনিষ সংরক্ষনের গুরুত্তটা বোধহয় আপনার বুদ্ধিতে কুলায় নাই। আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কথা বললেন? পুরান ঢাকার নামে শুনছেন কখনো? সময় হলে পুরান ঢাকা টা একটু ঘুরে আসবেন তাহলে আপনার ধারনাটা হয়তো চেঞ্জ হইলেও হইতে পারে।
সচলায়তনের মডারেশন আরো সাবধানী হওয়া দরকার নাহলে নিতিমালা শুধু নীতিমালার জায়গায় রয়ে যাবে আর তার ভিতর দিয়ে এইসব আবজাব লোকজোন এসে পরিবেশ নষ্ট করবে।
--
কালো ও সাদা
সাম্প্রাদায়িক মন্তব্যের জবাবে দারুণ বর্ণবাদী মন্তব্য করলেন ... ভালো
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
জায়্গামত ধরেছেন
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
আপনি আমার কথার ভুল তরজমা করলেন, আমি বুঝাতে চেয়েছি যে সংরক্ষনটা অনেকটা বনেদি ব্যাপার, এখানে হিন্দু কি মুসলিম এটা ব্যাপার না। ইন্ডিয়ার কথা বাদ দেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা এলাকায় একটা করে বা একাধিক বনেদি বাড়ী পাবেন যাদের পরদাদা কেউকেটা ছিলেন এবং তাদের সৃতি ধরে রাখার জন্য বংশধরদের প্রত্যেকের বাড়িতে কিছু না কিছু জিনিষ সংরক্ষিত রয়েছে, কালচক্রে হয়তো তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হয়েছে, কিন্তু ওই সৃতি তারা যে কোনো মুল্যে সংরক্ষন করেছে। অপর পক্ষে যাদের ভাগ্য চক্রে হয়তো ওই সময় কিছু ছিল না তাদের সংরক্ষনের কিছু থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। উদাহারন হিসেবে সিলেটের হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীর বাড়ী বা বগুড়ার মোহাম্মদআলীর বাড়ির কথা বলা যায়।
আমার কথার সপক্ষে যুক্তি দিয়ে গেলাম তবুও আমার বক্তব্যের ভাষা বর্ণবাদী মনে হয়ে থাকলে ক্ষমা করবেন।
--
কালো ও সাদা
কনফিউসান ...
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
@ কালো ও সাদা,
আপনি কী বললেন তা স্পষ্ট নয়। ধরে নিচ্ছি আপনি বলতে চাইছেন, ঐতিহ্য সংরক্ষণের সাথে পরিবারের আর্থিক অবস্থাকে সম্পর্কযুক্ত। - তাহলে আমি আপনার সাথে অংশত একমত।
উপরে রাইসুল জুহালার মন্তব্যটা সীমিত পর্যবেক্ষণ থেকে উদ্ভূত। আমার মতে ঐতিহ্য সংরক্ষণের সাথে শিক্ষা ও পারিবারের আর্থিক অবস্থা ওতপ্রোত ভাবে সম্পর্কযুক্ত। ব্যাপারটা মোটেই হিন্দু-মুসলমানের বৈশিষ্টসূচক নয়। অনেক জমিদার নন্দন পড়াশোনা না করে স্রেফ (প্রথমে জমি-জমা তারপর) আসবাবপত্র, পুরানো পেইন্টিং, ঝাড়বাতি, এমনকী মেঝে থেকে খুলে শ্বেত পাথর বিক্রি করে জীবন যাপন করত। আবার অনেক বনেদী পরিবারের সন্তানরা সুশিক্ষিত হয়ে স্মৃতি রক্ষার্থে পারিবারিক জাদুঘর শাপন করেছেন এমন উদাহরণ আছে। তবে এটা ঠিক দ্বিতীয় দলে মানুষ কম।
কিন্তু কোনভাবেই রাইসুল জুহালার মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
রাইসুল জুহালার সাথে বলদিয়ার চৌদ্রি সাপের মুলাকাত করানো প্রয়োজন। উনি মোগল সম্রাট কোকা সিদ্দিকির বদনা নিয়ে সকালে গাছের গোড়ায় সার দিতে বের হন।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
কালো ও সাদার মন্তব্য পড়ে প্রথম এই কথাটাই মনে এসেছে।
চৌদ্রি সাপ এখন বোধহয় বদনা হাতে জেলখানার ল্যাট্রিনে কয়েদীদের গু-মুত সাফ করতেছেন। খবরটা জানেন তো?
http://www.risingbd.com/law-crime-news/215731
****************************************
ফাহিম ভাই, আমি আসলে এটাই বুঝাতে চেয়েছি একটু বড় পরিসরে তাই ব্যাক্তি বর্গের নামও উল্লেখ করেছি। আর আমার মতো অতি সাধারন মানুষদের পুরনো জিনিষ সংরক্ষনের যে ব্যাপারটা তা বুনোহাঁস বলে দিয়েছে তাই ওটা আর আলাদা করে বললাম না।
--
কালো ও সাদা
- এই অংশটুকু উপরের ঐ রাইসুল জুহালা'র মতোই অতি নিন্মমানের বর্ণবাদী মন্তব্য হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রইলো।
- খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ও ইন্টারেস্টিং। গেলো বছরের মাঝামাঝি সময়ে এরকমই কথায় কথায় সচলের মডারেশন ও নীতিমালা নিয়ে বুক ভরা ভালোবাসার বান ডেকেছিলো। আজকাল বিভিন্ন মন্তব্যে দেখছি নীতিমালা'র কপি-পেস্ট চলছে ... ... খুউপ খিয়াল কইরা ... ...
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
অনুপম ভাই, উনি বোধহয় অন্য জিনিস বোঝাতে চেয়েছিলেন। কথাটা স্পষ্ট করে বোঝাতে পারেন নি। উপ্রে আমার মন্তব্য দেখেন।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
এই প্রশ্নটা আমারও। আমরা কবে আত্মসম্মানের দিক দিয়ে নিজেদের একটু 'বড়' ভাবতে শিখবো????
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
সাক্ষাতকারের লিংক ক্লিক করে ওটাই আগে পড়ে আসলাম, তারপর আপনার লেখা। একেবারে নতজানু হয়ে শ্রদ্ধা প্রদর্শনটা চোখে লেগেছে। তবে ভেবেছিলাম আপনি আরো ২ টা প্রসঙ্গ নিয়েও কথা বলবেন---বাংলাদেশী লেখকদের লেখার অনুপস্থিতি নিয়ে অনুযোগ এবং এর জবাবে অভীক সরকারের বড় ভাইসুলভ পিঠ চাপড়ে দেওয়া, আর বাংলাদেশের সংবাদের অনুপস্থিতি নিয়ে অনুযোগ ও একই রকমের জবাব।
তবে তিনি গোলাম সারওয়ারের এসব অনুযোগের এক অভাবনীয় জবাব দিয়েছেন "
।" প্রশ্নকর্তা এটা শুনে নিশ্চয়ই একেবারে বর্তে গিয়েছেন
'হেনকালে গগনেতে উঠিলেন চাঁদা / কেরোসিন শিখা বলে এসো মোর দাদা'
কিন্তু উহারা যে চাঁদ নয় আর ইহারা ও যে কেরোসিনের শিখা নয়, সেটি এতোদিনে ও বুঝতে না পারলে কেমনে?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
অবিক শুয়রকর আসছিলো নাকি বাংলাদেশে! ওহহোরে... একেবারে ধন্য হয়ে গেলেম...
আগে জানলে একটু "লাল গালি'চা সম্বর্ধনা" দেতেম... উনি মহান ব্যক্তি... ধুর্বাল মিস হয়ে গেলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
...........................
Every Picture Tells a Story
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
এই মহামান্য সম্পাদকের প্রতি আমাদের অনেক বিরক্তি আছে। কিন্তু আপনি একেবারে শুয়রকর ডেকে ফেলেছেন দেখে জানতে চাইছি, আপনাদের দিক থেকে এতটা ক্ষোভের কারণগুলো কী কী? (একটা দেখলাম বানান...)
দাদাগো,
এমন সময়ে আপনার প্রশ্নটা চোখে পড়লো, এক্ষুণি মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে ছুটতে হচ্ছে। এসেই বলছি সেকথা...
কিন্তু একটা কথা বলে যাই, আমার মন্তব্যে কোথাও কোলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গ বা ভারত বিদ্বেষ আপাতত নেই। তাই প্রসঙ্গটা "আমাদের" আর "আপনাদের" না হোক, এই অনুরোধ রইলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কই, ভারত বিদ্বেষের কথা তুলিনি তো? আমাদের-আপনাদের পার্থক্যটা এই জন্যই, যে আমরা আনন্দবাজারের (সম্ভাব্য) পাঠকশ্রেণীর মধ্যে পড়ি, ক্যাচমেন্ট এরিয়াও বলতে পারেন, আপনারা তো সেটা নন। এই যেমন আমরা দৈনিক মতিকণ্ঠের ক্যাচমেন্ট এরিয়ার মধ্যে পড়ি না। কেউ শখে পড়ি, সে ভিন্ন প্রসঙ্গ। আপনি বিদ্বেষী বলে চিহ্নিত হবার চিন্তা বাদ দিয়েই বলুন।
নাম বিকৃতিটাই আসলে প্রধান কারণ। দীর্ঘদিন ধরে এই বিকৃতিটা চলছে। অভিক সরকারকে বিকৃত করে অভিক শুয়রকর বলা যে ঠিক না, এটা তার নিজেরই জানা উচিত সবার আগে।
বানানটা এক্ষেত্রে দোহাই হতে পারে না। নামের বানানে প্রতিষ্ঠানের মোড়লগিরি কেন থাকবে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ফুটানি দেইখা মেজাজ খ্রপ হয়।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আপনি মাঝে মাঝে লেখা দিলে ভালো লাগে।
অভিকবাবুর আন্তর্জাতিক মানের দাবি বৃদ্ধবয়সের বালখিল্যতা ছাড়া আর কিছু না। আর আমরা তাতেই আহল্লাদে গদ গদ...
=))
হাসতে হাসতে একদম গড়িয়ে পড়ছি !! হাঃ হাঃ হাঃ
বছর কয়েক আগে দিল্লীতে গিয়ে একটা বাংলা পত্রিকা (মূলত মেষ বা নিরানন্দ বাজার) খুঁজতে খুঁজতে জান কয়লা হয়ে গিয়েছিল। কনট প্লেস থেকে শুরু করে কত জায়াগাতেই না দৌঁড়েছি গাড়ি নিয়ে। আমার কাছে মনে হচ্ছিল পুরো দিল্লীই বোধহয় তোলপাড় করতে হবে। যেই দোকানেই জিজ্ঞেস করি বাংলা পত্রিকার কথা, সেই এমন ভাবে তাকায় যেন জানতে চায় এটা কি চিজ - খায় না পিন্দে! শেষে একজনের পরামর্শে সি.আর.দত্ত না এরকম নামের কি যেন একটা আদাড়ে বাঙালী পাড়ায় গিয়ে ময়লা ফুটপাথে পেলাম অফিক ছড়কাড়ের সেই মহান 'আন্তর্জাতিক' পত্রিকা !
যে পত্রিকা নিজ দেশের রাজধানীতেই অপরিচিত, পাওয়া যায় না ঠিকমত, টয়লেট-পেপারের মত পড়ে থাকে ময়লা ফুটপাথে - সেটাই কিনা আবার 'আন্তর্জাতিক' পত্রিকা !!! মশাও তাহলে চামচিকা, বা চামচিকা কাউয়া ! ছ্যা !
মনমাঝি
আনন্দবাজার পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিনপন্থী পত্রিকা, তাই আমাদের দক্ষিনদের মতো অতীতচারী হতে পছন্দ করে না, এটায় অবাক হইনি। অবাক হয়েছি আমাদের সম্পাদক/সাংবাদিকদের বালস্যবালখিল্য মনোভাব দেখে। সাথে মন্ত্রীকেও যুক্ত করে নিয়েছে। এখন বুঝুন এরা বাংলা একাডেমীকে পুরষ্কার দেবার সাহস কেন পাবে না!
ইন্টারনেটে আনন্দবাজার পত্রিকা পড়তে ব্রাউজার বদলাতে বদলাতে হয়রান হয়ে যেতে হয়, এটা আবার আন্তর্জাতিক পত্রিকা!!! বিরাট কৌতুক!! বাংলাদেশে মানব জমিনের সাথে আনন্দ পত্রিকায় তুলনা করা যেতে পারে। সংবাদমূল্যে এর চেয়ে বেশী রেটিং পেতে পারে না আ.বা.প.।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আপনারা সবাই কিন্তু এখনো ওই একই ভুল করে যাচ্ছেন, 'আনন্দবাজার' না, 'আনন্দবজর'
ইন্টারনেটে আনন্দবাজার পত্রিকা পড়তে ব্রাউজার বদলাতে বদলাতে হয়রান হয়ে যেতে হয়, এটা আবার আন্তর্জাতিক পত্রিকা!!! বিরাট কৌতুক!! বাংলাদেশে মানব জমিনের সাথে আনন্দ পত্রিকায় তুলনা করা যেতে পারে।
কলকাতায় গেলে মাঝে-মধ্যে পত্রিকায় চোখ বুলানো হয়। কখনোই আনন্দবাজারকে আমার খুব পদের কোনো দৈনিক মনে হয় নাই। নিউজ ম্যাটেরিয়াল বলতে গেলে শূণ্যের কোঠায়।
আরিফ ভাই, অতো টেনশন নিয়েন না। আমাদের এই বুড়োরা মরে গেলে, ওপারকে কেউ পুছতে যাবে না। বাংলা ভাষা, বাংলা সংস্কৃতির সবকিছুই বাংলাদেশকে ঘিরে হবে।
আনন্দবাজার পত্রিকার ইউনিকোড সাইট - http://anandabazar-unicode.appspot.com/proxy
আনন্দবাজার পত্রিকার ইউনিকোড সাইট - http://anandabazar-unicode.appspot.com/proxy
কিন্তু এটা তো একটা থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট। নাকি আনন্দবাজারের নিজেদের উদ্যোগ এটা?
proxy শব্দটা মুছে লিংকটার এক ধাপ পেছনে যান। দেখবেন লেখা আছে - This site is a way to petition Anandabazar for adopting Unicode Bangla in their online version.
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আনন্দবাজার পত্রিকাটি বাজারপন্থী হলেও, পুরো আনন্দবাজার গ্রুপটিই প্রতিযোগিতাহীন একচেটিয়া বাজারে বিশ্বাস করে। সাধে কি সুমন গেয়েছিলেন- "সুনীল গাঙ্গুলীর দিস্তে দিস্তে লেখা, কত কবি মরে গেল চুপি চুপি একা একা"! সেই স্থানীয় বাজারের একচেটিয়া পত্রিকার সাথে আমাদের প্রতিযোগিতামূলক বাজারের তুলনা অর্থহীন।
-----------
চর্যাপদ
ঠিক, দুটো দুই ধরণের বাজার। সুতরাং এক বাজারের কৌশল অন্য বাজারে খাটবে না।
সহমত
মতপার্থক্যের কারনে কোনো কিছুর বা কোনো ব্যাক্তির সমালোচনা করা কিছু নির্দেশ করে। আর সুযোগ বুঝে সবাই মিলে ঝাঁপিয়ে পরে ধোলাই করাটা বোধ হয় অন্য কিছু নির্দেশ করে।
বাংলাদেশের কোন পত্রিকা সাংবাদিক এক সংবাদপত্র মালিকের সাথে আদেখলামো করেছে; সেই সুত্র ধরে সাক্ষাতপ্রদানকারী ব্যাক্তিটিকে, তারপর সেই সুত্রে একটি সংবাদপত্রকে, তারপর সেই সংবাদপত্রের সকল পাঠককে, তারপরে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গবাসীদের যে তুলোধনা করা যায় সেটা এই পোষ্ট আর মন্তব্যগুলো না পড়লে বোধ হয় আমার অজানাই থেকে যেত। অনেকদিন ব্লগগুলোতে ঘোরাঘুরি করার পর এখন আর এসব ব্যপারে ঠিক ততটা অবাক হই না, তবে সচলায়তনের কঠোর মডারেশন পেরিয়েও যখন এই ধোলাই উৎসব শুরু হয় তখন মনে হয় পুরো বাংলাদেশটাই বোধ হয় আসলে সমান। সামহোয়ার বিশ হলে সচলায়তন ঊনিশ।
উৎসটা কোথায় দাদারা? হীনমন্যতা? নিজেদের বাড়ির লোকে হীনমন্যতায় ভুগলে সেটা তাড়ানোর উপায় কি পড়শীকে গালাগালি করা? অভীক সরকার কি বলেছিল আদিখ্যেতা করতে? আর বললেই বা অন্যেরা শোনে কেন? শাহরুখ খানকে ডেকে নিয়ে গিয়ে অনুষ্ঠান করিয়ে আবার সেই অনুষ্ঠানেই “আই হেইট হিন্দী বলে” গলা ফোলানো আপনাদেরই মানায় বটে! হিন্দী সিরিয়াল দেখার জন্য আপনাদের মাথায় কি কেউ বন্দুক ধরেছে?
যাই হোক আনন্দবাজার নিয়ে আমার এমন কোনো ফিলিংস নেই। তাও কিছু বহুল প্রচারিত ভ্রান্ত ধারনাগুলোর এগেইন্সটে আবার একবার কিছু পয়েন্ট উত্থাপন করি।
১) স্ট্যান্ডার্ড ব্যাপারটা বোধ হয় মাপার জন্য কোনো এবসলিউট স্কেল নেই। তাই এই ব্যাপারে কোনো তর্ক না করে একটা কথাই বলি। এট লিস্ট বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পচারিত পত্রিকার মত কোমোড এর মধ্য দিয়ে গোগোল এর ইন্টারনেট লাইন দেবার খবর ছাপায় না। নীল আমস্ট্রংএর মুসলমান হবার খবরও ছাপায় না। হোক্স সাইটগুলোর খবর ছাপিয়ে ধরা খাবার নজির অন্তত আনন্দবাজারের নেই। বাংলাভাষায় বিজ্ঞান বা প্রযুক্তি সংক্রান্ত লেখার কোয়ালিটি আর যাই হোক উৎপল শুভ্রকে দিয়ে অর্জন করা যাবে না। এরজন্য একজন পথিক গুহকেই তৈরি করতে হবে।
২) আনন্দবাজার এর ইন্টারনেট ভার্সান নিয়ে আমিও বেশ কনফিউসানে ছিলাম। অভীক সরকারের কথায় আজকে বোধ হয় ব্যাপারটা বুঝতে পারলাম। হিসাব সহজ। ইন্টারনেট ভার্সানে এখন কোলকাতায় ব্যাবসা নেই। ওটা খয়রাতী্র টাকায় চলে। ব্যাবসা আসলে কোমড় বেঁধে নামবে। যেমন চব্বিশ ঘন্টার নিউজ চ্যানেল আসার পরে পুরো স্টার নিউজ গ্রুপটাকে কিনে নিয়েছিল আনন্দবাজার গোষ্ঠী।
৩) বানানবিধির ব্যাপারে আনন্দবাজারের নিজস্ব স্ট্যান্ডার্ড আছে। বাংলা একাডেমী ফলো করে না ওরা। আমার জানামতে সমস্ত বিদেশী/অ-বাংলা নামগুলোকেই উৎপত্তিস্থলের উচ্চারনরীতি অনুযায়ী ওরা ট্রান্সলিটারেশন করে। তাই “সোনিয়া গাঁধি”, “সচিন তেন্ডুলকার” নামগুলো দেখা যায়। এখন আরবী/ফার্সী নামগুলোর সঠিক ট্রান্সলিটারেশন কি হবে সেটা আমি জানি না। তবে এর পিছনে বাংলাদেশ বিদ্বেষ যারা খোঁজে তাদের নিয়ে আর কিছু নাই বলি।
অভীক সরকার তার পত্রিকাকে মহাজাগতিক মানের বলেও দাবী করতে পারেন। সেটাতে কান না দিলেও চলবে। সচল এর বিশেষজ্ঞরা আনন্দবাজারকে তেড়ে গাল দিতে পারেন। সুনীল-শীর্ষেন্দুর লেখা দিয়ে টয়লেট পেপার এর কাজও চালানো যায় না বলে রায় দিতে পারেন। কিন্তু ঘটনা হল একটা “দেশ” পত্রিকা বা একটা “আনন্দবাজারের” স্ট্যান্ডার্ড এর পত্রিকা বাংলাদেশ থেকে এখনো বেরোয়নি। ইনফ্যাক্ট আমার ধারনা বাংলাদেশী স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকাগুলোর বহু উপসম্পাদকীয়ই সচলয়াতনেরও মডারেশন পেরোবে না।
আচ্ছা, ভারতের সাথে সম্পর্ক আছে এমন পোস্ট ছাড়া আপনি আর কোন পোস্টে ইন্ট্যারাকশানে কি গিয়েছেন কখনো? জানতে ইচ্ছে করছে।
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
না জাইনি। একজন ভারতীয় হিসাবে আমার ভারত সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে আগ্রহ থাকাটাই স্বাভাবিক। সাহিত্য পোষ্ট গুলো মাঝে মাঝে পড়লেও মন্তব্য করার মত গুরুত্ব দিয়ে পড়ি না। আর বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন রাজনীতি বা অন্যান্য বিষয়গুলোতে আমার আগ বাড়িয়ে নাক গলানোটাও উচিৎ নয় বলেই মনে করি।
কিন্তু হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন?
বিনোদনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রসূন।
কান টানলে মাথা আসবেই। এতে অবাক হবার কিছু নেই। আনন্দবাজারের কিছু আচরণ সেখানকার সংস্কৃতি প্রতিনিধিত্ব করে। যেমন, এপারের লোকদের নামের বানান ভুল লেখার সংস্কৃতি। এটা ঠিক আনন্দবাজারের একার প্রাকটিস নয়। গণহারে এই কাজ করা হয়। একারণে আলোচনা শুধুমাত্র আনন্দবাজারের সীমাবদ্ধ থাকবে না এটা বলাইবাহুল্য। এখানে হয়তো খেয়াল করেছেন সচলায়তনের লেখক পাঠক কেউই এপারের পত্রিকাটিতে বা পত্রিকাগুলোতে চালু সংস্কৃতিকে এক বিন্দু ছাড় দেয়নি।
কয়দিন বাংলা ব্লগ পড়েন?
কন্টেন্ট বেশী হলে গার্বেজ বাড়ে। ইন্টারনেটে এদিক ওদিক নজর রাখলে পশ্চিমের পত্রিকা (ভারতও পশ্চিমে, আমি আরো একটু দুরের পশ্চিম বোঝাচ্ছি) কী পরিমান গার্বেজ তৈরী করে প্রতিদিন সেটা সম্পর্কে জানতেন। এই লিংকে একটু ঢু মারতে পারেন সময় করে। তো এভাবে পশ্চিমবঙ্গের বাংলা পত্রিকাগুলোর দরিদ্র কন্টেন্ট ছাকার কাজটা করারও সমস্যা আছে। উনাদের পত্রিকা এখনও সার্চেবল কন্টেন্ট তৈরী করতে পারেনি। এমন না যে গোটা ইন্ডিয়াতে বাংলা ইউনিকোড কন্টেন্ট ভিত্তিক কোন সাইট করার মতো কোন প্রকৌশলী নেই। সত্যটা হলো এই কাজে উদ্যোক্তাদের জ্ঞানের অভাব। তো ওখানকার পত্রিকার কন্টেন্ট ছাপা কাগজে পড়েও যে মানুষজন অল্টারনেটিভ মিডিয়াতে আত্মসমালোনায় মগ্ন হবে সেই অল্টারনেট মিডিয়া, অর্থাৎ ব্লগ সংস্কৃতিও সেখানে নেই। হাতে গোনা যে কয়টা আছে সেখানে এধরণের কোন সমালোচনা পড়েনি। আগে এই ভুল ধরে সেটা সমালোচনা করার সংস্কৃতিতে হাত সড়গড় করতে হবে। তারপর কথা বললে ভালো। আপনি যে কয়টা নাম নিলেন এদিককার পত্রিকার সবগুলোই আমার ধারণা এদিককার ব্লগ মারফত জেনেছেন। জাতীয়তাবাদি ভক্তিবাদ বাদদিয়ে সমালোচনা করতে শিখুন দয়া করে। এতে নিজেদের উন্নতি হবে।
১৩ লাখ সার্কুলেশন দিয়ে একটা সাইট ইউনিকোড করে সেটা চালানোর জন্য কোমড় বেঁধে নামা লেগে? হাসালেন ভাই। ইউনিকোড ফন্ট ফ্রি, প্রযুক্তি রেডিমেইড, ওয়েবেও হেল্প কন্টেন্ট প্রচুর। একাজ করতে কোমড় বাঁধা লাগে না। এই গপ্প রকের আড্ডায় আর কাউকে শুনিয়েন। ইউনিকোড বাংলা ব্লগে এই জিনিস খাবে না কেউ।
আনন্দবাজার নির্দিধায় পরবর্তী নোবেল পুরস্কার দাবি করতে পারে। সাহিত্যে না হলেও শান্তিতে। ব্যাংক ট্যাংক খুলেও আজকাল মানুষ নোবেলফোবেল পেয়ে যাচ্ছে। আর একই ভাষার অক্ষরে লেখা নাম টান্সলিটারেশন করার জ্ঞান বিতরণের জন্য আবাপ একটা নোবেল একটা পেতেই পারে। বাংলাদেশের বিখ্যাত যেকারো নামের বানান দেখার জন্য গুগল সার্চ করলেই তো হয় দাদা! ওহ, গুগল সার্চ করতে তো আবার ইউনিকোডে বাংলা লিখতে জানতে হয়। অভ্র নামের একটা ফ্রি সফটওয়্যার অবশ্য আছে। নাকি সেটা ইনস্টল করতে আবার কোমড় বেঁধে নামতে হবে? জানাবেন আশা করি।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
প্রসূনের "কোমড়" বাঁধার জন্য একটি বেল্ট কিনে দিতে রমণ শ্রীবাস্তবের প্রতি আকুল আবেদন ফরমাইলাম।
কনফিউসান ...
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
বিনোদনই বটে! নাহলে সাতকান্ড রামায়ন পড়ে সীতা রামের মাসী হয়।
যেমন, এপারের লোকদের নামের বানান ভুল লেখার সংস্কৃতি।
বাংলাদেশের বিখ্যাত যেকারো নামের বানান দেখার জন্য গুগল সার্চ করলেই তো হয় দাদা!
আনন্দবাজার তাবৎ দুনিয়ার সবার নামই নিজেদের মত করে বানান করছে। সেটা বলে দেবার পরেও “কুমীরের রচনা- কাঁটা কাঁটা” আবার লিখতেন না।
এখন নিজেদের বানানবিধি আবিষ্কার করার জন্য আনন্দ গোষ্ঠীকে “নোবেল-ফোবেল” দেবেন না সচল সম্নাননা দেবেন সেটা নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যাথা নেই। কিন্তু এর মধ্যে আপনি পার্টিকুলারলি বাংলাদেশ বিদ্বেষ কেন আবিষ্কার করছেন সেটাই তো জানতে চাইছি। সচিন বা গাঁধি এদের কে চোখে পড়ে না কেন? নাকি একচোখ বন্ধ করেই তালগাছ দাবী করবেন।
১৩ লাখ সার্কুলেশন দিয়ে একটা সাইট … ইউনিকোড বাংলা ব্লগে এই জিনিস খাবে না কেউ।
সার্কুলেশন তের লাখ হোক বা তের কোটি। উনাদের ব্যাবসা ছাড়া অন্য কিছুতে উৎসাহ নেই সেটা তো বলেই দিয়েছেন। আপনারা সাহিত্যচর্চায় আগ্রহী তাই নিজেদের একটা প্লাটফর্ম বানিয়েছেন। আনন্দবাজার ব্যাবসা ছাড়া কিছু বোঝে না, তাই ওদের ইউনিকোড এর কোনো দরকার পড়ে না।
ইউনিকোড বাংলা ব্লগ লিখে যেদিন যথেষ্ট লাভের অঙ্ক দেখা যাবে সেদিন আনন্দবাজারও ব্লগ খুলবে। প্রসূনের কোমড় বাঁধতে হবে না। অভীক সরকারই ধুতিতে মালকোচা মারবে। তবে এ নিয়ে এত বিনোদিত হতে দেখে আপনাকে তো বেশ রসময় বলে মনে হচ্ছে।
সচিন বা গাঁধিকে চোখে পড়তে হবে কেন? সচিন বা গাঁধির বানানের ভুল না ধরে এলে কি বাংলাদেশের মানুষের নামের বানানবিকৃতি নিয়ে কথা বলা যাবে না নাকি? আর সচিন বা গাঁধির বানান নিয়ে প্রতিবাদ আপনি করেছেন কোথাও? বাংলাদেশের ব্লগে ব্লগে কোথায় গরু চোরাচালান হচ্ছে, সেই টহল দিয়েই তো কূল পান না।
সচিন বা গাঁধির বানান নিয়ে প্রতিবাদ অথবা আনন্দবাজারের বানান “ঘবেষনা” নিয়ে প্রতিবাদ করলে তো সমস্যা নেই। সেরকম কথা আমি বলেছি বলেও তো মনে হয় না। সমস্যাটা হয় আনন্দবাজারের বানানঘভেষনার পিছনে “একধরনের অসভ্য গোপন সাম্প্রদায়িক স্যাডিজম এর উৎস” খুঁজে বের করলে। আবার সেটাকে “ পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে সাধারন” বলে মনে করলে।
সমস্যাটা হয় তখন- যখন আনন্দবাজারের জনপ্রিয়তার পিছনে কেউ “হিন্দুদের বিশেষ বৈশিষ্ট” খুঁজে পায় আর লেখকের “[b]পুরো পর্ববেক্ষণটিই ভালো লাগে[/b]”। এর চেয়ে বেশী স্পষ্ট করা বোধ হয় আমার পক্ষে সম্ভব না।
তা আনন্দবাজার ঠিক কী উদ্দেশ্য নিয়ে মৌলানা আবুল কালাম আজাদের বানান ঠিকমতো লেখে, আর এদিক থেকে হাবিবকে হবিব আর মাশরাফিকে মাশরফি লেখে? আপনার ব্যাখ্যাটা কী? গান্ধীর নামটাকে পাছা মেরে গাঁধি লিখলেই কি এই অনাবশ্যক ইতরামি জাস্টিফায়েড হয়ে যায়?
এ তো দেখি মহাজ্বালা। জাস্টিফায়েড হয় কখন বললাম? আমার বক্তব্য তো একটাই- “শুধুমাত্র বাংলাদেশীদের টার্গেট করেই এরকম করা হয়” একথাটা তো ডাঁহা মিথ্যে। এই কথাটুকু মানেন নাকি আগে বলেন। তারপরে বাকীটা এমনিতেই সহজ হয়ে যাবে।
তারমানে আপনি বলতে চাইছেন, আনন্দবাজার সারা দুনিয়ার লোকের সাথে করে অতএব এটা জায়েজ?
@ প্রসূন,
আপনার যুক্তি ঠিক না। অ্যান্ড্রু সাহেবের বানান ঠিকই রেখেছে। খালি রাজ্জাককে বানিয়েছে রজ্জাক।
স্ক্রিনশট: আনন্দবাজার পত্রিকা। ১৫ মার্চ, ২০১১।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
কাইসটা কে?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আর বইলেন না। আমিও পয়লা চিনি নাই। কায়েসের কথাটা তুলি নাই এমনিতেই। রাজ্জাক নামটা কমন, তাই ঐটা দিলাম।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
কমন ফমনের ব্যাপার না। ওদের সাংবাদিক ঢাকায় আছে। ওরা প্রেসবক্সে যায়। সেখান থেকে সাংবাদিকদের কাছ থেকে নামের বানান জানতে পারে। বাইরে গিয়ে পত্রিকা কিনে নামের বানান জানতে পারে। এইসবের কোনটাই ওরা করে না।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
অন্তত গুগল করুক। বেশির ভাগ পত্রিকাই ইউনিকোডে!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে, আনন্দেব্যাজারের সাংবাদিকেরা ইউনিকোড লিখন পদ্ধতি সন্ধান করতে জোড়াতালি দিয়ে "আভ্র" লিখে গুগুল মেরেছিলেন, কিছু না পেয়ে সেই চেষ্টায় ক্ষান্ত দিয়েছেন।
@ প্রসূন, সেনগুপ্তকে যদি সেনগুপটা না লিখে তাহলে রাজ্জাককে কেন রজ্জাক লিখছে?
যাদের নামের বাংলা উচ্চারণ ও বানান আছে তাদের নাম নিয়ে নিজস্ব গবেষণা না করাই ভালো।
নাওমি বানান তো ঠিকই লিখছে। ই-কার বাদ পড়ে নাই। আনিসুল হকের নামে ই-কার দিতে কষ্ট হয় বুঝি?
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আনন্দেব্যাজার পত্রিকার অবগুণ্ঠন নিয়ে রিসার্চ চুদানোর ফল আমরা হাতেনাতে দেক্তে পেলেম। অভীক সরকার কবে বংলাদেশ ছাপে সেটা দেখার অপেক্ষায় রৈলেম। আশা করি লার্জ হ্যাড্রন কলাইডারের সাহায্য ছাড়াই উনারা রিসার্চ চুদিয়ে এই বানানে পৌঁছে যাবেন।
সচিন বা গাঁধি তো বাংলায় নিজেদের নাম লিখতেন না। মাশরাফী বাংলায় লেখেন। কোনো ব্যক্তির নাম তাঁর ভাষাতেই অন্যভাবে লিখলে সেই ব্যক্তিকে অশ্রদ্ধা করা হয়।
সত্যিই অবাক হইলাম। এই অশ্রদ্ধাজনক কাজটি করছে একটি দেশের জাতীয় দৈনিক, এবং পত্রিকাটির লক্ষ লক্ষ পাঠকের কেউ প্রতিবাদ পর্যন্ত করছেন না!
আনন্দবাজার পড়া হয় না, তাই পুরো বিষয়টা সম্বন্ধেই অন্ধকারে ছিলাম। এখন জেনে (উপ্রে ফাহিম ভাইয়ের মন্তব্যগুলো দেখুন) ব্যাপারটাকে স্রেফ অজ্ঞতাবশত বিভ্রান্তি বলে মানতে পারছি না। আমার সবচেয়ে বেশি অবাক লাগছে আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদক এবং মালিক অভীক সরকার ঢাকা ঘুরে গেলেন অথচ এ ব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যা চাওয়া হয়নি তার কাছ থেকে। প্রশ্ন হচ্ছে, কেন?
বিনোদনই বটে! নাহলে সাতকান্ড রামায়ন পড়ে সীতা রামের মাসী হয়।
যেমন, এপারের লোকদের নামের বানান ভুল লেখার সংস্কৃতি।
বাংলাদেশের বিখ্যাত যেকারো নামের বানান দেখার জন্য গুগল সার্চ করলেই তো হয় দাদা!
আনন্দবাজার তাবৎ দুনিয়ার সবার নামই নিজেদের মত করে বানান করছে। সেটা বলে দেবার পরেও “কুমীরের রচনা- কাঁটা কাঁটা” আবার লিখতেন না।
এখন নিজেদের বানানবিধি আবিষ্কার করার জন্য আনন্দ গোষ্ঠীকে “নোবেল-ফোবেল” দেবেন না সচল সম্নাননা দেবেন সেটা নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যাথা নেই। কিন্তু এর মধ্যে আপনি পার্টিকুলারলি বাংলাদেশ বিদ্বেষ কেন আবিষ্কার করছেন সেটাই তো জানতে চাইছি। সচিন বা গাঁধি এদের কে চোখে পড়ে না কেন? নাকি একচোখ বন্ধ করেই তালগাছ দাবী করবেন।
১৩ লাখ সার্কুলেশন দিয়ে একটা সাইট … ইউনিকোড বাংলা ব্লগে এই জিনিস খাবে না কেউ।
সার্কুলেশন তের লাখ হোক বা তের কোটি। উনাদের ব্যাবসা ছাড়া অন্য কিছুতে উৎসাহ নেই সেটা তো বলেই দিয়েছেন। আপনারা সাহিত্যচর্চায় আগ্রহী তাই নিজেদের একটা প্লাটফর্ম বানিয়েছেন। আনন্দবাজার ব্যাবসা ছাড়া কিছু বোঝে না, তাই ওদের ইউনিকোড এর কোনো দরকার পড়ে না।
ইউনিকোড বাংলা ব্লগ লিখে যেদিন যথেষ্ট লাভের অঙ্ক দেখা যাবে সেদিন আনন্দবাজারও ব্লগ খুলবে। প্রসূনের কোমড় বাঁধতে হবে না। অভীক সরকারই ধুতিতে মালকোচা মারবে। তবে এ নিয়ে এত বিনোদিত হতে দেখে আপনাকে তো বেশ রসময় বলে মনে হচ্ছে।
এটা আপনি না বললেও আগে বহুবার আমরা বলেছি এবং আবাপ যতদিন এই কাজ করবে ততোদিন এটা বলে যাবো। দুনিয়ার তাবত লোকের নামের বানান আর বাংলা ভাষাভাষিরা যারা নিজেরা বাংলায় নিজের নামের বানান লেখেন এই দুইটা দুই জিনিস। আর বোকার মতো শচীনের নাম নিয়েন না। শচীন, সোনিয়া এরা নিশ্চয়ই নামের বানানটা বাংলা অক্ষর দিয়ে লেখেন না। বাংলা অক্ষর না চিনলে বলবেন। চিনিয়ে দেব।
ব্যবসার ছাত্র হয়েও আপনার এই রেফারেন্স ধরতে পারলাম না। ইউনিকোডিত করে পাঠক সংখ্যা বাড়ালে তো আনন্দবাজারেরই রিডারশিপ বাড়ে। এটা ব্যবসাবুদ্ধিরই কথা। নাকি আপনি ভাবছেন সাইট ইউনিকোডিত করলে ব্যবসা লাটে উঠবে তাদের?
শুভ কামনা জানাই। তবে আমাদের আনন্দবাজার ব্লগ দেখার সৌভাগ্য হবে কিনা বলতে পারছি না। কারণ কম্পিউটারে ইউনিকোড সফটওয়্যারে বাংলা লিখতে পারবে এরকম লোকজনই তো নেই ওইপারে। ভবিষ্যত হবে এরকম লক্ষনও এখনও পর্যন্ত দেখা যায় না। মোটমাট হাতে গোনা শখানেক হতে পারে হয়তো ওরা। এই সংখ্যা নিয়ে কোন বিজ্ঞাপনদাতাকে টানা যাবে বলে মনে হয় না। বিজ্ঞাপন নেই, ব্যবসাও নেই, আনন্দবাজারও নেই।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
কিসের ভিত্তিতে দাদা?
একটা স্বাধীন দেশের তুলনা হয় আরেকটা স্বাধীন দেশের সাথে। হীনমন্যতা কিংবা উচ্চমার্গতা তখন প্রাসঙ্গিক হতে পারে, পাশের দেশের অন্তর্ভুক্ত একটা রাজ্যের সাথে আবার কিসের হীনমন্যতা- বলেন দিকি?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। এই কথাটি বলতে চেয়েছিলাম। আপনি গুছিয়ে বলে দিয়েছেন।
আপনি কি পোষ্ট পড়ে মন্তব্য করলেন? নাকি আমার মন্তব্য দেখেই আৎকা একখান কমেন্ট ঝাড়লেন?
পোষ্ট এর সাথে আপনার মন্তব্যের পার্থক্য তো এন্টেনার উপর দিয়ে গেল। সহজ করে দু চার লাইনে বুঝিয়ে বলুন তো লেখক কি বলতে চেয়েছেন। দেখি আমার মাথায় ধরে কিনা।
গরু চোরাচালানের সাথে সম্পর্কবিহীন পোস্টে প্রসূনকে দেখে তব্দা খেলুম।
কি করব বলুন। গরু পাচারে ভাঁটা চলেছে ইদানীং। দিন পনের আগে তাই সময় কাটানোর জন্য আপনার ফুটস্কোপিক গল্পগুলো সব পড়ে ফেললাম। আবার সময় পেলে কমেন্ট দিমুনে। তহন আরো তব্দা খাইয়েন। অহন আইয়েন আনন্দবাজারের অবাংলা নাম বিকৃতি আর বাংলাদেশী বিদ্বেষ নিয়ে প্যাচাল পাড়ি।
ভাইয়া,
অন্যদের মন্তব্যে কষ্ট নিবেন না। আপনি প্লিজ আমার পোস্টে একটু কষ্ট করে নিয়মিত কমেন্ট করে যাবেন।
প্লিজ ভাইয়া, প্লিজ...একটা অনুরোধ, রাখতেই হবে। না বললে শুনব না।
হঃ আপনার অনুরোধ কি আর ফেলতে পারুম। তয় আপনাকেও কিন্তু এমনি sohoj পোষ্ট করতে হবে। ওই ন্যারেটিভ আর ডিস্কোর্স লিখলে কিন্তু কমেন্ট করতে পারুম না।
ন্যারেটিভ আর ডিসকোর্সগুলো প্রকাশিত হয়েছিল এদেশের পত্রিকাতেই, ভুলে ওগুলোরে বিদ্রুপ করে ফেলেছি।
নিশ্চিন্ত থাকেন, সহজ পোস্ট করব। প্রয়োজনে যুক্তাক্ষর বর্জিত শব্দে সহজপাঠ লিখব।
তবে কথা দিতে হবে, ব্যবসা না হলে ইউনিকোড করা যাবে না, কিন্তু অইউনিকোডের সাবেকী হালের ওয়েব সাইট চালানো যাবে, এরকম তথ্য দিয়ে আপনি আমাদের বিনোদিত করবেন।
দু'চারটা ব্লগে দু'য়েকজনের মন্তব্য দেখেই যদি ১৬ কোটি মানুষের পুরো দেশটাকে সমান মনে হয়, তাহলে আর আপনার মতো আরেকটা কূপমণ্ডুক বর্ণবাদী এই মানসিকতাকে রেসিপ্রোকেট করলে এত গা-জ্বালা ধরে কেন, দাদা ? 'মাসতুতো ভাইদের' তো পরস্পরকে ভালো লাগারই কথা !
হীনমন্যতাটা আসলে আনন্দবাজারেরই। বাংলাদেশি নামের বিকৃতি তার সিম্পটম মাত্র। হীনমন্যতা এবং একধরনের অসভ্য গোপন সাম্প্রদায়িক স্যাডিজম এর উৎস। আমার কথা নয়, অনেক আগে ঠিক এই প্রসঙ্গে এক পশ্চিম বঙ্গের লেখকের লেখাতেই এটা পড়েছিলাম (এই মুহুর্তে নাম মনে পড়ছে না)। তার ভাষায় অবশ্য এটা ছিল একটা "গোপন সাম্প্রদায়িক উল্লাস" বা কিক অনুভবের এক বিকৃত পন্থা। আমি বলি স্যাডিজম।
সার্কাসের হাট পত্রিকা বাংলাদেশিদের নামের ক্ষেত্রে যেসব বানান ফলায়, তার 'উৎপত্তিস্থল' খুঁজতে হলে অনেক সময় মঙ্গলগ্রহে যেতে হবে। অর্থাৎ, বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে তাদের বানানে না থাকে আরবি-ফার্সী রীতি, না থাকে বাংলাদেশি রীতি। যদিও মজার ব্যাপার হলো আসল আরবি-ফার্সী মানুষ বা ভারতীয় মুসলমানদের নামের বেলায় তারা বোধহয় এটা করে না। ভারতীয় মুসলমানদের নামের বানানে আমি অনেক আনথেনটিক (অর্থাৎ মূল ভাষা অনুযায়ী নয়) বানান দেখেছি যা ঐ নামধারীর নিজস্ব বানান অনুযায়ীই করা হয়েছে। এর থেকে যা বোঝা যায়, সেটা বোঝার ক্ষমতা আছে আপনার ? "উৎপত্তিস্থলের" ওজরটা বিশুদ্ধ ফালতু একটা ফাত্রামি তাদের। এই জিনিষটা দশকের পর দশক ধরে চলে আসছে অজস্র সমালোচনা ও প্রতিবাদ সত্ত্বেও। এর কারন আগেই উল্লেখ করেছি - বেহায়া হীনমন্যতা ও গোপন সাম্প্রদায়িক স্যাডিস্টিক ডিজর্ডার।
আরেকটি ব্যাপার হলো, আমার জানামতে দুনিয়া জুড়ে রীতি হলো যার নাম - তিনি যেমন বানানে লেখেন - তেমন বানানেই লেখা। যেমন ধরুন, অনেক ইউরোপিও নাম আছে যার মূল উৎপত্তি হিব্রু ভাষাতে। উদাহরণস্বরূপ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী David Cameron-এর কথা ধরা যাক। এই David-এর উচ্চারন আমার জানা মতে হবে ডেভিড বা ডাভিড। কিন্তু নামটার আসল উৎপত্তি কিন্তু হিব্রুতে - যেখানে এর উচ্চারন 'দাউদ' বা 'দাউয়িদ' - এরকম কিছু একটা হবে। এখন আপনার কথা অনুযায়ী তথাকথিত নিরানন্দবাজারী রীতিতে উৎপত্তিস্থলের উচ্চারনরীতি অনুযায়ী ট্রান্সলিটারেশন করলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নাম লিখতে হবে 'দাউয়িদ ক্যামেরন' ! এখন আপনি কি কল্পনা করতে পারেন, David Cameron ভারত সফরে আসলে সার্কাসের-হাট পত্রিকা এই সফর সংক্রান্ত খবরে শিরোনাম করছে এরকম - "দাউয়িদ ক্যামেরনের ভারত আগমন..." ইত্যাদি ?! একই কথা প্রযোজ্য আরো কোটি-কোটি মানুষের বেলায়। তারা কি 'জিসাস ক্রাইস্ট'কে উৎপত্তিস্থলের উচ্চারনরীতি অনুযায়ী ট্রান্সলিটারেশন করে 'ইয়েশুয়া ক্রিস্টস', জন মেজরকে 'ইয়োহানান মেজর', জ্যাকব জুমা-কে 'ইয়াকোভ যুমা', ইত্যাদি বানান করে ? এমনকি ভারতের ধরুন মুসলিম ব্যক্তি যিনি নিজের নাম 'আমেদ' লিখেন, তার নামের বানান শুদ্ধ করে নিয়ে 'আহমাদ' লিখে ? সার্কাসের হাট পত্রিকা হাজার-হাজার মাইল দূরের দাঁতভাঙ্গা রুশ, আফ্রিকান বা চৈনিক নামের নির্ভুলভাবে বানান করে ফেলে গবেষনা করে, কিন্তু বাড়ির পাশের (দেশের) বাঙালির নাম যেন বানান করতে পারে না বা জানে না, যাদের সাথে রয়েছে প্রায় হাজার বছরের শেয়ারড ইতিহাস ?! এটা একটা বিশ্বাসযোগ্য কথা হলো !! প্রসূনবাবু, শাক দিয়ে হাজার চেষ্টা করলেও পচা মাছ ঢাকা যা না, তীব্র দুর্গন্ধটা ঠিকই ছড়িয়ে পড়ে।
মনমাঝি
“সনিয়া গাঁধি” কোলকাতা সফরে এলে বা “সচিন তেন্ডুলকার” সেঞ্চুরী হাঁকালে বা আনন্দবাজারের অফিসে “ডেঙ্গি”র প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে গন্ধ বেরোয় কিনা জানি না তবে আপনার মন্তব্যে সেই একই প্যাচাল এর গন্ধ বেরোচ্ছে।
প্যাচাল তো পাড়তেসেন আপনি। বারবার শিয়ালের কুমিরছানা দেখানোর মত গাঁধি-তেন্ডুলকারের ফালতু প্যাচাল পাড়তেসেন কেন ? গাঁধি-তেন্ডুলকার দিয়ে আমি কি করবো ? আমার কমেন্টটা মনে হয় আপনার এ্যান্টেনার অনেক উপর দিয়ে চলে গেছে। অথচ প্রশ্নটা খুবই সহজ ছিল। তাই আরো একবার প্রশ্ন করিঃ সমস্ত বিদেশী/অ-বাংলা নামগুলোকেই উৎপত্তিস্থলের উচ্চারনরীতি অনুযায়ী ট্রান্সলিটারেশন করার নীতি থেকে যদি গাঁধি-তেন্ডুলকার হয়, তাহলে David Cameron কেন দাউয়িদ ক্যামেরন হয় না, বা জিসাস ক্রাইস্ট 'ইয়েশুয়া ক্রিস্টস', জন মেজর 'ইয়োহানান মেজর', জ্যাকব জুমা 'ইয়াকোভ...', বা ভারতীয় আমেদ সাহেব 'আহমাদ' ? কেন বাংলাদেশিদেরকেই এই স্বেচ্ছাচারী নামের-বানানশুদ্ধি তথা নামবিকৃতির নিরন্তর টার্গেট হতে হয়, যেটা ডেভিড/জন/ বা জ্যাকবদের হতে হয় না ? তাও আবার আপনার তথাকথিত উৎপত্তিস্থলের উচ্চারনরীতি অনুযায়ী ট্রান্সলিটারেশনের নীতিতে নয়, বরং একেবারেই নীতিবিগর্হিত স্বেচ্ছাচারী নীতিহীনতার রীতিতে -- যার সাথে তথাকথিত 'উৎপত্তিস্থল'/অনুৎপত্তিস্থল কোন কিছুরই কোন সম্পর্ক থাকে না ? এর একটাই জবাব আমি দেখছি, যা উপরের মন্তব্যে উল্লেখ করেছি। এটাও বুঝতে পারছি, আপনারও আসলে এবিষয়ে দেওয়ার মতো কোন জবাব নাই, শুধু প্রশ্নের সাথে সম্পর্কহীনভাবে গাঁধি-তেন্ডুলকারের কুমিরছানা দেখিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কুতর্কের বাজার বসানো ছাড়া। সুতরাং এপ্রসঙ্গে আমার তরফ থেকে এখানেই ইতি। ধন্যবাদ।
মনমাঝি
আপনার এই বক্তব্য যে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত অর্ধসত্য, যেটা কিনা আপনি ইচ্ছা করে পেঁচিয়ে চলেছেন এর পিছনের “একধরনের অসভ্য গোপন সাম্প্রদায়িক স্যাডিজম এর উৎস” জোড় করে খুঁজে বের করতে, সেটা প্রমান করতেই আমি সচিন-গাঁধি-ডেঙ্গির কথা বারবার বলছি। এখন সেটাকে কূমীরছানা বলে পাশ কাটিয়ে গিয়ে তালগাছ দাবীই যখন করলেন তখন সেটা আপনারই থাক। এপ্রসঙ্গে আমার তরফ থেকেও এখানেই ইতি। ধন্যবাদ।
জনাব, আপনারেও বারবার বলা হচ্ছে যে বাংলাদেশের বাঙ্গালিদের নামের বানানটা বাংলা অক্ষরে পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে কেন আপনি শচীন সোনিয়ার দোহাই পাড়ছেন। ওরা তো কেউ বাংলায় নিজের নাম লেখে না। বাংলায় লেখা নাম বিকৃত করার কেন দরকার পড়ে?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এইভাবে বুঝালে উনি বুঝবে না। গরু চালান দিয়ে বোঝাতে হবে।
প্রসূন আমি বলছি আপনি শুনুন। মনে করুন, সোনিয়া গান্ধী আর শচীন টেণ্ডুলকার বিশটা গরু নিয়ে বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও সীমান্তে রাতের অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আছে।
এইটুক বুচ্ছেন? বুঝলে বাকিটা বলব।
হঠাৎ বিডিআরের টহলদার বাহিনী চারদিক থেকে আলো ফেলে বমাল পাকড়াও করে তাদের। ল্যান্স নায়েক মকবুল জিজ্ঞাসিলো, "নাম কিহে তোমাদের"। সোনিয়া উত্তর দিলে, "শুনিয়া গাধি"। মকবুলের জবাব, "তোমরা কী শুনিয়া নিজেদের গাধি ভাবিতেছো?" ... (তু বি কন্তিনিউদ) ..
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
হে হে হে
খিক করে হাসি উঠে গেলো বুঝানোর এই পদ্ধতি দেখে! তবে সাথে আরও একটা জিনিস রাখলে মনেহয় মোঃ পশু(ন) ছাহেবের বুঝতে সুবিধা হতো!
"সীমান্তের এই পাড়ে কয়েকজন বারো বছরের আন্তর্জাতিক পুরষ্কারপ্রাপ্ত সন্ত্রাসী লুঙ্গির তলে ট্যাংক লুকিয়ে সোনিয়া গান্ধী আর শচিন-এর কাছ থেকে গরুর আদম শুমারী'র তালিকাটা সরেজমিন তদন্ত করতে গেলো!"
মাননীয় পশু(ন) ছাহেব নিশ্চই এইবার বুঝতে পেরেছেন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দাদা প্রচ্ছূং,
আপনিতো দেখি এপার বাংলার ব্লগ গুলা ভালই পড়ে থাকেন, কবে থেকে?
আপনাদের ওইদিকের কিছু ব্লগ সাইটের লিংক দিন না, একটু ঢুঁ মেরে দেখব সময় করে। কিন্তু আমার পিসি তে তো দাদা অতগুলো ব্রাউজার নাই, পড়তে পারব তো??
হে হে...
নিরাময় অযোগ্য অসুস্থ এই শুকরছানাটিকে সচলায়তনের চৌহদ্দিতে আর প্রবেশের সুযোগ না দেয়ার জন্য মডারেটরদের কাছে অনুরোধ থাকলো।
বৃথা তর্কের বাজার জুড়ে দিয়ে এ কেবল নোংরাই ছড়াবে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
@একজন পাঠক: ২৬শে মার্চ ১৯৭১ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস।
আপনাদের দুঃখ ভাই আমরা বুঝি, হিন্দি বলয় দ্বারা শাসিত। নিজভূমে পরবাসি একটা কথা আছে না। কি আর করবেন একটু মানিয়ে নিন।
আমার মনে হয় একটা বিষয় লক্ষ্য রাখা দরকার। পশ্চিমবঙ্গের লোকজনের জন্য ভারত হচ্ছে তাদের দেশ। তাদেরকে 'হিন্দী বলয় দ্বারা শাসিত' কিংবা 'পরাধীন' জাতীয় কথা বলা তাদের দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য অপমানজনক এবং আনএথিকালি প্রোভোকেটিভ।
ঠিক একইভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য অপমানজনক এবং আনএথিকালি প্রোভোকেটিভ।
এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর ভারত - বাংলাদেশ ইস্যু হিসেবে ট্রিট করে তিক্ততা বাড়ানোটাকে আমি স্ট্রংলি ডিসকারেজ করছি। মডারেটরদের এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানাই।
একজন পাঠকের
মন্তব্যের জবাবে উপরের মন্তব্য করেছিলাম। এখন দেখা যাচ্ছে ওনার মন্তব্যটি মুছে দেয়া হয়েছে।
আমার মন্তব্যটি মুছে দেয়ার জন্য সচলায়তন কর্তৃপক্ষকে বিনীত অনুরোধ করছি।
১. যদি সংস্কৃতির আলাপ হয়, এবং সেখানে বাঙালিত্ব নিয়ে কথা চলে, তাহলে হিন্দি বলয় দ্বারা শাসিত বলতে আমি সমস্যা দেখি না। তবে রাষ্ট্র ও রাজনীতির আলাপে হিন্দি শাসিত বলাটা সঠিক হবে না।
২. কেউ লেখা বুঝতে না পারাটা তার অক্ষমতা। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে যদি কেউ টেনে আনে, তাহলে তার কথার পিঠে কথা আসবেই, এটাকে তিক্ততা বৃদ্ধি বলাটাও বোধহয় সঠিক হয় না।
মুর্শেদ ভাইয়ের সাথে সহমত।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
প্রসূন বাবুর কাছে কোয়েশ্চেন, বাংলাদেশে লেখা হাসিব নামটার আবাপ ট্রান্সলিটারেশন কী হবে? একটু জানালে সুবিধে। জানতে পারলে ঐ বানানে নাম লিখে নিজেকে জাতে তুলে ফেলতে পাত্তুম।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
হসিব
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমারটার কী হবে, বুনো?
প্রকট-প্রেমুক।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আনন্দবাজার পত্রিকা আমি কখনো পড়িনি। তাই এর গুণগত মান সম্পর্কে বলতে পারব না। তবে সাক্ষাৎকার পড়ে অভীক সরকারকে একজন সৎ মানুষ মানুষ মনে হয়েছে। তিনি মুনাফা অন্তঃপ্রাণ, ব্যবসায়ী মানুষ। তিনি সেটা অকপটেই স্বীকার করেছেন। আমাদের মিডিয়া যদি এটুকু সততা দেখাতে পারত, তবে দিন বদলের ঠুলি পরিয়ে মানুষকে বোকা বানাত না। সামাজিক দায়বদ্ধতার বুলি আউড়ে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকার চেয়ে নিজের প্রতি দায়বদ্ধ থাকাটা তাদের ও আমাদের সকলের জন্যই মঙ্গলজনক। গোলাম সারওয়ারের ব্যক্তিত্বহীনতার জন্য তো অভীক সরকার দায়ী নন। তবে হ্যাঁ, নামের বানান নিয়ে গবেষণার নামে যা করছে আনন্দবাজার কর্তৃপক্ষ সেটাকে আমি ঔদ্ধত্যই বলবো। আমার নামের জন্য নির্বাচিত শব্দটি লাতিন। আমার বাবা-মা পরে সেটাকে বাঙালিকরণ করে নিয়েছেন। এটাই আমার নাম। লাতিন উৎস বিবেচনায় এর যত নির্ভুল উচ্চারণই বের করুন না কেন, সেটা আমার নাম নয়।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ওই জন্যই তো বুনোহাঁস হয়ে আছেন - আবাপ পড়ুন, জানুন বুঝুন, সুশীলহাঁস হন...
সুশীল বলায় মনে এলো- আচ্ছা, ডঃ ইউনূসের নাম আনন্দবাজার কী লিখবে?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
উনূষ?
পারস্পরিক পিঠ চুলকাচুলকির বাইরে কেউ কিছু বলতে চাইলেই দল বেঁধে এসে হাদুমপাদুম করা দিন দিন বোধ হয় সচলায়তনে বেড়েই চলেছে। একগোছা কচুর শাকের সাথে দুইলাইন সারকাজম আর এক চিমটে গালাগালি করেই বোধ হয় অনেকে মিলে একটা সুস্বাদু তরকারী পাকাতে চাইছেন। আপনাদের রান্নাঘরে আপনারা কি পাকান তাতে আমার কোনো আগ্রহ নেই। আর এক কথা সবাইকে বার বার বলার ধৈর্যও আর নেই। তাই শেষ বারের মত আমার বক্তব্যটা কন্সাইজ করে দিই। এরপরে আপনারা তরকারী রাঁধবেন না ঘ্যাঁট পাকাবেন সেটা আপনাদের ব্যাপার।
অনেকের নামই আনন্দবাজার এক অদ্ভুত বানানে লিখে যেমন সলমন (সালমান খান), সেইফ (সাইফ আলি খান), আগরকর, মুম্বই ইত্যাদি। গোয়ালিওয়র কে দেবনাগরী স্টাইলে গ্বওলিওর ও ওরা লেখে। দিল্লী আনন্দবাজারে এসে হয়ে যায় দিল্লি। গুজরাতী বানান ফলো করে লেখে গাঁধি। তাই সোহরাওয়ার্দিকে সুরাবর্দি বা মাশরাফিকে মুশারফ লেখাটা সাম্প্রদায়িক ইচ্ছাপ্রসূত বা দুরভিসন্ধিমুলক, সেটা বললে বাড়াবাড়ি হবে।
ওরা বানানের স্টাইল বাংলা একাডেমি থেকেও নেয় না বা সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি কোন বানানে লেখেন, সেটাও কেয়ার করে না। পশ্চিমবঙ্গের ভূতপুর্ব রাজ্যপাল বাংলায় সই করতেন “গোপাল কৃষ্ণ গান্ধী” আনন্দবাজারও তাকেও গাঁধিই লেখে। ওরা নিজেদের মত বানান তৈরী করে, এটাই ওদের পলিসি। এই পলিসি গেলানোর জন্য সম্ভবত একটা অভিধানও বের করেছে তারা। নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী-সম্পাদিত -বাংলা কী লিখবেন কেন লিখবেন।
এখন এই পলিসির আগামাথা নিয়ে গুষ্ঠীউদ্ধার করতে হলে করতেই পারেন। কোনো আপত্তি নেই। আমার বক্তব্য আমি বহু আগেই পরিস্কার করেছি। শুধু একটাই কথা এর পিছনে সাম্প্রদায়িক লেজুড় জুড়ে সেটাকে পশ্চিমবঙ্গবাসীদের ঘাড়ে ফেলার চেস্টা করবেন না। যেটা ইচ্ছাকৃত ভাবেই অনেকে করছেন। যেমন এই মন্তব্যের দ্বিতীয় প্যারাটুকু রাইসুল জুহালার কমেন্ট থেকে নেওয়া। সামহোয়ার ইনে উনি এই কমেন্ট করেছেন। তারপরেও (অর্থাৎ জেনে শুনে) উনি এখানে এসে একটু খুঁচিয়ে গেলেন।
http://www.somewhereinblog.net/blog/BappyHayat/29328295
আর আনন্দবাজারের বেলাতেই কেবল এই সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ আসছে কেন? যায়যায়দিন বা প্রথম আলোও তো অদ্ভুত সব শব্দ বের করে। সেটা কি তাহলে মুসলমান সাম্প্রদায়িকতা? ফারূকী-রাইসু গং এর ভাষা নির্মান নিয়ে তো অনেক সমালোচনাই করলেন। কই কেউ তো ওদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ তুললেন না। তাহলে আনন্দবাজারের অমুসলিম নামগুলোর এত পরিবর্তনের উদাহারন হাজির করার পরেও সেই একই কথা তুলে আনছেন কেন?
আপনি হয় তালকানা, নয়তো ইচ্ছাকানা, নাহলে দেখতে পেতেন এই কোথাকার রাইসুল আবালাকে সচলায়তনের অতিথি আর সদস্যরা মিলেই প্রতিরোধ করেছেন। আপনার মত উনিও মৌসুমী কাদাবিহারী। উনি আর আপনি একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ।
আর আপনার ধৈর্যের মাপে সচলায়তনকে চলতে হবে নাকি? পছন্দ না হলে সামুতে গিয়ে পড়ে থাকেন, কয়টা গরু কোন বর্ডারে চালান গেল গুণতে থাকেন। আপনাকে কেউ সাধে নাই সচলে আসতে।
আর পশ্চিমবঙ্গবাসী আনন্দেব্যাজার পত্রিকার এই বানানের বালছেঁড়া নিয়ে কিছু বলেছে, এমন উদাহরণ যদি দেখাতে না পারেন, আনন্দেব্যাজারের কাজের দায় নিতেও শিখুন। আমাদের এখানে প্রথম আলো চ্যাটের বালো কোনো পত্রিকায় কোনো তাংফাং করে কেউ ছাড় পায় না।
অভীক সরকার অবগুণ্ঠন বানান নিয়ে রিসার্চ চুদায় কোন পদের লোক দিয়ে, আপনাকে দেখে বোঝা গেলো। সর্বান্তকরণে কামনা করি, পশ্চিমবঙ্গে যেন আপনার মতো লোক একটাই থাকে।
এইবার যান, গরু পাহারা দেন গিয়ে।
পশ্চিমবঙ্গে আনন্দবাজারের সমালোচনা লিখিত আকারে যা পড়েছি সেটা হলো ওখানে কারো লেখা হয়তো ছাপানো হয়েছি কি হয়নি এটা সমালোচনা। এর বেশি কিছু পড়ার সুযোগ হয়নি।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এইভাবে দড়িছেড়া মন্তব্য করলে কিভাবে হবে বলুন! ধাপে ধাপে আগাই। সেইমতো জবাব দিয়েন /
- শচীন, সোনিয়া এরা বাঙ্গালি নন। এদের নাম ইংরেজি ও তাদের ভাষায় লভ্য। বাংলায় লিখতে গেলে একটা নিয়মের মধ্যে এনে সেটা লিখতে হয়। ট্রান্সলিটারেশন একটা পদ্ধতি।
- বাঙ্গালির নাম বাংলায় সহজলভ্য। ইন্টারনেট সার্চ করলেই হয়। তাদের ক্ষেত্রে এই নামের ট্রান্সলিটারেশন করতে হবে কেন? বাংলা অক্ষর দেখে সেটা অনুসরণ করলেই তো হয়। এটা আবাপ করে না কেন?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এতো এতো নামের বানান নিয়ে বিকৃতির মচ্ছব চালাচ্ছে একটা পত্রিকা, কোথায় তা নিয়ে প্রতিবাদ করবে তা না, উল্টো তাদের হয়ে সাফাই গাইতে আসছে। আজব!
শচীন সোনিয়া সালমান সাইফদের বানান বিকৃতি করে, তাই রাজ্জাক সোহওয়ার্দীদের বানান নিয়েও করতে পারবে... অদ্ভুত যুক্তি
বাংলাদেশের কোনো পত্রিকা যদি এই কাম করতো, তাইলে তাদের কী হইতো সেটা কি প্রসূন সাহেব আন্দাজ করতে পারেন?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
প্রসূন হচ্ছে সেই লোক, যে সীমান্তে বিএসএফের হাতে শিশু হত্যার সাফাই গাইতে আসে। আর এইটাতো বানান ভুল। পশ্চিমবঙ্গীয় ছাগুদের সাথে পরিচয় নাই, প্রসূনের কল্যাণে বিশ্বছাগুরূপ দর্শন হল।
আনন্দবাজার পত্রিকা (আবাপ) এ বাংলাদেশী মানুষের নামের বানান ভুল লেখা হয়। আবাপে প্রকাশিত খবরে বাংলাদেশকে যথোচিত সম্মান দেখানোর উদাহরণ বিরল। আবাপের সম্পাদকের প্রতি বাংলাদেশের সরকার ও সাংবাদিকদের একাংশের প্রয়োজনের অধিক আগ্রহ, সময় ও স্তুতি দৃষ্টিকটু এবং যুক্তি দিয়ে এই অতিভক্তির কারণ বোঝা যায়না।
আবাপ বা এর সম্পাদক পুরো পশ্চিমবঙ্গের অধিবাসীদের প্রতিনিধি নয় - এই সহজ কথাটি সচলদের অজানা নয়।
সচলায়তনে পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করতে আসা লোকদের উপর তদারকি আরও জোরদার করা হোক।
বহুদিন আগে শমী কায়সারের পরম সৌভাগ্য হয়েছিল একটি ভারতীয় বাংলা ধারাবাহিকে অভিনয় করার, নাম মনে নেই। অবিশ্বাস্য মনে হলেও, টাইটেলে তাঁর নাম দেখানো হতো সোমি কাইজার। নিজেই দেখেছি।
Shomi Kaisar-এর বাংলা সোমি কাইজার কোন যুক্তিতে হয়?
শমী তো বাংলা শব্দ। Sh=শ, তাই না? একে স লেখার যুক্তিটা কী? এ তো রীতিমতো আহাম্মকি।
Kaisar-কে ভুল বানান বিবেচনা করে Kaiser(কাইজার) করা হয়েছে মনে হয়। এটা তো অভব্যতা।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
লেখা ও মন্তব্যসমূহ পড়তে পড়তে একটা আইডিয়া মাথায় আসল| অভীক সরকারের একটা সাক্ষাৎকার নিতে পারলে হত, যাতে ওঁকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করা হবে ' আপনাদের সাংবাদিকরা গুগল করে বাংলা নামের বানান সেই লোক কী লেখে এটা দেখে নেন না কেন? তাহলে কি ধরে নেব যে আবাপ'র সাংবাদিকরা টেকনিক্যালি চ্যালেঞ্জড?' এইরকম পরপর প্রশ্ন করে প্রশ্নের অভিমুখ আবাপ গ্রুপের টেকনিক্যাল ক্যাপাবিলিটির দিকে ঘুরিয়ে দিতে থাকলে অন-ক্যামেরা উনি কী বলেন সেইটা দেখা গেলে বেশ হত| এরপরে 'আজকাল' এর অশোক দাশগুপ্ত আর 'একদিন'এর সুমন চট্টোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকার নিলে ব্যপারটা জমে যেত|
মুশকিল হল একমাত্র সুমনবাবু ছাড়া বাকী দুজনকে, বিশেষতঃ অভীক সরকারের সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য রাজী করানোর মত চ্যানেল আমার নাই| আমি নিতান্ত পা-পা (পাতি পাবলিক)|
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
এই লেখা আর মন্তব্যগুলো বারবার পড়া যায়------
দুর! পড়তে পড়তে রাত কাবার
পুরনো পোস্ট আর তার কমেন্টগুলি পড়তেই এখন ভাল লাগে। সচলের তারকা লেখকরা সবাই কি বুড়ো হয়ে লেখালেখির জগত থেকে রিটায়ারমেন্টে চলে গেলেন শেষ পর্যন্ত??!! নাকি ফেসবুক দাবড়াচ্ছেন এখন? আমি দু'বার ফেসবুক একাউন্ট খুলেও আবার অল্পদিনের মধ্যেই ডিয়েক্টিভেট করে দিয়েছি। কেন জানি ভাল্লাগেনি, মনে হয়েছে বহুক্ষেত্রেই পাড়াটা যেন খেজুরে বাকোয়াজ আলাপ আর পাব্লিকলি ইগো-ম্যাস্টার্বেশনের একটা জায়গা মাত্র। এপাড়ায় আমার অভিজ্ঞতা অবশ্য একেবারেই সীমিত, তবে আরও অভিজ্ঞতা অর্জনের আগ্রহবোধ করছি না কেন যেন। তার চেয়ে এই ভাল, এখানে পুরনো পোস্টগুলিই পড়ি বরং অবসরে।
****************************************
নতুন মন্তব্য করুন