আপনার সাথে আমার কখনও দেখা হয়নি, হবেও না কোনদিন। আপনার নামটাও আমার জানার কথা ছিল না। কিন্তু ডিসেম্বরের ২৪ তারিখ টিভির পর্দায় যখন আপনার ফর্সা মুখ ক্ষোভে লাল হয়ে উঠছিল, তখন চোখ পড়ল পর্দার নীচের দিকে। জাঁ রমিনিসিয়ানু, শার্জদ্যফেয়ার, ফরাসি দূতাবাস, ঢাকা।
সেদিন মিডিয়া আর বাংলাদেশের প্রতিবাদী কিছু মানুষের উপরে আপনি ক্ষেপে উঠেছিলেন। কূটনৈতিক শিষ্টাচার (যা আমাকে নিকটজনেরা শত চেষ্টায় শেখাতে পারেনি) ভুলে আপনি কতোকটা ফুঁসেই উঠেছিলেন। কেন? গরীব দেশ দেখে যাচ্ছেতাই করবেন আর বলবেন, আর আমরা হজম করবো? না, মঁসিয়ে। ফরাসিদের প্রতি আমার ভালোবাসা খানিকটা বেশী। প্রেম, দর্শন কিংবা রসনা, মহান সে দেশের প্রতি আগ্রহের আমার কোন কমতি ছিল না। তাই বলে আমার ঐতিহ্য নিয়ে লুকোচুরি খেলাটায় আমি সমর্থন দিতে পারি না, পারি না আপনার দর্প শান্তমুখে হজম করতে। সামনে পেলে একই সাথে দু'হাতের মধ্যমা প্রদর্শন করতে দ্বিধা আমি করতাম না, মঁসিয়ে.. ক্ষেপে গেলে আমরাও উন্মত্ত ষাঁড়ের মতো ফুঁসতে পারি...
কিন্তু আজকে আমি সেই বোঝাপড়ায় আসিনি। বড় লজ্জা নিয়ে আপনার মতো ঘৃনার্হ একটা মানুষের কাছে হাটু গেড়ে বসে কিছু কথা বলতে চাই। আপনি একথা গুলো শুনবেন না কোনদিনই.. তারপর অসীম লজ্জায় আমাকে কথাগুলো বলতেই হবে.. বাংলাদেশের সমস্ত পুরাকীর্তি আপনারা নিয়ে যান, যতো তাড়াতাড়ি পারুন, নিয়ে যান সব। আর যেগুলো প্রথম চালানেই চলে গিয়েছিল, প্লীজ ফেরত দেবেন না আর।
এসব কথা শুনে কি আপনি আমাকে মধ্যমা দেখাবেন? লাভ হবে না, আমার হেট মাথায় আর কিছুই দেখতে চাই না। চুরির শংকায় আমরা আপনাদের বিরুদ্ধে কতোই না আন্দোলন করেছিলাম। কি লাভ হল তাতে। মোবাইল ফোনের চালান ভেবে যেদেশের মানুষ ৩য় খ্রীস্টপূর্বাব্দের অমূল্য বজ্রসত্ত্ব মূর্তি চুরি করে আর পরক্ষনেই ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে বর্জ্যক্ষেত্রে ছিটিয়ে দেয়, তাদের কি অধিকার আছে নিজের অমূল্য সব সম্পদ নিজের বুকে আগলে রাখার? আমরা মায়ের কুলাঙ্গার সন্তান। দেশের সম্পদ তাই বরং চলে যাক আপনাদের মতো বেনিয়াদের হাতে। আপনারা বেনিয়া হতে পারেন, কিন্তু ইতিহাস আর ঐতিহ্যের মূল্য দিতে জানেন। নিয়ে যান, তবু শান্তি, জানি আগলে রাখবেন পরম মমতায়।
নিয়ে যান মঁসিয়ে, নিয়ে যান সব..
আমরা ঐতিহ্য বিস্মৃত জাতি, এসবের তাই কোন প্রয়োজন নেই আজ আমাদের
বিনীত
একজন লজ্জিত বাংলাদেশী
মন্তব্য
হায়! কোন পিতার পায়ুজাত মূর্খের কাজ এটা? হায়!
হাঁটুপানির জলদস্যু
আসলেই এগুলো রাখার মতোন সাংস্কৃতিক অধিকার আমরা হারিয়েছি।
... I second your emotion
এই ঘটনা থেকে যে অনেক কিছু শেখার আছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষ করে যারা পেশাদার xenophobe, তাদের লজ্জা হওয়া উচিত। যারা শুরুতেই লাফ দিয়ে নানা রকম কন্সপিরেসি থিওরি ফাঁদতে ফাঁদতে মুখে ফেনা তুলে ফেলছে, তাদের এই শিক্ষাটা আরেকটু বেশি দরকার। আইয়ুব কাদরির ফাঁসির দাবীটা কি এখনো বলবত?
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
xenophilia-রও তো কোন সুফল দেখি না। আগে মুজে গিমে থেকে ভালোয় ভালোয় আসল জিনিস সবকিছু ফেরত আসুক, তারপর না হয় ওদের সুনাম গাওয়া যাবে। চল্লিশ বছর ধরে ওদের কাছে ফেরত চাওয়া হয়েছে কতগুলি রেলিক, ফেরত এসেছে কি?
হাঁটুপানির জলদস্যু
এই যাত্রায় মন্তব্য নিস্প্রয়োজন হিমু, একেবারেই নিস্প্রয়োজন । xenophobia আর সুনাম গাওয়ার ছাড়াও যে আরো অনেক অপশন আছে, আশা করি এতটুকু পরিষ্কার।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
হুঁ, অপশন হাজারটা আছে। একটা অরূপ তার পোস্টে বলে দিয়েছে।
আমি দুঃখিত আমাদের জিনোফিলিয়া দেখে। যেহেতু আমরা ছিঁচকে চোর, বাকি সবাই বিরাট সাধু।
মুজে গিমে থেকে একটা খাঁটি রেলিক এনে বাংলাদেশে কোন প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা যাবে কি? যদি যায়, সেখানে তাদের চুক্তির শর্তগুলি একটু দেখতে আগ্রহী আমি। তখন স্পষ্ট হবে জিনোফোবিয়া কি আমাদের একার বাপের সম্পত্তি কি না।
হাঁটুপানির জলদস্যু
সেটা অস্বীকার করি না। তবে আমি অন্য কথা বলেছি। মুর্তি হারানোর পরে কি কি মন্তব্য এসেছিলো, আরেকবার না হয় পড়ে দেখুন।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
সুবিনয় এই মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ না দিলে অন্যায় হবে (যদিও টানা ১৪ ঘন্টা কাজ করে এসে আবারো কম্পিউটারের সামনে বসাটা সুখকর না মোটেও)।
কি বলবো? আজকে শুনলাম প্রদর্শনীটি শেষ পর্যন্ত হচ্ছেনা কারন যেভাবে গিমে প্রদর্শনীটি ডিজাইন করেছিলো তার সবগুলি কাজ না পাওয়াতে তা হুবহু দর্শকের সামনে তুলে ধরতে পারছেনা! যতদূর জানি এসব প্রদর্শনীর অন্তত বছরখানেক আগে থেকে প্রতিটি শিল্প কর্মের সাইজ অনুসারে স্থান বরাদ্দ করা হয়। তো এসব বরাদ্দকৃত স্থানের অনেকগুলোই শুন্য থাকাতে(বাকী কাজগুলো না যাওয়াতে)তা বাতিল করা হয়েছে (শুনলাম)। এই ঘটনা যদি সত্যি হয় তবে প্রতিবাদকারীরা নিঃসন্দেহে মেতে উঠতে পারেন আনন্দে! এখন শুধু অপেক্ষার পালা বাকী কাজগুলো ফিরে আসার। সফল আন্দোলন; মাত্র দু'টি পুরাকৃত্যির বলিদান! তাও অবশ্য ভালো, যে দু'টোতেই সম্পন্ন হয়েছে কাজ। হায়রে স্বদেশ আমার, কতো সহজে জনপ্রিয়তা পাওয়া যায় এদেশে! গরীব কিংবা দুঃখি মানুষের কথা বলেই সেরা দেশপ্রেমিক! সারা বছর চুরি করে দুই ঈদে বা পার্বনে সদগা দিলেই সেরা সমাজসেবী! ভালবাসি ভালবাসি করে গলা ফাটালেই সেরা প্রেমিক! আহা কত সহজে জয় করা যায় কতোকিছু এই বঙ্গে!
আমার এই দীর্ঘশ্বাস বেরুতো না যদি এই আন্দোলনের শুরু থেকেই প্রদর্শনীটির বিরোধিতা না করে বরং চুক্তির দুর্বলতা বা প্রদর্শনীটি কিভাবে দু'পক্ষের স্বার্থ সংরক্ষন করে সম্পন্ন করা যায় তার দাবীটি সামনে আসতো! দীর্ঘশ্বাস বেরুতো না যদি এতবছর ধরে জাতীয় জাদুঘরের সিড়ির তলায় স্যাতস্যাতে অবস্থায় দেশের এই মহামূল্যবান প্রত্নসম্পদগুলো কেন পড়ে আছে এই নিয়ে আমার প্রানপ্রিয় শ্রদ্দেয় শিক্ষকগন দেশজুরে তৈরী করতেন তীব্র আন্দোলন ঠিক এই রকমভাবে! দীর্ঘশ্বাস বেরুতো না যদি এই সুশীল শিক্ষকেরা আমাদের কেন আজো সনাতনী শিল্পকলার শিক্ষা দেওয়া হয় এ নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পরতে দেখতাম!দীর্ঘশ্বাস বেরুতো না যদি নাইকো বা দেশের স্বার্থবিরোধী বিভিন্ন চুক্তির পর গড়ে তোলা হতো তীব্র আন্দোলন! কিন্তু আজ যখন শ্রদ্ধাভাজনদের দেখি যুক্তিহীনভাবে একটা আন্দোলনকে পরিচালনা করতে তখন আমারো মনে সন্দেহ জাগে! সন্দেহ হয় কেউ কি এই যাত্রায় বিদেশ ভ্রমন থেকে বাদ পরাতে বা নিজের অংশগ্রহন না থাকাতে এর বিরোধীতাই নেমেছেন !! খুব বেশীদিন আগের কথা নয়, আমার শ্রদ্বেয় শিক্ষক অপরাজেয় বাংলার নির্মাতা আব্দুল্লাহ খালিদ স্যার আওয়ামীগ আমলে একুশে পদক না পাওয়ার ক্ষোভ থেকে গিয়ে ভিড়েন চ.বি. সাদা শিক্ষকদের দলে! এরকম আরো ডজনখানেক শিক্ষকের বলিদান দেখেছি এই ক্ষুদ্র জীবনে (যার ছবিসহ প্রমানো আছে, যথাসময়ে দেয়া যাবে)। তাই আজ সন্দেহ আমার মনেও দানা বাধেঁ আপনাদের মতো। এজন্য অবশ্য আমাকে ঠেলে দিতে পারেন দেশ মাতাকে বিক্রী করে দেয়া বেশ্যাপুত্রদের দলে। এ নিয়ে অবশ্য অনেকের বেশ জ্বালাময়ী পোষ্টও দেখেছি এই সচলে। কাউকে এমন তুলানা করতেও দেখেছি তারেক-খালেদা গংরা যত হাজার কোটি টাকা পাছার করেছে দেশের বাইরে তাও নাকি আবার অর্জন সম্ভব কিন্তু এই সম্পদ একবার হারালে আর অর্জন সম্ভব না। কথা সত্য কিন্তু এই তুলানাতে কিসের পক্ষে সাফাই গাওয়া হয়? এভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট ছেড়ে যখন হুজুগের বশে সাদাদের গালি দিয়ে দেশপ্রেমিক সাজা হয় তাতে আত্বতৃপ্তি পাওয়া গেলেও দেশপ্রেম আছে কিনা সন্দেহ জাগে!
আমার এই লম্বা কমেন্ট আপনাদের মতো আমারো কথা বলার অধিকার চর্চা মাত্র! আমিও চাই কোনরকম ষড়যন্ত্র ছাড়াই সাংস্কৃতিক বিনিময় হোক! তবে সব কিছুর আগে চাই শিল্পের প্রতি হুজুগে ভালোবাসা নয় বরং শিল্পের প্রতি আমাদের সত্যিকারের দায়বোধ। এজন্য একেবারে গোড়া থেকেই তার উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। আমাদের প্রতিটি মিউজিয়াম, প্রতিটি শিল্পশিক্ষাকেন্দ্র বা শিক্ষাকেন্দ্রকে আধুনিকায়ন করা; একমাত্র এই আধুনিকায়নের মাধ্যমেই সম্ভব সত্যিকারে সাংস্কৃতিক বিনিময়। আমার ব্যক্তিগতভাবে এমন পিতার প্রয়োজন নেই যিনি কালেভদ্রে আমাকে যত্ন করে মাথায় হাত দিয়ে আমার ভালোমন্দ খোজঁ নেবেন; আমার প্রয়োজন সেই পিতার যিনি সবসময় সমস্ত বাধাঁ/সীমাবদ্ধতা/ঝরঝাপ্টাকে নিজের ভেবে আগলে রাখবেন সন্তানকে!!
ধ্রুব ভাই, বেশী কিছু বলবো না আপনার বলার পরে। তবে হ্যাঁ, 'বেশ্যাপুত্র' নিয়ে আপনার কথাটা রিপিট না করে পারলাম না। এতই দ্গদগে দেশপ্রেম, যে তাদের মতামতের সাথে দ্বিমত পোষণ করলেই আপনাকে তুলনা করা হবে বেশ্যাপুত্র কিম্বা সুশীল সমাজের (এইটা লেটেস্ট গালি) সাথে। পরমতসহিষ্ণুতার এই হল অবস্থা। বিতর্কের এতটুকু হল স্পেস। মতের অমিল হলে বড় গলায় বাজে গালি দিবেন, তাতেই আপনি বৃহত্তর দেশপ্রেমিক, সেটা প্রমাণ হয়ে যাবে।
সেলুকাসের আরেকবার জন্ম হওয়া দরকার ছিল আসলে।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
এই মূর্তি ভেঙে টুকরো টুকরো করে গোটা দুনিয়ার সামনে আমাদের বর্বর প্রমাণ করা হলো। এখন আমরাই বলছি, লয়া যান ভাই, সামলায়সুমলায় রাখেন।
এই কথাটার ভিত্তি তৈরি করে দেয়ার জন্যই যে কাজটা করা হয়নি, তা কী করে বলি আমরা?
আরো ১৮৮ টা রেলিক এখনো অন্যের হাতে। ঘরের লোক চুরি করলেই বাইরের চোর সাধু হয়ে যায় না।
হাঁটুপানির জলদস্যু
যাদুঘর কর্তৃপক্ষ কি এই টুকরাগুলির কোন ধরনের ডেটিং প্রসিডিউর পরিচালনা করতে সক্ষম? যদি সম্ভব হয় তাহলে এই টুকরাগুলির বয়স নির্ধারণ করে দেখা দরকার।
হাঁটুপানির জলদস্যু
মাটির জিনিস কি আদৌ কার্বন ডেটিং করা যায়?
হাঁটুপানির জলদস্যু
আমি ব্যক্তিগত ভাবে এখনো, এই মূর্তিগুলোর ডেটিং ( কার্বন ডেটিং তাই না ? ) করে জানার পক্ষপাতী আসলেই, এগুলো সেই মূর্তি কিনা।
আইয়ুব কাদরীর ফাঁসি আমি চাচ্ছি না। কিন্তু এটা যে কোন সুস্থ মানুষেরই বোঝার কথা যে, এইখানে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সম্পৃক্ততা রয়েছে। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটাই যেইভাবে গায়ের জোরে এবং তাড়াহুড়া করে করা হয়েছে, তাতে ডালে কালা না সাদা তা বোঝার জন্য তৃতীয় নয়নের দরকার হয় না। তাই না ?
অন্য একটা পোস্টে আরিফ জেবতিক ভাই অনেকগুলো দারুণ কারণ বলেছেন, যাতে আমি অন্তত এই সো-কল্ড জেনোফোব হওয়াতে বিশেষ বিচলিত বোধ করছি না।
-----------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
কবে যে আমরা মানুষ হবো!!
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
অপকর্মটি যিনি করিয়াছেন তিনি তস্কর(বাঙ্গালীই হউক বা ফরাসী), ইহাতে সমগ্র জাতির লজ্জা পাইবার কিছু নাই। বরং লজ্জা পাওয়া উচিত তাহাদিগের জন্য যাহারা এতো প্রতিরোধের পরও প্রত্নসামগ্রী পাঠাইতে দ্বিধাবোধ করেন নাই ।
_________________________
সর্বাঙ্গ কন্টকিত-বিধায় চলন বিচিত্র
_________________________
সর্বাঙ্গ কন্টকিত-বিধায় চলন বিচিত্র
পুনোর্মুষিকভবো ---- আবার তোরা মানুষ হ
--------------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
হুমম...
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আমি এখানে আসলে কোন যুক্তি দেখাচ্ছি না। আমি খুবই সরল মনে জানতে চাচ্ছি যে,
এত কি তাড়াহুড়ার দরকার ছিলো মূর্তি পাঠানোতে, মানে এত তড়িঘড়ির ? এক বজ্রশক্তির দামের থেকে কম দামেই সব মূর্তির ইন্সুরেন্স করে ফেলা, নূন্যতম পুলিশ প্রোটেকশন ছাড়া মূর্তি এয়ারপোর্টে নেওয়া, কারো সাথে কারো এক্সেস নাম্বার না মেলা ইত্যাদি।
এ ছাড়া ঐদিন বিডিনিউজে কোন একজন বিশেষজ্ঞের মতামত পড়লাম, যিনি বলেছেন, ফ্রান্সের দক্ষতার কথা এই নকল রেপ্লিকা তৈরীতে। তাদের তৈরী রেপ্লিকা আসল না নকল, তা বুঝতে ইংল্যান্ডের মত দেশও ঘোল খেয়ে যায়। কাজেই আমরা এহেন অস্বচ্ছ চুক্তি নিয়ে কি ভাবে নিশ্চিন্তে থাকতে পারবো জানি না।
অন্তত দ্বিতীয় পার্টের সাথে একমত না হলেও প্রথম পার্ট পড়ে তো কারো দ্বিমত করার কথা না যে, কতৃপক্ষের উদ্দেশ্য সাধু ছিলো না।
এরকম অসৎ উদ্দেশ্যের লোকদের বেশ্যা পুত্রের চেয়ে নিকৃষ্ট বলাতে সমস্যাটা কোথায়, তা আমার কাছে পরিষ্কার না।
আমি কিন্তু সত্যিই জানতে চাচ্ছি এর উত্তর। হয়ত আমার চিন্তাতেই কিছু ভুল আছে, তাই উত্তর জানাটা খুব জরুরী।
----------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ধ্রুব এবং সুবিনয় মুস্তফীর কমেন্টগুলো পড়লাম । দূ:খিত আগে চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল ।
দুজনেই বেশ্যাপুত্র বলে একটা শব্দকে বড়ো ওজনের সাথে উল্লেখ করেছেন । ক্ষীন স্মরণ শক্তিতে মনে করতে পারি যে এ জাতীয় শব্দ আমি আমার গত একটা ব্লগে ব্যবহার করেছি । অন্য কেউ করে থাকলে আমার জানা নেই , তাই বিষয়টা দিয়ে উনারা আমার প্রতি ইঙিত করছেন বলে আশংকা করি ।
আমি বিনয়ের সাথে কিন্তু জোর গলায় বলতে চাই যে , এই ধরনের প্রত্নসম্পদ দেশের বাইরে যাওয়ার আমি ঘোর বিরোধি । এই বিরোধিতাটুকু আমার উগ্র দেশপ্রেমের কারনে নয় ( সেটা অবশ্য আমার আছে এবং দেশপ্রেমের মাঝে উগ্রতা থাকলে সেটাকে দোষের মনে করি না ) সেটা যুক্তি সঙ্গত কারনেই ।
ধ্রুব হাসান বলেছেন :
আমার এই দীর্ঘশ্বাস বেরুতো না যদি এই আন্দোলনের শুরু থেকেই প্রদর্শনীটির বিরোধিতা না করে বরং চুক্তির দুর্বলতা বা প্রদর্শনীটি কিভাবে দু'পক্ষের স্বার্থ সংরক্ষন করে সম্পন্ন করা যায় তার দাবীটি সামনে আসতো!
সে ক্ষেত্রে অধমের বিনীত আফসোস এই যে আপনি ভুল জায়গায় দীর্ঘশ্বাস ফেলেছেন । প্রত্ন সম্পদ রক্ষার জন্য যে আন্দোলন ,সেখানে কখনোই কোন আন্দোলনকারী বলেন নি যে তারা প্রদর্শনী করতে চান না । কিন্তু গোটা ব্যাপারটাতেই এতো বেশি অস্বচ্ছ বিষয়আশয় ছিলো যে সেটাকে সমর্থন করাটা হয়তো কোন যুক্তিবান মানুষের পক্ষে সম্ভব হতো না ।
তিনি আরো জানিয়েছেন যে , প্রদর্শনীটা হচ্ছে না কারন ,
আজকে শুনলাম প্রদর্শনীটি শেষ পর্যন্ত হচ্ছেনা কারন যেভাবে গিমে প্রদর্শনীটি ডিজাইন করেছিলো তার সবগুলি কাজ না পাওয়াতে তা হুবহু দর্শকের সামনে তুলে ধরতে পারছেনা!
দেখা যাচ্ছে যে ধ্রুব হাসান এই বিষয়টাও সঠিক "শুনতে" পারেন নি । প্রদর্শনীটা হচ্ছে না কারন বাংলাদেশ সরকার তার প্রত্ন সম্পদগুলো ফেরত চেয়েছে । এগুলো যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশে ফেরত আনা হবে ।
এখন , একটা বিষয়ে এতো কম জেনে যদি উনি কারো গালাগালিতে দূ:খ পেয়ে বসেন , তাহলে আমিও দূ:খ পাই । আশাকরি , যে কোন বিষয়ে আরো বেশি খোজ খরব নেয়ার পরেই উনি অন্যের লেখার যৌক্তিকতা খুজতে বসলে ,সেখানে কিছু যৌক্তিকতা খুজে পাবেন আর টানা চৌদ্দ ঘন্টা কাজ করে এসে এতো কষ্ট উনি না করলেও পারবেন ।
যাক , ধ্রুব হাসানের মতো আরো যারা বিষয়টি সম্মন্ধে অল্প অল্প জানেন , উনাদের জন্য কিছু তথ্য সরবরাহ করছি ।-
কয়েকটা কুইক উদাহরন দেই :
১. আইন অনুসারে এ ধরনের প্রদর্শনীর অনুমতি প্রদান করে জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ড । কিন্তু চুক্তির বিষয়ে তারা ছিলেন অন্ধকারে , চুক্তিটি করেছিলো মন্ত্রনালয়ের একজন সচিব । আইনত : উনি এ ধরনের চুক্তি করতে পারেন না ।
....এখন এই ধরনের আইন ভাঙ্গার নজির সৃষ্ঠি করে প্রদর্শনী করার ব্যাপারে অনেকের আপত্তি না থাকতে পারে , কিন্ত আমার আছে । রাষ্ট্র যখন নিজের তৈরী আইন ভাঙ্গে তখন নাগরিক হিসেবে আমি এর প্রতিবাদ করি ।
২. প্রত্ন সম্পদের একসেশন নাম্বারটা উল্টোপাল্টা । এখানে এক ধরনের নাম্বার দেয়া আছে , কিন্তু ফ্রান্সের কাছে অন্য নাম্বার ।
....এখন পাচ নাম্বার আইটেমটা কোন দামী মূর্তি নাকি আরিফ জেবতিকের কলমদানি , সেটা নির্ধারিত নয় । এখন পাচ নম্বর আইটেম খোয়া গেলে কি দামী মূর্তির ক্ষতিপূরন চাইবো নাকি কলমদানি কিনে দিলেই খুশী থাকবো ।
৩. বীমা মূল্য হাস্যকর ভাবে কম ।
৪. পাঠানো প্রত্ন সম্পদের সব এঙ্গেল থেকে ছবি তোলা নেই , সবগুলো বাক্সের সিরিয়াল নাম্বার দেয়া নেই , প্যাকিং এর বেলা আলাদা যত্ন নেয়া হয়েছে বলে কোন প্রমান নেই ।
....এগুলো অবশ্যই ঠিক করতে হবে ।
যদি দেশের বাইরে প্রদর্শনী করতেই হয় , তাহলে :
যাক প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ দিয়েই শুরু করি যথাযুক্ত নিয়ম মেনে দেশের বাইরে প্রদর্শনী করা যেতে পারে বলে মতামতের জন্য,
'যদি দেশের বাইরে প্রদর্শনী করতেই হয় , তাহলে :
1. সঠিক পদ্ধতিতে চুক্তি করা হোক ।
2. সবগুলো প্রত্ন সম্পদের সঠিকভাবে তালিকা করা হোক
( যে তালিকা ছিল সেটি ছিল বেশ গোলমেলে )
3. প্রতিটি ধাপে মন্ত্রনালয় নয় , বরং জাদুঘরের কর্মচারীদেরকে তত্ত্বাবধানে রাখা হোক ।'
তবে আপনি যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ে আগ্রহী নন তার ইঙ্গিতও পাওয়া যায় এই ব্যক্তব্য থেকে, 'আমি বিনয়ের সাথে কিন্তু জোর গলায় বলতে চাই যে , এই ধরনের প্রত্নসম্পদ দেশের বাইরে যাওয়ার আমি ঘোর বিরোধি । এই বিরোধিতাটুকু আমার উগ্র দেশপ্রেমের কারনে নয় ( সেটা অবশ্য আমার আছে এবং দেশপ্রেমের মাঝে উগ্রতা থাকলে সেটাকে দোষের মনে করি না ) সেটা যুক্তি সঙ্গত কারনেই ।'। এ কথা বলতে গিয়ে শুধু নিজের ব্যক্তব্যকেই সমর্থন করলেন না আবার সাফাই গাইলেন নিজের উগ্র দেশপ্রেম আছে বলে। আবারো ধন্যবাদ আপনার সরাসরি প্রকাশভঙ্গির জন্য; তবে আপনার ভাষ্যনু্যায়ী দেশপ্রেমের মাঝে উগ্রতা থাকলে সেটা দোষের না হলেও এই ভয়াবহ উগ্রতার শিকার আজ গোটা বিশ্ববাসী। শুধুমাত্র এই অতি দেশপ্রেমের উগ্রতাই আমাদের উপহার দিয়েছে আন্তর্জাতিক অংগনে হিটলার-মুসোলিনিসহ আজকের বুশ আর আমাদের দেশে জিয়াউর রহমানের মতো কুলাঙ্গার! তাই দেশপ্রেমের এই উগ্রতা আপনার পছন্দের হলেও আমার জন্য প্রাননাশক।
যাইহোক মূল কথাই ফেরা যাক। আপনি বলেছেন,
'এখন , একটা বিষয়ে এতো কম জেনে যদি উনি কারো গালাগালিতে দূ:খ পেয়ে বসেন , তাহলে আমিও দূ:খ পাই । আশাকরি , যে কোন বিষয়ে আরো বেশি খোজ খরব নেয়ার পরেই উনি অন্যের লেখার যৌক্তিকতা খুজতে বসলে ,সেখানে কিছু যৌক্তিকতা খুজে পাবেন আর টানা চৌদ্দ ঘন্টা কাজ করে এসে এতো কষ্ট উনি না করলেও পারবেন ।
যাক , ধ্রুব হাসানের মতো আরো যারা বিষয়টি সম্মন্ধে অল্প অল্প জানেন , উনাদের জন্য কিছু তথ্য সরবরাহ করছি ।-'
আমি কম জানি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আমার কাজের কথা আনলেন যা আমি সুবিনয়কে উদ্দেশ্য করে বলেছিলাম......হা হা হা। যাইহোক এই পর্যায়ে এসে ঐ ঘটনার ব্যাপারে একটু বেশী খোজঁ দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। তবে আমি একজন সাধারন পাঠক হিসেবে আপনার প্রত্নতত্ব সংক্রান্ত দু'টি লেখার (সাহেব বলবে শালার ভাই , আনন্দের আর সীমা নাই / মা বিক্রী হচ্ছেন , বৈদেশিক মুদ্রায় মা বিক্রী হচ্ছেন) কোনটিতেই যোক্তিক জায়গা থেকে বিষয়টি সম্পর্কে কোন আলাপ পাই নাই শুধু চটকদার আবেগ আর গালাগালি ছাড়া! এই একই কাজ আরো কাউকে কাউকে করতে দেখেছি; এই ব্যাপারটাই আমার দুঃখিত হওয়ার অন্যতম একটি কারন। যদিও এক্ষেত্রে বিশেষভাবে ভিন্নতার দাবী রেখেছেন অরুপ এবং বিপ্লব সাহেব(কারো কারো নাম অনিচ্ছা স্বত্ত্বে বাদ পড়ার জন্য দুঃখিত); এজন্য তাদের আমার আন্তরিক ধন্যবাদ, বিশেষ করে অরুপের সাহেবের শেষ পোষ্টটা (তানিয়া আমীর আর শামসুজ্জামানের সাক্ষাতকার সম্বলিত) যথেষ্ট ইনফরমেটিভ।
আরো মজা পেলাম যখন আমার অজ্ঞতা নিয়ে বলতে গিয়ে কোট করলেন, 'আজকে শুনলাম প্রদর্শনীটি শেষ পর্যন্ত হচ্ছেনা কারন যেভাবে গিমে প্রদর্শনীটি ডিজাইন করেছিলো তার সবগুলি কাজ না পাওয়াতে তা হুবহু দর্শকের সামনে তুলে ধরতে পারছেনা!'......দারুন বলেছেন , 'দেখা যাচ্ছে যে ধ্রুব হাসান এই বিষয়টাও সঠিক "শুনতে" পারেন নি । প্রদর্শনীটা হচ্ছে না কারন বাংলাদেশ সরকার তার প্রত্ন সম্পদগুলো ফেরত চেয়েছে । এগুলো যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশে ফেরত আনা হবে ।' এখানে মজার ব্যাপার হলো আমি যখন কমেন্টটা লিখছিলাম ততক্ষন পর্যন্ত বাংলাদেশে কোন পত্রপত্রিকায় এই সংত্রান্ত কোন খবর প্রকাশিত হয়নি। যতটুকু জানতে পেরেছিলাম ঐ সময়ে তার সোর্স ছিলো ফরাসী একটি অনলাইন আর্ট ম্যাগাজিন আর গিমের নিজস্ব ওয়েবসাইট আর আমার এক ফরাসী আর্টিষ্ট বন্ধু; যদিও পরদিন এ নিয়ে বিস্তারিত জেনেছি। আমার ঐ জানাটা ভুল ছিলোনা কিন্তু অসম্পূর্ন ছিলো। তবে আমার এই আপাত অসম্পূর্নতার সাথে আপনার দেয়া গালাগালি সম্বলিত লেখার কোন সম্পর্ক নেই। তাই আমি কম জানি রেফারেন্স টেনে যেসব কথা বলার চেষ্টা করেছেন তার কোন যৌক্তিকতা নেই। তবে আপনার প্রতি অনুরোধ এই সংক্রান্ত যত লেখা বেড়িয়েছে (আপনারগুলোসহ) আন্দোলনের শুরু থেকে তার সব আরেকবার চোখ বুলিয়ে দেখুন কোন কোন ইস্যুগুলি সামনে এসেছে আগে। যদি আপনি নিজের আবেগকে যুক্তিবোধ দিয়ে বিচার করতে পারেন দেখতে পাবেন আমি যেসব কারনে দূঃখিত হয়েছি তার কার্যকারন। আজো আমি আবারো একই দাবী জানাবো যেসব কারনে বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমার দুঃখবোধঃ
১) শুধুমাত্র ইস্যু কেন্দ্রীক আন্দোলন নয় বরং আমাদের আন্দোলন করা দরকার কেন আমাদের প্রত্নসম্পদগুলো এভাবে হেলায় দিনের পর দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বা করা হচ্ছে!
২) কেন একটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর জন্য আন্তর্জাতিক রুল মানা হলোনা তা খতিয়ে দেখা হোক। যারা এর জন্য দায়ী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক।
৩) পুরো চুক্তিটি এবং এ সংক্রান্ত যা যা বিষয় জড়িত তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হোক, যাতে পালের আসল হোতাদের চেহারা জনগণের সামনে উন্মোচিত হয়।
৪) দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা প্রত্নসম্পদের (যা কিছু আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যকে লালন করে)দ্বায়িত্ব যথার্থভাবে যথাযত কর্তৃপক্ষের হাতে ন্যস্ত করা হোক (এ ক্ষেত্রে ব্লগার যুথচারীর সাথে আমিও একমত, দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরগুলোর কিউরেটর কোন শিল্পীকে না দিয়ে দেয়া হোক প্রত্নতথ্যের উপর লেখাপড়া করা প্রত্নতাত্ত্বিককে যিনি বিষয়টি দেখভাল করতে পারবেন যথার্থভাবে)।
৫) আমাদের জাদুঘরগুলোকে করা হক যথার্থভাবে ফাংগাসমুক্ত, যাতে আমাদের শত বছরের ঐতিহ্যের নিদর্শনগুলো, শিল্পকর্মগুলোর যথার্থ সুরক্ষা হয়। সাথে সাথে পুরোনো স্থাপত্যগুলো উদ্দার করা হোক দখলদারদের হাত থেকে।
৬) সরকারী বা বেসরকারী উদ্যোগে গরে তোলা হোক আন্তর্জাতিকমানের মিউজিয়াম যেখানে আমরা প্রতি বছর আয়োজন করতে পারি একটি আন্তর্জাতিকমানের প্রদর্শনী। এতে করে আমরা নিশ্চিত করতে পারি আন্তর্জাতিক অংশগ্রহন গোটা বিশ্ব থেকে।
আরিফ, শেষে আপনাকে একটু কৈফিয়ত দিতেই হচ্ছে দেরীতে আপনার জবাব দেয়ার জন্য। আপনার কমেন্টটা গতকালই দেখেছিলাম কিন্তু উত্তর দেয়ার সময় করতে পারিনি; দুঃখিত দেরীর জন্য (যদিও এই কৈফিয়তের জন্যও হেসে নিতে পারেন একচোট...)। Happy New Year 2008.....Cheers
সুবিনয় মুস্তফীর কমেন্টটা পড়ে বেশ মজা পেয়েছি ।
এতই দ্গদগে দেশপ্রেম, যে তাদের মতামতের সাথে দ্বিমত পোষণ করলেই আপনাকে তুলনা করা হবে বেশ্যাপুত্র কিম্বা সুশীল সমাজের (এইটা লেটেস্ট গালি) সাথে। পরমতসহিষ্ণুতার এই হল অবস্থা। বিতর্কের এতটুকু হল স্পেস।
সুবিনয় মুস্তফীর জন্য মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন ।
তবে বিতর্কে আরিফ জেবতিকের ক্লান্তি আছে অথবা বিতর্কে হেরে গিয়ে আরিফ জেবতিক কাউকে কখনো গালি দিয়েছে , এই তথ্যটা নতুন জানলাম ।
কতো কিছুই তো জানা হলো না এক জনমে ।
হ্যাপি নিউ ইয়ার।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
হ্যাপি নিউ ইয়ার ।
-----------------------------
কালের ইতিহাসের পাতা
সবাইকে কি দেন বিধাতা?
আমি লিখি সত্য যা তা,
রাজার ভয়ে গীত ভনি না।
নতুন মন্তব্য করুন