প্রফেট'স বার্থডে-র জন্য বৃহস্পতিবার বন্ধ, শুক্রবার ছুটি নিলে উইকএন্ডটা ভালোই লম্বা হয়। ছুটির জন্য অ্যাপ্লাই করতেই বস রাজী হয়ে গেল। ভাবলাম রেদাং দ্বীপে যাবো, রেদাং আর পেরহেন্থিয়ান দ্বীপে না গেলে জীবন বৃথা টাইপের ডায়ালগ শুনতে হয় মালেশিয়াতে। ওয়েবসাইট দেখে ফোন করে জানা গেল এদের কোনটাতেই হোটেল খালি নেই। তিওমান দ্বীপটাও ভালো ছিল। শেষ ভরসায় সেখানে ফোন করলাম। নেই, একদম খালি নেই!
মুখ কালো করে বসে আছি, হঠাৎ মনে হল পেনাং দ্বীপে গেলে কেমন হয়? আগে একবার গেছি। আহামরি কিছু না, সোনালী সৈকত ছাড়া দেখার বেশীকিছু দেখার নেই। কিন্তু পেনাং থেকে পায়ার দ্বীপের ফেরি ছাড়ে। পায়ার দ্বীপ (পুলাও পায়ার) হল প্রবাল দ্বীপ, ফটিক স্বচ্ছ পানি আর হরেকরকম মাছের জন্য একে ধান্দাবাজী করে মেরিন পার্ক বানিয়ে ফেলা হয়েছে। এই মেরিন পার্কে স্নোরক্লিং করার আনন্দ অতুলনীয় হবার কথা। পেনাং-এ হোটেল পেলে চামে পায়ার দ্বীপ ঘুরে আসা যাবে। সাথে সাথে ফোন করলাম, সমস্যা হবে না জানালেন ভদ্রমহিলা। আমাকে আর পায় কে! বৃহস্পতিবার দুপুরে রওনা হলাম আমি আর মাশীদ। পেনাং (মালেতে বলে পুলাও পিনাং) এর আগেও গেছি, বাসে। এবার নিজের গাড়িতে। ছোট্ট এই দ্বীপটা মালেশিয়ার মাথার কাছে অবস্থিত। পিনাং মানে সুপারী গাছ, পুলাও পিনাং মানে সুপারী গাছের দ্বীপ। প্রাচীনকালে পেনাং ছিল কেদাহ-র অংশ। ১৭৮৬ সালে বার্মিজ আর থাইদের কাছ থেকে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে ইস্ট ইনডিয়া কাম্পানীর কাছে দ্বীপটি ধার দেন কেদাহ-র সুলতান। পরে দেখা গেল সব ক্যাপ্টেন ফ্রান্সিস লাইটের ধাপ্পা। সুলতান দ্বীপের দখল ফেরত চাইলেন, বিগড়ে গেল কাম্পানী! শেষে রফা হল ইস্ট ইন্ডিয়া কাম্পানী বছরে ১০ হাজার মুদ্রা ভাড়া দেবে সুলতানকে। এর ধারাবাহিকতায় আজও কেদাহ-র সুলতানকে ফেডারল সরকার ১০ হাজার রিঙ্গিত করে ভাড়া দেয়!!!
পেনাং আমার শ্বশুরবাড়ির মতো, মাশীদের জন্ম পেনাং এর গেলুগর শহরে। মেরিন পার্কে যাবার চেয়ে সস্তায় জুতো কেনা যাবে ভেবে তার ব্যাপক উত্তেজনা।
গাড়িতে ১২০কিলো টানলে ঘন্টা চারেকেই পৌছে যাওয়া যায়। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পেনাং ব্রীজ নজরে পড়ল (রওনা দিয়েছিলাম দেড়টায়)। এই ব্রীজ নিয়ে মালেশিয়ানদের বিশেষ গর্ব, ১৩কিলোমিটার দীর্ঘ হওয়াতে বিশ্বের লম্বা ব্রীজের তালিকায় বেশ উপরে এর নাম (যমুনা ব্রীজের দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিমি)।
পেনাং যেমন দ্বীপ, তেমনি একটা মালেশিয়ার একটা রাজ্যও বটে। রাজধানী জর্জটাউন। আমি গাড়ি ঘুরালাম বাটু ফিরিঙ্গির দিকে। বাটু ফিরিঙ্গি হল সৈকত। আমার টুর অপারেটর থাকেন বাটু ফিরিঙ্গির ধারেপাশেই, লোকে জায়গাটাকে ডাকে তুনজুং বুঙ্গা বলে।
এইখানে ডানের লেনে থাকা যন্ত্রনা, কারন ডানের লেনে একটু পর পর ইউটার্নের গ্যাপ। বহুযন্ত্রনা করে টুর গাইডের দেখা মিলল। পুলাও পায়ার যেতে একেক জনের পড়বে ২৮০ রিঙ্গিত (প্রায় ৮৭ মার্কিন ডলার!)। শখের দাম লাখটাকা, বের হয়ে গেল ৫৬০ রিঙ্গিত! সকাল সাড়ে সাতটায় হলিডে ইন এর লবি থেকে তুলে নিয়ে যাবে। সকালে ওঠার ইচ্ছা ছিল না! কি আর করা!!!
ক্ষিদে পেয়েছিল ভীষন, মাশীদের কথায় গাড়ি হাঁকালাম গার্নি ড্রাইভের দিকে। সাগড়পারে হাজারো খাবারে দোকান নিয়ে গার্নি ড্রাইভ। পেনাং-এ পার্কিং নিয়ে বেশ গ্যাঞ্জাম হয়। ধুমধাম ফাইন করে দেয়। তাই পার্কিং লট ওয়ালা রেস্তোরায় ঢোকাই ভালো। বালি হাই এর চেহারা দেখে লোভ সামলানো গেল না। সীফুডের দোকান, জ্যান্ত মাছ সব একোরিয়ামে রাখা। দেখালেই কেটেছেঁটেরান্না করে দেবে। লবস্টার খাবার শখ ছিল, পয়সাতে কুলালো না। ওদিকে মাশীদ বান্দরের মতো লাফাচ্ছে, কারন একটা একোরিয়ামে দুটো মোরে ঈল রাখা। চাইলে সে দুটোও হয়তো রেঁধে খেতে দেবে!!
লেবুর রস দিয়ে ফ্রেশ অয়স্টার খেতে গভীর আনন্দ, তবে বাঙ্গালী কেউ সাথে থাকলে একাজটা পরিহার করাই ভালো। কি দরকার লোকজনকে বমিটমি করার যন্ত্রনায় ঠেলে দেবার!
সন্ধ্যা হতেই রওনা দিলাম সেই বাটু ফিরিঙ্গির দিকে। সব ভালো হোটেলগুলো এখানে সোনালী সৈকতের কারনে। আমরা অবশ্য গেলাম নাইট মার্কেট দেখতে। নাইট মার্কেট বসে হলিডে ইন-এর কাছে। বহু মানুষে গমগম করছিল, ঘুরে ঘুরে দেখতে ভালোই লাগে। পথে দেশী ভাই একজনের সাথে দেখা হল, স্মল ওয়ার্ল্ড!!
রাত দশটার দিকে মনে হল হোটেল ঠিক করা হয়নি। সস্তা হওয়াতে (১২০ রিঙ্গিত) ডি'ফিরিঙ্গি হোটেলে চেক-ইন করে ফেললাম। হোটেলটা চমৎকার, শুধু টয়লেটটা বড় কার্পন্যে তৈরি! লবি-তে ফ্রি ওয়াইফাই আছে, টয়লেটের দুঃখ তাতে খানিকটা ভোলাই যায়।
কিন্তু চ্যালেঞ্জ হল সকাল ৬:৩০ এ উঠে ৭:৩০ এর বাস ধরা। কপাল ভালো, ঝামেলা ছাড়াই পরদিন বাস ধরে ফেললাম।
পুলাও পায়ার লাংকাওয়ি দ্বীপের কাছে। পেনাং থেকে যেতে হয় ফেরীতে, দুঘন্টা লাগে। দুঘন্টা পরে যখন পৌছালাম তখন আমার বত্রিশ পাটি বের হয়ে গেছে। স্বচ্ছ সবুজ পানির উপরে ভাসমান প্ল্যাটফর্ম। গাইড ব্রিফিং করেই মাস্ক, লাইফভেস্ট আর ফ্লিপার দিয়ে গেল। মাস্ক পরে স্নরক্লিং করেছি আগের বার, ফ্লিপার পড়িনি। প্রথমবার ফ্লিপার বলে বিশেষ অস্বস্তি হতে লাগলো। থপ থপ আওয়াজ তুলে গেলাম পানিতে নামতে। পানির কাছে গিয়ে আর সাহস হয়না। ৬-৮ মিটার গভীর পানি। সৈকত প্রায় ১০০ মিটার দূরে। সেফটি লাইন বা নেট নেই। আর সাহস হয় না। একহাতে সিড়ি ধরে খানিক চেষ্টা করি কিন্তু ভরসা হয়না। এদিকে হাজারো মাছে ছেয়ে গেছে চারপাশ। অসাধারন!
প্রায় ঘন্টাখানেক ভীতুর ডিমের মতো বসে থাকলাম, পানিতে নামা হল না। প্লাটফর্মের নীচে অবজারভেশন এরিয়া আছে, মনখারাপ করে সেখানে গিয়ে এক জাপানি মেয়ের জলকেলি দেখতে লাগলাম। উপরে উঠে দেখি প্রায় সবাই দাপাদাপিতে ব্যস্ত। তিওমানে সেফটি লাইন ধরে ছিলাম হাতে, সাবাহ-তে পানি ছিল অগভীর। এখানে কোনটাই নেই! হঠাৎ ১০ বছরের একটা বাচ্চাকে দেখে রোখ চেপে গেল, দিলাম ঝাঁপ। হাত দিয়ে সাঁতরে সুবিধা করা কঠিন। ফ্লিপার দিয়ে পা ছোড়াছুড়ি করতে করতে এক পর্যায়ে আবিস্কার করলাম আমি সামনে এগুচ্ছি! মিনিট পাঁচেক পর খেয়াল করলাম ডান হাতটা সুপারম্যান স্টাইলে ধরে রাখলে ডানে-বামে করাটা সহজ হয়ে যায়। ইনিশিয়াল শক কেটে গেল! মাছ দেখা বাদ দিয়ে সাঁতার কাটা শুরু করলাম। হঠাৎ খায়েশ হল সৈকত পর্যন্ত যাবার। অর্ধেক পথ যাবার পর দেখি ডান পা ব্যথায় অবশ হয়ে যাবার যোগাড়। তাহলে কি মাঝ পথে আটকে যাবো? না, শেষ পর্যন্ত তীরে পৌছালাম, কিন্তু ততক্ষনে দুপায়ে প্রচন্ত যন্ত্রনা! কোন একটা ভুল হচ্ছে! দম নিয়ে আবার শুরু করলাম, এবার সৈকত থেকে প্লাটফর্মে। পা ছোড়ার প্যাটার্ন খানিকটা বদল করলাম, খানিকটা ধীর লয়ে, এইবার আর ব্যথা নেই। সিড়িতে উঠতে গিয়ে দেখি মাশীদ।
"তোমার তো মহা বাড় বাড়সে!" চিন্তিত মুখে তেড়ে আসে সে! আমি হাসি!!! এই হাসি ব্রজেন দাসের ইংলিশ চ্যানেল জয়ের পরবর্তী হাসির চাইতে কম কিছু না।
দুপুরে বুফে ছিল, কিন্তু খেয়ে সুবিধা হল না। ক্ষুধা নিয়েই গেলাম শার্ক ফিডিং দেখতে। গাইড মাছ ছিড়ে ছিড়ে ফেলছে পানিতে, রক্তের গন্ধে অনেক মাছের সাথে হাজির হল তিনেট বাচ্চা ব্ল্যাকটিপ হাঙর আর একটা ব্যারাকুডা! একটু আগেই এই জায়গা থেকে মাত্র ২০০মিটার দূরে সাঁতরে বেড়িয়েছি। নিজেকে বীরপুরুষ ভেবে শান্ত্বনা দেবার চেষ্টা করে লাভ হলনা।
শার্ক ফিডিং এর পরে প্রায় ঘন্টা খানেক স্নরক্লিং করেছি। ফাইন্ডিং নিমোর কল্যানে ক্লাউন ফিশ বা অ্যানেমোন ফিশ এখন সবাই চেনে। নানারং এর প্রবালের মাঝে ক্লাউন ফিশ দেখে মজাই লাগলো। সাথে বিকিনি পড়া উর্বশীদের কথা নাই বা বললাম!
------
পুলাও পায়ার দেখবার পর আজ গিয়েছিলাম তামান রামা রামা বা প্রজাপতি উদ্যানে। অসংখ্য প্রজাপতি আর কিছু বেমানান প্রাণী নিয়ে গড়া তামান রামা রামা। এরা প্রজাপতির চাষ করে ভালো পয়সা বানায়। ভাবছি ঢাকায় এরকম করলে কেমন হয়।
বিকেলে ফিরে এলাম জর্জ টাউনে। মাশীদের কেনাকাটা শেষ হয় না আর। শপিং শেষে ডিনার হল হাংরি ডাক-এ। পুরোনো শপ হাউজ গুলোকে রেনোভেট করে ক্লাব এরিয়া বানিয়েছে এরা। রাতের আড্ডার জন্য অসাধারন!
মালেশিয়া দেশটায় ঐতিহ্যের বড় অভাব। সেই দিক থেকে পেনাং আর মালাক্কা কিছুটা বিট্রিশ কলোনিয়াল স্মৃতি ধরে আছে। তবে যেভাবে এদিকায় নগরায়ন শুরু হয়েছে তাতে আর ৩/৪ বছরে সবকিছু সাফ করে হাইরাইজ উঠতে থাকবে সিঙ্গাপুরের মতো। লোকজন বড় আশা করে আছে নতুন সরকার এই বিষয়গুলো অনুভব করবে।
মালেশিয়ানদের জন্য আমার মাঝে মাঝে বড় করুনা হয়.. একটা জাতি কিভাবে এতোটা ঐতিহ্যহীন হতে পারে!... হইনা যতোই ক্লিনার কিংবা পেট্রোল পাম্পের ওয়ার্কার, সাড়ে তিনহাজার বছরের ইতিহাসের দেশ থেকে এসে আমরা এখনও কিছুটা গর্ব করতেই পারি
মন্তব্য
অসাধারণ! অরূপদার বর্ণনা মানেই বেশি কিছু... বোনাস হল মাশীদাপুর তোলা ছবিগুলো। প্রতি উইকএন্ডে একবার করে ঘুরতে বেরোলে হয় না? এইরকম চমৎকার সব পোস্ট পেতাম আরো নিয়মিত
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
পেনাং-এর ওই দীর্ঘ সেতুটার কথা আমার খুব মনে পড়ে।
লেখা, ছবি দুটোই ভালো লাগলো।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
হানিমুনে ঐ আইল্যান্ডে যাওয়া হৈছিল। এখানে স্নর্কলিং এর অভিজ্ঞতাটা ছিল সেরম। আমাকে ঘাড় ধরে পানি থেকে তুলতে হৈছিল। যদিও আমার বউয়ের দাবী তাকে মাছ তাড়া করায় এবং কামড় দেয়ার কারণে সে ঠিকভাবে এনজয় করতে পারেনি। পরে প্যারাগ্লাইডিং করার পর তার মনোঃকষ্ট কিছুটা দূর হয়।
লেখা ও ছবি, দুইই অসাধারণ! পড়তে পড়তে যেনো সেই নীল সুপারী দ্বীপে হারিয়ে গিয়েছিলাম। ...
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
দুর্দান্ত বর্ণনা
এবং সম্ভবত এই প্রথম অরূপের কোনো ভ্রমণ কাহিনী পড়লাম যেখানে খাবারের বর্ণনা নেই
(যদিও ছবি আছে)
লাইফটা এনজয় করলেন বটে !
আর ছবিগুলো একেবারে ছবির মতন।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
আমিও এই একই জিনিস সিংগাপুর বা মালেশিয়ার জন্যে ফিল করি। দেশটায় খালি তাং ফাং বাইরে দিয়া, কিন্তু নিজস ঐতিহ্য বলতে আসলেও কিছু নেই। তাই আমার কাছে এই দেশগুলো নিতান্তই নিরামিষ মনে হয়।
লেখা ভালোইছে। ছবি গুলান দেখে আফসোস হল কত্তদিন সিবীচ যাই না!! আপনাকে উত্তম জা-ঝা!
হুরররররর!! কক্সবাজারও না? কেমনে!! আপনার মতন মানুষ কক্সবাজার না যায় কেমতে!!
হালায় কয় কি ??!! বাংলাদেশে থেকে কক্সবাজারে না যাওয়া কবীরা গুনাহর কাছাকাছি।(যদিও সেটা কি বস্তু, আমি ঠিক জানি না। তবে নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তাকে এই গুনাহর জন্য বেহেশতে নিয়ে হলেও। দুটি চড় থাপ্পর মারিবেন)
দুর্দান্ত বর্ণনা। একদম ছবির মতোন। ছবি সাথে না থাকলেও ঠিকই দেখতে পারতাম। ছবি থাকাতে আর কষ্ট করে চোখ বন্ধ করতে হয়নি।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
কঠিন হইছে।
ফাটাফাটি ডাইভিং করছেন দেখি ,,,, মালয়শিয়া তো যাইতেই হবে! ,,,,,অনেক আগে একবার গিয়ে খালি কুয়ালালামপুর ঘুরে চলে আসছিলাম
আপনাদের মিয়া বিবি দুইজনেরই ছবি তোলার হাত ভালো (থাম্বস আপ)
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
নতুন মন্তব্য করুন