সচলায়তনের সাথে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই লম্বা সময় ধরে। ব্যবস্থাপনা, নীতিনির্ধারন, মডারেশন, অর্থায়নের সাথে নেই বলে সচলায়তনের কোন দায় আমি আর বহন করি না। স্বভাবতই আমার দায়ও সচলায়তনের ঘাড়ে চাপানো চলে না এই কারনে। এরপরও যেন কেউ বিব্রত না হন সে কথা মাথায় রেখে সচলে আমার দোকান বন্ধ করে দিলাম (ব্লগস্পটেও যে খুব লিখি তা নয়)।
ইদানিং সবটা সময় যায় ছবি তোলা নিয়ে। চাকরী গেছে, তাই হাতে অফুরন্ত সময়। গ্র্যাচুইটির টাকা পেয়ে ধুম করে একটা ফুলফ্রেম ক্যামেরা আর গোটা তিনেক লেন্স কিনে ফেলেছি। তাদের ব্যাগে ভরে জঙ্গলে-মঙ্গলে ঘুরে বেড়ানোই এখন প্রধান কাজ। তবে কেউ যদি ভাবেন ভীষন আনন্দে আছি তাও না। জীবনে দ্বিতীয়বারের মতো দেশ পাল্টাতে হবে। কুয়ালালুমপুর যখন আমার শহর হয়ে গেল তখনই তাকে ছেড়ে যেতে হচ্ছে। ঢাকা ছেড়েছি যে কষ্ট নিয়ে তার চেয়ে অনেক অনেক অনেক বেশী কষ্ট নিয়ে এই শহরটাকে ছাড়তে হবে ভাবতেই বিষন্নতায় পেয়ে বসে।
ঢাকায় এসেছি মাস খানেকের জন্য। ছবি-টবি তুলেই সময় পার হয়ে যাচ্ছে। ঢাকাকে দেখলে এখন ভয় করে। মনে হয় পুরো শহরটাই একদিন রাগে, হতাশায়, ক্রোধে বিস্ফোরিত হবে। বন্ধুদের আমন্ত্রনে সিলেট গিয়ে ভালো লেগেছে। নিঝুম দ্বীপ, বান্দারবান যাত্রার আমন্ত্রনও ছিল, আমার মন খারাপ হবার প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে বলে ঢাকাই বসে থাকাব ঠিক করেছি।
বড় হবার সবচে' বড় সমস্যা হল জীবনে জটিলতাগুলোকে বুঝে ফেলা, শিশুদের মতো আর তাদের অবজ্ঞা করার উপায় থাকে না। মাঝে মাঝে মনে হয় পয়সা দিয়ে সমাধান কিনে ফেলি। কিন্তু না আছে পয়সা, না আছে সমাধান। জোম্বি হওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিটোকে যেদিন বাবা চিড়িয়াখানায় দিয়ে এলেন, সেদিন আমার মা পুত্র হারাবার মতো শোকে কেঁদেছেন, আমি এসির তাপাংক দু ডিগ্রি কমিয়ে দিয়ে আরো কিছুক্ষন ঘুমিয়েছি। আহা! দুনিয়ার তাবৎ যন্ত্রনা থেকে যদি এভাবে মুখ ফিরিয়ে শুয়ে থাকা যেত...
আমি বন্ধুবৎসল নই। সামহয়ারইনব্লগ শুরু হবার পর অনেকের সাথে আলাপ হয়েছিল, সেই থেকে সখ্যতা। অনেকেই ফেসবুকে বন্ধুতার আমন্ত্রন পাঠান, আমি সবিনয়ে "ইগনোর" বোতামে চাপ দেই। তাতে দয়া করে অহমিকা না খোঁজাই ভালো। ফেসবুকে একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় থাকে। তার অপব্যবহার কম হয়না। তাই একান্ত বন্ধু না হলে বা তার সাথে সক্রিয় সম্পর্ক না থাকলে, "প্রাইভেসি"তে টান পড়বার একটা সুযোগ সবসময়ই থাকে। আমার একটা ব্লগস্পটে ব্লগ আছে। তাতে বিশেষ কিছু লেখা হয় না। বরং সময় পেলে ফ্লিকারে ছবি তুলে দেই। একজন, দুইজন তা দেখে এটা সেটা বলে, তাই নিয়ে খুশী হয়ে থাকি।
সম্প্রতি সচলায়তন ভেঙ্গে নতুন ব্লগ তৈরি কার নিয়ে জোর গুজব শোনা যাচ্ছিল। তাতে অনেকের সাথে আমার নামটিও জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। এইসব শুনে শুধুই দীর্ঘশ্বাস ফেলতে হয়। যখন কাছের মানুষরাই এসব বিশ্বাস করে বসে থাকে তখন কাকে কি বোঝানো যায়?
আমার সাথে যোগাযোগের সেরা পন্থা তড়িৎডাকে চিঠি দেওয়া (arupডটkamal[অ্যাট]জিমেইলডটকম)। সের্গেই আর ল্যারীর দুনিয়ায় হারিয়ে যাওয়াটাই কঠিন!
সবার জন্য শুভকামনা
দুর্বিনীত
অরূপ
মন্তব্য
আপ্নে মিয়া আসলেই একটা পাগল। নিজেকে ছাড়া আর কাউকেই বেশি ভালোবাসতে নেই।
অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো, পুরনো সব রাগবোধ মুছে গেলো আপনার বুক ফাঁটা কষ্টে। টের পাচ্ছি।
সুপ্রিয় অরূপ,
বহুদিন আগে দৈনিক আমার দেশে (সম্ভবত) একটা লেখা পড়ছিলাম আতাউস সামাদের। সেখানে তার বিবিসিতে চাকরি হওয়া-না-হওযার গল্প ছিলো। সেই সময় বিবিসির এক বসের কাছ থেকে একটা আপ্তবাক্য শিখছিলেন সামাদ। লেখাটা পড়ার পর থেকে নানা ক্ষেত্রে বাক্যটা আমার মনে পড়ছে। আজকে আবার মনে পড়লো : নাখিং ইজ সার্টেইন ইন লাইফ।
কথাটা ভালো। কিন্তু প্রত্যেকের জীবনেই তো কিছু-না-কিছু থাকে যা সবসময় সার্টেইন। আপনার নামটা আমার জীবনে সেইরকম।
ভালো থাকুন। সার্বক্ষণিক। অন্তত চেষ্টা জারি থাকুক।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
অরুপ, গিয়ানজাম তো কম করলাম না। আরো বহুৎই করুম। কারণ গিয়ানজাম করতে আমার খারাপ লাগে না। বরং গিয়ানজামের মইদ্যে পচুর উত্তেজমা জমা থাকে বইলা ভালোডা সাধারণ টাইমের চাইয়া বেশিই ভালো লাগে। উল্টা কইরা কইলে খারাপ লাগাডাউ।
এইসব ধুনফুন কথার আসলে মানে হয় না। যেকোনো ধরনের গুড বাইইই আসলে ব্যাড বাই। বিদায় মানেই বিচ্ছেদ। আর বিচ্ছেদ কখনো আনন্দের হয় না। আমরা মারামারি করি ভালো থাকি খারাপ থাকি ভালো সুমায় আহে আবর জায়গা, আমরা মানুষ বইলাই।
আসলে এগুলাউ কুনো কথা না। সময় কাটানোডাই মানুষের জন্য একটা বিরাট ব্যাপার। সচলায়তনে সুমায় কাটাইয়া আরাম পাই। সচলায়তন যতদিন বাইচা থাকব কিম্বা আমি যতদিন বাইচা থাকুম ততদিন গাটছড়া খুলব না। আফনেরো খুলব না। আমার চাইয়া অনেক গভীরে প্রোথিত আপনের গিঁট। অত সহজে খুলা যায় না। অযথা কষ্ট পান ক্যা? আমরা আমরাই তো। নিজেদের এই ভুল বুঝাবুঝির কাল নিশ্চয়ই একদিন পার হইব মানুষেরা। তবে সেইডা ভালো হইব কি-না কইতে হারি না।
বরং এহনই ভালো। ভুল বুঝাবুঝি আছে, মারামারি আছে, কি নাই আসলে? মানব জীবন বর্ণাঢ্য এই জইন্যই। আপনে যেখানেই যান, যেখানেই থাকেন, সচল আপনার হাত দিয়া গড়া, আপনাদের কিছু মানুষের অক্লান্ত শ্রম ঘামে অর্থে আমরা এত গিয়ানজামে নিজেদের নিয়োজিত করতাছি, এইডা একটা পরম পাওয়া।
কোথাও যাবেন না আপনি। জানি আপনার সমায় খারাপ যাচ্ছে। মানুষেরই সময় খারাপ যায় আবার মানুষই ভালো থাকে। আহেন আগামী শুক্কুর বার রাজকুমারের তামসিক খিছুরি খাই সব ভাইয়েরা মিলা।
পিথিবি আসলে খুব আনন্দের জাগা। এইখানে মানুষ একইসাখে হাসে এবং কান্দে। স্বপ্ন দেখে। কিন্তু কেউই জানে না আমাদের গন্তব্য কোথায়? নানা জনে নানা কথা কয়, কিন্তু কেউই জানে না আসল সত্যডা কি?
অতএব আসেন আমরা হাল না ছাড়ি।
জয় বাংলা জয় বেঙ্গল ফ্রেন্ড, দুনিয়ার মজদুর এক হও নাড়াই করো।
ব্লগের অনেক কিছুই বুঝি না অরূপ দা, তাই কোন মন্তব্যও নেই। তবে বিদায় জিনিসটা চিরায়ত অর্থে অনিবার্য হলেও আমার কাছে খু্বই অপছন্দের একটা বিষয়ের নাম। এই অপছন্দটাই জানিয়ে গেলাম।
ভালো থাকবেন সবসময়।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
পোস্টে সলিড ১ তারা। মাইরপিট হবে, তার মধ্যেই খেলাটা চালু থাকবে, ইনজুরি থাকলে বিশ্রাম, আবার ইনিংস শুরু, অবসর কোনো সমাধান নয়। আমি নিজেও বছর খানেক ধরে ইনজুরিতে আছি। জানুআরি থেকে এ পর্যন্ত তিন দফায় ভাঙ্গা ভাঙ্গা কাজের কন্ট্রাক্ট, চাকুরি খুঁজি পাই না, ভিসার জটিলতা, অসুস্থতা - এগুলোর সাথে পরিচিত, এগুলো মেনে নিয়েই আগাই। তার মাঝে যোগ হয়েছে পুরো অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে পারিবারিক ট্রাজেডি, ইনফ্যাক্ট মহাট্রাজেডি। কাজ করার মোটিভেশন জিরো, থিসিস শেষ করতে হবে, লেখার পৃষ্ঠা আগায় না। সচলে পোস্ট শুরু করি, দুই প্যারা লেখার পরে আর লিখতে ইচ্ছে করে না। আগে প্রচুর পোস্ট পড়তাম, যতোটা পড়তাম, তার হয়তো ২০% পোস্টে মন্তব্য করতাম। এখন পোস্ট পড়তেও ইচ্ছে করে না বেশিরভাগ সময়।
জীবনটা জটিল; কিন্তু মানুষের সামর্থ্য সেই জটিলতার চেয়ে বেশি। সময় হয়তো সবকিছুর বড়ো সমাধান।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
অরূপদা, বহুদিন পর আজ আবার সচলায়তনে মন্তব্য লিখছি। নিজেদের মধ্যেই ভুল বুঝাবুঝি হবে, মিটবে। পরের সাথে সেটা সম্ভব না। ঘর ছেড়ে তাই বলে কেউতো আমরা অন্যত্র চলে যাই না। সবুজ বাঘ আর বলাইদার কথা, আমারো কথা।
ভালো থাকবেন।
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ভালো থাকুন। সব সময়।
সত্যিই বিচ্ছেদ কখনো আনন্দের হয় না।
সচলায়তনের জন্য এতো ভালোবাসা নিয়ে দূরে যাবেন কি করে, অরূপ?
থাকেন না প্লিজ।
থেকে যান...
...........................
কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
গিয়ানজাম কইরা লাভ হইল কোনও তাইলে
এইসবে এখন খুব ক্লান্ত লাগে। ...গুড বাই, প্রিয় ব্লগার।
পাখি কখন জানি উড়ে যায়
একটা বদ হাওয়া লেগে খাঁচায়...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
আমার কথাটার কনটেক্সট না জেনে কোট করায় বেশ অস্বস্তি বোধ করছি। এর ইতিহাস গত তিন বছরের, কয়েক সপ্তাহ আগের কোনও পোস্ট না।
মনে হয় না উদ্ধৃতি দিয়া কোন অপরাধ করলাম। তাও মাফ চাই।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
এখানে অপরাধের কিছু নাইরে ভাই। মন্তব্য অনেক সময় দেখা যায় লোকজন নিজের মত করে বুঝে নেয়। তাই একটু ডিসক্লেইমার।
প্রিয় অরুপ আমি নিজে একদম অনিয়মিত ব্লগার তবে তবুও ভালোলাগে মাঝেমাঝে এসে ব্লগাইতে। আর ঠিক একারণেই আমার অরুপকামাল নামের ব্লগারটাকে বেশ ভালোলাগে; মডারেটর নাইবা থাকলেন কিন্তু সচল ব্লগার থেকে নিজের নামটা বাদ দিবেন না প্লিজ। সমস্ত সিরিয়াস ব্যাপারসেপারের পাশাপাশি কিছু লাইট ব্যাপার থাকলে খারাপ লাগেনা কিন্তু। এক জীবনে আর রাগ পুষে অভিমান করে কি লাভ বলুন? ভালো থাকুন, হয়তো দেখা হবে দু'তিন মাসের মধ্যে যদি মারা না যায়...হা হা
প্রিয় এবং দুর্বিনীত অরূপ - মন্তব্যটা একে লম্বা তায় আবার উপদেশের ভাব আছে, খুব সম্ভবত পড়ে আপনার মেজাজ খারাপ হবে, তাও লিখবোই লিখবো
প্রকাশ্যে এরকম ব্যক্তিগত আবেগময় একটা চিঠি আপনাকে লিখছি যে সেটারও কারণ আছে - আপনার সম্পর্কে বা আপনার নটে গাছটি মুড়িয়ে ফেলার অপচেষ্টা সম্পর্কে আমার মনোভাব কী, তা প্রকাশিতই থাকুক।
আপনাকে ব্যক্তিগত মেইলে লিখেছিলাম, জীবনে বহুবার আমাকে দুর্বিনয়ের খেসারত দিতে হয়েছে। এখনও যে হয় না তা নয়, তবে আগের চাইতে অনেক কম। তার একটাই কারণ, খুব বড় কোন ঘটনা ঘটলে অনেকসময় আমাদের জীবন সম্বন্ধে পার্সপেক্টিভ বদলে যায়। আমরাও বদলে যাই।
আপনি আমার মতো নন, একেবারেই। আপনি খুব, খুব ক্রিয়েটিভ একটা মানুষ। স্মার্ট তো বটেই। 'মাথা গরম' করাটা যে আপনার অন্যতম প্রধাণ সমস্যা সেটা এতোদিনে এতোটাই স্পষ্ট যে এমনকি নতুন করে কিছু বলারও নাই
কিন্তু, এখানেই আপনাকে আমার একটা ছোট্ট প্রশ্ন - বুঝলাম মাথা গরম, বুঝলাম সেই গরম মাথার কারণে অনেক কিছু হয়েছে, তো এখন কী? এবার কী? এভাবে প্রিয় মানুষ বা প্রিয় স্পেসগুলো ছাড়তে ছাড়তে কোথায় গিয়ে ঠেকবেন?
আমি জানি না সচলায়তনের মডারেটরদের মধ্যে কী হয়েছে। আমার জানার তো দরকারও নেই! আমি শুধু জানি যে যেহেতু সচলায়তন আমার একটা প্রিয় জায়গা - আমি হিমু, অরূপ এবং মুর্শেদকে সবসময়ই কিছুটা ছাড় দেবো, এমনকি এদের কারুর কারুর ওপর রেগে থাকলেও।
অরূপ - আত্মসম্মান আর ইগোর মাঝখানের লাইনটা প্রায়ই খুব ধোঁয়াটে হয়ে যায়। বিশেষত যারা বাইরে অবিনয়ী কিন্তু ভেতরে স্পর্শকাতর, তাদের জন্য সমস্যাটা আরোই বেশি। একসময় ঠিক এরকমই ছিলাম, সেজন্যই এতো কনফিডেন্টলি বলছি। আর, ভুল বা হঠকারী আচরণ আমরা প্রত্যেকেই করি। সচলায়তনের কেউ কেউ হয়তো করেছেন, আপনিও হয়তো করেছেন, বেঁচে থাকলে আরো করবেন। অন্তত আমার নিজের কথা বলতে পারি - আমি করবোই।
কোনটা বেশি জরুরী আপনার কাছে? অনেক তিক্ততা হয়েছে বলে একসময়ের প্রিয় মানুষগুলোকে, বা আপনার বহু যত্নে বানানো প্রিয় একটা জিনিষকে ছেড়ে দেয়া, নাকি নিজেকে একটু সময় দিয়ে, সময়কে নিজের কাজ করতে দিয়ে, তারপর আবার পূর্ণোদ্যমে ঝাপিয়ে পড়া?
আজকে থেকে পাঁচ বছর পর যদি আপনার কখনও মনে হয় - "আরে, তাইতো, এত্তো কিছু তো হয় নাই যে নটে গাছটাকে মুড়ায় একদম দোকান বন্ধই করে দিসিলাম!" তখন নিজেকে কী উত্তর দেবেন?
বিশ্বাস করেন অরূপ, কষ্ট টষ্ট থেকে বা কষ্ট পাওয়ার ঝুঁকি থেকে পালানো সত্যিই যদি যেতো আমি এদ্দিনে আন্দামানে গিয়ে বসে থাকতাম!
অতি প্রিয় এবং অতি মাথা-গরম অরূপ - একটু ভাবুন
অনিবন্ধিত কারো মন্তব্য প্রকাশ না করতে অনুরোধ করলাম
ব্যক্তিগত বিষয় ইমেইলে জানালে খুশি হব। লগইন করতে ভালো লাগে না
অরূপের ব্লগ @ http://etongbtong.blogspot.com
অরূপের ফ্লিকার @ http://www.flickr.com/photos/harvie-krumpet
অরূপের ব্লগ @ http://etongbtong.blogspot.com
অরূপের ফ্লিকার @ http://www.flickr.com/photos/harvie-krumpet
অরূপদা,
আপনার গত কয়মাসের অনেকগুলা কাজের মত এই কাজটাও আমার পছন্দ হলো না।
নিজের মতটা জানিয়ে গেলাম, যদিও জানি এসবের আর তেমন কোন গুরুত্ব নাই আপনার কাছে।
নটে গাছ আবার মাথা তুলে উঠুক এটাই চাইবো।
ভাল থাকবেন।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
কনফুর মতো আমারো এই পোস্টটা ভালো লাগলো না। কিছু লোকের মুখে অভিমানের কথা মানায় না। তার মানে এইনা যে তারা ক্লাউন। খুব কঠিণ করে কোন রাগের কথা বললে মনে হয় কথাগুলি স্পিকারের সাথে যাচ্ছে না। তোমার কথাগুলিও যাচ্ছে না তোমার সাথে।
ধরে নিচ্ছি তুমি যাচ্ছো না। বাকি তোমার ইচ্ছা তোমার বিবেচনা।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
কয়টা দিন চুপচাপ বসে থাকেন। ঘোরাঘুরি করেন। ব্লগ থেকে দূরে থাকেন। অন্যকে মাঠ ছেড়ে দিলে তো ফাঁকা মাঠেই তারা গোল দেবে। এসব করলে কি ভালো লাগবে আপনার? ফটোগ্রাফির মত ক্রিয়েটিভ কিছু করতে গেলে কিন্তু মন ভালো থাকা চাই। মন ভালো রাখুন। সচলায়তনে এসে আমার প্রথম পোস্টে আপনার সেই কথাগুলো কিন্তু আমি এখনো মনে রাখি। আপনি সচলায়তনকে ভালোবেসে আজ নিজেই ছেড়ে যাওয়ার কথা বলছেন-- ঠিক ভালো লাগছেনা।
সমমনা মানে একমনা না। কাজেই সমমনাদের মাঝেও মতবিরোধ থাকবে। কথা হলো এসব বিরোধের মাঝেও কাজটা চালিয়ে যাওয়া। সবারই তো ছোটখাট একটা উদ্দেশ্য থাকে, নাকি।
সচলায়তন এবং সচলায়াতন ছাড়াও আরো দুএক বিষয়ে আপনার সাথে অনেক কথা হয়েছে, চ্যাটও হয়েছে। অন্যান্য মডু যারা আছেন তাদের কয়েকজনের সাথেও প্রচুর কথা হয়েছে। তবু ঠিক কী কারণে এমন পরিস্থিতি হলো বা কোথা থেকে এর সৃষ্টি তা জানি না। সমস্যা যতই জটিল হোক, সমাধানের অতীত নিশ্চয়ই নয়।
নিজের সন্তানকে কেউ মেরে ফেলতে পারে না, রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যেতেও পারে না।
হয়ত শেষ বিচারে সব কিছুই অর্থহীন। তবু ভাল থাকুন।
হায় হাসান... হায় হোসেন...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
১। আমি কখনই বিস্মৃত হই না যে তুমি সচলায়তনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। ইনফ্যাক্ট তুমিই ছিলা দুজন সূচনাকারীর একজন।
২। আমার এটাও মানতে কষ্ট হয় যে তোমার ডেভিয়েশনটা চোখে পড়ার মত। তুমি নিজের প্রথম দিককার মন্তব্য এবং এখনকার মন্তব্য পড়ে দেখো। এটা দুঃখজনক এবং অগ্রহনযোগ্য।
৩। তোমার ব্যক্তিগত ঝামেলা এতে কতটা কন্ট্রিবিউট করেছে আমি জানি না। কিন্তু আমি প্রাণপনে তাই ভাবতে চাই। তুমি বন্ধুদের দূরে করে রেখে বুঝতেও দাওনি কোন কিছু।
৪। আমি মানছি যে গুজব উঠেছিল তাতে ঠাস্ করে বিশ্বাস করে নেয়া আমার ভুল হয়েছে। আমি সে কারনে ক্ষমা চাইছি। কিন্তু আমাদের দূরে সরিয়ে রেখে ভুল বোঝার সুযোগটাও কি তুমি বাড়িয়ে দাওনি?
বিপদের সময় বন্ধুদের কাছে রাখতে হয় আর শত্রুদের দূরে। তোমার সিদ্ধান্ত নেবার উপযুক্ত সময় এটা নয়। তুমি বরং কিছুদিন সময় নাও, বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রাখো। সব কিছু সেটলড্ হবার পর সিদ্ধান্ত নিও। তুমি যে সিদ্ধান্তই নাও তোমার প্রতি সব সময় আমার শুভকামনা থাকবে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
যদিও আপনি কাজগুলি/কাজটার কথা এখানে বলতে চান না তবু কথাটা হচ্ছে এরকম উচ্চারণ ব্লগার অরূপকে অন্যান্য ব্লগার ও পাঠকের কাছে কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে দেয়। তাই তার আনএথিকাল কাজগুলি/কাজটি ব্লগার-পাঠকদের জানা প্রয়োজন যাতে তারা নিজেরাও অরূপ বিষয়ে নিজেদের মনোভাব তৈরির সুযোগ পায়। মাহবুব মুর্শেদকে তাই অনুরোধ করতেছি আপনি সেই আনএথিকাল কাজগুলি/কাজটা আমাদের জানান। (যদি জানানো সম্ভব নাহয় তাহলে বলতে হচ্ছে, এই বক্তব্য এখানে উপস্থাপন আপনার ঠিক হয় নাই।)
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
এর বেশী জানাতে আমি অপারগ। আমি আপাততঃ মেনে নিচ্ছি যে এখানে প্রসঙ্গটা তোলা ঠিক হয়নি। লাইনটা মুছে দিতে মডারেটরদের অনুরোধ করি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
@পলাশ, একটু অনধিকার চর্চা করছি - ব্যক্তিগতভাবে আমি আসলে জানতে চাই না সেই কাজগুলো কী, আসলে অরূপই কি আনএথিকাল কাজ করেছে নাকি মুর্শেদ ভুল বুঝে/অন্যায়ভাবে অরূপকে দোষারোপ করছে।
আমার মনে হয় এসব কথার একটা বিরাট ঝুঁকি আছে - কখনই একটা এবসল্যুট উপসংহারে পৌঁছনো যায় না।
@মুর্শেদ - ঐ কথাটা কি না বললেই চলতো না? একজন সাধারণ পাঠক হিসেবে সচলায়তনের পাতায় যা ঘটতে দেখেছি তাতে আপনার হঠকারী মন্তব্যেও বিরক্ত হয়েছি, অরূপের রূঢ় মন্তব্যেও বিরক্ত হয়েছি। এখন 'আসলে' কার দোষ বেশি কিংবা কার কম সেটা মেপে টেপে আমরা হয়তো একটা 'ঠিক এসেসমেন্ট' এ আসতে পারবো, কিন্তু তারপর?
আমি না মডারেশনের অংশ, না কোন গুরুত্বপূর্ণ সচল, না কোন বিশেষ বুঝদার কেউ - বারবার যে তারপরও নাক গলাচ্ছি তার কারণ আমার 'ব্যক্তিগত স্বার্থে' সচল সচলের মতন থাকুক সেটা চাই। এইটুকুই।
আমার মন্তব্য পছন্দ না হলে বলবেন, মুছে দেবো।
@স্নিগ্ধা, আমার বক্তব্য হলো যা প্রকাশ্যে বলা যায় না তার গোপন উদাহরণ দিয়ে (বিশেষ করে এই ক্ষেত্রে) কথা বললে তা সচলায়তনের ব্লগার-পাঠকদের, যারা ঘটনা জানি না, তাদের জন্য বিভ্রান্তিকর; এবং সচলবিরোধীদের জন্য আনন্দদায়ক। এই কারণেই জানতে চাওয়া।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
একদম ঠিক কথা, পলাশ! যদিও, সেই কারণেই জানতে চাই না!
আপনার অবস্থান থেকে আপনার অবজারভেশন সঠিক। আমার অবস্থান থেকে আমার একশন অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক, কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে ত্রুটি পূর্ণ। কিন্তু কখনও এমন হয়নি যে আমি ভুল করে ভুল স্বীকার করিনি।
যদিও এই প্রসঙ্গটি এই পোস্টে একান্তই অবান্তর।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আমার ধারণা আপনার সেই ভুলটাই পরবর্তী অনেকগুলো ভুলের জন্ম দিয়েছে। আমার খুব অবাক লেগেছিলো আপনি অরূপকে ছেড়ে গুজবকে বিশ্বাস করছেন দেখে।
অরূপের অনেক ঝামেলাই থাকতে পারে, কিন্তু সচলের প্রতি তার ভালোবাসার কমতিটা কখনো ছিলো না বলেই আমার মনে হয়েছে।
যদিও বাতুনি অনেক কিছুই জানা নেই... জানতে ইচ্ছাও করে না। যতটুকু জাহিরি, ততটুকু থেকে আমার ধারণাটুকু বললাম।
সচলায়তনে পড়ে থাকি এর শান্তিপূর্ণ পরিবেশটার জন্যই। কিন্তু শান্তি বজায় রাখতে মাঝে মাঝেই খুব অশান্তি এসে যাচ্ছে মনে হয়।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ভাই,
এই লাইনটা পড়ে হুট করে মনে হতে পারে মুর্শেদ ভাইয়ের কমেন্টটাই অনেক কিছুর জন্যে দায়ী। কিন্তু হয়ত তা নয়, সবার বহিঃপ্রকাশ আসলে হয়ত কেবলই ধারাবাহিকতা।
মুর্শেদ ভাই ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছেন যে সেটি ভুল হয়েছিলো, অবশ্য, বন্ধুদের মাঝের ভুল বুঝাবুঝি ঠিক করার সঠিক জায়গা বোধহয় খোলা পাতা নয়...
যাকগে, এই পোস্টে আর অন্য কোন কিছু নিয়েই বলতে ইচ্ছে করছে না। কিন্তু কাউকে দুম করে দোষারোপ করতে দেখলে সত্যি খারাপ লাগবে।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
কেউ ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার পরে ঘটা করে তাকে সেই ভুলের জন্য আবার দুম করে দোষারোপ করার কোনো মানে নেই। আমিও তা করিনি বা করতে চাইনি। আমি কেবল একটি পরিস্থিতি বোঝাতে চাইছিলাম।
হয়তো বাক্যটা দিয়ে পরিস্কার বোঝাতে পারিনি। অথবা হয়তো আমার বহিঃপ্রকাশটাও কেবলই একটি ধারাবাহিকতার অংশ। অথবা হয়তো আমার বাক্য গঠনের অক্ষমতা।
বাক্যের বহিঃপ্রকাশ যদি তাই হয়, তবে মুর্শেদ ভাইয়ের কাছে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি
অস্থির সময়ে মন্তব্যও অস্থির হয়।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ইউ ক্যান রান, বাট ইউ ক্যান্ট হাইড।
আরো কিছু বলতাম, আজকে শরীরটা খারাপ লাগছে খুব, আপাতত চুপ গ্লাম। পরে তনুমন একটু চাঙা হৈলে নগদে কিছু দিয়ে যাবো। ছাগু কোথাকার।
ছাগল এসব পোস্ট পড়ে হাসছে। আপনার কি ছাগলের দাঁত বিকশিত দেখতে ভালো লাগে?
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
ভুলভ্রান্তি সবারই হয়। ভুল কিন্তু অরূপ কুমার নিজেও করছেন। কোথায়? এই পোস্টের একদম উপরে যে ছবিটা আছে, সেটাতে ক্লিক করে এর শিরোনামটা দেখেন। এই ছবি আমার কাছে পুরানো, কিন্তু শিরোনামটা হঠাৎ করেই বাস্তব মনে হচ্ছে। সুইসাইডাল বাডি (বার্ডি-কে পরিবর্তন করে লিখলাম)।
মেঘদলের লুপে আছি শেষ ক'দিন ধরে। ওদের গানের একটা অংশ তুলে দিলাম তোমার জন্য।
কিছু মাতাল হাওয়ার দল
শোনে ঝোড়ো সময়ের গান
এখানেই শুরু হোক রোজকার রূপকথা।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
Congrats to all of them who made Orup to take this decision
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
প্রিয় অরূপ,
চলে যাওয়া তো কোন সমাধান নয়।
সচলায়তন আপনার ভালবাসার স্থান, আপনার পরিশ্রমের ফসল।
আপনি এর জন্যে লড়বেন না?
মানছি আমাদের মাঝে কটুকাটব্য হতেই পারে।
মানছি আমাদের মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
তাই বলে আপনি আপনার সহোদর, আপনার সহযোদ্ধাদের যুদ্ধের মাঠে একা ফেলে যাবেন?
অনেকেই বলছেন সচলায়তনের আজকের দশা দেখে অন্যপাড়ায় উৎসবের কথা। হয়ত সত্যি, হয়ত নয়। তাতে কী আসে যায়,বলুন?
আপনার যদি ফিরতেই হয়---তবে সচলায়তনকে ভাল বাসার টানেই ফিরবেন, এটা আমি বিশ্বাস করি। নিন্দুকের জবাব দেয়ার চাইতে---নিজের ভালবাসার জন্যে লড়ে যাওয়া অনেক জরুরী, অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্বাস করবেন কি না জানিনা, আমরা প্রত্যেকেই ঠিক এই মুহূর্ত্তে নানান সমস্যায় আছি। কারো সমস্যা হয়ত আপনার সমস্যার চেয়েও গুরুতর! কিন্তু দেখুন, আজ আমরা সবাই আমাদের যার যার সমস্যা পেছনে ফেলে রেখে এসে আপনার দরজায় নক করছি।
অভিমান আমাদের কিছু দেয় না,অরূপ।
দেয় শুধু দূরে সরে যাওয়া, প্রিয়জন কে হারিয়ে ফেলা আর অনিঃশেষ আত্ম-দহন।
একটু ভাবুন, অরূপ
একটু ভাবুন।
এত কিছু জানি না অরূপ'দা, কিন্তু আপনি "সচলায়তন" ছেড়ে যাবেন এইটা হয় না। একদম হয় না। কিছুতেই হয় না।
আপনার কি খুব রাগ করে কাউকে ধরে ইচ্ছামত মারতে ইচ্ছা করছে? প্লিজ, আমাকে কিছুক্ষন মেরে মনটা ভালো করেন...তবু থাকেন, যাইয়েন না... ভাল্লাগে না ধুর...
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
কি বলবো?
না, বলার মতো কিছু খুঁজে পাই না। অথবা একজন গৌণ মানুষ কিইবা আর বলতে পারে?
বন্ধুসভা থেকে গিয়াস আহমেদ নামের চেইনমেকারটা বেরিয়ে গেলে সেই সভার কিছুই হয় না। বরং তা আরো ফুলে ফেঁপে উঠে। জাতীয় সংগঠনের রূপ নেয়। মাঝখান থেকে কিছু বোকা মানুষ শুধু মন খারাপ করে। নুয়ে পড়ে, ভিড়ে মিশে যায়।
যাদের হাত ধরে ব্লগিং এ হাতেখড়ি তাদের একজন গতকাল বল্লো, তার কাছে সচল এখন গুগলটকের মতোই একটা ওয়েবসাইট বই আর কিছুই নয়! হায় এও শোনার বাকি ছিলো।
কেউ কেউ পাছা থাপড়ায়। উল্লাস করে। সামনে মায়াকান্না করে আর ভেতরে ভেতরে অশ্লিল হাসি হাসে। জ্বলজ্বলে বুকে ভেজা কাথা বুলায়...
এই সচল আমি চিনি না, যে সচলে এমন মৃত্যুর শীতলতা থাকবে। এই সচল আমি চাইনি, যে সচলে বাঁশ নিয়ে কেউ কেউ বসে থাকবে, অলক্ষে কিংবা লক্ষে সেটার ব্যবহার করবে বলে।
আমি চিনি না, নির্বিকারভাবে শুভ বিদায় বলার রেওয়াজ। প্রস্থানে, সে যেকোন প্রস্থানই হোক, বড়ো বেশি মনখারাপ হয়। হাটুতে জোর কমে যায়, হাটতে পারি না। মা বলেন, ভাই এর অসুখে, ভাই এর মরণে আরেক ভাই এর হাটুতে নাকি জ্বরা বাসা বাধে, চলার শক্তি কমে। আমার ভাইগুলো, আমার বন্ধুরা যখন বলে, এইবার তবে প্রস্থান... আমি ভাই হারানোর বেদনায় আক্রান্ত হই।
আজ এইক্ষণে শুধু রাজনীতি, শুধুই কামড়াকামড়ি। দয়াদ্র হয় না কেউ। মচকাতে চায় না কেউ। সবাই চায় নিজেরেই উপরে তুলে ধরে বাকি সবকিছুকে বাতিল করে দিতে। সবকিছু গৌণ হয়ে যায় অহমিকার কাছে। আর এই ফাঁকে মজা লুটেরাদের দল, সুযোগ খুঁজতে থাকাদের দল দাত কেলায়। উল্লাস করে।
যে আমি পড়ে থাকি পৃথিবীর এক কোনে। গুটিসুটি মেরে পড়ে থাকি। দিন চলে যায়, আজ কাল হয়, কাল আজ হয় নিতান্তই রুটিনের প্রয়োজনে, তার একটা আকাশ, একেবারেই আলাদা আকাশ, নীলাকাশ যদি কালো মেঘে মুখ ঢাকে, পৃথিবীর তাতে কিছুই হবে না জানি। যার আকাশ ভেঙে আসে রুদ্দুর, আসে মেঘ, আসে নীল, সেই শুধু জানে আকাশের কথকথা। সেই শুধু বুঝে অন্ধকারের বেদনা। আজ নাহয় আকাশটা চুরি হয়ে গেলো, কিংবা আমিই নাহয় দিলাম জানালাটা বন্ধ করে। কারকি তাতে?
না কারো কিছু হয় না। অরূপ, পাগলা অরূপ, বোকা অরূপ সেটা জানে না।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
চলে যাওয়া একটা ভ্রান্ত ধারমা
পোস্টে এই নিয়ে তিন বার বড় মন্তব্য লিখেও মুছে দিয়েছি। অরূপ ভাইয়ের একটা বড় গুণ আছে। খুব দ্রুত মানুষ চিনতে পারেন তিনি। একবার বলেছিলেন, "যারা ব্লগ নিয়ে ব্লগিং করে, তারা প্রায় ১০০ ভাগ ক্ষেত্রেই চালবাজ।" গত আড়াই বছরে এর অনেক উদাহরণ দেখেছি, আর প্রতিবার অরূপ ভাইয়ের কথা মনে করেছি।
এমন বোধ-বুদ্ধি সম্পন্ন কাউকে বিশদে কিছু বলতে যাওয়ার ধৃষ্টতা আমি দেখাবো না। ঠিকটা অরূপ ভাই নিজেই বোঝেন, আমি নিশ্চিত। তবুও বলি -- ব্লগার অরূপের প্রতি অবিচার করবেন না। আপনার ব্যানার-প্রচ্ছদ-ছবি-পোস্ট ছাড়া সচলায়তন মাত্রা হারায়, তা আপনিও জানেন।
আলমগীর ভাই মনের কথাটা বলে দিয়েছেন। সমমনা মানেই একমনা না। দেরিতে হলেও এই উপলব্ধিটুকু জরুরী সবার জন্যই। ছোট মুখে বলছি, বন্ধুকে দূরে ঠেলে দেবেন না। সন্তানকে তো না-ই।
গ্যালারিতে বসে অনেক বড় বড় কথা বলা যায়। অনেকে বলেও। মিথষ্ক্রিয়ার মতো নিরীহ শব্দটাও কিছু লোকের পশ্চাদ্দেশে আঘাত হেনে ফেলে, এর চুলচেরা ব্যাখ্যা নিয়ে বকতে বকতে বেহায়া মুখে ফেনা তুলে ফেলা সহজ, কয়েকশো মানুষের মধ্যে সেটা সুস্থ পর্যায়ে রাখার দায় নিয়ে যারা কোনো বিরতি ছাড়া গত দুই বছর ধরে এই সচলায়তন নামের স্পেসটুকু আগলে রেখেছে, তারা বোঝে এর পেছনে ক্লান্তিটুকু কত গাঢ়। দুয়েকজন স্মার্ট লোক সবকিছু ঘটে যাবার পর এসে স্মার্ট স্মার্ট কথা বলে যায় (কারণ সময়মতো তাদের ল্যাপটপে চার্জ ফুরিয়ে যায় কিংবা এলিয়েন এসে তাদের অপহরণ করে নিয়ে যায়) আর যারা সব ঘটনার ভেতর দিয়ে পার হয়, তারা ওগুলি শুনে থুতু গিলে ফেলা ছাড়া তেমন কিছু করতে পারে না। অমত দ্বিমত নিয়ে প্রচুর বড় বড় মিষ্টি কথা বলা সহজ, সচলের মূলস্রোত ধরে রাখা কঠিন। সহজ কাজটাই কেন যেন আমরা বেশিরভাগ মানুষ করি। আর অরূপের মতো কিংবা তার চেয়েও দুর্বিনীত কয়েকজন ঐ কঠিন কাজ করতে গিয়ে হয়রান হয়।
সচলায়তন নিতান্ত অনিচ্ছাতেও প্রচুর অশুভাকাঙ্খী তৈরি করে ফেলেছে। সব সংঘর্ষ সচলদের দৃষ্টিগোচর নয় বলে তারা এর মাত্রা টের পান না। কিন্তু কাজগুলি বড় ক্লান্তিকর।
অরূপ, টেইক আ সাবাটিক্যাল। বিশ্রাম নিয়ে ফিরে আয়। আমরা বরং কঠিন কাজটাই করবো একসাথে। আয়, সহজ কাজগুলি স্মার্ট স্মার্ট লোকদের জন্যে ছেড়ে দেই।
এই লেখার বক্তব্যগুলা কেউ বাংলায় বুঝিয়ে দিলে বুঝতাম লেখক কী বলতে চেয়েছেন
হিমুদার সাথে গলা মিলিয়ে আমিও বলতে চাই... একটা ব্রেক নেন তারপর আবার ফিরে আসুন আমাদের মাঝে। আপনাকে ছাড়া যে চলবেনা ...
--------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
অরূপদা, আপনি আমারে চেনেন না, চেনার কথাও না...। আমার আবেদন তাই আপনার কাছে বিশেষ কিছু বলে গণ্য হবে- এটা দুরাশা...
তবু বলি, নটে গাছটা থাকুক...
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
অরূপদা, কি কন এগুলা? যাইয়েন না মিয়া, থাকেন!
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
অরূপ,
আপনি যদি চলে যান তাহলে ---
আপনি যাবেন না, আমি প্রায়-বাইরের লোক, অনুরোধ করার কোনো অধিকার নেই, তবু অনুরোধ করলাম।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
অরূপ কে? ওর নিজের ভাষায় – দুর্বিনীত। কারো কাছে রাগী, জেদী, মাথা গরম, পাগল, বোকা, স্পষ্টবাদী, স্পষ্টভাষী, খুব ক্রিয়েটিভ । এমনি আরো অনেক গুণ আর দোষে ভরা একজন রক্তে-মাংসে তৈরী মানুষ। আর এই সবটুকু নিয়েই ও একজন পূর্ণাঙ্গ অরূপ। এর একটা দোষ বা গুণ কম থাকলে ও তো এই অরূপ হতো না, ও হতো অন্য কেউ। আমরা তো অন্য কাউকে চাই না। আমাদের ভালোবাসা এই অরূপের জন্য। আমাদের দরকার এই অরূপকেই । সচলায়তনেরও দরকার এই অরূপকেই। নিচের উদ্ধৃতিগুলি তার প্রমাণ।
আমি কখনই বিস্মৃত হই না যে তুমি সচলায়তনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। ইনফ্যাক্ট তুমিই ছিলা দুজন সূচনাকারীর একজন।
...
নিজের সন্তানকে কেউ মেরে ফেলতে পারে না, রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যেতেও পারে না।
...
সচলায়তন আপনার ভালবাসার স্থান, আপনার পরিশ্রমের ফসল।
আপনি এর জন্যে লড়বেন না?
...
আমার চাইয়া অনেক গভীরে প্রোথিত আপনের গিঁট। অত সহজে খুলা যায় না। অযথা কষ্ট পান ক্যা? আমরা আমরাই তো। নিজেদের এই ভুল বুঝাবুঝির কাল নিশ্চয়ই একদিন পার হইব মানুষেরা।
...
নিজেদের মধ্যেই ভুল বুঝাবুঝি হবে, মিটবে। পরের সাথে সেটা সম্ভব না। ঘর ছেড়ে তাই বলে কেউতো আমরা অন্যত্র চলে যাই না।
...
সচলায়তনের জন্য এতো ভালোবাসা নিয়ে দূরে যাবেন কি করে, অরূপ?
থাকেন না প্লিজ।
...
আপনার বহু যত্নে বানানো প্রিয় একটা জিনিষকে ছেড়ে দেয়া,
...
আপনি সচলায়তনকে ভালোবেসে আজ নিজেই ছেড়ে যাওয়ার কআথা বলছেন-- ঠিক ভালো লাগছেনা।
...
এত কিছু জানি না অরূপ'দা, কিন্তু আপনি "সচলায়তন" ছেড়ে যাবেন এইটা হয় না। একদম হয় না। কিছুতেই হয় না।
...
না কারো কিছু হয় না। অরূপ, পাগলা অরূপ, বোকা অরূপ সেটা জানে না।
...
ছোট মুখে বলছি, বন্ধুকে দূরে ঠেলে দেবেন না। সন্তানকে তো না-ই।
...
ইউ ক্যান রান, বাট ইউ ক্যান্ট হাইড।
অরূপ, আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে বলছি যে, কোনো শুভ সুচনা শুরু হয় অনেকগুলো পাঁজর ভাঙ্গা দীর্ঘশ্বাসের ভেতর দিয়ে। ইওর গুড ডে ইস কামিং। আই ক্যান স্মেল ইট। ক্যান্ট ইউ?
অরূপ, আপনারই কথা "একটি সচল পরিবার", তাহলে পরিবার ছেড়ে যাবার প্রশ্ন আসছে কেন? আপনার জন্য সচল ছেড়ে যাওয়া তো কোনো অপশন হতে পারে না। আর সচলায়তনই বা আপনাকে যেতে দেবে কেন?
"সচলায়তনের সাথে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই লম্বা সময় ধরে। ব্যবস্থাপনা, নীতিনির্ধারন, মডারেশন, অর্থায়নের সাথে নেই বলে সচলায়তনের কোন দায় আমি আর বহন করি না।" অরূপকে এ ধরনের কথা কেন লিখতে হয়। কেন অভিমান করে চলে যাবার সিদ্ধান্ত নিতে হয়। পর্দার অড়ালে ঘটে যাওয়া ঘটনা পর্দার আড়ালেই থাকুক। পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে যারা এর সাথে জড়িত, আশা করবো তারা অরূপের অভিমান ভাঙাবার দায়িত্ব নিবেন। সচলের স্বার্থেই অরূপকে সচলে থাকতে হবে। আজ অরূপ চলে যাবে। কাল আরো ক’জন যাবে। পরশু আরো ক’জন যাবে। তাহলে কি এসবই মেনে নিতে হবে?
--------------------------------------------------------------------------------
আপনার মন্তব্যে লক্ষকোটি তারা। অরূপ, এই সকল হৃদয় ভেঙে দিয়েন না প্লিজ।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
অরূপ, ভাবীর বাংলা লিখতে যথেষ্ট অসুবিধা হয়, উনি অভ্যস্ত নন বলে। তারপরও ভাবী এতোটা সময় নিয়ে এই মন্তব্যটা লিখলেন শুধু আপনার জন্য, এটা 'অরূপ' বলেই।
আমিও বলছি - প্লিজ!
স্নিগ্ধা আপা,
আপনি তো জানেন..
ভাবীকে কিভাবে বলি সেইসব?
ভাবী,
Things have changed a lot.
I better not stay.. I better not..
অরূপের ব্লগ @ http://etongbtong.blogspot.com
অরূপের ফ্লিকার @ http://www.flickr.com/photos/harvie-krumpet
অরূপ - একটু নাহয় কয়েকটা দিন সচল আর সচল সংক্রান্ত সব কিছু থেকে দূরে থাকলেন। তারপর আবার একটা 'কবিট্যাঁও' লিখলেন? কয়েকটা ছবি দেখালেন? একেবারেই কি অসম্ভব সেটা?
এটা তো মানেন, যে things always change and very often for the worse, কিন্তু তারপরও অরূপ ......
এটা কি যে কোন একটা পরিস্থিতি? এটা আপনার হাতে গড়া সচলায়তন নিয়ে কথা হচ্ছে, এবং এখানে আপনার এই সিদ্ধান্তে সচলায়তনের সাথে সাথে আমরা সচলরাও যে ইম্প্যাকটেড হচ্ছি, সেটা একটুও দেখবেন না?
শুধু এটুকু বলছি, কোনদিন কাউকে সচল না ছাড়ার জন্য এভাবে বা এর এক দশমাংশও অনুরোধ করি নি। কিন্তু, অন্য কেউ আর 'অরূপ' তো একও না, করবোই বা কেন!
ইদানিং প্রায়ই অপ্রিয় সব কথা বলি, সমালোচনা করি। সবার বিরাগভাজন হবার ঝুঁকি নিয়েও এটা করি কেন সেটা বোঝেন?
বাকি কথাগুলো ব্যক্তিগত মেইলে জানাচ্ছি।
সচলায়তন খুব কম সময়ে অনেক ভাল লেখক উপহার দিয়েছে । যারা শুরু থেকেই খুব সজাগ থেকে এর মান এবং মনন ধরে রেখেছেন ; তারা হয়তো জানেননা কত বড় একটা কাজ তারা অনায়াসে করে চলেছেন। যারা একসাথে অনেক দিন কাজ করতে পেরেছিল, তারা দেশ পত্রিকা আর দেশসেরা লেখক রেখে গেছে। খুব বড় কাজ করতে এসে ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে: অথচ সচলায়তন দাবী করে এর প্রাণপুরুষেরা একটা পুরো ইনিংস একসাথে লড়বে। আশা করছি গতানুগতিকার অচলায়তন হয়ে ওঠার আগেই অরূপকে তার সহযাত্রীরা তাদের শুরুর স্বপ্নযাত্রায় ফিরিয়ে নিয়ে আসবেন। সচলায়তন হয়ে উঠবে আন্তর্জালে বাংলাভাষীদের প্রকাশের ঠিকানা--- আমরা নিশ্চিত ॥
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
আমার কাছে সচলায়তন হচ্ছে আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশের প্রতিকৃতি। আমাদের ভবিষ্যত বাংলাদেশের স্বার্থে আমি মনে করি সচলের মানুষগুলোর একসাথে থাকা দরকার। তাই অরূপ যাবেন না প্লিজ। বরং -টেইক আ সাবাটিক্যাল এন্ড দেন কামব্যাক।
প্লিজ।
রাজিব মোস্তাফিজ
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ (আমার বিচারে) উদাহরণ মনে পড়ায় আবার ফিরে এলাম। অরূপ, আপনি জানেন কিনা জানি না একবার পত্রিকায় লিখে কিছু হয় না বলে অভিমান করে মুহম্মদ জাফর ইকবাল পত্রিকায় কলাম লেখা ছেড়ে দিবেন বলে ঠিক করেছিলেন এবং এইটা প্রথম আলোতে লিখেও ছিলেন। এরপর অনেকদিন কোনো কলাম লিখেন নাই। আমি তো ওনার সরাসরি ছাত্র, তাই যখন তখন তাঁর রুমে যেতে পারতাম। তখন কি একটা কাজে যেন তাঁর রুমে গিয়েছি, সুযোগ পেয়ে অনুযোগের সুরে বললাম --"স্যার, অনেকদিন পত্রিকায় কিছু লিখছেন না!" স্যার তাঁর চোখ জোড়া তুলে আমার দিকে তাকালেন, তারপর বললেন--"দেখো না, ভার্সিটির এত চাপ, সময় করতে পারছি না।" তখন স্যারও যেমন জানতেন যে তিনি আসল কারণটা বলেন নাই, আমিও কিন্তু জানতাম।
তো যাই হোক, একসময় স্যার বুঝতে পারলেন যে তার সিদ্ধান্তটা ঠিক ছিলো না এবং আবার লেখা শুরু করলেন। তো এখন আপনি একটু চিন্তা করে দেখেন, জাফর স্যার যদি সেইসময় এর পর থেকে আর না লিখতেন-- তাহলে কার লাভ হত। আর সচলায়তনের যদি কোনো ক্ষতি হয়, তাহলে বাংলাদেশে কার লাভ হয়।
আপনাকে বুদ্ধিমান মেনেই এই গভীর রাতে এই কথাগুলো খরচ করলাম--আশা করি আপনি নিরাশ করবেন না।
ভালো থাকুন।
রাজিব মোস্তাফিজ
আমি নতুন হিসেবে কি বলব ঠিক বুঝতে পারছি না। বিদায় শব্দটাই বোধহয় হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটায়।
মহসীন রেজা
কতো অ-বোঝা রে!
..........................
ভালো থাকুন।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
নতুন মন্তব্য করুন