বিড়াল জিনিষটা এমনিতে দূর থেকে দেখতে বেশ ভালো। দিব্যি নরম সরম, বেশ একটু বাঘ বাঘ ভাব আছে । কিন্তু মুশকিল হল, এ জাতীয় প্রাণীটি সামনে এলেই ভেতরে কেমন একটা বিজাতীয় বিদ্বেষ অনুভব করতে থাকি । বিড়ালপ্রেমীরা এই স্বীকারোক্তিতে আমার মুণ্ডু ছিঁড়ে ফুটবল খেলতে চাইলেও কিছু করার নেই। কোদালকে কোদাল বলাই উচিত। তার ওপর কোদাল নিজেই যদি তার কারন তৈরি করে তাহলে তো আরও বেশি উচিত।
অবশ্য আমি বরাবর এমন কিছু বিড়াল বিদ্বেষী ছিলাম না। আগে যাবতীয় পশু পাখির সাথে ওদেরও ভালো লাগত । কিন্তু ভার্সিটির হলে থাকতে গিয়ে দেখেছিলাম ওখানে মার্জার রাজত্বই চলছে। বেশির ভাগ মেয়েই রুমে রান্না বান্না করে খেত বলে এঁটোকাঁটার অভাব নেই, জ্বালাতন করার কেউ নেই; বাস করার জন্য এর চাইতে আদর্শ জায়গা আর কি হতে পারে ? কাজেই নিশ্চিন্ত মনে তাঁরা বংশ বৃদ্ধির কাজটি করে চলেছিলেন। সিনিয়র আপুদের দেখতাম ওদের চুরি চামারিতে অতিষ্ঠ হয়ে মাঝে মাঝে চিল্লাচিল্লি করতে। কাউকে কাউকে রাগের চোটে গায়ে গরম মাড়ও ফেলতে দেখেছি । এমনকি একবার তো টোপের ভেতর ভরে মায়াবড়ি খাওয়াবার একটা প্রজেক্টও নেয়া হল। কিসের কি ! তাঁরা আছেন বহাল তবিয়তেই ।
থার্ড ইয়ারে ওঠার পর পড়াশোনার সুবিধার্থে সিঙ্গেল রুম দেয়া হল। আমার তো খুশি রাখার জায়গা নাই। কত কাহিনি করে ছোট্ট রুম আর বারান্দাটা সাজালাম। কিন্তু দুদিন না যেতেই বিড়ালের উৎপাতে খুশি কমতে লাগলো । নানান কায়দা করে কদিন একটু ঠেকিয়ে রাখলাম। কিন্তু একদিন সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেল।
তখন একা হাতে বাজার-রান্না-পড়াশুনো-আড্ডা এইসব করে এক একটা সময় ঘরের কাজ জমে যেত মেলাই । মাঝে মাঝেই তাই কোন কোনোদিন অপারেশন ক্লিনহার্ট চলত। এরকম একটা দিনে সকাল থেকে বাজার রান্না শেষে কয়েক বালতি কাপড় ধুয়ে, পুরো ঘর ঝকঝকে তকতকে করে দুপুরের ক্লাস শেষে পাঁচটার দিকে যখন রুমে ফিরছি তখন শরীরে আর একবিন্দু শক্তি নেই। কাজের তোড়ে সারাদিন খাওয়াও হয়নি । ফিরতে ফিরতে ভাবছি, একটু খেয়েই ঝাঁপিয়ে ঘুমোতে চলে যাব। কিন্তু ঘরে ঢুকেই চক্ষু স্থির। সাধের ইলিশ মাছের ঝোলে পুরো মেঝে মাখামাখি। এটুকু হলেও আপত্তি ছিলনা। সেই ঝোলে পা মাড়িয়ে মাছচোরটি সদ্য ধোয়া বিছানার চাদর-বালিশ-পড়ার টেবিল-বইখাতা-আলনার কাপড় সহ সর্বত্র সিগনেচার ফেলেছেন। পুরো ঘর ইলিশ মাছের আঁশটে গন্ধে ভরপুর। এত করেও মন ওঠেনি, বিছানার ওপর ইস্ত্রি করে ভাঁজ করে রাখা এক গাদা কাপড় হিসু করে ভিজিয়ে দিয়ে আমার সাধের বালিশের ওপর বসে বসে মাছের মুড়োটি তখনও বেশ আয়েশ করে চিবোচ্ছেন। এরকম অসময়ে বেরসিকের মত আমাকে ঘরে ঢুকতে দেখে চোরবিড়ালকুলের গর্বিত সদস্যটি নিতান্ত বিরক্তি, অনিচ্ছা এবং অবহেলায় ধীরে সুস্থে উঠে হেলে দুলে আমার পাশ দিয়েই হেঁটে বেরিয়ে গেলেন। আর আমি রাগে দুঃখে হাতের চাবিটা ওর দিকে ছুঁড়ে অবধারিত ভাবে লাগাতে না পেরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ফ্যাচফ্যাচ করে চোখ মুছতে লাগলাম ।
অত্যাচার এখানেই শেষ হলেও কথা ছিল। তা হয়নি। বারান্দার চওড়া কার্নিশ বেয়ে জানালার ভাঙ্গা কাঁচের সুযোগে ঘরের ভেতর তাদের অবাধ যাতায়াত চলতেই থাকল। কাজেই কদিন পরপরই এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে লাগলো । শেষটায় আটকাতে না পেরে কাঁচ মেরামত না করা অব্দি কলা পাউরুটি চিবনো অভ্যাস করতে হল । এর পরও কেউ আমাকে বিড়াল ভালবাসতে বললে খুনোখুনি হয়ে যাওয়া বিচিত্র নয় ।
শুনেছিলাম পশুপাখিরা মানুষের মনের কথা বুঝতে পারে । এ বিষয়ে আমার একটু সন্দেহ আছে। কারন মার্জার শ্রেণীর প্রতি আমার বিদ্বেষ এমন কিছু লুকোনো ব্যাপার নয়, তা সত্ত্বেও তারা সেটা বোঝে না কেন আমি বুঝিনা । যতই এদের এড়াতে চাইনা কেন, কিছুতে পিছু ছাড়ে না। আমাদের পাশের বাড়ির মালকিনের বেড়ালপ্রীতি রয়েছে । সেটা সমস্যা নয়, সমস্যা হল, তিনি তাঁর প্রীতির পাত্র এবং পাত্রীগুলিকে নিজের ফ্ল্যাটে ঢুকতে দেন না । গ্যারেজে রাখেন। কিন্তু এরা নিশ্চয় কাঠের বাক্স নয় যে যেখানে রাখবে সেখানেই থাকবে । সোজা আমাদের বাসায় হুটোপাটি করতে চলে আসে । আমাদের ইনডোর প্ল্যান্টের বাগানটি আবার আঁতুড় ঘর হিসেবে তাদের বিশেষ পছন্দের। একগাদা ছানাপোনা নিয়ে গর্বিত মা-টি কদিন হল সেখানে রীতিমত সংসার পেতে বসেছে। মাঝে মধ্যে ওখানে গেলেই দেখি আর সব জায়গা ফেলে সবাই মিলে আমার বসার জায়গাটাই দখল করে বসে আছে । দাঁত কিড়মিড় করে তাড়িয়ে দিয়ে নিজের আসন উদ্ধার করে একটু গুছিয়ে বসতে না বসতেই পায়ের কাছে সব সদলবলে হাজির হয়ে যায়। ভয়ানক রাগ লাগে কিন্তু গোল গোল রোমশ মুখগুলো দেখে বেশি কিছু বলাও যায়না । বকা দিলে উল্টে কেমন দুখী দুখী মুখ করে মোলায়েম গলায় বলে ওঠে, 'ম্যাঁও' ।
মন্তব্য
ঢাকার ফ্ল্যাটবাড়িতে বেড়াল পুষতে পারবো না। কিন্তু পাড়ার সব বেড়াল বড্ড জ্বালাচ্ছে। কিন্তু আমার এবং মা'র দু'জনেরই আবার ওই বস্তুটির প্রতি খুব প্রীতি আছে কিনা, তাই তাড়াতে পারছি না । এরা একবার যদি টের পায় কোন বাসায় ঢুকলে পিঠে লাঠি পড়বে না, তাহলে রীতিমত আত্মীয়বন্ধুপরিজন সহ বেড়াতে আসবে।
অবশ্য বেড়াল বস্তুটা আমার খুব পছন্দের আর মানুষ অপছন্দ করলেও বেড়াল আমাকে বেশ পছন্দই করে। এখানে পাশের বাড়িতে গোটাকয় আছে। প্রতিদিন সকালে যাওয়ার সময় সুপ্রভাত জানিয়ে যাই, উত্তরও পাই।
এত দারুণ একটা প্রাণীকে অপছন্দ করি কী করে?
যাই বলেন আর তাই বলেন, চুর বিলাই মুর্দাবাদ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ইস্ট অর ওয়েস্ট,
বিলাই আর দ্য বেষ্ট!
মার্জারকুলের পক্ষে বলি,
ভালবাসা পায়ে ঠেলতে নেই!
কে জানে, বোধ হয় আমারি বোঝার ভুল। রোজ সকালে দরজার সামনের পাপোষে প্রাকৃতিক কর্মটিও বোধ হয় ভারী ভালবেসেই করে। ভাইরে, ওদের ভালবাসার অত্যাচারে যে অতিষ্ঠ হয়ে গেলাম।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
লেখা অতি অতি ভাল লাগল।
আমি বেড়ালপ্রেমী মানুষ, খালি শেষ প্যারাটা পড়লাম।
আপনার দুর্ভোগ নিয়ে নিশ্চুপ রইলাম। অমন একটু আধটু হয়-ই!
আর মার্জার পরিবারের ঐ সদস্য যদি ঐ কীর্তি না করত তাহলে কি আর আজকে আপনার এই লেখা পাই আমরা!?
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
অনেক অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু... খুনোখুনির লেখা লিখতে হলেও কি আমাকে ঐ প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হবে ?!
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমারও বিড়াল পছন্দ না । আগে হলে কোনো কাজে গেলে বা কারো সাথে দেখা করতে গেলে বারান্দা , সিড়ীতে এত্ত বিড়াল আর ছানারা থাকতো যে বিরক্ত লাগতো । আর আপনার হলের কাহিনী শুনে তো মনে হচ্ছে খুব কষ্ট গেছে । তবে এখন মনে হয় পছন্দই করেন তাদের ।
লেখাটা চমৎকার ।
nawarid nur saba
আরেহ্, বিড়াল কুলের সাধ্য কি আমার হল জীবনকে কষ্টকর করে। ঐ সময়টা আমার জীবনের দারুন সময়গুলোর একটা। দারুন দারুন সব স্মৃতি আছে ওখানে আমার...।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
দূর থেকেই পছন্দ করা ভালো। ধেড়ে বয়েসে মাম্পস হলে কি যে কষ্ট ! আমাদের বাসায় একবার তিন ধেড়ের একসাথে মাম্পস হল, ও আল্লা, যা ভয় পেয়েছি। তার পর থেকে বিড়াল থেকে আমি শত হস্তেন দূরে থাকাই পছন্দ করি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বিড়াল, কুকুর এই রোম ওয়ালা প্রাণীগুলো দূর থেকে পছন্দ করি।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আশালতাপু,
আর বলবেন না,ঘরে এম্নিতে ইঁদুরের জ্বালায় থাকতে পারিনা,তখন মহাশয়দের হাতে পায়ে ধরেও ঘরে রাখতে পারিনা,অথচ বাচ্চা দেয়ার সময় এলেই উনারা বাসাকে রীতিমত গাইনী ওয়ার্ড বানিয়ে ফেলেন--------
একবার তো রাত ৩টার সময় আমার ভাইয়ের বিছানাকেই লেবার রুম বানিয়েছিল-------- হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে তার পাশে এই নবজাতকদের দেখে তার যে দশা হয়েছিল
নির্ঝরা শ্রাবণ
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ছাইপাঁশ লেখায় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ তারাপ কোয়াস। আমারও আপনার মতই অবস্থা।
আপনি বারমুডায় থাকেন জেনে ভীষণ অবাক হয়েছিলাম। সেই বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এর কথা পড়ে মনে হত ওখানে জনপ্রাণী কেউ বাঁচেনা, সবাই খালি খালি ভ্যানিশ হয়ে যায়।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ছোটবেলায় বিড়াল খুবই পছন্দের প্রাণী ছিল, প্রায়ই কোলে নিয়ে ঘুরতাম, ঘুমাতে যেতাম। সময়ের সাথে সেই প্রীতি উবে গেছে।
love the life you live. live the life you love.
ওরে সর্বনাশ! আমার মিছামিছি মার্কা লেখায় দুর্ধর্ষ ফটুরের প্রথম মন্তব্য !
পশুপাখির একটা ভালো দিক হল এরা মানুষের মত ছল করতে পারেনা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভালবাসাটা তারা বোঝে এবং ফিরিয়েও দেয়। আপনাদের সুখ দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাক এবং চিরস্থায়ী হোক এই কামনা করি।
অ টঃ আপনার তোলা যাবতীয় ছবি দেখে আমি তেলো হাঁড়ির মত মুখ কালো করি । নিজে পারিনা যে, এই জন্যে হিংসা হিংসা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমার বাসার বর্তমান মার্জার-শুমারীঃ সাড়ে ৩ বছর বয়েসি একজন, ৮ মাস বয়েসি একজন ও দেড় মাস বয়েসি তিন জন, একুনে ৫ জন। আমরা মানুষ ২ জন। পুরাই সুখের পরিবার।
এদেরকে ভালোবাসতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। ছোটোবেলা থেকে লালন-পালনের উদ্যোগ নিলে এরা খুব ভালো বন্ধুতে পরিনত হয়, এটা আমার কাছে একেবারে প্রমানিত সত্য। কিন্তু রাস্তার গুন্ডা গুলোর খবর তো আবার অন্য জিনিশ!!!
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
আপনার বাসায় একবার বেড়াতে যেতেই হচ্ছে...
বিড়ালরে মায়াবড়ি খাওয়ানোর আইডিয়া শুনে পুরাই হাহাপগে অবস্থা...
বিড়াল আমিও দেখতে পারি না
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ইসলাম, আইডিয়া কিন্তু মারাত্মক ফ্লপ করেছিল। জোর করে খাওয়াতে গেলে আঁচরে কামড়ে শেষ করে, আর টোপের ভেতর দিলে খাবারটা খেয়ে 'বিচিটা' ফেলে দিত ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমিও একমত, মার্জারকুল কে ভালু পাই না।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ নিবিড় ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
মায়াবড়ির কাহিনি শুনে দাঁত বের হয়ে গেল
আর মার্জার কাহিনীর সারাংশের সাথে একমত, মার্জারকুল কে ভালু পাই না।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
টুকুন বিড়ালের ম্যাঁও সত্যিই খুব কিউট লাগে! লেখাটাও হয়েছে সেরকম তবে আমি এদের কাছ থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করি
একদম ঠিক কথা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ইশ! অ্যাতো অ্যাতো সমবেদনা রইল!
বিলাই অতি অকৃতজ্ঞ প্রাণী। তারা ভালই বোঝে আপনি তাদের পছন্দ করেন না, কিন্তু যতক্ষণ খাবারটুকু আদায় করা যাচ্ছে ততক্ষণ আপনি কী ভাবলেন তাতে তাদের বয়েই গেল।
অতি অকৃতজ্ঞ। খাবারে টান পড়লেই ওরা পিঠটান দেয়। অথচ কুকুররা প্রাণ থাকতে মনিবকে ছেড়ে যায়না। তবু আমরা কুকুর বলে গালি দেই, বিড়াল বলে দেইনা কেন ?!
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
সেটাই প্রমাণ করে যে আসলে আমরাই অকৃতজ্ঞ - এই যেমন ধরুন বাঘ বস্তুটা আমাদের কোন উপকার করেনা কিন্তু গাধা করে - অথচ গালাগাল দেই গাধার বাচ্চা আর প্রশংসার সময় বাঘের বাচ্চা...
ভিন্ন প্রসঙ্গঃ আচ্ছা, আপনি কী প্রথম আলোর নারীমঞ্চে লিখতেন কোন কালে??
ধুর!!!! মন্তব্যগুলি ক্যান যে এমন ফাল মারে!! এটা 'স্বতন্ত্র' মন্তব্য ছিল, আশাদির প্রতি।
নারীমঞ্চ ! নাহ্ কোন কালেই না।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ওহ্।
আমার সাথে কারো প্রথমবার আলাপ হলেই শুনতে হয়, 'আপনার চেহারাটা খুব চেনা চেনা লাগছে, আমার চেনা অমুকের সাথে খুব মিল', আমিও বলি, আমার চেহারাটাই খুব সাধারন তো, এই জন্যে কারো না কারো সাথে মিলেই যায়। সেদিন শুনলাম আমার লেখাও নাকি তুলিরেখার লেখার মত লাগে পড়তে গেলে। আজ আপনারও চেনা চেনা লাগছে... কি যে করি! এ জীবনে মৌলিক বোধ হয় আর হতে পেলাম না
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপনার নিকের একাংশ নিয়ে আমার এক সিনিয়র মাঝেমধ্যে লিখে নারীমঞ্চে। আপনি সেই তিনিই কি না-- এটাই জানতে চাইছিলাম।
লেখনীতে তো সাদৃশ্য থাকতেই পারে, তাই বলে আপনার মৌলিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে যাবে কোন দুঃখে! আমার কাছে তো আপনাদের একেকজনের নিকটাকেই একেকটা ব্র্যান্ড মনে হয়। 'তুলিরেখা' একটা ব্র্যান্ড, 'আশালতা' একটা ব্র্যান্ড, 'ইস্কান্দর বরকন্দাজ' একটা ব্র্যান্ড, 'হিমু' একটা ব্র্যান্ড, 'অপছন্দনীয়' একটা ব্র্যান্ড...... তবে শেষোক্ত ব্র্যান্ডটা একটু কেমন জানি...... খালি খাওয়া-দাওয়ার গন্ধ আসে......
আপনার চমকপ্রদ বিড়াল কাহিনী পড়ে আমার বিড়ালনীর কাহিনী মনে পড়ে গেল। এই বিড়াল বিরক্তিতে আমাকে অমানবিক আচরণ করতে হয়েছিল একদিন।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
পড়ে খুব কষ্ট লাগলো...
লিঙ্ক এ যেতে পারছিনা। এটা কি ব্লগস্পট এ ? এখানকার লিঙ্কগুলো আমি কেন যেন পড়তে পারিনা। এর আগে ধুসর গোধূলি একটা লিঙ্ক দিয়েছিলেন, সেটাও পারিনি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আশালতাপু কি কিউবি/ওয়াইম্যাক্স ব্যবহার করেন? ওয়াইম্যাক্সে এই সমস্যা হয়, ব্লগস্পটে ঢোকা যায় না!! আমারো একি সমস্যা হয়!!
হু কিউবি, পাজিগুলো বলে কিনা স্পিড ডাবল করেছে, অথচ এখন আগের অর্ধেকও পাওয়া যায়না। কিন্তু ব্লগস্পটে যাবার রাস্তা নেই কি ? এ কেমন কথা হল ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আশালতা ও কবি-মৃত্যুময় কি এখনও কিউবি ব্যবহার করে ব্লগস্পটে ঢুকতে পারছেন না? আর কোনো সমাধান আছে কিনা জানিনা তবে এটার প্রথম জবাবটা দেখতে পারেন। কাজ হতে পারে।
থাঙ্ক ইউ বইখাতা। চেষ্টা করে দেখব।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অনেক ধন্যবাদ বইখাতা ভাই। কাজ হয়েছে, ডি এন এস এড্রেসটা অটো থেকে বদলে সেট করে দিতে হয়। আমাদের অতিথি লেখকদের তো আর রিপ্লাইয়ের নটিফিকেশন আসে না, তাই এতদিন লক্ষ্য করি না। আরেকবার ধন্যবাদ।
আশালতা, আমি আপনার দলে! বিড়াল-কুকুর যতক্ষণ পর্যন্ত বনে-বাদারে, রাস্তা-ঘাটে আছে - ঠিক আছে। ঘরে আসলেই আর ঠিক নাই। যে বাসায় বিড়াল আছে সে বাসার মানুষ আমার যতো প্রিয় হোক, আমি সে বাসায় যেতে রাজী নই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বাহ্, ধন্যবাদ ষষ্ঠ পাণ্ডব। আমি তো ভাবলাম বেড়াল প্রেমীরা আমার উপর মহা খাপ্পা হবে। দেখছি দলে আমরাই ভারী।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
সত্যি নির্বাক হয়ে গেলাম!! আচ্ছা এরকম ঝামেলায় তো আমি/আমরা পড়লাম না, এলাকায় বিড়াল নাই নাকি? তবে বাঁচা গেছে, ভাগ্যিস এদের দর্শন পাই না!!!
নাহ অন্ত:ত আপনাকে কেউই বলতে পারবে না!
শেষমেষ দেখছি ছল করে আপনার মনটাও গলিয়ে দিতে পারল!
ওরে বাবা, এই পলকা লেখার এত সিরিকাস আলোচনা সহকারে মন্তব্য !
এটা দেখে আমার বাবার কথা মনে পড়ল। উনাকে চিঠি লিখলে কদিন পরেই সেগুলো লাইন বাই লাইন লাল কালি দিয়ে কারেকশন করে প্রচুর ফুটনোট এবং মন্তব্য সহকারে রেজিস্ট্রি করে ফেরত পাঠাতেন। এই ভয়ে আমি চিঠি লেখাই ছেড়ে দিয়েছিলাম।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
একেবারে বদঅভ্যাসটা জায়গা মত ধরেছেন!! কথা ধ্রুব সত্য!! এ রপ্ত করেছি সেই স্কুল থেকে, এখনও চলছে, পাঠ্যবই পড়তাম আর দাগাতাম, কতরঙের কলম ছিল, এখনও চলছে, তবে বেশিরভাগই পিডিএফে দেখে আজকাল ওখানেই দাগাই, রঙের সংখ্যা আরো বেড়েছে!!! দাগিয়েই চলেছি............সুতরাং স্বভাব যায় না ম'লে, এখানেও কোন পোস্ট পড়তে গেলেই দাগাদাগি/কোটিং শুরু করি!
আপনার বাবা আকর্ষণীয় চরিত্রের অধিকারী ছিলেন!! নিশ্চয়ই আপনার সুখস্মৃতির অভাব নেই?!
রাফিনের যখন দুই-আড়াই বছর, দুবাই থেকে দামী চকলেট এনে দিয়েছি। হঠাৎ রাফিনকে দেখি না। অবশেষে পাওয়া গেলো ডাইনিং টেবিলের নিচে। সাথে গোটা আষ্টেক বড়-মাঝারি-পিচ্চি, বিভিন্ন সাইজের বিড়াল। সবগুলোই আমাদের পাশের বাড়ির কাজিন মুনের পোষা। সবগুলো বিড়ালের সামনে মোড়ক খোলা একটা করে চকলেট। বিড়ালগুলোও মনে হলে ঠিক বুঝতে পারছে না যে তাদের এখন কি করা উচিত। আমার স্ত্রী রাফিনকে বের করে নিয়ে আসলে সে কাঁদো কাঁদো কন্ঠে অভিযোগ জানালো যে বিড়ালগুলো খুব দুষ্টু হয়ে গেছে, চকলেট শুকেছে কিন্তু খায়নি।
আমার পাড়ার কয়েকজন সমবয়সী একবার বেশরম হওয়ার বাসনা নিয়ে বিড়ালের গোশত রান্না করে খেয়েছিলো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
রাতঃস্মরণীয়, এখন আমাকে কেউ সচলের ভালো দিকের কথা জিজ্ঞেস করলে বোধ হয় এখানকার লেখার গুনগত মানের চাইতে আপনাদের মায়ার কথাটাই বড় করে বলব। আমার এই লেখাটার মান আমার চোখে ভীষণ পলকা, তবু এই পোস্টটাতেও আপনারা সময় দিচ্ছেন, সময় নিয়ে মন্তব্য করছেন, আমি সত্যি অভিভূত হয়ে যাই।
কিভাবে কিভাবে সচল যেন অদেখা এক মায়ায় জড়িয়ে ফেলছে আর তার অদৃশ্য রেশমি সুতো হয়ে কাজ করছেন আপনারা সবাই।
আমার লেখার চাইতেও আপনার মন্তব্যই বেশি ভালো হয়েছে। আপনাকে
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
দুবাই থেকে চকলেট? আমারো চাই!
বেশ তো, দেয়া হবেখন। ডাইনিং টেবিলের নিচে গোটা আষ্টেক বড়-মাঝারি-পিচ্চি, বিভিন্ন সাইজের বিড়ালের সাথে বসে অপেক্ষা করতে হবে, আর পেট ব্যাথা হলে কিন্তু কান্নাকাটি করা চলবে না।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
নামকরনটাই দারুন আর পুরোটা মুখভর্তিহাসি নিয়েই পড়তে হলো। সচলাতয়তনের কমেন্টগুলো দেখতেও ভালো লাগে, পরিশীলিত এবং এবং আড্ডাটা আমার ক্রমশ ভালো লাগছে। সর্বশেষ রাতঃ§রনীয়কে বলিিছ - আপনার সন্তানের মনখারাপের কারনটা খুবই ভালো লেগেছে, বেটা আপনার মাশাল্লাহ ছেলেবেলা থেকেই জীবে দয়ালু, ও অনেক বড় হোক।
আমাদের এক বন্ধু আছে, বিড়াল বলতে পারেন, বলে ‘বেড়াল’, প্রসঙ্গত ওরা আদ্যিকালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে এসেছিলো বলে যারপরনাই খোচানোর উপর থাকতো, তায় আবার ‘বেড়াল‘ - আমরা ওকে অনেক খেপিয়েছি। খেপালেই ও বলতো, ‘আরে বেটা তোরা জানসনা, বেড়ালকে বেড়ালই বলতে হয় আর রাখতে হয় মাইরের উপরে’।
তবে, বেড়াল মাতার তার সন্তানের প্রতি প্রেম দেখেছে এবং তার মাত্রা দেখে থমকে যায়নি এমন মানুষ কম আছে আর তার কান্না!!
যাই বলুন আশালতা, আপনার ‘বেড়াল‘ বিদ্বেষ শেষ পর্যন্ত আমাদের একটা চমৎকার লিখা উপহার দিলো; প্রমান হয়ে গেলো, বেড়াল বেড়ালই । শুভেচ্ছা, তানিম এহসান
ধন্যবাদ তানিম এহসান। কিন্তু... বেড়াল যে বেড়ালই সেটা কিভাবে প্রমানিত হল সেটা বুঝি নাই...
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বিড়াল নিয়ে আপনার খারাপ অভিজ্ঞতার সংখ্যা দেখি অনেক বেশি। আমার আবার বিপরীত অবস্থা। যাইহোক, লেখা ভাল লেগেছে।
লেখা ভালো লাগায় বিব্রত কৃতজ্ঞতা। আপনার 'যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ' লেখাটা আজ সকালে পড়ছিলাম, এত মারাত্মক ভালো লেখেন আপনি... কিন্তু কিছুতেই কমেন্ট করতে পেলাম না, যতবার করতে যাই কম্পু মাথা ঘুরে ভিরমি খায়। শেষটায় ইস্তফা দিলাম।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এই জন্যেই এই পাজিগুলাকে বকা দেয়া যায়না
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপু , বিলাই অভিজ্ঞতা আমারো প্রচুর , তবুও কেন যেন এদের উপর এখনো চূড়ান্ত বিরক্ত হতে পারিনি । যাই হোক, আপনার অভিজ্ঞতা পরে বত্রিশ (???) দন্ত লুকিয়ে রাখতে পারলাম না ...।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমার-ও বেড়াল দূর থেকে ভালো লাগে। পোষা প্রাণী বিষয়ক আমার কোনো আহলাদ নেই, কেনো জানি।:)
আপনার লেখা এক ধরণের গল্প-বলার-আমেজ আছে।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
ধন্যবাদ আশরাফ মাহমুদ। আপনার অল্প কিছু লেখা পড়েছি। ঈর্ষনীয় সুন্দর।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বিলাইকে কিলাই। লাই দেই না।
চাচা কাহিনি, তোতা কাহিনি, ছুঁচো কাহিনি সবই পড়ছি। বাকি ছিলো কেবল বিলাই কাহিনি। এইটাও মাশাল্লা আপনের উছিলায় পইড়ালাইলাম।
আমার কুত্তা-বিলাই দুইটাই মারাত্মক অপছন্দের জিনিস। কুত্তা দেখলে জানে পানি থাকে না। তবে কুত্তা ওয়ালী এক সুন্দরীরে দেইখা ব্যাডাগিরি দেখাইতে গিয়া কিঞ্চিৎ বিপদে পড়ছিলাম আরকি! সেইটা অবশ্য অন্য কাহিনি, এইখানে বয়ান করা যাবে না!
আমি বিলাই অপছন্দ করলে কী হবে, আমাদের বাড়িতে সদা সর্বদাই বিলাই জাগ্রত হয়ে থেকে গেছে। আমার বাকি দুই ভাইয়ের বিলাই প্রীতির কারণে। বড়জন তো ছোটবেলায় এই বিলাই নিয়ে বিশাল এক কাহিনি করছিলো! আর ছোটজনের কথাই বা কী কমু! পুরা সেনাবাহিনী খুইলা বসছিলো বাড়িতে। তার পোষা বিলাইয়ের নাম থেকেই তার আন্দাজ মিলে। একটার নাম 'ক্যাপ্টেন' আরেকটার নাম 'সোলজার'। অবস্থা এমন ছিলো যে পারলে তার নিজের প্লেটে, তারই সাথে এই ক্যাপ্টেন আর সোলজাররে ভাত খাওয়ায়। এগুলারে আবার সকালে রীতিমতো ফিজিক্যাল ট্রেইনিংও করানো হতো।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দাঁড়ান দাঁড়ান, এই কাহিনি কাহিনি না আরও কাহিনি আছে। এর পর ধরেন সারমেয় কাহিনি, পোষা পাখি কাহিনি, ছাগল-গরু-উট-মাছ চাইকি মৌমাছি পর্যন্ত ম্যালা কাহিনি আছে আমার কাছে।
ইয়ে... ঐ ব্যাডাগিরির বিপদ গল্পটা শুনতে পেলে ভালো হত... কেমন যেন রহস্য রোমাঞ্চ কাহিনি মনে হচ্ছে
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বেড়াল বেড়ালই প্রমান হয়ে গেলো কারন বেড়াল পছন্দ অপছন্দের ধার ধারেনা, এমনিকি সচলায়তনেও তাকে নিয়ে বেশ গল্পসল্প জমে গেছে, তার পক্ষে বলার মানুষের সংখ্যা ব্যপক। বেড়াল বেড়ালই! মার্জারের মুশকিলে পড়া সবার জন্য সমব্যথা রইলো আর বেড়াল প্রেমিকদের জন্যে রইলো প্রশ্ন -
‘কেমনে প্রেম এতো অন্ধ হয়’!!’
..... তানিম এহসান
চমৎকার মার্জার সমাচার।
কিন্তু বলেন কি, বোদলেয়ার কিন্তু বেড়ালকে খুব পসন্দ করতেন। এই নিন বেড়াল বিষয়ক দুটো,
সারাদিন একটা বেড়ালের সঙ্গে ঘুরে ফিরে কেবলই আমার দেখা হয়:
গাছের ছায়ায়, রোদের ভিতরে, বাদামি পাতার ভিড়ে;
কোথাও কয়েক টুকরো মাছের কাঁটার সফলতার পর
তারপর সাদা মাটির কঙ্কালের ভিতর
নিজের হৃদয়কে নিয়ে মৌমাছির মতো নিমগ্ন হয়ে আছে দেখি;
কিন্তু তবুও তারপর কৃষ্ণচূড়ার গায়ে নখ আঁচড়াচ্ছে,
সারাদিন সূর্যের পিছনে পিছনে চলেছে সে।
একবার তাকে দেখা যায়,
একবার হারিয়ে যায় কোথায়।
হেমন্তের সন্ধ্যায় জাফরান রং এর সূর্যের নরম শরীরে
শাদা থাবা বুলিয়ে বুলিয়ে খেলা করতে দেখলাম তাকে;
তারপর অন্ধকারকে ছোট ছোট বলের মতো থাবা দিয়ে লুফে আনল সে
সমন্ত পৃথিবীর ভিতর ছড়িয়ে দিল।
(জীবনানন্দ দাশ, 'বেড়াল')
উঠে আয় বিড়াল সোনা কাতরতর বুকে
সংযত হোক তোর তীব্র নখ আর থাবা
দেখতে দে তোর গহীনতর চোখে
আকিক এবং ধাতুয় মনোলোভা
যখন খেলে আমার আঙ্গুল অবসরে
তোর পিঠে আর ঘাড়ের নমনীয়তায়
পুলকে এই হাত বুঝি যায় পুড়ে
তোর দেহের ভাজে বিদ্যুত্ চমকায়
মোহনপশু, তোর দৃষ্টি অকপট
যেমতি প্রিয়ার স্নিগ্ধ অতল চোখ
কাটে আর ছেড়ে যেন ছুড়ে দেয় র্ডাট
সুক্ষ বায়ু বয় তোর আনখমস্তক
বিপদসংকুল আর গন্ধভারাতুর
বিড়াল তোর ব্রাউন মদির শরীর
(শার্ল বোদলেয়ার, 'বিড়াল')
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
কী সৌভাগ্য আমার! দুটো দুটো কবিতা পেয়ে গেলাম! কিন্তু ঐ জানেন তো, 'খোলা শত্তুর ভালো, যাদের নখ ঢাকা থাকে আর আলো লাগলে চোখ ছোট হয়, তাদের ভালবাসতে নেই'!
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমি ও বিড়াল পুশি। অনেক জ্বালাতন ও পোহাতে হয়। কিন্তু তারপর ও কেন যেন রাগ করতে পারি না। আদুরে মুখটার দিকে তাকালে সব রাগ পানি হয়ে যায়।
হুম, মায়াভরা মার্জার
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আশালতা দিদি মিস করছি কিন্তু......কোথায় গেলেন? জলদি আসেন তো
আয়নামতি, এত মায়া করে বলতে নেই রে বোকা মেয়েটা, আমি একটুতেই ফ্যাচফেচিয়ে কেঁদে ফেলি যে ! আজকাল ডুব দিয়েছি জলে, কবে ফিরব নিজেও জানিনা ছাই, আদৌ ফিরব কিনা তাও বুঝছিনা। জীবনের হিসেবে বড্ড গরমিল যাচ্ছে তো, তাই ক্যাশিয়ারের কাছে ধরা খাচ্ছি। হিসেব করাটা যে আর কবে শিখব...
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
না আপু, ফিরে আসুন আবার কলকাকলিতে..........আপনাকে আমরা বড্ড খুঁজি.................হারাবেন না কখনও.................
ঠাম্মি,
মনটা সত্যিই ভরে গেলো দিদি তোমাকে দেখে! আমার চাওয়ার জোর এতটা জানা ছিলো না সো হ্যাপি টু সী ইউ আশালতা! জীবনের হিসেব কিছু সময় গড়মিল হতেই পারে তাই বলে জীবনের অন্য আনন্দকে ফিরিয়ে দিতে হয় বলো? আমার চেয়ে তুমি সবকিছুতেই অনেককক বেশি এগিয়ে, তোমাকে শেখাবো কী নতুন করে বলো! এদিকে তুলিদির পোষ্টে মন্তব্য করায় লাড্ডু খাচ্ছি আমি...তুমি এসো তো ভাই মজা দেখিয়ে দাও সব্বাই কে.......অনেকককক শুভকামনা তোমার জন্য
কল্যাণের কল্যাণ হোক।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
নতুন মন্তব্য করুন