পর্বতপ্রমাণ হোমটাস্ক না করার বাহানা করলেই এক একদিন বৃদ্ধ পণ্ডিতমশায় কাঁপা তর্জনী তুলে বলতেন, বুঝলি, শরীরের নাম মহাশয়, যাহা সওয়াবি তাহাই সয়। আমরা সন্ধি-সমাসের গোলক ধাঁধায় ব্যস্ত হয়ে মাথা ঝাঁকিয়ে ওসব কথা বাতাসে উড়িয়ে দিতাম। এখন বুঝি অভ্যাসের ব্যাপারে তিনি কি নিদারুন সত্যি কথা বলতেন । তাইতেই ছোট্ট মিতিন নানুর বাড়ি গিয়ে প্রথমবার একখানা হারিকেন দেখে জুলজুলে চোখে ভারী মন দিয়ে দেখল নানু কি করে ঐ অদ্ভুত যন্ত্রটা 'ক্লিন' করে 'অয়েল' ঢেলে ভেতরের সলতেটায় আলো জ্বালিয়ে দেয়। আজকালকার জেনারেটর আর আই পি এসের কল্যাণে এই শহুরে শিশুর চোখ অন্ধকারে অনভ্যস্ত বলেই বোধ হয় হ্যারিকেন নামক যন্ত্রটির চমৎকারিত্বে মুগ্ধ হয়ে গেল। তারপর থেকেই অপেক্ষা করত রাতে কখন লোডশেডিং হবে আর ঐ দারুন জিনিষটার পাশে গুটিসুটি হয়ে বসে সেটা দেখতে পাওয়া যাবে। অথচ যেবার খুব জোছনা হল, সবাই সামনের রাস্তাটায় হাঁটতে বেরলাম, সেবার কিন্তু চাঁদের পাগল পাগল আলো দেখে কেঁদে ফেলে বলেছিল, 'আমার ভয় করে!'
নিজের বয়েসিচোখদুটো সেই কুপিবাতি, হ্যারিকেন, একশো ওয়াটের হলদে আলো আর চার ফুটি লম্বা টিউব লাইট পেরিয়ে এখন এনার্জি সেভিং লাইটে এসে ঠেকেছে। আগের ওইসব হলদেটে আলো এখন মোটে চোখে সয়না। অথচ খুব ছেলেবেলায় নানাবাড়ি গেলে ঐ কুপি নইলে একখানা আধাভাঙ্গা হ্যারিকেনই ছিল ভরসা। সন্ধ্যের পরে বিরাট নিকোনো উঠোনটার এক ধারের মাটির চুলোয় খোলা আকাশের নিচে নানু রাতের রান্না বসাত। আমরা তিন চারটে ভীরু প্রাণ সারাদিনের মারামারি ভুলে জড়ামড়ি করে চুলার পাশে গোল হয়ে বসে রান্না দেখতাম। মাঝে মাঝে জ্বলন্ত কয়লায় পোড়ানো মিঠে আলু নইলে টাটকা ভাজা তেলপিঠেতে কামড় দিতে গিয়ে চারপাশের থোক থোক জমাট অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে অজান্তেই শিউরে উঠতাম।
এই নানু বাড়িতেই একবার গরমের রাতে খুব জোছনা হল। তখনও সেখানে বিদ্যুত পৌঁছয়নি। যদ্দুর চোখ যায় নিশুত চরাচর । বড়রা সবাই বাহির দাওয়ায় এসে পাটি পেতে বসে গল্প জুড়লেন। এলোমেলো দমকা হাওয়ায় আশেপাশের গাছপালা ঝোপঝাড়ের ছায়াগুলো একেকবার নড়ে যাচ্ছে আর সেই রুপোলী আলোয় সব মিলেমিশে উঠোনের মাটিতে অদ্ভুত সব নক্সা ফেলছে। উঠোনের শেষভাগে চারপাশে ঝোপঝাড়ে ভরা একটা ছোট পুকুর। লক্ষ জোনাকি তার ঝোপের ভেতর ঝিল মিল করছে। সেই অপূর্ব রাতে জোছনার আলোয় ভেসে আমরা উঠোনে নেমে কানামাছি খেলা শুরু করলাম। খিল খিল হাসিতে জগত ভরল। একবার চোর হলাম আমি। চোখ বেঁধে ঘুরতে ঘুরতে টের পেলাম ওদের হাসির শব্দ যেন দূরে চলে গেছে। চোখ খুলে দেখি আলোছায়ার ফাঁকে কখন পুকুরপাড়ে জঙ্গলের ভেতর চলে এসেছি। চারপাশে গাঢ় অন্ধকার, তাতে ঝিকমিক করছে নীল জোনাকি, গাছপালার ফাঁকফোকর দিয়ে দেখা যাচ্ছে খোলা ধান ক্ষেতের ওপর বয়ে যাওয়া উথাল পাথাল জোছনা। চারপাশের তীব্র জোছনায় ঐ জোনাক ঘেরা গাঢ় অন্ধকারে দাঁড়িয়ে সহসাই অপূর্ব এক ভয়ে স্নায়ু স্তব্ধ হল । শিরায় শিরায় বয়ে বেড়ান বহু যুগের পুরনো অজানা অন্ধকারের ভয় তার স্বরূপ নিয়ে দাঁড়িয়ে গেল যেন চোখের সামনে। অস্তিত্ব নড়িয়ে দেয়া ওরকম তীব্র ভয় আর কখনও পাওয়া হয়নি তেমন।
ভার্সিটির হলে থাকার সময় একবার রাত তিনটের দিকে বারান্দায় গিয়ে দেখি বিশাল এক রূপোর থালার মত চাঁদ ভেসে আছে আকাশে, তার চারপাশে এঞ্জেলদের মাথার ওপরে ভেসে থাকা সাদা বৃত্তের মত বিশাল এক আলোর বৃত্ত। এদিকে হু হু খোলা হাওয়া নিয়ে বাঁধ ভাঙা জোছনায় দুনিয়া ভেসে যাচ্ছে। দেখে কেমন মাথা খারাপের মত হয়ে গেল। হুড়মুড় করে দিলাম ছাদের দিকে দৌড়। সাথে আরও পাঁচ ছজন সাথী হল। সরু মই বেয়ে সবাই হাঁচড়ে পাঁচড়ে উঠে গেলাম ছাদে। উঠেই সবার সিস্টেম আউলে গেল। ঐ নিশুত রাতে অত ওপর থেকে ধবধবে জোছনার চাদরে ঢাকা নিস্তব্ধ পৃথিবীটা কেমন যেন অপার্থিব মনে হতে লাগলো । বিরাট খোলা ছাদে জোছনার আলো মেখে এক একজন যেন অচেনা অন্যরকম হয়ে গেল। একজন ছুটে গেল কিছুদূর, তারপর হাঁটু মুড়ে বসে পড়ল। আরেকজন বিড়বিড় করে বলতে লাগল, 'ঝাঁপ দিই ?! ঝাঁপ দিই ?! মরে যাই ?!' আর একজন দেখি লাফিয়ে লাফিয়ে হা করে করে জোছনা গিলে খাচ্ছে। বাকিরা সেই তীব্র সুন্দরের সামনে কেমন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে দাঁড়িয়ে গেল । রেলিঙের ওপর পা ঝুলিয়ে বসে মিলিকে বললাম, একটা গান ধর। মিলি গাইল, আজ জোছনা রাতে সবাই গেছে বনে...। সেই মাতাল জোছনার রাতের উতল হাওয়ায় কিন্নরি কণ্ঠে সুর ভেসে এল, যাব না গো যাব না যে, রইনু পড়ে ঘরের মাঝে...যদি আমায় পড়ে তাহার মনে...। সেই সুর সেই গান সেই অলৌকিক নিমেষ ভেতরের জমানো অন্ধকার কষ্টদের ছুঁয়ে দিল কি এক জাদু কাঠিতে। বুকের গহনে আগল পুরে বন্ধ করে রাখা নিষিদ্ধকুঠুরির দুয়ার খুলে গেল যেন হা হা করে আর অতিপ্রাকৃত সেই আলোর নিচে হটাৎ অস্তিত্ব নিংড়োন কান্নায় পেয়ে বসল আমায় । হু হু করে কাঁদলাম সেদিন পাগলের মত, প্রাণভরে।
কত যুগ যেন পার হয়েছে ওইরকম উথাল পাথাল জোছনারাতের। এখনকার নাগরিক ব্যাস্ততার রাতে আকাশের রেখা মেলায় দালানের জ্যামিতিতে। নক্ষত্র তিথিরা ক্যালেন্ডারেই ঘর পালটায়। বনে যাওয়া হয়না, ঘরের কোনে পড়ে রয় সামাজিক দেহ। হাসি গান গল্পের ছল দিয়ে লুকোনো চাপ চাপ কষ্টের অন্ধকার জমতে থাকে ভেতরে কোথাও। সে ভার থেকে মুক্তি মেলেনা কিছুতে। বুকের ভেতরের জমাট অন্ধকার ছুঁয়ে অশ্রুজল করে দেয়া এক আলোর স্বপ্ন দেখি যেন বিস্মরণে। অপার্থিব নীলচে রুপোলী সেই আলোর দেখা তবু মেলেনা আর।
................................................................................................................................................................................ গানটার দুরকম স্বাদ এই দু জায়গায়ঃ প্রথমটা বোধকরি শ্রীকান্ত, পরেরটা ইন্দ্রাণীর।:)
http://www.youtube.com/watch?v=f2I4VMnrh5E
http://www.youtube.com/watch?v=dfBZkU1dXBs&feature=related
মন্তব্য
'ওয়েলকাম ব্যাক'-এর কোন ভালো বাংলা মাথায় আসছে না.........
লেখায় বরাবরের মতই
ধন্যবাদ মৌনকুহর। আমি আসলে সুতো কাটা ঘুড়ির মত মানুষ। এই হয়তো বাতাসে লাট খেয়ে ঘুরছি তো এই আবার ইলেকট্রিকের তারে জড়িয়ে গেছি...তাই হয়তো ওয়েলকাম ব্যাক বা গুড বাই কথা গুলো আমাকে বলা একটু অনিশ্চিত হয়ে যায়।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
প্রাণভরে গেলো! আপনার কথা বলার ঢঙ, বাক্যের বিন্যাস আর উপমার ব্যবহার অসাধারন! কিছুদিন আগে জোছনা নিয়ে একটা লেখা লিখেছি, পোষ্ট করবো, জানবেন আপনার এই লেখাটা পোষ্ট করতে উৎসাহ জুগিয়েছে।
আপনার জন্য পুরনো একটা লেখা উপহার দিলাম,
চাঁদের ষোল আনা বুঝতে হলে কি চাঁদে যাওয়া চাই?
নাহয় চাঁদ থেকে দূরত্ব ভীষণ, নাহয় সূর্য¯পর্শে তাই
চাঁদেরও সমালোচনা আছে - আমি তাতে সম্মত নই;
জোছনা বিলাসী প্রাণ, জোছনায় অবাধ্য স্নান, চাঁদে হই -
নিশাচর, চোখ মেলে চেয়ে থাকি, মনে জল জোয়ারে প্লাবিত;
চাঁদের অনন্য রুপ, চাঁদের মতো
আর কেউ কখনো কি রেখেছিলো ধরে -
খুব করে?
পারে নাই!
প্রিয় চাঁদ, চাঁদে তাই
নিরাকার পরাভব - সিকিভাগ চিত্রকল্প, স্নান বারোআনা।।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
খাইসে। এই লেখা পড়ার পর চার সচল/হাচলকে নিয়ে চিন্তায় পরলাম।
নৈষাদদা, তিনজনের হিসেব জানি, আরেকজনটা কে? কে? কে?
এভাবে নাম বলাটা অস্বস্তিকর হতে পারে... ট্র্যাক রেকর্ড তো চারজনের কথা বলছে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বা রে বা, সবাই দেখি সব বুঝে যাচ্ছে না বলতেই... কিন্তু আমার মোটা মাথায় যে ঢুকছে না, ইয়ে... নৈষাদ, আপনার এতো ভাবনা কিসে হল সেটাই যে বুঝলাম না
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ধন্যবাদ তিথীডোর
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বাবাকে নিয়ে ওই লেখাটার পর এটা আপনার দ্বিতীয় সেরা লেখা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ বইখাতা। আমি ঠিক লুনাটিক নই, কিন্তু কেন যেন জীবনের অনেকগুলো বাঁক নেয়া অভিজ্ঞতার সাথে জোছনা রাতের যোগাযোগ ঘটে গেছে কিভাবে কিভাবে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
জোছনারাতের অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা হয়েছে আপনার বুঝতে পারছি। সুন্দর লিখেছেন।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কী চমৎকার লেখেছো দিদি!
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
উল্লেখ করতে ভুলে গেছি, ওটা শ্রীকান্তই। ওঁর গান বেশি ভালুলাগে আমার ধন্যবাদ দিদি গানের জন্য (গুড়)
সব আলো এখন ব্যাটারিতে আটকে আছে
আমাদের হাতে বাল্ববিহীন টর্চলাইট
ভালো বলেছেন মাহবুব লীলেন কিন্তু তার সাথে কিছু আলো এখনও বাঁচানো আছে আমাদের প্রাণে, নইলে বেঁচে থাকা ভার হতো যে
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ক'দিন মোটে আগেই পূর্নিমা গেল।
আমার ভাগ্য ভাল, এই ইট কাঠের নগরীতেও আমার জানালা গলে জ্যোছনা ঢুকে পড়ে আমাকে না বলেই।
তখনি বুঝতে পারি, আজ পূর্নিমা।
আপনার অভিজ্ঞতার মত আমারো একখানা চমতকার অভিজ্ঞতা আছে এই অবাক আলো নিয়ে।
অনেক সুন্দর হাতের লেখা আপনার দিদি। এক্কেবারে পুন্নিমার চাঁদের নাহান...
ধন্যবাদ বন্দনা কবীর। আপনাদের দুজনের নিক একরকম হয়ে যাওয়ায় হটাত একটু ধন্ধ লেগে যায় কার সাথে কথা বলছি ভেবে। আপনার লেখাও দারুন ইন্টারেস্টিং। অবাক আলোর অভিজ্ঞতা লিখে ফেলুন না, আমরাও পড়ি। আর...ভাগ্যিস শেষ লাইনটা আক্ষরিক অর্থে বলেননি, নইলে 'সুন্দর হাতের লেখা' ক্যাটাগরিতে চরম ধরা খেতে হত
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ধন্যবাদ পছন্দনীয়
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
'কমলাকান্তের দপ্তর' এর 'চন্দ্রালোকে' লেখাটা মনে পড়ে গেল, অমনই লুনাটিক লোকজন! (ওইটা অবশ্য বঙ্কিম লেখেননি)
আর এরকম সিরিয়াস লেখায় কি হইহুল্লোড় করা যায়?
বঙ্কিম আমার প্রিয় লেখকদের একজন। গত ছুটিতেও কপাল কুন্ডলা পড়লাম, আগের মতই ভালো লাগলো। বুড়ো হওয়ার একটা দারুন সুবিধা হল, আগে পড়া বইয়ের গল্প ভুলে যাই কিছুদিন পরে, তখন পড়লে আবার নতুন একটা বই পড়ার আনন্দ হয়। মজা না ?
আর...লেখা সিরিয়াস হলেই বা, আমি তো আর নই
[কমেন্টের উত্তর দিতে ঘাম ছুটে গেল। কাল থেকে পেজ লোড হতেই দিন শেষ। দু দুবার আপনার কমেন্টের রিপ্লাই দিলাম, কোনবারই এলনা, এই নিয়ে দান দান তিন দান, এর পর না এলে ক্ষ্যামা চাই। ]
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
নাঃ, অবশেষে হয়েছে বটে!
দারুণ! [এই লেখাটার ভয়াবহ প্রশংসা প্রাপ্য। দুর্নাম হবে বলে চেপে গেলাম!]
কিছু শব্দ পছন্দ হয়নি। যেমন কারেন্ট। বিদ্যুৎ নয়ত ইলেক্ট্রিসিটি ভালো। 'বাহির' শব্দটা যতদূর জানি সাধু। 'বাইর' হবে কি? আসলে এগুলো খুব ঠুনকো বিচ্যুতি। আমি নিজেই এর চাইতে হাজরগুণে বেশি ঝামেলা পাকাই। কিন্তু এরকম চমৎকার একটা লেখায় ঠুনকো দাগও চোখে লাগে।
[অবশ্য এগুলোকে বিউটি স্পটও বলতে পারেন। উদাহরণ: কৌস্তুভ ]
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ অনার্য সঙ্গীত। কারেন্ট শব্দটা ইচ্ছে করেই ব্যবহার করেছি। আমার মনে হল বিদ্যুৎ/ইলেক্ট্রিসিটি শব্দ গুলো ব্যবহার করলে পড়ার ফ্লো টা কেমন আটকে যাচ্ছে আর আমরা দৈনন্দিন জীবনে ওরকম শব্দ ব্যবহার করিও খুব কম। তাই ভাষা সহজ করার জন্যেই এড়িয়েছিলাম। আর বাহির শব্দটাও এখানে আসলে সাধু হিসেবে নয়। আমাদের গ্রামের বাড়িটার দুটো দাওয়া। একটা ভিতর বাড়িতে অন্যটা বাইরে। ওটাকেই বাহির-দাওয়া বলা হয়। বুঝতে পারছি ঠিকমত বোঝাতে পারিনি কি আর করা, ম্যান ইজ মরটাল! মানে ওই ভুল তো মানুষেই করে আরকি !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
মন খচখচ করছিল, তাই শেষতক শব্দগুলো পালটেই দিলাম।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আলো শব্দটাই আমার খুব প্রিয়। আর চাঁদ নিয়ে ফটোগ্রাফির একটা মজার গল্প শেয়ার করব। আগে খুব করে আপনার লেখার প্রশংসা করে নেই। আপনার শব্দচয়ন সত্যি খুব সুন্দর। বিশেষ করে শেষ প্যারাটা আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। "দালানের জ্যামিতি" - আহ!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
খুব করে লেখার প্রশংসা করার জন্য মেলাই ধন্যবাদ ফাহিম হাসান
আর সেই কবে থেকে তো খালি 'এই গল্প শোনাব, সেই গল্প শোনাব' এই কথাই শুনতে আছি, গল্প তো আর চোখে দেখতে পাইনা
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
দুর্দান্তিস!!!
অসম্ভব শক্তি আপনার লেখায়। আগেও বলেছি হয়ত।
কিন্তু প্রতিবারই এমন সব লেখা দেন যে, বার বার ঐকথাটা না বলে পারি না।
জোছনা রাতের বর্ণনা এমন জীবন্ত হতে পারে---আপনার লেখাটা না পড়লে বোঝা যেত না।
ধন্যবাদান্তিস অনিকেত।
ইয়ে... মেয়েরা প্রশংসা পেতে একটুও ক্লান্ত হয়না এই তথ্যটা আপনার বোধ হয় জানা নেই
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
লিখা যথারীতি অসাধারন লাগছে। ভরা চাঁদ আমার ও খুব ভালো লাগে দিদি। এখানে ছাদে উঠতে পারিনা।আকাশে ভরা চাঁদ উঠলে আলো নিভিয়ে রুমে বসে থাকি, নিজেকে কেমন যেন পাগল পাগল লাগে।
দালানের জঙ্গলে ছাদে উঠে লাভ হয়ও না বিশেষ, ওই পাগল পাগল লাগাই সার হয়। তবু ওইটুকু থেকেই আমি আলোর টুকরো কুড়োই।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
তাইতো ভাবি, এ চেনা চেনা লাগে কেন! কিন্তু ... এরকম গা ছমছমে নিক কেন ভাই ?
নাফ নদীর পারে থই থই জোছনার রাতের দেখা আমিও পেয়েছিলাম, তুলনাহীন এক কথায়। কিছু দৃশ্যের বর্ণনা করা খুব শক্ত হয়ে যায়, ওটা সেরকম। পরীক্ষার মাঝেও পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আচ্ছা, অনেক দিন থেকেই পরীক্ষার কথা শুনছি, এটা কি পরীক্ষা ? খাওয়ানোর ভয়ে পালাইনিরে ভাই, লোকজনকে খাওয়াতে ভালোই লাগে। ডুব মারার কারন আলাদা, সে এক বিরাট ইতিহাস। দাঁড়ান, যে কদিন আছি, একটার পর একটা আব্জাব পড়িয়ে সব্বার মাথা নষ্ট করার ব্যবস্থা করছি
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
যাক চিনেছেন তো তবু তবে তার চেয়েও আনন্দের কথা আপনাকে আমরা আবার ফিরে পেয়েছি!!!! আর ইস ঈষৎ দিয়েই বুঝি আরো ভয়ার্ত হল, অথচ আমি তো আরো ছমছমটা কমাতেই না ঈষৎ দিলাম!!!
নাফ নদীর জ্যোৎস্নারূপযুবা তাহলে আপনাকেও কাতর করেছে!!!
আর বলবেন না লতাদি, এই প্রতিষ্ঠানে যারা পড়ে তাদের এই বিরল অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়, এখানে পরীক্ষা শুরু হতে লাগে ১ মাস, শেষ হতে লাগে ১ মাস!!! ৫ টি পরীক্ষা হয় দীর্ঘ বিরতিতে পূর্ণ ১ মাস ধরে!!! তাই এর ছাত্রদেরও দীর্ঘদিন ধরে একি গান গেতে হয় পরীক্ষা পরীক্ষা আর পরীক্ষা যদিও পড়ার নাম ঠনঠনা!!!!
ওহ তাহলে কথাই নেই, খাওয়া ধরে নিলাম হয়েই গেল। না আর ডুব মারবেন না যেন, আবজাব কেন হবে লতাপু, আমাদের মুগ্ধ যেভাবে করে আসছেন সেভাবেই করে যান, পরবর্তী লেখার অপেক্ষায় রইলাম!!! অনেক অনেক ভালো থাকুন!!!!
জ্যোৎস্নাবিহার চমৎকার হয়েছে........ ......কারোর নানুবাড়ির গল্প শুনলেই কেমন আনমনে হয়ে যাই, কত স্মৃতি সেখানের, ফিরে আসে!!!! প্রতি বছর একবার যেতাম..... .........সবচেয়ে থৈ থৈ উথাল পাথাল জোছনা দেখেছি টেকনাফে, নাফ নদীর পরে, রাতে, সে এক মাদকতাময় আকর্ষী!!!!
অট: লতাপু কেমন আছেন বলেন তো? এতদিন কোথায় ছিলেন? আমি তো ভাবলাম, আপনার রান্নাকরা সেইসব উপাদেয় খাবার খেতে চেয়েছিলাম দেখে বুঝি ভয়ই পেলেন!!! আবার লিখছেন খুব ভালো লাগলো...........আর লাপাত্তা হবেন না যেন!!!!
(ও আর নিক থেকে 'কবি' বাদ দিয়ে দিয়েছি!!!)
ভারী চমৎকার লিখেছেন তো !!
ধন্যবাদ সুহান রিজওয়ান
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ধন্যবাদ নিবিড়
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কিছু লেখা দেখলে মনে হয় এরকম ভালো গদ্য লেখার জন্য কি কি করতে হয়? এটা সেরকম।
জ্যোৎস্না নিয়ে এত চমৎকার লেখা খুব কম পড়েছি। সাদামাঠা ভাষা দিয়ে সৌন্দর্য প্রকাশের বাক্য বিন্যাসে বাকহারা। আরেকজন হারানো ব্লগারকে মনে পড়ছে এই মুহূর্তে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ নীড় সন্ধানী। এরকম করে তারিফ করলে খুশিতে দাঁত বেরোয় ঠিকই কিন্তু পরক্ষনেই ভয় ধরে যায় কেমন। মনে হয় এর পরের পোস্ট খারাপ হলে সবাই সমালোচনা করলে সেটা নেবার শক্তি পাবো তো ?!
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমার শিরোনাম দেখে টাহসানের গানের কথা মনে পড়লো ।
অন এ সিরিয়াস নোট, দুর্দান্ত লিখেছেন।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
তাহসানের গান আমি দু একটা বাদে শুনিনি তেমন, এই গানটা ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সজল গান আর কমেন্টের জন্যে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
লেখা জটিল! খোলা মাঠের আর সমুদ্র পাড়ের জোৎস্না আমার বিশেষ প্রিয়।
love the life you live. live the life you love.
ধন্যবাদ তারাপ কোয়াস। সমুদ্র পাড়ের জোৎস্না নিয়ে দারুন কিছু স্মৃতি আছে আমার। কিন্তু কিছু দৃশ্য অক্ষরে আঁকা খুব খুব কঠিন মনে হয়, ওগুলোও তেমনি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
খুব সুন্দর লেখা।
ধন্যবাদ দিহান।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এত সুন্দর করে চাঁদের কথা কি করে লিখেন ।
ধন্যবাদ saima
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ভাল্লাগছে আশাপু
দেরী করে রিপ্লাই দেয়ার জন্যে দুঃখিত ধৈবত। তবে আপনার মন্তব্য বরাবরই ভালো লাগে। আমার প্রথম লেখাটায় আপনার মন্তব্য ছিল তো এই জন্যে। প্রথম সন্তানের মতই বোধ হয় প্রথম লেখার জন্য একটা আলাদা টান থেকে যায়।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অসাধারন
ধন্যবাদ কল্যাণ।
আপনার কল্যাণ হোক।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
নতুন মন্তব্য করুন