[এটা বস্তুত সচলাড্ডার বিবরণ দেবার পোস্ট নয়, এটা শুরুতেই বলে রাখা ভালো। সচলবাজি একটা পৌনঃপুনিক বিষয়। তাই এর পর বলে কিছু হয়না আসলে। এটাকে সচলদের সাথে আশালতার আলাপ প্রলাপ নিয়ে বিলাপমূলক পোস্ট বলা যায়। ]
নজরুল ভাই বেশ লোক। হাসিখুশি ফুর্তিবাজ মানুষ । দোষের মধ্যে আমার নানারকম যন্ত্রণা হাসিমুখে প্রশ্রয় দেন। আমি কিনা ভয়ানক জ্ঞানপিপাসু, তাই যখনি জ্ঞানে টান পড়ে তখন বাদওয়ানি কাকে বলে ? পারওয়াজ মানে কি ? সুমন চৌধুরী কে ? হিমু কেন বই লেখেনা ? সবাই কেন কাগু বলে গালি দেয় ? অমুকের সাথে তমুকের কি সমস্যা ? এই রকম নানান প্রশ্ন করে উনাকে ত্যাক্ত করি। শেষটায় আমার জেনারেল নলেজের জীর্ণ দশা দেখে করুণাবশতই বোধ হয় একদিন বললেন, আপনি এক কাজ করুন, সচলাড্ডাগুলোয় আসুন, অনেক কিছু জানতে পারবেন। আমি হে হে করে এড়িয়ে গেলাম। আমার মাথা খারাপ নাকি ? ওইসব আড্ডা মাড্ডায় গিয়ে নিজে এবং অন্যদের সুপারবোর করার রিস্ক কে নেবে !?
মাঝে মধ্যেই খবর পাই, অমুক দিন সচলদের গানাড্ডা, তমুক দিন বিজয় দিবসাড্ডা, সমুক দিন কনফু- তিথির সম্মানে আড্ডা। তাতে এ আসবে, উনি থাকবেন, তত মজা হবে। আমি মানে মানে এড়িয়ে চলি। কি দরকার বাবা ঝামেলায় গিয়ে। কিন্তু দৈবের চক্করে পড়ে কিভাবে কিভাবে যেন রাজশাহীতে গিয়ে যাযাবর ব্যাকপ্যাকার আর সচলপুলিশ কল্যাণের সাথে একসাথে দেখা হয়ে গেল। আর কে না সেই প্রবাদ জানে, নয়া মুসলমান গরু খাবার যম। যে তিন দিন ছিলাম, আমাদের হাহা হিহি চলল সমানে। রাজশাহী থেকে ফিরে মনে হল কলজেয় একটু যেন জোর এসেছে। তাই এবার যখন শুনলাম আরেকটা জমায়েতের প্ল্যান হচ্ছে, হুট করে বলে বসলাম, যাব !
যাব তো বললাম, কিন্তু তারপর ? এমনিতেই কদিন ধরে জ্বর বাঁধিয়ে কুঁ কুঁ করছি, এদিকে বাসার ঠিকানা নিতে প্রায় অচেনা একজনকে ফোন করতে হবে এই টেনশনে সেটা আরও দু'ডিগ্রি বেড়ে যাবার দশা। অনেক সাহস টাহস জমিয়ে দুপুর বেলায় ফোন দিলাম নজু ভাইকে। অচেনা একটা গম্ভীর গলা বলে উঠল, হ্যালো, কে বলছেন ? চিঁ চিঁ করে কি যেন একটা বলতে গিয়ে ঢোক গিল্লাম, তার উত্তরে আবার অসহিষ্ণু গলায় একই প্রশ্ন। আমি ভুরু টুরু কুঁচকে, ঠোঁট কামড়ে প্রাণপণে ভাবছি কি বলা যায়, এর মাঝে এমন একটা জোরধমক এল যে ভড়কে গিয়ে হড়বড়িয়ে বলে ফেল্লাম, নজরুল ভাই, আমি আশালতা বলছি ! ওমনি গলাটা পরিচিত হাসিহাসি হয়ে গেল। তাইতে ধড়ে প্রাণ এল। শুনলাম নাকি সবাই পাঁচটার ভেতর চলে আসবে। বললাম, বেশ, আমিও আসছি !
ঘড়ি ধরে পাঁচটা দশে বাসায় ঢুকতে ঢুকতে ভাবছি না জানি কত দেরী হয়ে গেল। ও আল্লা। অত বড় ড্রয়িং রুমে দেখি একা বসে আছি। এইটা কেমন হল ? একবার মনে হল টুক করে পালিয়ে যাই। কি মনে করে ধজ্জি ধরে বসলাম। একটু পরে দেখি জনা তিনেক ঢুকে একধারে বসে গল্প করতে লাগলো নিজের মনে। আমি যথাবিহিত ভাবগাম্ভীর্য নিয়ে বসে রইলাম। একটু পরে নজরুল ভাই পরিচয় করিয়ে দিলেন, সচল অন্য কেউ আর রায়হান আবীর । আরেকজনের নাম মনে করতে পারছিনা। ইনি শুনলাম সচলের নীরব পাঠক। আমার ব্রেন অতিরিক্ত উত্তেজনা নিতে পারেনা। বিদ্রোহ করে সব ডিলিট করে দেয়। সেদিনের অনেকের নাম চেহারাই তাই বাসায় আসার আগেই বেমালুম খেয়ে ফেলেছি।
বসে থেকে খুচখাচ করতে করতেই আলাপ হল নজরুল গিন্নি নূপুর আর কন্যা নিধিমনির সাথে। কি যে মিষ্টি একটা পরীর মত মেয়ে। আমি একটু ভাব নেয়ার জন্য নুপুরকে বললাম, কাজকম্ম কিছু থাকলে দিতে পারো, আমি হেল্প করি। [ মনে মনে তো জানিই দেবেনা, আর দিলেই আমি করব নাকি ? দুনিয়াতে ছলের অভাব ? ] তা নূপুর যা একখানা অভয় হাসি দিল তাইতেই বুঝলাম এই চমৎকার মেয়েটা কেন সবার কাছে 'জোস একটা মানুষ'। যাযাবর ব্যাকপ্যাকার রাতেই রাজশাহী ফিরে গেছে শুনে মনটা দমে গেল অবশ্য । যার ভরসায় লাফাতে লাফাতে গিয়ে হাজির হলাম সেই মানুষটাই নাই। অবশ্য বেশি মন খারাপের চান্স পেলাম না। দরজা ঠেলে যে মানুষটা ঢুকল তাকে দেখে আপনাতেই মুখ হাসিহাসি হয়ে গেল। নৈষাদের সাথে শ্রীমান কৌস্তুভ অধিকারী বর্তমান । বেচারা খোদ হার্ভার্ড দাপিয়ে বেড়ালেও ঢাকায় এসে জ্যামে পড়ে নাস্তানাবুদ । "এয়ারপোর্ট থেকে হোটেলে যেতে কতক্ষণ লেগেছে জানেন ? দেএএড় ঘন্টা !" বলে নালিশ করতেই সবাই কেন যে হাসতে শুরু করল তার মানে যে বুঝলনা সেটা বেচারার ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া চেহারা দেখেই মালুম হল। নৈষাদদা মিটিমিটি হেসে বললেন, জিজ্ঞেস করেন ওর হোটেল কোথায়। আমি সপ্রশ্ন তাকাতেই বোকাটে মুখে বললে, গুলিস্তান। ওমনি ঘরে হাসির ঝড় উঠল। কারণ এই কদিন সে নাকি কেবল গুলিস্থানের আশেপাশেই ঘুরেছে এবং ধারণা করেছে ওটাই মূল ঢাকা শহর।
এরপর এলেন সস্ত্রীক শাহেনশা সিমন। ওনার নাম জানার পর মানতেইই হল, নাম জিজ্ঞেস করাই আমার উচিত হয়নি। মাত্র কদিন আগে সচলে ওনার ক্যারিকেচার দেখে আপনাতেই চেনা উচিত ছিল । সেটা বলতেই নিজের সাইজের একটা ডাবল এক্সেল হাসি দিলেন। এদিক ওদিক দিয়ে আরও কে কে যেন এলেন, কিন্তু সেদিকে মন দেবার ফুরসত পাচ্ছিনা। এদিকে সচলে কে কে সত্যিকারের মডু এবং তাদের ভূমিকা বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে । রোমাঞ্চকর আলোচনা। অনেকেই বিজ্ঞ মতামত প্রকাশ করছেন । অবশেষে অন্তত দুজন চিহ্নিত মডুকে আবারও নিশ্চিতভাবে চিহ্নিত করা হল । ফ্যাসিবাদী মডুদের কালো নেকাব যে আর বেশিদিন নিরাপদ নাই বোঝাই গেলো।
এরপর অবশ্য আর আলোচনার পিতা মাতাকে নির্ধারণ করা সম্ভব হলনা। স্তূপাকৃতি ডালপুরি তেলেভাজা চানাচুর আর চিপসের সাথে দেশের মোবাইল এবং ইন্টারনেটের দুরবস্থা , সামুতে কেন আবাল বেশি, নিধি কখন কার কার কোলে চড়ায় তার বিয়ের ফুল ফুটেছে, কে কে আড্ডায় আসব বললেও বৌ নিয়ে ঘুরতে যায়, কে কে আসলে দেখতে বিরাট বাঘ হলেও 'নখ' নাই বলে মেয়েদের কাছে পপুলার, গুলিস্তান ঢাকা শহরের মূল ইন্টারেস্টিং স্থান বলে কৌস্তুভের ধারণা পাবার পেছনে কার কার কালো হাতের কারসাজি, পুরান ঢাকার ঐতিহাসিক খাদ্যগ্রহন পরবর্তীতে কৌস্তুভের পেটের আশঙ্কাযুক্ত নাজুক অবস্থান, নজরুল ভাইয়ের বাড়ি বদল কাহিনী ইত্যাদি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা চলতে লাগল। এর মাঝেই এলেন আঁকাইন, দুষ্টুবালিকা, বুনোহাঁস, বোকামেঘ, সস্ত্রীক পান্থ রহমান রেজা, নিবিড়, স্নিগ্ধাদি, আনন্দি কল্যানেরা। আরেকটু পর এলেন সজল, আনিস মাহমুদ, মেহবুবা জুবায়ের আর আরিফ জেবতিক। এঁদের কারো সাথেই আগে দেখা তো দূর কথাই হয়নি কোনভাবে। একসাথে এক একবার দমকা হাসিতে গড়াতে গড়াতে একবারও কেন যেন সেকথা মনেই এলনা।
গল্পের ফাঁকে খেয়াল হল এক পাশে দুই খোকা খুকু চুপটি করে বসে শুধু মিস্টি করে হেসে যাচ্ছেন। এঁরা হলেন পান্থ রহমান রেজা আর তাঁর বেটার হাফ। পাশে থেকে কে একজন নাম শুনে বিস্ময় প্রকাশ করে বললেন, এইটুকু ছেলে ! এতো ক্লাস টেনে পড়ে মনে হচ্ছে। তাতে পান্থ ভয়ানক প্রতিবাদ জানিয়ে বললে আসলে ও কিন্তু নাইনে পড়ে। সবাই হই হই করে উঠল। সবার হই চৈয়ের ফাঁকে কোণার দিকে চুপচাপ বসে থাকা আরেকজনকে নিক জিজ্ঞেস করতে বললেন উনি লেখেন না, শুধু কমেন্ট করেন, সেই নামটা আবার সিক্রেট। সেই সিক্রেট অথচ চেনা নিক শুনে হেসেই ফেল্লাম। এই মানুষগুলো এমনিতে অচেনা অথচ কালো কালো অক্ষরে রোজ দিনে তাদের কত চেনা মনে হয়।
এর মাঝে দুষ্টুবালিকার শখ হল আমার হাতে মেহেদি দিয়ে দেবে, সে প্রস্তাব বাতিল করতেই বললে, চল কৌস্তুভের কান ধরে থাকা ছবি তুলি। পছন্দনীয়র নাকি ভারী শখ এরকম একটা দৃশ্য দেখবে। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও সেটা পারা গেলনা। দোষ ঘাট না করেও কেউ কান পেতে বসে থাকলে কি আর এমনি এমনি নিরীহ মানুষের কান টানা যায়। মাঝের থেকে হাসতে হাসতে পেটে ব্যথা। শেষটায় দূর ছাই বলে এঘরে এসে দেখি আনিস ভাইয়ের চারপাশে বিরাট গল্পের আসর বসেছে। মেঝেতে বিছানার চাদর পেতে ছেলেরা বসে গেছে। বাতাসে খিচুড়ি আর কষানো মাংসের গন্ধ আর এদিকে গল্পে হাসিতে পুরো ঘর গমগম করছে। ঘরের মাঝখানটায় দাঁড়িয়ে চারপাশের হাসিমুখগুলো দেখে কেমন অদ্ভুত লাগলো। কি ভীষণ ভয়ই না পাচ্ছিলাম ! অথচ আজকেই এঁদের সাথে দেখা হল কে বলবে ! কি ভীষণ কাছের এই মানুষগুলো ! কি এক অদৃশ্য টানে এতগুলো প্রাণ এক সুতোয় আটকে গেছে।
ঘড়ির কাঁটা আটটার ঘর পেরিয়ে যেতে আমার মুখ শুকোল। ফিরতে হবে যে। কিন্তু ফিরব কী !? হোস্ট যে পারমিশনই দেয়না। নজরুল ভাই আর নূপুর অনেকক্ষণ আমায় নিয়ে ফুটবল খেল্লেন। বিদায় নিতে গেলে দুজনেই 'আমি জানিনা, ও জানে' বলে টুপ করে চোখের আড়াল হয়ে যান। কি মুশকিল। শেষটায় দুষ্টু বালিকাকে উকিল ধরে বহু কষ্টে পারমিশন আদায় করা হল। কিন্তু যাই বললেই কি যাওয়া হয়! এরপরেও কতক্ষণ হাহা হিহি চলতেই থাকল। শেষে সবাই মিলে দাঁড়াল গ্রুপ ছবি তুলতে। তাতেও কি শান্তি আছে! একটু যে দাঁত কেলিয়ে ভাব নিয়ে দাঁড়াব তার উপায় নেই, এক একজনের কথা শুনে আর পোজ দেয়া দেখে দাঁত তো দাঁত, আলজিহবা পর্যন্ত বেরিয়ে আসার যোগাড়।
এইরকম হই হই চলতেই থাকল। তার মাঝেই একসময় টুক করে দরজাটা খুলে বেরিয়ে পড়লাম একাই। সিঁড়ি বেয়ে নামতে নামতে দরজার ওপাশটায় হাসির হুল্লোড় শুনে আপনাতেই মুখে একটা আলতো হাসি চলে এল। এতক্ষন এতজনের মাঝে থেকে বেরিয়ে এসে একটু কেমন একা একাও লাগছিলো। শীতের বাতাস মাখা রাতের খোলা রাস্তাটায় হেঁটে যেতে যেতে নিজের ভেতর আরেকবার তাকিয়ে দেখতে ইচ্ছে হল। আগের সেই ভয়ানক ভয়টাকে বুকের ভেতর আর খুঁজে পেলাম না কোথাও। সেখানটায় বরং অনেকগুলো হাসিমাখা প্রিয় মুখ, প্রিয় মানুষ ।
যে মানুষগুলোর সাথে আরও অনেকদিন পথ চলতে হবে। হয়ত সারাজীবন ! কে বলতে পারে ?!
মন্তব্য
শুধু কমেন্ট যারা করেন তাঁরাও যেতে পারেন? আম্মো যাবোওওওও ভাই আমারে পরেরবার না জানালে কিন্তু আমি খেলব না বললাম। লেখায় ইয়াব্বরো এক মাইনাচ
এইরকম মাইনাচ খাইতে তো হেব্বি মজা। আমার রাজশাহীর আড্ডার গল্পটাও দিয়ে দেব নাকি ? আপনারা পুড়বেন, আমরা হাত সেঁকব, বেশ হবে, কি বলেন ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হ
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
সেঁকেন, সেঁকেন। আপ্নারাইতো সেঁকবেন। তয় কইলাম ফোস্কা থেইকা সাবধান। হেঁহেঁ, এই দিন দিন নয়
লেখার গুণবিবেচনায়ও চমৎকার লাগলো লতাদি !!! নিয়মিত বিরতিতে সচলাড্ডা হোক, আর আমিও কোনভাবে যেন দিনক্ষণ জেনে যাই!!!
_____________________
Give Her Freedom!
ধন্যবাদ কবি। লেখার মান নিয়ে আমি নিজেই আজকাল চিন্তিত। লোকের নাকি দিনে দিনে লেখা পাকা হয়। আমার দেখি উলটা নিয়ম। সচল হতে হতে কোথায় গিয়ে ঠেকবে ভেবে ভয়ে আছি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আপনি নাকি পুলিশ ???
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আহারে এমন ভালো মানুষটারে কে পুলিশ নাম দিলো গো।
সাহিত্যিক কোই?
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
উদাস ভাই, দ্যাখেন খালি, বলছিলাম কিনা ? এখন দেখলেন তো, ওমনি জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়ে গেছে। পুলিশ না তো কি ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমি আপ্নাদের জন্যে খুসি। আপ্নার লেখায় আরামদায়ক শীতল বাতাসের আদল পাই। বেশ পরে লিখলেন আশাপু।
শাফি।
ধন্যবাদ শাফি। এটা তো ঘোষণা দিয়েই বাতিল করে দিয়েছিলাম। কিন্তু ওই কৌস্তুভের হুড়োতেই আবার করে লিখতে হল। এইজন্যেই দেরী হল।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আচ্ছা কোথাও কি কিছু পুড়ছে নাকি ? কেমন একটা গন্ধ যেন... হে হে হে
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
facebook
গপ্প তো শেষ। আর পপকর্ন কেনু ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ঈর্ষা পাওয়ার টু দি ∞
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আহা, মঙ্খ্রাপ করতে নাই। আপনি দেশে এলে এর থেকেও বড় একটা জমায়েত করব আমরা। এখন (গুড়) খান।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
মনে থাকে যাতে, হুঁ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
এইসব আড্ডাবাজি সচলে ভালোচোখে দেখা হয় না। আগেই বলেছি। আড্ডার পোস্টও নিষিদ্ধ করার ব্যবস্থা নিচ্ছি!
পোস্ট ভালো লেগেছে। কিন্তু খানিক ফাঁকিবাজি হল। এতটুকু পোস্ট!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
রেস্ট্রিক্ট - আড্ডা বঞ্চিত সচল ও দরদী মডু
এ ধরনের আড্ডা পোস্ট মডারেশান আটকে দেওয়ার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করা যায় না?
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ব্যবস্থা নেয়ার ব্যবস্থা নিতেছি!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দেখছেন আমি কতো ভালো! কোনো আড্ডার ছবি সচলে পোস্টাই না
---------------------
আমার ফ্লিকার
কিন্তু সকল আড্ডার ছবিতেই তো আপনাকে দেখা যায়!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
বারে, এরকম ব্যবস্থা নিলে আপনারা যখন দেশে আসবেন তার পোস্টগুলো দেব কিকরে ? তখন যে ব্যাকফায়ার করবে
ফাঁকিবাজি একটুখানি হয়েছে স্বীকার করছি। একই গল্প রিপিট করে লোকজনকে বোর করবোনা ভেবে প্রথমের পোস্টটা তো ঘোষণা দিয়েই মুছে দিয়েছিলাম। তারপর কৌস্তুভ জ্বালাতে শুরু করায় আবার হুড়োহুড়ি করে লিখতে হল। আর আমি যে বিশ্বআলসে সে তো সবাই জানে।
[ ইকটুখানি ফাঁকিবাজি কল্লেই পেত্যেকবার ধরা পড়ি। আচ্ছা, আপনারা ইমুন ক্যান ? ]
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমি দেশে আসলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হবে। তখন আড্ডাও দেয়া যাবে!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আইচ্ছা। চায়ের পানি গরম দেই তাইলে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
লিখা অতি উত্তম। আর নুপুর ভাবিকে আমারও খুব পছন্দ হয়েছে, হাসিটা এত মিষ্টি...
ধন্যবাদ লাবণ্যপ্রভা ।
নূপুর আসলেও অতি চমৎকার একজন মানুষ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
মানুষজন দুদিন পর পর এমন সব সুস্বাদু পোস্ট দিয়ে পেটে খিদের স্মৃতি চাগিয়ে দিচ্ছে কেন?
এতো বড়ো জনসমাবেশের এতো ছোটো বর্ণনা চইলত ন, চইলত ন। যতগুলো হাসাহাসি আপনারা করলেন, তার স্রোতে আমরা বারবার ধাক্কা খেয়ে ঐ ছোটো টেবিলটাতেই আটকা রয়ে যাচ্ছিলাম। অবশ্য, নূপূর ভাবী বারবার চানাচুরের বাটিটা রিফিল করে দিচ্ছিলেন, আমাদের এদিকে অমনোযোগী ভঙ্গি নিয়ে আড্ডা দিয়ে যাবার সেটাও একটা কারণ!
নজুভাইয়ের বাসাটা বেশি লম্বা- আড্ডাটা তো রীতিমতো দুদিকে ভাগ হয়ে গিয়েছিলো! গমগমে কন্ঠধারী মানুষজন সিলিঙবিদারী হাসি হেসে জোড়া দিয়ে রাখছিলেন বলে রক্ষা!
বৈদেশি সচলদের হিংসার আগুনে পেট্রোল ঢেলে দিয়ে সচলবাজি চলুক।(গাও জ্বালাইন্না হাসি ইমো)
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
বটে, ঐ চানাচুরের বাটিটাই তাহলে যত নষ্টের গোড়া। খ্রান, এর পরের বার চানাচুর ব্যান।
আর এদিকে বাইরে থেকে আপনাদের সিলিংবিদারী হাসি শুনে তো আমি হিংসায় জ্বলতে জ্বলতে বাড়ি এলাম। তারপরও বড় বর্ণনা চান ? হায় দুক্ষ। এক্কাজ করেন, যেই গল্পগুলা বাকি পড়ে গেছে সেইগুলা দিয়ে আপনার একটা ভার্শন লিখে দেন। সচলবাজি চলতেই থাকুক।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
একটা 'সচলাড্ডালগ' থাকা দরকার, একটা ছোটো লিঙ্ক ... নীড়পাতার ডানে বা বামে। ওখানে দেশে-বিদেশে হয়ে যাওয়া সমস্ত সচলাড্ডার এরকম মূখরোচক পোস্ট গুলো থাকবে। যারা যেতে পারেন না, তারা পড়ে আনন্দটা উপভোগ করতে পারবে।
লেখা অবশ্যই উত্তম, অতি উত্তম ...
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
সচলাড্ডালগ মার্কেটে ভাত পাবে না রে ভাই। সেদিনই তো দেখলাম একেকটা যে আইলসার আইলসা। এত দারুন একটা জমায়েত হচ্ছিল দেখে একটু চেষ্টা নিলাম যাতে কেউ একজন একটা টাটকা গরম পোস্ট দেয়। কিসের কি? লেখার কথা শুনেই সব এদিক ওদিক পালিয়ে গেল। আমারও কলমের কালি শুকোল বলে। দাঁড়ান না, খালি সচল হয়েনি, তারপর দেখাব শীতনিদ্রা কাহাকে বলে, কয় প্রকার ও কি কি।
ইয়ে... অত্যুত্তম তারিফের জন্য ধন্যবাদ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
লেখা নজরুলের রান্না করা মাংসের চেয়েও সুপক্ক আর উপাদেয় হয়েছে।
.......................................................................................
Simply joking around...
আপনার লেখা এই একটা লাইন আমার জন্য কতবড় পাওয়া আপনি কি সেটা জানেন আনিস ভাই ?
কিছু কিছু মানুষের ঋণ আমি মাথায় করে রেখে দিই, তার জন্য কখনওই ধন্যবাদ দেই না। আপনাকেও দেব না।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপনি যখন বলেছেন, তখন মাংস খেতে মোটেই ভালো লাগেনি আনিস ভাই!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আরে, এই ছোট ছেলেটা তো বড় পাজি !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
পড়তে পড়তে যেই গা একটু গরম হল অমনি শেষ করে দিলেন...ছবিটবি দেখার পর কিন্তু মনে হচ্ছে লেখাটা আরও অনায়াসেই বড় করা যেত
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
এটা তো আসলে আড্ডার পুরো গল্প বলার পোস্ট না, আগেই সাবধান করে দিয়েছিলাম !
সেটার ব-ড় বর্ণনা কৌস্তুভের পোস্টে আছে তো। এইযে লিঙ্ক
http://www.sachalayatan.com/kaustubh/42910
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপনেরা পুরাই ফাউল
জ্বি জ্বি, ঠিক্কথা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আশাদি , তুমি কাকে কাকে খালি চক্কেত দিয়ে বেড়াও , আমাকে ওই একদিন দই দিয়েই শেষ, নাআআ
দেখে নিয়ো , একদিন আমিও সচল কমেন্টকারী হিশেবে আড্ডায় যাব
এত ছুডু লিকা কেনে
ওরে, আমায় ছেড়ে দেরে ভাই। বড় লিখা কৌস্তুভ লিখে রেখেছে তো। এইটাই বোধ হয় আমার ব্লগের সবচে লম্বা লেখা। আর কত ?!
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
দীর্ঘশ্বাস। শুধুই দীর্ঘশ্বাস ফেলে পড়লাম আপনার লেখা। কবে যে সচল হব আর কবে এমন একটা পরিবার পাব, কে জানে।
গভীর সন্দেহ আছে, আমাকে কেউ আপন করে নিবে কিনা।
আরে কি বলেন! ব্যাঙের ছাতা তো ভারী ভালো জিনিষ। ভিটামিন মিনারেলস আরও কি কি যেন থাকে। আপনাকে পেলেই সবাই মিলে কেটেকুটে খেয়ে ফেলবো। নিঃসন্দেহ থাকেন।
জোকস এপার্ট, গভীর সন্দেহ থাকলে সেটা কখনওই সত্যি হয়ে আসবেনা এ জেনে রাখুন। বদলে বরং বিশ্বাস রাখুন নিজের ওপর, সচলের ওপর আপনার ভালোবাসার ওপর। বাকি সবাই আপনাকে ভালো না বেসে কোথায় যাবে বলুন তো ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপু, গভীর সন্দেহ আমার নিজের উপর। সচল বা আপনাদের উপর নয়। নিজেকে নিয়ে আমি কোন স্বপ্ন দেখিনা। প্রতিদিন আমি একটু একটু করে হারিয়ে যাচ্ছি। মাঝে মাঝে মনে হয়, কেন হারিয়ে যাব? গা ঝাড়া দিয়ে উঠি, নতুন করে পরিকল্পনা করা শুরু করি কিন্তু মাঝপথেই আবার খেই হারিয়ে ফেলি। যেমন মাঝে সচলে মন্তব্য করতাম না, কিছু ভাল লাগত না লিখতে। মনে হত নিজের অনুভুতিগুলো নিজের ভেতরেই থাকুক না। ইদানিং আবার নিজেকে নতুন ভাবনার খোরাক দিচ্ছি।
যাই হোক, দেখা যাক সামনের দিনগুলো কী নিয়ে আসে আমার জন্য বা আমি আমাকে সামনে কী দিতে পারি।
চান্স দিলেন যখন, তখন একটু জ্ঞান্দান করি।
ধরেন দোকানে কাপড় কিনতে গেলেন। দোকানিকে জিজ্ঞেস করলেন সেটার রং উঠবে কিনা। দোকানি কাপড়ের দিকে সন্দেহ নিয়ে তাকিয়ে বলল, কে জানে ভাই উঠতেও পারে। আপনি কি আর সেটা কিনবেন ?
নিজের ওপর বিশ্বাসটা সবার আগে দরকার। নিজের ভেতর তাকিয়ে নিজেকে দেখুন ভালমত। দুনিয়ার সব পচা জিনিষ ঠেসে ঠেসে আপনার ভেতর পুরে দেয়া নেই নিশ্চয়ই ? চমৎকার ভালো কিছু দিক নিশ্চয় আছে। থাকতেই হবে। সেগুলোকে এপ্রিসিয়েট করুন। মাঝপথে হাল ছেড়ে দিচ্ছেন তার মানে হল আপনি অন্যদের এপ্রুভাল চাইছেন কিন্তু পাচ্ছেন না, তাই হতাশ হয়ে যাচ্ছেন। দরকার কি ? নিজের ছোট খাট এচিভমেন্টে নিজেকে সাবাস বলুন। ট্রিট দিন। আপনি নিজে নিজেকে হেল্প না করলে অন্যদের কিসের ঠেকা ?
নিজেকে বলুন, পারবেন। তাহলে পারবেনই। আর কোন কথা নাই।
এত্ত জ্ঞান দিলাম। এখন আমার টেকা দেন !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এই না হলে আশাদি। আপনার উপদেশ অনুযায়ী আজকে একটা জ্ঞানগর্ভ রচনা লিখতে বসেছি।
প্রাণান্তকর পরিশ্রম শেষে intro এর প্রথম তিন লাইন টাইপ করলাম। বার কতক ফরম্যাটিং ঠিক করে, টাইটেল পালটে নিজেকে একট ট্রিট দিলাম। বিরাট এক প্যাকেট চিপ্স নিয়ে বিগ ব্যাং এর তিন-চারটা পর্ব দেখে ফেললাম।
এরপর ব্যাক টু ওয়ার্ক। intro তে আরো তিন লাইন যোগ করলাম। ট্রিট দিতে সচলে ঢুঁ মারলাম, ফেইসবুলিং করলাম, youtube এ viral ভিডিও দেখা শেষ করে যখন ডেস্কে বসলাম তখন মনে হল প্রহম দুই লাইন টা ঠিক জুত হয় নাই।
এই আবিষ্কারের অ্যাচিভমেন্টের ট্রিট নিতে পুনরায় সচলে লগ-ইন।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
হা হা হা... নিজেকে ট্রিট দেয়া আর স্পয়েল করার মাঝে তফাত আছে তো। মাস্টার্স ফাইনালের সময় আমাকে সারাদিন দেখা যেত কম্পুর সামনে গেম ওপেন করা অবস্থায়। নিজেকে একটা টাইম লিমিট দিতাম। সেই সময়ের মধ্যে সারটেন অংশ পড়ে ফেলতে পারলে পাঁচ মিনিট গেম খেলতাম। না পারলে পানিশমেন্ট হিসেবে আরেকটু বেশি পড়তে হত। খেলার নেশা এত বেশি ছিল যে ঐ লোভেই ঝটপট পড়ে নিতাম। প্রায় সারাক্ষণই দেখা যেত মুখ শক্ত করে জীবন বাজি রেখে গেম খেলছি। সবাই আমার ফেলের ব্যাপারে একদম নিশ্চিত ছিল।
আমি মাঝে মাঝে নিজের সাথে বাজিও ধরি। জিতে গেলে নিজেকে ফুচকা নয়ত চকলেট খাওয়াই। এটাও করে দেখতে পারেন। মন্দ লাগে না।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হুম
ডাকঘর | ছবিঘর
যাব্বাবা, এত ভাবনার কি হল ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হ। তাই ভাবতেছি । ভেবে ভেবে ভবঘুরে হয়ে গেলুম গো [ গভীর ভাবে শোকাহত হবার ইমো ]
ডাকঘর | ছবিঘর
তবে, তুমি কিনা পোস্ট গাপ করে দিচ্ছিলে?
তয় আরো আরো গল্প দিতে পারতে, তোমার হালকাপুলকা ভাষায় পড়তে ভারি আরাম
আমার সম্বন্ধেও তো ভালো ভালো কথা কমই বললে
বা বেশ কথা হল এটা। আমি না তোমার পোস্টের স্বার্থ রক্ষার্থেই নিজেরটা ঘচাং করে দিলাম। হুড়ো দিয়েছিলে বলে তাপ্পরে বসে বসে আবার লিখলাম। একে বুঝি গাপ করা বলে ?
বেশি লম্বা লেখা আমার নিজের ভাল্লাগেনা। দেখলেই পড়ার আগেই হাই আসতে থাকে। তাই ইচ্ছে করেই ছোটই রেখেছি। সবাই যে ধৈর্য নিয়ে পড়ে আরও খানিকটা পড়তে চাইবে বুঝিনি। তাছাড়া তোমার লেখায় তো আছেই বাকি ডেসক্রিপশন, তাই পুরোটা দেয়া প্রয়োজনও মনে হচ্ছিলোনা। পাঠকেরা আগ্রহ নিয়ে আমার দীর্ঘ লেখাও পড়তে চাইছেন এটা আমার জন্য একটা বড় সম্মান। এর পর খেয়াল রাখব।
তোমার সম্বন্ধে ভালো ভালো কথা বলতে আমার ভারী বয়েই গেছে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কী মজার কুড়মুড়ে একটা লেখা। সবকিছু যেন চোখের সামনে দেখতে পেলাম। ভাল লেখিয়েদের লেখার এটাই বৈশিষ্ট্য
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
হুম, ভালো লেখিয়ের বৈশিষ্ট সবই যে আপনি জানেন সে আপনার পোস্ট দেখে বিলক্ষন মালুম হয় বটে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কৌস্তুভ গুলিস্তানে হোটেলের ঘটনা শুনে হাসিও পেলো কষ্টও লাগল। সে গুলিস্তানে ভালো হোটেল পেয়েছে?
ছবি কোথায়?
পাণ্ডবদা অভিজ্ঞ মানুষ, কৌস্তুভের জন্য কনভেনিয়েন্ট জায়গাই খুঁজে দিয়েছিলেন। ওখানেই ওর থাকা খাওয়া ঘোরাঘুরির সুবিধে হয়েছিল, আর হোটেলখানাও ভালোই ছিল বলে জানালো তো। আমরা আসলে হাসছিলাম হস্তি দর্শনের মত করে ওর ঢাকা দর্শনের কথা শুনে।
ছবি তো ফেসবুকে দিয়েছে। দেখেন্নি ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
মাংস-খিচুড়ির ঘ্রাণ পেলাম...
বাংলাদেশ যাবার ইচ্ছেটা অনেক দিনের, কিন্তু যাওয়াটা হয়েই ওঠে না। এবারে মনে হয় আর বেশিদিন নিজেকে আটকে রাখা যাবে না। সত্যি এরকম একটা আড্ডায় যে কবে থাকতে পারব ?
ততদিন আপনার লেখাই পড়ে যাই। আরও আরও লিখুন ।
হুঁ, খাবারের ঘ্রাণ আর ছবি তো আমিও দেখেছি। কিন্তু ঐ পর্যন্তই। রিজিকে জুটেনি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ভুল করে আগের মন্তব্যটা নতুন মন্তব্যে না লিখে জবাব এ লিখে ফেলেছি । সুমিমা ক্ষমা করবেন । তবে মাংস-খিঁচুড়ি ঘ্রাণ পেলে যাওয়াটা আরও ত্বরাণ্বিত হবে । সন্দেহ নেই ।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ প্রদীপ্তময় সাহা। ছোটখাট ভুল আমরা সবাই করি। নইলে আর 'অভিজ্ঞ' হয়ে উঠি কিকরে ? ওপার বাংলায় থেকেও হৃদয়ে আমাদের জন্য ভালোবাসা ধারণ করছেন জেনে বড় ভালো লাগল। বাংলাদেশে আসুন। আশা করি আর কিছু না হলেও এখানকার মানুষের একরাশ ভালোবাসা অন্তত নিয়ে যেতে পারবেন।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হুমম ...
সেই ভালোবাসাটাই তো সবচেয়ে দামী । তা পেলে আর কিছু চাই না ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
ভালো থাকবেন ।
লোটাপু, লেখা স্বাদু হয়েছে! তবে আমি তৃপুর আগে এসেছি। রেজোয়ান ভাই এর সাথে, জ্বর নিয়ে!
আমার নিজের লেখা হচ্ছেনা, ডেক্সটপ ভর্তি আনফিনিশড গল্প, ব্লগরব্লগর। দুইদিন পর পর একটা লেখা শুরু করি আর বন্ধুদের দেখায় জিগাই যে কন্টিনিউ করবো কিনা, ভদ্রতা করেই বোধহয় এখন পর্যন্ত কেউ না বলেনাই, কিন্তু শেষে গিয়ে আমারই লেখ হয়না আর!
তুমি রেগুলার লেখো, ঝরঝরে হচ্ছে খুব লেখাগুলো, অনায়াসে পড়া যায়!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
লোটাপু ???
??? ??? ???
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
বদ পোলা, দিলো এডিটের বারোটা বাজায়!
ক্যাপসলক অন ছিলো!
ফাহিম্মা, দেশে আসার আগে ... :|
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
_____________________
Give Her Freedom!
@ফাহিম
মিষ্টি বালিকারে আমি বেজায় ভালু পাই। ওর সাত খুন মাফ। মনে চাইলে সে আমায় ঘটি বাটি বালতি যা খুশি ডাক্তে পারে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
তা তো "ভালু" পাবেন-ই, কী জাদুটোনা করেছে কে জানে
সব বুঝি হুঁ - হুঁ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
থ্যেঙ্কু মিষ্টি বালিকা। এক্সাইট্মেন্টের চোটে আগে পরে কে কি সব বেত্তান্ত গুলে খেয়ে ফেলেছি রে ভাই। স্নিগ্ধাদি বললেন উনি নাকি এই আড্ডায় ছিলেন না। তাইলে এতক্ষণ ধরে যাকে আমি স্নিগ্ধাদি ভাবলাম সে যে আসলে কে সেইটাই তো বুঝে উঠতে পারছি না।
আনফিনিশড লেখা তোমারও হয় ! কও কি ! বড় শান্তি পেলাম শুনে। এই রোগে ভুগতে ভুগতে তো আমি কাহিল। আধখানা সিকিখানা লেখার পরেই মনে হতে থাকে, দুত্তোর আব্জাব। এই ট্র্যাশ কে পড়বে ! বাস, আর লেখা আগায় না। সেদিন রাগের চোটে গুণে দেখলাম। একুনে পঁচিশখানা লেখা এতিম হয়ে পড়ে আছে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
সচলেরা সকলেই লেখক বলেই কিনা ঠিক জানি না, তবে একত্রিত হলেই আড্ডা দিতে ভালোবাসেন, দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততার ফাঁকে, বিশেষ করে ঢাকার মানুষের জ্যাম আর কর্মজীবন শেষে একটু হালকা হতে চান, ক্ষনিকের জন্যে ভুলতে চান সারাদিনের ক্লান্তি। তাই মনে হয় একটু সুযোগ পেলেও সচলেরা চরম জ্যাম পেরিয়ে, কাজের চাপের ক্লান্তি শেষে আড্ডায় জুটে যান। সেই আড্ডায় কে মুখ্য, কে বাইরে থেকে এসেছে, কারও জন্যে স্পেসিফিক আয়োজন এমন কোন ব্যাপার থাকে না। বেশ কয়জন একত্রিত হয়ে ঘন্টাখানেক গল্প করা, বই পড়া (আড্ডাবাজির ফাঁকেই প্রচুর পড়া হয় এইটা আমার অবজারভেশন, তা সে বইমেলাতেই হোক বা কারও বাড়িতে), গান শোনা হয়।
সচলাড্ডা চলুক স্থান-কাল-পাত্র ভেদে এভাবেই।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
তোমার কমেন্টটা ঠিকমত বুঝি নাই। এইটা কি কনফু তিথির নাম ওলা লাইনটার জন্যে বলা ? আসলে কি, এইসব জমায়েতগুলোর চেহারা চরিত্র তো আমার কিছুই জানা নেই। ইনফো গুলো আমার কাছে যেভাবে আসে ওইভাবেই লেখা। ছোট খাট টুকটাক জমায়েত তো রেগুলারই হয়, সেখানে নিশ্চয় অনেক হাতপা ছড়িয়ে আয়েশ করেই সবাই বসেন। আমি নিজেই তাড়ার ওপর থাকায় বোধ হয় টিউনটা ঠিকঠাক ধরতে পারিনি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমি তো যেটা মাথায় আসে, সেভাবেই কথা বলি আশা'পা, কনফু-তিথির নামওয়ালা লাইনের জন্যে বলা না। সচলবাজির গল্প পড়তে পড়তে যেটা মনে হয়েছে সেটাই লিখেছি, ঠিকমতন বা খারাপমতন বুঝবার কিছুই নেই।
কনফুসিয়াস ভাইয়ের সাথে দেখা করার ইচ্ছা ছিলো, ছিলো আনন্দীর সাথে দেখা করার, এই দুইজনের সাথে আমার আলাপটা টুকুটাক, তাদের ছোটগল্পের মাধ্যমেই পরিচয়। তার আগে বন্ধু অমিত আহমেদ দুইবার ঘুরে গেল দেশ থেকে, ইচ্ছা থাকলেও দেখা হয়নি। এখন মেহবুবা জুবায়ের আছেন, ইচ্ছা আছে, কিন্তু দেখা না হবার চান্সই বেশি। প্রবাসী সচলেরা আসলে হয়তো তুলনামূলক ফর্মাল ডাক দিয়ে আড্ডা আয়োজন করা হয় যাতে সবাই ছুটির দিন পান, আসতে পারেন, সবার সাথে যাতে আলাপ-পরিচয়ে সুবিধা হয়। তাই বলে হাত-পা ছড়িয়ে আয়েশ করে বসার সুযোগ বা সময় আসলে সেভাবে হয় না মনে হয়, তবে এটা আমার ধারণা, কারণ এমন ফর্মাল ডাক দেয়া আড্ডায় আমার থাকার সৌভাগ্য হয়নি এখনো যেমন বলেছিলাম আপনার আগের পোস্টে।
আপনার সচলাড্ডাভিজ্ঞতা পড়ে আমার মনে হলো আপনি যেমনটা দেখেছেন, অমনটাই সাধারণ আর স্বাভাবিক। আমার অভিজ্ঞতায় সচলেরা একত্রিত হন কারণে, অকারণে, স্থান-কাল-পাত্র নির্বিশেষে। সেখানে সচলায়তন নিয়ে আলাপ যতটা না হয়, তার থেকে নিজেদের দৈনন্দিন টুকটাক, দেশ, মানুষ, বই, গান, বেড়ানো, খেলাধূলা নিয়ে সাদামাটা আড্ডা বেশি হয়। রাজশাহী ভ্রমণ আপনার ভালো লেগেছে বুঝতে পারছি, ধন্যবাদ আপনাকেই সেইজন্যে, সবাই ভালো লাগাতে জানে না, ভালো লেগে থাকলে সেটা কিছুটা ভ্রমণকারীরও গুণ বলবো আমি। সেই আড্ডাবাজিটাকে সচলাড্ডা নাম দেয়া যায় কিনা আমি জানি না, তবে আমরা তিনজন সচল কেমন করে যেন উপস্থিত ছিলাম, আবার আমাদের সাথে এমন আরও দুইজন ছিলেন যারা সচলের কেউ নন। এমনিতে হয়তো অনেক সচল থাকেন নানান গেট টুগেদারে, কিন্তু ইউজুয়ালি দেখেছি তাদের সাথে থাকেন আরও মানুষ, সচলদের পরিবার, বন্ধুরা, যারা হয়তো সবাই সচলায়তনের পাঠকও নন।
তাই বলছি যে সচলাড্ডা চলুক স্থান-কাল-পাত্র ভেদে এভাবেই। চলুক আলাপ, চিন্তা-ভাবনা-বইপত্রের আদান-প্রদান।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
যাক বাবা, তখন থেকে মানে ভাবতে ভাবতে আমার মোটা মাথাটা গরম হয়ে যাচ্ছিলো আরকি।
আসলে অনেকদিন ধরে চিন্তাভাবনার আদানপ্রদানে যাদের সাথে টিউনিংটা দারুন হয়ে যায় তারা যেখানেই থাকুক কোনভাবে একসাথে হলেই চমৎকার একটা আবহ তৈরি হয়ে যায়। আমার সে অর্থে কারো সাথেই সেভাবে ঘনিষ্ঠতা হয়নি। সেজন্যে একটা বিশাল ভয় ছিলই। উনারা সবাই এত চমৎকার উষ্ণতার সাথে আপন করে নিয়েছেন যে ভয়টা ভেঙ্গে খুশিতে বদলে গেছে। আর এটার শুরু তোমার হাতেই। এই জন্যেই তোমার কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। সচলের মানুষগুলো আমার জীবনের গল্পটাকেই বদলে দিচ্ছে। তাই আমিও তোমার সাথেই সুর মিলিয়ে বলি 'সচলাড্ডা চলুক স্থান-কাল-পাত্র ভেদে এভাবেই। চলুক আলাপ, চিন্তা-ভাবনা-বইপত্রের আদান-প্রদান'।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
মজা লেগেছে পড়ে।
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
ধন্যবাদ কনফুসিয়াস।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আশাপু,
আমাদের সুযোগ কবে আসবে
"পছন্দনীয়" ভাইরে কই পাইলেন? পোলাডারে আবার ধইরা-বাইন্দা সচলে আনা যায়না? বেযত্তনে তো পোলাডা নষ্ট হইয়া যাইব
পড়ার জন্য ধন্যবাদ নির্ঝরা শ্রাবণ। সুযোগের অপেক্ষায় বসে থাকবেন কেনু ? সুযোগ নিজেরাই তৈরি করে নিন না। যারা আড্ডা দিতে চান সবাই মিলে একসাথে হয়ে যান। নেটের এই যুগে এ তো খুব সোজা। উদ্যোগ নিলেই হল।
পছন্দনীয়কে ধরে বেঁধে এনে তো লাভ নেই ভাই। খাঁচার পাখি তো গান গাইবেনা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
তোমার কথা মানছি । তবে শুরুটা কিভাবে করব সেটাই বিষয়। আচ্ছা, একটা কথা বলতো - পছন্দনীয়'র অভিমানটা আসলে কার উপর????????? সচলের উপর হলে সে সচলাড্ডাই আসে কি করে!!!!!!!! তবে যার উপরই হোক, কোনভাবেই কি আর তারে ফিরায় আনা যায়না । ওর পুরাতন লেখাগুলতো রীতিমত গিলছি............ নতুন লেখা পড়তে মুঞ্ছায়
পছন্দনীয়কে ফেরাতে পারলে আপনারা পাঠকরাই পারবেন। জন্ম তপস্বী তো নয়, বলে দেখতে পারেন। আমরা তো ফেল মেরেছি, এবার আপনারাই ভরসা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমি তো সেই কবে থেকে অপছন্দনীয়র শোকে স্ট্রাইক করে যাচ্ছি। যতদিন না ফিরবে আমি আমার মিষ্টিমুখ প্রকল্পের নতুন কোন রেসিপি দিবনা। জিভে জল আনা সব ডেসার্ট রেসিপি নিয়ে স্ট্রাইক করে বসে আছি।
অপছন্দনীয়কে বইলেন আমি কিন্তু পাঠকের ছদ্মবেশে থাকলেও আসলে পাঠিকা। এবং মুলত অপছন্দনীয়র চরম ভক্ত পাঠিকা।
চেহারাসুরত আর ফিগার ও মাশাল্লা ভালো । আমার অনেক বান্ধবীও আছে, দেখতে আমার চেয়েও ভালো, ফিগারও সুবাহানাল্লাহ। সবাই আমরা অপছন্দনীয়র ভক্ত।
দেখেন ওষুধে কাম হয় কিনা।
এহহে, চরম ভক্ত যদি লেখকের পছন্দ অপছন্দের খোঁজ না রাখে তো আর ক্যাম্নে কি ? ছন্দবাবু যে পাঠিকা আসক্ত নন, বরং পাখি মানে রামপাখি আসক্ত এও জানেন না বুঝি ? সুন্দরীতে রূপান্তরিত হবার আগেই উদাস দাদার আই কিউ এই লেভেলে নেমে গেলে হপে ?
কিন্তু... আমরা নিরীহ জনতা কি দোষ করলাম ? আমরা কেন রেসিপি পাবোনা ? কেনু কেনু ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ঠিক আছে। সচলাড্ডা চলুক, অনুমতি দেয়া গেল।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
অনুমতি ??!! এহ্ !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
সচলাড্ডার গল্প শুনে ভাল্লাগলো
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ভালো লাগার কথা শুনেও বড় ভালো লাগলো।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
সবাই মিলে এত্ত মজা করছেন, ইস আমি যদি দেশে থাকতাম।
আহারে। আচ্ছা আসোনে, তারপর আবার মজা করা যাবে নাহয়।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
নতুন মন্তব্য করুন