অনেকদিন হল এই শহরে আর বৃষ্টি হয়না।
শহরের কি প্রাণ থাকে আমাদের মত ? ওরাও তো বেড়ে ওঠে, প্রাচীন হয় ; মাঝে মাঝে মন খারাপ করে মরে যেতে থাকে ঠিক আমাদের মত । এই শহরটারও আজ তেমনি মন খারাপ বুঝি। বহুদিন বৃষ্টির দেখা পায়না যে। টলটলে জলে তার ভেজা হয়না কতদিন। অযত্নে বেড়ে ওঠা ছেলের খড়ি ওঠা হাত পায়ের মত তার ইঁট কাঠ পাথরের পরতে পরতে ধুলো ময়লার ক্লেদ। বহুদিন হল বৃষ্টিরা ভালোবেসে কপালে চুমো আঁকেনা বলে দোয়েলের ছবি আঁকা নোটের দিকে ভিখিরির প্রতীক্ষিত চোখ নিয়ে তাকায় আকাশে আকাশে।
তার সাথে মিলে আমিও দীর্ঘশ্বাস ফেলি আজন্ম লালিত প্রতীক্ষায় ।
ভোকাট্টা ঘুড়ির মত স্মৃতির সুতো ধরে উড়ে আসে যেন গতজন্মে দেখা একটা মুখ। সে মুখটা নিজের। অনেক বছর আগে ঠিক ওইরকম করে জল ভালবাসতাম আমিও। কত রকম বাহানা করে যে ভিজে যাওয়া হত। বৃষ্টি নামলেই গাছপালা ঘেরা একতলা ছোট্ট সাদা বাড়িটার ছাদ কি উঠোন কি বাগানের কোথাও না কোথাও ছুটে যাওয়া চাইই। মায়ের বকুনি কি ডাক্তার দাদুর ধমক জলের ফোঁটার নেশা ধরানো অমোঘ গান এড়াতে দেবে সাধ্য কী। ঝমঝমে বৃষ্টিতে সবাইকে ছাপিয়ে নিমের ডালের ঝড়ো পাতিকাক আর মাথায় জলের কণা মাখানো সবজেটে ফার্নের সাথে মিলেমিশে ভিজতে ভিজতে বিনবিনে কী এক সুখ পাকিয়ে উঠত যেন ভেতরে ভেতরে।
বাগানের যে কোনটায় হাসনাহেনা, গন্ধলেবুর ঝাড় আর করমচার লতা মিশিয়ে চাঁদোয়া মত হয়েছিল সেখানকার মাটিতে মিস্ত্রিদের ফেলে যাওয়া নিচু চৌবাচ্চাটাকে সারিয়ে সুরিয়ে জল ভর্তি করে রাখলে ছোট্ট একটা পুকুরের মত দেখাতো। বৃষ্টির দিনে সেখানটায় পা ডুবিয়ে বসতাম কোন কোন দিন। মায়ের চোখ লুকিয়ে নেমে যেতাম হিম ঠাণ্ডা পানিতে। হাত পা ছেড়ে ভেসে থাকতাম টলটলে জলে। গাছপালার চাঁদোয়ার ভেতর দিয়ে আকাশের কারিকুরির মাঝ দিয়ে ঝরঝর জল ঝরত অঝোরে। ওপর থেকে টুপটাপ সাদা সাদা ফুলের পাপড়ি ঝড়ে পড়ত এদিক সেদিক। চারপাশের গাছপালায় জলমাটির ঘ্রাণ মিশে সোঁদা গন্ধে বিবশ হয়ে ভাসতাম ঠিক বেলাদির মত করে। বেলাদি বাসার সামনের পুকুরটায় ওইভাবে চোখ বুজে ডুবে ছিল, চুল খোলা আঁচল খোলা। লেবুফুলের গন্ধমাখানো জলে ভেসে ভেসে একেকদিন মনে হত বেলাদির কি খুব কষ্ট হয়েছিল ? কতটা কষ্ট হলে ওইরকম করে শরীর ছেড়ে জলের কাছে আশ্রয় নেয়া যায় ?
শীতল স্ফটিক জল জবাব দেয়নি কোনোদিন।
খুব মেঘ করে জল নামলে বাগান পেরিয়ে অমল কাকাদের বিরাট বাগানটায় চলে যেতাম মাঝেমধ্যে। বাগানের দিকের বারান্দার লাল সিঁড়ির সিংহটার গায়ে হেলান দিয়ে বসে ভিজতে ভিজতেই কোঁচড় ভরা মিষ্টি তেঁতুল নয়ত পাকা ফলসায় কামড় দিতে দিতে দেখতাম বাগান জুড়ে বৃষ্টির দাপাদাপি। কাঞ্চনদার যেদিন কলেজ থাকত না, বারান্দায় ইজেল চাপিয়ে আঁকতে বসত। আর বলত, অমন করে অবেলায় ভিজছিস, ওই চুলের বোঝা আর শুকোবে ? ভিজতে ভিজতেই হাসতাম আমি। তুমুল জলের আবছাটে পর্দার মাঝ দিয়ে কাঞ্চনদাকে দেখা যেত না ঠিকমত। আমার হাসি দেখে ওপারের মুখটা হটাত ম্লান হয়ে আসত। বলত, অমন করে হাসিস না লতা, আমি তাহলে আর আঁকতে পাইনা। কেন যেন হটাত করেই গায়ে কাঁটা দিয়ে খুব শীত করত তখন।
কতদিন হয়েছে ওইরকম সব বৃষ্টি দিনের ? এক যুগ ? দুই যুগ ? নাকি সহস্র বছর ? হয়ত অন্য পৃথিবীতে নির্বাসিত হয়ে আমার আকাশটাই গেছে পাল্টে। এখন আর তাই ওইরকম আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি নামেনা। এখানে বড্ড রোদ্দুর। সেই রোদ্দুরে রোজ রোজ একটু একটু করে শুখাতে থাকে প্রাণ। সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে আজ জলের তিয়াস। প্রলম্বিত খরায় ক্লান্ত চোখ মেলে আকাশ খুঁজে বেড়াই; যে আকাশে জল থাকে। অসীমে তাকিয়ে অনুচ্চারে বলি, শুধু অশ্রুতে যে নির্বাসনের নীল ধুয়ে যায়না। আমায় আকাশ ভরে জল দাও। এক আকাশ জল। তাতে ধুয়ে নিই সকল নীল; আমার যত গ্লানি।
হে অব্যাখ্যেয় আকাশ, হাঁটু মুড়ে জলের কাছে আত্মসমর্পণ করতে দাও আমায়।
আরো একবার।
মন্তব্য
ভিন্ন স্বাদের লেখা । এ তো পুরা কোবতে হয়ে গেছে।
বারে, আমার বুঝি মাঝে মধ্যে একটু ভাব নিতে ইচ্ছে করেনা ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমায় আকাশ ভরে জল দাও। এক আকাশ জল।
facebook
উরেব্বাসরে, এই লেখায় এত কিছু ! সে নাহয় হল, কিন্তু এত পপ্পন চিবোলে চল্পে ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বৃষ্টির জলে না হলেও আবেগেই ভাসিয়ে নিলেন।
বাহ, আমার অকেজো লেখাও কাউকে ভাসাতে পারে ! এক জীবনে এই পাওয়াও তো কম নয় !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
পচা একটা লেখা............
ডাকঘর | ছবিঘর
এহ্, পচা একটা পাঠক !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আর কি বলব ?
ধন্যবাদ। আর কিই বা বলব ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
চমৎকার বর্ণনা, সব কিছু যেন দেখতে পেলাম। এ লেখায় উকি দেয়া কিছু জিনিস মিলে কি একটা বড় গল্প বা উপন্যাস হতে পারেনা?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
থ্যাঙ্কস সজল। আপনাদের আলোচনা আমার লেখায় প্রাণ দেয় বরাবর। আরও একবার লিখতে বসার সাহসটা পেয়ে যাই।
উপন্যাস তো লিখিনি কখনও, জানিনা কিকরে লিখতে হয়। তবে বাকিগুলো দিয়ে বড় গল্প হতেই পারে। নাহলেও নিদেনপক্ষে একটা ব্লগ অন্তত লেখাই যায়। কিন্তু কেন যেন বড় আলসি লাগে। ...কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
একেবারেই অন্য স্বাদের লেখা, কবিতা কবিতা লাগল!
অনুভূতিগুলোর প্রকাশটা বেশ স্বচ্ছ, খুব সম্ভবত সে কারণেই একটানে শেষ হল পড়া কিন্তু বেলাদিকে মনে হল দেখতে পেলাম, মনে হল আকাশ ডাকা দিনে কোন ছাদের কথা, আর জলের জন্য অবিরাম অপেক্ষার কথা।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
ধন্যবাদ মর্ম। একেবারেই অন্যরকম নয় বোধ হয়। সচলে আমার প্রথমদিকের লেখাগুলো এইরকম আত্মকথন দিয়েই শুরু হয়েছিল। তবে শুদ্ধ এক জলের জন্য আমার অবিরাম অপেক্ষা মৃত্যু অব্দি রইবে বোধ হয়। কেবলি স্বপ্ন দেখে যাই কোন একদিন জীবনটা শুদ্ধ হয়ে উঠবে হয়ত...
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ভীষন সতেজ আর স্নিগ্ধ প্রতিটি শব্দ, বাক্য। এত প্রাণ-ছোঁয়া লেখা মানুষ লেখে কিভাবে?
লেখক-কে চুম্মা। দুই গালে দুইটা।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
থ্যাঙ্কস বুন্ডি।
এত দূর থেকে আদর নিইনা আমি। দেশে আসো আগে, তারপর দেখি কটা পাওয়া যায়।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বর্ষাকাল আসুক... এখন বৃষ্টি নামলে হুদা হ্যাপা...
লেখা ভালো লাগছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হা হা... যা বলেছেন ! এই নগরে বৃষ্টি মানেই হুদা হ্যাপা। লোকের দৃষ্টিভোজের অত্যাচারে আরাম করে ভেজা যায়না। উলটে রিকশা ভাড়া ডবল হয়। যন্ত্রণা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
পুরোটাই কাব্যিক.....ভাল লাগল...
মূর্তালা রামাত
এই রে। আমি কিন্তু কবিতা টবিতা বিশেষ হজম করতে পারিনা। ও আমার কাপের চা নয়। একটা সময় নাকি সবাই একটু আধটু কবিতা লিখে ফেলে। আমি সেই সময়টাতেও সুবিধা করতে পারিনি। কয়েকটা ইঞ্জিরি 'পয়েম' রচনা করে লোকের ভুরু কুচকানি খেয়ে লাইনে চলে এসেছি। তারপরও আমার এইনা লেখা ভালো লাগলে কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর যে কিছু বলার নেই।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
সুন্দর।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথীর এই একটা শব্দই আমার জন্য ভীষণ দামি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কাব্যিক এবং সুন্দর !
ধন্যবাদ এবং ধন্যবাদ মাসুম।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
উফফফফএফফ, একদম কাব্যিক ইস্টাইলে লেখা হইসে আর লেখা পরে পুরানো জমিদার বাড়ির ছবি মনে পরছে। অসাধারন। (গুড়)
যাব্বাবা, জমিদার বাড়ি কই পেলেন ? খ্রান, একটা জমিদারি কেতার পেমের গল্প মনে পড়ে গেল, একদিন সময় করে লিখে ফেলতে হবে।
অত্যুত্তম প্রশংসার জন্য অনেক অনেক
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
সচলে সবার লিখা পড়েই আমি মনে মনে লেখকদের চেহারার একটা নমুনা মনে মনে এঁকে নিই। যেমন উদাসকে মনে হয় গাবদা-গোবদা শরীরের চারফুট এক ইঞ্চি মানুষ, সজলদা ছলছলে চোখের।
কিন্তু আপনাকে কোনভাবেই কল্পনা করতে পারিনা। কখনো মনে হয় পনের বছরের মহাআবেগী মেয়ে, কখনো নব্বুই বছরের ঠাম্মি।
আপনি কে আশাদি?
হুম, দুইজনকে মিলিয়ে নিন নাহয়। মানে নব্বুই বছরের জীর্ণ চামড়ার নিচে ছোট্ট এক মেয়ে হলে কেমন হয় ?
একটা ছোট্ট মানুষকে ভেতরে আমরা সবাইই তো লালন করি।
আমি কে? আমি খুব সাধারণ মানুষ সাত্যকি। বোঁচা নাক ভোঁতা মুখের বিশেষত্বহীন চেহারার খুব সাধারণ দেখতে এক বোকামানুষ। যে কিনা পার্থিব ক্লেদের মাঝেই বেঁচে থাকে জীবনের জন্যে বুকের ভেতর অদ্ভুত এক ভালোবাসা নিয়ে। যার সবগুলো যুদ্ধে হেরে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে গেছে তবু নিজের কাছে হেরে যাবেনা বলে পালায় না কখনও। মৃত্যুর চোখে চোখ রেখে দাঁড়াবে বলে শেষ শক্তিটুকু নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে অসীম স্পর্ধায়।
এই মানুষটা আসলে কেমন চেহারা পেল সেটা খুব জরুরী নয় বোধ হয়।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কোন উদাসের কথা বলেন
চ্যাতেন ক্যান ? সব লাল বাসই কি বিআরটিসির বাস নাকি ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আরে, সেই যে কার কবিতা আছে না, ঘুমিয়ে আছে শিশুর দিদা সব শিশুরই অন্তরে?
নাহ্, একটা কানমলার ইমোর এপ্লিকেশন না করলেই চলছেনা দেখছি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আহা, বেশ বেশ বেশ।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
বেশ নাহয় বুঝলাম, এদিকে ফাঁকিবাজ সচলের লিস্টে যে আপ্নের নাম দেখায় সে খেয়াল আছে ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বাবাগো...
বেশি করে বাদাম পেস্তা খাওগে তাইলে যদি ব্রেনটা খোলে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ছায়া ঘনাইছে বনে বনে-------
নামবে,অবশ্যি নামবে জলধারা ঢলধারায়।
লেখা
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অন্যরকম লেখা লিখলেন। বেশ বেশ।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অন্যরকম ? নাহ। আমি বেসিক্যালি এইরকম প্যানপ্যানে লেখাই লিখি। আমার ডায়েরি ভর্তি এইরকম লেখা। মাঝে বরং সচলের জন্য অন্যরকম লেখা দেয়া শুরু করেছিলাম। কাল মন খারাপ হয়ে একটু দুক্ষ দুক্ষ হল বলে খানিক উদাস ভাব ধরলাম আরকি। ব্যাপারনা, শিগগির ট্র্যাকে চলে আসব আবার।
আপনি ব্যস্ততার মাঝেও সময় নিয়ে কমেন্ট করলেন দেখছি। থেঙ্কু থেঙ্কু।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অনেকদিন পর আদি আশালতাকে খুঁজে পাওয়া গেল
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
নীড়দা, আপনার এই কমেন্টটা পড়ে নিজের মনেই কতক্ষণ হাসলাম জানেন ! এই 'আদি আশালতা' শুনেই কতকিছু মনে হয়ে গেলো। সচলে আমার প্রথম লেখা থেকে তাতে আর সবার মন্তব্য, আপনাদের আকাশছোঁয়া প্রশ্রয় ! একটু একটু করে কতদূর চলে এসেছি ! সবটা সময় সাথে থাকার জন্য যুতসই কিছু বলা দরকার। কিন্তু...খুঁজে পাচ্ছিনা !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
চমৎকার লাগলো। মনে মনে আমিও বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করি, মনে হয় যেন অপেক্ষার আর শেষ নেই। একটা লেখা লিখেছলাম সেই অপেক্ষা নিয়ে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম ভাই। আমি আপনার লেখার যে শ্রেণীর ভক্ত তাতে আপনার লেখা এদিক ওদিক দিয়ে বাদ পড়ে যাবে তা কি করে হয় ? এতো কব্বেই পড়েছি। আবার রিভিশন দিয়ে নিলাম। আপনার লেখা একশদশ বার পড়া যায়, তবু পুরনো হয়না।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
যেন জলতরঙ্গ বাজলো...!
আহা ...!
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
উপমাগুলো গিলতে পিচ্চি অন্ত'র ব্যাপক কষ্ট হইসে। পরবর্তীতে এই রকম লেখার সাথে কিন্তু আমার জন্য প্যারাসিটামল চাই। কষ্ট হলেও গিলতে চাই যে।
কবির প্রতিভা নিয়ে নাওনি তুমি জন্ম
তবুও লেখ তুমি সুন্দর কবিতা।
কোন শিল্পির প্রতিভা নিয়ে নাওনি তুমি জন্ম
তবুও আঁক তুমি স্বপ্নের অমিতা।
আসছে বর্ষায় বৃষ্টি নিমন্ত্রণ রইলো...
হে হে হে... আমার লেখা পড়তে এলে মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই আসতে হবে যে ভাই। আমি যে ভয়ানক অকাজের মানুষ। মাঝে মধ্যেই তেড়ে ভাবের উদয় হয় তখন এইসব ব্লগাই। আরসবাই বুঝেই গেছে এইটা খরচের খাতার নেহাত বাতিল মাল। তাই ক্ষমাঘেন্না করে নেয় বোধ হয়। পিচ্চি অন্তুর জন্যে তাই বড় আকারের সাবধান বাণী রইল।
বৃষ্টি নিমন্ত্রণ ? উহু ! বৃষ্টিতে ভিজতে হয় একা একা। লোকচক্ষুর অন্তরালে। নইলে ব্যাপক ভাব ধরব কিভাবে ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
একখানা অসাধারণ অনুকাব্যপন্যাস!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
কবিকে কৃতজ্ঞতা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আশাদি, আমরা সবাইই মনে হয় মনে মনে বৃষ্টির অপেক্ষা করি।
খুব সুন্দর একটা লেখা, দৃশ্যগুলো যেন দেখতে পাচ্ছি!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
লেখার মাঝে ছবি দেখতে পাওয়া ভীষণ চমৎকার একটা ব্যাপার। আমার লেখা সেটা যদি সেটা করাতে পারে তো লেখা সার্থক। লেখক হিসেবে আর কিছু চাইবার থাকেনা। অবশ্য আমি নিজে এই লেখাটা ঠিক যেরকম করে গড়তে চেয়েছিলাম সেটা না হয়ে অন্যদিকে চলে গেছে যদিও। তবু ভালো লাগবার জন্যে ধন্যবাদ মিষ্টি বালিকা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আকাশ ভেঙে জল নামুক .... লেখাটা খুব ভালো লাগলো আশালতা আপা, অনেকদিন পর লেখা পেলাম, নিয়মিত লেখা চাই
ভালোলাগায় ধন্যবাদ তানিম।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আশা'দি, লেখাটা পড়ে একটু চুপ করে থাকলাম। কি সুন্দর! কেমন লাগল তা পুরো প্রকাশ করবার ভাষা আমার নেই।
তুমি খালি বাড়িয়ে বল
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ভেজা ভেজা একটা লেখা
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
চমৎকার মন্তব্যে উষ্ণ কৃতজ্ঞতা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আহা ! কী সুন্দর করে বলতে পারে মানুষ !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কে মেরেছে কে ধরেছে কে দিয়েছে গাল? কি হইছে আশাদি???
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
কি আর হবে। কিছুই না। এইটারে কয় ব্যাপক ভাবস্ !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
নতুন মন্তব্য করুন