ছিল রুমাল, হয়ে গেলো টকটকে একটা বেড়াল। এমনটা কি হয়না ? দিব্যি হয়। সুকুমারের বইতে যেমন, এই সচয়ালতনেও তেমনি কি আর কম হয়! এই যেমন, আমি। ছিলাম নেহাত খাই দাই ঘুমাই টাইপ ঘোরতর এক সংসারী, হটাত হয়ে গেলাম সচলায়তনের আশালতা।
আজ চৈত্রের সতেরোয় কোথাও কিচ্ছু পাল্টে যায়নি তবু দিনটা খুব অন্যরকম হয়ে গেলো। আজ নিজের করে একটা নাম পেলাম। এমনিতে চেনা পৃথিবীতেও আমার একটা নাম আছে অবশ্য। কিন্তু আজকাল নিজেই সেটা ভুলতে বসেছি। সচলবন্ধুদের সে নাম বললেও ব্যাবহার হতে দেখিনা। সচলের কাছে তাই আশালতাই থেকে গেলাম। খুব অদ্ভুত এক যাত্রার শেষ হল আজ। অথবা শুরু।
বাংলাদেশের আর দশটা মেয়ের মাঝে আটটা নটা মেয়ের জীবন থেকে আমার জীবনটা আলাদা কিছু ছিলোনা কখনও। জীবনভর সেই আদর্শ দশভূজা নারী হয়ে ওঠার প্রাণান্ত কসরত আর কেবলই ব্যর্থতার দায়ভার। সে জীবন কেবল দিতে শিখেছে, নিজের জন্য আলাদা করে কিছু নেবার চাইবার সাহস পায়নি। অথচ একটামাত্র জীবন আমাদের। একদিন মন বলল সেটাকে এইভাবে বইয়ে দেয়া মস্ত পাপ। নিজের ভেতরে খুব অন্যরকম একটা মানুষ বিদ্রোহ করে বসল। তাই ফুরিয়ে যেতে যেতে যেতে একদিন হটাত ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস জুটে গেলো। এইরকম এক টানাপোড়েনের সন্ধিক্ষনে সচলের সাথে দেখা হয়ে গেলো আমার।
তখনও নাম জানা দূরে থাকুক ব্লগ কি জিনিষ সে সম্পর্কে কোনও ধারনাই নেই। এক অলস দুপুরে কিছু একটা নেটবাজি করতে করতে গিয়ে পড়লাম সামুতে। অজানা দেশ আবিষ্কারের কৌতূহল নিয়ে দিন কয়েক ঘোরাঘুরি করে মেজাজ খারাপ ছাড়া লাভ কিছু হলনা। বিরক্ত হয়ে ছেড়ে দেব ভাবতে ভাবতেই এলোমেলো লিঙ্ক ক্লিক করতে গিয়ে হটাত সচলের পাতা সামনে এল একদিন। নীড় পাতায় সেদিন ভাসছে ছোটবেলার ভালো লাগা রুবি রায়কে নিয়ে একটা লেখা। প্রায় অনাগ্রহ নিয়ে পড়তে শুরু করে দু সেকেন্ডের মাথাতেই পিঠ টান হয়ে গেলো। পুরো লেখা শেষ করে থম মেরে বসে রইলাম কতক্ষণ। মানুষ এত সুন্দর করেও লিখতে পারে ! সেই লেখকের ব্লগ বের করে প্রায় পরীক্ষার সিলেবাসের মত গুরুত্ব নিয়ে সব লেখা পড়ে শেষ করে ফেললাম। তারপর আরও। তারপর আরও আরও...। একসময় দেখি দিনরাত সচল নিয়ে বসে আছি তো আছিই। রক্তে নেশা ধরে গেছে।
নেশা মাত্রেই হয়ত নিন্দার্হ। কিন্তু সচলনেশায় জড়িয়ে আমার বিন্দুমাত্র আফসোস নেই। বরং অনিকেত নামের সেই মানুষটির প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই, যাঁর সেই লেখাটা না পড়লে আমার হয়ত সচলে আটকে যাওয়া হতোনা, আমার আর আশালতা হয়ে ওঠা হতোনা।
পুরো সচল জুড়ে কত কত মানুষ কত কত লেখা। কত রকম তাদের ভাবনা। সেইসব লেখা পড়তে পড়তেই একদিন লোভ জেগে গেলো। মনে হল আমিও কেন না ওদের মত হই ! ডায়েরি খুলে একটা পাতা তুলে দিলাম হুট করে। কিন্তু কি আপদ, রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে দেখি নাম চায় ধাম চায়। এত কিছু কোথা পাব ? সেসময়টায় নানান যন্ত্রণায় বিরক্ত হয়ে নিজের একাউন্ট জলাঞ্জলি দিয়ে বসে আছি। কে এখন বসে বসে নতুন একাউন্ট খোলে ? এদিকে বহুদূর চিন্তাভাবনা করে কাজ করা, সে আমার কম্ম নয়। হাতের কাছে ছিল গোটাকয়েক গেম একাউন্ট, তার থেকে র্যান্ডম একখানা নাম মাথায় আসতে সেটাই নামের জায়গায় লিখে দিলাম পোস্ট করে।
ওমা, লেখা পোস্ট করতেই দেখি হাওয়া হয়ে কোথায় হারিয়ে গেলো। এ কী যন্ত্রণা রে বাবা। লেখা কই গেলো ! কিছুক্ষন খুঁজে পেতে হাল ছেড়ে দিয়ে চলে গেলাম। মনে মনে তো জানিই দেখা যাচ্ছেনা তার মানে ওটা নেহাত পচা লেখা, ওরা ছাপবে না। কি আর করা।
প্রথম লেখা পোস্ট করার সময় আমার মাথায় কয়েকটা ধারণা বদ্ধমুল ছিল। এক হল, লেখা যদি ছাপেও আমার লেখা পনের থেকে সতেরজন পড়বে, এর বেশি না। আর বিশ জন যদি পড়েন তো আমি খুবই খুশি হই। আর দ্বিতীয় ধারনাটা হল, আমি সব মিলিয়ে বারোটা বা খুবই বেশি হলে চোদ্দটা লেখা দেব। লেখা দেবার একটাই উদ্দেশ্য ছিল আমার লেখার ধরন সম্পর্কে অন্যেরা কি বলেন মূলত সেটার ধারণা পাওয়া। ধারনাটুকু পাওয়া হলেই এর পর আর লেখালেখির কোনও অর্থ থাকেনা। কাজেই এই কটা লেখাই যথেষ্ট মনে হয়েছিল। ভেবেই রেখেছিলাম এই কটা লেখা দিয়ে ব্লগ দুনিয়া থেকে উধাও হয়ে যাব।
এইসব ভাবনাচিন্তা মাথায় রেখে রাতে ঘুমোতে যাবার আগে আরেকবার নীড় পাতায় উঁকি দিয়েই চক্ষুস্থির হয়ে গেলো। সেখানে আমার লেখা ! ছাপানো হলে নিজের লেখা দেখতে বুঝি এরকম হয় ! কি আশ্চর্য ! আর...আর... নিজের চোখকে বিশ্বাস করাতে পারছি না... লেখাটা এর মাঝেই প্রায় আড়াইশ' জন পাঠক পড়ে ফেলেছেন ! তার চাইতেও বেশি কথা, তিন তিন জন বলেছেন লেখাটা নাকি ভালো হয়েছে !!! ঠিকঠাক আবেগ প্রকাশ করতে আমি কোনোদিনই শিখিনি। তাই যখন আমার খুশিতে লাফালাফি করার কথা তখন আমি কেঁদে আকুল হয়ে গেলাম। কম্পিউটারের স্ক্রিনের সামনে বসে বয়স্ক একজন মানুষ ফ্যাচ ফ্যাচ করে কাঁদছে দৃশ্যটা নিশ্চয় খুবই হাস্যকর কিন্তু তখন কথাটা একবারও মনে এলনা। আমার ক্ষুদ্র জীবনে এত আনন্দ নিয়ে কাঁদবার সুযোগ তো খুব বেশিবার আসেনি।
অসংখ্য পাঠক অগুনতিবার আমায় এইভাবে কাঁদিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের কাছে আমি ঋণী। তাঁদের মাঝে সেই প্রথম লেখার তিনজন মন্তব্যকারি সবুজ পাহাড়ের রাজা, ধৈবত আর আসমা খান এই তিনজনের কাছে আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা। এঁরা হয়ত সেরকম কিছু না ভেবেই লেখাটা ভালো বলেছিলেন, কিন্তু সেই সামান্য কথাগুলোই অসামান্য হয়ে উঠে কি অসীম শক্তি এনে দিয়েছে আমায় তার কোনও ধারণাই তাঁদের নেই আমি জানি। সেই প্রথমবার মনে হয়েছে চেনা জগতটার বাইরেও আমার অস্তিত্ব আছে তাহলে ! চাইলে এখানেও আমার স্বাক্ষর রাখা যায় তবে ! কি আশ্চর্য !
এই মানুষগুলোর সামান্য কটা কথায় আমি একটা অন্যরকম পৃথিবী খুঁজে পেয়ে গেলাম। সেই পৃথিবীটা আমার নিজের। একদম নিজের হাতে তৈরি !
মুশকিল হল একটাই। দেখি এখানে সবাই আমাকে আশালতা বলে ডাকছে। কি মুশকিল, তখন ভেবেছিলাম এটা শুধু রেজিস্ট্রেশনের জন্য লাগে, এখন দেখি এটাই আমার নাম পড়ে গেছে। মন খুঁতখুঁত করতে থাকে। কিছু কইতেও পারিনা সইতেও পারিনা। কিন্তু দিন যেতে যেতে একসময় দেখি কবে যেন অভ্যাস হয়ে গেছে। সচল পাতা ছেড়ে এমনকি আড্ডাগুলোতেও সচল বন্ধুরা চেনা নাম ছেড়ে আশাদি বলেই ডাকছে আমিও দিব্যি সাড়া দিচ্ছি। কোথায় কিভাবে যেন জন্মান্তর ঘটে গেছে আমার।
যে পরিপার্শ্বিকতায় আমি বেড়ে উঠেছি সেখানে নারীর নিজের আলাদা পরিচয় তৈরি করবার তেমন কোনও তাগিদ দেয়া হতোনা। একজন মানুষের নিজের আলাদা পরিচয় তা সে যত ক্ষুদ্রই হোকনা কেন তার জীবনে কতটা মানে রাখে সেটা শেখা হয়ে ওঠেনি কখনও। তাই কাউকে তোল্লাই না দিয়ে কোথাও কেবলমাত্র নিজের শক্তিতে নিজের যোগ্যতায় কিছু একটা জায়গা করে নেয়া যে সম্ভব এটা জানাটাই আমার জন্য বিশাল একটা প্রাপ্তি। যে মানুষটা নিজের চোখে কেবল একজন এমনি মানুষই ছিল, সে আজ নিজের চোখেই আলাদা হয়ে গেছে। এইযে আত্মতৃপ্তি, এই আত্মপরিচয় পাবার সুযোগ, সেটা সচলায়তন ছিল বলেই পাওয়া হয়েছে। সচলায়তন নিজের প্রতি সৎ না হলে এই দারুণ ব্যাপারটা ঘটত না নিশ্চয়ই। এই জায়গাটা করে দিয়েছে বলে সচলের প্রতি, সচলের মানুষগুলোর প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।
প্রথম ব্লগিং করতে এসে বা নিদেনপক্ষে হাচল হবার পর অনেকেই একটা স্বাগত পোস্ট দেন। আমার দেয়া হয়নি। কিন্তু আজ চৈত্রের সতেরোয় সচলে এসে নিজের নামের পাশে অতিথি শব্দটা মুছে যেতে দেখে কেমন যেন অদ্ভুত ঠেকল। একবার মনে হল চিল্লিয়ে সব্বাইকে বলি, দেখো দেখো, আমি সচল হয়ে গেছি। কিন্তু সারাদিন কেটে গেলো কাউকেই বলা হলনা। সচলের প্রথম পোস্ট থেকে শুরু করে পুরো পথটা পাড়ি দিয়ে আসতে যে নামগুলো সাথী হয়ে গেছে, সারা দিনমান সেই নামের মিছিলের সবাইকে একে একে মনে পড়ে গেলো। এই নামগুলো শুধুই কয়েকটা অক্ষর অথচ এই কয়েকটা কালো কালো অক্ষরের পেছনের অজানা মানুষগুলো দুঃখে সুখে অসহায়তায় দুর্বলতায় আপদে অসুবিধেয় আপনার জনের চাইতেও বেশি হয়ে পাশে থেকেছে। সাহস দিয়েছে, উৎসাহ দিয়েছে, ভুল ধরিয়ে দিয়ে আরও ভালো করবার প্রেরণা দিয়েছে। এই অনন্য মানুষগুলোর ঋণ শোধ করবার ক্ষমতা আমার যে নেই সেটা স্বীকার করতে আজ একটুও লজ্জা লাগছে না।
শুনেছি অভিনেতা অভিনেত্রীরা এ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে যে যার বক্তব্য আগে থেকেই মুখস্ত করে আসে অথচ মঞ্চে দাঁড়িয়ে যেন অভিভূত হয়ে সব ভুলে গিয়েছে এমন একটা ভাব দেখায়। ইচ্ছে ছিল কোনও একদিন সচল হলে এই বলব সেই বলব। অথচ আজ লিখতে বসে ওদের মতই লাগছে নিজেকে। এতসব ভাবনার কিছুই মাথায় আসছেনা। অনেকেই অনেকবার মৃদু অনুযোগ করেছেন যে আমি ছোট পোস্ট দিই। আজ নিজের আশালতা হয়ে ওঠার গল্প জুড়ে বসে এইরকম বিশাল পোস্ট লিখেও খালি খালি লাগছে। মনে হচ্ছে এত কথা লিখলাম,তবু সচলের জন্য আমার মায়াটুকু বলতে পারলাম কই।
সচলের জন্য ভালোবাসাটুকু বোধ হয় কখনওই ঠিকঠাক বলতে পারা হয়ে উঠবে না আমার। কারণ সচল তো আমার কাছে শুধু কিছু অক্ষরে লেখা ব্লগ মাত্র নয়। সচলায়তন আমার আমিকে নতুন করে চিনে নেবার, নিজেকে নতুন করে ভালোবাসবার জায়গা।
এক অন্যরকম যাত্রার শুরু যে এখানেই...
মন্তব্য
তালিয়া
কিন্তু শুধু তালিয়া ? ব্যাস ?? কতদিন মুখ মিষ্টি করবার পোস্ট দেন্না বলেন তো ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কত কিছুই তো দিতে চাই, খালি সময়ই পাইনা। ১০ টর মতো লেখা আধা খ্যাচড়া হয়ে পড়ে আছে, শেষ করার সময় পাচ্ছিনা। দুই সপ্তাহ ধরে বনে বাদারে সেন্সর নিয়ে তেলের খনি খুঁজে বেড়াচ্ছি, বড়ই নাজুক অবস্থা
হাহা মোটে দশটা লেখা ? আমার যে প্রায় তিরিশখানা লেখা এতিম হয়ে পড়ে আছে ! আধখানা লেখার পরেই লেখাটার আর কোনও অর্থ খুঁজে পাইনা। পড়ে থাকে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমার মাথায় খালি আইডিয়া গিজগিজ করে, অন্তত গোটা পঞ্চাশেক লেখা মাথার মধ্যে লিখে মাথা থেকেই হারায়ে গিয়েছে, কারণ কষ্ট করে টাইপ আর করা হয় না! আর ছবি দিতে ভালো লাগে কিন্তু ফটো সাইজ করা মেলা সসময়ের কাজ। মুশকিল হলো চরম ব্যস্ত আর মুডেরও ঠিক ঠিকানা নাই। তাই কষ্ট করে আর পোস্ট দেয়া হয় না। লিখছি কিন্তু ঠিকই! সব আছে মাথার মদ্যি! তাপ্পর সেখান থেকেই হাপিশ!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এই লেখকের লেখা হাপিশ হওয়া চরম অন্যায়।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এক কথায় অসাধারন লিখেছেন আশাদি। সেই সাথে অভিনন্দন।
ধন্যবাদ ইশতিয়াক। আমি সাধারণই লিখি, আপনাদের কারো কারো কাছে কেন যেন অসাধারন হয়ে যায়।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
প্রথমে অভিনন্দন। সচল হওয়ার পর প্রথম পোষ্টের প্রথম মন্তব্য আমার।
একটু দেরী হয়ে গেলো যেন ! তবু ধন্যবাদ কুমার।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এই এত্তটুকুর জন্য ফার্স্ট হইতে পারলাম না।
দারুন লিখেছেন। একদম মনের কথা। নিজের পরিচয়!
ঠিক্কথা কিনা বলেন !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ভাল লাগল। তার চাইতে বড় কথা কি জানেন? আপনার আনন্দ আমাকেও ছুঁয়ে গেল!
প্রথম লেখা প্রকাশের অনুভূতিটুকু ভুলে গিয়েছিলাম, মনে করিয়ে দিলেন ফের।
সচলকে একটু অপরিচিত লাগছে ইদানীং, আপনি সেই পরিচিত সচলের একটুখানি পরশ দিলেন।
অনেকবার বলেছি, আবার বলি,
লিখিয়ে সবাই হয় না, কেউ কেউ হয়। তাঁরা যখন না লেখেন, সেটা অন্যায়।
সচলায়তনে সচলেরা অচল হতে পেরে তৃপ্ত থাকেন, অমন সচল আপনি না হোন সে শুভকামনা।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
অনেক অনেক ধন্যবাদ মর্ম। আসলে ধন্যবাদ শব্দটা অর্থ বোঝাতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই খুব খাটো পড়ে যায়। সেই প্রথম থেকে আপনার ফিডব্যাকগুলো কি ভীষণ রকম প্রেরণাদায়ক ছিল সেটা এই একটা অক্ষরে কিকরে বোঝাই ?
সচলেরা নানা কারণেই অচল হয়ে থাকেন। একটা সময় ঠিক করেছিলাম যেদিন সচল হয়ে যাব সেদিনই অনলাইন লেখালেখি বাদ দিয়ে ব্লগ ছেড়ে চলে যাব। তবে এখন জানি সচল হওয়া না হওয়াটা আমার লেখার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে না। কারণ আমি লিখি নিজের প্রাণ বাঁচাতে। তেমন তেমন ভাবের উদয় হলে আমার লেখা ঠেকায় এমন সাধ্য কার !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
মর্ম এর সাথে আমি একমত। আপনার এ আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।এই আনন্দটুকু ই আমাদের এখনও একটু হলেও মানুষ করে রাখে।মানুষ হয়ে বাঁচতে শেখায়।মানবিক হতে শেখায়, প্রতিযোগিতায় অবতীর্ন হতে শেখায় - কে কতটা বেশী মানবিক। আর মানবিক হয়ে ওঠা মানেই তো মানুষ হয়ে ওঠা, ভেতরের অমানুষটাকে পোষ মানিয়ে বন্দি করতে শেখা।
আনন্দ ভাগাভাগি করার। যখন কলেজ লাইফ ছোঁবছোঁব করছি, কোন গানের এলবাম কিনলে ফুল সাউন্ড দিয়ে আশেপাশের মানুষকে শোনাতাম।তারা বিরক্ত হতো কিনা ওঠা ওই বয়সে বিবেচ্য ছিল না। গানটা ভালো - ব্যাস - সবাই শুনুক।আজ হয়তো আনন্দ প্রকাশের মাত্রা কমেছে, ধরন বদলেছে.. এনিওয়ে কথাগুলো মনে পড়লো।
আপনার লেখার ধরন সুন্দর। আরো নিশ্চই পড়বো।
ভালো থাকা হোক।
cresida
পড়ার জন্য ধন্যবাদ ক্রেসিডা। [নামের বানান ঠিক আছে তো ? ইংরেজিতে নাম লিখলেই আমি বানান নিয়ে ধন্দে পড়ে যাই। এখানে আমরা সবাই বাংলায় লিখি, আপনি আলাদা হয়ে রয়েছেন কেন ? ]
আনন্দ অবশ্যই ভাগাভাগি করার জিনিষ তবে মাত্রাজ্ঞানটাও বড় জরুরী। আর সচলে আমরা সবাই শুধু আনন্দই নয়, দুঃখ সুখ রাগ ক্ষোভ উষ্মা উদ্বেগ সবই শেয়ার করি। এইজন্যেই তো এটা শুধুই ব্লগমাত্র নয়। একটা বৃহৎ পরিবারও বটে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
শুধু অভিনন্দন জানিয়ে গেলাম। তোমার পথ আরও সুন্দর হোক, অনেক সুন্দর। আর তোমার আবেগ যে ছুঁয়ে যাবে তা কি বলে দিতে হবে।
ডাকঘর | ছবিঘর
এত অভিনন্দন দিলে পরে খুশির চোটে বকে বকে সবার কানের পোকা নড়িয়ে দেবার সম্ভাবনা থাকে। সাবধান কিন্তু !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অভিনন্দন ঠাম্মি! আমিতো তোমার নাম আশালতাই ভেবে আসছি এত দিন!!
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
বোঝ ! এমন নাতি আমার নামটাই জানেনা, সামনে গেলে চিনতেও পারেনা ! কপাল আমার! [মাথায় করাঘাত এবং সুর করে বিলাপের ইমো ]
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বেশ কয়েকজনের সচল হবার অপেক্ষায় ছিলাম, সেখান থেকে একজনের নাম কমে গেল। ভীষণ খুশি হয়েছি লতাদি । অন্যদের টাও হয়তো শীঘ্রই শুনতে পাবো।
আপনি সম্ভবত মডারেশনে কখনো আটকা পড়েন নি, তাই আমরা যারা আটকা পড়ি তাদের সচলে যে কোন একটা লেখা প্রকাশ পাবার অনুভূতি একটু হলেও বেশি মুগ্ধতার- হয়তো মানবেন।
সচলায়তন ভিন্ন ধরণের একটা প্লাটফর্ম, আমার কাছে ঠিক ব্লগ মনে হয় না, পরিবারের মতো তো অবশ্যই এবং প্রকৃতপক্ষে অন্য আরো কিছু!
আন্তরিক অভিনন্দনের পাশাপাশি একটা পুরামো অনুরোধ- গল্প বা একটা উপন্যাস লেখায় যদি হাত দিতেন, আমরা ঢের জানি সোনা ফলবেই...........
_____________________
Give Her Freedom!
দেখেন দেখি কারবার ! এইমাত্র লক্ষ্য করলাম আমার নাম ফাঁকিবাজের তালিকায় উঠায় দিছে!!! এইডা কুনো কথা হৈলো!!!
হাহা, মৃত্যুময় ঈষৎ(ফাঁকিবাজ) নাম নাও।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
নারে ভাই মডারেশনে আটকাইনি তবু লেখা প্রকাশ হলে এখনও একই রকম আনন্দ হয়। কিন্তু কি জানো, মডারেশন ভারী ভালো জিনিষ। কাল যেমন এই লেখাটা পোস্ট দিতেই দুম করে নীড়পাতায় চলে এল, আরেকটু হলেই চমকে উঠে হার্ট এটাক হয়ে যাচ্ছিলো। এতদিন বড় নিশ্চিন্ত ছিলাম, লেখার মান নিয়ে ভাবনার কিছু নেই। যা খুশি লিখলেই হল, বাকিটুকু মডুরা সামলাবে। এখন সেই ব্যাপারটা নেই। এটা ভয়ের ব্যাপার না ? আমার তো মনে হয় এই ভয়েই অর্ধেক সচল লেখা ছেড়ে দেয় !
গল্প উপন্যাস লিখতে যে সাহস আর ধৈর্য লাগে আমার সেটা নেই এখনও। কখনও হলে চেষ্টা করব হয়ত। তবে সম্ভাবনা খুবই কম। অনেক আগে কিছুদিন চেষ্টা করে দেখেছিলাম। চরিত্রগুলো বড় যন্ত্রণা করে। ও আমার পোষায় না।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অভিনন্দন ! লেখা চালু থাকুক পূর্ণগতিতে!
facebook
ধন্যবাদ অণু ভাইটি। তোমার মত পূর্ণ গতিতে সচল থাকতে হলে তোমার থেকে ব্যাটারি ধার নেয়া লাগবে। আমার অত ধৈর্য নাই।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমি সেই আসমা খান, অটোয়া, আহা আজও সচল তো বহুত দূর অস্ত, হাচলও হতে পারলাম না। এমনিতেই আমি অসুস্থ, নিজেকে চেনার জন্যই লেখা, তবু কোন অজ্ঞাত কারনে আজও নিদেন পক্ষে কেন হাচল হতে পারলাম না, মাঝে মাঝে জানতে ইচ্ছে করে কিন্তু
।
আপনার সচল হবার জন্য অনেক অনেক খুশি হয়েছি, আন্তরিক অভিনন্দন জানবেন। নিজেকে চিনেন, এবং চেনান।
আপনার নিবন্ধিত একাউন্ট আছে বলে মনে হয়; অতিথি হিসেবে মন্তব্য করেন কেন? হাচল হওয়ার জন্য নিজের একাউন্ট ব্যবহার করা মনে হয় জরুরী।
ঠিক বুঝতে পারলাম না ব্যাপারটা। আমার মন্তব্য নীড়পাতায় দেখা গেছে বার কতক, কি করতে হয় , একাউন্টে 'প্রবেশ' করতে হবে? জানালে খুশি হবো।
হাচল/সচল হওয়ার জন্য আসলে কোন যাদু-নাম্বার নেই। আমার ধারণা ছিল আপনি হাচল। অন্তত আপনার ইন্ট্যারাকশন এবং বেশ কিছু লেখা থেকে আমার সেরকমই মনে হয়েছিল। এই মনে হওয়াটা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি অবশ্যই লগিন করে তারপর মন্তব্য করবেন। না হলে অতিথি আসমা যে আপনিই তার শক্ত কোন প্রমাণ থাকেনা। অন্য যে কেউই আপনার নামে মন্তব্য করতে পারে, তাই নয় কি?
অনেক ধন্যবাদ প্রকৃতিপ্রেমিক, বুঝিয়ে বলার জন্য। কিন্ত এখন আমি আপনার মন্তব্যর নীচে জবাবে ক্লিক করে লিখছি, একাউন্টে প্রবেশ করে আমি মনে হচ্ছে হারিয়ে গেলাম, পথ বলবেন কি?
আপনি তো একাউন্টে প্রবেশ করেছেন বলে মনে হচ্ছে না। একাউন্টে প্রবেশ করলে অনলাইন সদস্য-তালিকায় আপনার নাম দেখাবে।
এই পাতার উপরের দিকে "অতিথিদের জন্য" বলে একটা লিংক আছে। আগে দেখে না থাকলে একটু দেখেন। সেখানে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তরও পাবেন। আমি ধরে নিচ্ছি আপনি সচলে নিবন্ধন করেছেন এবং আপনার নিবন্ধিত একটি নিক আছে। ঠিক তো?
@আসমা খান
আপনাকে এই পোস্টে দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো ভীষণ।
সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অভিনন্দন...
মিষ্টি কই?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
থেঙ্কু।
মিষ্টি তো দোকানে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আরে আশালতা!!!!! অভিনন্দন, অভিনন্দন, অভিনন্দন!
নাও এক হাঁড়ি মিষ্টি দই আর একধামা খই।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আহা, মনটাই যে খারাপ হয়ে গেলো গো। পাজিচ্ছেলেগুলো নেই, একা একা কি করে খাই! তবে তোমায় ধন্যবাদ, অনেক অনেক।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অভিনন্দন
সচল পরিবারে স্বাগতম।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ।
পরিবারে জায়গা দিলেন, এখন তোষক বালিশের ব্যবস্থা করেন, একটা লম্বা ঘুম দেই।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কতদিন লাগলো তার পরিসংখ্যানটাও সাথে দিয়েন যাতে অন্যেরা হতাশ না হয়ে পড়ে
পরিসংখ্যান দিতে গেলে আশাহত হবার সম্ভাবনাই বেশি। অন্যেরা যেখানে দুটো তিনটে লেখা দিয়েই হাচল হয়ে যায় সেখানে আমার লেগেছিল এগারোটা। এদিকে হাচল হবার মেইলটাও পাইনি কেন যেন। পরে মুর্শেদ ভাই বলায় হাচল হবার কথা জানতে পেরেছিলাম। সেসময় মনে হয়েছিল হয়ত আমার লেখার মান ভালোনা বলে এতগুলো পোস্ট লেগেছে। তাইতে মুষড়ে পড়েছিলাম খানিক। এদিকে আবার অন্যদের নাকি গড়ে সাতাশটা লেখার পরেই সচল হবার চিঠি আসে; সেখানে তারসাথে আমার আরও গোটা দশেক জুড়বার পরও দেখি কোথাও টুঁ শব্দটি নেই। তাইতে আবার মনে হয়েছিল সেই একই কথা। পরে অবশ্য মুর্শেদ ভাই বললেন যে ব্যস্ততার জন্যে এইদিকগুলো মাঝে মধ্যে এরকম হতে পারে।
অবশ্য অন্যদের কমেন্ট মডারেশন থেকে মুক্তি পেতেও শুনেছি দীর্ঘদিন লাগে। এমনকি বছর ঘুরে যায়। সেখানে আমি দুমাসের মাথাতেই কমেন্ট মডারেশন থেকে ছাড়া পেয়ে গিয়েছিলাম আর সচলে লেখালেখি শুরু করার আমার এখনও বছর পেরোয়নি কাজেই দ্রুতই সচল হয়েছি বলতেই হয়।
আর একটা কথা না বল্লেই নয়। যেকোনো অসুবিধেয় সচলের মডারেশনে মেইল করে আমি কোনোদিন নিরাশ হইনি। এত ব্যস্ততার মাঝেও মডুরা এতটা হেল্পফুল হতে পারে আমার ধারণা ছিলোনা। উনাদের জন্য স্যালুট।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
(তালিয়া) অভিনন্দন
ধন্যবাদ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমি সচল হলে পরে প্রথমে হেলমেটটা খুলবো। তারপর হাতের কিবোর্ডটা গ্যালারির দিকে উঁচাইয়া ধরে বাতাসে দুই চাইরটা বাড়ি দিবো। তারপর মেঝেতে সিজদা সুরতে গুজা হয়ে চুমা খাবো। তারপর লুঙ্গি খুলে মাথায় বাঁধবো। তারপর গান ধরবো, 'রূপবানে নাচে কোমর দুলাইয়া...'
কিন্তু আপসুস, আমার এই জীবনে সচল হওয়া হবে না!
আপনে যদিও লেখায় 'কালো' অক্ষরের সুনাম করছেন, আর 'ধুসর' অক্ষরের প্রতি বর্ণবাদী আচরণ করছেন- তারপরেও প্রাণঢালা অভিনন্দন জানালাম। এইবার কিবোর্ডটা ঠাশ কৈরা টেবিলে বাড়ি দিয়া ভাঙেন। নাইলে সচলে লিখতে লিখতে ভাইঙালান।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এইভাবে যদি সেলিব্রেট করার প্ল্যান থাকে তাইলে আপনি কোনোদিন সচল হইয়েন না, আপ্নেরে পিলিজ লাগে। কল্পনা করতেই বিরাট ডর খাইলাম।
প্রাণঢালা অভিনন্দনের জবাবে ধন্যবাদ ছাড়া বেশি কিছু বললাম না। বল্লেই তো বলবেন লিস্টি কোথায় ! তাই খালি
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অভিনন্দন।
ধন্যবাদ নৈষাদদা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ছিলো অ্যাশলোটা দিদি, হয়ে গেলো বুড়োসুড়ো রংচঙ্গে ঠাম্মি। অভিনন্দন।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
দুটোয় খুব বেশি ফারাক নেই তো ভাই। বরং পরেরটা বেশি ভালো। ওতে ডেঁপোদের কান টানার সুবিধেটুকু পাওয়া যায়।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অভিনন্দন
কবে যে রুমাল থেকে বেড়াল হব
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
"ফেরা " ছাড়লে
কি বোর্ডের ছালবাকলা তুলে ফেলেন। বেড়াল তো বেড়াল, সিংহ সুদ্ধা হয়ে যেতে পারবেন। অভিনন্দনের জন্য
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কি-বোর্ডের ছাল-বাকল তুলতেছি আসলেই, থিসিস আর ম্যাটল্যাব কোডিং এর জন্যে। আগস্টটা যাইতে দেন।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
বোন,
তোমার শুরুর দিককার যে কটি লেখা পড়েছি, তখন থেকেই মনে মনে বুঝে গিয়েছিলাম তুমি সচল, লেজ খসে পড়া, সেটি শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। চমৎকার লাগলো তোমার গুছিয়ে লেখা আত্ম-সচলকাহন।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ইশশ্, লেজওলা বলে খোঁটা দিলেন রোমেল ভাই ! পাল্লেন আপনি !
আচ্ছা যান, তাও আপনাকে (গুড়) দিলাম।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
সচলাভিনন্দন!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
লেখায় আপনার কমেন্ট বিরাট জোর আনে সবসময়েই। ধন্যবাদ পান্ডবদা। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অভিনন্দন আশা'দি।
আপনার আরো অন্য নাম আছে বুঝি, কিন্তু এই নামটাই আপনার লেখার সাথে বড্ড মানায়।
ধন্যবাদ শাব্দিক। নতুন লেখা কই ? ফাঁকিবাজের লিস্টিতে চলে যাবেন যে !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হাচল / সচল না হওয়ার মজা তো এটাই, ফাঁকিবাজ হবার চান্স নাই
অভিনন্দন!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বাহ দারুন !! অভিনন্দন
ইয়ে মানে মিষ্টি নয়, মিষ্টি দই হলে আপত্তি ছিলোনা
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
বাহ্, দৈ খাওয়াবেন বুঝি ? বেশ বেশ, দৈ খেতে আমারও আপত্তি নেই।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অভিনন্দন। মিষ্টি চাই। চাই-ই চাই।
অপূর্ব সুন্দর আপনার লেখার হাত।
ধন্যবাদ সৈয়দ আখতারুজ্জামান। মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে মিষ্টি খাবার বায়না ! দাঁড়ান, আপনাদের জন্যে একখানা রেসিপি পোস্ট দিতে হবে দেখছি। যারা যারা মিষ্টি খেতে চাইবে, বানিয়ে খাবে। আমি বুড়ো মানুষ, তায় দরিদ্র, এত মিষ্টি কই পাবো ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অভিনন্দন।
আপনার লেখা মিস দেই না। ইদানীং সময় কমে গেছে, তাই অনেক সময় মন্তব্য করা হয় না। সচল থাকুন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম ভাই। আপনারা সবাই এইভাবে পাশে না থাকলে এতদুর আসা হতোনা কোনোদিনই।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অভিনন্দন।
এই লেখাটা অনেক সুন্দর হয়েছে। সচলে একদম প্রথম দিকে করা লেখাগুলোর কথা মনে পড়ে গেলো। খুব সম্ভব কীর্তিনাশা বা দিগন্ত'দা বা তানবীরা আপার কেউ করেছিলেন আমার লেখায় প্রথম মন্তব্য। তখন পাঠক সংখ্যা অনেক অল্প ছিলো, কিন্তু জমজমাট ছিলো প্রতিটা দিনের নীড়পাতা। এখন অনেকেই লেখে না
আপনার মন্তব্যটা খুব ভালো লাগলো। লেখার মাঝে সততা খুব চমৎকার একটা জিনিষ। আপনার লেখার এই দিকটা আমায় বরাবর মুগ্ধ করে। পুরনো সচলেরা লিখলে আমার নিজেরও কি যে ভালো লাগে। আহা, উনারা যদি বুঝতেন !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অনেক অনেক অভিনন্দন আপনাকে।
আপনার লেখা আমার মন ছুঁয়ে গেল।
অনেক কিছুই আপনার সাথে মিলে গেল।
আর সত্যিই প্রতিটি মন্তব্য যে কিভাবে অনুপ্রাণিত করে সেটা বলে বোঝাতে পারব না।
আপনি খুব ভাল থাকুন।
নতুন নাম নিয়ে এই নতুন দুনিয়ায় নিজেকে আবিষ্কার করে চলুন নিয়ত।
ধন্যবাদ প্রদীপ্ত। আপনাকেও অভিনন্দন হাচল হবার জন্য। সামনে আপনার অনেকটা পথ। সেটা মসৃণ হোক শুভকামনা রইল।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অভিনন্দন
হবেনা হবেনা, নতুন ইমো কই ? ইমোসম্রাটের এই কিপ্টেমির জন্য ধন্যবাদসহ তেব্র পেতিবাদ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
:-DX
নীরব কেন কবি ??
আচ্ছা যান, (গুড়) দিলাম। চায়ে দিয়ে খেয়েন।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অভিনন্দন ঠাকুমা !
নিজের এমনই নাম বেছে নিয়েছেন যে শুনে মনে হয়
কে যেন জানালার খড়খড়িটা আলতো করে তুলে
চোখে দুরবীন লাগিয়ে তাকিয়ে আছে।
খই-মিষ্টির বায়না দিয়ে রাখলুম।
পরিচয় সম্বাদ কিছু হলনা, ঠাকমা ডাকছে, এটা কে র্যা ? আর অত খই মিষ্টির বায়নাই বা কেন বাপু ? ওসব হাইড্রোজ দেয়া মিষ্টি ফিস্টি খেতে নেই বাপু, দাঁতে পোকা অম্লশূল হয়। মুড়ি খাও।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আচ্ছা। ঠাকমার আদেশ বলে কথা !
এত হুড়োহুড়ির মাঝে আমি একজন প্রৌঢ় দূর্বল মানুষ মোটে সুযোগই পাচ্ছিলাম না। যাক, ঠেলাঠেলি একটু কমেছে। এইবেলা ভালোলাগা ও অভিনন্দন দুটোই জানিয়ে রাখি।
সুস্থ থাকুন, আনন্দে থাকুন।
অনেক অনেক ভালো লাগা জানবেন। এই বয়েসে আসলেই সুস্থ আর আনন্দে থাকাটাই বেশি দরকার। ভালো বলেছেন।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অভিনন্দন
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ধন্যবাদ নজমুল ভাই। আপনি মহা ব্যস্ত মানুষ জানি, সময় নিয়ে আমার লেখা পড়ছেন, মন্তব্য করছেন দেখে ভারী ভালো লাগলো।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমার বিষয়ে আপনারে এতোবড় ভুল ধারণা দিছে কোন ষড়যন্ত্রকারীয়ে? নামটা বলেন, হাড্ডিমুড্ডি গুড়া করে দেবোনে। সম্ভবত নজ্রুলিস্লামে, তাই না।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
এহে, তথ্যটা ভুল বুঝি ?! আচ্ছা যান, খবরীকে বকা দিয়ে দেব নাহয়, আপনি রাগ কইরেন্না। জানেন তো, রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। তবে খামখা বেচারা নজু ভাইকে ধরেন ক্যান ? আমার আরও সোর্স তো থাকতেই পারে ! কি বলেন !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অভিনন্দন। নিজেকে উজাড় করে দিয়ে লিখে যান।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
ধন্যবাদ সুমাদ্রী। চেষ্টা তো করি ভাই, কতটা পারছি সে আপনারাই ভালো বলতে পারবেন।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপনি সচল ছিলেন না, এটা একেবারেই চোখে পড়েনি তো!
সচলত্বে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। লেখাটা খুব খুব ভালো লাগলো, আশালতা দেবী!
যে জীবন কেবল দিতে শিখেছে, সেরকম জীবন আপনার।
আর আমি স্বাথর্পরের মতো শুধু চাই আর চাই। কতোকিছু যে চাই আমার...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এইই তো সমিস্যা। মডুরাও বোধ হয় খেয়াল করেনি। আরেকটু আগে খেয়াল করলে কত ভালো হত !
লেখা ভালো লাগবার জন্যে কৃতজ্ঞতা। আপনার এত সুনাম শুনেছি যে অনেক ইচ্ছে ছিল আপনার সাথে আলাপ করবার। আলাপ করতে গিয়ে গণ্ডগোল পাকিয়ে ফেলে মনে মনে মিইয়ে ছিলাম। এখানে আপনাকে দেখে জানে পানি এল।
জীবন থেকে আমার এতকিছু পাওয়া হয়ে গেছে যে এখন আর তীব্রভাবে চাইবার তেমন কিছু খুঁজে পাইনা। তবে অন্যদের পেতে দেখতে ভালো লাগে। আপনার জীবন আনন্দময় হোক।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমার! সুনাম!!
নিঘঘাত গুলাইসেন কারো লগে।
মিইয়ে যাবার মতো তো কিছূ ঘটেনি, দিদি। রিল্যাক্স।
ওহ, আরেকটা কথা বলতে ভুলে গেছি।
আপনি যখনি বলছেন "চৈত্রের সতেরোয়", বেশ রোম্যান্টিক একটা ব্যাপার ঘটে যাচ্ছে আমার মধ্যে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
গুলাইনি রে ভাই। বহুদিন থেকেই শুনে আসছি সুপাশি এই সুপাশি সেই। বড় লোভ হয়েছিল আপনাকে জানবার। পোস্টে আপনার নাম দেখেই লাফিয়ে উঠেছি তাই।
চৈত্রের সতেরো কথাটা ইচ্ছে করেই ব্যাবহার করেছি। একত্রিশে মার্চ শুনতে বিচ্ছিরি লাগছিলো নিজের কাছেই। বাঙ্গালী হয়ে মাঝে মাঝে ভীষণ ভালো লাগে। কি চমৎকার কিছু জিনিষ আছে আমাদের। নয় ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হুম।
প্রখর রোদের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস
তোমার চোখে দেখেছিলেম...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমিতো জানতাম
'প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা সেদিন চৈত্র মাস
তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।'
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হাহাহা
আপনার জানাটাই সত্যি।
আমার জানা কবিতার লাইনগুলো আমি নিজের সুবিধামতো একটু পাল্টেপুল্টে নিয়ে মনে রাখি।
কাজেই আমার জানাজানিটা সবসময় সঠিক নয় গো, দিদি।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ইশ! ক্যাওয়াজটা লাগতে লাগতেও লাগে না!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বেটিদের ক্যাওয়াজরে আরো একটা কি জানি কয়, জানস সেইটা? @ধুগো
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
হে হে হে শকুনের দোয়ায় গরু মরেনা হে ভাইসকল
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
সেইটাই।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
অপু ভাই বাউল মানুষ, বড়ই ভালু লুক। তেনারে আপনেরা শকুন কৈলেন? পাল্লেন এইটা?
অপু ভাই আপনেরে এই দুইজন শকুনি মামা ডাকছে। দেইখ্যা যান।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ্যাঁ হ্যাঁ, নজমুল ভাই আসেন, ধুগোদা কারে কারে যেন গরু কয়। এইটা মানহানির মোকদ্দমা তবিলতছ্রুপ ২৪ লম্বর। ধারা ১৬৪। আপনি সাক্ষী।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কারে গরু ডাকছসরে ধুগো??? প্রুষ গরু না পিমেইল গরু ইগুলা?
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
বুঝলাম, আপ্নেরা মাসতুতো ভাই।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অভিনন্দন, আশালতা
ধন্যবাদ সুমিমা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এ যাঃ! আপনারও 'অতিথি' লেজ খসে গেছে! আয়হায়! সচলায়তন তাইলে আবারও আরেকজন লিখিয়েকে শীতনিদ্রায় পাঠানোর কালিমায় কালিত হলো?! নাআআআআআআআ! <এইখানে প্রতিধ্বনি হবে, আর বাংলা ছিঃনেমার মতন সচলদের হাতের উল্টাপিঠ কপালে ঠেকানো থাকবে>
লিখতে থাকেন মিয়া, ছাইড়েন না জানি! পোস্টের সাথে সাথে সময় না পেলেও পরে এসে মন দিয়ে পড়ে যাই আপনার লেখা। ভালো লাগে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হা হা হা
আরে দূর, ভেবেছিলাম সচল হলে না জানি কি এক হাতী ঘোড়া হয়ে যায়। কচু। আলাদা কিছুই টেশ পাচ্ছিনা। কাজেই তেড়ে ভাবের উদয় হলেই ব্লগরব্লগর শুরু হয়ে যাবে। আর ঐযে বল্লা 'ভালো লাগে'- এই কথাটা শুনবার লোভ তো মরেনি এখনও।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আসলেই কোন পার্থক্য নাই। আমি অন্তত টের পাই নাই। আগে নাকি লেখা এডিটের ক্ষমতা ছিলো না, বানানপ্রমাদ বা টাইপো ঠিক করা যেত না। এখন তো সেটাও হাচলেরা পান সম্ভবত, তবে মনে হয় মডারেশন ঘুরে আসে পোস্টটা আরেকবার। এটা আসলে একরকমের সম্মান। সচলায়তন, এর আদর্শ, লেখক-পাঠক সমাবেশ ভালোবাসার, আর লেখার প্রতি একাগ্রতা থাকাটাকেই সম্মান জানিয়ে দেয়া একটা টাইটেলের মতন।
কিন্তু কমেন্ট করলেই পটাপট হয়ে যায়, এইটা অবশ্যই মজার!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আসলেই। কিন্তু কমেন্ট মডারেশন আমি প্রায় দেড় মাসের মাথাতেই পার হয়ে গিয়েছিলাম। তখন থেকেই পটাপট কমেন্ট পোস্ট হত। এত দ্রুত নাকি কেউ ছাড় পায়না। আমি অবশ্য জানতাম না বলে খুব স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছিলাম। পরে শুনি এক বিরল সুবিধা নাকি পেয়ে গেছি অস্বাভাবিক দ্রুততায়।
কিন্তু তোমার কথাই ঠিক। মডারেশনের নিশ্চিন্তি না থাকাটা বেশ ভাবনার বিষয়। অন্যরকম এক দায়িত্ব বোধ তৈরি করে দেয়। ভাল্লাগেনা ছাই।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমি যেদিন কমেন্ট মডারেশনে ছাড় পেয়েছিলাম, ভেবেছিলাম সচলায়তনের সিস্টেমে বড় ধরনের গোলমাল হয়ে গেছে কিছু!
অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেছিলাম একজনকে বলবো বলে...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমার কমেন্টগুলো তো পটাপট পোস্ট হওয়া যেদিন থেকে শুরু হলো আমি ভাবলাম যে ওটা অস্বাভাবিক দ্রুত মডারেশনের ফল, কাজের একাগ্রতা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম, ছাড় পেয়েছি তাতো এখন পর্যন্ত জানিনা !!!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপনার নিকটা তো দারুণ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
দিদি,
অনেক দিন পর সচলে বসেই তোমার লেখা পেলাম। খুব ভাল লাগল।
কেমন আছ দি?
ইশ কত্তদিন পর জয়ন্তী ! দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো খুব।
কেমন আছি সে তো পোস্টই বলে দিচ্ছে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অভিনন্দন ।
আপনার লেখার মধ্যে কোথায় যেন একটা আপন আপন সুর আছে । আমার প্রথম থেকেই খুব ভাল লেগেছে। আশালতা নামটা আপনি হুট করে নিলেও মানিয়ে গেছে চমৎকারভাবে, এটাই হয়ত স্বাভাবিক, মানুষ না ভেবে কিছু করলেও মনের গভীরের একটা ছাপ তো থেকেই যায়। অনেক অনেক ভাল থাকুন। আর এরকম চমৎকার সব পোস্ট দিতে থাকুন ।
মিষ্টি মেয়ের মিষ্টি কমেন্টে (গুড়) দিলাম।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অনেক অভিনন্দন আশাদি, নতুন একটা জগৎ খুজে পাবার জন্য ।
থ্যাঙ্কিউ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপনার লেখায় আন্তরিকতা ও যত্নের স্পষ্ট একটা ছাপ থাকে; আর থাকে আপন করে নেওয়া সহজ সুরের কথা। লেখার ধারবাহিকতাটুকু বজায় থাকুক - এটাই প্রত্যাশা।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
যাক সমিস্যা গেছে। সত্যি বলতে কি আপনার নিকের পেছনে লেজটা শুরু থেকেই বেমানান লাগতো।
আপনার প্রথম কটা লেখা পড়ে আমি ভাবতে বসেছিলাম আপনি আমার শহরের চেনা একজন, ভাগ্যিস জিজ্ঞেস করিনি আপনিই সে কিনা
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আহারে, আপনাকে কেউ মডু বানায় নাই ক্যান বলেন্ত !!
এই এক আচানক ব্যাপার বুঝলেন, আমাকে অনেকেরই 'প্রায় চেনা চেনা' লাগে কেন জানি। আরেকজন সেদিন বললেন, যে উনি প্রায় নিশ্চিত ছিলেন যে আমি উনার পাশের বাসায় নাকি থাকতাম !
আজকে আবার আপনারও এমন লাগছে। তবে কি জানেন, আপনার সাথে পরিচয়ের একটা ক্ষীণ সম্ভাবনা থাকলেও থাকতে পারে। কেম্নে ?
আপনি তো চাঁটগার মানুষ। ক্লাস টুতে থাকতে একবার চাঁটগা মামার বাসায় গেছলাম। সেখানকার বাড়িঅলার ছেলেটা সারাদিন ছাতের ঘরে ঠায় বসে থাকত আমার জন্যে। জ্বি না জনাব, হৃদয় ঘটিত কোনও বিষয় না। ছাতের কার্নিশে পাকা পাকা বিলিম্বি ডালসমেত এসে পড়ে থাকত। সেই ছেলের ধারণা হয়েছিল তাদের সাধের বিলিম্বি নাকি আমি সব পেড়ে খেয়ে ফেলব, পাহারা দিত বসে বসে। একদিন এমন রাগ লাগলো। ওর বাবাকে গিয়ে অতি মিহি স্বরে বললাম, আঙ্কেল আমি কয়েকটা ফল নিই ? ওর বাবা গলে গিয়ে লোক দিয়ে এক ঝুড়ি ফল পাড়িয়ে দিয়ে পাঠালেন। সেই থেকে সেই ছেলে আমার জানি দুশমন হয়ে গেছল। আপনি সেইইই জন না তো ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হাহাহা, দারুণ মজার কাহিনী তো!
এবার অবশ্য নিশ্চিত আপনার সাথে কস্মিনকালেও দেখা হয়নি।
তবে আপনার গল্প শুনে নিজের একটা গল্প মনে পড়ে গেল। তখন ইন্টারে পড়ি। আমরা দোতলায় বাড়িওয়ালা একতলা। বাসার সামনে বড় সড় এক বারান্দা ওটা পাশ কাটিয়ে ছাদে যাবার পথ। আমি যতক্ষণ বাসায় থাকতাম বাড়িওয়ালার সমবয়সী মেয়েটা প্রায়ই এসে আমাদের বারান্দার পথটাতে দাড়িয়ে থাকতো। পাড়ার বন্ধুরা ভেবে বসলো মেয়েটা আমার প্রেমে পড়েছে।
আসল ঘটনা হলো ওদের পেয়ারা গাছটা বেড়ে আমাদের বারান্দার সামনে ডালপালা দিয়ে এমন লোভনীয়ভাবে পেয়ারাগুলো বাড়িয়ে রেখেছিল যে মেয়েটার ধারণা হয়েছিল, ফলগুলো আমি হাপিস করে দেবো, তাই আমি যতক্ষণ বাসায় থাকতাম বারান্দায় টহল দিত।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
খালি পাড়ার বন্ধুরাই ভেবে বসেছিল ? আর কুনো ঘটনা নাই ? আপনি শিওর ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হ ঘটনা তো আছেই। বিস্তারিত ঘটনা নিয়ে ছোট্ট একটা পুষ্ট আসিতেছে শীগগির
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
সচলাভিনন্দন!
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অভিনন্দন!!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপনি তো তাও দেরিতে হলেও হলেন। আমার তো লেখাই হয়ে উঠে না। কতকিছু মাথায় ঘুরে বেরায় কিন্তু কেন যেন তাকে লিখিত ভাবে বন্দি করা হয়ে উঠে না। এমনকি এখনো মন্তব্যর মডারেশনও পার হতে পারিনি লগ-ইন করে না দেয়ার কারনেই বোধহয়। লগ-ইন সমস্যায় পড়েছি, মডুদের যে একটু জ্বালাবো মেইল করে, কেন যেন তাতেও আলসেমি লাগে।
আপনার লেখাগুলো পড়ছি অনেকদিন থেকেই। আপনার লেখার ধরনটা অনেক সহজ। কোথাও আটকাতে হয়না, বুঝার জন্য দেরি করতে হয়না। আর অনেক গুছানো।
সচলত্বের অভিনন্দন।
আলসেমি, অস্থিরতা এইসব সমস্যা কমবেশি প্রায় সবারই থাকে। তার মাঝেও লেখা হয় তাদেরই, যাদের লিখতে সত্যিই ভালো লাগে। কাজেই লেখালেখিটাকে ভালো না বাসলে লিখিয়ে হওয়া কঠিন। হেঁইয়ো বলে শুরু করে দিন, দেখবেন হয়েই গেছে।
লেখা ভালো লাগায় কৃতজ্ঞতা। অভিনন্দনে ধন্যবাদ।
[ ইয়ে, আপনার নিকটা ইমুন ক্যান ? ]
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমার বোধহয় কথক বা স্টোরিটেলার হওয়ার কথা ছিল। লিখতেই আমার যত আলসেমি। আর নিকটা ব্যক্তি আমার সাথে যায় বেশ। আগে ছিলাম পাঁঠা, এখন হয়তো বা খাসী। এই যা পার্থক্য।
আশাদি সবাই সব কিছু কয়া ফেলছে, কিন্তু আসল্টাই বাকি আছে এখনো। খাওয়া কো?
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
এহ, তিনমাস সাতদিন পর এসে বাসি পোলাও চাইলে হবে ? এখন (গুড়) দিয়ে মুড়ি খাও।
এইরকম
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এইটা একটা কথা বললেন আশাদি ? অন্তত নাড়ু নয়তো মোয়া নয়তো সন্দেশ কিছু একটাতো বানায়া দেন।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
নতুন মন্তব্য করুন