জগতের কিছু মানুষ আছে যারা বেজায় চটপটে বুদ্ধিমান। ভালো বাংলায় যাদের বলে প্রত্যুৎপন্নমতি। এরা হল নেহাত পচা মানুষ। এদের জন্যেই তো আমরা যারা অন্য দলটায় পড়ি তারা দেখে দেখে কিছু শিখতে পাইনা। এরা কিনা কোথাও আটকায়না, তরতরিয়ে এগিয়ে যায়। এরা ঠিক জায়গায় ঠিক কথা বলে, ঠিক কাজ করে, এমনকি ঠিক সময়ে হাজির হয়ে যেকোনো কাজ ঠিকঠাক উতরে দেয়। অথচ যত রাজ্যের মুশকিলে পড়ি আমরা; মানে আরও ভালো করে বললে, আমি।
আমার সব কাজেই কিকরে কিকরে যেন গিট্টু লেগে যায়। সাড়ে সতেরোটা ঝামেলা না পেরিয়ে কাজ শেষ করা আমার ঠিকুজিতে নেই। আমি রাস্তায় বেরিয়ে আবিস্কার করি সেদিন রিক্সা নয় সিএনজির ধর্মঘট; বাসে চড়লে টায়ার পাংচার হয়ে যায়; গাড়ি নিয়ে বেরোলে হুদাই ট্রাফিক পুলিশের মামলা খাই। এক একটা দিন তো যেন শহর সুদ্ধা লোক আমায় জব্দ করতে পেছু লেগে যায়। কেনাকাটা করব বলে নানান কসরত করে বিস্তর জ্যামট্যাম পেরিয়ে হয়ত মার্কেটে পৌঁছবার পর দেখব মার্কেট কা মার্কেট বন্ধ। নাকি সেটা মঙ্গলবার, ছুটির দিন। এদিকে আমি যে রবিবার দেখে বেরোলাম সেটা যেন কিছু নয়।
এইতো সেদিন ক্লাসে বেরোবার আগেই মায়ের বাণী নাজিল হল, আজ তোমার শরীর খারাপ; একদম চা কফি খাবেনা কিন্তু। মাথা হেলিয়ে ‘আচ্ছা’ বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েই ঢুকলাম কফির দোকানে। টাকাপয়সা দিয়ে মেমো হাতে নিতেই দুমপটাশ করে কারেন্ট গেল চলে। দোকানি কফিমেশিন থেকে হাত সরিয়ে বিস্তৃত ক্লোজআপ হাসি দিয়ে বলল, আপা অন্য কিছু নিলে ন্যান, কফি দেওয়া যাবেনা। কি আর করা। কপালের সাথে মারামারিতে কে আর কবে জিতেছে ভেবে বিরস বদনে খালি হাতেই বেরোতে হল ।
এতসব দুঃখে দুঃখিত হয়ে একদিন মনে হল, দুচ্ছাই, থাকবই না আর এই ছাতার শহরে। বেড়াতে যাব বলে বোঁচকা গুছিয়ে বাসে চেপে চললাম শহর ছেড়ে দূরে । বাস যায় যায় যায়। নদী নালা খাল বিল পেরিয়ে যেতে যেতে যেতে দপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে এল। চারপাশের লোকজন সবাই চুপচাপ ঝিমুচ্ছে। কিন্তু পাশের ভদ্রমহিলা খালি উসখুস করছেন। শেষটায় অসুবিধের কথাটা কানে কানে বলেই ফেললেন। আর কিছুনা, প্রকৃতি কুডাক ডেকেছে । এম্নিতে স্বাভাবিক অবস্থায় এই ডাকাডাকি খুবই স্বাস্থ্যকর বিষয় হলেও অজায়গায় ডেকে বসলে সেটা কুডাকই মনে হয় আমার কাছে । এই যেমন এখন। ভদ্রমহিলা বয়স্ক মানুষ, লজ্জার মাথা খেয়ে কাউকে কিছু বলতেও পারছেন না, পড়েছেন মহা বিপদে।
আমাদের কালচারে ছেলেরা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে যেতেই পারে। এমনকি খুব প্রয়োজনে বাসুচাচার মত বসেও যেতে পারে। বাসুচাচা সেবার ধ্যাদ্ধেড়ে গোবিন্দপুরের ঝোপঝাড়বিহীন বিস্তৃত সমতলভূমিতে কোথাও টয়লেট খুঁজে না পেয়ে শেষমেশ ছাতার আড়ালে কর্মটি সাবড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু মেয়েদের বেলায় নিয়মটা একটু নাজুক। একে তো রাস্তাঘাটে সুবিধেমত টয়লেটের ব্যাবস্থা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর তায় মেয়েরা যে আদৌ এইসব কাজ করে এইকথাটাই খুব সাহসী ছাড়া যেকোনো মেয়েরই জনসমক্ষে স্বীকার করাটাই বেশ ইয়ে। সেই গোবিন্দপুরে অমন রাশভারী মানি লোকটির দুর্দশা দেখে আমরা মেয়েরা ভাবনা চিন্তায় আতঙ্কিত হয়ে উঠলেও সারাদিন দাঁতে দাঁত চেপে বসেই রইলাম কিন্তু শেষপর্যন্ত সন্তাপহারিণী সেই কালো ছাতার আশ্রয় নেবার মত নির্লজ্জ হয়ে উঠতে আর পারলাম না কিছুতেই । মেয়েদের লজ্জার এই মাত্রা যে কতদূর পর্যন্ত ভয়াবহ হতে পারে তার একটা নমুনা দেখেছিলাম আরেকবার।
সেবার যাচ্ছিলাম ঠাকুরগাঁয় কি একটা কাজে। ছোট শহরগুলোর বাসগুলো যেমন হয়, ভিড়ে ভিড়াক্কার। একটা সময় লোকজনের চাপাচাপিতে নিজের হাতপাও আর নিজের কাছে নেই মনে হতে লাগলো। লোকজনের অবশ্য ভিড়ভাট্টা নিয়ে তেমন কোন মাথাব্যাথা নেই। বাসটা যে চার চাকায় চলছে এতেই তারা খুশি। এর মাঝেই হটাত ইয়ের চেনা গন্ধ নাকে এসে লাগলো। ছোট কোন বাচ্চা এ্যা করে দিয়েছে ভেবে মাথা ঘুরিয়ে এদিকে ওদিকে তাকিয়ে লোকজনের জামাকাপড়ের দেয়াল ছাড়া আর কিছু চোখে পড়ল না । বিকট গন্ধ নাকের মাথায় নিয়েই শহর পৌঁছতে হল। দেখা গেল ডিপোতে পৌঁছে সব যাত্রী নেমে গেলেও একজন মহিলা কিছুতেই নামছেন না। বসে বসে ফোঁপাচ্ছেন। ধরে দাঁড় করানোর পর দেখি পায়ে জুতোয় হলদে ময়লা মেখে আছে। বেচারা প্রয়োজনের কথাটা লজ্জায় পড়ে কাউকে বলতে পারেনি কিন্তু শেষে সামলাতে না পেরে এই বিপদে পড়েছে। সেদিনের চারপাশের হো হো হাসির মাঝে অসহায় মুখটা দেখে কি যে মায়া লেগেছিল। সেই অভিজ্ঞতার পর তাই সহযাত্রী ভদ্রমহিলার সাহায্যের আবেদনে ব্যস্ত না হয়ে আর পারলাম না।
কিন্তু বিপন্ন সহযাত্রীর উপকার করতে যত ব্যস্তই হই এখন এক গাড়ি লোকের সামনে তো আর বড় গলায় ‘টয়লেটে যাব’ বলা যায়না। মান সম্মানের ব্যাপার। যেখানে বসে আছি সেখান থেকে সুপারভাইজার কে ডাকতে গেলেও গলা ওঠাতে হয়, তাতে অন্যদের ঘুম ভেঙ্গে যাবে এবং অবধারিতভাবে তারা উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করবে জরুরী ভিত্তিতে ইয়ে করার কার এত প্রয়োজন পড়ল। সেও তো ভারী বিব্রতকর ব্যাপার হবে। সাতপাঁচ ভেবে অন্যদের বুঝতে না দেবার জন্যে গাড়ির লোকজনকে তাই আর চেঁচিয়ে ডাকলাম না। চলন্ত গাড়িতেই টাল সামলে সামলে সামনের দিকে বসে থাকা সুপারভাইজার ভদ্রলোকের কাছে গিয়ে মোলায়েম গলায় অতি বিনয়ের সাথে বললাম, ভাই, গাড়িটা কি দুমিনিটের জন্য কোথাও থামানো যাবে ?
ভদ্রলোক দেখি খুবই করিৎকর্মা মানুষ। এটুকু বলতেই যেন সব বুঝে নিয়েছেন এমন ভাবে মাথা ঝাঁকিয়ে হাত তুলে অভয়মুদ্রা দেখালেন। তারপরই তড়াক করে লাফিয়ে উঠে বাসের দরজায় দমাদ্দম থাবাতে থাবাতে দুনিয়াসুদ্ধ লোকের ঘুম ভাঙ্গিয়ে বিকট ষেঁড়ো গলায় চেঁচাতে লাগলেন, এইই এইই...গাড়ি রোক্কেএএ...লেডিস্ মুত্বে !!!
আচমকা বিকটাকারের সাংস্কৃতিক আক্রমনে যা হয় আরকি। চারপাশের খ্যাক খ্যাক খুক খুক হাসির তোড়ে ভড়কে গিয়ে যুতসই উত্তর টুত্তর কিছু খুঁজেই পেলাম না। কি বলে এই মাথামোটা লোকটাকে উচিতমত শিক্ষা দেয়া যায় সেটা ভেবে বের করার আগেই বাসটা ঘ্যাঁচ করে থেমে গেল আর দরজার কাছ থেকে হেঁড়ে গলায় তাড়া এল, কই নামেন নামেন ম্যাডাম, মুতবেন্না ?!
_____________________
নির্ঝঞ্ঝাটে কোন কাজ শেষ করা কপালে নেই আমার, বলেছিলাম না ?
মন্তব্য
কি জানো ঠাম্মি, আমি এই বিষয় নিয়ে কিছু লিখবো ভাবছিলাম, কিন্তু লোকে কি ভাববে তাই সাহস করে লিখে উঠতে পারি নি। খুব প্রয়োজনীয় লেখা।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
আমি আসলে বিষয় সিলেক্ট করে লিখতে পারিনা বুঝলে। নিজের লেখা কন্ট্রোলও করতে পারিনা খুব একটা। কলমের মাথায় গরগরিয়ে যা আসে তাইই সই টাইপ। এজন্যেই আমার লেখাগুলো প্রায়ই টানেলের মত হয়ে যায়। মানে একদিকে শুরু হয়ে আরেকদিক দিয়ে শেষ হয়। এই লেখাটা নিয়ে একটু অস্বস্তি ছিল আমার নিজেরও। একজন সহসচলকে অনুরোধও করেছিলাম পড়ে কমেন্ট করতে। তা সে এমন তোল্লাই দিলে যে লাফিয়ে উঠে মনে হোল, তাইত, পোস্ট করেই নাহয় পাঠক প্রতিক্রিয়া দেখা যাক। পাঠকেরা গালি দিলে সেটা নেয়াও তো শিখতে হবে। যদিও সত্যিই গালি দিলে কতটা নিতে পারব সেটা নিয়ে নিজেরই ঘোরতর সন্দেহ রয়েছে এখনও।
তা তোমার দেখি ভাবতে ভাবতেই দিন চলে যায়। এই নিয়ে একখানা ঝাকানাকা শোন নাহয়
http://www.youtube.com/watch?v=Se37GUVFqKk
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কত্তদিন পরে লিখলেন সে খেয়াল আছে? লেখা পড়ে হাসিও পেল, দুঃখও পেল। বাংলাদেশে এই রাস্তাঘাট বা মাঝে মাঝে অফিস আদালতেও মেয়েদের যে এটা কী যন্ত্রণা। বাইরে আসা অবধি এই জিনিসটা এনজয় করি। দেশে থাকতে কোথাও বেড়াতে গেলে আগে বাসা থেকে ভালোমত কাজ সেরে যেতাম, মায় আমি থেকে আব্বু। রাস্তার পাশে এইভাবে যেখানে সেখানে বসে পড়া তারও পছন্দ না। কিন্তু এখন মন চাইলেই বাইরে রেস্টুরেন্টে খেতে খেতে প্ল্যান করে বের হয়ে পড়তে পারি। দরকার হলেই গ্যাস স্টেশন তো আছেই, আর সেগুলো মোটামুটি পরিস্কারও থাকে।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
আহারে এইরকম সুখ আমার দেশে কবে নাজানি হবে !
অনেকদিন পর লিখলাম আসলেই। আগে রোজদিন নিজের খাতাটায় কিছু না কিছু না লিখলে ঘুমই আসত না। অথচ সেটায় এখন ধুলো জমছে । আসলে নানান ঝামেলায় থাকি আজকাল। মেজাজের ঠিকঠিকানা থাকেনা। লেখালেখি শিকেয় উঠেছে । আমি নিজেই চাই লিখতে। তাহলে আর কিছু না হোক অন্তত নিজেকে খুঁজে পাওয়া যায়। হয়না যখন তখন বুঝি আমি আসলেই অনেক খারাপ আছি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ভাল্লাসে পড়ে
থেঙ্কু আমারও জেনে ভাল্লালো।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপু
হাসব না কাঁদবো- বুঝতে পারছি না--
পথিক পরাণ
আরে আরে কাঁদবেন কেন খামখা ! হাসুন হাসুন! কি আছে জেবনে
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এই লেডিস মুতবে" ঘটনাটা আবার?!! সেই কুট্টিকালে স্বচক্ষে দেখা ঘটনার সাথে এভাবে হুবুহু মেলে কি করে?!
তাও ভাষাটাও হুবহু?!! যশোর হয়ে আব্বা আম্মার সাথে খুলনা যাওয়ার পথে বহু আগে এই শব্দটা শুনে বাবাকে প্রশ্ন করেছিলাম "আব্বা মুতবে মানে কি?"( কারন তখনো হিসু বা হিসি করার অপর নাম যে মোতা তা শেখা হয়ে ওঠেনি) মেয়ের মুখে ঐ প্রশ্ন শুনে বাবার বিব্রত চেহারা আবার পষ্ট দেখতে পেলাম।
যাই হোক ভালই হাসলাম সাথে সাথে প্রকৃতির এই অমোঘ কুডাকের ফলে মেয়েদের অসহায়তাটার বিষয়টা নূতন করে তের পেলাম।
অনেক দিন পরে থাকুমার কলম তাহলে কথা বল্লো??
এই ঘটনার আরও ভার্সনও আছে নাকি ! বলকি !
কথা না বলে কি আর কলমের উপায় আছে বল। রোজদিন চারিদিক থেকে পাঠকের গুঁতো আর কাঁহাতক সহ্য হয়।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এইসব সামাজিক সমস্যা থেকে আমাদের সহসা মুক্ত নেই। ঘটনাটা খারাপ লাগলেও আপনার লেখা দারুন হয়েছে। সাবলীল বর্ণনা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ধন্যবাদ রাতঃ দা। সহসা মুক্তি না হলেও দুঃসহ দশাটা একদিন কমবে আশা করা যায়। দশ বছর আগের চাইতে এখন কিন্তু অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। লোকজনের চিন্তাভাবনাতেও বেশ পরিবর্তন দেখি । ভালই লাগে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
লেখা পড়ে হাসিও পেল, দুঃখও পেল।
ভালো লাগলো পড়ে।
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
ধন্যবাদ তারানা। আপনার নামটা যে ভীষণ সুন্দর কেউ কি বলেছে আপনাকে ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হেহে, এই যে আপনি বললেন?
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
তারানা, আপনার বান্ধবীরা যে সুন্দরী সেটা কেউ বলেছে তাদেরকে?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হ্যাঁ বলেছে, রাজিউদ্দিন পাজি বলেছে
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
এতো কষ্টের কথা পড়ে ও শেষের দিকে এসে হাসি সামলাতে পারলাম না
হা হা কষ্ট মস্টকে মোটে পাত্তা দিবেন্না। কাছে এলেই মুখের ওপর এমনি করে হেসে দেবেন, দেখবেন পালাতে পথ পাবেনা তখন।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
০৬/৩০/২০১২ বিয়োগ ০৪/০১/২০১২ = ২ মাস ২৯ দিন । অসাধারণ আপনার টাইমিং এবং ফাঁকির তালিকা থেকে বাঁচার তরিকা। । এইবার লেখা পড়ি।
হা হাহ! ২৪ ঘণ্টার জন্য বেঁচে গেল।
facebook
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
সেকি ! আমি যে হিসেব কষে দেখলাম এখনও পাক্কা একমাস হাতে আছে! কানের পাশ দিয়ে গুল্লি গেছে দেখা যায়। কিন্তু যাই বলেন আপনি তো দেখি চ্রমখ্রাপ লোক । এইভাবে হাটে হাঁড়ি ভেঙ্গে দিলেন !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হুম আমাদের দেশে এই ব্যবস্থা বড়ই করুণ। তাসনীম ভাইয়ের - প্রক্ষালন কক্ষ এর কথা মনে পড়ে গেল। আর এতদিন পড়ে লিখলেন তাও এইটুকু?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আমাদের দেশে এই ব্যবস্থা যে কতটা করুণ তা বোধ হয় মেয়েরা বেশি ভালো জানে। একবার জার্নিতে মিতিনকে বাথরুমে নিয়ে গিয়ে দেখি বদনা ভর্তি করে হিসু করে রেখে গেছে কে যেন। যারা আগে থেকে চেক করবেনা তারা ঝপাত করে নিশ্চয় ওটাতেই হাত চোবাবে। কতটা শয়তান হলে এমন কাণ্ড করতে পারে ভাবুন।
তাসনীম ভাইয়ের লেখার সাথে আমার লেখা ! কোথায় লোকমান আলি আর কোথায় পানের খিলি !!
যতটুকুই লিখিনা কেন, অনেক দিন পর লিখে সচলে আপনাদের সাথে দেখা হল, আপনাদের কেমন লেগেছে জানিনা, আমার ভারী আনন্দ হল ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
যদিও আপনার লেখার স্টাইলের কারণে হাসি আটকাতে পারলাম না, তবে আমি হলে প্রচণ্ড ক্ষেপে যেতাম ঐ ব্যাটা কন্ডাক্টরের উপরে, বাথরুমে যাবার কথাটা রাষ্ট্র করার কারণে না, স্রেফ শুধু শুধু অত বিকট আচরণের জন্যেই, কাণ্ডজ্ঞান হলো সবথেকে আনকমন জ্ঞান বলে না ইংরেজীতে!
তবে এই যেখানে সেখানে বা ছাতার আড়ালের ব্যাপারটা কিন্তু একদম নিম্মবিত্ত মহিলারা পরোয়া করেন কম, খেয়াল করে দেখেছেন কি? আপনি যত বেশি মধ্যবিত্ত আর যত বেশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাবাদী ততই এই সমস্যা আপনার জন্যে প্রকট!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
সেই করুণ কৌতুকটা মনে পড়ে গেলঃ
একই করুণ সিচুয়েশনে এক মহিলা কন্ডাকটরকে কানে কানে বলতেই, কন্ডাকটরের হাঁক, "ওস্তাদ, গাড়ি ভিড়ান। লেডিস মুতবো"।
মহিলা ব্যাপক লজ্জা পেয়ে কন্ডাকটরকে বললেন , "লাগবে না"।
কন্ডাকটরের আবার হাঁক, "ওস্তাদ, আগে বাড়ান। লেডিস মুতবো না!"
এর চেয়ে ভয়ংকর অবস্থা খুব কমই হতে পারে। ত্যাগের আনন্দ তুলনাহীন বা ত্যাগেই প্রকৃত সুখ- এই উপলব্ধি সেখান থেকেই, মনে হয়!
সময় পেলে ব্রাইডসমেইড মুভিটা দেইখেন!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ব্রাইডসমেইড কোনটা ঐ যে বিয়ার ড্রেস কিনতে যায় ব্রাজিলিয়ান খাওনের পরে? ঐটা?
হ, আমার ভাল লাগছে। বিশেষত মোটা মহিলা সেইরকম
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
থ্যাঙ্কিউ স্বপ্নহারা। ইংরেজি মুভি কম দেখি বলে এটা দেখা হয়নি। মাথায় থাকল, সুযোগ পেলে দেখব অবশ্যই।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কিছু কিছু জায়গায় রেগে যাওয়াটা যৌক্তিক হলেও আমি স্বভাবগতভাবেই রিয়াক্ট করি অনেক কম। অযৌক্তিক কাজটা যিনি করছেন তাঁর লজিক্যাল গ্রাউন্ডটা বুঝে দেখার চেষ্টা করি। এক্ষেত্রে ভদ্রলোক আসলে আমাকে ইচ্ছে করে অপমান করতে চাননি বোধ হয়। একজন ভদ্রমহিলাকে সৌজন্য দেখানোটা তার অশিক্ষা এবং কুশিক্ষা তাকে শেখায়নি। তার আচরণের প্রভাব সম্পর্কে তার ধারনাও খুব একটা নেই । এরকম একজন লোকের কাছ থেকে খুব বেশি কিছু আশা করা যায়না বোধ হয়।
নিম্নবিত্ত এবং অতি উচ্চবিত্ত সমাজের নিয়ম কানুন প্রায় ক্ষেত্রে একই রকম। কারন দুটোই সমাজের প্রান্তিক অংশ। মাঝখানে বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে মধ্যবিত্তেরা। মধ্যবিত্ত সমাজের জন্ম দিয়েছে কিন্তু দালাল এবং ফড়িয়া জাতের লোকেরা। যার কারনে এই সমাজের নিয়ম কানুনে আত্মবিরোধ এবং হিপোক্রেসি অনেক বেশি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
লেখাটা হাসির না, কিন্তু আপনার বর্ণনায় হাসি পেয়ে গেল। এই সংক্রান্ত আমার কিছু স্মৃতি আছে, সময় করে মন্তব্য করে যাবনি।
এই সংক্রান্ত স্মৃতিগুলো তখন তখন ভয়ঙ্কর হলেও পরে কিন্তু ভীষণ হাস্যকর হয়ে যায়। আপনার গল্প শুনবার অপেক্ষায় রইলাম।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপনার বর্ননা ভঙ্গি খুব চমৎকার. পড়ে তৃপ্তি পাওয়া যায়। ভালো লাগলো।
স্বপ্নহারা ভাই এর কৌতুকটা জোস
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ধন্যবাদ ক্রেসিডা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
যানজটের কথা মনে রেখেই আমার বিয়াই সাহেব বান্দরবনের যাত্রা শুরু করলেন রাত দশটায়। সকাল সাড়ে সাতটায় গন্তব্য থেকে ঢের দূরে, এক রেস্টুরেন্টের সামনে আর এক মিনিভ্যানের সাথে এক্সিডেন্ট,গাড়ি থেকে নেমেই দেখি সামনেই বিরাট লোহার তাওয়ায় খাস্তা পরাটা ভাজা হচ্ছে। দেখেই তো ক্ষিধে লেগে গেল, বিয়াই সাহেব আমাদের নিয়ে ভিতরে ঢুকলেন, অর্ডার দিলেন ভাজি, ডিম আর পরাটার। সবে পরাটার কোনাটা ছিড়েছি, বিয়াইন কানের কাছে ফিস ফিস করে বললেন, খাওয়ার পরে কিন্তু বড় বাথরুম লাগবে। চিন্তা করে দেখলাম এমনিতেই যেতে হবে, খেয়েই নাহয় দেখা যাবে ব্যাপারটা।
খাওয়ার পরে ওকে বললাম চলো একটু হেটে আসি। সারি সারি দোকানের মাঝে একটা গলির দুপাসে বাসা, আমরা দোকানের পিছনের প্রথম বাড়িতে গিয়ে অনুরোধ করলাম তাদের বাথরুমটা ব্যবহার করতে পারি কিনা, অনুমতি মিললে ওকে ঢুকিয়ে দিয়ে দৌড়ে বিয়াইনকে ডেকে আনলাম, তিন জন হাতমুখ ধুয়ে ব্যাগের থেকে কিছু চকলেট বাচ্চাদের দিয়ে গাড়ির কাছে এসে দেখি বিয়াই সাহেব বাকিদেরকে নিয়ে সামনের মসজিদের দান বাক্সে উদার হাতে দান করে নাকে রুমাল দিয়ে কর্ম সমাধা করলেন।
আসলেই যাত্রাপথে এটা একটা অনেক বড় সমস্যা মেয়েদের জন্য।আমার মনে হয় প্রকৃতির ডাক, সেটা কু ও নয়, সু ও নয়, মেয়েদের অহেতুক লজ্জা ঝেড়ে ফেলে, বাস থামার পরে বলা উচিৎ, 'আমি যাচ্ছি, আর কেউ যাবেন?'
এত চমৎকার করে নিজের গল্পটা শেয়ার করলেন বলে ভালো লাগলো। কিন্তু অতিথি লেখক, আপনার নামটা যে জানলাম না, এখন মন খচখচ করবে যে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হলুদ সার্জেন্ট ধরলে আরো প্যারা, সব ডাবল ডাবল! আর রাস্তা ফাকা থাকলেই এরা ধরে বেশি!!!
------
মর্মান্তিক অবস্থা!! পরিত্রাণের উপায় চিন্তা করতেছি!
-----
বহুদিন পর দিদিকে দেখলাম!!! কেমন আছেন বলুন তো?
_____________________
Give Her Freedom!
আমি যে কখন কেমন থাকি এইটা একটা কোটি টাকা দামের প্রশ্ন বুঝলা। কিন্তু তুমি যেই ফাঁকিবাজ, তোমারে হলুদ নীল কালো সব পুলিশের ধরাই উচিত।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আসলেই এইটা যে কই সমস্যা যে অনুধাবন করে সেই একমাত্র জানতে পারে। ...... মুখের ভাষা তো বলিহারি।
ডাকঘর | ছবিঘর
হুম।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
জীবনে বেশ কয়েকবার এ রকম ঝামেলায় পড়েছি। কখনও বাচ্চাকে নিয়ে আবার কখনওবা আমার বুড়িকে নিয়ে।
লেখা ভাল লেগেছে।
ওহ, আর আমি যে কতবার পড়েছি সব বলতে গেলে রাত ফুরিয়ে যাবে। ভালোলাগায় ধন্যবাদ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
সবার মতই না হেসে পারিনি । কিন্তু সময়-অসময়ে এই ডাক আসলেই বিব্রতকর- ভয়ংকর ।
একবার এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে গেলাম তাঁর হোস্টেলে । দেশের নামকরা এক সরকারি কলেজ । ছোট ডাকে ডাক দিতেই জিজ্ঞেস করলাম তোদের টাট্টিখানা কোথায়? ও বলল ঐপাশে যা । তো গেলাম । ঐখানে আর যেতে চাই না ইহকালে বা পরকালে । ঢুকেছিলাম মাথা নিচু করে কিন্তু দ্বীতিয়বারের জন্য ভুলেও মাথা আর নিচু করি নি । ভেন্টিলেটর দিয়ে তাকিয়ে ছিলাম পাশের ধানক্ষেত এর দিকে । পুকুরও ছিল একটা । প্রাণপণে সেখান থেকে মুক্ত বাতাস ফুসফুসে চালান করেছিলাম- তাই মনে হয় বেঁচে আছি । মনেপড়ে প্রায়ই । এখন আবার মনে পড়ল ।
কড়িকাঠুরে
এইরকম ভয়ঙ্কর জায়গার অভিজ্ঞতা আমারও আছে। এখনও মাঝে মধ্যে সেগুলো দুঃস্বপ্ন হয়ে হানা দেয়। অনেক দূরের জার্নি হলে এজন্য ভয় পেয়ে যাই এখনও।
আচ্ছা, কড়িকাঠুরে শব্দটা সুন্দর লাগে শুনতে, কিন্তু এর মানে কী ? অনেকবার মনে হয়েছে, জিজ্ঞেস করা হয়নি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আসলে হুট করেই নিকটা নেয়া, মানে আদৌ আছে কিনা সেটাও জানি না ।
"কড়ি দিয়ে কিনলাম" আমার অনেক প্রিয় সেখান থেকে "কড়ি" সাথে "কাঠুরে" জুড়ে দিলাম । এভাবেই হয়ে গেছে-
স্বাদে ভরপুর- টিপটপ চানাচুর - এইতো...
ভাল লাগলে ধন্যবাদ- - আমারো অনেক ভাল লেগে গেছে শব্দটা... সুন্দর
কড়িকাঠুরে
খুব সুন্দর গুছানো লেখা। বিষয়টা বিব্রতকর। মেয়েরা প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে পারে সেটা আমাদের মাথায়ই থাকে না। আমাদের দেশের ইনফ্রাস্ট্রাকচার মেয়েদের কথা ভেবে তৈরী হয়নি।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
পড়ার জন্য ধন্যবাদ পুতুল। আমাদের দেশের ইনফ্রাস্ট্রাকচার যে মেয়েদের কথা ভেবে তৈরী হয়নি তা মেয়েরা হাড়ে হাড়েই টের পায়।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপ্নে পারেনও---
হে হে হে আমি অনেক কিছু পারি অনিদা। এই যে দেখেন বিলকুল আপনার পেটেন্ট করা হাসির মত করে হাসতেও পারি হে হে হে
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ঠিক এজন্য আমার মা দূরের কোন জার্নিতে বাসে যেতে চাননা, ডায়াবেটিস হবার পর থেকে উনি এ ব্যাপারটা নিয়ে খুব লজ্জার মাঝে থাকেন। তবে আটকে রাখা ব্যাপারটা খুব একটা হেলদি না। তবুতো দেখি আজকাল বাস থামানোর জায়গায় মেয়েদের জন্য আলাদা ওয়াশরুম আছে।
কতদিন পর লিখলে আশাদি। আর এক্টূ রেগুলার লিখলে ও পারো, তোমার লেখার হাত কত্ত ভালো, খালি ফাঁকিবাজি কর।
হি হি তোমার কি ধারণা আমি ভালো ভালো মিষ্টি কথায় ভুলবার মানুষ ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বিষয়টা কিন্তু হাসির নয় মোটেও। ...কিন্তু আপনার শেষ চমকটা না হাসালেও বেশ মজা পাইয়ে দিলো
বিষয়টা যে হাসির নয় সে আমার থেকে ভালো আর কে জানে বলুন ? তবে কিনা অন্যকে পচিয়ে গালি খাবার চাইতে নিজেকে নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট অনেক নিরাপদ ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কি চমৎকার লেগেচে ঠাকুমা!
লীলা মজুমদার আপনার কেউ হয়-টয় নাকি?
আমার তো ধারণা ছিল প্রথম বাক্যটা গঠনগত দিক থেকে এই লেখার সবচেয়ে দুর্বল বাক্য ! তারপরও এইসব কি বলেন ! সিস্টেমে সমস্যা নাকি !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপনার লেখার ভঙ্গির কারণে হেসে ফেললাম। পরিস্থিতিটা যদিও হাসির নয়!
কম লেখেন দেখছি ইদানিং! সচলনিদ্রা?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সচলনিদ্রা ? নাহ একেবারেই নয়। কি জানেন, যেদিন সচল হবার মেইল পেলাম কাকতালীয় ভাবেই হয়ত সেদিনটা আমার জীবনের গভীরতম কষ্টের দিন ছিল। তার সাইড ইফেক্টেই লেখালেখি বন্ধ হয়ে গেছে আসলে। সচল হওয়া না হওয়াটা এখানে ফ্যাক্টর না একেবারেই। সাথে গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে বসেছে বুড়ো বয়েসের পড়াশোনার যন্ত্রণা। সব মিলিয়ে আর হয়ে উঠছেনা আরকি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
মৈইনসিংয়ের খাগডহরে পিসু চাপছিলো একবার, সেই পিসু করছিলাম মহাখালী আইসা!
হা হা হা
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
শিমলা থেকে মানালি যাওয়ার সময় হিসু চাপলো, কিন্তু বাস থামাতে বলি নাই| ভাবলাম একেবারে গন্তব্যে পৌঁছেই সারা যাবে| সে পৌঁছলাম পাক্কা সাড়ে চার ঘন্টা পরে| ততক্ষণে আমার অবস্থা কাহিল| বাস স্ট্যান্ডে নেমেই কোনদিকে না তাকিয়ে সিধা দৌড়!!
উফফফ, কি যে অভিজ্ঞতা ছিলো সেটা!!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সর্বনাশ ! আপনি আর দ্রোহীদা দেখি সেইরকম শক্তিশালী ব্লাডারের অধিকারী ! আপ্নেরা নমস্য
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
উনারা সবাই শেলডন কুপার। "I am master of my own bladder"
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
প্রকৃতির সময়জ্ঞান নেই।
নিয়মিত লিখো, ফাঁকি দেয়ার অভ্যাস করে ফেলো না।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
দেখো কাণ্ড। এক বুড়ি আরেক বুড়িকে ডাকে নানী।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
সমস্যা জটিল। তবে লেখার ধরনটা সাবলীল এবং মজার।
ধন্যবাদ সুমিমা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপনি তো রবিবার দেখে মঙ্গলবার মার্কেটের উদ্দেশে বের হন, আমিতো মঙ্গলবার মার্কেট বন্ধ থাকে এটাই ভুলে যাই। যেদিন যেই মার্কেট বন্ধ থাকে সেদিন ঠিক সেটাতেই গিয়ে হাজির হই।
লেখা মজারু। জটিল এবং বিরক্তিকর বিষয় নিয়ে মজার লেখা মানুষ লেখে কি করে ।
হা হা হা এতবার ছ্যাকা খাওয়ার পরও আমার এখনও দিন তারিখ মনে থাকেনা। সেম পিঞ্চ।
আপনি নিজে এত সুন্দর লেখেন তারপরও এরকম করে বললে কোথায় লুকোই বলুন তো ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ঢাকা থেকে বগুড়ার যাত্রায় পাশের জনের প্রয়োজনে মুখ খুলতে পারিনি বলে এখনো তীব্র অপরাধবোধে ভুগি। কেন যে তখন এতো মুখচোরা ছিলাম। যদিও খারাপ কিছু হয়নি। কিন্তু বলতে না পারার কষ্টটা এখনো তেমনি আছে। পারতাম তো! লজ্জার চেয়ে প্রয়োজনটাকে বেশি গুরুত্ব দিতে শিখেছি এখন। এতোদিন পরে...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
লোকের উপকার করতে যাবার হ্যাপা দেখলেন তো ? তবে দেরি হলেও দরকারি জিনিসটা যে শিখেছেন এই বা কম কি !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
মন খারাপ হইলো।
আর কি কমু, আমি তথাকথিত পুরুষমানুষ হইলেও টয়লেটের ব্যপারে খুব খুঁতখুতে। তাই সমস্যা আমারো যে কম হয় না তা না। শোয়ার জন্য বিছানার ব্যপারেও একই কথা। এইজন্য আমার একটা স্লিপিং ব্যাগ আছে। আর যে অবস্থা সবজায়গার, যেকোনদিন একটা পোর্টেবল কেমিকেল টয়লেটও কিনে ফেলতে পারি
আমি মোটামুটি ঘুরেছি অনেক জায়গায়। কিন্তু একমাত্র বাংলাদেশ (আর ইন্ডিয়ার কিছু জায়গাতে- ব্যপারটা মনে হয় বাঙ্গালি বা উত্তর ভারতীয়দের মধ্যেই বেশি) দেখলাম এই ব্যপারে লোকজন চরমভাবে উদাসীন। অথচ গত সেপ্টেম্বরে লাদাখের জিসপা বলে চোদ্দ হাজার ফিট উঁচু একটা জনমনিষ্যিহীন জায়গায় যেরকম সুন্দর ওয়াশরুম দেখেছিলাম, খালি তখন মাইনাস দুই ডিগ্রী সেলসিয়াস টেম্পারেচার ছিলো, নাহলে তখনই একটা শাওয়ার নিয়ে ফেলতাম
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
অপরিহার্য এবং এত দরকারি একটা ব্যাপার সমাজের সব জায়গায় এত ভীষণ রকম ভাবে উপেক্ষিত হয় কি করে এটা আমার মাথায়ও আসেনা । আমি চরম ধৈর্যের সাথে চেষ্টা করি যেকোনো জায়গায় নিজেকে মানিয়ে নিতে তারপরও এত এত তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়ে গেছে । ইন্ডিয়ায় গিয়ে একবার যে নাকাল হয়েছিলাম রে ভাই। লোকে বদনা ছাড়া খালি হাতে কি করে টয়লেট ঘুরে আসে এই রহস্য আজো কিনারা করতে পারিনি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমি আর রোয়েনা যখন ঢাকার বাইরে কোথাও ঘুরতে যাই, তখন এটা একটা বিরাট সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। একটা মেয়ের জন্য এটা যে কতো বড় সমস্যা!!! কিন্তু বেশিরভাগ পুরুষই মনে হয় এটাকে খুব হাল্কা নেয় না, এটা হাসি ঠাট্টার ব্যাপার না - এটা বুঝতে আর কতো সভ্য হওয়া লাগবে আমাদের?
আপনার লেখা বরাবরের মতোই অতি চমৎকার।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
ইশ বেশির ভাগ মানুষ যদি মেয়েদের অসুবিধেগুলো আপনার মত এরকম মায়া নিয়ে দেখত তাহলে তো দুঃখই ছিলোনা।
ইয়ে আমার লেখা বিষয়ে আপনি বড্ড অতিশয়োক্তি করেন।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এসব ব্যাপারে লজ্জা করার কোন মানে হয় না। প্রয়োজনকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
আর হাইওয়ের কথা বলছেন? খোদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার থিয়েটারের বাথরুম দেখলে আঁতকে উঠতে হয়। অন্ধকার, স্যাঁতস্যাঁতে, গন্ধ - ওয়াক থু!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
হুম। ভার্সিটির টয়লেটের হাল জানি ভালই। ঢুকলে মনে হয় এখনও বেগম রোকেয়ার আমল পেরোইনি। তবে টয়লেটের আর দোষ কি, যারা ব্যাবহার করে তাদের ওপরই তো তার দশা নির্ভর করবে। সেকেন্ড ইয়ারে উঠে হলের যে রুমটায় এলটমেন্ট পেলাম সেটায় ঢুকে চমকে গেছলাম। আগে যারা থেকেছে তারা কখনওই সেটা ক্লিন করেনি। মেঝের রঙ দেখা তো দূরের কথা সেখানে প্রায় সিকি ইঞ্চিখানেক ময়লার আস্তর জমে ছিল। সেই ময়লা খুরপি দিয়ে চেঁছে চেঁছে সাফ করতে আমার তিন দিন লেগেছিল। এই রকম মানুষেরা যখন বাইরের টয়লেট ব্যবহার করবে সেটার কতটা যত্ন নেবে বলাই বাহুল্য।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এরকম জটিল সমস্যা নিয়ে কেমনে যে এত মজার পোষ্ট দেন!
কয়েক বছর আগে এই জরুরী ইস্যুতে আমি একটা অপ্রিয় সত্যভাষন লিখে নিন্দাভাজন হয়েছিলাম। আপনি সেটি হননি দেখে ভালো লাগছে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
হা হা হা আপনার ইয়ে স্নানের অভিজ্ঞতায় মজা প্লাম।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমার মাথা থেকে একটা দৃশ্য কিছুতেই সরে না, প্রায়ই এসে প্রচণ্ড জোরে ধাক্কা মারে। এবং প্রতিবারেই অসহায় থেকে অসহায়তর হয়ে ভাবি আমার কি কিছুই করার ছিলো না তখন!
সিলেট থেকে খুব ভোরে ফিরেছিলাম সেদিন। ফার্মগেট চৌরঙ্গী ভবনের সামনে বাস থেকে নেমে ব্রিজের নিচ দিয়ে হেঁটে আনন্দ সিনেমা হলের দিকে আসছিলাম। সাথে কয়েকজন বন্ধুও ছিলো। ব্রিজের ঠিক নিচে আসতেই বয়স্ক এক ভিক্ষুক ভদ্রমহিলাকে দেখেছিলাম খুব অসহায়ভাবে, আঁচলে মুখ ঢেকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁর পায়ের কাছ থেকে পানির একটা সূক্ষ্ণ ধারা গড়িয়ে যাচ্ছিলো রাস্তায়। তিনি বিব্রত হবেন বলে দাঁড়াইনি। বন্ধুদেরকেও কিছু বলিনি। শুধু ভাবছিলাম, আর দুইটা মিনিট আগেও যদি আমি ওখানে আসতে পারতাম, তাহলে হয়তো তাঁর বিব্রতকর পরিস্থিতি সামাল দেয়ার ব্যবস্থা করতে পারতাম।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কিছু কিছু ঘটনায় ইচ্ছে থাকলেও আসলে কিছু করার থাকেনা। বছর খানেক আগে একদিন মায়ের সাথে ফোনে কথা বলছিলাম। মা হাঁটতে হাঁটতে বাসায় ফিরছিলেন। বাসায় ঢুকে দেখেন চোরে ঘর লন্ডভন্ড করে সব নিয়ে গেছে। সেই সময় মা আতঙ্কিত হয়ে হাহাকার করছেন আর আমি ফোনটা হাতে ধরে থরথর করে কাঁপছি। আমার মা অতদূরে হাহাকার করে কাঁদছেন আর আমি কিছুই করতে পারছিনা শুধু শুনছি এ যে কি ভয়ঙ্কর একটা অনুভুতি !
মেয়েদের অনেকেরই বয়েস হলে বা অপারেশন এর পর ব্লাডারের মাসলগুলো লুজ হয়ে যায় তখন অল্প ঝাঁকিতেই ইউরিন বের হয়ে আসে। অনেক সময় দেখা যায় সিঁড়ি বেয়ে নামার সময় বা পায়ের নিচে ছোট ইটের টুকরো পড়ায় হাঁটার ব্যাল্যান্স এদিক ওদিক হয়ে ইউরিন বেরিয়ে আসে। সেরকম ক্ষেত্রেও কিন্তু অন্যদের কিছুই করার থাকেনা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বাসায় কিছু ভাবীদেরকে একসাথে ডেকে এনে তোমার লেখাটি জোরে জোরে পাঠ করে শোনালাম। হাসতে হাসতে একজনের ফিক্ আটকে যাবার অবস্থা ! আর আরেকজনের হাসতে হাসতে অশ্রুগ্রন্থি লুজ হয়ে চোখ দিয়ে পানি পরা শুরু হয়েছিল !
এরকম আশ্চর্য হিপনোটাইজিং লেখনীশক্তির অধিকারী হয়েও যারা দুই মাস পর পর লেখা দেয়, তাদেরকে শূলে চড়ানো উচিৎ !
That being said, লেখিকা-কে চুম্মা
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
আঁয় !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
লেখাটা পড়ে মজা লাগল। যদিও ভুক্তভোগীর জন্য মোটেও মজার না ব্যাপারটা। মনে পড়ল, অনেক আগে আমার একজন "পরিচিতা" নাইট জার্নিতে "বড় বাথরুম" করার কথা কাউকে না বলতে পেরে বাসের ভেতরেই জামাকাপড়ে, ইয়ে মানে... পরে যে কী হলো, তা তো বুঝতেই পারছেন! তো যাই হোক, এসব কুডাক যেন কাউকে কখনও অসময়ে বিব্রত না করে।
উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেলো অনেক। তবু ধন্যবাদ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
যাব্বাবা, এত পুরনো লেখায় এসে এত কি ভাবনায় পড়লে হে?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
নতুন মন্তব্য করুন