ব্যাচেলরদের ঘরগুলো কেন যেন একই রকম হয়। হাজার গোছানো থাকলেও কেমন একটা ছেলে ছেলে গন্ধওলা লক্ষ্মীহীন হাবভাব ছড়ানো থাকে। সেরকম একটা ঘরে বসে থাকতে থাকতে খেয়াল করে দেখলাম আমার বয়েসখানা যেন অনেকটা কমে গেছে। কিশোরী কিশোরী চেহারায় লাল চেলি পড়ে সেজেগুজে লজ্জা লজ্জা মুখ করে বসে আছি সে বাড়ির বাড়িউলির সামনে। ইনফরমেশন আছে মহিলা ভয়ানক দজ্জাল, কথাবার্তা সাবধানে বলতে হবে।
পাশে আমার বর জড়সড় হয়ে হাসি মুখে দাঁড়ানো। মহিলা বলছেন, বুঝলে মা, এই ছেলেটা বড় ভালো। আমাকে খুব মান্যগণ্য করে। মুশকিল খালি একটাই, মেয়েরা বাথরুমে গোসল করতে গেলে লুকিয়ে লুকিয়ে দ্যাখে। আঁতকে উঠে তাকিয়ে দেখি, ও আল্লা, এইটা তো মেজকা’র ছেলে মিঠু! ছোটবেলায় এর ভয়ে আমাদের গোসলে যাওয়া বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছিল! এই বদটা আমার বর হতে যাবে কেন! আর বাড়িউলিই বা বাড়িউলি হবেন কেন?! উনি যে আমার শাশুড়ি! মোটেও দজ্জাল টজ্জাল কিছু নন, মাটির মানুষ। আমি চিৎকার চেঁচামেচি করে একশটা প্রশ্ন করতে যেতেই মিঠু হেসে হেসে বলতে লাগল, ও ময়না পাখি, তুমি গোসল করে নাও না প্লিইইজ্.........!! !
ঘুম ভেঙ্গে দেখি আতঙ্কে ঘেমেটেমে একশা, ঘড়িতে বাজছে ছটা দশ। জানলার বাইরে দিব্যি সকাল হচ্ছে। এমন সকালে মেজাজ ফুরফুরে না হয়ে মুখের ভেতর তেতো হয়ে গেলো। ভুরু কুঁচকে অনেকক্ষণ ভেবেও বিচ্ছিরি স্বপ্নটা দেখলাম কেন বের করা গেলনা। সারাটা সকাল মাথার ভেতর তাই ঘুরপাক খেতেই লাগলো। একবার মনে হল, ময়মুরুব্বীরা ফজরের নামাজের পর ঘুমোতে বারণ করে কি আর এমনি এমনি, এখন বোঝ! আবার কিছুক্ষন ফ্রয়েড সায়েব ঘুরঘুর করে ফিচেল হেসে বলতে লাগলেন, নিশ্চয় অবচেতনে ওর কথা ভেবেছো! অম্নি মনের আরেক দিকে আরেকজন তেতে উঠে বলে, খেয়ে দেয়ে কাজ কি নাই যে এত বছর পর ওই বদের হাড্ডির কথা ভাব্বে! তাও কিনা আবার নিজের বর! ওয়াক থুঃ!
মাথার ভেতরে এইসব মারামারি করতে করতেই সকালটা কাটতে লাগলো রোজকার নিয়ম মত। হাতের কাজ টাজ সেরে দুপুরের দিকে পড়ার ঘরে ঢুকে আনমনে বই হাঁটকাতে হাঁটকাতে হাতে উঠে এল একটা পুরনো বই, সুলেমানী খোয়াবনামা। আরে বাঃ! এইতো চাই। কৌতূহলী হয়ে কয়েক পাতা উল্টিয়ে চমৎকৃত হয়ে গেলাম। কী একখানা বই! এ যে জ্যাকপট! নিখিল বিশ্বের যাবতীয় সমস্যার সমাধান আছে যে বইয়ের পাতায় পাতায় সে বই কিনা আমার ঘরের কোণায় পড়ে ধূলোয় গড়াগড়ি যায়! ছি ছি! স্বপ্নে কি দেখিলে কি হইবে অর্থাৎ ক্কলব ফুসফুস গুরদা খাদ্যনালী অণ্ডকোষ থেকে শুরু করে মাছ পেশাব, অগ্নি পেশাব, কাদা পেশাব; চিতাবাঘের বিড়বিড়, সাপের ফুশফুশ শব্দ, নিশ্বাস প্রশ্বাসের গোপন রহস্য, টিকটিকি ও দাঁড়কাক ডাকার ফলাফল, নারীদের খুশি করার নিয়ম, সাদাচুল কালো করা, কালোবর্ণ গৌর করা সহ কোথায় তিল থাকিলে কি হইবে এমনকি স্ত্রী সতী না অসতী তা বোঝার উপায় সহ হাজারটা নিয়ম সবই বাতলে দেয়া আছে এই বইয়ে। এইরকম একখানা বই না পড়লে তো জীবনের আঠারো আনাই মিছে।
আয়েশ করে পড়ব বলে বারান্দার চেয়ারটায় এসে বসতেই ভুরু কোঁচকাতে হল। পাশের বাসার ছেলেটা মায়ের হাতে মার খেয়ে আবার চিলের মত চ্যাঁচানো শুরু করেছে। এ আরেক নিত্য যন্ত্রণা। ও বাড়ির কর্তা গিন্নি দুজনেই স্থির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দুই ছেলেকে ডাক্তার বানাবেন। সেই লক্ষ্য অনুযায়ী কর্মপন্থাও নির্ধারিত হয়ে গেছে। প্রচুর পরিমাণে গৃহ শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ, স্কুলের টিচারদের নিয়মিত দই-মিষ্টি-গাছের আম-লিচু প্রদান এবং ‘যতক্ষণ শিশু জেগে থাকবে ততক্ষন প্রয়োজনে প্রহার পূর্বক শিক্ষা দান’ চলছে দূর্বার গতিতে। কিন্তু অকৃতজ্ঞ বাচ্চাদুটো বাবা মার এত স্যাক্রিফাইস বোঝার চেষ্টাই করেনা। উল্টে পরীক্ষায় নিয়মিত বাজে নাম্বার পেয়ে বাবামার প্রেশার বাড়াচ্ছে।
ভদ্রমহিলা অবশ্য হাল ছাড়বার পাত্রীই নন। সেদিন বলছিলেন উনি হলেন ‘উকিলের বেটি’, বদ বাচ্চাদের কিভাবে ‘টাইট’ দিতে হয় উনি ভালোই জানেন। উনি যে তা জানেন, এ আমিও বিলক্ষণ মানি। এই সেদিনও ছোট ছেলেটার পরিত্রাহি চিৎকারে ছুটে গিয়ে দেখি অঙ্কে কম নাম্বার পাবার দায়ে বাচ্চাটাকে মারতে মারতে মাটিতে ফেলে তার পেটের ওপর পা চড়িয়ে কুচলে দিতে দিতে বুনোজন্তুর মত হিস হিস করে বলছেন, আর করবি?! আর করবি ?!! ক্রোধে উন্মাদ মায়ের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিতেই বাচ্চাটা স্কেলের ঘায়ে ফেটে যাওয়া ছোট ছোট রক্তাক্ত আঙুল দিয়ে জড়িয়ে ধরে থরথরিয়ে কাঁপতে লাগল। এতটুকু শরীরটা আতঙ্কে কুঁকড়ে লুকোবার জায়গা খুঁজছে শুধু। তবু মায়ের কাছ থেকে কোথায় পালানো যায় জানে না এই শিশু।
আজকের চ্যাঁচামেচিতেও পড়া আর এগোবে না বুঝে বইটা একপাশে মুড়ে রাখতে রাখতে নিজের ছেলেবেলার কথা মনে হল খানিক। সেসময়টায় হাতপা কাটাছেঁড়া কালশিটে কি অসুখ বিসুখের তোয়াক্কাই ছিলোনা কারুর। সারাদিন সবাই হাসছি চ্যাঁচাচ্ছি খেলছি। সন্ধ্যেবেলা ঘুমে ঢুলে গেলে মা টেনে টেনে তুলে গরাসে ভাত খাইয়ে দিত। এইরকম করে পড়াশুনো কই গেলাতো না তো। মাঝে মধ্যে জ্বরজারি হলে ডাক্তার চাচার বাসায় গেলেই হল। মিষ্টি মিষ্টি ভিটামিন সি পাওয়া যেত। কোন কোনদিন বিকেলে চাচী ঘুঘনি নয়ত নারকেল কোরা দিয়ে বাটিভরে মুড়ি মাখিয়ে দিতেন। সেইটে হাতে নিয়ে চলে যেতাম অরূপদার ঘরে।
অরূপদা তখন স্কুলের উঁচু ক্লাসে পড়ে। টকটকে গায়ের রঙ, হরিণের মত টানা টানা চোখ। সোনার বোতাম দেয়া গরদের পাঞ্জাবিটা পড়লে মনে হত এই এক্ষুনি বুঝি পক্ষিরাজে চড়ে হুশ করে রাজকন্যে আনতে উড়ে যাবে। রাজ্যের বইপত্র ম্যাগাজিন ফুটবল গিটার প্যালেট লেগো টিন্টিন দিয়ে বোঝাই মিউজিয়ামের মত ঘরটার দোল চেয়ারে বসে চকচকে চোখ নিয়ে হড়বড়িয়ে এডভেঞ্চারের গল্প শোনাত খুব। আর বলত, দেখিস আমিও গ্লোবট্রটার হব। এইসব ছাই পড়াশুনো ফেলে একদিন বেরিয়ে যাব ঠিক। দেখে আসব সাহারা, তোর নাকটার মত স্ফিংসের বোঁচা নাক আর সেই ঝর্নাটা। যেটার পানি মাটিতে পড়তেই পায়না, মাঝপথেই শুকিয়ে মেঘ হয়ে যায়। বলতে বলতে উত্তেজনায় মুখচোখ লালচে হয়ে উঠলে আমার বুকের ভেতরটায় ঢিবঢিব করত। মনে পড়ে যেত মাকে ছেড়ে সেবার ছোট খালার বাড়িতে দুদিন থাকতে গিয়ে কি কান্নাই না পাচ্ছিল। তাহলে সেইসব অজানি দেশের নাজানি কি দেখতে গিয়ে দাদাটারও তো বড় কষ্ট হবে!
ভয়গুলো অবশ্য শেষে মিথ্যেই হয়েছিল। গ্লোবট্রটার হওয়া দাদার হলনা। বরং ‘বাবার মত নামী ডাক্তার হতেই হবে’ নামে বাবামার স্বপ্নের দায়ভার টানতে গিয়ে নিজের স্বপ্নটা খুইয়ে ফেললে অভিমানি বোকা ছেলেটা। পাহাড় সমান আকাঙ্খা আর তাকে ছুঁতে না পারার ব্যর্থতার পেষাপেষিতে পায়ের তলার সর্ষেরা ছিবড়েই হল কেবল। নানান ঘুরপথ ঘুরে স্বপ্নগাড়ি চাকাভেঙ্গে পৌঁছল মাদকের ডেরায়। আর তার পরেরটুকু কেবল অন্ধকারের গল্প।
অনেক বছর বাদে এক বিকেলে আবার যেতে হল ওই বাড়িটায়। সামনের রোগী দেখার ঘরটা খাঁ খাঁ করছে সেদিন। কাগজপত্তর স্টেথো টেবিল ক্যালেন্ডারে হালকা ধুলোর আস্তর বলছে বর্ষীয়ান মানুষটার না থাকার কথা। কোনার ঘরটাও সেদিন খালি। নিচতলার বাগানের দিকের বারান্দার এক ধারে অরূপদা বসে আছে চাদর মুড়ি দিয়ে। পায়ের কাছে ছড়ানো খুদের দাবি নিয়ে শালিকের ঝগড়া দেখছে একা একা আনমনে। কাছে যেতে অল্প হেসে ‘কত বড় হয়ে গেছিস’ বলে চুপ হয়ে গেলেন একদম। পাশে বসে কিছুক্ষন জোড়াতালি কথা বলে আমিও থেমে গেলাম এক সময়। দু হাতের দুরত্বে মাঝের দুটো যুগ বয়ে যেতে থাকল নিঃশব্দে। দুজনের কেউই কথা খুঁজে পেলাম না আর। স্বেচ্ছাচারে কুৎসিত প্রেতের মত শরীরের মানুষটাকে কেমন অচেনা মনে হতে লাগলো। কোঁকড়ানো চুলের জায়গায় এখন মাথা ভরা টাক, নোংরা হাড় জিরজিরে দোমড়ানো শরীরে মুখে দীনতা। যে চোখগুলো ঝলমল করত প্রাণের উচ্ছাসে সেই দিঘির মত চোখগুলো এখন মরা মাছের চোখের মত ঘোলা ঘোলা ভাষাহীন। সেদিনের ফুরিয়ে আসা দিনের আলোর মত আমাদের কথাও ফুরিয়ে গিয়েছিল বোধ হয় কবেই। অনেক অনেকক্ষণ পাশাপাশি বসে থেকেও কোন সুতো আর জোড়া লাগলো না তাই। সন্ধ্যে মিলিয়ে আসতে শরীরটাকে টেনে তুলে মানুষটা উঠে দাঁড়ালো এক সময়। টলতে টলতে ঘরের দিকে যেতে গিয়ে হটাৎ থেমে তাকিয়ে আস্তে করে বললে, ঝরনাটা আর দেখা হলনা রে! আগের মত হেসে উঠে কিছু একটা বলতে গিয়েও হুট করে আমার কথাটথা হারিয়ে গলার কাছে দলা পাকিয়ে আটকে গেল সব। শালিকগুলো কি বুঝল কে জানে ডানা ঝটপটিয়ে উড়ে গেল হটাৎ।
এত বছর বাদেও সেই বিকেলটা এখনও চোখে ভিড় করে নেমে আসে মাঝে মাঝে। আজ চটকা ভাঙল ডানার ঝটপটানিতে। না, শালিক নয়। একটা লাল রঙা ফড়িং কোত্থেকে বারান্দায় এসে আর বেরোতে পারছেনা। গ্রিলের এপাশে ছটফট করছে। কাছে গিয়ে আলতো করে ডানা দুটো ধরে ও বাড়ির দিকে তাকাতেই চোখে পড়ল বাচ্চাটাকে। কি অদ্ভুত একটা পড়ন্ত দুপুর আজ। আকাশটা কি আশ্চর্য নীল হয়ে আছে। বাতাসে শীত শীত গন্ধ। এই রকম দুপুরে কাঁঠাল গাছটার কোটরে পাখির ছানাগুলো কতটা বড় হল সেটা আবিস্কার করতে হয়। নয়ত ওই যে ভোকাট্টা ঘুড়িটা দুদিন থেকে কার্নিশে ঝুলছে সেটাকে নামিয়ে আনতে ছাত লাগোয়া সুপারি গাছটা বাইতে হয়। আর কিছুই খুঁজে না পেলে মার স্যান্ডেলে প্লাস্টিকের টিকটিকিটা ছেড়ে রাখাও চলে। কিন্তু আশ্চর্য এই দুপুরটায় সেইসব মহা দরকারি কাজের কিছুই করছে না এই ছেলেটা। ঘাড় গুঁজে ঘ্যানঘ্যান করে একমনে স্পেলিং পড়ে যাচ্ছে, এফ আর ও জি- ফর্গো ! ...ফর্গো মানে ব্যাং ! এফ আর ও জি- ফর্গো ! ...ফর্গো মানে ব্যাং !
ফড়িঙটাকে এক হাতে রেখে খোয়াবনামাটা তুলে ওয়েস্টপেপার বাস্কেটে ফেলে দিলাম। শান্তি হলনা। ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলতে পারলে ভালো লাগত। এত এতগুলো কাগজ ভরে ভরে মানুষ লিখে গেছে স্বপ্নের মানে কি কি হতে পারে। অথচ কোথাও এক লাইনে লেখেনি স্বপ্ন দেখতে হয় কিকরে। কি করে চিনে নিতে হয় নিজের স্বপ্নটাকে। বলেনি কোথাও কোন মন্ত্র পড়লে সেটাকে খুঁজে নেবার শক্তিটা মেলে। এই বাচ্চাটা হয়ত কোন একদিন মস্ত ডাক্তার হয়েও যাবে। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা এনে স্তোক দেবে নিজেকে। কিন্তু কোন একদিন দিনের শেষে যখন সূর্যটা আশ্চর্য কমলা হয়ে ডুবতে ডুবতে মন কেমন করে দেবে, সেইদিন কি তার হটাৎ মনে হবে, হ্যাঁ, আশ্চর্য একটা মানুষ জনম পাওয়া গেল বটে! কেউ যদি আইনস্টাইন নিউটন হকিন্স কি টাটা বিড়লা হতে চায় হোকনা খুশি মনে। কিন্তু সামান্য মুদি দোকানদার কিংবা কিছুইনা হয়েও যদি কেউ একটা কাঠি আইস্ক্রিম চাটতে চাটতে ভাবতে চায় ‘আহ ! বেঁচে থাকাটা কি আনন্দের’, তাহলে অন্যদের সমস্যা কোথায়? কেন একজনের চাওয়ার বোঝা আরেকজনকে টেনে বেড়াতে হবে জীবনভর? একটা গোটা জীবন শুধু ভুল স্বপ্নই দেখবে কেন একজন মানুষ? শুধু তার মত করে, একদম নিজের মত করে বাঁচতে পারবেনা কেন কেউ? কেন সব্বাইকেই দৌড়ে শুধু প্রথমই হতে হবে? কেউ যদি চায় হেলেদুলে হেঁটে গিয়ে খুশিমনে গোল্লা পেতে, পাক না। ক্ষতি কি?
এইসব অকেজো প্রশ্নের উত্তর মেলেনা কোথাও। সমাজের নিয়মিত স্বাভাবিক মানুষেরা বোধ হয় চায়ও না এইসব উত্তর। তাই কেউ লেখেনা এমন খোয়াবনামা যেটা হাতে নিলে সত্যিকারের স্বপ্নগুলো দেখা যায়। তারা বরং তিল বিচার করে স্ত্রী সতী না অসতী সেটা বের করতেই ব্যস্ত থাকে খুব।
লাল ফড়িঙটা হাতের ফাঁকে ছটফট করতে থাকে। মুক্তি পেতে চায় নিজের সবটুকু শক্তি দিয়ে। উঠোনে নেমে এসে হাসনাহেনার ঝোপের ধারে ফড়িঙটাকে ছেড়ে দিতেই হুশ করে উড়ে যায়। ছোট্ট প্রাণটার মুক্তির আনন্দটুকু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতে বড় ভালো লাগে। একসময় সন্ধ্যে মিলিয়ে আসতে উঠে পড়ি। একগাদা কাজ পড়ে আছে ঘরে। সিঁড়িতে পা রাখতে রাখতে কানে আসে ঘ্যানঘ্যানে গলায় বাচ্চাটা তখনও পড়ে যাচ্ছে এফ আর ও জি- ফর্গো; ...ফর্গো মানে ব্যাং। এফ আর ও জি ...
ছোট একটা দীর্ঘশ্বাস উঠে আসে অজান্তেই। কিছু শৈশবে লাল ফড়িং থাকেনা কখনই।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
সচলে দুজন মানুষ আছেন, যাদের আমি দুই চক্ষে দেখতে পারিনা। এক হল তারেক অণু, আর আরেকটা চরম উদাস। এই দুইজন আমারে বড় ত্যাক্ত করে। এই লেখাটা এই দুইজনের জন্য। এক লেখা নিয়ে দুইজন মারামারি করবে, আমার দেখতে খারাপ লাগবে না।
মন্তব্য
কি অসাধারণ লিখেছো দিদি!
দিদি কি হে? ঠাম্মি বলো! নিদেনপক্ষে দিদিমা...
সুন্দরীটি ঠাকুমার সমান হলে কস্তুর কিছু অসুবিদা হয় বুঝি ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আয়নামতি!! কদ্দিন পর!! তোমারে বড় মিসাইছি
থিঙ্কু
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ঝাড়ি কাজে লাগছে
জ্বে না। ঝাড়ি খেয়ে কাজ দেখানো অধমের স্বভাবে নাই। ঘাড় ইক্টু ত্যাড়া আছে ভাইজান। এইটা হইল পরীক্ষা পিছানোর সেলিব্রেশন।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এঁ, এইটা কি আসলেই ঠাম্মির পোস্ট নাকি খোয়াব দেখছি?
হ্যাঁ হ্যাঁ, এইটা কি আসলেই তুই রে কস্তু ? একটাও সমালোচনা নাই, বানান ভুল ধরা নাই- আমারও যে কেমন সন্দ সন্দ লাগে !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কোত্থেকে কোথায় নিয়ে গেলেন?? অসাধারণ হয়েছে বল্লেও কম বলা হবে।
আমরা সবকিছুই চাপিয়ে দেই, মায় স্বপ্নও।
ফারাসাত
হা হা... আমার লেখাগুলো এরকমই; শুরু শেষের ঠিকঠিকানা থাকেনা। কষ্ট করে পড়েছেন, ভালো বলেছেন, বড় ভালো লাগলো ফারাসাত।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অসাধারণ!!!
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
সে কি, আপনি বেঁচে আছেন?! -রু
হে হে মাঝে মধ্যে আপনাদের একটু ভয় দেখাই আরকি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আজকে সকালে (৮ থেকে ৯ টার মধ্যে হবে) স্বপ্ন দেখলাম গাছ থেকে ছিড়ে বেগুন খাচ্ছি। বেগুনগুলো আঙ্গুরের মত থোকা থোকা হয়ে ছিল কেন জানিনা। যদি স্বপ্নের মানেটা একটু বুঝায় বলতেন।
কর্সেঙ্কি !!! স্বপ্নে তরল কিছু পান করার অর্থ শয়তান তাকে নিজের হিসু খাইয়ে দিয়েছে এটা জানেন না ?! খুবই লজিক্যালি, শক্ত খাবার দাবার [ তা সে বেগুন হোক বা পোলাও ] জাতীয় কিছু খাওয়ার মানে তো হেঁ হেঁ বুঝতেই পাচ্ছেন !
এরপর থেকে স্বপ্নে খাবারের জিনিস্কে 'নো থ্যাঙ্কস' বলবেন। আর এখন গলায় আঙ্গুল দিয়ে বমি করেন মিয়া, কুইক।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বানায় বানায় যা বলবেন তাই হজম করবো ভেবেছেন? এইখানেস্বপ্নের হালাল অর্থ দেখেন। আমার স্বপ্নের মানে 'দাম কমে যাচ্ছে'। এখন কীসের দাম কমছে সেটাই আসল প্রশ্ন!
নাহ, এখনকার এই ছেলেপিলেগুলো দুপাতা বিজ্ঞান পড়ে মহা তালেবর হয়ে যাচ্ছে দেখি। আরে মশাই এক অসুখে দুই ডাক্তারের ওষুধ কোনদিন এক হতে দেখেছেন ? আরে, আমারটা হল অজ্জিনাল সুলেমানি খোয়াবনামা, ইবনে সিরিন হইতে প্রাপ্ত। বিফলে মূল্য ফিরত। এখন আপনি যদি ইয়ে খেয়ে হজম করে ফেলতে পারেন সে আপনার কেরামতি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আজ কী দুই মাস ঊনত্রিশ দিন নাকি
লিখা চোথা হয়েছে
আরে না। দুই মাস ঊনত্রিশ দিন একটি ভ্রান্ত ধারমা।
ইয়ে... চোথা মানে কি ভালো কিছু নাকি খারাপ ? এন্টেনা ডিকোড করতে পারছে না।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
তুমি এত ভালো লিখো দিদি, খালি আলসেমি কর।।
বাবামায়ের স্বপ্নের সব দায়ভার কেন যে সন্তানদের নিতে হয় জানিনা, ডাক্তার হলামনা দেখে আজ ও কথা শুনতে হয় বাবামায়ের কাছে।তবে ভাগ্যিস আমাদের বেলায়, কি পড়ছি না পড়ছি মাবাবা খেয়াল ও করতো না ঠিক্মত, খালি দিনশেষে ঘুমাবার আগে একটু পড়তে বস্লেই তারা খুশী ছিল।এখনকার বাচ্চাগুলার লাইফ দেখলে খারাপই লাগে, এদের কোন স্বাধীনতা নাই।
আমার ইয়ার ফাইনালের দিন পনের আগে আমি গাট্টি বোঁচকা বেঁধে বাড়ি চলে গেলাম। মা অবাক হয়ে বল্লেন, সেকি, তোর না পরীক্ষা ? আমি উদাস গলায় বললাম, পরীক্ষা দিবনা, পড়া হয়নাই। আম্মা হাতে কিল ঠুকে বল্লেন, ঠিকই তো, পড়া না হলে আর পরীক্ষা দিবিই বা কিকরে। থাক দিতে হবে না।
বাচ্চাদের লাইফ তখনও খুব ভালো ছিল না। অরুপদার কথা তো সেইজন্যেই বললাম। আমার কপাল ভালো অইরকম মা পেয়েছিলাম। সবাই পায়না।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
খুবই সুন্দর লেখা গো আফা ।
ছেলেবেলাগুলো খুবই মিছ করি। আপনার লেখা পড়ে আবারো ফিরে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে
--ফ্রুলিংক্স
ছেলেবেলায় ফিরে যাওয়া তো কঠিন কিছু না। নিজের ভেতরের একটা অংশকে বড় হতে দেবেন না, তাহলেই হল। চন্দনের বাক্সে যেমন কিছু গন্ধ আটকে থাকে, সেইরকম করে নিজের ছোটবেলাটা আটকে রেখে দেবেন নিজের কাছে। মাঝে মধ্যে যখন আশেপাশে কেউ থাকবেনা তখন বের করে ইক্টুখানি দেখে রেখে দেবেন আবার। ব্যাস।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বাহ ঝাড়িতে কাজ হয় দেখছি। উদাসদা তো কামেল মানুষ। ঝাড়ি পার্টিতে আমিও যোগ দেব ভাবছি
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আপ্নারে ও ঝাড়ি দেয়া দরকার, ফেরা নিয়া হারায়ে গেছেন মিয়া।
হ।
খাঁচার পাখিতে গান গায়না ভাইজান।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এহহে, আপনেই একমাত্র মনে রাখছেন। আমি নিজেও সব ভুইলা গেছি
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
খুব ভাল লাগত "ফেরা" সিরিজটা। আশা করি না ফেরার দেশ থেকে হলেও ফিরে আসবে (কাঁদো কাঁদো হয়ে অপেক্ষার ইমো হবে)
ওহে থ্রিডি কবি, লাবণ্যময়ীদের কাঁদিয়ে জলে ভাসাচ্ছেন কিন্তু; খুউপ খিয়াল কৈরা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অসাধারণ আশাদি।
ধন্যবাদ অর্ক।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বড্ডও মধুর লেখাগো লতাপু!
ল্যাবে এসেছিলাম থিসিসের কাজ করতে। গত দুই ঘণ্টা ধরে আপনার সব লেখায় পড়ে যাচ্ছি একের পর এক।
আমার হারিয়ে যাওয়া সময়ের ক্ষতিপূরণ দাবি করলাম!!!
একটু কম সুন্দর করে লিখলে কি এমন ক্ষতি হত???
ভালো থাকবেন সবসময়!!!
ইহ্, লিখা যে পড়সেন, টেকাটুকা দিসেন কিসু ? ইল্লি আরকি অ্যাঁ ?
জোকস এপার্ট, আমি আসলে খুব বেশি সুন্দর কিছু লিখিনা রে ভাই। সহজ কথা সহজ করেই লিখি। আপনাদের ভালবাসায় সেগুলো কিভাবে যেন অন্যরকম হয়ে যায়।
মন্তব্যে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
টেকাটুকা দিমু না।
সহজ কথা সহজ করে লিখলে মনে সহজে ঢুকে।
ভালো থাকবেন আপু!
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বাহ্, কি চমৎকার !
ভাল থাকুন। আনন্দে থাকুন।
ধন্যবাদ। অনেকদিন বাদে আপনাদের সাথে সচল পাতায় দেখা হতে ভালো লাগলো অনেক। আমি কিন্তু আনন্দেই থাকি। বাসার বাচ্চা বুড়ো সব্বাইকে জ্বালিয়ে অস্থির করে দিই। বিরাট আনন্দ লাগে। সেদিন মিতিন খুব গম্ভীর গলায় বল্লে, তুমি এত দুষ্টু কেন ? আমি উত্তরে হে হে করে এতবড় মুখ ভেংচে দিয়েছি। হা হা... ভালো করেছিনা, বলেন ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
তাহলে এতদিন পরে কেন ? আমাদের সাথে বুঝি আনন্দ করা যায়না !
করি তো, এইযে করছি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কী দারুণ!!!
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কি অসাধারণ লেখা.....
ধন্যবাদ ন।
...ইয়ে... খালি ন ? আর কিছু নাই কেন ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
নিশ্চয়ই দিদিভাইয়ের শেষ লেখা দেবার পর ২ মাস ২৯ দিন হয়ে গেছে!
সেই দিনও মা বললেন, আমার বন্ধুরা নাকি সব সেটল হয়ে গেছে, আমি বাদে সবাই!
সেটল মানে টা কি? সবার কি সেটা হতেই হবে! সবাই সমাজের শীর্ষে উঠুক, আমার মত ভবঘুরেরা দোয়েলের-ফড়িঙের সাথেই জীবন কাটাক না, ক্ষতি কী?
facebook
আরে দূর দূর অইসব কাল মহাকালের হিসাব কে রাখে। তারচে তোমার গল্প বলতে থাকো আমরা শুনি। আর শীর্ষে তুমি তো উঠেই আছ,নতুন করে আর উঠবা কি হে ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কোথায় যে হারিয়ে গিয়েছিলেন!! মাঝে মধ্যে দু-চার ছত্র লিখলে এমন কীই বা ক্ষতি? ভাল থাকবেন।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
হারাইনিরে ভাই, মাঝে মধ্যে ভাব ধরি একটু বুঝলেন কিনা। আর নিয়মিত লিখতে পারলে আসলে আমারচে বেশি খুশি কেউ হতোনা; কিন্তু তাতে ভাব ধরায় একটু সমস্যা হয়ে যায় । এই ধরেন মুড আসেনা, মুড আসে তো লিখতে আলসি লাগে, সেটাও যদিবা হল তো দেখা যায় সময় পাওয়া যাচ্ছে না। এইসব আরকি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
লেখাটা খুব ভেতরে নাড়া দিয়ে গেলো!
নার্সারিতে ভর্তি হতে আসা একটা ফুটফুটে মেয়ের নাকের ওপর কালশিটে দেখে প্রশ্ন করেছিলাম, কিভাবে হয়েছে?
উত্তর দিলো, একটা বানান লিখতে ভুল হয়েছিলো বলে মা নাকি নাক চেপে ধরেছিলো। কি ভয়ংকর!
"যদি কেউ একটা কাঠি আইস্ক্রিম চাটতে চাটতে ভাবতে চায় ‘আহ ! বেঁচে থাকাটা কি আনন্দের’, তাহলে অন্যদের সমস্যা কোথায় ?" - ভীষণভাবে সহমত।
সচলে খানিকটা অনিয়মিত। তবু আপনাকে অনেকদিন চোখে পড়েনি বলে মিস করছিলাম।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
থ্যাঙ্কস শিমুল । এই বাচ্চাগুলোকে দেখলে কি ভীষণ মায়া যে লাগে। ওদের শৈশবটাকে এইভাবে ছিনিয়ে নিয়ে ওদের বাবামায়েরা হাতিঘোড়া কি যে দিতে চায় আমি সত্যিই বুঝিনা।
আজকাল অনেক ব্যস্ত থাকতে হয় বলে সচলে লগিন করা হয়না। যদিও উঁকি দিয়ে যাই রোজই। কেউ মিস করছে শুনলে কেন যেন ভারী ভালো লাগে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
দিদি আপনাকে । লেখা যে কখন নিজেকে নিজের থেকে হারিয়ে নিয়ে গেল তা টের পেলাম শেষে। আর একটু লিখলে ক্ষতি কি ছিল?
ইয়ে...এইরকম করে বল্লে তো আর কিছু বলার থাকেনা। বিব্রত ধন্যবাদ।
কিন্তু আরও লিখতে বলছেন কি মনে করে ! আমিতো বরং খুঁতখুঁত করছিলাম যে হাতি পোস্ট হয়ে গেল, আরেকটু স্লিম হলে ভালো হত। আসলে বড় লেখা দেখলে সে যত ভালো লেখিয়েই হোক আমি নিজেই তো পালিয়ে যাই ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপনাকে দুই হাতের মুঠো ভরে অনেকগুলো শ্রদ্ধা দিলাম এমন একটা লেখার জন্য।
আর কি বলার আছে?
অনেক অনেক ধন্যবাদ চিলতে রোদ। সত্যি বলতে কি লিখে টিখে পাঠকদের ভালো লাগা পেলে লেখার পেছনে দেয়া সময়টা শ্রমটা পূর্ণতা পায়। পুরো ব্যাপারটা সার্থক মনে হতে থাকে। এইযে এক লাইনে এত সুন্দর করে বল্লেন, আমার একদম মন ভালো হয়ে গেল।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
শুধু তার মত করে, একদম নিজের মত করে বাঁচতে পারবেনা কেন কেউ ?
জানি এই প্রশ্নটার কোন গন্তব্য নেই এই সমাজে, তারপরও প্রতি মুহূর্তে মনে হয় কেন?? কেন-----?? কেন??? আমার জীবনটার ওপর পূর্বপুরুষের ভূত চেপে বসে থাকে,, জীবনটা ওরাই যাপন করে দিচ্ছে,, আমি বসে দেখছি ইচ্ছেগুলোর বিপরীত স্রোতে আমার সব কাজ। জানি না কবে এই চক্কর থেকে বেরোতে পারবো-------------------
কি জানেন পদব্রজী, আমি বিশ্বাস করি মানুষ অসীম শক্তি ধারন করে। শুধু চাইলেই হবে। চাইলে মানুষ পারেনা কি বলুন তো ? কিন্তু ওই, চাইতে হবে। আপনি কাউকে আপনার ওপর ছড়ি ঘোরাতে দিচ্ছেন বলেই না সে পারছে, নইলে পারে তার সাধ্য কি ? এই চক্কর থেকে যে মুহূর্ত থেকে সত্যি সত্যি বেরোতে চাইবেন, তখন থেকেই পারবেন। তার আগ পর্যন্ত নয়।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এই কথাগুলোর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ------
কয়েকবার ভেঙে চুড়ে গেলাম, এটা আপনার লেখার শক্তিমান দিক। কতকিছুকেই না আমাদের মুক্ত করে দেওয়া দরকার!
অনেকদিন পর দিদিকে দেখছি! কেমন আছেন বলুন তো?
_____________________
Give Her Freedom!
লেখালেখি যে আসলে একটা বিরাট পেইন এইটা নিসচয় জানো। এই লেখাটা বড় জ্বালিয়েছে। পুরো লেখাটা একদম শেষ লাইন পর্যন্ত লেখা হয়ে আছে মাথায় অথচ লেখা হচ্ছেনা। সময় পাইনা আজকাল একেবারেই। অনেক কিছু নিয়ে একদম উরাধুরা অবস্থা। হটাত পরীক্ষা পেছাল বলে দুম করে লিখে ফেললাম। তবে ভালো আছি। বিরাট আনন্দে আছি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপনার লেখা সম্পর্কে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন ! যে সুন্দর ভঙ্গিতে মন্তব্যের জবাব দিচ্ছেন, মন দিয়ে পড়তে বাধ্য হয়েছি । উৎসুক দৃষ্টি থাকবে আপনার ভবিষ্যৎ লেখাগুলোতে । - যাযাবর হীরা
না না, মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন হবে কেন ! ওই মন্তব্যের লোভেই না লেখা ! সচলে যখন প্রথম লেখা শুরু করেছিলাম শুধু কমেন্টের লোভেই লেখা দিতাম। দেখা যেত ছাই ছাতা যাই হোক কিছু একটা লিখে পোস্টিয়ে দিলেই হল, সেটার সুতো ধরে ব্যাপক আড্ডাবাজি শুরু হয়ে যেত। নইলে এতদিন ধরে কিবোর্ডের ছালবাকলা তুলে লেখালেখি আর যারই হোক, আমার কম্ম ছিলোনা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
দারুণ লাগল লেখাটা। কোথা থেকে শুরু করে কোথায় হারিয়ে গেলাম
ধন্যবাদ ঘুমকুমার। আমার লেখা যে এইরকমই, দিকবিদিকের ঠিকানা ছাড়া।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কিছু কিছু লেখা পড়া শেষ হলে নিজেই নিজেকে নিয়ে আলাদা হয়ে যেতে হয়--
বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে হয় প্রতিবেশ থেকে--
সারা পৃথিবীটাকে দু'হাতে ঠেলে সরিয়ে ফেলে একলা কোথাও দাঁড়িয়ে থাকতে হয়---
এই লেখাটা তেমন লেখা!
এমন একটা লেখা পাবার জন্যে আমি দু'তিন মাস নয়--বছরের পর বছর হয়ত অপেক্ষা করতে রাজী--তবে সবাই আবার আমার মত উদার নয় কি না--সেইটেও ভেবে দেখবেন একটু।
অনিকেতদা, আপনাকে আসলে আমার নতুন করে ধন্যবাদ দিয়ে বলার মত কিছু নাই, আপনি জানেন।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপনার লেখা এত্ত সুন্দর কেন আশাদি!! এত সহজ ভাষায় একেবারে সত্য কথাটা বলে দেন।
-কোয়াসিমোডো
ধন্যবাদ কোয়াসিমোডো। অনেক ধন্যবাদ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপনার অরূপদার গল্প পড়তে পড়তে জীবনানন্দের একটা কবিতা মনে পড়ে গেল।
স্বপ্ন
জীবনানন্দ দাশ
পান্ডুলিপি কাছে রেখে ধূসর দীপের কাছে আমি
নিস্তব্ধ ছিলাম বসে;
শিশির পড়িতেছিল ধীরে ধীরে খশে;
নিমের শাখার থেকে একাকীতম কে পাখি নামি
উড়ে গেল কুয়াশায়, –কুয়াশার থেকে দূর –কুয়াশার আরো।
তাহারি পাখার হাওয়া প্রদীপ নিভায়ে গেলো বুঝি?
অন্ধকার হাৎড়ায়ে ধীরে-ধীরে দেশলাই খুঁজি;
যখন জ্বালিব আলো কার মুখ দেখা যাবে বলিতে কি পারো?
কার মুখ? –আমলকী শাখার পিছনে
শিঙের মতন বাঁকা নীল চাঁদ একদিন দেখেছিলো আহা,
সে-মুখ ধূসরতম আজ এই পৃথিবীর মনে।
তবু এই পৃথিবীর সব আলো একদিন নিভে গেলে পরে,
পৃথিবীর সব গল্প একদিন ফুরাবে যখন,
মানুষ রবে না আর, রবে শুধু মানুষের স্বপ্ন তখনঃ
সেই মুখ আর আমি রবো স্বপ্নের ভিতরে।
-----------------------------------
কার মুখ এটা? নিজেরই মুখ নাতো? নিজের কৈশোরের নিষ্কলুষ, স্বপ্নের বিভায় টইটুম্বুর, আশাবাদী উজ্জ্বল মুখ? সন্ধ্যার অন্ধকারে নিরালা বসে অরূপদা কি সেই মুখটা কোথায় হারিয়ে গেল, কিভাবে তার মৃত্যু হল সেই কথাই ভাবেন এখন? একদিন কি আমাকেও এমনি একটা মুখের কথা ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফেলতে হবে? ভয় হয়।
অনেকদিন পরে লিখলেন। দারুন, দুর্দান্ত লেখা হয়েছে!
****************************************
এটা আমার খুব প্রিয় একটা কবিতা। মনে করিয়ে দিলেন আর সাথে একগাদা তারিফের জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা। এত সুন্দর করে বল্লেন মন মাঝি, ভীষণ ভীষণ ভালো লাগলো ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
খুব ভাল!
আসলেই খুব ভাল লাগল লেখা -
প্রতি মাসে আপনার একটা করে লেখা চাইলে বিনিময়ে পাঠকদের কি করতে হবে বলেন -
ফর্গ বাচ্চাটার কথা খুব মনে হচ্ছে, অরুপদা কেও
এত কষ্ট করে ফাঁকিবাজ টাইটেলটা যোগাড় করলাম সেটাকে খোয়াতে বলছেন ?
...তা লোভ যখন দেখালেনই উইশ লিস্টটা বলেই ফেলি- এ্যাব্বড় এক ড্রাম এমেনেম, বস্তা কয়েক টব্লেরন আর একটা তুলতুলে চিতাবাঘের ছানা পেলেই আমি খুশি। বাঘটাকে পেলে পুষে বাইরের দেয়ালে বসিয়ে রাখব। রাস্তায় লোকজন দেখলেই ঘ্যাওম্যাও করে ভয় দেখাবে, বিকট মজা হবে। আবার ধরেন... থাক্, আর না বলি। আপনি তো মশাই ব্যানার বানান, আমার নাম মনেও থাকেনা। এখন সামনে দেখে ঘুষ দিতে এসচেন। হুঁহ্ !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপাতত টবলেরন - এনিটাইম
ওই ব্যানার এ আপনার নাম নেই?! শুধুমাত্র লতায় মোড়ানো একটা ব্যানার হবে এই আশা রাখছি
হ, কবে হবে ছেলে, ডাকবে বাবা বলে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমার প্রশ্ন, যে এত ভাল লিখে, সে এত কম লিখে কেন?
আমি আপনার সব লেখাই পড়েছি। মন্তব্য করছি এই প্রথম।
পরের লেখায় আশায় আছি।
এইযে আপনি তেতেপুড়ে কমেন্ট করতে বাধ্য হলেন, ফাঁকিবাজির এইটা একটা ভালো দিক কিনা আপনিই বলেন ?
লেখালেখি আমার জন্য এক বিরাট পেইন আপু। ধরেন যেইমাত্র ভাবব যে না কিছু একটা লেখা দরকার, অম্নি মাথার ভেতর একগাদা জিনিষ ঢুকে ঘুরঘুর করা শুরু করবে। আমি হলাম মাথা আউলা কিসিম বিরাট ভাবিয়াল। ভাবের দুনিয়া আর রিয়েল দুনিয়ার ব্যালেন্স করতে জান কয়লা। দেখা গেল রাস্তায় হাঁটছি, হটাত অরুপদা মাথার ভেতরে ঢুকে বকবক করে গল্পকরা শুরু করল, আমিও মাথা নেড়ে নেড়ে সেইসবের উত্তর দিতে থাকি আর রাস্তার লোক চোখ গোল্লা করে তাকিয়ে থাকে, রিকশাওলা নিয়ে যেতে রাজি হয়না। খাবার টেবিলে কত্তাকে মাছের পেটি তুলে দিতে গিয়ে ভুরু কুঁচকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে লাল ফড়িঙের কথা ভাবতে বসি। আর এই এতদিন ধরে মাথার ভেতর নামতার মত বাজতে থাকা 'ফর্গ মানে ব্যাং' এর কথা আর আলাদা করে নাইবা বললাম। তার উপর সময় এর টানাটানি তো আছেই। সব মিলিয়ে ব্যাপক যন্ত্রণা। এইসব ভয়েই আসলে লেখালেখি থেকে দুরেই থাকি। সুখের চেয়ে স্বস্তি ভালো, নয় ?
পরের লেখার আশায় থাকলে কষে একটা ঘুম দ্যান। এত গাদা বকা খেয়েও আমার মানুষ হতে ঢের দেরি আছে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আশালতা, আপনার লেখা আগেও পড়েছি । ভীষনভাবে নাড়া দিয়ে যায় । অনুরোধ করব, সম্ভব হলে লেখালেখিটা জারী রাখবেন । ঈশ্বর সবাইকে এই শক্তি দেন না, আপনাকে দিয়েছেন ।
আপনার দেখার চোখটি তীব্র, অনেক গভীরে দেখতে পান । শুভেচ্ছা সব সময়ের জন্য ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
অনেক অনেক ধন্যবাদ জোহরা ফেরদৌসী । আমার প্রায়ই সবকিছুকে ইনক্লুডিং লেখালেখি দুচ্ছাই বলে ছেড়ে দিতে ইচ্ছা করে। তখন আপনাদের এইরকম কথাগুলোর লোভে পড়েই আসলে সেটা করা হয়না। করা যায়না আসলে। আমি লিখি নিজের ভালোলাগা থেকে। আপনাদের ভালোবাসায় সেটা গভীরতর হয় শুধু।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
সেদিনই পড়েছিলাম লেখাটা, মন্তব্য করা হয়নি সময় ছিল না বলে।
অনেকদিন পর লিখলেন। অসম্ভব সুন্দর মায়াময় একটা লেখা। আপনার গদ্য বরাবরই সুখপাঠ্য। মন খারাপিয়া বোধ আচ্ছন্ন করেছে শেষভাগে এসে। স্বপ্ন হারানো অরূপদার জন্য সত্যি খারাপ লাগছে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ইশ আপনি তো দেখি সচল কুলের তিলক শুধু না, রাজটীকা একেবারে। পড়ে টরে আবার ঘুরে এসে কমেন্ট করছেন! আমি তো ঝাঁপিয়ে এসে পড়ে উধাও হয়ে যাই, লগিন করতে হাতে বিষ লাগে। পরে কমফোর্টেবলি ভুলেও যাই। এই এখন মনে পড়ল আপনার স্যাম্পল লেখাটার বুননটা ম্রাত্মক হয়েছিল। বলা হয় নাই। আমি সচল কুলে কলঙ্ক।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হাসতে হাসতে শুরু করেছিলাম; শেষ পর্যন্ত পৌঁছাতে গিয়ে হাসির আলো কখন মন খারাপের মেঘ ঢেকে দিয়েছে বুঝতেই পারিনি। অপূর্ব লেখা।কবিতাটা সেইসব মাবাবার জন্য, যারা স্বপ্নের মত এমন মায়াময় ব্যাপারটাকে এক তুড়িতে দুস্বপ্নের মোড়ক পরিয়ে দিতে পারে।
টিউটোরিয়াল
জয় গোস্বামী
তোমাকে পেতেই হবে শতকরা অন্তত নব্বই (বা নব্বইয়ের বেশি)
তোমাকে হতেই হবে একদম প্রথম
তার বদলে মাত্র পঁচাশি!
পাঁচটা নম্বর কম কেন? কেন কম?
এই জন্য আমি রোজ মুখে রক্ত তুলে খেটে আসি?
এই জন্যে তোমার মা কাক ভোরে উঠে সব কাজকর্ম সেরে
ছোটবেলা থেকে যেতো তোমাকে ইস্কুলে পৌঁছে দিতে?
এই জন্য কাঠফাটা রোদ্দুরে কি প্যাচপ্যাচে বর্ষায়
সারাদিন বসে থাকতো বাড়ির রোয়াকে কিংবা পার্কের বেঞ্চিতে?
তারপর ছুটি হতে, ভিড় বাঁচাতে মিনিবাস ছেড়ে
অটো-অলাদের ঐ খারাপ মেজাজ সহ্য করে
বাড়ি এসে, না হাঁপিয়ে, আবার তোমার পড়া নিয়ে
বসে পড়তো, যতক্ষণ না আমি বাড়ি ফিরে
তোমার হোমটাস্ক দেখছি, তারপরে আঁচলে মুখ মুছে
ঢুলতো গিয়ে ভ্যাপসা রান্নাঘরে?
এই জন্যে? এই জন্যে হাড়ভাঙা ওভারটাইম করে
তোমার জন্য আন্টি রাখতাম?
মোটা মাইনে, ভদ্রতার চা-জলখাবার
হপ্তায় তিনদিন, তাতে কত খরচা হয় রে রাস্কেল?
বুদ্ধি আছে সে হিসেব করবার?
শুধু ছোটকালে নয়, এখনো যে টিউটোরিয়ালে
পাঠিয়েছি, জানিস না, কিরকম খরচাপাতি তার?
ওখানে একবার ঢুকলে সবাই প্রথম হয়। প্রথম, প্রথম!
কারো অধিকার নেই দ্বিতীয় হওয়ার।
রোজ যে যাস, দেখিস না কত সব বড় বড়
বাড়ি ও পাড়ায়
কত সব গাড়ি আসে, কত বড় আড়ি করে
বাবা মা-রা ছেলেমেয়েদের নিতে যায়?
আর ঐ গাড়ির পাশে, পাশে না পিছনে-
ঐ অন্ধকারটায়
রোজ দাঁড়াতে দেখিস না নিজের বাবাকে?
হাতে অফিসের ব্যাগ, গোপন টিফিন বাক্স, ঘেমো জামা, ভাঙা মুখ -
দেখতে পাসনা? মন কোথায় থাকে?
ঐ মেয়েগুলোর দিকে? যারা তোর সঙ্গে পড়তে আসে?
ওরা তোকে পাত্তা দেবে? ভুলেও ভাবিস না!
ওরা কত বড়লোক!
তোকে পাত্তা পেতে হলে থাকতে হবে বিদেশে, ফরেনে
এন আর আই হতে হবে! এন আর আই, এন আর আই!
তবেই ম্যাজিক দেখবি
কবিসাহিত্যিক থেকে মন্ত্রী অব্দি একডাকে চেনে
আমাদেরও নিয়ে যাবি, তোর মাকে, আমাকে
মাঝে মাঝে রাখবি নিজের কাছে এনে
তার জন্য প্রথম হওয়া দরকার প্রথমে
তাহলেই ছবি ছাপবে খবর কাগজ
আরো দরজা খুলে যাবে, আরো পাঁচ আরো পাঁচ
আরো আরো পাঁচ
পাঁচ পাঁচ করেই বাড়বে, অন্য দিকে মন দিস না,
বাঁচবি তো বাঁচার মত বাঁচ!
না বাপী না, না না বাপী, আমি মন দিই না কোনোদিকে
না বাপী না, না না আমি তাকাই না মেয়েদের দিকে
ওরা তো পাশেই বসে, কেমন সুগন্ধ আসে, কথা বলে, না না বাপী পড়ার কথাই
দেখি না, উত্তর দিই, নোট দিই নোট নিই
যেতে আসতে পথে ঘাটে
কত ছেলে মেয়ে গল্প করে
না বাপী না, আমি মেয়েদের সঙ্গে মিশতে যাই না কখোনো
যেতে আসতে দেখতে পাই কাদা মেখে কত ছেলে বল খেলছে মাঠে
কত সব দুষ্টু ছেলে পার্কে প্রজাপতি ধরছে
চাকা বা ডাঙ্গুলি খেলছে কত ছোটোলোক
না, আমি খেলতে যাই না কখোনো
খেলতে যাইনি। না আমার বন্ধু নেই
না বাপী না, একজন আছে, অপু, একক্লাসে পড়ে
ও বলে যে ওর বাবাও বলেছে প্রথম হতে
বলেছে, কাগজে ছবি, ওর বাবা, ওকে ….
হ্যাঁ বাপী হ্যাঁ, না না বাপী, অপু বলেছে পড়াশোনা হয়নি একদম
বলেছে ও ব্যাক পাবে, ব্যাক পেলে ও বলেছে, বাড়িতে কোথায়
বাথরুম সাফ করার অ্যাসিড আছে ও জানে,
হ্যাঁ বাপী হ্যাঁ, ও বলেছে,
উঠে যাবে কাগজের প্রথম পাতায় …..
আপনার কমেন্টটাও হাসিমুখে শুরু করলেও শেষে এসে মুখে মাছি পড়ল। কবিতা আমি বেশি পড়ি না, বুঝিনা বলে। এই কবিতাটা মাথায় ঢুকে গেল। অনেকদিন থাকবে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপনার লেখা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। আমি সবসময়ই মুগ্ধতা নিয়ে পড়ি।
লেখাটা পড়ে মনটা খারাপ হল। ইদানীং চারপাশের বাব মা দের দেখে মনে হয় না এরা মানসিক ভাবে সুস্থ । ছোটো কাজিন গুলোকে দেখছি বাবা মাকে খুশি করতে, তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতেই দিন কেটে যাচ্ছে, খেলার সময় নেই, গল্পের বই নিয়ে বসে থাকার সময় নেই, সপ্ন দেখার সময় তো নেইই। আমাকে জন্ম দিয়েছে বলেই কি আমার নিজের সপ্ন বিসর্জন দিয়ে তাদের সপ্নের পিছনেই ছুটতে হবে আমাকে সবসময়? এসব দেখে দেখেই আমি নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছি , কোনদিন যদি মা হই সন্তানটিকে যা ইচ্ছে হতে দিব, শুধু একজন ভাল মানুষ হোক এ ছাড়া আর কোন প্রত্যাশা থাকবে না আমার। সে পাহাড়ের চুড়োয় চড়বে নাকি পাহাড়ের গায়ে হেলান দিয়ে চুপচাপ দিন কাটিয়ে দিবে এটা সে নিজে ঠিক করবে , আমি না।
কি আশ্চর্য, পাহাড়ের এই উপমাটা আমি নিজে একটা সময় খুব ব্যবহার করতাম। সেম পিঞ্চ এগেন।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আহা, ঠাকুমার লেখাগুলো যেন তাঁর একবছুরে নাতি-পুতি।
ছোট্ট সোনা, তুলোর বল; কোলে নিয়ে বসে থাকতেও কি আনন্দ !
কিভাবে লেখেন এমন লেখা !
অ্যাঁ ! তাই নাকি ?!
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এই সময়ের কিন্ডারগার্টেন পড়ুয়াদের দুর্দশার কথা আর ভাবতে পারি না...
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
অনেকদিন পরে মৌনকুহরকে সরব হতে দেখে ভাল লাগলো।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
একজনের ব্লগরব্লগর পড়ে আমার মাঝেমাঝেই মনে হয় ঠিক চোখের সামনে টেনে নিয়ে এসেছে হুড়াহুড়ি ছোটবেলা, মাটির গন্ধ, আর এখনকার সরগরম ভীড়ের মাঝের একাকীত্ব। এই কালকেই তাকে বলছিলাম, যে পাঠককে নিজের ব্লগরব্লগরের অংশ করে ফেলতে পারাটা একটা বিশাল কেরাদানির কাজ!
আর এই আপনি! আপনার ব্লগরব্লগর আমাকে ঠিক আপনার লেখার ঐসবের মধ্যেখানে টেনে নিয়ে ফেলে বারবার...! এইভাবে লেখে কেম্নে বলেন দেখি!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
প্রচণ্ডরকমের সহমত বাই দ্য ওয়ে!
তবে... স্বপ্ন দেখতে জানাটাও একটা আর্ট।
আর আরও বড় হলো নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে জানাটা!
লাইনগুলোর শেষে যতিচিহ্নের আগে একটা করে অতিরিক্ত স্পেস পড়ে গেছে কি?
'হটাত' বানানটা চোখে লাগছে কয়েক জায়গায়।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হে হে হে...হে হে হে... কথাটথা খুঁজে পাচ্ছিনা আরকি। কালো মানুষ বেগুনি হয়ে গ্লাম।
এইটা একটা মিলিওন ডলার জ্ঞানের কথা।
ফরম্যাটিং আর বানানে আলসেমি ছিল আসলেই। কেন যেন দেখেও ঠিক করতে ইচ্ছে করছিল না। বিকট আলসেমি লাগছিল। উচিত হয়নি। বলে দিলা দেখে দৌড়ে এসে ঠিক করলাম। এখন দেখতে নিজের কাছেই ভাল লাগছে। খণ্ড ত এর ব্যাপারটা একদম স্লিপ করে গেছল মাথা থেকে। থ্যাঙ্কস।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অনেকদিন পর লিখলেন। আমি অবশ্য আগে থেকেই আপনার এরকম লেখার ভক্ত - কেমন একটানে অনায়াসে লিখে ফেলেন। আমাকে তো একটা ছোট লেখা লিখতেও বেশ কসরত করতে হয়।
উকিলের বেটিকে হাতের কাছে পেলে (দাঁত কিড়মিড়, খবর আছে ইমো)
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
একটানে লিখতে পারলে তো ভালোই হত। এত পেইন খেতে হয়না তাইলে। তোমার লেখা যে কোন পর্যায়ের ভালো কোন ধারনা আছে তোমার ? নাই নিশ্চয়ই। সেটা আর যাই হোক, কসরতের লেখা মনে হয়না কোনভাবেই।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কী অসাধারণ লিখেছ আপুনি!! এতো চমৎকার হয়েছে বলে বোঝানো যাবে না। সেদিন একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম এরকম কিছু চিন্তা থেকেই। প্রতিযোগিতা করতে যেয়ে আমরা ভুলেই যাচ্ছি শান্তিতে থাকাটা আসলে কেমন। হুট করে একদিন এই মানুষগুলো হয়ত আবিষ্কার করে হায়! জীবনে কিছুই নিজের মনের মত পেলাম না অথচ শরীর বলছে জীবনের সময় শেষ।
লেখাপড়ার অত্যাচারে এতো ভাল লেখা পড়তেও দেরি হয়ে যায়! লেখায় পাঁচ তারা আপু।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
লেখাপড়ার অত্যাচারে আমি নিজেও অতিষ্ঠ রে ভাই। বাংলাদেশে তো সেরকম জুইতের বন জঙ্গলও নাই যে দুচ্ছাই বলে যেদিকে দুচোখ যায় বেড়িয়ে পড়া যাবে। তারার জন্য অনেকনেক ধন্যবাদ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কেউ এইভাবে ভাবে না। কেউ না।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
মন্তব্যে ধন্যবাদ রিক্তা।
কেউ কেউ ভাবে কিন্তু। এই যে আমি ভাবি। আর এইযে আপনার মাথায় ঢুকিয়ে দিলাম ভাবনাটা, আপনিও হয়ত কখনও কখনও একটু একটু ভাববেন।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
খুবই ভালো লাগল লেখাটা।
স্বপ্ন দেখতে জানা, পূরণ করার চেয়েও, অনেক বিশাল একটা ব্যাপার। স্বপ্ন দেখতে জানলে সেটা আপনাআপনিই একদিন নাগালে চলে আসে। (হয়ত আসে না। কিন্তু বিশ্বাস করতে দোষ কী!)
গত লেখায় মন্তব্যের উত্তর দিতে বেজায় দেরি হয়ে গিয়েছিল। আজ তাই টাটকা ধনেপাতা।
আমি আসলে আর কিছু পারিনা তেমন, কিন্ত কিছু কিছু ব্যাপারে চোখকান বন্ধ করে প্রবল বিশ্বাস করতে পারি খুব ভালো। আমি সত্যিকারভাবেই বিশ্বাস করি যে খুব মন দিয়ে কোন স্বপ্ন দেখলে সেটা সত্যি হয়ে যায়। প্র্যাক্টিক্যাল মানুষদের চোখে এটা ভয়াবহ বোকামি নিশ্চিত ভাবেই। কিন্তু এই বোকামিটা করতে আমার ভারি ভালো লাগে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
নতুন মন্তব্য করুন