ঘুরে এলাম টাংগুয়ার হাওর থেকে। বাংলাদেশ-টা আসলে যে কতটা সুন্দর, সেটা আসলে দেশটা না ঘুরে দেখলে বোঝা মুশকিল। আমার সৌভাগ্য হয়েছে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জায়গা ঘুরে দেখার। বহু জায়গা ঘুরে ফেলেছি সেটা অবশ্য বলার মত সাহস নেই; তবে দেশটাকে কিছু হলেও দেখেছি সেটা মনে হয় বলতে পারব। অতটুকু experience থেকেই বলতে পারি যে এই tour আমার জীবনের সবচাইতে memorable tour।
সুনামগঞ্জ বাস করে পৌছেছি ভোর চারটার আগেই। একটু রেস্ট নিয়েই সকাল সকাল বেরিয়ে পরেছি নৌকা ভ্রমনে। হাসন রাজার বাড়িটা দেখার সৌভাগ্য ছিলনা তাই নৌকায় উঠে গেলাম সোয়া আটটার মধ্যেই। সুরমা নদী থেকে নৌকা করে পৌছেছি মনিপুরি ঘাট। মাত্র আধা ঘন্টা লেগেছিল এই ভ্রমনে, কিন্তু যতটুকু দেখেছি এই আধা ঘন্টায়, সেটা আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে সামনের দুই দিনে কি দেখতে পারি। আমাদের একটা ভয় ছিল আবহাওয়া আমাদের অনুকুলে থাকবে কিনা। বিশেষ করে কুয়াশা নিয়ে আমাদের বেশ কিছুটা শংকা ছিল। আকাশটা ছিল ঝিরি ঝিরি মেঘে ঢাকা। একেবারে মোলায়েম কারপেটের মত। খাল দিয়ে যেতে যেতে পাড়ের মানুষের জীবনের একটা ধারনা করে নিলাম। যা কিছুই দেখছিলাম, তা-ই যেন ছবি তুলে রাখার মত। আর ছবি তুলেছিও বটে; ক্যামেরার ডিস্ক ভর্তি করে, আর মনের কোঠোর পরিপুর্ন করে।
From TTL Safari: Tanguar Haor, Sunamganj, January 2009 |
From TTL Safari: Tanguar Haor, Sunamganj, January 2009 |
From TTL Safari: Tanguar Haor, Sunamganj, January 2009 |
পৌনে ন'টার মধ্যেই পৌছেছি মনিপুরি ঘাট। সেখান থেকে ১৬টা মটর সাইকেল নিয়ে যাত্রা শুরু হল আবার। ধুলির ঝড় বইয়ে দিয়ে চল্লাম কাচা রাস্তা দিয়ে। একেবারে Harley Davidson মটরসাইকেলের বিজ্ঞাপনের মত। যাকে বলে এক্কেবারে "bad-to-the-bone". আধা ঘন্টা যেতে না যেতেই আবার থমকে দারালাম। প্রকৃতির সৌন্দর্যের কাছে আমাদের হার মানতে হল। আমাদের সীমানার পুরটাই হল একেবারে সমতল ভূমি। আর ওদিকে কি আছে, সেটা সুউচ্চ পাহাড়ের জন্য এক্কেবারেই দেখা জাচ্ছিল না। তবে পাহারগুলি আমাদের সমতলভূমিকে যে background দিয়েছে, সেটা কিন্তু কোনো মুভি ডিরেক্ট্ রের পক্ষেই তৈরি করা সম্ভব নয়। প্রায় ৪৫ মিনিট কাটালাম আমরা মেঘালয়ের পাহাড়্গুলির পায়ের আংগুলের কাছে। বিভোর হয়ে দেখলাম আর ছবি তুলতে তুলতে হয়রান হবার পর আবার যাত্রা করলাম।
From TTL Safari: Tanguar Haor, Sunamganj, January 2009 |
From TTL Safari: Tanguar Haor, Sunamganj, January 2009 |
চলবে...............
যাদের ধৈর্য একটু কম, আর ইংরেজি পরতে সমস্যা বোধ করেন না, তাদের জন্য একটা সর্টকাট রয়েছে। ইংরেজিতে পড়তে চাইলে আমার ইংরেজি ব্লগখানা ভিসিট দিয়ে আসতে পারেন।
http://desherchobi.blogspot.com/2009/01/ttl-safari-tanguar-haor-sunamganj.html
ততখনে আমি বাংলা লেখার একটু practice করে নিই, কি বলেন? বাংলাতে পাশ করাটা আমার জন্য সবসময়-ই ছিল অগ্নি পরিক্ষার মত।
মন্তব্য
মেঘের প্যাটার্নটা খুব সুন্দর ধরেছেন ক্যামেরায় । অসাধারণ লাগল !
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
পরের অংশের অপেক্ষায় রইলাম...
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ছবিগুলো খুব সুন্দর। ফ্লীকারেও আপনার কিছু ছবি দেখলাম। অসাধারণ!
নিয়মিত লিখুন। বাংলা টাইপিং আপনা-আপনি আয়ত্তে চলে আসবে।
স্বাগতম আহ্মেদ শরীফ
লেখা ভালো হচ্ছে, আর ছবি? সেকথা নাই বললাম, আমি হিংসা করি।
...........................
Every Picture Tells a Story
২০০৪ এর নভেম্বরে গিয়েছিলাম। আইইউসিএন এর একটা প্রজেক্ট আছে ওখানে, ওদের নৌকো ভাড়া করে তিনদিন হাওরে ছিলাম। আহ, কী যে দারুণ জায়গা!
হাঁটুপানির জলদস্যু
ছবি গুলো খুবি ভাল লাগল ।
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
চমৎকার হচ্ছে। আসুক অনেকগুলো কিস্তি।
টাংগুয়ার হাওরে যে কবে যেতে পারব!
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
শরীফ ভাই,
ধন্যবাদ, বাংলায় ব্লগ লেখার জন্য। এতদিন আপনার ইংরেজীগুলো পড়েছি, এখন বাংলাতেও ভাল্লাগ্লো।
আমাদের দেশটা যত সুন্দর, ভাষাটাও কি নয়?
ছবিগুলোর ব্যাপারে কিছু বলে নিজেকে আর লজ্জা দিতে চাইনে ... ...
পরেরগুলোর অপেক্ষায় ... ...
আপনার ইংরেজি ব্লগের এম্নিতেই আমি ফ্যান ছিলাম। বাংলাব্লগেরও ফ্যান হয়ে যাব মনে হচ্ছে!!
আর আপনার ছবির ব্যাপারে কমেন্ট নাই করলাম !
------------
উদ্ভ্রান্ত পথিক
যাই নাই। যাইতে হবে।
ছবিগুলো অসাধারন!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে আনুপ্রানিত করার জন্য। সম্ভবত পরের অংশটি লিখা আরো সহজ হয়ে গেল।
ছবিগুলো অসাধারণ হলেও আমার কাছে ক্যানজানি মনে হচ্ছে রঙগুলো আর্টিফিশিয়ালি বেশী গাঢ় করে ফেলা হয়েছে। আরেকটু ন্যাচরাল হলেই ভাল ফুটত
খুউউউব সুন্দর, মন খারাপ হয়ে যাওয়ার মতো সুন্দর।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
লেখা, ছবি মারাত্মক। বস শর্টকার্ট ফলো করতে পারলাম না। তাড়াতাড়ি বাংলা শিখে ফেলেন
=============================
ছবিগুলো কি ডিজিট্যালি এনহ্যান্সড (এর খুব জুতসই বাংলা পেলাম না)? মনে হলো তা না হলে আরও বাস্তবানুগ লাগতো। লেখা আরেকটু বিস্তারিত করলে ভালো হয়, আর ছবি আ্যজ ইজ :)।
জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা
আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে ছবিগুলো ডিজিট্যালি এনহ্যান্সড করা হয়নি। আসল কালার আরো বেশি সুন্দর ছিল। ডিজিটাল ক্যামেরার ডাইনামিক রেঞ্জ-এর Limitation-এর কারণে তত ভাল কালার আসেনি। আসল কালার ততটাই সুন্দর ছিল যে আমার মনে হয়েছে ছবি না তুলে শুধু তাকিয়েই থাকি। সেটা করলে অবশ্য জায়গাটা কতটুকু সুন্দর, সেটা বিশ্্বাস করানো আরও কঠিন হয়ে যেত।
লেখা আরেকটু বিস্তারিত করতে গেলে বাংলা টাইপিং আরও ভাল করে শিখতে হবে। এই লেখাগুলি লিখতেই যান চলে যাচ্ছে। আর আগেই বলেছি, বাংলাতে পাশ করাটা আমার জন্য সবসময়-ই ছিল অগ্নি পরিক্ষার মত।
নতুন মন্তব্য করুন