আমার কখনো এতো রাগ ওঠে না। আজ কী করে যে এতো রাগ উঠে গেলো---বুঝতে পারলাম না।
রাতে ভালো ঘুম হয়নি। পরপর দুটো ভয়ংকর দুঃস্বপ্ন দেখেছি রাতে। একটা মধ্যরাতে, আরেকটা ভোররাতে। কাজেই, সকালবেলা মরার মত ঘুমুচ্ছিলাম।
ঘুম ভাঙে গেলো বাবার চিৎকার-চেঁচামেচিতে।
হিমালয় ভাই আমার বড় ভাইয়ের মত। কিংবা এক অর্থে বড় ভাই-ই। এরকম ঘনিষ্ঠ একজনের গ্রন্থ নিয়ে রিভিউ লিখতে কিছুটা হিম্মতের দরকার হয়। পছন্দের মানুষ---কাজেই রিভিউ লিখতে গিয়ে একটা বায়াস চলে আসতেই পারে। সেই বায়াস থেকে নিজেকে শত হাত দূরে রাখতে সচেতন প্রয়াসের দরকার আছে বৈকি।
বরাবরের মতই তোকে বাসে উঠিয়ে ফিরে যাচ্ছিলাম
বাসের গেটটা বন্ধ হতেই তুই দৌড়ে এলি
দরোজা ধরে অস্পষ্ট চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলি
কন্ডাক্টর বেশ বিরক্ত হল
একটা গালি তার গলা পর্যন্ত উঠে এসেছিল
নেহাৎ তুই বলেই হয়তো মুখ অব্দি এলো না
বাস থেকে নেমেই তুই আর আমি
মানে, আমরা---আবারো হাঁটা ধরলাম
নীলক্ষেত থেকে সংসদ ভবন
সংসদ থেকে নীলক্ষেত
রাউন্ড এ্যাণ্ড রাউন্ড, রাউন্ড এ্যাণ্ড রাউন্ড
ঢাকা শহরে বের হলে আপনাকে চোদনা হতেই হবে। আপনি যদি যথেষ্ট বুদ্ধিমান প্রক্তির মানুষ হয়ে থাকেন এবং আপনার আই কিউ যদি এভারেজ এর চেয়ে কয়েক ধাপ উপরেও থাকে, এই শহর আপনাকে সুনিশ্চিতরূপে একজন প্রথম শ্রেণীর চোদনা বানিয়ে ছেড়ে দেবে।
মিনার টাওয়ার খুঁজে পেতে মোটামুটি ঘাম বেরিয়ে গেলো।
মুহিতের ভাষ্যমতে, গুলশান-২ থেকে সোজা নাক বরাবর পাঁচ মিনিট হাঁটলেই ৮ নম্বর রোড। রোডের মাথায় সৌদি দূতাবাস। দূতাবাসের গার্ডদের জিজ্ঞেস করলেই নাকি মিনার টাওয়ার দেখিয়ে দেবে।
তার মানে সবাই বালছাল বানাইলে আমাকেও বালছাল বানাইতে হবে?
এগজ্যাক্টলি তাই। সৌরভদা তার বিচ্ছিরি শরীর দুলিয়ে একটা হাসি দেন।
এই তো তুমি লাইনে আসছো। ধরো, তুমি এক জায়গায় ডিমের ব্যবসা করতে আসছো। ঐখানে আরো চার-পাঁচজন দোকানী ডিম বেঁচে। এখন তোমার ডিম যদি ওদের চেয়ে বড় আর সুস্বাদু হয়, আবার দামেও কম হয়---তোমার কি মনে হয়---ওরা তোমারে ঐখানে ব্যবসা করতে দিব?
আমি ডানে-বাঁয়ে হালকা মাথা নাড়াই।
আমি তখন রোজ সকালে কলেজ পড়াই
এমনি এক ঘুমভাঙা সকালে
আকাশের মন খারাপ দেখে আমারও মন খারাপ হয়ে গেলো
খুব ইচ্ছে হল ক্লাস ফাঁকি দিয়ে শুয়ে থাকতে
মনিটরকে ফোনে জানিয়ে দিলাম, আজ আর ক্লাস হবে না
আজ তোমরা পলাশ নদীর তীরে ঘুরতে যাও
আমিও আসছি। ব্ষ্টিটা ধরে এলে আমিও চলে আসছি
-স্যার, পলাশ নদীটা কোথায়? ৬ নম্বরে যাব না ৩৬ নম্বরে?
আমি বললাম, ৩৬ নম্বরেই যা।
মোহাম্মদপুরের কানাগলিতে আমাদের রোজকার বসবাস
আমরা লাইন ধরে ইশকুল যাই, কখনো কলেজ
সকাল-বিকাল নিয়ম করে ব্ষ্টিতে ভিজি
অবসরে মেয়েদের উত্যক্ত করতে খারাপ লাগে না
আরো কিছুটা অবসর পেলে মেয়েদের গার্জিয়ানদের
শুক্কুরবার শুক্কুরবার আমরা দল বেঁধে পরীক্ষা দিতে যাই
হল থেকে বেরিয়ে ধরি পলাশীর রুট
সেখান চিড়া খাই, মুড়ি খাই
খাই কলা এবং ছোলা
পকেট গরম থাকলে চিকেন, হালিম এবং বেনসনের ঝোলা
গেমটা প্রায় শেষ করে এনেছে হারামী।
এ তো আর এ্যাংরি বার্ডস বা পকেট ট্যাঙ্কস নয়, যে ফেসবুকের ফাঁকে ফাঁকে দু-চার মিনিট খেলে মিনিটের মজা লুটে নেব। এ হচ্ছে মিশন গেম। অনেকগুলো স্টেজ, অনেক অনেক শত্রু। সবগুলোকে শেষ করতে পারলে তবেই না বিজয় মুকুট ঘরে এসে ধরা দেবে।
ট্রাভিসকে দেখে আমার হিংসা হয়। নিউয়র্কের মনোরম মনোটোনাস লাইফে তার জীবন যখন বিষিয়ে উঠেছে, তখন সে দুদিন আগে পরিচয় হওয়া এক কিশোরী পতিতাকে দালালদের খপ্পর থেকে বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এমন না যে, সে মেয়েটার প্রেমে পড়েছে। তার প্রেম তো অন্য কেউ, অন্য কোনখানে।