গতকাল চ্যানেল আই-তে একটা গোলটেবিল বৈঠক দেখছিলাম। টিভিতে খেলা আর পুরানো মুভি ছাড়া আমার তেমন কিছুই দেখা হয় না। এ ধরণের গোলটেবিল বৈঠক, টক শো আমার দেখার কথা না। তারপরও আগ্রহভরে অনুষ্ঠানটা দেখছিলাম। আমি ও আমার দুই ছোট ভাই। কেননা, অনুষ্ঠানটা ছিল আমাদের মত স্টুডেন্টদের নিয়ে। শিক্ষাখাতের বিভিন্ন সমস্যার কথা খোদ ছাত্র ও অভিভাবকদের কাছ থেকে শুনছিলেন স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী। ব্যাপারটা আমাদের দেশের জন্য নতুন। তো কথায় কথায় উঠে আসে বেসরকারী স্কুলগুলোতে অত্যধিক ভর্তি ফি'র প্রসঙ্গটি। খুলনার এক বালক দুঃখ করে বলছিলো, তার খুব শখ ছিল ওখানকার সেন্ট জোসেফে ভর্তি হবার। ভর্তি ফি কত? মাত্র ২৩০০ টাকা। শুনে আমরা তিন ভাই তো হেসেই গড়াগড়ি। ঢাকায় যেখানে বেসরকারী স্কুলগুলোতে ১০-১২-১৫ হাজার টাকা দিয়েও মানুষ ভর্তি হচ্ছে (শুনেছি মণিপুর স্কুলের ভর্তি ফি ২৫ হাজার টাকা, সত্যি মিথ্যা জানি না), সেখানে ২৩০০টাকার জন্য একটা ছেলে ভালো স্কুলে ভর্তি হতে পারছেন, শুনলে একটু অবাক হই বৈকি। ঢাকায় জীবনযাত্রার মান যথেষ্ট ব্যয়বহুল, এই্ যুক্তিকে গোণায় ধরেও সম্পদের এই বৈষম্যকে স্বীকার করতে চায় না আমার বুর্জোয়া মন।
ঐ সভাটির ঠিক একদিন পরই একটা মুভি দেখে প্রবল ঝাঁকুনি খেলাম আমি। দুঃখের বিষয়, মুভিটির নির্মাতা কোন বাংলাদেশি নন। Yimou Zhang (সঠিক উচ্চারণটা কি হবে, কেউ বলতে পারবেন, প্লিজ?) নামের একজন অজানা অচেনা চাইনিজ ফিল্মমেকার। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ইনারই House of the dragon flies নামের মুভিটি আমি আগেই দেখেছি। আমি চাইনিজ (সামুরাই/সোর্ড) ফিল্মের ভক্ত নই। আমার ভাইদের জোরাজুরিতে এই ধরণের ফিল্মগুলো দেখা হয় আরকি। ওরা এই জেনারের ফিল গোগ্রাসে গেলে এবং আমাকেও গিলতে বাধ্য করে। তবে আর দশটা চাইনিজ এপিক এ্যাকশন মুভির সাথে এই মুভিটির পার্থক্য হচ্ছে, এখানে কালারের ব্যবহার। Yimou Zhang কে বলা হয় ওখানকার 'মাস্টার অফ কালার'। House of the dragon flies আপনার যেমনই লাগুক, এর রঙের ব্যবহার যে আপনার দ্ষ্টি কাড়বেই, একথা নির্দ্বিধায় বলে রাখতে পারি।
যাহোক, আজ আমি House of the dragon flies নিয়ে কথা বলতে আসিনি। এসেছি Not one less নামের স্বপ্ন ও বাস্তবতার মাঝামাঝি একটি অনন্যসাধারণ মুভির গল্প করতে। ট্র্যাকচ্যুত হবার জন্য পাঠকের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
এককালে বলতাম, হলিউড-বলিউডের পাশাপাশি এই ভিন্নভাষী মুভিগুলো এক পশলা ব্ষ্টির মত। এখন এই ভিন্নভাষী মুভিগুলোই হয়ে দাঁড়িয়েছে আমার 'পিএল হোম ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল' এর প্রধান আকর্ষণে।
Not one less আসলে কী টাইপ মুভি? সোজা কথায়, এটি একটি ডকু ফিকশন বা নিও-রিয়েলিস্টিক ঘরানার ফিল্ম। আরো অনেক নিও রিয়েলিস্টিক ফিল্মমেকারের মত Yimou Zhangও আব্বাস কিয়োরোস্তোমির দ্বারা অনুপ্রাণিত। একথা তিনি খোলাখুলি স্বীকার করতেও দ্বিধা করেননি। এ ধরণের প্রায় ফিল্মেই যেমনটা থাকে, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা প্রথমবারের মত ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান এবং বাস্তব জীবনে তার যে ভূমিকা, অনেকটা সেই নাম ও ভূমিকাতেই অভিনয় করেন---এই ফিল্মেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। নিও-রিয়েলিস্টিক মুভির সাথে পরিচয় নেই, এমন দর্শকের হঠাৎ করে মনে হতে পারে, নির্মাতা বুঝি খুব একটা যত্ন নিয়ে বানাননি মুভিটি। চরিত্রগুলোর বিশেষ বিশেষ মুহূর্তকে ক্যামেরাবন্দী করে অসংখ্য ফুটেজের কালেকশান থেকে কেটেছেঁটে একটা মুভি দাঁড় করিয়েছেন আরকি। আপনি যদি এ ধরণের মুভির দর্শক হিসেবে নতুন হন এবং এগজ্যাক্টলি এই অনুভূতিটির সম্মুখীন হন, বুঝতে হবে নির্মাতা তার কাজের ক্ষেত্রে শতভাগ সফল। (আমাদের সরওয়ার ফারুকী নিজেকে কিয়োরোস্তোমির শিষ্য দাবি করেন, যদিও তার কোন মুভিতে আমি নিও-রিয়েলিজমের গন্ধমাত্র পাইনি)
এই রে, বকর বকর করেই যাচ্ছি। এদিকে প্লটটা পর্যন্ত এখনো বলা হল না পাঠককে।
চীনের খুব সাধারণ একটি গ্রাম। গ্রামের একটি প্রাইমারি স্কুলে মাস্টারি করেন এক বোকাভোলা ব্দ্ধ। ছ'মাসের বেতন আটকে আছে তার। শুধুমাত্র শিক্ষার প্রতি ভালোবাসার কারণেই গ্রামের বিচ্ছু পোলাপানকে মানুষ করার সুকঠিন দায়িত্ব হাসিমুখে পালন করে চলেছেন তিনি। জরুরী কাজে তাকে শহর যেতে হবে। তাও আবার এক মাসের সফর। এই সময়টা তার ছাত্রবাহিনীকে সামলাবে কে? এইখানেই আমাদের নায়িকার আবির্ভাব। তের বছরের এক কিশোরীর উপর এই 'ওয়ান ম্যান বেইজড' স্কুলটির দায়িত্ব অর্পিত হয়। কিশোরীর কোন প্রাতিষ্ঠানিক উচ্চশিক্ষা নেই। নেই পড়ানোর অভিজ্ঞতাও। এদিকে দারিদ্র্যের মুঠোয় বন্দী স্কুলের ছেলেমেয়েরা প্রায়ই শহরে পাড়ি জমাচ্ছে জীবিকার আশায়। ব্দ্ধ শিক্ষকের ডেডিকেশনও কোন কাজে আসছে না। ব্দ্ধ সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত কিশোরীকে তাই যাবার আগে পইপই করে বলে গেলেন,যে ক'জন শিক্ষার্থী তিনি রেখে যাচ্ছেন, ফিরে এসে যেন সব্বাইকে দেখতে পান। একজনও যেন বাদ না যায়। Not one less.
কিশোরী কি পারবে তার দিকে ছুঁড়ে দেয়া চ্যালেঞ্জের মোক্ষম জবাব দিতে? পারবে তাকে গুণে গুণে দেয়া ৩০টা চক দিয়ে এক মাসের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে?
এর উত্তর আমি দেব না। মুভিটি নিজেই এর জ্বলজ্যান্ত জবাব।
এই মুভিটির একটি বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর চরিত্রগুলোর সিমপ্লিসিটি। স্কুলের বাচ্চাগুলো থেকে শুরু করে তের বছরের ম্যাডাম---সবাই এক অদ্ভূত সরলতার আদলে গড়া। দেখে মনে হবে, এরা যেন এই প্থিবীর কেউ নয়। স্বর্গ থেকে নেমে আসা এক একটা আশ্চর্য প্রতিমা, যারা আধুনিক প্থিবীর সকল কর্পোরেট জটিলতা থেকে মুক্ত। জটিল প্থিবীর কুটিল নিয়ম-কানুন থেকে সুদূর বিচ্ছিন্ন এই মানুষগুলো কীভাবে কীভাবে যেন তাদের সততা ও সরলতার পুরস্কারও পেয়ে যায় ঠিক ঠিক। দেখে বড্ড ভালো লাগে।
আরেকটা ব্যাপার না বললেই নয়। মুভিটাকে আমার সিস্টেমের বিরুদ্ধে একটি বলিষ্ঠ প্রতিবাদ মনে হয়েছে। খুব সহজ, সাধারন গল্প দিয়েও যে সিস্টেমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হওয়া যায়, এই মুভিটি তার প্রমাণ। লেখার শুরুতে যা বলছিলাম, গ্রাম ও শহরের শিক্ষাব্যবস্থায় যে পাহাড়সমান বৈষম্য কাজ করছে, এবং সরকার ও সিস্টেম যে এই বৈষম্যকে নীরবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে---এই মুভিটি এই নীরব উপেক্ষার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। নব্বই দশকের চীনা পরিপ্রেক্ষিতে নির্মিত হলেও আজকের বাংলাদেশে মুভিটির প্রাসঙ্গিকতা আমাকে বিস্মিত করে।
পত্রিকায় প্রায়ই চোখে পড়ে---অমুক লোক তমুক গ্রামে একাই একটা স্কুল চালিয়ে নিচ্ছেন। ছেলেপেলেরা খোলা আকাশের নিচে যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ শিখছে। পত্রিকার ভেতরের পাতায়, বিশেষত দেশের খবরে এই স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের বড় করে গ্রুপ ছবি ছাপা হয়। আমার বুর্জোয়া হ্দয় ছবিগুলোকে পাশ কাটিয়ে যায়। এই ছবিগুলোর মুখোমুখি হবার সামর্থ্য আমার নেই। বাংলাদেশে এরকম কয়টি স্কুল আছে, যা কোন একজন বোকাসোকা মানুষ একাই চালিয়ে নিচ্ছে, আমার জানা নেই। জানা থাকলেও তাদের জন্য কিছু করতে পারতাম কিনা জানি না। নিজের সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে চেষ্টা করতাম নিশ্চয়ই।
আপাতত, বিত্তবান মানুষদের অনুরোধ করতে পারি, আপনার চেনাজানা এমন কোন স্কুল থাকলে তাতে সাহায্য করতে কার্পণ্য করবেন না প্লিজ। আর একটা শিশুও যেন দারিদ্র্যের কারণে 'ঝরে-পড়া' শিশুর দলে নাম না লেখায়। not even one.
আর বাংলাদেশের ফিল্মমেকারদের অনুরোধ করবো, এই মুভির থিমের উপরই একটা মুভি বানিয়ে ফেলুন না। না হোক মৌলিক। মৌলিক কিছুই বানাতে হবে, এমন দিব্যি আপনাদের কে কবে দিয়েছে? স্করসিজ তো কোরিয়ান মুভির অনুসরণে (লক্ষ্য করুন, আমি কিন্তু 'অনুসরণে' বলছি, 'অনুকরণে' নয়) 'ডিপার্টেড' বানিয়ে অস্কারই জিতে নিলেন। মানছি, অস্কার তার প্রাপ্য ছিল, 'ডিপার্টেড' ছিল একটা উছিলা মাত্র। এদিকে পাশের দেশের রামগোপাল 'Godfather' এর অনুসরণে 'সরকার' বানালেন, কিন্তু মুভির মধ্যে নিজের ছাপটা ঠিকই রেখে যেতে পেরেছেন।
সাহস ও সততা থাকলে খুব অল্প পুঁজিতেই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এরকম কিংবা এর চেয়েও উঁচুমানের একটা মুভি নির্মাণ সম্ভব।
আপনারা নির্মাণে এগিয়ে আসুন।
আমরা দল বেঁধে দেখতে আসবো, কথা দিচ্ছি।
মন্তব্য
১. মুভিটা দেখতে হবে। আগ্রহ বাড়িয়ে দিলেন।
২. বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় নানা ধরনের অসঙ্গতি বিদ্যমান, সন্দেহ নেই। প্রথম শ্রেণীতে যে কজন ছেলেমেয়ে ভর্তি হয়, তাদের প্রায় অর্ধেক পঞ্চম শ্রেণী পাশ করতে পারে না। এরকম অবস্থার মধ্যে বাংলাদেশ যদি যে 'সিস্টেম'-এর কথা বললেন- সেরকম কোনো সিস্টেম ফলো করতে পারতো- তাহলেও দেশের শিক্ষার এই হাল হতো না! সমস্যা হলো, আমাদের দেশে কোনো সিস্টেমই আদতে গড়ে উঠতে পারে নি!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ধন্যবাদ, গৌতমদা।
আমি আসলে ফিল্ম আর শিক্ষা নিয়ে একসাথে লিখতে গিয়ে খানিকটা গুলিয়ে ফেলেছি
আপনি তো শিক্ষা বিষয়ক লেখা লেখেনই। আপনার লেখার জন্য অপেক্ষায় রইলাম
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
মোটেও গুলায় নি, ঠিকই আছে। আমি যেটা বলছিলাম, সেটা হলো, ওদের দেশে সিস্টেম আছে, তাই সিস্টেমের বাইরে গিয়েও কিছু কাজ করা সম্ভব। কিন্তু আমাদের দেশে তো কোনো সিস্টেমই নেই...
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ভাল লেখা।
দেশী চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাছ থেকে "ছায়া অবলম্বনে"/অনুসরণে নয়, মৌলিক কিছু প্রত্যাশা করাটা খুব বেশি চাওয়া নয়। বাংলাদেশী চলচ্চিত্রকারদের মাঝে বেশ কয়েকজন অত্যন্ত প্রতিভাবান (মেহেরজানকে গোণার বাইরে )
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আমিও তাই বিশ্বাস করি। সমস্যা হচ্ছে, ফিল্ম বানাতে গেলে খালি সরস্বতীর আশীর্বাদ থাকলেই চলে না, লক্ষ্মীরও অল্পবিস্তর আশীর্বাদ থাকা জরুরী
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
দেখতে মন চায়। খুঁজে দেখি নেটে পাই কিনা।
রেকমেন্ডেশনের জন্য ধন্যবাদ।
..................................................................
#Banshibir.
টরেন্টে সীড পাওয়া একটু কষ্টকর। আমার এক ফ্রেন্ড অনেক ঘেঁটেঘুঁটে মুভিটি আমার জন্য নামিয়ে রেখেছিলো
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
দেখতেই হবে ।
এইরকম আরও লেখা চাই ।
দেখে কেমন লাগলো, জানাতে অবশ্যই ভুলবেন না
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
হুমম । অবশ্যই জানাব ।
কাল একটা এড দেখলাম রবির, এক গ্রামের লোকজনের স্বেচ্ছা উদ্যোগে গড়া প্রাথমিক ইশকুল নিয়ে..
লেখা ভাল্লাগলো।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হুমম, রবির উদ্যোগটা পত্রিকায় দেখেছি।
কর্পোরেট কোম্পানিগুলোরই এ ব্যাপারে এগিয়ে আসা উচিত বেশি। এখনকার 'সিস্টেম' কিন্তু ওড়াই তৈরি করে চলেছে
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
আসলে সবার জন্য শিক্ষা , সব শিশুরই অধিকার আছে শিক্ষা পাবার! এই রনের কথা গুলো কবে বাস্তবে রূপ পাবে কে জানে।
আপানার লেখা চমৎকার
বেশি লজ্জা পেলাম।
এই ইমোটিকনটা আমি কেবল অসাধারণ লেখার ক্ষেত্রে ব্যবহার করি। যেগুলো ৫ তারারও বেশি কিছু ডিজার্ভ করে
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
যাদের মুভি দেখার সময় নাই (আমার মত কাঁঠালজনতার), তাদের জন্য উইকিতে ভুক্ত করে দে কাহিনী।
লিখা উত্থম হয়েচে।
ভালো কথা মনে করসো। অনেকদিন উইকিতে কিছু ভুক্তি দিই না
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ছবিটা দেখার আগ্রহ বাড়িয়ে দিলেন চমৎকার রিভিউ লিখে।
এই রে। আমি তো রিভিউ লিখিনি। ছবিটা দেখে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানালাম মাত্র।
তবে, ফিল্মটা দেখার আগ্রহ জাগাতে পেরেছি শুনে ভালো লাগলো।
আর ফিল্ম রিভিউ যদি পড়তেই চা, অনিন্দ্য রহমানের লেখাগুলো পড়ুন। উনি আমার অদেখা গুরু
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
Zhang Yimou = চ্যাঙ ঈ-মো
দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি ও জনসংখ্যায় বিবেচনায় গণচীনের ভালো মুভির সংখ্যা খুব কম। তাদের দেশের সিস্টেমটা এর জন্য দায়ী হতে পারে। গণচীনে আমার দেখা দেখা মুভি-নাটক-সিরিয়ালগুলোর বেশির ভাগই পাতে তোলার মতো না। এটা কোন সিদ্ধান্ত না, আমার অবজারভেশন মাত্র। তবে আশার কথা হচ্ছে যে অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে।
প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে সর্বোচ্চ জোর না দিলে দেশের শিক্ষার উন্নতি আশা করা দুরাশা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এই তো আপনাকে পেয়েছি পাণ্ডবদা।
এই উচ্চারণগুলো একটু দেখিয়ে দিন তো। উইকির লেখাটা স্রেফ আটকে আছে বদমাইশ নামগুলোর জন্যঃ
Huike Zhang
Zhang Huike
Zhenda Tian
Zhenda Tian
Enman Gao
Zhimei Sun
আর চাইনিজ উচ্চারণের কোন সহজ তরিকা থাকলে জানাতে ভুলবেন না
হবে হয়তো
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
Huike Zhang = হুইকে চ্যাঙ
Zhenda Tian = চেন দা-তিয়েন
Enman Gao = নামটার প্রথম অংশ বানানো বলে মনে হচ্ছে তাই উচ্চারণটা বুঝতে পারছি না, দ্বিতীয় অংশের উচ্চারণ গাও
Zhimei Sun = চিমেই স্যুন
চাইনিজ উচ্চারণের সহজ তরিকা নেই, অন্তত আমার জানা নেই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অনেক অনেক ধন্যবাদ, পাণ্ডবদা।
আপনি যে আবারো কষ্ট করে এই পোস্টে ঢুঁ মারলেন, ভাল্লাগছে খুব
আমি আপনাকে মেসেজ পাঠানোর কথা ভাবছিলাম
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
শাফি।
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
খুব সুন্দর লাগলো আপনার লেখাটা, মুভিটা দেখতেই হবে!
ধন্যবাদ
দেখে জানাতে ভুলবেন না---কেমন লাগলো
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
আপনার লেখা চমৎকার।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
নতুন মন্তব্য করুন