Baran---ব্‌ষ্টি ও ভালোবাসার গল্প

আশফাক আহমেদ এর ছবি
লিখেছেন আশফাক আহমেদ [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ৩১/০১/২০১২ - ৯:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

০১.

"একটা ছোট্ট জুতার ছাপের মধ্যে মাজিদ মাজিদি যে রোমান্টিসিজম ফুটিয়ে তুলেছেন, পুরা টাইটানিক ডুবিয়েও ক্যামেরন তার সিকিভাগ তুলে ধরতে পারেন নি। এই লোকটার আরো অনেক বেশি সম্মান-খ্যাতি প্রাপ্য বলে আমি মনে করি।

---কথা নেই বার্তা নেই হঠাৎ এরকম কিছু শুনে আপনি ভুরু কোঁচকাতেই পারেন। আমিও কুঁচকেছিলাম। কিন্তু 'বারান' মুভিটি দেখার পর আপনিও হয়তো আমার মত বদলাতে বাধ্য হবেন।

বারান-মানে ব্‌ষ্টি। এই ব্‌ষ্টি কোন সাধারণ ব্‌ষ্টি নয়। এই ব্‌ষ্টি মানুষের মনের যত ক্ষুদ্রতা, যত সংকীর্ণতা আছে---তাকে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে দেয়। এই ব্‌ষ্টি প্‌থিবীর ওপর ভীষণ বিরক্ত, কোন ঝগড়াটে তরুণের মনে রেখে যেতে পারে চিরস্থায়ী ছাপ। তার ভেতর যে 'মানুষ' বসবাস করতো, সেই মানুষটিকে জাগিয়ে তোলে এই বর্ষণ।

০২.
গল্পের নায়িকার নাম বারান। নায়কের নাম লাতীফ। তাদের ভালোবাসার গল্প এই 'বারান'। এইভাবে ফিল্ম রিভিউ দিলে পাঠকের কাছে ধোলাই খাবার প্রবল সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। আমি বরং অন্যভাবে শুরু করি।

১৯৭৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের আক্রমণে বিধ্বস্ত আফগানিস্তান ছেড়ে ইরানে পালিয়ে আসে হাজার হাজার আফগান। শরণার্থী হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই এখানে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হয় ওরা। তাদের যে জীবিকা জোটে না, তা না। কনস্ট্রাকশনের কাজে মজুর হিসেবে ভালোই ডিমান্ড আছে ওদের। কারণ? কারণ, ইরানীদের তুলনায় ওরা খাটতে পারে মারাত্নক। সেই তুলনায় ওদের মজুরি বেশ কম। যে কোন কন্ট্র্যাক্টর তাই স্বাভাবিকভাবেই চেষ্টা করেন বেশি বেশি আফগান মজুর পেতে। ইরানীরা সব অলস, আড্ডাবাজ, নিজেদের মধ্যে কলহ-বিবাদ করতে ওস্তাদ।

এমনই এক আন্ডার কন্সট্রাকশন বিল্ডিং-এর শ্রমিকদের চা-নাশতা দেবার কাজ করে আমাদের নায়ক লাতীফ। অলস, নিজের ও পুরো প্‌থিবীর উপর বিরক্ত এই তরুণ সুযোগ পেলেই মারামারি লাগিয়ে দেয় সহকর্মীদের সাথে। এই কন্সট্রাকশন সাইটেই নাজাফ নামের এক আফগান একদিন উপর থেকে পড়ে পা ভেঙ্গে ফেলে। এখন তার ফ্যামিলি চলবে কী করে? আমরা দেখতে পাই, নাজাফের বন্ধু সুলতান নাজাফের পুত্রকে তার রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে ঐ সাইটে নিয়ে আসে। কন্ট্রাক্টর মেমার-ও তাতে বিশেষ আপত্তি করে না। ছেলেটির নাম রহমত। অন্তর্মুখী স্বভাবের ছেলে। কারো সাথে কোন কথা বলে না। নিজের কাজটাও ঠিকমত করতে পারে না সে। তার ভুলের মাশুল গুণতে হয় গোটা সাইটকে। লাতীফের সাথেও তার খিটিমিটি লেগেই থাকে।

তের বছর বয়সী এই কিশোরের কি তাহলে কোন গল্প আছে? সে কি কারো কাছ থেকে লুকোচ্ছে কিছু? এই প্রশ্নের উত্তর পাবেন ঠিক ঠিক ৩৪ মিনিটে এসে। ভালোই শক খাবেন আশা করা যায়। তারপর কখন যে ফিল্মটা শেষ হয়ে গেছে, টেরও পাবেন না।

০৩.
মানুষের গহীনে যে কালো দিকটা আছে, মাজিদ মাজিদি সম্ভবত সেই দিক নিয়ে বিশেষ আগ্রহী নন। কিংবা তার দেশের সেন্সর বোর্ড তাকে মানুষের অন্ধকার মানস নিয়ে আগ্রহী হতে নিরুৎসাহিত করে। মাজিদির প্রতিটি চরিত্রই যেন ইনসানিয়াত তথা মনুষ্যত্বের উজ্জ্বল উদাহরণ। এই ফিল্মেও তার কোন ব্যতিক্রম দেখা যায় না। যে কারণে লাতীফ তার প্রিয়জনার ফ্যামিলিকে সাহায্য করার জন্য যে লোক মারফত টাকা পাঠিয়েছিলো, বারান-এর বাবা ঐ লোককেই সে টাকা দিয়ে আফগানিস্তান ফেরত যাবার ব্যবস্থা করে দেন। অথচ বারান পরিবার নিজেও ভীষণ দারিদ্র্যে দিন গুজরান করছে। বারানের বাবার বক্তব্য," ওরা যে আমার চেয়েও গরীব।" আফগানদের তখন আর পশু মনে হয় না। মনে হয়, ওরা তো আমাদের মতই মানুষ। কে জানে, সাধারণ আফগানদের মনুষত্ববোধ হয়তো আমাদের চেয়েও এক স্তর ওপরে। আলী সাহেব বলেই গিয়েছে, আফগানরা কতোটা সরল আর বিশ্বস্ত হয়।

মাজিদির ফিল্ম সম্পর্কে একটা কথা প্রায়ই শোনা যায়,"মাজিদির প্রতিটি ফিল্ম একই রকমের সুন্দর।" কথাটা মিথ্যে নয়। মাজিদির চরিত্রগুলো শুরু থেকে শেষাবধি জীবন সংগ্রামে রত থাকে। বিজয়ের মুখ এরা কদাচিৎ দেখতে পায়। পরাজয়টাই যেন এদের স্বাভাবিক পরিণতি। যে জন্য চিলড্রেন অফ হ্যাভেন এর বাচ্চাটা দৌড়ে ত্‌তীয় হতে না পেরে কান্না জুড়ে দেয়, দ্যা সং অফ স্প্যারোজ-এ নায়ক যখনই শহরে বাইক চালিয়ে (আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে রিকশা চালিয়ে) দু'পয়সা কামানো শুরু করেন, তখনই এক অযাচিত দুর্ঘটনায় তার পা ভেঙে যায়। জীবন কখনোই সরলরেখায় চলে না এদের। আমাদের 'বারান' এর নায়কও তার প্রিয়জনাকে কখনো মনের কথা মুখ ফুটে বলতে পারে না। কখনো বলতে পারবে কিনা, তাও জানে না। এতে করে তার পথ চলা কিন্তু থেমে থাকে না। জীবন সড়কের অলিতে-গলিতে হাঁটতে হাঁটতে সে ভালোবাসতে শিখেছে। শুধু তার প্রিয়জনাকে নয়, গোটা মানুষজাতির প্রতিই তার দ্‌ষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে সিনেমার শেষে এসে। এই গল্পটি তাই নিছক কোন প্রেম কাহিনী নয়, এক রগচটা সাধারণ যুবকের অসাধারণ হবার গল্প, জীবন নামক নিবাসের মনুষ্যত্বরূপ দোতলায় উত্থানের গল্প।

রোমান্টিক ফিল্মে নায়ক-নায়িকার কেমিস্ট্রি কতোটা জরুরী?---এই মুভি দেখার পর কোন সিনে সাংবাদিক ভুলেও মাজিদ মাজিদিকে অন্তত এমন প্রশ্ন করতে যাবেন না। কোন রোমান্টিক ফিল্মে নায়ক-নায়িকার মধ্যে একটিও বাক্য বিনিময় হয়নি---এমন কোন মুভি আমি অন্তত দেখেছি বলে মনে পড়ে না। দোষটা নায়িকার। নায়ক তাও তার সাথে দু-একবার হাই-হ্যালো করেছে, আমাদের অন্তর্মুখী নায়িকা তার কোন জবাব দেয়নি কখনো। তাতে কি তাদের অনুভূতিগুলো অব্যক্ত রয়ে গেলো? না, মাজিদি তা হতে দেবেন কেনো? লাতীফ আর বারান-এর ক্লোজআপগুলোই সেই না বলা সংলাপগুলোর ঘাটতি পুষিয়ে দিয়েছে। সংলাপ যে একটা ফিল্মের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই বাহুল্য---মাজিদি তা প্রমাণ করে দিয়েছেণ এই ফিল্মে।

০৪.
মাজিদির সিনেমাটোগ্রাফি সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। মাঝে মাঝেই তিনি উপর থেকে যে টপ ভিউগুলো নেন---সেগুলো এক কথায় অসাধারণ। পুরো গল্পটা তিনি যেন ঐ এক ফ্রেমেই বলে দেন।

বারান আর লাতীফ---দু'জনই বেশ সাবলীল অভিনয় করেছেন। আর বোনাস হিসেবে কন্ট্রাক্টর চরিত্রে 'দ্যা সং অফ স্প্যারোজ' এর মোহাম্মদ আমীর নাজি তো আছেনই।

শেষমেশ পাঠককে আরেকটু উস্কে যাই।

সময় করে 'বারান' টা দেখেই ফেলুন না।

আপনার প্রিয় রোমান্টিক ফিল্মের লিস্টটাকে নতুন করে সাজাতে হবে, আগেভাগেই জানিয়ে রাখছি। আর টরেন্টে সীড কম পেলে সেজন্য লেখক দায়ী থাকবেন না হাসি


মন্তব্য

সাত্যকি. এর ছবি

কি লেখলি দোস! পরীক্ষার আগে আমার মাথা নষ্ট করতে চাস ?
মাজিদির ক্যামেরার লাইট সেন্সিটিভিটি, রেসপন্সিভিটি নিয়ে একটা আর্টিকেল লিখলেও হইত একটা কাজের কাজ।
সম্ভবত আমার পড়া তোর সেরা মুভিদর্শন উস্কানিমূলক রচনা।

আশফাক আহমেদ এর ছবি

রেসপন্সিভিটি তো লেজার-এর জন্য এক রকম আর ফটোডায়োড-এর জন্য আরেক রকম, তাই না? চোখ টিপি
আর সেন্সিটিভিটির সংজ্ঞা এখনো পেলাম না। কোন বইয়ের কোন প্‌ষ্ঠায় আছে, কও তো দেখি

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

তারেক অণু এর ছবি

চিলড্রেন অফ হ্যাভেন দারুণ লেগেছিল। এইটাও দেখতে চাই। আমার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের একজন বারান, সে কুর্দি। তার মাতৃভাষাতেও বারান মানে বৃষ্টি!

আশফাক আহমেদ এর ছবি

কুর্দিদের ভাষাও কি ফার্সি, অণুদা?

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

তারেক অণু এর ছবি

ওরে বাবা! কি ভয়ংকর কথা! কোন কুর্দির সামনে ভুলেও বইলেন না !
ওদের ভাষা কুর্দি! বিশ্বের যে কয় দেশে কুর্দিস্তান টুকরো টুকরো হয়ে আছে, তাদের সবারই মাতৃভাষা কুর্দি।

আশফাক আহমেদ এর ছবি

আমার অজ্ঞানতা।
যাক বাবা, এ যাত্রায় আপনি বাঁচিয়ে দিলেন।
কুর্দিদের অনেক শব্দের সাথেই কি ফার্সিদের শব্দগুলো মেলে?

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

চরম উদাস এর ছবি

চলুক
মাজিদি অসম্ভব প্রিয় একজন ডিরেক্টর। Children of Heaven, The Color of Paradise আর The Song of Sparrows দেখে মাথা নষ্ট হইছে। Baranএখনো দেখিনি। Song of Sparrows একটা অংশ আছে। ছোট ছোট মাছ গুলো রাস্তায় পড়ে যায় আর সেইগুলো বাঁচানোর জন্য বাচ্চাগুলোর কি আকুতি! অসাধারণ একটা দৃশ্য।

আশফাক আহমেদ এর ছবি

উদাসদা,

"মাঝে মাঝেই তিনি উপর থেকে যে টপ ভিউগুলো নেন---সেগুলো এক কথায় অসাধারণ। পুরো গল্পটা তিনি যেন ঐ এক ফ্রেমেই বলে দেন।"

এইখানে আমি ঠিক এই দ্‌শ্যের প্রতিই ইঙ্গিত করেছি। আপনি কামেল মানুষ, ধরতে পেরেছেন হাসি
'বারান' এর শেষদিকেও ঠিক এমনি একটি দ্‌শ্য আছে। চোখে লেগে থাকবে

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

অপ্সরী এর ছবি

চলচ্চিত্রের বিশ্লেষণের অনেক গভীরে ঢূকে গিয়েছেন যে, মাঝখান থেকে ছবিটা দেখে আপনার কেমন লেগেছে সেটাই জানা হল না। তবে পলিটভাই আমি আপনার একজন বিশেষ ভক্ত। আপনার "ক্লাউড নং ০৬" দেখেই বেশ একটা অন্যরকম অনুভূতি এসেছিল। বেস্ট অফ লাক।

আশফাক আহমেদ এর ছবি

আপনি আমার ক্লাউড নং ০৬ দেখেছেন শুনে খানিকটা অবাক হলাম। আমি কি আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি?
আর ভালো লেগেছে বলেই তো পরীক্ষার আগমুহূর্তে 'বারান' নিয়ে লিখতে বসেছি।
মুভিটা দেখবেন। তখন অবশ্য আমাদের কাজ আর দেখতে ইচ্ছে হবে না।
ভালো থাকবেন।

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

অপ্সরী এর ছবি

বারানতো অবশ্যই দেখেছি, মাজিদির উইলো ট্রি, ফাদার, চিলড্রেন অফ হেভেন, সং অফ স্প্যারোজ ... সবই। ব্যক্তিগতভাবে আমি ইরানি ছবির খুব বড় ভক্ত নই, ইতালিয়ান বা জার্মান ছবি বেশি দেখা হয়। তবে বারান সবসময়ই আমার পছন্দের তালিকার উপরের দিকে থাকবে।

আপনারা কি সামনে নতুন কিছু তৈরী করছেন? ক্লাউড নং ০৬ এ আপনাদের ক্যামেরার কাজ সত্যিই চমৎকার ছিল। আশা করি ভবিষ্যতেও আরো ভাল কাজ উপহার দেবেন।

আশফাক আহমেদ এর ছবি

উইলো ট্রি---কেমন? লিখে জানান না হাসি
ইতালীয়ান আর জার্মান মুভি আমার কম দেখা হয়েছে। শিগগিরই কিছু দেখবো হয়তো।
আর ক্যামেরার কাজের জন্য যদি কাউকে বাহবা দিতে হয়, তো আমার বন্ধু অনুপমকে। অসাধারণ খেটেছে ছেলেটা। আর স্ক্রিপ্টে যত ভুলভাল আর দুর্বলতা, সব দায়-দায়িত্ব আমার

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

মরুদ্যান এর ছবি

বারান অসাধারণ ছবি। বেশ কয়েকবছর আগে দেখেছিলাম। হাসি

আশফাক আহমেদ এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মরুদা হাসি

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

তাপস শর্মা এর ছবি

চমৎকার... লিখুন লিখুন, চলচ্চিত্র সমালোচনা আরও বেশী বেশী করে চলুক চলুক

আশফাক আহমেদ এর ছবি

আজকে ডার্টি পিকচার দেখলাম আর আপনার রিভিউটার কথা বারবার মনে পড়লো।
সিল্কের জন্য আসলেই কষ্ট লাগে

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

তাপস শর্মা এর ছবি

হ্যাঁ। আসলে সিল্কের কাহিনীটা প্রায় পুরোপুরি সত্যি। অনেক কিছুই দেখানো হয়নি। যতটুকু দেখানো হয়েছে, তাতে যদি কেউ ওরিজিন্যালটা না জেনে দেখে থাকে তাহলে ওরা এর প্রশংসা করবে না বরং নিন্দাই করবে। ওই সময়ের সাউথ ইণ্ডিয়ান ফিল্ম এর প্রেক্ষাপটে যে দেখানো হয়েছে সিল্ক স্মিতার মধ্যে তা নিখাদ একটা দলিলও বটে।

আশফাক আহমেদ এর ছবি

আমার বন্ধুদের অনেককেই দেখলাম ডার্টি পিকচারের প্রোমো দেখেই এই মুভিটা বাতিলের তাল্কিকায় ফেলে দিয়েছে। প্রোমো হয়তো 'অশ্লীল' হয়েছে। কিন্তু, পুরো মুভিটা দেখার সময় প্রোমোতে দেখা অশ্লীল সিনগুলোকে মোটেও অশ্লীল মনে হয়নি। জরুরী ও মাপা মনে হয়েছে

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

তাপস শর্মা এর ছবি

যাকে অশ্লীল বলা হচ্ছে সেই দিকটাই ছিল মূল প্রতিপাদ্য, আর সেটাই চলচ্চিত্রটে উঠে এসেছে। আসলে আবহটা তৈরি করা জরুরী ছিল। আর প্রমোর ব্যাপারটা আর কিছুইনা ওটা তো হাইপ সৃষ্টির একটা পন্থা।

যারিফ মুহিব অয়ন এর ছবি

ভাল লাগল।

আশফাক আহমেদ এর ছবি

ধন্যবাদ।
মুভিটা দেখবেন। ভালো লাগার পরিমাণ নিঃসন্দেহে বেড়ে যাবে

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আরে প্রিপারেটরি লিভ আর পরীক্ষার সময়টাই তো মুভি দেখার, ব্লগ লেখার শ্রেষ্ঠ সময়! 'বারান' নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ।

আগামী কয়েকদিনের মধ্যে হাসান ইকতাপানাহ্‌-এর এই মুভিটা দেখে একটা রিভিউ লিখে ফেলো। এটা কেনো দেখতে বললাম সেটা মুভিটা দেখলে বুঝবে। মাজিদের পর্যায়ে ফেলা যায় হাসানের এমন কাজ এখনো দেখিনি, তবে হাসানের কাজ উপেক্ষা করার উপায় নেই। আর মাথা খারাপ করার জন্য মোহসেনের এই মুভিটাও দেখতে পারো।

'বারান'-এর কাহিনী, চিত্রায়ন, সিনেমাটোগ্রাফি এগুলো নিয়ে অন্য রকম কিছু কেউ কখনো লিখে থাকলে সেটা পড়তে চাই।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আশফাক আহমেদ এর ছবি

ধন্যবাদ পাণ্ডবদা দুটো মুভি সাজেস্ট করার জন্য।
হাসানের নাম অবশ্য আপনার কাছ থেকেই শুনলাম। আমার দৌড় আব্বাস, মাজিদি, মাখমালবাফ আর পানাহি পর্যন্ত।
মেটাক্রিটিকে বেশ কিছু রিভিউ আছে। অধিকাংশই 'থোড় বড়ি খাড় খাড়া বড়ি থোড়' টাইপ।
আমি নিজেও মাজিদির সিনেমাটোগ্রাফি নিয়ে আলাদা লেখা খুঁজছিলাম। পেলে লিঙ্ক দিয়েন

বি.দ্র. সচলে আমার প্রকাশিত লেখার মোর দ্যান ৮০% পিএল আর পরীক্ষার সময়ে লেখা হাসি

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

হাসান 'মিরর'-এ জাফর পানাহির আর 'টেস্ট অভ চেরি'তে আব্বাস কিয়ারোস্তামীর সহকারী ছিলেন। তার মানে হাসানের কাজের সাথে একটা পরোক্ষ পরিচয় তোমার অলরেডি হয়ে গেছে। হাসানের 'স্টোরি আনডান' আর 'বিবি' ট্রাই করতে পারো।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আশফাক আহমেদ এর ছবি

আপনার লিঙ্কে গিয়ে দেখলাম, যে হাসান টেস্ট অফ চেরীর অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ছিলেন
ওনার কাজগুলো লিস্টে ঢোকালাম

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

নীহার এর ছবি

অসম্ভব প্রিয় একটা মুভি।আপনাকে ধন্যবাদ।

আশফাক আহমেদ এর ছবি

আপনাকেও হাসি

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আমি যখন কয়েক বছর আগে ইরানী ছবি দেখার নেশায় পড়ে যাই বারান ছিল তার প্রথম। বারান আমাকে এমন ঘোরে ফেলে দিয়েছিল, ওটার কথা ভাবলে মনে হয় মুভি না, আমার নিজের কোন স্মৃতি নিয়ে নস্টালজিক হয়ে গেছি। কনস্ট্রাকশন সাইটের মতো খটোমটো লোকেশানে এমন আবহ তৈরী করার শক্তি যার আছে তার উচ্চতা মাপা দুঃসাধ্য। রিভিউটা চমৎকার।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আশফাক আহমেদ এর ছবি

কনস্ট্রাকশন সাইটের মতো খটোমটো লোকেশানে এমন আবহ তৈরী করার শক্তি যার আছে তার উচ্চতা মাপা দুঃসাধ্য।

চমৎকার পর্যবেক্ষণ, নীড়দা।

কন্সট্রাকশন্ সাইট শুনলেই মাফিয়া ফিল্মের প্লট মাথায় আসে। মাজিদি তো এই ধারণা পুরোই চেঞ্জ করে দিলেন

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

রিভিউ পড়লাম। বর্নণ ভাল লেগেছে। ছবিটা দেখার চেষ্টা করবো।
ভাল থাকবেন। আগামী দিনের জন্য রইল শুভেচ্ছা।

আশফাক আহমেদ এর ছবি

ধন্যবাদ প্রৌঢ়দা হাসি

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

লেখায় চলুক
আমার প্রিয় একটা মুভি।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।