০১।
তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর স্মরণে আয়োজিত ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে 'রানওয়ে' মুভিটি দেখার পর আমার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিল এরকমঃ
[i]"বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে ফিল্ম বানানো আম্রিকানদের ব্যাপার-সেপার। আমরা অতো কষ্ট করতে যাবো কেনো? আমরা বানাবো ফর্মুলা ফিল্ম।
০১।
তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর স্মরণে আয়োজিত ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে 'রানওয়ে' মুভিটি দেখার পর আমার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিল এরকমঃ
"বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে ফিল্ম বানানো আম্রিকানদের ব্যাপার-সেপার। আমরা অতো কষ্ট করতে যাবো কেনো? আমরা বানাবো ফর্মুলা ফিল্ম।
তবে ঈশ্বরও মাঝে মাঝে পাশা খেলেন। এই দেশেও জন্ম হয় তারেক মাসুদের মত প্রতিভাবান, পরিশ্রমী ও সাহসী ফিল্মমেকারের। সাম্প্রতিক বাস্তবতাকে নিয়ে ফিল্ম বানাতে যাঁর ক্যামেরা এতোটুকু কাঁপতো না।
আজ বিকেলে আমরা 'রানওয়ে' দেখে এসেছি, আপনি কবে দেখছেন?"
০২।
তারেক মাসুদের ফিল্ম দেখে আমার কখনো মনে হয়নি, উনি ইসলাম-বিদ্বেষী মানুষ ছিলেন, বা মোটাদাগে প্রবল ধর্মবিরোধী মানুষ ছিলেন। বরং মাদ্রাসার ছাত্রদের প্রতি উনার এক ধরণের সহানুভূতি লক্ষ করা যায়। তার মুভিগুলোতে 'মুসলিম' মানেই জঙ্গি---এই সাম্প্রতিক ধারণার কোন প্রসার আমরা দেখি না। 'মাটির ময়না'য় আমরা দেখেছি, মাদ্রাসাতেও দুই মেরুর দুই হুজুর বাচ্চাদের শিক্ষাদান করেন। একজন দিনরাত জেহাদী জোশে মশগুল থাকেন। কাকতালীয়ভাবে ইনার মধ্যে মানবিকতাবোধের যথেষ্ট অভাব আমরা দেখতে পাই। এদিকে মুদ্রার উলটো পিঠেই আরেক হুজুরের (ইন্রাহিম হুজুর) সাক্ষাৎ আমরা পাই, যিনি মনে ও মননে যে কোন প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীর তুলনায় অনেক উদার ও অসাম্প্রদায়িক।
'রানওয়ে' তেও এর কিছুমাত্র ব্যতিক্রম আমরা দেখি না। গল্পের নায়ক মাদ্রাসার ঝরে পড়া শিক্ষার্থী। বেকার এই যুবক তার এক মামার কম্পিউটার সেন্টারে শিক্ষানবীশ হিসেবে কাজ করে। এইখানেই তার পরিচয় হয় আরিফ নামের এক ধর্মান্ধ যুবকের সাথে। রুহুল কিছু বুঝে ওঠার আগেই জড়িয়ে পড়ে এক অদ্শ্য চক্রে। সে কী এই চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে---এই নিয়েই আমাদের গল্প।
গল্পের চরিত্রগুলোর একটা বড় অংশ ধর্মভীরু। কিন্তু, ধর্মান্ধ নয়। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের চরিত্রবৈশিষ্ট্যকে মাথায় রেখে তারেক এই চরিত্রগুলোর বিকাশ ঘটিয়েছেন। কোন বিশেষ তত্ত্ব প্রচারে তাকে কখনোই আগ্রহী মনে হয় নি। বরং, সাধারণ মানুষের উপর ছিল তার গভীর আস্থা ও বিশ্বাস। তিনি বিশ্বাস করতে, আলো আসবেই। আর তা আনবে এদেশের সাধারণ মানুষই। এই মানুষগুলোর বিশ্বাসের জায়গাটায় তাই তিনি সচেতনভাবে কখনো আঘাত করতে চাননি।
০৩।
এই মুভির একটি শক্তিশালী দিক হচ্ছে এর সংলাপ। সংলাপগুলো যথেষ্ট 'উইটি' এবং কোন কোন ক্ষেত্রে বেশ মজাদার। নির্মাতার 'মাটির ময়না'র একটি দুর্বল দিক ছিল কম্যুনিস্ট ছোট চাচ্চুর বুকিশ ডায়ালগগুলো। যারা মাটির ময়না দেখেছেন, তাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, এই সংলাপগুলো শুনে মনে হচ্ছিল, মার্কসবাদ ও কম্যুনিজম স্রেফ বইয়ের পাতা থেকে উঠে আসা একটি তত্ত্বমাত্র। বাস্তবের সাথে এর কিছুমাত্র সংযোগ নেই।
তারেক মাসুদের কি মার্কসবাদের প্রতি আসক্তি ছিল? মনে হয় না। মাটির ময়নার সেই বুকিশ চাচ্চুকে তাই যুক্তির নিরিখে এক সাধারণ মাঝির কাছে, তার মানবিক উদারতার কাছে পর্যুদস্ত হতে দেখা যায়।
'রানওয়ে'র প্রতিটি চরিত্রই এদিক থেকে বেশ জীবন্ত। এদের একটা বড় অংশ 'আইসি, গেসি, খাইসি' ভাষায় কথা বলে। কেননা, এদের সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক অবস্থানই এই ভাষার জন্ম দেয়, কোন প্রমিত বাংলার জন্ম দেয় না। মামা চরিত্রে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের ইংরেজি ভাষায় কথা বলে নিজেকে জাতে তোলার চেষ্টা লক্ষণীয়। জয়ন্ত আমার প্রিয় অভিনেতাদের একজন। আবার একথাও ঠিক, জয়ন্তর অভিনয় প্রতিভাকে ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পেরেছেন কেবল এই তারেক মাসুদই।
০৪।
তারেক মাসুদ নিছক কল্পনার জগতে বিচরণ করেন না। সুকঠিন বাস্তবের সাথে তার বসবাস। বাস্তব মানুষগুলোকেও তিনি তাই সেলুলয়েডের পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন পরম মমতায়। সাম্প্রতিক সমস্যাগুলোর উপস্থাপনে তাই তিনি কোন রাখঢাকের আশ্রয় নেননি। মধ্যপ্রাচ্য, বেকারত্ব ও এনজিওদের কথিত সমাজসেবার বিষয়গুলো তাই নির্মোহ দ্ষ্টিতে তুলে ধরতে পারা---এও এই মুভির এক অনন্য বৈশিষ্ট্য।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আমাদের শ্রমিকদের অবস্থা খুব সুবিধের নয়। বেতন বৈষম্য ও অন্যান্য নানা কারণেই মাঝে মাঝেই সেদেশের পুলিশের সাথে আমাদের শ্রমিকদের একাংশের লেগে যায়। ওরাও এই শ্রমিকদের মানুষের কাতারে গণ্য করে না। তাই, বিনা নোটিশে চাকুরিচ্যুত করা এবং গলা ধাক্কা দিয়ে দেশে ফেরত পাঠানোর ঘটনা খুব বিরল নয়। কিন্তু এমন অবস্থায়, যে মানুষটি (রুহুলের বাবা) মাত্র মাসখানেক আগে জমিজমা বিক্রি করে কুয়েত পাড়ি জমিয়েছে, তার কী হবে? সে কি সকল জুলুম সহ্য করে মাটি কামড়ে পড়ে থাকবে না সর্বস্ব হারিয়ে তার স্ত্রী-সন্তানের কাছে পরাজিত মানুষের বেশে ফিরে আসবে?
এইদিকে, গ্রামীণ ব্যাংকের আদলে কথিত 'বিশ্বস্ত ব্যাংক'এর সেবার একটি নমুনাও দেয়া হয়েছে এ মুভিতে। তারেক মাসুদের সাফল্য এইখানেই যে, এনজিও-দের দৌরাত্ন্য নিয়ে তাকে একটা গোটা ফিল্ম বানাতে হয়নি। একটিমাত্র দ্শ্য দিয়েই তিনি সমগ্র সিস্টেমের অসারতা আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন। কোন সে দ্শ্য, যারা দেখেননি, দেখলেই বুঝবেন।
০৫।
এই মুভির ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের কথা আলাদা করে বলতেই হয়। বাংলা ফর্ম্যাট ফিল্মের 'টি ডি ডিং ডিং ডিং' টাইপ মিউজিক অত্যাচারের প্রশ্নই এখানে আসে না। তাই বলে নির্মাতা তথাকথিত সুস্থ ঘরানার ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকবিহীন অখাদ্য আমাদের পরিবেশন করেননি। যে সিকোয়েন্সে যেমন মিউজিক প্রয়োজন, তা যে জেহাদী জোশ বোঝানোর জন্যই হোক আর প্রচলিত বাংলা ছিঃনেমার নগ্নতা আর অন্তঃসারশূন্যতা বোঝানোর জন্যই হোক, ঠিকঠাক মিউজিক ব্যবহার করতে তিনি এতোটুকু দ্বিধা করেননি। বাংলা আর্ট ফিল্মের একটা কমন বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, জায়গায়-অজায়গায় আপনাকে রবীন্দ্র সঙ্গীত ব্যবহার করতেই হবে। তা না হলে সুধীল দর্শকেরা আপনার মুভির প্রশংসা করবে না বলেই ধরে নেনে নির্মাতারা। এটি যে কতো বড় একটি ভ্রান্ত ধারমা---তারেক মাসুদের মিউজিক তার প্রমাণ। হ্যাঁ, এ ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের কাজ তারেক মাসুদ নিজেই করেছেন। সাথে তো ক্যাথরিন মাসুদ
ছিলেনই। আর ছিলেন তানভীর আলম সজীব। ভদ্রলোকের নাম আমি আগে শুনিনি, IMDB ঘেঁটে বের করতে হল। কেউ ভদ্রলোক সম্পর্কে বিস্তারিত জানালে খুশি হব।
মিশুক মুনীরের ক্যামেরার কাজ নিয়ে কিছু না বললে লেখাটা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। স্যারের সিগনেচার শট হচ্ছে লো এ্যাঙ্গেল থেকে নেয়া চরিত্রগুলোর ক্লোজ-আপ। চরিত্রগুলোর বিশ্বাস, হতাশা আর সামাজিক অবস্থা---সব এই এক ফ্রেমেই বলে দিতে পারতেন উনি। ক্রেনের শটগুলোও দুর্দান্ত হয়েছে।
০৬।
তারেক মাসুদের সেরা কাজ কোনটি? অবশ্যই এবং অতি 'মাটির ময়না'। মাটির ময়নার একটি চিরায়ত দার্শনিক রূপ আছে। 'রানওয়ে'র বক্তব্য সেই তুলনায় অনেক স্পেসিফিক। এই গল্পে নির্মাতা কোনরকম রূপকের আশ্রয় নেননি। ২০০৫-০৬ সালের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটকে ভিত্তি করে একটি সোজাসাপটা ফিল্ম নির্মাণ করেছেন তিনি। প্রশ্ন হচ্ছে কেনো?
সত্যজিৎ রায়কে একবার জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, ফেলিনি-বার্গম্যান আর আপনি তো একই সময়ে ফিল্ম নির্মাণ করেছে। তারা তো তাদের গল্প আর গল্প বলার ভঙ্গি নিয়ে অনেক ধরণের এক্সপেরিমেন্ট করেছেন। আপনার মধ্যে এক্সপেরিমেন্টের প্রবণতা কম কেনো? সত্যজিৎ হেসে বলেছিলেন, আমার ফিল্ম হজম করতেই আমার দেশের মানুষের আরো বছর পঁচিশেক লাগবে। ফেলিনি তো দূর অস্ত।
সত্যজিতের বিরুদ্ধে এটা খুব কমন একটা অভিযোগ ছিল, তার গল্পগুলো খুব বেশি রকমের সরলরৈখিক হয়। ফিল্মি 'টুইস্ট' সেখানে থাকে না বললেই চলে। সত্যজিত নিজেই বলে গিয়েছে, তিনি এদেশের মানুষের জন্যে ফিল্ম বানান। পশ্চিমা দর্শকের মনোরঞ্জন করা তার কাজ নয়। ঠিক এরকম একটা ভাবনা থেকেই তারেক মাসুদ 'রানওয়ে' নির্মানে হাত দিয়েছিলেন বলে আমার মনে হয়। ফিল্ম ক্রিটিকদের গালভরা প্রশংসা আর শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর হাততালি পাবার জন্য তিনি এ ফিল্ম বানাননি। তিনি মনেপ্রাণে চেয়েছেন, এদেশের প্রতিটি মানুষ এই ফিল্মটি দেখুক। ফিল্মের বক্তব্য সরাসরি তাদের অন্তরে আঘাত করুক। এদেশের মানুষ সহজ-সরল। ল্যাটিন জাদুবাস্তবতা আর পশ্চিমা ইমপ্রেশনিজম এরা বোঝে না। এদের জন্য এমন ফিল্ম দরকার, যা এদের সহজেই নিজের আশপাশটা চিনতে সাহায্য করবে। কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ, এটা বোঝার জন্য কোন দেরিদা কিংবা ফুকোর দ্বারস্থ হতে হবে না এদের।
০৭।
তারেক মাসুদ নিজেকে বলতেন 'সিনেমার ফেরিওয়ালা'। মাল্টিপ্লেক্সওয়ালারা কিংবা মুদি দোকানীরা যাদের কিনা আবার সিনেমা হলের মালিকানা আছে, তাঁর ফিল্ম প্রদর্শনে বিশেষ আগ্রহী ছিলেন না। তারেক তাই দেশের আনাচে-কানাচে ঘুরে তার ফিল্ম মানুষের দোরে পৌঁছে দিতে চাইতেন।
তবে, 'রানওয়ে'র শরীরে আমি কখনোই তথাকথিত 'আর্ট ফিল্ম'-এর ট্যাগ লাগাতে চাই না। এই ফিল্ম গুটিকয়েক বোদ্ধা দর্শকের জন্য নির্মিত হয়নি, এই ফিল্ম গণমানুষের ফিল্ম। প্রযোজক-পরিবেশকদের কাছে তাই অনুরোধ থাকবে, এই ফিল্মের চৌহদ্দি কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বাণিজ্যিক হলগুলোতে প্রচারের ব্যবস্থা করতে। দর্শক হয়তো প্রথম দিন নাক সিঁটকোবে, দ্বিতীয় দিন উঁকিঝুঁকি মারবে, ত্তীয় দিন ঠিকই দেখতে আসবে। সপ্তা ঘুরতেই আমরা হয়ো হাউসফুল গ্যালারী দেখতে পাবো, যেমনটা পেয়েছি পাবলিক লাইব্রেরির অডিটোরিয়ামে।
এতো কথা বলছি, কারণ এই ভালো ফিল্মগুলো সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানো দরকার। আমরা বহুদিন একটা স্টেরিওটাইপড ধারণা নিয়ে বসে আছি, এই ধরণের ফিল্ম সাধারণ মানুষ গিলবে না। এইভাবে আমরা সজ্ঞানে এবং অজ্ঞানে একটা শ্রেণী-বিভাজন তৈরি করে রেখেছি। এই বিভাজনটা আমাদের ইন্ডাস্ট্রি ও কালচার---দুটোর জন্যই খুব লাভজনক নয়, বরং ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দেশে শিক্ষিতের হার বাড়ছে বৈ কমছে না। মানুষও দিন দিন সচেতন ও স্মার্ট হচ্ছে। এই ফিল্ম না বোঝার ও হলে না চলার তাই কোন কারণ দেখি না। আশা করি, হল মালিক ও পরিবেশকরা ব্যাপারটা ভেবে দেখবেন।
০৮।
বড় লেখক তো অনেকেই হন। গোটা বিশ্ব ঢুঁড়লে বড় নির্মাতার সংখ্যাও নেহাৎ কম হবে না। কিন্তু বড় মানুষ ক'জন হন? আমাদের এই ছোট মানুষদের ভীড়ে তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর ছিলেন দু'জন সত্যিকার বড় মানুষ। তাঁদের স্ম্তির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। তাঁদের আত্না যেখানেই থাকুক, সুখে থাকুক, শান্তিতে থাকুক।
০৯।
আজ* বিকেলে আমরা** 'রানওয়ে' দেখে এসেছি, আপনি কবে দেখছেন?
আপনাদের জন্য সুখের সংবাদ হচ্ছে এই যে, আয়োজকরা খুব শিগগিরই ব্রিটিশ কাউন্সিল ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে ফিল্মটি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করছেন। যারা এরই মধ্যে মুভিটি দেখে ফেলেছেন, তারা আবার দেখতে যাবেন নিশ্চয়ই। ইন ফ্যাক্ট, আমি নিজেও যাবো। এইবার বন্ধুবান্ধবসহ গিয়েছি। পরেরবার নিশ্চয়ই আম্মু আর ছোট ভাইগুলোকে নিয়ে যাব। তাই যারা এখনো এই মাস্টারপিসটি দেখেননি, তারা আবারো হেলায় এ সুযোগ হারাবেন না আশা করি। এই মুভিটি না দেখা অপরাধ।
পাদটীকাঃ
*আজঃ ২০শে ফেব্রুয়ারী,২০১২
**আমরাঃ আমি, সনেট, মুকুল, ইমরান, প্রসূন, ধ্রুব, নাতাশা, সাফা, শারাফাত, নাবিল, সাকিব, শাকিব, অর্চি, সৌরভ, জনি, ফয়সাল, রুবাইয়া---এক দঙ্গল বন্ধুবান্ধব। মূল আয়োজক হিসেবে সনেটকে একটা অতিরিক্ত ধন্যবাদ দেয়া যেতেই পারে
***মুভির বিশেষ আকর্ষন হচ্ছেন বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়ক...থাক নামটা আর বললাম না। আপনারাই গেস করে নিন। বোনাস হিসেবে একটা দ্শ্যে থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নায়িকা নুসরাত ইমরোজ তিশাকেও পাচ্ছি আমরা।
মন্তব্য
তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
তাঁদের আত্না শান্তি পাক।
মুভি রিভিউ-এ
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ধন্যবাদ দাদা
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
আমরা তিন বন্ধু মিলে রানওয়ে দেখেছি এর প্রথম প্রদর্শনীতে। রানওয়ে এর প্রদর্শনী শুরুই হয়েছিলো চট্টগ্রাম থেকে। থিয়েটার ইনিস্টিটিউটে ছবিটি মুক্তি দেখানো হয়। এর আগে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি নরসুন্দর দেখানো হয়েছিলো। এটিও তারেক মাসুদের নির্মিত। ছবিদুটো এককথায় অসাধারন। তারেক মাসুদই পেরেছিলেন সত্যকে অত্যন্ত সহজ ও সাবলীলভাবে তার দুটো চলচিত্রে তুলে ধরতে।
বড় অকালে আমরা তাকে হারালাম।
দীপাবলি।
নরসুন্দর---এ আরেক প্রভুখণ্ড। এনিয়ে আলাদা লেখার ইচ্ছে আছে
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছি। ডিভিডি না বের হলে সেটা সম্ভব না
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আমিও ডিভিডি বের হলে কিনে ফেলবো ভাবছি
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
অসম্ভব ভালো লাগলো আপনার লেখাটি।
সিনেমাটিতে একটা ব্যাপার আমাকে খুব দাগ কেটেছে সেটি হচ্ছে তারেক মাসুদ খুব মোটা দাগে এদেশের উঠতি তরুনদের হতাশার জায়গাটি দেখিয়ে দিয়েছেন। একটি দৃশ্যে রাস্তায় এক রিকশাওয়ালার ওপর সমাজের একজন উচুস্তরের মানুষের অন্যায় আচরনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে ওঠে রুহুল। কিন্তু এই প্রতিবাদে সে পাশে কাউকে পায়না। উলটো তাকে হেনস্তা হতে হয়।
সমাজের এসব নীতিবিরুদ্ধ আচরন ব্যক্তিত্বসচেতন রুহুলকে আঘাত করে। সে এইসব সামাজিক অসঙ্গতির সমাধান খুঁজতে থাকে। এবং জঙ্গী আরিফ সেই সুযোগটাই নেয়। তার অপরিণত মস্তিষ্ককে বোঝানো হয় এই পথেই আছে মুক্তি! এখানে একটা জিনিষ লক্ষ্যনীয় তারেক মাসুদ এই সিনেমাতে এদেশে জঙ্গীবাদের উত্থানের পেছনে কোনাভাবেই এদেশের মানুষের ধর্মান্ধতাকে দায়ী করেননি। তার চেয়ে বরং দেখা যায়, এদেশের বেশীরভাগ তরুনদের সমাজ পরিবর্তনের আকুলতার জায়গাটিই সুযোগসন্ধানীরা ব্যবহার করে এসেছে।
জানিনা তারেক মাসুদের মত একজন মানুষের মৃত্যুর ক্ষতিপূরন এই হতভাগা জাতিকে আরো কতদিন দিয়ে যেতে হবে! এই ক্ষতি পূরন হবার নয়।
আপনার ভাবনাগুলোও ভালো লাগলো।
ঐ দ্শ্যটা সত্যিই অসাধারণ ছিল
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
মাদ্রাসা ছাত্রদের প্রতি উনার সহানুভূতি অবশ্য তার নিজের ছোটবেলায় ছাত্র থাকার অভিজ্ঞতা থেকে আসা।
হুম, সেটা ঠিক। উনার জীবন নিয়ে কোন বই বা ডকু আছে? পেলে জানাস
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
উদগ্রীব।
সেটাই তো চাচ্ছি
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
আমিও উদগ্রীব।
রিভিউ ভালো হয়েছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ, ভাইয়া
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
আমিও দেখেছি । এক কথায় অসাধারন
কোন বিশেষ দ্শ্য বা থিম আপনার ভালো লেগেছে কিনা, সেটাও বলুন
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ইচ্ছে থাকা সত্তেও আমি দেখতে পারলাম না আজ
ব্যাপান্না। পরে নিশ্চয়ই দেখে নেবেন
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
রিভিউ শুধু ভালো না- অনেক বেশি ভালো লাগলো।
সিনেমাটা দেখে ফেলব একদিন।
ধন্যবাদ, ভাইয়া। যদিও সে অর্থে এটা রিভিউ হয়নি। তবে আপয়ান্দের মন্তব্যে আমার লেখা সার্থক হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
রানওয়ে'র শো পরপর দুই দিন দেখলাম। বিশেষ করে মিশুক মুনীরের কাজ চোখে লেগে আছে, আবারও দেখব সুযোগ হলেই। এখানে শুরুতে দেখানো শর্টফিল্মদুটির কথা বিশেষভাবে না বললেই নয়। "নরসুন্দর" এ বেশ একটা স্করসেসি ভাব চোখে পড়েছে। মার্টিন স্করসেসির শুরুর দিকের শর্টগুলো অনেকটা এ ধাঁচের হতো। রিভিউ(নাকি দর্শনপ্রতিক্রিয়া?) ভাল হয়েছে।
দর্শনপ্রতিক্রিয়া বলাই ভালো
হ্যাঁ, নরসুন্দরে সাসপেন্সটা যাকে বলে 'এসেছে'
১০/১০
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
অসাধারণ বর্ণন ! সিনেমাটা দেখার অপেক্ষামাত্র।
বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না আশা করছি
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
মুভিটা অন লাইন না আসা পর্যন্ত দেখতে পাওয়ার কোন আশা নেই বোধ হয়।
সেই অর্থে লেখাটা সিনেমার টিপিক্যাল রিভিও নয়, কিন্তু রিভিও এর চেয়েও ভালো। কিছু কিছু অংশে এত সুন্দর স্টেরিওটাইপ করেছেন, চমৎকার।
ডাকঘর | ছবিঘর
ধন্যবাদ তাপসদা। এটা আসলে তারক মাসুদের রানওয়ে আর মাটির ময়নার একটা তুলনামূলক পর্যালোচনা বা যা খুশি তাই বলতে পারেন
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
বাহ! রিভিউ এর আড়ালে টান টান বক্তব্যে কতকিছুর উপর আলোকপাত করলেন, ভালো লাগলো, খুব ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ। আর আপনার কোন চিন্তাভাবনা থাকলে তাও শেয়ার করুন না
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
কেউ কি এই মুভিটি ইউটিউব মুভিজ-এ দেয়ার জন্য এর প্রযোজক-পরিবেশকদের অনুরোধ করতে পারবেন? আমরা যারা দেশের বাইরে আছি তারা টাকা দিয়ে হলেও এটি ইউটিউব থেকে দেখতে পারবো।
অট: ইউটিউব মুভিজ-এ কোন বাংলাদেশী মুভি নেই কেন? পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি মুভি দেখলাম, কিন্তু বাংলাদেশী কোন মুভি ওখানে নেই।
ইউটিউবে আসলেই বাংলা মুভি কম।
আপলোড করার কোন নীতিমালা আছে নাকি? না থাকলে আমি 'মাটির ময়না'টা আপলোড দিতে পারি
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
সেটা বোধহয় piracy হয়ে যাবে। একমাত্র উপযুক্ত করতিপক্ষ (এই বানানটা ঠিক করতে পারছিনা কিছুতেই। কেউ কি বলবেন কিসের পরে কি হবে? ) দ্বারাই এটা upload হতে পারে এবং উনারা ইচ্ছে করলে free section -এ না দিয়ে paid section -এও দিতে পারেন।
korrt,,pokkho
কর্ত্পক্ষ---এভাবে চেষ্টা করে দেখুন
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
উনাকে 'ধর্ম-পছন্দনীয়' প্রমাণ করা জরুরি হলো কেন?
এই সহানুভূতি অন্বেষণ কাদের জন্য প্রয়োজন?
কাকতালীয়ভাবে কেন? জিহাদী জঙ্গীদের বিনা তর্কে অমানবিক মনে করেন না? তাদের অমানবিক হোয়াটা কাকতালীয়?
প্রগতিশীল বা বুদ্ধিজীবীদের চেয়েও হুজুরদের উচু স্থান দিচ্ছেন? তাদের উদার ও অসাম্প্রদায়িক প্রমাণ করা প্রয়োজন?
আসলে মুভিতে বিষয়গুলো উপস্থাপিত হয়েছে একভাবে আর আপনার কাছে অনুভূত হয়েছে আপনার নিজস্ব উপায়ে। এ বিষয়গুলোতে আপনার ব্যক্তিগত মতামত গুলো স্পষ্ট নয়, অগ্রহণযোগ্য।
প্রথমদিকে এ জায়গা গুলোতে খটকা লাগলো। কিন্তু এরপর থেকে ভালো লিখেছেন, ভালো লেগেছে। এবং পোস্টটির উদ্দেশ্য চমৎকারঃ সবাই মুভিটি দেখবে আশা করি।
@স্বনাম:
আপনাকে আকারণে আক্রমণাত্মক মনে হল।
প্রগতিশীল বুদ্ধিজিবীদের তুলনায় অন্য কেউ যে উদার বা অসাম্প্রদায়িক হবেন না এমন কথা তো নিশ্চিত করে বলা যায় না। এমন একজন লোক যদি হুজুর হন, সমস্যা কোথায়?
লেখক এখানে একজন হুজুরের কথাই বলেছেন, তার নামও দিয়েছেন। সকল হুজুরদের কথা তো বলেননি। আমি যদি বলি ব্লগার চরম উদাস কোটিপতির চেয়েও বড়লোক তার মানে তো আপনি ধরে নিতে পারেন না সব ব্লগাররাই কোটিপতির চেয়েও বড়লোক। একবচন আর বহুবচন বিষয়টা খেয়াল রাখুন।
ধন্যবাদ।
তারেক মাসুদ বারবার এটাই বোঝাতে চেয়েছেন, মাদ্রাসার সব ছাত্র আর শিক্ষকই জঙ্গী হয় না---অন্তত আমার কাছে তাই মনে হয়েছে। এখন মাদ্রাসার সব ছাত্র আর শিক্ষক জঙ্গী কিনা, সে প্রশ্ন ভিন্ন। তারেক মাসুদ কীভাবে দেখছেন, আমার লেখার বিষয়বস্তু এটাই। এক্ষেত্রে আপনার দ্বিমত থাকলে বলতে পারেন
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ছবিটা দেখার খুব ইচ্ছা । বিদেশে বসে কিভাবে দেখতে পারি কেউ কি জানাতে পারেন ?
তারেক মাসুদের মাটির ময়না দেখেছিলাম,অসাধারণ ছবি ।
ডিভিডির জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া তো আপাতত আর উপায় দেখছি না :|
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
'মাটির ময়না' দেখে অসাধারণ লেগেছিল ।
বাংলাদেশের সিনেমা সম্বন্ধে আমার অজ্ঞতাপ্রসূত ভুল ধারণা ভেঙে দিয়েছিল সেই সিনেমা ।
আমাদের এখানে মানে পশ্চিমবঙ্গে বসে ভাল বাংলাদেশের সিনেমা দেখাটা খুব কঠিন ।
তাই জানি না কবে দেখতে পারব 'রানওয়ে' ।
জানতে ইচ্ছে করছে এই নামকরণের কারণ কী ?
যেদিন সকালের খবরের কাগজে তারেক মাসুদের দূর্ঘটনার কথা পড়লাম, ঘটনাচক্রে তার দুদিন আগেই আমি 'মাটির ময়না' দেখেছিলাম । খুবই খারাপ লেগেছিল তার মৃত্যুর খবর পেয়ে ।
অসম্ভব প্রতিভাবান এই মানুষটির স্মৃতির প্রতি রইল আমার বিনম্র শ্রদ্ধা ।
লেখায়
সিনেমেয়াটা দেখলেই এই নামকরণের কারণ বুঝতে পারবেন। সে পর্যন্ত নাহয় অপেক্ষা করুন
আর 'মাটির ময়না' বাংলাদেশের সিনেমা সম্বন্ধে আমার অজ্ঞতাপ্রসূত ভুল ধারণা ভেঙে দিয়েছিল---জেনে খুব ভালো লাগলো
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
আমরাও ছয় বন্ধু মিলে দেখে এসেছি ২৫ তারিখ। কাকতালীয় ব্যাপার হচ্ছে আমিও মুভিটা সম্পর্কে একটা ব্লগ লেখার চেষ্টা করছিলাম্, আপনিই আগে লিখে ফেললেন। আপনি যত সুন্দর করে লিখেছেন আমি কোন দিনই এত সুন্দর বিশ্লেষণাত্মক লেখা লিখতে পারতাম না।
ধন্যবাদ
আমি লিখেছি তো কী হয়েছে? আপনার বিশ্লেষণে হয়তো আরো নতুন কিছু পাওয়া যেতো। শিগগিরই লিখে ফেলুন
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
মনে পড়ছে চট্টগ্রাম থেকে যখন রানওয়ের যাত্রা শুরু হয়, তারেক মাসুদের সাথে সে-এ আমার প্রথম দেখা, আর সে-ই শেষ । এখনো কানে বাজছে ছবি শুরুর প্রথমে তার বলা কথাগুলো -------- কবে যে আমরা তার মত আরেকজনকে পাব
সেই অভিজ্ঞতা আমাদের সাথেও শেয়ার করুন না...
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
চাইনা ছবিটি কোনভাবে পাইরেটেড হয়ে অনলাইনে চলে আসুক।
রিভিউ খুব ভালো লাগলো, স্পয়লার না থাকাতে খুব ভালো হল।
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
আমি জানতেই পারলাম না তোমরা গেলা।
রিভিউ এর জন্য
ওহে, তুমি কে বলছো?
নামখনা কও তো দেখি বাহে
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ভালো একটা রিভিউ।
সিনেমাটা দেখা হয় নি এখনও। দেখার প্রবল ইচ্ছা আছে। ব্যাটে-বলে মিললেই দেখে ফেলবো।
দেখে রিভিউ দিয়েন দাদা
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
নতুন মন্তব্য করুন