০১।
তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর স্মরণে আয়োজিত ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে 'রানওয়ে' মুভিটি দেখার পর আমার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিল এরকমঃ
[i]"বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে ফিল্ম বানানো আম্রিকানদের ব্যাপার-সেপার। আমরা অতো কষ্ট করতে যাবো কেনো? আমরা বানাবো ফর্মুলা ফিল্ম।
০১।
০১।
যাব যাব করেই বইমেলায় যাওয়া হচ্ছিল না। টার্ম ফাইনাল বা অন্য কোন কারণে না, স্রেফ অলসতার কারণেই এই ফাঁকিবাজি।
যাহোক, মন্দার প্রভাব কাটিয়ে আজ সকালে মনস্থির করলাম, আজ আর না গেলেই নয়। আমার চেয়ে অবশ্য আমার ছোটভাই ফাহাদের আকুলি-বিকুলি বেশি। সে আমাকে একটা লিস্টি ধরিয়ে দিলো। এই লিস্ট অনুযায়ী বই কিনতে হবে। কোন প্রকার আঁতলামি বা অন্য কিছু গর্হিত অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
০১.
গতকাল চ্যানেল আই-তে একটা গোলটেবিল বৈঠক দেখছিলাম। টিভিতে খেলা আর পুরানো মুভি ছাড়া আমার তেমন কিছুই দেখা হয় না। এ ধরণের গোলটেবিল বৈঠক, টক শো আমার দেখার কথা না। তারপরও আগ্রহভরে অনুষ্ঠানটা দেখছিলাম। আমি ও আমার দুই ছোট ভাই। কেননা, অনুষ্ঠানটা ছিল আমাদের মত স্টুডেন্টদের নিয়ে। শিক্ষাখাতের বিভিন্ন সমস্যার কথা খোদ ছাত্র ও অভিভাবকদের কাছ থেকে শুনছিলেন স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী। ব্যাপারটা আমাদের দেশের জন্য নতুন। তো
১৮ই জানুয়ারী। রোজ বুধবার। বেলা বারোটা।
পাঠক নিশ্চয়ই খানিকটা নড়েচড়ে বসেছেন। ভাবছেন, এইদিন এই সময়ে বুঝি লেখকের জীবনে খুব উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটে গেছে। প্রিয় পাঠককে হতাশ করে বলতে হচ্ছে, অধমের জীবনে এ্যাডভাঞ্চারাস বা থ্রিলিং কিছু সচরাচর ঘটে না। কুয়োর ব্যাঙ হলে যা হয় আর কি।
০।
এই লেখাটিকে মোটাদাগে কোন 'পাঠ প্রতিক্রিয়া' বলা যাবে না নিশ্চয়ই। পাঠ প্রতিক্রিয়ায় পাঠক পঠিত গ্রন্থের উপর একটা চমৎকার আলোচনা আশা করেন। সেরকম কিছু আশা করলে বিজ্ঞ পাঠককে হতাশ হতে হবে। কেননা "যদ্যপি আমার গুরু" পড়ার পর থেকেই অনেকদিন ধরে জমে থাকা কিছু কথা ভাষায় ফুটিয়ে তোলার জন্য কীবোর্ডটা আকুপাকু করছে। কিন্তু কিছুতেই লেখাটা গুছিয়ে নিতে পারছি না। আমি আসলে কাকে ফোকাস করে লিখবো- আহমদ ছফাকে, প্রফেসর রাজ্জাককে না সরল অর্থে এই বইটাকে? তার উপর আহমদ ছফা ও এই বইটির পূর্বাপর নিয়ে সচল শুভাশীষদা এতো চমৎকার একটা সিরিজ লিখেছেন, যে এরপর কিছু বলতে যাওয়াটাই বাহুল্য হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু য়ামাদের গুরু তো অনেক আগেই বলে গিয়েছেন, "ওরে প্রাণের বাসনা, প্রাণের আবেগ রুধিয়া রাখিতে নারি"। সেই ভরসাতেই লেখাটায় হাত দিলাম। ভুলত্রুটি কিছু হলে বিজ্ঞ পাঠক ক্ষমাসুলভ দ্ষ্টিতে দেখবেন, এইটুকু আশা করতেই পারি।
টার্ম ফাইনালের ছুটিতে 'প্রিজন ব্রেক' খতম দেবার পর হঠাৎ করেই মনে হল-এই যা, ছুটিতে তো কোন ইংরাজি ফিল্মই দেখা হইলো না। দু-দশটে ফিল্ম না দেখলে ছুটি অন্তে বন্ধুমহলে মুখ দেখানো দায় হয়ে যাবে। বন্ধুরা যখন জিজ্ঞেস করবে, এই ছুটিতে কী কী করলি- তখন "শুয়েবসেসঙ্গমবিরহে কাটিয়েছি" এমন উত্তর দিলে ধোলাই খাবার প্রবল সম্ভাবনা আছে। এদিকে, খুচরা-খাচরা ফিল্ম দেখতে ইচ্ছা করে না। ব্যবসা যখন করবোই, তখন পাইকারী ব্যবসাই করি-
আবাবিল আমাদের ক্লাসের শুদ্ধতম ছেলেগুলোর একটি। আমরা? আমরা তাহলে কী?
১.
মোহাম্মদ আলী স্যারকে আমরা সার্কিটপাগল মানুষ হিসেবেই জানি। দীর্ঘদিন ধরে জটিল এবং ভয়ঙ্করদর্শন সব সার্কিটের নাড়িনক্ষত্র বের করা শেখানো এই আপাতগম্ভীর মানুষটিও যে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে ভাবেন এবং ভাবতে ভালোবাসেন- তার পরিচয় আমরা পাই, বাংলাদেশ যেদিন ওয়েস্ট-ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৫৮ রানে অলআউট হয়, তার পরদিন। পাওয়ার ইলেক্ট্রনিক্স ক্লাসের স্বাভাবিক প্রথা ভেঙে স্যার নিজেই সেদিন আমাদের সাথে ক্রিকেট নিয়ে জম্পেশ আড্ডা দিতে শুরু করেন। স্যার সেদিন মজা করে বলছিলেন, বাংলাদেশের ছেলেদের ক্রিকেট খেলাই ঠিক নয়। ক্রিকেটের জন্য দরকার জার্মানদের মত ফিটনেস আর অসিদের মত কুলনেস, যার কোনোটাই বাংলাদেশি ছেলেদের নেই। বড় দুঃখ থেকে স্যার এই কথাগুলো বলেছিলেন-সন্দেহ নেই। আমরা অবাক হয়েছিলাম এই দেখে যে সারাজীবন সিংগেল থাকা এই মানুষটাও সাকিব, তামিম আর মুশফিকদের নিয়ে আমাদের চেয়ে এতোটুকু কম ভাবেন না।
একটি ফেসবুক থ্রেড
দিন পনের আগের কথা। ফেসবুক খুলে দেখি, মুকুল ভাইয়ের থ্রেড। আর মুকুল ভাইয়ের থ্রেড মানেই জরুরী জনগুরুত্বপূর্ণ কিছু। এই থ্রেডেও তার ব্যতিক্রম হল না। মুকুল ভাই আমাদের সবাইকে নিয়ে বিশ্বকাপের খেলা দেখতে চায়। সেই জন্যেই এই মহৎ উদ্যোগ। শুরুতেই থ্রেডের সবাইকে একবার শুধিয়ে নেয়া হল, কার কার স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখার ইচ্ছা আছে? বলা বাহুল্য, ভারত-পাকিস্তান, ব্রাজিল-আর্জ ...