মফস্বল থেকে সরকারী চাকরীর বদলী সূত্রে অধ্যাপিকা শায়লা চৌধুরী তিন মেয়েসহ ঢাকা আসেন সিনেমার প্রথম দৃশ্যে। বড় মেয়ে মুনমুন, মেজো মেয়ে সোনিয়া, ছোটো মেয়ে নবাগতা। (বাণিজ্যিক বাংলা ছবির ব্যবসা সফল কম্বিনেশন। পরিচালক স্বপন চৌধুরী নি:সন্দেহে বুদ্ধিমান মানুষ।)
ঢাকায় নতুন আসা পরিবারটির জন্য বাসা বাড়ীর ব্যবস্থা করে অধ্যাপিকার প্রাক্তন ছাত্র নাসিম - আজাদ। নাসিম (নায়ক নাঈম) নামকরা আইনজীবি। যদিও মাফিয়া চক্রের বড়বড় মামলা ছাড়া অন্য কিছুতে আগ্রহ নেই, টাকার সাগরে তার নিত্য গোসল। গোলগাল মার্বেল শরীর নিয়ে আইনের প্যাঁচে কিভাবে মামলা জিততে হয় সেটা নখদর্পনে। নাঈমের সাথে মুনমুনের একটু ইটিশপিটিশ চলছে, সেটা প্রাথমিক সংলাপেই আইডিয়া দেয়া আছে। (অতএব, দর্শক অপেক্ষা করে থাকো, দেখো কী হয়)। আকর্ষণ শেষ হয়নি এখনো। নাঈমের ছোটো বোন পলি আসে দৃশ্যে। (নায়িকা সংখ্যা তিন থেকে চার। পরিচালক অবশ্যই বাহবা পাবেন।)
অন্য ছাত্র আজাদ (আলেকজান্ডার বো) জাদরেল পুলিশ ইনস্পেক্টর। কাঁধ পর্যন্ত চুল, সাজানো গোঁফ। ভীষণ ন্যায়বান। হঠাৎ ফোন পেয়ে ছুটে যায়, এক মহিলা খুন হয়েছে পার্কে। গিয়ে দেখে নায়িকা সোনিয়া মাটিতে পড়ে আছে। হতবাক বো ছুটে গিয়ে মৃত সোনিয়াকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে। ভেঁউ ভেঁউ। কিন্তু এ কী কান্ড! মৃত সোনিয়া এবার বো'কে আরও জোরে জড়িয়ে ধরে। (বুঝা গেল, এটা নায়িকা সোনিয়ার সাজানো নাটক)। নায়ক ভীষণ বিরক্ত, কারণ তিনি পুলিশ অফিসার, এসব পিতলা পিরীত পুলিশি পোশাকে মানায় না। সেজন্যই (?) রাগের বশে সোনিয়াকে টেনে ধরে ভীষণ গাঢ় চুম্বন। তারপরে? তারপরে আর কি? যা হবার তাই হলো - গান। আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে গান - এক ঝাঁক পাখি ওড়ে আকাশে, ভোরে ফুলের ঘ্রাণ বাতাসে, চলো দুজন আজ হারিয়ে যাই পৃথিবীর শেষ প্রান্তে, এখানে তুমি আর আমি ছাড়া আর কেউ নাই। আইউব বাচ্চুর গগন বিদারী কন্ঠের সাথে ক্যামেরাম্যানের দুষ্টু চোখের উঁকিঝুকি।
মাত্র গেলো সিনেমার পনেরো মিনিট। দর্শক ধরার প্রাথমিক কাজ শেষ।
এবার শুরু হয় অ্যাকশন পর্ব। মুনমুন-সোনিয়া জুটি ঢাকা শহরে শার্ট-প্যান্ট-স্কার্ট পড়ে ঘুরে বেড়ায়। ছিনতাইকারী পকেটমারদের ধরে আস্ত ধোলাই দেয়। সমবেত পুরুষদের লজ্জায় ফেলে কড়া সংলাপে - "আপনারা কাপুরুষের মতো শুধু চেয়ে চেয়ে দেখেছেন, আপনারা ভয় পান বলেই সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাস করতে সাহস পায়। প্রতিবাদ করতে না পারলে ঘরে বসে থাকেন। মেয়েরা এখন আর অবলা নেই। আপনরা পুরুষরা যেটা পারেন না, সেটা এখন আমরা মেয়েরা পারি।" (এই কাহিনী সংলাপ এর মালিক যোশেপ শতাব্দী)।
দুই নায়িকা শুধু রাস্তায় ঘুরে - দেখালে কাহিনী গাঁজাখুরি হয়ে যায়। সেজন্যই মুনমুন-সোনিয়া একটি কলেজে পড়ে, নাম বিদ্যারত্ন কলেজ। কলেজের ক্যাডার 'হিটলারের' সাথে প্রথম দিনেই বচসা বাধে। শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মুনমুনের জিহাদ ঘোষণা, এবং সম্মিলিত মারামারিতে হাজির হয় নায়ক মেহেদি। মারামারি শেষ, মেহেদির বুকে মাথা রেখে পলির বিনীত প্রেম নিবেদন। উঁহু, মেহেদি মোটেও সেরকম নয়। বিএসসি পাস করেও মোটর মেকানিক মেহেদি হাত জোড় করে মাফ চায়, পলির জ্বালাতন থেকে মুক্তি চায়। এই ক্লাইমেক্সে আসে চিরাচরিত সংলাপ : 'ধনী আর গরীবের ভালোবাসা হয় না। আমি বামন হয়ে চাঁদে হাত বাড়াতে চাই না।' ইংরেজী সংলাপ : "আই হ্যাভ নো উইকনেস টু ইউ - আপনার প্রতি আমার কোন দূর্বলতা কখনো ছিল না, এখনো নেই।" অথচ পলি মেহেদির কাছে শুধু মনই চায়!!!
পরের দৃশ্যে পলি পুরুষ সেজে মেহেদির মোটর মেকানিক দোকানে যায়। গাড়ীর মনে হইতাছে করবোলেটরে তেল আইসে টাইপ সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে কিছু যৌথ ভাঁড়ামি। সাথে পাবেন - বিটিভির শুভেচ্ছা খ্যাত এবং মোল্লা সল্টের বিজ্ঞাপনের সেই, হ্যাঁ সে-ই পাপ্পুর কিছু কাতুকুতু দেয়া অভিনয়।
গেলো তিরিশ মিনিট।
এবার ভিলেনের আগমন। "ফুল - বেলাডিফুল, তুই আমার কথা শুনোছ নাই, তুই আমার ল্যাঞ্জায় পাড়া দিসোছ" - বলে আস্তে আস্তে এগিয়ে জ্যান্ত একটা মানুষকে বাঁকা ছুরি দিয়ে খুন করে ফেলে বাসু, শীতল সংলাপের, কালো মাথার বড় বড় চোখের ভিলেন - ডিপজল। ডিপজলেরই ছোট ভাই কলেজের ক্যাডার হিটলার।
এবার চরিত্রগুলোর একটা লিংক পাওয়া গেলো। কাহিনীতে ড্রামা-সাসপেন্স আসে ক্রমাগত। মুনমুন-সোনিয়া-পলির শত্রু হিটলার, হিটলারের বড় ভাই ডিপজল, ডিপজলের প্রাইভেট ল'ইয়ার নাঈম, সরকারী পক্ষের পুলিশ নায়ক বো। এখানে নাঈম জয়ী, বো ট্রান্সফারড বান্দরবানে। তাহলে এখন কী হবে? কাহিনী কোনদিকে যাবে?
দর্শকের অপেক্ষার অবসান ঘটায় মুনমুনের অভিমান। এ অভিমান ভাঙাতে নায়ক নাঈমের ব্যাঙ লাফানি নাচ। আর নাচুনি বুড়ি মুনমুন ঢোলের বাড়ি পেয়েই চাকবুম-চাকবুম। ঘড়ির কাঁটা থেমে থাক, অনন্তকাল চলে যাক, সূর্যটা ডুবে যাক পৃথিবী ঘুমিয়ে থাক, ওগো সোনার মেয়ে তোমাকেই ভালোবাসি, ওগো অবুঝ ছেলে আমি তো তোমারই আছি। আইউব বাচ্চু - কনকচাঁপার মেলোডিয়াস গানের বিধ্বস্ত দৃশ্যায়ন। দশ্যি মেয়ে পৃথুলা মুনমুনকে ক্যামেরার ফ্রেমে আনার চেষ্টা স্পষ্টত:ই ব্যর্থ। অন্যদিকে লাফালাফির কবলে কুমড়াকৃতির নাঈমকে খুঁজে পাওয়া মুসকিল।
নাচ হলো, গান হলো, মারামারি হলো। এবার কি? হ্যাঁ কৌতুক সম্রাট দিলদার আর অয়োময়ের পাখাল আফজাল শরীফ হাজির। দুজনেই পুলিশের হাবিলদার। সারাদিন কলা খায় । প্রেমিকার খোঁজে উতলা। দিলদার খোজ পায় নাছরিনের। দু'জনের গভীর প্রেমের স্থুল সংলাপ। হাসানোর প্রানান্ত চেষ্টা, একটানা পঁচিশ মিনিট।
সিনেমা অর্ধেকে আসতে আসতে আরও কিছু মারামারি এবং মেহেদী-পলির বিয়ে। সাগরের ঢেউ হয়ে আছো তুমি মিশে, আমি আছি আকাশে, বাতাসে মিশে আমি আছি পাশে। বাসর সজ্জার ঘনিষ্ঠতায় এক চরম বিরহের গান। দর্শককে সুষ্পষ্ট ইংগিত দেয় সামনে বিপদ আছে। ঠিক। সে রাতেই সন্ত্রাসীদের হামলা, ছুরিকাঘাতে খুন হয় মেহেদী। আদালতে দফারফা। বোনের স্বামী খুনীকে অপরাধী প্রমাণে ব্যর্থ নাঈম মদের বোতলে শরাবময়। আর ভিলেন ডিপজল নিশি-উৎসবে মেতে ওঠে। সখী পরিবৃতা হয়ে "আমার রাজ্যে আমি আমি রাজা, ব্লাডি ফুল ফুল ফুল" নাচে গানে জলসা জমে।
এদিকে তিন নায়িকা একত্র হয়। স্বামী হত্যার প্রতিশোধ নিতে মরিয়া পলি। আইনের উপর তাদের আস্থা নেই। আবারও যোশেপ শতাব্দীর পর্দা কাঁপানো সংলাপ - দেশে আইন বিক্রি হয় সেদেশে আইনের কোন মূল্য নেই, আমরা আইন মানি না, আমরা যা করবো সেটাই হবে আইন। শত্রুর মোকাবেলা হবে আমাদের প্রথম কাজ। প্রথম অভিযান হকি স্টিক দিয়ে শুরু। ডিপজলে সাংগপাংগ পরাজিত। প্রতিহিংসায় ডিপজল হানা দেয় মুনমুন-সোনিয়ার বাসায়। মুনমুনের মা অধ্যাপিকা শায়লা চৌধুরী খুন, ছোটো মেয়ের সম্ভমহানি এবং আত্মহনন। এসব ঘটনা পরম্পরায় মুনমুন-সোনিয়া-পলি অগ্নিরূপ ধারণ করে। কালো পোশাকে রাত হলেই অপারেশন। যেখানে অন্যায় অবিচার সেখানেই হানা। পত্রিকায় গরমাগরম রিপোর্ট। কারা এই লেভি রেম্বো? পুলিশ ডিপার্টমেন্টে তোলপাড়।
সিনেমার নামকরণের সার্থকতা প্রমাণিত হলো - মেয়েরাও মাস্তান, রাতভর অপারেশন। খুন হয় হিটলার। ভাই হত্যার প্রতিশোধে এবার ডিপজলও 'কোলোজ করা' (মেরে ফেলা) শুরু করে। লেডি রেম্বোরাও আগ্রাসী। তারা গেরিলা হামলায় পৌঁছে যায় ডিপজলের মদের আনন্দ জলসায়। ঝলমলে আলোয় আইটেম সং - "আমি দিওয়ানি, আরো কাছে এসো না, এই জওয়ানী লুটে নাও না"। নাচ গান শেষ করেই মাতাল ডিপজলের ওপর হামলা। ঢাকার রাস্তায় মাইলের পর মাইল দৌড়ানি। গুলি খেয়ে খুন হয় ডিপজল।
আদালতে কাঠগড়ায় হাজির তিন মেয়ে, সাজগোজে তখনো লেডি রেম্বো। আইনের কাছে সহজ স্বীকারোক্তি। তবে আইনজীবিদের লড়াইকে ম্লান করে দেয় তিন নায়িকার ঝাঁঝালো সংলাপ। তারা কেনো মাস্তান হলো, কেনো রেম্বো হলো এসব দগদগে ডজন খানেক প্রশ্ন বিচারকের কপালে ভাঁজ ফেলে দেয়। বিচারক অবশ্যই প্রাজ্ঞ মানুষ, তাই রায় হয় - যেহেতু অভিযুক্ত তিনজন সমস্ত অপরাধ করেছে সমাজে শান্তি আনা ও সন্ত্রাস দমনের জন্য সেহেতু আসামীদের সুস্থ জীবনের সুযোগ করে দিয়ে মৃত্যুদন্ডের বদলে পাঁচ বছরের কারাদন্ড প্রদান করে।
আশা করা গিয়েছিল - শেষ দৃশ্যে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিন নায়িকা বের হয়ে আসবে, ফুলের মালা হাতে নায়করা এগিয়ে যাবে, আবার গান এবং সমাপ্ত লেখা ভেসে উঠবে পর্দায়। তেমন কিছু হলো না। আদালতের রায়ের পর স্কৃনে ভেসে ওঠে - বিবেকের বাণী - "দেশের আইন নিজস্ব গতিতে চলতে দেয়া উচিত। সমগ্র দেশবাসীকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে একটি সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়তে হবে"।
আড়াই ঘন্টার সিনেমায় যা শিখলাম:
১) ছেলেরা আগে মাস্তান ছিলো, এখনও আছে। তবে এবার ছেলেরা একা নয়, সাথে মেয়েরাও মাস্তান।
২) কিছু করার না থাকলে স্লো ইন্টারনেট স্পিড নিয়ে আড়াই ঘন্টায় ডাউনলোড এবং আড়াই ঘন্টায় সিনেমা দেখা মিলিয়ে মোট পাঁচ ঘন্টা সময় কাটানোর অনেক উপকরণ এখন আমাদের হাতের নাগালেই - - -।
৩) টিকিট না কেনায় পয়সা উসুলের চিন্তা নেই। তবে পাঁচ ঘন্টার ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স হিসেবে আরও এক ঘন্টায় একটা রিভিউ লিখতেই হয়।
মন্তব্য
অসাধারণ!
আমি অতি সম্প্রতি এই উদ্যোগ গ্রহন করেছি। ২-১ টা রিভিউ না লিখলে আমারও চলছে না! আপনার কথার সূত্র ধরেই বলতে হয়,
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
অবশ্যই! আপনার রিভিউ পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
শিমুল পোলাটার বিয়া দেওন ফরজ হইসে। হ্যায় মুনমুনের বাংলা বই দ্যাখে।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
ভাই সাহেব, বিয়ে করলে কি বাংলা বই দ্যাহা যায় না?
Man can do what he wants, But he can't want what he wants
(বিপ্লব) স্কোয়ার।
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
বিপ্লব ভাই যখন বিপ্লব দেন, তখন আর বাকী থাকে কী!
এই পোলা জলদি দেশে আয়। তোরে বিয়া দিয়া দিতে হবে। জলদি আয়।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
বাউলে ক্ষেপসে।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
বুঝলাম না। (বেড়াল) ।
সিনেমা দেখার সাথে বিয়ার সম্পর্ক কী?
(বেড়াল) (বেড়াল) (বেড়াল)
বেলাডিফুল!
খালি শুকনা কথায় কি ছেলেটা শান্তি পাইবে?
বিয়াশাদির কথাবার্তার অগ্রগতির লক্ষণস্বরূপ অচিরেই তাহাকে মুনমুন টাইপ দুই হাজার কন্যার ছবি বাছাই করার নিমিত্তে প্রেরণ করা হউক।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
কিয়ের আবার ছবি পাঠানি? দেশে আসুক, যে মেয়ে পাব তারেই গলায় ঝুলায়া দেব। বিতলামির কোন চান্স নাই। এক্কেবারেই নাই। তার মুনমুন দেখার খায়েস দ্রুতই মেটানো হবে।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
সুলতানা পারভিন শিমুলের কথাটা মনে ধরেছে ঠিক। মূল ঘটনা দেরী হোক। এখন থেকে ছবি দেখা, যাচাই বাছাই; হলেও মন্দ হয় না। একটা দখিনা হাওয়া লাগতো
আলবাব ভাই এইসব কী বলে? অসম্ভব। হাজার দুই কণ্যার ছবি দেখা ছাড়া কোন ভাবেই হবে না। মানি না, মানবো না।
নানান জটিলতায় মাঝে অনেকদিন ব্লগ থেকে দূরে। ফেরত এসেই এইরকম ঝাক্কাস পাঠ। দারুণ জিনিস।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
শুকরিয়া।
কিছুদিন আগে দ্রোহী'র লেখায় দেখলাম তিনি নাকি মানুষের অনুরোধে কি কি সব গেলেন, তাতে অনুপ্রাণিত হয়ে আপনাকে অনুরোধ জানাচ্ছি - আপনি (চাইলে অন্যান্যরাও) অবশ্যই নিয়মিত বাংলা সিনেমার রিভিউ লিখবেন। 'মেজাজ খারাপ' সময়ে এর চেয়ে ভালো ওষুধ আর হয় না !!!!!
খুবই মজার লেখা।
হা হা।
আমিও ভাবছি এখন থেকে নিয়মিত সিনে-মারি-ভিউ করবো।
আশা করছি - আপনার মন্তব্যও পাবো নিয়মিত। ধন্যবাদ।
আমার হাত নিশপিশ করতেছে আরেকটা বাংলা সিনেমার কাহিনী লেখার জন্য। হবে নাকি একখান?
কি মাঝি? ডরাইলা?
গুরু কি বলে! হবে মানে অবশ্যই হবে। আপনি শুরু করেন, আমি আছি - - -
আমি ছোটবেলায় অবাক হৈতাম, নবাগতা নামের ভদ্রমহিলা সব ছবিতে থাকে কেনো?
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
ঠিক, আমি তো বিটিভিতে 'কুশীলব' লোকটারে কোনদিনই খুঁজে পাইলাম না। অথচ অনেক নাটকে তার নাম থাকতো। ।
জনগণের দাবি ঠিক। বাংলা সিনেমা দেখা বন্ধ করার একমাত্র উপয়া বিয়ে করা। তখন মাশাল্লাহ হিন্দি সিরিয়ালের এনসাইক্লোপিডিয়া হয়ে যেতে সময় লাগবে না।
সচিত্র মারি-ভিউর আইডিয়া মারাত্মক। আরেকটা কথা কই, আলেকজান্ডার বো'র নাম প্রথম যেদিন শুনেছি, সেইদিন থেকে নামশুনেই হাসি আর মুনমুন এখনো হিট জেনে ভালো লাগলো। মাইয়াডা গায়ে মাংশ বানায়া বেকার হইলে দ্যাখভাল করবো কেডায়!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বলাই'দা জব্বর পয়েন্ট তুলে ধরছে।
অধুনা বিয়ে করা বন্ধুরা দেশ বিদেশের খবর কিচ্ছু রাখে না। সন্ধ্যায় নিউজ টাইমে ওদের বউ নাকি হিন্দি ডেইলি সোপ দেখে, একটানা রাত দশটা পর্যন্ত। কয়েকজন রিমোর্ট দখল নিয়ে হাতাহাতি মারামারি পর্যন্ত গেছে। এই খবরটা ফাঁসও হয়ে গেছে
তাই বলি - বাংলা সিনেমাই ভালো।
খুব বেশী হলে পাঁচ মিনিটে দেখা ও লেখা দুটোই পড়া হল।
খুব মজা পেলাম।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ধন্যবাদ।
জম্পেশ বর্ণণা! জাঝা
বাংলা বাণিজ্যিক ছবি সর্বশেষ দেখেছি নব্বই দশকের মাঝামাঝি। ছবির নাম ছিলো বীরপুরুষ। ছবির সহনায়িকা বেলবিক্রেতা। দুই হাতে দুই বেল নিয়ে বুকের সামনে ধরে "আমার রসে টুসটুস বেল কেউ চাইখ্যা দেখলো না" বলে সে শুরু করে দেয় নাচন-কুদন। আর কলাবিক্রেতা সহনায়ক কলা হাতে ধরে শুরু করে গান "আমার এতো সুন্দর কলা কেউ চাইখ্যা দেখলো না"
পুনশ্চ: গানের কলি দুটো হুবহু না হবার সমূহ সম্ভাবনা আছে। তবে বক্তব্য বিকৃত করিনি।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ইয়া খোদা! গানের মাঝে একি ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য! আমি ছেলে হয়েও লজ্জা পেয়ে গেলাম!
ফেরারী ফেরদৌস
ভাত মারলেন রে ভাই! ডিপ্রেশনের ওষুধ হিসেবে ইদানিং ফটকা মুভি দেখা শুরু করেছি। ভাবছিলাম এগুলো সম্পর্কে "সাবধান" করা দরকার সবাইকে। খুবই পছন্দ হয়েছে। পূরবী সিনেমা হলের মাত্র ৫০ গজ মত দূরে আমাদের বাসা। প্রতি বৃহস্পতি বার বিকেলে বিকট সব পোস্টার দেখে থ খেয়ে যাওয়ার দিনগুলো মনে পড়ে গেল।
সাবধান করা দরকার খুব।
আমি ভাবতাছি এইটা সিড করলো কে?
বাকি রিভিউ কই?
(সে দিন যে কইলেন এক টিকেটে দুই?)
-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
- পোলাডার বিয়া দিয়া দ্যান কুইক। কে কে বিয়া দিতে চান হাত তুলেন ভাইসব। জায়গায় খাড়ায়াই হাত তুইলেন, কেউ ঠেলাঠেলি কইরেন না।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ ভাই হাত তুলেন।
তবে যাদের বিবাহযোগ্যা শালী আছে, তারা ঠেলাঠেলি করে সামনে এসে একটু জোরে আওয়াজ দেন।
( খেকশিয়াল )
সবাই মিলা শিমুলরে শহীদ করবার চান ক্যা! আজিব দেখি, হেইতে বিয়া করলে আমরা ত এমুন রিভিউডি পামু না, শিমুল ভাই জোস হইসে রিভিউ , আপ্অনে লেখতে থাকেন, হুমায়ুন আজাদ স্যার কইসিল গরিব বাঙ্গালীর আমিষ এর বড়ই অভাব, এই ঘাটতি পূরণ করতে হেরা এহন চিনেমা দেখতে যায়, মাংস তো খাইবার পারে না, তাই দেখতে যায় !!
আপনে ভাই লেখতে থাকেন, জোস হইসে হিহি।
আজাদ স্যারের উদাহরণটা দারুণ।
থ্যাংকস।
ডিপজল জেলে বসে কী করে সেটা নিয়ে একটা অনুসন্ধানী রিপোর্ট হতে পারে ...।
হাঁটুপানির জলদস্যু
গোয়েন্দা ঝাকানাকা কি বলে?
মনে হয় শিমুলের হাতে সময় অফুরান!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
জলে যখন নামলাম, তখন ডুব সাঁতারটা দিয়েই দিলাম। এই আর কী! ধন্যবাদ, প্রিয় জুবায়ের ভাই।
আমি যখন পড়েছি ততক্ষনের দুনিয়ার কমেন্ট এসে গেছে। আমারটা ভীড়ে হারিয়ে যাবে ভেবে সাহস পাচ্ছিলাম না। তবে কিছু বলা দরকার। ভাবছি অনেকদিন মূলধারা বাংলা সিনেমা দেখা হয় না, পিচ্চিবেলায় কি সুন্দর শুক্রবারে টিভিতে বাংলা সিনেমা দেখতাম! কইথেইকা দেখসেন? মানে লিংক?
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
গত মার্চ পর্যন্তও এটিএন বাংলার সুবাদে নিয়মিত বাংলা সিনেমা দেখতাম। এখন নাই।
এই লিংকে পাবেন।
ভাইরে, লিংক দিয়া কি বিপদে ফেললেন! এখন এই রাত দুপুরে আমারে মেয়েদের মাস্তানী দেখতে হচ্ছে!
-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
'বলো না ভালবাসি' টা ডাউনলোড করেন, মাস্তানি বন্ধ হয়ে যাবে। আমার নেক্সট সিনে-মারি-ভিউ : বলো না ভালোবাসি।
- শাবাশ পালোয়ান। চলুক আটার বস্তা রিভিউয়ান
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আহ! ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেল! প্রতিদিন ক্রিকেট খেলতাম বিকেলে। কিন্তু এই শুক্রবারে খেলা হত না বাংলা সিনেমা দেখার জন্য। তখনকার সিনেমাগুলো মোটামুটি ছিলো। এই যুবা বয়সে এখনকার নোংরা বাংলা সিনেমা দেখার রুচি হয় না! শেষ বাংলা মুভি উপভোগ করেছি - হঠাৎ বৃষ্টি।
ফেরারী ফেরদৌস
কেনো এই প্রতিভার অপচয়? এতো সুন্দর রিভিউ কিনা এই মুভির জন্য!!!!
নতুন মন্তব্য করুন