ভীড় নেই তেমন, লাইনে সামনে দশ-পনেরো জন। সবুজ জামা পরা লুৎফর রহমান রিটন আগে আগে গেলেন, সাথে বিটিভির এক সেলিব্রিটি অভিনেতা। ঘড়িতে সময় চারটা পঁচিশ। আলবাব ভাই বলেছিলেন - বিকেল চারটায় সবাই আসবে। চেহারা দেখে চিনবো অনেককে এই ভরসায় সামনে হাঁটি। লিটল ম্যাগ চত্বর ঘুরে জনান্তিক-জাগৃতিতে যাই। যাদের খুঁজছি তারা কেউ নেই। অবধুতের সামনে সুমন্ত আসলাম দুই কিশোরীকে অটোগ্রাফ দিচ্ছে। মাইক্রোফোন হাতে বাংলাভিশন চ্যানেল। শেষে আলবাব ভাইকে ফোন দিই - উত্তরে "শিমুল, তুমি লিটল ম্যাগ চত্বরে যাও, ওখানে পিয়াল ভাইরা আছেন। আমি দশ মিনিটে আসবো"
দূর থেকে পিয়াল ভাইকে চিনলাম। অমি রহমান পিয়াল। কাছে এগিয়ে যেতেই আরেকটি মুখ - অলৌকিক হাসান, সাথে কুয়াশা ভাবী। চমকে গেলাম পরিপাটি থার্ড আইকে দেখে। সকালেই লন্ডন থেকে এসেছেন। পিয়াল ভাইয়ের পাশে আরেকজন ব্লগার সুচিত্রা। টুকটাক কথা হয়। অলৌকিক হাসান দারুণ মিশুক মানুষ। অল্প সময়েই নানান গল্প জমে। থার্ড আই চকলেট বার বের করেন। মাঝে ঘুরে যান - ব্রাত্য রাইসু।
তারপর চশমা পড়া সৌম্য - অচেনা বাঙালী। এই মানুষটির সাথে দেখা করার ইচ্ছে অনেকদিনের। লিকলিকে শরীরের অয়ন (মুনতাসির অয়ন) কখন এলো ঠিক মনে পড়ে না। তবে অয়নই দেখিয়ে দেয় - সামনে আসছে উনি রাসেল ভাই। রাসেল (--------)।
অচেনা বাঙালী আর অয়ন সহ শুদ্ধস্বর স্টলে গেলাম। আলবাব ভাইয়ের বউ, বাটা, বলসাবান কিনবো। সামনে লীলেন ভাই। মাহবুব লীলেন, চেহারা দেখেই চিনলাম। শিমুল শুনে বললেন - আনোয়ার সাদাত শিমুল? বললাম - 'জ্বী, সুলতানা পারভীন শিমুল না'। লীলেন ভাই বললেন - 'না, ঐ শিমুলকে আমি ভালো করেই চিনি'। এই গোলকধাধা লীলেন ভাই'র সাথে আরেক দিন খেলেছিলাম সচল আড্ডাঘরে। কথায় কথায় এটাও জানিয়ে রাখলাম - লীলেন ভাই'র লেখা পড়ে আমি কেবল যতিচিহ্ন কমা (,)খুঁজি। কারণ, তিনি কমা ব্যবহার করেন না। স্টলে বসা আহমেদুর রশীদ। এই ভীড়েই একজন এসে লীলেন ভাইয়ের সাথে পরিচিত হলেন। খুব শীতল গলার আওয়াজ। জলিল ভাই, কবি শেখ জলিল। প্রশিকা স্টলে নিয়ে পরিচয় করিয়ে দিলেন ভাবীর সাথে, জারীফ আর হৃদিকেও দেখলাম।
হঠাৎ চেহারায় হাসি হাসি ভাব নিয়ে সফেদ পাঞ্জাবীতে এলো অমিত আহমেদ। হাত বাড়িয়ে বললাম - 'আপনি অমিত? অমিত আহমেদ?'
'জ্বী'।
'কেমন আছেন?'
'ভালো'।
'আপনার লেখা আমার খুব ভালো লাগে। আপনার গন্দম কিনবো, কিন্তু শর্ত হচ্ছে - এক পৃষ্ঠা পুরো কিছু লিখতে হবে'।
অমিতের মুখে তখনো হাসি। বললো - 'আপনার নাম কি?'
বললাম - 'নাম দিয়ে কি হবে? অটোগ্রাফ দিবেন না?'
পাশে অয়ন হাসতেই আছে।
এবার অমিত বললো - 'চিনেছি, আপনি শিমুল।'
'কিভাবে চিনলেন?'
'কথা শুনে বুঝা যায়'।
হা হা।
অমিতকে ভড়কে দেয়ার পরিকল্পনাটা ওখানেই থামাতে হয়।
এরপর আমরা লিটল ম্যাগ স্টলের আশেপাশেই থাকি।
আরিফ ভাই এলেন, আরিফ জেবতিক।
একটু পর নজমুল আলবাব।
দু'জনকেই দেখলাম সাত বছর পর। আগেরবার বন্ধুসভার এক অনুষ্ঠানে দূর থেকে দেখা, কথা হয়নি। এবার মনে হলো - দেখা তো প্রতিদিনই হয় - - -।
ছোটোখাটো শরীরের একজন অচেনা বাঙালীর পাশে। নাম জানলাম - একরামুল হক শামীম। চেনা নাম। আরও দু'জন এসে আলবাব ভাইয়ের সাথে হাত মেলালেন। আলবাব ভাই পরিচয় করিয়ে দিলেন আমার সাথে। জিজ্ঞেস করলাম - 'আপনার নাম?'
'আমি পাকিস্তানের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট।'
হ্যাংলা পাতলা শরীরে মজার মানুষ। জানলাম, তার নাম ফাহিম। ব্লগে মনিটর। পাশের জন মেন্টাল (আসল নামটা ভুলে গেছি)। দু'জন ঘুরতে ঘুরতে দাঁড়কাক স্টলে গেলেন। অপরবাস্তব-২ কিনলেন।
এর মাঝে সন্ধ্যা নেমেছে টের পাইনি।
এলেন প্রিয় মোরশেদ ভাই। পাঠক ফোরাম, বন্ধুসভার মুগ্ধতা জাগানো লেখক, প্রিয় ব্লগার - হাসান মোরশেদ। মুন্নী ভাবী আর মৃন্ময় আছে সাথে। আলবাব ভাই শুরু করলেন বিয়ের গল্প। সিলেট-চিটাগাং সংকট সমন্বয়ে প্রস্তাবক। পরে অমিত যখন এলো তখনও তিনি আবিয়াইত্যাদের লেজ কাটার পরিকল্পনায় মত্ত। আমার ধারণা এই মানুষটি ঘটক পাখি ভাইয়ের লাইনে ঢুকার চেষ্টা করছে।
আড্ডা এবার গ্রুপ-সাবগ্রুপে ভাগ হয়ে যায়। পিয়াল ভাই'র সাথে কথা হয় কিছুক্ষণ। বন্ধুবৎসল আলাপী - নিরহংকার মানুষ। অলৌকিক ভাই ভাবী এবং থার্ড আই চলে গেলেন। মাসকাওয়াথ ভাই এলেন আসরে। আগেরদিন দেখা হয়েছিল। ছ'বছরে মানুষের গঠন পাল্টায় বৈকী! সাথে ইউরোপের ঠান্ডা বাতাসে শ্যামবর্ণ হয়েছেন বেশ।
পরিচয় হয় মুজিব মেহদী, জামাল ভাস্কর, কৌশিক আহমেদ, পথিক, রাহা, নুরুজ্জামান মানিকের সাথে। গ্রীণ টাইগার আবু মুস্তাফিজও এলেন। আলবাব ভাই'র সাথে থাকা নীরব মারিযাদ হারুণ নামটা পাঠক ফোরামের বদৌলতে অনেক চেনা।
অমিত, আলবাব ভাই, অয়নসহ জাগৃতিতে গেলাম। 'গন্দম'এ অটোগ্রাফ দিলো অমিত। আরিফ ভাই ব্যস্ত ছিলেন তাই অটোগ্রাফাশীর্বাদ পেয়েছি একটু পরে।
তবে অটোগ্রাফের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষায় ছিলাম নজমুল আলবাবের সামনে। আমার সিরিয়াল এগারো নম্বর। ভদ্রলোক অক্লান্তভাবে স্বাক্ষর দিয়ে যাচ্ছেন। আমি যখন গেলাম তখন অন্য পাশে অয়নও অপেক্ষায়।
শুদ্ধস্বরের সৌজন্যে মুড়ি-মোয়া আসে। আলাপ চলে অবিরাম।
লম্বা গড়নের প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব এলেন একটু পরে। অচেনা বাঙালী নিজেকে হোসেইন পরিচয় দিলেন। প্রত্তু বললেন - 'না, না, আপনি হোসেইন না।'
অচেনা বাঙালী বললেন - 'কেনো হোসেইন না কেনো?'
প্রত্তু কনফিডেন্ট, 'আপনি অন্য কেউ হবেন, হোসেইন না'।
মোরশেদ ভাইয়ের সাথে আলাপ হয় আরও কিছু। অপ্রকাশিত 'শমন-শেকল-ডানা'র গল্প শুনি। ডানে ডাক শুনে এগিয়ে যাই - আপন তারিক, সাথে ছোটোভাই। এক সময়কার নিয়মিত ব্লগার কিছুটা বিব্রত এই ভেবে এখনকার অনেকেই তাকে চিনবে না।
আপনের সাথে অনেক পুরনো ব্লগস্মৃতি চাঙা হয়। আলভী, অন্ধকার, সৌরভ আর কনফুসিয়াসকে নিয়ে আলাপ হয়। আপনকে ব্লগে নিয়মিত থাকার অনুরোধ করি।
রাত আটটা পার হয়ে গেছে। সবাই ঘরে ফিরছে। আলবাব ভাই আর মোরশেদ ভাইয়ের সিলেট নিমন্ত্রণে এক কথায় রাজী হয়ে গেলাম। অমিত কানাডা ফিরবে তারও আগে। শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত অপেক্ষায় ছিলাম দু'জন ব্লগারের জন্য, আসেননি; দৃশা এবং হোসেইন।
অয়ন শ্যামলী যাবে, আমি মিরপুর। ভুট্টায় কামড় বসিয়ে দু'জন রিক্সা চড়ে নীলক্ষেত আসি। বাসের জন্য মানুষের ভীড়। ইডেন পার হয়ে আজিমপুর যাই। 'সেফটি পরিবহনে' অয়ন ওঠার পর ট্রাফিক পুলিশ এসে বাসের কন্ডাক্টারকে পেটানো শুরু করলো। ড্রাইভার দিলো টান। আমি উঠতে পারলাম না। কাঁধে ব্যাগ হাতে ভুট্টা নিয়ে দৌড়াই। বাস থামে না, আমিও থামি না। আধা মিনিট পরে বাস থামলো। নানান জ্যামেও শ্যামলী আসতে দেরী হলো না। কথার মাঝেই 'আমি নামবো' বলে অয়ন নেমে গেলো।
এরকম অনেক কথা অসমাপ্ত রয়ে গেলো অনেকের সাথে।
মন্তব্য
শিমুল ফুটেছে বেশ। রঙিন।
.................................................................
...ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়া এ ফেব্রুয়ারি...
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
আমার ধারণা ছিল আনোয়ার সাদাত শিমুল তার নামের মতোই দীর্ঘ- লম্বা চওড়া আর ভারী মানুষ হবে
দেখি একটা সেমিপিচ্চি ছেলে
অন্য অনেক ব্লগারদের ক্ষেত্রেও আমার ধারণার উল্টো ঘটে গেছে
কথায়ই বলে ছেলেদের নাম আর মেয়েদের গলা শুনে চেহারা অনুমান করতে নেই
ব্লগারদের ক্ষেত্রেও আবার একটা প্রমাণিত হলো
(আজ পর্যন্ত কোনো নারী ব্লগার দেখিওনি কাউকে নিয়ে কিছু অনুমানও করিনি। সুতরাং এখানে ব্লগার বলতে শুধুই পুং লিঙ্গ বুঝাইবে)
কাল ব্লগীয় আড্ডার কারণে আমার সাথে আসা বন্ধুরা আমাকে রাইখাই ভাগছে :(। আসলে আড্ডা মিস করতে চাইনা। মিস করলে মিস হৈতো সত্যি... যাক.. ব্যাপক ভাল্লাগছে...
আমার ও ধারণা ছিল আনোয়ার সাদাত শিমুল মুরুব্বী টাইপের কেউ হবে... ;)। পরিচিত হৈয়া তো পুরা টাশকি... যাক.. মাহবুব ভাই আর রাইসুদা'র লগে অনেক বাতচিত হৈছে... উইত জুবেরী...মাইন্ডাইয়েন না আবার...
আপনারে যেইরকম ভাবছিলাম সেইরকম।
তবে একটু লম্বা।
ভালো লাগছে খুব।
হুম...
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
যাক , তাহলে এই অধমের নামটিও মনে রেখেছেন দেখছি।
মাহ্বুব মুর্শেদ ভাই বলেছিলেন এ নিয়ে লিখতে । আপনি লেখাতে বেঁচে গেলাম।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
আপনার দেখার বর্ণনা পড়ার ইচ্ছে করছে বেশ। লিখলে ভালো হয় - - -
আপনি কালকে পরে কই গেলেন বলেন তো?
এই প্রশ্নটাতো করলাম আপনাকে। কিন্তু সেটা আবার শিমুলের ওখানে গেলো কেমনে
তার পোস্ট এজন্য কি সে কমেন্ট হাতিয়ে নেবার কোনো টেকনিক আবিষ্কার করেছে নাকি?
এই মন্তব্যটি নুরুজ্জামান মানিকের জন্য
বুঝলাম না। নুরুজ্জামান মানিককে দুটো প্রশ্ন করলাম
দুটোই চলে গেলো শিমুলের কাছে
ঘটনা কী?
@ লীলেন ভাই:
ঘটনা ঠিক আছে।
আমি মানিক ভাইয়ের যে কমেন্টে জবাব দিয়েছি, ঐ একই একই কমেন্টে আপনিও প্রশ্ন করেছেন। তাই আপনার আর আমার কমেন্ট সমান্তরাল দেখাচ্ছে।
ওরেব্বাপরে, আমার নাম উঠছে দেখি। কাইলকা সারাদিন অফিসে ঝিমাইতে ছিলাম। বসে বিকালে মিটিং ডাকসে, তার মাঝে ব্যাং মাইরা চইলা গেসি।
ভালো থাইকেন।
আমি পাতি ব্লগার, আপ্নাদের মতোন ল্যাখতে পারুমনা কোনদিন।
আমি মিস করলাম
এই মিসটা কে?
জমজমাট আড্ডা দেখি ... আমরা খালি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ুম!
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
- শুনিতে পাইলাম আমাদের শিমুল নাকি দেখিতে কিঞ্চিৎ নাকবোঁচা না হইলেও থাকসিন সিনাওয়াত্রা'র আদল প্রাপ্ত হইয়াছে।
ইহা কি ভৌগলিকতায় অবস্থানের হেতু, নাকি পেছনে অন্য কোন হেতুও বিদ্যমান?
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মুখমন্ডলে কোন সুন্দরীর মায়াবী হিলের স্পর্শ নয় তো?
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
- তা জানি না। তবে মনে হয় না।
আচ্ছা আপনি কি জানেন, এইবার ব্যাটার দোকা হওয়ার কোনো চান্স আছে কী না!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ঘরের কথা এইভাবে ফাঁস করা ঠিক না যদিও। তবু বলেই ফেলি, উনি নাকি আপনার শ্যালিকার অপেক্ষায় আছেন।
বইমেলার সব তরুণী কানাডাপ্রবাসী সুদর্শন লেখক অমিত আহমেদ এর অটোগ্রাফ নেয়ায় ব্যস্ত থাকায়, উনি নাকি বইমেলায় গিয়ে হতাশ হয়েছেন।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
- মিয়া, আমি নিজেই গ্যাঁড়াকলে পইড়া আছি অপরের শালীর ব্যাপারে। ব্যাটে-বলে মিলে না!
আপনে মিয়া কোনো কামেরই না। আর দুয়েকটা মাইয়া বেশি পয়দা করলে কী হৈতো?
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কাজের চাপে পিষ্ট হইয়া সাংবাদিক নিহত! সেহেতু মিস করিয়াছি।
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আপনারা যখন আড্ডা পিটাইতেছিলেন, তখন আমি আর আজকাল সুমন্তের অটোগ্রাফ নেয়া দুই কিশোরীকে (১৮+) পটানোর চেষ্টায় ছিলাম।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
হোক না ভাই যে কোন বাহানায়
তথাপি বইমেলার মত জায়গায় এই অধমের নাম উচ্চারিত হওয়ায় আমোদিত এবং বিগলিত বোধ করিতেছি।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
হুমম
- দুই শিমুলকে আলাদা করতে নামের শেষে একটা আ-কার যোগ করার তীব্র প্রস্তাব করছি।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হাড্ডি ভেঙ্গে দেবো!
তীব্র প্রতিবাদ !!
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
- আ-কার যুক্ত নাম পাবার আগেই প্রবক্তার হাড্ডি ভাঙার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
কালকে প্রেসক্লাব ঘেরাও হবে এই প্রতিবাদে, সকাল সাড়ে এগারোটায়।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পরসমাচার....?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
- ..... আপনে থাকেন কৈ?
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আকাশে বাতাসে....
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
- ........ তালগাছের আগাতে!
(এরকম একটা গান ছিলো। ....আকাশে আর বাতাসে তাল গাছের আগাতে)
____________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
চাপাবাজি আর কাকে বলে !
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
- বিশ্বাস করে না!
একটা সাদাকালো সিনেমা দেখিয়েছিলো টিভিতে খুব হাসির। ঐখানে ছিলো। কমেডিয়ান তার প্রেমিকাকে কোথায় কোথায় খুঁজে বেড়ায়, তাই বলে গানে গানে। আর কিছু মনে না থাকলেও গানটা মনে আছে
____________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দীর্ঘশ্বাস
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...
হুমম
...............................
খাল কেটে বসে আছি কুমিরের অপেক্ষায়...
অন্তর্জালের শীতলতা কাটিয়ে ভাবটা একটু উষ্ণ করতে বইমেলায় গেলাম আড্ডা দিতে- তা আর হলো কই? ধরা পড়ে যাই সবার কাছে! শিমুলের তীব্র অনুভূতির কাছেও খেলাম ধরা।
.. যাই হোক আড্ডাটা বেশ জমজমাট হয়েছে। আর লেখাটা হয়েছে শিমুলের মতোই রঙিন।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
তুমি কি নিশ্চিত হোসেইন আসেনি?
তোর জন্য আকাশ থেকে পেজা
এক টুকরো মেঘ এনেছি ভেজা
বৃষ্টি করে এক্ষুনি দে তুই
বৃষ্টি দিয়ে ছাদ বানিয়ে শুই
তোর জন্য আকাশ থেকে পেজা
এক টুকরো মেঘ এনেছি ভেজা
বৃষ্টি করে এক্ষুনি দে তুই
বৃষ্টি দিয়ে ছাদ বানিয়ে শুই
বইমেলায় মাইয়া দেখায় ব্যস্ত শিমুল হোসেইন্দাকে চিনবে ক্যামনে? গোপনসূত্রে খবর পাইলাম, এই পুলাটা নিজের এই লেখায় ব্যাপক ঘটনা সেন্সর করে দিসে। গণদাবি হৈলো, কোন কাঁচি চলবেনা এইসব লেখায়। যা ঘটসে, সব লিখতে হইবেক।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
মনের দুঃখে দেশ থেকে লেখা শিমুলের কোন পোস্টে কমেন্ট করবো না ভেবেছিলাম। হলো না।
শিমুল, ক্যামেরা নিয়েছেন সাথে? ছবি তুলুন, ছবি দিন।
আর, আপন তারিকের সাথে কি নিয়া গীবত করলেন আমার? জানান।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
ইশ্... বইমেলা থেকে কয়েক কিলো দূরে থেকেও মিস করলাম। আসলে সেদিন একেবারেই সময় বের করতে পারি নাই। আমি সাধারণত মিসদেরকে মিস করলে বেশি কষ্ট পাই... কিন্তু এবার শুধু মিস করেই কষ্টিত।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অনেক মন্তব্য জমে গেছে।
দু:খিত, সময়মতো জবাব দেয়া হয়নি।
জনৈক উদীয়মান কিশোর কবিকে অনুপ্রেরণা দেয়ার স্মৃতি রোমন্থন হচ্ছিলো। আমার ক্যামরা ছিলো না। যারা নিয়েছেন তারা কেনো তুলেননি বুঝলাম না @ কনফু ।
তাহলে আমি বোধ হয় তখন অন্যদিকে ছিলাম। স্কার্ফ পরা ব্লগ্ভাবীটিকে দেখিনি। শুনেছি তিনি অল্প সময়ের জন্য এসেছিলেন। @ পিয়াল ভাই
ধুসর/সৌরভ: একজন বড় ভাই জাগৃতির স্টলের সামনে অমিত আহমেদকে পরামর্শ দিয়েছিলেন বাইরে ঘোরাঘুরি না করে স্টলে বসলে কিশোরী তরুণীরা ভীড় জমাতে দেরী করবে না। অমিত অবশ্য আমাদের আড্ডাতেই বেশি ছিলেন।
ইশ, ঢাকায় থেকেও মিস করলাম।
--------------------------------------------------------
শেষ কথা যা হোলো না...বুঝে নিও নিছক কল্পনা...
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
নতুন মন্তব্য করুন