বকেয়া পোস্ট - শেষ : এই নীল নির্বাসন

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: শনি, ১৫/০৩/২০০৮ - ৯:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঢাকা ফিরতে দেরী হয়ে যায়। কারণ, অনেকগুলো সামাজিক দেখা সাক্ষাতে যেতে হয় এবং গিয়ে লক্ষ্য করি - এক মধ্য প্রজন্মে আমি দাঁড়িয়ে। চাচা-চাচী, খালা-খালু যারা এতদিন আমার প্রিয় মানুষ, আমি যাদের অতি স্নেহের; মনে হলো তাঁরা সবাই শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। কথায় আচরণে নানা রকম শারীরিক অসুস্থতা প্রাধান্য পায়। বিপরীতে নতুন এক প্রজন্ম আমাকে মামা কাকা ডেকে কাঁধে চড়তে চায়। বুঝতে পারি, এখন চকলেটের লোভ আমার নয়, বরং পকেট ভর্তি চকলেট রাখতে হবে নতুন কথা শেখা এ শিশুগুলোর জন্য।

চট্রগ্রাম থেকে বিদায় নেয়া শুরু করি। প্রিয় মানুষগুলো দরজায় দাঁড়িয়ে বিদায় দেয়। গেইটটুকু পেরুতে আমি চারবার পেছনে তাকাই। বুকটা ভার হয়ে আসে। একইভাবে ক্যান্সারাক্রান্ত খালু বিকেলে আমাকে ফিরতে দেয় না। ধমকে বসিয়ে রাখে রাতের খাবারের জন্য। আমিও ঘড়ি দেখি, রাত বেড়ে যাচ্ছে, আরেকটু বসি বসি করে বের হতে হয়। পাকা রাস্তা পর্যন্ত টর্চ জ্বালিয়ে খালু আসেন আমার সাথে। রিক্সার জন্য অনেক অপেক্ষা করে তাদেরও ছেড়ে আসি। অন্ধকার রাস্তায় পেছনে কিছু দেখা যায় না। আকাশে অগণন তারা। চোখ দুটো কচকচ করে ওঠে। আলবাব ভাইকে ফোন করে কথা বলি ভিন্ন প্রসঙ্গে।

-

ঢাকা ফিরে আমার হাতে সময় আড়াই দিন। অনেকগুলো কাজ জমে আছে। অনেকের সাথে এখনও দেখা বাকী। সবার আগে দরকার প্লেনের টিকিট রি-কনফার্ম করা। কারওয়ানবাজার ঘুরে শেষে উত্তরা যাই প্লেনের টিকিট আনতে। শুনি - টিকিট আনতে লোক গেছে মতিঝিলে, পথে ভীষণ জ্যাম। দেরী হবে। দেরী হয়। পত্রিকা রিপোর্ট করেছে - বিশ্বের নোংরা শহরের তালিকায় ২য় স্থানে ঢাকা। আমার বিশ্বাস হয় না। কোটি মানুষের এ ভীড়, রাস্তায় দলবেঁধে হেটে যাওয়া শ্রমিকদল। বুকে শিশু আগলে রাখা ভিখারীনি মা'য়ের এ শহর নোংরায় ২য় হতে পারে না, কোনোভাবেই না।
দুপুরে বাসায় খাবো। জ্যামে বসে থাকি। দেখি বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ড। আকাশ ঢেকে যাচ্ছে বিজ্ঞাপনে।

শহরের তরুণ-তরুণীগুলো মন খারাপ নিয়ে বসে থাকে। ওয়েটিং ফর গডো? আকাশ ঝেপে ডিজুস বৃষ্টি নামে। এসএমএস বৃষ্টি। এ বসন্তে ডিজুস বৃষ্টিতে ভেজাবেই ভেজাবো - মাত্র দশ টাকায় পাঁচশ এসএমএস। ইয়েস লিখে থ্রি জিরো থ্রি জিরো নম্বরে পাঠাও। উনত্রিশ পয়সা আর পঁচাত্তর পয়সা মিনিটের নানা প্রলোভন। টিভির পর্দা ছাড়িয়ে এ বিজ্ঞাপন লেপ্টে যায় বিআরটিসির বাসে। লাল শর্ট কামিজ আর নীল জিন্সের তরুণীরা বিজ্ঞাপন থেকে বেরিয়ে আসে। রাজলক্ষী মার্কেট, মাস্কট প্লাজা, কিংবা চলতি পথে এমন সাজসজ্জার উঠতি কিশোরী তরুণী চোখে পড়ে। জিন্স এখন তুমুল ট্রেন্ড। কলারঅলা কামিজ, থ্রি কোয়ার্টার হাতা, গুছানো ওড়না কিংবা শাড়ীতে বেগম রোকেয়া রমণীরা কোথায় হারালো! বিউটি পার্লারের তোড়ে এখন আন্টি-আপু বোঝা দায়। ছেলেগুলো কানের কাছে ইয়ার-প্লাগ। হয়তো এফএম। হাবিব ফ্যাশনের কথা আগের পর্বে বলেছিলাম। আপাদমস্তক হাবিব হয়ে হাঁটছে অনেকে। কে জানে হয়তো রেস্তঁরায় গিয়ে জিজ্ঞেস করছে - "ভাই শাধা ভাত আর মাছ হবে?" এবি ব্যাংকের বিজ্ঞাপন। এক সময় মামা-চাচা কিংবা বাবা-মার হাত ধরে সন্তানেরা মিডিয়ায় সিঁড়ি বাইতো। এখন ছেলের বদৌলতে বাবা ফেরদৌস ওয়াহিদও নতুন জীবন পেয়েছেন। বাবা ছেলের বিজ্ঞাপন, অ্যালবাম। কোথায় সেই গান - 'ডেগের ভিতরে ডাইলে চাইলে উতরাইলে গো সই, সেই উতরানি মোরে উতরাইলি'। এফএম চ্যানেলেও এসব গান নেই। বালামের এক মুঠো রোদ্দুর এখন তুমুল জনপ্রিয়। মিরপুরে-উত্তরায় হাঁটতে গিয়ে খেয়াল করেছি দোকানগুলোয় এফএম রেডিও বাজছে সজোরে। সন্ধ্যায় ঘরে ফিরতে আগে রাস্তার পাশের দোকান থেকে ভেসে আসা সাড়ে সাতটায় সৈনিক ভাইদের জন্য অনুষ্ঠান দূর্বার কিংবা জনসংখ্যা পরিকল্পনা কার্যক্রম - এসো গড়ি সুখের ঘর আর শোনা যায় না। পড়ন্ত বিকেলে চা'য়ের দোকানে আব্দুল জব্বারের 'তুমি কি দেখেছো কভু জীবনের পরাজয়', রাস্তায় রিক্সার টুং টাং শব্দ বিলীন। আরজে'দের খলবলানিতে অনেক স্মৃতিময় ভালোলাগা হারিয়ে যাচ্ছে।

যানজট এড়াতে মহাখালী ফার্মগেট এড়িয়ে টঙ্গী - আশুলিয়া বেড়ী বাঁধ ধরে বাসায় ফিরি। লম্বা পথ, রাস্তা ভালো না তেমন, এরপরও ভালো লাগে - ফাঁকা রাস্তা। দুপাশে আবাসিক প্রকল্প গজাচ্ছে। খানিক গরমেও চলতি পথের বাতাস ভালো লাগে। আরেকটু আগাতেই চোখে পড়ে প্রেমিক জুটি। কেউ কেউ স্কুল-কলেজ ইউনিফরমে; কমার্স কলেজ - হলিক্রস - ভিএনসি চেনা যায় সহজে। রাসনা মিনি রেস্টুরেন্ট - খোলা জমির ওপর ভাসমান কেবিন, এক পাশ কাপড়ে ঢাকা। শহরে ডেটিং স্পটের বড়ো সংকট। আচমকা চোখ আঁটকে যায় - মূল রাস্তা থেকে নেমে যাওয়া খানিক নিচে - গোলাপী স্কিন টাইট টি-শার্ট ফুঁড়ে ওঠা বক্ষ, গুটানো প্যান্ট - কালো চশমায় ফটো সেশনে ব্যস্ত সোমত্ত তরুণী, পাশে ক্যামেরা নিয়ে ব্যস্ত তিন চার জন। খানিক দূরে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে দশ বারো জনের খালি গায়ের উশকো চুলের কিশোর। রাস্তায় দাঁড় করানো ফিয়াট কিংবা পাজেরো কিংবা অন্য কিছু , যার দরজা থেকে এক সুঠাম তরুণ নেমে নিচে যাচ্ছে। ঘাঁড় ফিরিরে আর দেখা গেলো না। রিক্সা আসতেই আমার চোখ চলে যায় সেদিকে। ছোটো হয়ে আসছে পৃথিবী, ছোটো হয়ে আসছে রিক্সা, প্রেমিক-প্রেমিকারা আরও কাছাকাছি বসতে আরও ছোটো হয়ে আসুক। চুমুগুলো আরও নিরাপদ হোক।
ধ্যুত, আমি বোধ হয় প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে যাচ্ছি কিংবা হিংসুটে।

-

মান্নার মৃত্যু তখনও টক অব দ্য টাউন। সনি-জোনাকী-আনন্দ সিনেমা হলে মান্নার ছবি; অবুঝ শিশু - শ্রেষ্ঠ সন্তান। দেয়ালে দেয়ালে বিজ্ঞাপন। শোক - আত্মার শান্তি কামনা। টিভি চ্যানেলে বিশেষ স্মরণ তখনও। জানাজার দিন এফডিসিতে পুলিশের বেধড়ক পিটুনি খাওয়া এক ভক্ত আরটিভি-তে সাক্ষাৎকার দিচ্ছে - 'আসছিলাম এক নজর দেখার জন্য, মান্না ভাই যেমন ডায়লক, তেমন পাইটিং, ড্যান্স - উনার মতো আর বিকল্প নাই'। শোকাহত এ ভক্তের মুখে হাসি। মনে হয় - টিভিতে দেখা যাবে এ আনন্দে হাসি আঁটকানো দায়।

-

অনেক কৌশলে সময় বের করে শেষ মুহুর্তে আজিজে ঢুঁ মেরেছিলাম মুক্তান্বেষা আর সচলয়াতন সংকলনের জন্য। দোকান বন্ধ ছিল।

-

গুলশান-১এ চাংপাই হাউজিং প্রকল্পের পাশে টিনের ঘেরা দেওয়া, ছোটো দরজা। বোঝা যায় না ভেতরে কী। খোলা আকাশের নিচে গোল টেবিলে কিছু আলোকিত মানুষ স্বপরিবারে সাপার কিংবা ডিনার করছে। টেবিলে মেনু সাঁটা। দুপাশে তিনটি দোকান। আমি সাথের বন্ধুকে অনুসরণ করে কোণার কাঁচ ঘেরা দোকানে যাই।
পান-সুপারী।
পানের দোকান। এয়ারকন্ডিশনড। রবীন্দ্রসংগীত বাজছে সাউন্ড সিস্টেমে। ক্যাশে বসা শহুরে তরুণী। দেয়ালে ঝকঝকে কাঁচে আমার ক্লান্ত চেহারা। সামনে নানান আকারের বয়াম। ভেতরে মশলা পাতি। ঝুলন্ত লাইটে ট্রেডিশনাল পান দোকানের ছাপ। সবুজ জামা, মাথায় পাগড়ী পড়া গাল ভাঙা লোকটি মাত্রাতিরিক্ত হাত পা নেড়ে পান বানাচ্ছে। জিজ্ঞেস করলাম - আপনি বাংলাদেশের মানুষ?
- না।
- তাহলে, কোথাকার?
- বেনারস, ইন্ডিয়া।
আমি হাসলাম, পান বানারস-আলা।
বললাম - এ কাজের জন্যই বাংলাদেশে আসছেন?
- হ্যাঁ, আমরা মোট নয় জন আছি।
- ব্রাঞ্চ কয়টা।
- তিনটা, একটা এটা, আরেকটা ধানমন্ডি, আরেকটা বসুন্ধরা মার্কেটে।
আমি আরেকটু আলাপ বাড়াই। কাদের মালিকানা জিজ্ঞেস করতেই নামটি চেনা চেনা মনে হয়। প্যাকেজ নাটকের শেষে দেখা যেতো। একটি প্রাইভেট টিভি চ্যানেলের মালিক পত্নী। আমার পান খেতে ইচ্ছে করলো না। সাথের দুজন খেলো। দাম এক যোগ এক সমান দুই। না, দুই টাকা না। দুই ডলার।
একটা পান সত্তর টাকা।
সত্তর টাকায় পান খাওয়াটা আমার কাছে বিলাসিতার বাইরেও বড়সড় অপরাধ মনে হয়, সবার জন্য না, আমার নিজের জন্য অপরাধ। কারণ, যাদের জন্য এ দোকান তারা ডলারের হিসাবে খুব বেশী মনে করবে না। আমি বরং হাকিমপুরী জর্দায় চমনবাহার মুখে দু'টাকার খিলিতেই ঝুঁকবো, যদি শখ জাগে।
সয়াবিন তেলের লিটার ছত্রিশ থেকে একশ' দশ, চাল তিরিশ থেকে আটচল্লিশ, মধ্যবিত্ত জীবন হাঁফিয়ে উঠছে ক্রমশ:, সেখানে সত্তর টাকায় পান খাওয়ার আগে আরেকবার ফিলিপ কটলারের ভোক্তা আচরণ বিধি অধ্যায়টা উল্টাবো, বোঝতে হবে - মাসলোর পিরামিডের কোথায় আমি দাঁড়িয়ে।

-

শেষের দিকের সকালগুলোয় আমার দ্রুত ঘুম ভেঙে যায়। জানালার পর্দা সরিয়ে গ্রীল দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকি। সকালে ঝাড়ুঅলা হাঁক দিয়ে যায় - অই ঝাড়ু-ঝাড়ু-ঝাড়ু। আমার বুকটা ধুক ধুক করে। এরকম আর মাত্র দুটো সকাল, একটি সকাল, তারপর দেশ ছাড়া। ঘন্টা কিংবা মিনিটের হিসাব। আমার হাসিগুলো থেমে যায়, টের পাই বাসার অন্যদেরও থামে। খাবার টেবিলের কথা হৈহল্লা চুপসে আসে। আমার ছোটোভাই ভাত মেখে আচমকা হাত গুটিয়ে বসে থাকে, নীরবতা ভেঙে বলে - 'ভাইয়া তুমি যাইয়ো না'। আমার মায়ের চোখের কোণায় জমা পানি লাইটের আলোয় আরও চিকচিক করে। আমি সব দেখি। বুঝি - বাবার গোপন করা দীর্ঘশ্বাস, এরকম আরও কিছু। একেবারে ঝিম মেরে থাকি। (পরে সম্প্রতি অমিত, অমিত আহমেদের পোস্টে ওর দেশ ছাড়ার আগের রাতের বাসার বিবরণ অনেক মিলে যায় আমার বাসার সাথে। কারণ, মানুষগুলো বাবা, মানুষগুলো মা, মানুষগুলো ভাই, মানুষগুলো বোন, মানুষগুলো আলাদা নয়; আমরা।)

-

এসব নিয়ে দ্রুত সময় কাটে।
সবাইকে ছাড়ার সময় আসে। এয়ারপোর্টে মায়ের হাত ছেড়ে ভেতরে ঢুকতেই মনে হলো আমি চারাগাছ, ক্রমাগত: শেঁকড় উপড়ে নিজেই হেঁটে চলেছি। গলায় জমাট বাঁধা কষ্ট নিয়ে দূরে সরছি। আড়াল হয় সবাই। মোবাইলের সিম গেছে পাল্টে, নম্বর হারিয়ে তাই সবার কাছে ফোন করা হয় না। দেশে নেমে দুয়েকজনকে আগ্রহ নিয়ে বলেছিলাম - দেখা করবোই করবো। তাঁদের কাছে আমি ভীষণ বিনীত হয়ে ফোন করি। কী করে বোঝাই - সময়গুলো এতো দ্রুত গেলো! মনে মনে লিস্ট করি - কাকে কাকে মেইল করে স্যরি বলতে হবে। এয়ারপোর্টের লাউঞ্জে বসে একটানা ফোন করি - স্মৃতিহীন দাদী বলে, "তুমি আসবা বলে কই গেলা? কখন আসবা?"
আমি কী জবাব দিই! শুধু বলি - 'কিছুদিন পর আবার আসবো।'
দাদু বলে - 'আল্লাহ ভরসা, ঠিক মতো আইসো'।
টিভিতে বাংলাদেশ-সাউথ আফ্রিকা ওডিআই। মাত্র বাংলাদেশ অলআউট হলো একশ আটাত্তর নাকি সাতাত্তর।
খালেদ মাহমুদ সুজন - চৌধুরী জাফরুল্লাহ শরাফতের বিশ্লেষণ শেষে সংগীতানুষ্ঠান; স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান। আপেল মাহমুদ গাইছে - 'মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি'। প্লেনে ওঠার ডাক পড়ে। টিভিতে তখন - 'আমরা তোমাদের ভুলবো না।'

মধ্য দুপুরে রানওয়েতে এতো রোদ ছিলো কিনা জানি না। নাকি আমার ভারী চোখে সব কড়া লাগছিলো! অসহ্য সব কিছু। টিজি থ্রি টু টু; শোঁ শোঁ শব্দে উড়াল দেয়। জানালায় তাকিয়ে দেখি; আমার প্রিয় শহর, প্রিয় রাস্তা, প্রিয় ঘর; এর কোনও একটির মাঝে আমার শেঁকড়।

-

ক্রমাগত বিরক্তিকর এবং আশ্চর্যজনকভাবে আপন হয়ে আসা এ পর-শহরে আমি ফিরে আসি। মনটা ভারী থাকে। এ ভার কাটাতে ব্লগে শুরু করি বিগত দিনলিপি, বকেয়া পোস্ট। আজ এক সপ্তাহ পরে মনে হলো - কাদা মাটির মনটা একটু শক্ত হয়েছে, আরও ক'দিন গেলে পাথর হয়ে উঠবে, পাথর করে নেবো।
এবং এভাবেই এ সিরিজ পোস্টের বকেয়া শোধ হলো।


মন্তব্য

অনুভূতিশূন্য কেউ একজন এর ছবি

এইভাবে একজনই লিখতে পারে।
এবং আমি আমার প্রিয় সেই লেখকের লেখা পড়ার জন্যে উন্মূখ হয়ে বসে থাকি।
ধন্যবাদ, শিমুল,
আমাদের অজান্তে সম্পর্ক, সমাজ আর সময়কে ধরে ফেলা ঘুণগুলোকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবার জন্যে।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ইস, এই লোকটা এতো কমেন্ট করে, অথচ এখনো সচল হলো না চোখ টিপি
থ্যাঙ্কু মিস্টার অশুকেএ ।

অনুভূতিশূন্য কেউ একজন এর ছবি

ইয়ে মানে, স্যারেরা এইদিকটা নিয়ে আমার সাথে হালকা বৈঠকের সুযোগ দিয়েছিলেন। বলেছেন, এতোবড় নিক তালিকাভুক্তিতে নাকি যান্ত্রিক জটিলতা আছে। তাই নামটা আগে-পিছে কোথাও ছেটে ফেলতে।
কীভাবে ছেঁটে ফেলি বলেন তো..

সচল হবার জন্যে তো আর আমার এতো প্রিয় নামটা বিসর্জন দিতে পারি না।
অনাহুত অতিথি হয়েই পড়ে যাই অন্য সচলদের পাতাগুলো।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

চিন্তার কথা।
'শুন্য'টা ছেঁটে ফেলতে পারেন। (স্যারেরা পুকুরের ইলিশ খায় না?)
আপাতত: [url=http://youtube.com/watch?v=Yo0PN8-0zbQ ]"আচ্ছা ভাই, শাধা ভাত আর মাছ হবে?" [/url] দেখেন।

কনফুসিয়াস এর ছবি

এইভাবে একজনই লিখতে পারে।
এবং আমি আমার প্রিয় সেই লেখকের লেখা পড়ার জন্যে উন্মূখ হয়ে বসে থাকি।
ধন্যবাদ, শিমুল,
আমাদের অজান্তে সম্পর্ক, সমাজ আর সময়কে ধরে ফেলা ঘুণগুলোকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবার জন্যে

অনুভুতিশূন্যের অনুভুতিটুকু কপি পেস্ট করে দিলাম।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এক মধ্য প্রজন্মে আমি দাঁড়িয়ে। চাচা-চাচী, খালা-খালু যারা এতদিন আমার প্রিয় মানুষ, আমি যাদের অতি স্নেহের; মনে হলো তাঁরা সবাই শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। কথায় আচরণে নানা রকম শারীরিক অসুস্থতা প্রাধান্য পায়। বিপরীতে নতুন এক প্রজন্ম আমাকে মামা কাকা ডেকে কাঁধে চড়তে চায়। বুঝতে পারি, এখন চকলেটের লোভ আমার নয়, বরং পকেট ভর্তি চকলেট রাখতে হবে নতুন কথা শেখা এ শিশুগুলোর জন্য।
কী আশ্চর্য এবং অবধারিত এই ব্যাপারগুলো। অনেকটা ইউনিভার্সাল ট্রুথের মত। মহাকালের গভীরে একই চিত্র হয়তো চিত্রিত হয়ে আছে সহস্র-শতবার। একসময় এই মামা-খালা-চাচাদের অবস্থানে সবাইকে পৌঁছুতে হবে, এ পথ অতিক্রম করতে হবে সবারই।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

এ পথ অতিক্রম করতে হবে সবারই।

এবার এটা ভাবাচ্ছে বেশ। ধন্যবাদ।

অয়ন এর ছবি

বেশ কিছুদিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম এই পর্বটার জন্য।
ভালো লাগলো।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ওয়েল, থাকেন মাত্র কয়েক ঘন্টা দূরত্বে তাও করেন এতো ট্যাওম্যাও। মিয়া, চিয়ার আপ!

পানওয়ালা'র মালিকীন কি আঁখি নামক চ্যানেলের ওয়াইফ নাকি? শালিরে ধইরা ঐটা কইরা দেওয়া উচিৎ। সত্তর ট্যাকায় হা-ডু-ডু, ফাইজলামি নাকি?

কালকে মা'কে পুবের দিকে ক্রমশঃ বহমান পশ্চিমী ধারা নিয়ে বলছিলাম। মা বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে বললেন, "তোরা দুই ভাই হওয়ার পরেও তোর আব্বা তোর দাদা-দাদীর সামনে আমার সঙ্গে কখনো কথা বলে নাই!" নানী-নানার সাংসারিক আমার কল্পিত কাহিনী থেকে শুরু করে মা'য়ের নাতি এবং পুতির আমলে কী দেখতে হতে তার একটা কল্পুগ্রাফ দেখাতেই মা শিউরে ওঠেন। আমারে জিজ্ঞেস করেন, "তুই কী করবি!" আমি জবাব দেই, "বউয়ের কোলে চড়ে ঘুরবো!" মা ক্ষেপে গিয়ে বলেন, "গ্রামে এইসব চলবো না চান্দু!"

এইবার সত্যি কথা শোনেন, চলেন ছাতা দেশে যাইগা।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

হুম। পানওয়ালী ঐ আঁখি-নয়ন টিভির লোক।

আপনে মিয়া ব্লগের খাইস্টা আলাপ মুরুব্বির সাথেও শুরু করছেন? বৌ'য়ের কোলে চড়ে আপনি সকাল বিকাল 'আমি চক্কেট কাবো, আমি জুস কাবো' বলবেন, এটা তো আমরা সবাই জানি। এখন গেল মুরুব্বির কানে। দেখেন কপালে পাত্রী জোটে কিনা।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হাহাহাহা
কপালে যে পাত্রী নাই সেইটা জাইনাই তো এইটা বলছি। আপনার কি ধারণা আমি জাইনা শুইনা নিজের পায়ে ভোঁতা কোঁদালের কোপ মারুম!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

কপালে পাত্রী নাই কেনো? রেস্ট্রিক্টেড :

ধুসর গোধূলি এর ছবি

-

দুঃখের কথা হইলো, বিয়া'র পরে আমার মা আমারে বউয়ের কোলে উইঠা আপনের মতো চক্কেট আর জ্যুস খাইতে দেখলেই চ্যালাচালান করবো। এইডরে, কোনো হালায়ই তার তার মেয়ে কিংবা শালী আমার কাছে দিবো না। - এইটা হইলো রিজন বিহাইন্ড দ্য রিজন।

আর আপনে আমারে ঠিক কইরা কন তো সায়েদাবাদ কয়বার গেছেন? চোখ টিপি এতো খোঁজখবর রাখেন যে! দেঁতো হাসি
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

হ, বশীকরণ তাবিজ লাগতে পারে।

সায়েদাবাদের কাহিনী কি? ঐগুলান ঐখানে নাকি? জানতাম না তো হাসি
যাক, আপনি যে নিয়মিত যেতেন সেটা বুঝলাম এখন। দেঁতো হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- শিমুল, সন্ন্যাসী বাবাজীরে ধইরা একটা তাবিজের ব্যবস্থাই করেন তাইলে!

আর আপনে কোনসবের কথা কন মিয়া? আমি তো জানতাম চিটাগাং যাওয়ার আগে আপনি প্রতিবারই সায়েদাবাদ যেতেন আগে। আপনি আমাকে কোথায় নিয়মিত পাঠালেন ঠিক বুঝলাম না। আমার বাড়ি যাবার আগে সায়েদাবাদ যাবার দরকার পড়তো নাতো! দেঁতো হাসি
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ছেলের গায়ে বিয়ার বাতাস লাগছে....



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

অতিথি লেখক এর ছবি

Is it real? Does Dhaka change so much in two years?
I am planning to visit there very soon. Looks like an unwanted surprise is waiting for me মন খারাপ

I miss Dhaka so muchhhhhhhhhhhhhhhhhhhhhh.

oporecheta@gmail.com

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

বুঝতে পারি, এখন চকলেটের লোভ আমার নয়, বরং পকেট ভর্তি চকলেট রাখতে হবে নতুন কথা শেখা এ শিশুগুলোর জন্য।

াবার টেবিলের কথা হৈহল্লা চুপসে আসে। আমার ছোটোভাই ভাত মেখে আচমকা হাত গুটিয়ে বসে থাকে, নীরবতা ভেঙে বলে - 'ভাইয়া তুমি যাইয়ো না'। আমার মায়ের চোখের কোণায় জমা পানি লাইটের আলোয় আরও চিকচিক করে।

কারণ, মানুষগুলো বাবা, মানুষগুলো মা, মানুষগুলো ভাই, মানুষগুলো বোন, মানুষগুলো আলাদা নয়; আমরা

খুব ভালো লাগছে বস ...

কারণ, যাদের জন্য এ দোকান তারা ডলারের হিসাবে খুব বেশী মনে করবে না

এই তো আসল কথা বুঝছেন ...

রিক্সা আসতেই আমার চোখ চলে যায় সেদিকে। ছোটো হয়ে আসছে পৃথিবী, ছোটো হয়ে আসছে রিক্সা, প্রেমিক-প্রেমিকারা আরও কাছাকাছি বসতে আরও ছোটো হয়ে আসুক। চুমুগুলো আরও নিরাপদ হোক।

সন্ধ্যার পরে ঢাকা ভার্সিটিতে যায়েন ... বুঝবেন দেশ কত আগায়ে গেছে ... চোখ টিপি

................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

জিন্স এখন তুমুল ট্রেন্ড। কলারঅলা কামিজ, থ্রি কোয়ার্টার হাতা, গুছানো ওড়না কিংবা শাড়ীতে বেগম রোকেয়া রমণীরা কোথায় হারালো!

এই জায়গাটার সাথে একমত না ...

বেগম রোকেয়ার রমণী সেজে থাকার জন্য আমাদের দেশের মেয়েরা দিনের পর দিন জবরজং সব পোশাক পরে বাসে উঠতে পেইন খাবে সেটা কোন কাজের কথা না ... আমরা নিজেরা তো পূর্বপুরুষদের পোশাক ঝেড়ে ফেলেছি অনেক আগে ... আমি যে ড্রেস আপে অফিস করতাম আমার বাবা নিশ্চই সেটা ভাবতেও পারতেন না ... আমার বোনের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হবে কেন?

পার্সোনালি আমি মনে করি ছেলেমেয়ে সবার জন্যই জিন্স খুবই উপযোগী একটা পোশাক ... "গোলাপী স্কিন টাইট টি-শার্ট ফুঁড়ে ওঠা বক্ষ" আমাদের কালচারের সাথে যায় না, কিন্তু শর্ট কামিজ বা লম্বা ফতুয়ার সাথে জিন্স মেয়েদের জন্য খুবই উপযোগী একটা পোশাক হতে পারে ...
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

প্রিয় কিংকং/
সুবিশাল মন্তব্য ভালো লাগলো। যে জায়গাটায় আপনি একমত না সেটা নিয়ে বলি - বিষয়টি বেশ সংবেদনশীল এবং অসীম তর্ক-আলোচনায় গিয়ে থামতে পারে। সমাজ বিবর্তনে পোশাক আরামদায়কতায় পরিবর্তন হবে নাকি বিশ্বায়নের বাতাসে সংক্ষিপ্ত হবে; সেটা নিয়ে ভিন্নমত খুব স্বাভাবিক। এবং এই মুহুর্তে আমি সেটা ব্যক্তির অভিরুচি এবং পছন্দের উপর ছেড়ে দিচ্ছি। কোনও সিদ্ধান্ত নয়, কেবলই মতামত। আপনার প্রবাস জীবন সুখময় হোক।

শেখ জলিল এর ছবি

কাদা মাটির মনটা একটু শক্ত হয়েছে, আরও ক'দিন গেলে পাথর হয়ে উঠবে, পাথর করে নেবো।
...একটা বড়ো দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে গেলো বুক থেকে।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

অমিত আহমেদ এর ছবি

অসাধারণ... লেখাটা পড়ে গর্ব হচ্ছে।

নজমুল আলবাব এর ছবি

মন খারাপ আমার কথা খুব কম লিখছে বেটায়...

শিমুল ভাল থাকবা সবসময়।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

অনুভূতিশূন্য কেউ একজন এর ছবি

ক্যাঁ, আপনার কথা লেখবে ক্যান?
আপনারে না কইলাম, পুলাটারে ধৈরা একটা বোরখাওয়ালীর লগে বিয়া দিয়া দেন। সব ঠিক হইয়া যাইবো। খাইছে

কথা তো শুনলেন না।

নজমুল আলবাব এর ছবি

কি যে বল তুমি। আরে আমি সিলেট থাইকা উইড়া গেলাম শুভ কাজের জন্য। বেটায় পরথম দিনতো দেখাই করলনা। পরে খালি উন্ধা ধুন্দা কথা বলে। মাপ চায়। এখন আমার দোষ! নাকি এই জামানায় এভাবেই কথা বলে পুলাপাইনে? যত না তত হ্যা ধরে মনে হয় আমার আগানো উচিত ছিল। বিরাট ভুল করে ফেল্লাম মনে হয়।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

পরিবর্তনশীল এর ছবি

পড়লাম।
এবং পড়ে মুগ্ধ হলাম

---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

পড়লাম।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ধন্যবাদ প্রিয় জুবায়ের ভাই, জলিল ভাই।

হুমম আলবাব ভাই, আরও লিখবো নাকি? (সেন্সরড, সেন্সরড)

শেষে ধন্যবাদ সুহৃদ মিত, য়ন এবং পরিচিতা।

নজমুল আলবাব এর ছবি

পিলিজ চেনচর চেনচর। (ডরাইছি)

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

আরিফ জেবতিক এর ছবি

লেখাটা বেশি ছোট , মন ভরলো না ।
আর পানসুপারির লোকগুলো মিরপুরের বিহারী পল্লীর লোক , ফাজিলরা বানারস বলে ব্যবসা করে ।
আমি একবার জানতে চেয়েছিলাম বাংলাদেশে পান কি কোন নতুন আইটেম নাকি যে বিদেশ থেকে এক্সপার্ট আনতে হবে ?

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

!লেখা বেশি ছোট!
-
লোকগুলো মিরপুরের বিহারী পল্লীর! তাই নাকি? হা হা। ঠিক আছে। দামীপানখানেঅলারা এরকম ফাজিলের খপ্পরে পড়ার দরকার আছে। শুনছিলাম - বিউটি পার্লারগুলোয়ও নাকি এরকম কেইস ছিল এক সময়। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে স্টাফ আনা হতো, আর কাস্টমারের কাছে পরিচয় করানো হতো - চায়নিজ, থাই - - -। শুধু নির্দেশ ছিলো - মুখে কোনও বাংলা কথা বলা যাবেন না।

নিঘাত তিথি এর ছবি

সেই সব চেনা দুঃখ চেনা সুখ, চেনা চেনা হাসিমুখ, চেনা আলো চেনা অন্ধকার......
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

আমার ভার্চুয়াল দেশভ্রমণ শেষ হয়ে গেল???? মন খারাপ

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

রাশেদ এর ছবি

ভাল্লাগছে। আপনার লেখার তুমুল ভক্ত আমি।

তারেক এর ছবি

খুব ভালো লাগলো সিরিজটা। শেষে এসে মন খারাপ হয়ে গেল। আমার বোনের কথা মনে পড়ছে খুব। ওর দেড় বছরের পিচকিটা বিদেশে মানুষ হচ্ছে একদম একা একা...
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

প্রিয় রাশেদ/তারেক:
দুজনকেই ধন্যবাদ হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।