তর্ক-বিতর্ক যা-ই হোক, এবার আর উপায় নেই। চালের দাম কমবে, কমবে মানে আগের মতো ১৬-২০ টাকা হবে ব্যাপারটি হাবিবুল বাশার সুমন আবার ফর্মে এসে টানা সেঞ্চুরি করে আশরাফুলের পজিশন কেড়ে নিয়ে, অধিনায়ক হয়ে, ২০১১ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলকে চ্যাম্পিয়ন করে দিবে; একই পর্যায়ের। এ দুটি স্বপ্ন আপাততঃ একই রাতে একই ঘুমে দেখা সম্ভব। এবং মাঝ রাতে অথবা সকালে ঘুম ভেঙে ঐ স্বপ্নকে দুঃস্বপ্ন বলে মেনে নেয়া যাবে চোখ না কচলে, ‘সোলেমানি খাবনামা ও তাবীর’ না দেখে।
চালের দামের ধাক্কা বিশ্ব অর্থনীতিতে কী কী প্রভাব ফেললো সেটা নিয়ে বিদেশি মিডিয়া রমরমা। ধনী-গরীব অনেক দেশে চালের সংকট। তাই বলে তারা কি বসে আছে? তারা কি ভাত খাবো-ভাত দাও-চালের দাম কমাও বলে কান্না করছে? মোটেই না। সুব্লগার সুবিনয়ের দেয়া লিংকে ক্লিক করে দেখি – আফ্রিকার কালো মানুষ কী মজা করে স্প্যাগাটি খাচ্ছে। (আচ্ছা spaghetti বাংলায় ক্যামনে লিখে? ভাতের কসম লাগে, আমি স্প্যাগাটি কোনোদিন খাই নাই, ছবি যা-ও দেখছি; মনে হয় নুডুলসের মতো কিছু একটা হবে। কারণ, আমি ভাতের হোটেলেই বেশি গেছি। অথবা হোটেলে গেলে ভাত বেশি খাইছি।)
তবে নুডুলস ক্যামন জানি খাইতে অসুবিধা, হাঁস যেমন কিলবিল করে কেঁচো খায়, তেমন করে নুডুলস খাওয়ার স্টাইলটা সুবিধার মনে হয় না। এই ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত খাবার হিসাবে আলু ঠিক আছে। ঠিক আছে মানে পুরা ঠিকাছে। আমাদের দেশীয় শস্য, ফলন ভালো হয়। ডাক্তারেরা বলে পুষ্টিমান ভালো, ভাতের চেয়েও নাকি ভালো। ইতোমধ্যে যারা টুকটাক আলুভ্যাস করে ফেলছেন, তাদের কেউ কেউ এমনও বলছেন যে, আলু খেলে শরীর হাল্কা লাগে, পেট ভারী লাগে না, রাতে ভালো ঘুম হয়, হুদামিছা আমরা ভাতের জন্য পাগল হয়ে থাকি। বন্ধু কমলকান্ত বললো – রিকি পন্টিং নাকি জীবনেও ভাত খায় নাই, তাহলে – হাবিবুল বাশারের জন্য গোপন একটা রহস্যও উন্মোচিত হলো।
তাহলে আসুন, আলুর বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে টপাটপ কিছু রেসিপি দেখিঃ
পোড়া আলুঃ
এটা মূলতঃ পোড়া কপাইল্যা মানুষের খাবার।
বিবিসিনিউজ সাইটে বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রোফাইল যেটা দেয়া আছে, সেখানে বলা আছে দেশের অর্ধেকের মতো মানুষ ডেইলী ১ ডলারের কম আয় করে। গত তিন বছরে এই বাক্যটা পালটানো হয় নাই। আবার ইকনোমিস্টরা বলে – বাংলাদেশে অর্ধেকের কাছাকাছি মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করে। বছরান্তে হিসাব উলটাপালটা হতে পারে। তবে অতি নিন্ম আয়ের মানুষ, যারা আগে এক/দুইবেলা ভাত খেতো তাদের জন্য এ মেন্যু।
প্রস্তুত প্রণালী খুব সহজ কাঠ-কয়লার আগুনে আলু পোড়ানো হবে, এবং ৫ মিনিট পরপর কাঠি দিয়ে গুতিয়ে দেখা হবে কেমন পুড়লো। তারপরে বাতাসে রেখে আলু একটু ঠান্ডা করে মুখে পুরে দিতে হবে। কেউ কেউ বলেন –আলুর খোসায় কি একটা বিশেষ পুষ্টি আছে, সুতরাং খোসাসহ খান। পেট শান্তি, জগত শান্তি।
__
সিদ্ধ আলুঃ
আয়-রোজগার একটু ভালো আছে, নিন্ম/মধ্যবিত্ত ট্যাগ লাগানো মানুষদের জন্য এ পদ্ধতি।
আলু পোড়ানোর চেয়ে সিদ্ধ করলে দেখতে ফরসা লাগে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন মনে হয়। গ্যাস-হিটারের চুলায় আলু পোড়ানো খানিক ঝামেলা, তাই পানির পাত্রে আলু সিদ্ধ করতে হবে। খুন্তি অথবা চামচ দিয়ে খুঁচিয়ে দেখতে হবে – কেমন নরম হলো।
হয়ে গেলে পানি থেকে আলুকে আলাদা করে রাখুন, একটু ঠান্ডা হোক।
তারপরে বিটিভিতে সংগীতানুষ্ঠান বাঁশরী/মালঞ্চ, সাধ্যে কুলালে জিটিভি তে ‘ঘর কা লক্সমি বেটিয়া’ অথবা ‘কাসম সে’ দেখতে দেখতে আলুর খোসা ছিলে ফেলুন।
তারপর আলুতে সামান্য লবণ, কাঁচা মরিচ (গূড়া মরিচও চলবে), পিয়াজ অর্ধেক মিশিয়ে নিন। তবে মাসের প্রথম সপ্তায় বেতন হাতে থাকার দিনগুলোয় সিদ্ধ আলুর সাথে টমেটো কেচাপ মিশিয়ে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে আলু সেদ্ধ করার আগে খোসা ছিলে নিতে হবে।
বিশেষ নোট -
খোসা ছিলায় স্বামী/স্ত্রী দু’জন অংশ নিতে পারেন।
রান্নার কাজ ভাগাভাগির মাধ্যমে নারী-পুরুষের সাম্য সৃষ্টি হবে। আলুর খোসা ছিলতে ছিলতে মিল-মহব্বত-পেয়ারের খুনসুটি হবে। রোমান্স ঘন হয়ে ওঠবে, এবং আলু ভোজনের পরে তা উতলিয়ে যাবে।
নারী নীতি নামক কাগুজে ব্যাপারকে আঙুল দেখিয়ে আলু প্রমাণ করে দিবে – ‘অর্ধেক খোসা ছিলিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর’।
__
ব্যুফে পটেটো এট ফাইফ ফিফটি ফাইভঃ
নিচের মেন্যুগুলো শহরের আলোকিত চটকদার মানুষদের জন্য।
এরা সাধারণতঃ পাঁচ তারার শেফের রান্না খেয়ে অভ্যস্ত। প্রয়োজনে পারিবারিক আয়োজনে রেডিসন-শেরাটনের শেফ ডেকে ছাদের উপরে পটেটো নাইট করতে পারে। এছাড়াও – এরিস্টোক্রেট, ই-ফেস, নিনফার্জ, আট্রিয়াম, ব্লু ওশান, মেস্কিট গ্রিল রেস্টুরেন্টগুলোয় ব্যুফে থাকবে, পটেটো এট ফাইভ ফিফটি ফাইভ। পাঁচশ পঞ্চান্ন টাকায় প্যাকেজ, সাথে সার্ভিস চার্জ – ভ্যাট থাকবে।
সিদ্দিকা কবীরের বইয়ে এসব খাবার বানানোর টেকনিক নাই।
ইন্টারনেটে পাওয়া যায়, তবে বাংলা অনুবাদে সমস্যা। নেটে পেলাম পটেটো গ্রাটিন (Potato Gratin) রান্না করতে লাগে 15 garlic cloves, smashed / 4 large thyme sprigs /2 bay leaves/ teaspoon freshly grated nutmeg। এগুলার বাংলা নাম কী?
তবে ছবিতে দেখি, কোনটা কী। (কৃতজ্ঞতা গুগুল মিঞা)
__
__
__
___
এবার দেখি, আলুর অন্য প্রভাব কেমন পড়বে?
।। বৌ ভাত নামক অনুষ্ঠান বদলে যাবে, নতুন নাম – বৌ আলু।
।। নবান্ন উৎসব হবে নবালু উৎসব।
।। দৈনন্দিন জীবনের সংলাপ হবেঃ
অতিথি আপ্যায়নঃ কী বলেন, এই ভর দুপুরে না খেয়ে যাবেন? একটা আলু খেয়ে যান...
পাড়াবেড়ানো আলাপঃ তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরবো ভাবী, চুলায় আলু দিয়ে এসেছি...
ফোনালাপঃ শুনো, আমার আসতে দেরী হবে, ফ্রিজে আলু আছে, ওভেনে গরম করে নিও।
মেয়েদের আড্ডাঃ ইশিতার আম্মু না, যা ভালো আলু রান্না করে না – পুরা জোসস। আর চুমকিদের বাসার আলু যা তা - জঘন্য। এ-ই, শোন, এটা আবার বলে দিস না। নে, আলুর চাটনি খা, ভাবী বানালো আজ।
বয়স্কদের আলাপঃ বয়েস বেড়ে যাচ্ছে, কিছু খেতে ইচ্ছে করে না, ঐ আলু সেদ্ধটাই একটু ভালো লাগে।
শিশুতোষ আলাপঃ তুমি বাল্লো না, তুম্মি পঁচা, আমি ভালু- আমি আলু খাই।
।। দৈনিক পত্রিকার স্বাস্থ্য কলামঃ
‘ভালো থাকুন’, নাম পালটে হবে – “দিন শুরু হোক আলু দিয়ে।“ এতে সাত সকালে এক গ্লাস পানির সাথে কোন টাইপের আলু খেলে কৌষ্ঠ্যকাঠিন্য কমে সে ব্যাপারে পরামর্শ দেয়া হবে।
___
।। নতুন গানের এলবাম ।।
শিরিনের - লাল আলুওয়ালা
হাবিব ওয়াহিদের - এসো তবে আলু পোড়াই
মিলার - রূপভানে নাচে আলু খাইয়্যা
শুভ্রদেবের - আমি হ্যামিলনের সেই আলুওয়ালা
জেমস আইয়ুব বাচ্চু (ডুয়েট) - আলু ৫০০ মিলিগ্রাম
___
।। বই মেলায় নতুন বই।।
হুমায়ুন আহমেদের – হিমুর হাতে কয়েকটি কাঁচা আলু
তসলিমা নাসরিনের – তুমি আমায় ডেকেছিলে আলুর নিমন্ত্রণে
আনিসুল হকের – তোর জন্য, আলু ভর্তা
রকিব হাসানের তিন গোয়েন্দা সিরিজ – আলু উধাও
কাজী আনোয়ার হোসেনের মাসুদ রানা সিরিজ – আলুর খামার ১-২-৩
এবং
মাহবুব লীলেনের – আলুর চোকলাবাছা দিন
___
বাজারে হরেক রকম আলুর ব্রান্ড আসবে।
রেডিও টিভিতে বিজ্ঞাপন হবে।
_
বিজ্ঞাপন - ০১
সুদর্শন তরুণ-তরুণীরা নেচে গেয়ে বলবে – ‘আলু খাই দিনে, আলু খাই রাতে, অনেকে আলু খাই ভোর দুপুরে। এটাই তো দেশ সেরা প্রিয় খাবার, প্রিয় আলু – সেএএ আছে ভালু, যে রোজ খায় শুধু আলু।
আমরা তো খাচ্ছি আলু – তোমাদের কী খবর বলো?
ভালো থাকার ইচ্ছে হলে, আমাদের সঙ্গে চলো।
পেট ভর হয়ে যায় আলুয় আলুয়, নানা মুনির মতে কী আসে যায়?
মেদ নিয়ে টেনশন আর করি না, প্রোটিন মেশানো আছে – আর নেই ভাবনা।
আলু আলু আলু বাংলামিল্কআলু, আমরা আছি ভালু – তোমাদের কী খবর বলো?
বাংলামিল্কআলু – এখন মিনি প্যাকেও পাওয়া যাচ্ছে।
_
বিজ্ঞাপন – ০২
টিভি টক শোর জনপ্রিয় উপস্থাপক মাইক্রোফোন হাতে – আমি এখন এসেছি খুলনায়, মিসেস রহমান আপনি কোন আলু খান?
মিসেস রহমান হাসি দিয়ে বলবেন, কেনো – মেরিলালু?
এখন এসেছি রাজশাহীতে – 'মিসেস আহমেদ আপনার প্রিয় আলু কোনটি?'
জবাবে- ‘আলু? আমি তো চোখ বন্ধ করে মেরিলালু খাই’।
মেরিলালু, একটি স্কয়ার প্রোডাক্টস।
_
বিজ্ঞাপন - ০৩
স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠান।
প্রধান শিক্ষক মাইকের সামনে ঘোষণা করছেন – ‘আমাদের এবারের সেরা ছাত্র...’
এরপর শুনসান নীরবতা।
ক্যামেরা চলে যাবে দর্শক সারিতে। উদ্বিগ্ন অভিভাবক সারি।
চশমা খুলে প্রধান শিক্ষক আবার বলবেন, ‘এবার শতভাগ নম্বর, শতভাগ উপস্থিতি, এবং সব স্পোর্টসে প্রথম হয়েছে –‘
আবার দর্শক সারি। ছাত্রছাত্রীদের বড় বড় চোখ। টেনশন।
প্রধান শিক্ষক ঘোষণা করবেন – ‘এবার সেরা ছাত্র হয়েছে – পাপ্পু’!
পাপ্পুর বাবা-মা পাপ্পুকে নিয়ে হাত উঁচু করে দাড়াবেন।
পাপ্পুর মা’কে পাশের মহিলা জিজ্ঞেস করবেন, ‘এই ধুলা-ধোঁয়ার শহর, বাচ্চাদের অসুখ-বিসুখ লেগেই থাকে, সেখানে পাপ্পু একদিনও এবসেন্ট না? শতভাগ মার্ক? কীভাবে?’
পাপ্পুর বাবা – টিফিন বক্স থেকে আলু সেদ্ধ বের করে বলবেন – ‘নিন খান, আলু খান, পরীক্ষা পাসের আলু’।
চারদিক থেকে সবাই বলবে – ‘আলু? কোন আলু?’
বিজ্ঞাপন কন্ঠ ঘোষণা দিবে – ‘স্টারালু, সাফল্যের শতভাগ নিশ্চয়তা, মতি-আনাম ব্রাদার্স, কারওয়ান বাজার, ঢাকা।‘
_
চলমান আলু সমাজ, চলমান বাংলাদেশঃ
থামাথামি নেই।
এখন থেকে মিস্টার চৌধুরী আলু খাবেন, মিসেস চৌধুরীও কম যাবেন না।
আলাল খাবে, দুলাল খাবে।
রাজু আর রিংকী তো এখন সারাক্ষণ আলু খাওয়া খাওয়ি করবে।
এমন কী মোটকু মফিজ? সেও এখন আলু খাবে।
আমাদের রুমা খাবে, সোমা খাবে।
জিপিএ ফাইভ বল্টু, সে-ও আলু খাবে।
হ্যাঁ ভাই, চালের দাম বাড়তিতে আলুর দাম কমেছে।
এখন তো সারা বাংলাদেশ আলু খাবে।
-
মন্তব্য
আলুর একটা ব্রান্ড নেম দরকার।
এমন আর হয় না!!! আহা!
একটা বাদ পড়ছে শিমুল:
একটা বাংলা সিনেমা এরই মধ্যে রিলিজ হতে পারে, যার নাম হবে,
"আলুর দোষ"
অসামাজিক একশন। নায়ক ডিপ আলু।
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
ইশ!
এমন দরকারী এবং আগ্রহ উদ্দীপক আইটেম বাদ পড়লো?!
অনেক ধন্যবাদ, আরেফীন ভাই।
মন্তব্যে সংযুক্তি পোস্টকে পূর্ণতা দিবে।
ভাই লেখাটা এত ভালো হয়েছে যে মন্তব্য লেখা শুরু করার সাহস পাচ্ছিলাম না। ভাজ্ঞিস বিকেলে হলের ক্যান্টিনে আলুর চপ পাওয়া যায়, নইলে কাজটা খুব কঠিন হয়ে যেত।
অসাধারন...
(ক্লান্ত পথিক)
......................................................................
যদি এতদিন পর মনে হয়
দেরি হোক যায়নি সময়।
শিমুল ভাই সেইরকম... পাঁচ তারকা দিয়া ও শান্তি মিটতাছেনা। .
ভাবতেছি একটা সিরিজ শুরু করব।
আলু টু দি পাওয়ায়ার ইনফিনিটি!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
আরে না, তুমি লিখবা আলুর দোষ টু দি পাওয়ার ইনফিনিটি
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...
হাসতেই আছি হাসতেই আছি...
মজা করে ইম্পর্টেন্ট অনেক কথা বলে দিলেন। শিমুল (বিপ্লব)
--------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।
ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।
উরিইইই বাবা... হাইসতে হাইসতে হেট বিষ।
হুর বাঙ্গালী এতো কঞ্জুস না... কাউরে কি খালি এক মুঠো ভাত খেয়ে যান কয়? কয় চাট্টে ডাল ভাত খেয়ে যান... এখন কইব চাট্টে ডাল -আলু খেয়ে যান।
দৃশা
কইবো?
তবে অতিথিপরায়ণতা কমে যাচ্ছে দিনদিন।
" আলুর্দোষ " জিনিশটা আসলে কী? (খারাপ কিছু, অইটা অনুমান করি)। কিন্তু, শব্দটার ব্যুৎপত্তি - ব্যবহার নিয়ে কিছু বলেন।
ও ঠিকাছে।
মাথাব্যথা সংক্রান্ত ব্যাপার।
থ্যাঙ্কু
আলুকাবলী কাকে বলে?
লেখাটি খুব মজার। মজার মাঝে খাসকথন! আহা, আলু খেতে যদি এত মজা হতো? আলুপোড়া সবচেয়ে ভাল।
**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
শিমুল - গান চাই, চেতনাউদ্দীপক গান! যেমন -
আলু আমার আলু ওগো, আলু ভূবনভরা
অথবা
ও আলুর পথযাত্রী, এ যে রাত্রি, এখানেই থেমো না...
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
হ্যাঁ , চেতনাটা দরকার বেশি -
আলু হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী...
অতিশয় সময়োপযোগী লেখাই মনে হইতেছে। বিবিসির ফ্রন্ট পেজে ঠিক এই মুহুর্তে এই নিউজ -
Rice prices at fresh peak on supply fear
Rice prices have scaled fresh heights in Asian trade amid concern that export bans by key producers will hit supply.
ঠেলার নাম বাবাজি...
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
হুমম। ...আর জেনারেল নিজের নাম না কী এখন মইন পি. আহমেদ রেখেছেন?
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আলু নিয়ে ফাজলামি!! এমন আলু-প্যাঁদানো হবে যে ভয়ে আলুর নাম ভুলে যাবে! পড়তে পড়তে আমারও দৃশার মত অবস্থা।
তবে আলু নিয়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবারের নামটাই বাদ পড়ে গেছে। আলুর দম পৃথিবীর সবচেয়ে টেস্টি খাবারগুলোর অন্যতম। ছোটবেলায় হাটে গিয়ে লুকিয়ে কিনে খেতাম। সেইরকম ঝাল আর অতিরিক্ত হলুদ দিয়ে তৈরি এই জিনিস ছিলো অমৃতের মত। অবশ্য বড়োরা কেউ দেখে ফেললেই ঝামেলা করতো।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
একটা সিনেমার গান মনে পড়ে গেলো। 'ব্যোম চিকা, চিকা চিকা, ব্যোম চিকা - ব্যোম ব্যোম - হেসে খেলে তালে তালে আজকে আলুর দম'। সিনেমার নাম মনে নাই।
তবে পা পিছলে আলুর দম পড়লাম আজ।
চমৎকার আলুকাব্য!
কিন্তু শিমুল ভাই, এই কাহিনী আরো পঞ্চাশ বছর এগিয়ে নিলে কীরকম হবে? কোন এক অর্বাচীন মন্ত্রী বলবে, "আপনারা আলুর উপর চাম কমাতে ভাত খাইলেই তো পারেন।" তখন হয়তো গানও লেখা হবে "আলু আমার আলু কখনো খুঁজে পাব না।"
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
বড়দের সিনেমায় পূর্বরাগের দৃশ্যে নায়িকা হাফ প্যান্ট আর স্যান্ডো গেঞ্জি পরে ছুটছে, পেছনে কোমরে গামছাবাঁধা নায়ক। এক পর্যায়ে নায়িকা নায়কের আলিঙ্গনে ধরা পড়তে বাধ্য। এর পরের দৃশ্যে তারা বিছানায় আধশোয়া হয়ে একজন আরেকজনের মুখে সেদ্ধ আলুর টুকরো তুলে দেবে স্ট্রবেরির বদলে।
আলু দে হারামজাদা, নইলে মানচিত্র খাবো।
আসবে নতুন ডিশ --- আলুর থাল ওরফে আলুথালু। এতে একসাথে মিলবে আলু ভাজা, আলু থ্যাঁৎলা, আলুর সালাদ, আলুর রোস্ট, আলুর দম, আলুর ইল্লিবিল্লি, আলু কা পারাঠা, ইত্যাদি ...।
শিরীনের নতুন গান নামবে, না জেনে ভাত খেও না, প্রাণে ব্যথা দিও না ...
টেলিভিশনে প্রোমোশনাল অনুষ্ঠান আসবে, আলুর মায়া। আহা মিষ্টি, কী যে মিষ্টি, এই সুন্দর ছোট সংসার। আলু আছে এ জীবনে আপন হয়ে ... একটি বাচ্চা ছেলে আর বাচ্চা একটি মেয়েকে নিয়ে জনৈক সুখী চেহারার পুরুষ আর একজন গরম যুবতী দিনভর আলু খেয়ে যাবে।
ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মাথায় কাপড় বেঁধে জনৈক নূরানী চেহারার জ্ঞানী ব্যক্তি শাস্ত্রের আলোকে ব্যাখ্যা করবেন আলুর গুণ ও ভাতের দোষ। ভাত খায় মোশরেক তথা দুষ্টুরা। গম আর আলুই ঈমানদারের প্রকৃত খোরাকি।
জেন্ডারবায়াসড প্রোমোশনাল শুরু হবে। মারদাঙ্গা চেহারার কোন পুং মডেলকে খালি গায়ে কিছুক্ষণ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলা হবে, "আলু। বলিষ্ঠ পুরুষের পছন্দের খাবার।"
জেন্ডারবায়াসড প্রোমোশনাল থামবে না। সমুদ্র সৈকতে ভেজা টিশার্ট আর শর্টস পরা একটি মেয়েকে চোখের পলকে চা বাগানের ঝরনার নিচে পাঠিয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে বলা হবে, "আলু। রূপসী নারীর সঙ্গী।"
আলুর চিপসের দাম বাড়বে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ওরি-রে...
পুরা সেইরম। পুরা পাংখা মন্তব্য। আপনাকে জাঝা।
ভাতের মহিমা প্রচার করা যেতে পারে। তাই বলে নিরপরাধ বেচারা আলুকে নিয়ে এতো ঠাট্টা-মশকরা? আমার কেমন যেন লাগছে
আমি আশৈশব আলুভক্ত (আলুর্দোষ অর্থেও)
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি একগামী পুরুষ। একমাত্র নারীদের ভালোবাসি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
কী কন!!!
আলু আমার আলু
আলুয় ভূবন ভরা।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
হুমায়ুন আহমেদের – হিমুর হাতে কয়েকটি কাঁচা আলু
এইটা চরম হইসে...
--------------------------------------------------------
শেষ কথা যা হোলো না...বুঝে নিও নিছক কল্পনা...
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
-সব দেখি আলুময় ।
একটা বোধহয় বাদ পড়ে গেল । নতুন বাংলা দৈনিক আসবে
প্রথম আলু
----------------------------
কালের ইতিহাসের পাতা
সবাইকে কি দেন বিধাতা?
আমি লিখি সত্য যা তা,
রাজার ভয়ে গীত ভনি না।
ইয়ে, মানে - এক নামে ২ পত্রিকা কি সম্ভব? কে জানি বললো - কারওয়ান বাজারে এখন ২ রকম আলু পাওয়া যায় - খাবার আলু, আর প্রথম আলু!
আপনেরাও আছেন... চাউলের কোনও সঙ্কট নাই পৃথিবীতে... বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষ নিয়া যাতে প্রচারণা মিছিল না হইতে পারে সেই জন্য এইটা একটা ষড়যন্ত্র... ম্যাডামরে জেলখানায় রাইখা বিএনপিরে যে কোনও উপায়ে ধ্বংশ করার ষড়যন্ত্র... এইসবে কাম হইবো না... প্রয়োজনে বিএনপির নির্বাচনী প্রতীকও আলু গাছের মাথা হবে... আর বিএনপির অন্যতম জন ফালুর নাম তখন হবে মোসাদ্দেক আলী আলু...
তবে লেখাটা দূর্দান্ত হইছে... মারহাবা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনার মন্তব্যে আরো বেশি মারহাবা,
- আপনের পয়লা রেসিপিটা মনে ধরছে। ক্যাটাগরী ওয়াইজ তো আমি পোড়া কপাইল্যাই, যা দিনকাল পড়ছে দেশে গিয়া পোড়া আলুই খাওয়া ধরোন লাগবো।
ভাই, কী নাম শোনাইলেন! এগুলা কুতায়?
আপনের লেখাটা পইড়া মজা পাই নাই। আমাদের পাঠ্য বই কিংবা নিদেন পক্ষে দুয়েকটা গল্পো-কবিতা বদলে যাওয়ার আশংকায় শঙ্কিত হয়া গেছি। উদাহরণ দেই-
ধরেন রবি বুড়ার কাবুলিওয়ালা। ইয়া বড় শশ্রুমণ্ডিত, লম্বা আলখাল্লা পরিহিত, কাঁধেতে অমলেশের মতো ঝোলানো ব্যাগ কিশমিশ, বাদাম, পেস্তা এসবে ভর্তি করে তখন কেউ আর কাবুল থেকে আসবে না। কিংবা ভুলে ভালে পোশাকে আশাকে এসে গেলেও মিনি নামের কেউ তাকে ভুল করেও কাবুলিওলা, অ কাবুলিওলা বলে ডাকবে না। ডাইরেক্ট বলবে, আলুওলা, অ আলুওলা।
অতএব, গল্পের নাম বদলে যাবে। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বদলে যাবে কাহিনীও। এখানে আলুওলা টাকার জন্য কাউকে খুন করবে না, খুন করবে আলুর জন্য (কিংবা আলোর্দোষের জন্য। অবশ্য এতে কোমলমতি শিশুরা ভ্রষ্ট এবং নষ্ট দুই-ই হয়ে যেতে পারে)। হাত বাঁধা আলোওলা যখন পুলিশের ভ্যানে উঠতে যাবে, তখন মিনি দৌড়ে আসলে আলুওলা হাত দুটো উঁচিয়ে বলবে, আলুক্ষেত লাগাইতে যাই। শ্বশুরের পোঙ্গায়।
জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আলুওলা আলুকৃতির ঠোঙ্গায় করে মিনির জন্য আলুভাজা নিয়ে আসবে। বিদায় নেয়ার সময় মিনির বাবা আলুওলাকে কতগুলো আলুবীজ দিয়ে বলবে, দেশে গিয়ে ক্ষেতে লাগিয়ে তার ফলন দিয়ে বরযাত্রী খাইয়ে কন্যার আলুদান দিও।
শেষদৃশ্যে মিনির মা ঘর থেকে ট্যাও ম্যাও করতে করতে বের হয়ে বলবে, সব আলু যে আলুওলাকে দিয়ে দিলে, এখন মেয়ের সঙ্গে পণ হিসেবে কী দেবে?
মিনির বাবা পাঞ্জাবীর পকেট থেকে একটা প্রমাণ সাইজের বীজালু বের করে বলবে, কেনো, এই যে আমাদের খান্দানী আলু!
টিভির এ্যাডেও বিস্ময়কর জোয়ার আসবে। পুরানো সব বিজ্ঞাপন ফিরে ফিরে আসবে নতুন আলুর চকচকে চোকলার মতোন। এই নিয়ে নাহয় পরে কপচানো যাবে।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনেরে দিনদিন বস মানতে হইতেছে।
আরেক কাপ আসামী/অসমীয়া চা জমা থাকলো ।
(বিঃ দ্রঃ - ঐগুলা লিমিটেড প্রাইস, আনলিমিটেড খাবারের হোটেল)
আলুময় লেখার জন্য আপনাকে আলু (বিপ্লপ ভাই আবার আলু... থুক্কু... মাইন্ড না খাইলেই হয়)
ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল
চমৎকার আলুময় জীবনের কথন।
..আমাদের সবার জীবন আলুতে আলুময় হয়ে উঠুক দিনদিন! আমিন।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
যথার্থ! আমাদের তথাকথিত দেশপ্রেমী দেশনায়কদের পচা আলু ছুঁড়ে মারার পার্টটা অবশ্য বাদ পড়ে গেছে! তবে তাদের দিকে এই লেখাটা ছুঁড়ে মারলেও কাজ হয় (বা আপনার যদি হার্ড কপি নলের মতো করে অন্য কোনো ব্যবহারের কথা বেল...)!
--------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
খুব মজা করে পড়লাম
একটা ব্যাপার, ওটা বোধহয় "নিনফাস" হবে। "নিনফার্জ" নামে যদি থেকেও থাকে অন্য কোন বুফে রেস্তোরা, আমার জানা নেই।
তবে আলু খেতে তো ভালোই লাগে আমার
মোমদাদুল হক ঝিলনের ওঁ আলু ওঁ ভর্তা
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
ব্যাপকস। সন্ধ্যাটাকে কেমন জানি মিষ্টি আলুর মতো লাগছে।
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
নতুন মন্তব্য করুন