তখন সময়টা বিষন্ন হয়ে উঠে।
চোখ বার বার ক্যালেন্ডারের পাতায় যায়, ভাবি - বছর মানে ৩৬৫ দিন - কতো লম্বা এ সময়? বিগত বিরাশি দিনের মতো পলকক্ষণ - স্বজনের মমতা অভিমান নাকি পিছুটান? তানপুরায় কেবলই বিষাদের সুর।
ব্যক্তিগত নিঃসঙ্গতা।
গতির টানে ছুটছে চারপাশ।
দুর্নীতির মামলা থেকে মুক্তি পেয়ে সান-মুন-অলিভ সার্টিফায়েড তারকা হচ্ছে, হবে অনেকে।
আসবে উৎসবের নির্বাচন।
তার আগে আসছে আশ্বিনের মঙ্গা।
আজ এসে গেলো রমজান - রামাদান কিংবা সিয়াম।
ব্যবসায়ীরা বলছে - দাম কম রাখা হবে। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে সেহেরী-ইফতার-তারাবীতে বিদ্যুৎ সচল থাকবে। বাংলালিংক বলছে - প্রেয়ার এলার্ট দেয়া হবে, তবে চার্জ প্রযোজ্য। ঈদ ফ্যাশন ম্যাগে ঝলমল করছে লিকলিকে শ্বেতবর্ণা পাটকাঠি বুক-ধড়াস মডেল।
চলছে চলবে।
সিয়ামের মহাযজ্ঞে পাঁচ তারার ব্যুফে ইফতারী ফ্লাশ হবে কমোডে। ইফতার পার্টির ঝলমলে মহলে হবে পার্সেন্টেজের লেনদেন। বণিকের মূল্যহ্রাসে থাকবে পরকালের নেকীর লোভ। সংখ্যার হিসাবে সত্তুর গুন। তবুও আলাদা সাইনবোর্ড থাকে - 'এখানে জাকাতের সস্তা কাপড় পাওয়া যায়।'
তবে এ সুযোগ সীমিত সময়ের জন্য, মাত্র তিরিশ দিন।
আর আমরা আমরাই থাকি।
কিছু স্বপ্ন বুকে নিয়ে ভার্চুয়াল মঞ্চে অনাবিল হৃদ্যতা।
তাই, দুঃসময়ে সেল ফোনে কথা বলে তেপান্তরবাসী কনফু-তিথি-সৌরভ। অথবা জোড় পাহাড়ে চাঁদ দেখা বাউল, প্রিয় আলবাব ভাই। ই-চিঠিতে মুগ্ধতার মোরশেদ ভাই।
আরও চেনা মুখ - নাম।
আটলান্টিকের ওপারে যেতে হবে জেনে চোখে ভেসে উঠে মনিটর। সেখানে প্রিয় সচলায়তন।
নিশ্চিত জেনে রাখি, অঞ্জনের গানে গানে, "এখান থেকে একটু দূরে, পাড়ার মোড়টা একটু ঘুরে..." এঁরাই আমার আরশীনগরের পড়শীরা। তাই তারে চোখ দিয়ে না দেখলেই বা কী!
এই সময়ে তবুও শংকাটা ভর করে। দেখেছি ও জেনেছি - বণিকের কারিশমা কেড়ে নেয় মানুষের মন। শেঁকল ভাঙার গান গেয়ে কোন স্রোতে ভেসে আমরা এসেছি এ নীড়ে, সারা বিকেল মন খারাপ হয়ে থাকে জুবায়ের ভাইয়ের অসুস্থতার সংবাদে। এখানে দেনা পাওনা নেই, চাওয়া নেই। কেবল পরম শুভকামনা।
অথচ, বণিকেরা ঠিকই বুঝে নেয় আমাদের এ কোমলতা। তাই পণ্যের মোড়কে আসে ভালোবাসা।
পণ্যের প্যাকেজে মা দিবস।
পণ্যের বাহারে ধর্ম।
বিজ্ঞাপন নগরীতে একদল বণিক কালো কাঁচের ঘরে বসে ছক সাজায়। আর আমরা শংকিত হই ভাঙনে, বিচ্ছিন্নতায়। হায়েনার হাসি আসে কানে। সুশীল বণিকের কূটচালে আমাদের সচলায়তনে গুমোট সময় আসে। অথচ, কলকাঠি নাড়ানো নষ্টেরা জানে না - তাদের পেছনেও হাসছে অন্য কিছু।
ঈশাণ কোণের বায়ু কেবল হেসেই চলেছে।
তাই সমস্ত শংকায় আমরা আবার একত্র হই।
হাতে হাত রাখি - যাবতীয় বিচ্ছিন্নতায়।
মন্তব্য
শুভ কামনা হে বালক। তোমাকে ঘিরে রাখবে সুসময়, সবসময়।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
এসব শুভকামনাই আমাদের ঘিরে রাখে...
(আর কী বলবো!)
শিমুল, আপনার লেখা পড়াটা আনন্দের অভিজ্ঞতা।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
আপনার এমন মন্তব্য আমার জন্যও আনন্দের।
কৃতজ্ঞতা...
এইটুকুই বলবার ছিল।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
ভাল থাকুন সেন্টু সাদাত। বেশী বেশী ভাল লিখুন যেমন সব সময় লিখেন।
---------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
শুভকামনা হে বালক। আটলান্টিকের ওপারে সুন্দর হোক জীবন এই কবিতার মত।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বেশ অনেকদিনপর দেখা গেল শিমুলকে
তাও আবার আটলান্টিকের ওপারে!
সেখানেও ঈশান কোণের বায়ু মুচকি হাসুক ...আর বেশী বেশী "সেরম" গল্প আসতে থাকুক
শুভকামনা
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
মন্তব্য করার ভাষা নেই তাই শুধু স্বাক্ষর রেখে গেলাম।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
- পোলাটা খারাপ হওনের দিকে আরো একধাপ আগায়া গেলো।
মওলানা মিয়া ঐখানে গিয়া হালাল চশমার দোকান খুঁজবো নিশ্চিৎ।
ফিল গ্লুক আমিগো
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
শিমুলের এক নম্বর পঁচা লেখা।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
শিমুল, থামলে হবে না।
হাঁটুপানির জলদস্যু
সেটাই হয়, কিছু করার নাই।
ভালো থেকো,শিমুল ।
-------------------------------------
"শিয়রের কাছে কেনো এতো নীল জল? "
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
শিমুল কি অচিরেই অতলান্তিকে ডুবতে যাচ্ছে?
নাকি ডুবেই গেছে?
০২
মন-টন জিনিসটাই একটা ঝামেলা
ওইটারে বেশি পাত্তা দিলে বেশি তড়পায়
পাত্তা না দিলে থাকে দারোয়ানের মতো খাড়া
কোথাও যাবার আগে ওটাকে রাস্তার পাশে কোথাও রেখে যাওয়াই ভালো
উড়াল দেবার আগে সবাই এরকম একটু আধটু আবেগপ্রবণ হয়। ওখানে তখন কষ্টগুলু কেমন মায়া ছড়িয়ে দেয় যেনো। সম্ভবত এভাবেই আমরা মানুষ এবং মানুষ।
ভালো থাকুন শিমুল। আটলাণ্টিকের ব্যাপ্তি নিয়ে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আবারো বিষন্ন হবে আকাশ বাতাশ।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
কি লিখলেন? মাতাল আমিরে আরো মাতাল বানায়া ফেললেন... আপনের দাম তিন পেগের দামের সমান...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দারুন গতিময় একটা লেখা। খুব ভালো লাগল। শিমুল ভাই, আপনার জন্য শুভকামনা রইল। এমন লেখা আরো আসুক ...
_________________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
ভাল থাকুন শিমুল ভাই।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
শিমুল শুধু শিমুলই!
আর কেউ নয়।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
নতুন মন্তব্য করুন