মনে পড়ে, নীলক্ষেত

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: শুক্র, ১৯/০৯/২০০৮ - ১:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

..

বাংলায় ‘কপিরাইট আইন’ নিয়ে গুগলিং করতে গিয়ে প্রথমেই যে লিংক পেলাম সেটা সম্ভবতঃ বাংলাদেশ সরকারের আইন মন্ত্রণালয়ের সাইট। কিন্তু, সাইটে যেতে পারছি না। পাসওয়ার্ড চাইছে। কপিরাইট আইন নিয়ে আরেকটি বাংলা সাইট পেলাম - কপিরাইট অফিস বাংলাদেশ। কপিরাইট আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৫) এবং ২০০৬ সালের একটা গেজেটও আছে। কপিরাইট তালিকায় আছে কেবল একটি বই; ফোরকান পাবলিকেশন্সের মর্ডান মেডিসিন (১ম খন্ড), লেখক ডা আ বাসিত। এটুকুই মাল মসলা আছে ভেতরে, তবে কাজের কথা বলা আছে – অনুলিপি চিত্রানুলিপি করা যাবে না।

বাড়ীভাড়া আইন নিয়ে সুহৃদ ব্লগার রণদীপম বসু কিছু দিন আগে পরিশ্রমসাধ্য একটি লেখা দিয়েছেন, কাজীর কিতাব তোঘলকি কান্ড, বলেছেন। কপিরাইট আইনও এরকম কাজীর কিতাবে বন্দী আছে বলে জানি। প্রাণ ভরে কৃতজ্ঞতা জানাই সে বন্দীদশাকে। বিদেশি কোম্পানীর দামী দামী সব বইয়ের কপি পেয়ে গেছি নীলক্ষেত এডিশনে। চারশ’ পাঁচশ’ পৃষ্ঠার বই অফসেটে, চমৎকার বাঁধাইয়ে, দেড়শ থেকে দু’শ টাকা দামে। নয়তো কার এমন সাধ্য ছিলো হাজার হাজার টাকা খরচ করে মূল বই কেনার!

এখানে এসে প্রথমেই ধাক্কা খেলাম। ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে বলে দিয়েছে – এই দেশে বই কপি করা অবৈধ। ক্লাসে কপি করা বই আনা চলবে না। হায়, করি কী? সাত আটটা বই কিনতে ছ’শ ডলারের উপরে যাবে। সমাধান দিলেন সিনিয়র মিঠু ভাই, ‘পিএইচডি তো প্রায় শেষ করে ফেললাম, কয়টা বই কিনেছি? বেশির ভাগই কপি করেছি। ক্লাসে বই নেয়ার দরকারও নাই’। আরো সন্ধান দিলেন এক চায়নিজ দোকানের যেখানে বই জমা দিলে রাতের মাঝে কপি করে দিবে।

শেষে খুঁজে পেলাম এক শ্রীলংকান দোকান। সেলফ সার্ভিস, প্রতি পৃষ্ঠা ৩ সেন্ট। ৫০০ পৃষ্ঠার বই কপি করতে লাগে ট্যাক্সসহ ১৬ ডলারের মতো। মূল বই কেনার খরচের তুলনায় অনেক সহনীয় মাত্রা। কষ্ট কেবল - দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কপি করতে হয়, অনভ্যস্ততায় সময় লাগে অনেক। তবুও ভালো।

আজ নীলক্ষেতের মামাদের মনে পড়ে। কোলাহল-ভীড়ের মাঝেও তাঁদের দ্রুত গতিতে কপি করে যাওয়া। মাঝে টুপ করে আমাদের ১৫ টাকার তেহারি, ১০ টাকায় লাচ্ছি খেয়ে আসা। আইন-কানুন হয়তো অনেক কিছু বলে।
তবে আপাততঃ এই মুহুর্তে কৃতজ্ঞতা, নীলক্ষেত।
আজ এই রোদ জ্বলা দুপুরে তোমাকে রুবি রায়ের মতো মনে পড়ে।

_
ছবিটি এখান থেকে নেয়া।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

হুমম! নীলক্ষেতের কাছে কৃতজ্ঞতার শেষ নেই আসলে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

পরিবর্তনশীল এর ছবি

নীলক্ষেত মানে নীলক্ষেত। পরশু নীলক্ষেত যাওয়া লাগবে ফটোকপি করাতে। হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

হিমু এর ছবি

সচলে শখের ফোটোগ্রাফার থেকে শুরু করে সিরাজ ভাই আর প্রকৃতিপ্রেমিকের মতো বাঘা ফোটোগ্রাফারও আছেন বলে জানি। সবার কাছেই হাত পাতছি।

যাঁরা ঢাকায় আছেন, ঢাকার কিছু অংশের ছবি তুলে সচলে ব্যবহারের জন্যে দান করতে পারেন কি? ঢাকা শহরটা খুব দ্রুত বদলাচ্ছে, কিন্তু তারপরও কিছু কিছু জায়গার পরিষ্কার কিছু ছবি সচলে ব্যবহারের জন্যে আলাদা করে চেয়ে রাখছি। আজ শিমুলের এই লেখায় নীলক্ষেতের অস্পষ্ট একটা ছবি দেখে আমাদের ছবিব্যাঙ্কের প্রয়োজনীয়তার কথা আরেকবার অনুভূত হলো। নিজেরাই যদি তুলতে পারি, কেন খামোকা ছবির জন্যে অন্যের দ্বারস্থ হবো?

নীলক্ষেত, টিএসসি, শহীদমিনার, শাহবাগ, দোয়েলচত্বর, সায়েন্সল্যাব, সাত মসজিদ রোডের বিভিন্ন মোড়, ওদিকে আসাদ এভিনিউ, মানিক মিয়া এভিনিউ, ক্রিসেন্ট রোড, বিজয় সরণী, মহাখালি, গুলশান, কাকলি, এয়ারপোর্ট, উত্তরা, বেইলি রোড, কারওয়ান বাজার, ধানমন্ডি বত্রিশ নাম্বার, আরামবাগ, শান্তিনগর, মালিবাগ, বাড্ডা ... যে যেভাবে পারেন, কিছু স্পষ্ট ছবি তুলে দেন।


হাঁটুপানির জলদস্যু

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

খুবই ভালো প্রস্তাব।
আমিও হাত পাতছি।

ধন্যবাদ, হিমু ভাই।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সচলে শখের ফোটোগ্রাফার থেকে শুরু করে সিরাজ ভাই আর প্রকৃতিপ্রেমিকের মতো বাঘা ফোটোগ্রাফারও আছেন বলে জানি।
আসলে লিখতে হবে বাঘা ফটোগ্রাফার সিরাজ ভাই আর শখের ফোটোগ্রাফার প্রকৃতিপ্রেমিক। প্রকৃতিবিদদের দিয়ে অনেক কিছু হতে পারে কিন্তু প্রেমিকদের দিয়ে কিছু হয়না।

যাই হোক, দেশে থাকতে সংসারের চেয়েও বেশি সময় দিয়েছি ডিপার্টমেন্টকে। তাই ঢাকা শহরের কোন ছবি তোলার সময় আমার ছিলনা। এখন তো ঢাকা থেকে বহুদূরে। তাই এখানকার একটা ছবিই নেন, এই যে :
IMG_0144_DPP2

ডেট্রয়েট স্কাইলাইন, রাতের বেলা যেমন দেখায়। ছবি: সেপ্টেম্বর, ১৮, ২০০৮। বড় করে দেখুন এখানে।

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

ফেসবুকে ঢাকা নামের একটা গ্রুপে ঢাকার দারূন সব ছবি আছে ... দেখতে পারেন ...

গ্রুপের নীতিমালায় লেখা আছেঃ
*-* The Pictures May Freely Be Distributed But Members Are Requested Not To Alter, Sell Or By Any Means Use Them For Any Commercial Purpose.

................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

রণদীপম বসু এর ছবি

অনেক শুভেচ্ছা শিমুল।
গত শনিবার অর্থাৎ ১৩ সেপ্টেম্বর গিন্নিকে সিলেটের জয়ন্তিকায় উঠিয়ে দিয়ে ফেরার পথে আজিজে গেলাম এবং প্রথমবারের মতো খোলা পেয়ে (আমি যখনই গিয়েছি তখন বন্ধ পেয়েছি) শুদ্ধস্বরে ঢুকলাম। পূর্ণমুঠির কিনতে পরিচিত হলাম আহমেদুর রশিদ টুটুল ভাইয়ের সাথে। দুপুর থেকে ইপ্তারতক আড্ডা শেষে ডেরায় ফিরবো। ঢুকলাম আজিজের ৫২নং বাংলার মুখে। ওখানে আসর বসেছে এবং বিষয় কপিরাইট আইন।

মজার ব্যাপার হলো এইদিনই সরকারের সদস্য রাশেদা কে চৌধুরীর সাথে লেখক শিল্পী অভিনেতাসহ সব পেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে চূড়ান্ত মিটিং এ কপিরাইট আইন করার বিষয়টি সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহিত হয়। সরকারের পক্ষ থেকে একটি খসড়াও প্রকাশ করা হয়েছে যা বিক্রয়যোগ্য নয়। আমি নাসের ভাইকে, অর্থাৎ তিনিও ঐ মিটিংএ ছিলেন, প্রকাশনাটার একটা চাহিদার কথা জানিয়ে রেখেছি। ওখানে এ বিষয়ে বেশ কিছু আলোচনা শুনলাম। প্রকাশনাটা পেলে এ বিষয়ে একটা পোস্ট দেবার আশা রাখি।
তবে উল্লেখযোগ্য বিষয়টা জানিয়ে রাখি। ২০১১ সালের আগে আইন কার্য়করী হবার কোন সুযোগ নাকি নেই। কিরকম এক চুক্তির কারণে নাকি এই দায়বদ্ধতা কাটবে ২০১১সালের পর। এটা সরকারী পক্ষের শোনা বক্তব্য।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

পড়ালেখার বিদেশি দামী বইপত্র ছাড় দেয়ার সম্ভবনা আছে নাকি?

শিক্ষানবিস এর ছবি

নীলক্ষেত না থাকলে কি হতো সেটা কখনও চিন্তাও করিনি। চিন্তা করার যেন প্রশ্নউ উঠে না। আসলেই কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।
কপিরাইট আইন কার্যকর হোক এটা তো অবশ্যই চাই। কিন্তু সেজন্য যেন হঠাৎ করে কোন বিশাল সংকটের মুখে পড়তে না হয়। বাংলাদেশের অনেক আইনই তো বাস্তবতা পরিপন্থী হওয়ায় শেষে বাস্তব জগৎ ছাড়তে বাধ্য হয়।

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

অনেক বই যদি কপি করতে হয় তাহলে একটা স্ক্যানার কিনে ফেলার চিন্তা করতে পারেন ... ট্যাক্স ফ্যাক্স দিয়ে একশো বিশের আশেপাশে পেয়ে যাবেন ... সাথে যদি আরো কেউ থাকে তাহলে তো কথাই নাই ...

আমি গত টার্মে খুব পেইন খাইছি বই কপি করতে গিয়ে ... এইবার ফিউচারশপ থেকে ল্যাপ্টপ কিনলাম, ওরা একটা অফার দিল, ল্যাপটপের সাথে দশ ডলার আর শিপিং চার্জ দিলে একটা কালার প্রিন্টার কাম স্ক্যানার সাথে দুইটা কার্টিজ ফ্রী দিবে ... শুধু বই স্ক্যানের কথা চিন্তা করে নিয়ে ফেললাম ... আপাতত বাসাতেই স্ক্যান করি, ডিপারমেন্টে গ্র্যাড স্টুডেন্টরা যত খুশি প্রিন্ট করতে পারে, কাজেই যখন খুশি প্রিন্ট করে নেই ...
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

অমিত [অতিথি] এর ছবি

হিমু@ ঢাকার কিছু ছবি আছে। কাকে দিব?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কপিরাইট আইনের বাস্তবায়ন হলে আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কি নীলক্ষেতের অভাব পূরণ করতে পারবে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

থার্ড আই এর ছবি

আইন-কানুন হয়তো অনেক কিছু বলে।

সাথে একটু যোগ করি, আমাদের দেশের মতো গরীব দেশের হয়তো এই আইন কানুন গুলো শুধু ফাইল বন্দী থেকে যাবে, তবে একটা আইনের প্রয়োজন আছে বৈকি, তবে এই অফুরন্ত নীলক্ষেতের ভান্ডারের প্রয়োজনীয়তা কোনভাবেই অগ্রাহ্য করা যাবেনা।

কত কত দূর্লভ বই পেয়েছি এই নীলক্ষেতের ফুটপাতে, অ-আ-ক-খ সিরিজের বই বলুন, আর কার্ল মার্সের ডাস ক্যপিটাল কিংবা গোর্কীর 'মা' এসব কি সেই বয়সে কিনে পড়ার সামর্থ ছিলো...? সবই কিনতাম ১০ থেকে ২০ টাকায়, পড়া শেষে আবার বিক্রিও করা যায়।
কিংবা ডির্পাটমেন্টের বড় আপুদের নোটের ফটোকপি কোনটাইতো বাই যায় নাই।

এমনও দিন ছিলো, বিশ্ববিদ্যালয়ে না গেলে চলতো কিন্তু নীল ক্ষেতে না গেলে দিন যায়না। কাজের ফাঁকে নেট ব্রাউজিং... এখনতো গাউছুল আজম মার্কেট ও বেশ জমে উঠেছে।

শিমুল কে ধন্যবাদ 'নীলক্ষেত' মনে করিয়ে দেয়ার জন্য।

আমার বিলেত আগমনের প্রথম দিন গুলোতে নীলক্ষেতকে খুব মিস করতাম ফটোকপির জন্য। যখন এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফটোকপির জন্য প্রতি পেজে ১০ পেন্স দিতে হতো যা বাংলাদেশী টাকায় প্রতিকপি ১৩ টাকা

তখন সারাক্ষণ খালী পাউন্ডকে টাকায় কনর্ভাট করতাম।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

হা হা। আমিও কনভার্ট করে চলতেছি। সময় লাগবে কাটাইতে দেঁতো হাসি

ধন্যবাদ, আপনাকেও।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍আহ্, নীলক্ষেত!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
শেষ বিচারের আসরে উকিল নিয়োগের ব্যবস্থা না থাকলে ক্যাম্নে কী!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আসলেই বইগুলোর এত্তদাম মাত্র কয়েক মাসের জন্য এত দামদিয়ে কিনতে ইচ্ছা করেনা মন খারাপ আমাদের এখানে সেকেন্ড হ্যান্ড বুক শপ আছে, আবার অনেকে প্রাইভেটলিও বিক্রি করে। সমস্যা হয় যখন নতুন এডিশন বের হয়, আগের গুলো কম দামে কেনাও যায়না বিক্রিও করা যায় না মন খারাপ
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ঠিক। সমস্যা।

কনফুসিয়াস এর ছবি

হায় নীলক্ষেত!
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

আলমগীর এর ছবি

কিনতে ভালই লাগে। কিন্তু আমার ১২০টাকার বইটা যখন কপি করে ৭০/৮০ টাকায় বেচে তখন আর ভাল লাগে না মন খারাপ

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

একমত।
কিন্তু, হাজার টাকায় বিদেশী বই কেনার সাধ্য নাই যে...

রেনেট এর ছবি

বই কিনলে পয়সার দিক দিয়ে বাশ খাই, আর বই না কিনলে গ্রেডের দিক দিয়ে মন খারাপ
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমি আগের নীলক্ষেতকে বেশি মিস করি। এখন সব ফটোকপি বই, পুরনো বই খুব কম। অথচ এখান থেকে দুপুর রোদে ঘেঁটে ঘেঁটে আমি অনেক দুষ্প্রাপ্য বই পেয়েছি। যেগুলো আমি অনেক টাকা দিয়েও কিনতে পারতাম না। পুরনো বই কেনাবেচার ব্যাপারটা এখন কমে গেছে। এখন নতুন বই ফটোকপি করে কমদামে বিক্রি করাটাই বেশি ব্যাবসা।
বাংলাবাজারে অবশ্য পুরনো বইয়ের কেনাবেচার আরো ভালো জায়গা ছিলো... অনেকদিন যাইনা দূরত্ব আর জ্যামের কারনে। এখন কি অবস্থা তাই জানি না। পল্টনের বাজারটাও নষ্ট হয়া গেছে।
আজীজে পুরান বই কেনাবেচার একটা দোকান আছে। কিন্তু সেইটাতে যুইত পাই নাই।

হিমুর ফটো জমানোর প্রস্তাবটা পছন্দ হইছে। একদিন ক্যামেরা নিয়া বাইর হয়া যাইতে হইবো ভাবতেছি। কিন্তু সচলে ছবি দেওয়ার কায়দা আরেক্টু সহজ না হইলে কেম্নে দেই?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সৌরভ এর ছবি

লোকে পুরান বই কেনে না ক্যানো? আমাজনে পুরান বই আমার প্রথম পছন্দ। ১০০ ডলারের বই ২০ ডলারে পাওয়া যায় খুঁজলে বা কয়েকদিন অপেক্ষা করলে।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

অমিত আহমেদ এর ছবি

নীলক্ষেতে ফটোকপির যেতাম পুরাণ বইয়ের খোঁজে। ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে যেতো বই বাছাইয়ে। আহ!

আর সেই তেহারী!

বই ফটোকপি করে বিক্রি করার প্রয়োজন হতো না যদি বাংলাদেশের প্রকাশকের শাখা থাকতো, কিংবা আমাদের প্রকাশকেরা সত্ত্ব কিনে বই প্রকাশ করতেন। তবে ফটোকপি জিনিসটা সব দেশেই বহাল তবিয়তে থাকবে।

গ্র্যাজুয়েট কোর্সে কি বই কেনা/ফটোকপি করা লাগে নাকি? আমি লাইব্রেরি থেকে সব নেই। তিন মাস পর্যন্ত রাখা যায়, পরে রিনিউ করে আরও।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

সুমন চৌধুরী এর ছবি

হা নীলক্ষেত
হা ফটোকপি
হা বিপ্লব
হা বিপ্লবী সাহিত্য



অজ্ঞাতবাস

ঝরাপাতা এর ছবি

আর কইয়েন না বস। কি যে যন্ত্রণায় পড়তাম। মাঝে মাঝে দেশে বন্ধুদের কইতাম কি কি বই লাগবে। এরা ই.এম.এস নাকি কি যেন কইরা পাঠাইতো, হাজার দুয়েক খরচ পড়তো তাতে, তিন সপ্তাহের মধ্যে পাইয়া যাইতাম। তবে সমস্যা হইলো কিছু বই দেশে পাওয়া যায় না। তখন লাইব্রেরীতে কপি থাকলে একসাথে সাত আট জনের লাইব্রেরী কার্ড দিয়া পরপর বুকিং দিতাম। এর ফলে সুবিধা হইলো ওই বই চার মাসের মতো নিজের অধিকারে থাকতো। আর কোন উপায় না থাকলে একদম বাংলা সিস্টেম। কেউ একজন ওরজিনাল কপি ধার কইরা আনতো, এরপর ডিরেক্ট স্ক্যান।

সাবধান:: স্ক্যান করতে গিয়া ধরা খাইলে খবর আছে।


যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলেই নীলক্ষেত আমাদের মত গরীব দেশে ছাত্র-ছাত্রীদের আনেক প্রয়োজন মিটিয়ে আসছে।শিমূল ভাইকে জানাই বর্তমান তেহারী মূল্য হাফ প্লেট ৩৫ টাকা , লাচ্চি ২৫ টাকা........আর ছবিতে দেখা ভিক্ষুককে কিন্তু কমকরে হলেও ২ টাকা দিতে হয়........

(জয়িতা)

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

নীলক্ষেতে গিয়ে পুরনো বই দেখলে আমার এখনো দমবন্ধ হয়ে আসে... ব্যস্ত চাকুরে, পরিবারের কর্তা, কন্যার পিতা এসব ভুলে গিয়ে আমি সেই ক্লাস নাইন-টেনের উস্কোখুস্কো চুলের পাগলপারা ছোঁড়াটা হয়ে যাই!
এখন রোদের মধ্যে দু-মিনিটও দাঁড়াতে পারি না, অথচ সে সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠাঠা রোদের নিচে বসে বই বাছতাম আর খুঁজতাম... দুস্প্রাপ্য কোনো বই পেয়ে গেলে বুকটা ধ্বক করে উঠত, যেন এইমাত্র কোনো অপরূপা আমার চোখের দিকে তাকাল গভীর আমন্ত্রণের চোখে...
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

৩৫০ ডলারের পার্কিং টিকিট খাওয়ার পর থেকে আমি এখন বই কিনি। নতুন বই। সিটি কর্পোরশনকে জরিমানা দেয়ার চেয়ে ধরে নেই প্রতি দুই/তিন মাসে একটা করে টিকিট খাচ্ছি। তাই বই কিনতে ইচ্ছে হলেই আমাজনে যাই, কয়েকদিন দাম পর্যবেক্ষণ করি, অতপর সুবিধামত সময়ে কিনে ফেলি। বাংলাদেশ থেকে আনানো বইগুলো এখন আর ধরতেও ইচ্ছে করেনা। কারণ এদের বইয়ের যেমন দাম তেমনি উন্নত কোয়ালিটির কাগজ আর বাইন্ডিং। বই দেখতে ভালো হলে মাঝে মাঝে পড়তেও ইচ্ছে হয়।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

নীলক্ষেতের প্রতি আমারও রয়েছে এক আলাদা রকম ভালবাসা।
___________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?

নিঝুম এর ছবি

আজ নীলক্ষেতের মামাদের মনে পড়ে। কোলাহল-ভীড়ের মাঝেও তাঁদের দ্রুত গতিতে কপি করে যাওয়া। মাঝে টুপ করে আমাদের ১৫ টাকার তেহারি, ১০ টাকায় লাচ্ছি খেয়ে আসা। আইন-কানুন হয়তো অনেক কিছু বলে।
তবে আপাততঃ এই মুহুর্তে কৃতজ্ঞতা, নীলক্ষেত।
আজ এই রোদ জ্বলা দুপুরে তোমাকে রুবি রায়ের মতো মনে পড়ে।

আপনার সাথে সাথে আমিও নীলক্ষেত নিয়ে স্মৃতি হাতড়ে চল্লাম...
পুরানো কথা মনে করালেন ভাই...
--------------------------------------------------------
... বাড়িতে বউ ছেলেমেয়ের গালি খাবেন, 'কীসের মুক্তিযোদ্ধা তুমি, কী দিয়েছ আমাদের'? তিনি তখন আবারো বাড়ির বাইরে যাবেন, আবারো কান পাতবেন, মা জননী কি ডাক দিল?

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।