গরুর খোঁজে, ফেইসবুকে

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: সোম, ০৮/১২/২০০৮ - ৭:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিকেলে পাশের বাড়ীতে খানিক চাপা হৈ-হল্লা পড়ে গেলে তৌসিফ দ্রুত বাড়ী থেকে বেরিয়ে আসে। এমন সমবেত চিৎকার সাধারণতঃ এ বাড়ির কারো কানে আসে না। কিন্তু তৌসিফ এ আওয়াজ শুনলো। কারণ, জানালা খোলা রাখার কারণে পাশের বাড়ীর বারান্দায় কী কী আলাপ হয়, বাড়ীর মালিক মতিন চাচা উঁচু স্বরে চাচীকে কী কী বলেন সব তার কানে চলে আসে। এরচেয়েও বড়ো কারণ কখন আকাঙ্খিত সে ডাক শোনা যাবে – ‘মা আমি বাইরে গেলাম, দরজা লাগিয়ে দাও’। এ ডাক শোনার পরে তৌসিফ দ্রুত জিন্সে পা গলায়, আরও দ্রুত জামায় এক্সাইট স্প্রে করে। তারপর হুড়হুড়িয়ে মোড়ের রাস্তা ধরে – ‘সুমাইয়া, কলেজে যাচ্ছো?’

ঈদের ছুটিতে সুমাইয়ার কলেজ বন্ধ, প্রাইভেটেও যায় না। বরং আজ দুপুরের পর থেকে সুমাইয়ার সিডি প্লেয়ারে বাজছিলো – ‘চাঁদের আলো যদি ভালো লাগে, কাল হয়ে যায় ঝাপসা, আমার এ তরী যদি চলে যায়, ফিরে আর আসবে না’। দূর থেকে ভেসে আসা অস্পষ্ট গানে কান পেতে তৌসিফ আনন্দআলো’র চলতি সংখ্যায় ‘অপি করিমের আয়নাঘর’ পড়ছিলো আর ভাবছিলো আগামীকাল কীভাবে সুমাইয়াদের বাসায় যাওয়া যায়। এর মাঝে আচমকা এমন হৈ-হল্লায় সে বাসা থেকে বেরিয়ে আসে।

মতিন চাচা হন্তদন্ত হয়ে কথা বলছেন। পেছনে চাচী। সুমাইয়াকে দেখা যাচ্ছে না। মতিন চাচা কোনদিকে যাবেন সেটাও ভেবে পাচ্ছেন না, ডান-বাম করছেন। চাচীও অস্থির। শেষে চাচা পাঞ্জাবীর হাতা গুটিয়ে ডান দিকে রওনা দিলে তৌসিফ চাচীকে জিজ্ঞেস করে কী হয়েছে। চাচীর কপালে বিন্দুবিন্দু ঘাম জমেছে। অস্থিরতায় জড়ানো গলায় যা বললেন তার অর্থ দাঁড়ায় এই যে কুরবানীর গরু হারিয়ে গেছে। কীভাবে হারালো, কোথায় হারালো, কখন হারালো এসব প্রশ্নের সাথে দারোয়ান মাসুদ কই ছিলো সে প্রশ্ন চলে আসে। আর জানা যায়, গরুর সাথে সাথে মাসুদও নাই। মাসুদ কোথাও গেলো আর এই ফাঁকে চোর গরু নিয়ে হাওয়া হলো, নাকি মাসুদ নিজেই গরু নিয়ে হাওয়া হলো সে প্রশ্নের উত্তরে চাচীও দ্বিধাগ্রস্থ। কেবল বলেন, দেখো তো তোমার চাচা আবার কোনদিকে গেলো।

মতিন চাচা গরুর খোঁজে রাস্তায় হন্য হয়ে ঘুরছে, চাচী গেটে দাঁড়ানো; তখন তৌসিফের ছাদে যেতে ইচ্ছে করে। ‘এই ছাদে আমি আর ঐ ছাদে তুমি’ স্টাইলে সুমাইয়ার সাথে ইটিশপিটিশ করতে ইচ্ছে করে। কিন্তু চাচীর উৎকন্ঠা ‘দেখো তো, তোমার চাচা কোনদিকে গেলো’ তৌসিফকে দায়িত্বশীল করে তোলে। তার মনে হয় এ-ই সুযোগ, চাচার সাথে গরুর খোঁজে বের হয়ে খানিক প্রিয় হওয়া যাবে। এসব ভেবে তৌসিফ দৌড়ে ডান দিকের রাস্তায় যায়। অনেক দৌড়ে মতিন চাচার কাছাকাছি আসতেই চাচা ঘাঁড় বাঁকিয়ে একবার তাকান। যখন দেখে তৌসিফও সমান তালে লম্বা লম্বা পা ফেলছে তখন মতিন চাচা জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি আমার সাথে কোথায় যাচ্ছো?’
‘আমিও যাই চাচা, গরু খুঁজি’।
‘তোমাকে কে বলেছে আমাদের গরু খুঁজতে?’
তৌসিফ এবার চুপ থাকে। তবে পা চলা বন্ধ করে না।
‘এই ছেলে, কথা শোনো না কেনো? যা-ও বলছি।‘
তৌসিফ এবার থামে। বলে, ‘চাচা, আমি তাহলে ঐদিকটাই খুঁজি?’
মতিন চাচা কথার জবাব দেন না। আগের মতোই ছুটতে থাকেন। তৌসিফ তখন লীফা কনফেকশনারীর সামনে এসে খানিক জিরোয়। সেন্টু-জাহিদদের খোঁজ করে। সবাই মিলে খূঁজলে হয়তো গরু পাওয়া যাবে। পরের মুহুর্তেই মতিন চাচার খিটখিটে আচরণ মনে পড়ে। তার মনে হয়, কোনো দরকার নেই খোঁজার, গরু হারিয়েছে বেশ হয়েছে। তখন তৌসিফের কল্পনায় ভেসে উঠে সারা বিকেল সন্ধ্যা রাত ঘুরেও মতিন চাচা তার গরু খুঁজে পাবে না। ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরবে ঘাম নিয়ে। তৌসিফ আজ রাতে এসএমএস এ সুমাইয়াকে বলবে – ‘কী আর করবে, আমাদের বাড়ী চলে এসো, গোশত কেটে দিও। এক কসাইয়ের টাকা দেব, ব্যাগ ভর্তি গোশত দিবো, চাইলে কলিজা-চর্বি দেবো।‘ সুমাইয়া কী বলবে সেটা ভাবার সুযোগ হয় না। সামনে মোটরবাইক থামায় অয়ন ভাই, কলেজের ছাত্র সংসদের সভাপতি।
হাত তুলে ‘স্লামালাইকুম ভাইয়া’ বলতেই অয়ন ভাই ডাক দেয়, ‘কী করিস? এদিকে আয়, বাইকে উঠ।‘

কোথায় যাবে সে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে জানা যায় সামনের ইলেকশনের এমপি ক্যান্ডিডেট আসাদ ভাই এলাকায় এসেছে। ঈদে সবার সাথে দেখা সাক্ষাত করছে, মূল কাজ নির্বাচনী প্রচারণা তো আছেই। তৌসিফ জানে না এইসব জায়গায় তার কী কাজ থাকতে পারে, তবুও অয়ন ভাইয়ের সাথে উদ্দেশ্য-কারণ-জিজ্ঞাসায় যায় না। ঠান্ডা বাতাসে মোটরবাইকে শীতশীত ভাব লাগছে আর কেনো জানি সুমাইয়াকে মনে পড়ছে।

ঝিলের পাড় ব্রিজের উপরে মোটর বাইক উঠলে অয়ন দেখে দূরে মাঠ দিয়ে মাসুদ হেটে যাচ্ছে, সুমাইয়াদের দারোয়ান মাসুদ। হাতে রশি ধরা গরু। তৌসিফের মনে হয় – আর্কিমিডিসের মতো ইউরেকা ইউরেকা বলে চিৎকার দেয়। অয়ন ভাই মোটর বাইক থামিয়ে কাহিনী শুনলে দ্রুত দুইজন মাঠে নেমে যায়। মাসুদ খানিক থতমত খেলেও বলে, ২দিনে গরুটা দূর্বল হয়ে পড়েছে, তাই সে ভেবেছে – এদিকটায় এনে ঘাস খাওয়ালে ভালো হবে। আর যাই হোক কাল সকালেই এই গরুর জীবন শেষ। মাসুদের এ গল্প নিতান্তই বানোয়াট মনে হয়। বোঝা যায় – গরু নিয়ে ভাগছিলো সে। নয়তো কাউকে না বলে কয়ে এতো দূরে এনে গরুকে ঘাস খাওয়ানোর কী দরকার হলো। মাসুদ কথার পিঠে কথা বললে অয়ন ভাই মাসুদের শার্টের কলার চেপে ধরে, বলে – ‘তুই কোন স্কুলে পড়ছোস?’
এরকম কথা কাটাকাটি শেষে অয়ন ভাই তৌসিফকে দায়িত্ব দেয় গরু এবং মাসুদ দুইটাকে নিয়ে সুমাইয়াদের বাসায় পৌঁছে দিতে। আসাদ ভাইয়ের মিটিং্যের দেরী হয়ে যাবে তাই অয়ন ভাই মোটর বাইকে টান দেন। ওদিকে গরু আর মাসুদকে সামনে রেখে তৌসিফ রাস্তা ধরে।

পথে পথে মাসুদ নানা বাহানা দেয়। বলে তার কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছিলো না, চুরি তো নয়ই, ক্ষুধার্ত গরুর জন্য তার মায়া চুপসে চুপসে পড়ে। তখন তৌসিফের মাথায় অংক খেলে। দুয়ে দুয়ে আর আর দুই দু’গুনে চার মিলে যায়। মাসুদকে হাত করার এই সুযোগ, সামনে নানান কাজে তাকে দরকার হতে পারে। আর আজ এই মুহুর্তে মাসুদকে চোর প্রমাণের চেয়েও নিজেকে হিরো বানানোর বড়ো দরকার। আর সে সুযোগ যখন হাতের কাছে চলে এলো তখন বৃথা হেলা করা কেনো!

খানিক ধমকের পরে মাসুদকে বুঝানো হয়, তাকে চোর বলা হবে না। বরং বলা হবে সে’ও হঠাৎ বিকেলে গেটের কাছে গরু না দেখে খুঁজতে বের হয়েছিলো। ভয়ে কাউকে বলেনি কিছু। তবে শেষমেশ গরু খুঁজে পেয়েছে তৌসিফ। ঝিলের পাড় ব্রিজের অন্য পাশে দড়ি ছেড়া গরু দেখে তৌসিফ ভেবে নিয়েছে এটাই সুমাইয়াদের গরু। গরু নিয়ে আরেকটু সামনে আসতেই মাসুদের সাথে দেখা, তখন মাসুদ সনাক্ত করে এটাই তাদের গরু। এ গল্পের ফরম্যাট ঠিক হয়ে গেলে দুজনেই খুশি হয়ে সুমাইয়াদের বাসার গেটে কড়া নাড়ে।

তখন সন্ধ্যা নেমেছে। টিভিতে দু’জন মডেল সেলিব্রিটি আর একজন নাট্যকার মিলে খাসির শাহী কোর্মা রান্না শিখাচ্ছে। মতিন চাচা গরু দেখে উল্লাসে ফেটে পড়লেন। মাসুদ তুই কই ছিলি জিজ্ঞাসার পরে যখন তিনি জানতে পারেন সব কৃতিত্ব তৌসিফের তখন তিনি তৌসিফের মাথায় হাত বুলান। বেঁচে থাকো বাবা, বলে বিকেলের রাগী কথার জন্য একটু লজ্জিতও হন – ‘বুঝো তো বাবা, ঈদের আগের দিন গরু হারানো। কাল বাসায় এসো বাবা, তোমার বাবা মা’কেও আসতে বলো’।
তৌসিফ তখন সুমাইয়ার দিকে তাকায়। নোকিয়া এন সিরিজের নতুন সেটে গরুর ছবি তুলছে সে, আর এমন ভাব করছে যেনো তৌসিফকে চিনেও না সে।

তৌসিফের নিজেকে কেমন যেনো সুপার হিরো মনে হয়। মনে হয় এরচেয়ে বেশি আনন্দের ঈদ হতে পারে না। সুমাইয়ার উপর একটু অভিমান হয়। কী এমন ক্ষতি ছিলো একটু কথা বললে। সুমাইয়া এক কাপ চা খেয়ে যেতে বললে চাচা-চাচী কি বাধা দিতো আজ? এ অভিমানে তৌসিফ সুমাইয়াকে ফোন করে না সে। আরও খানিক পরে ফেসবুকে লগ ইন করলে নোটিফিকেশনে দেখে ‘সুমাইয়া মতিন ট্যাগড ইউ ইন ওয়ান ফটো'।
তৌসিফের বুকটা ধক করে উঠে। তবে কি গোপনে সুমাইয়া তখন তার ছবিও তুলে নিয়েছে! স্লো ইন্টারনেটে আস্তে আস্তে পেজ ওপেন হয়। কিংবা অতি উৎসাহে তৌসিফের মনে হয় পেজ ওপেন হতে দেরী হচ্ছে খুব। শেষে একটা গরুর ছবি আসে, দেখা যায় ছবির নাম – ‘আমাদের কোরবানীর গরু, আজ হারিয়ে গিয়েছিলো’। গরুর পেটে ট্যাগ করা – তৌসিফ রহমান। রাগে তৌসিফের দাঁত কিড়মিড় করে। তখন মোবাইল ফোনে রিং হয়। সুমাইয়ার ফোন – ‘কী খবর, হলি কাউ- পবিত্র গরু?’
তৌসিফ চুপ করে থাকে।
সুমাইয়া জিজ্ঞেস করে – ‘কাল বাসায় আসবে তো? পরশু সকালে ফ্রি আছো? ঘুরতে যাবে?’
তৌসিফ এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পায় না। মনে হয় এর জবাব গরু খোঁজার চেয়েও কঠিন।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে তৌসিফ টাইপ করে –
‘আগামীকাল সুমাইয়া গরুর গোশত খাবে’।


মন্তব্য

সৌরভ এর ছবি

হেহে। হেহে। হাসি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

নিঝুম এর ছবি

জব্বর !!
--------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

নিবিড় এর ছবি
রণদীপম বসু এর ছবি

হা হা হা ! শিমুল, শেষ পর্যন্ত গরু বানিয়ে দিলেন ! ঈদ মুবারক !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সবজান্তা এর ছবি

শিমুল ভাই দুষ্ট মনের খুবই মিষ্টি প্রেমের কাহিনী লিখেছেন। আপনার জন্য স্পেশাল উত্তম জাঝা!


অলমিতি বিস্তারেণ

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

শিমুলজী বলে কথা!! চলুক
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

কনফুসিয়াস এর ছবি
আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

তীব্র নিন্দা জানাই চোখ টিপি

হিমু এর ছবি
sumy এর ছবি

very witty & sweet

আলমগীর এর ছবি

আনোয়ার সাদাত শিমুল লিখেছেন:

‘আগামীকাল সুমাইয়া গরুর গোশত খাবে’।

তৌসিফ কী খাবে? সেকি পারবে এই অপমানের প্রতিশোধ নিতে?

জানতে হলে চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।

অভ্রনীল এর ছবি

G:K:F=2

মানে সিকুয়াল আরকী দেঁতো হাসি

_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

গরুর মাংস (?) খাবে? গরুর মাংস কি চর্ব্য, চোষ্য, না পেয়?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অমিত আহমেদ এর ছবি

আমারও একই প্রশ্ন।
গল্পে জাঝা।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

চোষ্য, পেয়, চর্ব্য,> এই সিরিয়ালটা মনে হয় নিয়মমাফিক। ঃ)

আরিফ জেবতিক এর ছবি

এহেম ।

এনকিদু এর ছবি

সুমাইয়া কোন গরুটারে খাবে ? দুপেয়ে গরু নাকি চারপেয়ে ?

-----------------------------------------
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

দ্রোহী এর ছবি

চুমাইয়া গরুর মাংস খাবে? ক্যামনে?


কী ব্লগার? ডরাইলা?

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

সুমাইয়া - সু-মাইয়া অতি অবশ্য হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

অতি অবশ্যই চোখ টিপি

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

সবাইকে 'থ্যাঙ্ক্যু'।

স্নিগ্ধা এর ছবি

নাহ্‌, আপনি বিরক্তিকর রকমের ভালো গদ্যকার :রেগে টং

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

'এহেম'

রানা মেহের এর ছবি

জটিল!!!
শিমুলের নিজের কাহিনী নাকি?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ইস্‌, বুঝে ফেলছে লোকজন!!! চোখ টিপি

তানবীরা এর ছবি

হুমম। সবাই দেখি সব বলে ফেলেছে

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

এইটাও বলে ফেললেন!!!

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

চুখ্খাস গল্প হইছে!!! আগে পড়তারিনাই।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

রায়হান আবীর এর ছবি

পুরাই ওয়াও হইছে। এগার তম ভোট্টা আমিই দিলাম।

=============================

তারেক এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
ব্যাফক মজা ফাইছি... মাইয়াগুলা বদ, বদের হাড্ডি
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দুর্দান্ত!
তবে "ফেইসবুক ট্যাগিং"-এর ব্যাপারটা একটু চেনা-চেনা মনে হলো (কনফু ভাইয়ের মতো) চোখ টিপি


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

এলোমেলো ভাবনা এর ছবি

ব্যাপক মজার গল্প :D।
তবে কাহিনী কিন্তু চেন-পরিচিতের মধ্যে হয়েছে। নায়িকার নামটাও চেনা ।
ইয়ে, মানে...


এমন শহরে আমি ঘুরি , নাকি শহরটাই ভবঘুরে?


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, মুর্শেদ ভাই- রায়হান আবীর, তারেক, অতন্দ্র প্রহরী।

এলোমেলো ভাবনা, মজা করলেন? নাকি সিরিয়াস? আপ্নাকেও ধন্যবাদ।

অতিথি লেখক এর ছবি

কি আর বলব! গল্পটা পড়ে পুরোনো দিনের কথা মনে পরে গেলো...........

(জয়িতা)

S - A এর ছবি

খুব সুইট গল্প ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।