একটা সময় ছিলো যখন কৌতুক শিল্পীদের কদর ছিলো। নানান অনুষ্ঠানে তাঁদের ডাকা হতো। অডিও ক্যাসেট বিক্রি হতো; মিঠু-সাইফুদ্দিনের নানা নাতি, কাজল, কইঞ্চেন দেহি জুটি। কিংবা আরও পরের হারুন কিসিঞ্জার। মনে আছে, বিটিভিতে রবিউলের সিংহের সাথে সাহস দেখানোর অংশটুকু দেখার জন্য রাত জাগতাম শৈশবে প্রতি ঈদে। সাথে থাকতো চার্লি চ্যাপলিনের জুতা সেদ্ধ করে খাওয়ার দৃশ্য। তখন থেকে অবশ্য হানিফ সংকেত এবং 'ইত্যাদি' অদম্য। বিটিভি'র ফুয়েল হিসেবে এখনো আছে 'ইত্যাদি'। ৯৪-৯৫'র দিকেও ইত্যাদি'র ক্লিপগুলোর অডিও এলবাম বের হতো। এখন মনে হয়- তেমন কাটতি নেই অডিও'র।
আরও পরে দৈনিক পত্রিকা সাপ্তাহিক ফান সাপ্লিমেন্ট চালু করেছে। মানুষের বিনোদনের বিস্তৃতি বেড়েছে অনেক। কেউ কেউ বলে থাকেন, নানান যন্ত্রণার এ জীবনের পুরোটাই রম্য, সেখানে ঘটা করে কমেডি শো'র দরকার হয় না।
কিছুদিন আগে রাসেল পিটার্সের স্ট্যান্ড আপ কমেডি দেখছিলাম। হিউমার এবং উইটের মিশ্রণ দেখে বুঝেছি কেনো সে এত জনপ্রিয় ইদানিং। ইন্টারনেটে নানান লিংকের সুত্র ধরে পেলাম বাংলাদেশী নাভিদ মাহবুবের স্ট্যান্ড আপ শো। একটি মনে হয় ঢাকার কজমো লাঊঞ্জে, বাকীগুলো বিদেশে। কিছু আছে ইংরেজীতে।
বাংলা স্ট্যান্ড আপ কমেডি চর্চা বা ধারা তেমন চোখে পড়ে না। এ অবস্থায় নাভিদ মাহবুবের শো দেখে মনে হলো, মন্দ না।
ইন্টারনেট স্পীড এবং সময় মিললে দেখতে পারেন, প্রিয় সচলবাসীঃ
_
ইউটিউবে আছে আরো বেশ কিছু।
মন্তব্য
দেখলাম। ভালোই.....
মাওলানা মানুষ হঠাৎ স্ট্যান্ড আপ কমেডি নিয়ে পড়লেন?
কী ব্লগার? ডরাইলা?
ইয়ে মানে আগের পোস্টে ঢিস্টিং ঢিস্টিং ভিড্যু ছিলো।
বাফারিঙ্গের ঠেলায় হাসি আসি আসি বলিয়া ফাঁকি দি চলি যায়।
----------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
বাফারিংদিয়েঅন্যকাজকরুন।পরেএকটানাদেখতেথাকুন
লোকটার নাম নাভিদ মাহবুব। মাহমুদ নয়। তিনি বুয়েটের কোন একট মেইলিং লিস্টে কিছু ভিডিওর লিংক দিয়েছিলেন। তখনই দেখেছিলাম। আমি একটা রিভিউ লিখতে চেয়েছিলাম। স্বভাবতই লেখা হয়ে উঠেনি।
নাভিদ মাহবুব ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স করে আমেরিকায় চাকুরী করতেন। অনেক আগে, বুয়েটে থাকতেই সম্ভবতঃ কিছু বিজ্ঞাপন করেছিলেন। তার মধ্যে কোকাকোলার একটা খুব আলোচিত বিজ্ঞাপন ছিল। পরে নিজের প্যাশন পারফর্মিং আটসে কিছু একটা করার তাগিদে রীতিমত স্ট্যান্ড আপ কমেডীর উপর ট্রেনিং নিয়ে এটা করা শুরু করেন। চাকরী ছেড়ে পেশা হিসেবে নিয়েছেন এটাকে। এখন থাকেন লস এঞ্জেলসে। লাস ভেগাসে একটা শোতে একটা পুরষ্কার জিতেছেন তিনি। ঢাকায় গেলে পরে একটা ইন্টারভিউ নেয়া হয় তার। সেটাও পাবেন ইউটিউবে।
তবে ব্যক্তিগত ভাবে আমার ভাল লাগেনি তার কৌতুক। ওভার ইউজড একসেন্ট ভিত্তিক কৌতুক গুলো অতটা প্রফেশনাল মনে হয়নি। তবে সামনা সামনি উনার কৌতুক দেখার ইচ্ছে আছে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ঠিক করে দিলাম ।
অনেক কিছু জানলাম আপনার কমেন্ট থেকে। ধন্যবাদ ।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কিছুটা ব্যতিক্রমধর্মী, তবে কৌতুকের মান নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারলাম না
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ইন্টানেট কাছিমের গতিতে চলতাসে। য়ুট্যুব দেহা সম্ভব হইচ্ছে না।
নাভিদের কিছু ক্লিপ ইউটিউবে আগে দেখেছি। কমেডিয়ান হিসাবে চলনসই - অ্যাক্সেন্ট-প্রধাণ কমেডি বেশীক্ষণ মজা লাগে না। অনেক কিছুতে উনি কানাডার রাসেল পিটার্স-কে অনুকরণ করেন বোঝা যায়। তবে একটা জায়গায় নাভিদের প্রশংসা করতেই হয়, তা হলো প্রথাগত প্রবাসী ক্যারিয়ার বাদ দিয়ে (বা তার পাশাপাশি) তিনি তার কমেডি নিয়ে আমেরিকান দর্শকদের সামনে উপস্থিত হয়েছেন, এটার জন্যেও এক প্রকার সাহস আর আত্মবিশ্বাস লাগে। এই জন্যে তাকে সাধুবাদ।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
- হ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নাভিদ মাহবুবের কমেডি সামনা সামনি দেখেছি গত ফোবানায় ডালাসে। তেমন ভালো লাগে নি। যেটা দৃষ্টিকটু লেগেছে তা হল উনি যে ইঞ্জিনিয়ার এবং ইঞ্জিনিয়ারিং জব ছেড়ে স্ট্যান্ড আপ কমেডিকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন এটা শো এর মধ্যে দর্শকদের বোঝাতে চেষ্টা করেছেন। যেন আগে শুধু ভাঁড়েরাই স্ট্যান্ড আপ কমেডি করত এবং উনার আগমনে এ পেশা ধন্য হয়েছে বা উনি খুব বড় কমেডিয়ান তাই ইঞ্জিনিয়ার হয়েও এ পেশায় সফল- এরকম একটা হাবভাব। যে স্কিটগুলো ছিল কোনটাই তেমন ভালো লাগে নি। ভারতীয়দের টরেটক্কা ইংরেজী একসেন্ট অনুকরণ করে কাতুকুতু দিয়ে হাসানোর চেষ্টা। ইউটিউবের আউটসোর্স-এর কৌতুকটা ছিল। সবচেয়ে হতাশ হয়েছি গ্লোবালাইজেশনের বহুল প্রচলিত কৌতুকটি শুনে- যেটা ইউটিউবের ভিডিওতে আছে শেষে এবং ওটা দিয়ে তিনি ফোবানার শো-ও শেষ করেছিলেন। সবমিলিয়ে এভারেজ তবে একজন বাংলাদেশী হিসেবে এ পেশায় এগিয়ে আসার জন্য আমি তাকে সাধুবাদ জানাই।
বোরিং।
এর চাইতে জাকির নায়েক অনেক ভালো।
আমার কাছে ভালই লাগল। ফেরারীর টা বেশ লাগছে।
কজমো লাউঞ্জে শো দেখে নাভিদ মাহবুবের কথা বলেছিলো একজন। আজ শিমুলের পোস্ট পড়ে দেখলাম। ভালো লাগে নাই। বুদ্ধিমত্তাহীণ স্থুল কমেডি আমার ভালো লাগে না। যেটা রাসেল পিটার্সের মধ্যেও ছিলো আগে। এখন সে তার ইমেজ অনেকটাই পালটে ফেলেছে। নতুন ইমেজে তাকে ভালোই লাগে।
দেশীদের মতো সনাতন রাস্তায় না গিয়ে সে যে স্ট্যান্ডআপ কমেডি করছে তার জন্য একটা ধন্যবাদ পাবে। বাঙালি এসব পেশাকে পাত্তাই দিতে চায় না, সেই কমপ্লেক্সেই ফোবানাতে হয়তো একটু বেশি বলে ফেলেছিলো। আর কমেডিয়ানদেরকে যে সব সময় নতুন জোক তৈরী করতে হবে তা নয়। পুরাণো কৌতুকও চলতে পারে উপস্থাপনার জোরে। তবে নাভিদ সাহেবের রাসেলকে অনুসরণ না করে আরও ম্যাচিউর কোনো কমেডিয়ানকে অনুসরণ করলে ভালো হবে।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
দেখা যাচ্ছে, কমেডির মান নিয়ে দ্বিমত থাকলেও এই লাইনে নাভিদ মাহবুবকে স্বাগত জানালেন সবাই।
ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন