২০০৮ সালে সচলায়তনে যা কিছু উল্লেখযোগ্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: বিষ্যুদ, ০১/০১/২০০৯ - ১২:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দেখতে চেয়েছিলাম – সচলায়তনে ২০০৮ সালের প্রথম পোস্ট কোনটি ছিলো। কী ছিলো। টের পেলাম, ভার্চুয়াল বিশ্বে কোনো সময় বিন্দু খোঁজা কেবলই বিভ্রম। ২০০৭ এবং ২০০৮ এর সন্ধিক্ষণে সুবিনয় মুস্তফী যখন হ্যাপি নিউ ইয়ার বলছেন, আড্ডাবাজ তখন ভাবছেন ২০০৮ এর ঝুড়িতে কি আছে? ওদিকে অরূপ খবর দিচ্ছেন ঢাকায় নববর্ষ উদযাপিত হচ্ছে। আর সুমন চৌধুরী বলছেন – জার্মানীতে নববর্ষ আসতে আরো ছয় ঘন্টা বাকী। এরপর যথারীতি নববর্ষ নিয়ে লিখেছেন অনেকে, পাওয়া-না পাওয়া কিংবা রেজুলিউশন। এ তো গেলো ইংরেজী নববর্ষের কথা। মাস কয়েক পরে বাংলা নববর্ষে সচলরা ভেবেছেন অন্যরকম। শুভেচ্ছা-শুভকামনা ও উৎসবের খবরের বাইরে বৈশাখের পেছনের কথা বলেছেন আসাদুজ্জামান রুমন, বাংলা নববর্ষ ও বাঙালিত্ব নিয়ে লিখেছেন মুহম্মদ জুবায়ের, আর বাঙালিত্বের শুলুকের সাকিন খুঁজেছেন হাসান মোরশেদ।

একুশে...
চোখ বুলিয়েছিলাম, এ বছর সচলায়তনের লেখাগুলো কেমন ধরণের ছিলো? ক্যাটেগরী করে দেখলে কেবল লিংকই আসবে। বরং সময় ধরে আগালে দেখি ফেব্রুয়ারীতে রাগিব লিখছেন কীভাবে উইকিপিডিয়ায় জায়গা করে নিলো একুশের ইতিহাস। একুশের ইতিহাস প্রয়োজনমত সারা বিশ্বে কেনো জানানো হচ্ছে না সে প্রশ্ন তুলেছিলেন থার্ড আই। একই সময়ে দৈনিক পত্রিকার রিপোর্টের সুত্র ধরে অরূপ জরিপ চালিয়েছিলেন - একুশে ফেব্রুয়ারীকে "আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস" হিসেবে সম্বোধন করায় কি একুশের মূল ইতিহাস ক্রমশ ঢাকা পড়ে যাচ্ছে? জরিপের ফলাফলের বাইরে মন্তব্যের ঘরে ছিলো জরুরী আলাপ। ওদিকে একুশের চেতনা নিয়ে মিথ্যাচার - ডাকটিকিট সমাচার লিখে এক প্রতারকের মুখোশ উন্মোচন করেছিলেন রাগিব।
একুশের বইমেলায় সচলায়তন ছিলো জমজমাট। প্রবাসে নিঘাত তিথি যখন কয়েক বছর আগের বইমেলার স্মৃতিচারণ করছেন, তখন অমিত আহমেদ দেশে ফিরে ছয় বছর পর গ্রন্থমেলা ডায়েরি লিখছেন। এই বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে বেশ কয়েকজন সচলের বই। নিজেদের বই নিয়ে লেখকরা তাঁদের অনুভূতি লিখেছেন প্রায় সবাই। পাশাপাশি ছিলো পাঠকের প্রতিক্রিয়া।

১৯৭১ এবং স্বাধীনতা
কেবল মার্চ নয়, সারা বছরব্যাপী সচলরা নিয়মিতভাবে লিখেছেন একাত্তর ও স্বাধীনতা নিয়ে। মুক্তিযুদ্ধের তথ্যসুত্রের সংকলন ও গণহত্যা আর্কাইভ নিয়ে প্রচারণা ছিলো সরব। মুক্তিযুদ্ধ ও তার পরবর্তিতে মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাদের ভুমিকা ও পরিনতি,সাত মার্চের ভাষণ, বুরুংগা গণহত্যা দিবস স্মরণের পাশাপাশি ব্রেকিং নিউজ হিসেবে এসেছে ৫০ যুদ্ধাপরাধীর তালিকা প্রকাশের খবর। স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকার নকশা এবং নকশাবিদ নিয়ে এসেছে একাধিক লেখা। একাত্তরের বীর নারীদের নিয়ে লিখেছিলেন ফারুক ওয়াসিফ। ২০০৭ সাল থেকে নিন্দিত শর্মিলা বোসের অপপ্রচারের কড়া জবাব যুক্তি তথ্যে আলাদাভাবে দিয়েছেন জ্বিনের বাদশা এবং তানভীর। মার্চ মাসেই অচ্ছুৎ বলাই স্বাধীনতার টুকরো স্মৃতি লিখতে আহবান জানিয়েছিলেন। আরও পরে হিমু বলেছেন – ৭১এ যাঁরা ছিলেন তাঁদের ডায়েরী লেখার প্রস্তাব। একাত্তরের ছবি চেয়ে ক্যাম্পেইনও করছেন তিনি। বিতর্কিত সাইটে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রচার যুক্তিযুক্ত কিনা তা নিয়ে বছরের শেষ দিকে সচলায়তন ছিলো সরগরম। অন্যদিকে ব্লগার শিক্ষানবিস অনুবাদ করছেন ১৯৭২ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত রিপোর্ট - বাংলাদেশ: আশায় নতুন জীবনের বসতি। মুক্তিযুদ্ধ আর একাত্তর নিয়ে সচলায়তনে দূর্লভ সব তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট দিয়েছেন – এম এম আর জালাল

আন্তর্জাতিক...
সচলদের লেখায় সারা বছর উঠে এসেছে নানান দেশের হাল হকিকত। পাকিস্তানের প্রসংগ এসেছে বেশ কয়েকবার – বেনজিরের মৃত্যুর পরে পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ, পাকিস্তানের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ, পাকিস্তানের ঘটনায় বাংলাদেশের আতংকিত হওয়ার কারণ আছে কি নেই, অথবা ইসলামাবাদে বোমা হামলার খবরসহ বিভিন্ন পোস্ট এসেছে এ বছর। বছরের শেষভাগে দিগন্ত অনুবাদ করেছেন পারভেজ হুদভয়ের চোখে আজকের পাকিস্তান। মুম্বাইয়ে বোমা হামলায় সমবেদনার পাশাপাশি তাৎক্ষণিক সংবাদ জানতে লাইভ ব্লগিং ছিলো সচলে। বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে বিএসএফ এর হামলার পর উঠে এসেছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। মালয়েশিয়ায় যৌন কেলেঙ্কারীর ঘটনা এবং নির্বাচনের খবরও এসেছে সচলে। মির্জা লিখেছেন - রানি এলিজাবেথ, একজন খুনি ও জিন্দা পাত্থর! মিয়ানমারের সাম্প্রতিক সাফ্রোন-বিপ্লব ও বিশ্বরাজনীতি নিয়ে দিনমজুরের পোস্টের পালটা পোস্ট দিয়েছিলেন মির্জা। প্রেসিডেন্ট বুশকে জুতা নিক্ষেপের তরতাজা খবর ভিডিওসহ দিয়েছিলেন ইশতিয়াক রউফ। সেই সাংবাদিক জায়েদীকে সেনা হেফাজতে নির্যাতনের সংবাদ পোস্টও ছিলো পরে।
আলোচিত ঘটনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়েও সচলরা লিখেছেন বিভিন্ন সময়ে। ওবামা, ম্যাককেইন, সারাহ প্যালিন, প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক প্রসংগ এসেছে বারবার। নির্বাচনের দিন লাইভ ব্লগিংয়ের আয়োজন করেছিলো সচলায়তন।

বাংলাদেশঃ রাজনীতি, সংকট ও শংকা
এ বছর ওয়ান ইলেভেনের একদিন আগে আড্ডাবাজ দেখেছেন – কেমন ছিলো তত্বাবধায়ক সরকারের এক বছর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডঃ আনোয়ার হোসেনের লিখিত জবানবন্দী, মুক্তির দাবী, মামলার রায়সহ প্রাসংগিক আপডেট ছিলো সচলায়তনে। একদিকে যখন জাতীয় সরকারের প্রস্তাব উদ্যোগ চলছে, তখন চেতনায় সামরিকায়ন নামের অসাধারণ একটি পোস্ট দেন রাসেল। রাজনীতি প্রতিদিনের পোস্টে শোহেইল মতাহির চৌধুরী লিখেন - ভাবুন, আল্লাহ আপনাকে পরিত্যাগ করেছেন। গনতান্ত্রিক ভোটপ্রথা, তুলনামূলক বিচারে বাংলাদেশ ও জার্মানী
লিখেছেন তীরন্দাজ। নারী-নীতি বিষয়ে মৌলবাদী গোষ্ঠীর আষ্ফালন নিয়ে লিখেছেন আলমগীর।
চালের দামের বৃদ্ধিতে ভাতের বদলে আলু খাওয়ার সরকারী পরামর্শে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায় সচলে। ভাতালু, ভাত বনাম আলু অথবা অন্যকিছুর মতো সিরিয়াস লেখার পাশাপাশি ছিলো কল্পগল্প এবং স্যাটায়ার পোস্ট।
নিজামীর গ্রেফতারের মতো বিভিন্ন রাজনৈতিক খবর মুহুর্তের মধ্যেই এসেছে সচলের পাতায়। তর্ক বিতর্ক ছিলো নিজামী-জিল্লুরের করমর্দন নিয়ে। এরশাদ পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হবে কিনা, নাকি বাংলাদেশের দুই নেত্রীর পরিণতি হবে বেনজিরের মতো সে প্রশ্নও উঠেছে। এসব সংকটময় পরিস্থিতিতে মাসুদা ভাট্টি লিখেছেন - রাজনীতির বর্তমান প্রেক্ষিত, একটি ব্যক্তিগত বোধ। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারীদের জবানবন্দী নিয়ে লিখেছেন অণৃন্য।
যে মুক্তিযোদ্ধা, মোহাম্মদ আলী আমান, জামাতি মুক্তিযোদ্ধা সংষ্করণের সম্মেলনে লাঞ্ছিত হয়েছিলেন তাঁকে নিয়ে লিখেছেন ফারুক ওয়াসিফ।
উগ্র মৌলবাদের চাপে বিমানবন্দরের সামনে থেকে লালনের ভাস্কর্য সরিয়ে নেয়ার ঘটনায় ফারুক হাসান লিখেন কোনদিকে যাচ্ছে স্বদেশ? প্রতিক্রিয়ায় সুমন চৌধুরী লিখেন - এই ধিক্কারের থুতু থেকে কেউ মুক্ত নই। তবে মাসুদা ভাট্টির মুর্তি চুম্বণে মুক্তি, মুর্তি দর্শনে পাপ পোস্টে ছিলো উত্তপ্ত আলোচনা।
কিছুদিন পর বলাকা ভাস্কর্য আক্রমণের লাইভ খবর দেন আরিফ জেবতিক। হামলাকারী দল আল-বাইয়িন্যাতের স্বরূপ উন্মোচনে অচ্ছ্যুৎ বলাই লিখেন - একজন উচ্চঅশিক্ষিত আল-বাইয়্যিনাত
বিশেষ দিবসের মাঝে সাত নভেম্বরে বিপ্লব স্পন্দিত বুকে ও নূর হোসেন দিবসে এইদিনে ,এইসব প্রহসন- মনে পড়ে ছিলো উল্লেখযোগ্য।

অবশেষে নির্বাচন...
দেশচিন্তা পোস্টে সারা বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল আলোচনার তুঙ্গে। সেপ্টেম্বরে সচল মাসকাওয়াথ আহসান লিখেন এবার গণতন্ত্রের চাকা ঘুরতে পারে। তিনি নিজেও নির্বাচনে অংশ নেন পরিবর্তনের আশায়। তবে ডিসেম্বরে এসে নির্বাচনী উত্তাপ লাগে সচলদের পোস্টে। নির্বাচনী ইশতেহার, প্রচারণা, সম্ভাব্য ফলাফল বিষয়ে আসে বেশ কিছু পোস্ট। ‘না’ ভোট কে না বলা, না ভোট নিয়ে ভাবা, শর্টহ্যান্ডে কিছু পয়েন্ট; এরকম বিভিন্ন শিরোনামে না ভোট ছিলো আলোচনায়। সচল জরিপও ছিলো। ভোটের দিন সচল নির্বাচনী ব্লগিং এবং লাইভ ব্লগিং এ দু’পোস্টে ব্লগাররা প্রতিমুহুর্তে ভোটের ফলাফল জানান এবং জানেন। নির্বাচনের পরে নতুন সরকারের কাছে চাওয়া এবং নিরংকুশ গরিষ্ঠতার শংকা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যকর করার দাবী নিয়ে পোস্ট আসে সচলে। বছরের শেষ দিনে নির্বাচন নিয়ে ইশতিয়াক রউফ দেন দূর্দান্ত বিশ্লেষণী পোস্ট ময়ূরপংখী রাজনীতি

পাকি-বিহারী, ঘৃণা নাকি সহানুভূতি...
মে মাসে অতিথি অপ্রিয় প্রশ্ন তুলেছিলেন তিন লক্ষ বিহারী ভোটারের ভোট কারা পাবে? এ বিষয়ে ডিসেম্বরে আবার সচল সরগরম হয় অভ্রনীলের পোস্ট উর্দুতে নির্বাচনী প্রচারনা’য়। এর আগে অক্টোবরে অতিথি লেখক টিকটিকির ন্যাজের পোস্টের সুত্র ধরে একই ব্যাপারে পোস্ট দেন হাসান মোরশেদ এবং রানা মেহের

অর্থনীতি...
বিশ্বের অর্থনীতিতে ঘনঘটা এমন ইংগিত দিয়ে বছরের তৃতীয় দিন গাড়ী চলে না সিরিজ চালু করেছিলেন সুবিনয় মুস্তফী। একই ধারাবাহিকতায় সারা বছর অর্থনীতির নানান দিক নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। সফটওয়্যার বুদবুদ, ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের ইতিসহ বিভিন্ন সময়ে অর্থনীতির নানান হালচাল নিয়ে লিখেছেন দিগন্ত। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এস এম মাহবুব মুর্শেদ চাকরি বাজারের মন্দা’র কথা বললে মন্তব্যের ঘরেও উঠে আসে নানান আলোচনা।

ক্রিকেট এবং অন্যান্য...
বারবার হেরেও ক্রিকেট নিয়ে আমরা স্বপ্ন দেখি। আশায় সমবেত হই। সচলায়তনে সারা বছর ক্রিকেট উত্তাপ লেগে ছিলো। ছিলো লাইভ খেলা দেখার আনন্দে বলা - আজ বাংলাদেশ ভালো খেলছে তো!, শাহাদাতের বিষদাঁত বসিল জাগামতো, নিউজিল্যান্ড আরেকবার। অথবা জয়ে সম্মিলিত চিৎকার - শাব্বাস বাংলাদেশ !!! নিউজিল্যান্ড কুপোকাত!!!
বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে নিজস্ব ভাবনা লিখেছেন জলদস্যু, প্রস্তাবনা দিয়েছেন উলুম্বুস, ২০১০ থেকে ইংল্যান্ড বাংলাদেশকে আর কোনো সিরিজে আমন্ত্রণ জানাবে না এমন শংকার কথা বছরের শেষে জানিয়েছেন সুবিনয় মুস্তফী। আইপিএলে কোলকাতা নাইট রাইডার্সের জয়ে উল্লাস প্রকাশ করেছেন শ্যাজা। ক্রিকেটের টুয়েন্টি টুয়েন্টি ভার্সন, চিয়ার লীডারদের প্রদর্শনী এবং সামগ্রিকভাবে ক্রিকেট বাণিজ্যের অনেক বিষয় এসেছে সুবিনয়ের পোস্ট অনেক আগে একটা খেলা ছিল’এ।
আইসিএলে নানান বিতর্ক জন্ম দেয়া ঢাকা ওয়ারিয়র্সের জন্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন হিমু। বাংলাদেশ ক্রিকেটের আইসিএল বিতর্ক পরবর্তী ভাবনা লিখেছেন উলুম্বুশ। বাংলাদেশের টিভিতে আই সি এলের খেলা টেলিকাস্ট বন্ধের ইগো ধুয়ে পানি খাওয়ার কথা লিখেছিলেন গোপাল ভাঁড়। খেলার সাথে রাজনীতি মেশানো উচিত কিনা আরও সহজ করে বললে – পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে সাপোর্ট করা যায় কিনা এ নিয়ে বিশ্লেষণী লেখা লিখেছেন অচ্ছ্যুৎ বলাই। বব মার্লিকে নিয়ে প্রথম আলোর ক্রীড়া সাংবাদিক উৎপল শুভ্রের এক লেখার প্রতিক্রিয়ায় ঝড় তুলেছিলেন রাসেল। বাংলাদেশ দলের অলিম্পিক যাত্রা, পুলিশি প্রহারে মলিন আসিফ, এবং বেইজিং অলিম্পিকের মানবাধিকার ইস্যু নিয়েও লেখা এসেছে সচলায়তনে। ক্রিকেটের বাইরে শ্বাসরুদ্ধকর তুর্ক-ক্রোয়াট কোয়ার্টার ফাইন্যাল নিয়ে ছিলো আরেকটি লেখা। বছরের শেষ দিনে শ্রী লংকার বিরুদ্ধে টেস্টে জয়ের সম্ভবনায় আবারও লাইভ ব্লগিং হয় সচলায়তনে। হেরে গিয়ে লেখার শিরোনাম পালটে সৌরভ বলেন - 'এবারের মতো শ্রীলংকাকে ছেড়ে দিলাম, পরের বার আর ছাড়বো না'। বাংলাদেশ আর কাউকে ছেড়ে দিবে না, এমনটি আমরা আগামীতেও আশা করে যাবো।

শহর থেকে দূরে...
দেশ বিদেশের সচলরা কতো জায়গায় ঘুরেছেন সেটা দেখে অবাক হই নানান ভ্রমণ কাহিনি পড়ে। দেশের ভেতরে বাইরে, কিংবা বিদেশ থেকে দেশে ভ্রমণের গল্প আছে ছবিসহ অনেক পোস্টে। ভ্রমণ সিরিজের শিরোনামগুলোয় তাকাই –
কচ্ছপ দ্বীপ 'কুসু আইল্যান্ড', চির বসন্তের দেশে, প্রথম যাযাবর, পোল্যান্ডের চিঠি, উত্তর মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জ, যে শহরে ফিরিনি আমি, পিনাং দ্বীপে আরেকবার, আপকো দেখকর তো যমীন ডর জায়েগী, ঘুরে এলাম সিঙ্গাপুর, হ্যমিলনের বাঁশীওয়ালা আর ইঁদুরের দেশে,ওব্রিগাদো সাও পাওলো, পাণ্ডবের চীন দর্শন

দূর পরবাসে...
সচলায়তনের অনেক ব্লগার দেশের বাইরে থাকেন। তাদের কেউ কেউ নিয়মিতভাবে প্রবাসের ডায়েরী লিখে যাচ্ছেন। এর মাঝে হিমুর প্রবাসে দৈবের বশে, কিংকর্তব্যবিমুঢ়ের প্রবাস থেকে নিয়মিত। অনিয়মিত বা থমকে যাওয়া সিরিজের মাঝে আছে প্রবাসের কথোপকথন , প্রবাস প্যাচালী, পিটস্‌বার্গের ধুসর পান্ডুলিপি, দ্বীপবাসী দিন, প্রবাসের কথা

সম্মিলিত ব্লগ কন্ঠ...
কেবল সচলায়তন নয়। বিশ্বব্যাপী ব্লগারদের কন্ঠরোধের নানান চেষ্টা ছিলো ২০০৮এ। সৌরভ জানিয়েছেন ফওয়াদ আল ফারহানের কথা। অরূপ লিখেছেন মালয়েশিয়ার প্রথম রাষ্ট্রদ্রোহী ব্লগারকে নিয়ে। আড্ডাবাজ জানিয়েছেন মেহদী হাসানের মুক্তির দাবী। তাসনীম খলিলকে নিয়ে লিখেছেন বিপ্লব রহমান। মুক্তি পেয়েও ফেরারী কার্টুনিস্ট আরিফের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অমি রহমান পিয়াল। হ্যাকিং অভিযুক্ত শাহী মির্জাকে নিয়ে লিখেছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ।

মৃত্যুর মিছিল অথবা স্মরণ...
অভিযোগটা প্রায়ই শোনা যায়, সচলায়তনে গল্প-কবিতা সাহিত্য পোস্টে ভরপুর। পুরনো সব পোস্টে চোখ বুলাতে গিয়ে দেখলাম এর চেয়েও বেশি পোস্ট বোধ হয় দেশ বিদেশের নানান ব্যক্তিকে নিয়ে। কারো কারো বিদায়ের খবর, কারো বা জন্ম-মৃত্যুতে স্মরণ।
কেবল শিরোনামেই দেখি - বিদায় ববি ফিশার, বিদায় নান্নু..., বিদায় মান্না, চলে গেলেন গল্পকার শহীদুল জহির, বিদায় জন হুইলার, একে একে নিভিছে দেউটি - এবারে কথাসাহিত্যিক মাহমুদুল হক, বিদায়, সলঝেনিৎসিন..., এবার ঘুমাও শান্তিতে প্রিয় মাহমুদ..., আবদুল্লাহ আল মামুন আর নেই, চলে গেলেন কবি জিয়া হায়দার, নক্ষত্রের বিদায়, মৃত্যুর মিছিলে কবি, অধ্যাপক এবং গীতিকার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, ও গুরুদাসী, তুমি বুঝি আমার জননী ছিলে... ।
এছাড়াও নানান দিনে সচলরা স্মরণ করেছেন, বলেছেন যাঁদের কথাঃ লুই কান, সেলিম আল দীন, শামসুর রাহমান, রজার ফেডেরা, অমর্ত্য সেন, লুথার কিং, ওয়াহিদুল হক, ভাষা সৈনিক শামসুল হক, কবি বেনজির আহমেদ, ড. আহমেদ শরীফ, সম্রাট হুন্ডার্টওয়াসার, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ, জাহানারা ইমাম, সত্যজিত রায়, মুক্তিযুদ্ধের উপরে প্রথম গ্রন্থের প্রণেতা মাহবুবুল আলম, কার্ল মার্ক্স, গাঁস্ত রোবের্জ, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, সুরাইয়া খানম, সমুদ্র গুপ্ত, কল্পনা চাকমা, কবি শামসুল ইসলাম, এম আর আখতার মুকুল, শ্যাম বাহাদুর, নেলসন ম্যান্ডেলা, কর্ণেল তাহের, তাজউদ্দীন আহমদ, আহমদ ছফা, লুৎভিগ ফয়েরবাখ, জহির রায়হান, শেখ মুজিব, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান, কাজী নজরুল ইসলাম, স্যার ডন ব্র্যাডম্যান, টমাস বাটা - ডন লাফন্টেইন, নিতুন কুন্ড, ভি এস নাইপল, সঞ্জীব চৌধুরী, ফাদার লুকাস, বুদ্ধদেব বসু, ওরিয়ানা ফাল্লাচি

মানুষের পাশে...
এ বছর সচলে এসেছে বেশ কিছু মানবিক আবেদনের উদ্যোগ। হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সচল বন্ধুরা। মনে পড়ছে – অপু, জয়, জারিফ, শ্বাশ্বত, চলে যাওয়া ফয়সাল আর সিমি’র কথা।

দেখি, শুনি, পড়ি...
ম্যুভি ফ্যান সচলদের পরিচয় পাওয়া গেলো তাদের দেখা নাটক-সিনেমা রিভিউয়ের তালিকা দেখে। My Architect, Four Eyed Monsters, The Kite Runner, লা স্ট্রাডা, দার্জিলিং লিমিটেড, হারবার্ট, ব্রিক লেন, ডি ফ্যালশার (দ্য কাউন্টারফিটার্স), তারে জামিন পার, WALL—E, জানে তু... ইয়া জানে না, সিং ইজ কিং, এল এস্পিনাযো দেল ডিয়াব্লো, রিলিজুলাসআমার দেখা বাংলা সিনেমা, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি প্রামাণ্যচিত্র। এর বাইরেও এসেছে পিয়ালীর পাসওয়ার্ড এবং দীপ নেভার আগে’র মুক্তির খবর।
চলতি সময়ের গান নিয়ে আলাপ এসেছে হাবিব-ফুয়াদ-অর্নব আর আমরা এবং বালামের বেইল শেষ এই দুই পোস্টে।
তবে পাঠ প্রতিক্রিয়ার কমতি ছিলো না, যেমন - আশ্চর্য তীর্থযাত্রীরা, 'স্পার্টাকাস', একজন দাসানুদাস, মরণ-মুখোশে জীবনের ছায়া - এরকম আরো অনেক। দেশি বিদেশী বই, কলাম, খবর এমন কি অন্য সচলের লেখা নিয়েও প্রতিক্রিয়া পালটা প্রতিক্রিয়া হয়েছে কমেন্টে, পোস্টে।

ভিন্ন ভাবনা...
জ্বিনের বাদশা লিখেছিলেন - প্রসঙ্গ সমকামিতা: কয়েকটি প্রশ্ন। একই বিষয়ে আরো দুটি পোস্ট - ক্যালিফোর্নিয়ায় গে বিবাহ ব্যান, কানাডায় সমকামীতা। সম্পত্তিতে নারীদের সমানাধিকার লিখেছেন হাসান মোরশেদ।

শিক্ষা ব্যবস্থা...
স্কুল পর্যায়ে বাংলা ব্যাকরণ শিক্ষার বর্তমান অবস্থা: একটি পর্যবেক্ষণ লিখেছিলেন আয়েশা আখতার। বিদেশে লোন নিয়ে পড়ালেখা বিষয়ে লিখেছেন প্রকৃতিপ্রেমিক। দিনমজুর লিখেছিলেন কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন । পাঠ্য বইয়ের নানান ভুল-ভ্রান্তি নিয়ে ছিলো গৌতমের সিরিজ। বাংলা মিডিয়াম বনাম ইংলিশ মিডিয়াম বিতর্কে ব্লগ সরগরম ছিল নানান সময়। সুবিনয়ের দুটি পোস্ট - ক্ষমতা, বিত্ত, ভাষা ও শিক্ষা এবং ইংলিশ মিডিয়ামের এক ছাত্রের কথা উল্লেখযোগ্য। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তায় সচল ষষ্ঠ পান্ডব বুয়েটের ভর্তি প্রক্রিয়ায় কোটা সিস্টেমের প্রতিবাদে লিখেন - বুয়েটের মর্যাদা রক্ষায় এগিয়ে আসুন। নানান ফোরামে আলোচিত এ পোস্ট সম্ভবতঃ ২০০৮ সালে সচলায়তনে সর্বাধিক পঠিত পোস্ট।

সিরিজ লেখা...
আলাদা করে গল্প-কবিতা-ছড়ার প্রসঙ্গ আনছি না, কারণ সচলে এর বৈচিত্র্য ব্যাপকতায় কমতি নেই। ২০০৮ সালে সচলায়তনের উল্লেখযোগ্য সিরিজ ছিলো - স্মৃতিবিপর্যয়, ছুটির দিনের কড়চা, হাওয়াই মিঠাই, টোপ দিলেই যে কেঁচো মাছ খেয়ে ফেলবে তার গ্যারান্টি কি? মেয়ে টু দি পাওয়ার ইনফিনিটি, মন্তব্যের মন্তাজ, পথের গল্প, গুরুচন্ডালী, আবজাব, তিতিক্ষা, যদি সে ভালো না বাসে, আমাদের বাতিঘরগুলি ও আসন্ন দিন, এলোমেলো কথা, নিয়মিত লেখা আর ব্লগের লেখা, উকুন বাছা দিন, ছোট্ট গোল রুটি, কামরাঙা ছড়া, জেলার নাম লালকুপি, জায়গীরনামা, আঙুল-কাটা ইচ্ছে-কথা, দেখা হবে, শেরালী, জাহাজী জীবনের গল্প, লেটার ফ্রম লাইবেরিয়া, ইয়োগা: সুদেহী মনের খোঁজে, কস কী মমিন!

সংলাপ...
দীর্ঘদিন পর উত্তম জাঝা, হ, বিপ্লব সংলাপের চক্কর থেকে মুক্তি দিয়েছে সচল আলমগীরের নতুন সিরিজের শিরোনাম। সচলায়তনে নতুন ইমোটিকন যোগ হয়েছে – কস কী মমিন!

বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রতিবেশ...
বিজ্ঞান ও পরিবেশ বিষয়ে সচলায়তনে পোস্ট এসেছে খানিক কম। অভিজিৎ, শামীম, শিক্ষানবিস, রাগিব, দিগন্ত নিয়মিতভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে লিখে গেছেন। তানভীর লিখেছেন পরিবেশ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে। ক্ষেত্র বিশেষে অভিজিৎ, শামীম, শিক্ষানবিসকে সায়েন্স-ব্লগারের ব্র্যান্ডিং করা যায়। গুরুত্বের হিসাবে তালিকা অনেক দীর্ঘ হবে, এতটুকু বলা যায় - তাদের বেশিরভাগ পোস্টই বিজ্ঞান বিষয়ে বছরের আলোচিত পোস্ট।
বাংলাদেশ ডুবে যাওয়া নিয়ে উল্লেখযোগ্য আলোচনা হয়েছে সচলায়তনে।

সচলাড্ডা...
ব্লগিংয়ের প্রথম দিকে ব্লগারদের প্রথম সাক্ষাৎ ছিলো বেশ আরাম করে বলার মতো। আলাদা পোস্টে আসতো, গতকাল অমুকের সাথে দেখা হলো। যোগাযোগের ব্যাপ্তিতে অনেক সচলের হরহামেশা দেখা হয় আলাপ হয়। কিন্তু, আয়োজন করে গেট-টুগেদারের গল্প এসেছে জার্মানী থেকে, বইমেলায়, লন্ডনে, ঢাকায় সচিত্র, ঢাকায় লাইভ আড্ডা, কিংবা ছবি আড্ডা। প্রস্তাব আসে নিউ ইয়র্ক আড্ডার। এমনকি ২০০৯ এর শুরুতে ঢাকায় সচল সম্মিলন হবে বলে নানান সুত্রে জানা গেছে। আড্ডার বাইরে সচলের নানান পোস্টে সচলরা তাঁদের ব্যক্তিগত আনন্দ-বেদনা ভাগাভাগি করেছেন। বিশেষ করে জন্মদিনে শুভেচ্ছা পোস্ট এসেছে ঘুরে ফিরে।

সচলায়তন প্রকাশনা...
সচলদের নির্বাচিত লেখা নিয়ে সচলায়তন সংকলন প্রকাশিত হয়েছে একুশের বই মেলায়। এরপর আগস্টে প্রকাশিত হয়েছে ছোটগল্প সংকলন ‘পূর্ণমুঠি’। ২০০৮ সালে প্রকাশিত একমাত্র ই-বুক অণুগল্প সংকলন ‘দিয়াশলাই’ প্রশংসিত হয়েছে অন্তর্জালের পাঠকের কাছে। ব-e ক্যাটেগরীতে ‘দেশের গান’ প্রাণ পেয়েছে নতুন করে। নতুন কোনো ব-e এ বছর আসেনি। ইতোমধ্যে সচলায়তনে ঘোষণা এসেছে আগামী বইমেলায় আরেকটি সংকলনের প্রকাশনার কাজ করছে বিস্কুটিয়ার্স টীম।

অন্দর মহল...
সচলায়তনের উদ্যোগে সচলদের মাঝে চালানো হয়েছে নানান জরিপ। বাংলাদেশের সেরা একুশ, সচলায়তনে পাঠকপ্রিয়তা, প্রথম বছরে সচলায়তনের পরিসংখ্যান, লেখক-পাঠক মিথস্ক্রিয়াচিত্র, আপনি কত ঘন ঘন সচলায়তনে আসেন টাইপ জরিপ সচলায়তন সম্পর্কে সচলদের বিভিন্নমূখী মনোভাব যাচাই করেছে।

সচল ব্যানার...
বছরব্যাপী নানান ঘটনাপ্রবাহের সাথে মিল রেখে পাল্টেছে সচলের ব্যানার। ব্যানার গ্যালারীতে তাকালেই বোঝা যায়...

বেতারায়তন...
বেতারায়তনের ইন্টারভিউতে এসেছেন অমিত আহমেদ এবং লুৎফর রহমান রিটন। বাতিল হয়েছে অর্নব এবং হাসান মোরশেদের ইন্টারভিউ। এর বাইরে সচলরা ফোনে জানিয়েছেন - অডিও: রাষ্ট্র পরিচালনায় কাদের দরকার? রামছাগল না শিম্পাঞ্জী। বিভিন্ন সচলাড্ডা’র ফোনলাপ দূর দূরান্তের সচলরা শুনেছেন দ্রুত।

ব্যান সচলায়তন!
জুলাইয়ের মাঝামাঝি বিটিসিএল প্রান্ত থেকে অ্যাকসেস বন্ধ করে দেয়ায় বাংলাদেশের বেশিরভাগ পাঠকের কাছে সচলায়তন পাঠ কঠিন অথবা অসম্ভব হয়ে পড়ে। উদ্বেগ উৎকন্ঠায় দেশের সচলরা চেষ্টা করেছেন কার্যকারণ জানতে। বিশেষ বুলেটিন আপডেটে সচলদের ধৈর্য্য ধারণের অনুরোধ করা হয়। তবে সচলের এই দূর্যোগে অনলাইনে-প্রিন্ট মিডিয়ায় সচল নিন্দায় নেমেছিলো কিছু জ্ঞানপাপী হীনমন্য দীন ভন্ড সমালোচক, স্থুল পরিতোষক। সচলায়তনের সদস্যদের ‘শিক্ষানবীশ’ ট্যাগ লাগিয়ে, নানান ব্যাঙ্গে এসব সঘোষিত শিক্ষাগুরু-বুদ্ধিজীবি আখেরে হালে পানি পায়নি। সচলের ব্যান হওয়া বরং ব্লগারদেরই এগিয়ে দিয়েছে।

মিস ইউ, খাট্টুনিশ!
অনেকেই অনেক কিছু করেন, পারেন। কিন্তু, সচলে কার্টুন আঁকেন ঐ একজনই। বছরের মাঝের পর থেকে অনিয়মিত হয়ে গেছেন তিনি। কার্টুনিস্ট সুজন চৌধুরী

নতুন মাত্রা, ফটোব্লগ...
আগে বিক্ষিপ্তভাবে ফটোব্লগ পোস্টানো হলেও এবার একেবারে গুছিয়ে ফটোব্লগ শুরু হয়। ফ্লিকারে ছবিপাড়া করা হয়। আর সচল জানতে পারে আলোছায়ার কবিদের। নজরুল ইসলামের পোস্টে ছিলো জাভেদ আক্তার সুমনের তোলা ঢাকার ছবি। কাঞ্চনজংঘা, দার্জিলিং-এ সূর্যোদয় আর সুন্দরীদের ছবি সিরিজ করেন মুস্তাফিজ। আর রণদীপম বসু ঢাকার বিভিন্ন ভাস্কর্যের ছবি তুলে দেন যদি হারিয়ে যায়... সিরিজে।

দুষ্ট সার্ভার...
মাঝে মাঝে দেখি, পৃষ্ঠা দেখানো সম্ভব নয়। মডারেটর এসে জানান টেকনিক্যাল সমস্যা। ২০০৯ সালে এ সমস্যা থেকে মুক্ত হোক সচলায়তন...।

সচল সংখ্যান...
আগের মতোই আশা করছি সচলের মডুভাইরা জানাবেন কতোগুলো পোস্ট ছিলো এ বছর, কতো কমেন্ট পড়লো, কে বেশি পোস্টালো, কমেন্টালো বা হিট খেলো। এইসব। কিন্তু, সারা বছর সচলায়তনের প্রাণ ছিলেন সচলেরা যারা দৈনন্দিনের অংশ করে নিয়েছেন এ মঞ্চকে। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়েছে পোস্টে কমেন্টে ২০০৮ সালে শীর্ষ সরব ছিলেন হিমু এবং সংসারে এক সন্ন্যাসী। এ দুজন সচল তাদের নতুন নতুন আইডিয়ার পোস্টে জমিয়ে রেখেছেন সমাবেশ। এর বাইরে প্রায় সবাই গল্পে কবিতায় ভাবনায় চিন্তায় সচলের সাথে লেপ্টে ছিলেন। আলদা আলদা করে নাম বলতে গেলে উল্লেখের চেয়ে বরং বাদ পড়ে যাওয়ার সম্ভবনাই বেশি। আশার কথা হলো ২০০৮এ এক ঝাঁক নতুন সচল এসেছেন। আগামীতেও আসুন। তবে জনবাহুল্যের মোহ-মুক্ত সচলায়তন পরিমাণে নয়, কলরব করুক গুনে ...।

বিদায় জুবায়ের ভাই...
২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৮, সচলায়তনে এক শোকের দিন- তীব্র কষ্টের দিন। সচলায়নের লেখক, ব্লগার, শুভাকাঙ্ক্ষী, বটবৃক্ষসম স্বজন - মুহম্মদ জুবায়ের এদিন পাড়ি দেন না ফেরার দেশে। সচলায়তনে জুবায়ের ভাই কী লিখতেন প্রশ্নের জবাব, তিঁনি কী লিখতেন না। সব লেখা কতো আগ্রহ নিয়ে পড়তেন সেটা বোঝা যেতো তাঁর কমেন্ট খেয়াল করলে। মুহম্মদ জুবায়ের কেবল এ পৃষ্ঠায় আর সীমিত নন। ২০০৮ সালের অন্যসব ঘটনার সাথে বিস্মৃত হবেন না তিনি। মুহম্মদ জুবায়ের বেঁচে থাকবেন আমাদের মাঝেই...।

শুভ হোক, কল্যাণময় হোক – ২০০৯।


মন্তব্য

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এই পোস্টটা লিখতে আপনাকে কী পরিমাণ শ্রম দিতে হয়েছে এবং বছরব্যাপী সমস্ত লেখা যেভাবে ঘাটতে হয়েছে, শুধু সেটা চিন্তা করেই কূল পাচ্ছি না! অসাধারণ! এর বেশি বলার নেই!

চলুক


হারিয়ে গিয়েছি, এই তো জরুরি খবর...

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

বলতে গেলে সারা বছর কেটেছে সচলায়তনের সংগে থেকে, পড়ায়-লেখায়। তাই ভাবলাম, সালতামামি করা যায় কিনা দেখি । হয়তো খেয়াল করেছেন, আরও প্রায় শ'খানেক লিংক দেয়া বাদ আছে। সময় পেলে পরে যোগ করবো।

আপাততঃ আপনাকে ধন্যবাদ। হ্যাপি নিউ ইয়ার।

অবাঞ্ছিত এর ছবি

অনেক খাটনি করেছেন.... মনে মনে তারকা দিলাম হাসি
__________________________
I think , therefore i am - Descartes

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

অনিকেত এর ছবি

অভিবাদন এই দুরূহ কর্ম এমন সুচারু রূপে সম্পন্ন করার জন্যে।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

মাঝে মাঝে ভাবি সচলায়তনে দিনরাত আমার মতো বুঝি কেউ পড়ে থাকেনা। তারপর দেখি এইরকম সব ডেডিকেটেড সচলদের। একসেস লগ খুলে দেখি শিমুল, অমিত, হিমু এরা এত বেশী সচলায়তনে পড়ে থাকে যে টপ ভিজিটরের তালিকায় এদের নাম গুগলের নামের আশেপাশেই থাকে। তখন বড় লজ্জা হয়।

ব্রাভো কমরেড। ভালো থেকো সবসময়।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

মুস্তাফিজ এর ছবি

ভালো লাগলো দেখে। অনেক ভালো লেখা যেগুলো আগে পড়া হয় নাই এই লিঙ্ক থেকে এখন পাবো।

ধন্যবাদ

...........................
Every Picture Tells a Story

আকতার আহমেদ এর ছবি

এই ভয়ঙ্কর শ্রমসাধ্য কাজটার জন্য আপনাকে নতজানু শ্রদ্ধা ।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা

দ্রোহী এর ছবি

খাইছে!!!!!
মাওলানা, এটা কী মাস্টার্স না পিএইচডি থিসিস?

শুভ নববর্ষ।


গরীবের আবার সিগনেচার!!!

কনফুসিয়াস এর ছবি

সাঙঘাতিক একটা পোস্ট এটা। বুকমার্ক করে রাখার মতন।
শিমুলের জন্যে একটা ইস্পিশাল মেডেলের বন্দোবস্ত করতে হবে!
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এ লেখার জন্য শিমুলকে 'ডক্টর অফ সচলায়তন' ডিগ্রী দেয়া হোক।
সবকিছুই ঠিক ছিলো, শুধু জুবায়ের ভাই মন খারাপ

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সুমন চৌধুরী এর ছবি

গ্রেট জব!

Happy New Year



অজ্ঞাতবাস

লীন [অতিথি] এর ছবি

ওরে বাপ রে!
আপনে কি পরিমান সচল টের পাইলাম।
এতো কষ্ট করছেন এই পোস্ট দিতে, অভিনন্দন আপনার জন্য।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

ফাটাফাটি পোস্ট!
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

এনকিদু এর ছবি

ছয়টা তারা দেয়ার সিস্টেম থাকলে ভাল হত । আপাতত পাঁচটা দিলাম ভাই ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আমি ভাষাহীন। সচলায়তন অনেক বেশি গভীর, তাই অনেক কিছু এড়িয়ে যাই। এই পোস্ট তার সবকিছু সামনে এনে দিল।

এখন থেকে প্রতি বছর চাই। আজ থেকেই এক্সেল ফাইল খুলুন। চোখ টিপি

আলমগীর এর ছবি

একেবারে যাচ্ছেতাই রকম একটা লেখা। এরকম চোথা সচলে কেমনে প্রকাশ হয়! চোখ টিপি
কয়দিন খাটছেন বলেন তো?
মোট কত পোস্ট, কত মন্তব্য, সদস্য-ওয়ারি হিসাব বের করতে সময় লাগবে, তবে করা সম্ভব। আমি শুধু একটা কথা বলি 'বেহুদা পোস্ট' এই ট্যাগে অমিত ছাড়া আর কোন বান্দা লেখে না দেঁতো হাসি

আমার দুইটা লেখা টানছেন সেজন্য (স্যালুট) , তবে মন খারাপ করা দুইটা কথা:
১. শেখের বেটি মেনিফেস্টো এবং বিজয় পরবর্তী ভাষণে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন "কোরআন-হাদিস বিরোধী" কোন আইন করা হবে না। কাজেই নারী নীতি মোল্লা হাতেই থাকছে- এ আশঙ্কা।

২. মমিন সিরিজ আর নাও আসতে পারে। কারণ কমু না।

প্রতিবাদ:
সার্ভারে মোটেই ২০০৮ সালের পুরাটা গোলযোগ হয় নাই। অক্টোবরে নতুন নিজস্ব সার্ভারে আসার পর সচলে সার্ভারজনিত গ্যাঞ্জাম মোটেই হয় নাই। চাইলে পরিসংখ্যান দিয়া ব্যাকাপ দিতে পারি। তবে ব্লুতে থাকার সময় বেশ কষ্ট হইছে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

-

"কোরআন-হাদিস বিরোধী" কোন আইন করা হবে না।
বলতে মনেহয় ব্লাসফেমী আইন জাতীয় কিছু জিনিষ বুঝানো হয়েছে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আলমগীর এর ছবি

বুঝায়া কন।
"এন্টি-ব্লাসফেমি আইন করবে না" - আপনি কি এই অর্থ করতেছেন?

আমি তা করি নাই: খেলাফতের সাথে যে চুক্তি হইছিল, আকারে প্রকারে তাই প্রকাশ হইছে ওই লাইনে। যাক, এই ভাল একটা পোস্টে ওই তর্ক না আনি।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আলমগীর ভাই, ক্রাইস্টচার্চের ললনাসমূহ নিয়া একটা পোস্ট দেবার কথা ছিলো না আপনার? চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আলমগীর এর ছবি

ললনাদের ছবি বিশেষ খিচতে পারি নাই।
গেছিলাম একটা কৃষি-মেলায়, ওইখানে গাভী, ঘোড়া এগুলার ছবি তুলে নিয়া আসছি। দেখতে চাইলে তুলে দিমুনে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এইটা একটা জট্টিল পোস্ট মওলানা। চলুক

জা-কা-জা ভায়রা ভাই পরিষদের পক্ষ থেকে আপনার জন্য তাজমহলে টেবিল বুকিং দেয়া হলো।

নিউ ইয়্যার শুভ হোক।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

বিশাল কাজ করে ফেলেছেন দেখি আমাদের প্রিয় শিমুল ভাইয়া।
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই এমন একটা গোছানো এবং তথ্যবহুল পোস্ট দেবার জন্য।
অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দিল। এমন ফ্ল্যাশব্যাক গোছের পোস্ট মাঝেসাঝে পেলে খারাপ হয়না !

--------------------------------------------------------

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

পরিশ্রমসাধ্য পোস্টের জন্য শিমুলকে অনেক ধন্যবাদ।

অমিত আহমেদ এর ছবি

অসাধারণ।
নাহ! ঠিক হলো না।
আবার বলি -
অসাধারণ!


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

উরিব্বাস ! অ্যাঁ

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

হিমু এর ছবি

এ এক প্রচন্ড পরিশ্রম ও ধৈর্যের কাজ। হ্যাটস অফ টু ইউ শিমুল!


হাঁটুপানির জলদস্যু

রণদীপম বসু এর ছবি

শিমুল, আপনি কি জানেন, আপনি কী করেছেন !
ছোট্ট একটা বছরকে কী বিশাল সচল-বছর বানিয়ে দিয়েছেন ! 'বিন্দুর মধ্যে সিন্ধু' !
পছন্দের পোস্টে এই পোস্টটাকে বুকে বেঁধে রাখলেই তো গোটা সচলায়তন বেঁধে রাখা হয় !

'কৃতজ্ঞতা' শব্দটিও কখনো কখনো অপ্রতুল মনে হয় !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

তানভীর এর ছবি

খাইছে! অ্যাঁ

শ্রমসাধ্য বিশাল কাজের জন্য অভিনন্দন চলুক

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বিদেশে গেলে শুনতাম মানুষের খাটাখাটানি বেড়ে যায়
কিন্তু শিমুলের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে সে বেকার হবার জন্যই বিদেশ গেছে
নাহলে এই পোস্ট লেখার জন্য বেকারের দেশ বাংলাদেশে কোনো বেকার খুঁজে পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ

আরিফ জেবতিক এর ছবি

শিমুলের গবেষনা আরেক গবেষকের স্মৃতিকে খুঁচিয়ে দেয় । খুব কষ্ট ।

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

অসাধারণ

থার্ড আই এর ছবি

এতো পরীশ্রমের অসাধারণ একটা কাজ করেছেন আর আমি সাইন ইন করে মন্তব্য করবো না এমন অকৃতজ্ঞ হতে পারলামনা। ধৈয্য আর বিচক্ষনতার তারিফ করবো না বরং পাঁচ তারা দিয়ে আপনার মূল্যায়ন করি।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

এমন কাজ আমাকে কেউ করতে বললে আমি তো বিরাট এক পারিশ্রমিক হাঁকিয়ে বসতাম! চোখ টিপি

কী আর কমু! বুইঝা লন।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অভিজিৎ এর ছবি

সত্যই শ্রমসাধ্য পোস্ট। এ পোস্ট দেখলে যে কেউই বুঝবে কতটা খাঁটুনি খেঁটেছে শিমুল। কিন্তু আপামোর ভদ্র এই লোকটি নিজের কোন পোস্টের উল্লেখ করেনি। যদিও শিমুল অনেক সময়ই ছিলেন সচলায়তনের কেন্দ্রবিন্দুতে। কখনো নিজে, কখনো বা অন্যদের দ্বারা। আমার একটা মজার পোস্টের কথা মনে পড়ছে এই মূহূর্তে। অমিত আহমেদের সেই ফটোশপের কেরামতি সমৃদ্ধ থাইল্যান্ড বেরিয়ে আসার চাপাবাজিময় পোস্ট! আর তার বিপরীতে শিমূলের ক্যানাডা ভ্রমণ। ... এখনো মনে পড়লে হাসি আসে... কি র'ম ঘোল খাইয়েছিলো দুজনে মিলে আমাদের!



পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)


পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)

রানা মেহের এর ছবি

শিমুল
তুমি যা জিনিস গুরু চোখ টিপি
পাঁচ তারা *****
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

তুলিরেখা [অতিথি] এর ছবি

কী সাংঘাতিক পোস্ট!!!!!!
অতি ভালো। খুব ভালো। অসাধারণ!!!!
অনেক তারা।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ভাইরে তোমার তো ব্যাপক ধৈর্য্য হাসি
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

বিপ্রতীপ এর ছবি

আপনার আসলেই তেল আছে শিমুল ভাই চোখ টিপি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...

দিগন্ত এর ছবি

এককথায় অসাধারণ পোস্ট ... চলুক


হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

শিক্ষানবিস এর ছবি

অসাধারণ। লেখককে অনেক অনেক ধন্যবাদ...

রানা মেহের এর ছবি

কোন গল্প কবিতার লিঙ্ক না দেয়া গেলেও
এটা দিতেই হবে।
এটা ২০০৮ এ সচলের সেরা গল্প
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

থার্ড আই এর ছবি

এই গল্পটা সচলের বর্ষসেরা লেখাগুলোর মধ্যে অন্যতম। পক্ষপাতমূলক পোস্টের জন্য তীব্র প্রতিবাদ।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

দময়ন্তী এর ছবি

দুরন্ত ভাল লেখা ৷

কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ: এটাকে বাঁদিকের লিস্টিতে যোগ করা যায় না?
----------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

বাদবাকী লিংকগুলো আপডেট করে দিলাম।

এবং,
সকল রকম কমেন্ট সবিনয়ে দু'হাত পেতে নেয়া হলো। ধন্যবাদ সবাইকে।

সৌরভ এর ছবি

চরম।
স্যারের লেখায় স্যারের লেখার লিংক নাই। এই প্রতিবাদে এই লেখা বর্জন করলাম।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

কত টাকা পয়সা খরচা কইরা এই পোলারে বিদেশে পাঠানো হইলো লেখাপড়া করতে... আর সে এইসব কইরা বেড়ায়..
শিমূলকে দেশে ফিরিয়ে আনা হউক...

গত বছর এই কর্মটা আরেকজন করেছিলেন... সেই তাকে মরে পড়ে গেলো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মুশফিকা মুমু এর ছবি

omgএত ডিটেইল্ড এত ইনফোরমেটিভ লেখা কিভাবে লিখলেন, কয়েক মাস লাগার কথা!! চলুক
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

মুজিব মেহদী এর ছবি

অসাধারণ এক সালতামামী। সেলাম।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

ঝরাপাতা এর ছবি

কি জটিল একটা কাজ করলেন ! ! ! স্যালুট।


নিজের ফুলদানীতে যারা পৃথিবীর সব ফুলকে আঁটাতে চায় তারা মুদি; কবি নয়। কবির কাজ ফুল ফুটিয়ে যাওয়া তার চলার পথে পথে। সে ফুল কাকে গন্ধ দিলো, কার খোঁপায় বা ফুলদানীতে উঠলো তা দেখা তার কাজ নয়।
___________________________ [বুদ্ধদেব গুহ]


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনন্যসাধারণ !
২০০৯ নিয়েও এমন একটা পোস্ট আসুক ।
আমাদের অনেকের ই উপকার হবে ।

বোহেমিয়ান

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।