আজ বাংলা দৈনিক পত্রিকাগুলো পড়তে গিয়ে দেখছিলাম বিশ্ব ইজতেমার খবর। প্রতি বছর এ সময়ে ইজতেমা হয়, সংবাদপত্রে-রেডিও-টিভিতে ফলাও করে বলা হয় - এটি পৃথিবীর মুসলিমদের ২য় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ। এ বছর নিয়ে মোট ৪৫ বার ইজতেমা হচ্ছে বাংলাদেশে। ইজতেমায় আসা মানুষদের নানা রকম সেবা নিশ্চয়তা দেয়া হচ্ছে সরকারী উদ্যোগে, এমন খবর জানাচ্ছে দৈনিক সংবাদ।
প্রথম আলোর খবরে পড়লাম, বিশ্বের ৮০টি দেশের ৫হাজার মুসল্লী আসছে এবার ইজতেমায়। এর মাঝে ১ হাজার ৭৪১ জন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ থেকে।
বাংলাদেশে অন্য কোনো উপলক্ষ্যে একসাথে এতো বিদেশী মনে হয় জড়ো হয় না। ভাবছিলাম, এই ৫০০০ বিদেশীকে ইজতেমা পরবর্তী সময়ে ট্যুরিস্ট বানিয়ে দিলে কেমন হয়?
ধরি, ৫০০০ এর ১০ ভাগ, ৫০০ লোক এই প্রোগ্রামে রাজী হলো। ইজতেমার পরদিন থেকে পরের ৭ অথবা ১০ দিন এদেরকে বাংলাদেশ দেখানো হবে। বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, স্থাপনা, প্রাকৃতিক দর্শনীয় বা ঐতিহাসিক স্থান দেখানো হবে। থাকা-খাওয়া-যাতায়াত-প্রবেশ ফি সব মিলিয়ে একটা প্যাকেজ মূল্য ধরা হবে। এর বাইরে, অতিরিক্ত হিসেবে স্যুভেনিওর, গিফট আইটেম বিক্রির ব্যবস্থা থাকবে।
আরেকটি সম্ভবনা থাকে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতকে প্রমোট করার জন্য। পাশের দেশ ইন্ডিয়া মেডিক্যাল ট্যুরিজমে সিংগাপুর-থাইল্যান্ডকে টেক্কা দিচ্ছে সমান তালে। একই রকমভাবে বাংলাদেশে অধুনা ফাইভ-স্টার হসপিটালগুলোকে প্রমোট করা যায়। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের তুলনায় বাংলাদেশে চিকিৎসা খরচ অনেক কম। কেবল এখানে প্রয়োজনীয় মনোযোগ এবং সেবামান নিশ্চিত করা দরকার।
এ কাজটা করতে পারে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন বা অন্য কোনো বেসরকারী ট্যুর অপারেটর। প্রায়ই শোনা যায়, বাংলাদেশে ট্যুরিস্ট আসে না। অবকাঠামোগত সমস্যার পাশাপাশি ভিনদেশি ট্যুরিস্টের বেসিক চাওয়া উইমেন-ওয়াইনের দূর্লভ্যতার কথাও বলেন অনেকে। এই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে ইজতেমায় আসা বিদেশীরা ভালো টার্গেট গ্রুপ হতে পারে। আগামী বছরগুলোয় ইজতেমায় বিদেশি মুসল্লি বাড়বে, সে সম্ভাবনাটুকু অনুমান করে ভাবছি, এদের টার্গেট করে বাংলাদেশে পর্যটন বিকাশ কি আসলেই সম্ভব?
মন্তব্য
খুবই দারুণ আইডিয়া। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে হাত পাকানোর জন্যও ভাল।
ইজতেমার ঠিক এক মাস আগে থেকেই লোক আসা শুরু হয়। আমি দেশে গিয়ে ইমিগ্রেশনে ঢুকতেই দেখি হুজুরদের বিশাল দল। আমার ধারণা, কোন প্রতিষ্ঠান করুক আর না করুক, তাবলীগের নিজের উদ্যোগেই এরা দেশের বিভিন্ন জায়গার মসজিদে হাজির হয়ে "প্রাক-ইজতেমা দাওয়াতী কাজে" সওয়াব হাসিল করে।
ঘটনা হলো, হজ্জ্বের মতোন অর্থনৈতিক আকার কি দেওয়া সম্ভব? উত্তর বোধহয়, "না"।
হজ্জ্বের যেসব বাধ্যবাধকতা বা নিয়মকানুন আছে, যেমন, মদীনা যেতে হবে, আরও কিছু ধর্মীয়-ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যেতে হবে, এইসবে একজন হজ্জগামী বিদেশি একটা বড় অবদান রাখেন সৌদি অর্থনীতিতে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সেইরকম কীভাবে করা সম্ভব?
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
- বলা যেতে পারে যে, এখন থেকে আর চাঁটাইয়ের নিচে ঘুমানো যাবে না। ঘুমাতে হবে অল্প খরচে নির্মিত ছুপড়ি ঘরে।
হাগু টাগুর ক্ষেত্রে আর মাগনা সুবিধা নাই। তবে যেটা হবে যে এক্ষেত্রে ফ্ল্যাট-রেটের ব্যবস্থা আছে। আপনি তিনদিনের ফ্ল্যাট রেট করে নিন, যতো খুশি, যতোক্ষণ খুশি হাগামুতা করুন।
ইজতেমার স্থানে (ইন ও আউট বাউণ্ড) পায়ে হাঁটা যাবে না। গাড়ি চলুক বা না চলুক গাড়িতেই চড়ে বসে থাকতে হবে। এর জন্য অবশ্য বিনিময়ে সামান্য হাদিয়া নেয়া হবে। এটা নেয়া যেতে পারে ভিসা'র সাথে অথবা বিমান বন্দরে ইমিগ্রেশনে। (প্রোভাইডেড বাংলাদেশীরা ঘুষটুষ খাওয়া ছেড়ে দিছে)।
ইজতেমা শেষে বাধ্যতামূলক সিলেটের শাহজালাল - শাহ পরানের মাজার ও চট্টগ্রামে বায়েজিদ বোস্তামীর মাজার পরিদর্শন। এখানে এই তিন মণীষীর পেছনের কাহিনীগুলো বেশ ভালো করে উপস্থাপন করা যায় যাতে তাবলীগী ভাইয়েরা জোশ পান এসব জায়গায় যাওয়ার।
এবং সবশেষে, বিশ্বের একমাত্র "ইসলাম সম্মত সমুদ্র সৈকত" কক্সবাজারে ভ্রমনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এজন্য অবশ্য সরকার কক্সবাজারের ১১০ কিলোমিটারের কয়েক কিলোমিটার জায়গা বেশ নীট এণ্ড ক্লিন করে তাতে ইসলামী একটা ছোঁয়া লাগাতে পারেন।
ফাইজলামী মনে হলেও একটা আইডিয়াও ফাইজলামী না। ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা কইরা দেখেন জনগণ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মার্ডালারে!
হাঁটুপানির জলদস্যু
ধু-গো, সৌরভ দুইজনের সাথেই একমত। বিষয়গুলো বিবেচনা করে দেখা দরকার।
বুশ পাদুকা
...........................
Every Picture Tells a Story
"ইসলাম সম্মত সমুদ্র সৈকত" বা আরিফ জেবতিকের ভাষায় "হালাল সমুদ্র সৈকত" - আইডিয়ার জন্য
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
সৌদি , মরক্কো, দুবাই এসব জায়গায় আলাদা হালাল বীচ আছে বলে শুনেছি।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
একটা পয়েন্টে কিঞ্চিত ভুল আছেঃ ইজতেমা অর্থাৎ তাবলীগের লোকেরা এইসব পীর-আউলিয়াদের তেমন একটা পরোয়া করেন না, ফলে -"এখানে এই তিন মণীষীর পেছনের কাহিনীগুলো বেশ ভালো করে উপস্থাপন করা যায় যাতে তাবলীগী ভাইয়েরা জোশ পান এসব জায়গায় যাওয়ার।"- এই প্রকল্পটি সম্ভব নয়।।
ইনারা যেইসব জায়গায় যান, আমার জানামতে তারা থাকার জন্য মসজিদ এবং খাওয়ার জন্য এলাকাবাসী তাবলীগি ভাইয়ের উপর নির্ভরশীল, অর্থাৎ নিজের টাকা-পয়সা খুব একটা খরচ করেন না।। ফলে এই প্রকল্পটি আমার কাছে সত্যিকার অর্থে খুব একটা ফলপ্রসূ কিছু হবে বলে মনে হচ্ছে না।।
দুর্দান্ত আইডিয়া।
বাস্তবায়ন করতে পারলে আসলেই দারুন ব্যাপার হবে। লেখাটা দৈনিক পত্রিকাগুলোতে পাঠাতে পারেন। সংশ্লিষ্টদের নজরে পড়া উচিত এটা।
হাসপাতাল বাদে আর কোন কিছু করা সম্ভব হবে না বলেই আমি মনে করি। তার কারণ হুজুরদের মানসিকতাটা ঠিক ঘুরাঘুরির সাথে যায় না। তারপরও আরও কিছু কথা সৌরভ ভাই বলেছেন।
মানসিকতার একটা উদাহরণ দেই- তাছাড়া ব্যাপারটা পরিষ্কার হবেনা। গত তিন মাসের ছুটিতে আমাদের ব্যাচের চারজন গিয়েছিল দিল্লীতে, তাবলীগী কাজে। প্রায় দুই মাসের দিল্লী ভ্রমণ শেষে ওরা যখন ফিরে আসলো, তখন জিজ্ঞাস করলাম, কী কী দেখলি? উত্তর হলো- কিচ্ছু না। ওরা দাওয়াতী কাজে গিয়েছে, ঘুরাঘুরি করতে যায়নি। বাকীর লোভে নগদ পাওনা তারা শুধু ছেড়ে দেয়নি- তারা মনমানসিকতাও বদলে ফেলেছে। আশে পাশে সাইট সিং্যের চেয়ে তাদের কাছে রাস্তাঘাটে মানুষ ধরে বয়ান দেওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ।
=============================
ঠিক।
আইডিয়া মন্দ না।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
রায়হান আবীরের কমেন্টটা উল্লেখযোগ্য...
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আইডিয়া টা কাজে লাগালে খারাপ হয় না
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে সেটা বুঝতে হলে তাবলীগওয়ালাদের মানসিকতাটা ভালোভাবে রীড করতে হবে, সে জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হইলো, উদ্যোক্তাদের নিজেদেরই কিছুদিন তাবলীগ করা
স্যুভেনীর বিশেষ করে বোরখা, টুপি, জায়নামাজ, বাংলাদেশী খাবার-দাবার এসব বেশ ভালো চলতে পারে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
সচলায়তনের পক্ষ থেকে
মাউলানা আ.সা.শিমুল ভূতপর্ব পাতায়াবাদী এর জন্যে নেক্সট অ্যাসাইনমেন্ট, কয়েকটা চিল্লা দিয়ে আসা।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
- আইডিয়া ভালো, কিন্তু ফ্যাকড়া একটা আছে মনেহয়।
টার্গেট গ্রুপ হিসাবে ইজতেমার জনগণ মোটেও সুইটেবল না। ইজতেমায় যারা আসেন তারা সাধারণতঃ তাবলীগী জনতা। তারা খরচ করেন আল্লাহ'র রাহে। তো এই বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য আসলে কতোটা আল্লাহ'র রাস্তায় হবে এটা একটা প্রশ্ন!
আপনার আইডিয়াটা মনে ধরছে। বলতে গেলে ঠিক এরকমই একটা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো বছর কয়েক ধরে। সামর্থ্য নাই বলে কিছু করা হয়ে উঠছে না। যাদের সামর্থ্য আছে তারা চেষ্টা করে দেখতে পারেন। সফলতার ভাগ মোটামুটি নিশ্চিত। ইয়োরোপে একটা ওয়েল অর্গানাইজড প্যাকেজ ট্যুরের আবেদন বিশাল। আমি এই পর্যন্ত যাদের সাথেই কথা বলেছি, তাদের সবাই মোটামুটি প্রতিবেশী দেশের কথা বলেছে। আমি চেষ্টা করেছি নিজের দেশের কথা বলতে। দেখি এটা নিয়ে কখনো লেখা যায় কীনা!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুসর গোধুলিকে "ইসলাম সম্মত সমুদ্র সৈকত" এর জন্যে "ব্যাবসায়িক উদ্ভাবনী" ক্ষেত্রে নোবেল প্রাইজ দেবার প্রস্তাব জানালাম!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আইডিয়া উত্তম, বাস্তবায়িত হওয়ার সম্ভাবনা কদ্দূর 'আল্লাহ জানে'।
-----------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
ফাটাফাটি আইডিয়া ।
তবে বিদেশী যারা আসেন , তারা কিন্তু শুধু ইজতেমার জন্য আসেন না , এদের অধিকাংশই প্রায় মাসখানেক এই দেশে থাকেন । তবে সমস্যা হচ্ছে এরা টাকাপয়সা খরচ করেন কম , মসজিদে ফ্রি ঘুমান , হেটে হেটে পথ চলেন , খাওয়া খাদ্য ছাড়া অন্য কোন বিনোদনে তারা নাই ।
তাই এদের কাছ থেকে বেশি পয়সা পাওয়া যাবে না ।
তবু এটা একটা বড় সুযোগ ।
মুসলিম দেশগুলোতে ইজতেমাকে বড় করে প্রমোট করতে হবে , যাতে করে আরো বেশি বেশি তাবলীগি জনতাকে পাওয়া যায়।
ইজতেমায় মহিলাদের অংশগ্রহনের একটা সুযোগ করতে হবে , তাহলে অংশগ্রহনকারীদের সংখ্যা বাড়বে ।
হজ্ব চালু হওয়াটাও কিন্তু মক্কার একটা বানিজ্যিক সুবিধা দিত মুহম্মদের ধর্ম প্রচারের আগে থেকেই ।
ফাজলামো মনে হলেও ,ধূ.গোর ইসলামী সমুদ্র সৈকত একটা ভালো ব্র্যান্ড হতে পারে । হালাল সাবানের মতো হালাল সৈকত । তবে দুবাইতেও মনে হয় সৈকত আছে । আর হুজুররা চিকিৎসার জন্য এখানে আসবে না । তারা যাবে ব্যাংককে , সেখানে দেহের সাথে সাথে মনের চিকিৎসা করা যায় ।
তবু ইজতেমায় যদি ৫ হাজার আসা মুসল্লীকে ৫০ হাজার বানিয়ে দেয়া যায় ( পরিকল্পনা করলে ৩ বছরের মাথায় এটা সম্ভব ) তাহলে ৫০ হাজার জন যদি ১০০ ডলারও খরচ করে বাংলাদেশে এসে , তবু সেটা একটা ভালো টাকা ।
তারপর সুভেনির জাতীয় কিছু গছিয়ে দিতে পারলে তো আরো ব্যবসা ।
"ইজতেমায় মহিলাদের অংশগ্রহনের একটা সুযোগ করতে হবে , তাহলে অংশগ্রহনকারীদের সংখ্যা বাড়বে ।" এইটাও সম্ভব না, তাবলীগিরা মহিলাদের মানুষ ই মনে করেন না।।
আইডিয়াটা অতিশয় উমদা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় এর ব্যাপক প্রচারণা প্রয়োজন।
হাঁটুপানির জলদস্যু
খারেক্ট।
--------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
প্যারাডক্স আর কনটক্সটের চক্করে পড়ার আগে হিমু ভাইয়ের কমেন্টের সোর্স লিংক দিয়ে দিই।
রিফিউটেশানের বৃথা চেষ্টা কোরো না মাওলানা!
হাঁটুপানির জলদস্যু
এগগজেক্টলি...
--------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
ওরে
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
ফাটাফাটি আইডিয়া।
নারী পর্যটকদের গাইডের দরকার হইলে তিন পায়ে খাড়া।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
সবকিছুতেই ব্যাবসা চলে । চালাতে জানলে ইজতেমা নিয়েও রমরমা ব্যাবসা হবে । আমার কোন সন্দেহ নাই ।
একটা কথা আছেনা, যেই দেবতার যেই ফুল সেই ফুলে পূজা দিতে হয় । চিন্তা ভাবনা আর খোঁজ খবর করে বের করতে হবে তাবলীগি দেবতাদের ফুল (প্রিয় পণ্য) কোনটা । বাংলাদেশে তৈরী করা সম্ভব এরকম আমার মাথায় এই মুহূর্তে আসছে :
১) ভাল মানের প্রিন্টে কোরআন শরীফ ও হাদিসের বই
২) সুন্দর তসবী (প্লাস্টিকের হইতে পারে, পাথরেরো হইতে পারে, মাটিরও হইতে পারে - ম্যাটেরিয়াল ইত্যাদি ডিটেইলে না যাই )
৩) আতর ইত্যাদি ইসলামিক প্রসাধনের সূদর্শন বোতল । আতর বিদেশ থেকে কিনে ভাল বোতলে ভরে বেশি দামে বেচা সম্ভব । আর দেশে আতর বানানো গেলে তো আরও ভাল ।
৪) জায়নামাজ । ডিজাইন করবে পাকা ফ্যাশন ডিজাইনারেরা
৫) ভাল ভাল পাঞ্জাবী, কোর্তা, কামিজ, স্কার্ফ, চাদর, টুপি ইত্যাদি
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
৬) ফোল্ডিং বদনা
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আমার কাছে যেটা মনে হয়, সেটা হচ্ছে, আমরা একজন সম্ভাব্য পর্যটকের কাছ থেকে শেষ দুধের বিন্দুটুকুও দুইয়ে নিতে চাই। এভাবে না করে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করা যায়।
আমার যেহেতু বিপণন সম্পর্কে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা নেই, আমি ব্যক্তিগত "অভিজ্ঞতার অন্ধকারে" ব্যাপারটাকে হাতড়ে বোঝার চেষ্টা করবো।
ইজতেমায় যারা আসেন, তাঁরা মূলত ঐশ্বরিক ভক্তিরসেই আর্দ্র থাকেন। তাঁদের যা চেনাতে হবে, সেটা হচ্ছে বাংলাদেশটাকে। এয়ারপোর্ট আর টঙ্গীর বাইরে গোটা দেশটা কত সুন্দর সেটা বোঝাতে হবে। যা করা যেতে পারে, বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চলের মসজিদে একটি নামাজি কার্যক্রম চালানো যেতে পারে। তাঁদের নিয়ে যাওয়া যেতে পারে চাঁপাইনবাবগঞ্জে, সুনামগঞ্জে, পিরোজপুরে, টেকনাফে। সেইসব মসজিদেই তাঁরা থাকবেন, আশেপাশে খাবেন। লক্ষলক্ষ টাকা দেশে তাঁদের খরচ করার দরকার নেই।
ফিরে গিয়ে তারা বাংলাদেশের গল্প করবেন। যাদের কাছে করবেন, তারা ঐজতেমিক ভাবধারার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি, কিন্তু আরো কিছু তাগুতি ছেলেমেয়েও সে আলাপে আগ্রহী হবে। তারা হবে সেকেন্ড জেনারেশন ট্যুরিস্ট।
হাঁটুপানির জলদস্যু
এই আইডিয়াটা দারুন।
=============================
ইজতেমা টা ঢাকার বাইরে কোথাও স্থানান্তর করলে এবং যাতায়াতের সুব্যবস্থা রাখলে এইটা থেকেও যাতায়াত খরচ বাবদ অতিরিক্ত কিছু আয় সম্ভব মনে হয়।। [এবং অবশ্যই তাদের টিকেট হবে বৈদেশিক মূদ্রায়, কোন এক ট্রাভেল এজেন্সির/পর্্যটন কর্পোরেশনের মাধ্যমে ]
ভাব দেখে লাগছে মূল লেখা বা কমেন্ট কারোরই নিজের গাঁটের পয়সা খর্চা কইরা 'চিল্লা'নোর এক্সপেরিয়েন্স নাইক্কা। তাই পুরাটাই হাফমোল্লার করা ডারুইনের বয়ানের মত লাগলো রিয়েলি! সিরিয়াসলি অফ কন্টক্সট।
তাবলীগীগোরে পার্সোনাল খর্চা মিনিমাম করার বেপারে রেগুলার উৎসাহ দেয়া হয়, আর দেশ হোক আর বিদেশ হোক নিজের পকেটের পয়সায় ফিসাবিলিল্লাহ আরেক দ্যাশ গিয়া মাইনষে বেশী খর্চাও করেনা।
তয় ইজতেমার অদ্ভূত এক ইফেক্ট আছে আমার অভিজ্ঞতায়, সেই আফ্রিকানের লগে লন্ডনে পরিচয় হৈসে যে বাংলাদেশ চিনেনা, ঢাকাও উচ্চারণ করতে ভূল কইরা লয় কিন্তুক তার লাইফের সেরা অভিজ্ঞতা কয় 'টঙ্গী', আরব, মালে, শ্রীলংকান আর দক্ষিণ এশীয় অনেক পাইসি যাগোর স্বপ্নমাখা অভিজ্ঞতা আছে ইজতেমার। প্রত্যেকেই বাংলাদেশের অতিথিপরায়ণতা আর প্রাণখোলা ব্যাবহারের অত্যান্ত প্রশংসা করেছেন (অতিরিক্ত তথ্যের জন্যি নিকটস্থ মসজিদের তাব্লিগীগোর লগে যোগাযোগ করেন)।
ফুটনোটঃ ইজতেমার লাইগা আজকাল বৈদেশ থিকা ট্যুরিস্ট টাইপগুলারে পাঠানো হয়না। যারা নিজেগোর দ্যাশে আল্লাবিল্লা কইরা কদ্দুর পাক্কা হয় তাগোরে মাঝে মধ্যি পাঠানো হয় ইজতেমা ট্যুরে। ইন এভারেজ জিয়ার ল্যান্ডিং থিকে জিয়ায় ফেরত যাওনের মধ্যেকার মাস-দেড়মাসের জন্য এগোর বাজেট থাকে ৩-৪ হাজার টেকা, যেইটা আমগোর ঢাকার পুলাপাইনের পকেট খরচ। কারণ খাওন আর গাড়িভাড়া ছাড়া আর খর্চা নাই।
যেইসব পয়সাআলা পাগলে তাব্লীগ করে হেরা ছুটি পাইলেই দ্যাশ বিদেশে চাইলা যায়। তাই এইবছর বাংলাদেশ ইজতিমা, পরের সাল মালেশিয়ার ইজতেমা, তারপরে ভূপাল (ভারতে) আরেকবার রাইবেন্ড (পাকি) এই কইরাই লাইফ শ্যাষ।
তাবলীগে যান বা যাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে, তারা আরো কমেন্ট করে দুজাহানের সওয়াব হাসিল করুন।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
এগুলো কোনো সমস্যা না। বিপনন পন্থা সঠিক আর মানানসই হলে সবার কাছে যে সব কিছু বেচা যায় তা শিখেছি গুরু হার্জের টিনটিন থেকে। আর আতিথ্য দেখাতে গিয়ে পিছিয়ে থাকা ঠিক না। কেউ থাকে না।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
গাঁটের পয়সা খর্চা কইরা 'চিল্লা'নোর এক্সপেরিয়েন্সওয়ালা ফরিদ, কষ্ট হইলেও সহজ ভাষায় বলেন, তাহলে বুঝতাম আপনার বক্তিমা কী এবং ক্যাম্নে কোন তরিকায় আছে।
সিরিয়াসলি অফ কন্টক্সট", "ফিসাবিলিল্লাহ"; কী এগুলা?
লোকগুলা তো টেকার বস্তা না, সওয়াবের পোটলা ভরনের লাইগা ছটাছুটি করে। ওগোরে লইয়াও ব্যবসা করবেন?
তা যদি করেনই, তাইলে খাওন/হাগু-টাগু/চিকিতসা লইয়া কর্তারেন। অরা দুনিয়াদারী না হইয়া যতই বেহেশতদারী হউক, এইগুলা ছার্তারবনা।
তয় বেহেশত-অলাগো লগে বেহেশতি মাল লইয়াও ব্যবসা কর্তারেন, কদু ভাই যেমুন্ডা কইল।
নতুন মন্তব্য করুন