ফারুকীর ‘ফার্স্ট ডেট’: প্রেম শুধু শরীর ঘিরে

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: রবি, ১৫/০২/২০০৯ - ৪:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

-ফারহানা বিথী ফেসবুকে পরিচয় সুত্রে পিন্টুকে সাদা শার্ট কালো প্যান্ট পরে আসতে বলেছিলো। প্রথম দেখা হবে। পিন্টু গিয়ে দেখে সেই স্পটে আরও একদল প্রেমিক ভীড় করেছে, তাদের কেউ রোসান, কেউ সাগর, সাদা-শার্ট কালো প্যান্টে। হাতে গোলাপের স্টিক। কেবল ফারহানা বিথী নেই। প্রেম-অপ্রেমের বিষণ্ণ শহরে প্রেমিকেরা গোলাপের স্টিক ফেলে আরও বিষণ্ণ হয়। কিন্তু, ডিজুস লাভার পিন্টু থেমে থাকার নয়।

নানান চক্কর শেষে পিন্টু লিটনের ফ্ল্যাটে। নতুন প্রেমিকার সাথে।
‘কী করা যায়?’
প্রেমিকা বলছে - চা বানাও, অথবা আসো ইংলিশ টু বেঙ্গলী ডিকশনারী পড়ি। পিন্টু ডিকশনারীই পড়তে চায়, হাজারো শব্দের মাঝে কেবল 'ডেটিং' শব্দটি শিখতে চায়। উহু, আগে চা বানাতে হবে। চা ভালো হলে ওখানে (আঙুলের ইশারায় বিছানা)।
পিন্টু চা বানায়। এনটিভি সীল মারা মগে চা খায় তারা। তবুও ডেট হয় না। এই প্রেমিকা বুঝায়, ডেটিং করতে করতে কাউকে কি পুরনো মনে হয় না?
পিন্টুর জবাব দেয় না। তার আকুতি, চা কেমন হলো। প্রেমিকা পাশ মার্ক দেয়। এবং তারা বিছানা রুমের দিকে যায়। দরজা বন্ধ হয়। প্রেমিকা নাটক করে বলে, সে এইচআইভি পজিটিভ। পিন্টু যেহেতু ভীতু, তাই তারা আবার ডায়নিং রুমে ফিরে।

তাহলে শেষে কী হবে? পিন্টুকে হেদায়েত করার দায়িত্ব কে নিবে? নাট্যকার এবার বিবেকীয় সংলাপে বলায় পিন্টুর মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে, সম্পর্কগুলোকে বস্তুগত কিংবা শারীরিক না, মানবিক সম্পর্ক হিসেবে ভাবতে হবে। শেষ পর্যন্ত এইচআইভির ভয় (‘নাট্যকার কি বাঁচতে হলে জানতে হবে’ জানে না?) দেখিয়ে প্রেমিক পিন্টুকে একা রিকশায় বসিয়ে নাটক শেষ হয়।
__
এরকম বিবেকীয় বিশেষ সম্পাদকীয় লিখেছিলো আরেকজন। রগরগে সব কাহিনী ছাপিয়ে বিশেষ সম্পাদকীয়তে সত্তুরোর্ধ স্যুটেড বুটেড সম্পাদকটি লিখেছিলো, এসব কাহিনী আগামী দিনে সমাজ বিজ্ঞানীদের গবেষণার উপাদান হবে, এগুলো অশ্লীল নয় – সামাজিক বাস্তবতা। সেই সম্পাদকটি বাংলাদেশে ভ্যালেন্টাইন ডে চালু করেছিলো। নানান নাটক শেষে মিস্টার রেহমানের পতন হয়েছে। ঢাউশ সাইজের বিশেষ ভালোবাসা সংখ্যা এখন বোধ হয় বের হয় না। কিন্তু তার জায়গাটি এবার দখল করে নিলো মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। প্রাইম ইয়ুথের চাওয়া-পাওয়া স্যালুলয়েডের ফিতায় বন্দী করে এনটিভি’র বক্সে দর্শকের ড্রয়িং রুমে তুলে দিয়েছে।
__

মো.স. ফারুকী,
দর্শক হিসেবে আমি এখনো পিঁছিয়ে আছি হয়তো। এফ টিভির ‘মিডনাইট হটস’ ব্যক্তিগত পরিবেশে দেখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। শরীরি প্রেমের এসব সংলাপ ঘনিষ্ট – দৃশ্য কুৎসিত নির্মাণে এনটিভি’তে দেখতে প্রস্তুত নই। চড়ুইভাতি/স্পার্টাকাস এবং আরও কিছু কাজ দেখে মুগ্ধতা ছিলো আপনার প্রতি।
তাই ‘ফার্স্ট ডেট’ দেখে আপনার প্রতি আমার জঘন্যতম নিন্দাটি জানাচ্ছি তাৎক্ষণিক।
__

ডাউনলোড লিংকঃ এখানে


মন্তব্য

সুমন সুপান্থ এর ছবি

মাত্রই কিছুক্ষণ আগে জেনেছিলাম যে, আমার কবিতার একনিষ্ট এক পাঠিকা অভিনয় করেছে এই টেলিফিল্মে । কবিতার মতোই স্নিগ্ধ এই মেয়েটিকে দেখি নি কোনদিন ! সে শুধু তার ভালোলাগার কথাগুলোই জানায় আমাকে মাঝে মাঝে ... আমারই কোন কবিতার পঙত্তি দিয়ে আমাকে শুভেচ্ছা জানায় জন্মদিন এলে...!

খুব আগ্রহ নিয়ে খুঁজছিলাম 'ফাস্ট ডেট' । এখন তোমার লেখা পড়ে তো শিমুল, আগ্রহই উবে গেলো !
তবু দেখবো, তোমার লেখা বিষয় বলে কথা ...আমার কবিতার ভক্তপাঠিকার অভিনয় বলে কথা ...হা হা হা

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

উবে গেলো!
কী বলি, তাহলে...

আপনার ভক্ত পাঠিকার অভিনয় জীবন শুভ হোক।

টোকিওবাসীনির্বাসিতব্লগার এর ছবি

আমি নিন্দা জানানো থেকে বিরত থাকলাম। নাটক দেখে সিদ্ধান্ত নেবো।
তবে আমিও মনে করছি, এটাই বর্তমান বাস্তবতা। তবে পুরো জেনারেশনের নয়, একটা ক্ষুদ্র অংশের। আর ফারুকি সাহেবেরা নাটক বানিয়ে ফেলেছেন যখন, ভবিষ্যতে এই ক্ষুদ্র অংশটা বড় হওয়াটা স্বাভাবিক।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

বাস্তবতায় আপত্তি নেই, স্যার।
আপত্তি নির্মাণ কৌশলে।

তানবীরা এর ছবি

এটা বাস্তবতা ভাবতে আমার ঘৃনা হয়। নিজের উপর ঘৃনা হয়। ছিঃ

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অভ্রনীল এর ছবি

সহমত।
_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

দৃশা এর ছবি

দেশ মারাত্মক রকমে উন্নতি করতাছে দেহি! মানুষ একবার বিখ্যাত হইয়া গেলে মাথা আউলায়ে যায় তাগো, সীমারেখা কুনখানে টানা লাগবো ভুইলা যায়তাদের ধারনা যাই গেলাইবো তাই গিলবো পাব্লিক। অ্যাডাল্ট জোকও তো মানুষ কাছের মানুষ ছাড়া অপরিচিত জায়গায় ছাড়ে না। তা এই ধরনের সংলাপচারিতার মাধ্যমে দাড়িওয়ালা কি প্রমান করতে চাইল? বর্তমান বাস্তবিকতা, পোলাপাইন কত খ্রাপ, যুগ কত খ্রাপ নাকি তারা যে কত এস্মার্ট...কুনটা? পলাপাইন এমুন কথাবার্তা বা কাম যে করে না এটা যেমুন মিথ্যা না, তেমুন সেগুলা বাজারে অভিনব পণ্য হিসাবে উপস্থাপন করাও কোন হোয়াদের আইডিয়া লাগলো না। কাইলকা এই নাটক মাঝখান থেইকা ১০ মিনিট দেইখা আগ্রহ হারাইছি...
---------------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ফারুকী'র কাজ আর ভালো লাগে না। তাই-ই দেখা হয় না আর। তবে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে আমাদের নজু ভাইয়ের লেখা একখানা নাটক দেখাইছে এটিএন বাংলা। চয়নিকা চৌধুরী ডিরেক্টর। নাটকের নাম হারায়ে খুঁজি তারে। নাটকের স্ক্রিপ্ট অনেক ভালো লাগছে। যদিও পুরোটা দেখতে পারি নি আমি। আমার দুই বন্ধুকে বসিয়ে দেখেছি। ওদের ভালো লেগেছে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমার লেখা নাটকটা একটা বিদেশী ছবির গল্প থেকে নেওয়া। মূল গল্পে আমার কোনো কারিশমা নাই। তবে এডাপটেশনটা অনেক ভালো করছি। আমি নিজে খুশি।
দেখি নাই নাটকটা... ফলে কেমন বানাইছে জানি না। তবে স্ক্রিপ্টটা করে আমি নিজে খুব খুশি হইছিলাম। আর আফসোস করছিলাম, কেন এই স্ক্রিপ্টটা আমি নিজে বানাইলাম না। মন খারাপ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

কীর্তিনাশা এর ছবি

হ দেকতে হপে !!

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

নাটকটা আমি পুরোটা দেখি নাই... একটুখানি দেখেছি। পুরোটা দেখা সম্ভব না। এটা নিয়ে ইতোমধ্যেই খুব সমালোচনা চলছে।

সারয়ার ফারুকীর সঙ্গে একসময় বেশ ভালো যোগাযোগ ছিলো। প্রথম দিকে নতুন নতুন স্বপ্ন নিয়ে অনেক আলাপ হতো। ভালো লাগতো। কিন্তু ধীরে ধীরে তার কাজে একটা স্বপ্নহীন ফারুকীকে দেখলাম। বর্তমানে যা ঘটছে তাই তুলে আনতে চায় সে নাটকে। রিয়েলিজম।
বর্তমানের মানুষগুলো শুধু ডেইট করছে না, কিছু মানুষ যে স্বপ্নও দেখছে নতুন জীবনের সেই জীবনগুলো আর স্বপ্নগুলো তার নাটকে থাকে না। বাস্তব মনে হয় না।

ব্যাচেলর নিয়ে একটা পত্রিকায় সমালোচনা লিখেছিলাম। তার সহকারী মারজুক রাসেল পত্রিকায় ফোন করে জানতে চেয়েছিলো এই নজরুল কোন নজরুল। ভয় পাইছিলাম হো হো হো । পরে অবশ্য নজরুলের পরিচয় পেয়েছিলো। তারপর থেকে ফারুকী আর কোনো অনুষ্ঠানে দেখা হলে আমাকে চেনে না।

ফারুকী সবসময় নাটকে বা সবখানে বাস্তব জীবন তুলে ধরার কথা বলে। কিন্তু বাস্তবতা আর শিল্প যে এক না তা তাকে কে বোঝাবে? আর তার নাটকের চরিত্রেরা কোন বাস্তবতায় থাকে তাও জানি না। বাস্তবতার খুব খণ্ডাংশকে পুরো বাস্তবতায় বিবেচনা করার যৌক্তিকতাও বুঝি না। নতুন প্রজন্ম অনেক স্বপ্ন আর সম্ভাবনা নিয়েই বড় হচ্ছে। যারা ফারুকীর নাটকের বাস্তবতায় থাকে না। এটা খুব হতাশ করে।

তারচেয়ে বড় দুঃখটা তার ভাই বেরাদর নিয়ে। যারা ফারুকীকে অন্ধ অনুকরণ করে কেবল। কিন্তু মুজিব কোট পরলেই যে বঙ্গবন্ধু হওয়া যায় না, তা বুঝতে হয়তো তাদের আরো কিছু সময় লাগবে।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

নজরুল ভাইয়ের এই কথাগুলোই বারবার মনে ঘুরপাক খাচ্ছিলো। কেবল এরকম করে গুছিয়ে লিখতে পারিনি। অনেক ধন্যবাদ। আপনার নাটকটি কি অনলাইনে আছে? পরবাসীর অনলাইনই ভরসা...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অনলাইনের খবর তো আমি নিজেই জানি না। আমি দেখতে পারিনি নাটকটা... কালকে ডিভিডি হাতে পাবো।
আর আগেই বলে রাখি এটা বিদেশী সিনেমার ধার করা গল্প। আমার মনে হয় মূল সিনেমাটাই দেখে নেন... সেটা অনেক সুন্দর... সেরেনডিপিটি...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

টোকিওবাসীনির্বাসিতব্লগার এর ছবি

[url=http://en.wikipedia.org/wiki/Serendipity_(film)]serendipity [/url]হবে কেনো? এইটা তো আমার খুব প্রিয় একটা ছবি।

টোকিওবাসীনির্বাসিতব্লগার এর ছবি

ও, আপনার নাটকের কথা বলছেন। দেখতে হবে তো তাইলে।

অভ্রনীল এর ছবি

সেরেনডিপিটি আমার ফেভারিট মুভিগুলার একটা। এইটা যদি ঠিকমত ফুটায় তুলতে পারেন তাইলে আপনে আসলেই ধইন্যপাতা পাওয়ার যুগ্য।
_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

"সেরেন্ডিপিটি" সিনেমাটা আমারও খুবই প্রিয়। নাটকটা দেখার আগ্রহ হচ্ছে খুব।

এনকিদু এর ছবি

হাঁ, খুব সুন্দর গল্প ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

নিঘাত তিথি এর ছবি

নজরুল ভাইয়ের নাটকটা পেয়ে গেলাম অনলাইনে। শুধু পরবাসীদের জন্যই লিংকটি দিচ্ছি (অবশ্য বাংলাদেশে বসবাসকারি কেউ আমাদের বিখ্যাত স্পীডের ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে নাটক দেখবে না বলেই ভাবি)।
হারায়ে খুঁজি তারে

নজরুল ভাই, আপনার আপত্তি থাকলে লিংক ডিলিট করে দিবো।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপত্তি থাকবে কেন?
বরঞ্চ দিয়ে তো ভালোই করেছেন।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ঠিক আছে। আমিও ডাউনলোড মারি... চোখ টিপি

পলাশ দত্ত এর ছবি

তারপর থেকে ফারুকী আর কোনো অনুষ্ঠানে দেখা হলে আমাকে চেনে না। গড়াগড়ি দিয়া হাসি
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

হিমু এর ছবি

আমি নাটক দেখি না বললেই চলে। ফারুকীর নাটকগুলিতে যা দেখলাম, বহুসংখ্যক মাংসল মেয়ে থাকবে এবং তারা কারণে অকারণে চড়া পিচে ঝগড়া করে যাবে অথবা কাঁথামুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকবে। আমি বাস্তবে বাস করি, আমার দেখা বাস্তবতার সাথে এসবের কোন মিল পাই না বলে ফারুকীর কোন নাটক পরবর্তীতে আর দেখার আগ্রহ পাইনি।


হাঁটুপানির জলদস্যু

ধ্রুব হাসান এর ছবি

পুরো আলাপটাই যেহেতু ঔচিত্যবোধের জায়গা থেকে করা তাই চুপ থাকাটাই মনে হয় ভালোছিলো। তাও দুয়েকটা কথা বলি! শিমুল, আপনি আপনার পুরো লেখাটাতে যেভাবে ডায়ালগের পর ডায়ালগ তুলে ধরেছেন ঠিক উল্টোভাবে যদি নির্মাণ কৌশলের দুর্বলতা নিয়ে বিস্তারিত আলাপে যেতেন তাহলে হয়তো পাঠক হিসেবে অংশগ্রহনের আরো বেশী সুযোগ থাকতো! অনেকের মন্তব্য ও আপনার আলোচনা থেকে যে বিষয়টি মুখ্য হয়ে দাড়িঁয়েছে তা হলো এরকম বিষয় নির্ভর নাটক বাসার ড্রয়িং রুমে বসে দেখা যায় কিনা! ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এটি একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন আলাপ! সমাজের বৃহত্তর গোষ্ঠীর মত যদি গল্প-সিনেমা-নাটকে উঠে আসতে পারে তবে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর গোষ্ঠীর লাইফষ্টাইল কেন উঠে আসলে রুচিতে বাধেঁ? আমাদের অনেকের নন্দন চেতনা কি ঔচিত্যবোধ দ্বারা একটু বেশী শৃংখলিত? এ প্রসংঙ্গে একটা ঘটনা মনে পড়ছে, প্রায় ৫ বছর আগে আমাদের একজন বিখ্যাত পরিচালকের একটা স্ক্রিপ্ট পড়ে অবিভূত হয়েছিলাম! স্ক্রিপ্টের একটা অংশে এরকম ছিলো যে পঞ্চাশোর্ধ এক সফল আমলা দীর্ঘদিন ধরে দুরকমের সেক্সুয়াল লাইফ মেইনটেইন করে আসছেন। একদিকে তার পরিবার, অন্যদিকে তার একজন গে পার্টনারও রয়েছে। আমি ভাইয়াকে বললাম, আপনার এইটা যতদ্রুত সম্ভব শেষ করা উচিত...অসম্ভব ভালোলেগেছিলো ঘটনার বুনোনটা (কিন্তু যথারীতি ঔচিত্যবোধ আটকে দিলো!)। এই গত সপ্তাহেও কথা হচ্ছিলো এক বৃটিশ বর্ন বাংলাদেশী পরিচালকের সাথে (অনেকেই হয়তো ফিল্ম ফোরের কারনে তাকে নামে চিনবেন)। তিনি তার দেখা জীবন নিয়ে, একজন ডিভোর্সড মহিলার পরবাসী জীবন নিয়ে ছবি করতে যাচ্ছেন। এই ছবি যদি শেষ পর্যন্ত বাজারে আসে তো আমি নিশ্চিত অনেক কন্ট্রাডিকটরি ব্যাপারের জন্ম দিবে! এখন অনেকেই হয়তো ঐ ছবি দেখে বলবেন, এইটা আমার দেখা জীবন না, এসব আমাদের সমাজে হয়না, তাহলে কিইবা বলার আছে! তবে স্ক্রীপ্ট যদি পাওয়ারফুল হয়, পরিচালক যদি স্কীলড্‌ উপস্থাপক হন তবে অনেক কিছুই সম্ভব। তাই ফারুকীদের এসব নাটককে নেগেটিভ নয় বরং বড় পরিবর্তনের শুরু হিসেবেই দেখছি।

ফারুকীকে ব্যক্তিগতভাবে জানিনা, এমন কি তার নাটক বানানোর ঢং-ও ভালো লাগেনা (এমন অনেকেরটাই লাগেনা)। তাও কিছু নাটক বিষয়বস্তুর কারনে ইন্টারেষ্টিং মনে হয়; মনে হয় বানানোর কৌশলটা একটু ভিন্নভাবে প্রয়োগ করলেই উতরে যেত!

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ধ্রুব হাসান,
নাটকের দর্শক হিসেবে সংলাপ শুনি/দেখি, কুশীলবদের চলাফেরা দেখি, আর বোঝার চেষ্টা করি - কী জন্য এ নাটক। এগুলো দর্শক হিসেবে আমার ব্যক্তিগত অনুভব। আমার নিজস্ব ঔচিত্যবোধ নিশ্চয়ই আমার নন্দন চেতনাকে শৃঙ্ক্ষলিত করতে পারে। কারণ, আমি ড্রয়িংরুমের চ্যানেলে ইতর মসলা উপভোগে প্রস্তুত নই, বিনোদিতও হই না। তাই নাটকের সংলাপই যথেষ্ট, নির্মাণ কৌশল নিয়ে ক্লাস নেয়ার লোক আমি না। স্রেফ দর্শক। অন্য কোনো দর্শকের কাছে এ নাটক 'বড় পরিবর্তনের শুরু' মনে হলে তাতে আমার আপত্তি নেই। আমার ঔচিত্যবোধ আরেকজনের উপর চাপাতে আগ্রহী নই। ধন্যবাদ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

"সংলাপ" ও "অভিনয়" সংক্রান্ত বিষয়ে, বাস্তবতার দোহাই দিয়ে বাংলা নাটকে নতুন ধারা যোগ (ইতিবাচক অর্থে) করার ব্যাপারে ফারুকী যা-ই দাবি করুক না কেন, তাতে আর যা কিছুই থাকুক, বাস্তবতা অন্তত নেই, আছে প্রবল রকমের ন্যাকামি। যাই হোক, নজরুল ভাই আর হিমু ভাই সুন্দর করে গুছিয়ে বলে দিয়েছেন সব উপরে। শুধু সহমত জানাই।

কাল নাটকটার কয়েক মিনিট দেখেছিলাম। কিছুদূর দেখেই "অখাদ্য" মনে হওয়াতে বাকিটা দেখার ইচ্ছা হয়নি আর। বরং অসাধারণ একটা সিনেমা দেখে ঘুমাতে গেলাম। সত্যি বলতে, "ফারুকীর নাটক" জানামাত্রই ইদানীং দেখার আগ্রহ হারাই। ব্যক্তিগত মত হলো, ওর বেশিরভাগ নাটকই এখন ন্যাকামির দুষ্টচক্রে আটকা পড়ে গেছে।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

হাচা কথা কই। আমার নাটক দেখতে একদমই ভালো লাগে না। শুধু কয়েকদিন আগে একটা নাটক খুব ভালো লাগছিল। অমিতাভ রেজার "একটি নন ফিকশন আর বাকী কয়েকটি ফিকশন"।

তবে এইটা দেখুম। আপনে এত কষ্ট কইরা লিখলেন। দেঁতো হাসি

---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

এনকিদু এর ছবি

কি বিদঘুটে গল্প রে বাবা ! জিলাপী খাইতে চাইলে মোড়ের দোকানে গিয়ে পাঁচ টাকায় গরম জিলাপী খাওয়াই সহজ ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

রণদীপম বসু এর ছবি

আমার কিন্তু নাটক দেখার চাইতে আপনেগো কথাগুলানই পড়তে ভালো লাগে বেশি। তাই এ ক্ষেত্রে কেবল পাঠকই থাকলাম। মন্তব্যকারী নই...

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মাহবুবুল হক এর ছবি

বাংলাদেশের ক্যাবল টিভি যত দ্রুত গ্রামে গঞ্জে ছড়াতে থাকবে নাটকের এইসব উর্বর থিম বা ড্রইংরুম সিলেবাস ততই মার খেতে থাকবে। তখন অবশ্য ফারুকীরা যেদিকে হাল সেদিকে পাল তুলে দেবেন, আফটার অল রিয়েলিটির ভক্ত তো ! সুশৃংখল শিল্প সৃষ্টির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী রীতি হিসেবে 'অর্থহীনতাই অর্থ 'এই মন্ত্র নিয়ে পাশ্চাত্যে ডা-ডা বাদের উদ্ভব ঘটেছিল। পতনও হয়েছিল একই কারণে।অনেকটা সেরকমভাবেই শুরু করেছিলেন ফারুকী কিন্তু ' অর্থহীন বাচালতা বেশিদিন মানুষকে স্বস্তি দেয় না, এটা ডা-ডা বাদীরা যেমন বুঝেছিলেন ফারুকীও শীগগীর বুঝবেন।
.................................................................................................................
কোথাও রয়েছে যেন অবিনশ্বর আলোড়ন:
কোনো এক অন্য পথে - কোন্ পথে নেই পরিচয়;

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

স্নিগ্ধা এর ছবি

সুশৃংখল শিল্প সৃষ্টির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী রীতি হিসেবে 'অর্থহীনতাই অর্থ 'এই মন্ত্র নিয়ে পাশ্চাত্যে ডা-ডা বাদের উদ্ভব ঘটেছিল। পতনও হয়েছিল একই কারণে।

ডা-ডা বাদ টা কী?

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই, একটা কথা বলি।
- নাটক আর সিনেমা নাকি জীবনের কথা বলে, ফারুকীর প্রথম কাজ 'ব্যাচেলর' দেখে ভেবেছিলাম তিনি সত্যি-ই একজন জীবন-ঘনিস্ট পরিচালক হবার যোগ্যতা রাখেন, কিন্তু পরবর্তী কাজ গুলো দেখে বোঝা যায়- তিনি কেবল একটি বিশেষ ধারার জীবন-ঘনিস্ট মাত্র। সে জীবনে মোবাইল বা ফেসবুকের প্রেম থাকে, নগর বা মফস্বলের ফ্লেক্সি-লোডের দোকানদারের তরুনী প্রিয়তার গল্প থাকে, অসমবয়সী শরীরী প্রেমের ছায়া থাকে; কিন্তু আশার কথা থাকে না। "স্পার্টাকাস" বা 'চড়ুইভাতি' কে ব্যতিক্রম ধরে নিয়ে আপনার ফ্যান পেজ থেকে, জনাব ফারূকী, আমি নিজেকে অনেক আগেই সরিয়ে নিয়েছি।
"আমি যারা অভিনয় পারে না, তাদের দিয়েই অভিনয় করাবো, 'খাইসি', 'মারসি' বলিয়ে বাস্তব জীবন দেখাবো"- এই উক্তির সত্যতা প্রমানে তিনি যত ব্যস্ত হয়েছেন, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নাটক দেখতে বসাটা ততই ঝুঁকিপুর্ন হয়ে উঠেছে।

ওসিরিস [অতিথি] এর ছবি

এনটিভি সীল মারা মগে চা খায় তারা

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

সামিয়া এর ছবি

নাটক তো দেখিনি তবে গল্প পড়ে মনে হল এটা হিন্দী ছবি "লাইফ ইন এ মেট্রো" এর থেকে নেয়া।
তবে এটা ফারুকী সাহেব এবং তার ভাই বেরাদারদের গল্পের প্রিয় বিষয়।

খেকশিয়াল এর ছবি

দেখতে হবে

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

মিডিয়াতে সারয়ার ফারুকীর প্রথম কাজ ভোকাট্টা। সম্ভবত ৯৯ সালে বানাইছিলো। আফজাল হোসেন আর আফসানা মিমি ছিলো নায়ক নায়িকা। সেটা এতোবছর কোথাও প্রচার হয়নাই। (প্রচার না হওয়ার কারন মান না, অন্য কাহিনি, সেটা এখানে বলার প্রয়োজন নাই) এটা বরঞ্চ অনেক ভালো একটা কাজ ছিলো। দশ বছর পর সেটা এবছর প্রচার হলো। সম্ভবত ১৩ তারিখ দুপুর বেলা চ্যানেল আইতে।
আমি বরঞ্চ এটা নিয়ে অনেক আশাবাদী ছিলাম। যদিও এটাও আমার দেখা হয় নাই। এটা নেটে পাওয়া যায় না? তাইলে এটা ডাউনলোড করে দেখেন। সম্ভবত প্রথম আমলের সারয়ার ফারুকীকে পাবেন।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আলাভোলা এর ছবি

স্পার্টাকাস দেখে ভীষন মুগ্ধ হয়েছিলাম এবং গতকাল বেশ আয়োজন করেই ফারুকীর নাটক দেখতে বসেছিলাম মা, বাবা, ভাই-বোনসহ। নায়কের লিটনের ফ্ল্যাটে যাওয়ার আকুলতা, ভীষণ স্থুল ডায়লগ এবং ইংগীত দেখতে দেখতে কয়েক মিনিটের মধ্যে ময়দান ফাঁকা।

===================
আয়রে ভোলা খেয়াল-খোলা
স্বপনদোলা নাচিয়ে আয়,
আয়রে পাগল আবোল তাবোল
মত্ত মাদল বাজিয়ে আয়।

ফাহিম এর ছবি

অনেক কষ্ট করেও প্রথম দশ মিনিট শেষ করতে পারলাম না... ফারুকী সাহেবের অবস্থাতো দিন দিন হুমায়ূন আহমেদের মতো হইয়া যাইতেসে। ঘটনাটা কি?

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

এনকিদু এর ছবি

এইটা আমি বলতে নিছিলাম, আপনি বইলা দিলেন হাসি


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

* সেরেন্ডিপিটি অনুসরণে যেকোন কিছুই ভাল হতে বাধ্য। এই মুভি দেখে সেই যে কেট বেকিনসেলের প্রেমে পড়লাম, আজও ছুটতে পারছি না। পছন্দের আরও অনেক ললনার মত তিনিও একেক জনকে বিয়ে করে বেড়াচ্ছেন, শুধু অধমের দিকে তাকানোর নাম নেই। মন খারাপ

* ফারুকীর নাটক দেখে সচেতন ভাবেই এড়িয়ে গিয়েছিলাম। হুমায়ূন আহমেদ, আনিসুল হক, ফারুকী, প্রমুখের যেকোন কিছুই এড়িয়ে চলি। এত বেশি বার ঠকেছি, আর ঠকতে মন চায় না।

* এই পোস্ট দেখে কিছুদূর দেখলাম নাটকের। জানার খুব ইচ্ছা -- এই দৈর্ঘ্যের একটা নাটক বানালে কত টাকা পকেটে পাওয়া যায়। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে তো চাকরির কোন লক্ষণ নেই। শেষ ভরসা হল এই রকম াল-াল লিখে টাকা কামানো!

* লেখক, শিল্পী, কারিগর, ইত্যাদি প্রতিটি পেশার মানুষের কিছু সামাজিক দায়িত্ব আছে। এই দায়িত্ব যারা অস্বীকার করে, তাদের ব্যাপারে আফসোস করা ছাড়া কিছু করার নেই। একই কথা মেধার বেলায় প্রযোজ্য। এই উপহার হেলায় হারানোর মত অপরাধ খুব কম আছে। ফারুকীর উপর এই কারণেই মেজাজ খারাপ হয়।

* "বাস্তবতা"র দৌঁড় অনেক দূর পর্যন্ত। এতে অনেক নোংরা ব্যাপার যেমন আছে, তেমনি অনেক শুদ্ধ ব্যাপারও আছে। কে কোন অংশ নিয়ে কাজ করছে, তা দিয়েই তার চরিত্রের অনেক কিছু উন্মোচিত হয়। দারিদ্র্য বা অশালীনতা সমাজেরই অংশ, কিন্তু তাই বলে এই ঘা বেঁচে খাওয়া নৈতিক হতে পারে না। একটা সময় ফটোগ্রাফার ও এনজিও'দের নিয়ে এরকম অভিযোগ উঠতো সঙ্গত কারণেই। চেষ্টা থাকা উচিত কীভাবে উন্নতি ঘটানো যায়, সমাজের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা যায়, সেই দিকে।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এই পোস্ট দেখে কিছুদূর দেখলাম নাটকের। জানার খুব ইচ্ছা -- এই দৈর্ঘ্যের একটা নাটক বানালে কত টাকা পকেটে পাওয়া যায়। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে তো চাকরির কোন লক্ষণ নেই। শেষ ভরসা হল এই রকম াল-াল লিখে টাকা কামানো!

আমিও ভাবতেছি।



অজ্ঞাতবাস

সবজান্তা এর ছবি

নাটকে ফারুকীর প্রথম ও শেষ ভালো লাগার কাজ একটাই, একান্নবর্তী। সেই ফারুকীর সম্ভবত মৃত্যু ঘটেছে।

সেই তুলনায় ফারুকীর ভাই ব্রাদারদের মধ্যে রেদওয়ান রনি এবং ফাহমি বেশ ভালো নাটক লিখছেন এবং পরিচালনা করছেন, হাউজফুল।


অলমিতি বিস্তারেণ

হিমু এর ছবি

নির্মাতারা যে খোদ নাটকটিকে লিটনের ফ্ল্যাটে নিয়ে রমণ করে ছেড়েছেন, তাতে সন্দেহ নাই হাসি

বাই দ্য ওয়ে, পয়লা ডেইটেই কোপানোর আইডিয়াটা কি ভালু? এ ব্যাপারে এক্টু "রয়েসয়ে" অবলম্বন করা কি ভালু নয়?


হাঁটুপানির জলদস্যু

সবজান্তা এর ছবি

হ, মিস্ফায়ার হৈলে ব্যাপারটা চ্রম খ্রাপ হবে।


অলমিতি বিস্তারেণ

ওসিরিস [অতিথি] এর ছবি

শেষ ভরসা হল এই রকম াল-াল লিখে টাকা কামানো!

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ওসিরিস [অতিথি] এর ছবি

মাত্র নাটক টা দেখলাম......... ওয়াক ...থু

ভুখা নাঙ্গা রে দিলে সেও হজম করতে পারবে না।
এমুন জঘইন্য ডায়লগ আর আর্টিস্ট জন্মে দেহি নাই।

ফারুকি সাহেব রে লিটনের ফ্ল্যাটে নিয়া বাটতে ইচ্ছা হইতাছে.....

রেনেট এর ছবি

একান্নবর্তী দেখে বেশ ভালো লেগেছিলো...কিন্তু ব্যাচেলর দেখার পর আর ইন্টারেস্ট পাই না।
বাংলাদেশে একবার বিখ্যাত হলে মাথা ঠিক থাকে খুব কম লোকের।
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

দিগন্ত এর ছবি

নাটকটা দেখলাম কিছুটা, অভিনয় ও গল্প দুইই দুর্বল মনে হল। কিন্তু অনেকেই এখন এ ধরণের নাটক বানাচ্ছে, তার মানে দর্শকও মিলছে ... লোকে দেখলে নাটক তৈরী হবেই, লোকে না দেখলে নাটক এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- নাটকটা খুঁজেছিলাম তখনই, পাই নাই। দেখি আপনার লিংক ধরে নামিয়ে দেখে নিবো নে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

বিপ্রতীপ এর ছবি

ফারুকী সাহেবের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি... নাহয় তার গায়ে মিডিয়া যে 'মেধাবী নির্মাতা'র ট্যাগ লাগিয়েছে সেটা বেশিদিন টিকবে না...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...

অনিশ্চিত এর ছবি

চড়ুইভাতি দেখে ফারুকীর ওপর আগ্রহ জন্মেছিলো। ব্যাচেলর দেখে সেটা কিছুটা মিইয়ে গেলেও তাঁর কাছ থেকে দারুণ কিছু পাওয়ার আশাটা থেকেই গিয়েছিলো। কিন্তু তিনি সেটা পূরণ করতে পারেন নি। জীবন তো আর টিনএজার কিংবা গুলশানের আলিশান ফ্ল্যাটে মেসে থাকা যুবক-যুবতীদের কিছু তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া নয়! এই মানুষগুলোরও অন্য জীবন আছে।

তবে আমি বিশ্বাস করি, ফারুকী এখনও অনেক কিছুই দিতে পারেন আমাদের, যদি তিনি ইচ্ছা করেন।
‌‌-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!

‌‌-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!

ধুসর গোধূলি এর ছবি
নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

ফারুকীর নাটকটি ছিল চূড়ান্ত ফাল্তু জঘন্য !

এটিএন এর নজুর নাটকটি দেখেছি । সপরিবারে ভাল লেগেছে ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

অমিত এর ছবি

বেশি কিছু কমু না, খালি কই যে যেই ঘটনাগুলা এই নাটকে দেখলাম, হবহু একই জিনিস আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগেই এই অভাগা অবলোকন করেছিল। এই পরিস্থিতিতে আমার চেনা অনেক পোলাপানরেই পড়তে দেখেছি। তাই ঘটনাগুলা নতুন মনে হয় নি।খালি সেলফোন ব্যাপারটা ছিল না।
আমি কিছু জাস্টিফাই করছি না। খালি ঘটনাগুলা যে আর আধুনিক নাই, সেটাই বলা।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

একমত @ অমিত ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নিঝুম এর ছবি

একটা অংশই বার বার ঘুরে ফিরে দেখলাম, পিন্টুর ফ্রেন্ডটা , পিন্টুর বাবাকে ফোন করে " পাক্কাস কোর্স" করতে বলার করবার অংশটুকু । কি কারনে যেন এই অংশটুকুই বার বার দেখা হয়েছে ।

নাটক টা নিয়ে অনেক কিছুই বলার ছিলো । বললাম না । অর্থহীন ।

ফাহমি,আশুতোষ সুজন,রনি,মারজুক,ফারুকী, এরা সবাই সুস্থ হয়ে উঠুক । ছবিয়াল বাহিনী সঠিক প্রোটিন পেয়ে আরো পরিপুষ্ট হয়ে উঠুক , এই কামনায়...
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

বিমূঢ় এর ছবি

রণদীপম বসু দা এর মত বলব। আপনাদের কমেন্টস পড়েই ভালো লাগছে। নাটকটি দেখলাম কিছুক্ষন আগে। লাষ্ট মোমেন্টে একটা মেসেজ রেখে পুরোটাই বাকওয়াস। ইদানিং ফারুকীর অভিনেতা অভিনেত্রীদের আরো অভিনয় শিখতে হবে। দেশে থাকা কালীন মিরপুরের আমার দুই কাজিনদের দেখে বলব নাটক বা সিনেমাতে কাজ করার জন্য অবশ্যই থিয়েটারে কাজ করতে হবে। থিয়াটারটা হচ্ছে অভিনয়ের ক খ শেখার জায়গা, অথচ ফারুকীর অভিনেতা অভিনেত্রীদের এই ক খ ও জানছে না। যেই কারন সব সময়ই একটা ফাক ফোকর রয়ে যায়। বহুদিন আগে ফারুকীর এক নাটকে দেখেছিলাম, বিপাশা হায়াত এর একটা নাটক, নাম মনে হয় "প্রিয়তমেসু"। ঠিক মনে করতে পারছি না নামটা। সেই নাটকটা খুব ভালো লেগেছিল। তবে ফারুকীর আগের কিছু নাটক খুব ভালো ছিল। বর্তমানে নাটক বানানো কমে দিয়েছে, কিন্তু চিন্তা করতে পারেনি এই রকম কিছু হবে। স্পার্টাকাস ৭১ দেখে ভালো লেগেছে। দুইটা পার্ট ভালো লেগেছে।
ভালো লাগল সববেশি মন্তব্য পড়ে।

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

নাটকটার অংশবিশেষ চোখে পড়ে গিয়েছিল আচমকাই চ্যানেল ঘুরতে ঘুরতে। আমার বউয়ের চরম বিস্মিত ও আহত প্রশ্নটা ছিল এরকম : এনটিভির মতো চ্যানেল ভ্যালেন্টাইনস ডে-এর দিন এই নাটক দেখাচ্ছে?
হ্যান্ডিক্যাম দিয়ে করা ভিডিওর ল্যাঙ্গোয়েজ অনুসরণ করা হয়েছিল, আর ছেলেমেয়েগুলোর কথাবার্তা, বডি ল্যাঙ্গোয়েজ সবই ছিল কৃত্রিম ধরনের ও আলগা ফাইজলামি টাইপ, যেটা ফারুকীর সব নাটকেই থাকে। আমি আধুনিক মানুষ হিসেবে ব্যতিক্রমী জিনিসের বিপ্লবী উপস্থাপন ভালোবাসি। কিন্তু কী আছে এই নাটকে?
দর্শককে চমকে দেয়া, সুড়সুড়ি দেয়া, একটা বিতর্ক তৈরি করা, নিজেকে ও নিজের নির্মাণকে অযথাই ব্যতিক্রমী হিসেবে উপস্থাপন করা ছাড়া আর কিছু ছিল বলে মনে হয় না আমার।
যারা এগুলো করতে চান, এরকম অনেক বড় শিল্পী, লেখকের সম্পর্কে আমার ভালো লাগা বা শ্রদ্ধার বোধ নষ্ট হয়ে গেছে বহুদিন আগেই। সেখানে ফারুকী কোন ছার!
---------------------------------------------
আমাকে ছুঁয়ো না শিশু... এই ফুল-পাখি-গান সবই মিথ্যা!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।