হারিয়ে যাচ্ছে পত্রমিতালী

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: শুক্র, ১৭/০৪/২০০৯ - ১২:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমেরিকার সিয়েরা আর ইংল্যান্ডের মারলিন যখন প্রথম বারের মতো দেখা করে তখন একজনের বয়স ৬৭ আরেকজনের ৬৮। অথচ দু'জনের যোগাযোগ শুরু আরও ৫৬ বছর আগে। আটলান্টিকের ওপার থেকে চিঠি আসে সিয়েরার স্কুলের ঠিকানায়। তারপরে দুজনের পত্রমিতালী। এতোদিন পরে সেসব স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে দু'জনই স্মৃতি বিহবল হচ্ছে, বলছে - কী কী তারা শেয়ার করতো চিঠিতে - কী করে মাঝে ৮ বছর যোগাযোগ হয়নি, আবার কীভাবে যোগাযোগ হলো, এইসব।
এ তো গেলো ইন্টারনেটে খুঁজে পাওয়া পত্রমিতালীর পুরনো গল্প।

অথচ আমাদের জীবনে এই বছর দশেক আগেও পত্রমিতালীর ছাপ ছিলো। বুদ্ধদেব গুহের 'সবিনয় নিবেদন' সাহিত্য হিসেবে কালজয়ী। কিন্তু, বাস্তবে মানুষ পত্র মিতালী কেনো করে?
অচেনা মানুষের সাথে যোগাযোগ, পরিচয়ের উৎসাহ, বয়সের উৎসুক্য - নাকি আরও বেশি কিছু?
আগে নানান ম্যাগাজিনে বিজ্ঞাপন থাকতো -
মুক্তমনের ছেলে/মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব করতে চাই।
উদার বন্ধুত্বে আগ্রহী, হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল...
কেবল বরিশালের মেয়েরা লিখুন, আমি এক হতভাগা মানুষ হাত পেতেছি...

এরকম বাহারী সব আহবান।
তসলিমা নাসরিনের লেখালেখির শুরুও নাকি পত্রমিতালীর বিজ্ঞাপন থেকে।

পত্রমিতালী থেকে পরিচিত হয়ে সংসারী হয়েছেন, এমন ঘটনাও অনেক।
একসময় রেডিও'র নানা অনুষ্ঠানে চিঠি লেখার সুবাদে আমার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল - রাজশাহী বাঘা থানার এক ছেলের...।
পত্রিকায় 'শব্দজব্দ' ছাপানোর সুত্রে বোধ হয় সব'চে বেশি পত্রমিতালীর আহবান পেয়েছি।
তবে, বেশ কয়েকবার নামের শেষ অংশটুকু ছাপার কারণে - মেয়ে ভেবে অনেক প্রেমাকাঙ্খী যুবক ভাই বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছিলো চোখ টিপি
অন্যদিকে মনে পড়ে - কক্সবাজারের সুমি, আলেকান্দার জুলি, পশ্চিম রাজাবাজারের নিম্নি পাল; গোটা গোটা হাতের অক্ষর...। আহা!

দেশ বিদেশের ১ হাজার ছেলে মেয়ের নাম ঠিকানা ও ফোন নম্বরের স্লোগানওয়ালা পত্রমিতালী গাইডের বিজ্ঞাপন বোধ হয় এখনো কালেভদ্রে পত্রিকায় দেখা যায়...।

তবে হারিয়ে যাচ্ছে পত্রমিতালী।
প্রযুক্তি এখন মানুষকে কাছাকাছি নিয়ে এসেছে, জীবনকে গতিময় করছে। হাতে চিঠি লিখে খামে পুরে ডাকঘরে গিয়ে পোস্ট করার দিন ফুরিয়েছে ইন্টারনেট আসার সাথে সাথে।

'হাই সুজি এট ইয়াহু, তোমার খবর কি হাউ ডু ইয়্যূ ডু
আমার বাড়ী যাদবপুর আর তোমার বাড়ী সিংগাপুর
টেকনোলজির এ যুগে মোটেও নয় যে দূর'

প্রতীক চৌধুরী গেয়ে গেছে তা'ও দশ বছর হতে চললো।

সিংগাপুরের সুজি, টেক্সাসের জেনি এক ক্লিকেই কথা বলছে মীরপুরের পল্লবীর টিনশেডের ঘরে কিংবা এক্সপ্লোর সাইবার ক্যাফেতে বসা পরাগের সঙ্গে। মিরপুর-সিংগাপুর, মতিঝিল-কারগিল, কিংবা বাসাবো-কসভো; দূরত্ব কমে গেছে দিনদিন। মেইল-টেক্সট চ্যাটের পরে ভয়েস চ্যাটে বাড়ছে যোগাযোগ। গতির তোড়ে চ্যাট বক্স থেকে মোবাইল ফোনে...। ওভারকম্যুনিকেটেড সোসাইটির অভিযোগ তুচ্ছ করে মোবাইলের আলাপও সংক্ষিপ্ত হয়ে যায়। রংপুর মেডিক্যাল কলেজের তুশি ঢাকা মামার বাসায় বেড়াতে এসে ২য় বিকেলেই দেখা করে মিসকল মিসকল খেলায় পরিচিত অভির সংগে। সাহসের কমতিতে ছাদেই দেখা হয়। আর শহুরে কিশোর কিশোরী, তরুণ তরুণীরা ততক্ষণে 'ডিঙি'তে চলে গেছে। অথবা ম্যাংগো ক্যাফেতে।

টেস্ট ক্রিকেটের পরে ৫০ ওভারের ওয়ান ডে আরও সংক্ষিপ্ত হয়ে টুয়েন্টি২০ ম্যাচ হয়ে যায়। ফলাফল জানতে অপেক্ষার তীব্রতা প্রবল।
তেমন করেই তীব্রতা অচেনা মানুষের সঙ্গে দেখা করার। তাই আগের মতো অপেক্ষা নেই, নেই চিঠি লিখে ফিরতি চিঠি পাওয়ার অপেক্ষা, গেরুয়া খামের ঘ্রাণ। নেই অনুভূতি - 'আজ সকালেই মনে হয়েছিলো, তোমার চিঠি পাবো। দুপুরে বাসায় ফিরেই তোমার চিঠি পেলাম। জামা কাপড় না পালটে, না খেয়েই লিখতে বসেছি। বিকেলের ডাকে পোস্ট করবো।'
ফিরতি চিঠিতে - 'এই যে মিস্টার, পেটের খিদে নিয়ে চিঠি লিখতে নেই, তাহলে মনের খিদেও চলে আসে।'
হায় ঋতু রায়, হায় রাজর্ষি বসু! আপনাদের হাতেও মোবাইল এসে গেছে বুঝি!

দু'বছর আগে থেকে বাংলাদেশে টেলিগ্রাম সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। পাপিয়া সরোয়ার কি এখনো গাইবেন - 'নাই টেলিফোন নাইরে পিওন, নাইরে টেলিগ্রাম।'
কিংবা মাকসুদের 'আজ তোমার চিঠি যদি না-ই পেলাম, তবে ভেবে নেবো ডাকপিওনের অসুখ হয়েছে।'
এ সবই গল্প হবে একদিন...
প্রায়ই পত্রিকায় দেখি - ডাক বিভাগ লস দিচ্ছে বছর বছর। 'চিঠি লিখুন, চিঠি স্থায়ী' কেবল ডাক দিবসের স্লোগানে বন্দী।

হারিয়ে যাচ্ছে, চেনা-অচেনা মানুষের কাছে চিঠি লেখার দিন। বন্ধুর কাছে চিঠি লেখা, খামের কিংবা চিঠির কাগজ-কালির মতো নস্টালজিক ঘ্রাণ হয়ে যাচ্ছে...।
হারিয়ে যাচ্ছে পত্রমিতালী।

মধ্যরাতের পরে ডিজুস ফ্রি কলের যুগও ফুরালো। ফোন নম্বর জানার কিংবা জানানোর ঝামেলা নেই। শুনেছি - জিপি'র ২৮২৮ সার্ভিস ফোন নম্বর প্রকাশের ঝামেলা মিটিয়ে দিচ্ছে, চুটিয়ে আড্ডা দিচ্ছে - বিচ্ছিন্নতায় বেড়ে উঠা নিঃসংগ কিংবা অস্থির বাটারফ্লাই তরুণদল।
সুষম সাইবার সমাজে মেল শভিনিজম এবার ভাঙলো বলে...।

ইউটিউবে ঘুরতে ঘুরতে পেলাম লেডিchatআর্জির ডাক -
'আমার সংগে চ্যাট করবে? আমি সা-রা-রা-ত চ্যাট করি...'


মন্তব্য

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

নস্টালজিক করে দিলেনরে ভাই!

সুমন চৌধুরী এর ছবি

একসাথে এতো কথা মনে হলো যে একবারে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারলাম না। এক্টু পরে জানাচ্ছি।

এই প্রসঙ্গটা এই মুহুর্তে অনেক বেশী আলোচিত হতে হবে...শুধু এইটুকু আপাতত বলে গেলাম...



অজ্ঞাতবাস

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

বদ্দার কাছ থেকে ডিটেইল শুনতে মঞ্চায়...

মূলত পাঠক এর ছবি

আমার দশাও সুমন চৌধুরীর মতো। লিখতে থাকুন।

স্নিগ্ধা এর ছবি

এখনও - সুন্দর বাংলায় লেখা চিঠি (অবশ্য ইমেইল হলেও, দুঃখিত মন খারাপ ) 'র আবেদন/আকর্ষণ/আনন্দ আমার কাছে সব কিছুর চাইতে বেশী! আমার এমনিতেই লিখতে টিখতে কষ্ট লাগে, আবার এখন চিঠিও যদি হাতে লিখতে হয় তো আর লেখাই হবে না, কিন্তু চিঠি পেতে বড্ডই ভালোবাসি হাসি

যথারীতি, চমৎকার লেখা - শিমূল!

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আমারও একই অনুভূতি। হাতে লেখা চিঠির আবেদনই আলাদা। শেষ হাতে চিঠি লিখেছিলাম গত বছর এক প্রবাসী বন্ধুকে...

ধন্যবাদ।

মূলত পাঠক এর ছবি

শেষের ঐ কুচ্ছিত গানটা শুনে ভির্মি খেলাম। মাকসুদের গানটা ইউটিউবে আছে নাকি?

আর ভায়া, 'রাজর্ষী'টা কী হলো? নিজের নাম কি না, বানান ভুল দেখে ভারি ব্যাদনা পাইলাম মন খারাপ

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ওহ, আপনি রাজর্ষি! এমন নাম বাদ দিয়ে 'মূলত পাঠক' কেনো!!
রাজর্ষি ঠিক করে দিলাম।

ইউটিউবে পেলাম না-
অডিও চলবে?

Get this widget | Track details | eSnips Social DNA

হিমু এর ছবি

আমার চিঠি লেখার অভ্যাস নেই। আমার বড় বোন যখন পড়াশোনার সূত্রে পরিবার থেকে দূরে ছিলেন, তখন কোন কারণে মন খারাপ থাকলে তাঁকে চিঠি লিখতাম, সেগুলো বেশিরভাগই আম্মার নামে নালিশে ভরা থাকতো। চিঠিগুলো কদাচিৎ পোস্ট করা হতো, তোষকের নিচে জমিয়ে রাখতাম, আপা ছুটিতে বাসায় এলে বার করে দিতাম। তিনি খুব মনোযোগ দিয়ে সব পড়তেন, বানান ভুল করলে ঠিক করে দিতেন, আম্মাকেও গিয়ে বকে আসতেন। তিনি এখনও বহু দূরে বাস করেন, চিঠি আর তাঁকে লেখা হয়নি হাই স্কুলে উঠে যাবার পর।

অচেনা কারো সাথে মেইলমিতালি অবশ্য পরে হয়েছে, তাঁরা মেক্সিকো সিটি ও ঢাকানিবাসিনী। তাঁদের সাথে দেখা হয়নি, কিন্তু অন্তরঙ্গ বাক্যবন্ধ চালাচালি হয়েছে শুধু। মেক্সিকো থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছি স্প্যানিশ-ইংরেজি ডিকশনারি, চুম্বনাঙ্কিত চিঠি, অনেক ছবি, দিল্লীতে গিয়ে দেখা করার অনুরোধ। ঢাকা থেকে অনুরোধ এসেছে ঢাকাতেই কোথাও দেখা করার, কিন্তু সেই জায়গাগুলো দিল্লীর চেয়েও দূরবর্তী রয়ে গিয়েছিলো, খামাখাই।

তবে অচেনা মানুষের সাথে মন খুলে লেখালেখি এখন আর নিরাপদ নয়। বাংলা ব্লগের মনোযোগী পাঠক আর জনৈক দুবাইনন্দন তা হাড়ে হাড়ে জানে চোখ টিপি



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ঢাকা থেকে অনুরোধ এসেছে ঢাকাতেই কোথাও দেখা করার, কিন্তু সেই জায়গাগুলো দিল্লীর চেয়েও দূরবর্তী রয়ে গিয়েছিলো, খামাখাই।

এইটা কী লিখলেন! মারাত্মক লাইন...

দুব্বাইনন্দন? হা হা হা- "হায়রে সুইট পাগলী!" গড়াগড়ি দিয়া হাসি

তারেক এর ছবি

আমার অভিজ্ঞতাও হিমু ভাইয়ের মতোই... জীবনে বাংলায় লেখা প্রথম লেখা চিঠি পাঠিয়েছিলাম মেজাপুর কাছে, ও দেশ ছাড়ার পরে।
ভিনদেশি ফ্রেন্ড আমার দুই একজন আছে এখনো। হাতে লেখা চিঠি লেনদেন হয় বার্থডে বা ক্রিসমাসে। উপহারও আসে , যায়... তবে যোগাযোগ মূলতঃ ইমেইল আর মেসেঞ্জারে।
পত্রমিতালীর ঐ যুগটা বোধহয় আমি মিস করেছি। তবে পত্রিকার পাতায় বিজ্ঞাপনগুলো চোখে পড়তো মাঝে মাঝে। মোবাইল যুগের পর এইসব ট্রেন্ড এক্কেরে নাই হয়ে গেসে। তবু এরকমই হবার কথা ছিলো মনে হয়। সেটা ভেবে খুব আফসোস হয় না।

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

স্বপ্নাহত এর ছবি

ভাইজান তো এই মাঝরাত্রে মাথা পুরা নষ্ট কইরা দিলেন!

যদি বলি এখন পর্যন্ত লেখা আমার মোট চিঠির সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যাবে তাইলে শুনলে চাপা মনে হইলেও কিছু করার নাই। এইটাই সত্যি!

চিঠি লেখা আর চিঠি পাওয়ার যে কী মজা তা যারা পাইসেন এবং দিসেন তারা মাত্রই জানেন।

বাসায় এখনো শ'খানেক চিঠি যত্ন করে আলমারীতে রাখা আছে। তার সিংহভাগই পত্রমিতালীতে পাওয়া।

মনে আছে ক্লাস সেভেনে থাকতে সেই কোথাকার কোন দেশ ইতালীর বোলজানো থেকে ১৩ বছর বয়েসী গিয়াকোমো রিনাল্ডির প্রথম চিঠি পেলাম সেটা হাতে নিয়ে অনেকক্ষণ থ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমার বিশ্বাসই হচ্ছিলনা এতদূর থেকে কেউ আমাকে চিঠি পাঠাতে পারে...

আর ক্যাডেট কলেজের রেস্ট্রিকশনের জন্য কত যে কাহিনী ঘটাইসি শুধু এই পত্রমিতালীর চিঠি নিয়ে তাও একেবারে কম হবেনা কড়ে আঙুল ধরে ধরে গুনতে গেলে।

কতদিন ধরে যে হাতে লেখা চিঠি পাইনা!

সবচে দুর্ভাগ্যের কথা হলো সেই পত্রমিতালী থেকে পাওয়া সবচে ভাল বন্ধুটার সাথে যোগাযোগ এখনো আছে। শুধু পার্থক্য হলো আগে সে আমাকে সর্বোচ্চ ১৬ পাতার চিঠি লিখতো আর এখন এমএসএন এ হোয়াটস আপ আর হাই হেলোর মধ্যেই চলে সব কথা বার্তা।

এই দু:খ রাখি কোথায়! মন খারাপ

---------------------------------

তাও তো ভারী লেজ উঁচিয়ে পুটুশ পাটুশ চাও!

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

১০০০ চিঠি নিয়ে ১০০০টা পোস্ট লিখেন...

অতিথি লেখক এর ছবি

একটা বয়সে পত্রমিতালীর ঝোঁক তৈরী হয় বটে তবে বাবা-মায়ের দ্বারা পিঠের সাধের

চামড়া বাঁচাতে সেই দিকে অনেকে অগ্রসর হন না...সে ক্ষেত্রে মোবাইল খানা ভাল, এক

দিকে সেখানে এস.এম.এস আসলে পিঠের চামড়া অন্তত বাঁচে আবার যোগাযোগ রক্ষা

ও হয়..
সম্পর্কে এক কাজিন আমার পত্র মিতালী ছিল..মেয়ে সিওর হয়েই চিঠি আদান প্রদানে

বাঁধা দেননি বাবা-মা । সেই মিতালীও এখন নেই সানগ্লাস ট্রাজেডির কারণে...যদিও তার চিঠি গুলো এখনও রয়ে গেছে
তবে মন থেকে চাইবো -বেঁচে থাকুক পত্রমিতালী...

(জয়িতা)

musicforlife.du@yahoo.com

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

শিমুল ভাইয়ের লেখার আমি বিশাল ফ্যান।এই লেখাটাও সিরাম হইসে।
...এই জেনারেশনের আমিও একজন। কিন্তু আমারো মনে হয় আশি কিম্বা নব্বইয়ের দশকই ভালো ছিলো... অন্যসব বাদ দিয়ে কেবল রোমান্টিসমের কথাই ধরি, এখন বড়ই অভাব ও বস্তুর। বালক-বালিকাদের বড়ই তাড়াহুড়ো।...( চিঠি সেই একবারই পেয়েছিলাম ছোটকালে, এখন কেবল এসএমএস পাই খাইছে)

---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

রণদীপম বসু এর ছবি

হাহ্ হা শিমুল, দিলেন তো প্যাঁচ লাগাইয়া ! এখন আবার আমার সেই মাঝ পথে থেমে যাওয়া ডায়েরী সিরিজটা মনে হয় ফের চালু করতে হবে। এক-দুই-চার-ছয় পাতায় মন ভরতো না বলে শেষ পর্যন্ত লিখতে লিখতে ডায়েরী পূর্ণ করে গোটা ডায়েরীটাই পোস্ট করে দিয়েছিলাম এককালে ! হা হা হা ! বেশ ক'বছর পরে বিস্ময়করভাবে সেই ডায়েরীটা ফেরৎ পেয়ে অবশেষে সতের বছর আগের কৃতকর্মটাই সিরিজ হিসেবে একটা ব্লগে সম্ভবত ২৫/২৬ টা পর্ব চালিয়ে সময়াভাবে বাকিগুলো লিখা হয় নি । মনে করিয়ে দিলেন...।

নিজে কখনো পত্রমিতালী করি নি, তবে অন্যের মিতালীর বহু চিঠি লিখে দিয়েছি আমি। তেমন এক জুটি পরবর্তীতে জীবনমিতাও হয়েছে ! সেসব বহু কাহিনী !
বরাবরই চিঠিটাকে একটা শিল্প হিসেবে মনে করে এসেছি সবসময়। আর তাই মোবাইল সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ায় বকেয়া কিছু চিঠির উত্তর আর দেয়া হয় নি বলে মোবাইল-তাগাদা পেয়েও কলম না ধরার কারণে বন্ধুত্বে শীতলতাও নেমে এসেছে কোন কোন ক্ষেত্রে। সে অনেক কথা, যাক্ ! তবে পত্র-সাহিত্য নামে যে একটা শিল্প ছিলো সেটা এখন শুধুই ইতিহাস। আর অপেক্ষা বা প্রতীক্ষা নামের যে অসহ্য আনন্দটি থেকে আজকালকার প্রণয়জুটিরা বঞ্চিত, এর মাজেজা এরা কি কখনও জানবে, না উপলব্ধি করবে ?

প্রণয়ের এক মহার্ঘ উপলব্ধি থেকে এরা বঞ্চিত, এটা ভাবলে হিসাব মেলাতে পারিনা, এখানে এই ব্যাপ্তিহীন প্রেমের গভীরতা কতটুকু আর বাকি থাকে...!!

চিঠির বিকল্প কেবল অবিকল্প চিঠিই, অন্য কিছু নয়...!!!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

এখানে এসে প্রথম দুবৎসর ক্লাস শেষে ডর্মে এসেই চিঠির বাক্স খুলতাম!!
শুভাকাঙ্খীদের পাঠানো একটা চিঠি, পোস্ট কার্ড -- দিনের বাকী অংশটাকে অন্যরকম করে দিতো।

আর এখন ? শুভাকাঙ্খীর তালিকায় আছে ক্রেডিট কার্ড কোম্পানী, পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎবিলের কোম্পানী, রিয়েল এস্টেট এজেন্ট, হাফ দামে চুল কেটে দেবে এমন সেলুনের মালিকেরা! আহা!

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

(পার্থসারথি মুখার্জী)

এই প্রসঙ্গ শুধু আলোচনা নয় , আন্দোলনেরও দাবী রাখে । প্রযুক্তি আমাদের খাম খোলার আনন্দ থেকে বঞ্চিত করেছে বটে কিন্তু সে দায় তো শুধু প্রযুক্তির নয় । এর জন্য সম্পূর্ণভাবে আমরাই দায়ী । এখন মাঝে মাঝেই মনে হয় ই মেলে বড্ড তাড়াতাড়ি ছুট লাগিয়েছি । চিঠির খামের ছায়ায় ,কাগজের গন্ধে দুমিনিট বসলে এমন কি বিরাট ক্ষতি হয়ে যেত ?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আমি মনে করি, কাগজের চিঠির চেয়ে ইমেইল অনেক বেশি কাজের। কাগজের চিঠির রোমান্টিকতার হিসেবে একটা বড়সড় ফাঁক আছে। এখন জীবনের গতি অনেক বেড়েছে। কাগজের চিঠির ওম নেয়ার সেই সময়টা কই?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

পার্থসারথি মুখার্জী এর ছবি

হক কথা , তবে বাঙালী হয়ে র‌্যোমান্টিকতা আর হিসেব শব্দ দুটোকে পাশাপাশি রাখলেন ? কাগজের ওম নেওয়ার সময় নেই ঠিকই । কিন্তু বিশেষ বিশেষ দিনগুলো যেমন নববর্ষ , পুজো , ঈদ , জন্মদিন এসব ক্ষেত্রে হাতে লেখা চিঠির মধ্যে দিয়ে যেন প্রেরককে ছুঁতে পারি , সেটাও আমার কাছে কম পাওয়া নয় ।

তানবীরা এর ছবি

Ami ekhono niyom kore chitthi likhi bhai. Type kore likhi unnoto projukti te. Meyer day care, tax office, Dutch embassy te aro kotto bondhu amar. Joto agrohe na likhi tar theke tingun agrohe uttor er opekkha kori. Tarao kham ee uttor pathay :-}

Jader onek kichu chilo tader haranor kosto ache, jader chilo na tader kosto o nei :-}

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আপনি তো দেখি বিরাট পত্রমিতা, তাতাজী। অ্যাঁ
পত্রমিতালীতে বোন চেয়ে একজনের বিজ্ঞাপন দেখে লিখেছিলাম একটা চিঠি। তখন আমি বোধহয় ক্লাস এইটে। উত্তর পাই নাই। মন খারাপ
আমারো আর লেখা হয়নি কিছু। তবে ঠিকানাটা দেখলাম এখনো মনে আছে।
খুলিয়াপাড়া
শেখঘাট
সিলেট হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

রেনেট এর ছবি

আজকেই চিঠি লিখছি! দেঁতো হাসি
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

অধীর অপেক্ষায়, ভাইয়া... দেঁতো হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

রেনেট এর ছবি

আপনাকে না,খুলিয়াপাড়া, শেখঘাট, সিলেট এই ঠিকানায় হো হো হো
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

রেনেট এর ছবি

ওহ...আমার বুঝতে ভুল হয়েছে...আমি ভেবেছিলাম আপনি বোন খুঁজছিলেন ঐ ঠিকানায় মন খারাপ
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

একটু আশার আলো দেখতে পাচ্ছিনু... মন খারাপ

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

রেনেট এর ছবি

থাক, আর কাইন্দেন না মন খারাপ
আমি চিঠি পাঠাচ্ছি...তবে হাতের লেখা বোঝার দায়িত্ব আপনার দেঁতো হাসি
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আচ্ছা। দেঁতো হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

গৌতম এর ছবি

পত্রমিতালী নিয়া কিছু না বলি, কারণ বললে মহাভারত কাঁদ্বে।

মোবাইল আসার আগে প্রতি মাসে মায়ের চিঠি পেতাম। পেতে পেতে বিরক্ত হয়ে একদিন মাকে বললাম- তুমি আর চিঠি পাঠিও না। আমি তোমার একটা চিঠি লেমিনেটিঙ করে টানিয়ে রেখেছি। যখন ইচ্ছে হবে ওটাই দেখে নিবো।

কারণ মা আমাকে যেসব চিঠি লিখতো সেগুলোর সবগুলোই দাড়িকমাসহ হুবহু একই ছিলো। এক চিঠির সাথে আরেকটির পার্থক্য ছিলো না। বিষয়বস্তু ছিলো চারটি- ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া, শরীর ঠিক রাখা, সাবধানে থাকা, আর কবে বাড়ি যাবো।

এখন মোবাইলে কথা হয় প্রতিদিনই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

হাসি
...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

মাহবুব লীলেন এর ছবি

চিঠি জিনিসটাকে ভয়ানকভাবে মিস করি আমি
২০০০-২০০১ পর্যন্তও সপ্তায় সাত আটটা চিঠি লিখতাম বিশাল বিশাল

তারপর ছেদ পড়ে গেলো
তারপর একবার চেষ্টা করলাম পিসিতে লিখে পোস্ট করে অভ্যাসটা আবার ফিরিয়ে আনতে

কিন্তু হলো না

সম্ভবত চিঠির গল্প লেখা কিংবা গল্পে চিঠি লেখা ছাড়া আর কোনো চিঠি লেখা হবে না আমার

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ভাবতেছি হাতে চিঠি লিখে সেটা স্ক্যান করে অ্যাটাচ করে ইমেইলে পাঠিয়ে দেওয়া শুরু করবো কী'না! দেঁতো হাসি

সুমন সুপান্থ এর ছবি

নষ্টালজিক করে দিলে শিমুল ।
এই জন্মে যে একটা কাজ ঠিক মতো করতে পেরেছি , তা এই চিঠি লেখা আর চিঠি পড়া ...
আমাদের পাড়ার ডাকপিয়ন , কপালী দা ( তার কপাল কোনদিনই ফিরে নি
- নামেই শুধু পদ্মলোচন !) বলতেন , 'তোর জন্য ই কেবল প্রতিদিন এই দিকে আসতে হয় ! এমন কোন দিন নাই তোর চিঠি আসে না !'

আসলেই । সে এক দিনগুলি আর রাতগুলি ! শতেক চিঠি...শতেক রঙ ... বলতে কি এখনও কেন জানি চিঠি লিখতেই চাই ...পেতে তো বটেই ।

শুধু চিঠি নিয়ে একটা লেখা ছিলো । হারিয়ে গেলো । না হয় এখানে দিয়েই দিতাম ...এমন উসকানি দিলে তুমি !

ভালো লাগলো খুব

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

পরিবর্তনশীল এর ছবি

শিমুল ভাইয়ের লেখা আর সুপান্থ ভাইয়ের মন্তব্য একেবারে সোনায় সোহাগা। হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

লেখা সম্পর্কে কিছু না বলি। গান শোনেন একটা - মৌসুমী ভৌমিকের 'চিঠি' হাসি

Get this widget | Track details | eSnips Social DNA

রানা মেহের এর ছবি

আমি আর দুই প্রানের বন্ধু ওর্না মিলি মিলে ম্যাকগাইভার আর কাকে যেন চিঠি লিখেছিলাম। ছাড়ার সাহস হয়নি মন খারাপ
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

নিঘাত তিথি এর ছবি

আমি ম্যারাডোনাকে লিখেছিলাম, কোন ওয়ার্ল্ড কাপ-এ যেন ডোপিং-এর জন্য নিষিদ্ধ হয়ে গেলো তখন। আমি ছাড়ি নাই অবশ্য মন খারাপ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

পত্রমিতালী করার শখ কোনও কালেই হয়নি (সারাটা জীবনই, মনে হয়, বে-রোমান্টিক ছিলাম)।

ডাকপিওনের হাত থেকে চিঠি পেতে যতোটা ভালো লাগতো, ওয়েব-পিওনের কাছ থেকে পেলে তার চেয়ে কম ভালো লাগে, তা কিন্তু বলতে পারছি না। চিঠি পেলে ভালো লাগা বা খারাপ লাগা আমার নির্ভর করে পত্রপ্রেরক/প্রেরিকা এবং চিঠির বিষয়বস্তুর ওপরে। খাম বা ই-মেইল কোনও ফ্যাক্টর নয়। (আমি হালায় পুরা কাঠখোট্টা! হাসি )

পুনশ্চ.

তসলিমা নাসরিনের লেখালেখির শুরুও নাকি পত্রমিতালীর বিজ্ঞাপন থেকে।

কথা সত্য। সাপ্তাহিক বিচিত্রার "ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন" বিভাগ তসলিমা নাসরিনের পদচারণায় মুখর ছিলো একটা সময়ে।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

নিঘাত তিথি এর ছবি

চিঠির কোন তুলনা হয় না সত্যি...ভালো লাগছে বলতে যে এই লেখা পড়ার মাত্র ১২/১৩ দিন আগেই একটা চিঠি লিখেছি, দেশে, ছোটআপুর কাছে। আর শেষ চিঠি পেয়েছি বড় আপুর কাছ থেকে।
চিঠি নিয়ে স্মৃতির তো কোন শেষ নেই...এত এত এত, নাই বা বলি, যার শেষ নেই তার শুরু করে কি লাভ? (হুদা ভাব, হি হি)
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

সবাইকে ধন্যবাদ...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বৈদেশে চিঠি মানেই তো একেকটা বিভীষিকা। কোন সময় কে যে কীসের "প্রেমপত্র" পাঠায়, ডরই করে। মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ভ্যালেন্তিনা
অথবা কলাপাতা রঙা জামার
ললনা
হোক না, ঘট অথবা জট।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ভ্যালেন্তিনার কি আর সাধ্য আছে আমার কলাপাতা রঙা জামার বধুয়ার তুলনা হওয়ার!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

পথে হারানো মেয়ে এর ছবি

যুগটাই বেরসিক! জীবনে কোন হাতে লেখা চিঠি পেলাম না ... 'সবিনয় নিবেদন' বা 'তিথিডোর'র চিঠিগুলো পড়তে পড়তে কী বিস্ময় মুগ্ধই না হতাম! 'গানে গানে ভালোবাসা'র চিঠিগুলোর কথাই বা বাদ দেই কেন!

বরাবরের মতই আপনাকে উত্তম জাঝা! শিমুল।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আরে! পথে হারানো মেয়ে যে!
কতোদিন পরে দেখা...
কেমন আছেন? আপনাকে ২টা প্রশ্ন করার জন্য খুঁজছি -

১) ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ দেখেন? আপনি কোন দলের সাপোর্টার?

পথে হারানো মেয়ে এর ছবি

না রে ভাই, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ দেখা হয় না! এখন শুধু চ্যাম্পিয়ন্স লীগটাই একটু follow করা হচ্ছে।
এখন বলুন, হঠাত'' এ কৌতুহল কেন?

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ওহ,
আমি তো আপনাকে ক্রিকেট ফ্যান বলেই জানতাম।
এনিওয়ে...

পথে হারানো মেয়ে এর ছবি

আমিও তাইই জানতাম। কিন্তু এখানে ক্রিকেট দেখার সময়-সুযোগ কোথায় বলুন?
বাংলাদেশের খেলা হলে দেখার চেষ্টা করি, তা আমাকে যতই এন্টি-বাংলাদেশ প্রমাণের প্রপোগান্ডা চালান না কেন চোখ টিপি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।