আদনান আহমেদ বেকার। তবে একেবারে পরিশুদ্ধ বেকার নয়। কিছুটা ভেজালযুক্ত। দুটো টিউশনি করে। যা পায়, তাতেই চলে। চাকরীর জন্য মামা-চাচা লাগে, এ যুক্তিতে বিশ্বাসী নয় আদনান। বরং প্রচন্ড আশাবাদী একজন মানুষ। অল্প ক'দিনের মধ্যে কিছু একটা হয়ে যাবে এমনটা আশা করছে সে গত দুই বছর।
সকাল দশটা।
আজ দিনটা আদনানের জন্য অন্যরকম। আজ তার দুটি জরুরী কাজ - ১) ইন্টারভিউ ২) মেহজাবিন। আদনান সবচেয়ে পছন্দের জামা পরেছে। সাদা শার্ট। কালো প্যান্ট। কালো স্যু। সঙ্গে একটা লাল টাই হলে মন্দ হতো না। নেই যখন আর কী করা? চুলটা আরেকবার আঁচড়ে নেয় সে। গোল আয়না ঝাপসা হয়ে গেছে। শেষে হাত দিয়ে আরেকবার ঝাড়া দেয় চুলে। নাহ! বেশ লাগছে। ক্লিয়ার শ্যাম্পু দেয়ায় চুল বেশ ঝরঝরা লাগছে। হেড এন্ড শোল্ডার দিলে আরও ভালো হতো। আদনান ঘড়ি দেখে। সকাল দশটা বাইশ মিনিট। এগারোটায় ইন্টারভিউ।
ছয় নম্বর বাসে করে বনানী আসে সে। ফারুখ টাওয়ারের চার তলায় ইন্টারভিউ। একটি মাল্টিন্যাশনালের অফিস। সবার আগে আদনানের ডাক পড়ে। ইন্টারভিউ বোর্ডে চারজন ছিলো। তারা বেশ ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে প্রশ্ন করে। আদনান স্বাভাবিকভাবে জবাব দেয়। প্রায় দশ মিনিটের মতো ইন্টারভিউ চলে।
আদনান ভাবে চাকরিটা তার হয়েই যাবে। তবু মনে হয়- একটা লাল টাই পরলে পুরো নিশ্চিত হওয়া যেতো। এসব ভাবতে ভাবতে সে ফারুখ টাওয়ারের সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসে। এরপর সে আজিজ মার্কেটে যাবে। কবিতার বই কিনবে মেহজাবিনের জন্য। আর দুটো লাল গোলাপ।
মেহজাবিনের সঙ্গে আজ দেখা হবে ক্যাফে ঝিলে। পাঠক সমাবেশ থেকে আদনান কবিতার বই কিনে। পাগলা গারদ থেকে প্রেমিকার চিঠি। রফিক আজাদ। মৎস্য ভবন-প্রেসক্লাব পেরিয়ে ক্যাফে ঝিলে পৌঁছাতে পৌঁছাতে ঘড়িতে দুপুর দুইটা। কোণার টেবিলে মেহজাবিন বসে ছিলো। আদনান তার হাতে কবিতার বই তুলে দেয়। মেহজাবিন মুচকি হাসে। আজ সে বেগুনি জামা পরেছে। অদ্ভুত সুন্দর লাগছে তাকে।
-দুই-
আদনান খুব দ্রুত চুলে চিরুনী চালাচ্ছে।
আজ বোধ হয় দেরীই হয়ে গেলো। চাকরী পাওয়ার পর গত দু'মাসে একদিনও দেরি হয়নি। হাজার বিশেক একেবারে কম টাকা নয়। লাল টাইয়ের নট আরেকটু টাইট করে সে। মেহজাবিনের উপহার। আদনান ভাবছে সামনের মাঝে এক ডজন টাই কিনে নিবে। সব সময় এক রঙা টাই পরতে ভালো লাগে না। জিলেট দিয়ে শেভ করা মুখে আলতো করে ডেনিম মাখে সে। পরিপাটি হয়ে বেরিয়ে পড়ে। ছয় নম্বর বাস এখন আদনানের কাছে ধুলো আর ভীড়ের ঝামেলা মনে হয়। ট্যাক্সি ক্যাবে অফিস যায় সে। ...আজ অফিস থেকে খানিক আগে আগে বের হয়। মেহজাবিনকে নিয়ে ম্যাঙ্গো ক্যাফেতে যায়। ওয়েটার পেপসি দেয়। আদনান ভাবে মেহজাবিনকে আজই বিয়ের কথা বলবে। এই মুহুর্তে। কিন্তু কথাগুলো ঠিক গুছাতে পারে না। পেপসিতে চুমুক দেয় সে। তাকায় মেহজাবিনের দিকে। কিন্তু! মেহজাবিনের মুখে যেনো আলোর বিস্ফোরণ। আদনান তাকাতে পারছে না। তার চোখ টনটন করে। প্রচন্ড আলোয় মেহজাবিন যেনো মিলিয়ে যাচ্ছে। আদনান কথা বলার চেষ্টা করে, চিৎকার দেয়। অথচ মুখ দিয়ে শব্দ বেরুচ্ছে না। দমবন্ধ হাঁসফাস লাগে।
...চোখ দুটো কচলে নেয় আদনান। দেখে জানালার গ্রীল পেরিয়ে সকালের রোদ পড়ছে তার চোখে। মাথার পাশে রাখা ঘড়িতে তাকায় সে। সকাল সাতটা তেরো। বালিশে মুখ গুঁজে আদনান আবার ঘুমানোর চেষ্টা করে।
স্বপ্ন দেখতে আদনানের ভীষণ-ভীষণ ভালো লাগছিলো।
(চলবে)
মন্তব্য
ট্যাগে বলা আছে 'উপন্যাস'।
পর্যাপ্ত পরিমাণে 'পিঠ চুলকানি' পেলে চলবে রেগুলার...
চুলকানি-১
দয়াবান/দয়াবতী সচল/সচলাগন মুক্তহস্তে এইখানে চুল্কাইয়া যান
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
সেরম চুলকানি...থামলে খবরাছে!!!!
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
চুলকে গেলামরে শালা ছোটভাই।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
নাম্বার দেন ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
রেটিং দিলেন্না কেউ!!!
এই ফাঁকিবাজী পিঠ চুলকে 'বৈঠকখানা'র সম্মানহানি করতে চান!!!
চুল্কানি, রেটিং- আর কি কি লাগবো একবারে বলা যায়না? দেয়া গেলো
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
একসাথে বললে কমেন্ট করতেন একটা, আমি জবাব দিতাম একটা, ১+১=২টা।
এখন একটা একটা করে বলায়, কমেন্ট করলেন তিনটা, আমি জবাব দেবো ৩বার। ৩+৩=৬টা কমেন্ট।
ট্রিপল চুলকাচুল্কি। লাভের উপরে লাভ...।
বুদ্ধি তো মাশাল্লাহ খারাপ না ।
মেহজাবিন নামে তো পুরানা ঘ্রান ছড়ায় । 'সেই সে দিঙ্গুলি আহা বাঁশি বাজানোর দিঙ্গুলি...'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
চুলকানি টু দি পাওয়ার ইনফিনিটি...
চুলকায়ে গেলাম স্যার। আমার আংশিক আদনান হৈতে মঞ্চায়।
আহারে একটা মেহজাবিন যদি থাকতো।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
আমিও একটা মেহজাবিন চাই
চুলকানি
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
আমি এমন জায়গায় চুলকাবো যে সারাজীবনে আর চুলকাতে বলবেন না। সুতারাং আমার চুলকানী খাইতে না চাইলে "চুপি চুপি রাত নামে" উপন্যাস দৌড়াক। দৌড়ানী থামলেই কিন্তু দিমু চুলকাইয়া।
উপন্যাসের আদলে গল্প হয়ে গেলো। উপন্যাস মানে নাকি বিন্দু টেনে সিন্ধু করা।
তবে আদনানের একটা লালটাইপরা জব চাই-ই চাই, সকাল বেলার স্বপ্ন সত্যি না হলে নিখিল বিশ্ব খোয়াবনামা কমিটির পক্ষ থেকে মামলা করা হবে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
চুলকানীর জন্য প্লাস্টিকের একরকমের হাত পাওয়া যায়, এই মুহুর্তে ঐ জিনিস খুজতেছি। আপনার পিঠে আবার ময়লা, ঘাম, ফ্লু এইগুলান থাকলে বিপদ হবে!
তাও খাইজাইলাম, যান পরেরটা লিখে ফেলেন, আর শুনেন এইরকম ছোট ছোট করে লেখার আইডিয়াটা অসাধারন! মানিক মিয়া এভিনিউয়ের মতোন মোটাসোটা লেখা দেখলে মাঝে মাঝে আড়মোড়া লাগে।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
উপন্যাস, কিন্তু ঘটনা তো জেট প্লেনের গতি দৌড়াচ্ছে। ব্যাপারটা কী, একটু খোলাসা করেন তো!
চুলকানি টু দ্য পাওয়ার এন...যেখানে এন সমান ওয়ান বাই জিরো....
চলুক গাড়ি গন্তব্য টন্তব্য জরুরি না
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
আদনানের প্রিয় পোষাক সাদা শার্ট কালো ট্রাউজার?
ধুর
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আদনান নিশ্চয়ই কোনো চাইনিজ রেস্তোরাঁর ওয়েইটার।
কিংবা কোন চাইনিজ কোম্পানির ম্যানেজার
আপনার গল্প বলার ঢঙ বড়ই চমৎকার। জানেনইতো আপনি আমার অন্যতম প্রিয় ঔপন্যাসিক r
এইটা খুব দরকার ছিলো শিমুল- একটা উপন্যাস লেখায় হাত দেয়া। ব্রাভো। চলুক চলুক, চলতে থাকুক। (ইয়ে আপনি সেটা চাইসেন সেটা না দিয়ে ব্রাভো দিলে চলবে তো?)
তবে বাক্যগুলা খুব স্ট্রেইটকাট, খটখট্টা হয়ে যাচ্ছে কি?
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
গ্রেইট!!! উপন্যাস তাহলে শুরু করেই ফেললা। গ্রেইট!!! গ্রেইট!!!
তবে ব্রো দুইটা কমপ্লেইন আছে।
১। উপন্যাসের তুলনায় খুব ফাস্ট। আরেকটু স্লো ঘটনা প্রবাহ হলে ভাল হত।
২। কবিতার বই উপহার দেয়াটা শুনতে ভালো লাগে, কিন্তু ঠিক বাস্তব না। আজকালরা মেয়েরা কবিতা পড়ে না। একটা সিডি, কানের দুল বা অন্য কিছু হতে পারতো।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই একাউন্টটি কোন মডারেটরের নয়। এই একাউন্ট থেকে মডারেশন করা হয়না, কিংবা এই একাউন্টের কর্মকান্ডের দায়ভার সচলায়তন নেবে না।
চুলকাইলাম পিঠ।
ইচ্ছামতো।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
পরেট্টা কৈ?
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
আজ চুপিচুপি রাত নামলে পরের পর্বও আসবে। ১১ ঘন্টা পরে... @ বদ্দা
উপরের বাকী কমেন্ট নিয়ে পরে বলছি।
রাত কি আর চুপিচুপি নামচ্ছে না?
উহু, সৃজন ছন্দে আনন্দে নাচে রজনী ।
ওরেরেরেরে ... কার রজনী? শিমুলের না আদনানের?
নতুন মন্তব্য করুন