২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট আমার কাছে ভীষণ মন খারাপের সকাল। আমার সে সময়কার অফিস দীর্ঘদিন ম্যানেজারহীন হয়ে থাকার পরে আমাদের কলিগদের মাঝে যে ‘টীম ওয়ার্ক’ গড়ে ওঠেছিলো তা ‘শ্যাষ’ হয়ে যাবে সেদিন। শুনেছি ইউএনডিপি-তে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে নেপাল থেকে আসছে নতুন ম্যানেজার। তাই আমরা অনুমান করে নিই - রুমের এক কোণায় একজন বয়স্ক ম্যানেজার বসে থাকবে। আর হৈ-হল্লা করা যাবে না, কাগজের প্লেন বানিয়ে এদিকে ওদিকে ছোড়া যাবে না। সবাই বিকল্প খুঁজতে গেলো – খবর পাওয়া গেলো - নতুন ভবনের সাত তলায় একটা খালি ছাঁদ-মতো আছে, সেখানে কারা কারা নাকি লাঞ্চের পরে সিগারেট খায়, আড্ডা দেয়। সিদ্ধান্ত হলো - আমরাও সেখানে চলে যাবো কাজের ফাঁকে।
কিন্তু, আমার মন খারাপ অন্য কারণে...
এতোদিন এই অফিসে কাজের ফাঁকে আমার নিত্য অকাজ, কিংবা কাজ না থাকলেও আমার যে তুমুল ব্যস্ততা তা আর কিছু নয় – সচলায়তন এবং জি-টক। কতো কতোদিন ঘন্টার পর ঘন্টা কতো পোস্ট পড়ে গেছি, কমেন্ট করে গেছি তার হিসেব নেই। বাসায় ইন্টারনেট ছিলো না একসময়, ব্লগে চোখ রেখে খেয়ালই করিনি বাইরে রাত হয়ে গেছে। এমন সব তুমুল অভ্যাস কী করে ছাড়ি কোথাকার কোন এক পাপিষ্ঠ ম্যানেজারের আগমনে?
প্রথম সপ্তাহ অনেক কষ্টে গেলো। নতুন ম্যানেজার মিটিং এর পরে মিটিং ডাকে। আমি প্রায়ই অন্যমনষ্ক হয়ে যাই – সচলে নতুন কী পোস্ট এলো, জি-টকে কে নক করলো – এসব ভেবে ভেবে। কাজের ফাঁকে সচলে উঁকি দিই, জি-টকে একে ওকে গুতাই – কেবল ভয়ে থাকি কখন না আবার ধরা পড়ি! ধরা অবশ্য পড়তেই হলো – আরও দিন কয়েক পর। জি-টক মিনিমাইজ করার পরে ম্যানেজার দুম করে জিজ্ঞেস করে – ‘ওটা কী লুকালা?’
আমি বলি- ‘কোথায় কী?’
ম্যানেজার মাথা নাড়ে – ‘না, আমি প্রায়ই দেখি – আমি এদিকে আসলে তুমি মনিটরে হুটহাট কী জানি করে ফেলো।’
আর চালাকি করা ঠিক হবে না ভেবে জি-টক দেখালাম। ম্যানেজার তখনো ইয়াহু এমএসএনে অভ্যস্ত। অফিসে ওগুলা ব্লকড। সুতরাং তাকে জি-টক শেখালাম। সেও মহাখুশী। আমি প্রায়ই দেখি – জিটকে আমার চেয়েও বেশি ব্যস্ত সে
এর পরের সপ্তায় আমাকে ধরলো সচলায়তনের পৃষ্ঠা খোলা দেখে।
‘এটা কী?’
আমরা তখন জি-টকে জি-টকে মাসতুতো ভাই হয়ে গেছি। ওকে বোঝালাম এটা একটা রাইটার্স কম্যুনিটি। কম্যুনিটি ব্লগ সাইট নিয়ে জ্ঞান দিলাম। তার ব্যাপক উৎসাহ। বললাম, তুমি চাইলে ব্লগস্পটে নিজের একটা সাইট খুলতে পারো। টুকটাক হেল্প করলাম। দ্বিতীয় দিনেই সে নিজের একটা ব্লগস্পট সাজিয়ে নিলো, এবং আমাকে এও বললো – এটা তার ডায়েরী, কেবল নিজের জন্য, অন্য কারো এক্সেস টেকনিক্যালি ব্লক করা আছে। আমি হাসি।
তবে চমক দেখলাম আরো তিনদিন পরে।
তার ভার্সিটির এলামনাই এসোসিয়েশনের জন্য সে গ্রুপ ব্লগ খুলেছে ব্লগস্পটে, সেখান থেকেই আপডেট হবে সব একটিভিটিজ! একটা নতুন গেজেট যোগ করে, আর আমাকে ডেকে বলে – ‘দেখে যাও এটা কেমন হলো।’
বিকেল হলে আমাকে জিজ্ঞেস করে – ‘আজ ব্লগে কমেন্ট কয়টা করলা?’
মাস ছয়েক পরে ঐ বস অন্য চাকরীতে চলে যায়।
শেষ দিন আমি বলি – ‘ব্লগিং ছেড়ো না’।
সে হাসে।
গত অক্টোবরের দিকে মেইল পেলাম। আমাকে লিখেছে – ‘আশা করছি ভালো আছো। আমার ব্লগের একটি লেখা নেপালের দৈনিক কান্তিপুরে ছাপা হয়েছে। লিংকটা দেখো। ব্লগিং শেখানোর জন্য থ্যাঙ্কস!’
-দুই-
বলা হয় সব শহরের একটি প্রতীক আছে।
লন্ডনের ঘড়ি, ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ার, চীনের প্রাচীর – আরো কতো কী...
কিন্তু, আমার কাছে এখন অনেক দেশ মানেই সেখানকার সচল।
অস্ট্রেলিয়া মানে কনফু-তিথি।
জার্মানী মানে – হিমু, বদ্দা, ধু-গো।
জাপান মানে – সৌরভ, জ্বিনের বাদশা।
নেদারল্যান্ড মানে –তানবীরা তালুকদার। আগে ছিলো - রুট গুলিট
স্কটল্যান্ড মানেই – হাসান মোরশেদ।
আরিজোনা মানে – এস এম মাহবুব মুর্শেদ।
তাইওয়ান মানে – মামুন হক।
সিঙ্গাপুর মানে – ফারুক হাসান।
আলাবামা মানেই –দ্রোহী।
আর কতো বলি?
শুধু কি জায়গার নাম? কতো শব্দের অর্থই তো বদলে গেছে অথবা একেবারে নতুন শব্দ –
ঠিকাছে।
উত্তম জাঝা।
বিপ্লব।
চ্রম খ্রাপ।
সেইরম।
হ।
ঞঁ!
-তিন-
উইন্ডজর সফর নিয়ে তিন তিনটি পোস্ট এসেছে এর আগে। যে কথা বলা হয়নি –
এই সফরে এই প্রথমবারের মতো বাকী ৪ জনকে দেখেছেন প্রকৃতিপ্রেমিক।
এই সফরে এই প্রথমবারের মতো বাকী ৪ জনকে দেখেছেন বিপ্র।
আমি-অমিত আর কিংকুর দেখা হয়েছে আগে। আমরা তিনজন এই প্রথম বারের মতো দেখেছি – প্র-প্রেমিক ও বিপ্রকে।
কিন্তু, যে দুইদিন উইন্ডজরে ছিলাম, ৫/৬ ঘন্টার ঘুম ছাড়া বিরতিহীন যে আড্ডা চলেছে – সেখানে একটিবারও মনে হয়নি আমাদের ৫ জনের এই প্রথম আড্ডা। মনেই হয়নি, আমাদের আগে কখনো দেখা হয়নি।
আমাদের আড্ডায় কথা বলার বিষয়ের কমতি ছিলো না।
আমাদের স্মৃতিচারণ ছিলো ব্যাপক।
আমাদের আগামীর কথা ছিলো আরও বেশি।
শেষে যখন বাসে উঠি মনে হয় – আরো কত্তো কথাই না বলা রয়ে গেলো...
বাসে ওঠার আগ মুহুর্তে আরেকবার ছুঁয়ে যাই মানুষগুলোর হাত, তখন মনে হয় এ-তো হাজার বছরের স্বজন, আমাদের পরিচয় উইন্ডজরে নয় – পিলী আইল্যান্ড বা ইরি নদীর উপরে দুলুনি দেয়া জীম্যান জাহাজে নয়, আমরা এমন করেই কাছাকাছি ছিলাম, আছি – আমাদেরই ঘরে...
আমাদের সে ঘরের নাম – সচলায়তন।
না দেখেও আমরা ভাই-বন্ধু-স্বজন, আত্মার আত্মীয়...।
-চার-
আজ হিমু ভাইয়ের পোস্টের ছবি দেখে – আরেকটা ছবি দেয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না।
২০০৮ সালের, ২৭ মার্চ বৃহস্পতিবার – থাইল্যান্ডের কো-সামেট আইল্যান্ডে ।
এভাবেই – সচলায়তন থাকে আমাদের সঙ্গে।
আমরাও সচলায়তনের... ।
জয়তু সচলায়তন!!!
মন্তব্য
জয়তু সচলায়তন
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
দুর্দান্ত মাইন্ড রীডার আপনি।
পোস্টে
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
থাক আর কিছু লিখবনা।
জয়তু সচলায়তন!!!
আপনার লেখার হাতই শুধু ভালো না, হাতের লেখাও খুব ভালো!
হা হা। একটা কুড়িয়ে পাওয়া স্ট্র দিয়ে লিখছিলাম
আমাদের সে ঘরের নাম – সচলায়তন।
অবশ্যই।
জয়তু সচলায়তন!
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
--সব বলে দিয়েছেন
শিমুল ভাইয়ের হাতের লেখা হিমু ভাইয়ের চেয়ে ভালো। 'স' আর 'ন' এর সাইজ সমান আছে!
আমি তো দিনরাত পড়েই থাকি সচলে। সুযোগ পেলেই নতুন রিক্রুট যোগাড় করার চেষ্টা করি। মজা লাগে আমার হাতে গ্রেফতার হওয়া লোকজনের লেখা পড়লে। এই সচলের হাত ধরে খুব খারাপ একটা সময় থেকে উঠে এসেছি... আবার এই সচলই এখন আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে অকর্মন্যতার চূড়ান্তে...
গোল্লায় নিয়ে যাচ্ছে আমায় হাওয়াই জলের গাড়ি...
গোল্লাই হোক তীর্থস্থান...
ইশতি, ওইটা আমার হাতের লেখা। তাই অক্ষর হয়ে যায় আঁকাবাকা।
হিমুর কাজকর্ম অনেক গোছানো। তবে শিমুলের চেয়ে আমি ১ পয়েন্ট বেশি পাবো; কারণ আমি স্ট্র দিয়ে লিখি নাই, হাত দিয়েই লেখা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বলাই দা' ধরায় না দিলে তো শিমুল ভাই চুপচাপ ভেগে যাচ্ছিলেন!
এক দিকে আবেগের দারুণ প্রকাশ... (আমিও বরফে লিখেছিলাম গত শীতে), কিন্তু অন্য দিক থেকে ভাবলে... একটা মেয়ে নাই যার নাম লেখা যায় সমুদ্রসৈকতে!
চমেতকার লেখা শিমুলভাই। বাংলাদেশে কার কতা মনে হয়?
বাংলাদেশে আমার কথা মনে হয়
তবে আই ইউ টি শুনলে -
রায়হান আবীর, পরিবর্তনশীলের নাম মনে আসে...
এই কথাগুলি এরচেয়ে চমৎকারভাবে বলা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না বলে ঘাপটি মেরে ছিলাম শিমুল ভাই কখন পোস্ট দেয় দেখার জন্য ...
ইশতি, বিডিআর আর অভ্রনীল (পুলাটা সচল হয়ে শীতনিদ্রায় চলে গেছে) আমার সহপাঠী ছিল একসময়, এর বাইরে সচলদের সাথে আমার দেখা হল এই এতদিন পর (আর কয়েকদিন আগে রিটন ভাই) ... অথচ বহুদিন আগে থেকে ফেইসবুকে এড করা হয়ে আছে অনেককে, কাউকে কাউকে মেসেনজারে ... ফেইসবুকে প্রায়ই একে খোঁচাই, ওকে পচাই, কারো ছবি দেখে খুশি হই, কারো মন খারাপ স্ট্যাটাস দেখে নিজেরো মন খারাপ হয়ে যায়, কমেন্টের পর কমেন্টে আড্ডা দিতে থাকি কখনো না দেখা মানুষগুলির সাথে ... এক ভার্সিটিতে পড়ে এক টিভিরুমে আর্সেনাল-বার্সেলোনা ম্যাচ দেখেও কখনো পরিচয় না হওয়া রায়হান আবীরকে ছোটভাই কিংবা সেই সুদূর অস্ট্রেলিয়ার তিথি আপুকে বড় বোন বানিয়ে ফেলি কত স্বচ্ছন্দ্যে ... হয়তো আরো অনেকদিন দেখা হবে না, কেন জানি মনে হয় দেখা হওয়াটা আসলে জরুরীও না ...
সচল রকস
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
আমারও প্রায় একই অবস্থা। শুধু হিমু ভাইকে চিনতাম। উনিই গুঁতিয়ে নিয়ে আসলেন এখানে। তোমারও তো নাম জানতাম না এখানে।
সেই থেকে কত্ত এগিয়ে গেছে সময়। কত কত নতুন সম্পর্ক। অবাক করা ব্যাপার এই চিরচেনা ভাবটাই। সচল'কে ঘিরে আলাদা একটা জীবন হয়ে গেছে এখন।
আফসোস হয় শুধু বাংলাদেশের বদের লাঠি সচলদের আড্ডার কথা শুনলে।
আমি সচলায়তনের ৬০ নম্বর মেম্বার। আমার আগে যে ৫৯ জন যোগ দিয়েছিলো তাদের সবাইকেই আমি চিনতাম। নিদেনপক্ষে পরাবাস্তবতার জগতে দেখা সাক্ষাৎ ছিলো।
হি হি হি
দেশে আইসা পড়েন, আপনার লগেও চা বিড়ি সহকারে ম্যারাথন আড্ডা হইব ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
শিমুল পোস্টে যা বলেছে, তারপরে একটি কথাই বলা যায়, তাহলো 'ঐ'।
সচলায়তন আরো সমৃদ্ধ হোক।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
"আলা" আর "বামা"-র মাঝখানে একটা খারাপ শব্দ বসবে।
লেখা সম্পর্কে কী আর বলবো। ভেবেছিলাম শিমুলকে একটা শালি দান করবো। খালি ধূসর গোধূলি কান্দবো দেখেই দিতারিনা।
সুউউউপার লেখা। পাঁচ।
জয়তু সচলায়তন !!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
লেখায় -মানিক-
---
জয়তু সচলায়তন!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
লেখায় -মানিক-
---
জয়তু সচলায়তন!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আমি গুণে দেখলাম, সচলদের মধ্যে আঠারোজনের সাথে আমার সম্মুখসাক্ষাৎ ঘটেছে। এর মধ্যে সচলায়তন হবার পর সাক্ষাৎ হয়েছে আটজনের সাথে, সবই জার্মানি আর নেদারল্যান্ডসে।
- তোর হিসাবে কি তাতাপু'র কন্যা মেঘমালাও আছে? কে জানে ভবিষ্যত সচল মনে করে তারেও গুনে ফেললি কীনা!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
একেবারে মনের মত লেখা।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
শিমুলের পোস্টটা পড়ে একটু কেমন কেমন করে উঠলো বুকটা। এই মন্তব্যের মধ্যে বোধ করি তা বলে শেষ হবার নয়। দু'যুগেরও বেশি সময় লেখালেখির চর্চাটা কম-বেশি থাকলেও অন্তর্জাল নামক অদ্ভুত রহস্যময় ক্ষেত্রটাতে বাংলায় গড়াগড়ির বয়স দু'বছর না হয়ে অনেক কম হতে পারতো, যদি না আ.সা.শিমুল নামের মিষ্টি-মেধাবী তুখোড় একটা তারুণ্যের সাথে কাকতালীয়ভাবে সাক্ষাৎ হতো।
আর সচলায়তনকে প্রথম চিনিয়ে দিয়েছিলো এই শিমুলই আমাকে। সচলের জন্মদিনে তাই সচলের সবার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা আর শিমুলকে কৃতজ্ঞতা। অন্যসময় তা নিয়ে বলা যাবে। ধন্যবাদ শিমুল।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ইস্! কী বিপদেই না ফেললেন...। এরকম কমেন্ট পড়তে গেলে আমার কিরাম জানি লাগে...
আপনার জন্য জমা রইলো - মিরপুর ১০ নম্বরের মুসলিম সুইটসের স্পেশাল কিমা পরোটা!!!
থ্যাঙ্কু...
এইটারে কয় বে ইনসাফি!!!!!!!! আমি শালি দিয়ে বসে আছি আর আমারে একটা থ্যাঙ্কু পর্যন্ত কয় নাই!!!!!!!!!!!
একটুও ভাববেন না দ্রোহী ভাই। আমি কাইলই মিরপুর-১০ এ গিয়া আপনার প্রক্সি হইয়া মুসলিম সুইটস-এর স্পেশাল কিমা পরোটা খাইয়া আসমু। আমি খামু, ঢেকুর দেবেন আপনি, আর বিল শিমুলের। ঠিক আছে না ?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমার সন্ধ্যাবেলা সচলের নামে...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
জয়তু সচলায়তন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ভেবেছিলাম মজা করে কোন কমেন্ট করবো। তিন নম্বর প্যারা পড়ে মনে হলো থাক।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
- কী রে ভাই, আপনার বেলের শরবত খাওয়া শেষ হয় না?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অসাধারণ লেখা বস, ১০ কোটি তারা দিলাম
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
- আমার প্রথম যে কজন সচলের সঙ্গে দেখা হলো, সংখ্যায় সমান সমান ছিলেন মডুরাম। বেচারা আমি আর তীরুদা'ই ছিলাম কেবল আম-সচল। আমাদেরকে পাহারা দেয়ার জন্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন মডুদ্বয়, বদ্দাচল আর মোঢিমু। অবশ্য কিঞ্চিৎ পরেই শাহীন ভাই এসে যোগ দেয়াতে ফ্যাসিস্ট মডুদ্বয় কোনো তাফালিং করার সুযোগ পায় নি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সচলাসক্তির অন্যতম কারন হিসাবে আপনার মন্তব্যগুলার অবদান সচলের কারো লেখার চাইতে কম না !!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
-
আমি তো ল্যাখবার পারি না দেখে ইনস্ট্যান্ট হাত চালাই চোখ মুইঞ্জা। এই ফাউল জিনিষরে সচল আসক্তির অনুঘটক বললে কেম্মেকী?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কি বিনয়! কি বিনয়!
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
স্যার, কী আর কবো। বুড়ো হয়ে যাচ্ছি। কান্না পায় খালি।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
- আপনেতো আব্বাহুজুর সেই বাচ্চাকাল থাইকাই কান্দেন (অবশ্য দুষ্কৃতকারী মেম্বর কয়, আপনে নাকি ফেসবুকে দাঁত বাইর করে হাসি হাসি মুখে বোঁচা বোঁচা বালিকাদের সহিত পোজ দেন, আর সচলে আইসা ফ্যাচ ফ্যাচ করেন)। এখন না হয় বুঝলাম বুড়া হয়া গেছেন দেইখা কান্দেন, তখন কি বুড়া হন না দেইখা কান্তেন?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সবকিছুই ঠিক ছিলো। শুধু দুষ্কৃতকারী শব্দটাই বক্তব্যের বিষয়বস্তুটাকে বদলে দিয়েছে খানিকটা।
- আপনে আবার মধ্যগগনে কইত্থাইকা উদয় হইলেন? আপনার তো এখন লাইনে থাকার কথা না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি না থাকলে আমার নামে অপপ্রচার চালানো হয় এই খবর পাইয়াই এই অসময়ে লগইন করছি।
- শোনেন, সব প্রচারই এক ধরনের প্রচার- এইটা মার্কেটিং-এর সূত্র। আর আপনে কি মিয়া গায়েবী নিউজ পান সরকারী স্বর্গবার্তা থাইকা? আমি আপনের নামে অপপ্রচার চালাইটে পারি? আপনে এমনটা ভাবেন আমার ব্যাপারে? আপনে পারলেন এমনটা ভাবতে? ছিঃ মেম্বর ছিঃ। আই ইট সেন্টু
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হাতেনাতে ধরা খাইয়া আবার ভাব লইতাছেন বড়। এইমাত্রই না আমাকে দুষ্কৃতকারী আখ্যা দিলেন!
- আইচ্ছা, দুষ্কৃতকারী শব্দটা কোন দিক দিয়া খারাপ যে আপনে আমারে এমনে কৈতাছেন! আরে, আপনের পদবীর লগে এই টাইপের বিশেষণ না লাগালে পরে ইজ্জত থাকে আপনের? আপন ভায়রা ভাই বইলা একটা সুন্দর, কিউট দেইখা উপমা দিলাম, আর আপনে আইসা এমনভাবে হাউকাউ শুরু করলেন, যেন আপনের শালি কোলে তুলে নিয়া কেউ ভাগছে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
শালি শিমুলরে দিয়া দিমু কইলাম।
- আপনে দেয়ার আগেই... আপনের শালী... মুঝছে অর নেহি কাহা যাতা
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এইটা অবশ্য সত্য কথা।
- এইবার তো বুঝলেন যে আমি সত্য কথা বলি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অনেকদিন পরে ধু-গো-দ্রোহী জুটির এমন কমেন্ট চালাচালি ও কমেন্টের ঘর ক্রমশঃ ডানে চলে যেতে দেখলাম। আহা! কী সব দিন ছিলো...
মেম্বরসাব আমাগো মধ্যে একটা শীর্ষ বৈঠক হওয়া দরকার, ধুগো দেখি দুই নৌকায় পাও দিয়া চ্যাগাইয়া রইছে, আইজ সকালেই আমার ছিটগ্রস্থ শালীটার ব্যাপারে কথাবার্তা আগাইল, এখন দেহি আমারে অফলাইনে দেইখা আপনারে ধরছে। চলেন একটা বিহিত করি, একটা অন্তর্জালিক শালিসি ডাকুম ভাবতেছি
- এইত্তা ডর দেখায়া লাভ নাই। ধুগো নিজেই শালিসি কমিটির সভাপতি (বয়োজ্যোষ্ঠতার বলে)। মেম্বররে একবার মাইনকা চিপায় ফালানো হইছিলো জাকাজা বিচার কমিটিতে। নিন্দুকে বলে, তিনি নাকি ঘুমের মধ্যে মাঝে মধ্যে নিজের নেংটিখানি খামচি দিয়া ধরিয়া চিক্কুর দিয়া জাগিয়া ওঠেন, "গেলো রে আমার শালিকার মোয়া গেলো!" বলিয়া।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
শালিশ শব্দটার মধ্যেও শালি শব্দটা লুক্কায়িত আছে। শালি শব্দ সংশ্লিষ্ট যে কোন ব্যাপারেই ধু.গো-র আগ্রহ আছে। শালিশেও তেমন বড় কোন আপত্তি করবে না সে।
তাইলে এই বেলেল্লাপনা থামাইতে অন্তর্জালিক ধামাকা আহ্বান করা যাইতে পারে। উহার মধ্যে শালি নাই, ধমক আর গালিতে পূর্ণ !
মামুন ভাই, এইটা পড়ছিলেন?
ধুগো একদিন বাসায় ফোন করছে, তো অনেকক্ষণ (প্রায় ১ঘন্টা) কথাবার্তার পর ভাবছি ফোন শেষ করি। তখন সে বেশ গম্ভীর হয়ে বলে,
"পিপিদা একটা প্রশ্ন করি?"
ভাবলাম নিশ্চই গুরুত্বপূর্ণ কোন প্রশ্ন। আমিও সিরিয়াস হয়ে বলি,
"হ্যাঁ হ্যাঁ অবশ্যই, করেন"
তখন ধুগো বলে
- "আপনার কোন শালী নাই?"
আমি অনেক কষ্টে হাসি চেপে রেখেছিলাম।
বলিস কী? ধুগো আজ সকালে আমার বাসায়ও ফোন করছিল, এমন সময়ে যখন আমি বাসায় থাকিনা। আমার ঘরে না থাকার সুযোগে সে তোর ভাবীর কাছে তার ছোট বোনের পাণি প্রার্থনা করে ব্যাপক কুম্ভীরাশ্রু বর্ষন করেছে। কী যে করি এই বিয়ে পাগলা পুলাডারে নিয়া!
মনের কথাগুলা কয়ে দিয়েচেন দাদা
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
সুন্দর লেখা। সুন্দর।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
শিমুল, খুব চমৎকার লেখা।
শুভেচ্ছা।
খুবই হৃদয়ছোয়া
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
উফফফ... শিমুল ভাইয়ের মত দু'এক জনের লেখা পড়লে মনিটরটা বইয়ের পাতা বলে মনে হয়।
পুরা জিপিএ-ফাইব (পাঁচ) দিলাম...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
এক বছর আগে তিথির এই পোস্টে করা আমার মন্তব্যটি মনে পড়ে গেলো -
নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি
২ | নুরুজ্জামান মানিক | বুধ, ২০০৮-০৭-৩০ ১১:২১
সত্যি অদ্ভুত নিয়মের (নাকি প্রকৃতির খেয়াল ) খাঁচায় বন্দী আমরা যা দেহমনের সহাবস্থান হতে দেয় না ।
হাসি কান্না আর দীর্ঘশ্বাস
এই নিয়ে তিথির কেটে গেল বারমাস
বিদেশ বিভুয়ে
পথদুরত্বে হয়ত দুরে
কিন্তু সচলায়তন আমদের মাঝের সব দুরত্ব মুছে দিয়েছে
সিডনির মুমু , মেলবোর্নের তারেক -তিথি
আমেরিকার ইশতি সুমন অভি
নেদারল্যান্ডের তানবীরা
জার্মানীর সুমন হিমু রুমন পুতুল
রাশিয়ার সন্যাসি
কিংবা এদেশেই বগুরার সু. পা. শিমুল
বা সিলেটের নাজমুল আলবাব
কাউকেই আর আজ দুরের মনে হয়না ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
কী অসামান্য একটা পোস্ট! কীভাবে লেখেন এমন করে!
বিশেষ করে কিংকংয়ের কোট করা প্যারাটা। দুর্দান্ত।
সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সচলকে সামনাসামনি দেখার সৌভাগ্য অর্জনকারীদের মধ্যে মনে হয় আমিও একজন থাকব
মজার ব্যাপার হলো, গতকাল (শুক্রবারে) আমাকে দেখে ইউনিভার্সিটির এক ছাত্র বলে "আপনার কি আইইউটির কোন বন্ধু আছে?" এই ছেলের সাথে আমার কোনদিনই দেখা হয়নি।
আমি সাথে সাথেই ধরে ফেলি প্রশ্নটা কোথায় গিয়ে থামবে। বুঝে ফেলি কিংকং-এর সাথে নিশ্চই ওর সম্পর্ক আছে।
ওকে অবাক করে দিয়ে উল্টো জিজ্ঞেস করি "ফাহিমকে চেনেন?" সে ভীষণ অবাক হয়ে বলে, ফেসবুকে আমাদের দেখেছে।
এক সচলায়তনের সফরের কারণে কত অজানা মানুষের সাথে চিনপরিচয় হলো!
সে-ও কি আইইউটির?
হ্যাঁ, কিংকং-এর ব্যাচের (ক্লাশমেট মনে হয়)।
নাম মনে আছে?
নাম কি যেন বললো.. আপনি কয়েকটা নাম আমাকে মেসেজে পাঠান, দেখি তার মধ্যে পড়ে কীনা।
ঠিকাছে
মনে পড়েছে। ওনার নাম সাজ্জাদ। আসলে বুয়েটের, তবে আইউইটির অনেককেই চেনেন মনে হলো।
ওহ্, তাই বলেন। আমি মাত্রই আপনাকে মেসেজ পাঠালাম, এরপর চোখে পড়ল মন্তব্যটা।
এই লেখাটা যখন -তখন পড়া যায়.........
জয়তু সচলায়তন!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নতুন মন্তব্য করুন