প্রতিবার বিকেলে বইমেলায় খালি হাতে ঢুকি, আর দুই হাতে বই নিয়ে বের হই রাতে। এবার হলো এর উলটোটা। সন্ধ্যে সাড়ে সাতটার দিকে যখন বইমেলায় যাচ্ছি তখন হাতে ভারী বইয়ের প্যাকেট, সঙ্গে সুহান এবং রায়হান। তাদের হাতেও বইয়ের ভার। আর একটু পরেই হতে যাচ্ছে বইটির মোড়ক উন্মোচন পর্ব। এ বইয়ের নাম – ‘ম্যাগনাম ওপাস ও কয়েকটি গল্প’; আমাদের হিমু ভাইয়ের বই। গল্পকার মাহবুব আজাদের বই।
মেলায় আসার আগে ছিলাম নজরুল ভাইয়ের বাসায়।
সেখানে বই গুছানো নিয়ে কিছু টুকটাক কাজ ছিলো। সব কিছু ঠিক করে নিচে নেমে যখন সিয়েঞ্জি/ট্যাক্সি ক্যাব খোঁজ করছি, তখন খেয়াল হলো – উন্মোচনের জন্য মোড়ানো বই চারটে বাসায় রয়ে গেছে। নজরুল ভাই, নুপুর ভাবী আর নিধি আবার বাসায় গেলো ওগুলো আনার জন্য। আমরা তিনজন মিশুকে চেপে বসলাম। পথে ফোন করলো – নিঘাত তিথি, বইমেলায় অপেক্ষা করছে...। টি এস সি’র মোড়ে যখন পৌঁছলাম তখন ফোন পেলাম অয়নের, সেও অপেক্ষায়। শেষমেষ আমরা পাঠসূত্রের সামনে। দোকানে বই গুছিয়ে দিয়ে দেখছি আশেপাশে কে আছে, এমন সময় সুস্বাস্থ্যের অধিকারী একজন কিনে নিলেন ‘ম্যাগনাম ওপাস ও কয়েকটি গল্প’। আগ্রহ থেকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘আপনি কি সচলে লিখেন?’ একটু হাসি দিয়ে বললেন, ‘না, আমি হিমু ভাইয়ের পাঠক’। আমি মুগ্ধ হলাম। কিন্তু, সুহান ধরে ফেললো – ইনি জনাব ওডিন।
সচল বন্ধুরা আসতে শুরু করেছেন।
মোড়ক উন্মোচন মঞ্চে আমরাও প্রস্তুতি নিচ্ছি। পরিচয় হলো – দৃপ্ত’র সঙ্গে। রয়েসয়ে ব্লগস্পটের পাঠক, কমেন্টার। টের পেলাম – সচলায়তনের বাইরে রয়েসয়েরও বেশ কিছু পাঠক হাজির হয়েছেন আজ। এসবের মধ্যে ফোন করলেন হিমু ভাই। এর আগে যে কয়েকবার কথা হয়েছে তার চেয়ে খানিকটা চঞ্চল মনে হলো কন্ঠস্বরে। যে প্রশ্নটি আমি করতে যাচ্ছিলাম, সে প্রশ্নটি উলটো আমাকেই করে বসলেন তিনি – ‘তোমার কেমন লাগছে?’
এর মধ্যে নজরুল ভাই বইমেলায় চক্কর দিয়ে বিক্ষিপ্ত সবাইকে সমবেত করিয়েছেন। মৃদূল ভাই উপস্থাপনা শুরু করেছেন, এসে গেছেন রিটন ভাই। এই প্রথম ছড়াকার মৃদূল আহমেদের উপস্থাপনার কারিশমা দেখলাম। চমৎকার কথা বলতে পারেন তিনি। মোড়ক উন্মোচন পর্বে রিটন ভাই সচলায়তন, এর বিস্তৃতি, সচলদের লেখার ক্ষমতা – এসব নিয়ে বললেন। স্মরণ করলেন চলে যাওয়া জুবায়ের ভাইকে। হিমু ভাইয়ের লেখার বহুমাত্রিকতা, কৌশল, ভাষা – এসব নিয়েও বললেন তিনি। এসময়কার অনলাইন লেখকদের মাঝে হিমু ভাইকে একেবারে প্রথম সারির প্রথম কয়েকজনের মধ্যে রাখলেন। শেষ করলেন এই বলে যে, রিটন ভাই চান হিমু ভাই বিদেশেই থাকুক, কারণ দেশে এসে ছড়া লেখা শুরু করলে রিটন ভাইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী বেড়ে যাবে :)। এরপর আমাকেও কথা বলতে হলো – এতো লোকের সামনে খুব নার্ভাস ছিলাম তাই সম্ভবত গুছিয়ে বলতে পারিনি তেমন।
মোড়ক উন্মোচিত হলো। প্রচ্ছদ দূর্দান্ত হয়েছে। বিশেষ করে কালার কম্বিনেশনটা মনকাড়া। বইয়ের ভেতরটাও পরিপাটি। ফোনে ধন্যবাদ জানালাম,প্রকাশক নজমুল আলবাবকে।
নজরুল ভাই জানালেন – হিমু ভাই চেয়েছেন, তার অনুপস্থিতিতে আমরা যেনো একে অন্যকে অটোগ্রাফ দিই। দেখলাম, সবাই উৎসাহ নিয়ে এ কাজ করছে। আমিও লিখলাম। লিখলাম HIMU, তবে এসে আগে ছোটো করে S এবং শেষে ছোটো করে L লিখলাম।
বইমেলায় বই প্রকাশের ক্ষণটিতে লেখকের অনুপস্থিতির অনুভূতি ব্যাখ্যাতীত। তবে সুহৃদ সচলরা সমবেত হয়েছিলেন সে অনুপস্থিতির শুন্যতা পূরণে। কারা কারা উপস্থিত ছিলেন সেসব নাম উল্লেখ করলে সম্ভবনা আছে বেশিরভাগ নামই বাদ পড়ে যাবে ভুলে। তবে টের পাচ্ছিলাম, সচল পরিবারের হৃদ্যতা এবং উষ্ণতা।
সচল নির্জন স্বাক্ষরের ক্যামেরায় ‘ম্যাগনাম ওপাস ও কয়েকটি গল্প’এর মোড়ক উন্মোচনের কিছু ছবি।
.
.
.
এই ছবিটা মেলায় বই যাওয়ার আগে।
ছবির মানুষটির নাম জানা থাকলে আর কিছু বলাই বাহুল্য
মন্তব্য
চমৎকার। এমন একটা লেখার অপেক্ষায় ছিলাম। লেখক মাহবুব আজাদ ছাড়িয়ে যাক হিমুকে
সুন্দরী তমা জড়িয়ে রেখেছিল নাকি বইগুলোকে?
গল্পকার মাহবুব আজাদকে অনেক অনেক অভিনন্দন। আর দোয়াকরি হাতাকাটা কোন নীলপরী এসে হিমুকে কিছুয়েক্টা করুক। বেচারা হিমু ঠান্ডায় অনেক কষ্ট পাচ্ছে।
শেষ ছবিটার ক্যাপশন হওয়া উচিত "মোড়ক উন্মোচনের অপেক্ষায়" ...
sl মানে কিতা ? শ্রেষ্ঠ লুল ?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
সবকিছুর জন্যে সবাইকে ধন্যবাদ!
একজন শক্তিমান লেখকের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ! অভিনন্দন!!!
=======================
যদি আমি চলে যাই নক্ষত্রের পারে —
জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
সুন্দরীতমার বুকে হিমু ভাইয়ের book...
খিক্ষিক...
_________________________________________
সেরিওজা
হিম্ভাইকে অভিনন্দন
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অনেক অনেক অভিনন্দন।
আমি এবং আমার পরিচিত সচলরা আপনার লেখা নিয়ে অনেক উচ্চাশা পোষন করি।
দেশে নেই বলে বইটি সহসা হাতে পাচ্ছিনা। আশা করি আপনি নিয়মিত বই প্রকাশে উদ্যোগী হবেন।
মানুষের ভালোবাসা দেখতেও ভালো লাগে।
বইটি হাতে পাবার অপেক্ষায় আছি।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইশ্ আফসোস হয় শুধু, থাকতে পারলাম না। বইমেলায় তোমরা অনেক মজা করছ তাই না? হিমুর বই প্রকাশে অভিনন্দন।
আহ্ কবে বইটা হাতে নেবো!
--------------------------------------------------
"আমি তো থাকবোই, শুধু মাঝে মাঝে পাতা থাকবে সাদা/
এই ইচ্ছেমৃত্যু আমি জেনেছি তিথির মতো..."
*সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অভিনন্দন।
হিমু সচলে এতো লেখার পরে আবার বই লেখার সময় কই পায়, চিন্তা করছিলাম। এখন বুঝলাম কেন ক্রিকেট খেলতে নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘন্টা পরে আসতো।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
- এই পোস্টটা লিখার কথা ছিলো আমার। সময় আমাকে সেই সুযোগ দেয় নি। কিন্তু দিলেও এতো সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে পারতাম কিনা সন্দেহ আছে। শিমুলকে নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রথমেই।
প্রতিবছরই বইমেলার সময়টা একটা অতিরিক্ত "মিসিং" অনুভূতি টের পাই ভেতরে। প্রতিদিনের কাজকর্ম করি, কিন্তু কোথায় যেনো একটা টান পড়ে থাকে। নাড়ির টানের মতো সে টান। বারবার অনুভূত হয়, ভেতরে খোঁচা খোঁচা লাগে।
ম্যাগনাম ওপাস ও কয়েকটি গল্পকে ঘিরে এবার বইমেলার অনুভূতিটা ছিলো অন্যরকম। যখন মোড়ক উন্মোচনের প্রহরটা ঘনিয়ে এলো, ভেতরে কেমন এক বিচলতা টের পাচ্ছিলাম। নিঃশ্বাস ঘনতর হচ্ছিলো। অনেক হুজ্জত করে নজু ভাইকে ফোন করেছিলাম, ধরলেন না। একটু জানতে ইচ্ছে হচ্ছিলো, একটু শুনতে ইচ্ছে করছিলো প্রিয় মাহবুব আজাদের ম্যাগনাম ওপাস ও কয়েকটি গল্পকে ঘিরে উচ্ছ্বাসের ছলছল। এখানেও সময় আমাকে হারিয়ে দিলো!
মৃদুল'দার উপস্থাপনা দেখলাম অয়নের কল্যানে সেমি লাইভ হিসেবে। রিটন ভাইয়ের খুব ছুঁয়ে যাওয়া কিছু কথা আমার নিজেরই চোখের কোণ ঝাপসা করে দিয়েছে, মাহবুব আজাদের কথা নাহয় নাই বললাম, প্রিয় শিমুলের কথা শুনলাম। পাশেই মাইকের প্রবল চিৎকার ছাপিয়ে কান বাড়িয়ে যতোটুকু সম্ভব কথামালা নিংড়ে নিয়েছি। থেমে থেমে যাওয়া ভিডিও চিত্রে পরম মমতা নিয়ে হাত বুলিয়েছি। আজ ওখানে তো আমারও থাকার কথা ছিলো। আমার প্রিয় বন্ধুর বইয়ের মোড়ক উন্মোচন যে!
এবার হয়নি তো কী হয়েছে দোস্ত। পরেরবার হবে। আমরা সবাই মিলে ওখানে থাকবো। সবাই কাঁধ ধরে দাঁড়িয়ে বরাহ শিকারের কোরাস গাইবো। সবাই মিলে উদযাপন করবো, আমাদের মাহবুব আজাদের পরবর্তী বইয়ের মোড়ক উন্মোচন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
শেষ প্যারার আগ পর্যন্ত ভাবছিলাম তোমার একাউন্ট হ্যাক করে হিমুর কোন অতৃপ্ত প্রেমিকা বুঝি লিখতে বসল। মানে বিচলতা, নিঃশ্বাস ঘন হওয়া, উচ্ছাসের ছলছল, চোখ ঝাপসা হয়ে আসা এইসব পড়ে আরকি।
তবে শেষটায় এসে বিলক্ষণ, ভুল ভেঙে চৌচির।
বাই না বালো, মাইন্ড খায় না।
তোমার মত বন্ধু কোটিতেও একটা হবে না।
কথা সত্য।
বুঝলাম। এইবার বিশ ইউরো দে।
এই মন্তব্যটি পড়ে রীতিমত আপ্লুত হয়ে পড়লাম। জয়তু আপনাদের বন্ধুত্ব।
আর হিমু, মাহবুব আজাদ এবং ম্যাগনাম ওপাসের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
যে বইগুলোর মোড়ক উন্মোচনে সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারলে অসম্ভব ভালো লাগতো, সেখানেই থাকতে পারছি না ! কী আর করা !
স্বাগতম ম্যাগনাম ওপাস। অভিনন্দন মাহবুব আজাদ হিমু !
চমৎকার লেখাটার জন্য ধন্যবাদ শিমুল।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
চমৎকার!
অভিনন্দন, এযুগের শক্তিমান এক গল্পকারকে...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমারো মোড়ক উন্মোচনের কথা লেখার ইচ্ছে ছিল, কারণ জেবনে এই প্রথম বার এর মত কোন মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ছিলাম । হিমু ভাই বলেই ।
আমাকে সেখানে সুহান ছাড়া আর কেউ চেনে না! আমিও লাজুক । তাই এগিয়েই যাই নাই!! আফসুস!
মৃদুল দা এত হাসেন!! কথাও বলেন সুন্দর করে।
রিটন ভাই তো সবাইরে লজ্জায় ফেলে দিছেন!!! যেমনে একেক জনের প্রশংসা করছেন!
নিধি এত সুইট কেন?!! আমার মাথায় এই কথাটাই ঘুরতেছিল!!! খুব্বি সুইট!
নজরুল ভাই রে আরো বুড়া ভাবছিলাম!!! ছবি দেখে যতটা বয়স্ক লাগে, বাস্তবে তার চেয়ে কম বয়স্ক লাগল!!
শিমুল ভাই রে দেখলাম। এর লেখার পাংখা আমি। বেশ ভয়ে ভয়ে মন্তব্য করতেছিলেন! ভাল বলছেন।
দুষ্টাপুর সাথে এক মেয়ে ছিল, যার সাথে ফুচকা খেতে ইচ্ছে করছিল!!!!
বোহেমিয়ান
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
হিমু ভাইকে অভিনন্দন।বইটি পড়ার জন্য মন আকুপাকু করতাছে।
কালকেই কিন্না ফেলবো।
পড়ে ফেলেছি...
-------------------------
ওলো সুজন আমার ঘরে তবু আইলোনা
এ পোড়া মনের জ্বলন কেন বুঝলোনা!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
পড়ে ফেলেছি...
-------------------------
ওলো সুজন আমার ঘরে তবু আইলোনা
এ পোড়া মনের জ্বলন কেন বুঝলোনা!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
তাহলে পোলে একটা গুঁতা দিয়াসেন।
গল্পকার মাহবুব আজাদকে অনেক অভিনন্দন জানাই।
এই কথাটুকু লিখাবার জন্যেই বহুদিন পর আবার সচলায়তনে ঢুকলাম।
হিমু ভাই এগিয়ে যান, আমরা আছি পেছন পেছন......
ভেঁপু থামুন বাজান !
অভিনন্দন হিমু!
আপনার বইটা পড়ার জন্য খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি।
আমিও খুব আগ্রহ নিয়ে পাঠকের প্রতিক্রিয়া জানতে অপেক্ষা করছি। এ পর্যন্ত তিনজনের প্রতিক্রিয়া পেলাম। দূর, কাগুজে লেখায় মজা নাই । মন্তব্যই যদি না আসে ...
রিভিউ লেখার গৌরব অর্জাইতে চাই...। অনুমতি দিবেন্নাকি কন...। গতকাল আন্তঃনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেসের কামরায় বইস্যা ম্যাগনাম ওপাস শেষাইলাম...
_________________________________________
সেরিওজা
আবাজিগস ... !
ঐদিন রাস্তায় ট্রাফিক অস্বাভাবিক কম ছিল। ৭.৩০ তে আপিস থেকে বেরিয়ে কাটায় কাটায় ৮টায় বইমেলায় পৌঁছলাম কীভাবে কে জানে!
কয়েক বছর পরে যখন দুই বাংলার প্রখ্যাত লেখক মাহবুব আজাদ তাঁর নতুন বইয়ের মোড়ক নিজ হাতে উন্মোচন করবেন, সেদিনো আশা করি থাকতে পারবো, অনেক ভক্তের ভীড়ের মাঝে, আড়ালে...
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আমিও ভিড়ের মধ্যে কোনো সুন্দরী পাঠিকার সাথে লুলামোতে রত অবস্থায় থাক্তে ছাই (বৃটিশ অ্যাকসেন্ট) !
তোরে আড়াল করে এমন লোক এক্টাই ছিলাম, এখন আর কে আড়াল করবে!
হিমুর লেখা নিয়ে কিছু বলার নাই। সেপথে গেলাম না। তবে হিমুর বই বাজারে আসা দরকার খুব, এটা অনেক আগেই বুঝেছিলাম। বলেওছিলাম, পাত্তা দেয় নাই তখন।
যাহোক, এবার হিমুর বই আসছে, সেজন্য প্রতীক্ষাতেই ছিলাম। সকালবেলাতেই রাস্তা থেকে কাঁধে করে যখন ১০০ বই নিয়ে ঘরে ঢুকলাম, খুব ভালো লাগছিলো। টুকটাক কিছু সমস্যা ছিলো, সেগুলো সারাদিন ভরে ঠিকঠাক করলাম। বাঁধাই তখনো শুকায়নি, ধরে ধরে এক বান্ডিল বই শুকালাম। সারাদিনই হিমুর সাথে অনলাইনে টুকটাক কথা চলছিলো। ওয়েবক্যাম মারফত হিমুকে বইয়ের চেহারা দেখালাম। কাজগুলো করতে খুব ভালো লাগছিলো।
এসবের ভীড়ে রিটন ভাইকে ফোন করতেই ভুলে গেছিলাম। হুট করে সন্ধ্যায় মনে পড়লো। ফোন দিলাম রিটন ভাইকে, মোড়ক উন্মোচনের জন্য। ঢাকার এক ৫ তারা হোটেলে রিটন ভাইয়ের নেমন্তন্ন ছিলো, হিমুর বই আসছে শুনেই সেই দাওয়াত বাতিল করে দিলেন। কৃতজ্ঞতা রিটন ভাই...
সুহানকে আগের দিনই বলে রেখেছিলাম, শিমূল নিজ থেকেই জানালো আসবে। সঙ্গে নিয়ে এলো রায়হানকে। সবাই মিলে সব গুছিয়ে মেলায় গেলাম। আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলাম পাঠসূত্র থেকে প্রথম বইটা আমি কিনবো। কিন্তু খোসাওয়ালা বইগুলো নিয়ে যেতে যেতে দেরি হয়ে যাওয়ায় সুযোগটা হাতছাড়া হয়ে গেলো। ওডিনরে মাইনাস...
গতকাল মেলায় যাওয়া হয়নি। আজকেও যেতে দেরি হচ্ছিলো। এর মধ্যেই আলবাব মশাই ফোন করে জানালেন উত্তেজিত এক খবর। হিমুর বই পাঠসূত্রে যে কয়টা ছিলো, সব নাকি বিক্রি হয়ে গেছে!
একই সঙ্গে প্রচণ্ড খুশি আর বিব্রত। এখন বইয়ের যোগান দিবো কীভাবে? আমি পল্টনে এক প্রেসের ঘিঞ্জিতে, আর বই আমার বাড়িতে তালা মারা দরজার আড়ালে!
কী করি কী করি যখন ভাবছি, তখন জানা গেলো তথ্য ভুল। এখনো সব বিক্রি হয়নি, কয়টা রয়ে গেছে এক চিপায়। আজকের দিনটা চলে যাবে।
হাঁপ ছেড়ে বাঁচলাম যেন, কিন্তু তবু মনে হলো... আগের তথ্যটাই বেশি আনন্দময় ছিলো।
আমি মনে করি মাহবুব আজাদের বই যে স্টলে থাকবে, সেই স্টলে পাঠকের ভীড় থাকা উচিত অনেক বেশি। এসময় যারা গদ্য লিখছেন ভালো, প্রায় সবাইকেই পড়েছি, তারপর বলছি- হিমুর গদ্য ভয়ঙ্কর...
আমি নিশ্চিত, একদিন লাইন দিয়েই কিনতে হবে হিমুর বই। সেদিনের অপেক্ষায় থাকলাম।
শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন হিমু কিংবা মাহবুব আজাদকে। সুন্দর করে লেখার জন্য ধন্যবাদ শিমূলকে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
রিটন ভাইকে আবারও ধন্যবাদ জানাই। এই অনুষ্ঠানে তাঁর উপস্থিতি আমার জন্যে একই সাথে গর্ব আর আনন্দের ব্যাপার।
নজরুল ভাই যখন স্কাইপে বই তুলে দেখাচ্ছিলেন আমাকে, তখন টের পেলাম, পিতা হওয়ার অনুভূতিটা কেমন। স্লো স্পিডের নেটের ভেতর ছাড়া ছাড়াভাবে দেখতে পাচ্ছিলাম প্রচ্ছদের এক একটা অংশ, মনে হচ্ছিলো বইটা হাত পা নাড়ছে আমাকে দেখে।
অনুষ্ঠানে থাকতে না পেরে আমি এতটুকু দুঃখিত নই। ছবিতে দেখলাম ঢাকার সচলরা প্রায় সবাই আছেন, খুব ভালো লেগেছে যে এই অফিস শেষের ক্লান্তিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অয়ন, সুহান, এনকিদু, সবজান্তা, কৌশিক, ওডিন, জলিল ভাই, সবুজ বাঘ, আকতার ভাই, লীনা ফেরদৌসী, বুনোহাঁস, দুষ্ট বালিকা, জুয়েইরিযাহ, নির্জন স্বাক্ষর, টুটুল ভাই, অকুতোভয় বিপ্লবী, শাহেনশাহ সিমন, নূপুর ভাবী, তিথি, বালক, দৃপ্ত, বাপ্পী, অমিত রায়হান এবং আরো কয়েকজন [কাকে যেন বাদ দিলাম বলে মনে হচ্ছে] এসে আমার না থাকার ব্যাপারটাকেই তুচ্ছ করে দিয়েছেন। আরো ভালো লাগতো কনফু ঢাকায় থাকলে, ব্যক্তিগত কারণে তাকে কুমিল্লা চলে যেতে হয়েছে। প্রকাশক নজমুল আলবাব সঙ্গত কারণেই অনুপস্থিত। আর যাঁরা অফিসের ব্যস্ততার কারণে সময় করতে পারেননি, তাঁরা অনলাইনেই সান্ত্বনা আর শুভকামনা জানিয়েছেন, সবাইকে ধন্যবাদ।
নজরুল ভাই, মৃদুলদা আর শিমুল এই আনুষ্ঠানিকতার কাজটা এত চমৎকারভাবে সম্পন্ন করেছেন যে আমি নিশ্চিত, আমি থাকলে কোনো আলগা মাতবরি করতে গিয়ে একটা না একটা কিছু পণ্ড করতাম। ভাগ্যিস আমি ছিলাম না !
ধন্যবাদ সচলায়তনকে, যার সুবাদে এই চমৎকার মানুষগুলো অনুপস্থিত একজনের বইকে ঘিরে গোল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সেদিন।
ধূসর গোধূলি এই জার্মানিতেও নিঃসঙ্গ হতে দেয়নি আমাকে, অনুষ্ঠানের সময় দেখি জিমেইলে তার টোকা। যদিও তার কাছে বিশ ইউরো পাই, কিন্তু মানুষ সে খারাপ নয় ।
মোড়ক খোলার জন্যে নিধিকেও রাখতে অনুরোধ করেছিলাম নজরুল ভাইকে। একদিন আমরা থাকবো না, নিধি থাকবে, এই বইয়ের অভিষেকের সাক্ষী হয়ে।
একটা ছোট্ট পর্যবেক্ষণ। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনজন ছড়াকার। একজন বর্তমান বাংলাভাষী পৃথিবীর সেরা ছড়াকার রিটন ভাই, অন্য দু'জন আগামীর সেরা, মৃদুল ভাই আর আকতার ভাই। সন্ন্যাসীদা আর স্বপ্নাহত উপস্থিত থাকলে এটা হয়তো স্মরণকালের সবচেয়ে বড় ছড়াকার-সমাবেশ হতো, কে জানে!
মন ছুঁয়ে গেল! আপনাকে অসংখ্য অভিনন্দন!
বইটা পড়তে এত ইচ্ছা করছে! দেখি কাউকে দিয়ে কিনিয়ে নিতে হবে এবং সুযোগমত যেন আমার কাছে পৌঁছে দিতে পারে, তার ব্যবস্থা করতে হবে!
কাকুল কায়েশ
ধন্যবাদ! আশা করি বইটা পড়তে পাবেন।
আজকে পাঠসূত্রে গিয়া আপনার বই পাই নাই। শুধু কাঠের সেনাপতি পাইছি। বইলা দিয়া আসছি, বইয়ের প্রকাশকরে মাইর দেয়া হবে, লেখকের অবমূল্যায়ন করে কপি কম পাঠানোর জন্য !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমার কোন দোষ নাই, আমি পরিস্থিতির শিকার।
ব্যক্তিগত জীবনে আমি আনিসুল হক, সুমন্ত আসলাম আর ড. মোহিত কামাল ছাড়া কারও বই কিনি না, অজানা অচেনা প্রবাসী লেখকের বই তো বহুত দুরের কথা। আমি না কিনে সেখানে দাঁড়িয়েই বিনিপয়সায় একটা গল্প পড়ে ফেলার তাল করছিলাম। কিন্তু কয়েকজন পাপীষ্ঠ পাপারাজ্জি সচলের পাল্লায় পড়ে কিনতে বাধ্য হলাম। হায় আমার পঁচাত্তর টাকা। দেড় কেজি কটকটি খাওয়া যেত।
প্রথম বইয়ের প্রথম কপি কোন সুতন্বী ক্ষনচপলা ক্ষীনতনু মৃদুহাস্য মৃদুভাষিনীর হাতে না পড়ে কালো, মোটকা হেঁড়েগলার একটা ছেলের হাতে পড়ার জন্য জনাব মাহবুব আজাদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
এইটা ক্লাসিক হৈসে ) ! প্রথম বইয়ের প্রথম কপি থেকে আমার সুন্দরী পাঠিকাকে বঞ্চিত করার অপরাধ ক্ষমা করে দিলাম এর জন্য।
কোন বই পড়তে ইচ্ছে করলেই ঘণ্টা খানেকের মধ্যে সেটা হাতে চলে আসবে-- সেই সময় অতীত হয়ে গেছে। অতীত হয়ে গেছে প্রতিদিন বিকেলে অবধারিতভাবে বইমেলায় একটা চক্কর দিয়ে আসাটাও। প্রবাসে বসে তাই ছবি আর ভিডিও দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া উপায় নেই। ছবিসমেত পোস্টের জন্য শিমুল ভাইকে ধন্যবাদ।
হিমু ভাইয়ের গদ্যের ভক্ত আমি, তার রসবোধেরও। ভাললাগা আর ঘৃণার প্রকাশে সমান পারঙ্গমতার এমন প্রকাশ আর কারো লেখায় দেখিনি। রয়েসয়ে'র সবগুলো লেখাই সময় নিয়ে পড়েছি। হিমু ভাই আর মাহবুব আজাদ উভয়েরই কল্যাণ হোক।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
দেশে থাকলে এতদিনে কয়েকবার হানা দিতাম বইমেলায় এবং প্রত্যেকের বই কিনে নিয়ে আসতাম!.........আহা কি মজার দিন ছিলো!
যেতে না পারলেও ভালো লাগে প্রতিদিন এর ওর বই বেরোচ্ছে দেখতে!
হিমু ভাইকে অভিনন্দন তার প্রথম বই এর জন্য। শুভকামনা রইলো।
সাফল্য কামনা করি লেখক এবং বইয়ের, পোস্টটা দারুন হইছে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
অপেক্ষায় আছি বইটি হাতে পাবার । অনেক অভিনন্দন, হিমু!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
বই বিক্রি বাড়ুক।
সেদিন উপস্থিত থাকতে পেরে দারুণ লাগছিলো।
অভিনন্দন হিমু ভাই
শুভকামনা রইলো।
--------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
সাফি, দুর্দান্ত, ফাহিম, সুহান, অনার্য, বাউলিয়ানা, স্পর্শ, পিপিদা, তিথীডোর, বলাইদা, হারু, রণদা, শিমুল, বোহেমিয়ান, একলব্য, রাফি, মৃত্তিকা, সাইব্বাই, মণিকা, শুভাশীষদা, জুয়েইরিযাহ ... সকলকে ধন্যবাদ!
অভিনন্দন মাহবুব আজাদ। বই পাওয়ার, পড়ার অপেক্ষায় আছি।
আমার বিশ্বাস মাহবুব আজাদ, আর তারেক নুরুল হাসান একদিন খুব নাম করবে।
অট: এই বইয়ের ব্যাপারে হিমুর কথা ছিল, এটা মাহবুব আজাদের লেখা যে বাংলাদেশে থাকে, হিমুর না।
অট:অঠ:
পভা কি বাদ, মেজাবিনের ছবি দেখি যে।
ধন্যবাদ! মাহবুব আজাদ আপনার বিশ্বাসের মূল্য দিতে না পারলেও তারেক নূরুল হাসান পারবে।
অট:অঠ: মাহিজাবিন খ্রাপ কী? কেউ পাবে কেউ পাবে না, তা হবে না, তা হবে না!
হিমু সাহেবের বই হাতে পেতে অস্থির হয়ে আছি। অনলাইনে কেনার কোন বন্দোবস্ত করা যায়না ভাইজান? আপনার বই দিয়াই রিভিউ লেখার বউনি করতে চাই।
শিমুল ভাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ চমৎকার এই লেখাটির জন্য।
ধন্যবাদ। বই-মেলা ডট কমের ফরিদ সাহেব নিখোঁজ। দেখি তার খোঁজ পাওয়া যায় কি না।
দেরিতে পড়লাম লেখাটা। অভিনন্দন আপনাকে মাহবুব আজাদ, বইটা পেলে আরও ভালো লাগত। হিমু নামে লিখেন না কেন? নাকি হিমু নীললোহিতের মত আরেকজন লেখক?
ধন্যবাদ শিমুল লেখার জন্য।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ! "হিমু" নামটা এই ব্লগের জন্যেই তুলে রেখেছি। এটা আমার হাফপ্যান্ট। আর মাহবুব আজাদ ফুলপ্যান্ট ।
বইটা আপনি পেলে আমারও ভালো লাগতো ।
অভিনন্দন! হিমুর ওপর মেজাজ খারাপ তো আর গল্পকার মাহবুব আজাদের দায় নয় - তাই কিনবো কয়েক কপি
বইতে এক জায়গায় আপনার নামে ভালো ভালো কথা লেখা আছে কিন্তু! ছাপার হরফে এই প্রথম!! এই সুযোগ হ্যালায় হারাইবেন্না !!!
- এই সুযোগে নিজের অ্যাম্বিকর্ম প্রদর্শন করিয়া যাই-
যারা বুঝতে পারবেন না এখানে কী লেখা আছে, তাদের জ্ঞাতার্থে এই মর্মে জানাতে চাই, এখানে পরিষ্কারভাবে "ম্যাগনাম ওপাস" লেখা আছে। হিজিবিজি লাগলে, সেটার দায় দায়িত্ব অ্যাম্বি কর্তৃপক্ষ নেবে না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
প্রকাশনা উৎসবের দিন সিলেটে ছিলাম, প্রকাশকের অফিসে বসেই প্রচ্ছদ দেখলাম ( প্রকাশক নজমুল আলবাব অতি সতর্ক লোক, সে বই দেখায় নি। )
হিমুর লেখা আগ্রহ নিয়ে পড়ি দীর্ঘদিন, এখন মাহবুব আজাদ সাহেবের লেখার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছি।
মাত্র ১০ কপি কিনলেই হবে বস।
আবারো অভিনন্দন।
হিমু ভাই, অনলাইনে পাওয়া যাবে? না হলে ইমেইল করবেন সফটকপিটা?
=====================
মোড়ক উন্মোচনের অনেকগুলো ছবির সেই রূপবান যুবকটা কি শিমুল ভাই?
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
আবারো ধন্যবাদ!
দেখি অনলাইনে পাওয়ানোর ব্যবস্থা করা যায় কি না। সফটকপি হস্তান্তর করার তো প্রশ্নই আসে না ।
শেষের আগের ছবিটা দেখে একটা ক্যাপশান মনে হোল...
"ম্যাগনাম ওপাস সহ তিন যুবক ধৃত"
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বইটা পড়তে পারলে এতদিনে তুমুল সমালোচনা করে একটা ড়িভিউ লিখে ফেলতাম
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আমিও রিভিউয়ের অপেক্ষায় আছি, বিশেষ করে "নিদপিশাচ" আর "ম্যাগনাম ওপাস" গল্প দুইটার ...
মেলাদিন বাদে ব্লগে ঢুইক্যা খুব আনন্দ পাইলাম। অভিনন্দন হিমু ভাই। আনিস ভাইকে বলবো কয়েক কপি নিয়ে আসার জন্য। শীতটা একটু কমলে আমরা মিউনিখে দুই সচলের বইয়ের মোড়ক খুলবো।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
এইবার ইন্সব্রুকের দিকে একটা পিকনিক হয়ে যাক ...
আমাচ্চাই আমাচ্চাই আমাচ্চাইইইইইই৷
আপনের সেই সাইটে মেলালাম৷ তা তাঁরা বললেন নাকি আপনের প্রকাশক আইলসামি কইর্যা অনলাইনে দিতাসে না৷ আমাকে আবার পরামর্শ দিসেন আপনের প্রকাশককে তাড়া দিতে৷ তো আপনিই আপনার প্রকাশককে লম্বা লগা দিয়া কখান খোঁচা দেন না৷
আর হ্যাঁ আমি চাইছি মানে কিন্তু শুধুই আমি নয়৷ আপনার লেখার ভক্ত আরও কিছু পাঠক পাঠিকা৷ এদের মধ্যে একজন কিন্তু ডাকসাইটে সুন্দরী৷
এখন আপনার বিবেচনা৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হেঁ হেঁ হেঁ ধন্যবাদ। প্রকাশককে জানালাম। কিন্তু "অনলাইনে দেয়া"র কাজটা তো প্রকাশকের না, সেই সাইটরাখালের। দেখি দুইজনরেই গুঁতা দিয়ে।
সুন্দরী পাঠিকাদের বলবেন এক্টু ধৈজ্জ ধরতে ... ব্যবস্থা হচ্ছে ... বই ক্রমে আসিতেছে ...
সেদিন একটা কাজে আটকে যাওয়ায় মেলায় আর যাওয়া হয়নি।
অনেক অভিনন্দন হিমু ভাই।
দুই হাতে তো এখনই লিখতেসেন। আল্লাহর কাছে দোয়া করি আপনারে বিশেষ বিবেচনায় আরো কয়েকটা হাত দিক। আমিন!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
ধন্যবাদ!
একটু দেরি করে ফেললাম। অনেক অভিনন্দন।
অনেক ধন্যবাদ।
দেরিতে এলাম, অভিনন্দন জানাই। বই সংগ্রহের ব্যাবস্থা করতে হবে, এতো ঘুরপথে সোজা কাজ হবে না জানি। তবে আশা করি দেরিতে হলেও হাতে আসবে।
ব্যাবস্থা?!! মূলোদার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেছিস কে রে তুই???
ধন্যবাদ! দেখি আবারও পাপিষ্ঠ ফরিদ সাহেবকে গুতা দেই।
উপস্থিত!
ShimuL ব্যাপারটা মজা হইছে। এমন সুন্দরভাবে হিমু'র মধ্যে শিমুল নিহিত, না কি শিমুলের মধ্যে হিমু!
শেষের ছবিটা ক্যাপশন-সহ বেশ আগ্রহের বিষয়। দেখলাম, হিমু'র মতো হিমুর বই-ও সুন্দরী-সঙ্গলিপ্সু।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
লেখাটা পড়সিলাম আগেই। এখন পড়তেসি বইটা। শেষ থেকে শুরু করসি। 'ম্যাগনাম ওপাস', 'বিলুপ্তি', 'নিদপিশাচ'।
নতুন মন্তব্য করুন