“সন্ধ্যার মেঘের রঙ অন্ধকার হ’লেই পান্থ রহমান রেজাকে পেয়ে বসে বিষন্ন সব কথামালা। পেয়ে বসে পঞ্চমীর চাঁদ, পেয়ে বসে আট বছর আগের কোনো একটা দিন...”। প্রশ্ন জাগে - কেনো এই আট বছর, কী ঘটেছিল আট বছর আগে? সুনীল যেমন তেত্রিশ বছর ধরে অপেক্ষা করেছেন তেমন করেই কি আট বছরের কোনো লুকোনো প্রেক্ষাপট আছে? নাকি ‘নাবিলাচরিত’এ নাবিলা এবং আনিসের মধ্যে আট বছর পরে যেমন দেখা হয়েছিল, তেমন করেই বিগতের কাছে আগামীর সম্ভবনা নিয়ে ফিরে যাবেন পান্থ, শোনাবেন নতুন গল্প...?
এসব ভেবেই শুরু করি পান্থ রহমান রেজার প্রথম গল্প সংকলন “সন্ধ্যার মেঘের রঙ অন্ধকার হলে”। এবারের একুশের বইমেলায় বইটি প্রকাশ করেছে বাতিঘর প্রকাশনী। পান্থ রহমান রেজা আমাদের সহব্লগার। পত্রিকার পাঠক পাতার সুত্রে এর আগে তার লেখা চোখে পড়েছে বলে মনে পড়ে, কিন্তু সচলায়তনে যখন পান্থ এলেন তখন খেয়াল করি এই সময় এবং এই সময়ের মানুষদের নিয়ে গল্প লিখছেন তিনি। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে ইচ্ছে ছিল – পান্থ’র লেখা গল্পগুলো নিয়ে একটি আলোচনা পোস্ট দেবো, জানতে চাইবো অন্যরা কী ভাবছেন। নানান কারণে, মূলত সময়ের টানাটানিতেই, সেই পোস্ট আর লেখা হয়নি। কিন্তু, সে সময়কার গল্পগুলো পড়ে অভিযোগ কী কী তৈরি করেছিলাম তা এখনো মনে আছে।
পুরনো পাঠের মন্তব্যগুলো আলাদা রেখে, সন্ধ্যার মেঘের রঙ অন্ধকার হলে, গল্প সংকলনটি গত দশদিনে আমার সঙ্গী হয় বাসা আর কর্মক্ষেত্রের চলতি পথে। গুলশান দুই নম্বরের সিগন্যাল, বনানী এগারো নম্বর শর্মা হাউজের গলি, মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচের মোড়; এসব বিরক্তিকর যানজট কেটে যায় সন্ধ্যার মেঘের রঙ অন্ধকার হলে’র বারোটি গল্প পড়ে।
আগে খেয়াল করিনি, এবার বইয়ে একসাথে পড়তে গিয়ে দেখলাম – পান্থ গল্প লেখার চেয়ে গল্প বলতে আগ্রহী। আর এজন্যই তিনি গল্প কথকের ভূমিকায় নামেন – “আপনি যদি সিরাজগঞ্জ শহরে গিয়ে কাউকে জিজ্ঞেস করেন আমজাদ চৌধুরীর কথা”, “আমরা আপাতত ইলিয়ট ব্রিজের আড্ডায় ফিরে যাই”, “আপনিই বলুন, এমন হীরে পাচারকারী মামুনের কী হতে পারে!” প্রায় প্রতিটি গল্পে এমন সব আহবান আর প্রশ্নে লেখক পাঠককে সহযাত্রী হতে বলেন। একটু ধৈর্য্য ধরে গল্পকারের সঙ্গী হলে গল্পের অন্দরমহলে গেলে টের পাবেন – অচেনা এক ঘরে আপনাকে রেখে গল্পকার উধাও হয়ে গেছেন। তখন অচেনা ঘরে, গল্পের শেষে, সেই রবিবুড়োর কথাই মনে পড়ে- ‘শেষ হইয়াও হইলো না শেষ’।
গল্পের অন্দরমহলে যতবারই গিয়েছি- বোঝার চেষ্টা করেছি বালিকারা কী করে সেখানে...। আত্মকথনমূলক বয়ানে ‘গল্প লিখিয়ে’ গল্পের পারুলকে ছুঁই ছুঁই করেও ছোঁয়া হলো না এই পাঠকের। জাঁদরেল আমজাদ চৌধুরীর কন্যা পারুলকে নায়ক উজ্জ্বল যেখানে পেতে ব্যর্থ, সেখানে আমি পাঠক কোন ছার! এরপরের গল্পে ভার্চুয়াল নাজনীন যখন ফেসবুকের ফেইক একাউন্ট বলে প্রমাণিত হয় – তখন গল্পের নায়কের মতো, আগ্রহের কেন্দ্র যখন নাজনীন,পাঠকেরও লজ্জায় মাথা হেঁট! আরো খানিক এগুলো গল্পের নায়ক শাহরিয়ার মামুন পাঠকের ঈর্ষার শিকার হবে। টুসি, হায় টুসি, হায়! হায় চারুকলার পন্ড (পুকুরই মানাতো ভালো!)। চরিত্রদের কক্সবাজার নিয়ে পাঠকের মনের ঈর্ষাটুকু আরো তীব্র হতে দেননি লেখক। সোহাগ পরিবহনে কর্ণেল রুমন এসে হানা দিয়েছিল। এবার আমি নিশ্চিত হই – লেখকও ঈর্ষান্বিত এই মামুন-টুসির প্রেমে। নয়তো, কী এমন ক্ষতি হতো টুসি মেয়েটিকে কক্সবাজার নিয়ে সৈকতে দাঁড় করালে? আর বেলকুচির শোভার গল্প শোনাতে গিয়ে লেখক আরো একবার অধরা রেখে দিলেন। ট্রয় নগরীর মতো বেলকুচি কিংবা জোনাকী সিনেমা হল কি ধ্বংস হতো, যদি শোভা একবার এসে দাঁড়াতো ঐ রাস্তায়? নির্মম, বড্ডো নির্মম এ লেখক। যদি খানিক ক্ষমা করা যায়, তবে তা ঐ ৮৯ ভিলা ম্যাগনোলিয়ার ইতি’র গল্পের জন্য। মিল্কশেক খাওয়ার লোভে নয়, জোছনা মাখা ব্যালকনিতে মাঝরাতে দাঁড়ানো ইতিকে দেখতে আমি নিশ্চিত কোনো একদিন মৌরি মেডিসিনের সামনে অপেক্ষা করবো।
সন্ধ্যার মেঘের রঙ অন্ধকার হলে’র ভিন্ন ট্র্যাকের তিনটি গল্প ‘প্রেম ও ক্ষুধার গল্প’, ‘মুক্তিরা কবে আসবে’, ‘লোকটি আমাদের গ্রামে আসার পর’। এর শেষ দুটি গল্প তুলনামূলকভাবে দূর্বল বলে মনে হয়েছে। অবশ্য এ’ও মনে জেগেছে – এখনকার উঠতি লেখকদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের গল্প লেখা আসলেই দুরুহ? সে প্রশ্ন লেখকের পাশাপাশি অন্য পাঠকের কাছেও রাখলাম। ‘মোল্লা বাড়ির ভূতেরা ভালো নেই’কে লেখক অযতনে অবহেলায় খুন করেছেন বলে মনে হয়েছে।
তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে ‘একটা ফোন কল কাঁটা হয়ে বাজছে’ গল্পটি পাঠের পর অনেকক্ষণ মনে একটা সুর রেখে যায়। অন্দ্রিলা আদনান কি আমাদের অচেনা কেউ? গল্পের সে অন্দরমহল কি ভিন্ন কোনো বাড়ি? লেখক অবশ্যই অভিনন্দন পাবেন এ গল্পের জন্য!
শুরুর দিকে অভিযোগের কথা বলছিলাম।
সম্ভবনা জাগিয়েও গল্পকে মাঝ পথে থামানোর অভিযোগ ছিল এর আগে সচলে লেখা গল্পগুলো নিয়ে। আপাততঃ সে অভিযোগের জাবেদা-খতিয়ানের ভুক্তিতে না যাই।– আগামীতে পান্থ রহমান রেজার লেখা নতুন নতুন পাঠের আরো অপেক্ষায় থাকি। সচলায়তনেই না হয় কথা হবে সে সব বিষয়ে। 'সন্ধ্যার মেঘের রঙ অন্ধকার হলে' গ্রন্থের উৎসর্গ পাতায় পান্থ যেমন লিখেছেন –
সচলায়তন.কম
এবং এর সকল বন্ধুদেরকে
[যা এবং যারা না থাকলে আমি আজ মলাটবন্দি হতাম না]
_
মন্তব্য
"একটা ফোন কল কাঁটা হয়ে বাজছে" গল্পটা পড়েছি। টানটান, ছিমছাম গল্প। এ ধরনের গল্প পাঠক হিসেবে আমাকে আকর্ষণ করে।
পান্থর বাকি গল্পগুলো বই থেকে পড়বো। বই সম্পর্কে সামান্য কথোপকথন রেডিওতে শুনেছি।
পান্থ যদি সময় করতে পারেন, স্কাইপে আপনার সাথে কিছু কথোপকথন হতে পারে। পাঠক, প্রকাশক ও গল্পকারদের সাথে একটি কথোপকথন ফাইলবন্দী করার চেষ্টা করছি।
- ম্যাগনাম ওপাস ও কয়েকটি গল্প'র লেখক মাহবুব আজাদকেও বলিস তৈরী থাকতে। তাঁকেও দাঁড়াতে হবে পাঠকের কাঠগড়ায়।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ্যা ওনারেও চাই।
হ একজন জবরদস্ত পাবলিক প্রসিকিউটর দরকার
- একজন দুর্নীতিবাজ, জাঁদরেল কৌসুলী নিয়োগ দেয়া হয়েছে কেবল এই উদ্দেশেই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সেদিন গল্পকার তারেক নুরুল হাসান 'কাঠের সেনাপতি'তে অটোগ্রাফ দিতে গিয়ে লিখে দিলো- পান্থ'র নার্ভাসনেস কাটুক! রেডিওতে আরজে'র সাথে আড্ডা শুনে একবালিকা ফোন করে বললো, লেখক হতে চাও, এতো নার্ভাস থাকলে কীভাবে হবে! বই কিংবা নিজেকে নিয়ে কথা বলতে আমি ব্যাপক নার্ভাস বোধ করি! হিমুভাই, সময় নিয়ে সমস্যা নাই, সমস্যা আমার নার্ভাসনেস নিয়ে!
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
বেশ লাগলো আপনার লেখাটা।
বইটি যে কবে পান্থ দিবো
*************************************************************************
ভবিষ্যতে কি হবে তা ভেবে বর্তমানকে উপেক্ষা করবো কেনো?
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
পোস্টে সহমত
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
- দারুণ, শিমুলীয় রিভিউ হয়েছে।
পান্থ রহমান রেজা'র গল্প লেখকের চেয়ে গল্প কথকের ভঙ্গিটাই বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। বইটা হাতে পাওয়ার অপেক্ষা করা ছাড়া আর উপায় কী!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পান্থভায়া, অঢেল অভিনন্দন!
অভিনন্দন, পান্থ। 'একটা ফোন কল কাঁটা হয়ে বাজছে" গল্পটা পড়েছি, বাকীগুলো বইটি হাতে পেয়ে পড়ার অপেক্ষায়। রিভিউ খুব উপভোগ করলাম।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
পলাশ ফুটেছে, শিমুল ফুটেছে।
শাল্মলি আরেকটা রিভিউ জুটেছে।
বেশ ভালো লাগলো শিমুল। আপনার নির্মোহ কিন্তু নির্মল সুন্দর, দুইচোখা দৃষ্টির যথেষ্ট পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা।
পান্থ-কে অভিনন্দন তো বটেই। নতুন লেখকদের মধ্যে আমার পছন্দের তালিকায়ও পান্থ খুব কাছের একজন হয়ে জ্বলজ্বল করে। ভালো লাগে এইটা, অনেকই ভালো লাগে।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
শিমুল কী বলবো, যাকে ভাবি আগামীদিনের বাংলাসাহিত্য'র উজ্জ্বল নক্ষত্র, তার কলমে আমার প্রথম বইয়ের পাঠ-প্রতিক্রিয়াসহ খানিকটা দিকনির্দেশনা; গর্বে আমার বুকের ছাতি কতটুকু ফুলে গ্যালো, তা যদি দেখতেন!
আমারই কোনো এক গল্পে একটি চরিত্র প্রশ্ন তুলেছিল, সব গল্প কি লেখা হয়ে গেছে! আমার নিজের মনে হয়, সব গল্প লেখা হয়নি। তবে গল্পের বিষয়বস্তু খুঁজতে গিয়ে আমার প্রায়ই মনে হয়েছে, আরে এটা নিয়ে তো লেখা হয়েছে। আমি নতুন করে আর কি লিখবো। এজন্যই পথে চলতে ফিরতে গল্প খুঁজি! এর-ওর ব্যক্তিজীবনে হানা দিই। তাদের গল্প বলতেই গল্পকথকের ভূমিকায় নামি! আর তাই বুঝি আমার গল্পকথক হয়ে ওঠা। বিষয়বস্তুর চেয়ে গল্প বলার দিকে ঝুঁকে যাওয়া।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গল্প লেখা আমার নিজের কাছে দুরূহ মনে হয়। একটু বলি, একটা উপন্যাস লেখায় হাত দিয়েছি। দুটো অধ্যায় ইতিমধ্যে লেখা হয়েছে। তৃতীয় অধ্যায়ে ফ্ল্যাশব্যাকে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ফিরে যাওয়া হবে। একটা মধ্যবিত্ত পরিবার ঢাকা থেকে পালাচ্ছে। প্রথমে অন্য শহর, তারপর উপশহর, সেখান থেকে সবুজ গ্রাম। ভেবেছে, গ্রামে বুঝি নিশ্চিন্তে থাকতে পারবে। একদিন সেখানেও হানা দেয় পাকিস্তানি আর্মি। সেখান থেকে আবার পলায়ন। কারো সাত-পাঁচে না থেকে সুখে শান্তি বসবাস করা মধ্যবিত্ত পরিবারটির পলায়ন আর দিনযাপনের কিছু দৃশ্য আছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সেই সময়কার আবহটা কিছুতেই আনতে পারছি না। মনে হচ্ছে, অভিজ্ঞতার ঝুলিতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি থাকা দরকার ছিল।
আমার সবকিছুতেই তাড়া আছে। যেমন এই বইটাও খুব দ্রুত বের হয়ে গেলো। অথচ আমার গল্প লেখালিখির শুরু এই সচলায়তনে এসেই। মাত্র বছর দেড়েকের। এর আগে অবশ্য পত্রিকায় ফিচার লিখেছি, এটা-সেটা লিখেছি। ফিচার লিখেই ভার্সিটির পড়ার খরচ জুটিয়েছি। ঠিক তৈরি না হয়ে গল্পের বই বের করা.... শিমুল, আমার এই তাড়াবোধই হয়তো গল্পকে খুন করতে সদা উদ্যত হয়। এই তাড়াকে মোকাবিলার জন্য সিগনেচার লাগিয়ে রেখেছি- আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না; আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে, পৌঁছে অনেকক্ষণ বসে অপেক্ষা করার সময় আছে। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয় না।
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
বেশিরভাগ গল্পই বোধহয় আগে পড়েছি। তবুও বইটা হাতে না পাওয়া অবধি খচখচানি যাচ্ছেনা
রিভিউ ভালৈছে।
এখন বই পড়ার অপেক্ষায়।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
রিভিউ ক্যাম্নে লিখতে হয় তা শিখে নিচ্ছি শিমুল ভাই...
দারুণ রিভিউ। পান্থ'দার বইটা হাতের কাছেই আছে। কিছু গল্প আগে পড়াও বটে। তবু এমন চমৎকার রিভিউর পর বাকিগুলো না পড়ে স্বস্তি পাচ্ছি না।
_________________________________________
সেরিওজা
পান্থ, ছোট্ট একটা শব্দ বাদ পরে গেছে হয়তো বেখেয়ালে...! লাইনটা ছিলো-
"পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করবার অবসর আছ।" (জীবনানন্দ দাশ)
কোথাও কোথাও এই কবিতার নাম 'মোটরকার', কোথাও কোথাও ১৩৪৮...! কেন কে জানে?
শুভকামনা আপনার লেখালখির জন্য...!
বইগুলো হাতে পেতে মুখিয়ে আছি। আপাতত ডুমুরের ফুল হওয়া শিমুলের লেখা রিভিউ পড়ে সন্তুষ্ট থাকি। গল্প কথক পান্থর বইটি জনপ্রিয়তা পাবে নিঃসন্দেহে। লেখককে অভিনন্দন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বইটা এখনও কেনা হয়নি। শিমুল ভাইয়ের রিভিউ দারুণ লাগলো। অনেক পরিমিত। কিন্তু এটা পড়ার পরও বইটা কেনার আগ্রহ হচ্ছে না। কারণটা তো পান্থ'দা জানেনই। অতি সত্ত্বর অটোগ্রাফসহ ফ্রি কপিটা এইদিকে পাঠায়া দিয়েন, আর কবে খাওয়াবেন, বইলেন। নাইলে কিন্তু...
আন্তরিকভাবে বইটার সাফল্য কামনা করি।
এই একটা বাক্যই সব বলে দিয়েছে। অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো পান্থদা'র প্রতি। আপনার লেখাগুলো পড়ে আরাম। নিমেষেই শেষ হয়ে যায় যেন। অনেক লেখা চাই। যেমন লেখক, তেমন রিভিউয়ার। জুড়ি কাকে বলে!!
হুমম! ব্যাটা গপ্পবাজ! বই পড়ে মতামত জানাব...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
চমৎকার একটা রিভিউ ।
নিজের পাঠ প্রতিক্রিয়ার সাথে রিভিউ এর দূরত্বটা বেশ বুঝতে পারছি!
বইটা পড়া হয় নি । পড়ে নেব আশা করছি ।
বোহেমিয়ান
অভিনন্দন পান্থ ( একটু দেরী হলো হয়তো ) । ধন্যবাদ শিমুল ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
নতুন মন্তব্য করুন