গত বছরের ডে-প্ল্যানার ডায়েরিতে চোখ বুলাচ্ছিলাম।
২৬ জুন, শুক্রবারে লেখা আছে – উইন্ডজর, প্রকৃতিপ্রেমিক। উইন্ডজরে চমৎকার দুটি দিন কেটেছিলো প্রকৃতিপ্রেমিক, কিংকর্তব্যবিমূঢ়, বিপ্র আর অমিতের সঙ্গে।
দেশে ফেরার পর যতোই পেছনে তাকাই, দূরের দিনগুলো ক্রমশ গতকাল কিংবা তার আগেরদিন মনে হয়। সময় চলে যাচ্ছে দ্রুত। আগেও লিখেছিলাম, সময় দ্রুত কিংবা ধীর লয়ে যায় না। এই গতিবোধটুকু নিতান্তই নিজস্ব অনুভব। কতো কিছু করা যেতো, পড়া যেতো, দেখা যেতো; সে হিসেবে কেবল নিজেই চক্কর খাচ্ছি। সচলে নেই, ফেসবুকে নেই, গুগল টকে নেই, ঢাকার কর্পোরেট বন্ধুদের ব্যুফে আড্ডায়ও নেই। উইকএন্ডগুলোয় মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখি। তেমন জরুরী কোনো উদ্দেশ্য নয়, কেবলই কিছু ব্যক্তিগত মুহূর্তের প্রত্যাশায়। নিজস্ব সময়ের আকাঙ্খায়। অথচ...
“আমার জানালা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়”।
বাসায় পেছনে ও বামে যে খালি জায়গাটুকু আছে সেখানে আপাত আকাশচুমু দেয়া দালান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। রিয়েল এস্টেট কোম্পানীগুলো, শুনেছি, আগেই ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেছে। তাই আমি আকাশ দেখি। বৃষ্টির অপেক্ষা করি। রোদ ঝলমল দিন দিন। ধুসর আকাশ। বাড়িগুলোর ছাদে উড়ছে নানান দেশের পতাকা। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইতালী, ইংল্যান্ড এবং দুয়েকটা স্পেনের পতাকা। এবার স্পেনকে সমর্থন করছি। বিশ্বকাপ জিতবে তেমন ভরসা পাচ্ছি না। তবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার অহেতুক ক্যাচাল থেকে বাঁচা যায়। কেউ ঘাটাতে আসে না।
টেলিভিশন চ্যানেলগুলোয় বিশ্বকাপ নিয়ে তেরো-চৌদ্দ রকম অনুষ্ঠান।
উপস্থাপনায় আছে, খেলোয়াড়-অখেলোয়াড়-সাংবাদিক-সেলিব্রিটি। এক এক জনের কথা শুনলে মনে হবে এরা সবাই বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট পাওয়া লোক। মেসিকে, কাকাকে, দ্রগবাকে ছিন্ন-তুচ্ছ করে দিচ্ছে...। গায়ক শুভ্র দেবকেই দেখলাম দুই চ্যানেলে। হালের উঠতি হতে-চাওয়া-তারকারা ন্যাঁকি গলায় আঁর্জেন্টিঁনা – ব্রাঁজিল বলে চিৎকার করছে, হাত পা ছোড়াছুড়ি করছে।
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সাপোর্ট করে কেন তা ভাবছিলাম। আলাপও করছিলাম কার সঙ্গে। কারণটা কি শুধুই ম্যারাডোনা আর ব্রাজিলের ৫বার জয়ের রেকর্ড, নাকি অন্যকিছু? অস্বীকার করার উপায় নেই, এই বিপুল ফুটবল উন্মাদের বেশিরভাগ অংশ কেবল বিশ্বকাপ জ্বরেই মাতে। ইউরোপিয়ান, আমেরিকান, আফ্রিকান ক্লাব ফুটবলের খবর এদের অনেকেই রাখে না। দেশের বিভিন্ন জায়গায় দেখেছি ক্লিয়ার এন্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পুর বিশাল বিশাল বিলবোর্ড, মডেল ক্রিস্টিয়ানো রোনালডো। প্রিন্ট আর ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায়ও আছে তার সংস্করণ। কিন্তু, সে তুলনায় পর্তুগালের সাপোর্টার কই? পতাকা কই?
যদি এমন করে বলি, তাহলে কি খুব বেশি ভুল হবে?
খেলাধুলায় আমাদের যে ব্যর্থতা, ফুটবলে সাফ সোনাই স্বর্ণের হরিণ, অন্য কিছু দূরে থাক। ক্রিকেটে আমাদের যে নিত্য ব্যর্থতা, আমাদের আশরাফুল গরীবের হাতি, আমাদের সাকিব খেলতে পারে না ধারাবাহিক কিছু ইনিংস, আমাদের মাশরাফি ইনজুরি থেকে ফিরে টানটান বোলিং করতে পারে না, আমাদের মুশফিকুর নামক অপদার্থ উইকেট-কীপারটি ডান হাত বাম হাত করে ক্যাচ ফেলে। আমাদের শ্যুটার আসিফকে পুলিস পিটিয়ে ক্যারিয়ার নষ্ট করে দেয়, আমাদের সাঁতারুরা বিদেশে গেলে ফিরে আসে না; এতো এতো সব হতাশা, এতো এতো সব না পাওয়া। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ন্যুনতম চাওয়াগুলো – বিদ্যুৎ, পানি, যাতায়াত, নিরাপত্তা - যখন অনিশ্চিত, তখন এ বিশ্বকাপ উন্মাদনা এবং সেখানে সম্ভাব্য জয়ীকে সমর্থন করা একরকম মানসিক তৃপ্তি আনে। ঢাকামেট্রো গ- ৭২৮৭ ঢেকে যায় ব্রাজিলের পতাকায়, যানজটে পাশের রিক্সায় ব্রেকের গাঁথুনিতে ছোট্ট আকারের আর্জেন্টিনা। এসবই মনের সঙ্গোপনে লুকিয়ে রাখা যাবতীয় ব্যর্থতা আর হতাশার গ্লানিকে খানিক আড়াল করা। অথবা আড়ালের অজানা চেষ্টা। মোবাইলের ওয়েলকাম টিউনে তাই বেজে ওঠে শাকিরার ওয়াকা ওয়াকা...।
ম্যারাডোনা জাতি লেখাটি ভাবালো কিছুক্ষণ।
চ্যানেল ওয়ান বন্ধ হয়ে গেছে।
এর বাইরে বাংলা টিভি চ্যানেল আছে ১০-১২টা।
প্রায়ই মনে হয়, দেখার কিছু নেই। কিছু টক শো, কিছু মিউজিক্যাল অনুষ্ঠান, রান্না, খেলা, স্কুল শো, রিয়েলিটি শো, নিউজ; ঘুরে ফিরে সেই একই বিজ্ঞাপন। ফারুকীর ভাই ব্রাদারদের খাপছাড়া উচ্চস্বর সংলাপের কিছু নাটক, সেই চেনা মুখগুলো। ঝালমুড়ি।
এ সুযোগ নিয়েছে জি-বাংলা, স্টার জলসা। অগ্নিপরীক্ষা, ওরাও শত্রু আর সূবর্ণলতা মেগাসিরিয়ালগুলো মধ্যবিত্তের ড্রয়িংরুমে আসন গেঁড়েছে।
এনটিভি’তে দেখছিলাম রবিবারের নাটক – যতো চিনি ততো মিষ্টি।
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেসে থাকা ছাত্রের সঙ্গে পাশের ফ্ল্যাটের রূপবতী তরুণী ভাবির প্রণয়। সোশ্যাল সিক্রেসী ক্রমশ প্রকাশিত হচ্ছে ড্রয়িং রুমের বক্সে। বাবার এক্সট্রা ম্যারিটাল অ্যাফেয়ারের কারণে একজন মা আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে, আরেকজন মা প্রেমিকসহ খুন করছে শিশুপুত্রকে। খুন করে ফ্রিজে রাখছে, বাসায় ঘুমাচ্ছে, পরদিন বস্তাবন্দী করে ফেলে দিয়ে আসছে।
কী বিভৎস!
কী অসভ্য এ বাস্তবতা!
সংবাদ পত্র পড়ে কেবলই বিমর্ষ হই। বখাটেদের যন্ত্রণায় মরে যাচ্ছে নবম শ্রেণী পড়ুয়া মানবিক বিভাগের আরো এক ছাত্রী। মানবিকতার তাত্ত্বিকেরা টেলিভিশনের টক শো’তে কফি চুমুক দিয়ে সমাজ বিজ্ঞান কপচাচ্ছে। আর জনপ্রিয় একজন গদ্য লেখক কিশোরীর সুইসাইড নিয়ে সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা উপন্যসের নাট্য নির্দেশনায় ব্যস্ত। আরেকটি সেরকম উপন্যাস লেখা যায়, সেটি প্রচারে সাপ্তাহিক কলামটিতে রেফারেন্স দেয়া যায় টেনেটুনে। আহ ফেব্রুয়ারী, তুমি এতো দূরে কেনো ফেব্রুয়ারী!
ফিরে এসেছে হরতাল।
পথনাট্যের পুনঃপ্রচার হচ্ছে কেবল। ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার রশি টানাটানি তর্ক থাক আপাততঃ। খুব অতীত নয় - একজন মতিয়া চৌধুরীকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, পেটানো হচ্ছে। কী নাম ছিল সেই নীল পোশাকীর? কোহিনূর? রাষ্ট্রীয় পুরস্কারের সম্মান নিয়ে কোথায় গিয়েছিল সে? সৌদি আরব? নাকি অন্য কোথাও! ধারাবাহিক নাটকের আগের পর্ব কি ভুলে যাবে দূর্বল দর্শক?
সোমবার সকালে বৃষ্টি হলো ঢাকায়।
মিরপুর দশ নম্বর থেকে তেরো নম্বর পর্যন্ত এক কোমর পানি। যেনো নদীর স্রোত তেড়ে আসছে কোনো দূর বাঁধ ভেঙে। আট-নয় ঘন্টা পরে ফেরার সময় দেখি, শুকনো পথ... ব্যস্ত জীবন। যেনো কিচ্ছুই হয়নি সকালে। এই না পাওয়ার শহরে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েনি তাহলে! মাঝে আরেকটি ভালো কাজ হয়েছে, সাধারণ বাল্ব জমা দিলে সমপরিমাণ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতি দেয়া হয়েছে।
পৃথিবীর সব হাতি মরে যাবে একদিন।
ব্যক্তিগত বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিক রোকসানা রহমান ইদানিং শিমরাইলের পটেটো চিপস ফ্যাক্টরীর চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সময় দিচ্ছেন বেশি। অনুগত সেবা দাসেরা একে অন্যকে লাল কার্ড দেখাতে তৎপর। রোকসানা রহমানের দরজায় কড়া নেড়ে বলতে হবে - নব্বই মিনিটের পরে অতিরিক্ত সময়ের খেলাও শেষ। এবার আসুন তবে টাই ব্রেক করি...।
মন্তব্য
এক বছর! সময় কত দ্রুত চলে যায়! সময়কে নিয়ে লেখাটাতে অনেককিছু উঠে এসেছে। কিছু আশার কথা শোনাও এবার।
অবশ্যই শোনাবো...
ধন্যবাদ।
কেবল এই বিষয়টি নিয়ে একটা মনোটোনাস মনোলোগ লিখতে চেয়েছিলাম। ভোগবাদী সমাজের সবচেয়ে কুৎসিত পয়েন্টে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি প্রতিরোধহীন।
মানুষ কেবলই সুখী হতে চাচ্ছে। শরীরের সুখ, মনের সুখ, আবেগের সুখ, অহংয়ের সুখ, ভোগের সুখ। সবটুকু পেয়ে যেতে হবে, কিছুতেই হারা যাবেনা... চিরন্তন কিছুই থাকছেনা। মা ও সন্তানকে খুন করছে তার সুখ নিশ্চিত করার প্রয়োজনে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
পোস্টের চেয়েও কমেন্ট হিরন্ময় হয়ে ওঠে, এই কমেন্ট তার প্রমাণ!
মোরশেদ ভাই, প্লিজ - মনোটোনাস মনোলগের এই পর্বটা চাই...!
পাঁচতারা দেয়ার মতো লেখা, তাই ধুম করে পাঁচতারা দাগালাম।
থ্যাঙ্কু!
মনখারাপ করা লেখায় পাঁচতারা দিতে চাই না, তাও....
একটা গল্প দাও।
খুব শীঘ্রই... শুকনো কাঁথার দিনে...
শিমুলভাই,
কি মন্তব্য করবো খুঁজে পাচ্ছি না... পড়ে গেছি...জানিয়ে গেলাম...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
অনেক ভালো লাগলো। অনেক সমস্যা উঠে এসে, অনেক সত্য কথা বলেছেন অবলীলায়।বাহবা দিয়ে আপনাকে পুলকিত করতে চাইনা, ঘটনা গুলো বিতারিত করার উপায় নিয়ে কিচু লিখুন।
ধন্যবাদ।
কামরুজ্জামান স্বাধীন
_________________________________________
সেরিওজা
সোশ্যাল সিক্রেসী ক্রমশ প্রকাশিত হচ্ছে ড্রয়িং রুমের বক্সে। বাবার এক্সট্রা ম্যারিটাল অ্যাফেয়ারের কারণে একজন মা আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে, আরেকজন মা প্রেমিকসহ খুন করছে শিশুপুত্রকে। খুন করে ফ্রিজে রাখছে, বাসায় ঘুমাচ্ছে, পরদিন বস্তাবন্দী করে ফেলে দিয়ে আসছে।
যতদিন যতবার চ্যানেলগুলোর নিউজে আর পত্রিকায় খবরটা ঘুরে ফিরে আসে, প্রতিবার আম্মু বলে - "ইশ্! তিনটা বাচ্চা! "
আর আমি অবসাদময় এক ক্লান্তি অনুভব করি দেখতে দেখতে, শুনতে শুনতে... ম্লান হাসি মাঝে মাঝে...
মানুষ আজ ভোগে মাতোয়ারা...
তুচ্ছ, বড় তুচ্ছ; অন্যের অনুভূতি, জীবন, সম্পর্ক...
------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো,
গৃহী হয়ে কে কবে কী পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
চমৎকার পোস্ট।
ভীষণ ভাবে সহমত।
বিষণ্ণ লেখা।
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
হুম, বিষন্ন, ঝিম ধরানো লেখা, তবুও...খুব ভালো লাগলো অনেক দিন পরে শিমুলের লেখা পড়ে, শিমুলীয় লেখা পড়ে।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
এই ভয়াবহ খবরটি জানতাম না... পেপারে শিরোনামে উইয়ার্ড কিছু থাকলে পুরো খবর পড়ি না, এই লেখা পড়ে কি ভেবে খবরটা পড়লাম। পৃথিবীটা তো সত্যি ভয়ংকর অবিশ্বস্ত হয়ে যাচ্ছে... মা তার সন্তানকে...ওহ খোদা!
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
অনেকদিন পরে তিথির কমেন্ট পেয়ে ভাল লাগলো খুব।
"মা ও সন্তানকে খুন করছে তার সুখ নিশ্চিত করার প্রয়োজনে"।
খবরটা পড়ে কেমন বিবমিষা জেগেছিলো।"গলার ভিতরে শক্ত কিছু আটকে গেলে সেটাকে যেমন না পারা যায় গিলতে, না পারা যায় উগরে দিতে" তেমন একটা অনূভুতি।
প্রথম আলোতে সেই হন্তারক মায়ের খুন হওয়ার সংবাদটি সর্বোচ্চ আলোকিত তালিকায়।আর সবকিছু খুঁটিয়ে পড়া হলেও ঐটি কিছুতেই পড়তে পারছি না।অফিসের জুনিয়র ডেকে বলছিলো, "ভাইয়া খবরটা দেখেছেন! একি মা নাকি ডাইনী।তবু আমার মাথায় যেন কিছুই ঢুকছে না।
এমন বাস্তবতা গ্রহণ করতে আমি নিতান্তই অপারগ।
-
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
ভীষণ সত্যি কথা।
'সংবাদ' পড়তে/দেখতে আজকাল আতঙ্ক হয়, না জানি মনুষ্য চরিত্রের কোন দিক সম্পর্কে জানতে হয়!
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
খবরগুলো আমাকেও ভুগাচ্ছে ইদানীং...মন্তব্য করার মত কিছু নেই, আপনি মনে কথাগুলো লিখে দিয়েছেন।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
চমৎকার।
কেউ একজন আমার দুগালে চড় দিয়ে যাওতো... বুঝতে চাই কোথায় বেঁচে আছি.. আদৌ কি বেঁচে আছি...
_____________________
বর্ণ অনুচ্ছেদ
আমরা আসলে ধারাবাহিক নাটকের পুরনো পর্ব ভুলে যাওয়া দুর্বল নয়, সুখী দর্শক।
সংবাদপত্র পড়তে বড় ক্লান্তি হয় ইদানিং...
সময় পেলে গল্প দিয়েন।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ধন্যবাদ সবাইকে, সময় করে পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য...!
শিমুল ভাই, মন টা খারাপ হয়ে গেল লেখা টা পড়ে...
শুভ, এগুলো জীবনের অংশ... কিছু করার নেই।
দুর্দান্ত লিখেছেন
ধূসর পেঁচা
নতুন মন্তব্য করুন