মীরাক্কেলের ইশতিয়াক, জামিল, রনি ও সজলকে বলছি...

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: মঙ্গল, ২৪/০১/২০১২ - ১২:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জীবন মানে জি-বাংলা।
ভারতীয় বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল জিটিভি বাংলার স্লোগান। গত দু’বছর ধরে ঢাকার শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর একটি অংশের ওপর চোখ রেখে আমি এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি, এদের অনেকের জীবন এখন আসলেই জি-বাংলা হয়ে গেছে।
এর আগে গত দুই দশক ধরে স্টার প্লাস, জিটিভি এশিয়া প্যাসিফিক, আর সনি চ্যানেলের কূটনামী ভরা ডেইলি সোপগুলো গিলছে আমাদের দর্শক। গোপী বউ, রাশি আর মোটা ভাবী খুব সঙ্গোপনে প্রভাব ফেলছে আমাদের সমাজ কাঠামোয়। ঢাকায় তাই “স্টার প্লাস” দোকানে রাশি, গোপী, কোকিলা শাড়ির রমরমা ব্যবসা। শিশুরা হরহামেশা হিন্দি শিখছে ডোরেমন দেখে। তারও আগে চালু হয়ে গেছে কিড-জি স্কুল। এসবের প্রতিবাদ হয়েছে বিক্ষিপ্তভাবে, এমনকি অনলাইন ব্লগ – ফোরামেও। তাই মধ্যবিত্তের কেউ কেউ হয়তো সচেতন হয়েছেন। হিন্দি চ্যানেল দেখছেন না; দেখছেন বাংলা। কিন্তু, বাংলাদেশের চ্যানেল নয়, দেখছেন -ভারতের স্টার জলসা কিংবা জি-বাংলা!
কী আছে এই জি-বাংলায়? কী দেখায়?
বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ছ’টায় শুরু হয় দিদি নাম্বার ওয়ান; দিদিদের গেম শো।
সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত দশটা চলে ডেইলি সোপ; অগ্নিপরীক্ষা, রাশি, কেয়া পাতার নৌকো, কনকাঞ্জলি, সূবর্ণলতা...।
এর বাইরে আছে, দাদাগিরি আনলিমিটেড; কুইজ শো।
এবং মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার; স্ট্যান্ড আপ কমেডি কনটেস্ট।
এসব চলে রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত।

ইচ্ছে ছিল, মধ্যবিত্তের টেলিভিশন এবং জীবনে জি-বাংলার প্রভাব নিয়ে লিখবো। প্রস্তুতিও ছিল মনে মনে। কিন্তু, এ সপ্তায় এসে পরিকল্পনা পাল্টাতে হলো।
১ মার্চ ভারত বনধের আহবানে মনে পড়লো মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জারে এখনো টিকে থাকা চার বাংলাদেশী প্রতিযোগীর কথা। যত পর্ব দেখেছি তাতে নিশ্চিত হয়েছি, আমাদের রনি, জামিল, ইশতিয়াক, সজল; এরা অসম্ভব জনপ্রিয় হয়ে গেছে। দৃষ্টি কেড়েছে দর্শকের...।

কিন্তু, সীমান্তে বিএসএফ যখন হাবিবুর রহমানদের ন্যাংটো করে মারে, বিজিবি হাবিলদারদের আধমরা করে ফেরত দেয়, ভারত সরকার নিশ্চুপ থাকে, তখন মীরাক্কেলে আমাদের চার তরুণের অংশগ্রহণকে নিছক বিদ্রুপ মনে হয়। এ যেন এক নিষ্ঠুর অত্যাচারী রাজার বাঈজী গানের আসর। দরিদ্র কৃষক কন্যা নেচে চলেছে অর্থের লোভে কিংবা ভয়ে।

মীরাক্কেল-৬ এ বাংলাদেশের চার প্রতিযোগী;
আবু হেনা রনি,
ইশতিয়াক নাসের,
আনোয়ারুল আলম সজল; এবং
মোঃ জামিল হোসেন;
মীরাক্কেলে আপনাদের গর্ব করে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় বাংলাদেশের রাজশাহী, উত্তরা, নোয়াখালি, কল্যাণপুর- ঢাকা থেকে যাওয়া প্রতিযোগী হিসেবে। আপনাদের কৌতুক শুনে শিস বাজায় রনিদা, ক্যাপ খুলে স্যালুট দেয় পরানদা, লাস্যময়ী হাসি দেয় শ্রীলেখা, কোমর দোলায় মীর। আপনাদের পারফর্ম্যান্সের বিনিময়ে নাচতে নামে দেব এবং শুভশ্রী, অথচ কী চমৎকারভাবে পাবলিসিটি করে খোকাবাবু সিনেমার! খেয়াল করেছেন, রনি-জামিল-ইশতিয়াক-সজল, আপনাদের পুঁজি করে কী বাণিজ্য করে তারা?
আপনারা তো আর দরিদ্র কৃষক কন্যা নন, রাজার অত্যাচারের ভয় তো আপনাদের নেই! আর্থিক প্রাপ্তি কিংবা খ্যাতির মোহ, এটুকু কি ছাড় দিতে পারবেন না আপনারা?
রাজশাহী, উত্তরা, নোয়াখালি, কল্যাণপুর, ঢাকা নয়; এবার মঞ্চে আপনারা বাংলাদেশের মানুষ হয়ে উঠুন।
মানুষ হাসাবার আগে একবার তাকান সীমান্তে কাঁটাতারে ঝুলতে থাকা ফেলানীর লাশের দিকে।
অন্ততঃ একবার দেখুন হাবিবুর রহমানকে ন্যাংটো করে পেটানোর দৃশ্য!
বিএসএফের দাদাগিরি আনলিমিটেড, চলছে-চলবে, দেখে প্রতিবাদ জানাতে ইচ্ছে করবে না আপনাদের?

অর্থ আর খ্যাতির মোহ কাটিয়ে একটিবার কি সমস্বরে প্রতিবাদ করতে পারবেন না?
পারবেন না – বিএসএফপনার প্রতিবাদ জানিয়ে মীরাক্কেলের মঞ্চ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিতে?
মঞ্চে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট করে জানাতে পারবেন না যে সীমান্তে বাংলাদেশী নির্যাতন ও হত্যার প্রতিবাদে আপনারা এ প্রতিযোগিতা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছেন? পত্রিকার সাক্ষাতকারে বলতে পারবেন না, হাবিবুর রহমানের ঐ ভিডিও দেখার পরে ভারতীয় টিভি চ্যানেলে লোক হাসানোর মত নগ্নতায় আপনাদের আপত্তি রয়েছে?
বলুন তো, রনিদা-পরানদা-শ্রীলেখা আর মীরকে আপনাদের কাতারে এসে দাঁড়াতে। প্রতিবাদ জানাতে। আসবে তারা?
আর মোঃ জামিল হোসেন, আপনাকে বলছি। দেবের আগমনে আপনার সুরময় স্তুতিমালা জি-বাংলার মঞ্চকে তেলতেলে করেছে প্রচুর। আপনার গান শুনে দেব বলেছে, এমন সম্মান আর কোথাও পায়নি সে। তো, এবার একবার দেবকে অনুরোধ করুন তো আপনার সম্মানে ছোট্ট একটা কাজ করতে; ভারত সরকারের কাছে দেব কি অন্ততঃ একবার প্রতিবাদ জানাবে এ মানুষ হত্যার? নির্যাতনের? সঙ্গে যোগ দেবে শুভশ্রী?

আমি সাধারণ এক ব্লগার।
নিজের ক্ষুদ্র জ্ঞানের ওপর ভরসা রেখে বলতে পারি, মীরাক্কেলের কেউই আপনাদের অনুরোধ রাখবে না, সীমান্তে মানুষ হত্যার প্রতিবাদ জানাবে না।
তাই, অনুরোধ রাখছি – আপনারা ৪ জনই প্রতিবাদ জানান।
আমাদের নেত্রীদের দিদি নাম্বার ওয়ানের দৌড় প্রতিযোগিতার দর্শক হয়ে নয়, সরকারের মুখপাত্রদের কনকাঞ্জলিসুলভ লেইম বিবৃতির অপেক্ষায় নয়।
নিজস্ব অবস্থানে আপনারাই জেগে উঠুন।
চিৎকার করুন।
প্রতিবাদ জানান।
নিন্দা জানিয়ে মীরাক্কেলের মঞ্চ ছেড়ে আসলে আপনাদের প্রতিবাদ হবে ভারতীয় মিডিয়ায়, অন্ততঃ একটি টিভি চ্যানেলে, বাংলাদেশের ষোলো কোটি মানুষের প্রতিবাদ।
আপনারা, পারবেন?


মন্তব্য

ধূসর জলছবি এর ছবি

চলুক সহমত

সজল এর ছবি

কিছুদিনের মাঝেই মীরাক্কেলের অডিশনের জন্য বাংলাদেশ আসছে জী-বাংলার একটা টীম, সেখানেও একটা ডেমনস্ট্রেশন দেখানো গেলে ভালো হত।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

দিগন্ত এর ছবি

অনুষ্ঠান লাইভ নয়, সুতরাং অনুষ্ঠানে কিছু হলে তা এডিট করে দেওয়া হবে। আলাদা কোনো মঞ্চে তারা এই অনুষ্ঠানের ফাঁকে করতে পারেন।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

সাফি এর ছবি

অনুষ্ঠান লাইভ নয়, সুতরাং অনুষ্ঠানে কিছু হলে তা এডিট করে দেওয়া হবে।

এইটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। প্রতিবাদ করতে হলে সেটা আসলে পারফর্মেন্সের মধ্য দিয়েই করতে হবে। বিএসেফের আচরণ নিয়ে স্কিড করা যেতে পারে। অনুষ্ঠানটার দুএকটা ভিডিও ফেসবুকে দেখেছি, তাতে মনে হয়েছে থিম দেওয়া থাকে সেরকম হলে অবশ্য পারফর্মেন্সে ইম্প্রুভাইজ করা একটু মুশকিল হবে।

পথের ক্লান্তি এর ছবি

দিগন্ত দা, প্রতিবাদ বা এমনকি কালোব্যাজ ধারণ করলেও চ্যানেল সেইতা প্রচার করবে না, জানা কথা। তারা নিজেদের প্রত্যাহার করে নেবার শর্ত জুড়ে দিতে পারে।
এখানে আসলে কোনওরূপ বিদ্বেষ বা বিভেদের জন্য না, প্রতীকি প্রতিবাদ। যা কিছুটা হলেও সাড়া ফেলবে। আসলে প্রত্যেকেরই নিজেদের জায়গায় থেকে কিছু না কিছু করার আছে।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আপনারা তো আর দরিদ্র কৃষক কন্যা নন, রাজার অত্যাচারের ভয় তো আপনাদের নেই! আর্থিক প্রাপ্তি কিংবা খ্যাতির মোহ, এটুকু কি ছাড় দিতে পারবেন না আপনারা?
রাজশাহী, উত্তরা, নোয়াখালি, কল্যাণপুর, ঢাকা নয়; এবার মঞ্চে আপনারা বাংলাদেশের মানুষ হয়ে উঠুন।
মানুষ হাসাবার আগে একবার তাকান সীমান্তে কাঁটাতারে ঝুলতে থাকা ফেলানীর লাশের দিকে।
অন্ততঃ একবার দেখুন হাবিবুর রহমানকে ন্যাংটো করে পেটানোর দৃশ্য!
বিএসএফের দাদাগিরি আনলিমিটেড, চলছে-চলবে, দেখে প্রতিবাদ জানাতে ইচ্ছে করবে না আপনাদের?

চলুক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

চলুক

----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!

স্বপ্নহারা এর ছবি

সেটা ইনারা করবেন বা চাইলেও করতে পারবেন এমন মনে হয় না।

এখানেই চলে আসে কিন্তু আমাদের আকাশ-সস্কৃতিতে ভারত নির্ভরতার মূল কারণ!! এই লোকগুলো কিন্তু বাংলাদেশি...এদের দিয়েই বাংলাদেশে অসাধারণ কিছু কমেডি শো করা যায়। মীরাক্কেলের চেয়ে সেটা ভাল বই খারাপ হবে না। আমাদের মা-বাবারা (যারা হিন্দি দেখেন না), তারা কিন্তু জি-বাংলা, তারা বাংলা এগুলোর উপর অনেক খুশি। এটা নিয়ে পরে একটা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছে আছে। বাংলাদেশি চ্যানেলে দেখার মত-উপভোগের মত অনুষ্ঠানের খুব অভাব! এর কারণ আমাদের ইচ্ছার অভাব, বিজ্ঞাপনের আধিক্য, আর ছাগল দিয়ে হালচাষ...

লেখাতে হাততালি

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

সুলতান এর ছবি

বাংলাদেশের চ্যানেল গুলোর উদ্দেশ্য ব্যবসা করা। মানুষ কি দেখল না দেখল সেটা নিয়ে চিন্তা করার সময় কোথায় তাদের...

সৃষ্টিছাড়া এর ছবি

চলুক

আসাদুজ্জামান  এর ছবি

এক্কেরে মনের কথা।

তৌফিক জোয়ার্দার এর ছবি

শেয়ার দিচ্ছি। আগুন পোস্ট। চলুক

আদনান এর ছবি

আপনার লেখার সাথে একমত হতে পারলাম না। ভারতীয় পণ্য বয়কট করেন, চ্যানেল বয়কট করেন - এই ব্যপারে আমি আপনাদের সবার সাথে একমত। কিন্তু ব্যাক্তিগত আক্রমণ উচিত নয়। আপনি নিশ্চয় এখন বাংলাদেশে এয়ারটেলের কর্মীদের চাকরি ছাড়তে বলবেন না, কিংবা যারা চিকিৎসার জন্য ভারত যাচ্ছে তাদেরকে মানা করবেন না। যদিও দেশে অন্য অনেক চাকরি আছে, বা হাস্পাতাল আছে। আবু হেনা রনিকে চিনি ফেসবুকে কেউ একজন তার পারফর্মেন্স শেয়ার দিয়েছিলো, ততটুকুই। বাকিদের দেখার সুযোগ হয়নি। কিন্তু আমার দেখে মনে হয়েছে এটা তার ভবিষ্যতে পেশা হতে পারে। তারা ব্যক্তিগত ভাবে অনুষ্ঠান বয়কট করলে এক কথা; আমার মনে হয় আপনার পোস্ট তাদের মানসিক চাপে ফেলবে যেটা অনুচিত।

অন্যকেউ এর ছবি

এখানে ব্যক্তিগত আক্রমণ জিনিসটা ঠিক কোথায়? অনুগ্রহ করে লেখাটির একটি অংশ যদি পারেন তো দেখান, যেখানে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়েছে চার বাংলাদেশী অংশগ্রহণকারীকে।

আবু হেনা রনিকে চিনি ফেসবুকে কেউ একজন .... আমার দেখে মনে হয়েছে এটা তার ভবিষ্যতে পেশা হতে পারে।

তো পেশা হোক। কেউ তো পেশা হতে বাধা দিচ্ছে না, এটাও বলছে না যে রনি এটাকে পেশা হিসাবে নিলে তাকে উলঙ্গ করে পেটানো হবে। একজন বাংলাদেশীকে ভারতীয় বাহিনীর সদ্স্যরা নির্বিচার পেটাবে, তাতে কারো মনে যদি ইতোমধ্যে আঘাত না লেগে থাকে, তাহলে একজন ব্লগারের কিছু আহ্বানসূচক শব্দ পড়ে আঘাত লাগবে না, নিশ্চিত থাকতে পারেন।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

হিমু এর ছবি

নিজের দেশের হয়ে কথা বলতে গেলে যদি সেটা পেশায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়, ঐ পেশায় আবু হেনা রনি হয়তো যাবেন না। আমরা কেন তাঁকে একটা মেরুদণ্ডহীন ইতর ধরে নিচ্ছি? আমি বিশ্বাস করি তিনি অবশ্যই মীরাক্কেলে এই ব্যাপারটা উপস্থাপন করতে পারবেন, হয়তো কৌতুকের মাধ্যমেই।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

মিরাক্কেল না কেবল পশ্চিমবঙ্গের মিডিয়াতে নানা ধরণের প্রডাক্ট তথাকথিত 'পূর্ববঙ্গ' ডায়ালেক্টের অনুশীলন দেখা যায়। এই ডায়ালেক্ট মেকি এবং বিকৃত। মূলত ভাঁড়ামির অনুষঙ্গ। 'পূর্ববঙ্গে'র ভাষার উপর শ্রেণীবাদী ধর্ষকামের 'শৈল্পিক' নমুনা হিসাবে দাখিল করা যায়।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

চিন্তায় থাকি এর ছবি

সহমত।

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

হাততালি

সাফি এর ছবি

চলুক

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ব্যক্তিগত আক্রমণ কীভাবে হলো?
মীরাক্কেলে প্রতিবাদ জানালে ভবিষ্যৎ পেশা নির্ধারণে কি সমস্যা হবে? এই লেখাতেই মানসিক চাপ! উফ! এতো দূর্বল চিত্ত হলে...!!!!

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

কিন্তু আমার দেখে মনে হয়েছে এটা তার ভবিষ্যতে পেশা হতে পারে।

ভাঁড়ের পেশা? মন্দ নয়! হাততালি

হারুন কিসিঞ্জার কোথায় আছে, কেমন আছে, তা জানিনা। তবে প্রস্তাব করছি অবিলম্বে হারুন কিসিঞ্জারকে খুঁজে বের করে পদক-টদক দেওয়া হৌক।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

ফাহিম হাসান এর ছবি

আপনার মন্তব্যটা ভয়াবহ রকমের তাচ্ছিল্যসূচক। কোন পেশা, যদি সেটা বেআইনী না হয়, ন্যূনতম একটা সম্মান দাবী করে।

স্ট্যান্ড আপ কমেডিকে কেউ পেশা হিসেবে নিলে সেটা পজিটিভলি দেখা উচিত। ভাঁড় বলে উপহাস করা উচিত না।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

কোনও পেশাকে ডেলিবারেটলি তাচ্ছিল্ল করার কোন ইচ্ছে বা অভ্যাস আমার নেই। তবে আমার কাছে যেটাকে ভাঁড়ামি বলে মনে হয়, সেটাকে আমি ভাঁড়ামি বলতেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করবো। ধন্যবাদ।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

কল্যাণ এর ছবি

এয়ারটেলে কর্মরত বাংলাদেশী কর্মীদের চাকরি ছাড়ার দরকার হবে কেন? তারা বরং কাজ কম করে করুক, ধীরে করুক, সেটাও প্রতিবাদের একটা পন্থা। আর গ্রাহকরা সবাই এয়ারটেলের সিম ফেলে দিক।

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

সৃষ্টিছাড়া এর ছবি

লেখাটা মিরাক্কেল এর ফেবু পেজ এ শেয়ার দিলাম।

হিমু এর ছবি

পেজটার লিঙ্ক দিন, আমরা সবাই গিয়ে দিয়ে আসি।

দময়ন্তী এর ছবি

https://www.facebook.com/#!/mirakkelofficial

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

বাপ্পীহা‌য়াত এর ছবি

চলুক অনেক ধন্যবাদ দময়ন্তী'দি

সৃষ্টিছাড়া এর ছবি

হিমু ভাই, মিরাক্কেল জনপ্রিয় কিন্তু মুরগির হার্ট এর থেকেও এদের হার্ট ক্ষুদ্র আর দূর্বল। তাই এই কমেডি শো সীমান্তের নির্মম কমেডির ধকল নিতে পারবেনা...ভারতের মধ্যরাতে আপনার লেখার, আর এই লেখাটির লিঙ্ক সহ নিজের কিছু কথা শেয়ার করেছিলাম মিরাক্কেল এর পেজ এ। সকাল হওয়া মাত্র ওরা সরিয়ে দিয়েছে!! ধিক ওদের...

হিমু এর ছবি

ওদের ধিক দিয়ে কী লাভ বলেন? আমরা দুইদিন পর সব রাগ-অভিমান ভুলে আবার মীরাক্কেল দেখে দাঁত কেলিয়ে পেট ফাটিয়ে হাসবো। আমরা ব্রন্টোসরাসের চামড়া আর গোল্ডফিশের মেমোরি নিয়ে দুনিয়াতে আসি। অপমান করলেও গায়ে লাগে না, গায়ে লাগলেও ভুলে যাই।

সৃষ্টিছাড়া এর ছবি

ধিক আমাদেরকে আরো বেশি করে মন খারাপ ....এটাই সময় নিজেদের অপমানগুলো উপলব্ধি করার..

বাপ্পীহা‌য়াত এর ছবি

আমিও দিলাম - ১ মিনিটের মধ্যে উধাও

guesr_writer rajkonya এর ছবি

বলেন কী, বাপ্পীহা‌য়াত! দাঁড়ান, আমি দিচ্ছি।

মাসুম এর ছবি

চলুক

অন্যকেউ এর ছবি

এমনভাবে চিন্তা করি নাই। লেখা ভালো লাগলো। চলুক

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

shafi.m এর ছবি

উনারা পারতেও পারেন, বাঙাল তো। না পারলে/ না করলে কি অবাক হব? না। তবে আপ্নার আকুতি শুনে (পড়ে) খুব কান্না পাচ্ছে আমার, মনে হচ্ছে, ইস আমি যদি এক্টু কাজে আসতে পারতাম! বাঙাল আমি, আজ আমার দেশের প্রয়োজনে, আমার ভাইদের প্রয়োজনে কিছুই করতে পারছিনা, আমি যে কেউ নই। লেখায় চলুক

শাফি।

(আপ্নার লেখা মনকে আদ্র করে দেয়, নিয়মিত লিখুন ভাইয়া।)

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

লেখকের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, ওরা বোধ হয় সাড়া দেবে না। আমরা ব্যক্তি স্বার্থ ত্যাগ করা এখন ও শিখিনি। আমাদের এই প্রজন্মটাই নিজেরা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত।

হিমু এর ছবি

ইশতিয়াক, জামিল, রনি আর সজলের ফেসবুক ওয়ালে এই পোস্টের লিঙ্ক পেস্ট করুন সবাই (যারা যারা পারেন)।

তাঁদের কাছে মেসেজ করেও এই পোস্টের লিঙ্কটা পৌঁছে দিতে পারি আমরা। এঁদের ফেসবুক ঠিকানা কি জানেন কেউ?

বাবুবাংলা এর ছবি

অধিকাংশ মানুষের কাছে আমরা চাইছি একদিনের ভারতীয় পন্য বর্জন। আর এই চারজনকে বলবো তাদের এতদিনের যা কিছু অর্জন তার সবই ফেলে দিয়ে আসতে? মীরাক্কেল ছাড়া ওদের আর কি কি পরিচয় আর অর্জন আছে জানি না। তবুও ওদের কাছে সবার চেয়ে একটু বেশী মূল্য দাবী করা কি হয়ে যাচ্ছে না? যদি ওরা তা করে, বেশ ভালো। তবে যদি না করে, আমরা যেন ওদের ভিলেন বানিয়ে না ফেলি।

জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

হিমু এর ছবি

ওরাও ১ দিনের জন্যই বর্জন করুক। কিংবা বর্জন না করুক, ঐদিন মঞ্চে উঠে পারফর্ম করার আগে এ নিয়ে কিছু বলুক।

যদি মীরাক্কেল তাদের এই সুযোগ না দেয়, সেটাও আমাদের জানাক।

এই বর্জন শুধু বর্জনের জন্যে নয়, আমরা একটা আয়নায় নিজেদের হয়তো অন্য চোখে দেখার সুযোগ পাবো।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

সম্পূর্ণ একমত!

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

চলুক

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ধূসর জলছবি এর ছবি

চলুক

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

চলুক


_____________________
Give Her Freedom!

tasnfe এর ছবি

সম্পূর্ণ একমত!

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

যদি ওরা তা করে, বেশ ভালো। তবে যদি না করে, আমরা যেন ওদের ভিলেন বানিয়ে না ফেলি।

সহমত। চলুক

নীড় সন্ধানী এর ছবি

জি নিয়ে আমিও মুশকিলে আছি সংসারে। কোনরকম ভারতীয় পন্য চ্যানেলে আমার পরিবারে কারো আগ্রহ না থাকলেও কি করে যেন সুবর্নলতার হাত ধরে জি-ঢুকে গেছে বছর খানেক ধরে। অফিস থেকে বাসায় ফিরে পাঁচ বছরের কন্যার কাছ থেকে গোয়েন্দা রিপোর্ট পাই, "বাবা আজকেও মা আর দাদু জি-টিভি দেখেছে।" আমি বুঝি, আমার মৌখিক অনুরোধে নারীসমাজ ওই চ্যানেল দেখা বাদ দিতে পারছে না। আমার উপস্থিতিতে চ্যানেল বদলে যায় যদিও। হতাশ লাগে ভেবে, কি আছে ওই সিরিজগুলোতে? আমার কাছে তো ওগুলোর চেয়ে ফারুকীর তেনাও ভালো মনে হয়।

আমি প্রচন্ডরকম পাকিবিদ্বেষী হলেও আমার ভারতবিদ্বেষ আছে সেটা আমার শত্রুও বলবে না, আমি ভারতীয় ভালো সিনেমা পেলেই দেখি, গান গজলও দেদার শুনি। কিন্তু আমি অখাদ্য অপ্রয়োজনীয় ভারতীয় পন্য গিলতে রাজী নই। বস্ত্রশিল্পে তাই আমার পরিবারে ভারত কখনোই আকর্ষিত হয়নি। পোষাক ফ্যাশান বিনোদন এইসবে ভারতকে সারাবছরই বর্জন করি।

তাই ১লা মার্চ বর্জন করার মধ্যে পাচ্ছি দুটো জিনিস-
১. গরু
২. পিয়াজ

অন্য সবার মতো এই দুটো জিনিসে ভারতের উপর নির্ভরশীল আমি। ১লা মার্চ এই দুটো জিনিস ভোগ না করে প্রতিবাদে সামিল হলাম।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

বাপ্পীহা‌য়াত এর ছবি

উপরে দময়ন্তী'দি মিরাক্কেল-এর ফেসবুক পেজ শেয়ার করেছেন, যদিও তাঁদের ওয়ালে পোস্ট করে লাভ হচ্ছেনা, ১ মিনিটের মধ্যে সরিয়ে ফেলা হ্চ্ছে

আসুন আমরা চার প্রতিযোগীকে ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ করি

আবু হেনা রনি: ফেবু লিন্ক ১ এবং ফেবু লিন্ক ২

ইসতিয়াক নাসের রাজন - ফেবু লিন্ক

জামিল আর সজলের ফেবু পেজ খুঁজে পাচ্ছিনা - কারও জানা থাকলে প্লিজ শেয়ার করুন

হাবাছেলে এর ছবি

মিরাক্কেল এর ফেবু পেইজ এ পোস্ট করে কোন লাভ হচ্ছেনা। আর লিঙ্ক ১ এবং লিঙ্ক ২ এ পোস্ট করার কোন অপশন খুজে পাচ্ছিনা। অন্য কোনভাবে যোগাযোগের কোনো ব্যাবস্থা করা যায় কি?

বাপ্পীহা‌য়াত এর ছবি

মেসেজ পাঠাতে বারবেন রনি এবং রাজন কে

রনির ফ্যান পেজে পোস্ট করার কোন অপসন নেই

হিমু এর ছবি

সরিয়ে ফেলা হচ্ছে না। পেজের মালিকের পোস্টগুলো ফ্রন্ট পেজে একটা ট্যাবে দেখায়। এভরিওয়ানে ক্লিক করলে পেজমালিক বাদে অন্যদের পোস্ট দেখাবে।

রিসালাত বারী এর ছবি

এভরিওয়ানের ওয়ালে একটা পোস্টের নিচে লিঙ্কটা পেস্ট করলাম। এক মিনিটের মাথায় সরিয়ে ফেলা হয়েছে আর আমাকে ব্লক করাও হয়েছে।

হিমু এর ছবি

হ্যাঁ, এখন গিয়ে সেটাই দেখলাম। আমাদের সবার পোস্টই সরিয়ে দিয়েছে।

আশফাক এর ছবি
Lina Ferdows এর ছবি

মিরাক্কেল এর ফেবু পেইজ এ পোস্ট করতে পেরেছি...দেখি কোন লাভ হয় কিনা।

বৃত্ত এর ছবি

চরম বস. অসাধারন লিখছেন.

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

মীরাক্কেল এ তো মাঝে মধ্যেই বাংলাদেশের মানুষ, তাদের সাথে আত্মার আত্মীয়তা, এসব নিয়ে অনেক আবেগপ্রবণ কথা বলা হয়, দেখা যাক ওরা চারজন মিলে ওদের পারফরম্যান্সের মধ্যে দিয়ে প্রতিবাদ জানাতে চাইলে তা করতে দেয় কিনা ? অবশ্য করতে দিক বা না দিক এই উদ্যোগ টা নেওয়া উচিৎ আর তা জানানো উচিৎ । একজন শিল্পীর তো সবচেয়ে বড় হাতিয়ার তার শিল্প । সেই শিল্পকে হাতিয়ার করেই প্রতিবাদ আসুক । মীরাক্কেল এর ফেবু পেজ এ পোষ্ট দিচ্ছি । দেখা যাক কী হয় ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

চলুক শিমুল।

কিন্তু, আমার একটা প্রশ্ন আছে। বাংলাদেশের কেউ যদি স্ট্যান্ডআপ কমেডিকে পেশা হিসেবে নিতে চায়, তাহলে তাকে কি মীরাক্কেলের সাট্টিফিকেট নিতে হয়? নাহলে এই পেশায় আসা যায় না? উপরে একজন এমন কী জানি বললেন! আমি আসলে মীরাক্কেল কী জিনিস সেটাই জানি না, নেহায়েৎ অজ্ঞানতা আমার। নিশ্চয়ই বড় কোনো সাট্টিফিকেটদেনেঅলা প্রতিষ্ঠান হবে। নাহলে, মীরাক্কেল বর্জন করলে ইশতিয়াক, জামিল, রনি ও সজলের কেনো কোনোদিন স্ট্যান্ডআপ কমেডি পেশা হতে পারবে না!

পদ্মজা এর ছবি

সারেগামা দেখতাম জি টিভিতে। বম্বে ব্লাস্টের পরে ঐ অনুষ্ঠানের পাকী প্রতিযোগীদের এক এপিসোডেই পাব্লিক ভোটে বাতিল হতে দেখেছি।
মিরাক্কেল এ যারা বাংলাদেশী আছেন তারা কি একযোগে অনুষ্ঠান ত্যাগ করতে পারেন না?
এমন তো নয় যে এই অনুষ্ঠান বাদ দিলে তাদের ক্যারিয়ার ভেসে যাবে।

হিমু এর ছবি

মীরাক্কেলের মতো স্ট্যাণ্ড আপ কমেডি শো বাংলাদেশে কেউ বানায় না কেন? আমরা তো রামগরুড়ের ছানা নই।

রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

চলুক

Naveed's Comedy Club এর নাভিদ সাহেবকে এ্যাংকর করে তো কোনো একটা চ্যানেল স্ট্যাণ্ডআপ কমেডির একটা প্রোগ্রাম শুরু করতে পারে!

----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

নাভিদ সাহেবের দু'টা উপস্থাপনা দেখেছি।
১) কর্পোরেট মেয়েদের নিয়ে "বিজিদের ইজি শো"
২) এবারের বাটেক্সপো নাইট

রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

আমি গত ক্রিকেট বিশ্বকাপে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময়টায় বাংলাদেশের ক্রিকেট উন্মাদনা নিয়ে বানানো ক্রিকইনফোর চমৎকার ডকুমেন্টারিগুলোতে প্রথম ওনার কমেডি ক্লাবটির কথা জানতে পারি। সেখানে তাঁর এবং তাঁর স্ত্রীর একটা সাক্ষাৎকা্‌রও ছিল। তবে ওঁনার অনেক ব্যস্ত থাকার কথা -- সময় দিতে পারবেন কিনা কে জানে!

----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!

হিমু এর ছবি

বাংলাদেশে স্ট্যাণ্ডাপ কমেডির ভাত মেরে দিয়েছে পলিটিশিয়ানরা। সাংবাদিকরা যেহেতু উঠতে বসতে তাদের নাকের সামনে বুম ঠেসে ধরে, তারা রাউণ্ড দ্য ক্লক কোনো না কোনো কমেডি করতেই থাকে। টিভি সাংবাদিকদের মুগুরপেটা করে পলিটিশিয়ানদের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখা গেলে আমাদের স্ট্যাণ্ডাপ কমেডি শিল্পও চাঙা হয়ে যেতো।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

বাংলাদেশের কোন এক চ্যানেলে এই রকম স্ট্যান্ড আপ কমেডি শো দেখেছিলাম বছর দু-এক আগে, কোন এক ঈদের সময়ে। বিচারক ছিলেন, সালাউদ্দিন লাভলু ছিলেন মনে আছে। বাকিদের কথা মনে নেই।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

গুড পয়েন্ট পদ্মজা। তাদের ক্যারিয়ার ভেসে যাবে, এইজন্য মীরাক্কেল ত্যাগ করতে পারবে না। এমনটা ভাবা আসলে তাদেরকেই মানায়, যারা মনে করেন কলকাতার কর্তারা একটু 'শালার ভাই' কয়েছেন, আর আমাদের আনন্দ রাখার সীমা নাই।

তাদের ক্যারিয়ার ভেসে যাবে না মোটেও। কিন্তু ঐযে কলকাতার দাদাদের সাহচর্যে এসে একটু জাতে ওঠার চেষ্টা, আমাদের এই সংখ্যাগরিষ্ঠের দীনতার শোডাউনই হয়তো তাদেরকে মীরাক্কেল ত্যাগ করতে/প্রতিবাদ করতে বাঁধা দিবে! যদিও আমি মনেপ্রাণে আশা করি, তাঁরা নিজের দেশের মানুষের জন্য যথাবিহিত আক্কেলপূর্বক মীরাক্কেল ত্যাগ করবেন প্রতিবাদস্বরূপ।

সৌম্য মাইতি  এর ছবি

শিমুল ভাই ও অন্য বন্ধুরা,
আমি মনেপ্রাণে একজন বাঙালি এবং একজন ভারতীয় | প্রথম কথা বলি, আমি ও আমার মতো বেশিরভাগ ভারতীয় বাঙালির কাছে আবু, ইসতিয়াক, সজল এরা সকলেই খুব প্রিয় | দেশ-সীমানার বাইরে এঁরা আমাদের খুব কাছের মানুষ, কারণ এঁরা বাঙালি.... বাংলাভাষী| ফটিক পুরকায়ত কিংবা অপূর্ব রায়ের কোনো ভালো কৌতুক শুনে আমরা যত আনন্দ পাই, এঁদের কোনো ভালো পারফরম্যান্স দেখতে পেলে আমরা ততটাই হাসিতে ফেটে পড়ি| আমার স্থির বিশ্বাস আপনাদের-ও হাসির মুহুর্তগুলো এতটাই অনাবিল থাকে| আমাদের হাসিতে সত্যি-ই কি কোনো কাঁটাতার থাকে?

হাসির মতই চোখের জলেও কোনো সীমান্ত থাকে না| হাবিবুর রহমান ভাই কিংবা ফেলানী র কান্না আমাদের বুকেও এসে লাগে | যে মানুষগুলো সারাবছর শীত-বর্ষা উপেক্ষা করে আমাদের দেশকে রক্ষা করেন তাদের এই অমানবিক আচরণ আমাদেরও লজ্জা দেয়| রাষ্ট্র চিরকাল-ই বড় নিষ্ঠুর| মানুষের মতো খবর-ও ভিসা ছাড়া সীমান্ত পেতে পারে না| তাই সীমান্তে ঘটে যাওয়া অনেক খবর এদিকে আসে না, অনেক খবর পৌছতে পারে না ঢাকা শহরের বৈঠকখানায় | যেটুকু খবর আসে তার ওপর ভিত্তি করে এ দেশে প্রতিবাদ ওঠে| কোটি কোটি শান্তিকামী মানুষ গলা তোলেন | হাবিবুর ভাইয়ের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার দাবি উঠেছে এদেশেও| তাতে কিছু সুরাহা হবে কিনা জানি না, কিন্তু এটুকু জানবেন এদেশেও আপনাদের বন্ধু কম নেই|

এর পরে আর যে কথাটা বলবো সেটার সাথে আপনারা সহমত হবেন হয়তো| পৃথিবীর সব দেশেই সৈনিক আসলে একই রকম অমানবিক হয়| সে ভারত, বাংলাদেশ, আমেরিকা, পাকিস্তান কোনো দেশেই ব্যতিক্রম নয়| কারণ সৈনিকরা মানুষ নয়, জন্তুর মতো নিষ্ঠুর হবার জন্যেই প্রশিক্ষণ পায়| না হলে, রাষ্ট্রের ঘোর দুর্দিনে তারা অন্য একটা মানুষকে গুলি করতে পারে না| আপনি পারবেন ঠান্ডা মাথায় কোনো একজন মানুষকে খুন করতে? তারা পারে কারণ রাষ্ট্র তাদের সেভাবেই ট্রেইন করে| কাজেই বি এস এফ এর নির্মম আচরণে এরকম ভাববেন না, সমস্ত ভারতীয় আপনাদের শত্রু, সব ভারতীয় অনুষ্ঠান আপনাদের বিরোধী, সব ভারতীয় জিনিস আপনাদের বর্জনীয়| প্রতিবাদ আপনারা করুন, আমরাও সাথে আছি.... ইসতিয়াক ভাইদের জী বাংলার মঞ্চ ছেড়ে না গিয়ে সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে সকলকে জানাতে পারেন প্রতিবাদের স্বর|

হিমু এর ছবি

সমস্ত ভারতীয় অনুষ্ঠানের কথা বলতে পারি না ভাই, আমরা কয়েকজন এই পোস্টের লিঙ্ক মীরাক্কেলের ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছিলাম, এখন গিয়ে দেখি ঐ পেজের কাণ্ডারী সেগুলো নিষ্ঠার সাথে সব মুছে দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে আপনার কী মন্তব্য?

হিজবিজবিজ  এর ছবি

সবাই যদি একই পেজ-এর লিঙ্ক বারবার ওয়াল-এ পোস্ট করতে থাকে, তাহলে সেটাকে স্প্যাম মনে করাটা খুব একটা অযৌক্তিক নয় | লিঙ্ক ডিলিট করে দেওয়ার এটা একটা কারণ হতে পারে | আমার ওদের হয়ে সাফাই গাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই, শুধু একটা সাম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করলাম মাত্র |

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

শিল্পীর হাতিয়ার শিল্প । শুধু বাংলাদেশের কেন, সকলের পারফরম্যান্সের মধ্যে দিয়েই এক এক করে উঠে আসুক বি,এস,এফ এর অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। মিরাক্কেল এ প্রমাণ হোক "এখানে কমেডি ছাড়াও আরও অনেক কিছুই হয় ।"

হিমু ভাই,
একজন ভারতীয় হিসেবেই ওপরের মন্তব্যটা আমি মীরাক্কেল এর ফেবু পেজ এ দিয়েছিলাম । ডিলিট হয়নি । আছে । অনেকে লাইক ও করেছে ।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

সৌম্য মাইতি,
"পৃথিবীর সব দেশেই সৈনিক আসলে একই রকম অমানবিক হয়|"
এ বাক্যটি এবং আপনার অন্যান্য সুবচন পড়লাম।
"সব ভারতীয়" শব্দগুলো আমার লেখায় কোথাও কি এসেছে?
'ভাই' ডেকেছেন আমাকে, হাবিবুরকে। বলেছেন, ফেলানীর কান্না আপনার বুকে লাগে। এ-ই যদি হয়, তবে আমাদের প্রতিবাদের পথটুকু বন্ধ করবেন না প্লিজ!

সৌম্য মাইতি  এর ছবি

প্রতিবাদের পথ বন্ধ করার প্রশ্নই ওঠে না ভাই, মানুষের রক্তের দাগ যে প্রতিবাদের জন্ম দেয় তাকে আটকানোর ক্ষমতা না আপনার আছে, না আমার....
আমি বলতে চাই, মঞ্চকে পরিত্যাগ না করে সেই মঞ্চকেই ইশতিয়াক, আবু ব্যবহার করুক...

মিরাক্কেল এর শংসাপত্র ছাড়াই প্রতিভা ফুটে উঠবে.... কিন্তু সেটার সাথে অন্য এক কূটনৈতিক কারণ জড়ানোটা ভালো দেখায় কি? বিতর্কটা যদি হত "বাংলাদেশে (বা পশ্চিমবঙ্গে) মিরাক্কেল ছাড়া কি কমেডিয়ান জন্মায় না?" তা হলে এই কথাগুলো স্বাগত জানতাম.... কিন্তু বিএসএফ এর বর্বরতার সাথে মিরাক্কেল কে মেলানো যাচ্ছে না |
তবুও একদিনের প্রতিকী "বর্জন" ব্যাপারটা ভালো লাগলো....

হিমু এর ছবি

সমস্যাটা শুধু "কূটনৈতিক" নয় সৌম্য। সীমান্তে এক গরু চোরাচালানীকে বিবস্ত্র করে পেটানো হয়েছে, এ্‌ই দৃশ্যটা তো দুই রাষ্ট্রযন্ত্রের মারপিটের নয়। আমরা এটাকে দেখছি বাংলাদেশী মানুষকে মানুষ জ্ঞান না করার ভারতীয় আমলাতান্ত্রিক প্রবণতা হিসেবে। এই প্রবণতা একদিনে তৈরি হয়নি। আপনি আজকে সমবেদনা জানাচ্ছেন, কাল আবার আরেকজনের লাশ ফেলে দেবে বিএসএফ। আমরা এই পুনরাবৃত্তিতে ক্ষিপ্ত ও বিব্রত। বহুবার বহু কূটনৈতিক মেসেজ গেছে, প্রচুর পতাকা বৈঠক হয়েছে, পরিস্থিতির ইতরবিশেষ হয়নি। আমাদের সন্দেহ, উই আর নট বিয়িং টেইকেন সিরিয়াসলি। আমরা এখন কথা বলার সব মঞ্চ ব্যবহার করে এর প্রতিবাদ জানাতে চাই। মীরাক্কেল ঐ মঞ্চসম্ভারের বাইরে নয়।

রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

সৌম্য মাইতি,
আপনার কথাগুলো পড়ে বেশ ভালো লাগল। মীরাক্কেল তো খুব জনপ্রিয় অনুষ্ঠান এবং পারফরমারদের জন্য অনেক বড় একটা প্লাটফরম -- আমি সত্যজিত রায়ের ছেলে সন্দীপ রায়ের মত মানুষকেও দেখেছি এই প্রোগ্রামে গেস্ট হিসেবে উপস্থিত থাকতে।ইউটিউবে দেখেছি আবু হেনা রনির পারফরম্যান্সের পর মীরকে অনেক আবেগাপ্লুত হয়ে যেতে। এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিযোগীরা যদি বিএসএফের এই নৃশংস ব্যবহার নিয়ে কোনো কোনো কৌতুক অথবা অন্য কোন আইটেম করে -- অথবা শুধু পারফরম্যান্সের আগে এ সংক্রান্ত কিছু কথা বলে --তাহলে মীর কি সেটাকে প্রচার করার সৎসাহসটুকু দেখাতে পারবেন ?

----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!

হিমু এর ছবি

সৌম্য, দয়া করে বলবেন না মীরাক্কেলে রাজনীতি বা কূটনীতি হারাম। আমি মীরকে বলতে শুনেছি, ইন্দিরা গান্ধী নাকি বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছেন। রাজনীতি নিয়েও সেখানে হরদম চৌকা-ছক্কা পেটানো হয়।

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

হাততালি
একমত ।
মীরাক্কেল এ এর প্রতিবাদ করতে নীতিগত কোন বাধা নেই তো ।
শুধু আবেগাপ্লুত হয়ে বাংলাদেশ বাংলাদেশ করলেই তো আর হয় না ।
যখন সত্যি সত্যি প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়ানো উচিৎ তখন তা না করে ঐ মেকি আবেগ দেখালে গা জ্বলে ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

সৌম্য মাইতি লিখেছেন:
তাই সীমান্তে ঘটে যাওয়া অনেক খবর এদিকে আসে না, অনেক খবর পৌছতে পারে না ঢাকা শহরের বৈঠকখানায় |

ইন্টারনেটের এই যুগে খবর প্রচার হতে ভিসা লাগে, আপনার এমন দাবী কেমন কেমন জানি শোনায় ভাইয়া। আর 'সীমান্তে ঘটে যাওয়া খবর' ঢাকা শহরের বৈঠকখানায় এমনিতেই যে পরিমানে পৌঁছায়, ভিসা-পাসপোর্ট সহ পৌঁছালে না জানি সেটা কোথায় গিয়ে ঠেকতো!

সৌম্য মাইতি লিখেছেন:
পৃথিবীর সব দেশেই সৈনিক আসলে একই রকম অমানবিক হয়| সে ভারত, বাংলাদেশ, আমেরিকা, পাকিস্তান কোনো দেশেই ব্যতিক্রম নয়|

হুমম, ভাইয়া এতোক্ষণে আসল কথা বলেছেন। আসলে সব দেশের মতো বাংলাদেশের সৈনিক তথা বর্ডার গার্ডরাও চুতিয়ার একশেষ। সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক মেরে সাফা করে ফেলতেছে হালারা! শুধু শুধু 'বিশ্বের নাম্বার ওয়ান হাদুমপাদুমওয়ালা ভারতীয় পদাতিক বাহিনী'র বদনাম করলে হবে?

সৌম্য মাইতি লিখেছেন:
না হলে, রাষ্ট্রের ঘোর দুর্দিনে তারা অন্য একটা মানুষকে গুলি করতে পারে না| আপনি পারবেন ঠান্ডা মাথায় কোনো একজন মানুষকে খুন করতে?

সীমান্তে বিএসএফ যে অবাধে বাংলাদেশী মেরে যাচ্ছে, সেখানেও 'রাস্ট্রের ঘোর দিন' থিওরি প্রযোজ্য ভাইয়া? 'আপনি' বলতে যদি পোস্টের লেখককে বুঝিয়ে থাকেন, ঠাণ্ডা মাথায় মানুষ খুন করতে পারবে কিনা! তাহলে আপনাকে বলি, পোস্টের লেখক তো দূরের কথা সীমান্তে পাহাড়া দেয়া বাংলাদেশের বর্ডার গার্ডরাও পারছে না 'ঠাণ্ডা মাথায়' কোনো ভারতীয় নাগরিককে খুন করতে।

অথচ, ভারতীয় বিএসএফ সেই কাজটা করে চলেছে সকাল বিকাল ভাত আর চা খাওয়ার মতো করেই। বিশ্বাস হয় না? খবরের ভিসার জন্য অপেক্ষা না করে থেকে একটু ইন্টারনেটের শক্তিতে চোখ বুলান। দেখতে পাবেন, সোমাবার ভোরেও একজনকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ। যাকে ধরে নিয়ে গেছে তাকে হাবিবুরের মতো 'চিকিৎসা' দিছ্ছে নাকি বিরিয়ানী খাওয়ানো হচ্ছে সেটা এবার আপনিই ভেবে বের করেন।

এক হাবিবুরের ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু সীমান্তে বিএসএফ এর করা প্রতিটা অত্যাচারের হিংস্রতাই এর চেয়ে ভয়ঙ্কর হওয়ার কথা। এর চেয়ে জঘন্য হওয়ার কথা। কোনো শুভবুদ্ধির মানুষ আমাদের বৈঠকখানায় খবর আসে না অজুহাতে চুপ করে বসে থাকতে পারে ভাইয়া?

ধূসর জলছবি এর ছবি

চলুক

পদ্মজা এর ছবি

"notoriously violent paramilitary unit engaged in systematic attacks on civilians and responsible for torturing suspected criminals".
কানাডিয়ান ভিসা কর্তৃপক্ষ এই যুক্তি দেখিয়ে জনৈক অবসর প্রাপ্ত বিএসএফ সদস্য'কে ইমিগ্রেশন ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভারতীয় সরকার সরাসরি প্রতিবাদ জানায়। ফলশ্রুতিতে কানাডা'র ইমিগ্রেশন মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে একূল ওকূল রক্ষা পায়।

ভাই এই ঘটনা প্রমাণ করে কূটনীতি আর রাজনীতি কিভাবে সীমান্ত সন্ত্রাস কে পৃষ্ঠপোষকতা করে।

আর জানেন তো কাক নিজের চোখ ঢেকে ভাবে আর কেউ তাকে দেখতে পাচ্ছেনা।
সব সময়'ই আপনাদের জনতা এবং কর্তা ব্যাক্তিরা, 'আমাদের জানা নেই অতদূরে সীমান্তে বিএসএফ কি করে' বলে পার পেয়ে যাবেন?
এবার একটু জানুন দাদা।

ধন্যবাদ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

জানতে হলে যে ভিসা লাগে, সেইটা কে দিবে সৌম্য ভাইয়াকে? আপনে দিবেন?

পদ্মজা এর ছবি

হুম, জানতে হলে ভিসা লাগে, ঝানতাম না।
আমার ধারণা ছিলো জানার আগ্রহ থাকলে 'উইকিপিডিয়া' নামের ভূত দিয়া সব তথ্য নামানো যায়। মনে হয় জানায় গলদ ছিলো।

সৃষ্টিছাড়া এর ছবি

এই পেজ এও সরিয়ে ফেলছে লিন্কগুলো দেয়ার সাথে সাথে আর কমেন্ট করার অপশন নিস্ক্রিয় করেছে। মনে হচ্ছে রেড এলার্ট জারি করেছে! রেগে টং

অন্যকেউ এর ছবি

পেজে পোস্ট করার বাক্সটার উপরে ডানদিকে Everyone (Top Posts) লেখা একটা বাটন আছে। সেখানে ক্লিক করলে সবার পোস্ট দেখতে পাবেন। এই পেজ এখনও ডিলিট করে নাই। আমি এখুনি অনেকের পোস্ট করা লিঙ্ক দেখলাম।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

সৃষ্টিছাড়া এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে হাসি

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

চলুক

আশফাক আহমেদ এর ছবি

চলুক
প্রতিবাদের আইডিয়াটা ভালো লেগেছে

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

দীপ্ত এর ছবি

ধরুন, আমাদের একজন বিজ্ঞানী। দুইদেশের কোন বিজ্ঞান প্রতিযোগিতায় গেছে কলকাতায়, আর বেশ কয়েক পর্ব টপকেও গেছে, দর্শকদের দৃষ্টিও কেড়েছে। প্রথম হবে কিনা বোঝা যাচ্ছে না, হতে পারে। এখন এই ঘটনাটা ঘটল। এখন তার কি কর্তব্য? তার কি বর্জন করা উচিৎ প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে? আমি মনে করি- না, কারণ প্রতিভা সেটা লোক হাসানোতে হোক, আর বিজ্ঞানেই হোক, বিকশিত হওয়া উচিৎ। এখন প্রশ্ন আসে যে আমাকে ল্যাংটা করে মারে (এবং বিগত বছরগুলোর আনুসাঙ্গিক নির্যাতনের কথাও ধরুন) তার সার্র্টিফিকেটের জন্যে কাঙালিপনা কেন? এটা কাঙালিপনা না, বরং এই ছেলেগুলোর একজন যদি প্রথম/দ্বিতীয় টাইপ কিছু করে তাহলে আমি আমাদের দেশের ছেলে হিসেবে বরং গর্বিত হব বেশি, যদিও মিরাক্কেল দেখি না। এরা যদি বড় কিছু অর্জন করে বা নাও করে, তাহলেও মঞ্চে যে বাংলাদেশের নাম ধ্বনিত হয়/হচ্ছে সেটা কি ভালো কিছু না? (নাকি সেটাকেও আমাদের দেখতে হবে দাদাদের “পিঠ-চাপড়ে” দেয়ার সংস্কৃতি হিসেবে?) তার মানে, দাদাদের হাততালি খেয়ে পাছা পেতে দিতে হবে তা বলছি না। কিন্তু আমার দেশের শাকিব খান ওদের বলিউডে কাজ করার সুযোগ যদি পেত আমি অখুশি হতাম না, কারণ গুণের বিকাশ এবং চর্চা ঘটতে থাকলে (যেটা দুর্ভাগ্যবশত নিজেদের দেশে আমরা তৈরি করতে পারিনি অনেক ক্ষেত্রেই) একদিন নিশ্চয়ই আসবে যেদিন ওরা টিকেট কেটে আমাদের শাকিব খানকে (প্রতীকী অর্থে) দেখতে আসবে, যেমন আমরা শাহরুখ আসলে লুললুল করে ছুটে যাইই আজকে, বা আমাদের কোন বিজ্ঞানী এখানে বক্তৃতা রাখলেও ওরা ভিসা করে এসে তার বক্তব্য শুনবে। (আমি অযাচিত স্বপ্ন দেখছি কি?) যা বলতে চাচ্ছি সংক্ষেপে, যার গুণ আছে, এবং সেটা বিকাশের সুযোগ পেয়েছে, তার কাজে লাগানো উচিৎ সর্বোচ্চ, ব্যক্তির সৎ গুণের বিকাশই দেশকে টেনে নিয়ে যায়।

তাহলে এই ঘটনার কি কোন প্রতিবাদই তারা করবে না বাংলাদেশী হিসেবে? আমার মতে সবচেয়ে ভালো হতে পারে, ওরা মঞ্চে কোন পারফর্মেন্সের পরে বলুক, যে আমাদের ওপর এটা চলছে, আপনারা জানুন এবং এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন ইত্যাদি। সেটা আপনিও লেখাতে বলেছেন। (যদিও সেটাও কাটছাট হয়ে টিভিতে হয়তো আসবে না।) কিন্তু প্রতিযোগিতা ছেড়ে চলে আসাটা কি খুব কাজের কিছু হবে? প্রতিযোগিতা ছেড়ে চলে আসলেও এই প্রতিবাদের কথা ওপারের টিভি দর্শকদের কতজন জানতে পারবে সে সন্দেহ থেকেই যায়। ছেলেগুলোর ক্যারিয়ারের পথ হয়তো তৈরি হচ্ছে, (মানুষ হাসানোটা ক্যারিয়ার নাও হতে পারে, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা আমরা জানি না), তখন ওদের কাছে এই দাবি করা একটু বেশি হয়ে যায় না কি?

হিমু এর ছবি

আপনার স্বতসিদ্ধ হচ্ছে, এই লোক হাসানোর কাজটা বাংলাদেশে সম্ভব না।

মীরাক্কেলে বাংলাদেশ থেকে লোক ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কেন? যাতে করে বাংলাদেশীরা অনুষ্ঠানটার প্রতি্ একটা ঔনারশিপ বোধ করে। "এখানে আমরাও আছি" গোছের আত্মতৃপ্তি নিয়ে দেখে।

কলকাতার বিভিন্ন সিরিয়ালেও একটা বাঙাল চরিত্র থাকে, যে কাল্পনিক "বাঙাল" ভাষায় কথা বলে। ঐ ভাষা না বরিশালের, না ঢাকার, না ময়মনসিংহের। কলকাতার অভিনেতার কল্পনার রঙে রাঙানো এই বাঙাল বুকনি বলা চরিত্রগুলো আবার আমাদের দর্শকদের কাছে কিছুটা প্রিয়তাও পায়। একাধিক চ্যানেলে একাধিক সিরিয়ালে এই প্রবণতা দেখেছি, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এটাও করা হয় বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে এই ঔনারশিপ জাগিয়ে তোলার জন্যেই।

লোক হাসানোর প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে কলকাতায় গিয়ে মীরাক্কেলে নাম লেখাতে হবে কেন? আমরা বানাতে পারি না এরকম প্রোগ্রাম?

দুইদিন পর এদেরকে এমনিতেই বিদায় করে নতুন মফিজ তুলবে মীরাক্কেল। এই দুনিয়ায় সবাই কয়েক সিজনের সুলতান রে ভাই।

দীপ্ত এর ছবি

আপনার মন্তব্য পড়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি পেলাম। এভাবেও ভাবা যায়। কিন্তু ব্যাপারটার কার্যকরণ উলটা করেও চিন্তা করা যায়। ধরেন, আমরা আগে ওদের প্রতি আসক্ত হয়েছি, এখন ওরা ভাবছে যে আমাদের ঔনারশিপ জাগিয়ে তোলা দরকার (আমার মত = আসক্তি এসেছে আগে, আত্মতৃপ্তির সুযোগ নেয়া হয়েছে পরে), অথবা আমাদের ঔনারশিপ জাগিয়ে তোলা হয়েছে বলেই আমরা আসক্ত হয়ে যাচ্ছি। যাই হোক না কেন, বাংলাদেশীরা যদি কলকাতার অনুষ্ঠানে যাওয়া বাদ দিয়েও দেয়, তাহলে কি ওই আত্মতৃপ্তির অভাবে ঘরের মাবোনেরা এইসব অনুষ্ঠান দেখা বন্ধ করে দেবেন বা কমবে?

লোক হাসানোর অনুষ্ঠান এতদিন হয়নি, সেটা আমাদের ব্যর্থতা। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এখন কেউ আগায়ে এসে গড়ে তুললে তাও হয়। আর মিরাক্কেল হোক আর ক্লোজআপ ওয়ান হোক, সিজনের সুলতান এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

হিমু এর ছবি

এনাদের প্রতিবাদ বা বর্জনের কারণে আমাদের ঘরের মাবোনেরা এক লহমায় লক্ষ্মীবাঈ হয়ে যাবেন, এই দুরাশা কি আমরা করছি? সব বড় কাজই তো ছোটো একটা ধাপ দিয়ে শুরু হয়। সেই ছোটো ধাপগুলো যদি সবাই সব স্তরে করেন, সেটার মিলিত প্রভাব অনেক বড় হতে বাধ্য, তাই না?

প্রত্যেকেই তো আমরা মনে করতে পারি, আমার এই বর্জনফর্জনে কী লাভ হবে? দেশ কি গুলবুলিস্তান হয়ে যাবে? এই ভেবে সবাই বসে থাকলে তো আমরা কোনো কাজই করতে পারবো না ইহজীবনে।

মীরাক্কেল যে বিপুল সাড়া পেয়েছে বাংলাদেশে, তাতে এটা স্পষ্ট যে স্ট্যাণ্ডাপ কমেডির দর্শক আমাদের দেশে তৈরি হয়ে গেছে। এই দর্শকদের সরবরাহ করার জন্যে এখন অনুষ্ঠান তৈরির কাজে আমাদের নির্মাতাদের এগিয়ে আসতে হবে। এবং সেটা মীরাক্কেলের কপিক্যাট হলে চলবে না, দৃশ্যমান পার্থক্য থাকতে হবে। মাথায় হাফ ছটাক মগজ থাকলেই ওরকম একটা কাঠামো দাঁড় করানো যায়। আমাদের নতুন গজিয়ে ওঠা নির্মাতারা অর্ধশিক্ষিত আর কল্পনাশক্তিবঞ্চিত বলে তারাও দর্শকদের আকাট পাঁঠা ভাবেন আর নকল করার জন্য চোস্ত কোনো হিন্দি বা কলকাত্তাই প্রোগ্রাম খোঁজেন। আপনি একবার ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখেন, সামান্য রাজনীতি, সামান্য রূপালি পর্দা, সামান্য স্পোর্টস, সামান্য এটাসেটা ঘুটা দিয়ে একটা এক ঘন্টার স্ট্যাণ্ডাপ কমেডি প্রোগ্রাম বানানো কি এতই শক্ত?

কলোসাল সব বলদের হাতে আমাদের বিনোদনকাঠামো। মুখ থুতুতে ভরে আসে।

Shahid এর ছবি

First I am sorry to write in English, as this bullshit office PC is not supporting any type of Bangla. And I dont like writing Bangla in English text.
I agree with Himu. And a perfect example of such a mixed comedy program is 'Ittyadi'. I doubt any such programs in Bangladesh and in West Bengal could even come near to Ittyadi. Even 95% Indian programs are copied from US tv shows, just with an added advertisement of Sharee, Dress, Furniture and Jewellary (Specially for attracting Bangladeshis). We never lacked talented performers, we always lacked talented entrepreneur.

হিমু এর ছবি

কনট্রোল + অল্ট + পি চাপলে ফোনেটিক লেআউটে সচলায়তনেই বাংলা লিখতে পারবেন, বাড়তি কোনো সফটওয়্যারের সাপোর্ট দরকার হবে না। ধন্যবাদ।

পদ্মজা এর ছবি

হিন্দী সিরিয়াল দিয়ে যখন বাঙ্গলা বলা এই দেশে মার মার কাট কাট ব্যবসা করা যায়, তখন ঐ একই গ্রুপের ( জি বাংলা, স্টার জলসা) কলকাতার বাংলা মিডিয়া ব্যবসায়ীরা বসে থাকবেন এমনটা ভাবার কোন অবকাশ নেই।

আর হ্যা, আমাদের মানসিক দীনতাও দায়ী। আমরা সেই আদ্দিকাল থেকেই পূব বাংলার চাষা, আর ওরা কলকাতার সুশীল বাবু। এই ধারণা আমাদের এখনো যায়নি।

কিন্তু সত্যি এই যে, আজ থেকে ১০০ বছর পরেও যদি বাংলা ভাষা টিকে থাকে, সেটা বাংলাদেশের জন্যই থাকবে। কারণ আমরা একটা স্বাধীন দেশ যার মাতৃভাষা বাংলা, কোন প্রদেশ নই।

ধন্যবাদ।

পাঠক  এর ছবি

"আর হ্যা, আমাদের মানসিক দীনতাও দায়ী। আমরা সেই আদ্দিকাল থেকেই পূব বাংলার চাষা, আর ওরা কলকাতার সুশীল বাবু। এই ধারণা আমাদের এখনো যায়নি।"

বাংলাদেশের সবচেয়ে অশিক্ষিত লোকটাও এমন ভাবে না। কিছু মনে আসলেই লিখে ফেলবেন না।

পদ্মজা এর ছবি

বাংলাদেশে একটা বইমেলা হয়, সেখানে বিভিন্ন মানসিকতার, পাঠরুচির পাঠকের জন্য বই থাকে। তবু প্রতি বছর ভারতীয় লেখকদের কেউ আমাদের দেশ বেড়াতে এলে, সেই সংবাদ জাতীয় দৈনিকে স্থান পায়। আমাদের বুদ্ধিজীবি মহলে 'বুদ্ধিদীপ্ত' আচরণের বদলে একধরণের চাটুকারিতামূলক মনোভাব প্রকাশ পায়। কেন?

আমার মনে আছে, যখন প্রথম একুশে টিভি সম্প্রচার শুরু করে, সেখানে ভারতীয় অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করতেন। সে সময়টায় আমাদের দেশে অনেক ভাল এবং জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। তাহলে ইন্দ্রাণী হালদার কে এনে স্টান্টবাজী করার কারণ কি?

আমাদের ছোটবেলায় আমরা লালবাগের হাসমার্কা তেল, পরবর্তীতে আধুনিক প্যাকেজে জুঁই, তিব্বত নারকেল তেল ব্যবহার করেছি। মেরিল এখনো অনেক ভালো মানের কস্মেটিক্স বানায়। কিন্তু আমরা কি ব্যবহার করি? ল্যাকমের টানে আমরা দেশী পণ্য ভুলে গেছি।
অথচ ভারতীয়'রা কোকাকোলা পান না করে, থাম্বস আপ পান করতো। থাম্বস আপ নিশ্চয় মানে কোকাকোলার চাইতে জনপ্রিয় বা ভাল নয়।
কিন্তু আমরা কি পারবো এক ঝটকায় ভারতীয় কস্মেটিক্স এর মায়া কাটাতে?

ইদানিং ঈদে একটা নতুন ট্রেন্ড শুরু হয়েছে, ভারতীয় শিল্পীদের ( চন্দ্রবিন্দু, নচিকেতা) নিয়ে সঙ্গীতানুষ্ঠান। আমাদের সংগীতাঙ্গন কি খারাপ যে আমরা অর্ণব, বাপ্পা, কণা, ব্ল্যাক, আর্টসেল এদের নিয়ে অনুষ্ঠান করলে দর্শক দেখবেনা? আমাদের দেশী আধুনিক, ব্যান্ড, এক্সপেরিমেন্টাল গানের শ্রোতা কিন্তু কম নয়। তবু চ্যানেলগুলোর এই মানসিকতা কেন?

কুমিল্লার খাদীর নাম জানেন। জানেন কি সেখানে প্রতিবছর আলাদা মানের সূতির কাপড় তৈরী হয়। সেই কাপড় মানে উন্নত। অথচ আমরা কিন্তু হুমড়ি খেয়ে ভারতীয় সালোয়ার কামিজ, চুমকির শাড়ী কিনি। কেন দেশী কাপড় পড়তে লজ্জা কি? বেনারসি ছাড়া বিয়ে হয়না? দক্ষিণ ভারতে কাঞ্জিভরম শাড়ীতে বিয়ে হয়, সেটা ওদের স্থানীয় তৈরী, আমরা তো সেই দাদার আমল থেকে বেনারসী পড়ে বিয়ে করছি। কেন?

আর ইতিহাস যদি জানেন তো জানবেন যে এককালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলার জ্ঞানপীঠ ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস এই সেদিনের। তারা পূব বাংলা কে সবসময়ই হেয় করতো। আর জমিদাররা এই দিকের জমিদারী টাকায় ঐ পাড়ে বিলাসব্যসন করতেন।

'পাঠক', মনে আসলো তাই লিখে ফেলিনি। আপনি আমার এই অবজারভেশনের যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাক্ষা অন্যভাবে দিতে পারলে আমি বাঙ্গালী হিসেবে গর্বিত হবো।

ধন্যবাদ।

ধূসর জলছবি এর ছবি

আমি আপনার একটা কথা বুঝলাম না । আমারই অজ্ঞতা স্বীকার করছি। আমাদের দেশের শাকিব খানদের গুনের বিকাশ ঘটানোর জন্য বলিউডে কাজ কেন করতে হবে। এদেশের মানুষ টিকিট কেটে শাহরুখ খানকে দেখতে যায়, তার জন্য শাহরুখ কে তো বাংলা সিনেমা করতে হয়নি। শাকিব খানদের যদি প্রতিভা থাকে সেটা এ দেশে কেন বিকাশ ঘটানো যাবে না। আমাদের দেশের যে কেউ যে কোন জায়গায় প্রথম দ্বিতীয় হলে আমি গর্বিত হব, সকলেই হবে। কিন্তু এখানে প্রেক্ষাপট তো একটু ভিন্ন । ওরা যদি এই অনৈতিক আচরন গুলো না করত , ওদের সাথে যদি সেই সুসম্পর্ক টা থাকত যেটা প্রতিটা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে থাকে,অথবা থাকা উচিৎ। তাহলে অবশ্যই আমরা আমাদের দেশের ছেলেরা দেশের বাইরে গিয়েও মাতাচ্ছে ভেবে আহ্লাদিত হতাম। তবে আবু হেনা রনিরা এমন কাজ করবে সেটা আমিও আশা করি না। আমরা এখন আর অতটা স্বার্থহীন নেই, আমরা দেশ নিয়ে কথা বলি ,কাজ করতে গেলে পিছুটান দেই। আমরা সবাই ই তাই। তবে ওরা যদি সত্যি সত্যি এরকম কিছু করে দেখাতে পারত, আমি খুশি হতাম, গর্বিত হতাম, ভারতীয়দের থোতা মুখটা একটু ভোঁতা হত ।(মিরাক্কেল আমি দুদিন দেখেছি সর্বমোট, তাতেই দেখেছি ওরা আমাদের সম্পর্কে হাসতে হাসতে ভালই তাচ্ছিল্য করে কথা বলে। ব্যপারটা আমার বোঝার ভুল ও হতে পারে,আমি অজ্ঞ, আগেই বলেছি। )

দময়ন্তী এর ছবি

এই বিষয় নিয়ে স্কিট বানাতে পারে, বানানো উচিত্৷ এমনিতে বুদ্ধ বিমান তো বটেই, মমতাকে নিয়েও বেশ শার্প কিছু স্কিট দেখেছি৷

কিন্তু রনি আর সজল মীরাক্কেল একেবারে ত্যাগ করলে আমার খুব দু:খ হবে৷ মন খারাপ

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

হাততালি

ফিরোজ উদ্দীন এর ছবি

১ মার্চ ভারতবন্ধ, একটি প্রতিকী প্রতিবাদ। কবে হবে আমাদের সেই মানসিকতা যে দিন সত্যি সত্যি ভারত কে বর্জন করব। আমার ২ বছরের বাচচার মুখে ‘ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা যতটা না সাবলীল তার চেয়ে বেশী সাবলীল পাগলু, টেরি মেরি ও ১০০% লাভ।
এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে সকলকে এগিয়ে আসার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আমি বা আমার বাড়ির মানুষ, আমরা কেউ মীরাক্কেল দেখিনা। তবে ঢাকায় যে জায়গায় থাকি, সেখানে মীরাক্কেল দেখলে না চাইলেও বাধ্য হয়ে 'শুনতে' হয়। আমি রাতের খাবার যে সময়ে খাই, ঠিক সেই সময়টাতেই আশপাশের বাড়িগুলো থেকে বিপুল বিক্রমে মীরাক্কেলের অডিও ধেয়ে বেরিয়ে আসতে থাকে।

মীরাক্কেলে আমি যেটুকু শুনেছি তাতে স্থুল ভাঁড়ামি ছাড়া বুদ্ধিদীপ্ত বা নীতিসমৃদ্ধ কোনও কৌতুক শুনিনি। আর আমার কাছে সবথেকে আপত্তিকর হচ্ছে এই মীরাক্কেল একটা চরম 'জেন্ডার ইনসেনসিটিভ' অনুষ্ঠান। এতোটা আমি কোথাও দেখিনি। ইশতিয়াক, জামিল, রনি ও সজলের সাফল্য আমাকে কোনও বিবেচনায়ই গর্বিত করছে না। কারন, হারুন কিসিঞ্জারের কৌতুকের ক্যাসেটও একসময় সুপার হিট হতো।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সবজান্তা এর ছবি

বুদ্ধিদীপ্ত বিশেষণটা শুনেছি- কিন্তু আমার জীবনে নীতিসমৃদ্ধ বিশেষণটা মনে হয় কৌতুকের ক্ষেত্রে এই প্রথম শুনলাম।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আছে রে ভাই, আছে ............ হাসি ঠিক নিশ্চিত না এটা কৌতুক হবে কি না, একটা শোনেন তাহলে,

নবদম্পতি বাসরশয্যায়। উভয়ের জীবনেই প্রথমবারের মতো যৌনমিলন ঘটতে যাচ্ছে। কিন্তু অনভিজ্ঞ নবদম্পতি কুলিয়ে উঠতে পারছে না। শেষে, বর পাশের কামরায় হানা দিলো যেখানে তার সদ্য কৈশোরত্তীর্ণ ছোট ভাই অবস্থান করে। আধা অন্ধকার ঘরে বর টেবিলের উপর থেকে একটা কৌটা নিয়ে আবার নিজের ঘরে চলে গেলো। পিছন থেকে ছোট ভাইয়ের 'ওটা নিওনা ওটা নিওনা' চিল্লানি সত্ত্বেও বর ভ্রুক্ষেপ না করে ওটা নিয়েই চলে গেলো। পরদিন সকালে ওরা আর ঘর থেকে বেরোয় না। শেষমেষ বরের মা-বাবা-ছোটভাই অনেক কসরত করে বাইরে থেকে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে তো তাজ্জব। এরা দুজন একটা আরেকটার সাথে লেগে আছে। ঘটনা তখন জানা গেলো, বর ছোট ভাইয়ের ভ্যাসেলিনের কৌটা নিতে গিয়ে ভূল করে গ্লুর কৌটা এনে তা থেকে ব্যবহার করেছে।

এর মোরাল হচ্ছেঃ মাঝে মাঝে ছোটদের কথাও শুনতে হয়।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

ধূসর জলছবি এর ছবি

চলুক সহমত

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

চলুক চলুক


_____________________
Give Her Freedom!

guest writer এর ছবি

আমরা কি আসলেই সেই কলকাতার এক সাংবাদিক দাদার বর্ণিত

বাফার স্টেট

এ পরিণত হতে চলেছি?
আমাদের বড় দুটো দলের একটা করে পাকিস্তানের তাঁবেদার আরেকটা ভারতের।
আমরা কি কোনদিনই মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে পারব না?

জিজ্ঞাসু এর ছবি

বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারত সরকারের দৃষ্টিভঙ্গী বিগত সকল সরকারের সময়েই একই ধরনের ছিল। দেশে অতীতে যত সরকার ছিল সবসময়ই সীমান্ত হত্যা চলেছে এবং চলছে। বর্তমানে সংবাদ মাধ্যমের প্রসারের কারণে আমরা খবরগুলো বেশি জানতে পারছি। পরিসংখ্যান সমৃদ্ধ হচ্ছে। যাদের বাড়ি সীমান্তের কাছাকাছি প্রত্যেকে এ ধরনের কোন না কোন ঘটনার কথা জানেন।

যাই হোক আমাদের জেগে ওঠা প্রয়োজন এখনই। অতীতেও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে এ নিয়ে দেশে বিদেশে। ফেলানীর মৃত্যু নিয়ে বছর খানেক আগে নিউইয়র্কেই কয়েকটি প্রতিবাদ সভাও করেছে বাংলাদেশীরা। কিন্তু ভারত সরকার গত চল্লিশ বছর ধরে আমাদের সীমান্তে ইচ্ছাকৃতভাবে একধরণের ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছে। ভারতের পেঁয়াজ বা গরু যাই আমরা চোরাচালানী করি না কেন ভারত বাংলাদেশকে তার বাজারে পরিণত করে রেখেছে কৌশলে এবং এই পরিকল্পনা ভারতের আচরণ থেকেই স্পষ্ট। কিন্তু ভারত তার দাদাগিরি বজায় রাখার জন্য নিয়মিত ব্ল্যাকার হত্যার কাজটি করে যাবে।

উপরে সৌম্য বলেছেন সৈনিকদের নিষ্ঠুর করে তৈরি করার কথা। এটা অমূলক যুক্তি, কারণ- পাকিস্তান, চীন, নেপাল, ভূটানের সীমান্তে এমন নিষ্ঠুরতা দেখাতে পারছে না ভারতের বর্ডার গার্ড। ভারতীয় যারা আমাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছেন বলে দাবী করেন তাদের প্রতি আহ্বান করব আপনারা নিজেরা ছাড়াও আপনাদের পরিচিত মহলে প্রতিবাদের কথাটা জানিয়ে দিন।

বাংলাদেশের কূটনীতিবিদরা কী করেন জানি না। অতীতেও তারা তেমন দক্ষতা দেখায়নি এখনও তারা পারছে না। তারা হয়ত সরকারী টাকায় বিদেশ ভ্রমণ আর ডিগ্রি নেয়াতেই বেশি ব্যস্ত থাকতে ভালবাসেন। দেশের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্তাদের নিয়ে এর বেশি কিছু বলার নাই। বর্তমান পররাষ্ট্র মন্ত্রীর কথাবার্তা আর আচরণ দেখলে মনে হয় তিনি ভারতেরই মন্ত্রী; বাংলাদেশের দায়িত্বে আছেন। প্রতিবছর প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘে আসেন ঘটা করে। কিন্তু এসব বিষয় নিয়ে তাদের জোর তৎপরতা দেখা যায় না। ভাসুরের নাম মুখে না আনার মতই তারা ব্যাপারটা এড়িয়ে যান। কেন জানি না। এমন চিত্র শুধু বর্তমান সরকারের আমলেই না সব সরকারের আমলেই দেখা গেছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এমনটি আর হবে না; বা টিপাইমুখ নিয়ে বাংলাদেশের ক্ষতি হোক এমন কিছু করবে না - জাতীয় সান্ত্বনা আমাদের সরকারকে আশ্বস্ত করতে পারার ব্যাপারটা সত্যিই অদ্ভূত এবং দুঃখজনক।

এখানে দেশের দশ বারটা চ্যানেল দেখতে পারি তার সবগুলোই দেখা হয়ে ওঠে না। ভারতীয় চ্যানেল দেখি না বলে মীরক্কেল সম্পর্কে কিছু জানি না। তবে আমাদের দেশের যে প্রতিভারা সেখানে আছেন তারা অবশ্যই কোন না কোনভাবে ভারতীয় মিডিয়ায় এর প্রতিবাদ জানাবেন এমনটা আশা করি। যেভাবেই প্রতিবাদ জানানো হোক- এতে তাদের জীবন-মরণ সমস্যা হবে না, বা ক্যারিয়ারও ধ্বংস হবে না, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

ক্ষুদ্র সত্তা এর ছবি

আমার মতে- মীরাক্কেলে বাংলাদেশ থেকে পারফর্ম করার জন্য বাছাই করে পারটিসিপ্যান্ট নেয়া হয়েছে, এটা একটা ভাল লক্ষণ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় হলে, তাতে জানা-বোঝার সুযোগ বাড়ে। তাছাড়া এতে ভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্যও বাড়ে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে- আমাদের মধ্যে ভারতীয় চ্যানেলগুলোর প্রতি এক ধরনের ভাবালুতা তৈরি হয়ে গেছে। যদি সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান সমান হারে হতো, অর্থাৎ উভয় দেশের টিভি চ্যানেলগুলো উভয় দেশের মানুষই দেখতে পেত, তাহলে এটাকে স্বাভাবিকভাবে নেয়া যেত। যেহেতু সেটা হয়নি, সুতরাং আমাদের উচিৎ হবে ভারতীয় কুখাদ্য জাতীয় অনুষ্ঠানগুলো বর্জন করা- যেমন হিন্দি মেগাসিরিয়াল, বিজ্ঞাপনসর্বস্ব কতিপয় সিনেমা, এমনকি কিছু বাংলা মেগাসিরিয়াল ইত্যাদি। যেহেতু আমাদের দেশে বর্তমানে মীরাক্কেলের মত কোন শো নেই এবং বাংলাদেশ থেকে চারজন মীরাক্কেলে খুব ভাল পারফর্ম করছে, তাই উচিৎ হবে তাদের পারফর্মেন্সের মাধ্যমেই বি এস এফ এর নির্যাতনের প্রতিবাদ করা। এমনকি ভবিষ্যতেও মীরাক্কেলে বাংলাদেশ থেকে পারফর্ম করলেই বা ক্ষতি কি? শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি এসব ক্ষেত্রে বর্জন নয়, বরং এগুলোর মাধ্যমেই আমরা নিজেদের কথাগুলোকে প্রকাশ করতে পারি। তাছাড়া আমাদের সংঘর্ষ ভারতের মানুষগুলোর সাথে নয়, বরং সাম্রাজ্যবাদী ভারত রাষ্ট্রের প্রতি। সুতরাং, সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনকে রুখে দাঁড়াতে হবে, আমরাও যে পারি সেটা আমাদেরকে দেখিয়ে দিতে হবে। কথায় কথায় সব কিছুকে বর্জন করলে কিন্তু আমরা উগ্র জাতীয়তাবাদী হিসেবেই নিজেদেরকে প্রমাণ করব। ভাল কোন উদ্যোগকে সব সময়ই গ্রহণ করা উচিৎ, মীরাক্কেল যেভাবে আমাদের থেকে প্রতিভা নিয়ে দুই বাংলার সবাইকে আনন্দ দিচ্ছে, তেমনি আমরাও কেন নতুন কিছু করে ওপার বাংলা থেকে কিছু মানুষকে বাছাই করে এরকম করি না? ওরা পারফর্ম করছে, আমাদের বরং ওদেরকে উৎসাহিত করা উচিৎ, কিন্তু ওরা যেন এটুকু মনে রেখে পারফর্ম করে যে, তারা বাংলাদেশি। মীরাক্কেলের আরেকটা পেজের লিংকঃ
https://www.facebook.com/pages/Mirakkel/112422192159024

হিমু এর ছবি

উগ্র জাতীয়তাবাদী ভারতে বাংলাদেশের কোনো অনুষ্ঠান চলে না। উগ্র জাতীয়তাবাদী ভারতে বাংলাদেশের বইয়ের কাটতি নাই। উগ্র জাতীয়তাবাদী ভারতে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতাক্ষম পণ্যকে নানা অশুল্ক বাধা আরোপ করে আটকে দেয়া হয়। উগ্র জাতীয়তাবাদী ভারতের মোকাবেলা ভাবালু নরম উদারপন্থা দিয়ে ক্যামনে করে?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

মীরাক্কেল যেভাবে আমাদের থেকে প্রতিভা নিয়ে দুই বাংলার সবাইকে আনন্দ দিচ্ছে, তেমনি আমরাও কেন নতুন কিছু করে ওপার বাংলা থেকে কিছু মানুষকে বাছাই করে এরকম করি না?

হে হে হে, এইটাই হইলো গিয়া আসল কথা। এইসব বনধ, ফনধ বাদ দিয়ে কেনু আমরা দাদাদেরকে কোলে নিয়ে আসমানের চন্দ্র দেখাচ্ছি না! কেনু এই কোলাভেরি ডি? কেনু কেনু কেনু...

পদ্মজা এর ছবি

কেডা কয় আমরা তাগো লইয়া নাচিনা। শাহরুখ আর সালমান ভাইরে নিয়া কি নাচটাই নাচলাম।
ঈদে বাংলা ভিশনে নচিকেতা দাদার সোলো গানের অনুষ্ঠান দেখেন নাই? 'চন্দ্রবিন্দু'রে নিয়া গান গাইলাম আরেক ঈদে। প্রতিষ্ঠিত বাদ দেন, ইন্ডিয়ান আইডল বিজেতাদের নিয়াই কি আমরা নাচি কম? তারাও আজকাল এইদেশে স্টেজ শো করে। কেম্নেকি?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তানিম এহসান এর ছবি

চলুক

কল্যাণ এর ছবি

এই সব মীরাক্কেল ফিরাক্কেল কোন ছার, সব ভারতীয় চ্যানেল বাংলাদেশে বন্ধ করে দেওয়া উচিত। কোই বাংলাদেশের একটা চ্যানেলতো ভারতে দেখায় না। এই ছেলেগুলার অবশ্যই প্রতিবাদ করা উচিত, সেই প্রতিবাদ যদি জিটিভি প্রচার না করে তাহলে ছেড়ে চলে আসাই উচিত।

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

ওদের অবশ্যই প্রতিবাদ করা উচিৎ । আর জি বাংলা যদি তা করতে না দেয় তবে ছেড়ে চলে আসা উচিৎ । একদম ঠিক কথা বলেছেন । এটা আমিও মানি ।

কিন্তু ভাইয়া একটা কথা, কলকাতার কথা জানিনা, আমরা কিন্তু শিলিগুড়িতে বৈশাখী টিভি দেখি ।
আমি কিন্তু শুধু তথ্যের খাতিরেই কথাটা বললাম ।

ভালো থাকবেন ।

বিলাস এর ছবি

আইডিয়াটা ভাল... উপরের অনেকের মন্তব্য পরলাম। অনেকে আশঙ্কা করছেন যে, প্রোগ্রাম লাইভ নয় তাই ওরা যদি প্রতিবাদ করে তবে তা প্রকাশ হবেনা, ঠিকাছে। কিন্তু আমি এভাবে চিন্তা করছিনা ! আমি মনে করি, ওইখানে ওরা কিছু যদি নাও করতে পারে অন্তত প্রোগ্রামটি ত্যাগ করে চলে আসে এবং আমাদের মিডিয়ায় যদি তা ব্যাপক ভাবে প্রচার করা যায় যে, বিএসেফের করা অন্যায় এর প্রতিবাদ স্বরূপ উজ্জ্বল ক্যারিয়ার ফেলে ওরা ভারতীয় অনুষ্ঠান 'মিরাক্কেল' ত্যাগ করেছে।তবে আর কিছু না হোক আমদের দেশের অন্তত কিছু সাধারণ লোকের আত্মপোলব্ধি আসবে যে, ওরা যদি অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে আসতে পারে তবে আমরাও ওদের টিভি না দেখে থাকতে পারব।আমাদের ১ মার্চের কর্মসূচীতে বেশ ইতিবাচক প্রভাব আসবে বলে আমি মনে করি।

ধূসর জলছবি এর ছবি

চলুক

মাহে আলম খান এর ছবি

১৯৮৬ অলিম্পিকে ২০০ মিটার দৌড়ে বিশ্বরেকর্ড করে সোনা জয়ী টমি স্মিথ, পদক নিতে গিয়ে চমৎকার প্রতিবাদ করেছিলেন। ইচ্ছা থাকলে বুদ্ধি খোলে।

http://en.wikipedia.org/wiki/1968_Olympics_Black_Power_salute

Bangla এর ছবি

Why does not the writer start the protest by himself? For example, take a banar with some slogan and go infront of the indian highcommision and show us the way.
Why do you expect so much from this poor four guys who are just to entertain?

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

poor কোন সেন্সে বললেন? দারিদ্র্য না দূর্বলতা? প্রথমটার ব্যাপারে পোস্টে বলেছি। দূর্বলতার কথা ইংগিত করলে, দ্বিমত পোষণ করছি। আমি নিশ্চিত, জিবাংলার দর্শক ও প্রভাব বিচারে, এই চারজন প্রতিযোগী এখন বড় প্ল্যাটফর্মে মত প্রকাশে ক্ষমতাবান। তাই তাদের কাছে দাবী করা যায় প্রতিবাদের...।

হাইকমিশনের সামনে 'banar' (ব্যানার?) নিয়ে দাঁড়ানোর প্রয়োজন হলে অবশ্যই দাঁড়াবো। স্বনামে মন্তব্য করুন, আপনাকেও ডাকবো।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

just to entertain ??? স্ট্যান্ড আপ কমেডির কনসেপ্ট/প্র্যাকটিস কোনোটাই কিন্তু তা বলে না।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

রানা মেহের এর ছবি

শিমুল একটা অনুরোধ করেছেন। সেই অনুরোধ রাখা না রাখা কিংবা ঠিক কোন পর্যায় পর্যন্ত রাখা মীরাক্কেলের সেই প্রতিযোগীদের ব্যাপার। এখানে তাকে ব্যানার নিয়ে কেন দাঁড়াতে হবে কেন বুঝলামনা।

খুব যৌক্তিক একটা লেখা শিমুল

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

ভালো মানুষ এর ছবি

লেখা পড়ে অনেক ভাল লাগলো। গুরু গুরু

Amit এর ছবি

খামোখা চার বাংলাদেশি প্রতিভাবানদের পেছনে কেন লাগছেন ভায়েরা। নিজের ঘরে , নিজেদের মা, বৌ ,বোনদের হিন্দি দেখানো বন্ধ করুন না। তারপর না হয় চারজনকে নিয়া কথা বলবেন। দেশে যতদিন ভালো অনুষ্ঠান না বানানো হবে ততদিনই হিন্দি বাংলার (কলকাতার) দাপট চলবে।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

"পেছনে" কে লাগলো? পোস্ট এবং মন্তব্য না পড়ে কমেন্ট করলে তো সমস্যা।
চারজনকে আবেদন/অনুরোধ যা করা হয়েছে তা "খামোখা" লাগছে আপনার কাছে?
পোস্ট মন দিয়ে পড়ে দেখেন, হিন্দি/বাংলা(কলকাতার) দাপট বন্ধ করতে চার বাংলাদেশি প্রতিভাবানদের বলা হয় নাই। বলা হয়েছে, নিজেদের অবস্থানে থেকে সীমান্তে বর্বরতা ইস্যুতে একটা ভারতীয় মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানাতে...

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

খুবই যুক্তিযুক্ত পোস্ট। আশা রাখি নিজেদের অবস্থান থেকে উনারা কিছু না কিছু করবেন। যদি কিছু করতে পারেন সেই মেসেজটা অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে।

অ. ট. বাংলাদেশের দর্শকদের উপর জি-বাংলার প্রভাব নিয়ে আসলেই চিন্তা করার সময় এসেছে। এবার দেশে গিয়ে এমন কোন বাসা দেখিনাই যেখানে জি-বাংলা চলে না। বিশেষ করে মীরাক্কেল আর সুবর্ণলতা। আজিজে বই কেনার সময় বইয়ের দোকানে দুইজন কে দেখলাম সুবর্ণলতা বইটা খোঁজ করতে।

ফাহিম হাসান এর ছবি

সুবর্ণলতা - আশাপূর্ণার একটা সিরিজ উপন্যাস না? এখন কি এটা নিয়ে সিনেমা/নাটক হচ্ছে?

shahidul এর ছবি

অনেক তো হল, এবার ফেলানিদের কেন সীমান্ত অব্দি যেতে হয় এটা নিয়ে কি আমরা এবার একটু ভাবতে পারি বা আন্দোলন করতে পারি? নিজের দেশ কেন তাদের ছাড়ার কথা ভাবতে হবে আজও? গাছের গোড়াতে পানি নেই যেখানে আগা নিয়ে ভাবনা তো পরে। যদি বিদেশ যেতেই হয় ফেলানিরা কেন সসম্মানে স্টেশনে বা এয়ারপোর্ট দিয়ে যেতে পারছেনা যেমনটা যারা আজ তার দুঃখে গলা ফাটাচ্ছেন তারা পারেন?

হুজুগ করে কি লাভ! যুক্তিযুক্ত কথাগুলি ভাবা হয়নি কেন কখনো!! কারণ নিয়ে না ভাবলে তো মূল সমস্যা থেকেই যাবে - রোগের কারণের চিকিৎসা না করলে রোগ নিরাময় কি করে হবে বলতে পারেন? বরং এটাই সঠিক সময় ছিল সরকার ও জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে বলা ও কর্ম করে দেখাতে বলা যাতে সীমান্ত পেরোতে স্টেশন, বাস টার্মিনাস বা এয়ারপোর্ট ছাড়া আর কিছুর দরকার না হয়! এখন যা হচ্ছে তা হল সুযোগ নিয়ে আসল সমস্যা থেকে কৌশলে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়া! এই হুজুগ করে কি ফেলানি ফেরত আসবে না ভবিষ্যতে ফেলানিদের দারিদ্র ঘুচিয়ে দেওয়া যাবে! সীমান্তে অবৈধভাবে যদি কাউকে কাঁটাতার আর না পেরোতে হয় সেনারা মারবে কাকে! আশ্চর্য ফেবু-র মতো ডার্টি ব্যবসায়ী (এপিক ডট অর্গ দেখুন) , ব্যক্তিগত ডাটা নিয়ে অবৈধ ডাটামাইনিং করা আমেরিকান কম্পানীর পাতা ব্যবহার করে প্রতিবাদ করতে কারো অ্যালার্জি নেই!

পণ্য বয়কট, প্রোগ্রাম বয়কট ইত্যাদি ভাল কথা। আরো ভালো হচ্ছে এমন পণ্য তৈরি করা, এমন প্রোগ্রাম তৈরি করা যাতে দুনিয়াশুদ্ধু সবাই তাতে অ্যাডিক্ট হয় ও সেই পণ্য বা প্রোগ্রাম বা ওয়েব ব্যবহার করতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বাধ্য হয়। প্রতিবাদ ও বিদ্বেষের এনার্জিটি সেই খাতে ব্যয় করলে কেমন হয়?

হিমু এর ছবি

আরও ভালো কাজ করার আগে চলুন ভালো কাজটা করি। ১ মার্চ, আছেন তো ভারত বনধে?

pbsbd এর ছবি

আপনার লেখা খুবই প্রাসংগিক....কিন্তু কিছু বিষয়ে আমার দিমত আছে।...আপনারা যারা ওদের প্রতিবাদী হতে বলছেন তারা ব্লগ ছাড়া এক্টিভলি কিভাবে প্রতিবাদ করছেন? ...ওপার বাংলায় ওরা চারজন বাংলাদেশকেই এক অন্য উচ্চতায় তুলছে।….আপনারা যারা ওদের বলছেন প্রতিবাদ করতে তাদের বলছি ওই প্রতিবাদের পর যদি ওদের সেখান থেকে মাঝপথেই বিদায় করে দেয় অথবা ওদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয় সে দায়ভার কি আপনারা নিবেন? আরএকটি কথা, সীমান্তে বর্বরতায় যেমন ভারতীয়দের নিন্দা প্রাপ্য তেমনি এই চার বাংলাদেশিকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য প্রসংশাও তাদের প্রাপ্য। যারা এখানে ফেলানির জন্য মায়া কান্না কাঁদছেন তাদের বলছি এই জীবনে কি একবারও কিছু করেছেন এইসব ফেলানি’র জন্য? তারা যাতে অভাবের তাড়নায় সীমান্তের ওপারে পা না রাখে সেজন্যে কি সে অভাব পূরণের কোন ব্যবস্থা করেছেন? একবার কি গিয়ে দেখেছেন ফেলানির পরিবার এখন কেমন আছে? নিজের বেতনের অর্ধাংশ দিয়ে সাহায্য করেছেন কখনও এই ফেলানিদের? নিজের বাসার কাজের ছেলে/মেয়েকে কি পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছেন? ওই চারজনকে যদি মীরাক্কেল ফোকাসে না আনত তবে এখনও বাংলাদেশে তারা বনানী ৬ এর বাসে ঝুলে অফিস যেত আর ফিরে আসত।
যারা আজ প্রতিবাদের কথা বলছেন তাদের বলছি, ব্লগে লেখা ছেড়ে জাতীয় পতাকা আর একটা প্রতিবাদী ব্যানার নিয়ে দমদম রেলস্টেশনে যান। তারপর সেখানে পতাকা আর ব্যানার তুলে প্রতিবাদ জানান। যাবার-আসার ভাড়া আমি দিব। নিজে দু’টাকা খরচ করবেন না আর প্রতিষ্ঠিত চারজনকে ‘আবেগী’ ‘কু’বুদ্ধি দিবেন তা হবে না। এখন মনে মনে বলবেন প্রতিবাদী হতে গেলে অফিস কামাই দিতে হবে আর অফিস কামাই দিলে খাব কি?
আমি অমিতের সাথে একমত। নিজেদের ঘরে বিড়াল, ব্লগে এসে বাঘ। নিজেদের মা-বোনদের থামান আগে। যান্।
নিজেরা স্টার কাবাবে খেয়ে হাতে লিখা বিল চাইবেন ভ্যাট ফাঁকি দেবার জন্য, মোটরসাইকেল তুলে দিবেন ফুটপাথে, ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে রাস্তা পার হবেন না, ট্রাফিক সিগনেল মানবেন না আবার ব্লগে বড় বড় কথা বলবেন, তা হবে না।
নিজেরা ঠিক হোন তারপর অন্যদের ঠিক হতে বলুন।
(আমার লেখার বিষয়বস্তু সীমান্তে হত্যাকান্ড ও তার প্রতিবাদ নয়। আমার বিষয়বস্তু হচ্ছে যেখানে আমরা নিজেরা নিজেদের অবস্থান থেকে যথেষ্ট প্রতিবাদ জানাচ্ছি না, সেখানে কিভাবে অন্যকে প্রতিবাদী হতে বলি?)

হিমু এর ছবি

আপনিও এরকম একজনই বাঘ। খেয়াল করে দেখুন, নিজের নামটা পর্যন্ত ব্যবহারের সাহস পাননি। পাছে আপনার পরিচিত কেউ এসে স্মরণ করিয়ে দেয় আপনাকে যে আপনিও হরদম হিন্দি গান শোনেন, হিন্দি সিনেমায় ডুবে থাকেন, শাহরুখ খানের কনসার্টে যাওয়ার জন্য ঘটিবাটি বিক্রি করে টাকা জোটান। তাই না?

আপনার আপত্তি যৌক্তিক। আমরা নিজেরা ঠিক না হয়ে অন্যকে ঠিক হতে বলতে পারি না। কিন্তু এই পোস্টের বক্তব্য হচ্ছে, আসুন আমরা সবাই ঠিক হই। লেখক বলছেন না, ঐ চারজন প্রতিবাদ করবে আর লেখক সেই প্রতিবাদ থেকে বিরত থাকবেন। আপনি যদি বলতে চান, দেশের সবাইকে আগে ঠিক হতে হবে, সর্বশেষ চার ব্যক্তি হতে হবে মীরাক্কেলের ঐ চারজনকে, তাতেও আমি একমত। আসুন আমরা ঠিক হই। সেই ঠিক হওয়ার কথা অন্যকে জানাতে ১ মার্চ ভারত বনধে যোগ দিন প্লিজ।

দমদম রেলস্টেশনে কেউ যেতে রাজি হলে আপনাকে তখন যেন টাকা হাতে পাওয়া যায়।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

নিজেরা স্টার কাবাবে খেয়ে হাতে লিখা বিল চাইবেন ভ্যাট ফাঁকি দেবার জন্য, মোটরসাইকেল তুলে দিবেন ফুটপাথে, ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে রাস্তা পার হবেন না, ট্রাফিক সিগনেল মানবেন না আবার ব্লগে বড় বড় কথা বলবেন, তা হবে না।
নিজেরা ঠিক হোন তারপর অন্যদের ঠিক হতে বলুন।

এক্কেবারে গ্রম আলুপুরি।
এ পোস্ট এবং সব মন্তব্য যোগ করলেও আপনার মন্তব্যের সমান "বড় বড় কথা" হতে পারবে না।
কয়েকটা প্রশ্নঃ
১) কেউ কখনো ফেলানীদের জন্য ব্যক্তিগতভাবে কিছু করেনি বলে - মত প্রকাশের অধিকার কি তার থাকবে না?
২) মীরাক্কেলের প্রতিযোগিরা বাংলাদেশে ফিরে এসে কি লেক্সাস ফিয়াটে চড়বে? ৬ নম্বর বাস কি তাদের জন্য মীরাক্কেল নিষিদ্ধ করবে?
৩) বাস ভাড়া দিবেন? এমটিবি-তে বেতন কেমন?

আগে এগুলার জবাব দেন, পরে আরো কথা আছে...।

উচ্ছলা এর ছবি

জীবনেও রুচি হয়নি ইন্ডিয়ান কেবল্-চ্যানেলের গ্রাহক হতে। ইন্ডিয়ান শাড়ী-গয়না-কুটনামী-সিনেমা যে মধ্যবিত্ত/উচ্চবিত্ত বাঙ্গালীর এত আদরের ধন - এই ফাত্রা আদিখ্যেতা, এই সিভিয়ার ফেটিশ দেখলেই বমি চলে আসে।

মানুষ চাইলে সব পারে। ইন্ডিয়ান জিনিসপত্রের আগ্রাসন শুরুর আগের যুগে আমাদের বাপ-দাদারা খেয়ে-পরে বাঁচে নাই?...তাহলে আমরা কেন বাঁচব না?...

পোস্টে ধুমায়া পাঁচ তারা।

pbsbd এর ছবি

জনাব শিমুল…..
১) নিজে “মত প্রকাশ” করেই তো শেষ করলেন। সেটাই তো বললাম….একটিভ কিছু করুন তারপর অন্যকে করতে বলুন।
২) তর্ক করতে চাইলে সারা জীবন আমি আপনি করতে পারব। পুরো অনুচ্ছেদের একটি বাক্যের প্রতি মনোযোগ না দিয়ে সম্বিলিত বক্তব্যর দিকে নজর দিন।
৩) যেটুকু বেতন পাই তাতে আপনার বাস ভাড়া অবশ্যই দিতে পারব। আপনি তো যাবেন না; নাকি যাবেন?

জনাব হিমু….
নামের গোপনীয়তা আমার কাম্য ছিল না। জানতে চাইলে জানাচ্ছি…আমি প্রণবেশ ভেৌমিক।ডিটেইলস পেতে চাইলে ফেসবুকে

দিয়ে সার্চ দিন।

হিমু এর ছবি

প্রণবেশ, ১ তারিখে ভারত বনধে থাকুন আমাদের সাথে। যেসব পরিবর্তন চান, সেগুলো এক এক করে করতে হবে।

এইবার একটা কথা বলুন দেখি প্রণবেশ। এই যে হাবু নামের গরুচালানীকে বিএসএফ ন্যাংটা করে পেটালো, এতে আপনি অপমানিত বা লজ্জিত কি না? আমি ধরে নিচ্ছি আপনি তেমন লজ্জিত নন, কারণ আপনি ফেলানির মৃত্যুর জন্যে নিন্দাকে মীরাক্কেলে বাংলাদেশীদের উপস্থিতি বা পিঠ চাপড়ানোর জন্যে প্রশংসার সমান বানিয়ে ফেলেছেন। তাহলে তো বাংলাদেশীদের সবাইকে ভারতের মাথায় তুলে রাখা উচিত শাহরুখ খানের জন্য ঘটিবাটি বেচে কনসার্টে যাওয়ার কারণে, তাই না? তাই কি ঘটে?

নিজের দেশের অপমান নিয়ে কথা বলার কারণে যদি বিদায় করে দেয়া হয় (আইনানুগ ব্যবস্থা কী নিতে পারে মাথায় এলো না, ভারতীয় সম্প্রচার আইন অনেক আগে একবার পড়ে দেখেছিলাম, মনে নাই, আপনি খেই ধরিয়ে দিতে পারেন), তাহলে আপনার কি মনে হয় না, ঐরকম একটা অনুষ্ঠানে দে শুডন্ট হ্যাভ বিন ইন দ্য ফার্স্ট প্লেইস? আর এই কারণে ওদেরকে একবার বের করে দেখাক না মীরাক্কেল, দেখি তাদের সাহস হয় কি না।

আপনি এই পোস্টের বক্তব্যকে দেখছেন প্রতিষ্ঠিত মানুষের প্রতিষ্ঠার গোড়ায় কুড়াল মারার বুদ্ধি হিসেবে, আর আমরা দেখছি দেশের প্রতিনিধিত্বকারী চারজন যুবককে নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার কাতর অনুরোধ হিসেবে। কেউ সম্মানের কথা ভুলে প্রতিষ্ঠা পেয়ে খুশি থাকে, কেউ প্রতিষ্ঠার চেয়ে সম্মানকে বড় করে দেখে। আপনি প্রথম গোত্রের, আমরা দ্বিতীয়। স্ট্যাণ্ডাপ কমেডিতে প্রতিষ্ঠা পেতে হলে মীরাক্কেলই আপনার চোখে মক্কা। সিজন ফুরোলে যখন এই চারজনকে প্যাক করে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে আরো নতুন চারজনকে মফিজ বানাবে মীরাক্কেল, তখন একটু এসে বলে যাবেন তো ঐ প্রতিষ্ঠা ধুয়ে তারা কী শরবত খান।

উচ্ছলা এর ছবি
আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

প্রণবেশ বাবু,
১) মত প্রকাশ করে শেষ করলাম কই? ১ মার্চের ভারত বনধে আছি তো! আপনি আছেন? অনলাইনে/ব্লগে প্রতিবাদ প্রতিক্রিয়া কি 'এক্টিভ' বলে মনে হয় না আপনার?
২) আপনার 'সম্বিলিত' মন্তব্যে পড়েই মন্তব্য করেছি। যে অংশটুকু কোট করেছি সেটা আপনি কার উদ্দেশ্যে বললেন? এ পোস্টের আমি বা কোন মন্তব্যকারী কবে স্টার কাবাবে খেয়ে হাতে লিখা বিল চেয়েছেন ভ্যাট ফাঁকি দেবার জন্য? মোটরসাইকেল ফুটপাথে কে তুলেছে? ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে রাস্তা পার হয়নি কে? ট্রাফিক সিগনেল মানেননি কোন ব্লগার? সুনির্দিষ্ট/স্পষ্ট নাম উল্লেখ করে বলুন। ব্লগের ওপরে আপনার এত রাগ ক্ষোভ কেন? অতিথি হয়ে মন্তব্য করছেন, তাই আপনাকে বলতে বাধছে যে - গলাবাজি বন্ধ করেন, নিজে কেমন বাঘ, কী করেছেন কবে বলেন? নাকি অনলাইনে সেতুবন্ধন সাইটে লুকিং ফর গুড হিউম্যান বিয়িং-এ ক্ষান্ত? হাসি
৩) আমার প্রস্তাব ছিল - মীরাক্কেলের চার প্রতিযোগী জিবাংলার মাধ্যমের প্রতিবাদ করলে তার প্রভাব পড়বে ব্যাপক। সে ক্ষমতা এবং সুযোগটুকু তাদের আছে। আপনি যদি মনে করেন, দমদম স্টেশনে আমি পতাকা হাতে প্রতিবাদ করলে, এর চেয়েও বড় প্রতিবাদ হবে, মিডিয়া কাভারেজ পাবে - তবে যেতে রাজী আছি। (দমদম যাইনি কখনো, কোন পথে যেতে হয়, খরচ কেমন পড়ে, আপনি কত টাকা দেবেন, বিস্তারিত জানান।)

ধুসর গোধূলি এর ছবি

১+২) আপনার 'সম্মিলিত বক্তব্য'র মূল বক্তব্য হচ্ছে, 'একটিভ' কিছু করা। গুড। এই পোস্টের লেখক এবং বাকি সবাই, সেই একটিভ কিছু করারই চেষ্টা করছেন। কীভাবে? চলুন দেখি।

প্রথমতঃ ১লা মার্চ যে ভারতীয় পণ্য, ভারতীর সেবা, ভারতীয় বিনোদন বর্জন করার জন্য তৈরী হচ্ছি আমরা সেটা আপনার একটিভ কিছুরই উদাহরণ। সহজলভ্য ভারতীয় সবকিছু বর্জন করা হলে নিজের দেশের, নিজেদের প্রোডাক্টের বাজার বেড়ে যাওয়ার কথা। এতে করে নিজের দেশই উপকৃত হবে। উপকৃত হবে নিজের দেশের মানুষ। উপকৃত হবে ফালানীদের পরিবার।

একজন ফালানীর পরিবারের জন্য মৌসুমী হাতেম তাঈ না হয়ে সকল ফালানীদের জন্য চিরস্থায়ী কিছু করা 'একটিভ' মনে হয় না আপনার কাছে?

দ্বিতীয়তঃ এই পোস্টের লেখক কিংবা বাকি সকলের চেয়ে বর্তমান মিডিয়া কাভারেজ মীরাক্কেলে অংশগ্রহণকারী চার বাংলাদেশীর দিকে অনেক বেশি। সুতরাং, নানান জায়গায় দাঁড়িয়ে মিডিয়ার দৃষ্টি টানার চেয়ে বরং যাঁদের দিকে মিডিয়া ইতোমধ্যেই তাকিয়ে আছে, তাঁদেরকে দেশের সকলের পক্ষে কিছু করার অনুরোধ করা 'একটিভ' কিছু মনে হয় না আপনার কাছে?

৩) যে, যার যার সামর্থ্যের মধ্য থেকেই প্রতিবাদ করবে। আপনার মতো বিরাট পয়সাওয়ালা যিনি আছেন, তিনি পয়সা ঢেলে করবেন, একজন ফালানীর পয়সাহীন পরিবার কায়িক খেঁটে সেই প্রতিবাদে শামিল হবেন। এখন, আপনি যদি আপনার মতো ফালানীর বাবাকেও জিএমজি'তে করে দমদম এয়ারপোর্টে গিয়ে প্রতিবাদের জন্য ধমক দেন, তাইলে সেটা আপনার মতে 'একটিভ' কিছু হবে?

আর, টাকার গরম দেখাবেন না চৌধুরী সাহেব। আমরা দমদম না চিনতে পারি শাহজালাল কিন্তু ঠিকই চিনি।

মাহে আলম খান এর ছবি

আমার কেন জানি মনে হচ্ছে, বাংলাদেশী মিরাক্কেল ভক্তরা জানেনই না যে, বাংলাদেশে হাshow নামে একটি কমেডি শো হয়েছিলো। ‌

ইউটিউবে ভিডিও দেখুন

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

আমিও যেতে রাজি আছি। শুধু দমদমে নয়। যদি ওখানকার চেয়ে দেশের ভারতীয় দূতাবাসের সামনে গেলে কাজ বেশি হয়তো সেখানে। না হয় দিল্লিতেও আপত্তি নেই। আমাকে টাকাও দিতে হবে না। শুধু আপনি আমার সাথে যাবেন প্রনবেশদা। আমি কিন্তু সত্যি বলছি। একবার বিশ্বাস করেই দেখুন না।

pbsbd এর ছবি

(আমার লেখার বিষয়বস্তু সীমান্তে হত্যাকান্ড ও তার প্রতিবাদ নয়। আমার বিষয়বস্তু হচ্ছে যেখানে আমরা নিজেরা নিজেদের অবস্থান থেকে যথেষ্ট প্রতিবাদ জানাচ্ছি না, সেখানে কিভাবে অন্যকে প্রতিবাদী হতে বলি?)
জনাব হিমু, উপরের অংশটুকু মনে হয় মিস করে গিয়েছেন। ভারত বন্ধ এর ব্যপারে আরও জানতে চাইছি।

জনাব শিমুল, দ্যয়ার আর মোর এক্টিভ ওয়েজ অব ডুয়িং থিংস্। আই হ্যাভ সাজেস্টেড ওয়ান। হোয়াই ডোন্ট ইয়্যু ট্রাই দ্যাট। দমদমে কিভাবে যাবেন তা আপনি আপনার আশেপাশের মানুষ থেকে জানার চেষ্টা করেন। আমি আসা যাবার বাস ভাড়া অবশ্যই দিব। এরপরও যদি দমদম খুজেঁ না পান তাহলে “আপনি যদি মনে করেন, দমদম স্টেশনে আমি পতাকা হাতে প্রতিবাদ করলে, এর চেয়েও বড় প্রতিবাদ হবে, মিডিয়া কাভারেজ পাবে - তবে যেতে রাজী আছি।” - এ “মত প্রকাশ” করেই ক্ষান্ত দেন।
আপনার ২য় পয়েন্টের জবাবে বলছি। সেখানে ‘আপনি’ বলতে আমি পুরো বাংগালীকে বুঝিয়েছি।

তদানিন্তন পাঠা, যে ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন, এখন তো জনাব হিমু বলবে আপনার সাহস নাই নাম প্রকাশ করার এবং ইত্যাদি ইত্যাদি। জনাব শিমুল আপনার ‘অতিথি’ স্ট্যাটাস দেখে বলবে, আপনি অতিথি, গলাবাজি আপনার সম্পত্তি না, ওটার ওপর আমরা যারা নিয়মিত লিখছি তাদের একছত্র অধিকার। যাই হোক, আপনি আয়োজন করেন; আমি অবশ্যই আসব ভারতীয় দূতাবাসের সামনে, প্রতিবাদে। দিল্লিতে যেতে পারব না ভাই। মাফ করবেন।

জনাব হিমু এবং জনাব শিমুল, এর মধ্যেই অনেক কথার জবাব হয়তো আমি দেইনি কারণ আমার মনে হয়েছে ওইসব ইস্যুতে কথা বলতে/তর্ক চালাতে গেলে অনন্তকালই করা যাবে।

যাই হোক, কমেন্ট চালাচালিতে কোন লাভ হবেনা। এ পোস্টে কমেন্ট করা ১০০ জন যদি ১ম পর্যায়ে কাল থেকে ভারতীয় চ্যানেল বর্জন করে, ২য় পর্যায়ে যদি পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভারতীয় চ্যানেল বর্জন করে, ৩য় পর্যায়ে যদি ভারতীয় সংস্কৃতি বর্জন করে তাহলে আমি মনে করি এর একটি বড় প্রভাব পড়বে। আমি এখন ১ম পর্যায় শেষ করে ২য় পর্যায়ে আছি। আমি কথা না বলে কাজ করতে চাই। ধন্যবাদ।

ফাহিম হাসান এর ছবি

যাই হোক, কমেন্ট চালাচালিতে কোন লাভ হবেনা।

আমি কথা না বলে কাজ করতে চাই।

কমেন্ট চালাচালিতে লাভ হবে না কেন? ব্লগে কথা বললে কোন কাজের বিঘ্ন হয় ব্রাদার?

যারা আজ প্রতিবাদের কথা বলছেন তাদের বলছি, ব্লগে লেখা ছেড়ে জাতীয় পতাকা আর একটা প্রতিবাদী ব্যানার নিয়ে দমদম রেলস্টেশনে যান।

ব্লগ সম্পর্কে আপনার বিরাগ কেন? প্রতিবাদের মাধ্যম কি খালি রাস্তায় মিছিল? যে যার সাধ্যমত প্রতিবাদ করুক না। এক মাধ্যম ছেড়ে অন্য মাধ্যমে যেতে হবে কেন?

অনলাইন-অফলাইনের ব্যালান্সেই একটা প্রতিবাদ সংগঠিত হোক না।

বিড়াল ধলা না কালা তা দেইখা কী লাভ? ইন্দুর মারতে পারলেই হইল - দেং জিয়াও পিং

Amit এর ছবি

সহমত। পো্ষ্টদাতা নিজেও জানেন , বাংলাদেশি চার তরুনরা অনুষ্ঠানে যদি বিক্ষোভ করতে যান তবে তা সেন্সরের কাঁচিতে কাটা পড়ব।তাদের কাছে একটাই অপশান থাকে , তা হলো দেশে ফিরে আসা। এতে ব্লগের দু চারজনের একদিনের পিঠ চাপড়ানো ছাড়া আর কিছু জুটবে বলে মনে হয় না। আমাদের উচিৎ , নিজেদের ঘর থেকেই ভারতের মানসম্পন্ন বিকল্প অনুষ্ঠান বানানো । দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ধিরে ধিরে কিছু হিন্দি চ‌্যানেল সেন্সর করে দেওয়া ইত‌্যাদি।

Amit এর ছবি

সহমত প্রণবেশ ভাইয়ের সাথে , পোষ্টদাতার সাথে নয়।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

পোস্টদাতার সাথে সহমত জানায়ে লাভ নাই। দমদমে যাওয়া আসার টিকেট পাবেন না। বরং, প্রণবেশ ভাইয়ার সাথেই থাকেন। ভাইয়ার অনেক ট্যাকা। দমদমে তিন দিনের প্যাকেজে ঘুরে আসতে পারবেন ভাইয়ার যাওয়া-আসার-ভাড়ার অফারে!

হিমু এর ছবি

মীরাক্কেলে সেন্সরের কাঁচিতে যদি তা কাটাও পড়ে, সেটাও তো আমরা জানতে পারবো, নাকি? আমরা এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে নতুন করে মূল্যায়ন করতে পারবো তখন। আর দেশে ফিরে আসার কথা যে বলছেন, মীরাক্কেলে তো এদের আগে আরো বাংলাদেশী গিয়েছিলেন, তাদের কি ফিরে আসতে হয়নি? সিজন ফুরালে এদেরও ফিরে আসতে হবে। এরা প্রতিবাদ করার চেষ্টা করেই দেখুন না, কী প্রতিক্রিয়া পান। আপনার কথা শুনলে মনে হয়, মীরাক্কেলে এরা না থাকলে বাংলাদেশের লোক না খেয়ে মরে যাবে।

ব্রন্টোসরাসের চামড়া গায়ে ঘুরলে পরিণতিও ব্রন্টোসরাসের মতোই হয় রে ভাই। হ্যাভ সাম ডিগনিটি।

হিমু এর ছবি

ভারত বনধ নিয়ে এখানে দেখুন।

আপনি যদি কথা শুরুই করেন আমাদের ভ্যাটচোর আর ফুটপাথের মোটরসাইক্লিস্ট বানিয়ে, আপনি অনেক কথারই জবাব দিতে পারবেন না। মাঝখান থেকে দেখা যাবে কচলাকচলি করে একটা তিতা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আপনি নিজেই আপনার কমেন্টটা পড়ে দেখুন, আপনি সঠিক ঝাল ভুল মানুষের ওপর ঝাড়ছেন।

আপনি কাজ করে যাচ্ছেন, অভিনন্দন। পাশাপাশি একটু কথাও বলুন, যাতে অন্যরাও আপনার মতো করে কাজ করার অনুপ্রেরণা পায়।

আজহার এর ছবি

মনে হচ্ছে ব্যাপারটাকে অনেকে জটিল করে তুলেছেন। ঐ চারজনকে অনুরোধ করা হয়েছে, কোনভাবে তারা যদি সীমান্ত হত্যা ও নির্যাতন নিয়ে প্রতিবাদ করতে পারে ভারতের কাছে। পারলে ভালো, না পারলে বা করলে, তাদের দোষ দিতে পারবনা। চার প্রতিযোগীকে আমি সাধুবাদ জানাবো। তারা প্রতিযোগীতা করেই ওখানে গেছে, আবেগ দিয়ে নয়। তাদের তাচ্ছিল্ল করে কমেন্ট করা বা ভাবা নিন্দনীয়। যেখানে মন্ত্রীরা বলেন, তারা চিন্তিত না, সেখানে আবু হেনা রণি অথবা সজল কেন চিন্তায় চুল ছিড়বে?

আর শুধু এই চারজন নয়, প্রতিবাদ করতে পারেন, সাকিব আল হাসান, কলকাতা নাইট রাইডার্স থেকে বেড়িয়ে এসে; ভারতে বৃত্তি প্রত্যাশী কয়েক হাজার বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী তাদের আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়ে...। যারা ইতিমধ্যে ভারতে পড়ছেন, তারাও চলে আসতে পারেন বা আন্না হাজারের মতো অনশন করতে পারেন।
*************************
আমার গ্রাম সীমান্তের খুব কাছে, তাই সীমান্ত নিয়ে কিছু বলতে চাই। বাংলাদেশ, ভারত দু'দেশের সীমান্ত ঘেঁষা লাখ লাখ লোক সীমান্ত পারাপার (চোরাকারবারি বলতে পারেন) ব্যাবসার সাথে জড়িত। এটাই তাদের পেশা, জীবিকা নির্বাহের হাতিয়ার। প্রতিদিন, কোটি কোটি টাকার ব্যাবসা হয় বলে আমি অনুমান করছি। আর এর কমিশন বিজিবি-বিএসএফ, স্থানীয় চেয়ারম্যান, নেতা সবাই পায়। যখন, এই ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে সমস্যা হয় তখনই হতাহতের ঘটনাগুলো ঘটে বলে আমার ব্যক্তিগত অভিমত। তা না হলে প্রতিদিন কমপক্ষে একশ লাশ পরতো। তাই সীমান্ত সমস্যাটা আমার কাছে অনেক জটিল বিষয় মনে হয়, যার সাথে হাজারো জিনিস জড়িত।

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

চলুক

মুগ্ধ পাঠক এর ছবি

এইচ টি টি পি://ডব্লিউ ডব্লিউ ডব্লিউ.facebook.com/permalink.php?story_fbid=10150553554699344&id=97343684343

মীরাক্কেলের ফেইসবুক পেইজে একটা প্রতিবাদ দেখলাম। এটা এখনো ডিলিট করে নাই। একটু তেল মারা হইছে এখানে, সেজন্যই হবে হয়তো। যাই হোক, এটাকে সবাই লাইক করেন। তাইলে আমদের প্রতিবাদটা আরো জোর পাবে...

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

প্রনবেশ ভায়া,

হ্যাঁ আমি ছদ্ম নামে লিখেছি। কিন্তু আমার ব্যাপারে হিমু ভাই ওই প্রশ্নগুলো করবেন মনে হয় না। হাসি ভাবছেন স্বজনপ্রীতি অথবা উনার পক্ষে বলেছি তাই? তা নয়। একমাত্র কারন হলো আমার স্ট্যাটাস অতিথি হলেও আমি বেশ কিছুদিন ধরেই সচলে নিয়মিত। সচলের নিয়মানুযায়ি একসময় হাচল / সচল হবো সে আশাও রাখি। সে জন্যেই আমার নিকটা এখানে নিয়মিতদের কাছে কিছুটা হলেও পরিচিত এবং অনেকেই লেখার মাধ্যমেই হয়তো জানেন / অনুমান করতে পারেন আমি কে বা কি পরিচয়। আপনিও খোঁজ করলেই পাবেন। সে যাই হোক।

ভালো লাগল আপনি সাথে যেতে রাজি হয়েছেন বলে। কিন্তু ভাই একা একা তো আয়োজন করা যায়না। আমার ইমেইল আইডি - june.noon(at)জিমেইল। আপনার প্রস্তাবের পিঠে কথাটা বলেছিলাম হয়তো। তবে এখন ভাবছি সত্যি কেন নয়? আরো হয়তো অনেক কিছুই করার আছে। আপনি বা অন্যকেউ যদি আগ্রহী হন তবে আমাকে মেইল করুন। কয়েকজন একসাথে হতে পারলে অবশ্যই একটা ভালো কিছু করা সম্ভব।

Abhik এর ছবি

অনেকেই তো বলছেন ভারতীয় পণ্য বয়কট করার জন্য.. তো করছেন না কেন?
আসলে আপনাদের সেই সাহস টা নেই | পারবেন কি এক মাসের জন্য, বেশি হয়েগেল, এক সপ্তাহের জন্য ভারতীয় পণ্য (incuding indian movies and television channels ) ছেড়ে থাকতে? কেউ পারবেন না !!
এটা মেনে নিতে তো সৎসাহস লাগেনা যে ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশী মিডিয়ার থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী !!!
শিমুল দা, আপনার এই লেখা কোথায় ছিল যখন BDR পাঁচজন BSF 'এর জওয়ান কে মেরে, তাদের চোখ খুবলে আর কান কেটে ফেরত দিল? অন্যের চোখে আঙ্গুল দিলে আগে নিজের চোখ টা পরিস্কার রাখতে হয়|

হিমু এর ছবি

অভীক বলছেন আমাদের ভারতীয় পণ্য বর্জন করে জীবনযাপনের "সাহস" নেই।

আপনাদের কী মনে হয়? অভীক কি ঠিক বলছেন?

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

অভীক,
ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশী মিডিয়ার থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী সেটা নিয়ে তো আপত্তি নেই, বরং সেই শক্তিশালী মিডিয়ায় প্রতিবাদের প্রস্তাব রেখেছি পোস্টে। মন দিয়ে পড়েছেন তো?
বিডিআর বিয়েসেফের কান কেটেছিল নাকি? খবরের লিংকটা দেন তো, পড়ি। চোখ খুবলে কান কাটার বদলায় মানুষ হত্যা জায়েজ করে দেবেন? বিডিআর অন্যায় করলে প্রতিবাদ হওয়া উচিত। আপনি অন্ততঃ দত্তপুকুরে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তো?
নাকি নিজের চোখের ময়লা সারাতেই দিন পার?

Abhik এর ছবি

তাও ভালো আপনি স্বীকার করেছেন আমি নিজের চোখের ময়লা পরিস্কার করি | আপনি করেন তো? নাকি আপনার কাছে শুধুই বি. এস. এফ এর অত্যাচারের আর বি. ডি. আর এর মানবিকতার খবর পৌছায় ? আপনি কি মনে করেন? বি. এস. এফ বাংলাদেশী লোকজন মারে আর বি. ডি. আর মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকে? একতরফা অত্যাচার কোনদিন সম্ভব না, যদি সম্ভব হত, তাহলে তো বি. ডি. আর/বি. জি. বি এর কোনো জওয়ান আজ বেঁচে থাকত না | কোনো সীমান্তই শান্তি পূর্ণ না, সেটা ভারত-বাংলাদেশ বা ভারত-পাকিস্তান কিম্বা আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্ত | দোষ যদি ধরতেই হয় দু'পক্ষেরই দোষ ধরুন, দু'পক্ষেরই অত্যাচারের কথা লিখুন, তাহলে দেখবেন অনেক ভারতীয়'ও আপনার সাথে আপনার সুরে গলা মিলিয়েছে | আপনার লেখাটা এবং পরবর্তী মন্তব্য গুলো চূড়ান্ত ভারত-বিদ্বেষী, যেখানে বয়কট এর প্রসঙ্গ পর্যন্ত চলে এসেছে |
না, আমি চোখ খুবলে কান কাটার বদলায় মানুষ হত্যা সমর্থন করিনা, আমি শুধু আপনাকে অবগত করেছি এই ঘটনা'টার ব্যাপারে, যে এরকম ঘটেছিল | আমি যেকোনরকম হত্যার বিরোধী, বিশেষ করে বদলা'র হত্যা | গান্ধীজি বলেছিলেন, চোখের বদলে চোখ, তার বদলে চোখ, এরকম চললে গোটা মানবসমাজ একদিন অন্ধ হয়ে যাবে |

আর, কোন দত্তপুকুর'এর কথা বলছেন? আমি একটাই চিনি আর সেটা কোনো কালেও সীমান্তের ধারে কাছে ছিলনা | কি ঘটেছিল সেখানে? (কোনো প্রমান, যেমন আপনি লিঙ্ক চেয়েছেন, দরকার নেই) যদি মনে হয় তার প্রতিবাদ করা দরকার, অবশ্যই করব |

শত্রু না, ভারত কে বন্ধু হিসাবেই দেখুন |

হিমু এর ছবি

বিডিআর এখন বিজিবি হয়ে গেছে। কিছু বলতে হলে বিজিবি নামে ডেকে বলুন।

আমরা তো বিজিবির মানবিকতার সাফাই গাইছি না এখানে। আপনি কয়েকটা খবরের লিঙ্ক দিন না, যেখানে বিজিবি ভারতীয় নাগরিকদের পিটিয়ে বা গুলি করে মারছে। পড়ে দেখি আমরা, জানি, বুঝি।

সীমান্ত বরাবর কণ্ব মুনির আশ্রম গড়ে উঠবে, এই আবদার তো আমরা করছি না। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে বা আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তে সীমান্তরক্ষীরা বখরার টাকা না পেলে লোকজনকে উলঙ্গ করে পিটিয়ে ধর্ষকাম চরিতার্থ করে কি? গুলি করে কিশোরীদের মেরে কাঁটাতারে লাশ ঝুলতে দেয়? নদীতে স্পিডবোট নিয়ে তাড়া করে প্রপেলারের ফলায় মাথা গুঁড়িয়ে দেয় কোনো কিশোরের?

বয়কটের প্রসঙ্গ আপনি পড়ে দেখেননি মনে হয়। ১ মার্চ আমরা ভারতীয় পণ্য-সেবা-ফূর্তি বর্জনের আহ্বান জানাচ্ছি। আপনি চাইলে পাল্টা বাংলাদেশ বয়কট করুন। অবশ্য আপনারা বাংলাদেশ এমনিতেই বয়কট করে রেখে দিয়েছেন, নতুন করে কী করবেন?

গান্ধীজির কথা বিএসএফ শুনেছে কি? এক কাজ করুন। লাল একটা ল্যাঙোট পরে সীমান্তে গিয়ে ফাঁড়িতে ফাঁড়িতে বিএসএফ জওয়ানদের গান্ধীজির বচনামৃত শুনিয়ে আসুন এক দফা। দেখুন কাজ হয় কি না।

বন্ধু হিসেবে দৃষ্ট হতে চাইলে, বন্ধুর মতো আচরণ করুন। আপনাদের মালও কিনবো, আপনাদের মারও খাবো, ওসব চলবে না। ঐরকম বন্ধুত্বের মুখে ছ্যাড়ছ্যাড় করে মুতে দেই আমরা, বুঝলেন?

Abhik এর ছবি

বুঝলাম!!! তা আপনারই বা এত ফরফর করছেন কেন? বেঁচে তো আছেন ভারতেরই দয়ায় | ভারত করুনা না করলে এখনো পূর্ব পাকিস্তান নাম নিয়ে কাঁদুনি গাইতে হত |
ভারত এক সপ্তাহর জন্য বর্ডার সিল করেদিলে তো ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা হয় | আর ধুর, আপনাদের পণ্য বয়কট করব কি? আছে নাকি আপনাদের নিজস্ব কিছু পণ্য? সবই তো অন্য দেশের দয়ায় | সেজন্যই তো বিদেশী অনুদান আর তিস্তা'র জল নেওয়ার জন্য মাননীয়া সেখ হাসিনা কে ভারতে আসতে হয় |
মুতের কথা বলছেন, বলুন, কিন্তু ভারতীয়রা মুততে শুরু করলে বাংলাদেশে বন্যা হয়ে যাবে, ঠেকানোর ক্ষমতা রাখেন?

হিমু এর ছবি

প্রচুর ভারতীয় ছাগল এই বিশ্বাস বুকে নিয়ে দিন শেষে নিজের নুনুটাকে অন্যের চেয়ে এক ইঞ্চি বেশি লম্বা ভেবে তৃপ্তি পায়, যে ভারতের দয়ায় বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশেও এমন বহু লোক আছে যারা ভাবে বাংলাদেশ একটু চাপ দিলে পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলো ভারত থেকে বেরিয়ে আসবে।

তা দিন না এক সপ্তাহের জন্য বর্ডার সিল করে। উঁহু, কম হয়ে গেলো। এক মাসের জন্যেই দিন। আমরা একটু কেঁদে বাঁচি।

আমাদের নিজস্ব কিছু পণ্য আছে কি নেই, সেই জ্ঞানই তো আপনার নাই, এসেছেন ফটরফটর করতে। কোন কোন দেশের দয়ায় চলি আমরা, একটু নাম দাগিয়ে দিয়ে যান দেখি, আপনার বুদ্ধি কয় মাসের ছাগলের সমান।

শেখ হাসিনার নামের বানানটা ঠিকমতো করতে শিখুন। তিস্তার জল ভারতের বাপের সম্পত্তি নাকি যে গিয়ে দয়া চাইতে হবে?

শুরু করুন দেখি মোতা। মনমোহনকে বলুন দিল্লি থেকে শুরু করতে। সেই মুতের জল বাংলাদেশে আসার আগে আপনার বাপচাচার মাথা ডুবিয়েই কিন্তু আসবে।

মীরাক্কেলের ফ্যান কারা আছেন? এসে দেখে যান মীরাক্কেলের পেছনে মীর ভাইদের আসল চেহারা।

সত্যপীর এর ছবি

এই অভিক লোকটর কথা শুনে সন্দেহ হচ্ছে এ-ই ভিডিওর সেই বিএসএফ জওয়ান।

..................................................................
#Banshibir.

nirjhor এর ছবি

কিছুটা হয়ত অপ্রাসঙ্গিকভাবে একটা কথা বলতে চাই, হয়তো অনেকের ভালো নাও লাগতে পারে।

আমাদের বাসায় ইন্ডিয়ান চ্যানেল বলতে গেলে দেখা হয়না, আসলে টিভিই খুব কম দেখা হয়। কিন্তু যখনি দেখতে যাই আমাদের দেশী চ্যানেল্ গুলোতে খবর বা অ্যাড ছাড়া অন্য কিছু খুব কমই পাই। কিন্তু কৌতুহলবশত ভারতীয় বাংলা চ্যানেলে গিয়ে দেখেছি ওদের অ্যাড তুলনামূলক অনেক কম। আমি ওদের অনুস্টহানের প্রশংসা করতে লিখছিনা। শুধু এটাই বলতে চাইছি একজন সাধারন মানুষ কেন ভারতীয় চ্যানেলের প্রতি আসক্ত হয়। বাংলাদেশি চ্যানেল দেখতে গিয়ে আমাকে ক্রমাগত শুধু চ্যানেল পাল্টাতে হয় অ্যাড এর কারনে এবং কিছুক্ষন পর আগ্রহ হারিয়ে টিভি বন্ধ করে দেই। সত্যি বলতে এখনকার নাটকগুল সবই একটা আরেকটা পুনরাব্ব্রিত্তি মনেহয়। ৫-৬ বছর আগে গরবের সাথে বলতে পারতাম আমাদের দেশি প্রোগ্রাম ভারতীয় থেকে অনেক ভাল। কিন্তু এখন মনেহয় সবাই স্টার প্লাস আর জিবাংলার নাটক-কেই নকল করতে ব্যস্ত। ব্যতিক্রম অবশ্যি আছে, কিন্তু সাধারনভাবে আমার এটাই মনে হয়েছে এখনকার বেশকিছু নাটকের কাহিনী আর মেকাপ দেখে। এতকথা বলার পিছনে আমার মূলবক্তব্য হল ভারতীয় চ্যানেল বর্জন ১দিনের জন্য সম্ভব কিন্তু স্থায়ীভাবে করতে হলে আমাদের দেশি নাটকের উন্নতি করতে হবে। কারও যদি মনেহয় আমি ভারতীয় নাটক দেখার পক্ষে বলছি তাহলে মাফ চাচ্ছি। আমি শুধু এটাই চাই ভারতীয় চ্যানেল বর্জন একদিনের জন্য নাহয়ে স্থায়ী হোক। আর তার জন্য দেশী নাটকের মান বাড়ানো প্রয়োজন। অনেকে বলবেন আমাদের প্রোগ্রাম এম্নিতেই ওদের চেয়ে ভাল, আমি অস্বীকার করিনা, কিন্তু এতোটা ভাল হওয়া দরকার যেন কেউ অন্য কিছু দেখতেও না চায়।(আমার বানানের জন্য দুঃখিত, আমি ফনেটিক এ অভ্যস্ত নই)

শিউলী কায়সার এর ছবি

জীবন মানে জী-বাংলা নয়, জীবন মানে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে বেঁচে থাকা। ধন্যবাদ শিমুল চমৎকার পোস্ট এর জন্য। হাততালি

Outsider Saimon এর ছবি

অস্থির

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।