ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোতে সামার ভ্যাকেশন চলছে, সকালে যানজট একটু কম।
আমার বাসা থেকে মিরপুর ১৩ নম্বর পর্যন্ত যেতে ৮/৯টা স্কুল। তাই সকাল ছয়টা পঞ্চাশের আগে মিরপুর দশ নম্বর গোল চক্কর পার হতে না পারলে ভালো রকম ধরা খাওয়ার সম্ভবনা আছে। এ ধরা খাওয়া চরম রূপ নেবে ক্যান্টনমেন্টের আগে রজনীগন্ধা মার্কেটের সামনে। সেখান থেকে সৈনিক ক্লাব পর্যন্ত যেতেই আধ ঘন্টা পার হয়ে যাবে। ইদানিং সকাল ছয়টা পঞ্চাশেও দশ নম্বর গোল চক্করে ট্রাফিক জ্যাম লেগে থাকে। গাড়ি খুব বেশি, তা কিন্তু না। সমস্যা হলো, ঐ সময় ট্রাফিক পুলিস ভাইয়েরা একটু রিল্যাক্স মুডে থাকেন, আর গাড়িগুলো ইচ্ছেমতোন ডানে-বামে; হিজিবিজি। এখানেই দশ মিনিট দেরি হয়ে যায়।
ইচ্ছে ছিল - মিরপুর দশ নম্বর এলাকার আরেকটা সমস্যা নিয়ে লিখবো।
গত বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সময়, দশ নম্বর গোল চক্করের ফলপট্টি থেকে দুই নম্বর বাজার পর্যন্ত রাস্তাটিকে চমৎকার প্রশস্ত এবং চলাচলের উপযোগী করে সংস্কার করা হয়েছিল। বিশ্বকাপ শেষ হতেই আবার পুরনো অবস্থায় ফিরে গেছে। ফলপট্টির মোড়ে সিটি কর্পোরেশনের বিশালাকার তিনটা ডাস্টবিন। সারাদিন ময়লা জমা হয়। তীব্র দূর্গন্ধ।
আরো সমস্যা হলো - রাস্তার দুপাশে ভাসমান চা দোকান, হকার দখল করে নিয়েছে। তার পাশে আছে কুরিয়ার সার্ভিসের বড় বড় গাড়ি। তার পাশে পার্ক করানো ব্যক্তিগত গাড়ি। দারুণ প্রশস্ত একটি রাস্তা দুপাশে এভাবে দখল হয়ে গেলে রিক্সা চলাই মুশকিল। লেগে থাকে জটলা। হেটে আসাটাও হ্যাপা।
বড়বাগ এলাকার রাস্তাগুলোও দখল করে রাখছে মনিপুর স্কুলের ছাত্রদের বাবা-মাদের গাড়ি। শাইনপুকুর গলির চারপাশে অর্ধেক রাস্তা প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাসের দখলে। মিরপুর পোস্ট অফিসের পাশেও আছে বিশাল এক ডাস্টবিন, তীব্র গন্ধে টেকা দায়। পাশেই শিশু হাসপাতাল, হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, ওএসবি চক্ষু হাসপাতাল। এমন জায়গায় ময়লার স্তুপ রাখার সিদ্ধান্ত কার?
এগুলো দেখার কেউ নেই! অভিযোগ জানানোর জায়গা হয়তো আছে, প্রতিকার কি আছে?
যানজট নিরশনে হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ফ্লাইওভার হচ্ছে।
চোখে পড়ার মতো উন্নয়ন। সরকারগুলো এমন উন্নয়নেই নাকি আগ্রহ দেখায় বেশি।
এ সপ্তাহে হুট করে একাধিক পত্রিকায় শিরোনাম হয়েছে, ফ্লাইওভারে যানজট বাড়বে। গণপরিবহনের ব্যবস্থা না করে, প্রাইভেট কারকে উৎসাহিত করার ব্যবস্থা নাকি করা হচ্ছে। টক শো'তেও নগর পরিকল্পকেরা চিৎকার করছেন - কোরিয়ায় ফ্লাইওভার ভেঙে ফেলা হয়েছে, জাপানেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্লাইওভারের সিদ্ধান্ত ভুল।
প্রশ্ন হলো - জাপান-কোরিয়ায় এসব তো আজ হঠাৎ করে হয়নি। ঢাকায় ফ্লাইওভারের কাজ শুরু হওয়ার আগে এসব বিশেষজ্ঞেরা কিছু বলেননি কেন?
নাকি গড়তে একবার বাণিজ্য, আবার ভাঙতে আরেকবার বাণিজ্য?
সকাল দশটা চল্লিশ মিনিটে সচলের মনের মুকুরে দেখি পোস্ট "শিমুল কই?"
৫ বছর আগের পোস্ট। আমাকে কয়দিন অনলাইনে না দেখে আলবাব ভাই দিয়েছিলেন। সে সময় তেমন কারো সাথে ই-মেইলেও যোগাযোগ ছিল না, ফোন দূরে থাক। ২০১২ সালে এসে দেখি, ফোনে অনেক বন্ধুর নম্বর, ই-মেইল আছে সবার, ফেইসবুকেও যুক্ত। কিন্তু, 'যোগাযোগ' হয় কই? যোগাযোগহীনতার দায়ভার, জানি, আমারই বেশি। প্রযুক্তি এবং ব্যস্ততার মিশেলে আমাদের যোগাযোগ হয়ে গেছে, ফেইসবুক দেয়ালে লাইক-শেয়ার। কারো খোঁজ না পেয়ে পোস্ট দেয়ার দিনও বোধ হয় ফুরালো। একবার পাতায়ায় ছিলাম তখন, তীব্র জ্বর আর সারা শরীরে র্যাশ। লাল চোখ নিয়ে ঘরে বসে আছি, বিশালাকার ট্যাবলেট খাই। দেশ থেকে আম্মা ফোন করলে বলেছিলাম, ভালো আছি, হেসেছিলামও সশব্দে। আম্মা নাকি আগের রাতে স্বপ্নে দেখেছেন - আমার খুব অসুখ। সেবার জিমেইলে ৩জন ব্লগার বন্ধু খবর নিয়েছিলেন - জ্বরের কী অবস্থা? কী সব অনুভূতিময় দিন। না দেখা বন্ধুদের টান!
দেখাই হলো না যাঁর সাথে, সেই জুবায়ের ভাইয়ের ভাইয়েরও কমেন্ট পড়লাম আলবাব ভাইয়ের পোস্টে - "গতকাল ঠিক এইরকম সময়ে তাকে লগড-ইন দেখা গেছে। একটা পোস্টে মন্তব্যও করেছে। আমিও ভাবছিলাম, ছেলেটা গেলো কোথায়?"
আমাকে করা জুবায়ের ভাইয়ের শেষ মেইলটাও ছিল একই রকম "তোমার খবর নেই!"
আলবাব ভাইকে ফোনে বললাম, এভাবে পুরনো দিনগুলো সোনালী হয়ে যায়। সব গল্প হয়ে যায়---।
ফেসবুকপ্রবণ জীবনে - দেয়ালে লেখালেখি, ঠোকাঠুকিই দিনদিন খবর নেয়ার প্রতীক হয়ে উঠছে।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের একটা পেজ দেখতে পাচ্ছি - ফেসবুকে। লাইক মাত্র ৭ জন। দুইকোটি মানুষের শহরের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজটি আরো সক্রিয় হওয়া দরকার।
এটা হতে পারে নাগরিকদের সাথে নগরপিতার যোগাযোগের মাধ্যম, যেখানে নাগরিকেরা সচিত্র তুলে দেবেন - নিজেদের এলাকার সমস্যার কথা-ছবি।
ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পে এ চাওয়ার বাস্তবায়ন খুব কঠিন কিন্তু নয়! তবে ভয়টা অন্য জায়গায় - আজই খবর পড়লাম - কারিগরী ত্রুটির জন্য দেশের ৫৫ জেলা তথ্য-বাতায়ন বন্ধ রয়েছে!
মন্তব্য
ঢাকাই নাগরিক জীবনের প্রাত্যহিক চিত্র শুক্রবার বাদে। উত্তরা থেকে বনাণী আসতে সকাল ৭ টায় রওয়ানা হলে লাগে ২০ মিনিট স্টাফ রোডে লেভেল ক্রসিং খোলা থাকলে। কিন্তু আবার যদি ৮ টায় বেরোই তাহলে প্রায় ২ ঘন্টা লেগে যায়। অফিস টাইম কিন্তু ৯ টা থেকে। কি জ্বালা দেখুন তো!
শিমুল ভাই, এই গাড়ির নাম্বারগুলোর রহস্য কি? এটা কি আপনি যে গাড়িতে থাকেন সেটা নাকি যে গাড়ির উপর খাপ্পা হন সেটা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
গাড়ির নম্বর না, দিনলিপির তারিখ
ধন্যবাদ।
আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম পাছে কোনদিন না আবার ঢাকা মেট্রো গ ৩৩-৪৪২৪ গাড়িকে বাঁটে ফেলেন!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
উমম--- তারিখের হিসাবে মিলে না। এইটা শিরোনাম হওয়ার চান্স নাই
এর মানে হচ্ছে ২৭ শে জুন ২০১২
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কোনো লেখাতে "ঢাকা" শব্দটা দেখলেই মন দিয়ে পড়ি। ঢাকা নিয়ে সব লেখাতেই ট্রাফিক জ্যামের ব্যাপারটা থাকে। এখনকার ঢাকার মনে হয় এটাই সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসহ্য যন্ত্রণার ব্যাপার হয়ে গেছে এই যানজট। ঢাকার গল্প দিনলিপি লিখতে গেলে যানজট আসবেই। নিরাপত্তা পরিস্থিতিও ভালো না। ছিনতাই খুব স্বাভাবিক ঘটনা।
ঢাকায় যতটা আরামে চলি সেটা ওই ক্যান্টনমেন্ট এর মধ্যে। পুরো ক্যান্টনমেন্ট এর কোথায় কখনো জ্যাম এ পড়তে হয়নি, হাতে গোনা ১/২ বার ছাড়া। (যাদ কোন ভি.আই.পি আসে তাহলে)। কিন্তু থার্ড গেট পার হলেই জ্যাম!! যদিও ক্যান্টনমেন্ট এ একটা বড় অসুবিধা যে, শপিং করার জন্যে উপযোগী না।!
চৌরাস্তাগুলো গুলো অনেক ঝামেলা করে। আগে বিজয় সরনী ততো জ্যাম পড়তো না, সিগনালে পড়লে একটু ওয়েট এই যা্, এখন রাস্তাটা চৌরাস্ত করায় বিশাল ঝামেলা। একটা ব্যাপার আমার মনে হয় প্রায়ই (যদিও কতটা ফিজিবল হবে সেটা, আমার সেরকম জ্ঞান নেই) যে, এই যে, যেসব প্লেসে চৌরাস্তা, বা তিনটা রাস্তা থাকে ... (বিজয় সরনী, মগবাজার.., কারওয়ান বাজার.... বাংলামটর..) সে সব প্লেসে কি মিনি ফ্লাইওভার বানানো যায় না? লাইক, শুধু সিগন্যাল যেখানে পড়ে তার এপাশ থেকে উঠে ওপাশে শেষ হবে? তাহলে তো সিগন্যালে আটকে থাকা গাড়ির চাপ কিছু কমবে। চার মাথাতেই না, ২ মাথাতে বানালেও বাকি ২টা রাস্তায় সিগন্যাল লাগবে না, লাগবে সেটা ইউ টার্ন বা বামে- বা- ডানের রাস্তায় যাবার জন্যে। সোজা চলে যাবার গাড়িগুলো পার হয়ে যাবে উপর দিয়ে, বাকি গুলো নীচে সিগনালে থাকে ডানে বা বামের রাস্তায় যাবার জন্যে। তাতে সিগন্যাল গুলোয় চাপ কমবে।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ফ্লাইওভার নিয়ে নগর পরিকল্পনাবিদ রা সেই প্রথম থেকেই বলে আসছে যে এসবে ঢাকার যানজট দূর হবেনা বরং বারবে। এর পরিবর্তে বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বি,আর,টি'র কথা বার বার বলা হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। গতকাল বা গত পরশুর প্রথম আলোতে বুয়েটের নগর পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান আবারো এসব কথা বলেছেন (দুঃখিত লিঙ্ক দিতে পারছিনা বলে)। এসব কথা আগেও অনেক অনেক বলা হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে এসব কেউ পাত্তা দেয়না। আমাদের মিডিয়াতে যে কোন লোককে-ই নগর পরিকল্পনাবিদ তকমা দিয়ে দেওয়া হয় আর তাদের যা তা উদ্ধৃতিও অতি গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করা হয়। এদের এক্জন হচ্চে স্থপতি ইকবাল হাবিব, যার নগর পরিকল্পনা বিষয়্ক কোনধরণের কোন ডিগ্রী বা অভিগ্গতা নাই। আমাদের মিডিয়াতে সে বিশাল নগর পরিকল্পনাবিদ। এ দেশে নগর পরিকল্পনাবিদদের কোন জায়্গা নেই, সবাই এখানে নগর পরিকল্পনাবিদ, সবাই সব বিষয়ে বিশেষগ্গ ।।।।
দিকভ্রান্ত ভাই, আপনি আপনার ডিপার্টমেন্টের তরুণ শিক্ষকদের এ নিয়ে সচলায়তনে লিখতে বলুন।
যানজট অসহ্য হয়ে গেছে এখন, বৃষ্টির দিনে ভ্যাপসা গরম আর গাড়ীর হর্ন, কহতব্য নয়
আমার একটা অবজারভেশন হচ্ছে বাংলাদেশের যেইখানেই জ্যাম দেখবেন, তার আশেপাশে অবশ্যই এক বা একাধিক ট্রাফিক পুলিশ থাকবেই! এনারা ছাড়া বরং বেশ কম জ্যাম থাকে ঐ মোড় বা রাস্তায়। আরও বেশি জ্যাম বাধে যখন এমনি পুলিশ এসে সেখানে হাজির হন। তবে ঢাকার ক্ষেত্রে জ্যামের এই রীতি ফলো হয় না। ঢাকায় গত দুই বছরে কয়েক মাস অন্তর যতবার গিয়েছি জ্যাম এবং রাস্তার অবস্থা আরও করুণ হয়েছে মনে হয়েছে। আমি প্রতিদিন শুকুর করি যে আমাকে আর ঠিক সময়ে কাজে পৌঁছতে পারবো না এই আতঙ্ক নিয়ে ট্রান্সপোর্টের জন্যে অনন্তকাল রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না।
ফ্লাইওভার শুধু শুধু জ্যাম বাড়াবে কিনা আমি ভালো বুঝতে পারছি না, তবে তৈরি চলাকালীন যে অভাবনীয় সমস্যার সৃষ্টি করবে তাতে সন্দেহ নেই। ঢাকায় প্রচুর পরিমাণে ভালো বাস সার্ভিস দরকার মনে হয়েছে। সিএনজি আর প্রাইভেট কার নয়। একেকটা উচ্চ মধ্যবিত্ত এবং বিত্তবান পরিবারের একাধিক গাড়ি রয়েছে ঢাকায়। এছাড়া আছে সরকারী কর্মকর্তাদের গাড়ি। সন্ধ্যার জ্যামের একটা বড় অংশ আমার দেখা মতে সরকারী ফাঁকা গাড়ি, যা আমলাদেরকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে ফিরছে। সকালের আর দুপুরেরটা হলো স্কুলের বাচ্চাদেরকে বয়ে নিয়ে যাওয়া গাড়ি। বাড়ির নিকটের স্কুলটাতেই পড়তে হবে, যেতা ওয়াকিং ডিস্ট্যান্সে এটা নিরূপণ করা আরেকটা ভাল সমাধান হবে, ইংল্যান্ডে যেমন। কিন্তু তার জন্যে স্কুলগুলোর শিক্ষার মান একই রকম হওয়া আবার জরুরি, যেটা দ্রুত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখি না। খুব ভালো বাস সার্ভিস, এবং সেটা এসি হওয়া দরকার। প্রচুর ভালো বাস যদি থাকে রাস্তায়, আর অন্য ছোট ভেহিকল না থাকে, জ্যাম থাকার কথা না, আর সবাই ঐ রকম সার্ভিস পেলে সেটাই ব্যবহার করতে আগ্রহী হবার কথা। সরকারী আমলাদেরকের ঘাড়ে ধরে এগুলাতে তুলে দিতে শুরু করাও দরকার।
আরেকটা জিনিস, ঢাকায় প্রাইভেট গাড়িতে গ্যাস নেয়া বন্ধ করে দেয়া দরকার। রাজশাহী মহানগরীর কাছে আজকে পনের বছরেও শিল্পাঙ্গনের জন্যেই যেখানে গ্যাস সার্ভিস চালু হয় নাই (খুব শীঘ্রই হবে, এই শুনছি বহুকাল ধরে), বেসরকারী মাধ্যমে যেখানে নগরবাসী ১৫০০-২০০০ টাকা দামে গ্যাসের সিলিন্ডার কেনেন দৈনন্দিন রান্নার জন্যে, সেখানে একটা মহানগরের মানুষের এই বিলাসিতা দেখলে মেজাজ খারাপ হয়। প্রাইভেট গাড়ির মালিকদেরকে যদি আমাদের মতোই ৮০ টাকা লিটার অকটেনে গাড়ি চালাতে হত, দুই তিনটা করে গাড়ি পোষার আগ্রহ উড়ে যেত অনেক আগেই, যানজটও কমে যেত অটোমেটিক।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
উঁহু, অকটেন বর্তমানে ৯৪ টাকা লিটার।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
থ্যাংক্স ফর কারেক্টিং মি।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
তেলের দাম তো দেখি আমাদের দেশে ব্যাপক সস্তা। আর এইখানে মাংস কিনতে গেলে দোকানদার মোস্তফা প্রতিবারেই বাড়তি দাম রাখে আর কিছু কইলে খালি আমারে তেলের খনি (দাম) দেখায়! তার ভাবটা এমন যে গরু-ছাগল আজকাল ঘাস না খেয়ে তেল খাওয়া ধরছে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হল্য়ান্ড জারমানির পেট্রলে লিটারপ্রতি আনুমানিক ৬০ সেন্ট সুল্ক আছে। এই হিসাবে দেশের ৯৪ টাকা লিটার মানে তো দেশে আন্তরজাতিক বাজারদরেই পেট্রল বিক্রী হচ্ছে। দেশে কি পেট্রলে কোন ভর্তুকি নেই?
সরকারী গাড়ির নাম্বারপ্লেট কি আলাদা রঙের হয়? যদি আলাদা হয়ে থাকে, পাবলিক একটা কাজ করতে পারে। সরকারী গাড়ি অফিস আওয়ারে যেসব জায়গায় থাকা উচিত নয়, সেসব জায়গায় পার্ক করা থাকলে তার নাম্বারপ্লেট বোঝা যায় এমন করে ছবি তুলে কোনো কমন ওয়েবসাইটে আপ করে দিতে পারে। আজকাল সবার হাতেই মোবাইলের কল্যাণে ক্যামেরা চলে এসেছে, কাজটা খুব একটা কঠিন হওয়ার কথা নয়।
সরকারী গাড়ির নাম্বার প্লেট আলাদা রঙের না হিমু ভাই। শুধু দূতাবাসের গাড়িগুলোয় হলুদ রঙের নাম্বারপ্লেট। বাকি সব এক!
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
তাহলে শুরুতে সরকারী গাড়ির নাম্বারপ্লেটের রং আলাদা করার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।
এক সময় ছিল, পুরো সরকারী লাল, আধা - নীল। এরশাদ সাহেব বন্ধ করে দিয়েছিলেন - পাবলিক নাকি ভাঙ্গার সময় লাল নাম্বার প্লেটের গাড়ী টার্গেট করত।
তবে মাঝে মাঝে ফ্ল্যাগ-স্ট্যান্ড লাগানো গাড়িগুলোর ঔদ্ধত্য চোখে পড়ার মত। ধারনা করি পুলিশের কাছে কিছুটা ইমিউনিটি পায়।
বাংলামোটরে পতাকার ডান্ডা বিক্রী হতে দেখেছিলাম। এটা লাগাতে কি আলাদা অনুমতি লাগে? (মক্সোর কালোবাজারে উচ্চ দামে কোজাক লাইট বিক্রী হত একসময়)
ডাণ্ডা লাগাতে অনুমতি লাগেনা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
নাহ, সরকারী অফিসের গাড়ির নাম্বার প্লেটের রঙ আলাদা না। ঐভাবে নাম্বার দেখেও আলাদা করা যায় না। কিছু গাড়ির মডেল আর মেইক দেখে অবশ্য বোঝা যায়, (একজাম্পল বাংলাদেশে পাজেরো সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরের জিনিস, রোডস এন্ড হাইওয়েজের এর ইঞ্জিনিয়ারদের মূলত দেয়া হয় এইটা)।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
সবাই রাস্তা, ফ্লাইওভার, বা একজনের অধিক গাড়ি থাকা এর কথা বল্লো। এর মধ্যে আরো একটা ব্যাপার আছে যেটা আমার মতে জ্যাম বাঁধায় প্রচন্ত ভাবে। সেটা হলো শপিং মলগুলো। ব্যাঙের ছাতার মতো শপিং মলগুলো। রাস্তার পাশে জমি মানেই শপিং মল বানানো। মিরপুর দশ থেকে IDB পর্যন্ত কোন শপিংমলে পাকিং এর স্পেস নাই। এমনিকি IDB ভবনের সামনেও রাস্বার উপর গাড়ি আর গাড়ি। রাপা প্লাজা থেকে নিউমার্কেট মেক্সিমাম শপিং মলে কোন পাড়ি পাকিং এর ব্যাবস্থা নেই। রাস্তার অর্ধেক ব্যবহার হয় পার্কি হিসেবে।!!
এনাফ গাড়ি পাকিং এর সুব্যবস্থা না থাকলে শপিংমল করার পারমিশন দেয়া মেটওে উচিৎ না!
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন ব্যবস্থা চালু করতে পারে ট্রাফিক বিভাগ। জামপ্রবণ জায়গাগুলোতে একটা করে রিডার বসানো থাকবে। প্রতিটি গাড়িতে ট্রাফিক বিভাগ আরএফআইডি চিপ বসিয়ে দেবে। এই চিপ খুলে ফেলা যাবে না। কেউ যদি খুলে ফেলে, বিরাট অঙ্কের জরিমানার বিধান রাখতে হবে। রিডার দশ মিনিট পর পর রিডিং নেবে। রিডারের রিডিং জোনে কোন গাড়ি কতক্ষণ পার্ক করা আছে, সেটা খুব সহজেই বোঝা যাবে। বুয়েট যেমন টেলিফোন বিল প্রসেস করে, তেমনিভাবে এই তথ্যগুলোও প্রসেস করে মাসিক ভিত্তিতে জরিমানার অঙ্ক নির্ধারণ করতে পারবে। এই গোটা পদ্ধতিতে ট্রাফিক পুলিশের দুর্নীতির সুযোগ থাকবে না, কাজেই স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যাবে। ঢাকা শহরে কোনো কর্তৃপক্ষ যদি সত্যি সত্যি জাম দূর করতে চায়, এরকম একটা ব্যবস্থা চালু করা মোটেই কঠিন কিছু নয়। এক একটা চিপের দামও খুব সস্তা, আর সেটার খরচ এবং সেটা বসানোর খরচ গাড়ির মালিককেই বহন করতে দিলে ব্যাপারটা কম খরচে সম্পাদন করা সম্ভব।
হিমু ভাই@ এই লাইনটা বুঝলাম না।
""বুয়েট যেমন টেলিফোন বিল প্রসেস করে, তেমনিভাবে এই তথ্যগুলোও প্রসেস করে মাসিক ভিত্তিতে জরিমানার অঙ্ক নির্ধারণ করতে পারবে। এই গোটা পদ্ধতিতে ট্রাফিক পুলিশের দুর্নীতির সুযোগ থাকবে না, কাজেই স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যাবে। ""
ট্রাফিক পুলিশের দুর্নিতির সুযোগ থাকবে না, তবে তাতে স্বচ্ছতা আসবে কিভাবে? সেটা কি বুয়েটের টেলিফোন বিল প্রসেস এর মতো তারাও যদি এই বিলটা প্রসেস করে, সেজন্যে স্বচ্ছতা থাকবে, সেটা মিন করলেন?
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
হ্যাঁ।
তাহলে টেলিফোন বিলে যে ভূতুড়ে বিল আসে (এবং এই ভূতুড়ে বিলের ভুক্তোভুগি মোপামুটি সব উইজারই), সেটা কি ওনাদের জেনারেট করা বিল থেকে আসে না? নাকি ওনাদের জেনারেট করার পর কোন থার্ড পার্টির কারসাজি? আমি ক্লিয়ার না এ ব্যাপারটায়। যদি তাদেরই হয়, তবে ওই ভূতুড়ে বিল এখানেও দেখা যাবে হয়তো।
আপনার এই প্রসেসটা বাসষ্ট্যান্ড গুলোতে অনেক কার্যকরী হবে, যদি বিল ভূতুড়ে না আসে। যেমন, নির্দিষ্ট স্টপেজ ছাড়া বাস বা অন্য কোন যানবাহন থামতে পারবে না। সেই পয়েন্টগুলো খুব সচেতনতার সাথে সিলেক্ট করতে হবে। এবং সেই জায়গায় রিডিং নিতে হবে। একটা সময়ও সেট থাকবে, যে এত মিনিট পর্যন্ত কোন যানবাহন একটা নির্দিষ্ট স্টপেজে দাঁড়াতে পারবে।
যেখানে সেখানে লোক উঠানো-নামানো, দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ি স্টপেজে দাঁড়িয়ে থাকা.. লোক না ভরা পর্যন্ত বাস না ছাড়া, এগুলোও জ্যাম অনেক বাড়ায়!
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ভূতুড়ে বিলের তো ডকুমেন্টেশন থাকে। আপনি কনটেস্ট করতে পারবেন। ট্রাফিক সার্জেন্ট কোন কেস না করে পয়সা খেয়ে ছেড়ে দিবে, সেটার তো ডকুমেন্টেশন থাকে না।
খুবই সম্ভব এইটা করতে চাইলে করা। কিন্তু আপনার মন্তব্যেই বলেই দিয়েছেন মূল ব্যাপারটা -
ঢাকা শহরে কোনো কর্তৃপক্ষ যদি সত্যি সত্যি জাম দূর করতে চায়...
আরেকটা জিনিস হলো ঠিক জায়গায় ঠিক ঠিক দক্ষ লোকের না থাকা। সিটি কর্পোরেশনকে এইটা সাজেস্ট করবে কে? ট্রাফিক বিভাগ? বেশ তাহলে তাদের কি এনাফ টেকি লোক আছে যারা অফিসে গিয়ে বসে না থেকে দয়া করে এই জিনিসগুলান নিয়ে আপডেট হবে, এবং তার নিজের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও যথোপযুক্ত জায়গায় এই তথ্য রিলে করা এবং সেটার এফেক্ট যাতে হয় তা ফলো করবে? বিসিএস দিয়ে সরকারী চাকরি করতে আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ দক্ষ ছেলেমেয়েরা যাচ্ছে না। সরকার বদলায়, আমলা চেঞ্জ হয় না।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এইটা এফেক্টে আনার আরেকটা প্রসেস আছে বাই দ্য ওয়ে, একটা বিদেশী সংস্থাকে এসে বলে দিতে হবে তোমরা এইটা করো। আমরা বিদেশীদের মতামত পছন্দ করি, ওতে আমলারা প্রজেক্টের টাকা খেতে পারেন কিনা।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
জরিমানা খেলাপিদের ধরা/শাস্তি দেয়া হবে কিভাবে?
যাক সরকার আমার একটা কথা শুনলো তাহলে
অতিধীরে হলেও সামনের দিকে আগাচ্ছে.............
শিমুল, ফেসবুক থাকলেও ও মাধ্যমে যোগাযোগে আমার অরুচি। আমরা আস্তে আস্তে সবাই মনে হয় একটা পর্যায়ে চলে যাচ্ছি যেখানে গেলে যোগাযোগ, ফেসবুক, সচলায়তন--এসবের জন্য সময় কমতে থাকে। আরেকটা বিষয় হলো, ফেসবুকে কারো স্ট্যাটাস দেখলে মনে হয়না তার থেকে দূরে আছি; সেক্ষেত্রে "কেমন আছো" বা "কোথায় আছো?" ধরনের প্রশ্ন নিয়ে ইমেইল করা আর হয়ে ওঠে না।
ইদানীং কেউ বলেও না তারা দাগালাম। অনেক ভালো লেখাতেই একেবারে তারা কম, কিংবা তারা-শূন্য। তাই বলে যাই--প্রথম ৫তারা আমিই দাগালাম
অনিয়মিত আমরা হচ্ছি সবাই। তবে আশার কথা হচ্ছে নতুন অনেকেই আসছে। যদিও তোমাদের মত (নাম উল্লেখ না করি) লেখা নতুনরা তেমন লিখছে না, হয়তো তার কাছাকাছি কেউ কিছু লিখবে কোনদিন।
মাঝে মাঝে ঢুঁ মেরে যেও, একটু খানি মতবিনিময় হবে
শিমুল কেমন আছো? তোমার পরিবার কেমন আছে? তোমার শালীদের খবর তো দিলা না!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পোস্ট নামকরণের আইডিয়াটা দারুণ
আমার অভিজ্ঞতায় চট্টগ্রাম শহরের ট্রাফিক ব্যাবস্থা ঢাকার চেয়ে অনেক বেশি খারাপ
চট্টগ্রামের গাড়ীচালকেরা ট্রাফিক নিয়ম মানার ব্যাপারে বড়ই উন্নাসিক
এইদিক দিয়ে ঢাকার চালকেরা আরেকটু সচেতন
তবে এটা সত্যি ফ্লাইওভার কোন সমাধান নয়
ইস পাবলিক ট্রান্সপোর্টে বুড়িগঙ্গাটা আমরা যদি সঠিক ভাবে ব্যাবহার করতে পারতাম...
যাত্রাবাড়ী - গুলিস্তান ফ্লাইওভারের ফিজিবিলিটি স্টাডি এক আপুর থিসিস টপিক ছিলো। তখন এটা কেবল হবে হবে শোনার পর্যায়ে ছিলো। স্টাডি রেজাল্ট ছিলো এটা এই এলাকার যানজট কমাবে না। যানজট কমানোর কিছু রেকমেন্ডেশান'ও ছিলো সেখানে। কিন্তু একজন আন্ডারগ্র্যাড স্টুডেন্টের রিপোর্ট কে পাত্তা দেয় ! একবছরের মাথায় যখন ফ্লাইওভারের কাজ শুরু হলো আমি চিন্তা করলাম একজন আন্ডারগ্র্যাড স্টুডেন্ট যা বুঝলো দেশের এতো এতো পরিকল্পনাবিদ সেটা বুঝছে না কেন? ঢাকায় যে দুইটা ফ্লাইওভার আছে সেগুলোর একটাও যানজট কমাচ্ছে না, বরং বাড়াচ্ছে মনে হয়।
আমি ঢাকা দেখিনি। আমার বাবা দেখেছে ছোটবেলায়।
আপনার এই পোষ্টগুলো থেকে আধুনিক ঢাকার একটা ছবি পাই।
বাবাকেও শোনাই ফোনে।
দেশের সড়ক ব্যবস্থাপনা কি জনগণের কল্যানের উদ্দ্যেশ্যে! ভাবতে হয় বৈকি। উত্তরা থেকে যে ফ্লাইওভারটি হচ্ছে, সেটার পরিবর্তে টঙ্গি-কমলাপুর চারটি কম্যুটার ট্রেন দিলে জনগণের যাতায়াতে খরচ ও ভোগান্তি কম হতো। সরকারেরও খরচ অনেক কম হতো। কিন্তু তাহলেতো বিদেশি টাকা পাওয়া যাবেনা। আমাদের দেশের রেল ব্যবস্থা উন্নত হোক, এটা অনেক উন্নত দেশই চায়না। সেই সাথে পরিবহন ব্যবসায়ীদের প্রভাবতো আছেই। আমরা একটা দুষ্টচক্রে আবদ্ধ।
লেখালেখি ও যোগাযোগ চলুক।
এতো গাড়ি ঢাকায়, তবু কোথাও যেতে চাইলে গাড়ি পাওয়া যায় না, গাড়ির জন্য অপেক্ষা ঘন্টার পর ঘন্টা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
'এভিয়ান ফ্লু' এর মত 'প্রাইভেটকার ক্য়ান্সার' নামে একটা অতিসংক্রামক রোগের খবর চাউর করে দিলে কেমন হয়? অথবা প্রাইভেট কারের ব্য়াবহার কারির সেগমেন্ট ভেদে 'প্রাইভেট কারে চড়লে হিন্দী কারটুনছবি বোঝা যায়্না' অথবা 'প্রাইভেট কারে চড়লে মুখের ব্রণ বড় ও কালো হয়' অথবা 'প্রাইভেট কার খ্য়াত - নসিমন খ্য়ুল' অথবা 'ছহীহ মুসলিম শরীফে আবু হুরায়রা কর্তৃ্ক বরনিত আছে যে একদিন নবীজির কাছে একজন সাহাব জানতে চাইলো যে কোন বাহন এভয়েড করতে হবে, তখন আ্ল্লাহর পেয়ারা নবী বললেন যে আল্লাহর নিকট সেই বান্দাহ পেয়ার যে প্রাইভেট কারের দশ কদমের কাছে যায়না, কারন প্রাইভেট কারের বডি-ইস্টিয়ারিং-সিট-সকল স্থান শুকরের চর্বি দিয়া বানানো, বলেন আস্তাগ্ফিরুল্লাহ' সামাজিক মাধ্য়মগুলোতে এরকম প্রচার ক্য়াম্পেন চালিয়েও দেখা যেতে পারে।
এই মাস দুই আগেও মনে হয়, মিরপুর-১১ থেকে ১০ নম্বর সিগন্যাল পার হতেই ৩৫/৪০ মিনিট বা এমনকি কখনও এর বেশিও লাগত! ভয়াবহ জ্যাম থাকত। গত অনেকদিন থেকেই এই জ্যাম পাওয়া যাচ্ছে না। সকালে তো এখন গড়ে দশ-বারো মিনিটের মধ্যে মিরপুর-১১ থেকে ১০ নম্বর গোল চত্বর পার হয়ে যাই। স্কুল বন্ধ জন্য গুলশানে পৌঁছাতে লাগে মোটামুটি ঘণ্টাখানেকের মতো। আগে লাগত দেড় ঘণ্টা বা তারচেয়ে একটু বেশি।
আপনার এই লেখাগুলো পড়তে ভালো লাগে। আজকেরটা পড়ে আরাম পেলাম না। শুরু করতে না করতেই শেষ!
নতুন মন্তব্য করুন