সামাজিক যোগাযোগে, আমন্ত্রণ নিমন্ত্রণে জন্মদিন-মৃত্যুবার্ষিকী-চেহলাম-কূলখানি-বিয়ে ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এখানে যে পাঁচটি উৎসবের নাম উল্লেখ করলাম তার মাঝে শেষটি, বিয়ে, জীবিত মানুষের জন্য, মাঝের তিনটি মৃত মানুষের উদ্দেশ্যে এবং প্রথমটি, জন্মদিন, জীবিত ও মৃত উভয়রকম মানুষের জন্য পালন করা হয়।
জন্মদিনে একজন মানুষকে শুভেচ্ছা জানানো, ভালোবাসা জানানো এবং মানুষটির উপস্থিতি প্রিয়জনদের কাছে কতোটা ভালোলাগার - এরকম ব্যাপারগুলোর বহিঃপ্রকাশের দিন হিসাবে ধরা যায়।
তাহলে, প্রশ্ন রাখছি - মৃত মানুষের জন্মদিন পালনের উদ্দেশ্য কী?
উদ্দেশ্য যদি হয়ে থাকে মৃত মানুষটিকে, মানুষটির কীর্তিকে স্মরণ করা এবং শ্রদ্ধা জানানো, তবে তার জন্য মৃত্যুদিন বা মৃত্যুবার্ষিকীর দিনটিই কি শ্রেয় নয়?
জন্মদিন পালন যেমন একজন মানুষের বেঁচে থাকার, চারপাশের মানুষের আনন্দের ও ভালোবাসার উৎসব - এবং মানুষটির 'উপস্থিতির' উৎসব, সেক্ষেত্রে একজন মৃত মানুষের স্মৃতি ও কর্মকে স্মরণ করার জন্য 'অনুপস্থিতির' দিনটিই কি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ নয়?
মন্তব্য
অনেক চিন্তা করে দেখলাম। রবীন্দ্রনাথ মারা গেছেন কত বছর হয়েছে জানিনা কিন্তু আশেপাশে ২৫শে বৈশাখ পালন করা হচ্ছেনা এটা কল্পনা করতে সম্ভবত মানুষের খারাপ লাগার কথা। মৃত মানুষের জন্মদিন পালন হোক, মৃত্যুদিনেও তাকে স্মরণ করা হোক। বা না হোক। কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা ডিসাইড করার কোন উপায় আসলেই কি আছে?
ওয়াইফাই ক্যানসার
বিষয়টা মিউচুয়ালি এক্সক্লুসিভ না যে একটা করলে আরেকটা করা যাবে না। দুইটাই করা যেতে পারে।
তবে এই আর্গুমেন্টের বিপরীতে আরেকটা অবস্থান হতে পারে আদৌ এইসব পালন করার দরকার আছে কিনা। আমার মতে আছে। কারণ একটা উপলক্ষ থাকলে একটা আয়োজন হয়। আয়োজন হলে কিছু ভুলোমনার মনে নামগুলো আরেকবার করে মনে পড়ে। এটা অনেকটা রাজনৈতিক দলের সভার মতো। ইস্যু না থাকলেও তাদের সভা করতে হয়। কারণ এতে অর্গানাইজেশনে একটু আলোড়ন তোলা যায়। ঝিমানি রোগে পাওয়া অনেক মানুষ এতে গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
শব্দ পথিক
নভেম্বর ১৩, ২০১৩
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
বাণিজ্য থাকলে মরা মানুষের বিবাহ দিনও পালন করা যায়
আর না থাকলে বলতে হয়- বাপ বহুত আগে মরছে তো তাই সন তারিখ মনে নাই
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
মৃত্যুর পর জন্মদিবস আর মৃত্যুদিবস পালন করার উদ্দেশ্য একটাই। সেটা হলো সেই ব্যাক্তির কর্মকে আরো বেশি করে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া, মানুষের কাছে পৌছে দেওয়া। তাই উদ্দেশ্য যখন দুটি ক্ষেত্রে এক তখন কোনটা গুরুত্বপূর্ণ বেশি সেটা বিবেচ্য হওয়া উচিত নয় আমার মতে। বছরে দুটো দিন তার সৃষ্ট কর্ম নিয়ে আলোচনা, সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে মানুষকে তার জীবন ও জীবনের আদর্শ জানিয়ে দেওয়া তার কর্মের প্রতি পরবর্তী প্রজন্মের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ স্বরুপ। তবে আমাদের এখানে অনেক ছোট ছোট ভুঁইফোড়দের জন্মদিবস-মৃত্যুদিবস ঢাক ঢোল পিটিয়ে করা হলেও অনেক মহৎদের দিবসগুলো প্রচার আলোর বাইরে থেকেই নিভৃতি কেটে যায়।
জীবনান্দকে নিয়ে টেলিভিশন মিড়িয়াগুলো তেমন ভাবে তাদের অনুষ্ঠানমালা প্রচার করেনা, হুমায়ূন আজাদতো ও না ই। আর অমিয় চক্রবর্তি, ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসার, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত এই নামগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে টেলিভিশন আর প্রিন্ট মিড়িয়া থেকে।
মাসুদ সজীব
মাসুদ সজীব
হাসিব ভাই, লীলেন ভাই, অতিথি মাসুদ সজীবসহ বাকীদের ধন্যবার মন্তব্যের জন্য।
মৃত মানুষের জন্মদিন পালন কতোটা জরুরী সে ভাবনা থেকেই পোস্টটি দেয়া, আপনাদের তিনজনের মন্তব্যে এর জবাব উঠে এসেছে
নতুন মন্তব্য করুন