গত দু'দিনের মারাত্মক ট্র্যাজিক খবরঃ সেন্ট মার্টিনে ছুটি কাটাতে গিয়ে সাগরে ডুবে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ ছাত্রের মৃত্যু। আজ সকাল পর্যন্ত টিভি চ্যানেলগুলোর শিরোনামে এবং দেশের প্রধান দৈনিক পত্রিকাগুলোর প্রথম পাতায় স্থান পেয়েছে এ মর্মান্তিক ঘটনা। আগামীকাল এবং পরশু থেকে হয়তো এ নিউজের 'ভ্যালু' কমে যাবে এবং এ সপ্তাহের শেষে মিডিয়া থেকে বিলীন হয়ে যাবে। হয়তো সেটাই স্বাভাবিক, কারণ ফলো-আপের কিছু আর নেই। শোক থেকে যাবে বন্ধুদের হৃদয়ে, স্থায়ী হয়ে থাকবে বাবা-মা-স্বজনদের জীবনে।
এর মধ্যে মিডিয়া, বিশেষ করে কিছু টিভি চ্যানেল, বিবেক-বিবেচনার ন্যুনতম ধার না ধরে - প্রায় নগ্ন লাশের দৃশ্য দেখিয়েছে।
সাগরে ডুবে গেছে সন্তান, বাবা-মা-স্বজন বিলাপ করে জীবনের করুণতম কান্নায় ভেঙে পড়ছেন, মোনাজাত করছেন সশব্দে। আর বেনিয়া টিভি চ্যানেলগুলোর মূর্খ সাংবাদিক কান্নার সুর আর চোখের পানিতে ক্যামেরা ফোকাস করে সে দৃশ্য দেখাচ্ছে সংবাদে বারবার।
দর্শক টানার কী অশ্লীল চেষ্টা!
অন্যদিকে ডুবে যাওয়া তরুণটি তার বান্ধবীর ফেসবুক ওয়ালে কী লিখে গিয়েছিল তার স্ক্রীণশট শেয়ার করছে কিছু লাইক ভিখারী ফেসবুক গ্রুপ এবং ব্যক্তি। এ নিয়ে চলছে নানান তর্ক-কূতর্ক, গজব এবং গসিপ। এটা আরো কুৎসিত।
শোক প্রকাশের চর্চায় শোকার্ত মানুষের প্রাইভেসিকে সম্মান জানানো হোক।
মন্তব্য
বন্ধ হোক
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অবশ্যই বন্ধ হোক এই অসুস্থ চর্চা।
মাসুদ সজীব
সহমত
প্রাইভেসি শব্দটার স্পষ্ট বাংলা অনুবাদ খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। সেই সাথে আরো একটা জিনিস মিডিয়াওয়ালাদের বিশেষ করে জানতে বাধ্য করতে হবে। সেটা হচ্ছে অধিকারের সীমা।
অজ্ঞাতবাস
গোপনীয়তা হতে পারে? কিন্তু, প্রেক্ষাপটের বিচারে মিলে না।
কী হতে পারে?
চমৎকার বিষয়ে সুন্দর লেখা। বক্তব্যের সাথে পুরোটাই একমত। হলুদ সাংবাদিকতা হলুদ থেকে এখন মানব-বর্জ্যের রঙে পরিণত হয়েছে।
____________________________
এস্তেঞ্জাপেপার রিগোরমরটিসে শক্ত হয়ে যাওয়া লাশের ছবি বড় করে ছাপিয়ে সেটাতে ক্যাপশন দিয়েছে সনাক্ত করার সুবিধার্থে ছবি দেয়া হলো। হয় এরা নিজেরা গর্দভ নাহয় এরা বাকি সবাইরে গর্দভ মনে করে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নতুন মন্তব্য করুন