• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

ছাদের কার্ণিশে কাক - ১০

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: শুক্র, ১৮/০৫/২০০৭ - ৫:১৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হাই,
একটা অনুরোধ করছি। উল্টাপাল্টা খেয়ালে আপনাকে কী কী সব কথা বলে একটা মেইল ৩ বার পাঠিয়েছি। প্লিজ, ওগুলো মুছে দিবেন। কথাগুলো খুব সিরিয়াসলি নিবেন না। আই অ্যাম রিয়েলী স্যরি।
< বেলা >
-----------------------------------------------------

বেলা:
আপনি রুদ্রের কবিতা পড়েছেন? রুদ্র মানে রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। কবিতা না পড়লেও - 'ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো' নিশ্চয় শুনেছেন। ওটা রুদ্রের লেখা।

"নিরবতা কোনও এক উদাসীন পাথরের নাম -
অহল্যা সে কোনদিন জানি আর হবে না জীবন।
হবে না সে পরিজাত, কোনওদিন হবে না সকাল,
দিন আর নিশিথের সন্ধিক্ষণে থেকে যাবে জানি -
অহল্যা সে চিরকাল থেকে যাবে, রক্ত মাংশ নিয়ে।
যাবে না সে দগ্ধ ক্ষুব্ধ মানুষের মিছিলে কখনও,
পোড়া মানুষের ক্ষত, রক্ত, গ্লানি বুকে সে নেবে না,
যাবে না সে জানি আর কোনওদিন সবুজ নিভৃতে।
ছোঁবে না সে চিবুকের থরো থরো বিষণ্ন উত্তাপ,
সেই হাত কখনও ছোঁবে না আর উদাসীন চুল।
নি:শ্বাসের ঘ্রাণে আর জাগবে না ভেজা চোখ দুটি,
নক্ষত্রের স্মৃতি শুধু বেঁচে রবে স্নায়ুর তিমিরে।
হবে না বেহুলা জনি সে কখনও গাঙুরের জলে
ভাসবে না ভেলা তার, ভাসবে না স্বপ্নের সাহস,
বেহুলার স্বপ্ব-ভেলা কোনওদিন জলে ভাসবে না -
নিরবতা কার নাম? কার নামে নির্বাসন জ্বলে?"

এ কবিতাও রুদ্রের লেখা।
আপনার মঙ্গল কামনা করছি।
- সরণ

-----------------------------------------------------

হ্যালো,
আমি স্যরি বলেছিলাম। এরপরও আপনি অমন একটা কবিতা পাঠালেন! "নক্ষত্রের স্মৃতি শুধু বেঁচে রবে স্নায়ুর তিমিরে"। কতো নক্ষত্রের স্মৃতিই বা আর মনে থাকে। তবুও কেউ কেউ আকাশে তাকিয়ে থাকে আদমসুরতের খোঁজে। আমার বেহুলা হবার শখ নেই, ভেলা ভাসানোর সাহস নেই, স্বপ্নও নেই। জানি না কেন -ইদানিং সন্দিগ্ধ মনটা কাকে জানি বিশ্বাস করতে মন চায়। ফ্রেন্ডদের সাথে সব কথা বলা হয় না। সবার সাথে সব কিছু শেয়ার করা যায় না। সবাইকে কী আর বিশ্বাস করা যায়?
রুদ্র তো তসলিমা নাসরিনের হাজব্যান্ড ছিল, তাই না? 'উতল হাওয়া'য় পড়েছিলাম। রুদ্র কী তসলিমার সব বিশ্বাসের মর্যাদা দিয়েছিল?
আজ আর লিখতে ইচ্ছে করছে না। মনটা খারাপ হয়ে আছে।
< বেলা >

-----------------------------------------------------

বেলা:
মেইলের রিপ্লাই করছি প্রায় দশদিন পর। গত মেইলে লিখেছিলেন - মন ভালো নেই।
আশা করছি - এ দশদিনে মন ভালো হয়ে গেছে!
আমি আছি - চাকরীর খোঁজে। বেকার জীবন ভীষণ কষ্টের। বাসা থেকে চাকরীর চাপ নেই। তবুও নিজের কাছে নিজেকে বার্ডেন মনে হয়। মাস্টার্স পাশ করে বাপের ঘাঁড়ে বসে আরামসে খাচ্ছি।
যাই হোক, 'উতল হাওয়া' - 'ক' দুটোই পড়েছি। তসলিমা নাসরিনের গদ্য কখনো আমার কাছে আকর্ষণীয় মনে হয়নি। পড়তে গেলে টায়ার্ড হয়ে যাই। আপনি হয়তো জানেন না, তসলিমা নাসরিন লেখালেখিতে প্রতিষ্ঠা পাবার পেছনে রুদ্রের অনেক বড় ভূমিকা ছিল। তাই কবি রুদ্রের পরিচয় 'তসলিমার হাজব্যান্ড' হিসেবে মেনে নিতে পারলাম না।

আপনার কি এখনো মন খারাপ?
তাহলে একটা জোকস শুনেন -
"এক লোক রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। হঠাৎ আশেপাশে কোথাও থেকে তেরো তেরো তেরো শব্দ আসা শুরু হলো। লোকটি ভাবলো - ব্যাপার কি? তেরো তেরো শব্দটি কোত্থেকে আসছে? তেরো মানে আনলাকি থার্টিন! তার কাছে মনে হলো - পাশের দেয়ালের ওপাশ থেকে শব্দটা আসছে। আগ্রহ নিয়ে সে দেয়ালের ফুটোতে চোখ রাখলো। ওমনি ওপাশ থেকে একটা কাঠি এসে তার চোখে গুতা দিলো। আর এবার শব্দটা তেরোর পরিবর্তে হয়ে গেলো চৌদ্দ চৌদ্দ চৌদ্দ।"

জোকসটি এখানে শেষ। কিন্তু আমাদের বন্ধুমহলে এ জোকসের অন্য ভার্সন যোগ হয়েছে। আমাদের বন্ধু টিপু একবার প্রেমে পড়লো সেকেন্ড ইয়ারের রুমার সাথে। উথাল পাথাল প্রেম হয়ে হয়ে যায়, এমন অবস্থা। একদিন টিপু রুমাকে জোকসটি বললো। চৌদ্দ চৌদ্দ হয়ে যাবার পর টিপু থামলো, তার ধারণা ছিল - জোকস শুনে রুমা অনেকক্ষণ হাসবে। কিন্তু টিপু অবাক, কারণ - রুমা হাসে না। বরং ভীষণ অবাক চোখ নিয়ে জিজ্ঞেস করে - "তারপরে? তারপরে কী হলো?" রুমার কথা শুনে টিপু হাসতে হাসতে খুন। পরে সে ডিসিশন নিলো - রুমার সাথে সম্পর্ক আগানো যাবে না। কারণ, যে মেয়ের আইকিউ এত্তো কম, তার সাথে চলাফেরা করাই মুশকিল।
এখন আমরা এই জোকসটা বললে সাথে সাথে টিপু-রুমার অংশটা যোগ করে দিই। হা হা হা।

- সরণ

(চলবে...)


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।