আরমান বারবার মোবাইলে রিং করে যাচ্ছে। রিং হচ্ছে কিন্তু রোমানা রিসিভ করছে না। টেনশন হয় খানিক । আবার মেজাজও চড়ে উঠে। মানুষ এমন কেয়ারলেস হয়! রোমানা হয়তো এখন শপিংয়ে কিংবা মায়ের বাসায়। ব্যাগে মোবাইল বেজে চলেছে অবিরাম। সেদিকে রোমানার খেয়াল নেই। সে হয়তো গুলশান মার্কেটে হোলসেল শপে রেভলন - গার্নেয়ার – সিট্রা খুঁজে বেড়াচ্ছে অথবা স্কুল জীবনের বান্ধবীদের সাথে বাস্কিন এন্ড রবিন্সে আইসক্রীম খাচ্ছে! মোবাইলের রিং সে শুনতেই পাচ্ছে না। শেষে দেখা যাবে - টুয়েন্টি মিসড কল। তেমন সিরিয়াস কিছু না - কাজের ফাঁকে ‘কী করছো’ টাইপ টুকটাক কথা বলার জন্যই আরমানের ফোন করা।
||দুই||
আরমানের প্ল্যান ছিল আজ সন্ধ্যায় আট্রিয়ামে ডিনার করবে। ওদের ব্যুফে ডিনারটা খুব ভালো। তাই একটু আগে আগে বাসায় এলো। রোমানা বাসায় নেই। ফোন করে জানা গেল - স্কুল ফ্রেন্ড সোমার ননদের গায়ে হলুদ, ওখানে গেছে। আসতে রাত হবে। আরমান ঠিক বুঝে উঠতে পারে না। রোমানা কোথায় যাবে, কী করবে - এসব আরমানকে জানানোর একটুও প্রয়োজন নেই! আরমান হয়তো 'না' করতো না, কিন্তু খানিকটা নিশ্চিত তো থাকতে পারতো - রোমানা নিরাপদে আছে, ভালো আছে। পাশাপাশি এরকম সারপ্রাইজিং প্ল্যান করে হতাশ হতে হতো না। ব্যালকনিতে বসে আরমান ভাবে - বুঝি মা-বাবাদের সময়টাই ভালো ছিল। বাবার পছন্দের খাবার বানিয়ে বিকেলে পাশে বসে মা হাতপাখার বাতাস করতো। এটা সেটা নানান কথার ফাঁকে মা বলতো – ‘ভাবছিলাম আরমানকে নিয়ে ক’দিন নিশাখালী থেকে ঘুরে আসি।’ শুনে বাবা চায়ে চুমুক দিয়ে আস্তে করে মাথা নাড়তেন – ‘যা-ও। সপ্তাহখানেক ঘুরে এসো।’ মা তখন উচ্ছ্বাস লুকাতে শাড়ীর আঁচল দিয়ে মুখের ঘাম মুছতেন। ওদিকে আরমান নানাবাড়ি যাবার আনন্দে দিশেহারা।
ভাবনায় শৈশব কৈশোর ফিরে ফিরে আসে। সময় ফিরে আসে না। সময়গুলো পাল্টে যায় ক্যামন করে, মানুষগুলোও!
||তিন||
আরো কিছু সময় গেল মাঝে।
মোনার জন্ম হলো।
কিছুদিন উৎসব হলো, সবাই এলো গেলো।
--- যেমনটা হওয়াই স্বাভাবিক।
||চার||
ছোটখাটো এয়ারকন্ডিশনড রুমটায় তখন যেন শ্মশানের নীরবতা। চশমার কাঁচ পরিষ্কার করে আবার চোখে লাগালেন ডা. অজিত। অনেকক্ষণ মনোযোগ দিয়ে এম আর আই ফিল্মের দিকে তাকিয়ে থাকলেন। নতুন ফিল্মের সাথে পুরনোগুলো মেলালেন। হাতের রিপোর্ট আবার পড়লেন। তারপর খনিক ভেবে জিজ্ঞেস করলেন – ‘প্রেগন্যান্সির তখন কতো মাস চলছিল?’
- ‘পাঁচ মাস,’ আরমান দ্রুত জবাব দেয়।
- ‘সাড়ে পাঁচ মাস,’ পাশ থেকে শুধরে দেয় রমানা।
ডা. অজিত এবার রোমানার দিকে তাকান, হুইল চেয়ারে বসে একপাশে মাথা কাত করে রোমানা বসে আছে। পাশের চেয়ারে আরমান উদ্বিগ্ন চোখে তাকিয়ে, টেবিলের উপর হাত রেখে নখ খুঁটছে। সিটি স্ক্যান রিপোর্ট হাতে নিয়ে নীরবতা ভাঙেন ডা. অজিত, রোমানাকে প্রশ্ন করেন
- চিকেন পক্স সারা শরীরে হয়েছিল?
- হুম, তবে মুখে ও মাথায় বেশী।
- জ্বর ছিল?
- হ্যাঁ, খুব জ্বর ছিল, সাথে ঘাড়ে ব্যথা।
- সমস্যাটা কি তখন থেকে শুরু?
- তখন এমন ছিল না। কেবল মাঝে মাঝে হাঁটতে গেলে এলোমেলো লাগতো। মনে হতো মাথাটা চক্কর দিচ্ছে, পড়ে যাচ্ছি। এমন লাগতো প্রায় দু’বছর।
- আর ব্যালান্স হারালেন …
- গত তিন মাস।
- আচ্ছা, দেখি - আমার আঙুলটা ধরুন তো, শক্ত করে ধরুন, আরো শক্ত করে। হুম, ঠিক আছে। এবার অন্য হাত দিয়ে ধরুন। শক্ত করে …। আরো জোরে, ওকে।
এবার আরমান কথা বলে – ‘পাওয়ার ইজ হান্ড্রেড পার্সেন্ট ওকে।’
ডা. অজিত আরমানের দিকে তাকান – ‘দেখুন মিস্টার আরমান, এ কেস নিয়ে আমি অনেক ভেবেছি। আমার প্রফেসর রিচার্ড নিয়ামের সাথেও মেইলে আলাপ করেছি। মেডিক্যাল টার্মে একে বলে - সেরিবেল্যার আর্টোফি। এটা হলে যা হয় - ব্রেইনের সাইজ ও কম্প্রেশান কমে যায় ধীরে ধীরে। ফলে শরীরের ব্যালান্স থাকে না। আরেকটা অদ্ভুত ব্যাপার হলো চিকেন পক্স থেকে এ রোগের শিকার হয় প্রতি চার হাজারে একজন। রোমানা হলেন সেরকম - চার হাজার জনের একজন।’
- ‘এর কোন ট্রিটমেন্ট নেই?’ কাঁপা কাঁপা গলায় রোমানা জিজ্ঞেস করে। গলার শব্দ যেন কোথাও ধাক্কা খাচ্ছে। মনে হচ্ছে রোমানা এক্ষুনি হাউমাউ কান্নায় ভেঙে পড়বে। বুঝতে পেরে ডা. অজিত সাহস দেন,
- না, না হতাশ হবেন না, ট্রিটমেন্ট অবশ্যই আছে। গবেষণায় দেখা গেছে - ইনিশিয়াল স্টেজে ট্রিটমেন্ট হলে মোটামুটি ২/৩ মাসেই পেশেন্ট এ রোগ থেকে সেরে ওঠে। আমি আশাবাদী, আপনার ব্রেইনের অনেকগুলো কোষ এখনো অ্যাকটিভ।
মেডিসিন দিয়ে কোষগুলোকে আরো সক্রিয় করা যায়, তবে দরকার - হাইপারবারিক অক্সিজেন থেরাপি, সাথে ফিজিও থেরাপি।
- ‘এটা কী বাংলাদেশে সম্ভব’ আরমান জানতে চায়।
- ‘না, এখনো নেই। ইন্ডিয়ার কোথাও কোথাও আছে, তবে সিংগাপুর অথবা ব্যাংকক নিলে সবচে ভালো হয়।’
আরমান-রোমানা যেন অন্ধকার টানেলের শেষে আলোর দেখা পায়। এখনো সব আশা ফুরিয়ে যায়নি, তবে যত দ্রুত সম্ভব রোমানাকে বিদেশে নিয়ে যেতে হবে - ডা. অজিত অমনটাই বললেন।
||পাঁচ||
আরমান খুব দ্রুত খোঁজ-খবর নেয়। ইন্টারনেটে সার্চ করে জানার চেষ্টা করে কোন দেশে কেমন ট্রিটমেন্ট আছে। কোথাও কোথাও ই-মেল, ফ্যাক্স, ফোনও করে। সিদ্ধান্ত নেয় - রোমানাকে সিংগাপুর নিয়ে যাবে। আরমানের আগ্রহের কমতি নেই; সিংগাপুরের ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে মেডিসিন কিনে যায় রেগুলার। খুব দ্রুত সিংগাপুর যেতে হবে, কেবল - রোমানার পাসপোর্ট ভিসার অপেক্ষা। সপ্তাহ দুয়েকের ব্যাপার। তবে এরমাঝে উঠতি ব্যবসায়ী আরমানের জীবনে ঘটে অভাবনীয় এক ঘটনা। এম কে গ্রুপের তিনটি হাইরাইজ ভবন নির্মাণের কন্ট্রাক্ট পায় আরমানের কোম্পানী। আরমান কল্পনাও করেনি এত বড় বিজনেস ডিল পাবে। কন্ট্রাক্টের কাগজপত্র ফাইনাল করতে গিয়ে সিংগাপুর যাওয়া পেছাতে হয়। সে সন্ধ্যায় রোমানার হাত ধরে আরমান বলেছিল – ‘প্লিজ রাগ করো না, কন্ট্রাক্ট-এর উপর অনেক কিছু ডিপেন্ড করছে। তোমার চিকিৎসা, আমাদের সচ্ছলতা, মোনার ভবিষ্যৎ - সব।’
শুনে রোমানা হেসেছিল – ‘তুমি এমনভাবে কথা বলছো যেন অনেক দূরের মানুষ আমরা! হোক না ক’সপ্তাহ দেরী, আমি তো আর মারা যাচ্ছি না।’
আরমান হাত দিয়ে রোমানার মুখ চেপে ধরে – ‘ওভাবে বলো না, প্লিজ!’
||ছয়||
এর পরের সময়গুলো খুব দ্রুত চলে যায়। কন্ট্রাক্ট ফাইনাল হলো হলো করে দু’মাস। আরমান তখন দারুণ ব্যস্ত। এক মাসের জন্য সিংগাপুর গেলে বিজনেস থমকে যাবে। তবুও রোমানার জন্য যত্ন কমে না। সিংগাপুরের ডাক্তারের সাথে ই-মেলে যোগাযোগ রাখে। অফিস থেকে ফেরার পথে লাজ ফার্মা থেকে রোমানার ঔষধ কিনে আনে। মাঝে মাঝে আল-বাইক থেকে স্যুভ কিংবা ভেলপুরির চটপটি নিয়ে আসে। রোমানা এখন অনেক স্টেবল। হুইল চেয়ারে বাসায় থাকে সারাদিন, এটা ওটা রান্না করে, মোনাকে গল্প শোনায়। মাঝে মাঝে আরমান গাড়ি নিয়ে ড্রাইভে বের হয় - সাভার, আশুলিয়া কিংবা বুড়িগঙ্গা। এরকম দিনান্তরে আরমান এক নতুন রোমানাকে আবিষ্কার করে। কেন জানি মনে হয় - এ রোমানাকেই সে খুঁজছিল অনেকদিন। বিয়ের আগে যেরকম লক্ষ্মী-সংসারী বৌয়ের কল্পনা আরমান করেছিল - রোমানা মোটেও সেরকম ছিল না। যখন-তখন শপিংয়ে যাওয়া, কাউকে না জানিয়ে মায়ের বাসায় যাওয়া, বান্ধবীর বাসায় যাওয়া - আরমান পছন্দ করতো না একদম। অথচ অসুস্থ হওয়ার পর, বিশেষ করে হুইল চেয়ার নেয়ার পর রোমানা পাল্টে গেছে বেশ। আরমান পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছে - মোনা এখন অনেক বেশী কেয়ার পাচ্ছে, রোমানা হুটহাট করে বাইরে চলে যাচ্ছে না, ঘরে থেকে টুকটাক রান্না করছে। এমন গৃহিনী আচরণ আরমান পছন্দ করে খুব, টের পায় - নিজের অজান্তেই নিজের ভেতর লালন করা একান্ত অনুগত বৌয়ের স্বপ্নটা সত্যি হয়ে এসেছে গত কয়েক মাসে। হেলভেশিয়ার চিকেন রোস্টে গার্লিক সস মিশিয়ে আলতো করে কামড় দিতে গিয়ে আরমান ভাবে - সিংগাপুর যাওয়াটা আরো পিছালে ক্ষতি কী, আপাতত: খুব জটিল কিছু তো হচ্ছে না। প্রতি রাতে ঘর্মাক্ত ও হওয়া যাচ্ছে বেশ অনায়াসে। সুতরাং, এভাবেই চলুক আরো কিছুদিন...।
_____
ছাপা হয়েছিল অনলাইন ম্যাগাজিন 'বীক্ষণ'-এ।
মন্তব্য
যাক, নিখোঁজ শিমুলকে পাওয়া গেলো!
স্বপ্নপূরণ-কে মনে হলো একটি উপন্যাসের কাঠামো, রক্তমাংস যোগ করা বাকি। আসলেই কি তাই?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
জুবায়ের ভাই:
গত কয়েক সপ্তাহ খুব সময়ের টানাটানিতে ছিলাম। নেটে আসা হয়নি। সচলায়তনে অনেক ভালো লেখা জমে আছে, আপনারগুলোও। পড়বো অবশ্যই।
উপন্যাসের কাঠামো হলো কী? এ জীর্ণ শরীরকে হৃষ্টপুষ্ট করতে অনেক শ্রমের দরকার। আমি পারবো কী!!!
ভালো থাকবেন।
শিমুল, গদ্যরচনাকে আমি শব্দ/ভাষা নিয়ে শ্রমিকের কাজের সমতুল্য মনে করি। কবিতা কখনো লিখিনি, তাই কবিতা নিয়ে কিছু বলতে পারবো না। তবে অনুমান করি, ভালো কবিতাও পরিশ্রমেরই কাজ। প্রসঙ্গত ভি.এস. নাইপলের মিগেল স্ট্রীট বইয়ে এক কবিচরিত্র একমাস ধরে একটিমাত্র লাইন লিখেছিলো: The past is deep।
গদ্যের শ্রমে নাম লিখিয়ে ফেলেছো, এখন পারবো কি বললে চলবে?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আশীর্বাদ প্রত্যাশী, আমি - - -।
আপনার গল্প গুলো পড়ে আমার একটা 'গাট ফিলিংস' হচ্ছে। আপনি মনে আধুনিক জীবন-যাপন বা ফাস্ট ধরনের লাইফস্টাইল খুব অপছন্দ করেন! (আবার আমি পছন্দ করি বলে ধরে নিয়েন না)
গল্পের শেষের টুইস্টটা অবশ্য দারুন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মুর্শেদ ভাই:
এ ব্যাপারটার ছাপ কী লেখায় থাকছে??? সর্বনাশ!
আধুনিক জীবন-যাপন একেবারে পছন্দ করিনা, তা কিন্তু না।
কিন্তু আধুনিকতার খোলসে পাল্টে যাওয়া মানুষ ও তাদের মননের সাথে খাপ-খাওয়াতে পারি না। আমি বলি - সোডিয়াম আলোয় বিভ্রান্ত সময় ও মানুষ। প্রায়ই হোঁচট খাই। এটা খুব সত্যি। ধন্যবাদ।
নতুন লেখা কবে পাবো শিমুল?
- শিমুলকে ভালো পয়েন্টে ধরা গেছে মা.মু।
_________________________________
<স্বাক্ষর দিমুনা, পরে জমিজমা সব লেইখা লইলে!>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গল্পের এই হুটহাট থেমে যাওয়াটাই বরং ভালো লাগে আমার । যা বলার সুত্র ধরিয়ে দিলাম । যে পড়ছে, বাকীটা এবার সে রাংগিয়ে নিক নিজের মতো ।
ভালো লাগলো শিমুল ।
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
গল্পের এই হুটহাট থেমে যাওয়াটাই বরং ভালো লাগে আমার । যা বলার সুত্র ধরিয়ে দিলাম । যে পড়ছে, বাকীটা এবার সে রাংগিয়ে নিক নিজের মতো ।
ভালো লাগলো শিমুল ।
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আপনার দুইবার করে কমেন্ট আসার বিষয়টা কি বাগ?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মজার একটা ব্যাপার শেয়ার করি। গল্পটা যখন প্রথম লিখেছিলাম , তখন প্রথম তিন সেকশন ছিল না। চার নম্বর থেকে শেষ পর্যন্ত ছিল কেবল।
লিখে মনে হলো, কারো মতামত নিই, কেমন হলো। ধরলাম - কনফু'কে। কনফু বললো, তাড়াহুড়া আছে, কিছু ব্যাকগ্রাউন্ড দিলে ভালো হবে। মতামত পছন্দ হলো, যোগ করলাম - প্রথম তিন সেকশন। তারপর এই অবস্থা - - -।
অনেক ধন্যবাদ, মোরশেদ ভাই।
বাগ না হওয়ারই সুযোগ বেশী । হয়তো দুবার এন্টার পড়ছে । অসতর্কতা হতে পারে । কারন এটা সব সময় হচ্ছেনা । মন্তব্য তো ডিলিট করা যায়না, নাকি?
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
যথারিতি মুগ্ধ পাঠক। তাড়াহুড়ার অভিযোগটা আমার কাছে ধরা পড়েনি। ভালো লেগেছে। পাঠক হিসাবে সবসময় আমি নিজেকে উপরের দিকে রাখি। সেই হিসাবে তাড়াহুড়া শব্দটার ব্যপারে একটু আপত্তি জানিয়ে রাখলাম।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
নজমুল ভাই, অনেক ধন্যবাদ। তবে, প্রথম তিনটা সেকশন যোগ না করলে তাড়াহুড়ার ছাপ স্পষ্ট থাকতো। আর লিখতে বসলে আমার ভেতর শেষ করার তুফান মেইল চলে।
আবার পড়লাম। নতুন গল্প নামান। প্লটের যোগান দেবে বসুন্ধরা
_______________________________________
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
প্লট না, ফ্ল্যাট নিয়ে গল্পটা আছে হাজারদুয়ারীতে, এবং সামহয়্যারের সর্বশেষ পোস্টে। পড়ার জন্য শুক্রিয়া।
যথারীতি শিমুল!! বীক্ষনে পড়া হয়নি গল্পটা, এখানেই পড়লাম এবং ভালোলাগাটুকু প্রকাশ করলাম।
__________
কি মাঝি? ডরাইলা?
দ্রোহের আগুন এখানেও ঝরুক!!! নাকি?
থ্যাংকস!
ওটাতো পড়ছি।
_______________________________________
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
শুকৃয়া। সচলায়তনে পড়তেই দিন শেষ। ভালো পরিবেশে ব্লগিং কেমন এখন টের পাচ্ছি।
বরাবরের মতোই লা জওয়াব!
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
শুকৃয়া বদ্দা।
গল্পটা পড়তে ভাল লাগল।
গল্পের কাহিনীটা ভালও লাগল, আবার খারাপও। অধিকাংশ ছেলের স্বপ্নই হয়তো এমন ঘরে থাকা বউ। অনেক 'শিক্ষিত' 'আধুনিক' ছেলে বন্ধু আছে আমার, যারা বেশির ভাগই সারাদিন 'আধুনিকা'দের সাথে কাটিয়ে বাড়ি ফিরতে চায় এমনই কারো কাছে। তাই গল্পের শেষের টুইস্টটা খুব নরমাল লেগেছে আমার। খারাপ লাগল, এই স্বপ্নপূরণটা অন্য কোনভাবে হলে হয়তো ঠিক ছিল। এখানে মেয়েটা অসুস্থ আর সেই অসুস্থতাটাকে অবহেলা করাটা মেনে নিতে একটু কষ্ট হচ্ছে।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
মাশীদাপু:
পড়েছেন দেখে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ।বাঙালী পুরুষ নাকি অন্যের বৌয়ের প্রতিভায় মুগ্ধ হয় আর নিজের বৌয়ের প্রতিভায় হয় ঈর্ষান্বিত! সেটা অন্য প্রসংগ।
গল্প লেখার পর এমন সাইড নোট দেয়াটা হয়তো ঠিক না, আমি নিজেও সমর্থন করি না। এরপরও বলি,অন্য জগতের কোনো ঘটনা এটি নয়, কল্পনার রঙমেশাল খুব বেশী নেই, - - - বৌ-টির জন্য আমার ভীষণ কষ্ট হয়েছিল।
গল্পটা পড়েই কষ্ট হচ্ছিল। তোমার সাইড নোটটা পড়ে সেটা আরো বেড়ে গেল। কই জানি পড়েছিলাম দুনিয়ায় সুখ-দুঃখও শক্তির নিত্যতা সূত্রের মত একটা ব্যালেন্স মেইনটেইন করে। এখানে মেয়েটার অসুস্থতাই আরমানের সুখের কারণ হয়ে গেল!
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ধুত! মন খারাপ কইরেন না।
এই ফাঁকে বলে দিই: আপনার 'একদিন সন্ধ্যায় রাস্তাটা নির্জন' ঐ যে ভিকারুন্নিসার কনফু ক্লাস নিয়ে লেখা ছড়া, আরেক এক্স-ভিনএনসি কে পাঠিয়েছিলাম, খুব মজা পেয়েছে।
ঐ রকম আরো কিছু ছাড়েন। আমরা পড়ি।
বলছ?
বুয়েটের সব ডিপার্টমেন্ট পঁচিয়ে, মেকানিকাল ডিপার্টমেন্টকে ফুলিয়ে লেখা আমার একটা বিশাল ছড়া আছে যেটা প্রতি নবীনবরণে আবৃত্তি করা হয়। এই গত ২৫ তারিখেও হল। ঐটা আপলোড করে দেব ভাবছি। আমাদের ডিপার্টমেন্টের থিম ছড়ার মত হয়ে গেছে। অন্য ডিপার্টমেন্টের ভাই-বোনেদের কাছে গণ না খাইলেই হয়!
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
নতুন মন্তব্য করুন